নিজস্ব প্রতিবেদক: “ বাংলাদেশের নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ” শীর্ষক তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ এপ্রিল’১৮) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার মধ্যমে তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিউজ নেটওয়ার্ক- এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজাজামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান । সার্বিক সহযোগিতা করেন নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা “ নিউজ নেটওয়াকর্ ” এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরহম ঐঁসধহ জরমযঃং উবভবহফবৎং ডড়ৎশরহম ভড়ৎ ডড়সধহ’ং ধহফ এরৎষং জরমযঃং উবভবহফবৎং ইধহমষধফবংয. ( বাংলাদেশে নারী মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ) প্রকল্পটি ৩ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার (ইউএসএস) সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী ৮ জেলায় ( সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামে) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নিউজ নেটওয়ার্ক । এই কার্যক্রমের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকারের জন্য কর্মরত নারীর মানবাধিকার রক্ষাকর্র্মী এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সহায়তা প্রদান করা।
অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান তার সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার স্বীকৃতি দেয় এবং নারী অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র ধারনাকে সমুন্নত রাখে। নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) অনুসমর্থন করে এবং নারী মেয়েদের অধিকারসমূহের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ পাস করে। এখনও বাংলাদেশে নারী ও মেয়েরা ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসহা এখানে খুব সাধারন ঘটনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রতি পাঁচজন নারীর একজন বা ৮০ শতাংশ বাংলাদেশী নারী কোনে না কোন ধরনের সহিংসতার শিকার হন, যার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, এসিড হামলা, ধর্ষন, পাচার, বাল্যবিয়ে, অবৈধ বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তি উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা হচ্ছে সহিংসতার সবচেয়ে পরিচিত ধরন এবং গ্রামীন এলাকাতেই এটি বেশি দেখা যায়। যৌনহয়রানী, আত্মহত্যা, আত্মহত্যার চেষ্টা, এবং এমনকি এর প্রতিবাদ করায় হত্যার ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, পুরোহিত,মসজিদের ইমাম, ম্যারেজ রেজিষ্টার সহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যাক্তিবর্গ।
Category: সাতক্ষীরা
-
সাতক্ষীরায় নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
-

ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড
দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলের ঐতিহাসিক নদী যমুনা। যমুনা নদী সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্র তাঁর যশোর খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন:
‘এ যমুনা সেই যমুনা
যে যমুনার তটে ইন্দ্রপুরী তুল্য রাজপাট বসাইয়া কুরুপান্ডবে ইন্দ্রপ্রস্থ
হস্তিনাপুরে রাঙ্গামেুয় যজ্ঞ সুসম্পন্ন করিয়া ছিলেন,
যে কালিন্দী তটে বংশীবটে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমধর্মের অপূর্ব লীলাভিনয় হইয়া ছিল,
যে যমুনা তীরে দিল্লী-আগ্রায়-মথুরা-প্রয়াগে হিন্দু-মুসলমান
বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান মোঘল-ইংরেজ
শতশত রাজ-রাজেশ্বর সমগ্র ভারতের
রাজদভ পরিচালনা করিতেন
এ সেই একই যমুনা।
সেই তমালকদম্ব পরিশোভিত কোকিল কুজন মুখরিত
নির্ম্মল সলিলে প্রবাহিত
ভটশালিনী সুন্দর যমুনা।’যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে ছিল ঐতিহাসিক ও প্রত্মাত্বিক স্থাপত্য নিদর্শন, ধর্মীয় এবং লোকজ উৎসব ও সংস্কৃতি। এ ক্ষেত্রে যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বিষয়টা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাই। যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সংযোগ খাল, যা এক সময় স্থানীয় মৎস্য বৈচিত্র্যের আধার ছিল। খালগুলোর মধ্যে অন্যতম-ইছামতি, কদমতলী, সীমানা খাল, সোনার মোড় থেকে শরৎখানা খাল, বংশীপুর থেকে মাহমুদপুর সীমানা খাল, সোনার মোড় শ্মাশনঘাট দিয়ে সরদার বাড়ীর পশ্চিম দিক হয়ে হানারখালীর উপর দিয়ে কদমতলী সীমানা খাল, শরতখানা থেকে ভৈরব আলীর বাড়ীর দক্ষিণ দিক দিয়ে, বংশীপুর বীদগাহ সীমানা হয়ে গজলমারী, কদমতলী সীমানা খাল ও হাফরখালী শিশেল খাল ইত্যাদি।
এ খানে অসংখ্যা বিল আছে। যেমন: নলবিল, হাফরবিল, দিঘীর বিল, কাশিপুরবিল, পশ্চিমবিল, হানরখালী বিল, মৃতঘেরী বিল, কাঁদার বিল, মাহমুদপুর চর, ফুলবাড়ির চরের বিল, চরের বিল, আঠারখানার হুলোর বিল ইত্যাদি।
