Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 7 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে শিশু নিহত, আহত ৬

    সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে শিশু নিহত, আহত ৬

    সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসে ধাক্কায় ইজিবাইক আরোহী এক শিশু নিহত ও ৬ জন আহত। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত শিশু মোস্তাকিম (১) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের নাতি। তার মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন।

    আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী রাশেদ আলী (৪০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫), একই উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৪), গফফার শেখের মেয়ে শাপলা খাতুন (৩০) ও লাড়ুরী গ্রামের ইব্রাহিম আলী গাজীর ছেলে হযরত আলী গাজী (৪৫)।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা খাতুন তার শিশু সন্তান মোস্তাকিমকে নিয়ে বাবা গফফার শেখের সঙ্গে পাইকগাছার বাকা থেকে একটি ইজিবাইকে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্য বেলা সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে পৌঁছালে আশাশুনি থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস পিছন দিক থেকে ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু মোস্তাকিম। গুরুতর আহত হয় ইজিবাইকের অপর ছয় যাত্রী। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

  • ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ২০০৯ সালের ২৫ মে—এই দিনটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় স্মৃতি হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা নামক প্রলয়ংকরী দুর্যোগ সেদিন আছড়ে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার উপর। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় শত শত মানুষের, লাখ লাখ মানুষকে করে গৃহহীন, এবং চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে প্রকৃতি ও জনজীবনে।

    আইলার আঘাত ও তাণ্ডব

    ঘূর্ণিঝড় আইলার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এই দুর্যোগে ৩৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারান, আহত ও নিখোঁজ হন আরও হাজারো। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। সুন্দরবনের একটি বড় অংশও প্লাবিত হয়, যার প্রভাব পড়ে বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর।

    বাঁধ ভাঙন ও লবণাক্ত দুর্ভোগ

    ঘূর্ণিঝড়ের মূল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় বাঁধ ভেঙে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ২৭টির বেশি স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্লাবিত করে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, মৎস্যঘের ও খামার। লবণাক্ততার এই করাল ছায়া দীর্ঘ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কৃষিতে বিপর্যয় নামিয়ে আনে।

    মানবিক বিপর্যয় ও সুপেয় পানির সংকট

    ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উপকূলবাসীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সুপেয় পানির সংকট। তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল, লবণাক্ত পুকুর এবং ভেসে যাওয়া রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের কারণে পানযোগ্য জলের জন্য তাদের হাঁটতে হয়েছে কিলোমিটার পর কিলোমিটার। অনেক পরিবার আজও টেকসই ও নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে বসবাস করছে।

    আজও দুঃসহ স্মৃতি

    আইলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও অনেক পরিবার অস্থায়ী কুঁড়েঘরে বসবাস করে, প্রতি বর্ষায় বাঁধ ভেঙে নতুন করে দুর্ভোগে পড়ে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহের সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।

    পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি

    সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এই ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম শিকার। বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে গাছপালা ধ্বংস হয়, পশুপাখির আবাসস্থল বিপন্ন হয়। এর ফলে বনজ সম্পদে যেমন ঘাটতি দেখা দেয়, তেমনি জীববৈচিত্র্যেও স্থায়ী প্রভাব পড়ে।

  • যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত 

    যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
     সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন, জেলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন,  সাতক্ষীরা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ক্যাটেখিস্ট চালতেতলা মিশনের ডমেনিক মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবক হেনরী সরদার, দৈনিক সুপ্রভাতের উপ-সম্পাদক মো. মাযহারুল ইসলাম সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ। এছাড়া আরো
    বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হৃদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহিনা পারভীন ও সভাপতি মোহাইমিন, স্বপ্নচুড়া যুব সংঘের সভাপতি এহছান মাহমুদ।
    আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত:প্রজন্ম সমন্বয় একটি উপায় যা সব বয়সের মানুষ একসাথে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে এটি আজীবন শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে জ্ঞানের স্থানান্তর দক্ষতা, মূল্যেবোধ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করে। বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পার বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে। পারস্পারিক শিক্ষার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আর্ন্ত:সম্প্রদায় এবং আর্ন্ত: প্রজন্মীয় প্রচারণা শুরু করে সমাজকে আর ও সহনীয় করে তোলা। কমিউনিটিতে সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষতি করে এমন মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় ও সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করা। ধর্মীয় নেতাদের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুবকদের অংশগ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করা  যুবদের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা ছিল বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতা ও তরূনদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে যুব এবং ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরী করা। স্থানীয় শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিতে যুবদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। সমাজে শান্তি-ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে যুব সমাজকে আর ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে উৎসাহিত করা। আন্ত:প্রজন্ম সংহতি প্রচারণা আন্ত:সম্প্রদায়ের মাধ্যমে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।
    আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বিষয়ে কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারবে? সমাজে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় যুবদের কি ভুমিকা থাকা দরকার? সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিভাবে এক প্লাটফর্ম তৈরী করা যেতে পারে? শান্তির বার্তা প্রচারের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি? সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি বিষয়ে যুবদের কিভাবে কাজে লাগানো যাবে?  উপরোক্ত বিষয়াবলির উপর ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং যুবদের নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। সাকিব হোসেন এর সঞ্চালনায়  এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো: তহিদুজ্জামান, তহিদ, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার, চন্দ্রশেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য।
  • সাতক্ষীরায় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ গ্রেপ্তার ২

