সংবাদদাতা: অবৈধপথে ভারত থেকে নিয়ে আসা প্রাইভেটকার ভর্তি ৫২ পলি গলদার রেনু পোনাসহ তিন পাচারকারিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রতনপুর বাজার থেকে এসব আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের জামাল মোড়লের ছেলে প্রাইভেটকার চালক মিল্টন হোসেন (২৮), একই উপজেলার নাংলা গ্রামের জামাল উদ্দীন তরফদারের ছেলে রবিউল ইসলাম তরফদার (৩৫) ও একই গ্রামের জিয়াদ আলী মিস্ত্রির ছেলে আদর আলী(৪৭)।
কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক তরুন সরকার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাধমে আটককৃত তিন চোরাচালানীকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। একইসাথে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি বাজেয়াপ্ত ঘোষনা করেন। আটককৃত গলদা রেনুপোনার আনুমানিক মুল্য ১০ লাখ টাকা টাকা। পরে গলদার রেনু পোনাগুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফার উপস্থিতিতে কাঁকশিয়ালী নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এক লাখ টাকা পরিশোধ করে তিনজন আসামী মুক্তি পেয়েছেন।
Category: অপরাধ
-

কালীগঞ্জে গলদার রেনু পোনা সহ ৩ জন আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা
-

দেবহাটায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটে পিতা-পুত্র জখম
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে রাজু আহমেদ (৪৫) ও মুশফিকুর রহমান (২৫) নামের দুই পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পারুলিয়াস্থ ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনাটি ঘটে। মারপিটে আহত রাজু আহমেদ পারুলিয়ার মৃত আব্বাস আলী গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমান সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার মুল দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুস সবুর। তিনি ওই কওমি মাদ্রাসায় নামমাত্র এতিমখানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুদের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে ডোনেশন সংগ্রহ ও আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার প্রধান আব্দুস সবুর মসজিদের বাইরে খোলা স্থানে ঈদের নামাজের আয়োজন করেন। এছাড়া সেখানে যে মাইকের ব্যবস্থা ছিল তাও জরাজীর্ন ও প্রায় অকার্যকর থাকায় ওই নামাজে অংশ নিতে গিয়ে তার ভাই আহত রাজু আহমেদ প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আব্দুস সবুর। নামাজ শেষে আব্দুস সবুরের নির্দেশে কতিপয় ব্যক্তি রাজু আহমেদের সাথে বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা রাজু আহমেদ ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমানকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের খোঁজ খবর নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি। -

এড. শাহ আলমকে আটকের ঘটনায় জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা ও মুক্তির দাবি
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির বার বার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এড. শাহ আলমকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে এড. শাহ আলমকে নি:শর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে এড. শাহ আলম কে মারপিট করা হলো, অফিস ভাংচুর করা হলো। সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আটক করে শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য তালা-কলারোয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, কেন্দ্রীয় পার্টির সদস্য সাবীর হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, স্বপন কুমার শীল, অজিত কুমার রাজবংশী, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ মাস্টার, নারী নেত্রী নাসরীন খান লিপি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মোড়ল, অধ্যক্ষ শীবপদ গাইন, প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

