Category: অপরাধ

  • মাগুরা থেকে তিন নারীসহ ৯ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আটক

    মাগুরা থেকে তিন নারীসহ ৯ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার মাগুরা এলাকা থেকে তিন নারীসহ ৯ জন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা। আটকৃতদের বিরুদ্ধে উক্ত তিন নারীকে দিয়ে পতিতা বৃত্তির নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
    আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার আব্দুল হান্নান মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা (২৭), সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সোহান (২১), তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা (১৮), একই গ্রামের আফসার সদরদারের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক শুভ (২৪), মৃত ছাকার আলী আলী কচির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২), বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানার কালিবাড়ি এলাকার নিখিল নন্দির ছেলে মিঠুন নন্দি (৩০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবরদাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আমিনুর ইসলাম (৫০), বেতলা গ্রামের জনি সরদারের স্ত্রী রুমা খাতুন ইতি (২০), আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী খালেদা আক্তার মিতা (২২)।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের জানান, সংঘবদ্ধ এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে উক্ত তিন নারীকে দিয়ে মোবাইলে মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতা বৃত্তির নামে খরিদ্দার ডেকে তাদের জিম্মি করে সুবিধা জনক স্থানে আটকিয়ে রেখে বিকাশ, রকেট ও অন্যান্যভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সদর থানার পুলিশ মাগুরা গ্রামের সাইফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উক্ত তিন নারীসহ ৭ জন সংঘবদ্ধ জিম্মিকারী ও দুই খরিদ্দারকে আটক করে। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা নগদ ১৮ হাজার ১০০ টাকা। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে ১২(১)১৩/৮ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

  • ধর্ষণ মামলার আসামি ইয়ারুল ফের প্রবাসীর স্ত্রীকে ইটের আঘাতে মাথা থেতলে দিয়েছে


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী জোহরা খাতুনের মাথায় ইট দিয়ে থেতলে রক্তাক্ত করে ফেলেছে প্রতিবেশী ধর্ষন মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী ইয়ারুল মোল্লা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উত্তর তলুইগাছা গ্রামের এই ঘটনায় জোহরার ভাই আমানুল্লাহ গাজী সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জোহরাকে চিকিৎসাধীন দেখে আসার পরও এ নিয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
    এর আগে ২০১৭ সালে একই আসামী ইয়ারুল মোল্লার বিরুদ্ধে জোহরা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টার মামলায় পুলিশ চার্জশীট দেয়। এ মামলা এখন বিচারাধীন। এর পরও ইয়ারুল মোল্লা গ্রামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে দ্বিতীয় দফায় একই নারী জোহরা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে জখম করার ঘটনায় কোন মামলা না হওয়ায় ইয়ারুল আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
    জোহরার ভাই সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের আমানুল্লাহ গাজী থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় তার বোন উত্তর তলুইগাছার জোহরা খাতুনের বাড়ি ঢুকে ইয়ারুল মোল্লা গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে বাঁশের লাঠি ও ইট দিয়ে জোহরার মাথায় সজোরে আঘাত করে থেতলে দেয় ইয়ারুল। এসময় তার পরিধেয় কাপড় চোপড় টানাহেঁচড়া করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ ঘটনার পর ইয়ারুল হুমকি দিয়ে বলে, এবার ওকে খুন করে ফেলা হবে।
    এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে থানায় দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী সাব ইন্সপেক্টর হানিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোহরাকে দেখে আসেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন। এরপর দুই দফা তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমানুল্লাহ গাজীকে প্রথমে বলেন, ‘১০ হাজার টাকা নিয়ে আসলে মামলা রেকর্ড হবে। দ্বিতীয় দফায় তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসো, মামলা রেকর্ড হবে এবং ইয়ারুলকে ধরে আনবো’। আমানুল্লাহ গাজী জানান, তাদের এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই জানিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যান। এ বিষয়ে তারা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
    জানতে চাইলে এসআই হানিফ সাংবাদিকদের বলেন ‘ আমি তাদের কাছে কোনো টাকা চাইনি। বলেছি ওসি সাহেব মিটিংয়ে আছেন। তিনি থানায় ফিরলে আলোচনা করে মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে’।
    উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে ইয়ারুল মোল্লা মালয়েশিয়া প্রবাসী হাফিজুর রহমানের স্ত্রী জোহরা খাতুনের ঘরে গভীর রাতে ঢুকে পড়ে। এ সময় তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হলে জোহরা তাকে বাধা দেন। পরে ইয়ারুল তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়। পুলিশ ইয়ারুলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়। বিচারাধীন এই মামলা মাথায় নিয়ে ইয়ারুল মোল্লা এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে সে নানাভাবে জোহরা খাতুনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

  • ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ এক ব্যক্তি আটক


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আজ ১২ সেপ্টেম্বর ভোমরা বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘোষপাড়া আম বাগানে অভিযান পরিচালনা করে ৪২,০০০/- টাকা মূল্যের ১০৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ মোঃ আবুল হোসেন হাসান (২০), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম-কানপাড়া, পোষ্ট-ভোমরা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরাকে আটক করে। এছাড়া, উক্ত মাদক পাচারের সাথে জড়িত মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা- মোঃ নুর মোহাম্মদ গাজী, গ্রাম-ভোমরা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরা এবং মোঃ বাবু (২৫), পিতা-মোঃ জবেদ আলী, গ্রাম-লক্ষীদাড়ী, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। আটককৃত আসামি এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • আশাশুনিতে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    আশাশুনিতে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    সংবাদদাতা:
    আশাশুনিতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদেরকে হয়রানি এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন ২সেপ্টম্বর-১৯ থেকে ৮ ডিসেম্বর-১৯ পর্যন্ত। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রতিবন্ধীদের জন্য ডিভাইস ক্রয় বাবদ প্রায় ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। বরাদ্ধকৃত ৯৫ হাজার টাকা থেকে উপজেলার ৬৮নং শ্রীউলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি হুইল চেয়ার যার আনুমানিক মূল্য ১০হাজার ও ২টি চশমা আনুমানিক মূল্য ১৫০০ টাকা, মোট সাড়ে ১১হাজার টাকা খরচ করে উদ্বৃত্ত প্রায় ৮৩ হাজার টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। দায়িত্ব পালনকালে ডিজিটাল হাজিরা মিটার ক্রয়ে একটি বৃহৎ অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করায় উপজেলার অধিকাংশ ডিজিটাল হাজিরা মিটার প্রায়ই বিকল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডিজিটাল হাজিরা মিটার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, গত ২৩ অক্টোবর-১৯ স্মারক ৩.০০.০০০০.০১০.০২০.০১৯.২০১৮.১৬৫ পত্রাদেশ মোতাবেক স্ব-স্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি করে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ের কথা বলা হয়। এর পরপরই ১৪ নভেম্বর-১৯ এ সংক্রান্ত উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সমন্বয় মিটিং এ তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এজেন্ডা সমূহে সচিবালয় থেকে পাঠানো পত্রাদেশটি মিটিং এর এজেন্ডা সমূহে অন্তর্ভুক্ত না করে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ের আদেশটি গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক ক্রয় করে প্রত্যেক স্কুলে সরবরাহ করা হয়। উপজেলার ১৬৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন বলে শিক্ষকদের ধারণা । দায়িত্ব পালনকালে বাইনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রাহাতজানের সিএল আবেদনের ছুটি মঞ্জুর না করে সিএল থাকা অবস্থায় বিনা নোটিশে বিদ্বেষ প্রসূত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২ দিনের বেতন কর্তন করেন। শিক্ষকদের সাথে রুঢ় ও আসৎ আচরণের কারণে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় মিটিং এ ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল কর্তৃক আনীত প্রস্তাবে তাকে তৎক্ষনাৎ বড়দল ক্লাস্টারে বদলি করা হয়। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের পূর্বে ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস নিজ দায়িত্বে তৈরী করে উপজেলার ২৫ হাজার শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করে বলে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন কালে তিনি একই মাসে তিনটি পরিক্ষার ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের থেকে প্রশ্ন ফি বাবদ অতিরিক্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অভ্যাসগত আচরণের কারণে সাতক্ষীরা-০৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার এমপি তার বিরুদ্ধে ১৬/১০৯৫ স্মারকে ডিও লেটার প্রদান করেন। উক্ত ডিও লেটার এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা (কুষ্টিয়া) ৫৮৬/৪ স্মারকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়া নড়াইল জেলা লোহাগড়া উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে তারা অসৎ আচরণের কারণে তার বিরোধে বিভাগীয় মামলায় বলে প্রকাশ। এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বর্তমান সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, আমি দায়িত্বে থাকা কালিন প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের হিসাবটা আমি আপনাকে পরে জানাতে পারবো। আমাদের ফাইল যার কাছে আছে উনি এখন অফিসের বাইরে। বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্ব-স্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল। “কিন্তু অধিকাংশ প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য এ বিষয়ে উনারা কিছু জানতেন না উনাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি করে চেক নেওয়া হয়েছিলো” এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মাননীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি ডিও লেটার দিয়েছিল কিন্তু সেটির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাজ করতে গেলে অভিযোগ আসবে তবে সেগুলোর প্রমান মিলছে কিনা সেটিও তো দেখতে হবে। আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আপনি যে বিষয় গুলো নিয়ে বলছেন ইতপূর্বে সেগুলো সম্পর্কে আমি কমবেশি শুনেছি। তবে রবিউল সাহেবের সঙ্গে অভিযোগ গুলোর বিষয়ে কথা হলে তারপরই আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

  • সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেশাগ্রস্ত দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নারী চিকিৎসক লাঞ্চিত

    সংবাদ দাতা : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেশাগ্রস্ত দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নারী চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার পরে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    সূত্রে জানা গেছে, শহরের বাঁকাল এলাকার মৃত সঞ্জয় মোড়লের ছেলে দীপ (২৬) ইনজুরি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। ঐ সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ডাঃ শারমিন ফিরোজ দায়িত্বে ছিলেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ সঠিকভাবে রোগী দেখেন। রোগীর খিচুনী থাকার জন্য এবং নিজে নিজের মাথায় আঘাত করেছেন জানতে পেরে তিনি রোগীকে ভর্তি ব্যবস্থা করেন।

    কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ রোগীর অবস্থা জটিল এবং নেশাগ্রস্ত থাকার জন্য রোগীর লোকজনকে ডেকে বুঝিয়ে বলেন। তার মাথায় সিটি স্ক্যান করা লাগবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্রে রেফার্ডও করা লাগতে পারে। এসব কথা শোনার পরে রোগীর সাথে থাকা বাঁকাল এলাকার সৈয়দ রাফিনুর আলীর ছেলে সাইদুল জামান সাগর ও একই এলাকার মোজাফ্ফর হোসেনের গোলাম মোস্তফাসহ রোগীর সাথে থাকা লোকজন ডাক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন স্টাফ এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে।

    তারপর তারা ডাক্তারকে মারতে আসে। ডাঃ শারমিন ভিতরের রুমে গিয়ে কোন মতে নিজেকে রক্ষা করে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর লোকজন হিং¯্র হয়ে মহিলা ডাক্তারকে যা ইচ্ছে তাই বলে গালি দেয় এবং হুমকি দেয় যেখানে পাবে সেখানেই ডাক্তার শারমিন ফিরোজ কে মারবে।

    এব্যাপারে, তাৎক্ষণিক ফোনে সাতক্ষীরা সিজিল সার্জন কে জানানো হয়। ঘটনা শোনার পরে সিভিল সার্জন সদর থানা পুলিশকে অবহত করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং সিভিল সার্জনসহ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি, সিজিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার উপস্থিত হন এবং তাদের কে জরুরী বিভাগেই আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাদের সদর হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ডাঃ শারমিন ফিরোজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারনে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

  • সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক

    সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক

    মশাল ডেস্ক: চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি ও অনীয়মের মাধ্যমে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্যশিট আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালখ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির আলম এ চার্যশিট দাখিল করেন। এর আগে চার্যশ্টি দাখিলের বিষয়টি অণুমোদন দেয় কমিশন।

    দুদকের পরিচালক( গনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টচার্য জানান, সাতক্ষীরা হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটার নামে পরস্পর যোগসাজগে ষোল কোটি একাত্তর লক্ষ বত্রিশ হাজার দুইশত বাইশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে চার্যশিট দিয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন – সাবেক সিভিল সার্জন ডা: তৌহিদুর রহমান, হিসাব রক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, এ, কে, এম ফজলুল হক, মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিকের মালিক মোঃ জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোঃ আব্দুর ছাত্তার সরকার, মোঃ আহসান হাবিব, মানেজার আবু বকর সিদ্দীকি। ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের মাকিক মোঃ আশাদুর রহমান, এবং মখাখালী নিমিউ এন্ড টিসির সাবকে সহকারী প্রকৌশলীএ,এইচ, এম আব্দুস কুদ্দুস।

    তদন্তে অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ৩ টি বিলের বিপরীতে মোট (৭,৮১,৭১,৮৭৮ + ৪,৪৯,৯৫,৫৪৪ + ৪,৩৯,৬৪,৮০০) = ১৬ কোটি ৭১ লাখ, ৩২ হাজার২২২ টাকার গ্রহণপূর্বক উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে (দুদক, সজেকা, খুলনার (সাতক্ষীরা) চার্জশীর্ট নং-০৩, তারিখ-৩১/০৮/২০২০ খ্রি)

    এর আগে দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক বর্তমানে সহকারী পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরেুদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলো দুদক।

  • মকবুলের বসত বাড়ি এখন বিরান ভূমি

    মকবুলের বসত বাড়ি এখন বিরান ভূমি


    সংবাদদাতা প্রেরিত: শহরের রাধানগরস্থ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মকবুল হোসেনের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। বসত ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে বিরান ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। অথচ ঘটনার মামলা নিতে অনিহা পুলিশের। মিমাংসার মাধ্যমে বাস্তচ্যুৎ করার পায়তারা পুলিশের বলে অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের। আরো অভিযোগ গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি এ ভাঙচুর চালালেও নিরাপত্তাহীন পরিবারের পক্ষে বারবার ফোন করেও পুলিশের দেখা মেলেনি এলাকায়।
    ভুক্তভোগি মকবুল হোসেন জানান, তার বাবার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে রাধানগরের কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে আড়াই শতক জমি বিক্রির জন্য ১৯৯১ সালে চুক্তিবদ্ধ হন সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের মীরাজ আলী। জমির মালিকের কথামত তারা ওই জমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। মীরাজ আলী ১৯৯৮ সালে মারা যাওয়ার আগে ওই জমি লিখে দিয়ে যতে পারেননি। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি বলে যাওয়ায় তার ছেলেরা ওই জমি থেকে কখনো তাদের চলে যেতেও বলেননি।
    মকবুল হোসেন বলেন, অথচ মে মাস থেকে তার পরিবারকে ভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ইতোপূর্বেও কয়েকবার হামলা ও ভাঙ্গচুর করা হলেও সদও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন সহযোগিতা পাওয় যায়নি। যদি থানা কতৃপক্ষ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতো তাহলে আজ আমার পরিবাকে নিয়ে ত্রেপল টানিয়ে এই বষা মৌসুমে উম্মুক্ত স্থানে থাকতে হতো না।
    সবশেষ গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ ঘণ্টাব্যাপি সন্ত্রাসী বাহিনী বাবার হাতে গড়া ৩০ বছরের আশ্রয়টুকু ভেঙে জায়গা জবরদখলের জন্য চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসী আব্দুস সালাম, তার নৈশপ্রহরী জামাতা সাইফুল ওরফে জেরো সাইফুল, আব্দুস সবুর, মুন্নাসহ কয়েকজন। ভোর রাতে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা শাবল, হাতুড়ি, গাইতি ও কোদাল দিয়ে বাড়ির দেয়াল ও ১৩টি ক্লোবসিগ্যাল গেট ভেঙে ফেলেন। তারা জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে ঢুকে শোকেসে রাখা নগদ টাকা, সোনার গহনা, মূল্যবান কাগজপত্র মোবাইল সেটসহ ব্যবহার্য জিনিপত্র লুট কওে নেয়। ভাঙচুর করে আলমারি, শোফা সেট, সিলিং ফ্যান, গ্যাস ওভেন, চালের ড্রাম, টিনের চাল, ইলেকট্রিক মিটার, প্রেসার কুকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। পাঁচটি ক্লোবসিগ্যাল গেট, চারটি দরজা, চারটি গ্রীল ভ্যানে করে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে একটি দোকানে নিয়ে যায় । ব্যবহৃত জিনিসপত্র জমির সীমানার বাইরে প্রাণসায়ের খালের পাশে ফেলে দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ সকাল থেকে থানায় বার বার ফোন করা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ৯টার দিকে। এ সময় উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলামের সামনে তার স্ত্রী, মেয়ে, শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাকেও বিবস্ত্র করে পেটানো হয়। স্ত্রীকে ভর্তি হরা হয় সদর হাসপাতালে।
    রাত সাড়ে ১০টায় তার স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বৃহষ্পপতিবার সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও রাত ৮টা পর্যন্ত ঘটনাসন্থলে আসেননি। এমনকি কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
    এ নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১১টার দিকে সাংবাদিক, ভূমিহীন নেতা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ¡ ছুটে এসে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাজাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির সদর শাখার সভাপতি স্বপন কুমার শীল, জেএসডির কেন্দ্রিয় নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপাতি কাজী আক্তার হোসেন সহ রঘুনাথ খাঁ, শহীদুল ইসলাম, মুনসুর আলী, ভূমিহীন নেতা কওছার আলী ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের উর্দ্ধে যেয়ে যারা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে মকবুল হোসেন ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ করতে ভাঙচুর, লুটপাট শেষে বাড়ি ঘর ভেঙে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। রাধানগর সদর থানা থেকে ঢিঁল ছোঁড়া দূরত্বে হলেও ভাঙচুরের ঘটনা শুরুর তিন ঘণ্টা পর পুলিশ আসা ও পুলিশের উপস্থিতিতে নারীদের মারপিট করার সমালোচনা করেন তারা।
    অভিযোগে প্রকাশ চলতি বছরের মে মাস থেকে মকবুলের পরিবারকে উচ্ছেদেও ছক শুরু কওে একটি মহল।গত ১৪ মে মকবুল হোসেনএর বসত বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় প্রথম সালাম ও সাইফুলের নেতৃত্বে এক দফা হামলা হয়। সে ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। গত ৫ জুন সকালে দ্বিতীয় দফায় মকবুলের বাড়ি ভাঙচুর করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এ গ্রুপ। আবারো থানাতে অভিযোগ করা হলে উক্ত নিগত রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ি ৮ জুন রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের বাড়িতে বসাবসির সিদ্ধান্ত হয়।
    কিন্তু পরদিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দেও সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পরদিন ৬ জুন শুক্রবার সকালে একই চিহ্নিত সন্ত্রাসী সালাম, সাইফুল, সবুর, মুন্নাসহ ৩০/৩৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মকবুলের বাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে মকবুলের পক্ষ হতে প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই মকবুলের পক্ষ হতে ৬ জুন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানা এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনা। বার বার থানা মামলা গ্রহণ না করায় সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষরা উচ্ছেদ করার জন্য নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজামান বলেন, খবর পেয়ে উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদি হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। প্রতিপক্ষরাও একটি অভিযোগ দিয়েছে। তাই উভয়পক্ষকে মীমাংসা করে নেবেন বলে শুনেছেন।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ সোমবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা শহরের শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে।

    জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, আইন-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শহাদাত হোসেন, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।

    সাবেক দফতর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কলোরোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা যাত্রীবাহী একটি বাস রাস্তার ওপর আড় করে গতি রোধ করে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও বিএনপি নেতা রঞ্জুর নির্দেশে ওই হামলা হয়। হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাথী ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন।

    তারা জানান, এ ঘটনায় কলারোয়া থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও তৎকালীন কলারোয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘটনা মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে নারাজির আবেদন, জজ কোর্টে রিভিশন খারিজ হয়ে গেলে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট বাদী এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আপির করেন। ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আপিল মঞ্জুর হয়। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়।

    নেতাকর্মীদের বক্তব্যে আরও জানা যায়, পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে (এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি ও টিআর-১৫১/১৫) মামলাটির বিচার চলতে থাকে। আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা তিনটির কার্যক্রম যথাক্রমে ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট ও ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিত করেন। অবিলম্বে উচ্চ আদালতের দেওয়া মামলা তিনটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিম্ন আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু করে দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানান মানববন্ধনকারীরা।

  • যৌতুকের জন্য স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতন;স্বামী শ্রীঘরে

    যৌতুকের জন্য স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতন;স্বামী শ্রীঘরে


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় যৌতুক লোভী স্বামী অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার অফিসার রঞ্জন কুমার বৈদ্য’র নির্যাতনে স্ত্রী শিমুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা কাজল রাণী সরকার গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি। এঘটনায় স্বামী রঞ্জন কুমার বৈদ্যকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। হাসপাতাল বেডে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিক্ষিকা কাজল রাণী সরকার। সুষ্ঠ বিচার পেতে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ। শনিবার দুপুর ১টার সময় শহরের সুলতানপুর সাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ০৭/০৩/২০১১ইং তারিখে হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে অগ্নী স্বাক্ষী করে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের শশাডাঙ্গা গ্রামের নিতাই বৈদ্য’র ছেলে যৌতুক লোভী ও পরসম্পদ লোভী রঞ্জন কুমার বৈদ্য’র সাথে ময়মনসিং জেলার পরিতোষ সরকারের কন্যা কাজল রাণী সরকারের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ১.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, স্বর্ণের হাতের স্বর্ণের রুলি .৫+.৫ ওজনের এবং ২টি আংটি ও সাংসারিক যাবতীয় আসবাবপত্র আনুঃ ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকার জিনিসপত্র গ্রহণ করে রঞ্জন কুমার বৈদ্য’র পরিবার। বিবাহের পর দাম্পত্য জীবন চলাকালে আমার গর্ভে রঞ্জন কুমার বৈদ্য’র ঔরষে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে, তার নাম রুদ্রা (৮)। আমাদের সন্তান জন্ম গ্রহণের পরপরই আমার শ^াশুরী সবিতা বৈদ্য’র কু-পরামর্শে ও স্বক্রীয় সহযোগীতায় আমার নিকট যৌতুক বাবাদ ২৫,০০,০০০/- (পঁচিশ লক্ষ) টাকা দাবী করিয়া আমাকে আমার স্বামী শারিরীক নির্যাতন করিতে থাকে। আমার সন্তানের মুখের দিকে তাকাইয়া সংসার করিবার জন্য আমি শত নির্যাতন সহ্য করে আমি এ পর্যন্ত আমার স্বামীকে যৌতুকের টাকা বাবদ ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা দিয়েছি কিন্তু তাহাতেও ক্ষ্যান্ত না হইয়া বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকা দাবী করিয়া আমাকে নির্যাতন করতে থাকে। এমতাবস্থায় শুক্রবার বেলা আনুঃ ০১:০০ ঘটিকার দিকে আমি আমাদের রান্নার কার্য শেষ করিয়া আমার ঘরে আসিলে আমার স্বামী তার বিশেষ টাকার প্রয়োজন বলিয়া আমার নিকট যৌতুক বাবদ নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করে আমি উক্ত যৌতুক বাবদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দিতে অস্বীকার করি এবং আমি আর কোন যৌতুকের টাকা দিতে পারিব না বলিলে আমার স্বামী উত্তেজিত হইয়া ঘরের মধ্যে রক্ষিত খাটের উপর হইতে উঠিয়া আমার তলপেটে স্বজোরে লাথি মারে এবং আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মেঝেতে পড়িয়া যাই এবং আমার যৌনাঙ্গ দিয়া রক্ত ক্ষরন হতে থাকে। ফলে আমার তলপেট ও যৌনাঙ্গ জখম হয়। আমি কান্নাকাটি করিতে থাকিলে পার্শ্বের ঘর হইতে আমার শ^াশুরী আসিয়া আমাকে চড়, কিল,লাথি মারে ও এক পর্যায়ে আমার ঘরে থাকা গামছা নিয়া আমার স্বামী গলায় পেঁচাইয়া এক প্রান্তে এবং অপর প্রান্তে আমার শ^াশুরী ধরিয়া টানাটানি করিয়া আমার শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। আমি বাঁচিবার তাগিদে জোর ডাক চিৎকার ও ধস্তাধস্তি করিতে থাকিলে আমার গোঙ্গানী ও ধস্তাধস্তির শব্দে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় আমি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমি যৌতুক লোভী কসাই স্বামীর শাস্তি চায়। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, যৌতুকের জন্য স্থ্রীকে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং নির্যাতনকারী ব্যাংক কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার বৈদ্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী ও তার পরিবার।

