Category: অপরাধ

  • কেশবপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে প্রাণ গেল ১শিশুর

    কেশবপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে প্রাণ গেল ১শিশুর


    শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:
    যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আব্দুর রহমান (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় তার মা নিলুফা বেগম (৩০) ও ছোট বোন মারুফা খাতুন (৪) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
    এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের ভ্যান চালক মিজানুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তার ছোট বোন মারুফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে খেলা করতে যায়।
    এ সময় বিলের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত টোং ঘরের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো একটা কৌটা পেয়ে তারা হাতে করে নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে মসজিদের পাশে মা নিলুফা বেগমকে ওই কৌটা দেখানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে আব্দুর রহমান মারা যায়। গুরুত্বর আহত হয় মা নিলুফা বেগম ও ছোট বোন মারুফা খাতুন।
    বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, কুড়িয়ে পাওয়া কৌটাটি ছিল ককটেল।

    খবর পেয়ে য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু আব্দুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বোমার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে।

  • আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

    আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ


    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফিংড়িতে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাধা দিতে গেলে জবর দখলকারীরা খুন জখমসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। শুক্রবার সকালে ফিংড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    সাংবাদিকদের কাছে ফিংড়ী গ্রামের মৃত জবেদ আলী মোড়লের পুত্র নজরুল ইসলাম নজু অভিযোগ করে বলেন, ফিংড়ী মৌজায় ৩৯ শতক ভিটাবাড়ীর জমি আছে। আমি দীর্ঘদিন যাবত সেখানে বসবাস করি। কিন্তু একই এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে সাইদুর রহমান গং উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে।
    এনিয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০৭/২০২১ নং মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি পূর্বক শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ওসি সাতক্ষীরা থানা কে নির্দেশ দেন।
    সে অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদর থানার এ এস আই হাসান, ব্রহ্মরাজপুর ফাঁড়ির এ এস আই আজিম সর্বশেষ সদর থানার এস আই হাজ্জাজ মাহমুদ সেখানে গিয়ে উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশ জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু উল্লেখিত সাইদুর রহমান, তার দুই ছেলে নাইচ ও নাঈম হোসেন আদালতের সে নির্দেশ ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে লাটি-সোটা, দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ১৬ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার সকালে উক্ত সম্পত্তিতে কাজ শুরু করে। এতে বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত সাঈদুর ও তার লোকজন নজরুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজনদের মারপিট করতে উদ্যাত হয়। এছাড়া খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম আদালত ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্যকারী সাইদুর গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে: প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

    ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে: প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীকে ধর্মান্তিরত করে বিয়ে করার অভিযোগে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন কৈয়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । এ সময় স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর গ্রামের এক মুদি ব্যবসায়ি জানান, ২০১৯ সালে তার মেয়ে নূরনগর আশালতা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাশ করে। বর্তমানে কার্টুনিয়া রাজবাড়ি কলেজে মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত ২ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে দুপুর দু’টোর সময়ও বাড়ি না ফেরায় সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় পরদিন তিনি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (১৮২)করেন। ৭ এপ্রিল ফেইসবুকে তার মেয়ে ও প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ খুলনার এক নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বসে ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ে সংক্রান্ত এক নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে সাক্ষর করছেন এমন ছবি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে জানান। একপর্যায়ে ৭ এপ্রিল তিনি শামীম আহমেদ এর বিরুদ্ধে থানায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরদিন তার মেয়েকে উদ্ধার ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। ১০ এপ্রিল শামীম আহম্মেদকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। শামীম আহম্মেদ ইতিপূর্বে তিনটি বিয়ে করেছেন বলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন।
    কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোহাইমেনুর রশিদ শুক্রবার বিকেল চারটায় শ্যামনগর থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন কৈয়ে বাজারের পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রধান শিক্ষক শামীম আহম্মেদকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। শামীম আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে। একই দিনে ভিকটিমকে ২২ ধারার জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতে ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

