Category: সাতক্ষীরা
-

জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময়অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরারেড ক্রিসেন্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন।সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, সেক্রেটারি তাসকিন আহমেদ চিশতী, সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, আবুল হাসান আল হাদী, আবু জাহিদ ডাবলু,, ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, প্রমুখ। -

সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত
সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একটানা বর্ষণের ফলে জেলার শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছোট ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৮ জুন) সকালেও জেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট ও বাজারে চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
সদর উপজেলা, বাঁকাল, কাটিয়া, মুনজিতপুর, তালা ও কলারোয়ার কিছু অংশে বাসাবাড়ির সামনে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় উঠে এসেছে।
জেলার কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদা খাতুন বলেন, ‘বাসার সামনে রাস্তায় হাঁটুপানি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। বৃষ্টির পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। দুই দিনের বৃষ্টিতে তাই এই অবস্থা।
একই চিত্র দেখা গেছে বুধহাটায় বাজারের দোকানি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমে দোকানে ঢুকে পড়েছে। বিক্রিও বন্ধ, লোকজন আসছে না।’
ইজিবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। বের হলেও ভাড়া নেই, লোকজন ঘরেই বসে আছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, “গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।”
বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে বাড়ির সামনেই জমে থাকা পানি চলাচলও কঠিন করে তুলেছে। -

সাতক্ষীরায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান
মশাল ডেস্ক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এই ধাপে জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মোঃ মাহফুজার রহমান (৬১)। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান কলেজ এলাকা সংলগ্ন বাসিন্দা।বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে তাকে একই হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মাহফুজার রহমানই এবারের নতুন করোনা ঢেউয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রথম পজেটিভ রোগী।স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন জানিয়েছে, রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে এবং তার এলাকার আশপাশে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। -

দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ১০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো সাতক্ষীরা ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে এডভোকেসি সভায় সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ।সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.শাহিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন ঢালি, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট (ইপিআই) শেখ মহিবুর রহমান।উপস্থিতি ছিলেন ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলকাস আলি, ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল (ওসিসি) সাতক্ষীরা সদর হাসপতাল আব্দুল হাই সিদ্দিকী। গাভা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈমাম মাহবুবুর রহমান, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী, জিডিএফ, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নূনগোলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার এবিএম হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও যুব সদস্যববৃন্দ।কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদ্জুজামান (তহিদ)।আরো বক্তব্য প্রদান করেন প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল, স্বপ্নচূড়া যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন ইয়ূথ এ্যালায়েন্সের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক।এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগকালিন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করা। স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহন ও পরিসেবা নিশ্চিত করা। আশ্রয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় করা এবং জরুরী পরিস্থিেিততে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাস করা।সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটছে। জলবায়ূ পরিবর্তন এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। সিডোর, আইলা, আম্পান ইয়াস, রিমাল তার প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এসব সমস্যা বাড়ায় কৃষি, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, অবকাঠামো, পানি পয়:নিস্কাসন স্বাস্থ্য খাত এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা বিরুপভাবে প্রভাবিত হয়। এসব প্রতিক‚ল প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ে নেওয়ার মত সক্ষমতা বা দক্ষতা এখন ও গড়ে উঠেনি। জলবায়ূ পরিবর্তনের কারনে সাতক্ষীরা জেলায় জলবদ্ধতা, লবণাক্ততা, বন্যাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ বিশেষ করে গ্রামীন নারীরা তারা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে।এডভোকেসি সভায় তরূনদের চাহিদা উপস্থাপন করা হয়। সাইক্লোন শেল্টারটি নারী বান্ধব করা। ব্রেষ্ট ফিডিং/মাতৃদুদ্ধ কর্নারের ব্যবস্থা করা। গর্ভবতী মায়েদের সেবা ও চিকিৎসার জন্য নারী ডাক্টার নিশ্চিত করা। দুর্যোগকালীন সময়ে নারীদের জন্য হাইজিন কিডস ব্যবস্থা রাখা। কমিউনিটিভিক্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো এবং উন্নয়ন সংগঠন সমূহ দুর্যোগ কালীন সময়ে শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে আরো বেশি বেশি কাজ করা। সাইক্লোন শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আর ও সক্রিয় হওয়া । আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগ কালীন সময়ে স্থানীয় যুবরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ তৈরী করা। টয়লেটের পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন, সাথে সাথে টয়লেট প্রতিবন্ধি, শিশু, গর্ভবতী ও বয়স্কদের ব্যবহারে উপযোগী করা। শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটি (এস এম সি) সদস্যদের দুর্যোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার সুযোগ আছে। শেল্টার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থানীয় যুবদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরী করা। আশ্রয়কেন্দ্রে বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ওয়াস ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কেন্দ্রগুলো নারী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা ও প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী নিশ্চিত করার সুযোগ আছে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী কালীন সময়ে যাতে লিঙ্গ বা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা না হয় তার জন্য বেশি বেশি করে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী কালীন সময়ে লিঙ্গ বা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা নিরসনে যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জোড়ালো ভূমিকা নিশ্চিত করার সুযোগ আছে।সমগ্র অনুষ্ঠানিটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন যুব সদস্য সাকিব হাসান। উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেরিটর একশনএইড বাংলাদেশ সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য। -

সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৬জন নারী-পুরুষকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর
আন্তর্জাতিক আইন মেনে সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৬জন নারী-পুরুষকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বুধবার রাতে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তোতলা গ্রামের মুন্সি নজরুল হকের ছেলে আবু সাঈদ মুন্সি,রংপুরেরর মুন্সিগজ্ঞর বাসিন্দা নাজিম উদ্দীনের ছেলে ওয়াজ কুরুনী, নারায়ণগঞ্জের কদমতলী গ্রামের মোঃ মাসুদের স্ত্রী রোকসানা বেগম, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাঘআছড়া গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী সাবরিনা খাতুন ,একই উপজেলার সনাতনকাটি গ্রামের ইব্রাহীম সরদারের মেয়ে মোছাঃ হাফিজা বেগম ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের ওমর আলীর স্ত্রী রোকসানা খাতুন । তারা কেউ কৃষিকাজ, আবার কেউবা গৃহকর্মীর কাজের জন্য ২ থেকে ৬ বছর আগে সাতক্ষীরার ভোমরা,কুশখালিসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের বোম্বে গিয়েছিল।
সাতক্ষীরার কুশখালি বিজিবি’র হাবিলদার মেজবাহউদ্দীন জানান,ভারতীয় পুলিশ তাদের বোম্বে এলাকা থেকে আটক করে পশ্চিমবাংলার চব্বিশ পরগনা জেলার তারালি ক্যম্পের বিএসএফ সদস্যদের কাছে দেয়। আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিএসএফের তারালি ক্যাম্পের পরিদর্শক বিকাশ রায় তাদেরকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। যেহেতু তারা বাংলাদেশের নাগরিক,তাই তাদেরকে বিজিবি গ্রহণ করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান,‘‘ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা ৬ জন নারী-পুরুষকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘’
-

ডা. জুবাইদা’র জন্মবার্ষিকীতে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আলোচনা সভা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ও সুনামধন্য চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পিপি কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এ্যাড মোঃ আকবর আলী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এ্যাড শেখ আবদুস সাত্তার।সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব এ্যাড আলহাজ্ব নুরুল আমিন পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এ্যাড এবিএম সেলিম, এ্যাড আবু সাইদ রাজা, এ্যাড শহিদ হাসান, এ্যাড শাহারিয়ার হাসিব, এ্যাড জিএম ফিরোজ আহমেদ, এ্যাড সিরাজুল ইসলাম ৫, এ্যাড এবিএম ইমরান হোসেন শাওন, এ্যাড মিজানুর রহমান বাপ্পি, এ্যাড শিহাব মাসুদ সাচ্চু, এ্যাড আব্দুল জলিল ৩, এ্যাড নজরুল ইসলাম, এ্যাড আজিজুল হক, এ্যাড রফিকুল ইসলাম, এ্যাড অপু, এ্যাড জিকু, এ্যাড মনির হোসেন, এ্যডা আবুল হাসান, এ্যাড রেজাউল ইসলাম, এ্যাড শাহানাজ ইমরোজ, এ্যাড রুপা, এ্যাড আকরাম হোসেন এছাড়া আরো অনেকে। সভা আলোচনা শেষে কেক কাটেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড শেখ আবদুস সাত্তার প্রমুখ। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের নিয়ে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি.এম নুর ইসলাম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সময় টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আর টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, সদস্য কাজী জামাল উদ্দীন মামুন, আব্দুস সামাদ, সরদার আসাদুজ্জামান মধু, নতুন সদস্য মশিউর রহমান ফিরোজ, এড. এবিএম সেলিম, প্রভাষক আমিনুর রহমান, আবু সাঈদ, তৌফিকুজ্জামান লিটু, রেজাউল ইসলাম বাবলু, মুনসুর রহমানসহ অন্যান্যরা।আলোচনা সভা শেষে সকল সংবাদকর্মীদের প্রেসক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হকের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম প্রেসক্লাবের সংকট নিরসনে দ্রুত নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দিলে সেই কর্মসূচি আগামী ৭দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা না হলে পরবর্তী সভা ৭দিন পর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবকে কতিপয় ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে রাখার পায়তারা চালাচ্ছেন। সাতক্ষীরার সংবাদকর্মীরা সেটি হতে দেবে না। প্রেসক্লাব কখনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। প্রেসক্লাব সাতক্ষীরার গণমানুষের আশ্রয়স্থল। যারা বিগত সময়ে জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল, বর্তমানে তারাই কতিপয় ব্যক্তিকে ভুল বুঝিয়ে প্রেসক্লাব দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। -

বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে শহরে ফাস্টফুড ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জরিমান
নিজস্ব প্রতিনিধি : অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরা শহরে নাজমুল সরণি মিনি মার্কেট এলাকায় দক্ষিণা ফাস্টফুড ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকালে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম জানান, সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা গেছে এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ মাস অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান মালিক জান্নাতুল ফেরদৌস কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনকারী ইলেকট্রিশিয়ান শাহিনুর রহমান কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সোয়াইব হোসেন জানান, এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে আসছে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়াও সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিস থেকে আলাদাভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
-

সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা
১৬ জুন ২০২৫ সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকায় স্বদেশ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা। ফোরামের সভাপতি প্রফেসর আঃ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলার জলবায়ু সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত, শ্যামনগর উপজেলা ফোরামের সম্পাদক রনজিৎ বর্মন, আশাশুনি উপজেলা ফোরামের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলবায়ু ফোরামের সদস্যবৃন্দ। সভা পরিচালনায় সহযোগিতা করে লিডার্স, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
সভায় জেলা সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত পূর্ববর্তী সভার রেজুলেশন পাঠ করেন এবং তা সভার সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, অবকাঠামো ও জনজীবনের উপর বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে, জেলার উপকূলীয় কৃষি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। বিশেষ করে আশাশুনি উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তা সংস্কারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ৬০% নারী কৃষক কৃষিতে অবদান রাখলেও তারা এখনও অবহেলিত ও স্বীকৃতিহীন। এছাড়া জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙন ও নদীশাসন ব্যবস্থার অভাবে অনেক মানুষ পেশা পরিবর্তন করছে বা অন্যত্র মাইগ্রেট করছে।
শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সম্পাদক রনজিৎ বর্মন বলেন, “যমুনা খালের সমস্যার ফলে শ্যামনগরে জলাবদ্ধতা চরমে পৌঁছেছে। এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় উদ্যোগ ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলা জরুরি।”
আশাশুনি উপজেলা ফোরামের সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, “জেলেখালীর অনেক মানুষ নদীভাঙনের কারণে বাধ্য হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে গেছে। জলবায়ু সমস্যা এখন আর শুধু প্রকৃতি নয়, মানবাধিকার ও জীবন-জীবিকার বিষয়।”
সভায় ফোরামের সদস্য অধ্যাপক ইদ্রিস বলেন, “আমরা যদি সক্রিয়ভাবে দাবি তুলতে পারি, তাহলে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব। কারণ জলবায়ু দূর্যোগ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একভাবে আক্রান্ত করে।”
সভার সমাপ্তিতে ফোরামের পক্ষ থেকে কয়েকটি সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
উপকূলীয় কৃষি বিপর্যয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করা। জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টকশো ও মিডিয়া কাভারেজ নিশ্চিত করা।
আলোচনা শেষে সভাপতি প্রফেসর আঃ হামিদ সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
-

