Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 103 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কন্যা শিশুকে পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
    সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামী হলেন, শ্যামনগর উপাজেলার পরানপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন। বর্তমানে তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসবাস করেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, পাচারের শিকার শিশু কন্যাটি শ্যামনগর উপাজেলার ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠি ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

    জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে শিশুটির সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় বৈশখালি গ্রামের লোকজন পাচারকারী আফরোজাকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বারী সরদার বাদি হয়ে পাচারকারী আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন।

    ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

    ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বুধবার আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। একই সাথে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে, এ রায়ের সময় পাচারকারী আসামি আফরোজা পলাতক ছিলেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

  • সাতক্ষীরায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আক্তারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম বাঁচাখুকি(৪৫)। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর গ্রাামের আব্দুল মজিদ কারিকরের স্ত্রী।

    ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মধুসুদন মন্ডল জানান, বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ পালিচাঁদ বিলে ছাগল চরাতে যান। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে ছিলো একই গ্রামের আহাদ আলির ছেলে মাদকাসক্ত আক্তারুল ইসলাম(২৬) নামের এক যুবক।

    আক্তারুল ওই গৃহবধূকে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ পালিচাঁদ বিলের একটি খালে সে পুতে রাখে ঘাতক আক্তারুল। স্থানীয় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

    এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু কওে পুলিশ। পরে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিরাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাাফিজুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতকর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত  জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে ২২ পিস ইয়াবা, ১৪০ বোতল ফেন্সিডিল,  ৪০২ গ্রাম গাজা এবং ১৯ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন  ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা মহিলা পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
    মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদ সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম।
    সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, মাধব দত্ত, এ্যড. আবুল কালাম আজাদ, মরিয়ম মান্নান, ফলুদা খাতুন, মিষ্টি বেগম, নাজমুল আলম মুন্না প্রমুখ।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
    বক্তারা সংরক্ষিত নারী আসন আরও ২৫ বছর বহাল রাখার প্রতিবাদ জানান।
  • ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার : আমদানি-রপ্তানী শুরু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: অবশেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে বিজিবি চেক পোষ্ট সরানোর দাবীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। টানা ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বিজিবি কর্তৃক চেক পোস্ট প্রত্যাহার করে নেয়ায় আবারো শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম। ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, কাস্টমস অ্যাক্টের ৯ ধারা মোতাবেক বন্দর এলাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানিকৃত পন্যে কাস্টমস ছাড়া অন্য কোন সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। কিন্তু ২০১৫ সালের আগষ্ট মাস থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বন্দর এলাকার চারটি স্থানে বিজিবি অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আসছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের সময় নষ্ট, বন্দরে গাড়ি কম প্রবেশ করাসহ নানা সমস্যার কারনণ সরকারের রাজস্ব কমে যাওয়ায় বিজিবির এই চেক পোষ্ট সরানোর দাবিতে সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন সকাল থেকে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এক পর্যায়ে দুপুরে বিজিবি বন্দর এলাকা থেকে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়ার পর আবারো শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ফজলে হোসেন জানান, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির কাজ যথারীতি চলবে। ভোমরা স্থল বন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার সাগর সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): কঠোর পরিশ্রম এবং অসামান্য শৈল্পিকতায় বাসা তৈরি করে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বাবুই পাখি। বাবুই পাখির এ অসামান্য পরিশ্রম এবং শিল্পি মনোভাবকে কেন্দ্র করেই কবি রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেন কালজয়ী কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় কবি রজনীকান্ত সেন চড়–ই এবং বাবুই পাখির মধ্যে কথাপোকথন আকারে বাবুই পাখির নিজের তৈরি অনন্য বাসার যে পরিচয় দিয়েছেন তা আজ কেবলমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ। কালের বিবর্তনে আজ বাবুই পাখির বাসা নেই বললেই চলে।

    এখন আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার নিজের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বয়ন শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা পড়ে যেতনা। বাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসাটি শিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি যা টেনে ছেঁড়াও কষ্টকর। এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছ আর বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সেই দৃষ্টি ভোলানো পাখিটিকে ও তার নিজের তৈরি বাসা যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে নৈস্বর্গীক রূপ দিত, তা আজ আমরা হারাতে বসেছি।

    বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা “তাঁতী পাখি” (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। বেশ জটিল গঠন আর খুব সুন্দও আকৃতির এর বাসা। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী, চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা।

    বাবুই সাধারণত দলবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এজন্য গ্রামাঞ্চলের তালগাছে একাধিক বাবুই পাখির বাসা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই দেখা যায় এগুলো হলো দেশি বাবুই (Ploceus philippinus), দাগি বাবুই (Ploceus manzar) ও বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)।

