তালা প্রতিনিধি :তালায় সামাজিক সম্প্রতি ও দুধে ভেজাল প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বুধবার রাত ৮টার সময় জিয়ালা নলতা ঘোষ পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন। শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাছুম বিল্লাহ, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শরীফ মো.আব্দুল মতিন, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম খা, সাবেক কেন্দ্রীয় দুগ্ধ সমবায় সমিতির সভাপতি দিবাস চন্দ্র ঘোষ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দুধ অতি প্রয়োজনীয় একটি শিশুখাদ্য, কোনো ভাবেই দুধে ভেজাল করা যাবে না। আপনাদের দুগ্ধ ব্যবসার উন্নয়নে যত সাহায্য দরকার আমরা করব, কিন্তু অবৈধভাবে দুধে ভেজাল করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। অতিথিরা আরোও বলেন, সনাতন ধর্মের মানুষের শারদীয় দুর্গোৎসব যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হয় তার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন। দুর্গোৎসবের সময় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
Category: আইন শৃংখলা বাহিনী
-

তালায় সামাজিক সম্প্রতি ও দুধে ভেজাল প্রতিরোধ শীর্ষক আলোচনা
-

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত
ন্যাশনাল ডেস্ক: মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষে দুই সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেল ৩টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে।সংঘর্ষে দুজন সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
-

তুমব্রুর পর এবার উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি
ন্যাশনাল ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা গোলাগুলির শব্দ পান।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী জানান, বান্দরবানের তুমব্রুর পর এবার আঞ্জুমান পাড়ার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে তারা যাতে ভয়ে না থাকেন, সেজন্য বোঝানো হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘সকালে উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। এখানে সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে সকাল ৮টা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে আবারও গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সীমান্ত এলাকায় প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরেই গোলাগুলি চলছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দার চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। এ ঘটনায় সীমান্তের ৩০০ পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল ও গোলার আঘাতে শূন্যরেখার একজন রোহিঙ্গা নিহতসহ ছয় জন আহত হয়েছেন। এর আগে মর্টারশেল ও গোলার ঘটনায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চার বার তলব করা হয় এবং এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরও গোলাগুলি বন্ধ হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজকেও সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মার্টারশেলের শব্দ এপারের স্থলভূমি কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছে মর্টারশেল এখানে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভয়ভীতির মধ্য রয়েছেন।’
-

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে ‘ব্যাখ্যা’ দিলো মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ন্যাশনাল ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ গোলযোগে মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল এসে বাংলাদেশের সীমানায় পড়ে হতাহতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ঢাকা। কয়েক দফায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের সেনাবাহিনীকে সংযত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এবার মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ ফিও উইন। যদিও তিনি এ ঘটনার পুরো দায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন।
মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ ফিও উইনের বৈঠক হয়।
বৈঠকে মহাপরিচালক সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়। পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এ ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর পুরো দায় চাপিয়ে দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ওই সংগঠন দুটি এসব কাজ (বাংলাদেশে বোমা, গুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ) করছে, যাতে করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্ক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর মধ্যে দুটি যুদ্ধ বিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকেও গোলা নিক্ষেপ করে দেশটি।
এসব ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে একাধিকবার তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হন উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক তরুণ। এরপর রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টারশেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটির বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। এতে আহত হন আরও পাঁচ জন।
-

হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর পুলিশের
মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ৩২টি মোবাইল ফোন এবং ভুলবশত: অন্যের বিকাশ নাম্বারে চলে যাওয়া ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার মধ্যে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের আয়োজনে পুলিশ লাইন্সে উদ্ধারকৃত ৩২টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সময়ে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৫৭ হাজার টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান (প্রশাসন ও অর্থ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস অফস) কনক কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-