অ্যাড. এম শাহ আলম গ্রেফতার

এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ে ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সবুজবাগের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাবার নাম জহুরল ইসলাম। মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মোঃ লিয়াকত আলী ২০১২ সালে সাতক্ষীরা ল’ কলেজ থেকে ল’ পাস করেন। ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২) এর কাছ থেকে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে শ্যামনগর সহকারি জজ আদালতে তার নিজেরই দঃ ২৯/১৯ মামলার সাক্ষী দেওয়ার জন্য তিনি দাঁড়িয়ছিলেন। এ সময় অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটো পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করে জাপটে ধরে তৎকালিন সভাপতি অ্যাড. এ শাহ আলমের তিনতলার ল’ চেম্বার নিয়ে যায়। এ সময় অ্যাড. এম শাহ আলম শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাড. লিয়াকত আলীর গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন একটি লেখা ঝুলিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে তা নিজ ফেইসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চারজন আইনজীবী ওই লেখা শেয়ার করেন। কিল , চড় ও ঘুষি মেরে তাকে জখম করেন ওই আইনজীবীরা। পরবর্তীতে তাকে কোর্টে না আসার কথা বলে ও দেওয়ানী ২৯/১৯ মামলায় সাক্ষী দিতে পারবি না, এ কথা না মানলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে, খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত করা হয়। দেশ বিদেশের বন্দু ও স্বজনরা ফেইসবুক দেখে তাকে জানানোয় তার চরম সম্মানহানি হয়। এ ঘটনায় গত ১২ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাড. শাহ আলম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটোর নামে মামলা করেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাড.লিয়াকত
হোসেন।মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার জানান, শিক্ষানবীশ লিয়াকত আলীর মামলায় রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অ্যাড. এম শাহ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে জামিনর বিরোধিতা করায় পিপি সম্পর্ক কৌটুক্তি করায় ২৮ এপ্রিল এ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা হয়।
-

সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনাকারী ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ফাইল ছবি সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনাকারী দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। হামলা প্ররোচনায় উগ্রবাদী বক্তা আনসার আল ইসলামের সদস্য আলী হাসান ওসামাকে মঙ্গলবার (৫ মে) শেরে বাংলা নগর থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আটক করা হয়। অপরজনকে রাজবাড়ি জেলা থেকে ভোররাত সাড়ে ১০টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছে কালো পতাকা এবং তলোয়ার পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।
বিস্তারিত আসছে…
-

ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়ায় নীরব চাঁদাবাজি
সংবাদদাতা: ঈদকে সামনে রেখে কলারোয়ায় নীরব চাঁদাবাজি চলছে। ইটভাট থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলার কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, সমাজসেবা অফিস, বিআরডিবি অফিস, একটি বাড়ী একটি খামার, মহিলা বিষয়ক অফিস, পিআইও অফিস, এলজিইডি অফিস, একাউন্টস অফিস, খাদ্যগুদাম, রেজিষ্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, আনছার ভিডিপি অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অফিস, জেলা পরিষদ সদস্যর অফিস, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির অফিস, প্রাণীসম্পাদ অফিস, থানা পুলিশের কিছু সদস্য রয়েছে তাদের তারগেট। এর মধ্যে অকেকে চাঁদা তুলতে শুরু করেছে। এই চাঁদাবজরা টাকা কম হলে হুমকিও দিচ্ছে যায়গা বিশেষ স্থানে। অনেকে ভয়ে মুখ খুলছেন না ভোক্তভোগীরা। তারা আপসে মেটাচ্ছেন চাঁদাবাজদের দাবি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঈদ ঘিরে সক্রিয় চাঁদাবাজদের বিভিন্ন গ্রুপ। এরা সবাই পরিচিত কিংবা মুখ পরিচিত। যে কারণে পুলিশে অভিযোগ করেন না তারা। খোরদো এলাকার এক ভাটা মালিক জানান- ২০ রোজার পর থেকেই শুরু হয়েছে ঈদ সেলামি দেয়া। না দিলে রেহাই নেই। লাইফ ও ব্যবসার রিস্ক থাকে। প্রতিবার চাঁদা দিয়ে আসছেন কিন্তু এবার উৎপাত একটু বেড়েছে। এদিকে চাঁদাবাজদের উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণগণ। তারা জানিয়েছেন, চাঁদার পরিমাণ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসলেম আহম্মেদ বলেন, কতিপয় কিছু সাংবাদিক নামধারী অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর বলেন, রমজানে ছিনতাই, টানা পার্টিসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে পুলিশ বরাবরের মতো বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছে। রাতে বাজার নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কলারোয়াতে বড় ধরনের অপরাধ ঘটেনি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরো বলেন-কলারোয়াতে যদি আমরা থাকি তবে কোনো চাঁদাবাজ থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজ যেই হোক, অভিযোগ পেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এদিকে কেউ কাউকে ভয়দেখিয়ে টাকা পয়সা দাবী করে হুমকি ধামকি দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে কলারোয়া থানা পুলিশ-ওসি-০১৩২০১৪২২০৫, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-ইউএও-০১৭০৯৩১৯৭৩০৯ ও উপজেলা পরিষদ-চেয়ারম্যান- ০১৭১২২০২৯০৭ এর জানানোর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। -

