Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 2 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পোস্ট  কার্ড বিতরণ  উদ্বোধন 

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পোস্ট  কার্ড বিতরণ  উদ্বোধন 

    সাতক্ষীরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পোস্ট  বিতরণ উদ্বোধন করা হয়েছে।
     বুধবার ( ১৬ জুলাই ) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পোস্টকার্ড বিতরণ করে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    এসময় বক্তব্য রাখেন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত হাসান খান, জেলা জামায়াতে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার  জাহারুল ইসলাম টুটুল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা আহবায়ক আরাফাত হোসেনসহ জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
  • সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    টানা প্রায় দুই সপ্তাহ পর দুইদিন বিরতি দিয়ে সাতক্ষীরা (১৪ জুলাই) ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। এতে করে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিল, খাল, পুকুর, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, আউশ ধানের ক্ষেত ও আমন বীজতলা। বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকরা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্লাবিত এলাকার বহু পরিবার।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোলের মধুমোল্লারডাঙি, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বকচরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, রথখোলার বিল, গদাইবিল, মাঠপাড়া, পার-মাছখোলা ও পুরাতন সাতক্ষীরার মতো নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পৌরসভার ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। একই সাথে সদর উপজেলার আলিপুর, কাশেমপুর, বালিয়াডাঙ্গা, বাবুলিয়া, লাবসার মাগুরা, খেজুরডাঙি, গোপিনাথপুর, বল্লী, বিনেরপোতা, শাল্যে, মাছখোলাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের বহু পরিবার। ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই মাচান বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

    প্লাবিত এসব এলাকার কিছু পরিবারকে কলাগাছের ভেলায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। রান্না ঘরে পানি উঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলোতে রান্নাবান্না একরকম বন্ধ রয়েছে। চুলায় আগুন জ্বালানো তো দূরের কথা, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন অনেক পরিবার। টিউবওয়েল ডুবে গেছে পানিতে। বাড়ির উঠানে হাটু সমান পানি। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রযেছে প্লাবিত এলাকার এসব মানুষ।

    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সোমবার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মোট ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

    আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি জমে গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রোপা আউশ ধানের ক্ষেত, আমন ধানের বীজতলা। সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় থাকা মৎস্য ঘেরগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক ঘেরে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিল একাকার হয়ে গেছে।

    কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এবার আমন রোপণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পুকুর, সড়ক ও খানাখন্দ তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা এলেই ডুবে যায় পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা।

    সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসক মাশরুবা ফেরদাউস বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব ড্রেনের মুখগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পৌরসভার কর্মীরা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যে সকল খাল রয়েছে তার কচুরিপানা পরিষ্কার করছে, যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয়।

    তিনি আরও বলেন, পৌর সভার পানি নিষ্কাশনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সার্কিট হাউস থেকে বাইপাস পর্যন্ত একটি বড় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাজেটের সঙ্গে সঙ্গে বাকি কাজগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি পৌরসভার কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে সেজন্য বেতনা নদীর গাবতলা-উত্তর চাপড়া এলাকায় দেওয়া আড়াআড়ি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন উজান থেকে পানি দ্রুত ভাটায় নেমে যাচ্ছে।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষায় ২ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

  • তৃতীয় মাত্রা’র সম্পাদকের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    তৃতীয় মাত্রা’র সম্পাদকের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    দেশের জনপ্রিয় ও পাঠক নন্দিত দৈনিক তৃতীয় মাত্রা এর সম্পাদক রবীন সিদ্দিকী সম্প্রতি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    তাঁর আশু শারিরীক সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর নেতৃবৃন্দ।
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু।
    নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের পক্ষে দেশবাসীর নিকট তার জন্য দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
  •  অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লাবসার ১৭ টি গ্রাম,  পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ 

     অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লাবসার ১৭ টি গ্রাম,  পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ 

    ইউপি চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে জোয়ারের পানি আটকাতে কাজ করছে শ্রমিক ও এলাকাবাসী

