Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা সদর Archives - Page 2 of 19 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা সদর

  • কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

    কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

    কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা সেল এর উদ্যোগে ও সাতক্ষীরা গুড মনিং হেলথ ক্লাবের সদস্যদের অংশ গ্রহণে রবিবার সকাল ৭টায় সাতক্ষীরা প্রেসকøাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর বারী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পরিচ্ছতা অভিযানের শুভ উদ্বোধন করেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির অংশ হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে এ কার্যক্রম । পর্যায়ক্রমে শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে এ কার্যক্রম। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে আরো অংশ গ্রহণ করেন সাতক্ষীরা গুড মনিং হেলথ ক্লাবের সদস্য ও শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আশেক-ই এলাহী, কাজী সেলিম, সাবেক কৃষি ব্যাংক ম্যনেজার শামসুর রহমান মিঠু, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ মিজান,ফজলুল হক.স্বপন কুমার,মোঃ রুহুল আমিন, রেজাউল ইসলাম রাজা বি.আর.বি শরিফুল হক,বি.আর বি.হাবিবুর রহমান, মোস্তাক আহমেদ, প্রফেসর তপন কুমার, প্রফেসর এ আর মোবাশ্বের হোসাইন জ্যোতি, মাগফুর রহমান , নবকুমার, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরা সেল এর অর্গানিয়র শেখ হুসাইন-প্রমূখ

  • সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত

    সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত

    সাতক্ষীরা ::সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে থেকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে বৈষম্য বিরোধী  lছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করে। যা ঘন্টা ব্যাপী চলতে  থাকে।
    এসময় সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  বক্তব্যরা বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ ও তার দোসর রা বিদেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করার যে পায়তারা করছে তা রুখে দিতে ছাত্র-জনতা সমন্বয়ে সারাদেশব্যাপী আজকে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তারা আরো বলেন কোনভাবেই বাংলাদেশে আর কোন অরাজকতা সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগকে দেয়া হবে না। এ সময় বক্তারা  গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে তার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান”।
  • সাতক্ষীরায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশ

    সাতক্ষীরায় জেলা যুবদলের উদ্যোগে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে মিছিল ও সমাবেশ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক এই স্লোগানকে সামনে রেখে শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে ১০ নভেম্বর ২০২৪ জেলা যুবদলের আয়োজনে শহরে করিম সুপার মার্কেট মাওয়া চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মিছিল পরবর্তী  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলি শাহিন,  সদর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুমনুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম কল্লোল, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাসিউল করিম রোমান, দেবাশীষ চৌধুরী, যুবদল নেতা পারভেজ রোমেল,আরিফ ইকবাল, আশরাফ আলী, মনিরুল ইসলাম,জীবন প্রমুখ। এসময় জেলা যুবদলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৯০ এর বীর শ‌হিদ এই তরু‌ণের স্লোগান ছিলো স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক ২৪ এর স্লোগানের সা‌থেই ছিল একই মিল। ফ‌্যাঁ‌সিবাদী ও সৈরাচার বি‌রোধী এ আন্দোল‌নেও অ‌নেক নুর হো‌সেনকে জীবন দি‌তে হ‌য়ে‌ছে। তাই আর যেন বাংলার মাটিতে কোন সৈরাশাসক  ফি‌রে না আসে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর যুব দলের সদস্য সচিব মাসুম রানা সবুজ।
  • অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেনের চিকিৎসার খোজখবর নেন জেলা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ

    অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেনের চিকিৎসার খোজখবর নেন জেলা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ

    জেলা সাহিত্য পরিষদের সহ-সভাপতি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের
    সাবেক অধ্যাপক মোঃ মোজাম্মেল হোসেন চোখের অপারেশন জনিত
    কারনে অসুস্থ্য হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন
    আছেন। জেলা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ চিকিৎসার খোজখবর নিতে
    তার বাড়ীতে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সাহিত্য পরিষদের
    সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুর রব ওয়ার্ছী, সাধারণ
    সম্পাদক ম. জামান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোসফিকুর রহমান মিল্টন,
    সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সোবহান, সহ
    সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ খাইরুল বাসার, মোঃ ইকবাল
    হোসেন প্রমুখ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার চিকিৎসার খোজখবর নেন
    এবং দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