শিশু-কিশোররা ঝুকে পড়ছে মোবাইল গেম আসক্তিতে
শার্শা (যশোর)প্রতিনিধি: করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরা শহর এমনকি বিভিন্ন উপজেলায় উটতি বয়সী শিশু কিশোর এমনকি তরুণরা স্মার্টফোন আর অনলাইনভিত্তিক নানা গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং হাতের নাগালের মধ্যে থাকা ইন্টারনেটেই এ অবস্থার জন্য দায়ী। বর্তমানে এই মোবাইল গেমে অত্যধিক আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর এবং তরুণরাও।এর তিব্রতা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম গুলোতেও।
সরেজমিন জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কিশোররা বিভিন্ন স্কুল মাঠ,ফাঁকা জায়গা এবং বাজারের অলিতে গলিতে থাকা চায়ের দোকানগুলোতে এক সাথে অনেকে বসে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইলে ভিডিও গেইম খেলছে।
পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গী এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াছিন আরাফাত জানান, পোলাপাইন প্রতিদিন আমার দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মোবাইলে টিপতে থাকে। ওরা নাকি কি গেম খেলে।
একই এলাকার রাঙা গাজি বলেন এসমস্ত স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা যদি সব সময় এই মোবাইলের গেম খেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে তাহলে এদের পড়াশোনা তো হবেই না বরং এরা ভবিষ্যতে ওই মোবাইলের গেমের খেলার টাকা যোগাড় জরার জন্য চুরি ডাকাতির পথ বেছে নিতে হবে।যার দায়ভার বহন করতে হবে তার পিতা মাতার উপর।
প্রসজ্ঞত,ফ্রি-ফায়ার বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইলন গেম। বর্তমানে কয়েকগুণ বেড়েছে এই গেমের জনপ্রিয়তা। মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেম। তবে ফ্রি-ফায়ার কম্পিউটার ভার্সনের থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এটিতে বেশী আসক্তি হয়েছে শিশু কিশোর তরুণরা।
মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং হাতের নাগালের মধ্যে থাকা ইন্টারনেটের কারণেই এই গেমটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বর্তমানে এই গেমে অত্যধিক আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর এবং তরুণরাও।
অন্যান্য ব্যাটেল রয়্যাল গেমের মতোই ফ্রি-ফায়ার অনেক বেশি হিংস্র গেম। এবং এর ভয়াবহতা এতই বেশি যে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে এক প্রকার ক্ষিপ্রতা সৃষ্টি করে এই গেম। অত্যধিক মাত্রায় হিংস্রতা থাকায় ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য এই গেমটি নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত হিংস্রতা শিশু-কিশোরদের মধ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এবং পরবর্তী জীবনে শিশুদের হিংস্র করে তুলতে পারে এই গেম।
সচেতন মহল বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিশু কিশোররা বেশী এ ধরনের কাজে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।তবে এসব গেমে আসক্তির কারণে কিশোররা পারিবারিক, সামাজিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে সাথে সাথে পড়াশোনায় ও অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। খেলার এক পর্যায়ে এসে তারা ভায়োলেন্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি এটি আলোচিত আরেক ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কেবল শারীরিক ক্ষতির কারণই নয় এই ফ্রি-ফায়ার গেমটি। সেই সাথে মানসিক রোগের কারণও হতে পারে এই গেমটি।
শারীরিক মানসিক রোগের সাথে সাথে এই গেমটি একজন শিশু কিংবা কিশোরের উপর সামাজিক মূল্যবোধের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গেমটি যেহেতু একটি জায়গাতেই আটকে থেকে খেলতে হয় সেহেতু এই গেম খেলা মানুষটি সামাজিকভাবে খুব বেশি সংযুক্ত থাকতে পারে না। আর এই কারণে সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সমাজের আচার ব্যবহার থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে হয় সেই মানুষটিকে। সর্বোপরি একটা সময় একাকীত্ব বরণ করতে হয় তাদেরকে।
এই গেমটি অতিরিক্ত খেলার কারণে চোখের সমস্যাও হতে পারে। আর সেই সাথে দেখা দেয় ঘুমের ঘাটতিও। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর চোখের সমস্যার সাথে সাথে ঘুমেরও ঘাটতিতে পড়ে এই গেম খেলা মানুষগুলি।
অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে খেলা অনলাইন গেম আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় অভিভাবকেরাও সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তাই সচেতনতা বাড়ানো পাশাপাশি বিশেষ করে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। -

আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ১২ জুয়াড়িসহ ১৮ ব্যক্তিকে ৮টি মামলায় ১১ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কুল্যা ইউনিয়নের ৬ জুয়াড়িকে ৪ হাজার ২৭০ টাকা, শোভনালী ইউনিয়নের ৬ জয়াড়িক ৪ হাজার ৪২০ সর্বমোট ২টি মামলায় ১২ জন জুয়াড়িকে ৮ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, মাস্ক ব্যবহার না করা ও দোকানে ভীড় করে মাস্ক পরিহিত নয় এমন খরিদ্দারের কাছে মাল বিক্রয় করার অপরাধে বুধহাটা বাজারের মাস্টার্স এর প্রোঃ আলাউদ্দীনকে ৫০০ টাকা, সিম টেলিকমের প্রোঃ আনিসুর রহমানকে ৫০০ টাকা, অভিজিৎ স্টোরের প্রোঃ নিত্য বিশ্বাসকে ৫০০ টাকা, লাইফ লাইন মেডিকেল হল এর প্রোঃ রবিন কুমারকে ৫০০ টাকা, মা এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ ফয়সাল ইসলামকে ৫০০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শরিফুজ্জামানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও অফিস সহকারি উপস্থিত ছিলেন।
-

দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজন নিহত
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ভোঁদো (৫৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের মাটিকুমড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল’র ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ছেলে আব্দুর রহমান ও ছোটভাই ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিবেশী মৃত ঈমান আলী সরদারের ছেলে বাশারাত সরদারের পরিবারের সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
তাদের বাড়ীর পূর্বপাশের পুকুর পাড়ে প্রতিপক্ষ বাশারাতের পরিবার ময়লা আবর্জনা ফেলে নোংরা করে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে রফিকুল ইসলাম ওই পুকুর থেকে মাটি তুলে পাড় ভরাটের কাজে নেমেছিলেন। সেসময়ে স্ত্রী ও ছেলেসহ প্রতিপক্ষ বাশারাত সরদার পুকুর পাড়ে গিয়ে রফিকুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে।
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ বাশারাতসহ তার পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলামকে মারপিট ও তার বুকে আঘাত করে পাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
এদিকে এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদ ও দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। ঘটনাটি সুক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান ওসি। -

ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান
- জহুরুল কবীর:
ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া ওরফে ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার প্রসংঙ্গে। ইং-০১/০৫/২০২১ তারিখ সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন, মহোদয় নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাতক্ষীরা থানার অফিসার ও ফোর্সেদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম সাতক্ষীরা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সুপার প্রতারক বাদশা মিঞা সাতক্ষীরা থানাধীন কামালনগর বাইপাসের জনৈক শফির মুদি দোকানের সামনে থেকে অদ্য ০১/০৫/২০২১খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়াকে একটি পিস্তল সদৃশ ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা গুলি সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে তারদ তথ্য মতে
১। তিনটি সিল যথাক্রমে (ক) শেখ ফজলুর করিম সেলিম( এমপি), ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল (খ) ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল। (গ) ডাঃ মোস্তফা জামান সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল,

