Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা সদর Archives - Page 14 of 19 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা সদর

  • সাতক্ষীরায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে মক্কেলের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে মক্কেলের সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডঃ গাজী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সোলেনামা করে না দিয়ে তালবাহনা করা এবং আইনগত সহায়তা প্রার্থীকে হাকিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে মঙ্গল সরদার এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সাতক্ষীরার রাধানগর মৌজায় সম্পত্তি নিয়ে শরিকদের সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। যে কারনে উক্ত সম্পত্তির অন্যান্য কয়েকজন শরিক (দাবিদার) আমাকে সোলে করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী গত ৩ জানুয়ারী সাতক্ষীরা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী লুৎফর রহমানের কাছে সোলে নামা’র বিষয়ে পরামর্শ নিতে গেলে তিনি ওই দিনই করে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু সেইদিন (৩ জানুয়ারী) সোলে নামা করে না দিয়ে তিনি ৪ তারিখে আসতে বলেন। কিন্তু ৪ তারিখে গেলে কাজ করে না দেয়ায় ৫ জানুয়ারী ফের তার কাছে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে তাড়িয়ে দেন। এসময় তিনি বলেন, “তুই কি করে সোলে নামা করসি আমি দেখে নেব এবং জমি কিভাবে পাস সেটাও দেখে নেব”। অথচ সোলে নামা করে দেয়ার জন্য দুই দফায় তিনি আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছেন। সেকারনেই খরচ করে লোকজন নিয়ে তার কাছে গেলেও কোন কাজ হয়নি। মঙ্গল সরদার বলেন, মানুষ আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য আইনজীবীদের কাছে যায়। সেকারনে মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু গাজী লুৎফর রহমানদের মত গুটি কতক অর্থলোভি বদ মেজাজী মানুদের কারনে গোটা আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা তার কাছে গিয়ে আইনী সহায়তা চেয়ে দাবি মোতাবেক টাকাও দিয়েছি। কিন্তু টাকা পরিশোধের পর গাজী লুৎফর রহমান আর আমাদের চিনতে পারছেন না। তাড়িয়ে দিয়ে মোয়াক্কেলদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি অ্যাডঃ গাজী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    এবিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট গাজী লুৎফর রহমান বলেন, সোলে নামার জন্য আরজি লিখে আমি আদালতে দাখিল করেছি। আদালত সোলে নামা প্রমানের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারী দিন ধার্য্য করেছেন। আমি ওই দিনে লোক নিয়ে তাকে আসতে বলেছি। কিন্তু তা শুনে এক্ষুনি করে দিতে হবে বলে তিনি আমার উপর চাপ দিচ্ছেন। সোলে নামার খরচ বাবদ মঙ্গল সরদার আমাকে মাত্র দেড় হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়।

  • ঝাউডাঙ্গায় মেম্বার বিমলের মায়ের পরলোক গমন

    ঝাউডাঙ্গায় মেম্বার বিমলের মায়ের পরলোক গমন


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের ৩নং ওর্য়াড ইউপি সদস্য বিমল চন্দ্র ঘোষের মা সুবলা ঘোষ(৮৫) বার্ধক্যজনিত কারণে পরলোক গমন করেছে। বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেন। তার মৃত্যুতে শেষবারের মত দেখতে ছুটে যান ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল উদ্দিন, ইউপি সচিব হাবিবুর রহমান, পাপড়ী এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মাসুদুর রহমান, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাস, মহাশ্মশান মন্দির কমিটি সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার ঘোষ, সিনিয়র যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সাজুসহ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মৃত্যুকালে তিনি তার পাঁচ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। বুধবার বিকালে ঝাউডাঙ্গা মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

