নিজস্ব প্রতিনিধি:এবার মোটর যান আইনে গ্রেফতার হলেন সাতক্ষীরার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যপুত্র রাশেদ সরোয়ার রুমন। পুলিশ তাকে শহরের বেনেরপোতায় একটি মাছের ঘের এলাকা থেকে রোববার সকালে গ্রেফতার করেছে। তিনি তখন তার মা সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের ব্যবহৃত স্টিকারযুক্ত গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান রুমন মোটর যান আইনের একটি মামলায় পলাতক ছিল। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রুমনকে সাতক্ষীরার নবাদকাটিতে একটি বাগানবাড়ি থেকে ইয়াবা খেয়ে বেসামাল অবস্থায় আটক করা হয়। তার সঙ্গে ছিল আরও পাঁচ মাদকাসক্ত যুবক। তার মা সাতক্ষীরা সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩১২ এর সংসদ সদস্য রিফাত আমিনের সুপারিশে পুলিশ তাকে ও তার সহযোগীদের ছেড়ে দেয় বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ
Category: অপরাধ
-

সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত গাড়ি আটক: গ্রেফতার হলো মহিলা সাংসদপুত্র রুমন
-
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
১২ জানুয়ারী শনিবার দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার ৩য় পৃষ্ঠায় ১ম ও ২য় কলামে ‘শ্যামনগরে চাদা না দেওয়ায় সংখ্যালঘুর উপর প্রকাশ্যে হামলার অভিযোগ’ শীরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি শ্যামনগর উপজেলার ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মুন্সিগঞ্জ বাইতুর নূর জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ দাখিল মাদ্রাসা ও ২৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএসসির সভাপতি, সুন্দরবন বালিকা বিদ্যালয় ও নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য। আমার কোন প্রতিপক্ষ আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে প্রতিবেদককে ভুল বুঝিয়ে আমাকে জড়িয়ে এ মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এ মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার -

জেলা রেজিষ্টার ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুষ, দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়কারী সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার ও সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা ভূমিহীন ঐক্যপরিষদের সভাপতি মোঃ কওছার আলী। সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন ঐক্যপরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক ও জজকোর্টের অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু। সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, আরমান আলী, অর্থ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, সভানেত্রী মারফা খাতুন, বাবলু হাসান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ঘুষ ও অনিয়ম দুর্নীতির এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দলিল রেজিষ্ট্রি করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। ঘুষের টাকা আদায় করার জন্য নকল নবিশ আবুল কাশেমসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। জেলা রেজিস্টারের কথামত প্রতিদিন প্রায় ১০লক্ষ টাকা জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মিশন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ও্ই চক্র। জেলা ও সাব রেজিষ্ট্রারের নেতৃত্বে বর্তমানে রেজিষ্ট্রি অফিস এখন অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
সাতক্ষীরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির শির্ষে থাকা কয়েকজন দলিল লেখক এর মধ্য হতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে গত ইং ৩জুলাই ১৮ তারিখে দূর্নীতি দমন কমিশনের ৯৫ নং গণশুনানি অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সদর রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতিসহ প্রভাবশালী ডজন খানিক দলিল লেখক এর নামে অভিযোগ করা হয়। তার মধ্যে শীর্ষে থাকা দলিল লেখক মনিরুজ্জামান মনি (লাইসেন্স নং-০৯/০৬) আবুল কাশেম, রুহুল কুদ্দুস, এম এম. মজনু, শেখ মফিজুর রহমান, শেখ মাহবুুব উল্লাহ, হায়দার আলী, ওমর ফারুক, শেখ ইসতিয়ার, নাছির উদ্দীন, আল মাহমুদ সহ আরো কয়েকজন মিলে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সরকারি রাজস্ব ফাকির আখড়ায় পরিনত করে। ওই সব দলিল লেখকদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করেন জেলা রেজিস্ট্রার।
