Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সুন্দরবন Archives - Page 4 of 5 - Daily Dakshinermashal

Category: সুন্দরবন

  • ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘরে ফিরতে পারেনি অনেকেই

    ঘূর্ণিঝড় আইলার ৯ বছরে খুলনার কয়রা উপজেলার শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশই অরক্ষিত থাকায় যে কোন মহুর্তে ঘটে যেতে পারে আরও একটি আইলা। ৯ বছর আগে জৈষ্ঠের এক দুপুরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকুলবর্তী এলাকায় আঘাত এনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সে দিন সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে উপকূল এলাকায় ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ ভেঙ্গে প্রবাল জোয়ারে লবন পানি ঢুকে পড়ে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে এবং ভেসে যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ী, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পানিতে ভেসে মারা যায় বৃদ্ধ ও শিশু সহ ৪১ জন। ধ্বংস হয় অধিকাংশ পাকা ও কাচা রাস্তা তবে ক্ষতির পরিমাণ আজও প্রকাশ করেনি সরকারি অথবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া গৃহ হারা অনেকেই আজও বাস করছে ওয়াপদা বেঁড়ীবাঁধ অথবা সরকারি কোন জায়গায়। ২৫ মে ২০০৯ দুপুরে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে আইলার পানিতে ভেসে যায় কয়রা সদর, মহারাজপুর, উঃবেদকাশি, দঃবেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে অনেক এলাকায় আইলার স্মৃতি এখনও বহন করে চলেছে রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির ও নিম্ম মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরবাড়ী। এছাড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে আইলার স্মৃতি আজও বয়ে চলেছে সর্বনাসা পবনা বাঁধের পাশ্ববর্তী পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামে। এখানে প্রতাপ স্মরণী হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উত্তরচক কামিল মাদ্রাসায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা পারাপার। অথচ পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি ইট বিছানো পাকা রাস্তা ছিল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় চলাচল করত প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হজার মানুষ কিন্তু সেখানে এখন ৪০ থেকে ৫০ ফুট পানি থাকায় পাশাপাশি ৩ টি খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শতশত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব খেয়া নৌকায় পারাপার হতে। কিন্তু আইলার ৯ বছর পরও নির্মাণ হয়নি মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মঠবাড়ী গ্রামের এই রাস্তাটি। অনুরুপ আইলায় গৃহহারা হয়ে ৪নং কয়রা লঞ্চঘাটের পাশে, পবনা, দশাহালিয়া ও পাতাখালী গ্রামে বেঁড়ীবাঁধের উপর আজও অনেকেই বাস করছে। অপর দিকে উপজেলার কপোতাক্ষ, শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর শত কিলোমিটার ওয়াপদার বেঁড়ীবাঁধ অধিকাংশ এলাকায় ঝুকিপূর্ণ হলেও সরকারি বরাদ্ধ না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের মধ্যে দঃ বেদকাশি জোড়শিং, আংটিহারা, মাটিয়াভাঙ্গা, চরামুখা ও খাসিটানা। উঃ বেদকাশি ইউনিয়নের গাববুনিয়া, কাটকাটা, গাজী পাড়া, গাতিরঘেরি ও কাটমারচর। কয়রা ইউনিয়নের মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ২নং কয়রা, হরিণখোলা ও ৪নং কয়রা লঞ্চঘাট। মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী, দশহালিয়া, আটরা, গোবিন্দপুর ও লোকা। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া, নয়ানি, হড্ডা ও কালীবাড়ী লঞ্চঘাট। এসব এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে আমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় অধিক জোয়ারের সময় অনেক স্থান দিয়ে বেঁড়ীবাঁধ ছাপিয়ে লবন পানি ভেতরে প্রবেশ করে। এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধের যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দরকার সে পরিমাণ অর্থ না পাওয়ায় অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন জরুরি কোন বরাদ্দ এই মহুর্তে না থাকায় ক্ষতি গ্রস্থ এলাকার জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে কিন্তু অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় এবং চাহিদা মত অর্থ না পাওয়ায় সময় মত কাজ করা সম্ভব হয় না। উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আখম তমিজউদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়নের বেঁড়ীবাঁধের ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্মকর্তা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, সচিব মহোদয় কয়রা উপজেলার ঝুকিপূর্ণ বেঁড়ীবাঁধ পরিদর্শনের জন্য খুব শীঘ্রই কয়রা উপজেলায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নে এবং স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান,বিভিন্ন ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এবং গৃহহারাদের সেখানে পূর্ণবাসন করা হবে। তবে দঃ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান কবি শামছুর রহমান জানান তার ইউনিয়নে চারদিকে নদী বেষ্ঠিত এবং অধিকাংশ বাঁধ অরক্ষিত থাকায় ইউনিয়নের ৩২ হাজার জনগণ সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছে। অথচ পাউবোর কর্মকর্তাদের বার বার জানানো সত্বেও গুরুত্ব না দেওয়ায় যে কোন মহুর্তে ভেসে যেতে পারে সমগ্র ইউনিয়ন।

  • পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    পুনর্বাসিত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের হাজার হাজার পরিবার

    আজ ভয়াল ২৫ মে। সর্ব গ্রাসী আইলার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত হাজার হাজার পরিবার এখনও পূর্নবাসিত হয়নি। আশ্রয়হীন জনপদে এখনও চলছে অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান ও খাবার পানির জন্য তীব্র হা-হা-কা-র। সর্বগ্রাসী আইলা আজও উপকুলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাজার, হাজার মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বনাশা ‘আইলা’ আঘাত হানে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে। মুহুর্তের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনা জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার উপকুলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ল-ভ- হয়ে যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদী পশু আর ঘরবাড়ি। ক্ষণিকের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে লাখো পরিবার।

    লক্ষ লক্ষ হেক্টর চিংড়ি আর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় উপকুল রক্ষা বাঁধ আর অসংখ্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বনাশা ‘আইলা’র আঘাতে শুধু সাতক্ষীরায় নিহত হয় ৭৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আর আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। প্রলংয়করী আইলা আঘাত আনার ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও আশশুনির প্রতাপনগর এলাকায় মানুষের হাহাকার এতটুকু থামেনি। দু‘মুঠো ভাতের জন্য জীবনের সাথে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। আইলার পর থেকে এসব এলাকায় সুপেয় পানি সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।