  • কোস্ট গাডের্র অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১

    কোস্ট গাডের্র অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গত ০৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখ আনুমানিক ২০০৫ ঘটিকায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের বিসিজি স্টেশান কয়রা এর একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার অন্তর্গত পাইস্যামারী খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯০ পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৩২)। পরবর্তীতে আটককৃত ইয়াবা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন এর গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মাহমুদ সাব্বির জানান, কোস্ট গার্ড এর আওতাভুক্ত এলাকা সমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তার পাশাপাশি বনদস্যুতা, ডাকাতি দমন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কোস্ট গার্ডের জিরো টলারে›স নীতি অবল¤¦ন করে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

  • রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা কারাগারে সাহেদ

    রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা কারাগারে সাহেদ


    মশাল ডেস্ক:
    অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে করোনা টেস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলার প্রধান আসামি সাহেদ করিমকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
    গতকাল বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে খুলনা থেকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় সাতক্ষীরা আদালতে আনা হয় সাহেদকে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ এর এসআই রেজাউল করিমতে দেবহাটা আমলি আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায়।

    প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই সাহেদকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর গ্রামের লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ জুলাই আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে আনা হয়।

  • সাতক্ষীরার বাঁকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি দখল ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান বহিষ্কার

    সাতক্ষীরার বাঁকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি দখল ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান বহিষ্কার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাঁকাল জেলেপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দুদের) বাড়ি দখল ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়েছে।
    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দুদের বাড়ি দখল ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো। যার স্মারক নং- বা,আ,যু-০০৮/২০২০, তারিখ-০৩.০৮.২০২০ ।
    উল্লেখ্য , গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা মান্নানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার মুজিবর পেশকারের পক্ষে সদর উপজেলার বাঁকাল জেলেপাড়ায় নিরঞ্জন মাখাল ও পূর্ণিমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে বাধা দেওয়ায় নিরঞ্জন মাখাল, তার স্ত্রী অহল্যা, সহদেব মাখাল ও বলরাম মাখালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এঘটনায় স্থানীয়রা ওই রাতেই সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে ঝাঁটা মিছিল করলে পুলিশ মুজিবর ও তার ছেলে শুভকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর অদৃশ্য কারনে ওই রাতেই তাদের আবার ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টায় বিষয়টি নিয়ে থানায় বসাবসির কথা থাকলেও বেলা ১২ টা পর্যন্ত হামলাকারি পক্ষ থানায় আসেননি। এক পর্যায়ে নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ পাঁচজনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ১৬জনকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার জমা দিলে পুলিশ গত পহেলা আগষ্ট মামলাটি রেকর্ড করেন। যার মামলা নং-২। এ ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ পাঁচ আসামীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গত সোমবার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি প্রাণনাথ দাসের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব রণজিৎ ঘোষ, জেলা যুব মহাজোটের সভাপতি সন্দীপ বর্মণ, যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য মিলন রায়, মিঠুন ব্যাণার্জী প্রমুখ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।

  • জাতীয় শোক দিবসের মাসে ধানের শীষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নারী সংগঠনের অফিসে হামলা ভাঙ্গচুর, নারীদের শালিনতাহানি ও মালামাল লুট

    জাতীয় শোক দিবসের মাসে ধানের শীষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নারী সংগঠনের অফিসে হামলা ভাঙ্গচুর, নারীদের শালিনতাহানি ও মালামাল লুট