সাতক্ষীরায় মাদক ও অনলাইন গেমিংয়ে আসক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান
সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ফাহিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুস সালাম, জামায়াতের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক মেয়র তাসকিন আহমেদ চিসতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকরতা, জেলা তথ্য অফিসার জাহেরুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আখতার বিউটি, জামায়াতের মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী জয়নাব পারভীন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদিন , মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুমসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্যরা।এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অপরাধ দামনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বাল্যবিবাহ ও মানব পাচার প্রতিরোধ, শহরে যানজট নিরসন, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন মাদক বিরোধী অভিযান, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বাজার মনিটরিং সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।এসময় জেলার উন্নয়নে সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। -

জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সিস্টেম পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, যা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সাতক্ষীরার নাগরিকদের ভাবনা’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আসমা উল হুসনা এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক নাঈদ আহমাদ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে সাতক্ষীরা জেলায় সবচেয়ে বেশি হত্যা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। হাজারো মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সেই স্বৈরাচারী ধারা রুখে দিয়েছিল জুলাই আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তির সংগ্রাম ছিল এটি।
তাঁরা বলেন, শহীদদের পরিবার বিচার না পেলে শান্তি পাবে না। বিচার বিলম্বিত হওয়ায় জনগণের মনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক আবদুল কাদের, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হাসানুর রহমান হাসান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম বাপ্পি, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মাকছুদুর রহমান জুনায়েদ এবং শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন চাই না, চাই সিস্টেমের পরিবর্তন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করে হলেও জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তা না হলে এটি হবে আন্দোলনের শহীদদের সঙ্গে চরম গাদ্দারি।
তাঁরা আরও বলেন, দেশের মেধাবীরা যেন বিদেশে পাড়ি না জমায় এবং আধিপত্যবাদী রাজনীতির অবসান ঘটে—এটা নিশ্চিত করতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এখন সময়ের দাবি।
জুলাই আন্দোলন’ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়, এটি ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের রক্তঝরা ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একমত পোষণ করেন রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা।
-

বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প
বিশেষ প্রতিনিধি : “জীবন প্রতিযোগিতার নয়, জীবন সহযোগিতার” এই মানবিক স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশন আগামী ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ডেন্টাল ক্যাম্প এবং ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প। স্বাস্থ্যই সম্পদ—এই বিশ্বাস থেকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ উপস্থিত থাকবেন। মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন কালীগঞ্জ উপজেলার গর্বিত কৃতি সন্তান ডা. মোঃ খালিদ হাসান, এমবিবিএস, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা। তাঁর সহকারী হিসেবে থাকবেন খুলনা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থী, যারা উপজেলার তরুণ চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডেন্টাল ক্যাম্পে থাকবেন ডেন্টিস্ট মোঃ রাসেল বিশ্বাস, খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্ন সম্পন্নকারী একজন দক্ষ দন্তচিকিৎসক। ব্লাড গ্রুপিং সেবায় দায়িত্ব পালন করবেন মোঃ রেজওয়ান মোড়ল, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের সভাপতি। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি কেবল একটি স্বাস্থ্য ক্যাম্প নয়, বরং একটি সামাজিক দায়িত্ববোধের বাস্তব প্রকাশ। আয়োজকরা সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে পরিবারসহ এই মানবিক উদ্যোগে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
-

