Category: অপরাধ

  • সাতক্ষীরায় মাদক মামলার আসামী গ্রেফতার

    সাতক্ষীরায় মাদক মামলার আসামী গ্রেফতার


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ নান্টু বেপারী (২৮), থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গত ২০১৫ সালে আসামী নান্টু বেপারীকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র‌্যাব-৮, বরিশাল গ্রেফতার করে এবং আসামীর নামে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা রুজু হয়। মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী নান্টু বেপারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এরপর থেকে আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নাম পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। প্রথমে প্রিন্স নামে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। সম্প্রতি সে আবারও নাম পরিবর্তন করে ইব্রাহিম নামে সাতক্ষীরায় ফল ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তীতে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তের আগুনে কৃষকের একবিঘা জমির ধান পুড়িয়ে নষ্ট

    সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তের আগুনে কৃষকের একবিঘা জমির ধান পুড়িয়ে নষ্ট

    রঘুনাথ খাঁ,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় কৃষকের এক বিঘা জমির ধান আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোর ৫টায় কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবক্স গ্রামেে দাকোপের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
    ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেটে রাখা এক বিঘা জমির বোরো ধান একত্রিত করে গাদা বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। শনিবার ভোরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা পানি দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষনে সব ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।
    ব্রজবক্স গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন জানান, ইসরাইল হোসেন একজন অতি গরীব কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি সে কাচা শাক সবজির ব্যবসা করতো। তার জড়ো করে রাখা ধানে কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
    কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ৪ হাজার কেজি আম জব্দপূর্বক ধ্বংস

    সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ৪ হাজার কেজি আম জব্দপূর্বক ধ্বংস


    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো চার হাজার কেজি আম জব্দের পর তা গাড়ির চাকায় পিষে নষ্ট করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেনের উপস্থিতিতে এসব আম নষ্ট করা হয়।
    এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টায় পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা এলাকা থেকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতিকালে পিকআপ ভর্তি এসব আম জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। আমগুলো ধ্বংসের সময় পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে আম পেড়ে তা রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করছিল কয়েকজন ব্যবসায়ি। তবে ওইসব ব্যবসায়িদের পাওয়া যায়নি।

  • অপহরণ মামলার ভিকটিম বললেন ‘তাকে কেউ অপহরণ করেনি’

    অপহরণ মামলার ভিকটিম বললেন ‘তাকে কেউ অপহরণ করেনি’


    বিশেষ প্রতিণিধি : সাবেক স্বামীর করা মিথ্যা অপহরণ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার ভিকটিম ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা গ্রামের আয়েশা খাতুন।
    শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে আয়েশা খাতুন বলেন, তিনি অপহরণ হননি। তার সাবেক স্বামী মিথ্যা অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভপতি মোঃ দবির শিকারী, তার স্ত্রী মমতাজ খাতুন ও মেয়ে ফাতেমা খাতুনের নামে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়েশা খাতুন বলেন, আমার বাড়ি আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একরা গ্রামে। আমার তিনটি সন্তান রয়েছে। আমার সাবেক স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম ঢালী পারিবারিক কলহের জেরে আমাকে প্রায় সময় অমানুষিক নির্যাতন করত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে খুলনায় চলে যায়। বর্তমানে সেখানে একটি বাসা ভাড়া করে থাকি এবং অন্যের বাড়িতে বুয়ার কাজ করি।
    তিনি আরও বলেন, আমি গত ৪ এপ্রিল নজরুল ঢালীকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। আমি চলে আসার পর আমার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম ঢালী বাদী হয়ে আমাকে অপহরণ ও পতিতালয়ে বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের গ্রামের প্রতিবেশী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভপতি মোঃ দবির শিকারী, তার স্ত্রী মমতাজ খাতুন ও মেয়ে ফাতেমা খাতুনের নামে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু আদালতে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং: ১১৯/২৩)। তিমি মিথ্যা ও বানোয়াট অপহরণ মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    তিনি বলেন, আমি নিজেই আমার স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে ও তাকে তালাক দিয়ে বর্তমানে স্বেচ্ছায় খুলনাতে অবস্থান করছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেননি। আমার সাবেক স্বামী ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে মোঃ দবির শিকারী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করছি।

