Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 3 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন

    জুলাই ২০২৪-এ সংঘটিত বর্বর হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরা-এর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।

    এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী স্বাক্ষর সংগ্রহ ও ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলোর হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা

    গণস্বাক্ষর প্রদানকারীর মধ্যে রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক আহবায়ক আরাফাত হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাসকিন আহমেদ চিশতি, এনসিপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি যুগ্ম সমন্বয়ক মো. আখতারুজ্জামান, সুহাইল মাহদীন (সাদী), মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব তামীম তাসনীম, যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাত নূহা আনছারীসহ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, রাজনীতিক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, সংগঠনের সদস্যসহ নানা পেশার মানুষ।

  • ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব

    ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মোমিনকে বহিষ্কারের নামে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) হাবিবুল ইসলাম হাবিব নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে বিএনপির নাম, লোগো এবং লেটারহেড ব্যবহার করে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোমিনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করা হয়, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় যুবদল নেতা আব্দুল মোমিন বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মিথ্যা প্রচারণা। দলের প্রতি আমার আনুগত্য শতভাগ রয়েছে। কেউ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
    তালা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোস্তফা হোসেন মন্টু বলেন, “মোমিনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও বলেন, “সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল হাবিব ভাইয়ের নামে একটি ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।”
    তালা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মির্জা আতিয়া রহমান বলেন, “আমার কাছে বহিষ্কারের কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
    এদিকে বিএনপি ও যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা

    সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ভিডিও ফুটেজ, ছবি, ভুক্তভোগীদের বয়ান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থাকলেও প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার সাংবাদিক সমাজ। অবাক করার মতো বিষয় আসামিরা প্রকাশ্যে সাতক্ষীরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে।
    এর আগে, গত ৩০ জুন (সোমবার) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে চলমান নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম ও তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পরপরই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
    মামলায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয় আবু নাসের মো. আবু সাঈদ (৪৫)-এর।পাশাপাশি নাম আসে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আল ইমরান, অমিত ঘোষ বাপ্পা এবং শাকিলা ইসলাম জুঁই–এরও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ছিল হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ।
    এদিকে, আল ইমরান ও অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, প্রতারণা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পুরোনো। অপরদিকে, শাকিলা ইসলাম জুঁই বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও ঘটনার দিন তাকে হাতে লোহার রড নিয়ে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
    সাংবাদিকদের অভিযোগ, এতদিনেও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং ঘটনার পরদিন হামলার মূল অভিযুক্ত আবু সাঈদ নিজেই থানায় পাল্টা মামলা করেন, যেখানে তিনি সাতক্ষীরার ৩৭ জন কর্মরত সাংবাদিককে আসামি করেন। মামলার ধারা: ১৪৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ দণ্ডবিধি। সাংবাদিকদের দাবি, এ মামলা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত হামলাকারীদের রক্ষার কৌশল মাত্র।
    অভিযোগ রয়েছে, আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চলছেন। এক সময় তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-র আর্থিক সহায়তাকারী (ডোনার)।
    ২০১৯ সালের ৩১ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো হামলার সময়ও এমপি রবির ছত্রছায়াতেই সাঈদ ক্লাবে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় প্রেসক্লাবের নবনির্মিত হলরুমের নাম পরিবর্তন করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন’ নামকরণ করে একটি ফলকও স্থাপন করেন।
    ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরবর্তী সময় থেকে সাঈদ ও তার পরিবার সাতক্ষীরার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন দখলে নেয়। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি– সাঈদের চাচা আব্দুর রউফ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন– চাচা হাবিবুল ইসলাম হবি (এখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব–সাঈদের নিজ নেতৃত্বে এখনো রয়েছে তার দখলে।
    সাংবাদিকদের ভাষ্য, এসব পদ-পদবি ব্যবহার করেই সাঈদ ও তার সহযোগীরা দখল ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। হামলার পরদিন থেকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। থানার সামনেই দলবল নিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন আসামিরা, অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ছয়দিন অতিক্রম করেছে, এখনো পর্যন্ত মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
    তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলাকারীরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে থানার সামনে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন কোনও তথ্য এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সাতক্ষীরায় জগন্নাথ দেব উল্টা রথযাত্রার মাধ্যমে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন

    সাতক্ষীরায় জগন্নাথ দেব উল্টা রথযাত্রার মাধ্যমে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধ : সাতক্ষীরায় মাসির বাড়ি থেকে নিজে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথদেবের উল্টা রথযাত্রা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকালে শহরের কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দির থেকে হাজার হাজার ভক্ত নিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব নিজ বাড়ি সদরের ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর মঠ মন্দিরে ফিরে যান। সনাতন ধর্মের শাস্ত্র মতে, জগন্নাথ কলিযুগের ভক্তদের উদ্ধার করা‌। জগন্নাথ দেবের রশি টানার মাধ্যমে কল্যাণ রয়েছে। যুবক, বৃদ্ধা, তরুণ, শিক্ষার্থী সহ সব বয়সের মানুষ কিন্তু রশির প্রতি আকর্ষণ টানে। জগন্নাথ দেবের প্রতিবছর মানুষকে এই রশির মাধ্যমে সকল বিপদ থেকে মুক্ত রাখে।জগন্নাথ দেব এক সপ্তাহের অধিক সময় মাসির বাড়ি অবস্থান করেন। এ সময় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভাগবত আলোচনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে মিলিত হন। জগন্নাথ দেবের সন্নিদ্ধে আগত হাজার হাজার ভক্তদের দুপুরে অন্নপ্রসাদের প্রদান করেন। প্রতিদিন দুপুরে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার ভক্তদের মাঝে প্রশাদ বিতরণ করা হয়। প্রতিদিন ভক্তদের আগমনে কাটিয়া সার্বজনীন মন্দির মিলন মেলায় পরিণত হয়।প্রতি বছর আষাঢ় মাসে শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্র নিজ বাড়ি থেকে মাসির বাড়ির যান। এ সময় বিভিন্ন লোভনীয় ফল মিষ্টি সহ বিপুল সংখ্যক ভক্ত কিন্তু সাথে থাকেন। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর সর্বজনীন পূজা মন্দির কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর চন্দ্র দত্ত, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক শঙ্কর কুমার রায়, যুগ্ন আহবায়ক সমরেশ কুমার দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, প্রাক্তন শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, জেলা জুয়েলারি সমিতির সাধাঃ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু, প্রশান্ত কুমার গাইয়েন,সমীর কুমার বসু, কিরণ্ময় সরকার, মিলন কুমার দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, ভৈরব কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, অসিত কুমার মল্লিক, নিমাই কর্মকার, উৎপল শাহ,সহ সাধু ,পন্ডিত, পুরোহিত ও হাজার হাজার ভক্তবৃন্দরা।
  • Untitled post 28247

    সাতক্ষীরায় মুদি দোকানে চুরি
    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা: শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটে মাস্টার মার্কেটেরবইসলাম এন্টারপ্রাইজে এক মুদি দোকানে চুরি সংগঠিত হয়েছে।
    দোকানে লাগানো সিসি টিভি ফুটেছে চোরকে সনাক্ত করেছে স্থানীয় জনতা।
    চোরের নাম রানা(২৫)।সে ওই ইউনিয়নের শিয়াল ডাঙ্গা বাগপাড়া কলোনির আমজের আলীর ছেলে।
    ইসলামিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় দোকান খুলে মালামাল অগোছালো, সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা ও দোকানের টিনের চাল কাটা অবস্থায় দেখতে পান।দোকানের কোন মালামাল না নিয়ে গেলেও ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় ৭ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
    আবাদের হাট বাজার কমিটির সভাপতি ও শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখে প্রাথমিকভাবে চোরকে শনাক্ত করা গেছে।
    বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বাজার এলাকায় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। এই বাজারে এর আগেও একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে নৈশ প্রহরীদের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটে বলে তাদের দাবি।

  • সাতক্ষীরায় হোটেল কক্ষে ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরায় হোটেল কক্ষে ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা সিনেমা হলের মোড় সংলগ্ন আবুল কাশেম সড়কের পাশের হোটেল আল-কাশেম ইন্টারন্যাশনালের ৬ষ্ঠ তলার ৬০৬ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার বাগমুছা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রাব্বি ইসলাম (২৫) এবং তার স্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মহসিন গাজীর মেয়ে সাথী সুলতানা (২১)।

    জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দীন মোল্যার নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) সাখায়েতুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    পুলিশ জানায়, আটক দম্পতির কাছ থেকে মোট ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাব্বির কাছ থেকে ৩০০ পিস এবং সাথীর কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় মাদক নিমূর্লে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ। কোথাও মাদকের গন্ধ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সদস্য সচিবের পদত্যাগ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সদস্য সচিবের পদত্যাগ

    পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন (সাদী)। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সুহাইল বলেন, আজ ১ জুলাই, ২০২৫—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক বছর পূর্তি। ২০২৪ সালের এই দিনে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে প্রজ্বলিত আগুনকে সামনে রেখে এই ব্যানারের যাত্রা শুরু হয়। সেই আন্দোলন এখন হয়ে উঠেছে একটি চেতনা—‘জুলাই বিপ্লব’।

    তিনি বলেন, সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়েই তিনি পদ ছাড়ছেন। এই সিদ্ধান্ত কোনো ক্ষোভ বা বিরোধ থেকে নয়, বরং সংগঠনের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই পদত্যাগ করছি। আমি বিশ্বাস করি, নেতৃত্ব মানেই কেবল পদে থাকা নয়—বরং ত্যাগ, বিশ্বাস ও চেতনার নামই প্রকৃত নেতৃত্ব।

    সুহাইল আরও বলেন, পদ ছেড়েছি কিন্তু প্রেম নয়। এই মাটি, এই স্বপ্ন, এই বিপ্লব—সবসময় বুকের ভিতর গেঁথে থাকবে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করেই আগামীতেও বৈষম্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবেন।

    সুহাইল তার স্ট্যাটাসে বলেন, আমি চাই, ‘জুলাই’-এর চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক সাতক্ষীরার প্রতিটি প্রান্তে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু একটি সংগঠন নয়—এটি একটি আদর্শ, একটি দীপ্ত প্রতিজ্ঞা। সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন আমার মূল লক্ষ্য।

    তিনি বলেন, কারো সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। বরং সংগঠনের গতিশীলতা বাড়াতেই এই পদত্যাগ। পোস্টের শেষ লাইনে তিনি লেখেন- জুলাই বিপ্লব জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে সাতক্ষীরা জেলা শাখায় ১৬৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান আরাফাত হুসাইন, সদস্য সচিব হন সুহাইল মাহদীন (সাদী)। আল শাহরিয়ার মুখ্য সংগঠক এবং মোহেনী পারভীন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১

    নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল (১ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত গৃহীত সাংবাদিকদের আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম ঘোষনা করেন। পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধনের সমাপ্তি সভাপতির উক্ত ঘোষনার মাধ্যমে শেষ হয়। এর আগেই সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাংবাদিকদের উপরে বহিরাগত সন্ত্রাসিদের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনের সংহতি জানাতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শহীদ আলাউদ্দীন চত্ত্বরে সমবত হন।
    প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম বলেন,‘‘ সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা প্রেসক্লাবের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এলক্ষ্যে ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান। সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত একটি গঠণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য গঠণতন্ত্রের ধাঁর না ধেরে একটি মনগড়া কমিটি গঠণ করে সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত অঘোষিতভাবে বন্ধ করেছে। সোমবার পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারণ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে প্রবেশ মুখে লাঠি,রড,হাতুড়িসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। এতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,সাধারণ সদস্য আমিনুর রহমান, ইদ্রিস আলীসহ ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। বিকেলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সামগ্রিক ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের আহবানে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একটি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবারও একটি সভা আহবানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত সাংবাদিকদের সকল আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।”
    এদিকে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে ১৮ জনকে জ্ঞাত ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা-নং-১। ধারা-পেনাল কোড-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪। এঘটনায় পুলিশ চিহিৃত ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত যুবক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের নাজমুল হুদার ছেলে সাব্বির হোসেনকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত  হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরার আয়োজনে  সোমবার (৩০ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরার নিরাপদ খাদ্য অফিসার দীপংকর দত্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, শহর জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক কাউন্সিলর লাভলু,সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জয়ন্ত কুমার,  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলার আহবায়ক আরাফাত হোসেনসহ নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও খামারি বৃন্দ।
  • সাতক্ষীরায় সবুজ উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় সবুজ উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত

    রুহুলকুদ্দুস,সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরায় উদ্যোক্তা তৈরীতে যুব সদস্যদের নিয়ে সবুজ উদ্যোগের উপর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (৩০ জুন-২৫) সকাল ৯ টায় সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো আয়োজনে ও বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ ও গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উদ্যোক্তা তৈরীতে এক্টিভিস্টা সদস্যদের নিয়ে সবুজ উদ্যোগের উপর পরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    উক্ত প্রশিক্ষণে সাতক্ষীরা সদর, তালা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর থেকে যে সকল তরূণ-তরুণী টেকসই সবুজ উদ্যোক্তার জন্য  পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল তার মধ্য থেকে ১৩ জন এক্টিভিষ্টা সদস্য এই সেশনে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে।
    সেশন পরিচালনা করেন গ্রাসরুটস যুব উন্নয়ন সংস্থার চিফ কো-অর্ডিনেটর আমজাদ হোসাইন, ও লিড মেন্টর/ফ্যাসিলিটেটর ফজলুল কাদের আপন সাজিদ।
    উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম সেক্রেটারিয়েট ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অলকানন্দা দত্ত, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান তহিদ, ইন্সপেরিটর একশনএইড বাংলাদেশ সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সভাপতি সাকিব হোসেন, সদস্য ইফতি জামিল প্রমুখ।
    কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রশমন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা, সবুজ উদ্যোক্তার ভুমিকা, গুরুত্ব ও বর্তমান পরিস্থিতি সেক্টর চিহ্নিতকরণ, মানদন্ড নির্দ্ধারন, সবুজ খাত/উপখাতে কর্মসংস্থানের অনুমান, বিভিন্ন সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জের জন্য বিভিন্ন সুযোগ, সম্প্রসারণ এবং উদ্ভাবন, ফলোআপ কর্ম প্রতিশ্রæতি। ব্যবসা অভিক্ষেপ এবং পরিকল্পনা প্রক্রিয়া, উদ্দেশ্য সংজ্ঞায়িত করা, বাজার গবেষণা, লক্ষ্য শ্রোতা সনাক্তকরণ, মার্কেটিং প্লান/ব্রান্ডিং, আর্থিক পরিকল্পনা এবং লাভ মার্জিন, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, ধারনার প্রাসঙ্গিককরণ, গ্রীন বিজনেস আইডিয়া ব্যবস্থাপনা, স্কেলিং আপ এবং যোগাযোগ করা। তহবিলের জন্য আবেদন, গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডার সনাক্তকরন, প্রেক্ষাপটে সবুজ উদ্যোক্তা মডেল স্থাপন করা, সবুজ উদ্যোক্তা ধারনা অর্থায়ন। উল্লেখ্য এই প্রশিক্ষণ থেকে যে পরিকল্পনা গুলো পাওয়া যাবে সেগুলো যদি সবুজ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ততা থাকে পরবর্তীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করার সুযোগ রয়েছে।
  • সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো  বিভীষিকাময় দিন

    সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো বিভীষিকাময় দিন

    সমাজ ও রাষ্ট্রে সাংবাদিকতার ভূমিকা কী হবে তা সাংবাদিকরাই জানে না। আমাদের দেশে
    সাংবাদিক হওয়া সবচেয়ে সহজ। প্রকৃতপক্ষে, সাংবাদিকতা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর
    একটি। একজন সাংবাদিকের দক্ষতা একজন মানুষকে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে,
    আবার একজন সাংবাদিকের অজ্ঞতা একজন মানুষকে ধ্বংশ করে দিতে পারে। সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবের ইতিহাসে যুক্ত হলো এক বিভীষিকাময় দিন ৩০ জুন ২০২৫। এদিন দুপুরে
    প্রেসক্লাবের সামনে যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু কিছু সাংবাদিকের ওপর
    শারীরিক নিপীড়নের সীমায় আবদ্ধ নয়; এটি ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় এক ভয়ংকর আঘাত।
    কলম যে সত্যের প্রতীক-সেই কলম যখন রক্তে ভিজে যায়, তখন গোটা সমাজ ব্যথিত হয়, বিবেক
    কাঁদে। ডিবিসি টেলিভিশনের এম বেলাল হোসেন, দৈনিক ভোরের আকাশের আমিনুর রহমান,
    ঢাকার ডাকের তৌফিকুজ্জামান লিটুসহ অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এই ঘটনায়।
    মাথা ফেটে রক্তাক্ত সাংবাদিকের ছবি দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ নিশ্চুপ থাকতে পারে না।
    আহতরা এখন চিকিৎসাধীন; কেউ শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত, কেউ মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত।
    এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও
    প্রত্যাশিত প্রতিরোধ তারা দেখাতে পারেননি-এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আমরা
    মনে করি, পেশাদারিত্বের প্রশ্নে পুলিশ ও সাংবাদিক-উভয় পক্ষকেই দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে।
    সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষায় উভয়েরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
    আমরা বিশেষভাবে স্বস্তির সঙ্গে লক্ষ করেছি, ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর উপস্থিতি পরিস্থিতি
    নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা-
    রাষ্ট্র যেখানেই বিপদ, সেখানেই নিরপেক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত।
    তবে বড় প্রশ্ন থেকে যায়-এমন ভয়াবহ সহিংসতা কেন? প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে
    দীর্ঘদিন ধরে দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান ছিল, যা এক সময় সীমানা ছাড়িয়ে
    রক্তক্ষরণে গড়ায়। নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতা যদি সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে আমরা কী বার্তা
    দিচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংবাদকর্মীদের?
    প্রেসক্লাব হলো মত ও তথ্য বিনিময়ের একটি পবিত্র মঞ্চ। এখানে মতভেদ থাকবে, থাকবে
    মতবিরোধও। কিন্তু মতের পার্থক্য কখনো রড-লাঠির মাধ্যমে সমাধান হতে পারে না। বরং
    আলোচনার মাধ্যমে, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাটাই সবার
    জন্য সম্মানজনক পথ।
    এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত
    আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হোক। প্রশাসনের দায়িত্বরতদের ভূমিকা নিয়েও নিরপেক্ষ তদন্তের
    মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন
    ও সাংবাদিক সমাজ-সব পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
    আমরা মনে করি, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার সময় এখনই। যে সংকটের জন্ম হয়েছে অভ্যন্তরীণ
    কোন্দল থেকে, তার সমাধান হতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। সহিংসতা নয়-মুক্ত সংলাপ,
    ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই হতে পারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন পথচলার ভিত্তি।
    একজন সাংবাদিকের কলম শুধু তার ব্যক্তিগত অস্ত্র নয়; তা সমাজের প্রতিবিম্ব, রাষ্ট্রের চেতনা
    এবং গণতন্ত্রের প্রহরী। তাই সাংবাদিকদের রক্ত নয়-চাই তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ,
    নিরাপত্তা এবং মর্যাদা। পরিশেষে আমাদের প্রত্যাশা, এই দুঃখজনক ঘটনার পরে সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাব হয়ে উঠবে সকল সাংবাদিকের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরের প্রতীক। রক্ত নয়-বিশ্বাস,
    সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ হোক সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ভিত্তি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব
    হোক সাংবাদিক ঐক্য ও পেশাগত মর্যাদার প্রতীক-এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
    লেখক: সম্পাদক, সাহিত্যপাতা।

  • বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

    বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

    এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডাকা আন্দোলনের কারণে রোববার (২৯ জুন) দ্বিতীয় দিনের মত সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বন্দরের রাজস্ব আদায়ের উপর।

    এদিকে এনবিআর সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস হাউজের প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। ভিতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও দেখা পাওয়া যায়নি। বন্দরে ঢোকার অপক্ষোয় ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর এলাকায় কয়েক শ’ পণ্যবাহী ট্রাক দাড়িয়ে আছে। একইভাবে ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশী পন্যবাহী অসংখ্য ট্রাক। কাস্টমস অফিস বন্ধ থাকায় কোন পণ্য খালাস, যাচাই বা ছাড়করণ সম্ভব হচ্ছে না।

    বন্দরের একজন ব্যবসায়ি জানান, গত তিনদিনে ভোমরা ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে আমদানী রফতানীর অপেক্ষায় থাকা অন্তত ৫০০ ট্রাক আটকা পড়েছে। বিপাকে পড়েছে এসব ট্রাকের চালক ও হেলপাররা। একই সাথে কাজ বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। তবে, এবষিয়ে কাস্টমস এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