    আইলা কবলিত এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ এখনও ঠিকমত সংস্কার হয়নি। ফলে উচ্চ বিত্ত থেকে শুরু করে নিম্মবিত্ত সবাই চালাচ্ছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত আইলা কবলিত এ বিশাল জনপদে খুবইকম সংখ্যক সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

    আইলা’র ভয়াবহতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ও গাবুরা ইউনিয়নে বসবাসরত মানুষের চোখে মুখে এখনও ভয়ংকর সেই স্মৃতি। আইলার আঘাতের পর থেকে গোটা এলাকা উদ্ভীদ শুন্য হয়ে পড়ে।

    কৃষি ফসল ও চিংড়ী উৎপাদন বন্ধ থাকায় গোটা এলাকাজুড়ে তীব্র কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মহীন মানুষ অনেকেই এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে বাইরে চলে গেছে। অপরদিকে, বনদস্যুদের অত্যাচারে সুন্দরবন, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর উপর নির্ভরশীল এ এলাকার মানুষের জীবন যাপন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

    ফলে বিকল্প কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছেননা উপকূলীয় এ জনপদের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। আইলার পরপরই কিছু সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কাজের বিনিময় খাদ্য প্রকল্পের কাজ হলেও এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। আর এ কারণেই ক্রমে ক্রমে বাড়ছে দরিদ্র ও হত দরিদ্রের সংখ্যা।
    এদিকে, আইলার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধগুলোর ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়ায় এবং সংস্কার না করায় সামান্য ঝড় কিম্বা বৃষ্টিতে ঝূঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে এ জনপদের কয়েক লাখ মানুষের। তাই উপকূলীয় এ জনপদের মানুষের সরকােেরর কাছে দাবি টেকসই উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বেকার জনগোষ্ঠির কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা।

  • মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বেড়েছে বনদস্যুদের অত্যাচার

    মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বেড়েছে বনদস্যুদের অত্যাচার

    বিশেষ প্রতিবেদক: সুন্দরবনে ২ মাসের মধু আহরণ মৌসুমের ১ মাস অতিবাহিত হলেও কাঙ্খিত মধু সংগ্রহ করতে পারেনি মৌয়ালরা। শুরুতে বন বিভাগের পক্ষে মৌয়ালদের সব ধরনের নিরাপত্তার বার্তা জানান দিলেও মূলত সুন্দরবনে নিত্য নতুন বনদস্যু বাহিনীর পদচারনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। ইতোমধ্যে সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা মৌয়ালরা জানাচ্ছেন এমন কথা।
    সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরন মৌসুম শুরু হয়েছে, চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। প্রতি বছর মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মধু সংগ্রহকারীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে উপকূলীয় বেড়ী বাঁধগুলো। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন বিভাগের পাশাপাশি সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও দস্যুদের দমনে বছর জুড়ে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। এতে দস্যুদের অনেকে ক্রস ফায়ারে নিহত ও গ্রেফতার হলেও মধু আহরণ মৌসুমকে ঘিরে নিত্য-নতুন বনদস্যু বাহিনীর আবির্ভাব ও তাদের অপতৎপরতায় রীতিমত কোন ঠাঁসা হয়ে পড়েছেন মৌয়ালরা।
    বন বিভাগ জানায়,চলতি বছর তারা সুন্দরবনে মধু আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ১ হাজার ৫০ কুইন্টাল এবং মোম ৫৬৫ কুইন্টাল। প্রতি কুইন্টাল আহরিত মধুর জন্য তারা মৌয়ালদের কাছ থেকে ৭৫০ টাকা ও মোম কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার টাকা হারে রাজস্ব আদায় করছেন। সেক্ষেত্রে একজন মৌয়াল প্রতি ১৪ দিনে সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু আহরণ করতে পারবেন।
    তবে ইতোমধ্যে বন ফেরৎ মৌয়ালরা জানায়,এবছর সুন্দরবনে বনদস্যুদের অতি মাত্রায় উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা প্রায়ই হানা দিচ্ছে তাদের নৌকায়। চাঁদার দাবিতে লুটপাট,নির্মম অত্যাচারের পাশাপাশি মুক্তি পণের দাবিতে অপহরণ করছে মৌয়ালদের। তারা আরো জানায়,বনদস্যুরা এবছর এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জে,এক গ্রুপের কাছ থেকে ছাড়া পেতে না পেতেই অন্য গ্রুপ এসে হানা দিচ্ছে একই পট্টিতে। এর আগে বনদস্যুদের এক গ্রুপের আক্রমণ হলে অন্য গ্রুপ হানা দিতনা একই নিশানায়। তাদের মধ্যেও ছিল অঞ্চল ভিত্তিক সিন্ডিকেট। আর এখন তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশে এবার সর্বত্র মধু ভাল পাওয়া গেলেও বনদস্যুদের বেপরোয়া অত্যাচারে এবার তাই মধু আহরণের নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে মৌয়ালসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
    এদিকে দস্যুদের অত্যাচার থেকে শুরু করে নানা সংকটে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকায় রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। কেননা,মৌয়ালদের অধিকাংশদেরই নিজস্ব পুঁজি নেই প্রতি বছর আহরন মওসুমকে সামনে রেখে মহাজনদের কাছ থেকে তারা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে যান মধু আহরণে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে অনেককেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
    অন্যদিকে মধু আহরণ মওসুমকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ভেজাল মধু তৈরি চক্র। তারা কম মূল্যে চিনি কিনে তা মধুতে মিশিয়ে বিক্রি করছেন। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিতের পাশাপাশি মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, প্রকৃত মৌয়ালরা।
    এব্যাপারে সুন্দরবনের সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা কে,এম কবির হোসেন জানান,বরাবরের মত বন বিভাগের পক্ষে মৌয়ালীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও বিস্তীর্ণ সুন্দরবনের ব্যাপক সংখ্যক মৌয়ালদের নিরাপত্তায় সীমিত জনবল নিয়ে পাহারা দেওয়া কষ্টসাধ্য।
    সব মিলিয়ে সুন্দরবনে বিভিন্ন বনদস্যু গ্রুপের অত্যাচার থেকে শুরু করে নানা সংকটে এবার মধু আহরণ লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে মৌয়ালরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণ করতে গিয়ে দলবদ্ধ মৌমাছির কামড়ে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের সাপখালী নামক স্থানে মধু আহরনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
    নিহতের নাম হযরত আলী (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের আইজুদ্দিন তরফদারের ছেলে।
    নিহতের চাচাতো ভাই মিলন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, সুন্দবনের সাপখালী নামকস্থানে কেওড়া গাছে উঠে মধু আহরণের সময় দলবদ্ধ অসংখ্য মৌমাছি তাকে আক্রমন করে। এ সময় মৌামাছির কামড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা অন্যান্য মৌয়ালরা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে তরমুজ চাষে কৃষকদের বিপ্লব

    সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে তরমুজ চাষে কৃষকদের বিপ্লব

    সেলিম হায়দার: আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও গত বছর দাম ভাল পাওয়ায় এবার পাইকগাছায় লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শ’ হেক্টর বেশি (৪১০ হেক্টর) জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে পানির অভাবে তরমুজ আবাদ মাজ পথে বিঘিœত হলেও ফলন ভাল হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে উপজেলায় তরমুজের আবাদ আরো বাড়তে পারে।
    উপজেলা কৃষি বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, পাইকগাছার ২২ নং পোল্ডার ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া ও কুমখালীতে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজ চাষ করছেন সেখানকার কৃষকরা। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও সেখানকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ঐ এলাকা উপজেলার তরমুজ চাষের জন্য সমৃদ্ধ। এখানকার তরমুজের ব্যতিক্রমী স্বাদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাই এর চাহিদা ও দামও অপেক্ষাকৃত বেশী। সুন্দরবন উপকূলীয় ও চিংড়ি চাষ অধ্যুষিত জনপদে যখন পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়ি চাষ দিন দিন প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে তরমুজের আশা জাগানিয়া সম্ভাবনা স্থানীয় কৃষকদের পথ দেখাচ্ছে নতুন আলোর।
    স্থানীয়রা জানান, তরমুজ চাষে শুধু চাষীরাই নয়, উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যায় কর্মসংস্থান হয় এলাকার শ্রমজীবিদের।
    কৃষি অফিস জানায়, চাষাবাদে গত কয়েক বছরে কৃষকদের সাফল্য ও উৎসাহের উপর নির্ভর করে এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকরা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ৪১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড পাকিজা ও ড্রাগণ জাতের তরমুজের আবাদ করেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে আবাদ হয়েছে পাকিজা ও ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন জাতের তরমুজ। কৃষি অফিস আরো জানায়, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারে চাষ হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৮০ হেক্টর ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া কুমখালী এলাকায় বাকি ৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
    কৃষি অফিস ও সংশ্লিষ্ট চাষীরা জানান, মৌসুমের শুরুতে সেচের জন্য পানির সংকট না থাকলেও এবছর বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় শেষ দিকে পানির চরম সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডার এলাকার চাষীরা রীতিমত বিপাকে পড়েন। মূলত ঐসময় স্থানীয় খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের পানির এ সংকট বলে জানান তারা।
    এ ব্যাপারে উপজেলার কালিনগর গ্রামের মিন্টু বালা জানান, তিনি এবছর ১২ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। তবে শেষের দিকে খালে পানি না থাকায় পাইপ দিয়ে কয়েক শ’ মিটার দূর থেকে পানি এনে ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে। তবে এবার গতবারের চেয়ে আবাদ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজ মৌসুম শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে। তার ধারণা, বিঘা প্রতি এবছর প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে তার। সেখানকার আরেক চাষী পার্বতী সানা জানান, তাদের এলাকা তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হলেও সেচ ব্যবস্থা না থাকায় শুরুতেই নানা মুখী সংকট তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে অনেক দূর থেকে পাইপযোগে পানি এনে চাহিদা মেটাতে হয় তাদের।
    এব্যাপারে চাষী ও শ্রমিক লতিকা ও কামনা বালা জানান, তরমুজ উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যা করে ঘন্টা প্রতি ৫০ টাকা হারে অতিরিক্ত আয় করে থাকেন তারা। চাষী মেঘনা বালা জানান, তাদের উৎপাদিত তরমুজ পর্যায়ক্রমে ২/৩ বারে তরমুজ উঠাতে হয়। এরপর তা পাঠানো হয় ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, তার এলাকার ২২ নং পোল্ডার তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। গত বছর ঐ এলাকা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছিল। দ্বিগুণ আবাদ ও ফলন ভাল হওয়ায় এবছর প্রায় ৪০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    তবে তরমুজ চাষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান পানির জন্য আগ্র হারিয়ে ফেলছেন সেখানকার অনেক কৃষক। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডরের ৫ টি ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যরে একটি খাল রয়েছে। জনপদের কৃষকরা বিভিন্ন ফসল আবাদে এই খালের পানি দিয়েই চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। তবে দীর্ঘ দিন সংষ্কারের অভাবে হ্রাস পেয়েছে খালটির পানি ধারণ ক্ষমতা। তাই মৌসুমের শেষের দিকে খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষেতের সেচ করাতে অনেক দূর থেকে পাইপ যোগে পানি এনে চাহিদা পূরণ করতে হয় তাদের। এতে খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে অনেকেই তরমুজ চাষের আগ্রহ হারাচ্ছেন। তার দাবি খালটি খননপূর্বক মিঠা পানির নিশ্চিত উৎস্য তৈরী হলে তরমুজের পাশাপাশি অন্যান্য চাষাবাদেও তাদের বেঁচে থাকার অন্যতম প্রাণ কৃষকরা ঘটাতে পারে এক ভিন্ন মাত্রার বিপ্লব।
    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএইচ এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা ঐ অংশে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজের আবাদ ভাল হওয়ায় সেখানকার কৃষকরা এখন তিল চাষের পরিবর্তে তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। যে কারণে এবার সেখানে লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। তার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও দাম ভাল পাওয়ায় সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদের কৃষকরা আশা জাগানিয়া তরমুজ চাষে ঘটাতে পারেন এক নতুন বিপ্লব।

  • উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছায় বাগদা চিংড়িতে মড়কের হানা

    বিশেষ প্রতিবেদক: উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই পাইকগাছার অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে মড়ক রোগ। চাষীরা কারণ হিসেবে এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মরা চিংড়িতে কোন রোগ বালাইয়ের চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছেননা। অন্যদিকে এনজিও’র দাবি পানি ও খাদ্যই চিংড়ির ব্যাপক মড়কের জন্য প্রধানত দায়ী। তবে কোন পদ্ধতিতেই রোধ করা যাচ্ছেনা বাগদা চিংড়ির এ মড়ক। জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহ চিংড়ির উপযোগী লবন পানির স্বাভাবিক পরিবেশকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ। এমন অবস্থায় চিংড়ির বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ভবিষ্যত নিয়েও নানাবিধ আশংকা তৈরী হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন লোনা পানির জনপদের অধিকাংশ চাষীরা।
    উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সুন্দরবন উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমান ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতেই আবাদ হয় লবণ পানির চিংড়ির। মৎস্য অফিস জানায়, এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সংকটে গত দু’বছর উৎপাদন ভাল হয়নি। সেবার মৎস্য অধিদপ্তর চিংড়ি উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার মেট্রিক টন।
    তবে গত বারের ন্যায় এবারো মওসুমের শুরুতেই ব্যাপক হারে চিংড়ির মড়কে একদিকে যেমন আশংকা তৈরী হয়েছে লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার, অন্যদিকে শুরুতে পোনার দাম ও জমির হারি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় আন্তর্জাতিক বজারে দেশের চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম ভাল না থাকায় আগামীতে চিংড়ি চাষে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটাই মনে করছেন চিংড়ি সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ।
    প্রসঙ্গত ৮০’র দশক থেকে সুন্দরবন উপকূলীয় কৃষি অধ্যুষিত এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয় লবন পানির চিংড়ি চাষ। শুরুতেই উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দাম ভাল থাকায় মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চিংড়ির চাষাবাদ। সোনার ধান, সোনালী আঁশ, সবুজ সবজি আর শষ্যের পরিবর্তে দিগন্ত জোড়া মাঠের সব দিকেই বিস্তার লাভ করে রুপালী পানি।
    ফসলের জন্য আর দীর্ঘ অপেক্ষা নয়,সকাল-সন্ধ্যা ঝাঁঝালো গন্ধের চিকচিকে পানির নিচ থেকে উঠতে থাকে সাদা সোনা বাগদা। কিছুদিনের মধ্যে পাইকগাছাকে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য বিশেষায়িত করা হয় “সাদা সোনার রাজ্য” হিসেবে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটি পতি বনে যান চিংড়ি চাষের সাথে সম্পৃক্তদের অনেকেই। তবে মূল জমির মালিকদের অবস্থা চলে যায় আরো তলানিতে। জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষি শষ্যও আসেনা চাহিদানুযায়ী জমির হারিও পায়না। এক সময় জীবিকার ভিন্ন উপায় ও ঋণের দায় মেটাতে ঘেরের জমিটুকুও বাধ্য হয়ে তুলে দেয় ঘের মালিকদের কাছেই।
    তবে ১ থেকে দেড় দশকের মধ্যে ১৯৯৫ সালের পর থেকে চিংড়ি ঘেরে শুরু হয় “ভাইরাস” বা মড়ক রোগ সংক্রমন। ধীরে ধীরে তা বিস্তার লাভ করায় পুরোপুরি লাভের মুখে থাকা চিংড়ি শিল্পে নেমে আসে আকস্মিক ধ্বস। এভাবে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অনেকেই লাভের আশায় বছরের পর বছর ধার-দেনা করে চাষাবাদ টিকিয়ে রাখে। সফলতা না আসায় এক সময় চাপ সইতে না পেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। মাঝের দু’এক বছর কিছুটা ভাল হওয়ায় ফের কোমর বেঁধে মাঠে নামেন চাষীরা। তবে মাত্র এক বছর পর মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি ঘেরে আবারো মড়ক অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্ধের উপক্রম হয়েছে সম্ভাবনাময় এ শিল্প।
    চিংড়ি চাষী নোয়াকাটির জাহাঙ্গীর আলম,কাশিমনগরের শেখ রবিউল ইসলাম,নজরুল শেখ,জাহাঙ্গীর শেখ,প্রতাপকাটির বজলু জানান, এবছর মওসুমের শুরুতেই তাদের ঘেরে দেখা দিয়েছে চিংড়িতে মড়ক। এখন পর্যন্ত অনেকে দু/এক কেজি মাছও বিক্রি করতে পারেননি তারা। অনেক ঘেরে প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় অবমুক্ত’র সকল মাছই মরে সাবার হয়ে গেছে।
    ব্যাপক হারে অব্যাহত চিংড়ি মড়ক আসলে কি ভাইরাস সংক্রমণ? নাকি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব? এনিয়ে চিংড়ি চাষী, মৎস্য অধিদপ্তর ও চিংড়ির উপর মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এনজিও গুলোও পরষ্পর বিরোধী কারণ দাবি করছে। চাষীরা এটাকে ভাইরাস সংক্রমণ বললেও মৎস্য অফিস মৃত চিংড়িতে খুঁজে পাচ্ছেননা কোন সংক্রমণ চিহ্ন। আর এনজিও গুলোর দাবি,পানি ও খাদ্য সমস্যাই প্রধানভাবে চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য দায়ী।
    এ প্রসঙ্গে চিংড়ি চাষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বে-সরকারি সাহায্য সেবী প্রতিষ্ঠান নিউ সানের এ্যাকুয়াকালচার প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সুকুমার অধিকারী বলেন,চিংড়ি চাষে মড়ক রোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাটি ও পানি পরীক্ষা এবং তার সঠিক পরামর্শ প্রদানই তাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তারা নিয়মিত চাষীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উঠন বৈঠক করছেন। এ উপায়ে সফলতা এসেছে বলেও দাবি এ এনজিও কর্তার। তিনি বলেন, মাটি ও পানি দূষণ এবং চাষীদের অজ্ঞতাই চিংড়ির ব্যাপকহারে মড়কের জন্য প্রধানভাবে দায়ী।
    উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, মড়ক আক্রান্ত ঘেরের চিংড়িতে এখন পর্যন্ত তারা কোন জীবাণু বা সংক্রমণের চিহ্ন খুঁজে পাননি। তবে চিংড়ির এ ব্যাপক ভিত্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে না পারলেও মহস্য কর্মকর্তা, জলবায়ু পরিবর্তনে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড দাবদাহে চিংড়ির লবন পানির উপযুক্ত পরিবেশ বাঁধাগ্রস্থ ও খাদ্য দূষণে মাছের মড়ক লাগতে পারে বলে মনে করেন।
    এদিকে চিংড়ির মড়ক রোধে বিভিন্ন কোম্পানি বাহারী সব প্রচারে বাজারজাত করছে নানাবিধ প্রতিষেধক। অনেকে আবার পরিবেশ বান্ধবের ধুয়ো তুলে নিজেদেরকে চিংড়ি বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও মূলত তাদের কারো কোন পরামর্শেই চিংড়ির মড়ক রোধ না হওয়ায় মূলত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।