আটক বাদশার কোমরে শাটানে শুটার গান ২। শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়ার প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার-১ টি,

৩। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব লেখা অফিসিয়াল নোট প্যাড-১টি,

প্রতারক বাদশার নিকট হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, মোবাইল, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী ৪। মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার-১ টি, ৫। ভুয়া ওয়ারেন্ট-২৫ টি,

জাল পরোয়ানা ফর্ম ৬। মসজিদের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই-২০টি (প্রতিটি ১০০ পাতা),

উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড গুলিসহ শুটারগান ৭। আদায়কৃত চাঁদার টাকা নগদ ৬৮,০০০/- টাকা সহ , অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেন।

উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড মোবাইল উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ একাধিক নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃবাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া (৩৭), পিতা- ডাঃ নুর ইসলাম, গ্রাম-পলাশপোল (মধুমোল্লার ডাঙ্গী), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা- সাতক্ষীরা।

উক্ত ভয়ংকর প্রতারক আসামীর গ্রেফতার সম্পর্কে অদ্য ০১ মে বিকাল ৩ ঘটিাকায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) মহোদয়।

সাতক্ষীরা জেলা বা জেলার বাহিরের যে সকল ব্যক্তিগণ প্রতারক বাদশা মিয়া কর্তৃক প্রতারিত/ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের নিকট হতে অভিযোগ/ সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত আহব্বান করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সে সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-

অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক এস এম বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ-সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের নকল নোট প্যাড, সীল, সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও বিভিন্ন প্রকার নিয়োগ পত্র এবং জমাজমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র জালিয়াতির অভিযোগে অস্ত্রসহ এসএম বাদশা মিয়া নামে এক শীর্ষ প্রতারককে আটক করেছে সাতক্ষীরা পুলিশ।শনিবার (১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়ক এলাকার জৈনক শফিকুল ইসলামের মুদি দোকানের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোকানের ভিতর থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আটক বাদশা মিয়া সাতক্ষীরা পলাশপোল এলাকার হাতুড়ে পাইলস ডাক্তার নূর ইসলামের ছেলে।
সে নিজেকে কখনও ডাক্তার কখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর পরিচয় দিতেন।
তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কখনও বা কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরিতে পদন্নতি, চাকুরী পাইয়ে দেওয়া এমন কি যে কোন মামলার সুরাহা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, প্রতারক বাদশার মিয়াকে শহরের বাইপাস সড়ক এলাকা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এসময় তার উক্তিতে স্বীকারোক্তিতে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে হয়। বিস্তারিত প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে।
-

খাজরায় খাল ও রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ
রুবেল হোসেন: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া খাল ও রাস্তা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে প্রতিকার প্রার্থনা করে ডাঃ কৃষ্ণপদ রায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা গ্রামের ইউসুফ খাঁর পুত্র জহুরুল খাঁ কাপসন্ডা মৌজার জেএল ১৪৯নং এর ২০২০নং খতিয়ানে পারিশামারী সার্বজনীন কালিমন্দিরের সামনে চলাচলের রাস্তা ও চেউটিয়া নদী দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের পায়তারা করছেন। এব্যাপারে ডাঃ কৃষ্ণপদ রায় দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন এলাকার সর্বসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কালি মন্দিরের সৌন্দর্য ও ভাবমুর্ত্তি নষ্ট করার জন্য প্রতি হিংসা পরায়ন করে গায়ের জোরে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। এব্যাপারে এলাকাবাসী শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য দোকান নির্মাণ বন্ধের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