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর কর্মকর্তাদেরগাফিলতির কারণে বেতনা পাড়ে নির্মিত স্লুইসগেট সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সদরের লাবসা ইউনিয়ন ও ঝাউডাঙ্গা এবং  বল্লী ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষ। নষ্ট ও ব্যাবহার অনুপযোগী স্লুইস গেটের কারনে বর্ষার পানি ও বেতনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে সব ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘেরসহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ধানের বীজপাতা, শাকসবজিসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত স্লুইস গেট ও অনিয়ম দুর্নীতির কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সরকারের কোটি কোটি টাকা জনগণের উপকারে না এসে ক্ষতির কারণ হয়েছে।

    সরেজমিনে বেতনা পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, পাউবোর অপরিকল্পিত স্লুইস গেটের পাখা ওয়াপদার বেঁড়ির উপরে তোলা রয়েছে। স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণের কোন লোক নেই। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর বিভাগ-১ এর লাবসা ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা ৬ ব্যান্ট স্লুইস গেট ও আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট। পওর বিভাগ-২ এর রাজনগর ধেঁড়েখালি ৩ ব্যান্ট স্লুইস গেট, জামাই পাড়া সংলগ্ন ৩ ব্যান্ট স্লুইস গেট, কয়ার বিল ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট, কন্দুরডাঙ্গা এক পাড়ে ১ ব্যান্ট, ওপারে ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট ও বেড়ারডাংগী ২ ব্যান্ট স্লুইস গেট সবগুলি অপরিকল্পিতভাবে যেনতেন দায়সারা স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। কোনোটির পাখা আছে তাও উল্টা লাগানো, আবার কোনটার পাখা নেই। সরকারি কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে।  সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এবং সংস্কারকারী ঠিকাদার  প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দায়সারা স্লুইস গেট নির্মাণ করেছেন। যা এখন জনগণের গলার কাঁটা।

    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদরের ১৩ নং লাবসা ইউনিয়নের ৩৭ বছরের বারবার নির্বাচিত সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, আমার লাবসা ইউনিয়নসহ বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন অব্যাহত বর্ষার পানি ও বেতনা নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের মানুষের বসতবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘেরসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। সেই সাথে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবকে  দিয়েও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলিয়েছি কিন্তু তাদের কোন সাড়া পায়নি। তাদের সাড়া না পেয়ে আমি নিজের উদ্যোগে এলাকার মানুষদের নিয়ে বস্তা দিয়ে জোয়ারের পানি আটকাতে চেষ্টা করছি। যেন নতুন করে কোন গ্রাম প্লাবিত না হয়। আমি ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ লাবসা ইউনিয়নের তলিয়ে যাওয়া পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

    এ বিষয়ে লাবসা ইউনিয়নের পানিবন্দি মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ জুয়েল হোসেন, মাওলানা কুতুব উদ্দিন ও বল্লী ইউনিয়নের ইসরাইল শেখ বলেন, অপরিকল্পিত স্লুইস গেটে কোনটার পাখা নেই। কোনটার স্লুইস গেটের পাখা ওয়াপদার উপরে রাখা হয়েছে আবার কোনটার পাখা পিছনে না লাগিয়ে সামনে লাগিয়েছে। যে কারণে উল্টো নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। কোন স্লুইস গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বিভাগের আওতায় তা দুই বিভাগের কর্মকর্তারা তা অবগত নেই। পানিবন্দী এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি প্রতিবছর ছয় মাস জলাবদ্ধতায় অসহায় পানিবন্দী মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এবং সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে  প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের  আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ- এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ।

    গণতন্ত্র ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শহীদ হওয়া তরুণদের স্মরণে সাতক্ষীরায় নির্মিত হচ্ছে এই জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।

    স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল সালাম, জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, মুখপাত্র মোহিনি এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

    জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের প্রস্তাব অনুযায়ী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলোর সামনে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্থানে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ স্মৃতিস্তম্ভের উচ্চতা হবে ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজপথে উচ্চারিত প্রেরণামূলক শ্লোগানগুলো স্তম্ভটিতে খোদাই করে রাখা হবে। এটি নির্মিত হচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে। স্মৃতিস্তম্ভটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ৫ আগস্ট।

    এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা দেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি, আগামী ৫ আগস্টে এই স্মৃতিস্তম্ভে জুলাই শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা সম্ভব হবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

  • জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

    নিজস্ব প্রতিনিধি “৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে এই স্লোগানকে সামনে রেখে” প্রয়াত সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এঁর  ৬ম তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ জুলাই ) সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বারের বাসভবনে জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফুজ্জামান (আশু)।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর জন্ম না হলে জাতীয় পার্টির জন্ম হতো না এমন নেতার জন্ম না হলে উপজেলার জন্ম হতো না। হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা কালীন দেশটাকে যেভাবে সাজিয়েছিল আজকে তা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই যেখানে সেখানে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সারাদেশে গুম, খুন, হত্যা, অন্যায় অত্যাচার বেড়েই চলেছে। পাথর নিক্ষেপ করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সোহাগ নামের এক যুবককে সারা দেশে এটা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না দ্রুত নির্বাচন দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মাত্র ৭ মাস জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলাম। এই অল্প সময়ের মধ্যেই আমি প্রমাণ করেছি, রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও ন্যায়ের কোনো বিকল্প নেই। আমার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত-বিএনপির একটি নেতাকেও বিনা কারণে গ্রেপ্তার হতে দিইনি। কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনো মামলা হয়নি, কাউকে হয়রানি করা হয়নি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, সবার জন্য ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন সমানভাবে প্রযোজ্য। আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে, যেখানে মতভেদ থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
    তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যেভাবে মব সন্ত্রাস বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাজনীতিকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হলে আমাদের দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই—আসুন, সহিংসতা নয়, যুক্তি ও সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা দেশ পরিচালনায় অবদান রাখি। ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে হাঁটি।
    আমরা চাই জাতীয় পার্টি কে সাতক্ষীরা  আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে । প্রতিটা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জাতীয় পার্টি কে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আনোয়ার জাহিদ তপন,কেন্দ্রীয় সদস্য এড আলিফ হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জেলা জাতীয় পার্টির ক্যষদক্ষ ও প্রথম শ্রেণীর কন্ট্রাক্টর মোঃ আশরাফ আলী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সাদেক, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল, জাতীয় শ্রমিক পার্টির  জেলা শাখার আহবায়ক মাগফুর রহমান, জেলা যুব সংহতির সভাপতি আশিকুজ্জামান বাপ্পি,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি কাজী আমিনুল হক ফিরোজ প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কমল বিশ্বাস, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ নাজমুল হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম সুজন, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বদরুজ্জামান বদু,জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল, পৌর ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রুমি, কলেজ ছাত্র সমাজের সভাপতি সাকিব জামান দীপ্ত, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক বেলাল প্রমুখ। এসময় জেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ,পৌর জাতীয় পার্টি,জেলা ছাত্রসমাজ, পৌর, সদর উপজেলা ছাত্র সমাজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পাটি, জেলা তরুণ পার্টি, জেলা শ্রমিক পার্টির নেতাকর্মীরা ও জেলা ছাত্র সমাজের ৯ টি ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কলেজ ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ ও  ১৪টি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহম্মেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তরুণ পার্টির আহ্বায়ক আবু ইয়াছিন।

  • গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি

    গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচির বিষয় জানানো হয়েছে।

    জেলা প্রশসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা কাটিয়াস্থ জেলা ডাক বাংলোর জায়গায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন এবং জেলা জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলনে নারীদের গৌরবময় ভুমিকা নিয়ে চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ১৬ জুলাই আশাশুনি উপজেলায় প্রতাপনগর ইউনিয়নে ইউনাইটেড একাডেমীর পার্শ্বে ৩ জন শহিদের নামে Steet Memory Stamp স্থাপন করা হবে।

    ১৮ জুলাই সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সাতক্ষীরা হতে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। আহত ও শহীদদের পরিবার ম্যারাথনের অগ্রভাগে থাকবে।

    ১৯ জুলাই সাতক্ষীরা কালেক্টরেট পার্কে জেলায় শহিদ চার জনের নামে বৃক্ষ রোপন করা হবে।

    ২১ জুলাই জেলার সকল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাইয়ের স্মরণে অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে।

    ২৪ জুলাই শিশু শহিদদের স্মরণে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই কেন্দ্রিক কবিতা, গান, রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। জেলার সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী “২৪ এর রঙ্গে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন” প্রতিযোগিতা, সৃজনশীল রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