  • কপ-২৯ কে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন

    কপ-২৯ কে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন

    আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনকে (কপ-২৯) সামনে রেখে
    সাতক্ষীরায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ
    রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও
    বৈচিত্র্য রক্ষা টিম যৌথভাবে এই যুববন্ধনের আয়োজন করে।
    এই বন্ধনে অংশ নিয়ে তরুণরা ‘উপকূলের চিৎকার, জলবায়ু সুবিচার’, ‘জলবায়ুর
    ন্যায় বিচার এখনই দরকার’, ‘এক বিশ্ব, একটি সুযোগ’, ‘জলবায়ু উষ্ণতা
    থেকে আমরা বাঁচতে চাই’, ‘তোমাদের জলবায়ু জলসার শেষ কোথায়?’,
    ‘আমাদের দাবি কি বাকু পৌঁছাবে’, ‘তোমাদের যুদ্ধ বন্ধ করো জলবায়ু ঠিক
    কর’, ‘বেঁচে থাকার অধিকার জলবায়ুর সুবিচার’, ‘পরিবেশ ধবংস করে উন্নয়ন
    চাই না’, ‘নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না’, ‘আর নয় মিথ্যা আশ্বাস’ প্রভৃতি
    স্লোগান দেয়।
    এসময় বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পৃথিবী বসবাসের
    অযোগ্য হয়ে পড়বে। মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এরই মধ্যে জীবন-
    প্রকৃতি, মাটি, পানি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সুন্দরবনে বৈরী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
    উপকূলীয় এলাকার মানুষ জমি, বাড়িঘর এমনকি কর্ম হারিয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন
    করছে। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে এর দায় নিতে হবে।
    জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
    মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে যুববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে
    বক্তব্য রাখেন পরিবেশ কর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ
    ব্যানার্জি, অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য
    সচিব, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি
    কর্ণ বিশ্বাস কেডি, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য মুশফিকুর
    রহিম ও হৃদয় মন্ডল, বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা
    মিজান প্রমুখ।

  • মাওয়া ও পাগলায় মাছ লুটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    মাওয়া ও পাগলায় মাছ লুটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী মাছের ট্রাক থামিয়ে মাওয়া ও পাগলা এলাকায় প্রতিনিয়ত মাছ লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা মৎস্য ট্রান্সপোর্ট মালিক ও ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

    মানববন্ধনের বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কোস্ট গার্ডের মাওয়া ও পাগলা বিসিজি স্টেশনের কথিত সোর্স রাজিবের সহযোগীতায় মাছ বহনকারী ট্রাক থেকে নিয়মিত মাছ লুট করা হচ্ছে। এই লুটের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সাথে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানান বক্তারা।

    সাতক্ষীরা মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ জয়নাল আবেদীন, আবু জাফর, রোকনুজ্জামান, রহমত উল্লাহ, উত্তম বাবু, রনো বাবু প্রমুখ।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রহমত আলী, বিশ্বনাথ মেম্বার, আব্দুস সামাদ, ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, চয়ন ফিসের সুকুমার বিশ্বাস, মিন্টু, তাইজুল বিশ্বজিৎ দাস, ইউনুস আলী, বাপ্পী প্রমুখ।

    এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

  • ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতার এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতার এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতায় অবস্থিত এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ করতে পায়তারা চালাচ্ছে একটি কু-চক্রিয় মহল। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ধ্বংশ না করে এবাদতখানা প্রতিষ্ঠা করতে এবং হুমকি ও অপপ্রচার থেকে রেহায় পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন নলতা এমজেএফ ফাউন্ডেশন ও এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
    লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা সহকারি আবুল হুসাইন বলেন, মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০০৮ সাল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় বাড়ি ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপশি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট নলতা চৌমহনীতে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক ইউএনও গোলাম মাইনউদ্দীন হাসানের সহযোগিতায় ও যুগ্ম- সচিব সুলতান মাহমুদের পরিদর্শন পরবর্তী মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে। পরে ২০১৯ সালে নলতা জিয়ার খালের চরের খাস জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরীত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ওই স্থানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জমিটি বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শরমীষ্ঠা ছবি সহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই সাথে স্কুলের নামে জমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ড, ইউএনও এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।
    আবুল হুসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির সুযোগে ৬ আগস্ট সকালে স্থানীয় আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা ডাঃ আবু হাসান এবং তার সহযোগি আল-আমিন ও রুবেল, বাচ্চুর পরিকল্পনায় বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে বিদ্যালয় সংস্কার করতে গেলে উল্লেখিতরা বাধা দানের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায় ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সহযোগীতা কামনা করেন। পরে সেনা সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজ শুরু হলে ওই দিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ডা. আবু হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যানার টানিয়ে বিদ্যালয়ের গা ঘেষে পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় তারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি আকৃষ্ট করে বিভিন্ন পত্রিকয় সংবাদ প্রকাশ করায়। যা বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের পায়তারার সামিল। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ এমএফ’র পরিচালক ও তার পরিবার এবং বিদ্যালয়ের স্টাফদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে চলেছে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাঘুরালী গ্রামের হাফিজুল, আবু বকর পরিচালকের বড় ছেলে আবু রায়হানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
    তিনি আরো বলেন, আমরা ধর্মভীরু মুসলিম পরিবারের সন্তান, আমি কখনো এ মহল্লার মানুষের আশাহত মসজিদের বিরোধী নই। আমরাও চাই এই মহল্লায় একটা এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু সেটি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ধ্বংস করে নয়। তিনি এবিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মীর খায়রুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক আরিফুল হক, সাদ্দাম হোসেন, আবুল কাশেম, শরিফা কাতুন, শিক্ষা সহায়ক আবুল হোসেন, উম্মে শাখওয়া শারমিন ও এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

    সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

    সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঁচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ৬টি স্বর্ণের বারসহ মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। আটক স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১ কেজি ১০৮ গ্রাম ১৫০ মিলিগ্রাম। শনিবার সকালে কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রাশেদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মোঃ আনিছ জামানের ছেলে।
    বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা বিওপির নায়েক মোঃ হরমুজ এর নেতৃত্বে একটি দল গোয়ালচাতর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় ভ্যানযোগে সীমান্ত এলাকায় গমনকালে মোঃ রাশেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তল্লাশী করে কোমরে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ০৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
    উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৬ টাকা। আটক আসামিকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ ও স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

  • বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের উপর দাওয়াতি কাজ করা তথা আল্লাহর দিকে আহবান করা ফরজ। এটা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। তাদের মন, মগজ ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। নবী রাসূলগণ ও সাহাবা আজমাইনেরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার সকল আলম ওলামাকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শনিবার (১১নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    জেলা ওলামা বিভাগের বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ড. মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালায় ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী।

    দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জামায়াত বদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। কারণ ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি, সকল মতবাদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করার প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির বাৎসরিক মাহফিল বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির বাৎসরিক মাহফিল বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির ২য় বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল-২০২৫ বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা হাইস্কুল বলফিল্ড জামে মসজিদে যুব কমিটির সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।
    মরহুম আব্দুল জব্বার তরফদারের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে নেতারা বলেছেন, মরহুম আব্দুল জব্বার তরফদার একজন গুণিজন ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অসংখ্য ভালো কাজ করে গেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা মরহুম আব্দুল জব্বারের জীবনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৫ বছর বয়সে ৬ ছেলে ৭ মেয়েসহ অসংখ্য গুণীজন রেখে গেছেন। ৭ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি গ্রামে
    নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তিকাল করেন।
    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জয়নগর মাদানী ফাউন্ডেশন জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে মসজিদের সামনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
    উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে জানাজা পূর্ব শোক সভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্যাহ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে তামিরুল্লাত কামিল মাদ্রাসার মুফাসসিরিন আবুল কাশেম, মিরসরাই পীর সাহেব আব্দুল মোমেন নাসেরী, খুলনা বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এবং খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ রহমত উল্যাহ, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিসদ সদস্য অধ্যাপক মোসলেম উদ্দীন, আব্দুল জলিল, বিএনপির উপজেলা সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    প্রথম আলো বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যা সমাজ বদলে কাজ করে, ভূমিকা রাখে
    সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা

    প্রথম আলো বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যা সমাজ বদলে কাজ করে, ভূমিকা রাখে । নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্বপ্ন দেখায়। প্রথম আলো সত্য তথ্য প্রকাশে অবিচল থাকে। প্রথম আলো না পড়লে পাঠক জানতে পারে না প্রকুত ঘটনা। আর সঠিক পথে থাকতে, সত্য প্রকাশ করতে কঠিন ঝূঁকির মধ্যে থাকতে হয়। ভয়ভীতি উপপেক্ষা করেও সঠিক ও বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবিচল থেকেছে। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে অবস্থান নিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ্য হয়েছে। ক্ষমতাবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পেশাদারিত্ব, সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। এ জন্য প্রথম আলো দিনে দিনে হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর, সাধারণ মানুষের আস্থারস্থল।
    প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার বন্ধুসভার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরীমহন সরকার। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শহীদর নাজমুল সরণির ম্যানগ্রোভ সভাঘর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাতক্ষীরা বন্ধুসভা।
    জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এসব অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্য মো: সালাউদ্দিনের সঞ্চলনায় ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ^াস, আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, দেবহাটা খানবাহদুর আহসান উল্লাহ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পবিত্রমোহন দাশ, কবি স,ম তুহিন, বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা জাহিদা জাহান, সাংবাদিক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি,সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, এম কামরুজ্জামান, আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, উদীচী সাতক্ষীরা জেলা শখার সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।

    বক্তারা আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃর্তী শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোর সংবর্ধনা পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এ সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রথম আলো দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি প্রধান করে। নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের দুর্দশার কথা তারা লেখনির মাধ্যমের ফুটিয়ে তোলে। প্রথম আলো রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য প্রকাশ করায় অন্যায়, দুর্নীতি করার আগে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের চিন্তা করে। প্রথম আলো এমন জায়গা তৈরি করতে পেরেছে সমাজে।
    অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে দেশাত্ববোধক গান গেয়ে উপস্থিতিদের জাগিয়ে তোলেন বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোমা রানী বৈদ্য ও মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সবুজ তরফদার।

  • সাতক্ষীরা প্রেস উদ্যানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা প্রেস উদ্যানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন

    প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব, প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই: মোস্তাক আহমেদ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হেমন্তের আলো ঝলমলে সকালে সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খালের পূর্বপাশে “প্রেস উদ্যানে” আমের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, জন্ম থেকে আমরা প্রকৃতির কোলেই বেড়ে উঠি। প্রকৃতি না বাঁচলে আমরা বাঁচবো না। প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে সাতক্ষীরা প্রাণসায়র খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে।
    জেলা প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা সাতক্ষীরা জেলার বড় সমস্যা। এ সমস্যা দূর করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। জেলার সকল নদী ও খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে অবমুক্ত করা হচ্ছে। একই সাথে এ সকল নদী ও খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। নদী ও খালের অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বুকচিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খাল রক্ষায় ইতোমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। খালটির দু’ধারে গড়ে তোলা হবে নান্দনিক উদ্যান। এ উদ্যানে লাগানো গাছ সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    নান্দনিক এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক নেতা প্রফেসর আব্দুল হামিদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর পবিত্র মোহন দাশ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুনিরউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নারী নেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, সাহিত্যিক সুদয় কুমার মন্ডল, লেখক মনিরুজ্জামান মুন্না, বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সভাপতি ও সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপী, এটিএন বাংলা ও সমকালের এম কামরুজ্জামান, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দেশ টিভি ও বিডি নিউজের শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, বৈশাখী টিভির শামীম পারভেজ, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, বাংলাভিশনের আসাদুজ্জামান, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, সাতক্ষীরার সকালের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু, বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোরের শেখ তানজির আহমেদ, এসএ টিভির শাহিন গোলদার, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি মহিদার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান লিটু, দৈনিক পত্রদূত এর বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, ঢাকা টাইমস এর মোঃ হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের মোঃ ইব্রাহীম খলিল, সংবাদ প্রকাশ এর রেজাউল করিম, খবরের কাগজের নাজমুস শাহাদাত জাকির, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সেলিম হোসেন, রেজাউল ইসলাম, মাহিদা মিজান, নাজমুল আলম মুন্নাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক ও সুধীজন। এছাড়া বিডি ক্লিন ও ভিবিডি’র সদস্যসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
    কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই শতাধিক বনজ, ঔষধী ও ফলজ গাছের চারা রোপন করছে চ্যানেল আই-প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী সবুজ বেষ্টনী গড়ার অংশ হিসেবে গাছের চারা রোপণ করেছে সংগঠনটি। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব পরিবেশ বান্ধব এমন নান্দনিক কর্মসূচী গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে এবং কর্মসূচীর সফলতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
    কর্মসূচিতে সহাযোগিতা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সদস্যরা।