  • সুন্দরবন রক্ষায় ৭৬ টি ক্যাম্পে পাহারায় মাত্র ১৭৮ বনরক্ষী

    নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র,র্ পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়েি চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষার্ কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়েি চলছে এর রক্ষাণাবক্ষণে। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধাি থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশনেংি ও ঝুঁকভািতা,র্ সবন¤œি বতনে স্কলে নয়েি বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারননো সরকারি ছুটগুিলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবািরকে দয়ো হয়না কোন বতনে-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকূিলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষার্ কাযক্রম।
    বন বভািগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলোিমটাির আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমািণ ৪ হাজার ১৪৩র্ বগ কলোিমটাির। আর জলভাগরে পরমািণ ২ হাজার ৮৭৪র্ বগ কলোিমটাির।র্ পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভক্তি সুন্দরবন বনবভািগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছ।েে সুন্দরবনরে মধ্য দয়েি শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহত।ি এ সকল খাল-নদী পর্রদশিনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলয়িেি বন প্রহরী রয়ছনেে মাত্র ১৭৮ জন। বর্স্তীিণ সুন্দরবনরে নরািপত্তায় নরস্ত্রি অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়েি পাহারার্ কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়,র্ পার্শ্ববতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশের্ কর্মরতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভািগ খুলনা রঞ্জরেে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বর্নকমী বলন,ে বনরে ভতরে নয়মিতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নই।ে এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তেি দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতরে সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটর্ওেয়াক।
    তনিি আরো বলন,ে নয়মিতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমররিে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকূিলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলন,ে দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরওে কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররণোর অভাবে কখনো কখনো তারা নরুিৎসাহতি হয়ে পড়ন।ে ভুক্তভোগী বর্নকমীরা জানান, পুলশি বভািগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশনে, ঝুঁকি ভাতা,র্ কমরত অবস্থায় নহতি পরবািররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভািগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগর্ দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখতিি আবদনে করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকটিা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতরিি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়দৈ অলয়াির রহমান মলনি সাংবাদকদিরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতেি করা আবদনেটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতািয় আটকে গছেের্ অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভগিীয় বনর্ কর্মকতা বলন,ে বন বভািগরে স্টাফদরে দাবরি বষয়িটি বভন্নিি সময়র্ ঊধ্বতনর্ কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছ।েে
    িিজিস্ব প্রতবিদেক: আধুনকি নৌযান থকেে শুরু করে আগ্নয়োস্ত্র, র্পযাপ্ত জনবলসহ নানা সংকটে এক প্রকার খুড়য়িে চলছে বশ্বি ঐতহ্যি সুন্দরবন রক্ষা র্কযক্রম। ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার সুন্দরবনরে ৭৬ টি ক্যাম্পরে মাত্র ১৭৮ জন বনরক্ষী দয়িে চলছে এর রক্ষাণাবক্ষেণ। আধুনকি সকল সুযোগ-সুবধিা থকেে বঞ্চতি এসব বনরক্ষীদরে নইে রশেনংি ও ঝুঁকভিাতা, র্সবন¤িœ বতেন স্কলে নয়িে বনরে গহীনে অবস্থানরতরা ভোগ করতে পারনেনা সরকারি ছুটগিুলো। নানা সংকট ও সমস্যায় কারো মৃত্যু হলওে তাদরে পরবিারকে দয়ো হয়না কোন বতেন-ভাতা। এমন শত সংকট ও প্রতকিূলতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা র্কাযক্রম।
    বন বভিাগ জানায়, ৬ হাজার ১৭ কলিোমটিার আয়তনরে সুন্দরবনরে স্থলভাগরে পরমিাণ ৪ হাজার ১৪৩ র্বগ কলিোমটিার। আর জলভাগরে পরমিাণ ২ হাজার ৮৭৪ র্বগ কলিোমটিার। র্পূব ও পশ্চমি এ দু’ভাগে বভিক্ত সুন্দরবন বনবভিাগে মোট ৪টি রঞ্জে রয়ছে।ে সুন্দরবনরে মধ্য দয়িে শতাধকি খাল ও নদী প্রবাহতি। এ সকল খাল-নদী পরর্দিশনে ৭৬টি ক্যাম্প থাকলওে সব মলিয়িে বন প্রহরী রয়ছেনে মাত্র ১৭৮ জন। বস্তর্িীণ সুন্দরবনরে নরিাপত্তায় নরিস্ত্র অল্প সংখ্যক বন রক্ষীদরে দয়িে পাহারা র্কাযক্রম তাই মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছ।ে
    সূত্র জানায়, র্পাশ্বর্বতী দশে ভারতরে সুন্দরবন অংশে র্কমর্রতাদরে ঝুঁকি ভাতা দয়ো হয় ২ লাখ টাকা। সুন্দরবনরে পশ্চমি বনবভিাগ খুলনা রঞ্জেরে ভোমরখালী টহল ফাঁড়রি জনকৈ বনর্কমী বলনে, বনরে ভতের নয়িমতি টহলরে জন্য তাদরে কোনো আধুনকি নৌযান নইে। এক ফাঁড়ি থকেে অন্য ফাঁড়তিে দ্রুত কোনোভাবে পৌঁছানো যায় না। বনরে ভতের সব জায়গায় কাজ করনো মোবাইল মোবাইল নটেওর্য়াক।
    তনিি আরো বলনে, নয়িমতি বনদস্যু, বাঘ ও কুমরিরে সঙ্গে লড়াই করে তাদরে সুন্দরবনে কাজ করতে হয়। তারপরও ইচ্ছা থাকা স্বত্তওে নানা প্রতকিূলতায় অনকে কাজ তারা করতে পারনে না। এসময় তনিি আরো বলনে, দায়ত্বি পালনকালে ঝুঁকি ভাতা তো দূররে কথা, ভালো কাজরেও কোনো স্বীকৃতি পাননা তারা। অনুপ্ররেণার অভাবে কখনো কখনো তারা নরিুৎসাহতি হয়ে পড়নে। ভুক্তভোগী বনর্কমীরা জানান, পুলশি বভিাগরে ন্যায় শতভাগ ফ্যামলিি রশেন, ঝুঁকি ভাতা, র্কমরত অবস্থায় নহিত পরবিাররে জন্য এককালীন অনুদান এবং সুন্দরবনসহ অন্যান্য বন বভিাগরে জন্য শতকরা ৩০ ভাগ র্দুগম ভাতা পাবার জন্য সংশ্লষ্টি বন মন্ত্রণালয়রে আগে লখিতি আবদেন করা হলওে সাড়া না পাওয়ায় খানকিটা হলওে হতাশ তারা।
    বাংলাদশে বনপ্রহরী কল্যাণ সমতিরি সুন্দরবন পশ্চমি আঞ্চলকি শাখার সভাপতি সয়ৈদ অলয়িার রহমান মলিন সাংবাদকিদরে জানান, বন রক্ষীদরে দাবতিে করা আবদেনটি বন মন্ত্রণালয় পার হয়ে লাল ফতিায় আটকে গছেে র্অথ মন্ত্রণালয়।ে
    পশ্চমি সুন্দরবনরে বভিগীয় বন র্কমর্কতা বলনে, বন বভিাগরে স্টাফদরে দাবরি বষিয়টি বভিন্নি সময় র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।ে