অন্যদিকে জন্ম তারিখ জালিয়াতি করে চাকুরিতে বহাল রয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম। অথচ গত ১ বছরে পূর্বেই তাকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু জন্ম তারিখ জালিয়াতি করে চাকুরিতে বহাল রয়েছেন তিনি। চাকুরির প্রথম জীবনের খেদমত বইএর চাকুরির অনুলিপির কপিতে সিরিয়াল নং ২৩২ এ তিনি তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করেছিলেন ৩০ নভেম্বর ১৯৫৮ সাল। সে অনুযায়ী তার অবসরে যাওয়ার কথা গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরির মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি পাওয়ায় তার অবসরে যাওয়ার কথা ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রার ২০১৩ সালের একটি খেদমত বইতে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৯৫৮ সালের পরিবর্তে ১৯৫৯ সাল করেছেন। আর ওই জাল জন্ম তারিখ দেখিয়ে তিনি চাকুরিতে বহাল থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। বক্তারা অবিলম্বে জেলা রেজিষ্ট্রার ও তার সহযোগিতাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। -

পাওনা টাকা আদায় ও চরিত্র হননের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি : ব্যবসায়ী তপন চক্রবর্তীর সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাজরাকাটি কাঠবুনিয়া এলাকার সুকুমার মন্ডল পাওনা টাকা না দিয়ে স্বপরিবারে ভারতে যাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন স্ত্রীকে দিয়ে মেয়েকে হয়রানির মিথ্যে নাটক সাজিয়ে সাংবাদিক ও তরুণ ব্যবসায়ী তপন চক্রবর্তীর চরিত্র হরণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের সুনীল চক্রবর্তীর ছেলে সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপন চক্রবর্তী বলেন, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক ও তরুণ ব্যবসায়ী। বর্তমানে তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। হাজরাকাটি কাঠবুনিয়া এলাকার মৃত বাবুরাম মন্ডলের ছেলে সুকুমার মন্ডল পারিবারিক হিসাবে তার পূর্ব পরিচিত। মহাজনদের দেনা পরিশোধ এবং তিন মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য সুকুমার মন্ডল জমি লিখে দেয়ার শর্তে বিভিন্ন মেয়াদে তার (তপন) কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। টাকা নেয়ার বেশ কিছুদিন পর পরিশোধ করতে ব্যার্থ হয়ে ২ মাস পর এককালিন কিস্তিতে পরিশোধ করবে মর্মে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর একটি তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেয় সুকুমার মন্ডল। কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর টাকা না দিয়ে সুকুমার তালবাহনা শুরু করে দেয়। এরপর কৌশলে দুই মেয়েকে ভারতে বিয়ে দেয় এবং আমার টাকা পরিশোধ না করে জমি অন্যত্র বিক্রি করে স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে গত ৯ জানুয়ারী তালা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। এখবর পেয়ে সুচতুর সুকুমার টাকা পরিশোধ না করতে এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে আমি টাকা আদায়ের জন্য আমার কাছে থাকা স্ট্যাম্পের সাহায্যে গত ১০ জানুয়ারী তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার খবর পেয়ে কুটকৌশলী সুকুমার মন্ডল নিজের ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ের সাথে অনৈতিক সর্ম্পকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার স্ত্রীকে দিয়ে গত ১০ জানুয়ারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলন করে। সুকুমার নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমার চরিত্র হনন করেই ক্ষ্যন্ত হয়নি। সে আমাকে চরমপন্থি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। টাকা বা জমি কোনটাই না দেয়ার জন্য সুকুমার তার স্ত্রীকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে। তপন চক্রবর্তী আরো বলেন, সুকুমারের ছোট মেয়ে গত ২ ডিসেম্বর পাসপোর্টে ভারতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তাকে ওই দেশে পাত্রস্থ করেছেন। বাংলাদেশে থাকবে না বলে সুকুমার একে একে মেয়েদের ভারতে বিয়ে দিয়েছে। আমার টাকা না দিয়ে রাতারাতি জমা-জমি বিক্রি করে সে দেশ ছাড়ার পায়তার করছে। গত ৩ জানুয়ারী তার মেয়েকে তুলে আনা এবং আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে বা কোন সামাজিক মাধ্যমে আমি ছাড়িনি বা ছাড়ার হুমকিও দেয়নি। সুকুমার তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে এধরনের মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করেছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে সুকুমারের স্ত্রীর দেয়া মিথ্যে বক্তব্যের সূত্র ধরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে সুকুমারের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় ও তার চরিত্র হননের সাথে জড়িতদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

সুষ্মিতাদের বাঁচার নিরাপদ পরিবেশের দাবিতে মানববন্ধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের ২য় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন ও হত্যার বিচারের দাবিতে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে সুষ্মিতাদের বাঁচার নিরাপদ পরিবেশের দাবিতে বুধবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিছুর রহিম। বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, মানবাধিকার কর্মী মাধবদত্ত, নারী নেত্রী জ্যোস্না দত্ত, উত্তরণের মুনির উদ্দীন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল।
