নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকের বিজয়ে লক্ষ্যে পৌর ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালী আমতলায় নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কুখরালী আমতলা আঞ্চলিক কমিটি আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুখরালী আমতলা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি বাবু রবীন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূর মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সাফী আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শেখ নাসেরুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধাণ সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, কাজী ইকবল, মহিউদ্দীন হাশেমী তপু, এড. সাইদুজ্জামান জিকো, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র, আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম, আদম আলী, আবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শুকুর মাহমুদ, আব্দুল মুজিদ, আঃ আলীম, ফারুক হোসেন, আঃ সালাম, হাসিব সরকার, তায়জুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই সারা দেশেই উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বয়স্ক, বিধবাদের জন্য ভাতা ও শিশুদের জন্য কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। বক্তারা আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান প্রায় শেষের দিকে। প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। গ্রামে বসবাস করেও মানুষ শহরের সকল সুবিধা উপভোগ করছে। শেখ হাসিনা সরকার সাতক্ষীরাবাসীর জন্য দিয়েছে মেডিকেল কলেজ। যার সেবা ইতোমধ্যে জেলার মানুষ উপভোগ করতে শুরু করেছে। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে সাতক্ষীরা পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা গড়তে সকলের কামনা করেন বক্তারা।
Category: সাতক্ষীরা সদর
-

সাতক্ষীরার পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচরণা তুঙ্গে

২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ পাপার গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ পাপা বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময়, পথসভা ও সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার সকালে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মুনশিপাড়া ও মুনজিতপুর গ্রামের ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও ডালিম প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ পাপা বলেন, আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আপনাদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত সকল উন্নয়ন কাজ সমাপ্তসহ একটি মডেল ও আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন অবসপরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সোবহান, ইদ্রিস বাবু, আবু তাহের, ফিরোজ, মিন্টু, জিয়া, মুন্না, শামিম, মিলু, মোমিন, আব্দুর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ৭নং ওয়ার্ডের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময় ও পানির বোতল প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে পুনরায় আমাকে নির্বাচিত করে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এলাকার সামগ্রীক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিন। এসময় ভোটাররা পুনরায় তাকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জিল্লুর রহমানের মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জিল্লুর রহমানের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় উত্তর পলাশপোলে আব্দুল গফ্ফারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আব্দুস সামাদ, আব্দুল মুকিত, আব্দুল হামিদ মনা, আব্দুল মুজিদ, সাইদ, জিএম মাহবুব আলম, আব্দুল হামিদ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে একটি বারের জন্য জিল্লুর রহমানকে কাউন্সিলর হিসেবে সুযোগ দিয়ে এলাকার সামগ্রীক উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনাদের কাঙ্খিত সেবা প্রদানের পাশাপাশি একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ওয়ার্ডে রুপান্তরিত করা হবে ৯নং ওয়ার্ড।’ সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডা. শফি। এছাড়া সকাল থেকে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও সমর্থন চাইছেন কাউন্সিলর প্রার্থী জিল্লুর রহমান।
৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত আলীর মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকালে দক্ষিণ পলাশপোলে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শওকত আলী। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোস্তাক আহমেদ, হায়াত আলী, মুরাদ খান, হযরত আলী, শেখ শাহিনুর রহমান রাজা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নূর ইসলাম। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময়, পথসভা ও সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডালিম প্রতীকের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মতবিনিময় সভায় শওকত হোসেন বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। এবারের নির্বাচনে আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আমি নির্বাচিত হলে সব সময় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাবো। অবহেলিত এই এলাকার উন্নয়নে আমি সব সময় আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।’
৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সাগরের গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময়, পথসভা ও সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার দিনব্যাপি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রসুলপুরের গাজী পাড়া, খাঁ পাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পলাশপোলে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও উটপাখি প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর বলেন, আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় আমাকে নির্বাচিত করে অসমাপ্ত সকল উন্নয়ন কাজ সমাপ্তসহ একটি মডেল ও আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোবারক হোসেন, ছট্রু চৌধুরী, আজিয়ার সরদার, ইউনুছ সরদার, মনোরঞ্জন রায়, রনিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রাবেয়া পারভীনের গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাবেয়া পারভীন বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময়, পথসভা ও সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার বিকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পলাশপোল, রসুলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও জবাফুল প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন।
পলাশপোলে মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু’র নির্বাচনী সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু’র নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে গুড় পুকুর ঈদগাহ ময়দানে গুড় পুকুর আদর্শ সংঘের আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি এড. মো. মোসলেমের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু। এসময় তিনি বলেন,“এই পলাশপোল আমার জন্মস্থান। আমার বাকি জীবনটা এই এলাকার মানুষের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই এলাকার মানুষের জন্য আমার পিতা সোবহান খানের অনেক অবদান আছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি সার্বিক উন্নয়ন করে সাতক্ষীরা পৌরসভাকে আলোকিত পৌরসভা গড়ার স্বপ্ন দেখি।’ এসময় নারিকেল গাছ প্রতিকে ভোট চেয়ে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমামুল ইসলাম শরিফ, প্রভাষক মো. আকরাম হোসেন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, নজমুল ইসলাম খান চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু মুসা, সেলিম গাজী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাইফুল ইসলাম।
কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনিরের
গণসংযোগনিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী আসন্ন সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পানির বোতল মার্কায় লিফলেট বিতরণ করেছেন এবং গনসংযাগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সঙ্গিতামোড়, কামালনগর বউবাজার, নিউমার্কেট ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় গনসংযোগ করেছেন। এ সময় তার সাথে জেলা সাংবাদিক পরিষদের সমাজকল্যান সম্পাদক মোঃ খাইরুল বাসার, কার্যনিবাহী সদস্য রুবেল হোসেন, জেলা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির, কার্যনিবাহী সদস্য প্রশান্ত কুমার পাল, ইকবাল হোসেন, ফাহাদ হোসেন, ইউসুফ আলী, ফজর আলী, আমিরুল ইসলাম, হাসানুর রহমান, আবুল কাশেম এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
-

