Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 119 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।

    কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।

    ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।

    সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।

    ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।

    ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।

     

  • বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    এসবিএন : বাংলাদেশ থেকে মুরগি ও ডিম আমদানি বাতিল করেছে সৌদি আরব। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই দুই পণ্যের আমদানি বাতিলের তথ্য জানিয়েছে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু’র বিস্তারের তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ (ওআইই)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি বাতিল করলো।

    দেশটির পশুসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি সরকার।

    এর আগে ২৯ জানুয়ারি ঢাকার শতকরা ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ও দেশি মুরগির বাজারে বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এফএও জানায়।

    গত মাসে বিশ্ব পশু স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ঢাকার ধামরাই এলাকার একটি খামারে সোনালি প্রজাতির প্রায় তিন হাজার মুরগি বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩২টি মুরগি মারা যায়।

    তবে দুই বছর পর ফের বার্ড ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, সারাদেশে মুরগির খামারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধামরাইয়ের খামারটি ছাড়া দেশের আর কোনো খামারে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

     

  • জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ

    সভাপতি সভার শুরুতে প্রথমে নব নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সথে কুশল বিনিময় করেন তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ডের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সেবা জনগণের দাড়প্রান্তে পৌছানোর লক্ষ্যে নব নির্বাচিত সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সভায়  নব নির্বাচিত সদস্য জয়ন্তি রানী সরদার, শোভা রানী হালদার, ফারহানা নাজনীন, নাহার আক্তার, কবির হোসেন খান, রজত কান্তি শীল, মোঃ জহুরুল হক, দিলীপ হালদার, অভিজিৎ চন্দ, শেখ মোশাররফ হোসেন(বাবু), সরদার আবু সালেহ, মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, মোল্লা আকরাম হোসেন হাবিবুল্লাহবাহার, শেখ কামরুল হাসান(টিপু) মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী, এস.এম. খালেদীন রশিদী সুকর্ন, চৌধুরী ফরিদ রায়হান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলিম উদ্দিনসচিব শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

     

  • মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    খুলনা মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সম্পাদকমন্ডলীর সভা বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়

    সভায় অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ ফেব্রয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত রাত ১২ টা মিনিটে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ২১ ফেব্রয়ারী সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুর খানজাহান আলী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে

    সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মোঃ রাশেদ, শাহজালাল বাবলু, রেহানা ঈসা, আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, জালু মিয়া, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, জাহিদুর রহমান রিপন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • আমি জনতার মঞ্চে ছিলাম না: নুরুল হুদা

    আমি জনতার মঞ্চে ছিলাম না: নুরুল হুদা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে ২০০১ সালে বিএনপি বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছিল। বিএনপি সূত্র যদিও বলেছে, জনতার মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এই কর্মকর্তা সেই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি তখন কুমিল্লার ডিসি ছিলাম। আমি জনতার মঞ্চে যোগ দিইনি এবং বিএনপিও সেই অভিযোগ আনেনি। চাকরিতে ২৫ বছর হলে কোনো কারণ না দেখিয়ে কাউকে অবসর দেওয়া যায়। কিন্তু আমি তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছি। আদালতের রায়ে চাকরি ফিরে পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পেছনের দিকে তাকাতে চাই না। কারও প্রতি রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হব না। আমি নিরপেক্ষভাবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।’

    প্রথম আলো: জনতার মঞ্চ এবং বিএনপির প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? বিএনপির একটি সূত্র বলেছে, জনতার মঞ্চে আপনার সম্পৃক্ততা ছিল।

    খান মোহাম্মদ নুরুল হুদা: বিএনপি কিছু বলেছে? আমি শুনিনি।

    সাবেক সচিব ও প্রাক্তন বিএনপি নেতা মোফাজ্জল করিম দাবি করেছেন, জনতার মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণেই তাঁরা আপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।

    নুরুল হুদা: জনতার মঞ্চে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম কুমিল্লার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি)। আর জনতা মঞ্চ ছিল ঢাকায়। সুতরাং, কুমিল্লার ডিসি হয়ে ঢাকায় অংশগ্রহণের প্রশ্ন আসে না।

    জনতার মঞ্চ যখন ঢাকায় চলছিল, তখন কুমিল্লায় ডিসি অফিস থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি নামানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেটা ঠিক?

    নুরুল হুদা: এ রকমের একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে আমি শুনেছিলাম। ডিসি চলে আসার পরে রাতে একটি দপ্তরে যদি কিছু ঘটে, তা ডিসির জানার কথা নয়। কারণ, ডিসি রাতে অফিসে থাকেন না। তখনকার দিনে কে নামিয়েছে বা নামায়নি, তা আমি জানি না।

    বিএনপি আপনাকে কী অভিযোগে চাকরিচ্যুত করেছিল?