শক্ত অবস্থান থেকেই মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে ঢাকা
ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে (মিয়ানমার) নিয়মমাফিক যা করা যায়, আমরা দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে সেটাই করছি। আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। শক্ত অবস্থান থেকেই তাদের সতর্ক করেছি। আমরা চেষ্টা করছি আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের বিষয়টি অবহিত করতে। তাদেরকে ব্রিফ করা হবে।’
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব এবং দেশের এজেন্সিগুলোকে নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা এখনই ভাবছে না সরকার। আপাতত সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ডকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদলিপি দিয়েছি—সীমান্তে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আমরা এটাও বলেছি, এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়; আপনারা কীভাবে সমাধান করবেন, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারের গোলা যেন আমাদের ভূখণ্ডে না আসে। সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না, তাদের।’
মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল শান্তিকামী রাষ্ট্র। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে অনেক দিন ধরে এসব সহ্য করে যাচ্ছি। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের সমস্যা সমাধান করুন। যাতে আমাদের এখানে কোনো রক্তারক্তি না হয়, কোনো প্রাণ না যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ একটি উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করেছি সবাইকে নিয়ে, বাংলাদেশের যত এজেন্সি আছে। তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আমরা বিজিবি ও কোস্ট গার্ডকে বলে দিয়েছি বর্ডারে সজাগ থাকতে। রি-এনফোর্সমেন্ট যেখানে যতটুকু লাগে, করবে। সাগর দিয়ে বা অন্য জায়গা দিয়ে কোনো রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করেছি। তবে, আমাদের দেশেরও কিছু লোক আছে, তারা আগের বার জড়িত ছিল, সেটা যেন এবার না হয়। এবার আমরা আমাদের যত এজেন্সি আছে সবাইকে রিকোয়েস্ট করেছি।’
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আপনারা হয়ত বলবেন, বারবার আপনারা প্রতিবাদলিপি দেন, কিন্তু কিছু হয় না। এটাতে আমাদের করার কিছু নেই। কারণ, আমরা তো দায়িত্বশীল একটি রাষ্ট্র। সে হিসেবে প্রতিবেশীকে যা করা যায়, নিয়ম মাফিক তা আমরা করছি। আমাদের কথাবার্তায় কোনো রকম দুর্বলতা নেই। অনেকে বলছেন ‘নতজানু’, সেরকম কিছু নেই। আমরা শক্ত অবস্থানে থেকেই তাদের বলেছি।’
সাংবাদিকরা জানতে চান, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার সেখানে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সরকার ভাবছে না।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের জবাব কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত যেটা বলেছেন, তথ্যগুলো তিনি নেপিদোতে জানাবেন তাদের কর্তৃপক্ষকে। তারা যেন এর ওপর কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারে। রাষ্ট্রদূত সময় দিয়ে শুনেছেন। মর্টার শেল ও গোলাগুলি নিয়ে রাষ্ট্রদূতের একটি বক্তব্য আছে। তার মতে, এগুলো হয়ত আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে হতে পারে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আপনাদের দেশের ভেতর থেকে যা কিছুই আসুক না কেন, সেটা আপনাদের দায়িত্ব। সেটা আপনারা দেখবেন। আমাদের এখানে যাতে কিছু না আসে, সেটা আপনারা নিশ্চিত করবেন। এটা করার জন্য যা কিছু করা দরকার আপনারা পদক্ষেপ নেবেন।’‘চারবার তাদের কাছ থেকে উত্তর এসেছে। তারা গতানুগতিক উত্তর দিয়েছে। এটা আমাদের এখান থেকে হয়নি, আরাকান আর্মি করছে। আমরা পাঁচ বছর ধরে জাতিসংঘসহ এমন কোনো জায়গা নেই, এমন কোনো বড় কোনো দেশ নেই, যাদের কাছে যাইনি, ধরনা দিইনি। সমস্যার সমাধান হয়েছে? ইউএনএইচসিআর কি পারছে? কাজেই দ্বিপাক্ষিক ইস্যু সমাধানে সময় লাগবে। ধৈর্য ধরতে হবে। তবে, আমরা যদি নিজেরা শক্ত থাকি, সমাধান আসবে,’ বলেন তিনি।
-