    মশাল ডেস্ক: কালিগজ্ঞের নলতা ইউপি চেয়ারম্যানের নিদের্শে এক দফাদারের নেতৃত্বে প্রেরনা নারী উন্নয়ন সংগঠনের অফিসে এক সন্ত্রাসী আক্রমন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা অফিসে কর্মরত নারী কর্মি গায়ে হাত দেওয়াসহ শালিনতাহানি, মারধর করে ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করা হয়।
    প্রকাশ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ হতে নলতা মৌজার খতিয়ান নং ২, দাগ নং ১৩৭৬ দুই শতক জমি ইজারা গ্রহন করে চলতি করোনা ও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ নলতা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের দাতা সংস্থার সহযোগিতায় সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। কিন্তু জেলা পরিষদের জায়গাটির প্রতি নজর পড়ে পাশর্^বর্তী জমির মালিক ভূমিদস্যু এহছানুল কবীরের। তিনি বিভিন্ন ভাবে অফিসের কাজের বিঘœতা সৃষ্টিতে নানার পায়তারা করে। গত ৩ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি নিয়ে সকলে যখন ব্যস্থ তখন জাতীয় শোক দিবসের প্রতি অশ্রদ্ঘধা দেখিয়ে স্থানীয় নলতা ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে এক শালিশীর আয়োজন করে। শালিশীতে নারীদের প্রতি কটুক্তিসহ নানান অনৈতিক কথাবার্তা চেয়াম্যানের সহযোগিরা বলে মানষিক ভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রধান নারীকে অপমানিত ও নাজেহার করার চেষ্টা করা হয়। প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষ হতে সংগঠনের স্বার্থে শালিশের শর্ত মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু শালিশী শেষ হওয়ার পরপরই নলতা ইউপি চেয়ারম্যান দফাদার এর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রেরণার অফিসে হামলা করে। হামণাকারীরা নারীদের গায়ে হাত তোলাসহ নানা ভাবে নিগৃত করে, অফিস ভাঙচুর করে, কাগজপত্র তছনছ কওে ও মুল্যবান মালামাল লুটকওে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    উল্লেখ্য বিএনপি নেতা উক্ত চেয়ারম্যান ধানের শীষ নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থিকে পরাজিত করে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের লোক বলে দাবী করেন। এবং কথায় কথায় সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রির নাম ব্যবহার করেন। অথচ ২০১৩ ও ১৪ সালে এই চেয়ারম্যান তখন বিএনপির নেতা হিসেবে নলতা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের দায়িত্ব নেতা বলেন এই সকল চিহ্নিত বিএনপিরা আজ দলে সম্পৃক্ত হয়ে দলের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করছে। জাতীয় শোক দিবসের মাসে জাতীর পিতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা দেখাতে এই সকল বসন্তের কোকিল নব্য আওয়ামীলীগারদের সামান্য অনুশোচনা হয় না।
    প্রকাশ থাকে যে, প্রেরনা নারী সংগঠনের প্রধান ধর্মিয় সংখ্যা লঘু। সে কারন বিএনপি থেকে আগত নব্য আওয়ামীলীগার চেয়ারম্যানের যত ক্ষোভ।

  • জাতীয় শোক দিবসের মাসে ধানের শীষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নারী সংগঠনের অফিসে হামলা ভাঙ্গচুর, নারীদের শালিনতাহানি ও মালামাল লুট

    জাতীয় শোক দিবসের মাসে ধানের শীষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নারী সংগঠনের অফিসে হামলা ভাঙ্গচুর, নারীদের শালিনতাহানি ও মালামাল লুট


    মশাল ডেস্ক: কালিগজ্ঞের নলতা ইউপি চেয়ারম্যানের নিদের্শে এক দফাদারের নেতৃত্বে প্রেরনা নারী উন্নয়ন সংগঠনের অফিসে এক সন্ত্রাসী আক্রমন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা অফিসে কর্মরত নারী কর্মি গায়ে হাত দেওয়াসহ শালিনতাহানি, মারধর করে ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট করা হয়।
    প্রকাশ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ হতে নলতা মৌজার খতিয়ান নং ২, দাগ নং ১৩৭৬ দুই শতক জমি ইজারা গ্রহন করে চলতি করোনা ও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ নলতা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের দাতা সংস্থার সহযোগিতায় সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। কিন্তু জেলা পরিষদের জায়গাটির প্রতি নজর পড়ে পাশর্^বর্তী জমির মালিক ভূমিদস্যু এহছানুল কবীরের। তিনি বিভিন্ন ভাবে অফিসের কাজের বিঘœতা সৃষ্টিতে নানার পায়তারা করে। গত ৩ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি নিয়ে সকলে যখন ব্যস্থ তখন জাতীয় শোক দিবসের প্রতি অশ্রদ্ঘধা দেখিয়ে স্থানীয় নলতা ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে এক শালিশীর আয়োজন করে। শালিশীতে নারীদের প্রতি কটুক্তিসহ নানান অনৈতিক কথাবার্তা চেয়াম্যানের সহযোগিরা বলে মানষিক ভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রধান নারীকে অপমানিত ও নাজেহার করার চেষ্টা করা হয়। প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষ হতে সংগঠনের স্বার্থে শালিশের শর্ত মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু শালিশী শেষ হওয়ার পরপরই নলতা ইউপি চেয়ারম্যান দফাদার এর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রেরণার অফিসে হামলা করে। হামণাকারীরা নারীদের গায়ে হাত তোলাসহ নানা ভাবে নিগৃত করে, অফিস ভাঙচুর করে, কাগজপত্র তছনছ কওে ও মুল্যবান মালামাল লুটকওে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    উল্লেখ্য বিএনপি নেতা উক্ত চেয়ারম্যান ধানের শীষ নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থিকে পরাজিত করে। বর্তমানে আওয়ামীলীগের লোক বলে দাবী করেন। এবং কথায় কথায় সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রির নাম ব্যবহার করেন। অথচ ২০১৩ ও ১৪ সালে এই চেয়ারম্যান তখন বিএনপির নেতা হিসেবে নলতা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের দায়িত্ব নেতা বলেন এই সকল চিহ্নিত বিএনপিরা আজ দলে সম্পৃক্ত হয়ে দলের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করছে। জাতীয় শোক দিবসের মাসে জাতীর পিতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা দেখাতে এই সকল বসন্তের কোকিল নব্য আওয়ামীলীগারদের সামান্য অনুশোচনা হয় না।
    প্রকাশ থাকে যে, প্রেরনা নারী সংগঠনের প্রধান ধর্মিয় সংখ্যা লঘু। সে কারন বিএনপি থেকে আগত নব্য আওয়ামীলীগার চেয়ারম্যানের যত ক্ষোভ।

  • বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়ায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর, আহত-৪, প্রতিবাদে ঝাঁটা মিছিল, সড়ক অবরোধ, থানায় এজাহার দায়ের

    বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়ায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর, আহত-৪, প্রতিবাদে ঝাঁটা মিছিল, সড়ক অবরোধ, থানায় এজাহার দায়ের