    এছাড়া জেলার স্কুলগুলোতে জুলাই ২৪ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২৮ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্তদান কর্মসূচি ও মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে।

    ৩১ জুলাই জেলার সমস্ত কলেজে জুলাই গণ অভ্যুত্থান নিয়ে অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। একই দিনে উপজেলা থেকে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকারীর ফলাফল ২৭ জুলাই তারিখের মধ্যে জেলায় প্রেরণ করতে হবে। জেলা পয়ায়ে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রেরণ করা হবে।

    ৩৩ জুলাই (২ আগস্ট ২০২৫) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ ও Mothers of July সহ জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৪ জুলাই (৩ আগস্ট ২০২৫) জেলা জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলনে নারীদের গৌরবময় ভুমিকা নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৫ জুলাই ২০২৫ (৪ আগষ্ট) সাতক্ষীরা জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাতক্ষীরাতে সমাগম অনুষ্ঠান এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। একই দিনে জেলার জনবহুল স্থানে ‘Spot light on July Heroes’ সহ জুলাই নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

    ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট ) সকাল ৯টায় জেলায় নির্মিত জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
    পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে জেলার সকল বিভাগীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জুলাই অভ্যূত্থানে অংশগ্রহণকারী শহিদদের পরিবারের সদস্য ও আহত ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করবেন। জেলার সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। জেলার জনবহুল স্থানে জুলাই আন্দোলন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

    সাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গালিগালাজসহ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে স্কুলের সামনে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের শিক্ষক লুৎফুননেছা ডালিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক কংকন কুমার দাস, আকলিমা খাতুন, মোস্তাফিজুর রহমান, অফিস সহকারী সালাউদ্দীন, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন, রিক মল্লিক প্রমুখ।

    এসময় স্কুলের ১৫ জন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল প্রায়ই সময় তাদেরকে গালিগালাজসহ খারাপ ব্যবহার করেন। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি স্কুলে থাকলে আমরা কোনো ক্লাস নিবো না।

    অপরদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেয়েদের সেনেটারি ন্যাপকিন চুরি করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাস করবো না। এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
    এদিকে খবর পেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশের একটি দল বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

    নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক বলেন, ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি। তবে যে সনদে তিনি শিক্ষক হয়েছেন সেটি ইস্যু করা হয়েছে একই বছরের আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে। অর্থাৎ শিক্ষা সনদ ইস্যু করার ৮ মাস ১৮ দিন আগেই সেই সনদে তিনি চাকরি শুরু করেন। এছাড়া তার আপন চাচা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হওয়ায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক এমপি রবির ছত্রছায় থেকে তিনি বিদ্যালয়টিকে তিনি সম্পূর্ন নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান বানিয়ে রেখেছেন। এখানো কারো কোন কথা বলার সুযোগ নেই।

    এদিকে, গালিগালাজের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোমিনুর রহমান মুকুল বলেন, আমি কড়া প্রধান শিক্ষক হওয়ায় শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তবে স্কুলের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সময়ে ভবন বরাদ্দের জন্য সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ দেওয়া লেগেছে। এ কারণে স্কুল ফান্ডের টাকা নিয়ে ঘুষ দিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, কেউ না চাইলে আমি স্কুলে থাকবো না।

    এবিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

  • স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে গ্রাম ডাক্তারদের সাইন্টিফিক সেমিনার ও সভা অনুষ্ঠিত 

    স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে গ্রাম ডাক্তারদের সাইন্টিফিক সেমিনার ও সভা অনুষ্ঠিত 