যমুনা নদীর চতুর্থ খ- ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। কাকশিয়ালী থেকে মাদার নদী পর্যন্ত যমুনা নদীর সর্বমোট ৫টি খন্ডর মধ্যে চতুর্থ খন্ডই প্রত্মাতাত্বিক নির্দশনের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এক সময় প্রবাহমান যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের দুই তীরে ছিল অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যার মধ্যে বুরুজপোতা, বংশীপুর শাহী মসজিদ, যশোরেশ্বরী কালিমন্দির, হাম্মাম খান, শরৎবালা পুকুর, ত্রিকণা শিবমন্দির, খৃষ্টান গীর্জা, ধুমঘাট রাজধানী, জমিদারবাড়ীর চাউল ধোঁয়া পুকুর, শরতবালা স্মৃতিস্তম্ভ, জমিদার গোলাবাড়ী, শাহী মসজিদ গোরস্থান ও ঈদগাহ, সোনার মোড় শ্মশান ঘাট ইত্যাদি।
ইতিমধ্যে ঐ সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর অধিকাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বন্দোবস্ত বা ইজারা বাতিল করে প্রবাহ সুষ্ঠ করলে রক্ষা পাবে বিলুপ্ত প্রায় স্থাপত্য নিদর্শনগলো। অন্যথায় ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে ইতিহাস প্রদিদ্ধ ঐ সমস্ত প্রত্মতাত্বিক স্থাপত্য নির্দশন সমূহ।
যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যান্ত পবিত্র স্থান। দেবরাজ ইন্দ্রের সহধর্মীনীর নাম বারুনী দেবী। মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে মর্তে আগামন করেন ভক্তদের সাক্ষাতের জন্য। দেবীর আগমন উপলক্ষে উক্ত তিথিতে ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে যমুনা নদীতে ¯œান করেন। তাদের ধারনা এই শুভদিনে বারুনী ¯œানমঙ্গল বয়ে আনবে। সেই আবহমান কালের ঐতিহ্য আজও হিন্দু ধর্মালম্বীরা পালন করে আসছে।
নদী শুকিয়ে গেলে সভ্যতা বাঁচেনা। দখল ও দূষণ, নদী ও জলাশয়ের দুশমন। নদীর জীবনের সাথে কৃষি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব জড়িত। শ্যামনরের ঐতিহাসিক যমুনা নদীর জীবন ও স্কৃতি আজ ধবংস ও ক্ষত-বিক্ষত।
কাকশিয়ালী থেকে মাদারনদী পর্যন্ত প্রবাহমান যমুনা নদীর সাথে সংযোগ ছিল ৪০টি খাল, ৪৪টি বিল, ৫৪টি স্থাপত্য নিদর্শন, ২৪ প্রকার লোকজ ও ধর্মীয় উৎসব। যমুনা নদী দখলের পূর্বে এ অঞ্চল ছিল স্থানীয় কৃষি প্রানবৈচিত্র্য, গবাদিপশুবৈচিত্র্য, মৎস্যবৈচিত্র্য, উদ্ভিদবৈচিত্র্য ও অসংখ্যা জলজপ্রালবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। ভূমি, নদী ও জলাশয় দুশমনদের ভোগ বিলাসীতার জন্য চিরতরে ধবংস ও বিলুপ্ত প্রায়া। নদী ভোগ দখলের অধিকার কখনও একজন ব্যক্তির হতে পারে না। তাহলেই নদী বিপন্ন হয়ে পড়ে, যেমনটি হয়েছে যমুনা নদী উপর সকলের অধিকার প্রতিষ্টা হবে, নদী বিপন্ন হয় না, নদী হয় প্রবাহমান ও জীবন্ত। -
খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন মাজিদুল ইসলাম
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর জেলেখালি বালু মহল গত বছর ইজারা গ্রহণ করেছিলেন সাতক্ষীরার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। চলতি ১৪২৫ সালের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা গ্রহণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে টাকাও জমা দেওয়ার জন্য তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম। তিনি বলেন গত বছর খুলনার এসএম ব্রাদার্স এর কাজি মাজিদুল ইসলাম ওই বালু মহল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে বাধা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ সময় মো. আইয়ুব আলি হাইকোর্টে একটি রীট করেন। হাইকোর্ট অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সাতক্ষীরার তৎকালিন আরডিসি মাফফরা তাসনিন রীট পিটিশন ১৬৩৯২/২০১৭ নম্বর মামলার ২০১৭ সালের ২১ আগস্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। (তারিখ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি)। এর কিছুদিন পর আরডিসি মাফফারা তাসনিন আশাশুনির ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম আরও বলেন, ইউএনও মাফফারা তাসনিন যোগদানের পর অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে জানানো হলে তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করারও নির্দেশ দেন ইউএনওকে। তা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উপরন্তু কাজী মাজিদুল হক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন এমনকি মাজিদুল হক আমার বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বলেছেন যে আমি মানিকখালি অ্যাপ্রোচ রোড নির্মানে মাজিদুলকে বাধা দিয়েছি। তিনি বলেন এ অভিযোগ মিথ্যা। ইউএনও এ বিষয়ে আমাকে নোটীশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মানিকখালি ব্রীজের অ্যাপ্রোচ রোডের ঠিকাদার মাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া এবং টেন্ডার গ্রহীতার টাকা না দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। -