    সাতক্ষীরায় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ গ্রেপ্তার ২

    সাতক্ষীরায় অবৈধ জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় শহরের কাটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ নাঈম হোসেন (৩০) ও একই উপজেলার কাটুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু রাসেল (৩৫)।

    এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পাঞ্চ মেশিন, ১০ টা দেশের জাল মুদ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর সেনা ক্যাম্পের ৩৭ বীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আলমগীর এর নেতৃত্বে শহরের কাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানো চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সেখান থেকে বিদেশি জাল মুদ্রা, জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    এবিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃতদের সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    সাতক্ষীরা যৌথ বাহিনী একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

  • মিথ্যা হয়রানি বন্ধে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা 

    সাতক্ষীরায় মিথ্যা হয়রানি বন্ধ ও সুষ্ঠু জীবন যাপনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক নবদম্পতি। ওই নবদম্পতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ আল আমিন সরদার(২২) ও একই এলাকার শাহিন হোসেন সরদারের মেয়ে তাসনিম জাহান(১৯)।
    ভুক্তভোগী তাসনিম জাহান জানান, গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে স্বেচ্ছায় তার স্বামী আল আমিন সরদারকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ে করেছেন। তবে, তার পিতা ও পরিবারের লোকজন এই বিয়ে মেনে না নিয়ে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
    ভুক্তভোগী তাসনিম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিরাপত্তার সাথে স্বামীর সাথে সংসার করতে ও হয়রানি বন্ধে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  • সাতক্ষীরায়’ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা’ বিষয়ক পরামর্শ সভা

    সাতক্ষীরায়’ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা’ বিষয়ক পরামর্শ সভা

    সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে দারিদ্র ও জেন্ডার সংবেদনশীল এবং মানবাধিকার ভিত্তিক জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা বিষয়ক মাল্টি এক্টর প্লাটফর্মের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন ও অর্থনীতি জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ও গভীর প্রভাবের মুখোমুখি, যেখানে ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদীভাঙন ও জলোচ্ছ্বাস বারবার জীবিকা ধ্বংস করছে এবং দারিদ্র্য ও বাস্তুচ্যুতির হার বাড়াচ্ছে।
    প্রায় তিন কোটি মানুষ জলবায়ু দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে বারবার জীবন ও সম্পদ হারাচ্ছে, অথচ এদের অভিযোজন ক্ষমতা খুবই সীমিত। কৃষিজমির লবণাক্ততা, খাল-নালা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা, দুর্বল বাঁধ ও স্লুইস গেট, পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের অভাব, এবং নদীভাঙনের ফলে সৃষ্ট বাস্তুচ্যুতি এসব সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি, তথ্যভিত্তিক ও কাঠামোগত অভিযোজন উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।
    জলবায়ু দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলোর জন্য বরাদ্দ অপ্রতুল। এই বৈষম্য দূর করতে হলে, বাজেটে স্পষ্টভাবে উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় চাহিদা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে বিশেষ বরাদ্দ নির্ধারণ করা আবশ্যক।
    উপরোক্ত কথাগুলো উঠে আসে কেয়ার বাংলাদেশ ও সহযোগী সংস্থা অ্যাওসেড যৌথভাবে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BMZ) অর্থায়িত তিন বছর মেয়াদী MAP CDRFI প্রকল্পের অধীনে ২২ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দারিদ্র ও জেন্ডার সংবেদনশীল এবং মানবাধিকারভিত্তিক জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা বিষয়ক জেলা পর্যায়ের মাল্টি এক্টর প্লাটফর্মের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা থেকে।
    অধ্যাপক ভারত্বেশ্বরী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপকূলীয় দুর্যোগের উপর নির্মত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার পাশাপাশি “জলবায়ু অভিযোজন এবং আসন্ন বাজেট” বিষয়ক একটি পেপার উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আমেনা বিলকিস ময়না।
    গণমাধ্যমকর্মী শরিফুল্ল্যাহ কায়সার সুমনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তা সামসুন নাহার রত্না।
    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনজিও প্রতিনিধি মাধব চন্দ্র দত্ত, নাসরিন সুলতানা, শিক্ষাবিদ আশেক এ এলাহি, ফারুক রহমান, অধ্যাপক ভারত্বেশ্বরী বিশ্বাস, আবুল কালাম, এস এস হাবিবুল হাসান, রায়হান পারভেজ,, আব্দুস সালাম শাম্মী আখতার কুমকুম, ম্যাপ সিডিআরএফআই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হেলেনা খাতুন, লার্ণিং এন্ড এ্যাডভোকেসী অফিসার বাহলুল আলম, চায়না দাস প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    উষ্ণ সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসলে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানানো হয়। একই সাথে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
    প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পেশাগত দিক বিবেচনা করে একে অপরের সাথে বন্ধন রাখতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে একসাথে চলতে হবে। কারণ সাংবাদিকতার পেশা শক্তিশালী না হলে সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মানউন্নয়নে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বেশ কিছু আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়মের মতো সাংবাদিকদেরও একটি আইনের মধ্যে রেখে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চলছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এই পেশাকে কলুষিত করা যাবে না। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতার সাথে পেশাটিকে পালন করতে হবে। তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করার ও সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
    সাতক্ষীরা প্্েরসক্লাবের ভিআইপি রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ আব্দুস সবুর, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক এস কে কামরুল হাসান, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মুহাঃ জিল্লুর রহমান, আমিরুজ্জামান বাবু, সাংবাদিক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান,এম জিল্লুর রহমান,ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল আলীম,মীর আবু বকর, এস এম রেজাউল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল ইমরান, মামুনুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রোনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা।
    মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় যান। এসময় আবেগঘন হয়ে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ,কে,এম আব্দুল হাকিম বলেন, পৌরদীঘির নান্দনিক দৃশ্য তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি সুন্দর স্থানে প্রেসক্লাব নির্মিত হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে প্রেসক্লাবকে আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার জন্য আহবান জানান।

  • বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে উত্তর কাটিয়ায় পাড়াকমিটি গঠন

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে উত্তর কাটিয়ায় পাড়াকমিটি গঠন

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীলা জেলা শাখা উত্তর কাটিয়ায় নারীর মানবাধিকার রক্ষা ও
    নারীর মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাগরিকা খাতুন কে আহবায়ক ও মুন্নি
    বেগম কে সদস্য সচিব করে ২৩ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
    আহবায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,
    সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপা মিত্র। আলোচনা সভায় উপস্থিত
    ছিলেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নাছিমা নাসরিন, ব্রাঞ্চ এক্ধিসঢ়;্রকিউটিভ
    মোঃ মফিজুল ইসলাম সহ জেলা ও পাড়া কমিটির নেত্রীবৃন্দ।
    আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন নারীরা আজ সমাজের নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। নারীরা
    নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নারীদের কাজের কোন মর্যাদা আজও নারী
    সমাজ পায়নি। এ সকল কাজের মর্যাদা পেতে হলে প্রথমে নারীদের কে শিক্ষিত হতে হবে।
    আর এ জন্য নারীদ্ধেসঢ়;র এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের অধিকার নারীদেরকেই অর্জন করতে
    হবে। নারীকে আলোতে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিটা কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহন
    করতে হবে।তবেই নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে, সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে
    পারবে। পরিবার ও সমাজে নারীদের মর্যাদা ফিরে পাবে। নারীকে পরিবারের বোঝা নয়
    পরিবারের অংশ ভাববে। নারীকে পূর্ণ নয় মানুষ হিসেবে মর্যাদা পাবে।

  • বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়

    বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়

     

    সাতক্ষীরার অগ্রগতি রিসোর্ট ট্রেনিং সেন্টারে “সুন্দরবনের দূষণ হ্রাস এবং বাস্তুতন্ত্রের উন্নতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুন্দরবনের জন্য সাংবাদিকতা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টায় শহরের অদূরে ত্রিশ মাইল এলাকায় অগ্রগতি সংস্থার রিসোর্ট এবং ট্রেনিং সেন্টারের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    রূপান্তরের ম্যানেজার তসলিম আহমেদ টংকার এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্নালিজম ফর সুন্দরবন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব আহসান রাজিব, উপদেষ্টা জিএম মুজিবর রহমান প্রমুখ।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুহুল কুদ্দুস, গোলাম সরোয়ার, সামিউল আযম মনির, এম রফিক, আসাদুজ্জামান মধু, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, মনিরুল ইসলাম মনি, আকরামুল ইসলাম, অনাথ কুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রূপান্তরের গোলাম কিবরিয়া।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পরিবেশগত সংকট এবং এর উত্তরণে গণমাধ্যমের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করাই ছিল এই সভার মূল উদ্দেশ্য।

    কর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকগণ সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতি, দূষণের বিভিন্ন উৎস যেমন – শিল্পবর্জ্য, নৌ-চলাচল, তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক দূষণ, এবং কৃষি জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, এই দূষণের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে।

    আলোচনায় সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের উন্নতিতে করণীয় বিভিন্ন দিক উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করা। একই সাথে প্লাস্টিক ব্যবহারের মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

    সাংবাদিকরা মনে করেন, সুন্দরবনের সুরক্ষায় জনসচেতনতা তৈরি এবং নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ ও ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই বনের গুরুত্ব এবং এর সংকটগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ সুন্দরবনের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং এর অমূল্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় আরও সক্রিয় ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর জোর দেন এবং একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    এই সভাটি সুন্দরবন এবং এর প্রভাব অঞ্চলের পরিবেশগত সুরক্ষায় গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সংবেদনশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করবে বলে আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন।

    সভায় বলা হয়, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলার প্রতি উপজেলায় বিনামূল্যে পলিথিনীর বিকল্প ১০ হাজার করে ব্যাগ বিতরণ করা হবে। এই ব্যাগটি একজন এক বছর ব্যবহার করতে পারেন। বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।

    একই সাথে সুন্দরবনকে পলিথিন মুক্ত করার আহ্বান জানান বক্তারা।

  • সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সার্কিট হাউজ মোড়ে অস্থায়ী কার্যালয় জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকালাপ নিয়ে পদত্যাগ নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    জরুরী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন তিনি বলেন, আমরা ২০১৭ সাল থেকে আমাদের সংগঠন ভালভাবেই চলছে কিন্তুু আমাদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উচ্ছৃঙ্খল আচারণে আমারা সাধারণ সভা আহবান করার আগেই সে নিজ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে অব্যহতি নিয়েছে। আমরা ক্লাবের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তার সাথে ক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কোন বিষয় তার সাথে যোগাযোগ না করার জন্য আহবান জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি শাহজাহান আলম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান পলাশ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মামুন হোসেন। দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক বিপ্লব। কোষাধাক্ষ্য আজহারুল ইসলম প্রমূখ।আলোচনা সভায় সবার সিধান্তক্রমে আগামি ২৪-০৫-২০২৫ রোজ শনিবার সাধারণ সভার দিন ঘোষনা করা হয়। সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ খালি হওয়ায় সাধারণ সভায় সবার সম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত করা হবে এজন্য সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত হবার আহবান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য শিমুল হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামন,ওবাইদুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার দাশ।

  • অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত

    অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৭ মে (শনিবার) সাতক্ষীরা জিরো পেইন বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. কতৃক ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, কবি স.ম তুহিন, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের ছেলে সাম্য, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, অধ্যাপক শফিকুল আলম, এড. কালাম আজাদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের সহোদর শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    সভায় উপস্থিত সকলে অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লকে গভীর ভাবে স্মৃতিচারণ করেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস।

  • সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা শহরতলীর খানপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় খানপুর গ্রামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় এতিমখানা, আলিম মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, বাজার মসজিদ ও মৎস্য ঘের এর জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব বিলে একটি নালা খাল খননের দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, ডাক্তার মাহবুবার রহমান, তপন কুমার বিশ্বাস, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।

    ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খানপুর ও রইচপুরে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন কি খানপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রসা ও খানপুর ঈদগাহ ময়দান এবং খানপুর এতিমখানায় এই জলাবদ্ধতায় কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

    তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রাম সংলগ্ন আলীপুর থেকে রইচপুর ও পরান্দাহ গ্রাম দিয়ে একটি প্রবাহমান খাল আছে। পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে এ খালের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারনে দূরবর্তী ঘেরগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

    তিনি আরো বলেন, খানপুর ও রইচপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ বিলের মধ্যভাগ দিয়ে পানি নিষ্কাষণের জন্য একটি নালা খাল প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রামের প্রবাহমান খালের সাথে সংযুক্ত হবে। তালা পানি প্রবাহমান থাকলে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার মানুষ।

    ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন আগে খানপুর ও রইচপুর সড়কের মধ্য ভাগে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বার্থানেশী মানুষের কারণে কালভাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এই কালভার্ট বরাবর খানপুর ও রইচপুরের বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যভাগ দিয়ে উত্তর দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ রয়েছে। অপর দিকে খানপুর ও রইচপুর পাঁচানী মাঠ দিয়ে দক্ষিণ দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে।

    তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি এবং আমরা চাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটা আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অতি দ্রুত খনন করা হোক।

    তিনি খাল ও নালা খননের মাধ্যমে অত্র এলাকার বাসিন্দারা যাতে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারে সেই ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে শনিবার (১৭ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, মুহাঃ জিললুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, সদস্য আমিনুর রশিদ, এডভোকেট ড. দিলীপ কুমার দেব, শহিদুল ইসলাম, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, এস,এম রেজাউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, এম জিল্লুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মীর আবু বকর, ডিএম কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
    বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী। প্রেসক্লাবের আয়-ব্যায়, মার্কেট নির্মাণ, সদস্যদের হালনাগাদ তালিকা, বকেয়া সদস্য চাদাঁ, সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। আলোচনায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সকলের সম্মতিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
    এছাড়া, গঠনতন্ত্র বর্হিভুতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিপথগামী, স্বার্থান্বেষী কতিপয় সদস্য শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে কথিত কমিটি ঘোষনা করে তা অনলাইন, নিউজ পেপার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টা করছে।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ এহেন ঘৃণিত কর্মকান্ডের জন্য ওই সমস্ত বিপথগামী সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ আরো বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর মমতাজ আহমেদ বাপী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুজন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে প্রেসক্লাবকে সাড়ে তিন বছর দখলে রেখে জেলাব্যাপী প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য ও কয়েকজন দলীয় নেতার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে নিজেরা আত্মসাত করেছে। তারা প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের লালিত গনতন্ত্র চর্চাকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে সজাগ থাকার উদাত্ত আহবান জানিয়ে সাধারণ সদস্যরা বলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
    সভায় আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা ইয়ুথ লিডারশীপ প্রোগ্রামে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।
    শনিবার (১৭মে) সাতক্ষীরার আল আমিন ট্রাস্টে কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সহকারী সেক্রেটারী এড. আবু তালেব প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি বলেন, যুবকদের নিজেরে চেষ্টার পরে আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র—জনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
    সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, যুবসমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুবসমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় রাতারাতি গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ৪৮৮+ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না
    জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুবসমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুবসমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমিরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুবসমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।

  • সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী আব্দুল করিম কর্তৃক ব্যবসায়ি মোঃ মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার গাঙ্কুলিয়া গ্রামের মৃত ফেরজতুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ মশিউর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গাঙ্কুলিয়া গ্রামে দোকান নিয়ে সার ও কীটনাশক ব্যবসা করি। গাঙ্কুলিয়া গ্রামের আশরাফ হোসেন গাইনের ছেলে আব্দুল করিম (৪০)কে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সম্প্রতি সে আমারসহ এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একপর্যায় কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিম বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত মহিলাদের সংগ্রহ পূর্বক তাদের বাদী করে গত ১১ মার্চ আমিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা (নং-১৭০/২৫ (কালিঃ) দায়ের করে। যা পিবিআই তদন্ত করছে। এটাতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে আব্দুল করিম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালত, মানিকাঞ্জে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা(নং-৪৮০/২৫) দায়ের করে। সেটিও পিবিআই তদন্ত করছে। গত ৬ মে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন তমন ট্রাইবুন্যাল, চুয়াডাঙ্গায় এবং গত ৮মে আমিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ আদালতে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
    মশিউর রহমান বলেন, এভাবে একর পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করায় আমরা সামাজিক ও মানসিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। চাঁদাবাজ আব্দুল করিম অসামাজিক কাজে লিপ্ত বিভিন্ন মহিলাদের সংগ্রহ করে তাদের বাদী করে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আরো মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। উক্ত চাঁদাবাজ চক্র ও তাদের সহযোগীদের উৎপাতে আমিসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই চাঁদাবাজরা এলাকার ছোট খাট ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানসিক ভাবে ভীতির সঞ্চার করে চলেছে।
    তিনি কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিমসহ তার সহযোগীদের অন্যায় অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগঠনের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। বুধবার (১৪ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় নেতৃর্দ্বয় শোকাহত পরিবার—পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।

    শোকবার্তায় জেলা জামায়াত আমীর ও সেক্রেটারী বলেন, মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তার জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার—পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

    উল্লেখ্য বুধবার (১৪ মে) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ ইব্রাহিম হোসেন সরদার খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এন্তেকাল করেন। নিহত জামায়াত নেতা মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মৃত এজাহার আলী সরদারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহ ইউনিয়নের নায়েবে আমীর ছিলেন। সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে ইব্রাহিম হোসেন একটি মোটরসাইকেলে কামারবায়সা থেকে বেলেডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুক্তির মোড় এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশ থেকে হঠাৎ একটি কলাগাছ ভেঙে তার মাথার উপর পড়ে। দ্রুততাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হাতে থাকলে মঙ্গলবার তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তিনি মারা যান। সন্ধায় জানাজা শেসে পারিবারিক বকরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

  •  ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

     ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় একটি চরের মধ্যে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। রোববার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন ভারতীয়কে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে।

    রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

    পুশ ইন করা একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা সকলেই ভারতের গুজরাটের সুরাট বস্তিতে থাকতেন এবং ছোটখাট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৬ এপ্রিল তাদের বস্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওইদিন রাতেই তাদের আটক করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে নেয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে চার দিন রাখার পর বিমানে করে আনা হয় কোলকাতায়। কোলকাতা থেকে তাদেরকে জাহাজে করে এনে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নিয়ে চোখ বেঁধে একটি চরে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা পায়ে হেটে বনবিভাগের মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। রোববার কোস্টগার্ড তাদের মোংলায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের নাম পরিচয় সনাক্তকরণের কাজ শেষে রাতে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে। তারা বাংলাদেশী হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা গুজরাটে বসবাস করতেন।

    তারা আরো জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হতো না। মাঝেমধ্যে মারধর করা হতো। এছাড়া তারা সবসময় আমাদেরকে গালিগালাজ করত।

    এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন জানান, তাদের বাবা-মা গুজরাটে থাকাকালে সেখানেই তাদের জন্ম হয়। তাই জন্ম সূত্রে তারা ভারতীয় নাগরিক। তাদের সব ধরণের কাগজপত্র ছিল। ২০২৪ সালের তাদের সকল কাগজপত্র ভারত সরকার কর্তৃক নিয়ে নেয়া হয়।

    মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়।

    বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ৭৮ জন বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসব ভালাভাষী নাগরিকদের ভারতীয় একটি জাহাজ ও স্পিডবোর্ডযোগে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের এলাকার একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, এভাবে আকস্মিকভাবে ৭৮জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় চরে ফেলে যাওয়ার ঘটনা সকলকে বিস্মিত করেছে। পরবর্তীতে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় এসব মানুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। এসময় তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা সনাক্তের পাশাপাশি তাদের সুন্থ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, ডাল ও পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়।

  • সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    ২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট আমলে হওয়া সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা।
    ৭মে বিকাল ৪টার শহরের তুফান মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষি করে খুলনারোড মোড়স্থ আসিব চত্ত্বরে যেয়েং শেষ হয়।
    শহর শিবিরের সেক্রেটারী মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ পরবর্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরি পনিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরীয় সভাপতি আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমামুল হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।