  • সাতক্ষীরার ৫০ টাকায় তরুণ-তরুণীদের নিরাপদ ডেটিং স্পটে ভ্রাম্যমান আদালত

    সাতক্ষীরার ৫০ টাকায় তরুণ-তরুণীদের নিরাপদ ডেটিং স্পটে ভ্রাম্যমান আদালত

    তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা জন্য ডেটিং স্পটে পরিণত হওয়া সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টে  ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রনয় বিশ্বাস অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
    এর আগে গত ২৯ অক্টবর মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টে কর্মকান্ড নিয়ে বেশ কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টটি যেন পার্ক নয়, অনৈতিক কার্যকলাপের মিলনখানা। স্কুল কলেজ চলাকালিন প্রেমিক-প্রেমিকার পদচারণায় এটি হয়ে উঠেছে ‘নিরাপদ ডেটিং স্পটে। পার্কের প্রতিটি কোণায় কোণায় যেনো প্রেমিক যুগলের শারীরিক মিলনের আখড়া। কেউ স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে আবার কেউ পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরেই চলে যাচ্ছেন সেখানে।  যেখানে অনেক প্রেমিক যুগল সুযোগ বুঝে লিপ্ত হচ্ছেন শারীরিক মিলনে। মাত্র পঞ্চাশ টাকার টিকিটে সেখানে চলছে এসব কার্যকলাপ।
    প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি মোজাফফার গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে প্রকাশ্যে প্রেমিক যুগলের অনৈতিক কার্যকলাপের বেশ কিছু ভিডিও আসে  প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রিসোর্টের পুকুর পাড়ে ও ঝোপঝাড়ের আড়ালে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ। এদিকে পরিচয় গোপন করে কল দিয়ে পার্সোনাল রুম চাইলেও দিয়ে দিচ্ছেন।
    এছাড়া প্রতিবেদক পরিচয় গোপন করে রিসোর্টের রিসিপশনের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে বান্ধবীসহ থাকার জন্য রুম বুকিং করতে চায় প্রতিবেদক। তখন রিসিপশনের দায়িত্ব থাকা তৈবুর রহমান বলেন দুজনের এনআইডি কার্ড নিয়ে আসলেই থাকার জন্য রুম পাবেন। আমাদের এখানে কোন সমস্যা হবে না। তবে সাংবাদিক পরিচয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টের রিসিপশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈবুর রহমান অনৈতিক কর্মকাণ্ড অস্বীকার করে বলেন, এমন কোনো কর্মকাণ্ড হওয়ার উচিত না, এগুলো হয়ও না। আমরা যখন রুমগুলা বুকিং করি অফিশিয়ালি প্রোগ্রাম হলে অফিস থেকে মেইল আসে, তখন বুকিং করা হয়। আমরা যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করে রুম বুকিং করে থাকি।
    এদিকে, সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত ৩১ অক্টবর তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ে গ্ররুত্বারপসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পার্ক কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া পার্কের পবিবেশ ভালো করতে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক কয়েক দফায় মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট পরিদর্শন করেন।
    পরবর্তীতে, বৃহস্পতিবার ( ০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ কায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রনয় বিশ্বাসের নেতৃত্ব মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টে অভিযান চালায়। এসময় তারা বিভন্ন স্পর্ট ঘুরে দেখেন এবং কর্তপক্ষকে বিভন্ন নির্দেশনা দেন। তবে আপত্তিকর অবস্থা কাওকে পাওয়া না যাওয়ায় কাওকে শস্তির আওতায় আনা হয়নি। এছাড়া ভবিষ্যতে মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে কোন ধরনের অশ্লীল কার্যকলাপ ঘটবে না। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সচেষ্ট থাকবে এবং ভবিষ্যতে কোন ধরনের আপত্তিকর ঘটনা ঘটলে তারা আইনানুকভাবে দায়ী থাকবে। ভ্রাম্যমান আদালত  মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট এর ম্যানেজার আতিকুল আলম আতিকের কাছ থেকে এমন অঙ্গীকার নিয়ে তাদেরকে সতর্ক করেছেন।
     এ বিষয়ে মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট এর পরিচালক ফয়সাল মোজাফফর বলেন, আমি বাইরে আছি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসেছিল বলে শুনেছি। পার্কের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আমরাও চেষ্টা করছি, প্রশাসনের লোকও চেষ্টা করছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে আমি কয়েকবার মোজাফফর গার্ডেনে গিয়েছি। পার্কের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোসহ তাদেরকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপীতি কর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টের পরিবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে পার্কের মধ্যে প্রকাশ্য অনৈতিক  কার্যকলাপ হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে কাউকে আপত্তি করা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তবে ভবিষ্যতে যেন আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
  • সাতক্ষীরা সদরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা সদরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

     ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, পেঁয়াজ ও খেসারি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
     বুধবার (০৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা হলরুমে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বীজ ও সার বিতরণ করেন সদর ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষিখাতে সব সময় প্রণোদনা সহায়তা দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, আর কৃষকরা হলো দেশের প্রাণ। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুম্মান শাহরিয়া’ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আফজাল হোসেন, কৃষক মেহেদী হাসান প্রমুখ।সদর উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ জন কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।
    এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি অফিসার, সুবিধাভোগী কৃষক ও কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
  • খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত
    প্রাণসায়ের খাল আবারও সংস্কার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে
    সুলতানপুর বড়বাজার থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন
    করেন।
    এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন,খুলনা বিভাগের
    একমাত্র খাল হিসেবে প্রাণসায়ের খালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ
    খালের দু’মুখ মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীতে মিশিয়ে দিয়ে খালের
    প্রবাহ সচল করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে
    দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রাণসায়ের খালকে।খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যে সৃজনশীল
    কাজ করা যায়,সেটি প্রমাণের সময় এসেছে। বুলডোজার
    দিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। আর জনবল দিয়েছে পৌর কতৃপক্ষসহ
    বিভিন্ন বে-সরকারি সংস্থা। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে
    আপাতত খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে আগামীতে
    দৃষ্টিনন্দনের জন্য বড় বরাদ্দের প্রয়োজন হলে উর্দ্ধতন মহলের সহায়তা
    চাওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাজে সংযুক্ত করাহয়েছে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত,১৮৫০ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ রায়
    চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বানিজ্য ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য
    প্রাণসায়ের খাল খনন করেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৪ কি:মি:। দ্িধসঢ়;ক্ষণে
    মরিচ্চাপ ও উত্তরে বেতনা নদীর সাথে খালটি মিশেছে। তবে দু’মুখ
    ভরাট থাকায় প্রবাহহীন হয়ে পড়েছে খালটি। ২০২০ সালে ১০
    কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
    কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয় সেটি।
    এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শহরের পানি প্রাণসায়ের
    দিয়ে সরতে না পারায় পৌরশহরের অর্ধেক এলাকা এখনও জলমগ্ন
    রয়েছে।

  • সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা: সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা (২৯ অক্টবার) ১১ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার‘র আয়োজনে ও ইউকে ইন্টান্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহযোগিতায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
    সংলাপে সুজন সাতক্ষীরার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাস সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলারা বেগম, সুজন সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ, ধর্মীয় নেতা মুফতি আক্তারুজ্জামান ও দিবাকর ভট্টাচার্য, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের সিনিয়র প্রগ্রাম ম্যানেজার শশাং বরণ, খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়ক মাছুদুর রহমান রনজু প্রমুখ।
    এসম বক্তৃতারা বলেন সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ চাই, আসুন সবাই ভেদাভেদ ভুলে সকালে মিলে মিশে থাকলেই সমাজে সম্প্রীতি থাকবে।

  • দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

    দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

    জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসন ও
    কাঙ্খিত উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের
    প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ওই অঞ্চলের সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্থানীয় জনগণের
    জীবনযাত্রার মান আরো নাজুক হবে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
    আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তারা। উন্নয়ন সংস্থা ‘লিডার্স’
    এবং ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন ও
    উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী
    পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল। আলোচনায় অংশ নেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব শরীফ
    জামিল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল, শেরে বাংলা কৃষি
    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ
    সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও কল্যাণ
    সম্পাদক তানভীর আহমেদ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সংগঠক সাকিলা পারভীন, লিডার্সের
    অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক প্রমূখ।
    সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ কবলিত দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের (খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট) বিদম্যমান সমস্যা
    সমাধানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনায় মোহন
    কুমার মণ্ডল বলেন, ওই এলাকার সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে দক্ষিণ-
    পশ্চিম উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ওই এলাকার
    প্রতিটি বাড়ীকে দুর্যোগ সহনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধানে বৃষ্টির পানির
    সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নদী ও জলাশয়কে অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষায়
    কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই এলাকায় বরাদ্ধ দিতে হবে
    এবং তা ব্যবহারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
    আলোচনায় অংশ নিয়ে ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অঞ্চল দেশের
    দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। এ অঞ্চল প্রকৃতিগত ভাবে একটি ঐশ্বর্যপুর্ণ এবং ভু রাজনৈতিক ভাবে
    গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপকূল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বৈষম্য
    নিরসনের পাশাপাশি অনাচার বন্ধ করতে হবে। অন্যত্থায় আমাদেরকে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখী হতে হবে।
    বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভয়াবহ ক্ষতির সন্মূখীন হবে।
    উপকূলের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল বলেন,
    এই অঞ্চলটি দীর্ঘ অবহেলার শিকার। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত
    অবকাঠামোর অভাবে মারাত্মক সংকটে আছে সেখানকার জনগণ। তাই উপকূলের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি
    কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা
    প্রকাশ করেন তিনি।
    অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়ার পর থেকে সাগরে না যাওয়া জেলেদের
    জীবন-জীবিকার বিষয়ে ভাবতে হবে। এনার্জির নামে উপকূলের নদীগুলোকে ধ্বংস করায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
    ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেরা। তাছাড়া নদীর ছোট নৌকা দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জাহাজ চলাচলের
    কারণে মাছ ধরাই অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। ফলে ওই নদীর জেলেরা মালিক থেকে সাগরের মাছ ধরা জাহাজের
    শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে। এ সকল সংকট নিরসনে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।