  • শ্যামনগরে যুধিষ্ঠির ম-লের বাড়িতে হামলার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    শ্যামনগরে যুধিষ্ঠির ম-লের বাড়িতে হামলার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের গোনা গ্রামের যুধিষ্টির ম-লের বাড়িতে দুই দফা হামলা, মারপিট ও ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মান ববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন এর সাতক্ষীরা শাখা বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে।
    বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি দীলিপ দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্দব্য দেন সংগঠণটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোষ রায়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, কলেজ শিক্ষক পবিত্র মোহন দাস, দুলাল দাস, নির্যাতিত স্মৃতি রানী ম-ল প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, গত ১৬ এপ্রিল গোনা গ্রামে পুকুরে ¯œানকে ঘিরে দুটি বাচ্চার মধ্যে হাতহাতিকে ঘিরে অনিমেষ ম-লকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদ করায় নূর আলম চৌকিদার, মুনরুল চৌকিদার, আব্দুল বারী, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রহিম, সাদ্দাম হোসেন, মাজিদা, মমতাজসহ কয়েকজন শিশু অনিমেষ ম-লের মা স্মৃতি রানী ম-লকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শ্রীপদ ম-লকে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করায় অন্য আসামীরা বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। কয়েকদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। হত্যা করে লাশ কালিন্দি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকিসহ ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ২৩ এপ্রিল বিকেলে আবারো বাড়িতে ঢুকে শ্রীপদ ম-ল, সুপদ ম-ল, কবিতা ম-ল, ভূষণ ম-ল, যুধিষ্টির ম-লসহ আটজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের গোয়ালঘর। এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা বিশেষ সুবিধা নিয়ে ২৫ এপ্রিল রেকর্ড করে। একপর্যায়ে বেগতিক বুঝে ২৬ এপ্রিল সুপদ ম-লের দায়েরকৃত মামলা রেকর্ড করা হয়। দ্বিতীয় হামলার পর থেকে পুলিশ আজ পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। অবিলম্বে হামলাকারিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ¦টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়

  • সাতক্ষীরা আলোচিত শপিং ভ্যালী কোম্পানির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

    সাতক্ষীরা আলোচিত শপিং ভ্যালী কোম্পানির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

    স্টাফ রিপোর্টার:সাতক্ষীরার শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির মালিক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। চলতি মাসের ৩ এপ্রিল  প্রমাণপত্র সহ লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ নিকটে।
    অভিযোগকারীদের ভাষ্য মতে, অভিযুক্ত সবুজ হোসেন একজন সৌদি প্রবাসী। তার বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসা ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার অবৈধ পন্থায় উপার্জনকৃত কালো টাকাকে বৈধ করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় নামে মাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান করছে। তার ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্টান গড়ে তুলেছে। শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানির নামে রয়েছে চা ব্যবসা, ঘি ব্যবসা, ও শপিং ভ্যালি নামে সেমাই কারখানা। মূলত এই সকল ব্যবসা লোক দেখানো মাত্র। সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মোড়লের ছেলে ইমরান হোসেন রিপন নামে এক ব্যক্তি ৬৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রথমে ঘের ব্যবসা করে। ঘের ব্যবসায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার বেশি লোকসান হয়। এত টাকা লোকশান হওয়ার পরেও কোন মাথা ব্যাথা নেই প্রবাসী ওই যুবকের নতুন ব্যবসার ফন্দি আঁকেন তিনি। 
     ২০২৩ সালে শুরু দিকে শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই নামে একটি সেমাই কারখানা করেছে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে। বিনিয়োগের সমস্ত অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব থেকে। সৌদি প্রবাসী সবুজের সাতক্ষীরার তালা এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে পরিচয় হওয়ার সুত্র ধরে প্রবাসী সবুজ ফোনের মাধ্যমে সমস্ত টাকা এখানে পাঠান। তার পাঠানো টাকা বাংলাদেশ সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে থাকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কয়েক কোটি টাকা এখানে বিনিয়োগ করলেও প্রবাসী এই যুবক কখন তার চেহরা দেখায় না। এমন কি এখানে যারা ব্যবসা পরিচালনা করেন তারা কেউ কখনো সবুজের চেহরা দেখিনি। এখানে  সমস্ত ব্যবসা পরিচালনা করেন জহর আলী সরদার নামে এক ব্যক্তি।
    প্রবাসী লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার পরে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটেছে জহর আলী সরদারের। প্রবাসী শ্রমিকের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরে প্রবাসী সবুজকে পর্দার আড়ালে নিয়ে সবুজের আপন বোন জেসমিন আক্তার লিপিকে প্রকাশ্যে এনে মালিক বানিয়েছে। জেসমিন আক্তার লিপি পেশায় গৃহিণী। এগৃহিণী হয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা কোথায় পেলো এই প্রশ্ন ওই এলাকার জনসাধরণের। সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সহ দুদকের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
    এদিকে, দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানান, অভিযোগটি যাচায়বাছায় করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ভারতে পাচারকালে চারটি সোনার বারসহ এক জন আটক

