Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 101 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • টানা ৫ দিন পর ফের ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু

    টানা ৫ দিন পর ফের ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারও শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পণ্য বাহী ভারতীয় ট্রাক।

    ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে গত ২১ আগষ্ট থেকে ২৫ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৫দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।’

    ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারি কমিশনার সাগর সেন জানান, টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবারও যথারীতি শুরু হয়েছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।

    উল্লেখ্য, গত ৫ দিন আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।

  • ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক

    ভিজিএফের ১৩ বস্তা চালসহ সাতক্ষীরার রেজাউল মেম্বর আটক

    নিজস্ব  প্রতিনিধি: নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ১৩ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চালসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
    আটককৃত ইউপি সদস্যের নাম রেজাউল ইসলাম (৫২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার পিতার নাম মৃত ইমান আলী।

    প্রত্যক্ষদর্শী শাল্যে পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলাম, আলাল হোসেন, আরশাদ আলী, সাদ্দাম হোসেন , রুস্তুম আলী, ইমমাইল হোসেন ও ফয়সাল আহম্মেদ সহ কয়েকজন জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের মাঝে পরিবার পিছু ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল বিতরনের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ি ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে চাল বিতরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওনের বাবা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুনের স্বামী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলাম ভিজিএফ কার্ডের চাল যথাযথভাবে বিতরন না করে আত্মসাৎ করেন। এর একাংশ তিনি স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। কিছু চাল বিক্রির জন্য নিজের কাছের লোকদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।
    তারা আরো জানান, স্থানীয় সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির কাছের লোক বলে পরিচিত রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ভিজিএফ কার্ডের চাল মজুত রয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রেজাউল কয়েক বস্তা চাল পাশের কয়েকটি বাড়িতে সরিয়ে ফেলে নিজে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার মধ্যে আত্মগোপন করেন।
    পুলিশ প্রথমে রেজাউলের স্ত্রী তাহমিনা ও ছেলে ফজলে রাব্বি শাওনের উপস্থিতিতে তাদের বাড়ির রান্না ঘরের ট্রাঙ্ক থেকে তিন বস্তা চাল, ইউপি সদস্য ও যমোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি রেজাউলের চাচা মাওলানা গোলাম কাদেরের বাড়ি থেকে এক বস্তা, মতিয়ার রহমানের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, খোদাবক্সের বাড়ি থেকে এক বস্তা, অঞ্জনা রানী সরকারের বাড়ি থেকে তিন বস্তা, সুনীল দাসের বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, কানা বিশ্বনাথ দাসের বাড়ি থেকে এক বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। তবে সুনীল দাস আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে দু’ বস্তা ও কানা বিশ্বনাথ দাস ৯০০ টাকার বিনিময়ে এক বস্তা চাল ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে কিনেছেন মর্মে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানোয় তিনি ওই টাকা সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানকে বুধবার সকালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। চাল উদ্ধার হলেও পালিয়ে থাকা রেজাউল ইসলামকে ধরতে উপপরিদর্শক প্রদীপ সানার নেতৃত্বে পুলিশ বাড়ি বাড়ি চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালায়। রাত ৮টার দিকে চাচাত ভাই হাবিবুর রহমানের ধানের গোলার ভিতর থেকে তাকে টিনে হিচড়ে বের করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী তাহমিন কে একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে জোরে জোরে মোবাইল করতে দেখা যায়। কিন্তু চুরির দায় ঘাড়ে পড়া কোন আওয়ামী লীগ নেতা নেত্রীর পক্ষে কোন জনপ্রতিনিধিকেই সাড়া দিতে দেখা যায়নি। একপর্যায়ে যে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সময় দেন তিনিই তার আহবানে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ হন তাহমিনা। পুলিশ যখন স্বামী রেজাউলকে গাড়িতে তুলছিল তখন তাহমিনাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। লজ্জায় মুখ ঢাকছিলেন রেজাউল। কয়েক’শ মানুষের মাঝে এমন দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
    তবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তাহমিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাসানো হয়েছে।
    নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামসহ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৮৭ কেজি ১২০ গ্রাম চাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ওই ইউপি সদস্যকে। চালসহ ওই ইউপি সদস্যকে থানায় আনা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বা ইউপি সচীব আমিনুর রহমান বা চৌকিদার আফছার আলী বাদি হয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবেন। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