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার বাঁকালে বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে গিয়ে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দেওয়ায় এক নারীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা শহরতলীর বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ¡ সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাঁটা মিছিল নিয়ে রাতেই সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে জেলেপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
    বাঁকাল খেয়াঘাট এলাকার জেলেপাড়ার পূর্ণিমা মন্ডল, কৃষ্ণা বিশ্বাস, শ্যামলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, বংশ পরম্পরায় তারা এখানে বসবাস করে আসছেন। ভোট দেন নৌকায়। জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন তাদের উপর এতো অত্যাচার হয়নি। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার সানাউল¬াহ গাজীর ছেলে মুজিবর পেশকার স্থানীয় পুলিন মাখালের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি পাঁচ লাখ টাকায় মৌখিক ভাবে ক্রয় করেন। চলতি বছরের ৯ জুন মুজিবরের ছেলে শুভ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে সুকুমার বিশ্বাসসহ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বাধা দেওয়ায় জয়দেব মাখাল, সহাদেব মাখাল, বিশ্বজিৎ মাখাল, শ্যামলী বিশ্বাস ও সরজিত কাজীকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সুকুমার বিশ্বাস বাদি হয়ে মুজিবর ড্রাইভারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে মীমাংসার নামে কালক্ষেপন করেন। আসামীপক্ষ যুবলীগ নেতা মান্নানের কাছের লোক বিধায় দেড় মাসে পুলিশ কোন মামলা নেননি। এমনকি কোন শালিসি বৈঠক ও করেননি। পূর্ণিমা মন্ডল আরো বলেন, আগের ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় যুবলীগ নেতা মান্নানের নেতৃত্বে আবারও হামলা চালানো হয়। যার ভিডিও ফুটেজ তারা সংগ্রহ করেছেন। পূর্ণিমা আরো বলেন, এ হামলার ঘটনায় রাতেই তারা সড়ক অবরোধ করলে মুজিবর ও তার ছেলেকে পুলিশ আটক করলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় ছেড়ে দিয়ে শুক্রবার সকালে থানায় আলোচনায় বসার কথা বলেন। অথচ শুক্রবার হামলাকারিপক্ষ থানায় আসেনি।
    এদিকে, বৃহষ্পতিবার রাতেই নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ পাঁচজনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০জনকে আসামী করে এজাহার দিলেও মামলা এখনও রেকর্ড হয়নি বলে তারা জানান। তবে মামলা রেকর্ড করে আসামী মান্নানসহ অন্যদের গ্রেপ্তার না করলে আবারো সড়ক অবরোধসহ বড় ধরণের কর্মসুচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
    এদিকে, যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান রাতেই সাংবাদিকদের জানান তিনি এ ধরণের কোন হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, তিনি উভয়পক্ষকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় থানার গোলঘরে উভয়পক্ষকে ডেকেছিলেন। কিন্তু মুজিবর পক্ষ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আসেননি। তিনি আরো জানান, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে যে এজাহার দায়ের করেছেন তা আগামী কার পহেলা আগষ্ট রেকর্ড করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সাতক্ষীরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম

    সাতক্ষীরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রিমান্ডের চতুর্থ দিনে অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরায় আনা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর লাবন্যবতী নদীর ব্রীজের উপর। বিকাল ৪টা ১১ মিনিটে সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমালে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তাকে নিয়ে ৫-৭ মিনিট থাকার আবারও তাকে র‌্যাবের গাড়ীতে উঠানো হয়। এ সময় সাহেদের মুখমন্ডল হেলমেটে ঢাকা ছিল, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র‌্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট। ব্রীজের ওপর থেকেই আবারও তাকে গাড়িতে উঠিয়ে ফের খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় র‌্যাব। তদন্তের স্বার্থে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এস.আই রেজাউল ইসলাম জানান,গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।
    র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলামসহ সাহেদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত র‌্যাব সদস্যরা।
    উল্লেখ্য ঃ এর আগে গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে করোনা টেষ্ট প্রতারনা ও জালিয়াতি মামলাার আসামী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিমকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় একটি অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান র‌্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলাম। সাতক্ষীরার আমলী আদালত- ৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব কুমার রায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত সোমবারই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়।

  • নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    ন্যাশনাল ডেস্ক: নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শনিবার (২৫ জুলাই) ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের করা এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    এর আগে শনিবার সকালে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে শারমিনকে আদালতে পাঠানো হয় বলে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক।

    গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে শারমিন জাহানকে গ্রেফতার করে ডিবি রমনা বিভাগ।

    রাতেই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিসি আজিমুল হক জানান, শারমিন জাহানকে গ্রেফতারের পর শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ডিবি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মাস্ক জালিয়াতির ঘটনায় বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনও কোনও ফেইস মাস্কের বন্ধনী ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো ইংরেজিতে লেখা ‘ত্রুটিপূর্ণ’ পাওয়া গেছে। এ ধরনের ত্রুটিতে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে, মাস্ক নিম্নমানের ছিল। এর ফলে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারতো।

    ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার রাতে শারমিনকে শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। করোনা মহামারিতে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউয়ের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নকল এন-৯৫ মাস্ক দিয়েছে অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

    এর আগে মাস্ক জালিয়াতির ঘটনায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করে জবাব দেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহান।

    অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছে তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেভাবে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে, সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানায়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত শারমিনের মালিকানাধীন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল গত ২৭ জুন ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ পায়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর শারমিন ২০০২ সালে ছাত্রলীগের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটিতে কোনো পদ না পেলেও দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

    শারমিন ২০১৬ সালের ৩০ জুন স্কলারশিপ নিয়ে চীনের উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে উহানে লকডাউন শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার শিক্ষা ছুটির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে চীনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের মার্চে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল নামে মাস্ক সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

    গ্রেফতার হওয়ার আগে নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগের বিষয়ে শারমিন জাহান বলেন, ‘আমরা নকল মাস্ক সরবরাহ করিনি। এসব প্রোডাক্ট চীন থেকে ইম্পোর্টেড। এগুলোতো আমরা তৈরি করিনি। আমরা শুধু সাপ্লাই দিচ্ছি। প্রডাক্ট খারাপ হলে, বিএসএমএমইউ প্রথমবারই আমাদের বলতে পারত। আমরা সেটা যাচাই করে দেখতে পারতাম।’

  • রাষ্ট্র বঞ্চিত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে :অনুমোদনবিহীন ভাবে চলছে জেলার অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক


    বিশেষ প্রতিবেদক: জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক স্টেন্টারগুলোর অনুমোদন নবায়ন না করায় রাষ্ট্র বঞ্চিত হতে চলেছে কোটি টাকার উর্দ্ধের রাজস্ব থেকে। সরকারী বিধি বা অনুমোদনের শর্ত ভঙ্গ করে বিনা অনুমোদনে গত তিন বছর ধরে চলছে সাতক্ষীরার ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক স্টেন্টার সমুহ।
    সংশ্লিষ্ট সুত্রে প্রকাশ, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার জেলা পর্যায়ের এ ক্যাটাগরী ১ টি ৪০ হাজার টাকা, বি ক্যাটাগরীর ৪ টি ১ লক্ষ টাকা ও জেলা পর্যায়ের সি ক্যাটাগরী ২৩ টি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, উপজেলা পর্যায়ে সি ক্যাটাগরী ১৬ টি ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সি ক্যাটাগরী ৫৩ টি মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠান নবায়ন না করায় ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা উক্ত অর্থবছরে রাজস্ব প্রদান করে না। এ ছাড়া ক্লিনিক পর্যায়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জেলা পর্যায়ে মাত্র ১ টি ক্লিনিক মালিক লাইন্সেস নবায়ন করে কিন্তু ৩৭ টি নবায়ন না করায় প্রায় ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৪৪ টি ক্লিনিকের মালিকরা ১১ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার রাজস্ব ফাঁকির কর প্রদান কওে না।
    সাতক্ষীরার চলমান ৯৭ টি ডায়গোস্টিক সেন্টারের মধ্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন সনদ পায়। বাকি ৫৩ টি প্রতিষ্ঠান বিনাা নবায়নে কার্যক্রম চালু রাখে। ফলে রাষ্ট্রকে কয়েক লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয় ও বিধি ভংগ করে ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চলমান রাখে। একই ভাবে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ক্লিনিক পর্যায়ে চলমান প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে জেলার পর্যায়ের বেসরকারি ১৬ টি ও উপজেলা পর্যায়ে ১২ টি ক্লিনিকের মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের লাইন্সেস নবায়নের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। এরমধ্যে ৪টি ক্লিনিককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ হতে শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নবায়ন সনদ দেয়া হয় না। আর এ কারনে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় জেলা পর্যায়ের প্রায় ১০ টি ক্লিনিক বাবদ ৪ লক্ষ টাকা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৪৪ টি ক্লিনিক থেকে ১১ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব।
    সুত্রে আরো প্রকাশ, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলোর কোনো লাইন্সেস নবায়ন ছিল না । এদিকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৮২ টি ক্লিনিক ও ৯৭ টি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিক তাদের প্রতিষ্ঠানের লাইন্সেস নবায়নের জন্য এখনও অনলাইনে কোনো আবেদন করেন নি। গত বছরগুলোর মতো এ বছরও তারা লাইন্সেস নবায়ন না করে ক্লিনিকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে। ফলে সরকার চলতি অর্থ বছরেও ৩৮ টি ক্লিনিক এর প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৪৪ টি ক্লিনিকের পক্ষ হতে ১১ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ২৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়ত। এসব মিলিয়ে গত ৩ বছরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের মালিকরা ৪১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও ক্লিনিক মালিকরা ৬৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার রাজস্ব প্রদান না করার প্রক্রিয়া অব্যহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
    সিভিল সার্জন ডা: হুসাঈন সাফাওয়াত জানান, জেলার অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলোতে অনুমোদন না নেওয়া সুস্পষ্ট সরকারী বিধির লঙ্ঘন। আমরা জেনেও কিছু করতে পারিনা। কয়েকমাস আগে একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারা হাইকোর্টে রিট করে আবারও কিøনিকটি সচল রাখার কাজ চলমান রেখেছে। আমাদেরও কিছু প্রতিবন্ধকতা জন্য নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার মানসিতা থাকলেও করতে পারি না। তিনি বলেন, জেলার মাত্র কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার বিগত বছরের পূর্বে লাইন্সেস নবায়ন কওে ছিল। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কোনো নবায়ন সনদ নেই। এছাড়াও ডায়াগনিষ্টি সেন্টারগুলোরও একই অবস্থা। প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইন্সেস নবায়নের জন্য তাদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হলেও তারা না করে বছরের পর বছর ে প্রতারণামূলক ভাবে ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন। সুনির্দিষ্ট আইনের পরিপন্থী।
    বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক ওনার্স এসোশিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা: হাবিবুর রহমান জানান, জেলার অধিকাংশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের কোনো নিবন্ধন নেই। এসব ঘটনা স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকাংশ কর্মকর্তারাও জানেন। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্য কোনো উদ্যোগ আজও পর্যন্ত গ্রহন করেননি তারা। যা খুবই দু:খজনক। তিনি আরও জানান, জেলা সিভিল সার্জনের ঐ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করার মানসিকতা থাকলেও তার (সিভিল সার্জন) অফিসের একটি সিন্ডিকেটের জন্য করতে পারেন না তিনি। এসব মালিক ও চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কাজে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন তিনি।
    সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি পল্টু বাসার জানান, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অদক্ষতার বহি:প্রকাশে জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের মালিকরা বছরের পর বছর লাইন্সেস নবায়ন না করেও তাদের প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবার দেওয়ার নামে প্রতরণামূলক ব্যবসা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। যা আইননত অপরাধ। তিনি বলেন, জেলার এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলো অবিলম্বে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে আবারও সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে । সাধারণ রোগীরাও তাদের দ্বারা প্রতারিত হবে। এখনই তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরী।
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য নিত্যানন্দ সরকার জানান, স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মানুষের কোনো কাজে মন বসে না। তারা তখন নিজেদের মনকে ভালো রাখতে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যায়। কিন্তু জেলার কিছু প্রতাপশালী ব্যক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার খুলে রোগী ঠকানোর ব্যবসা করলেও সরকারের রাজস্ব সময় মতো দেয় না।