দেবহাটায় হিজড়া গুরুর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
দেবহাটা প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবহাটার গাজীরহাট রামনাথপুরে বসবাসরত হিজড়াদের বাড়িতে কালীগঞ্জের খুশি ও ঝুমুর হিজড়ার নেতৃত্বে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর হিজড়া সম্প্রদায়ের গুরু মা খ্যাত রতœা হিজড়া (৫৫)।
সংবাদ সম্মেলনে রতœা বলেন, আমি রতœা- প্রয়াত বেবি হিজড়ার শিষ্য। আমার আদি বাড়ি নরসিংদীতে। আমি প্রায় ৪০ বছর দেবহাটা উপজেলাতে অবস্থান করে তৃতীয় লিঙ্গের সকল সদস্যদের একত্রিকরণ এবং মাতৃ¯েœহে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের দেখভাল ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। প্রয়াত বেবি হিজড়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ও ভারতের হিজড়া সম্প্রদায়ের একাধিক নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রায় ১৪ বছর দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার সকল হিজড়ার গুরু মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রথমদিকে আমি সকল হিজড়াদের নিয়ে দেবহাটা উপজেলার বেজোরআটি এলাকায় বসবাস করতাম। গেল কয়েক বছর আগে আমার শিষ্য খুশি হিজড়া কালীগঞ্জের ঝুমুর সহ কয়েকজন হিজড়াকে নিয়ে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তারা বর্তমানে ফুলতলা এলাকায় বসবাস করছে। পূর্বে তিন উপজেলা আমি নিয়ন্ত্রন করলেও, গ্রুপিংয়ের কারনে দেবহাটা ও কালীগঞ্জের আংশিক এলাকা আমার নিয়ন্ত্রনে রেখে আমি আমার সাবেক শিষ্য খুশিকে কালীগঞ্জের বাকি এলাকা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিই। তারপরও খুশি, ঝুমুর সহ তাদের দলের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের নানাভাবে বিরক্ত করায় আমি অন্যান্য হিজড়াদের নিয়ে গাজীরহাটের রামনাথপুরে বসবাস শুরু করি। কিন্তু দেবহাটায় অবস্থানরত আমিসহ আমাদের সকল তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের বিতাড়িত করে গোটা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠে কালীগঞ্জের খুশি ও ঝুমুর। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদেরকে বিতাড়িত করতে নানা অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে খুশি ও ঝুমুরের নেতৃত্বে রামনাথপুরে আমাদের হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির ভিতরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং আমাদের মারপিট করার লক্ষে বাড়ির গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এঘটনায় ওই রাতেই আমি বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ইতোপূর্বে আমাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে গোলযোগ সৃষ্টি হলে খুশির গ্রুপ এবং আমাদের গ্রুপ উভয়েই একমত হয়ে আমাদের অভিভাবক তুল্য পারুলিয়ার ইউপি সদস্য গাজী শহীদুল্যাহর মধ্যস্থতায় শালিসের মাধ্যমে একাধিকবার আপোষ মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের বাড়ীতে হামলার পর খুশি ও ঝুমুরসহ তাদের লোকজন আমার এবং আমাদের অভিভাবক তুল্য ইউপি সদস্য গাজী শহীদুল্যাহ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি হামলার ঘটনার তদন্ত পূর্বক জড়িত খুশি, ঝুমুর সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

বাবুনগরীর বিরুদ্ধে মামলা
ন্যাশনাল ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির ও বর্তমান আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় হওয়া মোট তিনটি মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ তিন হাজার ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় মামলা তিনটি হলেও সোমবার সেটি জানা গেছে।
গত ২৬ মার্চের ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেন মামলা করা হয়েছে, জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জড়িত আসামিদের শনাক্ত, নাম-ঠিকানা যাচাই করতে সময় লেগেছে। নিরীহ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, তাই যাচাই করে প্রকৃত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা থানায় হামলা চালালে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। পরে চারজন নিহত হন।
চারজন নিহত হওয়ার জেরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী ও পটিয়া থানা ভবন, হাটহাজারী ডাকবাংলো, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে হামলা চালান। সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯২ লাখ টাকা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাতটি, পটিয়া থানায় একটিসহ আটটি মামলা হয় ঘটনার চার দিন পর। আর এসব ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় ৪ হাজার ৩০০ জনকে। সন্ত্রাসবিরোধী ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো হয়। -