  • বড়বাজার থেকে ৮’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক

    বড়বাজার থেকে ৮’শ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার রাতে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আটক আরিফুল ইসলাম চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালি থানার পশ্চিম বাঁশখালা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহরিয়ার হাসান জানান, চট্রগ্রাম থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান সাতক্ষীরা শহরে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল সুলতানপুর বড়বাজারের মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে পদ্মা ফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ী আরিফের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দেয়া হয়েছে।

  • মালয়েশিয়া থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন সাতক্ষীরার নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ১২ বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন সাতক্ষীরার নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর রহমান। মালয়েশিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে পরিবারের ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়েছেন তিনি। কিন্তু এতো কষ্টে ভ্যাগ্যের চাকা ঘুরিয়েও তিনি নিজেই সেই সুখ উপভোগ করতে পারলেন না। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে অবশেষে তিনি বাড়ি ফিরলেন পরিবারের জন্য এক রাশ দুর্ভাগ্য নিয়ে।
    শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার গড়েরকান্দায় বরফ আচ্ছাদিত কফিনে পৌছায় নির্মাণ শ্রমিক লুৎফর রহমানের মৃত দেহ। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার স্ত্রী, স্বজন, পরিবার-পরিজনসহ গ্রামবাসীারা। আজ মৃতদেহ দেখার পর সবাই স্তব্ধ। সবাই অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। 
    গত ১১ আগস্ট মালয়েশিয়ার কর্মস্থলে ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন লুৎফর রহমান। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তিনি জীবন যুদ্ধে হেরে যান। এ ঘটনার পর তার সুখের সংসারে নেমে এসেছে দুঃসহ বেদনা।
    শনিবার বাদ আছর তার জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
  • চলে গেলেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী

    মশাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

    শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। বাদ যোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

    ১৯৫০ সালের ৩০ মে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে জন্ম নেয়া বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সেফ হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সাব জজ, ডেপুটি সেক্রেটারি, হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জেলা ও দায়রা জজ, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার ছিলেন।

    হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট নিয়োগ লাভ করেন তিনি। ২০১৭ সালের ২৯ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহন করেন।

    বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীকে দাফন করা হবে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে।

  • সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ আগস্ট) ঈদ সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে একটি সমাবেশের আয়োজন করে প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতি। সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী সদস্য রেহেনা পারভীন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রতি খুব আন্তরিক। প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসিক ৭শ টাকা করে সম্মানি ভাতা দিচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই অল্প টাকায় সংসার পরিচালনা করা অসম্ভব। এজন্য মাসিক সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হোক।’
    এ কর্মসূচির আওতায় পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির পক্ষে জেলায় মোট ৪শ জন প্রতিবন্ধীকে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সেমাই, চিনি ও সোয়াবিন তেল তথা ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
  • ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

    ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়েছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের। এ চাহিদা পূরণে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার কামারপল্লী। দিন-রাত টুং টাং শব্দে কাজ করে চলেছেন কামারা।
    কামারপল্লীর কর্মকারা জানান, বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি। তাই তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশি হলেও লাভ কম হয়। কয়েক দিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদে প্রচুর পশু কোরবানি হবে আর কোরবানির এসব পশু জবাই এবং জবাই পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন প্রকারের ছুরি-কোপা। তাই তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি।
    কামারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেকটি বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে ৮শ টাকায়। ছোট ছুরি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২শত থেকে ৪শত টাকা পর্যন্ত। তবে প্রকার ভেদে কমবেশি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সরঞ্জাম।
    তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় এবার ছুরি-চাপাতি এবং দা-বটির দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, লোহা এবং কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে নির্মাণ খরচ।
    সাতক্ষীরার কদমতলা বাজারের কর্মকার রাম নারায়ণের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সারা বছর তেমন কাজ না হলেও ঈদুল আযহা’র আগে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এ সময়টিতে যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা প্রত্যেকে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি ক্রয় করেন। নতুন সরঞ্জাম ক্রয়ের পাশাপাশি আগেরগুলো নতুন করে শাণিত করতেও ভীড় জমাচ্ছেন জনসাধারণ।
    তিনি আরো জানান, এবছর কয়লাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি কিন্তু ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান না। আর সরকার আমাদের এই খাতে কোন প্রকার ঋণ দেয় না। ফলে অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা থাকলে পেশাটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হত।
    কামারপল্লীর কর্মকার প্রলত জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময়টিতে কাজ বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হয়। বাপ-দাদারা এই পেশায় ছিলেন। আমাদের কামারি কাজ শিখিয়ে গেছেন। ঐতিহ্য ধরে রাখতে শত কষ্ট হলেও অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ নেই।

  • ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের অকেজো হয়ে পড়া ড্রেন সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মোঃ রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু)। গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে এ ড্রেন সংস্কার কাজ শুরু হয়। চৌধুরী বাবু নিজে উপস্থিত থেকে এ কাজের তদারকি করেন। এ কর্মসূচির আওতায় ১নং ওয়ার্ডের প্রায় ১৫শত ফুট ড্রেনের সংস্কার কাজ হবে বলে জানিয়েছেন চৌধুরী বাবু।

    এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, নারকেলতলা থেকে থানাঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ড্রেনটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় পড়ে ছিলো। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে পথচারিদের জন্য রাস্তাটিতে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় চৌধুরী বাবু নিজ উদ্যোগে উক্ত ড্রেনটি সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। যেটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ। ড্রেনটি সংস্কার শেষ হলে রাস্তায় জমে থাকা পানির হাত থেকে পথচারিরা রেহায় পাবে।

    চৌধুরী বাবুর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উত্তর কাটিয়া ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সচেতন নাগরিক হিসেবে চৌধুরী বাবু যে উদ্দ্যোগটি হাতে নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। এভাবে যদি সাতক্ষীরা পৌরসভার সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাদের নিজ এলাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে পৌরসভার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে এগিয়ে আসে তবে সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল সমস্যা নিরসণ করা সম্ভব হবে। আমরা এলাকাবাসি তার এ উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানায়।’

    এব্যাপারে চৌধুরী বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নারকেলতলা-থানাঘাটা সড়কের পাশের ড্রেন অকেজো অবস্থায় পড়েছিলো। যার ফলে ওই সড়কের উপরে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এজন্য শিক্ষার্থী-মুসল্লিসহ সাধারণ পথচারীদের রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এজন্য আমি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে ড্রেনটি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করি। আশা করি ড্রেন সংস্কার কাজ শেষ হলে রাস্তার জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে।

  • লাবসায় ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়ম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবসা ইউপিতে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চাউল বিতরণ সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত।
    মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লাবসা ইউপিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে লাবসা ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমসহ ইউপি মেম্বরবৃন্দ। কিন্তু চাউল বিতরণে মূল তালিকার সাথে স্লীপের ব্যাপক গড়মিল দেখতে পান স্থানীয়রা।

    এধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সহকারী কমিশনার এবং সাতক্ষীরা কালেক্টরেটের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আসফিয়া সিরাত সরেজিমনে পরিদর্শনে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক চাউল বিতরণ বন্ধ করে দেন।

    এবিষয়ে সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত বলেন, “কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা পেয়ে আমি লাবসা ইউপি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। চাউল বিতরণে তালিকায় গড়মিল থাকায় তা সাময়িক বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু ওই চাউলগুলো সরকারের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ। তারা যেন সঠিকভাবে পায় সেকারণে সঠিকভাবে বিতরণের জন্য গড়মিল ঠিক করতে বলা হয়েছে।”

    অন্যদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম বলেন, “ইউনিয়নে ১/২টি ওয়ার্ডের তালিকায় কিছু গড়মিল ভুল বশত হয়েছে। সেকারনে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আজকে চাউল বিতরণ বন্ধের জন্য বলেছেন। আমরা পরবর্তীতে মেম্বরদের সমন্বয়ে সঠিক তালিকা প্রস্তুত করে চাউল বিতরণ করা হবে।

    এদিকে লাবসা ইউপিতে যখন এসব ঘটনা ঘটছিল তখন সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা -২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তবে পরিস্থিতি দেখে তিনি সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে যান। এসময় সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে, শিবনগর গ্রামের বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন বলেন, আমি কখনো চাউল পাই না। আমি হক কথা বলি একারণে আমাকে কার্ড দেয় না। কিছু বলতে গেলে মারতে উদ্যত হয়। তবে এবার ১টি কার্ডের চাউল দুজনের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু আমাদেরই না এলাকার অনেকের মধ্যে এভাবে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়নের দূরদূরান্ত থেকে আসা হতদরিদ্র পরিবারের অনেকই মঙ্গলবার চাউল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাবো ২০ কেজি চাউল তাও যদি আবার দুইবার আসতে হয়। তাহলে গাড়ি ভাড়া বেশি খরচ হবে।