    স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার এ বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাইন্টিফিক সেমিনার ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি গ্রাম ডাঃ অনির্বাণ সরকার। সাইন্টিফিক সেমিনারে শিক্ষামূলক বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ অনিন্দ্য দাস সৌরভ এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকোলজিস্ট মীর মহাব্বত আলী। বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রাম ডাঃ রুহুল আমিন এর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রাম ডাঃ ওহিদুজ্জামান, সহ- সভাপতি গ্রাম ডাঃ আনোয়ার পারভেজ, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গ্রাম ডাঃ আল আমিন গাজীসহ নেতৃবৃন্দ। সাইন্টিফিক সেমিনার শেষ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ।
     শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আসিফ চত্বরে এ  বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা ও  স্লোগান দেন।
    এ সময় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে,আহবায়ক আরাফাত হোসাইন ,মুখপাত্র মোহিনী পারভিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তামীম তাসনীম,যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাত নূহা আনছারীসহ  সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়।
    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমাদের একজন ভাইকে পাথর দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আপনারা যদি লাশের রাজনীতি বন্ধ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনা যে পথে গিয়েছে, আপনাদেরও সে পথে যেতে হবে। আপনারা যদি হাসিনার পথ অবলম্বন করেন, তাহলে হাসিনার মতোই আপনাদের পরিণতি হবে।
  • সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

    সুন্দরবনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে জেলের মৃত্যু

    দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা সরদার (৪৭) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে সহকর্মীরা তার মৃতদেহ লোকালয়ে নিয়ে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের অওতাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের নোটাবেঁকীর ইলিশিমারি খালে মাছ শিকাররত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত জেলে গোলাম মোস্তফা সরদার খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রার নওশের আলী সরদারের ছেলে।

    মোস্তফা সরদারের সহকর্মী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট ভেটখালী গ্রামের ইউসুফ আলীর দাবি, ৪/৫ দিন আগে তারা এক সাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। শুক্রবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরার সময় সুন্দরবনের বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় তাদের (স্মার্ট টিমের) ভয়ে সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় স্মার্ট টিমের সদস্যরা তাদের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নৌকাটি জব্দ করে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর সহকর্মী মোস্তফা সরদার হঠাৎ করেই অসুস্থতা বোধ করেন। তার ধারণা সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। পরে মোস্তফা সরদারকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে সুন্দরবনের নদীর পাশে এসে অন্য জেলেদের নৌকা খোঁজ করতে থাকেন। এরপর তাদের অন্য সহকর্মীদের একটি নৌকা দেখতে পেয়ে সেই নৌকার জেলেদের নিয়ে মোস্তফা সরদারের পাশে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মোস্তফা সরদারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে সেখান থেকে সারারাত নৌকা চালিয়ে মোস্তফা সরদারের মরদেহ সকালে লোকালয়ে নিয়ে আসা হয়।

    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জার সহকারী রেঞ্জার এবিএম হাবিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েছি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় এক জেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তবে কোন এলাকায় মারা গিয়েছে এখনও জানতে পারিনি।

  • সাতক্ষীরার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণ

    সাতক্ষীরার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিইব)-এর আয়োজনে এবং নেটজ বিডির সহায়তায় হোপ প্রকল্পের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণ এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাবিকাশ ও সহপাঠ কার্যক্রম (কো-কারিকুলার এডুকেশন) ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।
    অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হোপ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী বিকাশ কুমার দাশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এরিয়া সমন্বয়কারী রেহানা পারভিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি জগদীশ হালদার।
    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ। রিইব-এর এই সময়োপযোগী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, শিক্ষক কামরুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, বিকাশ চন্দ্র ঘোষ, সুনীল চৌধুরী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, “এই বইগুলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা ও মেধাবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে শিক্ষকদেরও পাঠদানের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।”
    উল্লেখ্য, হোপ প্রকল্পের আওতায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর লাইব্রেরি উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চর্চা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

  • এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়

    এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায়

     সাতক্ষীরায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা

    আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করতে সাতক্ষীরায় পদযাত্রা ও পথসভায় অংশ নিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার দুপুট  সাড়ে ১২টার দিকে তালা উপজেলার কুমিরা ফুটবল মাঠে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পৌঁছালে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় এলাকাজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
    দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রায় এক ডজন নেতা এ সফরে অংশ নেন।
    কুমিরায় সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে তারা শহরের দিকে রওনা হন। দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির নেতৃবৃন্দ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সনদ চেয়েছি, বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি।
    কিন্তু সকল জনদাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। তারা পুরাতন বন্দোবস্ত ধরে রাখতে চায়, তারা পুরাতন রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়, তারা চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসকে টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, গণঅভ্যুত্থানের পরে, এত মানুষের জীবন দানের পরে, তারা যদি মনে করে, তারা আগের পুরাতন রাজনীতি করবে, তাহলে তা এত সহজ হবে না। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনও মাঠে আছে। এখনো তাদের গর্জন রয়েছে।
    তারা ভেবেছিল— দুই তিনটা আসন দেখিয়ে, ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নিবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদেরকে কিনে নেওয়ার সাধ্য কোন রাজনৈতিক দলের হয়নি। বলা হয়েছে —দরজা নাকি খোলা আছে, আমরা বলেছি, ৫ ই আগস্ট দরজা আমরা খুলে দিয়েছিলাম। ৫ই আগস্ট আমরা বলেছিলাম —আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশটাকে পুনর্গঠন করি, সকল বিভাজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
    তারা বলেছিল তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আবার বলেছিল ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোন সমর্থন পাওয়া যায়নি। আমরা বলেছিলাম —আমরা দেশের ভিতরে শত্রু তৈরি করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পুনর্গঠন করতে চাই। আমরা এখনো বলছি —নির্বাচনী ভাগ-বাটোয়ারা নয়, দেশ সংস্কারে আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। যদি এবার দরজা বন্ধ হয়, জনগণ আপনাদেরকে আর ক্ষমা করবে না।প্রিয় সাতক্ষীরাবাসি, আপনারা উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। যারা ঘূর্ণিঝড় প্রতিকূলতার মধ্যেও, আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্বেও, এই দেশকে উপকূলে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরার শিক্ষার অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যের অভাবে ব্যবস্থাপনা, যাতায়াতের অব্যবস্থাপনার কথা আমরা জানি।
    সাতক্ষীরাবাসি এখনো রেললাইনের সুযোগ পায় না। ৫৪ বছর হয়ে গেছে এখনো রেল সংযোগ সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছায়নি। আমরা কি সাতক্ষীরায় রেললাইন চাই? আমরা কি সাতক্ষীরার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চাই? আমরা কি সাতক্ষীরায় উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চাই? জনতার উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন রেখে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের জলবায়ু রক্ষা করতে হবে, আমাদের সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে। সাতক্ষীরার মাটি ও মানুষকে রক্ষা করার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।
    আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে থাকবেন—আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই। যে দেশের ছাত্র- মেহনতি জনতা ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দিল্লি পাঠাতে পারে, সে দেশের ছাত্র-জনতা কোন চাঁদাবাজকে ভয় পাবে না। ছাত্র জনতা ও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, নতুন করে প্রস্তুতি নিন।
    আমাদেরকে বৈষম্য ও দুর্নীতি বিরোধী ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে হবে। সেকারণে আমাদের শহীদেরা রক্ত দিয়েছিল, সাতক্ষীরার মানুষ রক্ত দিয়েছিল তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
    সভায় এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত আমাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
    জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিংসক তাসনীম জারা। এছাড়া মঞ্চে স্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
    পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
    এতে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন, যাদের অনেকেই ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও দলীয় পতাকা বহন করছিলেন।
    পদযাত্রা ও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার করা হয়।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং-১২.০৭.২৫ ছবি আছে।
  • কালিগঞ্জে একই পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট

    কালিগঞ্জে একই পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে ৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট

    চেতনানাশক স্প্রে

    চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করার পর জানালার গ্রীল কেটে পাঁচ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার পর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কাশীশ^রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন শাহীনুর রহমান(৪৫) ও তার স্ত্রী মাসুমা পারভিনকে (৪০) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাহীনুৃরের মা নুরুন্নেছা খাতুনকে (৭০) কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    কাশীশ^রপুর গ্রামের শাকিলা খাতুন জানান, শাহীনুর রহমান, মাসুমা পারভিন ও নুরুন্নেছা খাতুন শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমোতে জান। সকাল ৮টার দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পাওয়ার একপর্যায়ে তারা দরজায় ধাক্কা দিলে খুলে যায়। পরিবারের তিন সদস্যকে তারা অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ ছাড়া ঘরের শোকেজ ও আলমারির কাঁচ ও তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে জানানো হয়। তাদের তিনজনকে সঞ্জাহীন অবস্থায় প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শাহীনুর ও তার স্ত্রী মাসুমা পারভিনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আলমারি ও শোকেজ এর তালা ভেঙে তিনটি সোনার রুলি, দুটি সোনার আংটি, একটি ছোট ও একটি বড় সোনার চেইনসহ নগদ ৮৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
    কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির সভা, ১৩ জুলাই স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক কমিটির সভা, ১৩ জুলাই স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক বিশেষ সভা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আযাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল সাতক্ষীরা শহরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা। সভায় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতা, খাল ও নালা-নর্দমার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, দখলদারিত্ব এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে নাগরিকদের দুর্ভোগ ও চলাচলের অসুবিধার চিত্র।

    সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, আগামী ১৩ জুলাই সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই দিন জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে, যাতে অবিলম্বে এই সমস্যার টেকসই সমাধানে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সভায় উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন যেন নিশ্চিত করা হয়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শেষ হয়।

  • সাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরায় ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সাতক্ষীরায় শহীদ ও আহত পরিবারসহ সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।
    শুক্রবার (১১ই জুলাই) সকালে শহীদ আসিফ চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মোস্তফা আল মামুন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আয়োজনে ও স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার সাতক্ষীরার সার্বিক সহযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল।
    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক সুমাইয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহিনুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন, মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব ওমর তাসনিম রাহাত, আহত সদস্য আলিফ আরেফিন, মোঃ রাশেদ, সহ আরও অনেকে।
    আয়োজকরা জানান, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সাতক্ষীরাবাসীর জন্য মানবিক সেবা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আজ আমরা সাতক্ষীরার ৫০ জন রোগীকে এই ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ জুলাই আরো ৫০ জনকে এ ফ্রি মেডিকেল সেবা দেওয়া আয়োজন করা হবে ইনশাল্লাহ।
  • ফেল আর পাসে চমক! আশাশুনির ১৬ স্কুলের ফলাফল অভাবনীয়

    ফেল আর পাসে চমক! আশাশুনির ১৬ স্কুলের ফলাফল অভাবনীয়

    সারা দেশের মতো সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার আরও ১৬টি বিদ্যালয়ের ফলাফল পাওয়া গেছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফল সন্তোষজনক হলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেল করার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

    কমলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৪ জন, ফেল ৫ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৩, ফেল ১ জন।

    গদাইপুর জেহের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ২৪ জন, ফেল ৮ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৪ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

    আইডিয়াল সেকেন্ডারি স্কুল:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৮, ফেল ১ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

    আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৪, ফেল ৩ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৪ জন।

    গোয়ালডাঙা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ৩০, ফেল ২৩ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১২, ফেল ৩ জন।

    মহিষাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৪ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ২৯, ফেল ৭ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

    ত্রয়োদশ পল্লী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ৬, ফেল ৬ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬, ফেল ৩ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।

    গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫, ফেল ১ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ১৬, ফেল ৬ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৭ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

    বড়দল গার্লস হাই স্কুল:
    মানবিক বিভাগে পাস ৯, ফেল ১২ জন।

    গোদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ৪, ফেল ১ জন।

    আনুলিয়া পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৩, ফেল ১২ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৯, ফেল ১ জন।

    গুনাকরকাটি শাহ মুহাম্মদ ইয়াহিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৪ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ১৫, ফেল ৬ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।

    বুধহাটা এনএস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুল:
    মানবিক বিভাগে পাস ১০, ফেল ৩ জন।

    কাদাকাটি আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৮, ফেল ৯ জন।

    কচুয়া বি.এইচ.বি.পি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়:
    মানবিক বিভাগে পাস ১৪, ফেল ১ জন।

    দরগাহপুর এসকেআরএইচ স্কুল:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ৫৬, ফেল ১৪ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৩১ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন।

    বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল:
    ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ২ জন;
    মানবিক বিভাগে পাস ২৬, ফেল ১৬ জন;
    বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১৩, ফেল ৪ জন;
    জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।

    এছাড়া, অধিকাংশ বিদ্যালয়েই বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

  • সাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ 

    সাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ 

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি সোমবার (৭ জুলাই ‘২৫) রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
    তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর নেতৃবৃন্দ।
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু।