Category: আইন-আদলাত

  • অপসারিত হলো দুই আদালতের মধ্যকার প্রাচীর

    অপসারিত হলো দুই আদালতের মধ্যকার প্রাচীর

    সংবাদদাতা : জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার কালেক্টরেট চত্বরের আংশিক প্রাচীর অপসারিত করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    সোমবার দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আযমসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রাচীর অপসারন করা হয়।
    সোমবার দুপুর ১২টায় কালেক্টরেট চত্বরের অংশ বিশেষ অপসারন করে করিডর নির্মাণের কাজ প্রশস্ত হয়।
    জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম জানান, জুডিশিয়াল কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার পর কালেক্টরেট চত্বরের জজ কোর্ট থেকে জুডিশিয়াল কোর্টে আসার জন্য প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, বিচারপ্রার্থী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের। এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরের ডবল প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন করে যাতায়াতের জন্য সেখানে করিডোর নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের প্রচেষ্টায় এটির সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।
    কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তিনি কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রণালয়, গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রী পরিষদে পৌঁছায়। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৫ জুন তিনি হাতে পান। ওই চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রাচীর অপসারনের কাজ শুরু করেন।
    জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, করিডোর স্থাপনের ফলে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে। তাতে যাতায়াতে সুবিধা হবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। যাহা ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে।

  • শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ জনের জামিন

    শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ জনের জামিন

    ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

    মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ ১৮ আসামি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। 

    জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। 

    বাকি ১১ আসামির জামিনের আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    কলারোয়ায় পৌঁছাতেই সড়কে একটি বাস আড় করে দিয়ে তার পথরোধ করা হয়। এ সময় জটলার সৃষ্টি হলে সেই সুযোগে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ইটপাটকেল ও জুতা স্যান্ডেল ছুড়ে সহিংসতার সৃষ্টি করে। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী অনেকে আহত হন।

    মামলা তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। 

    আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়েছে। এরপর মামলার আসামি রাকিবের আবেদনে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। 

    একই সঙ্গে রাকিবের ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পরে রাকিবকে জামিন দেয়া হয়।

    রাকিবের আবেদন ছিল, যখন ঘটনার কথা বলা হয় তখন, অর্থাৎ ২০০২ সালে তার বয়স ছিল ১০ বছর। সুতরাং তার বিচার হতে হলে শিশু আইনে হবে। বড়দের সঙ্গে দায়রা জজ আদালতে করা যাবে না।

    গত বছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিনমাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

    এরপর বিচার শেষে সাতক্ষিরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সব আসামিকে সাজা দিয়ে রায় দেন। রায়ে হাবিবুল ইসলামকে কয়েকটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

  • সরকারি আইনজীবীদের ফি পাঁচ গুণ বাড়লো

    সরকারি আইনজীবীদের ফি পাঁচ গুণ বাড়লো

    দেশের সব জেলায় নিয়োজিত সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (জিপি/পিপি/বিশেষ পিপি/অতিরিক্ত জিপি/অতিরিক্ত পিপি/এজিপি/এপিপি/এলজিপি) মাসিক রিটেইনার ফি চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে সরকার। মামলার শুনানির জন্য দৈনিক ফি ও ভ্যালুয়েশন ফিও বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনায় আরও বেশি দায়িত্বশীল ও দায়বদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২০ মে) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মো. রেজাউল করিমের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বিশেষ উদ্যোগে এসব ফি বাড়ানো হলো। আনিসুল হক ২০১৪ সালে প্রথম আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনায় আইন কর্মকর্তাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল ও দায়বদ্ধ করে তোলার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আইন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ফি বাড়ানোর বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হন। প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেন। এরপর এসব ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে কয়েক দফা আলোচনার পর অর্থ মন্ত্রণালয় নিম্নবর্ণিত হারে ফি বাড়ানোর সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

    জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের পুনঃনির্ধারিত মাসিক মাসিক রিটেইনার ফি

    বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। আগে ছিল মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে তিন হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া  জিপিদের  মামলা প্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। আগে ছিল সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ  পিপিদের দৈনিক ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা, অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। আগে ছিল পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ২৫০ টাকা। 

    অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের ফি পুনঃনির্ধারিত  মাসিক রিটেইনার ফি

    বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। আগে ছিল মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে তিন হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া অতিরিক্ত জিপিদের  মামলা প্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যা আগে ছিল সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা, অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল পূর্ণ দিবসের জন্য ৪০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ২৫০ টাকা।

    এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের পুনঃনির্ধারিত মাসিক রিটেইনার ফি

    বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ছয় হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে চার হাজার টাকা। আগে এজিপি ও এলজিপিরা ৭৫০ টাকা হারে মাসিক রিটেইনার ফি পেতেন। এপিপিরা কোনও রিটেইনার ফি পেতেন না।

    নতুন নিয়মে এজিপি ও এলজিপিদের মামলা প্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, আগে যা ছিল সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা, অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা। এটা আগে ছিল পূর্ণ দিবসের জন্য ২০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ১০০ টাকা।

    এসব ফি আগামীতে আরও বাড়ানো বলে জানিয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

  • অ্যাড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর

    অ্যাড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর

    জহুরুল কবীর:  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শাহ আলমের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া বিবাদী পক্ষে রিমান্ড আবেদনও খারিজ করেদিয়েছেন।
    বুধবার সাতক্ষীরা চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভার্চ্যুয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির জামিন শুনানিতে রিমান্ড আবেদন খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করেন।
    জামিন শুনানিতে এড. শাহ আলমের পক্ষে অংশ নেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড এইস খান পান্না, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবুল হোসেন, এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী প্রমুখ।

    ——-বিস্তারিত আসছে।

  • থমথমে আদালত এলাকা

    থমথমে আদালত এলাকা

    • পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা
    • জেলা বারের সাবেক সভাপতি কারাগারে
    • নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যহত


    জহুরুল কবীর: স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এম শাহ আলমের মধ্যকার বিতন্ডার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে জেলা আইনজীবীর সমিতির সিনিয়র আইনজীবীগণ পরষ্পর মুখোমুখি অবস্থানে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হাফ ডজন মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় আসামী বারের সাবেক সভাপতি সেক্রেটারিসহ সিনিয়র আইনজীবীগণ। এক মামলায় কারাগারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। বিষয়টি নিয়ে আদালত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চলছে পাল্টাপালটি কর্মসুচি। একদিকে গ্রেপ্তার অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারপূর্বক মুক্তির দাবী অন্যদিকে দুর্ণীতি মুক্ত বার গঠণের দাবীতে সোমবার আদালত প্রঙ্গণে পৃথক মানববন্ধর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য গত ২৬ এপ্রিল সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু জেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন।
    এই ঘটনার জের ধরে ২৭ এপ্রিল বিকালে পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের অনুসারিগণ অ্যাড শাহ আলমের ল.চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুর করে। এব্যাপারে অ্যাড শাহ আলম সদর থানায় একটি এজাহা করেন। যেটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরদিন পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একই থানায় পৃথক মামলা করেন। অ্যাড শাহ আলম তার এজাহা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তরভুক্ত না করায় গতকাল সাতক্ষীরা আমলী প্রথম আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা করেন। উক্ত মামলায় ১০জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনকে আসামী করা হয়েছে।
    বিচারক মোঃ রেজোয়ানুজ্জামান আগামি ১৬ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, এ্যাড. এসএম হায়দার আলী, এ্যাড. এসএম সালাহ উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), এ্যাড. নিজামউদ্দিন, এ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. এবিএম সেলিম, এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, এ্যাড. নুরুল আমিন ও এ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকো।
    এরই মধ্যে গত ১৬ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলেশ। শিক্ষানবীশ আইনজীবী শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ি ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
    উক্ত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ মামলার ব্যাপারে অ্যাড. ফেরদৌসি সুলতানা জানান, “২৭ এপ্রিল ল-চেম্বার ভাংচুর ঘটনায় মামলা করার পর থেকে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং নানা ভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে অ্যাড. আব্দুল লতিফ গং অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি ‘দ্রুত বিচার আইনে’ মামলা করেছেন যাহা তদন্তাধীন। এরই মধ্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা করে অ্যাড. শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।”
    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার জানান, শিক্ষানবীশ লিয়াকত আলীর মামলায় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরদিন সোমবার উভয়পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেল ও রিমান্ড শুনানী আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শামীম ইস্কান্দারের সাক্ষাৎ, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শামীম ইস্কান্দারের সাক্ষাৎ, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান তিনি। মানবজমিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ধানমন্ডির বাসায় যান শামীম ইস্কান্দার। তিনি সেখানে ৫-৭ মিনিট ছিলেন। শামীম ইস্কান্দার রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা মন্ত্রীকে জানান। একইসঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে অনুমতির জন্য লিখিত আবেদন করেন।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম ইস্কান্দার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    এর আগে সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

  • আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা

    আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ১২ জুয়াড়িসহ ১৮ ব্যক্তিকে ৮টি মামলায় ১১ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কুল‍্যা ইউনিয়নের ৬ জুয়াড়িকে ৪ হাজার ২৭০ টাকা, শোভনালী ইউনিয়নের ৬ জয়াড়িক ৪ হাজার ৪২০ সর্বমোট ২টি মামলায় ১২ জন জুয়াড়িকে ৮ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, মাস্ক ব্যবহার না করা ও দোকানে ভীড় করে মাস্ক পরিহিত নয় এমন খরিদ্দারের কাছে মাল বিক্রয় করার অপরাধে বুধহাটা বাজারের মাস্টার্স এর প্রোঃ আলাউদ্দীনকে ৫০০ টাকা, সিম টেলিকমের প্রোঃ আনিসুর রহমানকে ৫০০ টাকা, অভিজিৎ স্টোরের প্রোঃ নিত্য বিশ্বাসকে ৫০০ টাকা, লাইফ লাইন মেডিকেল হল এর প্রোঃ রবিন কুমারকে ৫০০ টাকা, মা এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ ফয়সাল ইসলামকে ৫০০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শরিফুজ্জামানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও অফিস সহকারি উপস্থিত ছিলেন।

  • বাবুনগরীর বিরুদ্ধে মামলা

    বাবুনগরীর বিরুদ্ধে মামলা


    ন্যাশনাল ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির ও বর্তমান আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় হওয়া মোট তিনটি মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ তিন হাজার ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় মামলা তিনটি হলেও সোমবার সেটি জানা গেছে।
    গত ২৬ মার্চের ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেন মামলা করা হয়েছে, জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জড়িত আসামিদের শনাক্ত, নাম-ঠিকানা যাচাই করতে সময় লেগেছে। নিরীহ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, তাই যাচাই করে প্রকৃত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
    পুলিশ জানায়, মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা থানায় হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। পরে চারজন নিহত হন।
    চারজন নিহত হওয়ার জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী ও পটিয়া থানা ভবন, হাটহাজারী ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে হামলা চালান। সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯২ লাখ টাকা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাতটি, পটিয়া থানায় একটিসহ আটটি মামলা হয় ঘটনার চার দিন পর। আর এসব ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ৪ হাজার ৩০০ জনকে। সন্ত্রাসবিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো হয়।

  • সাতক্ষীরা আদালতে সিনিয়র আইনজীবীদের হট্টগোল

    সাতক্ষীরা আদালতে সিনিয়র আইনজীবীদের হট্টগোল


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি দেওয়ায় আসামীপক্ষের আইনজীবীর আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. এম শাহ আলম ও পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, এ সময় জজ কোর্টের তিন তলায় তার ল. চেম্বারের আসবাবপত্র ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
    এ্যাড, রফিকুল ইসলাম ও এ্যাড. গোলাম মোস্তফা জানান, ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন।

  • পুরুষশূন্য সালথায় নারীদের আর্তনাদ

    পুরুষশূন্য সালথায় নারীদের আর্তনাদ

    • অনলাইন ডেস্ক:

    ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে তাণ্ডবের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির অভিযান অব্যাহত থাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে উপজেলা সদরসহ ৮ট ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন পুরুষেরা রাতের বেলায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। দিনের বেলায় হাতেগোনা কয়েকজন পুরুষকে দেখা গেলেও রাতে সে সংখ্যা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। এদিকে হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ। তবে কিছু দোকান খোলা থাকলেও সেখানে নারী-শিশু ছাড়া পুরুষের দেখা মিলছে না।

    সরেজমিনে এসব গ্রামগুলো ঘুরে নারী-শিশু ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো গ্রামে বয়স্ক ও বৃদ্ধদের দেখা গেলেও তা সামান্য। বেশকিছু গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষ না থাকায় কৃষি ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন নারীরা।

    • জানতে চাইলে তারা বলেন,

    আমরা পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এটি পাটের মৌসুম। পাটের মধ্যে অনেক ঘাস হয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে, নাহলে পাট বড় হবে না। এরপর ক্ষেতে পানি, সার ও ঔষধ দিতে হবে। আমাদের পুরুষরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। বাধ্য হয়ে এই কাজ আমাদের করতে হচ্ছে। তা নাহলেতো এই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কি খেয়ে বাঁচবো?