  • স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি হরিনগর বধ্য ভূমি

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও শ্যামনগর উপজেলার হরিনগরের বধ্যভূমিটি এখন পর্যন্ত সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শ্যামনগরের এ স্থানে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী এক সঙ্গে ২৮ জনকে বেধে গুলিকরে হত্যা করেছিল। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ৫ জন। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর সোমবার পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, নিলম্বর মন্ডল, জিতেন্দ্র মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুরেন্দ্র মন্ডল, খগেন্দ্র মন্ডল, রামেশ্বর মন্ডল, কালীপদ মন্ডল, হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, ড. বিহারী মন্ডল, অধীর মন্ডল, অধর মন্ডল, বিপিন মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল, দাউদ গাজী, হাতেম গাজী, আদম গাজী, সৈয়দ গাজী, বিপিন পাটনী, আঃ বারী সানা, কৃষ্ণপদ গাইন, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাষ প্রমুখ। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন গিরেন মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, বৈষম মন্ডল ও সূর্য কান্ত মন্ডল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলে একেবারেই ছিলনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। যে কারণে শ্যমনগরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সুন্দরবনের নদী খাল অথবা গ্রামের গাঘেষা নদী ব্যবহার করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর আস্থানা গেড়েছিল তৎকালীন শ্যানগর থানার বর্তমান উপজেলার মুন্সীগঞ্চ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে। পানি উন্নায়ান বোর্ডর বাংলোতে ও হরিনগর মথুরাপুর গ্রামের কয়েকটি স্থানে ব্যাংকার খুড়ে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আর পাখির মতো হত্যা করতো ঐ এলাকার নিরীহ সংখ্যালঘু মানুষসহ সাধারণ মনুষ কে।
    এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন, আব্দুল ওয়াজেদসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অরক্ষিত বধ্য ভূমিটি সংরক্ষণের দাবি বার বার তুলে ধরেও ব্যর্থ হয়েছেন। আজ পর্যন্ত একাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারাই সরকার পরিচালনা করেছে কেওই নজর দেয়নি এই আলোচিত বধ্যভূমির দিকে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই হরিনগর বধ্য ভূমিটি দৃশ্যমানভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

  • জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে নির্মিত হচ্ছে স্লুইজ গেটের রেলিং

    জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে নির্মিত হচ্ছে স্লুইজ গেটের রেলিং

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: বৃহত্তর শ্যামনগর উপজেলার পর্যটন সড়ক মুন্সিগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে (গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে) মুন্সীগঞ্জ বাজারস্থ্য স্লুইজ গেটের রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্যসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জলবায়ু পরিষদের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    উপকুলীয় এলাকায় ৬০ এর দশকের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আওতায় কৃষি কাজের উদ্দেশ্যে পোল্ডার বাঁধ নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে প্রতি দিন শতশত ভারী যানবাহনে যাতায়াত করতে শুরু করে। এখানে ৪ টি ইউনিয়ন গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষ্যাধিক মানুষ এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে জেলা ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে। মুন্সীগঞ্জ বাজারটি নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রয়ের প্রান কেন্দ্র, এছাড়া অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ও ৩ টি স্থানে মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্র, ৯ টি স্কুল, ২ টি কলেজের শিক্ষীর্থী, ৮ টি চিংড়ী ও কাঁকড়া হ্যাচারীর মালামাল এই স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল বাংলাদেশকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করায়, পর্যটন শিল্পোউন্নতি করতে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলে সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক, হোটেল-মোটেল, কমিউনিটি গেষ্ট হাউজ, রেস্টুরেন্ট। রেলিং নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে।

    মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কলবাড়ীতে প্রায় ৮০ একর জায়গাতে ৩ নদীর মোহনায় গড়ে উঠেছে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। এই বিনোদন মূলক পার্কে প্রতিদিন আগত দর্শনার্থীদের স্লুইজ গেটের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদ উপকূলীয় অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন, স্লুইচ গেট, জলাভূমি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমি তাদের কাজে সবসময় সহযোগীতা করি।

  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
    কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

    ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।

    কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
    অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।


    এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল।

  • জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে গতকাল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। তিনি এসেই বলেন, ‘আমি রুটিন মাফিক পরিদর্শনে এসেছি।’ এসময় ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পালাতক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধের দূর্ণীতির অভিযোগ সম্বলিত কাগজপত্র তার নিকট জমা দিতে গেলে তিনি ‘নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে নিতে বলেন’।

    উক্ত তদন্ত কর্মকর্তার দূর্ণীতিবাজ বিএনপির সন্ত্রাসী নেতার পক্ষ গ্রহণ করায় প্রথম থেকেই উপস্থিত জনতা ও ইউপি সদস্যরা মনে মনে ক্ষব্ধ হতে থাকে। এমতাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় সবাই বিক্ষেভে ফেটে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান অভিযোগ গ্রহণ করেণ।

    গত সোমবার বিকেলে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার, সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। উপস্থিত ইউপি সচিবসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।

    তদন্তকালে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যা তার নিজ হেফাজতে আছে।
    বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা কিভাবে ২০১৩ সালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত বর্তমানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষে ভূমিকা গ্রহণ করায় স্থানীয় জনগণ ও সুধীমহলের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মত তদন্তকর্মকর্তার ভূমিকা বতর্মন সরকারের রাজনৈতিক চেতনার প্রতিপক্ষ!

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।

    তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমে আলিম চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং সকল কাগজপত্র গহণপূর্বক জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে উপস্থিত সদস্য ও জনগণকে আশ্বস্ত করে এলাক ত্যাগ করেন। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের অভিমত চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির সহযোগী ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

  • পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মিড-ডে-মিল কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার পরিবেশন করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।

    বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জি,এম,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আমজাদ আলী গাজী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক মুজিবর রহমান, ফাতেমা খাতুন, ছায়রা বেগম, আব্দুস সালাম, সমীরণ, খাবার প্রদানকারী অজিয়ার রহমান, পায়েল জামান, শিক্ষার্থী আসমা ও পলি খাতুন।

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্ম হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ ইউরেনাস ও শনি। ১৭ তারিখে জন্ম হবার কারণে আপনার উপর শনির প্রভাব প্রবল। আপনার শুভ সংখ্যা: ৮,১৭,২৬। শুভ বর্ণ: নীলা ও গোলাপী। শুভ বার ও গ্রহ : রবি ও শনি। শুভ রতœ: গার্নেট ও নীলা।

    চন্দ্রাবস্থান:আজ চন্দ্র তুলা রাশিতে অবস্থান করবে। ৬ষ্ঠী তিথি সকাল : ০৯:৫৬ পর্যন্ত, পরে ৭মী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল):আজ বন্ধের দিনে মেষ রাশির জাতক জাতিকারা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন। জীবন সাথীকে নিয়ে বই-মেলায় ঘুরতে যেতে পারেন। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায় ভালো আয় হতে পারে। আজ অংশীদারী ব্যবসায় অংশীদারের সাথে কোনো নতুন সাইট ভিজিটে যেতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ প্রবল।

    বৃষ রাশি ( ২১ এপ্রিল-২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতিকারা সাংসারিক কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে পারেন। গৃহে কোনো অতিথির আগমনের সম্ভাবনা। কাজের লোকেদের ওপর অকারনে চেচামেচি না করাই ভালো। আপনার মূল্যবান দ্রব্যাদি সাবধানে রাখুন। বাহিরে বেড় হওয়ার সময় মূল্যবাণ দ্রব্যাদি সতর্কতার সাথে বহন করুন। হটাৎ ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

    মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): মিথুনের বন্ধুরা আজ সন্তানের সাথে ভালো সময় কাটাতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের বই মেলায় বেড়াতে যাওয়ার যোগ প্রবল। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো পার্কে বেড়ানোর সুযোগ চলে আসবে। শিল্পীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। চিত্রকর ও নাট্যাভিনেতারা বন্ধের দিনেও ব্যস্ত সময় পার করবেন।

    কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): পারিবারিক কাজে ব্যস্ততার দিন। গৃহ সংস্কার বা কোনো ফার্ণিচার মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। বাড়ীতে আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। যানবাহ লাভের যোগ প্রবল। কোনো আত্মীয়র সহায়তায় কিছু সম্পত্তি সংক্রান্ত কাজের সমাধান হতে পারে।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেশীদের কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ভালো সংবাদ আশা করা যায়। ছোট ভাই বোনের সাথে কোনো মেলায় বেড়াতে যেতে পারেন। সাংবাদিক ও প্রকাশকদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আর্থিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। আজ খাদ্য ব্যবসায়ী ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ভালো আয় করতে পারবেন। খুচরা বিক্রেতাদের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ীতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর আগমন হতে পারে। আজ কোনো ব্যক্তিগত ধারের টাকা ফেরত পেতে পারেন।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। কোনো আলোচনা সভায় আপনার সিদ্ধান্তকে সকলে মেনে নিতে পারেন। শারীরিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। মনের জোর ফিরে পাবেন। কোনো বন্ধুর সাহায্য পেতে পারেন। ব্যবসায়ীরা কোনো সুদূর পরিকল্পনা করতে চলেছেন। কাজ কর্মে জীবন সাথীর সাহায্য পাবেন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): আজ কোথাও ভ্রমনে যেতে পারেন। বৈদেশীক কাজে ব্যবসায়ীদের বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। ব্যয় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায় কোনো চুক্তি করতে পারেন। বিদেশ থেকে কোনো ভালো সংবাদ পেতে পারেন। কোনো আত্মীয়র দেশে আগমনের যোগ দেখা যায়।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): আজ বড় বোনের বিয়ের যোগ প্রবল। বন্ধুর সাথে কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যবসায় কিছু লাভের আশা করা যায়। বিদ্যার্থীরা কিছু অর্থ সাহায্য পেতে পারেন। ঠিকাদারদের আজ কোনো মিটিং এ অংশ নেবার সম্ভাবনা প্রবল।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সামাজিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। কোনো স্কুল কলেজ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। সরকারী চাকরীজীবীদের ভ্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক কোনো নেতার সাথে আজ দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিদেশ সংক্রান্ত কাজে কোনো পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আজ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মীক কাজে কোথাও যেতে পারেন। কোনো মাজার বা দরগাহতে জিয়ারতের সম্ভাবনা বেশী। বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে চলেছেন। জীবীকার জন্য হটাৎ করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। বৈদেশীক কাজের সাথে সম্পৃক্তদের দিনটি ব্যস্ততায় কাটবে।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): রাস্তাঘাটে কোনো প্রকার হয়রাণির শিকার হবার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো পরিচিতজনকে দেখতে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে যাবেন। মামলা মোকর্দ্দমা ও আইনগত জটিলতা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশে কর্মরত বন্ধুদের ছুটির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২