-

সাতক্ষীরা ৩ আসনের বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন ঃ নির্বাচনী অফিস ঘেরাও করে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি : তিন থানার পুলিশ আমার বাড়ি ও নির্বাচনী অফিস ঘেরাও করে প্রায় ৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম।
তিনি বলেন আমি এখন নেতাকর্মী শুন্য হয়ে পড়েছি। আমার অন্য কর্মীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন গায়েবী মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ডা. শহিদুল আলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ও আসিফুর রহমান তুহিন নামের তিন কর্মী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ ও তিন থানা কালিগঞ্জ, আশাশুনি এবং দেবহাটার পুলিশ আমার অফিস ও সংলগ্ন বাসা ঘেরাও করে। এ সময় আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে এজেন্ট মনোনয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম।পুলিশ এক এক করে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসে তুলতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন ‘মামলা আছে। কোনো রকম বাদ বিচার না করে পুলিশের গাড়িতে উঠাতে থাকায় আতংকিত নেতাকর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে উপরতলায় আমার বাসায় ঢুকলে সব কক্ষেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারা দরজায় লাথি মারে ও ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। এ সময় কাগজপত্রও তছনছ করে তারা। তিনি তাদের মুক্তি দাবি করে বলেন এ ধরনের নিষ্ঠুরভাবে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মনোনয়ন প্রাপ্তির পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় একশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন গত ১৬ ডিসেম্বর আশাশুনিতে বোমাবাজির একটি গায়েবী মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে এখন বলছে তাদের নামে অনেকগুলি করে মামলা রয়েছে। তিনি গ্রেফতারকৃতদের তালিকা তুলে ধরে বলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা বিএনপি সভাপতি সিরোজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল খালেক, জুলফিকার আলি জুলি, আছাফুর রহমান মুকুল, এবাদুল ইসলাম। এমনকি তার বাড়ির বাবুর্চি কবির ও রায়হানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন এর আগে বিভিন্ন স্থানে তার নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এখন মামলার নামে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্মীদের গ্রেফতার করছে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা এলাকায় ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরার রিটার্নিং অফিসারকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. শহিদুল আলম আরও বলেন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই তিনি একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেশ বরেন্য চিকিৎসক ডা. আফম রুহুল হকের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তারা দুজনেই সৎ প্রতিবেশী উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘আমি তাকেও বিষয়টি জানিয়েছি’। নেতাকর্মী শুন্য অবস্থায় কিভাবে নির্বাচন করবো এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন আমাদের প্রতিপক্ষ পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। -
ধানের শীষ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বিএনপির দু’উপজেলা সভাপতিসহ ৪৫ নেতাকর্মী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা-৩ আসনের (আশাশুনি+ দেবহাট+ কালিগঞ্জের একাংশ) ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শহিদুল আলমের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দেবহাটা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, যুগ্ম-সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহছানসহ কমপক্ষে ৪৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা চৌমুহনী এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী বিষয়ক আলাপ-আলোচনা করার সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে।
প্রার্থী ডা. শহিদুল আলম জানান, তিনি নির্বাচনের বিভিন্ন স্থানে পোলিং এজেন্ট ঠিক করার জন্য নেতাদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এসময় কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান ও দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের অফিস ঘিরে ফেলে। এসময় সেখানে উপস্থিত কমপক্ষে ৪৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় ডা. শহিদুল আলম তাদের কি কারনে আটক করা হচ্ছে তা জানতে চাইলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে জানান।
কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, সেখান থেকে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। কার বিরুদ্ধে কি মামলা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। -

পিক-আপের চাকায় পিষ্ট হয়ে নানি নাতি নিহত, নানা আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পিক-আপের চাকায় পিষ্ট হয়ে নানি ও নাতি ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এ সময় মটরসাইকেল চালক নানা মারাত্মক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার খুলনা মহাসড়কের তালা উপজেরার কুমিরা বালি গাঁদা নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন যশোর কেশবপুর উপজেলার ভবতীপুর গ্রামের সামাদ মোড়লের স্ত্রী ফরিদা বেগম(৫০) ও নাতি(১৪) তালা উপজেলার তৈলকুপি গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সাদ। আহত নানা সামাদকে মারাত্মক আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুস সামাদ জানান, কেশবপুর থেকে নানা সামাদ মোড়ল তার স্ত্রী ফরিদা ও নাতি সাদকে সঙ্গে নিয়ে মটর সাইকেল যোগে তৈলকুপি যাচ্ছিল জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে। এ সময় কুমিরা নামকস্থনে পৌছালে পিছন দিক থেকে একটি পিক- আপ তাদেরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে নানি ফরিদা বেগম ও নাতি সাদ নিহত হয়। এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম কুমিরা বালিগাদা নামকস্থনে পিক-আপের চাকায় নানি নাতি নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। বুধবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
-
সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৩
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৪ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৯ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৬ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -

নাশকতার মামলায় ধানের শীষের প্রার্থী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নাশকতার একটি মামলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সাতক্ষীরা চার আসনের (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বেলা তিন টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল বারী, পদ্মপুকুর ইউননিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুর রউফ ও জামায়াত নেতা শেখ আব্দুল বারীসহ ৬ জন।
শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বংশীপুর এলাকা থেকে নাশকতার একটি মামলায় জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুল বারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। -

সাংবাদিক কার্যালয় ও প্রাণকেন্দ্র লুটের প্রতিবাদে দেবহাটায় প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি-বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি’র সাংবাদিক কার্যালয় লুটের প্রতিবাদে দেবহাটায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব এ মানববন্ধন সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহবের সভাপতিত্বে রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হুরাইরা, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাংবাদিক এসএম নাসির উদ্দীন, এমএ মামুন, কবির হোসেন, নির্মল কুমার মন্ডল প্রমুখ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সাংস্কৃতিকমনা ব্যক্তিরা একাত্বতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন। উল্লেখ্য গত ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বনানী মার্কেটে অবস্থিত সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি- বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনের কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত সোনাচোরাকারবারী কামরুজ্জামান বুলু ও তার সন্ত্রাসীরা। মার্কেট মালিক আব্দুল জলিল ও বুলু’র মধ্যে বিরোধ থাকলেও এর সাথে প্রাণকেন্দ্রের কোন বিরোধ ছিল না। বিনা কারণে এধরনের ঘটনা ঘটার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা এর প্রতিবাদে নেমে পড়ে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে যারা হামলা ও লুট করে তারা মানবতার দুশমন। সাংবাদিক কার্যালয়ে হামলা ও লুটের ধৃষ্টতা দেখানোর ঘটনা এটি একটি দুঃসাহস। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে হবে। এক দশ দিন পেরিয়ে গেলেও দোষী সোনাচোরাকারবারী বুলু ও তার সন্ত্রাসীরা শাস্তির আওতায় না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। চিহ্নিত একটি সোনাচোরাকারবারী ও মৌলবাদের মোড়ল সাংবাদিক কার্যালয়ে লুট করে পার পেয়ে যাবে ব্যাপারটা এতোটা সহজ নয়। সোনাচোরাকারবারী কতৃক এ লুটের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন সকল সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত বিডি নিউজ, দেশ টিভি প্রতিনিধি’র ব্যক্তিগত কার্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রাণকেন্দ্র ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ভবনের কক্ষটি ভাড়া প্রদান করেন পলাশপোলস্থ আব্দুল জলিল। আব্দুল জলিলের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আলবারাকা শপিং মলের মালিক কামরুজ্জামান বুলু ও তার বাহিনী নিয়ে বনানী মার্কেটের ছাদ ভেঙে ক্যামেরা, ল্যাপটব, হারমোনিয়াম, তবলা, বয়া, ট্রাইপড, চেয়ারসহ মুল্যবান জিনিস দিন দুপুরে লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বাপীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য এই কার্যালয়েই শিল্প সাহিত্যসহ বিডি নিউজ পরিচালিত হ্যালো’র শিশু সাংবাদিকতার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
-
বনবিভাগের উর্দ্ধত্মন কর্মকর্তা নিরব
রাকিবুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জেররোঠাবেঁকী, দোবেকীসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ অভায়ারণ্য এলাকায় সুন্দরবনের মায়াবী হরিণ, মাছ-কাঁকড়াসহ কাঠ আহারণ করা সম্পূর্ণভাবে রিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ স্মার্ট প্রেট্রোল টিমের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোবারক হোসেন টাকার বিনিময়ের এই সমস্ত নিষিদ্ধ এলাকায় হরিণ শিকারসহ মাছ-কাঁকড়া ধরার টাকার বিনিময়ে অনুমতি প্রদান করছে বলে জানা গেছে এবং বন বিভাগের অসাধু উর্দ্ধত্মন কর্মকর্তারা নিরবে আছেন বলে জানা গেছে। এদিকে স্মার্ট টিম নামক একটি সরকারি বাহীনি সুন্দরবনের অভায়ারণ্য এলাকার জন্য টহলরত দ্বায়ীত্বে থাকলেও এই টিমের দ্বায়ীত্বরত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ঘুস বানিজ্য স্বর্গ রাজ্য কায়েম করছে বলে জানা গেছে। সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে বাউয়ালীরা জানান, সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভায়ারন্য এলাকাগুলোতে মাছ-কাঁকড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্রজনন এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় জেলেদের অনুপ্রবেশ করা নিষিদ্ধ রয়েছে। ওই এলাকা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে মাছ-কাঁকড়া ও হরিণ পাওয়া যায়। যার কারণে অসাধূ জেলে-বাউয়ালীরা সংশ্লিষ্ঠ বন কর্মকর্তাদের সাথে এবং স্মার্ট টিমের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা ওসি মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে প্রতি গনে নৌকা প্রতি ৩-৪হাজার টাকার বিনিময়ে এইসব এলাকায় প্রবেশ করে। আবার যে সমস্ত জেলে-বাউয়ালীরা অসাধু বনকর্মকর্তা ও ওসি মোবারক হোসের সাথে যোগাযোগ না করে ও নির্দ্ধাারিত টাকা দিতে না পারে তাদেরকে আটক পূর্বক বন মামলা দেওয়া হয় এবং জেলে বাউয়ালী সুত্রে জানা যায়, স্মার্ট প্রেট্রাল টিমের দ্বায়িত্বে থাকা ওসি মোবরক হোসেন নৌকা প্রতি জেলেদের কাঝে যে সরকারী পাশ থাকে তার অপরপিঠে একটি গোপন নম্বর বসান। কারণ ওই নম্বর তার একটি গোপন সংকেত। যার বিনিময়ে তিনি আরও ১-২ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রফিক আহমেদের সাথে। মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমি দ্বায়ীত্বভার গ্রহন করার পর আমার অধীনের সকল কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি কোন প্রকার অনিয়ম চলবে না। অঅমার স্মার্ট পেট্রোল টিম সুন্দরবনের অভায়ারণ্য এলাকায় দ্বায়ীত্ব পালন করছেন। এবং আমি নিজে মাঝে মাঝে অভিযানে যাচ্ছি। যাহা অভারণ্য এলাকার জেলে বাউয়ালীরা অবাদে বিচরণ করছে; এটা সঠিক নয়। -

তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক মুসল্লি আহত
গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশ এলাকায় শনিবার দুপুরে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ইজতেমা সূত্র এবং স্থানীয়রা জানায়, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের গ্রুপের তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল। শনিবার সকাল থেকেই সাদ গ্রুপের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করে এবং ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পশ্চিম লেনে অবস্থান নেন। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হয়। এদিকে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা জুবায়ের গ্রুপের মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় শতাধিক মুসল্লি আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত মুসল্লিদের টঙ্গী হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে গুরুত্বর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, দুপুরে মুসল্লিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সংখ্য তিনি জানাতে পারেননি।
-