সীমান্তে ১২ মর্টার শেল, কাঁপলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ঘুমধুমের ১২ পাড়া
ন্যাশনাল ডেস্ক: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে গুনে গুনে ১২ মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে জান্তা সরকারের সেনা সদস্যরা। আর এতে কেঁপে উঠেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ঘুমধুমের আশপাশের ১২টি পাড়া।
এমনটি জানিয়েছেন তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী বদি আলম, গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুল জাব্বার, রোহিঙ্গা আবদুস ছালাম, দক্ষিণ চাকঢালার ফরিদ আলম ও জাফর আলী।
তারা বলেন, রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে ১২টি মর্টার শেলের প্রকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে আশপাশের তুমব্রু, কোনারপাড়া, বাইশফাঁড়ি, তুমব্রু হেডম্যানপাড়া, ভাজাবুনিয়া, মধ্যমপাড়া, উত্তরপাড়া, বাজার পাড়া, গর্জনবুনিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকঢালা, সাপমারা ঝিরি ও জামছড়িসহ ১২ পাড়ার মানুষের।
ঘটনার সত্যতা জানতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন , কয়েক দিন বন্ধ থাকার পরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল পড়ার আতঙ্কে আছে সীমান্তের মানুষ। আমরা তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বারবার বলছি। কিন্তু তাদের বোঝানো যাচ্ছে না।
এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় মিয়ানমারের একটি যুদ্ধবিমান তুমব্রু শূন্যরেখা ঘেঁষে মিয়ানমার আকাশে উড়তে দেখেছে তুমব্রুসহ সীমান্তের বাসিন্দারা। তারা জানায়, রবিবার সারা দিন মিয়ানমারের ওপারের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে সীমান্তজুড়ে।
তুমব্রুর শূন্যরেখায় আশ্রিত একাধিক রোহিঙ্গা জানান, জান্তা সরকারের আর্মি ও জান্তা বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে মিয়ানমার সীমান্তে। দুই বাহিনীই বর্তমানে দিশেহারা। তাই তাদের গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ছে বারবার। শুক্রবারের গোলার আঘাতে হতাহতের রাতটা ছিল তাদের কাছে ভয়াবহ একটি রাত। আর সে কারণে তুমব্রু শূন্যরেখায় আশ্রিত সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গারা এখন দিশেহারা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তায় বিজিবি সদস্যরা কাজ করছেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে তৎপর আছে। স্থানীয়রা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সে ব্যাপারে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। -

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ভাবছে প্রশাসন
ন্যাশনাল ডেস্ক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। তাই সেখান থেকে ৩০০ পরিবারের প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই তাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এসব কথা জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস।
ইউএনও বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গারা যেহেতু শূন্যরেখায় থাকে, তাই তাদের ব্যাপারে এখনো কোনও চিন্তাভাবনা করছি না আমরা। তবে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে জেলা প্রশাসন। কীভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ আলাপ হয়েছে। তাদের মতামতের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে।
আজকের সভায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাৎক্ষণিক কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তাই তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি আমরা। তারা সিদ্ধান্ত দিলেই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো আমরা।’
এর আগে রবিবার বেলা ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে সভা করেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস। সভায় সীমান্ত পরিস্থিতি ও করণীয় সম্পর্কে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে সামাধান জানতে চান ইউএনও।
সভায় উপস্থিত এক জনপ্রতিনিধি জানান, সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া-সংলগ্ন তুমব্রু, ঘুমধুম, হেডম্যানপাড়া, ফাত্রা ঝিড়ি, রেজু আমতলী এলাকায় বসবাসকারী এসব পরিবারের প্রায় দেড় হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে সভায় পর্যালোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সভায় জানানো হয় ঘুমধুম ইউনিয়নে কোনও আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় তাৎক্ষণিক এই পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে। এ ছাড়া স্কুলগুলোতেও থাকার কোনও পরিবেশ নেই।
একপর্যায়ে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চূড়ান্ত মতামত দিলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে নতুন করে, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত এলাকার জন্য এক অশনিসংকেত। এসব সংঘাতের ফলে মিয়ানমারের ছোড়া গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের মনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের করণীয় শীর্ষক ওই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। একই দিন দুপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনের পায়ের নিম্নাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়ে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তারও আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।
বারবার এভাবে গোলা পড়া ও হতাহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। মর্টারশেল ছোড়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার অনেকে বাড়িঘর ছাড়লেও আজ থেকে ফের নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
-

খালেদা জিয়ার সাজা আরও ছয় মাস স্থগিতের সিদ্ধান্ত
ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগের মতোই শর্ত সাপেক্ষে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো। আগামীকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রবিবার এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া, এই শর্তে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়লো। খালেদা জিয়া ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকতে পারবেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ রবিবার সকালে জানান, দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আগের শর্তেই ছয় মাস স্থগিত করতে সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। নিউ ইয়র্ক থেকে ফোনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আবার বাড়ানোর আবেদন করে তার পরিবার। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস এদিন চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। চিঠিতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে। -