  • খাজরায় রাতভর ডালিম-অহিদুল বাহিনীর তান্ডব

    খাজরায় রাতভর ডালিম-অহিদুল বাহিনীর তান্ডব

    মশাল ডেস্ক: আওয়ামী লীগ কর্মী শরবত হত্যা মামলায় জামিনে বের হয়ে আসার পর ফের হিংস্র হয়ে উঠেছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডালিমের সন্ত্রাসী বাহিনী। খাজরা ইউনিয়নে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে দোকান, মৎস্য ঘেরে লুটপাট ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ির লোকজনের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে হুংকারে রাতের গ্রামবাসী হতচকিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত্র সাড়ে ১২ টার দিকে খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    গদাইপুর গ্রামের মৃত শরবত আলী মোল্যার পুত্র শিমুল, গোলাম রব্বানী মোল্যার পুত্র মফিজুল, গফুর মোল্যার পুত্র হাসানসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পবিত্র রমজানের তারাবীর ছালাত আদায়ের পর মানুষ যখন ঘুমে কাতর বিছানায় অবস্থান করছেন। তখন নিস্তব্ধ গ্রামের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে শরবত হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামীসহ সন্ত্রাসীরা স্বসস্ত্র অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত্র সাড়ে ১২ টার দিকে হাসান ও মফিজুলের মৎস্য ঘের ডাঙ্গীর গাঙসহ ডিপ ঘেরে আক্রমন করে। ঘের মালিকরা বুঝতে পেরে দ্রুত পাশে পালালে আক্রমনকারীরা ঘেরের আটন ঝেড়ে ও বাসার সামনে ঝেনায় রাখা ৫০ সহস্রাধিক টাকার মাছ লুট করে নেয়। এরপর গদাইপুর-তুয়ারডাঙ্গা ব্রীজের মুখে শিমুল হোসেন এর দোকানে দরজা ভেঙ্গে দোকানে থাকা ফ্রিজ, টেবিল ফ্যানসহ ৬০/৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এসময় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্যার নির্মানাধীন বাসভবনে, কয়েকটি দোকান বাড়িতে আক্রমন চালিয়ে গেট, শার্টার, টিনের চাল ভাংচুর করে। তুয়রডাঙ্গা ও গদাইপুর গ্রামের চেয়ারম্যানের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। মোবাইলে পুলিশকে জানালে এসআই কায়ছার ও এসআই রুবেলসহ অন্যান্য ফোর্স ঘটনাস্থানে পৌছলে আক্রমনকারীরা দ্রুত গা ঢাকা দেয়।
    এ ঘটনার জেরে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম মোল্লা ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের সমর্থকরা মুরারীকাটি এলাকায় চেয়ারম্যান ডালিমের সমর্থক মুজিবুর রহমান মোল্লার মৎস্য ঘেরে হামলা ও লুটপাট করে। তুয়ারডাঙ্গা-মুরারীকাটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে বলে থানায় দায়েরকৃত মুজিবরের স্ত্রী নুরনাহারের এজাহারে প্রকাশ। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুল ইসলাম জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে শরবত হত্যাকান্ডসহ হত্যা, ধর্ষন, লুটপাটসহ একাধিক মামলার আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করছে। মাছ লুটসহ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হুমকী ধামকী ও মারপিট করাসহ নানাবিধ অপরাধ করে তারা ইউনিয়নের নিরিহ মানুষকে ঘরছাড়া, এলাকা ছাড়া ও শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছেনা। তিনি এলাকার মানুষের শান্তি ও নিশ্চিন্তে বসবাসের স্বার্থে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেন।

  • পুরুষশূন্য সালথায় নারীদের আর্তনাদ

    পুরুষশূন্য সালথায় নারীদের আর্তনাদ

    • অনলাইন ডেস্ক:

    ফরিদপুরের সালথায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে তাণ্ডবের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির অভিযান অব্যাহত থাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে উপজেলা সদরসহ ৮ট ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন পুরুষেরা রাতের বেলায় বাড়িতে থাকতে পারছেন না। দিনের বেলায় হাতেগোনা কয়েকজন পুরুষকে দেখা গেলেও রাতে সে সংখ্যা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। এদিকে হাটবাজারের দোকানপাট বন্ধ। তবে কিছু দোকান খোলা থাকলেও সেখানে নারী-শিশু ছাড়া পুরুষের দেখা মিলছে না।

    সরেজমিনে এসব গ্রামগুলো ঘুরে নারী-শিশু ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো গ্রামে বয়স্ক ও বৃদ্ধদের দেখা গেলেও তা সামান্য। বেশকিছু গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষ না থাকায় কৃষি ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করছেন নারীরা।

    • জানতে চাইলে তারা বলেন,

    আমরা পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এটি পাটের মৌসুম। পাটের মধ্যে অনেক ঘাস হয়ে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে, নাহলে পাট বড় হবে না। এরপর ক্ষেতে পানি, সার ও ঔষধ দিতে হবে। আমাদের পুরুষরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। বাধ্য হয়ে এই কাজ আমাদের করতে হচ্ছে। তা নাহলেতো এই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কি খেয়ে বাঁচবো?

    পাট-পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত সালথা উপজেলায় এ বছর পাটচাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    • নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নারী বলেন,

    বাবা, আমার দুটি ছেলে ঢাকা থাকে। স্বামী অসুস্থ, আমরা সেদিনের ঘটনার কিছুই জানি না। তবুও তাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, শুনেছি যাকে ধরছে সেই আসামি হয়েছে। সেই ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মসজিদে আজ ৫ দিন ধরে কোনো আজান হয় না। মসজিদের দিকে তাকালে চোখের পানি চলে আসে। কাল রোজা, ঘরে বাজার নেই। এখন আল্লাহই আমাদের ভরসা।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্ষেত এখানে সার, পানি, ঔষধ, নিড়ানি দিতে হবে। তাই সরকারের কাছে আমার চাওয়া, যারা অপরাধী তাদের বিচার করুক। আর যারা নিরীহ তাদেরকে সুযোগ দেয়া হোক যেন আমরা কাজকর্ম করে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি।

    • আরেক নারী বলেন,

    আমার স্বামী পঙ্গু। সবসময় তার শরীর কাঁপে। তাকে ধরলেই তার জীবন চলে যাবে। তাই সে ভয়ে কোথায় চলে গেছে কোনো খোঁজ নেই। যাওয়ার সময় বলে গেছে আমাকে এই মুহূর্তে একটি বারি দিলে আমি বাঁচব না। তিনি আরো বলেন, তার কিডনি সমস্যা আছে। শুনেছি তাকেও আসামি দেয়া হয়েছে। অথচ সে এসবের কিছুই জানে না। বাসায় চাল নে,ই খেয়ে বাঁচার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ক্ষেতে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা বাঁচতে চাই।

    অপর আরেক নারী বলেন, যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার আমরা চাই। এত বড় ক্ষতি তারা করেছে, এগুলাতো আমাদেরই সম্পদ, আমার এলাকা, আমাদের উপজেলা ক্ষতি করেছি আমরাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সরকারের কাছে অনেক যন্ত্র আছে, সেগুলো ব্যবহার করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের বের করে কঠিন শাস্তি দিক।

    ‘কিন্তু আমরা যে নিরীহ মানুষ, আমাদের মসজিদে আজান হচ্ছে না, রাত পোহালেই রোজা কিছুই কিনতে পারিনি, কি খেয়ে রোজা থাকব?’

    তিনি আরও বলেন, একদিকে আমাদের ধান মাইরা গেছে, আবার পাটও মাইরা যাচ্ছে, আমরা কিভাবে চলব? আমার স্বামী নসিমন চালায়, কোথায় গেছে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমরা ভাতে মরছি। আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেও মাফ পাওয়া যায়। আমরা অপরাধ না করেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাই, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক সহায়তা করছে। বিধবা, বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে ঘর দেওয়া, সব ধরনের সুবিধা সে আমাদের দিচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের সম্পদ নষ্ট করেছি। সেজন্য সবাই এখন দোষী। তাই আমার দাবি, নিরীহ মানুষদের নিরাপদে থাকারাসুযোগ করে দিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিক।

    • আরেক নারী বলেন,

    আমাদের উপজেলায় যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা দূরে চলে গেছে। কিন্তু এজন্য নিরীহ মানুষগুলোকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ যাকে ধরছে সেই আসামি। তাই এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, আমরা গ্রামের মানুষ, আমরা এসবের ভেতর যাইনি, আমরা তার কাছে ক্ষমা চাই।

    তিনি বলেন, রাত পোহালেই রোজা, কিন্তু একটি মসজিদে আজান নেই। আর মসজিদে আজান দিয়ে মানুষকে না ডাকলে আমরা কিভাবে রোজা থাকব?

    আরেকজন নারী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। অভাবের সংসার কিস্তি চালাতে হয়। পুরুষ মানুষ বাড়িতে নেই। কিস্তি নেয়ার জন্য লোকেরা বাড়িতে এসে বসে থাকে খারাপ ব্যবহার করে।

    সোনাপুর বাজারের এক মুদিখানার দোকানদার বলেন, গত ৬ তারিখ থেকে দোকান করতে পারছি না। রাতের বেলা ঘুমাতে গেলে ভয় লাগে, কখন এসে ধরে নিয়ে যায়।

    এছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এখানকার মানুষরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছে। বেশিভাগ যুবকেরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়িতে নেই। আতঙ্কে অনেক দোকানপাটও বন্ধ আছে।

    ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, সালথার সহিংসতার ঘটনার পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ দিনরাত অভিযান চালাচ্ছে। তবে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

    তিনি বলেন, আমরা চাই না কোনো নিরীহ লোক হয়রানির শিকার হোক। আমরা ঘটনার দিনের সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার করছি। তবে নিরীহ কাউকে যদি আটক করা হয়ই, তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে লোকজনকে পেটানো হয়েছে- এমন গুজব ছড়িয়ে সালথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে ঘেরাও করে তাণ্ডব চালায় স্থানীয়রা। ওই তাণ্ডবের ঘটনায় ৫টি মামলা হয়েছে। এতে ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত প্রায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

  • ধারণক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস চলাচল : করোনার ঝুঁকি চরমে

    ধারণক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস চলাচল : করোনার ঝুঁকি চরমে