    পাট-পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত সালথা উপজেলায় এ বছর পাটচাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    • নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী বলেন,

    বাবা, আমার দুটি ছেলে ঢাকা থাকে। স্বামী অসুস্থ, আমরা সেদিনের ঘটনার কিছুই জানি না। তবুও তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, শুনেছি যাকে ধরছে সেই আসামি হয়েছে। সেই ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মসজিদে আজ ৫ দিন ধরে কোনো আজান হয় না। মসজিদের দিকে তাকালে চোখের পানি চলে আসে। কাল রোজা, ঘরে বাজার নেই। এখন আল্লাহই আমাদের ভরসা।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্ষেত এখানে সার, পানি, ঔষধ, নিড়ানি দিতে হবে। তাই সরকারের কাছে আমার চাওয়া, যারা অপরাধী তাদের বিচার করুক। আর যারা নিরীহ তাদেরকে সুযোগ দেয়া হোক যেন আমরা কাজকর্ম করে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।

    • আরেক নারী বলেন,

    আমার স্বামী পঙ্গু। সবসময় তার শরীর কাঁপে। তাকে ধরলেই তার জীবন চলে যাবে। তাই সে ভয়ে কোথায় চলে গেছে কোনো খোঁজ নেই। যাওয়ার সময় বলে গেছে আমাকে এই মুহূর্তে একটি বারি দিলে আমি বাঁচব না। তিনি আরো বলেন, তার কিডনি সমস্যা আছে। শুনেছি তাকেও আসামি দেয়া হয়েছে। অথচ সে এসবের কিছুই জানে না। বাসায় চাল নে,ই খেয়ে বাঁচার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ক্ষেতে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা বাঁচতে চাই।

    অপর আরেক নারী বলেন, যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার আমরা চাই। এত বড় ক্ষতি তারা করেছে, এগুলাতো আমাদেরই সম্পদ, আমার এলাকা, আমাদের উপজেলা ক্ষতি করেছি আমরাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সরকারের কাছে অনেক যন্ত্র আছে, সেগুলো ব্যবহার করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের বের করে কঠিন শাস্তি দিক।

    ‘কিন্তু আমরা যে নিরীহ মানুষ, আমাদের মসজিদে আজান হচ্ছে না, রাত পোহালেই রোজা কিছুই কিনতে পারিনি, কি খেয়ে রোজা থাকব?’

    তিনি আরও বলেন, একদিকে আমাদের ধান মাইরা গেছে, আবার পাটও মাইরা যাচ্ছে, আমরা কিভাবে চলব? আমার স্বামী নসিমন চালায়, কোথায় গেছে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা ভাতে মরছি। আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেও মাফ পাওয়া যায়। আমরা অপরাধ না করেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক সহায়তা করছে। বিধবা, বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে ঘর দেওয়া, সব ধরনের সুবিধা সে আমাদের দিচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের সম্পদ নষ্ট করেছি। সেজন্য সবাই এখন দোষী। তাই আমার দাবি, নিরীহ মানুষদের নিরাপদে থাকারাসুযোগ করে দিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিক।

    • আরেক নারী বলেন,

    আমাদের উপজেলায় যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা দূরে চলে গেছে। কিন্তু এজন্য নিরীহ মানুষগুলোকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ যাকে ধরছে সেই আসামি। তাই এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমরা গ্রামের মানুষ, আমরা এসবের ভেতর যাইনি, আমরা তার কাছে ক্ষমা চাই।

    তিনি বলেন, রাত পোহালেই রোজা, কিন্তু একটি মসজিদে আজান নেই। আর মসজিদে আজান দিয়ে মানুষকে না ডাকলে আমরা কিভাবে রোজা থাকব?