শ্যালক কর্তৃক ভগ্নিপতিকে হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে শ্যালক কর্তৃক শাবল দিয়ে আঘাত করে আপন ভগ্নিপতিকে হত্যার মূল আসামি মোঃ আহাদ আলী গাজী (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি আহাদ আলী গাজী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব সূত্র জানায়, নিহত সামছুর গাজীর ছেলে মোঃ মিজানুর কর্তৃক মাছের ঘেরে মাছ চুরি করা নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভিকটিমের সাথে তার শ্যালকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সামছুর গাজীর বড় শ্যালক ১নং আসামী মোঃ ফজর আলী এবং ছোট শ্যালক ২নং আসামী মোঃ আহাদ আলী গাজী শাবল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় এবং গায়ে এলাপাথাড়ি আঘাত করে । যার ফলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এছাড়াও তারা ভিকটিমের স্ত্রীকেও আঘাত করে গুরতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মোঃ সামছুর গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনা এলাকার জনমনে চাঞ্চল্য এবং উদ্ধেগের সৃষ্টি করে। ঘটনা সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা এর একটি আভিযানিক দল আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য গোপনে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, সাতক্ষীরা এর আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সামছুর গাজী হত্যার ঘটনার মূল হোতা মোঃ আহাদ আলী গাজীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আহাদ আলী গাজী উক্ত হত্যার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
-

এসএসসির প্রশ্নফাঁস রোধে বিশেষ নজরদারি গোয়েন্দাদের
ন্যাশনাল ডেস্ক: আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এই পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোনও গুজব প্রতিরোধে তৎপর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলো থেকে শুরু করে সব জায়গায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আগে যারা গ্রেফতার হয়েছিল তাদের ওপরও রাখা হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষার রূপরেখা-২০২১ এর অনলাইন প্রশিক্ষণ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনও সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেস থেকে প্রশ্ন বের হয়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কেউ যেন তথ্য বাইরে দিতে না পারে সে বিষয়েও নজরদারি রয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান- র্যাব। র্যাবের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িত কিংবা এমন কোনও ধরনের আলামত কারও কাছে পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের বিষয় নজরে এলে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষার প্রশ্ন সাধারণত দু ভাগে ফাঁস হয়। একটি হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে। অন্যটি হচ্ছে পরীক্ষার শুরুর পরই প্রশ্ন বাইরে আসে। পরবর্তীতে প্রশ্ন সমাধান করে আবার সেই ডিভাইসেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও দুটি মাধ্যমকে প্রশ্নফাঁসের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করতে হয়। পরীক্ষা হলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও কেউ যদি কোনও ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রভাবশালীদেরও এর সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনা আমরা দেখেছি। সব বিষয়ে মাথায় রেখেই এ বছর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যদিও প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও একই কাজ করে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগে থেকেই আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নজরদারি চলবে। -

অনলাইনে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা জঙ্গি সংগঠনগুলোর
ন্যাশনাল ডেস্ক: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কোনও সুযোগ পাচ্ছে না জঙ্গি সংগঠনগুলো। তবে বিভিন্ন সময় তারা অনলাইনে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ক্লোজ গ্রুপে যোগাযোগ ও সদস্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর বাসা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা জঙ্গি দমনে আরেক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে সাত তরুণ নিখোঁজ হয়। তারা কথিত হিজরতের উদ্দেশে বের হয়েছে—এমন তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ৭ জনের পর তাদের আরও ৪ সহপাঠী বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। ডি-রেডিক্যালাইজেশন মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাদের। ওই চার জন জানায়, কথিত হুজুরের দিক নির্দেশনায় তারা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
গোয়েন্দারা বলছেন, বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কনটেন্ট আপ করছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। এমনকি অনলাইনে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সংগ্রহের কাজও চালিয়ে আসছে সংগঠনের সদস্যরা। অনলাইনে অন্যান্য সহযোগীদের আইডির সঙ্গে এনক্রিপটেড অ্যাপের মাধ্যমে জিহাদ ও কমব্যাট প্রশিক্ষণের ভিডিও এবং জিহাদের ময়দানে শরিক হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি দেশবিরোধী পরিকল্পনার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।
বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) -এর তথ্য বলছে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ১৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত সাড়ে তিন বছরে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয় ১১১টি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য সংখ্যা বেশি।
চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২২টি অভিযান পরিচালনা করে ২৮ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে জেএমবি ৮ জন, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম এবিটির সদস্য চার জন, ‘আল্লাহর দলের’ পাঁচ জন, হিজবুত তাহরিরের একজন, আনসার আল ইসলামের সাত জন এছাড়া অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনে সংশ্লিষ্ট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে র্যাবের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ২৮০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ১৪৩০ জন জেএমবির সদস্য। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা হয় গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট, বোমা তৈরির কন্টেইনার ও উগ্রবাদী বিভিন্ন বই।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৮০টি অভিযানে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে জেএমবির সদস্য ছিল ২১ জন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব বিশ্বের বুকে রোল মডেল। তবে বাহিনীর কোনও সদস্যই আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না। গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। যখনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের জড়িয়ে পড়াদের অনেককেই পুনর্বাসনের মাধ্যমে সামাজিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ যাচ্ছে র্যাব।
এটিইউ-এর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে আমরা বেশ কয়েক ধাপে কাজ করে থাকি। সফট অ্যাপ্রোচ, হার্ড অ্যাপ্রোচ, গবেষণা এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
-

সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কামশাল ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইনে ফের অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেওয়া এমন একাধিক পরিবারের খোঁজ মিলেছে। তাদের দাবি, এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মগদের সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ছেড়ে মংডুর ক্যাম্পে নেওয়ার জন্য গত মাস থেকে পুরুষদের হত্যা ও নারীদের ওপর নিপীড়ন করা হচ্ছে।
পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসাদের ভাষ্য, শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টায় বর্তমানে নাফ নদীর ওপারের ধংখালীর চরে কমপক্ষে ৮০০ রোহিঙ্গা পরিবার লুকিয়ে আছে। সুযোগ বুঝে তারা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা বলেন, দু-একটি নতুন পরিবার মিয়ানমার থেকে এসে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হবে না।
বিজিবির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪৭৮ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠায় বিজিবি। তাদের মধ্যে ১৩১ জন নারী, ৮১ শিশু ও ২৬৬ জন পুরুষ। আর চার রোহিঙ্গাকে থানায় দেওয়া হয়।
বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা তৎপর রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় সাত রোহিঙ্গার একটি দল। তারা সবাই রাখাইনের বুথেডং গ্রামের বাসিন্দা। এই দলের সদস্য দিলদার বেগম বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও মগরা নতুন করে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তারা আমাদের এখান থেকে মংডু চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় আমার স্বামী শহীদুল্লাহকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার মতো অনেকের ঘরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। প্রাণ ভয়ে তিন মাসের সন্তান নিয়ে ১১ দিনের মাথায় টেকনাফে পৌঁছেছি। পরে সেখান থেকে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছি।
একই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আবুল ওয়াফা বলেন, মগ ও সেনারা নতুন করে জুলুম-নির্যাতন করছে। এ জন্য পালিয়ে এসেছি। তারা লড়াইয়ের কথা বলে আমাদের গ্রাম থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। এখন সীমান্তের ধংখালীর চরে ৮০০-৯০০ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তারাও এপারে আসার চেষ্টায় আছে। মিয়ানমার সরকার নাকি মংডু টাউনশিপে ক্যাম্প করে সব রোহিঙ্গাকে সেখানে রাখার পরিকল্পনা করেছে।শরণার্থী শিবিরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাখাইনে মাসখানেক ধরে সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে সীমান্ত এলাকায়। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। তবে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করেছে।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, মিয়ানমারের যেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস, তার খুব কাছে বাংলাদেশ। ফলে সেখানে জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিতের আশঙ্কা দেখা দিলেই তারা সবার আগে বাংলাদেশে, পরে ভারত, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হবে।৮-এপিবিএনের অধিনায়ক আমির জাফর জানান, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন চালায়। সে সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। আগে আসা রোহিঙ্গাসহ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ঠাঁই হয় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে।
-