আশাশুনি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক ৬ মাসের স্থগিতাদেশ ও ৬ সম্পাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে আদেশ দিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, গতবছরের ৭ নভেম্বর তিনি এ কলেজে যোগদানের পর থেকেই কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার, সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, জাতীয় দিবসের অবমূল্যায়ন, দুটি ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, শিশু নির্যাতন, রাতের আধারে উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুরের কক্ষের নেমপ্লেট সরিয়ে নেয়া ও অবমূল্যায়নসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রভাষক জানান, তার কলেজের যোগদানের বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তাকে ৭/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলির আদেশ হলেও ৮/১১/১৭ তারিখে আবার জয়পুরহাট সরকারি কলেজে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে বদলীর পুনঃআদেশ করা হয়। কিন্তু তিনি জয়পুরহাটে যোগদান না করে ১১/১১/১৭ তারিখে আশাশুনি যোগদান করেন। তিনি আসার কিছুদিনের মধ্যেই কলেজে সরকারের যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ভেন্যুটি বন্ধ করে দেন। যার নিন্দা জানিয়ে উপজেলার পরিষদের সভায় রেজুলেশন করা হয়। মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনসিসিদের সঙ্গে নিয়ে জুতা পায়ে শহিদবেদীতে উঠে জাতির সাথে চরম ধৃষ্টতা দেখানো, গত বছরের জুন ও আগস্ট মাসে ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে আদায়কৃত ২২ হাজার ৮’শ টাকা উত্তোলন করা, সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ডিড অফ গিফট এর চুক্তি ভঙ্গ করে মোখলেছুর রহমান ও সুলতানা তুরিনাজকে এমপিও ভুক্তির জন্য কাগজপত্র স্বাক্ষর দিয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে প্রেরণ করা, পুথি নিলয় প্রকাশনির অবৈধ গাইড বই শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৪০ হাজার টাকার বাণিজ্য করা, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠানের নাম করে টাকা তুলে অনুষ্ঠান না করা, যোগদানের পর থেকে কলেজের সরকারি কোয়ার্টারে থাকলেও কোন যথারীতি ভাড়া না দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাড়িভাড়া বাবদ মোটা অংকের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ বেশ জোরেশোওে উঠেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে একটি আম গাছে ওঠার অপরাধে এক শিশুকে মারপিট করায় তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর বাদি হয়ে হাইকোর্টে ৩৯৩০/১৮ নং রীট পিটিশান করলে বিচারক তারিকুল হাকিম ও এম ফারুক এর যৌথ বেঞ্চ অধ্যক্ষের ৭/১১/১৭ তারিখের বদলি আদেশের প্রজ্ঞাপনটি ৪ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। সাথে সাথে ৪ সপ্তাহের মধ্যে উক্ত অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর রুল জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যোগদানের পর থেকে কলেজের অনেক পরিবর্তন আনতে কাজ করেছি। কলেজের কিছু শিক্ষক তাদের অবৈধ স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এধরের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। -

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না আশাশুনির মানিকখালী সেতুর নির্মাণ কাজ
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির মানিকখালী সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। দিনরাত কাজ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছেনা। তবে সেতুটি এখন খোলপেটুয়া নদীর উপর দৃশ্যমান। দেখে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছে।
আশাশুনি সদর থেকে আধা কিঃমিঃ দুরে খোলপেটুয়া নদীর উপর নির্মানাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০৪.৫১ মিটার। প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। এর স্প্যান ৭টি, গার্ডার ৩৫টি। বরাদ্দ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ১৫/০৫/১৭ তাং। কার্য সমাপ্তিকাল ৩০.০৬.১৮। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জন জেভি। কাজ তদারকি করছেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় পরিচালক গিয়াস উদ্দীন ও উপসহকারি প্রকৌশলী জিয়াউদ্দীন জিয়া। কাজ শেষ করার মেয়াদকাল আর মাত্র ২ মাস বাকী থাকলেও কাজ এখনো অর্ধেকও হয়নি। ৭টি স্প্যানের মধ্যে ৩টি শেষ হয়েছে, আর একটির কাজ চলছে। ৩৫টি গার্ডারের মধ্যে মাত্র ৫টির কাজ হয়েছে। স্থলভাগের ৪টি এবার্টমেন্টের মধ্যে ২টির কাজ শেষ হয়েছে। তবে এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে সিংহ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেতু নির্মান কাজ শেষ হতে এখনো দেড় বছর সময় লাগতে পারে। -
কুলিয়ায় মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মারপিট
সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের হিরারচকে মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মারপিট করে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে হিরারচকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হকের ভাই সামিম হোসেনের মৎস্যঘেরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল মজিদের ছেলে হাফিজুল গাজী (২৮) জানান, আমি সামিমের পাশের ঘেরের কর্মচারি। আমাকে মাছ চোর বলে সামিম, তার শালাসহ কয়েকজন ব্যাপক মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের উদ্দোশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে চলে যায়। পরে আমি পরিবারের সদস্যদেরকে খবর দিলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এবিষয়ে সামিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাফিজুলকে আমার ঘের থেকে মাছ চুরি করতে দেখে পাশের ঘেরের কর্মচারি ওসমান। তাই আমার শালা, ওসমানসহ কয়েকজন তাকে সামান্য মারপিট করে। এদিকে, আহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
-

দীর্ঘদিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি তালার আমানুল্লাহপুর বাজার
তালা প্রতিনিধি: তালার কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমিতে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ দিনেও তা পেরী-ফেরী হয়নি। বাজারে প্রায় ৩৫ টি দোকানের কারো নেই কোন মালিকানা। অন্যদিকে সরকারি কোন বন্দোবস্ত না থাকায় বাজারটি থেকে সেই প্রথম থেকেই সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়ে আসছে। সচেতন এলাকাবাসী বাজারটি পেরীফেরী ভূক্তসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানাগেছে, ব্রিটিশ শাষনামল থেকে তালা উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুমিরা-তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি স্থাপিত হয়। তৎকালীন স্থানীয় এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিজ সম্পত্তিতে বাজারটি স্থাপন করেন। পরে তিনি এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ায় ঐ সম্পত্তি সরকার খাস খতিয়ানভূক্ত করে। পর্যায়ক্রমে বাজারটিতে ৩৪ জন দোকানি ইট দিয়ে ৩৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করলেও তাদের নিজস্ব কোন কাগজ-পত্র নেই। এমনকি তাদের কেউ কেউ বন্দোবস্তর জন্য আবেদন করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারটি পেরীফেরীভূক্ত না করায় প্রতি বছর বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বাজরের স্থায়ী দোকানদার সূর্য কুমার দাশ, প্রশান্ত কুমার দাশ, সরু সরদার, প্রশান্ত দাশ, নিমু দাশ, মোহাম্মদ আলী, আজিজুর শেখ, আ. করিম খোকন, সন্তোষ রায়, আবু বক্কর ও বুলু জানায়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা বাজারটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে তাদের বৈধ কোন কাগজ-পত্র নেই। তারা এসময় আরো জানান,দোকানিদের কেউ কেউ ২০১৫ সালের দিকে বন্দোবস্ত প্রাপ্তিতে আবেদন করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে চলতি সরকারের শাসনামলে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও বাজারটিতে এতটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি সরকারের হাট-বাজার তালিকায়ও নেই বাজারটির নাম। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি বার বার সরকারের পট পরিবর্তন হলেও কোন সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি বাজারটি উন্নয়নে ন্যুনতম কাজ করেনি। তাই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
এব্যাপারে কুমিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার (ইউএলএও) আমিনুল ইসলামের ০১৭১৭-৬১৪৩৪৮ নং মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এলাকাবাসী জানায়, বাজার কেন্দ্রিক আমানুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারের উপর একটি মন্দির ছাড়া এলাকায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন শিক্ষা বণিজ্যিক কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
আমানুল্লাহপুর বাজার কমিটি থাকলেও দীর্ঘ দিন কমিটির নির্বাচন হয়না। কমিটির বর্তমান সভাপতি আ. করিম এ প্রতিনিধিকে জানান, বাজারটিতে এর আগে নৈশ প্রহরার ব্যবস্থা থাকলেও নানা সংকটে তা বেশ কিছু দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালার আমানুল্লাহপুর নামে কোন বাজার আছে সেটা তার জানা ছিলনা। অবশ্যই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। -

সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদে তরমুজ চাষে কৃষকদের বিপ্লব
সেলিম হায়দার: আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও গত বছর দাম ভাল পাওয়ায় এবার পাইকগাছায় লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শ’ হেক্টর বেশি (৪১০ হেক্টর) জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে পানির অভাবে তরমুজ আবাদ মাজ পথে বিঘিœত হলেও ফলন ভাল হওয়ায় চলতি মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে উপজেলায় তরমুজের আবাদ আরো বাড়তে পারে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও এলাকাবাসী জানায়, পাইকগাছার ২২ নং পোল্ডার ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া ও কুমখালীতে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজ চাষ করছেন সেখানকার কৃষকরা। আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ ও সেখানকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ঐ এলাকা উপজেলার তরমুজ চাষের জন্য সমৃদ্ধ। এখানকার তরমুজের ব্যতিক্রমী স্বাদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাই এর চাহিদা ও দামও অপেক্ষাকৃত বেশী। সুন্দরবন উপকূলীয় ও চিংড়ি চাষ অধ্যুষিত জনপদে যখন পরিবেশ বিধ্বংসী চিংড়ি চাষ দিন দিন প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে তরমুজের আশা জাগানিয়া সম্ভাবনা স্থানীয় কৃষকদের পথ দেখাচ্ছে নতুন আলোর।