    ভারতে পাচারকালে চারটি সোনার বারসহ এক জন আটক


    নিজস্ব প্রতিনিদি : সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙা সীমান্ত এলাকা থেকে চারটি সোনার বার, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ এক পাচারকারিকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত নাম ইমাম হোসেন (৪০)। সে কলারোয়া উপজেলার হঠাৎগঞ্জ গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে।
    বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, ভারতে সোনা পাচার করা হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় কাকডাঙা বিওপির বিজিবি সদস্যরা বালিয়াডাঙা বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় সাইকেলযোগে আসা ওই চোরাকারবারীকে চ্যালেঞ্জ করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি তার কাছে থাকা সাইকেলের টায়ারের ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪৬৬ গ্রাম ৪৫০ মিলিগ্রাম ও বাজারমূল্য ৩৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনা ও নগদ টাকা সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে রাতেই কলারোয়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আটক আসামীকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় কার্বাইড মেশানো ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করলো র‌্যাব

    সাতক্ষীরায় কার্বাইড মেশানো ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করলো র‌্যাব



    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো বিভিন্ন প্রজাতির ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করেছে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্প। রাসায়নিক দ্রব্য (কার্বাইড) মেশানো এ সকল আম ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল।
    রবিবার (১৭ এপ্রিল)  রাত ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব। শহরের বাঁকাল এলাকায় অভিযান জব্দ করা আম বুলডোজার মেশিনের চাকায় পিষে আমগুলো বিনষ্ট করা হয়।
    জানা গেছে, রবিবার রাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার জিরেন গাছা থেকে দুই ট্রাক ভর্তি অরিপক্ক আম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এসময় সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি আমগুলো আটক করে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা। 

    এসময় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন বুলডোজার মেশিনের চাকায় পিষে আমগুলো বিনষ্ট করেন। অভিযানে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনির হোসেন ও র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনির হোসেন জানান, অরিপক্ক আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য (কার্বাইড) ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা মানবদেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। 
    র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব বলেন, গোপন তথ্যে জানতে পারি কালিগঞ্জ উপজেলার জিরেন গাছা থেকে ট্রাক ভর্তি অরিপক্ক আম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শহরের বাঁকাল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে দুই ট্রাক  থেকে ৮ হাজার কেজি অরিপক্ক আম আটক করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ।
    তিনি আরও বলেন, আমের মৌসুম শুরুর আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে আম পাকিয়ে বিক্রি   করেছেন। এসব অপরিপক্ক আম ঢাকায় পাঠাচ্ছেন তারা। এই আমগুলো বাজারজাত করতে এখনো যথেষ্ঠ সময় বাকি আছে। বাইরে থেকে পাকা মনে হলেও আমগুলো আসলে অপরিপক্ক। রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা আম পাকানো হয়েছে। এই আম মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১২ মে গোবিন্দভোগ, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। 
    তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কেউ গাছ থেকে আম সংগ্রহ করলে বা কার্বাইড ও কেমিক্যাল মিশিয়ে অপরিপর্ক আম বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

  • ২৬ বছর পালিয়ে থাকার পর সাতক্ষীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ ২৬ বছর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাতক্ষীরার আব্দুল আজিজ সরদার(৫৩)। বুধবার সকাল ৯টায় প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পলাতক ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামী সাতক্ষীরার সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
    বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন।
    উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, তার নেতৃত্বে উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান ও সিপাহী লেলিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পলাতক আসামী আব্দুল আজিজকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কিশোরগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
    প্রসঙ্গতঃ ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকালে সুলতানপুরে নিজ বাড়িতে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রেহানা পারভিনকে ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন রেহানার চাচা গোবরদাড়ি গ্রামের শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুস সহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামী আব্দুল আজিজ। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম তার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করেন।
    সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমান শেষে আসামী আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। প্রায় ২৬ বছর সে পলাতক থাকার পর আজ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। রায় ঘোষণার বেশ কয়েকবছর আগে আরেক আসামী আব্দুল আজিজের ভাই রুহুল কুদ্দুস মারা যায়।

  • হার্ড ফাউন্ডেশনে টাকার জন্য মুমূর্ষু রুগীকে  ৩ ঘন্টা আটক :  স্বজনদের মারপিটের অভিযোগ

    হার্ড ফাউন্ডেশনে টাকার জন্য মুমূর্ষু রুগীকে  ৩ ঘন্টা আটক :  স্বজনদের মারপিটের অভিযোগ

    গাজী ফরহাদ : ফাউন্ডেশনে বিরুদ্ধে। টানা ৩ ঘন্টা রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সে আটকে রাখার পরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে রুগীকে ও স্বজনদের  উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ রোগীকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় হার্ট ফাউন্ডেশনে এ ঘটনা ঘটে। 

    ভুক্তভোগী রোগী মুক্তি বিশ্বাস (৪৫) তিনি সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার বাউখোলা পরানপুর  গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে। অপরদিকে, মারপিটে নেতৃত্ব দেওয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারের নাম দেবব্রত।

    ভুক্তভোগী রোগী মুক্তি বিশ্বাসের কাকি টুম্পা বিশ্বাস জানান, গত ২৮ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে বেন স্টোকজনিত সমস্যার কারণে আমার ভাইপোকে ভর্তি করি। গত পাঁচ দিন ধরে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি আছে। রোগীর অবস্থা অবনতি হয় আজ সকালে আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তবে হার্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার ভর্তির সময় বেড ভাড়া ১২’শ টাকা চুক্তি থাকলেও ১৬’শ টাকা দাবি করে। 

    তিনি বলেন, সকাল ১১ টায় আমারা রোগী নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে উঠি। তখন আমার ভাইপো উত্তম বিশ্বাস ম্যানেজারের কাছে টাকা পরিশোধ করতে যায়। চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিতে না যাওয়ায় কথা কাটাকাটি করে ম্যানেজার তাকে মারপিট করে। 

    হাসপাতালের ম্যানেজার দেবব্রতর হামলার শিকার উত্তম বিশ্বাস জানান, আমার কাছে ম্যানেজার অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা দাবি করে। তখন আমরা অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাদের সহ অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আমার দাদাকে আটকে দেয়। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা আমাকে ম্যানেজারের রুমে আটকে রেখে মারপিট করে। 

    রোগী মুক্তি বিশ্বাসের দাদা গৌতম বিশ্বাস বলেন, মুক্তি বিশ্বাস কে অ্যাম্বুলেন্সে আটকে রাখে। এবং উত্তম বিশ্বাসকে ম্যানেজারের রুমে আটকে রাখে। মারপিট করার বিষয়ে জানতে গেলে ম্যানেজার সহ  হাত ফাউন্ডেশনের কর্মচারীরা আমাকেও আমার আরেকটা দাদা সন্তোষ বিশ্বাসকে ও মারপিট করে। 

    হার্ট ফাউন্ডেশনের স্ত্রী চিকিৎসা নিতে আসা নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বলেন, আমি হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম গোলমাল শুরু হয়েছে। এগিয়ে এগিয়ে জানতে পারলাম এক রোগীর কাছে বেশি টাকা চাওয়ার কারণে গোলমাল শুরু হচ্ছে। পরে দেখি হাসপাতালে লোকজন রোগীর স্বজনদের মারপিট করছে। হার্ড ফাউন্ডেশনের এমন পরিবেশ দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনো হার্ট ফাউন্ডেশনে আসবো না।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রতিনিয়ত রোগী আটকে রেখে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এর আগে করোনাকালে রোগীর  কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ারসহ হার্ড ফাউন্ডেশন নাম থাকলেও হার্টের চিকিৎসা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

    অভিযুক্ত হার্ট ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার দেবব্রত বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, রোগীর স্বজনরা আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। আমরা রোগীর স্বজনদের কোন প্রকার মারপিট করিনি। 

    হার্ট ফাউন্ডেশনের মালিক ডাঃ ফয়লাস আহমেদ  বলেন, কোন রোগীকে আটকে রাখা হয়না। ছাড়পত্র করার জন্য আমার বাসায় আসছিলো। এ জন্য দেরি হয়েছে। রোগীর লোকজন হাসপাতালের স্টাফদের উপর চড়াও হয়েছে তবে স্টাফরা কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। 

    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খাঁন জানান, রোগীর স্বজনরা থানাতে কল করে বিষয়টি জানালে। পরবর্তীতে পুলিশ পাঠালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক  হয়েছে। একই সাথে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে খুলনা মেডিকেলের জন্য রওনা করে দেওয়া হয়েছে।

    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন সজিবুর রহমান জানান, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • অভিযোগকারীর নামে আইনি ব্যবস্থা নেবেন রিয়াজ

    অভিযোগকারীর নামে আইনি ব্যবস্থা নেবেন রিয়াজ

    ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজের নামে ‘প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা ও মানহানির’ অভিযোগ তুলেছেন হারুনুর রশিদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালক। শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে এসে চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী ও প্রযোজক পরিবেশক তিনটি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।

    কাজলের অভিযোগ, একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য রিয়াজকে অভিনেতা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে কাজলের নামে ‘মিথ্যা ও অপপ্রচার’ চালিয়ে কাজটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এর ফলে পরিচালক কাজলের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাড প্লাস’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রিয়াজের প্রতিষ্ঠান ‘পিংক ক্রিয়েশন লিমিটেড’র সঙ্গে নতুন চুক্তি করে আরসিএল। সেই চুক্তি মোতাবেক শুক্রবার (৩১ মার্চ) থেকে শুটিংও শুরু করেছেন রিয়াজ ও তার দল।

    এই অবস্থায় কাজলের দাবি, আমার রিজিক হরণকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী, সম্মান ধ্বংসকারী, বেঈমান, চিত্রনায়ক রিয়াজ কর্তৃক আমার ওয়ার্ক অর্ডারপ্রাপ্ত তিনটি বিজ্ঞাপনের নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সমিতির কাছে বিনীত আবেদন করছি। সেই সঙ্গে জানাচ্ছি এমন কর্মকাণ্ড করার ও আমার মান সম্মান নষ্ট করার দায়ে রিয়াজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে রিয়াজ বলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছিলো। সেই সুবাদে তিনি (কাজল) আমার বাসায় এসেছিলেন। পরে তার সঙ্গে কোম্পানির কী হয়েছে, তা আমি জানি না। তারা পরিচালক পরিবর্তন করেছেন, এর এখতিয়ার তাদের আছে কিনা, সেটা আমার জানার বিষয়ও না। আমি শুধু শিল্পী হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি (কাজল) প্রেস কনফারেন্স করছেন, নানান রকম মন্তব্য করছেন, কেন করছেন তা আসলে আমার বোধগম্য না।

    রিয়াজ আরো বলেন, তিনি নানারকম মনগড়া কাহিনি বলছেন, কেন এমনটা করছেন, এর পেছনে কোনো চক্র আছে কিনা, এসব জানার জন্য আসলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সেদিকেই আগাচ্ছি।

  • জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিট, আহত তিন

    জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিট, আহত তিন


    স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় জমি জায়গার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। ৩১ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা খেয়াঘাট চত্বরের পাশে এলাহীর চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মারপিটে আহত হন মাটিয়াডাঙ্গার হাবিবুর রহমান এর ছেলে সেলিম বিশ্বাস(৩৬) ও সেলিম বিশ্বাসের দুই চাচা ইদ্রিস আলী এবং ফজলু।
    এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেলিম বিশ্বাস বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার কেরামত গাজীর ছেলে মোঃ কাশেম গাজী(৫৫), মোঃ আব্দুল কাদের(৪০), মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মো বিপ্লব(৩৫), কাসেম আলীর ছেলে আশরাফুল(২৫), মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল বিশ্বাস(৬০), শহিদুল বিশ্বাসের ছেলে মফিজুল বিশ্বাস(৩৫), মজিবুর রহমানের ছেলে মোঃ আখতারুল(৪০), মোঃ জিয়ার আলী(৩৫), আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ মিম(২৫), জিন্নাত গাজীর ছেলে মহিম(৪৫), সাবান আলীর ছেলে মোঃ সোহাগ(৩০), শাহমত গাজীর ছেলে মোঃ মনি(৪০), মোছেলের ছেলে মোঃ বিপুল(৪০)।
    উক্ত আসামিগণ এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দাঙ্গাবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে পরিচিত। তারা বিভিন্ন সময়ে লাঠি সোটা দিয়ে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে এরা এতই দুর্দান্ত তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। জমি জায়গা নিয়ে গোলযোগ থাকায় উক্ত আসামিরা প্রায়ই ভুক্তভোগীকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ৩১ মার্চ আনুঃ সকা ১০টার দিকে মাটিয়াডাঙ্গা খেয়াঘাট চত্বরের পাশে এলাহীর চায়ের দোকানে দলবদ্ধভাবে হাতে রড, জিআই পাইে, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
    ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করায় আবুল কাশেমের হুকুমে আসামীরা ভুক্তভোগীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চাচা মোঃ ইদ্রিস আলী (৪০) ও মোঃ ফজলু(৪৫) তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লোহার রড বাঁশের লাঠি ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে মেরে হাড়ভাঙা ও কাটা জখম করে। এসময় তারা নগদ ২৫ হাজার ৭’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করে। এসময় স্থানীয়রা চলে আসায় তারা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় জামিনের শর্ত ভেঙে মহড়া দিচ্ছেন রাজাকার আকবর আলী

    সাতক্ষীরায় জামিনের শর্ত ভেঙে মহড়া দিচ্ছেন রাজাকার আকবর আলী

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি আকবর আলী অসুস্থতা দেখিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে এলাকায় গিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গছে।
    বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে যায়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সারাদিন যুদ্ধকালীন অপরাধ সংঘটিত এলাকা নলতা হাটখোলায় জামায়াত নেতা আব্দুল্লার মালকানাধীন শাহী বস্ত্রলয়ের সামনে গিয়ে জামায়াত নেতাদের নিয়ে একত্রিত হয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন।
    এ ঘটনায় মামলার বাদী, সাক্ষী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন আতঙ্কে আছেন। তাঁরা বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
    আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, মামলায় রাজাকার আকবর আলীসহ একই অভিযোগে জড়িত থাকা আরো তিন আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুরু হয় এবং ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর শেষ হয়। তাদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের মোট ২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
    অভিযোগ-১ এ বলা হয়েছে- ১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সময় ৪টার সময় রহমতুল্লা মোড়ল, তার ছেলে গোলাম মোস্তফা মোড়লকে সঙ্গে করে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা হাটে বাজার করতে যান।
    এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আনছারুল মাহমুদ নলতা হাটে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের একটি বাসে পাকিস্তানি সেনা থাকার সন্দেহে গ্রেনেড ছুড়ে। কিন্তু তাতে কেউ হতাহত হয়নি। গ্রেনেড ছুড়ার প্রতিশোধ নিতে বিকেল ৫টার দিকে আসামিরা পাকিস্তানি আর্মির সঙ্গে ইন্দ্রনগর মাদ্রাসায় একত্র হয়ে নলতা হাটে আক্রমণ করে। এ সময় রাজাকাররা স্বরাব্দীপুর গ্রামের মাদার আলী গাজীকে গুলি করে হত্যা করে।
    এ ঘটনায় রাজাকারদের গুলিতে ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল রহমান ওরফে মেদু মোড়ল ও রহমতুল্লাহ মোড়ল গুরুতর আহত হন। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় নিজ বাড়িতে রহমতুল্লাহ মোড়লের মৃত্যু হয়।
    অভিযোগ- ২ এ বলা হয়, ১৯৭১ সালে ৬ মে আনুমানিক ১২টার সময় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার ইন্দ্রনগর মাদ্রাসার রাজাকার ক্যাম্প হতে আসামিরাসহ পাকিস্তানি সেনারা দেবহাটার হাদিপুর গ্রামের ঘোষবাড়িতে হামলা করে
    সেখান থেকে নরেন্দ্রনাথ ঘোষকে আটক করে বাড়ির পেছনে নিয়ে গুলি হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা শরৎচন্দ্র ঘোষ, গোপিনাথ ঘোষ, হেমনাথ ঘোষ এবং ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসকে আটক করে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ডোবায় নিয়ে সারিবদ্ধভাবে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে রাখে। সেখানে নরেন্দ্রনাথ ঘোষের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাকে আটক করে নির্যাতন করে। ঘোষ বাড়ির মালামাল লুট করে এবং অগ্নিসংযোগ করে। মামলার তদন্ত করেন শাহজাহান কবীর। এ মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
    এদিকে, ৭১ এ পিতাকে হত্যার দায়ে সাতক্ষীরা আদালতে ২০০৯ সালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গোলাম মোস্তফার দায়েরকৃত মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আকবর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও অন্য তিন আসামীর মধ্যে একই উপজেলার পূর্ব নলতা গ্রামের রাজাকার আব্দুল হামিদ খান ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ গ্রেফতার হয়।
    ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর তদন্ত সংস্থা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আকবর আলীসহ ৩ জন জড়িত বলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে। গত বছরের ২৪ মার্চ আকবর আলী আদালতকে অসুস্থতার সাজানো তথ্য দিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করিয়ে নেয়। শর্ত মতে ঢাকা শহরের মধ্যে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে জামিন মঞ্জুর করা হলেও সুস্থ আকবর আলী দেদারছে সাতক্ষীরা, খুলনাসহ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান এলাকায়ও।
    মামলার স্বাক্ষী আবুল হোসেন পাড় জানান, রাজাকার আকবর আলী আমার প্রতিবেশী। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বাড়িতে এসেছেন। জামিনের সত্ত্ব অনুযায়ী তিনি বাড়িতে আসতে পারবেন না। তবে তিনি আদালতের আদেশ সামান্য করে বাড়িতে এসে আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ সকালে থেকে তিনি নলতা বাজারের বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বিকাল থেকে জামাতের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি বাড়িতে মিটিং করছেন।
    কালিগঞ্জ থানার ওসি মামুন রহমান বলেন, রাজাকার আকবর আলী সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। সে বাড়িতে এসে মামলার সাক্ষীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। আগামীকাল সাক্ষীরা জিডি করবে। তারপরেই আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহাজাহান কবীর বলেন, বিভিন্ন মারফত জানতে পেরেছি তিনি এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনি এমন কর্মকান্ড করলে মামলার বিচারের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া আদালতের সত্য ভঙ্গ করায় আদালতের ভিত্তি ব্যবস্থা নিতে পারেন।

  • ট্রাম্প অভিযুক্তকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’, ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপ’ বলে নিন্দা করেছেন

    ট্রাম্প অভিযুক্তকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’, ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপ’ বলে নিন্দা করেছেন

    স্পোর্টস ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার একজন পর্ণ তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। এই জন্য তিনি প্রসিকিউটর এবং তার রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
    তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং নির্বাচনী ট্রাম্প আরো বলেন, ‘এমনকি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই উগ্র বাম ডেমোক্র্যাটরা এই দেশের কঠোর পরিশ্রমী পুরুষ ও মহিলাদের শত্রু এবং তারা একটি ‘উইচ-হান্টে’ লিপ্ত হয়েছে।’ 
    অভিযোগের খবর প্রকাশের কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রকাশিত একটি পাঁচ অনুচ্ছেদের বিবৃতিতে  ট্রাম্প বলেন, আমি ২০২৪ সালের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ফিরে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
    তিুিন বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা ‘ট্রাম্পকে পাওয়ার’ চেষ্টা করার আবেশে মিথ্যা বলেছে, প্রতারণা করেছে এবং চুরি করেছে, কিন্তু এখন তারা অকল্পনীয় কাজ করেছে । সম্পূর্ণ নির্দোষ ব্যক্তিকে নির্বাচনী হস্তক্ষেপের একটি কাজে অভিযুক্ত করেছে।’
    ‘একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্রোপচার করা, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন এবং এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আগে কখনো এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
    ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই ‘উইচ-হান্ট’ জো বাইডেনের উপর ব্যাপকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে,’ তিনি বেেলন।
    ট্রাম্প গত সপ্তাহান্তে তার প্রথম ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচার সমাবেশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন ‘আমরা জো বাইডেনকে পরাজিত করব, এবং আমরা এই কুটিল ডেমোক্র্যাটদের প্রত্যেককে অফিস থেকে বের করে দেব।’
    তার দ্বিতীয় পুত্র এরিকের ফোসকা স্যালভো যোগদান
    ‘এটি তৃতীয় বিশ্বের প্রসিকিউটরিয়াল অসদাচরণ’, এরিক টুইট করেছেন। ’এটি একটি প্রচারাভিযানের বছরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার সুপরিকল্পিত ষডযন্ত্র।

  • ইয়াবা বেচাকেনার সময় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ইয়াবা বেচাকেনার সময় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    যশোর প্রতিনিধি : শহরের সিটি বলেজ পাড়া বৌ বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে ইয়াবা বেচাকেনার সময় লিমন ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বড় রুবেল নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের দখল হতে ৭০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। লিমন শহরের চাঁচড়া ডালমিল আদর্শপাড়ার গফফার মিস্ত্রির ছেলে ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বড় রুবেল শহরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া বর্তমানে সিটি কলেজপাড়া বৌ বাজার ৩নং কলোনী লতা হিজলার বাড়ির পাশে ইনসান মিয়ার ছেলে । এ ঘটনায় বুধবার গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
    জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই রাজেশ কুমার দাশ জানান,মঙ্গলবার ২৮ মার্চ রাতে শহরে মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় গোপন সূত্রে খবর পান শহরের পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের সিটি কলেজপাড়া বৌ বাজারস্থ জনৈক জুয়েল ইসলাম এর দর্জির দোকানের সামনে রাস্তার উপর দু’জন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে রাত সাড়ে ১০ টার পর অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা মাদক ব্যবসায়ী লিমন ও রফিকুল ইসলাম ওরফে বড় রুবেল দৌড়ে পালানোর এক পর্যায় তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় লিমনের দখল হতে ৫০ পিস ও বড় রুবেলের দখল হতে ২০পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। বুধবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেন।