প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত
সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত এল্লারচর সেতুটির এক পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। গত ১৮ মে রাতে সেতুটির দক্ষিণ পাশের এ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা এবং আশাশুনি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বালিথা, এল্লারচর, শিমুলবাড়িয়া, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা, মেল্লেকপাড়া, বড়খামার, উমরাপাড়া, পৌরসভার কুখরালি, চালতেতলা, গড়েরকন্দা, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বিলশিমুলবাড়িয়া, চরবালিথা, শ্যামনগর, ঢালিরঘের, আন্দোলপোতা, শশাডাঙ্গা, গবরাখালি, টিকেট, পুঁটিমারি, রঘুনাথপুর এবং আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর, হাজিপুর, বাউচাষ, শালখালি,বদরতলাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এল্লারচর সেতু দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটির দক্ষিণ পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ার পর তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মরিচ্চাপ নদী পারাপারে আশেপাশে বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
একই সাথে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর ওপারে দেবহাটার অংশে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি ও সবজি চাষিরা। যেকোন সময় সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোডের সম্পূর্ণ অংশ ধ্বসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের মেম্বর ও গণমাধ্যমকর্মী আরশাদ আলী সেতুটির অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় জনদুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদীতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। নদী শাসনের ফলে মরিচ্চাপ নদী মরা নদীতে পরিণত হয়। নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এল্লারচর সেতু। এরপর দুই-তিন বছর আগে খনন করা হয় মরিচ্চাপ নদী। যদিও নদীটি খননের সময় আদি ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে খনন করা হয়নি। নদী খননের পর বর্তমানে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় গত ১৫দিন আগে ১৮ মে রাতে এল্লারচর সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোড সংযোগ সড়ক ধ্বসে পড়ে। এতে করে তিন উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে তারা ওই সেতু পার হয়ে চলাচল করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে সড়কটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ সোমবার (২ জুন) সকালে এল্লারচর সেতুটি পরিদর্শন করে জানান, সেতুটি অনেক পুরাতন। সেতুটির প্রশস্ততা নদীর চেয়ে কম। জোয়ার-ভাটার স্রোতের টানে হয়তো সেতুটির সংযোগ সড়ক ধ্বসে গিয়েছে। আপাতত সেতুর পাশে ব্লকদ্বারা সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ আপাতত চলাচল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটি পুনঃনির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর এল্লারচর এলাকায় একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
-

জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি চাল ইউনিয়ন পরিষদ বা নির্ধারিত গোডাউনে না রেখে নিজ বাড়িতে মজুত করেছেন এবং প্রত্যেক জেলে কার্ডধারীকে বরাদ্দের চেয়ে কম পরিমাণ চাল দিয়ে নগদ অর্থ আদায় করছেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। তবে আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের জেলেদের কার্ডে বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ২০ কেজি পরিমাণ চাল কম দেয়া হচ্ছে। আবার সরকারি এই চাল দেয়ার জন্য জেলেদের কাছ থেকে টাকাও নেয়া হচ্ছে।
খাজরা ইউনিয়নের জেলেরা অভিযোগ করেছেন, খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডল তাদের জোরপূর্বক ৩১ থেকে ৩৪ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল নিজে রেখে দিচ্ছেন। এর বাইরে চাল পরিবহনের খরচ দেখিয়ে মাথাপিছু কিছু টাকাও আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, সরকার আমাদের প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম করেছে। কিন্তু সভাপতি কম চাল দিচ্ছেন ও টাকাও নিচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সুবোধ মণ্ডল বলেন, আমার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪০ জন জেলের চাল আমার বাড়িতে রাখা আছে। কারণ ইউনিয়নে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চাল বাড়িতে রেখেছি। এবার বাজেট কম আসায় ইউনিয়নের ৬৫১ জন কার্ডধারীকে ৩১ কেজি ৪০০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি সবার জানা।
তবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, চাল পরিবহনে কিছু খরচ হয়, সেটুকু সমন্বয়ের জন্য সামান্য টাকা নিয়েছি। এর বাইরে কোনো অনিয়ম হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশাশুনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, আমরা স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৫৬ কেজি করেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম বিতরণের কোনো সুযোগ নেই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সরকার প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এটি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির বাড়িতে রাখা বা ইচ্ছেমতো বিতরণের সুযোগ নেই। সরকারি নীতিমালার বাইরে গিয়ে চাল বিতরণ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এদিকে ইউনিয়নের সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক হিসাব অনুযায়ী চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, এভাবে যদি চাল কেটে দেওয়া হয় ও কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়, তাহলে প্রকৃত জেলে পরিবার তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
-

দেবহাটায় ছাত্রীদের ইভটিজিং, সাজা প্রদান
দেবহাটায় ছাত্রীদের ইভটিজিং এর দায়ে ১ ইভটিজারকে আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের সাজা প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান। জানা গেছে, উপজেলার চকমোহাম্মাদালীপুর গ্রামের মৃত শাহাদাত হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলামের ঈদগাহ বাজারে ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি দোকান আছে। সে ঈদগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সময়ে ইভটিজিং করতো। বিষয়টি গত কয়েকদিন যাবৎ একাধিক শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদেরকে জানাই। পরে অভিভাবক ও শিক্ষকরা প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে সোমবার ২ জুন সকাল ১১টার দিকে শাহিনুরকে পুলিশ আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত শাহিনুরকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের দন্ড প্রদান করেন। পুলিশ আসামীকে আটক করে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরন করেছে।
-

সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী মাজেদ গংয়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে গ্রামবাসীর রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্রজবাকসা গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করার মানসে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যে মামলা দিয়ে ব্রজবাকসা ও রঘুনাথপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী মিস্টার এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরি মৌসুমে তিন গ্রামের অধিবাসীরা ২টি গভীর নলকূপের পানি সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকেন। ডিপ পরিচালনার নিয়ম হলো একজন ব্যক্তি কয়েক বছর একাধারে ডিপের সেচ পরিচালনা করতে পারবে না। এলাকার মানুষের দাবী ডিপ নিয়ম অনুসারে চলবে। কিন্তু আব্দুল মাজেদ এই নিয়ম মানতে নারাজ। সে অর্থ এবং গায়ের জোরে তার পোষ্য লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২টি গভীর নলকূপ ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে গেল মৌসুমে সেচের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হয়। যার ফলে তিন গ্রামের মানুষ আর্থিকভাবে দারুন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এঘটনায় এলাকার জনগণ কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭৩/২৫ এবং ৭৪/২৫। যেটা চলমান।
জুলফিকার আলী মিস্টার আরো বলেন, এঘটনার জের ধরে আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসীদের নামে চাঁদাবাজী, ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার আদৌ কোনো ভিত্তি নেই। এই সুযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক-শ্রেণির তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তদন্ত না করে মাজেদের অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে এলাকাবাসীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলেছে। আব্দুল মাজেদ ও তার ছেলে শরিফুল ইসলামের দৌরাত্ম ও টাকার অহংকারের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মাজেদ এবং তার ছেলের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। থানার তদন্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাজেদ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সি আর ৬/২৪, কলারোয়া, সি.আর ৩১/২৫, কলারোয়া, সি আর ২৬/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ২০৯৮/২৪, পিটিশন ৩৭৬/২৫, পিটিশন ১৭৮/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ১৭৯/২৪, কলারোয়া, পিটিশন ৮৯০/২৪, সহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা করেছে। প্রতিটি মামলায় এলাকা থেকে ২০/২৫ জন ব্যক্তিদেরকে আসামী করা হয়েছে। তার মিথ্যে মামলা থেকে এলাকার বৃদ্ধ মানুষেরাও রেহাই পায়নি। এলাকার মানুষ সন্ত্রাসী, গডফাদার, ভূমিদস্যু ও চোরাকারবারী মাজেদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়।
তিনি চোরাকারবারী মাজেদ ও তার ছেলের হাত থেকে এলাকাবাসীর নিষ্কৃতির দাবিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। -

ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদনের অভিযোগে ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামক একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৬।মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুতের প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কারখানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: পলাশ আহমেদ।এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৬ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিন উদ্দীন মো: জিয়াদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।র্যাব সূত্রে জানা গেছে, কারখানাটিতে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। মিষ্টির উপকরণ ও তৈরি পণ্যের আশপাশে সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। এতে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা দেখা দেয়।অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্রুত পরিষ্কার করে মানসম্মত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি সাংবাদিক দের আরো জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। -

সাতক্ষীরায় বিজিবি’র মেডিকেল ক্যাম্পেইন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন এলাকায় সীমান্তবর্তী জনসাধারণর স্বাস্থ্যসেবার নিমিত্তে মেডিকেল ক্যাম্পেইন করেছে বিজিবি।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টা থেকে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের (৩৩ বিজিবি) ব্যবস্থাপনায় ঘোনা বিওপিতে এই মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ঘোনা বিওপির আওতাধীন বসবাসকারী গবীর, দুস্থ এবং অসহায় জনসাধারণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়। মেডিকেল ক্যাম্পেইনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক রোগ নির্ণয় করতঃ বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ১৪১ জন (পুরুষ-৪৮ জন, মহিলা-৬৯ এবং শিশু রোগী-২৪ জন) জনসাধারণকে চিকিৎসা প্রদানসহ ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের সকল সদস্যগণ জেলার সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান দমনের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিজিবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।