    বাবুই পাখির একটি অনন্য অসাধারণ বৈশিষ্ট এর বাসা বানানোর কৌশল। এরা বাসা বানানোর জন্য খুবই পরিশ্রম করে। এদের বাসা উল্টানো কলসির মত দেখতে। বাসা বুননে এরা ঘাস, খড়, নলখাগড়া ও হোগলার বন ব্যাবহার করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সাজিয়ে নিপুণ যতেœ বাবুই তার বাসা তৈরি করে। পরম যতেœ পেট দিয়ে ঘষে (পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। শোনা যায় বাবুই জোনাকী ধরে এনে রাতে বাসায় আলো জ্বালানোর ব্যাবস্থা করে।
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হারিয় যাচ্ছে বাবুই পাখি। অনেক অসচেতন মানুষ বাবুইয়ের বাসা ভেঙে ফেলে, একারণেও এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। দেশে বাবুইয়ের বাসা বুননের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নল ও হোগলার বন কমে যাওয়া ও বাবুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
    এ ব্যাপাওে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাবুই পাখির বসবাসের যথাযোগ্য স্থান ও পরিবেশ কমে যাচ্ছে। যে কারণে বাবুই পাখি এবং এর বাসা বিলুপ্তির পথে।

    বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
    “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
    আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার ‘পরে,
    তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
    বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
    কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
    পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
    নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”

    একসময় হয়তো রজনীকান্ত সেনের এ কালজয়ী কবিতা শুধু বইয়ের পাতায়ই থেকে যাবে। আগমী প্রজন্ম হয়তো দেখতে পাবে না বাবুই পাখির গর্বের সেই নিজ হাতে গড়া খাসা কাচা ঘর।

  • জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী ও ৮মাদক মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    অভিযানে ২২ বোতল ফেন্সিডিল ও ১১০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা জামায়াতের ১ সুরা সদস্যসহ ১৭ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ইসলামকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের রোকনসহ ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৫ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

     

  • কাটিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

    কাটিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় শহরের একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭ ভরি স্বর্ণলাংলকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
    মঙ্গবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়া এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

    সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটে অবস্থিত আল বারাকা জুয়েলার্সের ম্যানেজার লিটন হোসেন জানান, ৬/৭ জনের একদল মুখোসধারী ডাকাত তার ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে।

    তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির মালিক লিটন, তার মা ফাতেমা বেগম, স্ত্রী হাজেরা খাতুন ও শ্যালক মুকিতকে একটি ঘরের মধ্যে রশি দিয়ে হাত বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়। এরপর ডাকাতরা আলমারি খুলে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও চারটি মোবাইল সেট নিয়ে চম্পট দেয়। ডাকাতরা যাবার সময় কাপড় দিয়ে তাদের চোখ ঢেকে রুমে তালা ঝুলিয়ে যায়। ভোরে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে।

    এদিকে, ডাকাতার একই এলাকার শ্যামল রাহার বাড়িতে হানা দেয়। তার বাড়ির গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করার সময় বাড়ির মালিক জানতে পারলে ডাকাতরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে বলে তিনি আরো জানান।

  • সাতক্ষীরার ৪টি থানায় ওসি রদবদল

     

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক: একযোগে সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, কলারোয়া, দেবহাটা ও শ্যামনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) বদলি করা হয়েছে। সোমবার প্রত্যেক থানায় বদলিকৃত ওসিরা দায়িত্ব বুঝে নেন।
    এদিন দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আশাশুনি থানায় দায়িত্বরত ছিলেন। অন্যদিকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ যোগদান করেছেন কলারোয়া থানায়। কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি বিপ্লব কুমার নাথ যোগদান করেছেন আশাশুনি থানায়, শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান যোগদান করছেন দেবহাটা থানায়।
    দেবহাটা থানা পুলিশের ওসি কাজী কামাল হোসেন সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে ওআর পদে যোগদান করবেন। শ্যামনগর থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পালন করবেন।

  • টাউন বাজার বাজার পরিদর্শনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৬ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা শহরস্থ কাটিয়া টাউন বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, পঁচাবাঁসি খাবার রাখা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, মেয়াদ উর্ত্তীণ পন্য ও পানীয় বিক্রয়সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে নিউ সাতক্ষীরা সুইটস, বিসমিল্লাহ ষ্টোর ও মণ্ডল ট্রেডার্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যোগদান

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর থানার সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোর পুকুরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে বি.এস.এস অনার্স পাশ করেছেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আব্দুর রহমান। মো. মোস্তাফিজুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশ মাতৃকার টানে দেশের সেবা করার মনোভাব নিয়ে সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে ২০০০ সালে নড়াইল সদরে প্রথম যোগদান করেন। তার পিতা মেহেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান। অদ্যবধি সে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন। ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশিং কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে দুই দুই বার পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক তার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করবেন এং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবেন। সদর থানাকে একটি আদর্শ থানায় রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। একই সাথে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মারুফ আহম্মদ কলারোয়া থানায় যোগদান করেছেন।

     