    নুরুল হুদা: চাকরিচ্যুত নয়, তারা আমাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছিল। তার আমি কোনো কারণ জানি না। কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ যদি ২৫ বছর পূর্ণ হয়, তাহলে তাঁকে অবসর দিতে পারে। এ জন্য কারণ দেখাতে হয় না।

    আপনি তখন কী পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন?

    নুরুল হুদা: তখন ছিলাম ঢাকা সিটি করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।

    ওই পদ থাকার আগে আপনি ঢাকায় আর কী পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন?

    নুরুল হুদা: নন-ফরমাল এডুকেশনে পরিচালক ছিলাম প্রায় দুই বছর। দুই বছরের বেশি সংসদ সচিবালয়ে যুগ্ম সচিব ছিলাম। এরপর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব ছিলাম অনেক দিন, স্থানীয় সরকারের একটি প্রকল্পে ঢাকা ডেপুটি ডিরেক্টর অব লোকাল গভর্নমেন্ট, ঢাকা বিভাগের ১৬ জেলার পরিচালক ছিলাম।

    যখন আপনি বাধ্যতামূলক অবসরে আসেন, তখন আপনার পদবি কী ছিল?

    নুরুল হুদা: যুগ্ম সচিব।

    আপনি কোন সালে চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছিলেন?

    নুরুল হুদা: ২০০৮-০৯ সালে।

    তাহলে কি আওয়ামী লীগ সরকার এসে আপনাকে পুনর্বহাল করেছে?

    নুরুল হুদা: ঠিক সেভাবে বলা যাবে না। কারণ, আদালতের রায়ের কারণে আমি চাকরি ফিরে পেয়েছি। আদালতের রায় ছিল, ভূতাপেক্ষভাবে সব সুযোগ-সুবিধা, পদমর্যাদাসহ আমাকে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।

    আপনি কি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন?

    নুরুল হুদা: না।

    তাহলে কি অতিরিক্ত সচিব ও সচিব এই দুই পদমর্যাদাই ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকর হয়েছিল?

    নুরুল হুদা: ঠিক তাই।

    ২০০১ সালের পর আপনি আর নিয়মিত চাকরিতে ফেরেননি?

    নুরুল হুদা: না, আর ফিরে যাইনি।

    অবসরজীবনে এসে কিছু করেছেন কি? বর্তমান সরকারের সময়ে আপনি কী কাজ করেছেন?

    নুরুল হুদা: অনেক কিছু করেছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলাম পাঁচ বছর। এর আগে প্রায় তিন বছর বেসরকারি জেমকন গ্র“পের পরিচালক ছিলাম। নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলাম। এটাও সরকারি,২০১০ পর্যন্ত ছিলাম।

    সর্বশেষ কী করছিলেন?

    নুরুল হুদা: কনসালট্যান্সি করছিলাম ২০১৫ সাল থেকে। আরবান ডেভেলপমেন্ট, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে।

    আপনি কি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন? ৭১-এর ১৮ নভেম্বর পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টিতে?

    নুরুল হুদা: হ্যাঁ, আমি ওই যুদ্ধের কমান্ডার ছিলাম। হতাহতের সংখ্যা সঠিক মনে নেই। তবে কেউ কেউ বলেন, পাঁচ-ছয়জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিল।

    আরেকটি বিষয়, আপনি যে ভূতাপেক্ষভাবে চাকরি পেলেন, সেটা কি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল না সুপ্রিম কোর্টের রায়ে?

    নুরুল হুদা: এখানে দুই আদালতেরই সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে আমার মামলাটি নির্দিষ্ট করে বললে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে নিষ্পত্তি হয়েছে। আমার আগে হাতেম আলী খান নামের এক ভদ্রলোকের মামলার রায়, যেটা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল দিয়েছিলেন, তা সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। সে কারণেই আমাদেরগুলো যেহেতু একই মেরিটের (বৈশিষ্ট্যপূর্ণ) মামলা, তাই আমাদেরগুলো আর সুপ্রিম কোর্টে যায়নি।

    তাহলে হাতেম আলী খান বনাম সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তার আলোকে আপনি চাকরি ফিরে পেয়েছেন?

    নুরুল হুদা: হ্যাঁ। এই মামলার রায়ের পর আমার মামলার রায়ের বিষয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সরকার আপিলে যায়নি। ওই রায়ের আলোকেই আমাদের চাকরি ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

    এ রায় কোন সালে হয়েছিল? হাতেম আলী খান কি বেঁচে আছেন?

    নুরুল হুদা: সম্ভবত ২০০৯ সালে। না, তিনি মারা গেছেন। তিনিও যুগ্ম সচিব ছিলেন। এবং সচিব হিসেবে অবসরে এসেছেন।

    তিনি কি জনতার মঞ্চের কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে গিয়েছিলেন?