মিনি শেখ হাসিনা সেজে ভাইরাল ‘দিঘী’
স্টাফ রিপোর্টার :
‘ মুজিব বর্ষ ’ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ৬৬ হাজার ১৯৮টি গৃহ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সাতক্ষীরার শিশু আবৃত্তি শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী।https://www.facebook.com/100002060479815/videos/3649647451780568/
স্বরণীয় এই দিনে সাফানা ফারদিন দিঘী মিনি শেখ হাসিনা সেজেই শুধু খ্যান্ত ছিলেন না, মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত অবিকল ভাষায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে সবাইকে রিতিমত তাকলাগিয়ে দিয়েছেন।
গত ২৩ জানুয়ারী সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহ বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের আমন্ত্রনে মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজে অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন শিশু আবৃত্তি শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী। অবিকল সাজে সেজে ছিলেন মিনি শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মূলমঞ্চে চেয়ারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভঙ্গিমায় বসে ছিলেন মিনি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের দৃষ্টিকাড়ে মিনি শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মিনি শেখ হাসিনা। তার ভাষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও’টির নীচে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনে গতকাল ২৪ জানুয়ারী রোববার ভাইরাল হওয়া ভিডিও-এর নীচে মন্তব্য করে লিখেছেন ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আজ এটা পাঠাবো। একেবারে শেখ হাসিনা’।
শিশু শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী এবছর দ্বিতীয় শ্রেণী পেরিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সাতক্ষীরার এতিহ্যবাহী বর্ণমালা ্কাডেমিতে নিয়মিত আবৃত্তি শিখছে। শিশু আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে অতি পরিচিত দিঘী। জেলা পর্যায় একাধিক আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় দিঘী সেরা হয়েছে।সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান ও সাতক্ষীরার ছফুরননেছা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সেলিনা সুলতানা লিপির মেয়ে দিঘী।
-

বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এএফএম এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ’র ৮ দলীয় নক আউট ক্রিকেট টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এএফএম এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে ৮ দলীয় নক আউট ক্রিকেট টুনামেন্ট-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্বোধন করেন পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রয়াত এড. এএফএম এন্তাজ আলীর পতœী নাদিরা আলী। নির্ধারিত ৬ ওভারের ফাইনাল খেলায় সুমিত ফ্যাশন হাউজ কামাল নগর যুব সংঘের মোকাবেলা করে। সুমিত ফ্যাশন হাউজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে কামালনগর যুব সংঘ ৩ ওভার ১ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে জয় লাভ করে। খেলা শেষে বিজয়ী দলকে নগত ৫ হাজার টাকা ও রানার্সআপ দলকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন, সহ-সভাপতি জিএম মিজান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক-উদ দৌলা সাগর, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আলী সুজয়, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম আরশাদ আলী, শেখ শফিকুর রহমান পিন্টু, নাহিদা আলী সুমনা প্রমুখ। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন কামালনগর যুব সংঘের নিশিত, ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হন সুমিত ফ্যাশন হাউজের নয়ন। খেলায় আম্পায়ারের দ্বায়িত্ব পালন করেন শেখ রফিকুর রহমান লাল্টু ও ফজলুল করিম।
-

সাবেক এমপি ও আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এন্তাজ আলীর ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগী, প্রবীন রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলীর ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৯৮ সালের ২৬ জানুয়ারী পবিত্র শবে কদরের রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময় মুজিব বাহিনীর সাতক্ষীরার (তৎকালীন সময় সাতক্ষীরা মহকুমা) প্রধান ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ঢাকায় ৬ দফা আন্দোলনে (প্রথম দিনের আন্দোলনে) রাজধানীর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ওই আন্দোলনে সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক অর্থ মন্ত্রী মরহুম শাহ এস এম কিবরিয়া ও সাতক্ষীরার এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী অন্যতম ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশব্যাপী ৬ দফা আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে জোরদার করতে এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী সাতক্ষীরায় চলে আসেন। এছাড়া তিনি ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ছিলেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সময় ১৯৯০ সালে সর্ব দলীয় ও ১৯৯৬ সালে জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি সাতক্ষীরার সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে এড. এন্তাজআলীর পারিবার অভিযোগ করে বলেন, তার মৃত্যুর পর প্রায় ২ সপ্তাহের মাথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে বাস ভবনে আসেন পরিবারকে সান্তনা জানাতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রবীণ এ নেতার মৃত্যুর পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত সময় কোন শোক ও স্মরণ সভা হয়নি৷ এমনকি এ নেতার নামে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরার কোন সড়ক তার নামে নামকরণ করা হয়নি। এ পরিবারটি আজও অবহেলিত৷ শহরের পলাশপোল প্রাণ সায়ের খালের পাশের রাস্তাটি (পাকাপোল থেকে কাটিয়া বাজার ব্রীজ) এড. এন্তাজআলীর নামে নামকরণ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি আজও৷ আ’লীগের সাবেক সাংসদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণ করা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ পরিবারটি। তবে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামটি বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এ,এফ,এম এন্তাজ আলীর নামে নামকরণের দাবী জানিয়েছেন পরিবারটি৷ এব্যাপারে এড. এন্তাজআলীর পরিবার জেলা আ’লীগ, সদর এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ও পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এদিকে, বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এ,এফ,এম এন্তাজ আলীর ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে৷ কর্মসূচির মধ্যে দিনব্যাপি কোরআন তেলাওয়াত, দুঃস্থ দের মাঝে খাবার বিতরণ ও বাদ আসর পলাশপোল জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে৷
-

প্রাইভেটকার ও ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয়েছে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারীসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে। সোমবার ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে আসাদুল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যোগরাজপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে জেলা ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী সাদ্দাম হোসেন, একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু সাঈদ ও বৈকারী গ্রামের ইয়াসিন সরদারের ছেলে শাহিনুর রহমান।
পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী সাদ্দাম হোসেন বহুদিন যাবত সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্রের ব্যাবসা করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র ও মাদকের মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও মাদক ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে। ভোর রাতে সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের শিকড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ভাবে উক্ত প্রাইভেটকারটি আটক করে তল্লাশী চালানো হয়। এ সময় প্রাইভেটকারের সিটের তলায় বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪২ বোতল ফেন্সিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় এবং জব্দ করা প্রাইভেটকারটি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। -

মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়লো রাস্তা!
সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তা। গেল বছরের জুন মাসে মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি তবে ইতিমধ্যেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তটির কিছু অংশ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তাটির পুণঃনির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। তবে ঠিকাদারের অবহেলায় এরই মধ্যে মাছখোলার দাউদের পুকুর সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাটির বৃহৎ একটি অংশ ধ্বসে পড়েছে। এখনি যদি রাস্তটির সংস্কার করা না হয় তবে সামনে আরও ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, রাস্তার ধার থেকে মাটি কেটে রাস্তার পাড় বাধার কারণে এতদ্রুত রাস্তা ধ্বসে পড়ছে।
তারা আরো বলেন, এখনো রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এরই মধ্যে রাস্তাটি দিয়ে দিনে অসংখ্যবার ট্রলি, ডাম্পার এবং ট্রাক ইটভাটার পরিবহন কাজে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে ফলে দিনে-দিনে রাস্তাটি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ ও ধ্বসে পড়া অংশের সংস্কার দাবি করেছেন।
-

আ.হ.ম তারেক উদ্দিন কে শ্রমিকলীগের শুভেচ্ছা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নবগঠিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ.হ.ম তারেক উদ্দিন কে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ।
সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের স্টেডিয়াম ব্রিজ সংলগ্ন মেসার্স জননী মটরস এর অফিসে তাকে এই ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম রবি,জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত, জেলা আওয়ামী মটর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিউল ইসলাম শফি, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মোঃ জাকির হোসেন টিটু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসিফ সাহাবাস খান,সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ জিল্লুর রহমান প্রমুখ। -

জেলা মৎস্যজীবি দলের মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সঙ্গিতা মোড় এলাকায় এ মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক আছিফুর রহমান তুহিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম আহমেদ ভূইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিচারপতি (অব.) মো. ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি, শেখ মো. শামিম, খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুল হক প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবি দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক, সাইফুল ইসলাম বাবলু, সদর উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি ঈসমাইল হোসেন, পৌর মৎস্যজীবি দলের ফজলুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি আসাদুর রহমান, দেবহাটা উপজেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক মোনাজাত আলী, তালা উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি মিলন, আশাশুনি মৎস্যজীবি দলের সভাপতি গোলাম রসুলসহ জেলা ও উপজেলা মৎস্যজীবি দলের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মৎস্যজীবি দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মারুফ হোসেন ও এসএম কামরুজ্জামান।
-