দেবহাটার যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ২ সন্তানের জননী
দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার বহেরায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাজমিরা খাতুন নামের দুই সন্তানের এক জননী। নির্যাতনের স্বাীকার তাজমিরা সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
নির্যাতনের স্বীকার তাজমিরা জানায়, গত ৮ বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা তাজমিরা খাতুনের সাথে দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আজগার আলী মোল্যার ছেলে ইয়াছিন আলী মোল্যার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর খুব ভালো ভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছিলো স্বামী-স্ত্রী। কিছুদিন যেতে না যেতেই ইয়াছিন আলী মোল্যা বিভিন্ন অজুহাতে তার স্ত্রী তাজমিরা খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। তাজমিরা তার বাবার কাছ থেকে গরু বিক্রয় করে কিছু টাকা এনে দেয়। কিন্তু তাতেও ইয়াছিনের চাহিদা না মেটায় আবারও টাকা আনতে বলে। তাজমিরার পিতা দরিদ্র ভ্যান চালক হওয়ায় সে টাকা আনতে পারে না। তারপর থেকে খুটি-নাটি বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে বেদম মারপিট করে ইয়াছিন আলী। এরপর তাজমিরা দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মুচলেকা দিয়ে পুনরায় স্ত্রী তাজমিরাকে নিয়ে ঘর-সংসার করার কথা বলে রেহাই পায় ইয়াছিন আলী মোল্যা। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও পূর্বের ন্যায় নির্যাতন শুরু করে স্বামী ইয়াছিন। এক পর্যায়ে গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তাজমিরাকে শারীরিক ভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইয়াছিন আলী। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাজমিরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে মূমুষ্যু অবস্থায় দ্রুত সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তাজমিরার পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছিন আলীর কাছে অমানুর্ষিক নির্যাতন চালানো বিষয় জানতে চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, তোদের মেয়ের লাশ পাঠায়নি তাই তোদের কপাল ভাল এবং বলে তোদের যা ক্ষমতা আছে করিস। ঐ সময়ে মোবাইল ফোন ইয়াছিনের মাকে বলতে শোনা যায় ওর মেরে কবরে পাঠাবো। তবে নির্যানের স্বীকার তাজমিরার পরিবার আইনগত ব্যবস্থার জন্য আদালতে দারস্থ হবেন বলে জানান। -

দেবহাটায় হিজড়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা: আহত ২
দেবহাটা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার মতো দেবহাটায় উপজেলায় বসবাস করে তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া সম্প্রদায়। যে হিজড়াদের নেতৃত্ব দেয় রতœা নামের এক হিজড়া। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে নব শিশু জন্ম গ্রহন সহ বিভিন্ন বিষয়ে হিজড়াদের খুশি কারার নামে টাকা-পয়সা তোলার বিষয়টি এলাকা বাসীদের পক্ষে রতœা হিজড়ার কাছে অভিযোগ আকারে জানালে রতœা হিজড়া মাইকিং করে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেয় উপজেলার সাধারণ মানুষদের। এর প্রভাব পড়তে থাকে প¦াশ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে। যে কারনে রেগে যেয়ে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার হিজড়া সম্প্রদায় রতœা হিজড়ার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশসহ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রতœা হিজড়ার। ঘটনাটিতে রতœা হিজড়া সহ দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকাল ৫টায় উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের রতœা হিজড়ার নিজস্ব বাড়িতে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রামনাথপুর গ্রামের মৃত নাদু মিয়ার সন্তান রতœা হিজড়া। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ঘোড়াপোতা এলাকার মৃত ধুনু মিয়ার সন্তান খুশি হিজড়াসহ ঝন্না, সোনালী, সুমি, একই উপজেলার ফুলতলা এলাকার ঝুমকা, শ্যামনগর উপজেলার কবিতা, আখিঁ, কারিনা, দোলা, মারিয়া, মুক্তা, শান্তা, বাসন্তি, ঝর্না সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রতœা হিজড়ার বাড়িতে এসে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের উপরে হামলা চালায়। হামলার সময় রতœা হিজড়া সহ ডলি হিজড়া ও মুন্নি হিজড়াকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। যাওয়ার সময় রতœা হিজড়া সহ তার সঙ্গিদের জীবন নাশের হুমকি দিতে দিতে অভিযুক্ত হিজড়ারা চলে যায়। এদিকে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রতœা হিজড়া বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে জখম
সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের ৩জন কে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। যার নং- ৪৭, তাং- ২৫/০৪/২০২১।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলাকারীরা মিন্টু, মনিরুল ও আজহারুলকে বাঁশের লাঠি, জিআই পাইপ, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। -

কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে মা মেয়েকে কুপিয়ে জখম
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আদালতের আদেশ কে উপেক্ষা করে জোর পূর্বক জমি দখল কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে কুপিয়ে মা মেয়েকে রক্তাক্ত জখম করেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের পীরগাজন গ্রামে এঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় গুরুত্বর আহত উপজেলার পীরগাজন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী খায়রুন্নেছা (৪৫) এবং তার কন্যা আরিফা খাতুন (১৭) কে ঐ দিনে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলার পীরগাজন গ্রামের গোলাম রব্বানীর পুত্র ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একই গ্রামের এলাই বক্সস গাজীর পুত্র মুছা গাজী (২৮), তরিকুল ইসলাম (২৫), আব্দুল মালেক (৪৫), আব্দুল কাদের এর নামে ঐ বৃহস্পতিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং-৮৭৬। পরবর্তীতে গতকাল একই অভিযোগে পৃথক ভাবে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে আরও একটি এজাহার দাখিল করেছে। থানা এবং পীরগাজন গ্রামের শহিদুল, মফিজ, মাদকাটী গ্রামের তরিকুল, আড়ংগাছা গ্রামের আলমগীর সহ একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধি কে জানান পীর গাজন মৌজার জে,এল ১২৯, এস,এ ৭৪, ডিপি ৬৩নং খতিয়ানের ২০৮ দাগের ২৬ শতক জমি নিয়ে পীর গাজন গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক গংয়ের সঙ্গে একই গ্রামের এলাই বক্স গাজীর পুত্র মুছা গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। উক্ত জমি নিয়ে মুছা গং বাদী হয়ে গত ২৪-০৬-২০১৮ ইং তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেুট আদালতে পিটিশান ১০৩৯ নং এ ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার (ভুমি) কালিগঞ্জ কে নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতে নির্দেশের গত ০৪/০৬/২০১৮ ইং তারিখে সহকারী কমিশনার ভুমি আদালতে আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও মুছা গংয়ের দায়ের করা মামলা গত ১৯/১০/২০২০ ইং তারিখের আদেশে বিজ্ঞ আদালত স্ব স্ব দখলে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান করতে আদেশ দেন। আদালতের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে না থাকার সুযোগে মুছা, তরিকুল, জাকির, আব্দুল মালেক, আব্দুল কাদের, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত ভাবে জোর পূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী খায়রুন্নেচা এবং কন্যা আরিফা কে পিটিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ৯৯৯ ফোন করলে থাকা হতে সহকারী উপ-পরিদর্শক তপন সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে যেয়ে আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এব্যাপারে থানার সহকারী উপ পরিদর্শক তপন সরকার এ প্রতিনিধি কে জানান ঘটনার দিন থানায় জিডি করেছে এখন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তাহা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।