  • রোজ বাবুর নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মানববন্ধন

    রোজ বাবুর নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মানববন্ধন

    জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সাংস্কৃকিত ব্যক্তিত্ব, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি, লিনেট ফাইন আর্টসের পরিচালক ও উদীচী সাতক্ষীরার সহ সভাপতি আবু আফফান রোজবাবুর নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। বুধবার বেলা এগারোটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত মামলা প্রত্যাহার চেয়ে বলেন সাতক্ষীরাসহ দেশের ও বিদেশের মাটিতে যে শিল্পীর কন্ঠের সুমধুর গান মানুষের কানে অহরহ বাজে, যিনি সাতক্ষীরার সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে অতি পরিচিত নাম ও মুখ সেই আবু আফফান রোজবাবুর নামে দেবহাটা থানায় এক মামলাবাজ মানুষের রোষানলে পড়ে তাঁর নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে, যা সমগ্রশিল্পী সমাজের কাছে মর্মস্পশী ও বেদনাদায়ক। ঘের দখলের মত একটি দুর্র্ধষ ঘটনার সময় আবু আফফান রোজ বাবু ঢাকা ইস্কাটন রোডে এক চোখের ডাক্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে আবু আফফান রোজবাবুর মুখে জানা যায়। তিনি ঢাকা থেকে ১জানুয়ারী সাতক্ষীরা ফেরেন। মামলা রেকর্ডের পূর্বে বাদী ও বিবাদী সর্ম্পকে সঠিক তদন্ত করে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা উচিৎ ছিল। যেহেতু বিবাদী একজন স্বনামধন্য ওস্তাদ শিল্পী। এছাড়া তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি, লিনেট ফাইন আর্টসের পরিচালক ও উদীচী, সাতক্ষীরার সহ সভাপতি।
    সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দীর্ঘদিনের প্রাক্তন সভাপতি কবি পল্টু বাসারের সভাপতিত্বে ও বর্ণমালা একাডেমির পরিচালক আবৃত্তি শিল্পী শামিমা পারভিন রতœার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কন্ঠশিল্পী আবু আফফান রোজবাবু, সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী চৈতালি মুখার্জী, স্বরলিপি একাডেমির পরিচালক শহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি শহিদুর রহমান, কন্ঠশিল্পী কামরুল ইসলাম, উদীচী সাতক্ষীরা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি ও সিপিবির জেলা সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আক্তারুজ্জামান কাজল, বাদ্যযন্ত্র শিল্পী জ্যামী, অজয় সাহা, বিশ্বজিৎ সাহা, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের কবি সরদার গিয়াসউদ্দীন মনি, মর্নিং সান এর পরিচালক শেখ আমিনুর রহমান কাজল, অনলাইন ডেইলী সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক আলোর যাত্রার সাদরুল কাদির শাওন প্রমুখ।

  • কে হবেন পৌরপিতা? প্রার্থীর ছড়াছড়ি আ’লীগে, বিএনপি-জামায়াত মাঠে থাকলেও জাপা নিরব

    কে হবেন পৌরপিতা? প্রার্থীর ছড়াছড়ি আ’লীগে, বিএনপি-জামায়াত মাঠে থাকলেও জাপা নিরব

    জহুরুল কবীর : চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ৫৬টি পৌরসভার সাথে সাতক্ষীরা পৌরসভাতেও ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচন নিয়ে সাতক্ষীরার পৌরসভার প্রার্থীদের মধ্যে বেশকদিন ধরেই সাজ সাজ রব থাকলেও এবার তা পূর্ণ ভোটযুদ্ধে পরিনত হবে। ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা সভা, সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জোরদার করেছেন। তবে দলীয় প্রতীক না পেলে শেষ মূহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন অনেকেই।
    সাতক্ষীরার মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ হলেন- সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না আরা, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা এবং প্রবাসী মাহমুদুল আলম বিবিসি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ নিজ সমর্থকদের দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
    গত পৌর নির্বাচনের উল্লেখ্যযোগ্য ভোট পাওয়া সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠুও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন মাঠে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান মেয়র সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য তাজকিন আহমেদ চিশতী, মাসুম বিল্লাহ শাহীন ও সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সভাপতি বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হবি। সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুল হুদা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থীকে এখনও মাঠে দেখা প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে না।

    নাসিম ফারুক খান মিঠু


    স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রীর সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু। গত পৌর নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোট পাওয়া এ প্রার্থী জানান, “সাতক্ষীরা অবহেলিত এলাকা। আমাদের রাস্তা গুলোর সমস্যাতো আছেই সেই আছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এছাড়াও পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডের গোরস্থান নিয়েও জটিলতা আছে। এসব অসুবিধা দুরকরণসহ আমি পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনেও কাজ করব। সর্বোপরি পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নের সাথে সাথে আধূনিক পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।”

    পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক


    আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক বলেন, “দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সর্বস্তরের জনগনকে সাথে রেখে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করে যাব।” এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় ডিসিপ্লিন ভঙ্গ আমি কখনই করবো না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার সাথেই কাজ করব।”

    পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন


    অন্যদিকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “দলের বাই যাওয়ার কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নাই। এবার মনোনয়ন পেলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তা নির্মান ও সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরসহ সৌন্দর্যবর্ধন করে ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর করবো।”

    সাবেক ছাত্র নেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন


    এদিকে সাবেক ছাত্র নেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ বিষয়ে স্বপন জানান, “যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে সাতক্ষীরা পৌরসভায় একটি ভাল ভোট যুদ্ধ উপহার দিয়ে মেয়র হব।” তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করবেন না।

    জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা


    মেয়র প্রার্থী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা জানান, আমি দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। মহিলা প্রার্থী হিসেবে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা চাইব। যদি নেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়োন দেন অবশ্যই আমি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করব।

    জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু


    সংকটে, সংগ্রামে, সহযোগীতায় উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু।

    জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদুল আলম বিবিসি


    এদিকে প্রাবাসী ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদুল আলম বিবিসির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী জানান, “হঠাৎ করে দেশে দু-চারদিন ত্রান বিতরণ করে তিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। সারা বছর ভোটারদের পাশে না থেকে হঠাৎ এসে নির্বাচন করবেন। তিনি মনোনয়ন পেলে সাতক্ষীরা পৌরসভায় দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।”
    জাতীয় পার্টির পক্ষে পৌরসভা নির্বাচনে এখনও কেউ প্রচার প্রচারণা করেননি। তবে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন জানান তিনি এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
    মেয়র পদে জামায়াত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুল হুদা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।
    আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে মাঠ চষে বেড়ানো প্রার্থীদের মধ্যে অনেক প্রার্থীই শেষ সময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তবে এ প্রশ্নে র উত্তর পেতে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন না পেয়ে যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন তাকেই সমর্থন দিবেন বলে সকল প্রার্থীরা জানিয়েছেন।
    উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি। যাচাইবাছাই হবে ১৯ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৫৬টি পৌরসভার মধ্যে সাতক্ষীরাসহ ৩১টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ২৫টি পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ছাত্রলীগের জন্মদিন উপলক্ষে সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাদদেশ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে ছাত্র নেতাদের স্লোগানে-স্লোগানে রাজপথ মুখরিত হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
    র‌্যালি শেষে শহরের দৈনিক ‘দক্ষিণের মশাল’ পত্রিকার বাণিজ্যিক কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    হয়।


    সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি অনুপম কুমার অনুপের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম আবদুল আলীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, যুব জোট সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, জেলা জাসদের সদস্য জহুরুল কবির, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) তালা উপজেলা শাখার সভাপতি এস এম শামীম হোসেন, সদস্য আইয়ুব আলী অপু, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার আন্দোলনে রূপান্তরের কারিগর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে খুনি খন্দকার মোশতাকসহ আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষমতা দখল করলে ছাত্রলীগ খুনি খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। খুনি মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চলে। খুনি মোশতাকের পথ ধরে জিয়া ও এরশাদ দেশের উপর সামরিক শাসন চাপিয়ে দিলে ছাত্রলীগ জিয়া ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মারমুখী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগই প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত করে। এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল, শাজাহান সিরাজ, ডাঃ মিলন, জাহাঙ্গীর, মুন্নাসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হন।

    বক্তারা আরও বলেন, অতীতের গৌরব উজ্জ্বল সংগ্রাম ও চেতনাকে ধারণ করে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হা-ন) বৈষম্য-বেকার সৃষ্টির সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন, দুর্নীতি ও অপশাসনে শিক্ষার্থীদের জীবনের অপচয় বন্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিরোধী ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নির্মূল করার লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    e³viv AviI e‡jb, AZx‡Zi †MŠie D¾¡j msMÖvg I †PZbv‡K aviY K‡i eZ©gv‡b ˆeÁvwbK mgvRZ‡š¿ wek¦vmx evsjv‡`k QvÎjxM (nv-b) ˆelg¨-‡eKvi m…wói mgvR I wkÿv e¨e¯’vi cwieZ©b, `yb©xwZ I Ackvm‡b wkÿv_©x‡`i Rxe‡bi AcPq eÜ, BwZnvm-HwZn¨-ms¯‹…wZ we‡ivax ag©wfwËK ivRbxwZ wbg©~j Kivi j‡ÿ¨ AwePj †_‡K QvÎ Av‡›`vjb  M‡o †Zvjvi cÖ‡Póv Pvwj‡q hv‡”Q|