    আরেকজন নারী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। অভাবের সংসার কিস্তি চালাতে হয়। পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই। কিস্তি নেয়ার জন্য লোকেরা বাড়িতে এসে বসে থাকে খারাপ ব্যবহার করে।

    সোনাপুর বাজারের এক মুদিখানার দোকানদার বলেন, গত ৬ তারিখ থেকে দোকান করতে পারছি না। রাতের বেলা ঘুমাতে গেলে ভয় লাগে, কখন এসে ধরে নিয়ে যায়।

    এছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এখানকার মানুষরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছে। বেশিভাগ যুবকেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে নেই। আতঙ্কে অনেক দোকানপাটও বন্ধ আছে।

    ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, সালথার সহিংসতার ঘটনার পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ দিনরাত অভিযান চালাচ্ছে। তবে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

    তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো নিরীহ লোক হয়রানির শিকার হোক। আমরা ঘটনার দিনের সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার করছি। তবে নিরীহ কাউকে যদি আটক করা হয়ই, তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে লোকজনকে পেটানো হয়েছে- এমন গুজব ছড়িয়ে সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে ঘেরাও করে তাণ্ডব চালায় স্থানীয়রা। ওই তাণ্ডবের ঘটনায় ৫টি মামলা হয়েছে। এতে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত প্রায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

  • কালিগঞ্জে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকানো ৫০ ক্যারেট আম জব্দ

    কালিগঞ্জে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকানো ৫০ ক্যারেট আম জব্দ

    অনলাইন রিপোর্ট: বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার প্রস্তুতিকালে জনতা ৫০ ক্যারেট আম জব্দ করেছে। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের মৃত মনিরউদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদের বাড়ি থেকে এ আম জব্দ করা হয়।
    কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সেলিম রেজা জানান, কাঁচা আম বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারজাত করা হবে এমন খবরের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশ বুধবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশীবাটি গ্রামের মোস্তাক আহম্মেদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পিকআপ ভর্তি ৫০ ক্যারেট আম জব্দ করা হয়। মোস্তাকসহ চারজন প্রতি বছর অপরিপক্ক কাঁচা আম কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
    জব্দকৃত আম নষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়াটার প্লান পরিদর্শন

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়াটার প্লান পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ভোক্তা পর্যায়ে পানযোগ্য বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা দিতে বানিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম (২২ মার্চ) সোমবার সাড়ে ১০টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার ও ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটারে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। জেলা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব সদস্য মোঃ সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ ফোর্সেসের সহায়তায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নে সাতক্ষীরার সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারের বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার ও কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারের ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরাতে অতিরিক্ত দায়িত্বরত সহ:পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম (খুলনা)। পরিদর্শনকালে বিএসটিআই অনুমোদিত ও ল্যাবরেটরি না থাকলে বিশ্বাস ড্রিংকিং ওয়াটার প্লানে ৫ হাজার ও ফাতেমা রিফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার প্লানে ৫ হাজার টাকা মিলে মোট অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯’র ৪৩ ধারাসহ আন্যান্য ধারা লংঘন অপরাধে জরিমানা এ করা হয়েছে। এ সময়ে ৫০ প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও লিফলেট বিতরণ করেন। জনস্বার্থে এ মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • মানুষের দুর্ভোগ কমাতে গ্রাম আদালত গঠন হয়েছে

    মানুষের দুর্ভোগ কমাতে গ্রাম আদালত গঠন হয়েছে

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার মানুষের দূর্ভোগকমাতে ও মধ্যস্বত ভোগিদের হাত থেকে রক্ষা করতে গ্রাম আদালত গঠন করেছে।’ তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মানুষ আদালতে যায়। এক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ত্ব বোগীরা সুযোগ গ্রহণ করে। – এ অপ কৌশলের শিকার হয়ে সাধারন মানুষ দূর্দসায় পড়ে। গ্রাম আদালত মানুষের দদর্শার লাঘবের স্থান।


    গতকাল সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে ‘ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে গ্রাম আদলত আইন ও নারী বান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে অবহিত করণ ও পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি বলেন, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জ করতে হবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে জন্য কাজ করছে জনগন। ‘সকলকে নিয়ে উন্নয়ন’- যদি বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত না করতে পারি, তাহলে এসডিজি অর্জন হবে না। সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বাংদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), স্থানীয় সরকার মো. তানজিলুর রহমান। জেলা ফ্যাসিলেটর এস এম রাজু জবেদেও সঞ্চালনায় প্রশ্ন উত্তোর পর্বে অংশ নেন দৈনিক ইনকিলাব এর স্টাফ রিপোটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওজেদ কচি, দৈনিক করোতোয়ার প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুকুল, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী ও দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
    সভায় জানানো হয় দেশের মোট জেলার মধ্যে ২৭ টি জেলা ও সাতক্ষীরা ৪টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প চলমান আছে। সাতক্ষীরার ৪ উপজেলাতে গ্রাম আদালতে ১১ হাজার ৪ শত ৭৭টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩ শত একটি নিষ্পত্তি হয়।

  • চুকনগরের মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে নির্মানাধীন দোকান ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ইউএনও’র

    চুকনগরের মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে নির্মানাধীন দোকান ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ ইউএনও’র

    • শেখ আব্দুল মজিদ, চুকনগর, খুলনা

    ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নিয়ম নীতি অমান্য করে নির্মিত পাকা ঘরটি উচ্চেদ পূর্বক অপসারণ আদেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ। গত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন তিনি। স্থানীয়, অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজেস্ব জমিতে নীতিমালা অমান্য করে এডহক কমিটির সভাপতি মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে বিদ্যালয় চত্বরের পশ্চিম পাশে একটি আধাপাকা দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে। নির্মিত ঘর টি অবৈধ ভাবে ভাড়ায় প্রদান করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে সাড়ে ৩শ’ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ণ রত রয়েছে। এছাড়া একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে একই চত্ত্বরে। সবমিলিয়ে প্রায় ১ম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৫শ’র অধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। ফলে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় চত্ত্বরে চলা-ফেরা নানা প্রতিবন্ধকতার আশংঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের ১টি শ্রেণিকক্ষে গো-খাদ্য মজুদ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা বুধবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে ছবি ক্যামেরা বন্দি করেন । এমন ঘটনার প্রতিকার ও অপরিকল্পিত ভাবে রেজুলেশন ব্যাতিরেকে বে-আইনী ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ বন্ধ ও উচ্ছেদের লক্ষ্যে সাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকবার হোসেন শেখ জেলা প্রশাসক খুলনা ও চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড যশোর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক খুলনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়া কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয়। সে প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত নির্মিতব্য ঘরটি উচ্ছেদ পূর্বক অপসারণ করতে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকসহ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ড.মোল্যা আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমিতে কোন প্রকার বে-আইনী ভাব কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তাছাড়া এডহক কমিটির সভাপতির তো কোন ইকতিয়ার নাই।

  • সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ: রায় আজ

    সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ: রায় আজ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের ৬টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক মোঃ শরিফুল ইসলামের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা রেকর্ড করেন। আজ এ মামলার রায় প্রদান করা হবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এসময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন ৬টি মামলার আসামী মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু সহ সকল জামিনপ্রাপ্ত এবং জেলহাজতে আটক আসামী।


    রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আব্দুস সামাদ। এসময় তারা বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমান এবং আলামত জব্দের মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় এ মামলার সকলেই দোষী। তিনি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন।
    অপরদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. জিএম আবুবকর সিদ্দীক। তিনি আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে ৩,৪,৬ ধারা প্রযোজ্য নয়। ন্যায়বিচার হলে সকল আসামী খালাস পাবে। আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষনার কথা রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: সাবেক এমপি হাবিবসহ সকল আসামীর সাজা

    সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: সাবেক এমপি হাবিবসহ সকল আসামীর সাজা

    • জহুরুল কবীর:

    দীর্ঘ ১৯ বছর পর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। এতে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের যাবজ্জীবন (১০ বছরের) কারাদ- দিয়েছেন আদালত।

    ১৪৮-৪৯ ধারায় ২বছর ৬মাস, ৩০৭ ধারায় ৫ বছর, ৪৪০ ধারায় ১ বছর, ৫০০ধারায় ৬মাস ও ৫০৬ (২ অনু) ১ বছর

    মোট ১০ বছরের সাজা

    যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন ৪নং পলাতক আসামী মোঃ আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। এছাড়া পলাতক আসামী যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে ৯ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বাকি ৪৬ জন আসামির ৪বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলায় জেল হাজতে থাকা ৩৪ জন আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর।

    এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার দিন বিএনপির সাবেক সংসদ হাবিবুর ইসলাম হাবিবের পরামর্শে ও নির্দেশে প্রায় চার-পাঁচশো নেতাকর্মী ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার বিচার শুরু হয়েছিল, আজকে রায়ের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটল।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম মুনির, অতিরিক্ত এটোনি জেনারেল


    মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
    এরপর হাইকোর্টে আবেদন করে ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলা এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়।
    ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট ওই আবেদন হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর রুলটি খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে আসামিপক্ষ।

    https://www.facebook.com/jahurul.kabir.9/posts/3672877096167237?notif_id=1612422006094327&notif_t=feedback_reaction_generic&ref=notif


    সবশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে এক আসামি আবেদন করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এসএম মুনির।
    গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে কাঠগেড়ায় থাকা ৩৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর। মামলায় ১৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
    সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, মো. আব্দুর রকিব মোল্যা, মো. আক্তারুল ইসলাম, মো. আব্দুল মজিদ, মো. হাসান আলী, ময়না, মো. আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, মো. জহুরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, এড. মো. আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, মো. আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মো. সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, রকিব, ট্রলি শহীদুল, মো. মনিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, শেলী, শাহিনুর রহমান, দিদার মোড়ল, সোহাগ হোসেন, মাহাফুজুর মোল্লা, আব্দুল গফফার গাজী, রিঙ্কু, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ, টাইগার খোকন ওরফে বেড়ে খোকন।
    সাজাপ্রাপ্ত পলাতক অপর আসামিরা হলেন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কনক, মো. মাহাফুজুর রহমান।
    এদিকে রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শহরে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    আসামী পক্ষের আইনজীবী শাহানারা পারভিন বকুল বলেন, ‘আমরা তো ন্যায় বিচারই পাইনি। এই রায়ে সন্তোষ্ট হবো কীভাবে?।
    আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আশাকরি উচ্চ আদালত অবশ্যই আমাদেরকে ন্যায় বিচার দিবেন। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সবাই উতসাহ উদ্দিপনা দেখিয়েছেন। কেউ এমপি হবেন, কেউ মেয়র হবেন, কেউ চাকরিতে প্রোমোশন নিবেন; এই হচ্ছে মামলার ঘটনা।
    তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরদিন ৩১ জানুয়ারি কোনো পত্রিকায় মিস্টার হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ছবি আসেনি। নাম তো আসেইনি। সে যদি ঘটনাস্থলে থাকতো, তাহলে অবশ্যই ছবি আসতো। ছবি এবং নাম কোনোটাই আসেনি। তারমানে এই ঘটনায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও সাজা দেওয়া হল।
    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম মুনির অতিরিক্ত এটোনি জেনারেল বলেন, এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার দিন বিএনপির সাবেক সংসদ হাবিবুর ইসলাম হাবিবের পরামর্শে ও নির্দেশে প্রায় চার-পাঁচশো নেতাকর্মী ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার বিচার শুরু হয়েছিল, আজকে রায়ের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটল। সাতক্ষীরার জনগণ কলঙ্কমুক্ত হল। আজকে রায়ে হাবিবুর ইসলাম হাবিব, আরিফ এবং রিপন এই তিনজনকে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা দিয়েছে। বাচ্চু এবং রঞ্জুকে ৯ বছর করে সাজা দিয়েছে। সর্বনিম্ন সাড়ে চার বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। কাউকে খালাস দেওয়া হয়নি। আজকে এই রায়ে দেশে ন্যায় বিচার কায়েম হল। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গণতন্ত্র সুদৃঢ় হয়েছে।
    এই রায়ে আপনার খুশি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রায়ে সরকার খুব একটা খুশি না। তবে রায়ের বিস্তারিত দেখার পর আমরা চিন্তা করবো রায়ের পর আমাদের কিছু করার আছে কিনা। যদি কিছু করার থাকে, নিশ্চয় হাইকোর্টে আমরা আপিল করবো। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর পর্যন্ত ছিল, অন্যান্য সেকশনে টোটাল সাজা প্রায় ২৬ পর্যন্ত হতে পারতো। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হয়েছে। উচ্চ আদালতে যাবো কি যাবো না তা রায়ের কপি না দেখে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা আলোচনা করবো, পর্যালোচনা করবো, তারপর সিদ্ধান্ত নিবো।