পিতৃ হত্যার বিচার দাবি কলারোয়ার সুমন হোসেনের
‘বেশী বুঝলে সমস্যা আছে, আর যদি সই না করিস তবে তোকেও ঝুলিয়ে দেবো, আমার নাম সোহরাব দারোগা’
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক আমজেদ গাজী হত্যার ঘটনায় থানায় দেওয়া এজাহারে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এজাহারে যেসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অনেকাংশে অসত্য। কলারোয়া থানার এসআই সোহরাব হোসেন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এজাহারে সই করিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান, নিহত আমজেদ গাজীর ছেলে সুমন হোসেন। এসময় তার পরিবারের সদস্য লাভলু গাজী, শফিকুল ইসলাম, সোহেল রানা, ইকরাম হোসেন, জনাব আলী, সাত্তার গাজী, নূরজাহান, হালিমা, হাসিনা, ফাতেমা, আক্তার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সুমন হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি তার বাবা আমজেদ গাজী মামলাভূক্ত জমিতে চাষ করার জন্য গেলে তাতে বাধা দেন তার চাচা আনসার গাজী ও তার লোকজন। এসময় আনসার ও তার লোকজনের হামলায় অনেকেই আহত হন। এক পর্যায়ে আনসার গাজীর বাঁশের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার বাবা আমজেদ গাজী মারা যান। সুমন হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার জন্য তিনি কলারোয়া থানায় যান। তাকে সেখানে ৩-৪ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে এসআই সোহরাব একটি এজাহার প্রস্তুত করে তাকে স্বাক্ষর করতে বললে তিনি তা পড়ে জানতে পারেন এজাহারে সঠিক তথ্য নেই এবং ইন্ধনদাতা আলমগীর ও লতিফ দফাদারের নামও নেই তাতে। এর প্রতিবাদ করায় দারোগা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশী বুঝলে সমস্যা আছে। আর যদি সই না করিস তবে তোকেও ঝুলিয়ে দেবো। আমার নাম সোহরাব দারোগা’।
সুমন হোসেন আরও বলেন, দারোগার ভয়ে আমি সই করতে বাধ্য হই। পরে আমি এ বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানাই। পরদিন দারোগা সোহরাব সুমন হোসেনকে ফের ডেকে তার বাসায় দেখা করতে বলেন। বাসায় দেখা করতে গেলে তিনি তেলেবেগুনে জ¦লে উঠে বলেন, ‘তুই একা আসবি, আবার এসব দালাল সাথে এনেছিস কেন?। সুমন হোসেন বলেন, এরা সবাই আমার সাক্ষী। দারোগা তার জবাবে বলেন, ‘বেশী বাড়াবাড়ি করলে সবকটাকে একসাথে ঝুলিয়ে দেবো। কারন তোদের স্থানীয় নেতাগোতা, ওসি ও এসপির নির্দেশেই সব করেছি’ । সুমন হোসেন বলেন, বাবাকে হারিয়ে পুলিশের এই নিষ্ঠুর আচরনের মুখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি ওই এজাহার পরিবর্তন করে নতুন করে এজাহার লেখার দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সুমন হোসেন আরও বলেন, হত্যাকারী আনসার ও তার লোকজন এখন বলে বেড়াচ্ছে, ‘দেখি মামলা করে কি করিস, তোদের পুরো পরিবারের ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দেবো।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন জানান, ঘটনার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এজাহারটি লেখা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা সত্য নয়। তবে আমজেদ গাজীর ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আনসার গাজী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। -

নলতায় ৫৭ তম ওরছ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা: হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ৫৭ তম বার্ষিক ওরছ শরীফ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফে আগামী ২৬,২৭,২৮ মাঘ মতে ৯,১০,১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং অত্র কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র বিশেষ দিক নির্দেশনায় ৫৭ তম বার্ষিক ওরছ শরীফ সুষ্ঠু,শান্তিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবছর কোনো ধরনের দোকানপাট বা বাজার ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন করতে মিশন কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত নানা প্রকার কর্ম পরিকল্পনা ও মিটিং অব্যাহত রেখেছেন। এরই অংশ হিসেবে ওরছ শরীফের সময় পুলিশের পাশাপাশি চলাচল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী রোভার স্কাউট ও স্কাউট লিডারদের সাথে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় মিশন অফিসে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো: এনামুল হক খোকন এর সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, যেহেতু করোনা কালীন সময়ে কোনো রকম দোকানপাট ছাড়াই আসন্ন ওরছ শরীফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেহেতু সকল প্রবেশ পথে তৎপরতার সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্কাউট ও রোভার স্কাউটস বা গার্ল-ইন রোভাররা যাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভক্তবৃন্দ মাহফিল মাঠে বা কুলখানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে সে বিষয়ে তৎপর ভূমিকা রাখার আহবান জানান। পাশাপাশি উপস্থিত রোভার ও স্কাউট লিডারগণ এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি একে অপরের মধ্যে বিনিময় করেন।
সভায় নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক, মিশনের সহ-সম্পাদক আলহাজ্জ মো: মালেকুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মো: আনোয়ারুল হক, নির্বাহী সদস্য ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্জ মো: সাইদুর রহমান শিক্ষক, সদস্য ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্জ মো: ইউনুছ, মো: শফিকুল আনোয়ার রঞ্জু, মো: শফিকুল হুদা, মো: খায়রুল হাসান, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ও রোভার স্কাউট লিডার মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন), নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজর সহকারী অধ্যাপক ও রোভার স্কাউট লিডার মো: তানবীর হোসেন ও একই কলেজের প্রভাষক ও রোভার স্কাউট লিডার মো: মাহমুদুন্নবী খান, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও স্কাউট লিডার মো: মাহাবুর রহমান, সরকারি কেবিএ কলেজের সিনিয়র রোভার মেট আব্দুল কাদের ও মিশনের সংশ্লিষ্ট স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