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন (মংলা) কর্তৃক দেশীয় অস্ত্রসহ ০৭ জন দুর্বৃত্বকারী আটক
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই ২০২২ আনুমানিক ১১৩০ টায় বোর পয়েন্ট এ নোঙ্গররত অবস্থায় গ ঠ ইষঁব গবৎষরহ মার্চেন্ট শীপে ছিচকে চুরির উদ্দেশ্যে একদল দূর্বৃত্তকারী প্রচেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় উক্ত মার্চেন্ট শীপ থেকে কমিউনিকেশন সেট (ঠঐঋ চ্যানেল ১৬) এর মাধমে ঘটনাটি পোর্ট অথরিটিকে জানায়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিষয়টি জানার সাথে সাথেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে বিসিজি স্টেশন কোকিলমনি এবং বিসিজি আউটপোস্ট দুবলা হতে দুইটি অপারেশন দল তৎক্ষণাত বিষয়টি তদন্ত করার লক্ষ্যে মার্চেন্ট শীপ এর উদ্দেশ্যে গমন করে। পরবর্তীতে দুর্বৃত্বকারী দলের নৌকাটিকে সনাক্ত করে ধাওয়া করা হয় এবং কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাটি পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মার্চেন্ট শীপ থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত দুর্বৃত্বকারীদের আটক করার উদ্দেশ্যে কোস্ট গার্ড জাহাজ তামজীদ এর নেতৃত্বে তিনটি অপারেশন দল হাইস্পীড বোট এর সহায়তায় নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে টহল প্রদান করে। অতঃপর ১৪ জুলাই ভোর ০৪৪৫ ঘটিকায় সাব লেফটেন্যান্ট এস এম সাজিদ মোস্তফা তনু এর নেতৃত্বে অপারেশন দলটি দুই সিলিন্ডার বিশিষ্ট কাঠের নৌকাসহ ০৭ জন দুর্বৃত্বকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত সময়ে নৌকাটি তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি, দা, কুঠার ও করাত ইত্যাদি) দড়ি কাটার সরঞ্জাম, ০৭ পিস ইয়াবা ও আনুমানিক ২০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোস্ট গার্ড বেইস মংলা এর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়।
-

আশাশুনির শোভনালীতে আইন শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের বদরতলা জে. সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইন শৃংখলা বিষয়ক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আশাশুনি থানার উদ্যোগে বদরতলা জে. সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বদরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম)। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার গাইনের সঞ্চালনায় সভায় দেবহাটা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ, আশাশুনি থানা ইন্সপেক্টর তদন্ত জাহাঙ্গীর হোসেন, শোভনালী ইউনিয়ন বিট পুলিশের এসআই আবুল হোসেন, বদরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সেগুলোরর সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
-

বেনাপোল সিমান্তে অস্ত্র গুলি সহ পিতা পুত্র আটক
আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫টি বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী পিতা-পুত্র গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।
সোমবার (২৩ মে) ভোরে তাদের গ্রেফতার করেছে বেনাপোল বিজিবি কোম্পানি সদরের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাদিপুর গ্রামের মানিক মন্ডলের ছেলে মোঃ শাহ জামাল (কালু) (৫৩) ও তার ছেলে সোহেল আহমেদ (২৮)।
বিজিবি জানায়, আমরা গোপন সূত্রে খবর পায় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের একটি চালান পাচার করে এনে সাদিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে মজুদ করছে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল শাহ জামাল কালুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘরের মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৫টি বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিউদ্ধার করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগে পিতা-পুত্রকে আটক করা হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, বেনাপোলের সীমান্তবর্তী সাদিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫টি বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ পিতা-পুত্রকে আটক করা হয়েছে। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অপরাধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল ভুইয়া বলেন বিজিবির মামলায় আটককৃত আসামিদেরকে কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হবে।
-

র্যাব-সাতক্ষীরা কর্তৃক ৭৮৯ পিচ নেশা জাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ০১ জন আসামি গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গত ১৬ মার্চ ২০২২ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জেলার সদর থানাধীন আলীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ রনি (১৯), পিতা- মোঃ ডালিম সরদার, মাতা- পাপিয়া খাতুন (পপি), সাং- তালবাড়ী ০১ নং ওয়ার্ড, ইউপি- ৭নং আলীপুর, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীর নিজ হেফাজত হতে ৭৮৯ (সাতশত উনানব্বই) পিচ ভারতীয় তৈরী নেশা জাতীয় মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ০১ টি মোবাইলফোন ও ০২ টি সিমকার্ড উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। -

তালায় ৫ জুয়াড়ী আটক
তালা সংবাদাতা: তালা থানার পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে জুয়া খেলার সময় ৫ জুয়াড়ীকে আটক করেছে তালা থানার পুলিশ। ৮ মার্চ গভীর রাতে তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল উপজেলার বারুইহাটি গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৫ জুয়াড়ী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় এই চিহ্নিত জুয়াড়ীদের কাছ থেকে জুয়া খেলার নানা সরঞ্জাম আটক করা হয়ে বলে তালা থানা সূত্রে জানা গেছে। আটককৃত ৫ জুয়াড়ীর নামে জুয়া আইনের ৪/৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বিষয়চি নিশ্চিত করেন।