    নিজস্ব প্রতিনিধি: মহামারি করোনার ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় চলাচল করছে মাইক্রোবাস। সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে ভোর ৬টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা অবধি চলে যাত্রী উঠা-নামা। শহরের ব্যস্ততম জায়গায় প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অরাজকতা চললেও ব্যবস্থা না নেয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকেই শুরু হয় খুলনাগামী যাত্রীদের আনাগোনা। সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথম মাইক্রোবাস ছাড়ে এখান থেকে। দশ সিটের মাইক্রোবাসে তোলা হয় ১৪/১৫ জন যাত্রী। ভাড়া নেয়া হয় ২শ’ টাকা। জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি পোস্ট অফিস মোড়ের মাইক্রোবাস। এটাকে তাই অনেকে বিকল্প টার্মিনাল বলেও সম্বোধন করেন। সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর বারোটা পর্যন্ত আধাঘন্টা অন্তর খুলনাগামী যাত্রীদের বহন করা হয়। বারো থেকে চৌদ্দটি মাইক্রোবাস এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে ১৪ থেকে ১৫জন যাত্রী নিয়ে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে যায়। দুপুরের পর খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে আবারো শুরু হয় সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসগুলোর যাত্রা। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলে সাতক্ষীরাগামী যাত্রীদের উঠানো।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাস মালিক জানান,মিনি বাসের মত মাইক্রোবাসে এভাবে যাত্রী বহন কোনভাবে বৈধ নয়। কারণ সরকারি রাস্তা গণপরিবহনে ব্যবহার করতে রুটপারমিশনসহ আনুসঙ্গিক অনেক কিছুই অনুমতির দরকার হয়। এছাড়া করোনা মহামারির সময়ে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে কিভাবে সম্ভব,প্রশ্ন তোলেন তিনি।
    সাতক্ষীরা-বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ্য আবু নাসের জানান,একটি বাস রোডে তুলতে গেলে রুট পারমিট বাবদ প্রতিবছর ৯শ’ টাকা,৮ হাজার ৫শ’ টাকা ট্যাক্স,৫ হাজার টাকা আয়কর ও ফিটনেস বাবদ ১ হাজার ৭ শ’ টাকা দিতে হয়। অথচ সরকারের কোন অনুমোদন ছাড়াই পোস্ট অফিস মোড় থেকে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মাইক্রোবাস খুলনায় যাতায়াত করছে। বর্তমানে বাস চলছে না। কিন্তু যখন বাস চলতো,তখনও বাসের বিকল্প হিসেবে আলাদাভাবে একটা প্লাটফর্ম দাড় করানো হয়েছিল পোস্ট অফিস মোড়ে।
    সম্পুন্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাইক্রোবাস কিভাবে চলছে,প্রশ্ন করা হলে মাইক্রোবাসগুলোর পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ভাই,খুলনা রোড মোড়সহ সব জায়গায় মাহেন্দ্র যেভাবে গাদাগাদি করে যাত্রীবহন করছে,সেদিকে তাকান না কেন? করোনা মহামারির মধ্যে গাদাগাদি করে যাত্রীবহন করা হচ্ছে,এমন প্রশ্ন শুনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন জাহাঙ্গীর।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর কামরুজ্জামান বকুল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধ মাইক্রোবাস পরিচালনার বিষয়ে এসপি স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন,আইনশৃঙ্খলা সমম্বয় কমিটির সভায় খুলনাগামী ভিসাপ্রার্থী যাত্রীদের নিয়ে ২টা মাইক্রোবাস চালানোর অনুমতি ছিল। তবে এখন সাতক্ষীরায় ভিসা সেন্টার হওয়ায় ওই অনুমোদনের কোন বৈধতা থাকেনা।
    পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,করোনাকালিন সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এছাড়া অবৈধভাবে কোনকিছু পরিচালনা করার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাউকেই চলতে দেয়া হবেনা। নির্দেশনা অমান্যকারিদের সংক্রমণ নিরোধ আইন অনুযায়ী সাঁজা প্রদান করা হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা সমম্বয় কমিটির সভায় খুলনাগামী ভিসাপ্রার্থী যাত্রীদের নিয়ে ২টা মাইক্রোবাস চালানোর অনুমতি ছিল কিনা জানা নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক।

  • কালিগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

    কালিগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী একজন প্রকল্প গায়েব করা জ¦ীন। উপজেলার এল জি ই ডি দপ্তরের সকল প্রকল্পের কাজ অনিয়ম ও নিন্ম মানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এডিপির অর্থায়নে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ব্রীজ সংস্কার ও প্যালাসাইডিং করণ প্রকল্প উপজেলা পরিষদ থেকে পাশ হয়ে টেন্ডার হয়। কিন্তু উপজেলা ইঞ্জিনিয়র জাকির হোসেন ৪ নং প্যাকেজের রতনপুর ইউনিয়নের বাগমারী স্কুল সংলগ্ন ব্রীজ ও তারালী ইউনিয়নের প্যালাসাইডিং করণ প্রকল্পটি গায়েব করে ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগি করে যোগসাজসের মাধ্যমে বিল জুন ২০২০ সালে উত্তোলন করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী জানতে পেরে গত ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে প্রকল্প ২ টির ফাইল ও প্রকল্প সমাপ্তির ছবি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি করেন। চিঠি পাওয়ার পর উপজেলা ইঞ্জিনিয়র তড়ি ঘড়ি করে বাগমারি ব্রীজের হাতলের সংস্কারের কাজ শুরু করে দেন। কিন্তু তড়ি ঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে ৫ টাকা ফুটের ভরাট বালু, নিন্ম মানের পাথর, ইটের খোয়া ও নাম মাত্র সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার ফলে সেন্টারিং এর তক্তা খোলার সাথে সাথে সেগুলো ঝরে পড়ে রড বাহির হয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকা বাসি হট্ট গোল শুরু করিলে তখন উপজেলা চেয়ারম্যান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখেন ১০ মাস আগে প্রকল্প শেষ হয়েছে বিলে স্বাক্ষর করে নিলেও সে কাজ করা হচ্ছে এখন। তখন তিনি ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিয়ে নিয়ে যান। স্থানীয় বাগমারি জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মোঃ আমিনুর রহমান, আলহাজ¦ আব্দুল মুজিদ, আক্তার হোসেন, আসাদ্জ্জুামান, মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল গ্রাম পুলিশ হরিপদ মৃধা, মুজিবুর রহমান, রাসেল হোসেন জানান, কাজ করা শ্রমিকদের কাছে কে কাজ করছে জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, আমাদেরকে কালিগঞ্জ উপজেলা ইঞ্জিনিয়র কাজ করাচ্ছেন। এছাড়া আমরা কিছু জানি না। তা ছাড়া তাহারা জানান কাজটি খুবই নিন্মমানের। মূলত কাজটি পেয়েছিলেন জাহিদ এন্টারপ্রাইজ কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম ধরনের কাজ সম্পর্কে আমার জানা নেই। কিন্তু যখন বলা হয় কাজ করা মিস্ত্রি তো আপনি কাজ করা্েচছন বলছে। তখন তিনি বলেন মিস্ত্রিদের কে আমাকে একটু ফোন দিতে বলেন তো। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়র কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে ৩০ জুন ২০২০ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজ্জামেল হক রাসেল ও আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে যান। পরে জানতে পারি এ প্রকল্পের কাজ না করে ঠিকাদার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়র টাকা ভাগাভাগি করে প্রকল্প গায়েব করে ফেলেছে। আস্তে আস্তে জানতে পারছি উপজেলা ইঞ্জিনিয়র এডিপির ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের কাজে গায়েব, অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছে। আমি সকল প্রকল্প গুলো এখন দেখছি। বাগমারি ব্রীজের কাজটিও আমি দেখতে গিয়েছি কাজ খুবই নিন্ম মানের। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো যে কাজ ২০২০ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত দেখানো হয়েছে সে কাজ এখন কেন করা হচ্ছে। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি এলজিইডির উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখবো।

  • শফি হত্যাকা-: মামুনুল-বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন

    শফি হত্যাকা-: মামুনুল-বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন

    ন্যাশনাল ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
    গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল তৃতীয় জজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।
    গত বছরের ডিসেম্বরে আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে হেফাজতের বর্তমান কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলাটি করেন আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
    হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে আহমদ শফীর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।
    শফীকে হত্যার অভিযোগ এনে ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে মামলার আবেদন করেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
    মামলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আসামি করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়।

    শফি হত্যাকা-: মামুনুল-বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন

    ন্যাশনাল ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আহমদ শফীকে হত্যার প্ররোচনা মামলায় সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
    গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল তৃতীয় জজ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।
    গত বছরের ডিসেম্বরে আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে হেফাজতের বর্তমান কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলাটি করেন আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
    হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে আহমদ শফীর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।
    শফীকে হত্যার অভিযোগ এনে ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে মামলার আবেদন করেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
    মামলায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আসামি করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়।

  • ইজিবাইক চালককে জবাই করে হত্যা: আইনি জটিলতায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোর ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সোহাগ হোসেন নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সরকারি গোরস্থান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতের সোহাগ হোসেন (১৪) সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুরের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, শনিবার বিকেল তিনটায় সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর মালীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক চালক কিশোর সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের পাশ থেকে রসুলপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদক কেনার ২০০ টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার ভোরে সালাউদ্দিনকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে জানায়। পরে তার দেখানো মতে বাইপাস সড়কের পাশের একটি খুপড়ি ঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বুরহানউদ্দিন বলেন, সালাউদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহজাহান সরদার বাদি হয়ে শনিবার রাতেই সোহাগ হোসেন এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সকল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আইনি জটিলতা দূর করতে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগকে রোববার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে সোমবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হবে।

  • মাধবকাটিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম : আটক-৬

    মাধবকাটিতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম : আটক-৬

    নিজস্ব প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মালিককে কুপিয়ে লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার মাধবকাটি বাজারে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার একদল দুবৃত্ত মাধবকাটি বাজারে অবস্থিত একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুয়েলের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা দোকানের ভিতর প্রবেশ করে জুয়েলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে দোকানের ভিতরে থাকা বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশ আহতকে উদ্ধার ও হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই শাহিন হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে

  • যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান

    যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান

    জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ

    ১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক

    পৌর যুবদেলর আহবায়ক ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন

    সদস্য সচিব সোহাগ নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা যোগ্যদের বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের ৯টি ইউনিটের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। গত ১৮ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় যুবদল কর্তৃক এই কমিটি অনুমোদনের পর বিক্ষুব্ধ এবং চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
    শহর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উজ¦ল কুমার সাধুসহ পদবঞ্চিত অনেকেই জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।

    একজন মোটর সাইকেল মিন্ত্রীকে সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক করা হয়েছে।

    এছাড়া

    ১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী তাকে সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে।

    একইভাবে

    পৌর যুবদেলর আহবায়ক যাকে করা হয়েছে তিনি ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। সে মামলা চলমান রয়েছে।

    আর যাকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি বিগত দিনে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগীয় টীমের সুপারিশও আমলে নেয়া হয়নি। জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি করা হয়েছে। বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের পর অনেকেই দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনুমোদিত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা। তারা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নতুন কমিটি দিয়েছেন।
    তারা আরো জানান, নতুন এই কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান টিপুকে। তিনি রাজপথে থেকে অসংখ্য মামলার আসামী হয়েছেন। আহবায়ক করা হয়েছে টোকনকে যিনি কোনদিন ছাত্রদল করেননি। একইভাবে সোহাগকে সদস্য সচিব করা হয়েছে যিনি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ তরিকুল বাশারকে বাদ দেয়া হয়েছে। আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। দেবহাটায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবকে সদস্য সচিব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শ্যামনগরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলকে বঞ্চিত করে দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করা আঙ্গুরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের দুইবারের সভাপতি রবিউল্লাহ বাহারকে বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জান মনিকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। আহবায়ক প্রার্থী এস এম বাবুকেও বঞ্চিত করা হয়। কলারোয়া উপজেলা যুবদলের কমিটিতে মেহেদী হাসান রাজুকে দু’টি পদ দেয়া হয়েছে। তাকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে। কলারোয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের মূত্রপত্র ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন মোস্তাককে। তালা উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনেও আর্থিক লেনদেন অভিযোগ করেছেন তারা।
    তারা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুবদলের কমিটি গঠনে তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে।
    জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা একই সুরে জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ছিলেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলুর নাম্বারে ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  • কালিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

    কালিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ মার্চ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম এর সভাপতিত্বে চোরাচালান প্রতিরোধে ও আইনশৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারন সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিএম আব্দুল্লাহ, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, নলাতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকী, দক্ষিন শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজনুর রহমান গাইন, বাংলাদেশ বডার গার্ড বসন্তপুর বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ কাবুল হোসেন, ন্যায়েব সুবেদার মোঃ সোলাইমান, নায়েব সুবেদার আমির হোসেন, নায়েব সুবেদার রুহুল আমিন, সুবেদার আবুল হোসেন, সুবেদার আবু সাঈদ প্রমুখ। সভায় চোরাচালান প্রতিরোধে ও মাদকদ্রব্য বন্ধে আরো কঠোর ভূমিকা রাখা হবে। গ্রাম আদালত সক্রিয় করনে এলাকার জমি জায়গা সংক্রান্ত ও নারী নির্যাতন বিষয় নিয়ে বিরোধ মিমাংসা করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় ছোট কাটো বিরোধ নিম্পত্তি করনে জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

  • কলারোয়ার চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী, ঘুষের অর্থ নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি

    কলারোয়ার চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী, ঘুষের অর্থ নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় ০১ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর বিত্ত বৈভব আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ,অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী। বিগত কয়েকে বছর চাকুরী জীবনে তিনি উপজেলার এক কর্মকর্তার টাকা পয়সা ও ঘুষ লেনদেন করে বনে গেছেন কোটিপতি। পরিবার ও নিজের নামে গড়েছেন সহায় সম্পত্তি ও ব্যাংক ব্যালেন্স। তার ঘুষ লেনদেন উপজেলাতে এখন প্রকাশ্য হয়ে দাড়িয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে রফিকুল ইসলাম কে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহাজাদাঅ। সে সময় ঘুষ লেনদেনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যওয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন গনমধ্যমে ফলাও করে সংবাদ টি প্রকাশিত হয়, হাতেনাতে ঘুষ লেনদেনের প্রমান থাকার পরেও অদৃশ্য ভাবে(সেই কর্মকর্তার দাপটে তিনি পার পেয়ে যান)তাকে কোথাও বদলি কিম্বা শাস্তি মূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করেনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে তিনি স্বীয়পদে বহাল থেকে স্বদর্পে ঘুষ লেনদেন করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপজেলার সাধারন বাসিন্দাগন অনতিবিলম্বে ঘুষখোর রফিকুল ইসলামের নামে-বেনামে থাকা সহায় সম্পত্তি ও ব্যাংক ব্যালেন্সের অনুসন্ধান দাবী করেছেন পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

  • কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুইজন  আটক

    কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুইজন আটক


    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে। কলারোয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ ৯২ বোতল ফেনসিডিল সহ ওই দুইজনকে পৃথক স্থান থেকে আটক হয়। থানা সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে কলারোয়া পুলিশ উপজেলার হিজলদীর ফকির পাড়া গ্রামের মৃত রবিউল ইসলাম মন্ডলের ছেলে কাউসার আলী মন্ডল (৩৮) কে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৭৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। অপর এক অভিযানে কলারোয়া থানার এসআই মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মমিন সানার ছেলে আয়জুল সানা (২৮) কে তার বাড়ী থেকে আটক করে। এসময় সে নিজ হাতে তার বাড়ীর মধ্যে থেকে ১৯ পিস ফেনসিডিল বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ

    আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১ মার্চ সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
    ভুক্তভোগী কামালনগর গ্রামের মৃত. মো: নূরুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর ইসলাম জানান, ৯৪ নং পলাশপোল মৌজায় সাবেক খ এসএ নং ৪৭৬, সাবেক দাগ নং- ১২১১৭, হাল দাগ নং- ১৬৯৫৮ মোট ২৪ শতকের মধ্যে ০৬ শতক সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু তার দেবর আব্দুল গফুর উক্ত সম্পত্তির সামনে সম্পত্তি দাবি করায় কোহিনুর ইসলামের সম্পত্তির উত্তর-দক্ষিণে ৬ফুট রাস্তা উভয়ে ভোগদখল করে আসছিল। সম্প্রতি আব্দুল গফুর উক্ত রাস্তাটির নিচে ব্যবহার করতে দিলেও উপর ছাদ নির্মাণ করে তা দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ায় আব্দুল গফুর কোহিনুর ইসলামকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রর্দশন করেন। কোহিনুর ইসলাম বিধবা এবং কোন পুত্র সন্তান না থাকায় পর সম্পদ লোভী আব্দুল গফুর তার দখলী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে উক্ত বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন।
    এঘটনায় ভুক্তভোগী কোহিনুর ইসলাম উপায়ন্তর হয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভায় বিষয়টি একাধিকার বসাবসি হয়েছে। কোন প্রতিকার না হওয়ায় কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত উক্ত স্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
    কিন্তু গত ২ মার্চ সুচতুর আব্দুল গফুর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উক্ত রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে বহুলতল ভবনে উপরে ছাদ বাড়ানোর কাজ শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ায় আব্দুল গফুরের ভাড়াটিয়া লোকজন অস্ত্রে বিভিন্ন খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। পরবর্তীতে কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করলে পুলিশ সেখানে নির্মাণ বন্ধ করে দেন।
    উল্লেখিত সুচতুর গফুর সকল ধরনের অনৈতিক ও অবৈধ সকল সুবিধা নেয়ার জন্য যত্রতত্র তার শ্বশুরের নাম ব্যবহার করে। তার সাথে রাস্তার বিষয়ে স্ট্যাম্পে ডিড থাকার পরও সে ডিড মানতে নারাজ এবং চুক্তি লঙ্ঘন করে মাংশপেশীর জোরে রাস্তা র উপরে ভবন নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। সমাজের কারো কোন কথা তিনি কর্ণপাত করছেন না।
    এবিষয়ে ভুক্তভোগী কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • ডিসিআরকৃত মায়ের সম্পত্তি অন্যান্য ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে ভোগদখলের অভিযোগ

    ডিসিআরকৃত মায়ের সম্পত্তি অন্যান্য ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে ভোগদখলের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় প্রভাবখাটিয়ে ডিসিআরকৃত মায়ের সম্পত্তি অন্যান্য ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই বড় ভাই সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী হওয়ায় প্রভাবখাটিয়ে ভাই বোনদের বঞ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে নিজের স্ত্রীর নামেও নিয়েছেন ডিসিআর।
    সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা গেটপাড়া গ্রামের মৃত গেটখালাসী ফজলে বারী বিশ^াসের সন্তান পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিয়ন জহিরুল ইসলাম। ফজলে বারির অকাল মৃত্যুতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনা করে সন্তান সংসার পরিচালনার জন্য সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরের মাছখোলা মোজায় ৯০/৬৩-৬৪ ৯৫/৬১-৬২ নং এল এ কেস এর অন্তর্ভূক্ত জলাশয় ১৯৭১-১৯২১-১৯২৩-১৯২৭-১৮২৭-১৮৭৮,৪১৪৮-৪১৫০ দাগে ১. ৯০ একর জমি ইজারা দেয়।
    কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিয়ন সুচতুর ফজলে বারি নিজের ছোট ভাই-বোনদের বঞ্চিত করে কৌশলে নিজের স্ত্রী নামে ডিসিআর নেয়। এছাড়া প্রতি বছর স্থানীয় ইটভাটা মালিকের কাছে প্রায় দেড় থেকে ২লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রয় পুরো টাকাই আত্মসাথ করে। এবিষয়ে ছোট ভাই-বোনেরা প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেন অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম।
    এদিকে, সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মচারী নিজের স্ত্রী-সন্তানদের নামে কোন সরকারি খাস জমি ডিসিআর গ্রহণ করতে পারবে না। অথচ জহিরুল ইসলাম সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের স্ত্রীর নামে ডিসিআর গ্রহণ করেছেন।
    এবিষয়ে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

  • আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যকারীর দৌড়ঝাঁপ

    আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যকারীর দৌড়ঝাঁপ

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলাকালীন মিটিং না ডাকায় শিক্ষা অফিসার কর্তৃক হুমকী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশালীন ও চরম অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগের খবর প্রকাশের পর অভিযুক্ত কর্মকর্তা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে শহীদ দিবসের দিনেই কমিটির মিটিং ডাকতে বাধ্য করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। আদালতে দায়েরকৃত মামলা (মিস আপীল ০৫/২১) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী আবেদন পত্র জমা দেন এবং ১জন প্রত্যাহার করায় ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে ১০/১১/২০ তাং আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে ৮/১১/২০ তাং দেং ১১৪ নং মামলা রুজু করা হয়। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ১৯/০১/২০ তাং দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বিধান চন্দ্র মন্ডল বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপীল ০৫/২১ নং মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৯/১ তাং শুনানী শেষে মামলা গ্রহণপূর্বক নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বিবাদীদেরকে শোকজ করেন। মামলা চলমান। ফলে দ্বিতীয় দফায় গঠিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈধ কিনা, একমিটি নিয়ে মিটিং করা সমীচিন কিনা, পূর্বে নির্বাচিতরা মূল্যায়িত হবেন কিনা, দু’টি তফশীলে নির্বাচিত দু’দল অভিভাবক সদস্যদের কাকে কতটুকু মূল্যায়ন করবেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় নিয়ে স্কুলের অভিভাবকরাও যেমনি দ্বিধাগ্রস্ত, প্রধান শিক্ষকও কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আদালতে মামলা চলমান থাকায় প্রধান শিক্ষক আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতীত কিভাবে কাজ করবেন। অভিযোগে জানাগেছে, এমতাবস্থায় দ্বিতীয় দফার অভিভাবক সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি সুস্মিতা পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম অধস্তন কর্মচারী হিসাবে প্রধান শিক্ষককে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ ও মিটিং করিয়ে নিতে মানসিক ভাবে বিব্রত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতি পুজার ছুটির দিনে তারা মোবাইলে ১৭ তারিখে দুপুর ১২ টায় মিটিং ডাকতে নানা কথা বলার পর কঠোর অর্ডার করেন। প্রধান শিক্ষক মামলা ও একজনের পদত্যাগ ও খাতা স্কুলে থাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে কি করে মিটিং করবেন, অনুনয়ের সাথে জানতে চাইলে তারা সাদা কাগজে ও মোবাইলের মাধ্যমে মিটিং ডাকতে ও উপজেলায় যেতে অর্ডার করেন। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর জানতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নিতে প্রধান শিক্ষক ডিপিইও অফিসে যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের জন্য মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এডহক কমিটি গঠনের আবেদন করেন। একথা জানতে পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার তাকে জোর তলব করেন। তিনি টিকা নিয়ে জ্বরে ভুগছেন জানালেও তাচ্ছিল্যভরে সেখানে যেতে বাধ্য করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদনের কথা বললে তার উপর নানাভাবে হুমকী ও অপমানকর কথা বলা হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আপনি আমার সাথে এভাবে কথা বলছেন কেন? বলার সাথে সাথে “রাখেন মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কথা বাদ দেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অমন মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া যায়” বলে আস্ফালন করে উঠেন। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। উপজেলার শিক্ষক সমাজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রধান শিক্ষক ত্রিমুখী চাপে বিপর্যস্ত হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসে শোকের দিনে কমিটির চাপে পড়ে মিটিং করতে বাধ্য হন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ হতে জানতে চাইলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেননি বলে জানান। তাছাড়া মিটিং ডাকতে চাপ প্রয়োগ করেননি বলে দাবী করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, মহান ভাষা দিবসে শহীদ দিবসের আলোচনাই প্রাধান্যযোগ্য। এদিন অন্য কোন সভা ও আলোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

  • কলারোয়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    কলারোয়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    খোরদো প্রতিনিধি: গতকাল মঙ্গলবার কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবে বিকাল ৫ টায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়া সরকারী জি,কে,এম,কে পাইলট হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন কলারোয়া সরকারী জি,কে,এম,কে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ রব স্কুল জাতীয় করণ করার নাম করে স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষকের নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমার কাছ থেকে প্রথমে ৫২২০০ টাকা নেয় এবং পূনরায় তিনি আরও টাকা দাবী করেন আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রধান শিক্ষক আঃ রব আমার উপর তেড়ে উঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকেন। তিনি বিভিন্ন সময় আমার হয়রানি করে থাকেন বলে অভিযোগ করেন । লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন স্কুল জাতীয় করন করার নামে প্রত্যেক শিক্ষকের নিকট থেকে ১ লাখ করে প্রায় ১ কোটি টাকা আতœসাত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব ও সহকারী শিক্ষক মাহফুজা খাতুন।