    নুরুল হুদা: আমি ঠিক তাঁর বিষয়টি জানি না। এ রকমই হয়তো ‘পলিটিক্যালি মোটিভেটেড’ ম্যাটার ছিল।

    তাহলে জনতার মঞ্চে আপনার উপস্থিতির তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য?

    নুরুল হুদা: অবশ্যই। (হেসে) কীভাবে তা সম্ভব? আমি তো তখন কুমিল্লার ফুলটাইম ডিসি ছিলাম। আমি ফরিদপুরের ডিসি ছিলাম ১৯৯২-৯৫ সময়ে। কুমিল্লায় ছিলাম ১৯৯৫-৯৭ পর্যন্ত।

    আওয়ামী লীগ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আপনার জীবনে কখনো কি কোনো সংশ্লিষ্টতা ঘটেছিল?

    নুরুল হুদা: না। আমি কোনো পার্টির কোনো সদস্য নই। দলের সঙ্গে কোনো অ্যাফিলিয়েশন নেই। কোনো দলের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

     

    আপনার পড়াশোনা? ছাত্ররাজনীতি?

    নুরুল হুদা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে। অনার্সে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৬৬ সালে। মাস্টার্স শেষ হয়েছিল ১৯৭২ সালে। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল। তখন কোনো না কোনো ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সবাই যুক্ত থাকতেন। আমি ছিলাম ফজলুল হক হল ইউনিয়নের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত নাট্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

    এরপর?

    নুরুল হুদা: ১৯৭২ সালে আমি পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হই। ১৯৭৩ সালে চাকরি হয়। এরপর আর রাজনীতিতে আসার সুযোগ কোথায়?

    সর্বশেষ মন্তব্য?

    নুরুল হুদা: আমি অতীত ভুলে যেতে চাই। নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই। বিএনপি কী করেছে বা করবে? আওয়ামী লীগ কী করবে বা করবে না, তা আমার কাছে একেবারেই বিবেচ্য বিষয় নয়। একটা বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো দলের ওপরই আমার কোনো মান-অভিমান বা ক্ষোভ কোনো কিছুই নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।

    নুরুল হুদা: ধন্যবাদ।

    সৌজন্যে: দৈনিক প্রথম আলো

     

  • ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে কফি আনান কমিশন

    ‘রোহিঙ্গা পরিস্থিতি’ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে কফি আনান কমিশন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কফি আনান কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে শনিবার ঢাকায় এসেছে। তিন সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার গিয়ে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন। এরপর ঢাকায় ফিরে এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাখাইন রাজ্য বিষয়ক পরামর্শক কমিশন যা ‘রাখাইন কমিশন’ নামেই ব্যাপকভাবে পরিচিত তার তিন জন সদস্য উইন ম্রা, আই লুইন ও ঘাশান সালামে আজ বিকেলে ঢাকায় এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন সন্ধ্যায় এবং অন্যজন দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান।

    রোববার সফরের শুরুতে তাদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গিয়ে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়ার আগে রাখাইন কমিশনের তিন সদস্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের ম্যান্ডেট অনুযায়ী তারা ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে কফি আনান নিজেও মিয়ানমার সফর করেছেন। ফলে কমিশনের তিন সদস্যের বাংলাদেশ সফরের পর রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটি সামগ্রিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির কাজটি সহজ হবে রাখাইন রাজ্য বিষয়ক পরামর্শক কমিশনের জন্য।

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবরের পর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী রাখাইন প্রদেশে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা শুরু করে। এর ফলে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে ও হাজার হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়েছে। দেশটিতে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারের সামরিক সরকারের মতো আচরণের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে সারাবিশ্ব। জাতিসংঘ, ইসলামিক দেশগুলোর সংস্থা ও অনেক দেশ ধর্মের কারণে মুসলিম নিধন ও নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানায়।

     

  • মোদীকে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের

    মোদীকে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের

    এসবিনিউজ ডেস্ক : মোদীকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর মোদীর সঙ্গে হওয়া এক ফোনালাপে ট্রাম্প এই আমন্ত্রণ জানান।

    ওয়াশিংটন জানায়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকারের বন্ধু ও অংশীদার বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

    সেখানে আরো বলা হয়, দুই দেশের মধ্যকার এই আলোচনা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অংশীদারিত্বকে আরো দৃঢ় হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, বিশেষত অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের মধ্যে মোদীকে স্বাগত জানাতে চায় তারা।

    হোয়াইট হাউজ থেকে প্রেরিত ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বিশ্বে সন্ত্রাস মোকাবেলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন ট্রাম্প ও মোদী।

    নিজ নির্বাচনী প্রচারণায় বরাবরই ভারতেই বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। আমলাতন্ত্র পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ট্রাম্প মোদীর প্রশংসা করেন। সূত্র: বিবিসি