মহামারি করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) এবং আরেক সংক্রামক ব্যাধি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে সাতক্ষীরায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় সিভিল সার্জন অফিস সাতক্ষীরার সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো’র আওতাধীন লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন ও প্রমোশন অপারেশনাল প্ল্যানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটর হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, রিসোর্স পার্সন হিসাবে ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল্যাহ আল কাফি এবং সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা অফিসার পুলক কুমার পাল।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা অফিসার মোছা: শাহীনুর খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বলা হয় কর্মশালায় বলা হয় করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রামক ব্যাধি। এ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হলে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। করোনার শুরুতে সর্দিজ¦র, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া, আঙুল ও পায়ের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া সহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রেখে কমপক্ষে ১৪ দিন চিকিৎসা দিতে হবে। তার সংস্পর্শে কেউ গেলে তিনিও আক্রান্ত হতে পারেন উল্লেখ করে কর্মশালায় আরও বলা হয় রোগীর মানসিক অবস্থা শক্ত রাখার জন্য তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধপত্র ব্যবহার করা উচিত। এমনকি রোগীর জন্য পৃথক বাথরুমের ব্যবস্থা করলেও ভাল হয়। বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধিতে ৬২ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছে এমন তথ্য উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, ৬৪ জেলায় ১২৮টি আদর্শ গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবার যাবতীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, খোলা জায়গায় মলত্যাগ না করা, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার সহ নানা বিষয় রয়েছে এর মধ্যে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেও তাদের সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। সাতক্ষীরার সকল বিদ্যালয়ে খুদে ডাক্তারের চিকিৎসা চালু রয়েছে উল্লেখ করে কর্মশালায় আরও বলা হয়, পোশাক শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও জানানো হয়। তাছাড়া মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, হাঁচিকাশি ও থুতু থেকে নিজেকে সতর্ক রাখা এবং অন্যকেও সতর্ক করা সহ একই সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহবান জানানো হয়।
কর্মশালায় সাতক্ষীরা জেলার করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে সিভিল সার্জন বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলায় গত ৯ মাসে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯ জন। তার মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ ১১৫৮ জন এবং নেগেটিভ পাওয়া গেছে ৪৮৩৬ জন। জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে ১৪০ জনেরও অধিক মানুষের। অপরদিকে এই সময়ের মধ্যে ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক ২২ জন, নার্স ১৯ জন এবং অন্যান্য ৬৫ জন। কর্মশালায় করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। -

সঙ্গীতা মোড়ে রাস্তার ধুলাবালিতে অতিষ্ট সাধারন মানুষ
ঈমান আলী: সাতক্ষীরা শহরের প্রানকেন্দ্র সঙ্গীতা মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত সড়কে প্রান সায়ের খাল খননের মাটি বহনের জন্য কাদা ও ধুলাবালিতে অতিষ্ট সাধারন মানুষ। এই ধুলাবালির কবলে পড়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। সাতক্ষীরার প্রাণ সায়র খাল খননের ময়লামাটি পরিবহনের কারণে শহর হয়েছে নোঙড়া ধুলো-ময়লার দুষিত রাজ্য। এই দুরাবস্থা নিরসনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। এতেকরে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও স্থানীয় রাস্তার দুপাড়ের ব্যাবসায়ীদের মাঝে। সরেজমিন দেখা যায়, সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে প্রান সায়ের খাল খননের ময়লা কাদামাটি বহনের সময় মাটি বহনকারী গাড়ি থেকে ছিটকে পড়া মাটি থেকে ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সড়কটিতে গাড়ী চলাচলের সময় ধুলাবালিতে পথ অন্ধকার হয়ে যায়। এতে করে নিত্যদিন চলাচলকারী মানুষ ও দোকানদারদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। নিয়মিত যাতায়াতকারী কয়েকজন পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আবর্জনায় ভরা সাতক্ষীরায় প্রানসায়র খালের ময়লামাটি এক ধরনের জীবানু, আর প্রতিদিন এই জীবাণুযুক্ত ধুলাবালি সহ্য করে সাধারন মানুষকে এই সড়কে চলাচল ও ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা করতে হচ্ছে। যার ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সাধারন মানুষের তীব্র ভোগান্তির শিকার প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নিবেন এটাই সর্ব মহলের দাবী। -