     

  • তালায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন

    তালায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন

    তালা প্রতিনিধি ( সাতক্ষীরা) : তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এতে সভাপতিত্বে করেন।

    এ সময় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের এ ঋণ জাতি কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করেছে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

    তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়ে ৪শ’ ৪১টি এবং তলিকাভুক্তদের মধ্য থেকে অভিযোগ আসে ৫৬জনের বিরুদ্ধে। কমিটির সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন এবং জামুকায় সরাসরি আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি জি.এম.এ সবুর, জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি মঈনুল ইসলাম, তালা উপজেলা কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, মুবিম এর প্রতিনিধি শেখ আবুল খায়ের ও জামুকা প্রতিনিধি এম এম ফজলুল হক।

     

     

  • তালায় ছাগল পালনে যুব নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    তালায় ছাগল পালনে যুব নারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধন

    তালা প্রতিনিধি (সাতক্ষীরা) : জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে উন্নত পদ্ধতিতে ছাগল পালনের মাধ্যমে যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবারের জীবন যাত্রার মানোন্নয়’র লক্ষ্যে তালায় যুব নারীদের ছাগল পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের আওতায় স্বেচ্ছায় কারিগরী সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে সাস কর্তৃক আয়োজিত ‘‘ক্লাইমেট স্মার্ট গোট রিয়ারিং ফর ইয়ুৎ এন্টারপ্রেনারশীপ ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা- সাস’র প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে স্বেচ্ছায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আমেরিকার বিশেষজ্ঞ এবং ফারমার-টু-ফারমার ভলান্টিয়ার ড. পিটার অগাস্টাস ফ্লানাগান। তার বক্তব্য ও আলোচনাকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রশিক্ষনার্থীদের নিকট উপস্থাপন করেন এশিয়া ফারমার-টু-ফারমার প্রোগ্রামের এসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. এস এম শামছুর রহমান।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে সাস কর্মকর্তা এ.কে.এম গোলাম ফারুক, মো. শাহ আলম, রুহুল আমীন, আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা- সাস এর উপকারভোগী ২০জন নারী অংশগ্রহণ করছে। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষণ ২টি ব্যাচে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৪০ জন যুব নারী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করবে।

  • পাইকগাছার সাম্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় সেরা

    পাইকগাছার সাম্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় সেরা

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:  আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলার পর এবার বিভাগীয় পর্যায়েও চিত্রাংকনে সেরা হয়েছে পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাম্য সরকার।

    বৃহস্পতিবার খুলনা মডেল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ১০জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয় সাম্য সরকার। সে পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল গ্রামের স্কুল শিক্ষক বিমল কুমার সরকার ও পুষ্প রানী সরকারের একমাত্র ছেলে। সাম্য একজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী হলেও চিত্রাংকনে তার অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে। এর আগে সে গত ৭ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে সেরা হয়। আগামী যেকোন সময় সাম্যকে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে হবে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল জানিয়েছেন।

    এদিকে অসাধারণ কৃতিত্ব ও সাফল্যের জন্য সাম্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলী।

  • ৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২০০

    ৬ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২০০

    এসবিএন : ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০০ জন মানুষ নিহত ও ৪৩৮৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    ১৬ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

    এসময় মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালে ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে ১৭ জন নিহত এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৬০ কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালে বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৬৯, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২৮০ কোটি টাকা।

    তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে ঘুর্ণিঝড় কোমেনে নিহতের সংখ্যা ৯ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপিত হয়নি। ২০১৬ সালে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুতে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১২৭ কোটি টাকা, একই বছর বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮১৭ কোটি টাকা।

    অন্যদিকে সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনার (বরিশাল-৬) আরেক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, সৌদি আরব সরকারের অনুদানে প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

     

  • রাখাইনে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা মিয়ানমারের

    রাখাইনে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা মিয়ানমারের

    এসবিএন : রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের

    বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর রাখাইনের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল হয়েছে। সামরিক বাহিনীর শুরু করা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শেষ হয়েছে, সান্ধ্য আইন শিথিল করা হয়েছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য সেখানে শুধু পুলিশ উপস্থিত আছে।

    মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দফতরের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ও উত্তর রাখাইনে সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে, কিন্তু ওই এলাকার ‘শান্তি ও নিরাপত্তা’ বজায় রাখার স্বার্থে সামরিক বাহিনী অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে তারা।

    গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন সীমান্তে একাধিক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়। হামলায় পুলিশের ৯ সদস্যসহ ১৪ জন নিহত হন। হামলার পর রাখাইনে সহিংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ধরপাকড়, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।

    জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, রাখাইনে দমন-পীড়নের মুখে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

    রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংস দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার।