Category: সড়ক দূর্ঘটনা

  • সাতক্ষীরায় পিকআপ উল্টে আম ব্যবসায়ি নিহত

    সাতক্ষীরায় পিকআপ উল্টে আম ব্যবসায়ি নিহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আম ভর্তি পিকআপ উল্টে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে এক আম ব্যবসায়ি নিহত হয়েছে। বুধবার (২৮ ম) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘারিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আম ব্যবসায়ির নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রুদ্রপুর গ্রার মো. আব্দুল মজিদ এর ছেলে।

    পুলিশ জানায়, আম ব্যবসায়ি শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারের আড়ৎ থেকে আম কিনে পিকআপে করে যশোর নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় শহিদুল ইসলাম পিকআপের উপর বসে ছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘোরিয়া মোড় এলাকায় পৌঁছালে সাতক্ষীরাগামী একটি পরিবহন সাইড দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পিকআপটি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এসময় উপরে বসে থাকা আম ব্যবসায়ি শহিদুল ইসলাম গাড়ির নিচো চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে শহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।

    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

  • সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত

    সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত

    সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকায় মাটিবহনকারী ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সাতক্ষীরা-খুলনা বিনেরপোতা মেঘনা মোড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর গ্রামের আকবর গাজীর ছেলে ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক আরিজুল গাজী (২৮), যাত্রী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের সামছুর রহমান ফকিরের ছেলে আসাদুল ইসলাম ফকির (৫৫) ও একই উপজেলার সুজন সাহা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুস সেলিম (৩৫)।

    পুলিশ জানায়, আজিজুর রহমান কয়েক বছর যাবৎ মাধবকাটি গ্রামে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি তালা উপাজেলার আসাদুল ফকির ও আব্দুস সেলিমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মোড় থেকে যাত্রী হিসেবে নিয়ে মোটরসাইকেলে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সকাল ৬টার দিকে বিনেরপোতায় মেঘনা মোড়ে সাতক্ষীরাগামী একটি মাটিবহনকারী ট্রাক আজিজুরের মোটরসাইকেলে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের পাঠিয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় নানার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে নছিমনের ধাক্কায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রের মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় নানার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে নছিমনের ধাক্কায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রের মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি : : নছিমনের ধাক্কায় শাহরিয়ার হোসেন জিম(১০) নামের এক ৫ম শ্রেণীর ছাত্র নিহত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের জিরেনগাছা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিম কালিগঞ্জের বন্দকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ও বন্দকাটি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
    বন্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুচিত্রা দেবনাথ জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নানা আবু বক্কর ছিদ্দিকির সঙ্গে নানার বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল জিম। পথিমধ্যে সকাল ১০টার দিকে জিরেনগাছা মোড়ে বালিভর্তি একটি নছিমন তাকে ধাক্কা মারে। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। স্থানীয়রা নছিমনটিকে আটকাতে পারলেও চালক পালিয়ে যায়।
    আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, তিনি জিরেনগাছায় লিচু কেনার সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল জিম। এ সময় বালিভর্তি নসিমন মোড় ঘোরার সময় জিমকে ধাক্কা মারে।
    কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মামুন রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • দুর্ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরসাতক্ষীরায় পরিবহনের চাকায় পিষ্ট মাছ ব্যবসায়ি বাসারের মৃত্যু

    দুর্ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরসাতক্ষীরায় পরিবহনের চাকায় পিষ্ট মাছ ব্যবসায়ি বাসারের মৃত্যু

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দুর্ঘটনার ২২ ঘণ্টা পর দ্রুতগামি পরিবহনের চাকায় পিষ্ট মাছ ব্যবসায়ি আবুল বাসারের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
    নিহত আবুল বাসার (৫৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে।
    থানাঘাটা গ্রামের সুরাইয়া খাতুন জানান, তার বাবা আবুল বাসার তাকে মঙ্গলবার গতকাল সকাল ৯টার দিকে লাবসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মা চম্পার দরগার পরবর্তী মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এসডি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৩-২৪৭০) তার বাবার মটর সাইকেলে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে তার বাবা ও মটর সাইকেলটি পরিবহনের তলায় চলে যায়। পরিবহনটি তার বাবাকে টেনে ১০০ হাত দূরে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকা নিউরো সার্জিারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি না নেওয়ায় তাকে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ- হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
    নিহত আবুল বাসারের বন্ধু ঢাকা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সদমান সাকিব জিকো জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে বাসারের লাশ সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হবে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আবুল বাসারের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। তবে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। পরিবহনটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

  • সাতক্ষীরায় পরিবহনের ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ি গুরুতর জখম

    সাতক্ষীরায় পরিবহনের ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ি গুরুতর জখম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্রুতগামি পরিবহনের ধাক্কায় এক মাছ ব্যবসায়ি গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা- কলারোয়া সড়কের মা চম্পার দরগা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    আহত মাছ ব্যবসায়ির নাম আবুল বাসার (৫৭)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে।
    থানাঘাটা গ্রামের সুরাইয়া খাতুন জানান, তার বাবা আবুল বাসার তাকে মঙ্গলবার সাড়ে ৯টার দিকে লাবসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মা চম্পার দরগার পরবর্তী মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এসডি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৩-২৪৭০) তার বাবার মটর সাইকেলে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে মার বাবার মটর সাইকেলটি পরিবহনের তলায় চলে যায়। বাবাও গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ- হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদুজ্জামান জানান, আবুল বাশারের মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মামুন হোসেন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত পেিবহনটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।

  • সাতক্ষীরায় ধানের বস্তা ভর্তি ট্রাকের উপর শ্রমিক বহনকারি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম

    সাতক্ষীরায় ধানের বস্তা ভর্তি ট্রাকের উপর শ্রমিক বহনকারি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ধানের বস্তা ভর্তি ট্রাকের উপর শ্রমিক বহনকারি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
    নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের মন্টু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬)।
    আহতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী বাবুর্চি ফরিদা খাতুন (৫৪), একই গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু(২১), একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে শ্রমিক সর্দার এশার আলী (৪৫), হযরত আলীর ছেলে ইয়াছিন আলী (৩৫), মোকছেদ আলী তরফদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার(৩৪) সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫২), একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ট্রাকের হেলপার ইমনসহ (১৯) ২৩জন।
    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু(২১) জানান, তিনি ও তার দুলাভাই একই গ্রামের সুমন হোসেনসহ ২৪জন শ্রমিক গত ২৬ এপ্রিল শরিয়তপুর জেলার লক্ষীপুরা এলাকার ভজেশ্বর বাজারের পাশে মুজিবর মোড়ল ও শন ফকিরের ধান কাটতে যান। কাজ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তারা ২৪৫ বস্তা ধান নিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুরের সাগর হোসেনের ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-চ-১১-০৪৭৫) বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতে ঘুমের ঘোরে পড়ে যাওয়া রোধে ধানের বস্তার উপরে থাকা ১৯ জন শ্রমিককে মশারির নেট দিয়ে কোমরের সঙ্গে ট্রাকের ডালায় বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়। টুঙ্গিতে এসে তারা রাতের খাবার খান। মঙ্গলবার ভোরে ট্রাকটি যশোরের চুকনগর পৌঁছালে চালক সাগর হেলপার কাশেমপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে ইমনকে চালাতে বলেন। এ সময় ইমন বাজেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। বিষয়টি চালক সাগরকে বলার পরও তিনি কথা শোনেননি। একপর্যায়ে গাড়িটি পাটকেলঘাটা এলাকায় কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে রাস্তার বাম দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে তার দুলা ভাই সুমনসহ ধানের বস্তার উপর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ১৯জন শ্রমিক ধানের বস্তা ও ট্রাকের নীচে চাপা পড়েন। কেবিনের মধ্যে বসে থাকা তিনি ও বাউচি কাশিমাড়ি গ্রামের ফরিদা খাতুন (৫৪) ও চালকের আসনে থাকা হেলপার ইমনসহ ছয়জন জখম হন। ডালা খুলে চালক সাগর পালিয়ে যায়। এ সময় ধানের বস্তার নীচে ও ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে তার দুলাভাই সুমন মারা যায়। ফায়ার ব্রিগেড খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যান।
    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদুজ্জামান জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন ও ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে হেলপার ইমন, জাহিদুরসহ ৫ জনের জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
    পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদুর রহমান শ্রমিকবাহি ট্রাক উল্টে দ্ইুজনের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত- ১

    সাতক্ষীরায় মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত- ১

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোঃ আফজাল হোসেন মানিক(৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও ৪ বছর বয়সী শিশুসন্তান গুরুতরআহত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের রেউই বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি সদরের কুশখালি ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে।তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে মানিক বাঁশদহা থেকে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বৃষ্টি নামলে মোটরসাইকেলের চাকা স্কিড করে দ্রুতগামী মাইক্রোবাসটির সামনে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মানিক চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যান। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
    তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ইটভাটার ট্রাক মাটি বহন করে থাকে। এসব মাটি ট্রাক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে জমে যায় আর বর্ষা হলেই তার ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু জিহাদ মোঃ ফখরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় নারী নিহত

    সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় নারী নিহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাস্তা পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় তাসলিমা বেগম(৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    নিহত তাসলিমা বেগম সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা এলাকার গোপীনাথপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের স্ত্রী।
    নিহতের ছেলে মোঃ ই¯্রাফিল গাজী জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে চায়না বাংলা হাসপাতালের সামনে তার মা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি দ্রুতগতির বাস তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবিএম আক্তার মারুফ তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু জিহাদ মোঃ ফকরুল আলম খান জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। ঘাতক বাস ও তার ড্রাইভারকে খুজে বের করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

  • সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজী নিহত

    সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় ২০ হাজী নিহত

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজীদের বহনকারী বাস একটি ব্রীজের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে গেলে অন্তত ২০ হাজী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২৯ জন। সৌদি আরবের আসির প্রদেশে সোমবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে।
    রোজার প্রথম সপ্তাহে এবং ওমরাহ পালনের ব্যস্ত সময়ে এ দুর্ঘটনা ঘটল। 
    রাষ্ট্র অনুমোদিত ‘আল এখবারিয়া’ চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক খবরে জানা গেছে দুর্ঘনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। আহতের মোট সংখ্যা প্রায় ২৯ জন। 
    হতাহতরা বিভিন্ন দেশের বলে খবরে বলা হয়েছে। তবে তারা ঠিক কোন দেশের তা বলা হয় নি।  
    বেসরকারি ‘ওকাজ’ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। 
    আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
    খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। 
    হতাহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    উল্লেখ্য, সৌদি আরবের মদিনা শহরের কাছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাস ও অপর একটি ভারি যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫ বিদেশী নিহত ও আরো চারজন আহত হয়।

  • হিমাচলে বাস গিরিখাদে পড়ে স্কুলশিক্ষার্থীসহ নিহত ১১

    হিমাচলে বাস গিরিখাদে পড়ে স্কুলশিক্ষার্থীসহ নিহত ১১

    অনলাইন ডেস্ক:

    অনলাইন ডেস্ক: ভারতের হিমাচল প্রদেশে একটি বাস গিরিখাদে পড়ে ১১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী। খবর এনডিটিভির।হিমাচলের কুল্লু জেলায় স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।কুল্লুর সহকারী কমিশনার (ডিসি) আশুতোষ গার্গ বলেছেন, বাসটি সাইঞ্জ উপত্যকায় যাচ্ছিল। সাড়ে আটটার দিকে জংলা নামে একটি গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিরিখাদে পড়ে।আশুতোষ গার্গ আরও বলেছেন, দুর্ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেছেন। আহত ব্যক্তিদের কাছের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রাজ্য সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ছিল।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টুইট করে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

  • কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

    কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত


    কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানকার বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    শনিবার আনুমানিক রাত ৯টায় আল সামাল সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে কাতারে বাস করতেন।

    নিহতরা হলেন- কাতারপ্রবাসী সিলেটের ইকবাল আহমেদের ছেলে আহমেদ সাফওয়ান (২১), চট্টগ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ইসরান (২২) ও ফেনীর ফজলুল হকের ছেলে আজহারুল হক জয় (২২)।

    বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, এই তিন শিক্ষার্থীর গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারা রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে চাকা ঠিক করছিলেন। এসময় হঠাৎ একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।

    গুরুতর আহত ২ জনকে হাসপাতালের নেওয়ার পর সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় কমিউনিটি সংগঠনের পক্ষে থেকে শোক জানানো হয়েছে।

  • বগুড়ায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ১৫

    বগুড়ায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ১৫

    বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয়গাড়ীর চালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন যাত্রী। তাঁদেরকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    রবিবার (২১ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পৌরশহরের কলেজরোড নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতদের তাৎক্ষনিক পরিচয় মেলেনি।

    এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস-ট্রাক মহাসড়কের মধ্যে উল্টে পড়ে থাকার কারণে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মহাসড়কের উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে তিন কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছিল।

    শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী এসআর ট্রাভেলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬০৯৯) উক্ত স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট-১৩-০০৫৩) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চালক-হেলপার ও ট্রাকের চালকসহ মোট ছয়জন নিহত হন। সেই সঙ্গে আহত হন আরো অন্তত ১৫ জন যাত্রী। তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষনিক বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    তবে হতাহতদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান এই স্টেশন কর্মকর্তা।

  • শার্শা জিবলে তলায় পরিবহন ও লোকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ

    শার্শা জিবলে তলায় পরিবহন ও লোকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ

    আঃজলিল(শার্শাযশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল সংলগ্ন জিবলে তলা পাচপুকুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একে ট্রাভেলস ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা লুকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। ইংরেজি১৩/২ /২১ তাং শনিবার আনুমানিক ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একে ট্রাভেলস ( ঢাকা মেট্রো ব 14 -5486 ) ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী বাহি লুকাল বাস ( ঢাকা মেট্রো জ 14 -0145 )ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে বাগআঁচড়া সাতমাইল সংলগ্ন জিবলে তলা পাচপুকুর নামক স্থানে পৌছালে ঘন কুয়াশায় একে অপারের দেখতে না পারায় কারনে মুখোমুখি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এতে পরিবহন ও লোকাল বাসে থাকা অনেক যাত্রী আহত হয়। এবিষয়ে শার্শা নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ীর পরিদর্শক টিটু কুমার নাথ বলেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা লুকাল বাহী যাত্রী বাস ঘনকুয়াশা পড়ার কারনে একে অপরের দেখতে না পাওয়ায় সাইট ক্রসিং করার কারনে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে এলাকার জনসাধারণ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একান্ত প্রচেষ্টাই আহত ব্যাক্তিদের কে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেয়ন করা হয়েছে।

  • দেবহাটায় রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে মরা গাছ: বাড়ছে দূর্ঘটনা, জনদূর্ভোগ

    দেবহাটায় রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে মরা গাছ: বাড়ছে দূর্ঘটনা, জনদূর্ভোগ

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে সেকেন্দ্রা পর্যন্ত সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ মহাসড়কের দু’পাশে কঙ্কালের মতো দাড়িয়ে রয়েছে বড় বড় মরা রোড শিশু গাছ। সামান্য বাতাস বা ঝড় বৃষ্টিতেই এসব মরা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ছে রাস্তার ওপর। ফলে একসময়ে সৌন্দর্য্য বর্ধন এবং প্রাকৃতিক ভারসম্য রক্ষার জন্য লাগানো গাছ গুলো এখন জনসাধারণের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে।
    যেকোন মুহুর্তে ডালপালা ভেঙে পড়ে ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা, আহত হচ্ছেন পথচারীরা। পাশাপাশি তীব্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কের দুপাশের দোকানী ও ব্যবসায়ীরা। বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে দিনরাত ব্যস্ততম এ সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে।
    দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সখিপুর মোড়, পারুলিয়া ব্রীজের দক্ষিন পাশে সখিপুর কাঁকড়া সমিতির সামনে ও সেকেন্দ্রা মোড়ে দাড়িয়ে থাকা কঙ্কাল সাদৃশ্য বৃহদাকৃতির এসব মরা রোড শিশু গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে দূর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এতে করে তীব্র দূর্ভোগে পড়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
    চলমান দূর্ঘটনা ও দূর্ভোগ হ্রাসে এসকল মরা গাছ অবিলম্বে কর্তনের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, মরা গাছ গুলোর কারনে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি ও দূর্ভোগের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে। মুলত গাছগুলি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন হলেও সেগুলো অপসারনের জন্য উর্দ্ধত্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। আমরা এপর্যন্ত পাঁচবার চিঠি দিয়ে গাছ গুলি অপসারনের বিষয়ে উপরে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোন নির্দেশনা পাইনি। আগামীতে আবারো লিখিতভাবে জানাবো। নির্দেশনা পেলেই মরা গাছ গুলি অপসারনের ব্যবস্থা করবো।

  • ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন।
    আজ ১০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার নামক স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বুধবার গড়াই পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। বাসটি উদ্ধারের চেষ্টার সময় বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাক সেটির মাঝ বরাবর আঘাত হানে।
    এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। এসময় আরো ৩০-৩৫ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে আরো ২ জন মারা যান।
    দুর্ঘটার পরপর সড়কটির সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলের উভয় পাশে শত শত বাস ট্রাক আটকে পড়ে।
    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কালীগঞ্জ স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা দশজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। বাসটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১১০২১৪) রাস্তার উপর উল্টে পড়ে ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের মধ্যে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করি।’

  • রাঙ্গামাটিতে বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে ট্রাক নদীতে ॥ নিহত ৩

    রাঙ্গামাটিতে বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে ট্রাক নদীতে ॥ নিহত ৩

    নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ॥ রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি এলাকায় বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক নদীতে পড়ে গিয়ে ট্রাক চালক সহ তিনজন নিহত হয়েছে। নিহত তিন জনের মধ্যে আরাফাত নামে এক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি ওই ট্রাকের চালক বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

    ট্রাকটি আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার সময় পাথর নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি দিকে যাচ্ছিল। ২৪ টন পাথর বোঝাই এই ট্রাকটি ব্রীজে উঠার পর হঠাৎ করে ব্রীজ ভেঙ্গে ট্রাকটি নদীতে পড়ে যায়। এই সময়ে ট্রাকে চালক হেলপার সহ অন্য একজন ট্রাকের নিচে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ , সেনাবাহিনী ও রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে নদীতে পড়া ট্রাকের নীচ থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে। চালকের নাম পাওয়া গেলেও অন্যদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। বেইলী ব্রীজের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র পাঁচ টন এই ক্ষেত্রে ২৪ টনের ট্রাক ব্রীজে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়।

    ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি , রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটি-নানিয়রিচর সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।