স্থানীয়রা জানান, তরমুজ চাষে শুধু চাষীরাই নয়, উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যায় কর্মসংস্থান হয় এলাকার শ্রমজীবিদের।
কৃষি অফিস জানায়, চাষাবাদে গত কয়েক বছরে কৃষকদের সাফল্য ও উৎসাহের উপর নির্ভর করে এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকরা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ৪১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড পাকিজা ও ড্রাগণ জাতের তরমুজের আবাদ করেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে আবাদ হয়েছে পাকিজা ও ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন জাতের তরমুজ। কৃষি অফিস আরো জানায়, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারে চাষ হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৮০ হেক্টর ও গড়–ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া কুমখালী এলাকায় বাকি ৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
কৃষি অফিস ও সংশ্লিষ্ট চাষীরা জানান, মৌসুমের শুরুতে সেচের জন্য পানির সংকট না থাকলেও এবছর বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় শেষ দিকে পানির চরম সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডার এলাকার চাষীরা রীতিমত বিপাকে পড়েন। মূলত ঐসময় স্থানীয় খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের পানির এ সংকট বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলার কালিনগর গ্রামের মিন্টু বালা জানান, তিনি এবছর ১২ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। তবে শেষের দিকে খালে পানি না থাকায় পাইপ দিয়ে কয়েক শ’ মিটার দূর থেকে পানি এনে ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে। তবে এবার গতবারের চেয়ে আবাদ ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজ মৌসুম শুরু হলেও আগামী সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে। তার ধারণা, বিঘা প্রতি এবছর প্রায় ৬০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে তার। সেখানকার আরেক চাষী পার্বতী সানা জানান, তাদের এলাকা তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হলেও সেচ ব্যবস্থা না থাকায় শুরুতেই নানা মুখী সংকট তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে অনেক দূর থেকে পাইপযোগে পানি এনে চাহিদা মেটাতে হয় তাদের।
এব্যাপারে চাষী ও শ্রমিক লতিকা ও কামনা বালা জানান, তরমুজ উৎপাদন মৌসুমে সেচ ও ক্ষেত পরিচর্যা করে ঘন্টা প্রতি ৫০ টাকা হারে অতিরিক্ত আয় করে থাকেন তারা। চাষী মেঘনা বালা জানান, তাদের উৎপাদিত তরমুজ পর্যায়ক্রমে ২/৩ বারে তরমুজ উঠাতে হয়। এরপর তা পাঠানো হয় ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান, তার এলাকার ২২ নং পোল্ডার তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। গত বছর ঐ এলাকা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছিল। দ্বিগুণ আবাদ ও ফলন ভাল হওয়ায় এবছর প্রায় ৪০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে তরমুজ চাষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান পানির জন্য আগ্র হারিয়ে ফেলছেন সেখানকার অনেক কৃষক। বিশেষ করে ২২ নং পোল্ডরের ৫ টি ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যরে একটি খাল রয়েছে। জনপদের কৃষকরা বিভিন্ন ফসল আবাদে এই খালের পানি দিয়েই চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। তবে দীর্ঘ দিন সংষ্কারের অভাবে হ্রাস পেয়েছে খালটির পানি ধারণ ক্ষমতা। তাই মৌসুমের শেষের দিকে খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষেতের সেচ করাতে অনেক দূর থেকে পাইপ যোগে পানি এনে চাহিদা পূরণ করতে হয় তাদের। এতে খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে অনেকেই তরমুজ চাষের আগ্রহ হারাচ্ছেন। তার দাবি খালটি খননপূর্বক মিঠা পানির নিশ্চিত উৎস্য তৈরী হলে তরমুজের পাশাপাশি অন্যান্য চাষাবাদেও তাদের বেঁচে থাকার অন্যতম প্রাণ কৃষকরা ঘটাতে পারে এক ভিন্ন মাত্রার বিপ্লব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএইচ এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা ঐ অংশে দীর্ঘদিন যাবৎ তরমুজের আবাদ ভাল হওয়ায় সেখানকার কৃষকরা এখন তিল চাষের পরিবর্তে তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। যে কারণে এবার সেখানে লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। তার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও দাম ভাল পাওয়ায় সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদের কৃষকরা আশা জাগানিয়া তরমুজ চাষে ঘটাতে পারেন এক নতুন বিপ্লব। -

জেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন
ডেস্ক রিপোর্ট: জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। “উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণ্যাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির আয়োজনে পুরাতন জজ কোর্ট চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন জজ কোর্ট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে নেতৃত্বে দেন জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
র্যালি শেষে জজ কোর্ট চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, অসহায়, সহায়সম্বলহীন মানুষকে বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষ করে নির্যাতনের শিকার নারীদের বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্ত্তী, চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ হাসান, নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক হোসনে আরা আক্তার, সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, আকম রেজওয়ান উল্লাহ, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বাস সুদেব কুমার প্রমুখ। সহকারি জজ ফারহা দিবা ছন্দা ও আয়শা আক্তার মৌসুমীর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুবিধা বঞ্চিত বিচার প্রার্থী নাছিমা খাতুন। আলোচনা সভা শেষে রক্ত দান কর্মসূচি এবং জনসচেতনতা মূলক নাটিকা অনুষ্ঠিত হয়। -

ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোমরা হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১৭২২ এবং ১৯৬৪) এর নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আশংকায় নীল নকশা করে আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। ১৭২২ এর আবিদ হোসেন ও ১৯৬৪ এর সাইফুল ইসলাম এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে প্রকৃত শ্রমিকদের সদস্যপদ বাতিল করে অশ্রমিকদের সদস্যভুক্তি করেছেন। অথচ বন্দরে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে, মাসিক চাঁদা দিয়েও সদস্য হতে পারেননি অনেক প্রকৃত শ্রমিক। সোমবার দুপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে জড়ো হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এধরনের অভিযোগ করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যরা।
শ্রমিকরা বলেন, ইউনিয়ন দুটি দীর্ঘদিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলো পূর্বের কমিটি। অনেক জল্পনা কল্পনার পর আগামী ১১ মে নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দের ভোটার তালিকা প্রদান করবেন। সে অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পরাজিত নিশ্চিত উপলদ্ধি করতে পেরে পূর্বের (১৭২২)কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন ও (১৯৬৪) অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকার দোকানদার এবং শ্রমিকের কাজ করে এমন ব্যক্তিদের তালিকা ভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে বন্দরে যারা সারাদিন শ্রমিকের কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সদস্যভুক্তি করা তো দূরের কথা গত নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছিলো এমন অনেক সদস্যদের তালিকায় নাম নেই। এদের মধ্যে আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মহিদুল ইসলাম, ইউসুফ আলী ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সদস্য ছিলো। কিন্তু এ নির্বাচনে আবিদ হোসেনের বিপক্ষের প্রার্থীর সাথে থাকায় তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া আব্দুল আলিম নামের একজন শ্রমিক বিগত ২০১৩ সাল থেকে শ্রমিকদের কাজ করে যাচ্ছেন তাকে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ভর্তি ফিও নেওয়া হয়েছে কিন্তু তার সদস্যপদ দেওয়া হয়নি।
এঘটনায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন শ্রমিকদের নাম বাদ যাওয়ার কথা স্বীকার করেই বলেন, দু চারটি নাম বাদ যেতেই পারে। তবে এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দেওয়া হয়নি। এছাড়া যারা পূর্বে শ্রমিক ছিলো তাদের নাম তো বাদ যাবেই। দোকানদারদের সদস্যভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন এটা হতে পারে। অনেকেই দোকানদারির পাশাপাশি আমাদের সদস্য রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী বলেন, স্বচ্ছভাবেই এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। বিশেষ করে পুরাতন সদস্য যদি বাদ পড়ে থাকে তাদের পূর্বের নাম্বার টা জানালে আমরা কোন শর্ত ছাড়াই সদস্যভুক্ত করবো। -

সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। -

বৈষম্যে, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে জাসদ সকল সময় আপোষহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যডভোকেট রবিউল আলম বলেন, ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা দল জাসদ সবসময় বৈষম্য, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে। সুনিদৃষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে জননেতা হাসানুল হক ইনুর পরিকল্পনায় গড়ে ওঠে ১৪দলীয় ঐক্যজোট।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সুচতুরভাবে মিথ্যাকে সত্য প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। বিএনপির আমলে দেড় কোটি ভূয়া ভোটার করা হয়। জঙ্গীর সঙ্গী ও জঙ্গী উৎপাদনকারী বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য আক্রমণ করা হয়।’