  • তালায় অবৈধ সেমাই কারখানায় র‌্যাবের অভিযান

    তালায় অবৈধ সেমাই কারখানায় র‌্যাবের অভিযান


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানির উদ্যোগে তালা উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 
    বুধবার বেলা ১১টায় র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিবের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকস অভিযানিক দল তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় ও ফ্যাক্টরির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
    অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি। অভিযানে বিএসটিআই’র পরিদর্শক রেজানুর রহমান সরকার, ও র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
    র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি। আজ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শপিং ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। জরিমানা দেয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকার শর্তেও সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই লগো ও ভূয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। 
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি বাপ্পি দত্ত রনি জানান, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যালি লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিএসটিআইয়ের নিবন্ধনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন না করা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

  • তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ মার্চ

    জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। 
    বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।
    তারেক-জোবায়দা পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশ করায় বিচারক মামলার পরবর্তী কার্যকম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    এরআগে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ৩০ জানুয়ারি এ গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। 
    গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে।
    তারও আগে গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
    ওইদিন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাদের কোনো মালামাল পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী প্রদক্ষেপ হিসেবে বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। 
    গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহসান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
    এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 
    উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।

  • অর্থ আত্মসাৎ  এর ঘটনায় আশাশুনির ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ॥   মন্ত্রনালয়ে জেলা প্রশাসকের চিঠি : সাবেক ইউপি মেম্বরের সংবাদ সম্মেলন

    অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় আশাশুনির ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ॥ মন্ত্রনালয়ে জেলা প্রশাসকের চিঠি : সাবেক ইউপি মেম্বরের সংবাদ সম্মেলন


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় এবং অসহায় দরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা লংঘন করে জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে সর্ব মোট ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৭৫ টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় সাতক্ষীরার আশাশুনি ৮ নং খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৫/২০২২। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা সরবত হত্যাসহ অপর দু’টি চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গত ১৭ নভেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর পত্র প্রেরণ করেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিলিষ্ট সচিবকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অপদিকে দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের বিচার ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দ্রুত অপসারনের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক কর্তৃক পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তার জন্য দরিদ্র ও দুস্থ্য পরিবারের সাহায্যার্থে বরাদ্দকৃত দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও পবিত্র ঈদ-উল ফিতর/২০২১ উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় মোট বরাদ্দকৃত কার্ডের বিপরীতে ৪৬৯ জন অস্তিত্ববিহীন ভূয়া ব্যক্তির নাম দিয়ে প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ টাকা হারে মোট দুই লাখ ১১ হাজার ৫০ টাকা এবং ভিজিএফ কর্মৃসূচীর আওতায় অসহায় দরিদ্র পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা লংঘন করে একান্নভূক্ত পরিবারের তালিকায় ৫২১ জনের নাম তালিকাভূক্ত করে মোট ৪৫০ টাকা হারে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার অর্ধেক টাকা এবং একান্ন ভূক্ত পরিবার হওয়ায় ৫০% ব্যক্তিকে আদৌ টাকা প্রদান না করে মাষ্টাররোলে জাল টিপসই প্রদান করে ১ লাখ ১৭ হাজাার ২২৫ টাকাসহ সর্ব মোট ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৭৫ টাকা প্রতারনা ও জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ বিলিবন্টনের নামে দূর্নীতির মাধ্যমে উত্তোনপূর্বক আত্মসাৎ করে। যা দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সনের ২ নং দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান শাহনেওয়াজ ডালিম একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে আওয়ামীল নেতা সরবত হত্যাসহ আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের জেছমিন নাহারের নিকট চাঁদাবাজি মামলা ও একই গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মুনঞ্জুরুল ইসলামের ঘেরে বোমা হামলা চালিয়ে মাছ লুটের ঘটনার বিস্ফোরক দ্রব্য আহনের মামলারচার্জশীট ভূক্ত আসামী। এই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম ছাড়াও ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানী মন্ডল,তার স্বামী উত্তম কুমার মন্ডল ও ইউপি সদস্য হোসেন আলী, রামপদ সানা,সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল,সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুল জলিলসহ ১২ জন আসামী করা হয়েছে। এই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমকে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরখাস্ত এবং শাস্তির জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।