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৮ নেতাকর্মী ও মাদক মামলার ১২ আসামীসহ ৫৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১১ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৬ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ বিএনপি ও ৬ জামায়াত নেতাকর্মী, পাটকেলঘাটা থেকে ১ জামায়াতকর্মী ও অন্যান্য মামলার ৪ জনকে আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ১৩ পিস ইয়াবা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার সন্ধ্যা হতে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • বন্দুকযুদ্ধ : ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, ৫ পুলিশ সদস্য আহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
    উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।
    গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
    তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
    তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • কুশখালী সীমান্ত থেকে ২৫ কেজি রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ কেজি ভারতীয় রূপা ও একটি এয়ারগান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

    রোববার ভোরে সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত থেকে উক্ত রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত রূপার মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

    সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুশখালী বিওপির নায়েক সুবেদার হানিফ জানান, সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে রূপার একটি বড় চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখান থেকে ২৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম ভারতীয় রূপা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রূপার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

  • হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হাজারো ভক্তের উপস্থিতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সদরের ধুলিহর শ্যাম সুন্দর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে এ রথযাত্রা বের হয়। এ রথযাত্রাটির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর নিজের বাড়ি শ্রাম সুন্দর মন্দির থেকে রথযাত্রাটি বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাটিয়া সদর উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে মাসির বাড়ি গিয়ে শেষ হয়।
    রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সার্বজনীন পুজা মন্দিরের উপদেষ্টা দীনবন্ধু মিত্র, সভাপতি গৌর দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক বলাই দে, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন কুমার মন্টু, কিরণ¥য়, মঙ্গল কুমার পাল, কানাই লাল শাহা, নিখিল, উত্তম দত্ত প্রমুখ।
    রথটি আগামী ৯দিন সদর উপজেলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে থাকবে। এই ৯দিনের প্রতিদিন দুপুরে দুই হাজার ভক্তের অন্ন ভোগ করানো হবে এবং সন্ধ্যায় ভাগবত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী রবিবার উল্টোরথ যাত্রা করবে।
    বিশ্বমানবতার মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে মহা ধুমধামের সাথে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় শত-শত ভক্ত হিন্দু নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। আগামী রবিবার রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উল্টোরথ যাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুস সেলিম ও মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ। ঐ দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের পুনঃযাত্রা উল্টোরথ যাত্রা করবে।
  • ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলো জেলার দুই লাখ ত্রিশ হাজার শিশু

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি):  সাতক্ষীরায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২১ হাজার ৭২৮ । বাকি দুই লাখ আট হাজার ৪১০ জন ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু।
    শনিবার সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ৭৮ টি ইউনিয়নের ২৩৪ টি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে এক যোগে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। দুই হাজার ৩১ টি টিকাদান কেন্দ্রে  তাদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
    সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান জানান দিনভর এই ক্যাম্পেইন চলমান ছিল।
    জেলা সদরে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোমেসন। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারি পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ ,সিভিল সার্জন ডা. তোহিদুর রহমান ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিয়ে সংঘর্ষ : আহত-৫

    মোঃ মুশফিকুর রহমান রিজভি: সাতক্ষীরার ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিয়ে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে পুরাতন কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় নতুন কমিটি জোরপূর্বক দখল করতে গেলে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকালে সংগঠনটির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
    জানা গেছে, গত দুই মাস আগে ভোমরা স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে এরশাদ-তরিকুল পরিষদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেও সাবেক কমিটির সভাপতি আনারুল ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে টালবাহানা করতে থাকে। সম্প্রতি নতুন কমিটির সভাপতি-সাধরণ সম্পাদকসহ তাদের গ্রুপের লোকজন শ্রমিক ইউনিয়নে গিয়ে সাবেক কমিটির লোকজনদেরক বের করে তাদের দখলে নেয়। এরপর পুরাতন কমিটির লোকজন আবারও একত্রিত হয়ে সে অফিস তারা পাল্টা দখলে নেয়। একপর্যায়ে আজ শনিবার সকালে নতুন কমিটির লোকজন আবারও ওই অফিসে দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে এতে উভয় গ্রুপের পাঁচ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, ভোমরা স্থল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি এরশাদ আলী, সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আনারুল ইসলাম (কালো আনারুল), শ্রমিক আব্দুর রহিম ও আজিজুল ইসলাম। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শরিফুল আলম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ভোমরা স্থল বন্দরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নটি বর্তমানে নতুন কমিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন পক্ষই থানায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি। বন্দরের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
  • সাতক্ষীরার দেবহাটায় অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুরে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কোমরপুরের ডাক্তার আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশ থেকে ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
    স্থানীয়রা জানায়, গত ৩-৪ দিন অজ্ঞাত মহিলাটিকে কোমরপুর এলাকায় বিকারগ্রস্থ অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ডাঃ আব্দুল খালেকের বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উপস্থিত হলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা দেবহাটা থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

    এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন জানান, অজ্ঞাত বৃদ্ধা মহিলার লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে সাতক্ষীরা সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।