জাসদ নেতা রবিউল আরো বলেন, ‘প্রচলিত সমাজব্যাবস্থায় মানুষের মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকা সম্ভব নয়। এখানে মানুষের শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। এ সমাজে নারীর মর্যাদা দেওয়া হয়না। এখানে বৈষম্য আকাশচুম্বী। দেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলেও নিন্ম আয়ের মানুষেরা রয়েছে চরম বৈষম্যের মধ্যে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে এ অবস্থা সংগতিপূর্ণ নয়। তাই জাসদ এ সমাজব্যাবস্থাকে পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াই করছে।’
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের জাসদ মনোনীত প্রার্থী ওবায়দুস সুলতান বাবলুকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলারোয় উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি, জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজু, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি অনুপ কুমার অনুপ ও তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। সমাবেশের পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি কলারোয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে সভার প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট রবিউল আলম ও বিশেষ অতিথি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। -

কলারোয়া জাসদের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি এড. রবিউল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি,জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা,তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, জাতীয় যুবজোট সাতক্ষীরা জেলার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। জঙ্গীবাদ-ধর্মীয় উগ্রবাদকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখা, দুর্নীতি-বৈষম্যের অবসান করা, সুশাসন-অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠিত হয়।
-
সর্বসাধারণের জন্য সব সময় আমার দার খোলা-জেলা প্রশাসক
দেবহাটা প্রতিনিধি: ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে কেউ যেনো অযাথা হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে সব সময় খেয়াল রাখা হচ্ছে। জনগনকে সেবা দেওয়ার জন্য সরকার আমাদের নিয়োগ করে রেখেছেন। তাই কারোর অসাহয়ত্বের সুযোগ নিয়ে আর্থিক লেনদেন কিংবা কোন প্রকার অপরাধের আশ্রায় নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ দেবহাটায় এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের স্বপ্ন ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়া। আর আমাদের দায়িত্ব উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। আমাদের দায়িত্বের স্থানগুলোতে যত বেশি সেবা দিতে স্বক্ষম হব তত তাড়াতাড়ি উন্নত দেশে রুপান্তিত হতে পারব। সর্বসাধরণের জন্য আমার দার সব সময় খোলা থাকবে। আপনাদের প্রয়োজনমত আমাকে সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নে পাশে পাবেন।’
সোমবার অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ। উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার জিন্নাত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইয়াসিন আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তাদের দাবির ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, কোন কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। নষ্ট রাস্তা সংস্কারের জন্য অধিকাংশ রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। তিনি আগামীতে বালু মহলের ইজারা বাতিল করে নদীর বাধ ভাঙ্গন রক্ষা এবং স্থানীয় রাস্তা নষ্ট রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া রাস্তার পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিড ব্রেকার, পারুলিয়া ইউনিনের পোষ্ট অফিস নির্মাণের কাজ সমাপ্ত, দেবহাটা প্রেসক্লাব সংস্কার, ম্যানগ্রোভ বিনোদন কেন্দ্রে রেস্ট হাউস নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। একই সাথে জলাবদ্ধতা নিরাসনে এবং কৃষি, মৎস্য চাষের জন্য জোয়ার-ভাটা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ খালগুলো খননের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে নথি প্রেরণ করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। তিনি সরকারের উন্নয়নকে বাস্তবায়ণ করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার বদরুজ্জামান, এলজিইডি অফিসার মোমিনুল ইসলাম, উপজেলা সাব-রেজিস্টার পার্থ প্রতিম মুখার্জ্জি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর লতিফ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই, শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিক, যুব উন্নয়ন অফিসার ইসমোত আরা বেগম, বিআরডিবি অফিসার ইসরাইল হোসেন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন অফিসার অসিত বরণ রায়, সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহফুজ রঞ্জু, কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ সরকার, খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, হাজী কেয়ামউদ্দীন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম, মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পালসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা। -

পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের নেতাসহ আটক-৪০
নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ১ নেতাসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সদর থানা থেকে ৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১১ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৩ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৪ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -
কলারোয়া সীমান্ত থেকে ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কলারোয় প্রতিনিধি: কলারোয়া সীমান্ত থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম কুমারনাল এলাকা তাদের আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার গদোখালী এলাকার মৃত রফিকুল মোড়লের ছেলে মোঃ কাবিরুল ইসলাম কালু (২৮), একই উপজেলার কুমারনাল গ্রামের মৃত নুরল ইসলাম মোল্যার ছেলে আরিফুল ইসলাম মোল্যা (২১), ইসহাক বিশ্বাসাসের ছেলে আরিফুল বিশ্বাস (২৭), সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ মাহামুদুল হক বাবু (৩৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক দালালের ছেলে মশিউর রহমান মনি ৩৩), মৃগীডাঙ্গা গ্রামের রয়িচ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম সরদার (৪৭)।
ডিবি পুলিশের ইনেসপেক্টার জুলফিকার আলী জানান, কলারোয়া উপজেলার কুমারনাল সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সাড়ে ৩’শ পিস ইয়াবাসহ উক্ত ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। -
দেবহাটা হিরারচক প্রাইমারি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু ও পানির বোতল প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের হিরারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ প্রদান ও ওয়াটার পট বিতরণ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এ্যাড. ওসমান গণি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ মিড-ডে মিল চালু, পরিচয়পত্র বিতরণ ও পানির পট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ রফিকুর রহমান মিন্টু। অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের শতভাগ মিড-ডে মিল কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র প্রদান করেন ও তাদের হাতে নিরাপদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে ওয়াটার পট তুলে দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ ওয়েলফয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে রবিউল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষিকা দীপালী ঘোষসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। -
তালার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দলুয়া বাজার টু মাদরা সড়কটি এলাকাবাসী কিছু ইটের কার্পেটিং ও কিছু মাটির সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি সড়কটি পিচের কার্পেটিং বাজেট হয়। স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু সড়কটির পাঁকাকরণ কাজ করার চুক্তিবদ্ধ হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির কাজ শুরু করতে না করতেই সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করতে শুরু করেছেন। সড়ক নির্মাণ কাজে যে ইটের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে তার অধিকাংশই ২ ও ৩নং ইটের খোয়া। সড়কের ধারে যে ইট ব্যবহার হচ্ছে তার অবস্থাও একই। এছাড়া সড়কটির প্রতিমধ্যে মাদরা ও পার-মাদরার মাঝখানে একটি ঢালাই ব্রীজ আছে। ব্রীজের সংযোগ সড়কের সাথে মিল না রেখেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিচু করে সড়কটি নির্মাণ করছেন। এতে করে কোন ভারী যানবহন ব্রীজে উঠতে ও নামতে গেলেই উল্টে পাশের গভীর খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মান কাজ হলেও ঠিকাদার বা উপজেলার কোন কর্মকর্তা কাজ পরিদর্শনে তেমন আসেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মোহাম্মদ জসিম বলেন, কয়েকদিন আগে কাজের সাইডে গিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু’র সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে আছি, পরে কথা বলেন’। এমতাবস্থায় ব্রীজের সাথে সড়কের সঠিক সংযোগ স্থাপন এবং সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।