তালায় ভূমি অফিসের সহকারীর বিরুদ্ধে ৯ শ’টাকার দাখিলার বিপরীতে ৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ তালার তেঁতুলিয়া ইউনয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ৯ শ’ টাকার খাজনা দাখিলা রশিদের বিপরীতে ৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের এক উর্দ্ধত ন পুলিশ কর্মকর্তার মা সখিনা বেগমের নিকট থেকে ঐ ঘুষ গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে দাখিলা,খাসজমি বন্দোবস্তসহ উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা যায়,গত ২২ নভেম্বর দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কাজী মাহবুব হোসেন লক্ষণপুর গ্রামের মৃত আনছার মাহমুদ’র স্ত্রী সখিনা বেগমের বাড়ীতে যান তাদের মালিকানাধীন লক্ষণপুর,মদনপুর ও হাতবাস মৌজার প্রায় ৬ একর জমির খাজনা আদায়ে। এসময় ঐ বিধাবা বৃদ্ধার এক দেবর আঃ রহমান তার সাথে ছিলেন।
অভিযোগে তিনি জানান,তাদের ঐ সকল মৌজার খাজনা পরিশোধে ৮ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে আছে। এক্ষণি তাদের সকল টাকা পরিশোধ করতে হবে। সখিনা বেগম দেবর রহমানকে সাথে দেখে সরল বিশ্বাসে তার নিকট ৮ হাজার টাকা বুঝে দিলেও পরে তাকে মাত্র ৯ শ’ টাকার একটি রশিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়। রশিদটি দেখা মাত্রই অতিরিক্ত ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি ধরা পড়ে তার কাছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাজী মাহবুবের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,আঃ রহমান কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন সেটা তিনি জানেননা। তবে ৯ শ’ টাকার দাখিলার বিপরীতে তিনি তাকে ১ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
এব্যাপারে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিমেষ বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগটি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। -
আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনে নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ইনহেল্ডার প্রজেক্টের ফ্যাসিলিটেটর নিয়োগে চরম অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রে প্রকাশ, নিয়োগ পরীক্ষা থেকে শুরু করে ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুধু মাত্র লোক দেখানোর জন্য এমনটি অভিযোগ একাধিক পরীক্ষার্থীর। মেধাবীদের বাদ দিয়ে স্বজন প্রীতি ও গোপনে অর্থের বিনিময়ে এমন নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। আগে থেকে যেন প্রোগ্রাম অফিসাররা সিলেক্ট করে রাখেন, কাদের নেওয়া হবে এবং কারা বাদ পড়বে। অফিসিয়াল সূত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের অক্টোরব মাসে কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি প্রমোটর, আল্ট্রা পোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর, স্পন্সারশীপ ফ্যাসিলিটটর, ভ্যালুচেইন ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর ওয়াশ এবং ডাটা এন্ট্রি পদে নিয়োগ দেন আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। জানাগেছে নিয়োগ প্রকাশের পর প্রায় ৩২৯জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যার লিখিত পরীক্ষা ৪ঠা নভেম্বর আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কক্ষে বেলা ১.৩০টায় হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রায় বিকাল ৩টার সময়। পরীক্ষা শেষে তড়িঘষি করে এক থেকে দুইদিন পর মোবাইলে ভাইবার জন্য ডাকা হয় কিছু কিছু প্রার্থীদের। এর জন্য পত্রিকায় বা নোটিশ বোর্ডে কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। সাজানো নিয়োগ বোর্ডে বিভিন্ন ফ্যাসিলিটেটরদের আগে থেকেই বলা হয়েছে তারা কে কোন পদে পরীক্ষা দেবে এবং তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। তারই সূত্র কুল্যা গ্রামের বাবুল সরদারের কন্যা খাদিজা খাতুন গত বছর কমিউনিটি প্রমোটরে পরীক্ষা দিলেও সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সে তার মেধা যাচাইয়ে ব্যার্থ হলেও পরবর্তীতে তাকে আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন প্রোজেক্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবছর তাকে আগে থেকেই বলা হয়, সে যেন স্পন্সারশীপ প্রোজেক্টে আবেদন করে এবং সে উক্ত প্রোজেক্টে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া বিগত বছরে স্পন্সারশীপ প্রোজেক্টে চাকুরীকৃত ফ্যাসিলিটেটর মহিষাডাঙ্গা গ্রামের পবিত্র সরকারকে আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে আবেদন করার কথা বলে এবং তাকেই উক্ত পদে উত্তীর্ণ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে গত বছরের একজন স্পন্সারশীপ ফ্যাসিলিটেটর মিনারুল ইসলাম জানান, আমার ২বছর ৬মাসের অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও লিখিত পরীক্ষার আগেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়। যেন আমার পদের স্থলে অন্য কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। এছাড়া একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের পরীক্ষা ভাল হওয়া সত্বেও এপি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বাদ দিয়ে