    উল্লেখ্য, লাবসা ইউপিতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভিজিএফ, ভিজিডির কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও কাজ না করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ তো আছেই। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও অসংখ্য নাশকতা মামলার আসমি আবউদল আলিম। জনশ্রুতি আছে সাতক্ষীরার একজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় বারবার দুর্নীত করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান।

  • ঈদের জন্য প্রস্তুত সাতক্ষীরার ২২ টি পশুর হাট

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় ২২ টি পশুর হাট বসছে। এ সময় পশুবাহী যানবাহনে কোনো চেকিং করা হবে না। এসব হাটের গবাদিপশু যাতে নির্বিঘ্নে বেচাকেনা হতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটে যাতে চাঁদাবাজি প্রতারণা ও জাল টাকার লেনদেন না হতে পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ ।
    মঙ্গলবার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন ঈদ পরবর্তীতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গবাদি পশু কেনাবেচার সময় মোটা অংকের টাকা বহনের নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ঈদ যাতে পূর্ন ধর্মীয় মর্যাদায় নির্বিঘেœ উদযাপিত হতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।
    বাংলাদেশে প্রবেশ করা ভারতীয় গরু বহনে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন চোরাচালানরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অবৈধভাবে পশু আমদানি কিংবা স্থানান্তর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি বলেন এ ব্যাপারে পুলিশ বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। তবে এ জন্য কেউ যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পুলিশের সহায়তা নিতেও বলা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে কোনো সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বহির্মমুখী হতে না পারে সেজন্য সব থানার পুলিশকে সতর্ক করে দেন তিনি।
    প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈনউদ্দিন , দেবহাটা কালিগঞ্জ সার্কেল এএসপি মো. ইয়াসিন আলি, তালা কলারোয়া এএসপি সার্কেল অপু সরোয়ার , গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আলি আহমেদ হাসেমী, বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজম খান ও আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।
    এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন সড়কে শৃংখলা ফিরাতে পুলিশ ভূমিকা পালন করছে। কারও সাথে দুর্ব্যবহার নয় বরং সৌজন্যমূলক আচরন করে তাকে যানবাহন আইনে সংশোধিত হবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন সড়কে নাগরিকদের যেমন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তেমনি ঈদের পর কোনো এক সময়ে মোটর সাইকেল চালকদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরও বলেন গত ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত যানবাহন আইনে ৩৬৫৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৭ টি যানবাহন।

  • সাময়িক বরখাস্ত হলেন কলারোয়ার পৌর মেয়র

    সাময়িক বরখাস্ত হলেন কলারোয়ার পৌর মেয়র

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তার গাড়ি বহরে হামলার মামলার আসামি কলারোয়া পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকালে কলারোয়া পৌরসভা অফিসে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ পৌঁছেছে। গত ৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত পত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

    পত্রে উল্লেখ করা হয় যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কলারোয়ায় ২০০২ এর ৩০ আগস্ট তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। গত ১৫.১০.১৪ তারিখে এ সংক্রান্ত ১৪ নম্বর মামলার ৯ নম্বর আসামি কলারোয়া পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম। জিআর ২৫৯/১৪ নম্বর মামলার ৬৯ নম্বর চার্জশীটে ৪৯ জন আসামির মধ্যে তিনিও একজন। গত ২৬.০৪.১৫ তারিখে দেওয়া উক্ত চার্জশীট সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

    পত্রে আরও বলা হয় মো. আক্তারুল ইসলাম চার্জশীটভূক্ত আসামি হওয়ায় মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পৌর সেবা গ্রহনকারী নাগরিক এবং পৌর কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে আতংক ও ভীতি সঞ্চারের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ অবস্থায় তার দায়িত্ব পালন সমীচিন নয়। এ কারণে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদিষ্ট হয়ে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

  • আশাশুনিতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনির উপজেলার বদরতলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকালে পরুলিয়া-আশাশুনি সড়কের বদরতলা নামক স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।
    নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম তিথী স্বর্ণকার (১৩)। সে আশাশুনি উপজেলার কাটাখালী গ্রামের পরিমল স্বর্ণকারের মেয়ে। তিথী স্বর্ণকার বদরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
    নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, সকালে তিথী প্রাইভেট পড়ার জন্য বাইসাইকেল যোগে বাড়ী থেকে বের হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে পারুলিয়া-আশাশুনি সড়কের বদরতলা নামক স্থানে পৌছালে সিমেন্ট ভর্তি একটি ঘাতক ট্রাক তাকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় সাইকেল আরোহী  তিথী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের চাকায় তলায় পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
    এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বেদম মারপিট করে আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটক ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।
    আটক ট্রাক ড্রাইভার দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে নূর আমিন ও হেলাপারের নাম মুন্না সরদার। সে একই উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মুকুল সরদারের ছেলে। তাদেরকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ঘাতক ট্রাকের হেলপার এবং ড্রাইভারকে বেদম মারপিট করেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানার এস.আই প্রবীর সামান্য আহত হয়েছে।
  • সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।
    ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’
    এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’
    ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।
    ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।
    সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’
    দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’
  • আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত

    আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবল জোয়ারের তোড়ে সাতক্ষীরার আশাশুনির হাজরাখালীতে খোলপেটুয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে তিনটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার।

    রবিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৪ নং পোল্ডারের কাছাকাছি হাজরাখালী নামক স্থানে প্রায় ৬০/৭০ ফুট এলাকা জুড়ে বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দ্রুত এ বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে আরো নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হবে আশংক্সক্ষা করছেন স্থানীয়রা।

    জানা গেছে বাঁধটি ভাঙ্গার ফলে প্রায় ৬০/৭০ ফুট প্রসস্থ জায়গাজুড়ে নদীর পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। যার ফলে ইতিমধ্যে মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।

    এ ব্যাপারে স্থানীয় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরও তারা তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি। চলতি অমাবস্যার কারণে নদীতে জোয়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই বাঁধটি নদী গর্ভে ধ্বসে পড়ে।

    তিনি আরো  জানান, বাঁধটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গতকাল (১১ আগস্ট শুক্রবার) থেকে সেখানে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ সংস্কারের প্রাণপন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। হঠাৎ দুপুরের প্রবল জোয়ারে তা ভেঙ্গে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়নি বলে তিনি আরো জানান।

    তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বাঁধটি সংষ্কারের জন্য একজন ঠিকাদার ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। চলতি আমাবস্যা গণের পরপরই কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

    এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

  • কালিয়ানি সীমান্তে থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এ গহনা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
    শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উক্ত রূপার গহনাগুলো জব্দ করা হয়। কিন্তু এসময় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। জব্দকৃত রূপার গহনার মূল্য ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
    এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধ পথে একদল চোরাকারবারী রূপার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির নায়েক আবু হানিফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্তের মেইন পিলার ৭ সাব পিলার ৫৮ এর কাছাকাছি স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা রুপার গহনা গুলো সীমান্তের একটি খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো জব্দ করে।’
  • সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত

    সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও আদিবাসী সংস্কৃতির প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
    বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকালে ‘আদিবাসী জাতিসমূহের দেশান্তর, প্রতিরোধে সংগ্রাম’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুন্দরবন এলাকার আদিবাসী মুন্ডাদের সংস্থা (সামস) এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালির উদ্বোধন ও স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান।
    র‌্যালিটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহরের অদূরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ঋশিল্পীর কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা ও আদিবাসী সংস্কৃতিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুন্ডা সংস্থার সভাপতি গোপাল চন্দ্র মুন্ডা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আদিবাসীরা সমাজের একটি অংশ। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিদের এগিয়ে নিয়ে সমাজের মূল স্রােতধারায় ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন, সাবেক শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস) এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা প্রমুখ।
    আদিবাসীদের বর্তমান অবস্থা ও মানাবধিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী মিনতি মুন্ডা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রাম প্রসাদ মুন্ডা।
    এদিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।
  • বেতন-ভাতার দাবিতে সাতক্ষীরায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বেতন ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

    ইন্টার্ন চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, ‘ইন্টার্ন চলাকালে আমাদের সরকারিভাবে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমরা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছি। বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’

    ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য সেবার সংকট আরো ঘনিভূত হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির জন্য বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সাতক্ষীরার সরকারি এ দুই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ইকবাল হাসান জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এমনিতেই চিকিৎসক সংকট। তাতে আবার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

    উল্লেখ্য, বেতন না দেওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে পাশ করা ৪২ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক গতকাল বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি পালন করা শুরু করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জামায়াতকর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    জেলাব্যাপি চালানো পুলিশের এই বিশেষ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ পিস ইয়াবা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। অভিযান শেষে তিনটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১২ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলা পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে মোট ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।