    ভোমরা স্থলবন্দরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বলেন, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ডাকা শাটডাউন এর কারণে ভোমরা স্থলবন্দর হতে প্রতিদিন ৩০/৪০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। এছাড়া প্রতিদিন ৫/৬ হাজার শ্রমিক এই বন্দরে কাজ করে। দুই দিন কাজ করতে না পেরে তাদের সংসার অচল হওয়ার পথে। এছাড়া ৪/৫ শ’ ট্রাকের চালক ও হেলপার মিলে প্রায় ৭/৮ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

    বন্দরের একজন ট্রাক চালক জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে চারদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে আমরা চালকরা বন্দরে আটকা পড়ে আছি। গাড়ি এখন ভারতে ঢুকছে না। বন্দও অচল অবস্থায় রয়েছে। এতে করে আমরা চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছি। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।

    ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, কাস্টম কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনের কারণে বন্দর কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিকরা। বর্ষার এই সময়টায় কাজ না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

    তিনি আরও বলেন, বন্দর ঘিরে সাতক্ষীরায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কাজ করেন। এখন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না হলে ক্ষতির পরিমাণ হবে ভয়াবহ।

    প্রসঙ্গতঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে শনিবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির ডাক দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে ভোমরা বন্দরে ৫ ঘণ্টা কলম বিরতি পালন করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এরপর শনিবার সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

  • যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা সদরে যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সংলাপে ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস।
     সংলাপের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করনে প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন, ফিংড়ি ঈমাম পরিষদের হাফেজ মাওলানা জাকির হোসেন, হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজমুল হুদা, ক্যাটেখিস্ট চালতেতলা মিশনের ডমেনিক মন্ডল, ফিংড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গুলশান আরা,  দক্ষিণ ফিংড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি কমলেস সরদার, গাভা আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক স্বপন কুমার মন্ডল, বিশ^নাথ কয়াল, ব্যাংদহা বাজার কমিটির সেক্রেটারী সঞ্জয় দাশ, জেডিএফ সভানেত্রেী ফরিদা আক্তার বিউটি, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমনা বাবলা, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্যবৃœদ জনপ্রতিনিধিগন সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ।
    বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবী যুব সংঘের সভাপতি শিহাব সিদ্দীকি, লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সাধারন সম্পাদক নুরজাহান খাতুন, প্রান্তিক যুব সংঘের সদস্য ইমতি জামিল ও কর্নফুলি যুব সংঘের সভাপতি মোহাইমিন,
    মানুষ সামাজিক জীব। সবাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করলেই সমাজে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলেই একসাথে কাজ করা উচিত। দ্বন্দ নিরসন এমন একটা উপায় যেখানে সকল বয়সের মানুষ একসাথে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে। এটি আজীবন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ, যেখানে প্রজম্মের পর প্রজন্ম্ দক্ষতা, মূল্যবোধ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করে। জ্ঞান স্থানান্তরের বাইরে এটি বিভিন্ন প্রজম্মের মধ্যে পারস্পারিক শেখার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমাদের বয়স্ক সমাজে সামাজিক মূলধন এবং দ্বন্দ সমাধান বিকাশে সহায়তা করে। দ্বন্দ সমাধানের লক্ষ্য হল উদ্দেশ্যমূলক, পারস্পারিক উপকারী কার্যকলাপে মানুষকে একত্রিত করা যা প্রজম্মের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে ও দ্বন্দ সমাধানে অবদার রাখে।
    আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক দ্বন্দের আশঙ্কা রয়েছে, যেমন বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অতি উৎসাহিত মনোভাবের কারনে সংঘাত, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ, ত্বকের রঙ নিয়ে দ্বন্দ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দ্বন্দ, জমি নিয়ে দ্বন্দ ইত্যাদী উল্লেখযোগ্য। ধমীয় নেতারা ও তরূনরা স্থানীয় এলাকার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্টকারী সূচকগুলো চিহ্নিত করে একটি কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধানের উপায় খুজে বের করায় এই সংলাপের একমাত্র লক্ষ্য।
    সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আন্ত:সম্প্রদায় এবং আন্ত: প্রজন্মীয় প্রচারণা শুরু করে সমাজকে আর ও সহনীয় করে তোলা। সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা  ও দ্বন্দ নিরসনের জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য প্লাটফর্মের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কর্ম-পরিকল্পনা করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করা। স্থানীয় সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিকে আর ও সক্রিয় করা।বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে সামাজিক কর্মকান্ডে যুবদের অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করা।
    প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা ছিল সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা এবং অন্যান্য সমমনা অংশীদারদের অংশগ্রহনে কর্ম-পরিকল্পনা তৈরী ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।  স্থানীয় শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিতে যুবদের অর্ন্তভুক্ত করা ও দ্বন্দ নিরসনে অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করা হবে। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতা ও তরূনদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে যুব এবং ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরী করা হবে। আন্ত:প্রজন্ম সংহতি প্রচারণা আন্ত:সম্প্রদায়ের মাধ্যমে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।
    আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ নিরসন বিষয়ে কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারবে? সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় ও দ্বন্দ নিরসনে যুবদের কি ভুমিকা থাকা দরকার? সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিভাবে এক প্লাটফর্ম তৈরী করা যেতে পারে? শান্তির বার্তা  প্রচারের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি? সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি ও দ্বন্দ নিরসন বিষয়ে যুবদের কিভাবে কাজে লাগানো যায়? উপরোক্ত বিষয়াবলির উপর ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি ও দ্বন্দ নিরসনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং যুবদের নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাকিব হোসেন, এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো: তহিদুজ্জামান, তহিদ, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার, চন্দ্রশেখর হালদার, ইয়ূথ ফেলো শাওন।
  • চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল নেতাসহ আটক ৪

    চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল নেতাসহ আটক ৪

    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে যুবদল নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে পাটকেলঘাটা থানার টিকারামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটকৃতরা হলেন- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালি ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজীবর রহমান, টিকারামপুর গ্রামের এনামুল হক রানা, তার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা এবং একই গ্রামের হাবিবুল সরদারের ছেলে সোলায়মান।

    সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার রহমান জানান, জুলাই আন্দোলনের পর থেকে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ চারজনকে আটক করা হয়।

    অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ৯০ পিস ইয়াবা, ৪০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম এবং নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকের পর আসামিদের পাটকেলঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরের পরে সেনাবাহিনী তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।

  • ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে শুরু হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে শুরু হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ২৭ জুন ) বিকাল ৪ টায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব নিজ বাড়ি ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর মঠ মন্দির থেকে একটি রথযাত্রা বের হয়। রথযাত্রাটি সাধু ,পন্ডিত, পুরোহিত ও ভক্তবৃন্দরা মাসির বাড়ি, সাতক্ষীরা  সদরের কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দিরে গিয়ে মিলিত হয়।
    শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রাটি কাটিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে অর্থাৎ মাসির বাড়ি গিয়ে পৌঁছায়, সেখানে টানা-১ সপ্তাহ পূজা,অর্চনা, প্রতিদিন দুপুরে অন্নদান, সন্ধ্যায় ভগবত আলোচনাসহ প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে  আগামী ( ৫ জুলাই ) শনিবার শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে উল্টো রথযাত্রার মধ্যে দিয়ে ফিরে যাবে। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর সর্বজনীন পূজা মন্দির কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর চন্দ্র দত্ত এর সভাপতিত্বে রথযাত্রা উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক শংকর কুমার রায়, যুগ্ন আহবায়ক সমরেশ কুমার দাশ, সমীর কুমার বসু, অলোক কুমার তরফদার, সদস্য সচিব কিরণ্ময় সরকার, যুগ্ন সদস্য সচিব মিলন কুমার দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, ভৈরব কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, অসিত কুমার মল্লিক, মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু, নিমাই কর্মকার, উৎপল শাহ, ধুলিহর মঠ মন্দিরের কানাইলাল সাহা,ভীম বন্ধু দাশ ও নিখিল আড্ডসহ শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সুলতানপুর কাজীপাড়ায় মাদকবিরোধী কমিটি গঠন: মসজিদ কমিটির সভায় নেওয়া হলো সিদ্ধান্ত

    সুলতানপুর কাজীপাড়ায় মাদকবিরোধী কমিটি গঠন: মসজিদ কমিটির সভায় নেওয়া হলো সিদ্ধান্ত

    সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর কাজীপাড়া এলাকায় মাদকের করাল গ্রাস থেকে সমাজকে রক্ষা করতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে গঠিত হলো মাদকবিরোধী কমিটি।
    শুক্রবার (২৭ জুন) জুম্মার নামাজের পর কাজীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির এক বিশেষ সভায় এই কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়।
    মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই গঠিত হয় এলাকাভিত্তিক এই কমিটি। কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কাজী কবিরুল হাসান বাদশা, কাজী মাগফুর এবং কাজীপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুস সবুর ও মোয়াজ্জিন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে তৌহিদুর রহমান ডাবলুকে এবং সদস্য সচিব হয়েছেন কাজী সেলিম। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, কাজী আসলাম, আব্দুল হান্নান, মহিদ, কাজী বাবু, আক্তার, তারা, দিপু, বিমান, পল্লব, মনি, রাজীব, জাফির, বাবন, নাসিম ও আবু সাইদ।
    এই কমিটি কাজীপাড়া এলাকাজুড়ে মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে। পাশাপাশি এলাকায় কিশোর ও যুব সমাজের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত প্রচারণা চালাবে। মসজিদের খুতবায় মাদকের ক্ষতিকর দিক এবং ইসলামের দৃষ্টিতে এর অবস্থান তুলে ধরা হবে নিয়মিত। এছাড়া এই কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কাজীপাড়ায় যেন কোনো বাড়ির মালিক মাদকসেবী বা মাদক ব্যবসায়ীর নিকট বাড়ি ভাড়া না দেন, তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে।
    কমিটির আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান ডাবলু বলেন, “মাদক শুধু একজনকে নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। আমরা এলাকাবাসী একজোট হয়ে এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছি। প্রশাসনের সহায়তায় আমরা একটি মাদকমুক্ত কাজীপাড়া গড়তে চাই।”
    কাজীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুস সবুর জানান, “মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, সমাজ গঠনের কেন্দ্রও বটে। আমরা জুমার খুতবায় নিয়মিত মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করব, যাতে মানুষ সচেতন হয়।”
    মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে একত্রে কাজে লাগানোর এমন উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। কাজীপাড়াবাসীর এই সম্মিলিত প্রয়াস অন্যান্য এলাকাতেও অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পারে।
  • সাতক্ষীরায় খাবার পানি উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    সাতক্ষীরায় খাবার পানি উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদনহীন, অবৈধ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ড্রিংকিং ওয়াটার (জার) পণ্য উৎপাদনকারী দুটি ফ্যাক্টরিতে টাস্কফোর্স অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল ৪টায় সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠী এলাকায় বিজিবি, বিএসটিআই কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কর্ফোসের সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করে।

    বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠী এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতিত প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার (জার) পণ্য উৎপাদন করে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। যা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা।

    এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর দিক নির্দেশনায় বর্ণিত স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ড্রিংকিং ওয়াটার (জার) পণ্য উৎপাদনকারী দুটি ফ্যাক্টরীতে টাস্কর্ফোসের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তাজুল ইসলাম, বিজিবির পক্ষে সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুম, বিএসটিআই খুলনা এর ফিল্ড অফিসার মোঃ আব্দুল মান্নান সহ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনাকালে বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতীত প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার (জার) পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের দায়ে বিএসটিআই আইন ২০১৮ এর ৩১ ধারা মোতাবেক “মোকাব্বির ড্রিংকিং ওয়াটার” এর মালিক মোঃ মাছুম বিল্লাহ এবং “আফিফা এন্টার প্রাইজ” এর মালিক আবুল হোসেন প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি স্বাক্ষরিত একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের নির্দেশ দিলেন ডিসি

    সাতক্ষীরায় সব প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের নির্দেশ দিলেন ডিসি

    শেখ মাহবুব আহমেদ ::

    ‘সাতক্ষীরার প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যাংকের কর্মীদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। সেই টেস্টের রিপোর্ট আমাকে দিতে হবে। তাহলেই মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস সফল হবে।’ এভাবেই মাদক নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাক আহমেদ।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আমরা বসে থাকতে আসিনি। জীবনটা বসে থাকার জন্য না, কাজ করার জন্য। শুধু টাকার জন্য চাকরি করলে হবে না, ভালো কাজ করতে হবে। ডোপ টেস্টই হবে মাদকবিরোধী বাস্তব পদক্ষেপের প্রথম ধাপ।

    আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ।

    বক্তারা বলেন, মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয়, পুরো জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।।

    দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা এবং কুইজের আয়োজন করা হয়। শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।