Category: অর্থনীতি

  • সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

    সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

    ৬টি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপাবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

    বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দেশের আর্থিক খাতের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে ঋণ দিচ্ছে সবল ব্যাংকগুলো। এর পাশাপাশি ৬টি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে।’

    গ্রাহকদের নিশ্চিন্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকেই ব্যাংকে অনেক পরিবর্তন পাবেন গ্রাহকরা। গ্রাহকের আমানত নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, এটি নিয়ে মাথা ব্যাথা বাংলাদেশ ব্যাংকের। ব্যাংক খাতে অস্থিরতা দূর করতে কাজ চলছে।

    যেসব গ্রাহক যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, নীতিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক শক্তভাবে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান গভর্নর।

    এর আগে গত ১১ নভেম্বর ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর। বৈঠকে তিনি বলেন, আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকে আরও বেশি অর্থ সহায়তা দিতে হবে সবল ব্যাংকগুলোকে।

  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা

    ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ২১৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করে।

    কমিশনার আরও জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • কমলো সোনা ও রূপার দাম

    কমলো সোনা ও রূপার দাম

    দিওয়ালির পর, এক লাফে সোনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাকা সোনা ও গয়না সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় এক হাজার টাকা কমে গেছে, আর রুপোর দামও প্রতি কেজিতে প্রায় তিন হাজার টাকা কমেছে। এর ফলে মধ্যবিত্তদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

    বিশেষ করে যারা আগামী দিনে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন, তাদের জন্য এই দাম কমা একটি আনন্দের খবর। দাম কমানোর ফলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যেও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    তবে বাজারে গিয়ে এই দরে সোনা কিনতে পারবেন না। কারণ, সোনার দামের সঙ্গে যুক্ত হয় জিএসটি এবং মেকিং চার্জ, যা এই দামের ওপর যোগ হয়। ফলে সাধারণ মানুষকে আরও কিছুটা বাড়তি দামে সোনা কিনতে হবে।

    শনিবার, সোনার দাম প্রায় এক হাজার টাকা কমলেও, আগামী সপ্তাহে তা আরও কমবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়।

  • বাংলাদেশে চাকরি হারানোর শঙ্কায় ৫৪ লাখ কর্মী!

    বাংলাদেশে চাকরি হারানোর শঙ্কায় ৫৪ লাখ কর্মী!

    চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে সরকারি সংস্থা এটুআই এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও ।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এ  বিপ্লবের ফলে দেশের অর্থনীতিতে আশঙ্কার পাশাপাশি তৈরি হতে পারে নতুন সম্ভাবনাও। সমস্যা মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নতুন কৌশলপত্র তৈরি প্রয়োজন।

    আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানা যায়।

    সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহ।

    মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-উস-সাকিব।

    এ প্রবন্ধে বলা হয়, এ বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ২৭ লাখ, ফার্নিচার খাতের প্রায় ১৪ লাখ, কৃষিপণ্য ও পর্যটন খাতের ৬ লাখ করে ১২ লাখ এবং চামড়া শিল্পের ১ লাখ-মোট ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।

  • আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ৬০ শতাংশ

    আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে ৬০ শতাংশ

    বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়ে দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। বাংলাদেশের থেকে পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি। এমন সময়েই সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে তারা।

    বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র। এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও জানা গেছে এই তথ্য।

    গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা।

    শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে ঝারখণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে এটি ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

    বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।”

    বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।

    বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

    মিডিয়াতে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এবং আদানি গ্রুপের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছে।

  • অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে সোয়া দুই শতাংশ।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

    এর আগে আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কমার পর অক্টোবরে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। আর গত জুলাইয়ে দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে।

    বাংলাদেশ প্রায় দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে আছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর।

  • বিগত পাঁচ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে ৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

    বিগত পাঁচ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে ৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

    প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। বিগত ২০১৯-২০২০ থেকে ২০২৩ -২০২৪ পাঁচটি অর্থ বছরে ভোমরা শুল্ক স্টেশন থেকে সরকারের ৩৬২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সম্প্রতি গুড়া দুধ ছাড়া বাকি সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এই বন্দরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা বন্দর সংশ্লিষ্টদের।

    ভোমরা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫৮৩.৪০ কোটি টাকা, ২০২০-২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৬০.৬৫ কোটি টাকা, ২০২১ -২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৪১.৮৩ কোটি টাকা, ২০২২ -২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬৩১.৭২ কোটি টাকা এবং ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯০৭.৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে-জুলাই সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

    সূত্র আরও জানায়, ডিজিটাল ওয়েবীজ স্কেলে পরিমাপ করায় রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হওয়ায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আদায়। ফলে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭৩.৪৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়োদুধ ছাড়া সকল ধরনের পণ্যের আমদানির অনুমোদন পাওয়ায় এ বন্দরে আসতে শুরু করেছেন অন্য বন্দরের ব্যবসায়িরা। সব ধরনের পণ্য আমদানির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করলে এই বন্দর থেকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে দাবি কাস্টম কর্তৃপক্ষের

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিন দাবির মুখে গত ২৯ আগস্ট বেনাপোল বন্দরের ন্যায় ভোমরা বন্দরে গুড়া দুধ ব্যতিত আমদানিকৃত সকল পণ্যের অনুমতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতে ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস থেকে কলকতার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার হওয়ায় পণ্য পরিবহনে খরচ সাশ্রয় করতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা এই বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। সব ধরনের পন্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়িরা এখন ভোমরা বন্দরের দিকে বেশি ঝুকছেন।

    ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে কাস্টমস প্রশাসন। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ না থাকায় এখানে তৈরি হয়েছে ব্যবসাবান্ধব অনুকূল পরিবেশ। ভোমরা বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর এই বন্দরের রাজাস্ব আদায় বেড়ে যাবে কয়েক গুন। কর্মসংস্থার হবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের।

    ভোমরা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, শুরুতেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এই বন্দরে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়ো দুধ ব্যতিত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। ফলে সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ক্রমান্বয়ে রাজাস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরেই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের অবস্থান। বর্তমানে দিনে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য, আবশ্যকীয় পণ্য ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। পূর্নাঙ্গ কাস্টমস হাউজ চালু হওয়ার পর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোমরা বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করতে ডিজিটাল ওয়েবীজ স্কেলে পণ্য পরিমাপ করা হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, শুল্ক গোয়েন্দাসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ফলের ট্রাকসহ সকল পণ্য পরিবহনের ওজন ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। যে কারণ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণে আগের তুলনায় বেড়েছে।

    ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোঃ রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ১৬টি পণ্য নিয়ে এলসি স্টেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে ভোমরা স্থলবন্দর। মাত্র ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে ইয়ার্ড ও ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করে ২০১৩ সালের মে মাসে পূর্ণাঙ্গভাবে ভোমরা স্থলবন্দরের কবার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য একটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়া দুধ ভ্যাতিত সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয় এনবিআর কর্তৃপক্ষ। ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনটিকে একটি পূর্নাঙ্গ কাস্টমস হাউজ হিসাবে ঘোষনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সাথে শুল্ক বিভাগ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অবখাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, গত ৪ জুলাই থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে বন্দর-ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে ভোমরা স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম এখন ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। যেহেতু খুব শীঘ্রেই ভোমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউজ হিসাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সে লক্ষ্যে ভোমরা স্থল বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছেন।

    উপপরিচালক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে সেখানে বালু ভরাটের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য সরেজমিনে যৌথ তালিকা (ফিল্ডবুক) প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। শীঘ্রেই অধিগ্রহণেরে কাজ শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলে সেখানে উন্নতমানের ওয়ার হাউজ, শেড, ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড, পর্কিং ইয়ার্ড, আর্ন্তজাতিকমানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে এগুলো সম্পন্ন করা হলে ভোমরা স্থলবন্দরে আমুল পরিবর্তন আসবে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বন্দরে। একই সাথে বছরের কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

    সৌজন্যে : খুলনা গেজেট

     

  • সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় কাঁচা মরিচের ঝাল কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা ও ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। মসলা জাতীয় এই নিত্যপণ্যটির হঠাৎ করে দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বাজারে নিত্যপণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা। ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি। এসময় ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই পণ্যটি আরো ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

    এদিকে ২৮০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় এলসির কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা কয়েকদিন আগে ছিল ২৫০ টাকা ও ২৮০ টাক কেজি। ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কিনতে পারলেও চমকে উঠছেন পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে।

    সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারে আসা ক্রেতা শহরের নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রফিকুল আলম বাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে পণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। চরদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের এত দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েকদিন পরে হয়তো ২০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতে পারে।

    বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা পলাশপোল এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, মাত্র ৪/৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৪০ টাকা কেজি। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১১০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মত লোকের সংসার চালনো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুলতানপুর বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা নিউ ফাতেমা ষ্টোরের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে কেজিতে ৫-৭ টাকা লাভে বিক্রি করি। এক বস্তা পেঁয়াজ কিনলে অনেক পেঁয়াজ বাদ যায়। এতে করে আমাদের লাভ তেমন হয়না। তবু খরিদ্দার ধরে রাখার জন্য সবধরণের পণ্য দোকনে রাখতে হয়। গত ৪/৫ দিনের ব্যবধানের দেশী পেঁয়াজ কেজি প্রায় ২৫-৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। যে কোন পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলে বিক্রির সময় অনেক ক্রেতার কথা শুনতে হয় আমাদের।

    সুলতানপুর বড়বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ি আব্দুল আজিজ জানান, স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ আজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা, যা ৪/৫ দিন আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা কেজি। বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ কম থাকায় দেশী পেঁয়াজের দাম একটু বেশি বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। সরবরাহ বেড়ে গেলে আবার দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।

    ভোমরার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজের মালিক সভাষ ঘোষ বলেন, কয়েকদিন আগেও ভারত থেকে প্রায় ৭০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ গাড়ি করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ভোমরা বন্দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি। এক বস্তা পেঁয়াজে অনেক সময় নষ্ট বের হয়। এছাড়া ক্যারিং খরচ দিয়ে শহরের পৌছাতে দাম একটু বেড়ে যায়। যে কারণে পোর্টের দাম থেকে বাজারের দামে কিছুটা তারতম্য ঘটে। তবে গতবারের তুলনায় এবার আমদানি অনেক কম হচ্ছে।

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো ভারত থেকে। বেশ কয়েকদিন আগেও গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৭০ গাড়ি করে পেঁয়াজ ঢুকতো। এখন সেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫০ -৫৫ গাড়ি করে পেঁয়াজ আসছে। গত ২০ অক্টোবর ভোমরা বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ এসছে ৪৮ গাড়ি, ২১ তারিখে ৪৯ গাড়ি, ২২ তারিখে ৩৯ গাড়ি, ২৩ তারিখে ৪৩ গাড়ি, ২৪ তারিখে ৭১ গাড়ি, ২৭ তারিখে ১০০ গাড়ি এবং ২৮ তারিখে ৬৭ গাড়ি।

    তিনি আরো বলেন, ক্যারিং ও ডিউটি সহ ভারত থেকে ব্যবসায়িদের পেঁয়াজ কেনা পড়ছে প্রায় ৯০ টাকা কেজি। বন্যার কারণে ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ গুলোতে পেঁয়াজের দাম বেশি। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারি এলাকা নাসিকের পেঁয়াজ এখনো উঠা শুরু করেনি। যে কারণে আমদানিকারকদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে দামের উপর। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দেশী পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • বাংলাদেশের অর্থনীতি  চাপে থাকবে যতদিন

    বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে থাকবে যতদিন

    বিশ্বব্যাংক বলছে,  চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। যার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও একবছর চাপে থাকবে।  তবে সংস্থাটি বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিস্থ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না।

    সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।

    আর্থিক খাত নিয়ে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সংকট রয়েছে বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদেও হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে।

    প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

    চলমান অর্থবছরের বাজেটে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

    চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

    কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে গ্যাপ রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মিস ম্যাচ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

    বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারেনি। অথচ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যান তরুণ কর্মের বাজারে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে শিক্ষিত ও শহুরে বেকার বৃদ্ধি পাওয়াটা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