স্বজন প্রীতি করে নিজেদের লোকদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। এছাড়া ইনহেল্ডার প্রোজেক্টের আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে কুল্যা ইউনিয়নে ২জন ও বড়দল ইউনিয়নে ২জন করে ফ্যাসিলিটেটর নেওয়া কথা থাকলেও ভাইবা বোর্ডের পর একজন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ যেন শুধু মাত্র লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ড। এব্যাপারে কথা বলতে চাইলে আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ডেভিট স্বপন শাহ জানান, লিখিত পরীক্ষার পরে আমরা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে ভাইবার জন্য ডেকেছি এবং ভাইবা শেষে যারা ফাইনাল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে মোবাইলে বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে ডাকা হয়েছে। একাধিক পরীক্ষার্থী এ প্রবিবেদককে বলেন আমার ভাল পরীক্ষা দিয়েছি, আমাদের কোন ত্রুটির কারণে বাদ দেওয়া হলো এটা এপি কর্তৃপক্ষ কোন তালিকা বা মৌখিক ভাবে জানাচ্ছেন না। এব্যাপারে প্রোগ্রাম অফিসার মানিক হালদারের কাছে মোবাইলে পরীক্ষার খাতা কল করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয়, লিখিত পরীক্ষার খাতা কল করার কোন সুযোগ নেই। এমন একটি আন্তর্জাতিক বে-সরকারী সুনামিয় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত আচরণ করার বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এমন পাতানো নিয়োগের বিষয়টি আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্ত ভোগী পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
-
স্ত্রী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জেলা ভূমিহীন সমিতির
স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বামী মিকাইল কর্তৃক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নেতৃবৃন্দ বলেন, অসহায় খালেদার নাতনী জুলিয়া খাতুন নবম শ্রেণিতে পড়তো। তাকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসকর্মী মিকাইল হোসেন। দুই বছর আগে মিকাইল জুলিয়াকে নানা কৌশলে বিয়ে করে। কিছুদিন পর মিকাইল গোপনে স্ত্রী জুলিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সে বিদেশি বায়ারদের প্রলুব্ধ করে জুলিয়াকে তাদের বেডপার্টনার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এর বিনিময়ে সে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে।
গত ২৯ এপ্রিল মিকাইল ফোন করে জানায় জুলিয়া আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করে সে। ঘটনার ৫দিন পর তার নানী খালেদা সাতক্ষীরা থেকে যেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে চীনা দুতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান জুলিয়াকে কয়েকজন বিদেশি বায়ারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের শয্যাসঙ্গীনি করতো মিকাইল। এমন এক রাতেই দূতাবাসের কর্মকর্তা সানসুন ইউ ইউ জন এর সহযোগিতায় জুলিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেকাইল। এ সময় তার চিৎকারের শব্দও শুনতে পান দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা। বিছানায় ধর্ষন ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়। জুলিয়াকে ধর্ষন ও হত্যার ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদুল হাসানের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে তার কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে গেলে নানী খালেদাসহ অন্যদের থানা থেকে বের করে দেন।
এরপরও ঘাতক মিকাইল পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে জুলিয়ার নানী খালেদা খাতুনের ওপর চাপ দিতে থাকে। না হলে আরও বিপদ হবে বলে হুমকি দেয়। এঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে অসহায় খালেদা খাতুন বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর ওই মিকাইল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জুলিয়ার মামা মিঠু ও নানী খালেদাকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত করে। এছাড়া এস আই মাহমুদুল হাসানকে দিয়ে জুলিয়ার মামা মিঠু এবং নানী খালেদা খাতুনকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করায়। এঘটনায় অসহায় খালেদা খাতুন ভীতুসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা ওই হত্যাকারী মিকাইল, সানসুন ইউ ইউ জন ও এস আই মাহমুদুল হাসানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ডিসি এর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি -
কলারোয়ায় দূর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দু’নেতা গুরুতর আহত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ায় মুখোশাধারী দূর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দু’নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া পৌরসভার পৃথক দু’টি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, কলারোয়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এখলেছুর রহমান শেলী ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনুর রহমান।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কলারোয়া থানার থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাকারজনক ঘটনায় সাধারন মানুষেরে মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আহতরা জানান, কলারোয়া বাজারে নিজ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন এখলেছুর রহমান শেলী। এ সময় অচেনা এক যুবক জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে তাকে দোকানের বাইরে আসতে অনুরোধ জানান। দোকানের বাইরে যাওয়া মাত্রই ওই যুবক কিল-থাপ্পড়-ঘুষি মারতে থাকে শেলীকে। এতে তিনি বাধা দিতে গেলে ও চিৎকার করলে আশপাশের দোকানদাররা ছুটে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ৫/৭টি মোটরসাইকেলে ১০/১২জন মানকি টুপি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে শেলীকে। এ সময় তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তিরা সোনালী ব্যাংকের সামনে গিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় পেটাতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। কলারোয়া থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ ধরনের একটি ন্যাকারজনক ঘটনায় সাধারন হতভম্ব হয়ে পড়েন। গুরুতর আহতাবস্থায় শেলীকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, কলারোয়া উপজেলা সদরের পলাশ সিনেমা হল মোড় এলাকায় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহিনকেও একই দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে তাকে আহত করে।
আহত এখলেছুর রহমান শেলী জানান, চিকিৎসার পরে একটু সুস্থ হলে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।## -

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : সুদের টাকা পরিশোধে ভিটাবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে মহাজন এক ব্যক্তির ভিটাবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মায়ের অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে এক লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে মো. মিলন হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মাতা আনোয়ারা খাতুন শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় মায়ের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অথচ আমার সম্পদ বলতে ২ কাটা জমিতে ভিটাবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। একমাত্র সন্তান হওয়ায় মায়ের অসুস্থ্যতায় আমি দিশাহারা হয়ে পড়ি। আমার কাছ থেকে বিস্তাররিত শুনে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দমদম এলাকার তৌহিদ সামান্য সুদে ধার হিসাবে আমাকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু টাকা গ্রহণের পর থেকে তৌহিদ সুদের টাকা পরিশোধের জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকে। একদিকে মায়ের অসুস্থ্যতা, অন্যদিকে এতগুলো টাকা আমার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অথচ তৌহিদ কৌশলে টাকা দিয়ে তা সুদে আসলে আদায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।
মিলন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, টাকা শোধ দিতে না পারায় তা আদায়ের জন্য কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তুলসিডাঙ্গা গ্রামের কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা, কাজী বাবু, মুরারিকাটি এলাকার কেলু রানা, রাজু, হাসপাতাল রোডের শাকিল খান জজ ও লোহাকুড়া এলাকার রুবেলসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে ভাড়া করে টাকার জন্য আমার উপর চাপ দিতে থাকে। তারা আমার ভিটাবাড়ি বিক্রি করে দ্রুত টাকা শোধ দিতে বলে। টাকা না দিলে তারা আমাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। তাদের হুমকি ধামকিতে ভীত হয়ে একপর্যায় বাধ্য হয়ে আমি আমার একমাত্র সম্বল ভিটাবাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি আরো বলেন, ভিটাবাড়ি বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে তৌহিদ, শাহাজাদাসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পথরোধ করে ক্রেতার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি চেক গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়। এছাড়া ছেলেদের খরচ বাবদ আরো ৫ হাজার টাকা আদায় করে। মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তারা আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আদায় করেছে। ফাঁদে ফেলে ভিাটাবাড়ি বিক্রি করিয়ে জোরপূর্বক সবটাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। অর্থলোভি তৌহিদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর খপ্পরে পড়ে আমি ও আমার পরিবার এখন পথে বসেছে। তিনি বাকি টাকা ফেরতের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।