    QvÎjx‡Mi cÖwZôvevwl©Kxi Abyôv‡b mvZÿxiv †Rjv I wewfbœ Dc‡Rjv KwgwUi †bZvKg©xiv Dcw¯’Z wQ‡jb|

  • আ.লীগ নেতা শেখ হারুণ-উর-রশিদের মায়ের ইন্তেকাল: শোক

    আ.লীগ নেতা শেখ হারুণ-উর-রশিদের মায়ের ইন্তেকাল: শোক

    দৈনিক দক্ষিণের মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক, সিবিএ নেতা শেখ হারুন-উর-রশিদের মাতা মোছা. হাসিনা খাতুন (৮০) আর নেই । তিনি ৩-০১-২০২১ তারিখ, রবিবার ভোর রাত ৩টা ১৫ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)। রবিবার বাদ যোহর সুলতানপুর ক্লাব মাঠে মরহুমার জানাযার নামায শেষে বাদ আসর পাইকগাছার গদাইপুরে মরহুমার মা বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। শেখ হারুন-উর-রশিদের মায়ের মৃত্যুতে দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবার শোকাহত। দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক, সাবেক শ্রমিক নেতা সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির কার্যকরী কমিটির সদস্য হারুন উর রশীদের মায়ের ইন্তেকালে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, অর্থ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, সদস্য শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম খোকন,অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সাংবাদিক বরুণ ব্যানার্জী, লায়লা পারভীন সেঁজুতিসহ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সকল সদস্য।

    সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির শোক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক, সাবেক শ্রমিক নেতা হারুন উর রশীদের মায়ের ইন্তেকালে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির আহবায়ক জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র প্রার্থী শেখ নাসেরুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক জেএম ফাত্তাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাবেক ছাত্র নেতা ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ মারফ হাসান মিঠু, সাবেক ছাত্রনেতা ও সেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, সাবেক জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ আলী সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা অতিরিক্ত পিপি এড.সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু,সাবেক ছাত্রনেতা যুবলীগ সদর থানার সাবেক সভাপতি শেখ শফিউদ্দীন, সাবেক জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ও জেলা যুব লীগ নেতা কাজী আক্তার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লিটু, সাবেক ছাত্রনেতা ও পৌর আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, সাবেক ছাত্রনেতা সদর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি নূর ই আলম সিদ্দিকী মুকুল, সাবেক ছাত্র নেতা সদর উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ইকবাল হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা মো. সালাউদ্দিন, তুহিনসহ সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদের মাতার মৃত্যুতে শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, সাংবাদিক আসাদুল হক, ডা. সুভাষ, জালাল উদ্দীন, শওকাত হোসেন, এমাদুল হক, মাগফুর রহমান, খলিলুর রহমান, আসাদুজ্জামান পলাশসহ ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গে বৃদ্ধ ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গে বৃদ্ধ ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে ও সন্ধ্যায় সামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

    করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সুব্রত কুমার মন্ডল (৮৪)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামের মৃত মেঘনাথ মন্ডলের ছেলে। করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তি হলেন কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে স্বাস্থ্যকর্মী মফিজুল ইসলাম (৫০)।
    মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী মফিজুল ইসলাম (৫০)। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান। হাসপাতালে ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করে খুমেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

    এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন আশাশুনির পাইথালী গ্রামের সুব্রত মন্ডল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৭ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন।

    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের দু’জনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার। যার ফলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ, গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা, দ্রুত ওয়ার্ক অডারের দাবী ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেলে এসেছিলাম অনেক আশা নিয়ে কিন্তু এখানে রোগীদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকার কারনে প্রতিদিন তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে, গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা’, অনেকে আবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় কান্না ভরা কন্ঠে কেশবপুরের কোহিনুর বেগম জানান, তিনি প্রায় দেড় বছর যাবৎ তার স্বামীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আছেন , স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা নিঃস্ব প্রায়, এখন অর্থের অভাবে তার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে পারছে না , আজ ও তাকে ডায়ালাইজার, ব্লাডলাইন, নিডিল, সিরিঞ্জ বাবদ ২ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করতে হয়েছে ।

    অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে।

    এ বিষয়ে হিসাব রক্ষক মোত্তাজুল জানান, গত ৩০ নভেম্বর ডায়ালাইসিস বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হয়েছে, কিন্তু টেন্ডার পাশ হলেই কার্যক্রম শুরু করা যায় না, টেন্ডার পাশ, মুল্যায়ন ও ওপেনিং করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়, সে সকল কার্যক্রম শেষে ডায়ালাইসিস বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য খুব শীঘ্রই মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে মেডিকেল অফিসারদের নিয়ে একটি বোর্ড মিটিং হবে, তারপর কন্টাক্টরের এর কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে অতিশীঘ্রই কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগের টেন্ডারকৃত সকল যন্ত্রপাতির ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।

  • শহর সমাজসেবা অফিসে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুবর্ণ সুযোগ

    শহর সমাজসেবা অফিসে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুবর্ণ সুযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ফ্রিল্যান্সিং শিখে স্বাবলম্বী হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে শহর সমাজসেবা অফিস।

    শহর সমাজসেবা অফিস ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখে মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হয়ে আয় করা যাবে।

    শহর সমাজসেবা অফিসের ফ্রিল্যান্সিংয়ের স্বল্পমেয়াদী কোর্সে মাত্র ছয় মাসে ওয়েব ডিজাইন শেখা যাবে। আর ডিজাইনের পাশাপাশি ডেভেলপমেন্ট শিখতে সময় লাগবে আরও ছয় মাস অর্থাৎ মাত্র এক বছরেই একজন শিক্ষার্থী ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে যথোপযুক্ত জ্ঞান অর্জন করে অনলাইন থেকে আয় করার উপযোগী হয়ে উঠবেন।

    জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর এই দুই সেশনে ভর্তি হতে পারবে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।

    ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় শহর সমাজসেবা অফিসের ফ্রিল্যান্সিং বিভাগের শিক্ষক মো. মামুন হাসান নাসুর সাথে।
    কোন ব্যক্তি কেন শহর সমাজসেবা অফিসের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এ ভর্তি হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেকার সমস্যার সমাধানে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মার্ট পেশা। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি এই পেশায় আত্মনিয়োগ করে ঘরে বসেই আয় করতে পারেন এবং নিজেকে বেকরত্বের অভিশাপ থেকে দূরে রাখতে পারেন। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে সময় নষ্ট না করে কেউ যদি সেই সময়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তবে সে নিজেই অনলাইন জগতে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবে।

    এই কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়া কি এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হলে সবার আগে সময় নিয়ে কোর্সটি কমপ্লিট করার মানসিকতা থাকতে হবে। তারপর থাকতে হবে নিজস্ব ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ কম্পিউটার। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা সরাসরি শহর সমাজসেবা অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা প্রশিক্ষকের মোবাইল নম্বরে (০১৯৫৬১৩১৫৬৯) যোগাযোগ করতে পারেন।

  • কুড়িয়ে পাওয়া বোমায় হাত উড়ে গেল এক কলেজ ছাত্রের

    কুড়িয়ে পাওয়া বোমায় হাত উড়ে গেল এক কলেজ ছাত্রের

    আসাদুজ্জামান ঃ ভাইয়ের সাথে নিজেদের জমিতে গোবর সার ফেলতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা হাতে তুলতেই বিস্ফোরন। সাথে সাথে উড়ে গেলো সাতক্ষীরার গোদাঘাটার কলেজ ছাত্র ইউনুস আলি ছোটনের বাম হাত। তাকে দ্রুত সাতক্ষীরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
    হাত উড়ে যাওয়া যুবক ছোটন ওই গ্রামের ইয়াকুব আলি গাজীর ছেলে ও ঝাউডাঙ্গা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র।
    তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছোটন তাদের জমিতে গোবর সার ফেলার কাজে ট্রলিতে তার মেঝ ভাই ফিরোজকে সাহায্য করছিলেন। এ সময় রাস্তার ধারে ফিরোজ একটি টিনের কৌটা দেখতে পেয়ে সেটি তার ছোট ভাই ছোটনকে দেখার জন্য দেন। ছোটন টিনের কৌটাটি খুলে পলিখিনমোড়ানা বস্তু দেখে কৌতুহলবশতঃ তাতে হাত দেন। বস্তুটি কী তা বুঝবার চেষ্টা করার আগেই সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় তার বাম হাতের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরায় এনে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানবার জন্য তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। ছেলেটি আহত হয়েছে জানিয়ে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। তবে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে তিনি আরো জানান।

  • আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    হাবিবুর রহমান সভাপতি ও শহিদুল ইসলাম সেক্রেটারি


    গত ৬ ডিসেম্বর আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিলা মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন কল্পে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা সভাপতি প্রভাষক এম সুশান্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক মাও: মো: হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব আলহাজ্ব মাও: আব্দুর রউফ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মফিজুল ইসলাম, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন,হারুন অর রশিদ, আমিনুর রহমান,মাস্টার সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
    সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্যের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি মাও: মো: হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো: আজিজুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য হলেন, মো: হযরত আলী, মো: মাগফুর রহমান, মো: তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তানিয়া সুলতানা। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

  • আজ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

    আজ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্য অমর্যদা করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহবানে আজ ০৭ ডিসেম্বর , ২০২০ খ্রিঃ তারিখ সোমবার সকাল ১০.০০ টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সাতক্ষীরাতে এক গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে ।
    উক্ত সমাবেশ সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মুনসুর আহমেদ । সমাবেশে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সকল নেতৃবৃন্দ , সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও পৌর কমিটির ৯ টি ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দকে স্ব- স্ব ব্যানার সহকারে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম ।

  • ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস আজ

    ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস আজ

    আজ ৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। আজ ওড়ানো হয় লাল-সবুজ পতাকা। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলার দামাল ছেলেরা সেদিন থ্রি নট থ্রি আর এসএলআরের ফাঁকা গুলি ছুড়তে-ছুড়তে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশ করে। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে মুক্তি পাগল জনতারা।
    এই দিনটিকে স্মরণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষ্যে আজ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
    ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশের সাহসী সন্তানরা দেশকে মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। পাক হানাদার ও তাদের দোসররা মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছিল। ধ্বংস করতে চেয়েছিল বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। শত্রুর বুলেটের এত সব আঘাত সহ্য করেও সাতক্ষীরার সন্তানরা মুক্তির সংগ্রাম ছেড়ে পিছু হটেনি। তারা পাকিস্তানী বাহিনীর মোকাবেলা করেছিল বারংবার।


    ১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্তান বিরোধী মিছিল বের হয়। সে মিছিলে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তির সংগ্রাম।


    অষ্টম ও নবম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় । এ সময় পাক সেনাদের ২ শতাধিক সৈন্য নিহত হয়। ১৭ ঘণ্টাব্যাপী এ যুদ্ধে শহীদ হন তিনজন মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন আরও দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এসব যুদ্ধের মধ্যে ভোমরার যুদ্ধ, টাউন শ্রীপুর যুদ্ধ, বৈকারী যুদ্ধ, খানজিয়া যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য । এ সব যুদ্ধে শহীদ হয় ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের গুলিতে সাতক্ষীরার বীর সন্তান শহীদ হন

    শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, কাজল, খোকন, নাজমুল, হাফিজউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, আবু বকর, ইমদাদুল হক, জাকারিয়া, শাহাদাত হোসেন, আব্দুর রহমান, আমিনউদ্দিন গাজী, আবুল কালাম আজাদ, সুশীল কুমার, লোকমান হোসেন, আব্দুল ওহাব, দাউদ আলী, সামছুদ্দোহা খান, মুনসুর আলী, রুহুল আমীন, জবেদ আলী, শেখ হারুনার রশিদ, প্রমুখ।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের গুলিতে সাতক্ষীরার বীর সন্তান শহীদ হন


    তবে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সাতক্ষীরার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অযতেœ আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতিচিহ্ন। তাই বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
    এ ছাড়া সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে রাজাকারের নাম উল্লেখ থাকায় তা এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যান না মুক্তিযোদ্ধারা।
    সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু জানান, প্রতিবছর ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের আয়োজনের যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হয়।
    সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার (চলতি দায়িত্বে) এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কালেক্টরেট চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে বিদ্যমান বির্তক নিরসন করার জন্য সেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ করে অচিরেই তা উদ্বোধন করা হবে।

  • কৃষি যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    কৃষি যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরায় কৃষিযন্ত্র চালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের উপর যন্ত্রচালক ও মেকানিকদের ২দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরার বিনেরপোতাস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রি এই কর্মশালার আয়োজন করেছে। জুম প্লাটফরমের মাধ্যমে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবির।
    কর্মশালায় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার ৪০ জন যন্ত্রচালক ও মেকানিক অংশ গ্রহণ করেছে।
    ২দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহকারীদেরকে কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ছাড়াও দানাদার ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র, ব্রি পাওয়ার উইডার, রিপার-এর মতো যন্ত্র পরিচালনার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
    সাতক্ষীরার ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো: মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র প্রকল্প পরিচালক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ড. মো: আশরাফুল আলম , সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ মো: নূরুল ইসলাম, ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান প্রমুখ।

    মঙ্গলবার বিকালে ২দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হবে।

  • বাঁশদহায় শুরু হয়েছে নির্বাচনি আমেজ

    বাঁশদহায় শুরু হয়েছে নির্বাচনি আমেজ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক মাস যেতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন । সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহা উইনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে শুর হয়েছে লড়াই । চায়ের দোকান, হাট-বাজার, কৃষকের ফসলে মাঠ সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। কে হবে আগামী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে সাধারণ মানুষ বলছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করবে। বিএনপি সামর্থকরা বলছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রাথী জয়লাভ করবে। জাতীয় পাটির প্রার্থী জয় লাভের আসায় মাঠে রয়েছে। তবে দলীয় প্রতীক নিতে স্ব-স্ব দলের প্রাথীদের মধ্যে চলছে লড়াই ।
    ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাযায় , ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রাথী মাঠে নেমেছে। নৌকা প্রতীক নেওযার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম মোশারাফ হোসেন। তবে নৌকা প্রতীক নিতে তার সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মফিজুর রহমান।এছাড়া নৌকা প্রতীক নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শাহাজান সিরাজ। তিনি ইউনিয়নে সাধারণ ভোটারদের সাথে ইতি মধ্যে সভা সমাবেশ করে বেড়াচ্ছেন ।
    ধানের শীষ প্রতীক নেওয়ার জন্য মাঠে রয়েছে বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাস, সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমুল হক খোকা। তারা ইতি মধ্যে নেতাকর্মীদের সামর্থন আদায় করার জন্য ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপার প্রান্ত ছুটে চলেছেন ।
    তবে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা রমজান আলী দলের পক্ষ থেকে ভোট করবেন। তিনি দলের সামর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।সুষ্ট ভোট হলে প্রতীক যাই হোক না কেন তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি ।
    এছাড়া জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের জন্য একক প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছে সদর উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বিপুল। তিনি গত নির্বাচনে অল্প ভোটে পরাজিত হয়ে ছিলেন। এবার তিনি অনেক আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন।
    সতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছে নাজমুল হোসেন।
    এছাড়া সব দলে আরো অনেকে প্রাথী হওয়ার জন্য ইতি মধ্যে সাইন বোড, ব্যানার, ফেসটুন ঝুলিয়েছে হাট-বাজার, মোড়, দোকান পাটের সামনে ।
    তবে কে হবেন আগামী দিনে বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তা দেখার জন্য ইউনিয়নবাসিকে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ।

  • Untitled post 13519

    আত্ম-কর্মসংস্হান সৃষ্টির লক্ষ্যে দরিদ্র নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : দরিদ্র নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ কমিউনিটি সেন্টারে ১০জন নারীর মাঝে উক্ত সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।


    চৌধুরী গ্রুপের অর্থায়নে এবং সেড’র আয়োজনে এ সময় সেলাই মেশিন বিতরন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জির সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চৌধুরী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিমু চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, মিসেস হিমু চৌধুরী প্রমুখ।


    সেড’র প্রতিষ্ঠাতা ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি বলেন, জার্মান প্রবাসী হয়ে হিমু চৌধুরী দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা প্রশাংসার দাবিদার। সেলাই মেশিন প্রদানের লক্ষ্য দরিদ্র নারীরা বাড়ি বসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। সে উদ্দেশ্যে সফল করতে যারা মেশিন গ্রহণ করেছেন তারা অবশ্যই এটির সঠিক ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি চৌধুরী গ্রুপ যাতে আরো বেশি বেশি মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন তিনি।

  • সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী  মোটরসাইকেল র‌্যালি

    সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী মোটরসাইকেল র‌্যালি

    • মশাল ডেস্ক:

    মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে সাতক্ষীরায় ১২০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালির স্লোগান ছিল-‘আর নয় মাদক। মাদক গ্রহণ নয়, বেচাকেনাও নয়’। শত তরুণের স্লোগানে সাতক্ষীরায় শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদরের বাবুলিয়া থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ওই র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পথে যেতে এ সময় বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনামূলক সমাবেশও করা হয়। সেবা সংঘ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় ওই র‌্যালি বের করে। এতে ১৫০টি মোটরসাইকেল অংশ নেন। র‌্যালিটি সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়া, সখীপুর, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা, কাটুনিয়া রাজবাড়ি, শ্যামনগরের খানপুর, নূরনগর, পরানপুর, নকিপুর শাহী মসজিদ, বংশীপুর, ঈশ্বরীপুর শাহী মসজিদ, মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, কলবাড়ি, নোয়াবেকি, কালিগঞ্জের বালিয়াডাঙা বাজার, বিষ্ণুপুর বাজারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। একই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সকলকে জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়। পথে পথে করা হয় সমাবেশ। তুলে ধরা হয় মাদকের কুফল ও নেতিবাচক প্রভাব।

    সর্বশেষ সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করা হয়। এরপর বিকল্প পথে র‌্যালিটি আবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ফিরে আসে। বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দেন সেবা সংসদের সভাপতি কওসার আলী, সেক্রেটারি রজব আলী, মো. মহিবুল্লাহ, জুলফিকার আলি ও মো. ইসরাইল হোসেন। বক্তারা বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে সর্বনাশা মাদকের বিষবাষ্প। মরণ নেশার নীল দংশিত হচ্ছে যুবসমাজ। নেশা সর্বনাশা জেনেও যুব সমাজ এ মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা হওয়ার কারণে মাদকের সদর দরজায় পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনসহ ডাঙা, নদী সীমান্ত ও চোরাইপথ দিয়ে প্রতিদিন আসছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, মদ ও চরসসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। গ্রামবাসীর সচেতনতার অভাবে এই দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার রোধ করতে পারছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। যুব সমাজকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা, মাদকাসক্তদের এই অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

  • হতাশা আর দারিদ্রের আড়ালে এগিয়ে চলেছে প্রতিবন্ধী যুবক

    হতাশা আর দারিদ্রের আড়ালে এগিয়ে চলেছে প্রতিবন্ধী যুবক

    সরোয়ার হোসেন: সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের রবিউল ইসলামের শারিরীক প্রতিবন্ধী ছেলে আল-আমিন। হতাশা আর দারিদ্রতার মাঝে থেকেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পিতা ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের সংসারে টানা পোড়ন অবস্থা। কোনমতে ভ্যান চালিয়ে দিনের উপার্জনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খায়। মা মরা শারিরীক প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন। সে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছেন। কিন্তু মা মারা যাওয়ার সংসারের টানাপোড়ন অবস্থার কারণে আর লেখাপড়া করা হয়নি প্রতিবন্ধী যুবকের। ২ ভাইয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাই আল-অমিন বড়। সৎ মায়ের সংসারে দুবেলা দুমুঠো খেতে অনেক ঝড়ঝামটা পোহাতে হয়। তাই তো লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসহায় জীবন নিয়ে ছুটে চলেছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতের কাজ শেখার উদ্দেশ্যে। সুদূর বকচরা থেকে কদমতলা বাজারে ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ শিখতে আসে প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন। কিন্তু অর্থ সংকটে থাকায় সে নিজে তিন চাকার একটি আলগা ভ্যান তৈরি করে খুব কষ্টে চালিয়ে আসতে হয় তাকে। তারপরেও দমে যায়নি সে। সে এখন ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ করতে পারে। কিন্তু তার নিজের কোন দোকান না থাকায় অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে বেকার জীবন-যাপন করছে। প্রতিবন্ধী যুবকের ইচ্ছা একটি দোকান করে নিজে কাজ করে তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। নাই তার কোন অর্থনৈতিক সম্বল। তাই সে যদি কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগিতা পায় তাহলে প্রতিবন্ধী যুবক তার অসহায়ত্ব জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবে এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর এবং সহযোগিতা কামনা করছে প্রতিবন্ধী যুবক।