    তিনি আরও বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। নানা উদ্যোগ নিয়েও এটি কমানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। যা সাধারণ মানুষের জীবনমানকে নিচে নামাচ্ছে। পাশাপাশি বৈষম্যও বাড়ছে বাংলাদেশে। এক্ষেত্রে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতে বিভিন্ন সংস্কার দ্রুত করতে হবে।

  • দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি আদেশ পেলেও শেষমেষ বেনাপোল দিয়ে গেল ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ। এবার সরকারের দেওয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে গেল। সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৪২ টন। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রতিবারই এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা রপ্তানির অনুমতি পেলেও মাছ রপ্তানি করেন না। তারাই আবার পরের বছর অনুমতি পেয়ে যান। জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতিবছর এ ঘটনা ঘটলেও দেখার কেউ নেই।

    রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইলিশ চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আর বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অনুমতির মধ্যকার সময় স্বল্পতার কারণে পুরো ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। পূজা শুরুর পর ভারতীয় অংশে আমদানি বন্ধ এবং রপ্তানির জন্য হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন থাকায় ইলিশ রপ্তানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরই কেবল নয়, বিগত পাঁচ বছরেও রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পুরো ইলিশ পাঠানো যায়নি।

    এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮শ’ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১২শ’ টাকা কেজিতে। এটি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। ইলিশ রপ্তানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাগামহীন দাম বাড়ানোয় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রসনাবিলাস বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ। চড়া দামের কারণেই মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের অধিকাংশের পাতে ওঠেনি ইলিশ।

    ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বেনাপোল থেকে সড়ক পথে ভারতে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকে। তবে শনিবার খোলা থাকে। অন্যদিকে রোববার আবার মাছ আমদানি বন্ধ রাখে ভারত। সপ্তাহের এই দু’দিন বাদ দিলে ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১২ দিন ভারতে ইলিশ পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকার সমান। কিন্তুু বাজারে এক হাজার ৮০০ টাকার নীচে মাছ কেনা যায়নি। তাছাড়া বড় বড় মোকামে মাছ সংকটও ছিল।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হয়। ১২ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পেরেছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোন ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

  • সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত ৪৩ শতাংশই অযোগ্য

    সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত ৪৩ শতাংশই অযোগ্য

    সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় যে ব্যক্তিদের সুবিধা দেওয়া হয় তার প্রায় ৪৩ শতাংশই ভাতা পাওয়ার অযোগ্য। বিগত সরকারগুলোর আমলে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে তারা তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ভাতাভোগীর তালিকা পর্যালোচনা করে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তালিকা পর্যালোচনা শুরু হওয়ায় এবার উপকারভোগীদের ভাতা দিতে কিছুটা বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভালো কাজে উৎসাহিত করতে সাময়িক অসুবিধা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের নিজস্ব তথ্যের পাশাপাশি ইউনিসেফের জরিপের তথ্য অনুয়ায়ী উপকারভোগীদের তালিকার ৪৩ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা হওয়ার মতো নয়। এদের মধ্যে অনেকে পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে। আবার অনেকে বেশ সম্পদশালী হওয়ার পরও একাধিক ভাতা নিচ্ছে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষপাত ও দুর্নীতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় মনে করছে।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালে নিম্নআয়ের ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। এ টাকা দিতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সেই তালিকা যাচাই করে দেখতে পায় ১৬ লাখের বেশি সরকারি কর্মচারী, সঞ্চয়পত্রের মালিক, পেনশনভোগী এতে ঢুকে পড়েছে। পরে সরকার এ ১৬ লাখকে বাদ দিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষকে এককালীন আড়াই হাজার করে টাকা দেয়।

    কর্মকর্তাদের দাবি, এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির তালিকা পর্যালোচনার জন্য জোরালোভাবে বলে আসছেন তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণাতেও উঠে এসেছে প্রায় একই চিত্র।

    গত বছর তাদের এক জরিপে দেখা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক এবং ৩৩ শতাংশ বিধবা নিজেদের এ ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে জানিয়েছে। এই অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য মোট বরাদ্দের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় ১২ শতাংশ পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে।

    সংস্থাটির মতে, অযোগ্যদের ভাতা দেওয়া বন্ধ করা হলে প্রকৃত যোগ্য ৪৫ শতাংশ ব্যক্তিকে সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব।

    সিপিডির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য কার্ড পেতে সংশ্লিষ্টদের গড়ে ২ হাজার ৬৫৩ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। অনেকে এ ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও ঘুষ দিতে না পারায় ভাতা পান না। এসব কারণে ভাতা বিতরণের যে লক্ষ্য তা ব্যাহত হচ্ছে।

    বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে সরকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ভাতা বিতরণ করে থাকে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়টি বার বার আলোচিত হয়েছে। যথাযথভাবে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।

    এতদিন তালিকা পর্যালোচনা করা না হলেও এবার সেই উদ্যোগ নিল অন্তর্বর্তী সরকার। সূত্রগুলো বলছে, তালিকা হালনাগাদ হলে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা কমবে না। কারণ অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যারা এতদিন সুবিধা পাননি তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ অন্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির এটি করার কথা। কিন্তু বর্তমানে তাদের অনুপস্থিতিতে বিকল্প কমিটিকে দ্রুত এটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ইউএনওরা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বের রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে বিকল্প কমিটির মাধ্যমে সরকার পরিচ্ছন্ন তালিকা তৈরি করে যোগ্য ব্যক্তিদের ভাতা দিতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বিভিন্ন ভাতা প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আগামীতে যেন দেরি না হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।

  • রেমিট্যান্স প্রবাহে আনন্দের সুবাতাস

    রেমিট্যান্স প্রবাহে আনন্দের সুবাতাস

    ১৪ দিনে এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা

    রেমিট্যান্স প্রবাহে আগস্টের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে সেপ্টেম্বরেও। এমনকি গত মাসের চেয়েও এ মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়তে পারে। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে (১৪ দিনে) প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১৪ হাজার ৬ কোটি টাকার বেশি।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ১৪ দিনে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১৪ হাজার ৬ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার করে। রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসতে পারে।

    সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাসটিতে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধপথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি।

    দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছর মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন) ডলার, যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

    চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার।

  • পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল, শুল্ক কমিয়ে প্রত্যাহার সর্বনিম্ন মূল্য করল

    পেঁয়াজ। ফাইল ছবি

    পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ভারত। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্ক।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড গতকাল শুক্রবার পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’ সংক্রান্ত শর্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বের কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যে কোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

    ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে যে হ্রাসকৃত শুল্ক আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

    অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলারে নির্ধারণ করে দেয়। এছাড়া রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার।

    ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন। ভারতে এপ্রিল থেকে অর্থবছর শুরু হয়।

    বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে।

  • দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

    দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

    ন্যাশনল ডেস্ক : দাম কমতে পারে যেসব পণ্যেরদাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
    জনস্বার্থ ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক কর ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, পোশাক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে।
    বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছেন। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। কারণ, বাজেট ঘোষণার দিনই সাধারণত আমদানি শুল্ক ও করসংক্রান্ত প্রস্তাব কার্যকর হয়।
    মিষ্টি
    মিষ্টান্নভান্ডার সেবার ওপর এখন ভ্যাট রয়েছে ১৫ শতাংশ, যা সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে মিষ্টি বিক্রেতারা চাইলে দাম কমাতে পারবেন।
    পশুখাদ্য
    পশুখাদ্যের উপকরণ নারকেলের শুষ্ক শাঁসের উচ্ছিষ্ট উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে এর উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে।
    হাতে তৈরি বিস্কুট–কেক
    হাতে তৈরি বিস্কুটের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং কেকের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এতে হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেকের উৎপাদন খরচ কমবে। তবে পার্টি কেকে এই ছাড় নেই।
    ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধ
    ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে দাম কমতে পারে।
    ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ওষুধ
    ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধেও করছাড় দেওয়া হয়েছে বাজেটে। অর্থাৎ অ্যান্টি-ক্যানসার এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা হয়েছে
    এলইডি বাল্ব
    এছাড়া কমতে পারে দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম। কারণ, দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বাজেটে ওই শুল্ক ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন বাজেটে। সে হিসাবে দেশীয় এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।
    মাংস ও মাংসজাত পণ্য
    নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া মাংসের দাম কমিয়ে আনতে পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে মাংসের দাম কমতে পারে।
    স্যানিটারি ন্যাপকিন
    স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদও একবছর বাড়নোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
    অপটিক্যাল ফাইবার
    অপটিক্যাল ফাইবার কেবল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে। এতে এর দাম কমতে পারে।
    উড়োজাহাজ ইজারা
    যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ইজারার ওপর ভ্যাট ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে ইজারার ব্যয় কমবে। সাধারণত বাংলাদেশ বিমান উড়োজাহাজ ইজারা নেয়। বেসরকারি এয়ারলাইনসও উড়োজাহাজ ইজারা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে অগ্রিম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
    কনটেইনার
    আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনার ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে চায় সরকার। এ জন্য কনটেইনার আমদানিতে করভার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগে যা ধরনভেদে ৩১ ও ৩৭ শতাংশ ছিল।
    রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার
    রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে এখনকার ৫ শতাংশের অধিক ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়বে।
    সাবান ও শ্যাম্পু
    সাবান ও শ্যাম্পুর দুটি কাঁচামালে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা এক বছর বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
    ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেশার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আরও দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল থাকবে। একই সুবিধা পাবে ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানা। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পণ্য উৎপাদনে অব্যাহতি সুবিধা তিন বছর (২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে।
    এছাড়া বিলাসবহুল পণ্য, অভিজাত বিদেশি পোশাক , এছাড়া স্প্রেয়ার মেশিন, কীটনাশক, আমদানিকৃত কৃষি যন্ত্রপাতি, আমদানিকৃত মাছ, পোল্ট্রি খাদ্য, স্প্রে মেশিনের দাম কমবে।

  • ১৬১ টাকা কমেছে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম

    ১৬১ টাকা কমেছে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম

    এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৬১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মে মাসে এর দাম ছিল ১ হাজার ২৩৫ টাকা।
    বৃহস্পতিবার (১ জুন) কমিশন চেয়ারম্যান মো নূরুল আমিন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন।
    ওই ঘোষণায় জানানো হয়, প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৮৬ টাকা ২৫ পয়সা। এ হারে সিলিন্ডারের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হবে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত এই দাম কার্যকর থাকবে।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সদস্য কামরুজ্জামান, ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।

  • আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

    আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক

    চীন সফরের সময় দারুণ এক সুখবর পেয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্টেকে টপকে আবারও বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকার শীর্ষে ওঠে এসেছেন তিনি।
    বুধবার (৩১ মে) ৭৪ বছর বয়সী ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্টের প্রসাধনী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের শেয়ারের মূল্য ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই আরনল্টকে পেছনে ফেলে ইলন মাস্ক শীর্ষে ওঠে আসেন।
    যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
    শীর্ষস্থান নিয়ে এ বছর ইলন মাস্ক এবং বার্নার্ড আরনল্টের মধ্যে বেশ ভালোই লড়াই হয়। দীর্ঘ সময় ধনীদের তালিকার শীর্ষে থাকা মাস্ককে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়স্থানে নামিয়ে দেন আরনল্ট।
    ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় ইলন মাস্কের জন্ম। তার বাবা ছিলেন একজন প্রথিতযশা প্রকৌশলী। মা ছিলেন জনপ্রিয় কানাডিয়ান মডেল। আজ যে খ্যাতি, যে প্রতিপত্তি ইলনের, তার ভিত তৈরি হয়েছে সেই শৈশবেই।
    বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়লেও বিলাসী পণ্যে মানুষের আগ্রহ কমেনি। আরনল্টের প্রতিষ্ঠিত এলভিএমএইচের অধীনে বিলাসী কোম্পানির বিক্রি ভালো থাকায় তার সম্পদও বেড়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতি হওয়ায় এখন বিলাসী পণ্যের ওপর মানুষের আগ্রহ কমে যায়। বিশেষ করে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটাই কম।
    আরনল্টের এলভিএমএইচের শেয়ার গত এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে। আরনল্টকে এমনও দিন দেখতে হয়েছে— যেদিন মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তার মোট সম্পত্তি থেকে ১১ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গেছে।
    অপরদিকে এ বছর এখন পর্যন্ত মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে অবস্থিত টেসলার কারণেই তার সম্পদ বেড়েছে।
    বর্তমানে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ হলো ১৯২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে আরনল্টের আছে ১৮৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ।

  • শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আয় কমেছে পুলিশের

    শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আয় কমেছে পুলিশের

    ানলাইন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ায় পুলিশের বার্ষিক আয় কমেছে। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেছে সেটা জানা যায়নি। এদিকে আয়ের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এই বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মিতব্যয়ী হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে গেছে। যে কারণে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কম হচ্ছে। তবে নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিলিং অর্জনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম শান্তিরক্ষা মিশন। গত প্রায় ৩৪ বছরে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যেকোনও বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও দেশের সুনাম অর্জনের বিষয়টিই থাকে মুখ্য। সে লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যের যোগদানের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এর পরের বছর ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ।

    বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার। মিশনে কাজ করার সুযোগকে অনেকেই সৎভাবে অতিরিক্ত উপার্জনের একটি মাধ্যম মনে করেন। পাশাপাশি সরকারও এ থেকে পায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব।

    মিশনে গিয়েছেন এমন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিশনে গেলে তারা দেশে যে বেতন ভাতা পেতেন সেটাও পেয়ে থাকেন। সঙ্গে মিশনে কাজ করার জন্য জাতিসংঘ থেকে আলাদা ভাতা পেয়ে থাকেন। সেই ভাতার ২০ শতাংশ মিশনে থাকা অবস্থায় তাদের দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আসার পর বাকি অর্থ পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়। জাতিসংঘ থেকে পাওয়া এই অর্থের ১০ ভাগ পেয়ে থাকে সরকার।

    পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সবাইকে মিতব্যয়ী হয়ে চলার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চলমান আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে মিতব্যয়িতার সঙ্গে দক্ষতা ও ফলপ্রসূ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অর্থ বিভাগের দেওয়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সবাইকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্ব-স্ব ক্ষেত্রের রাজস্ব আয় বাড়াতে ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতেও অনুরোধ জানান তিনি। বাহিনীগুলোকে আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলারও অনুরোধ জানানো হয়।

    কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগের এআইজি মো. মনজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তার বিস্তারিত জানা নেই। তবে পুলিশ সদর দফতরের অপর একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেনি। বিশ্বমন্দার কারণে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট বিভিন্ন দেশের কমেছে। বিশ্বের যেসব দেশ শান্তি মিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পাঠাতো, তাদের সবারই কন্টিনজেন্ট কমেছে।

    পুলিশ সদর দফতরের ইউএন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ছয়টি মিশন নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এসব মিশনে ৫০২ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩ মিশনে পুলিশের ২১ হাজার ২৮৩ জন সদস্য কাজ করেছেন। মিশনে নিয়োজিত জনবল ও সরঞ্জামের ভাতা বাবদ পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা মিশন এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়া, দাঙ্গা দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়ে আসছে।/এফএস/এমওএফ/

  • ভেজাল কসমেটিকস বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক

    ভেজাল কসমেটিকস বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক

    অনলাইন ডেস্ক : কোন ভেজাল কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
    তিনি বলেন,‘ঈদকে সামনে রেখে বাজারে ভেজাল কসমেটিকস পাওয়া যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’ এ লক্ষ্যে আগামী রোববার থেকে বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান। 
    বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারি ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, সকল কসমেটিকস প্যাকেটজাত পণ্য। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে অনেক সময় আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক খুরচা মূল্য (এমআরপি) প্রদান করেন না। অথচ সেটি উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। তিনি  আরও বলেন, আবার অনেক কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে। এই ধরনের কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীগণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।
    মহাপরিচালক জানান, ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয়, সেজন্য আগামী রোববার থেকে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোন মার্কেটে নকল পণ্য ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট মার্কেটকে এর জন্য দায়ী করা হবে এবং বাজার সমিতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
    তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বিক্রি বন্ধে সুপারশপগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। 
    সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বৈধভাবে এবং সকল আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার অঙ্গীকার করেন।