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল
“সুকৌশলে একটি গোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্বা যাদের বাপ দাদারা আওয়ামীলীগকে ধ্বংশ করতে চেয়েছিল তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগে পদ দেওয়া হয়েছে”
-মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারবর্গ, জাতীয় চারনেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্থানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত বাংলার মাটিতে পা রাখেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্থানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৯০ দিন পাকিস্থানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গননা শেষে লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ। গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাদের প্রিয় নেতা স্বাধীন দেশের মাটিতে এসে পৌঁছবেন। প্রচুর মানুষ সেদিন জড়ো হয়েছিল ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্যরে সাথে অনেকে বেইমানী করছে। “সুকৌশলে একটি গোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্বা যাদের বাপ দাদারা আওয়ামীলীগকে ধ্বংশ করতে চেয়েছিল তাদেরকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগে পদ দেওয়া হয়েছে”। অথচ যারা দলের জন্য জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে সে সব ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছে। সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও ভূমিদস্যুদেরকে যারা লালন করে তারা কখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ্যের সৈনিক হতে পারেনা। এ বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি রবি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি হল অথচ আমি সদরের এমপি হয়ে জানতে পারলাম না। আলোচনা সভার শুরুতে ১ মিনিট নিরাবতা পালন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এমপি রবি এবং সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম মহি, ছাত্রলীগ নেতা কাজী সাদিক দ্বীপ, ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মনোয়ার প্রমুখ।
এসময় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, শহর কাচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, পৌর ০৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, পৌর ০৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দীন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো. কওছার আলী, সহ-সভাপতি শেখ শওকত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা, পৌর, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন। -

লাবসায় নেই নির্বাচনী আমেজ, চেয়ারম্যান প্রাথী তিন
ইউপি নির্বাচন হালচাল
জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন লাবসা। কিছুদিন পরই ঘোষণা হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফশিল। সাড়ে বিশ বর্গকিলোমিটার ও ৩৩ হাজার ভোটারের এ ইউনিয়নে এখনও নির্বাচনী আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। ভোটারদের মধ্যে এখন থেকেই চলছে নানা ধরনের হিসাব-নিকেশ। পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জবাব দিবেন আগামী নির্বাচনে।
১৩নং লাবসা ইউনিয়ন একটি মডেল ইউনিয়ন হওয়ার মত হলেও দীর্ঘদিন হয়নি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড লাবসা পরিলক্ষিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এ ইউনিয়নে আছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টেক্সটাইল মিল, বিডিআর ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন ভবন, পরমানু গবেষণা ইন্সটিটিউট, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, টিটিসি, বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন বে-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ইউনিয়টিতে যেমন শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি, তেমনি চাকুরীজীবীদের সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়াও ইউনিয়নের কিছু অঞ্চল বর্ষমৌসুমে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ায় এখানকার কৃষক ও মৎস খামারীরা বর্ষ মৌসুমে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
ইউনিয়নে ৪টি ক্রীড়া সংগঠন লাবসা একাদশ ক্লাব, রাজনগর জাগরণী চক্র ক্লাব, থানাঘাটা একাদশ ক্লাব এবং মাগুরা দাশপাড়া ব্যাডমিন্টন ক্লাব। এ ইউনিয়নে ১টি কলেজ ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। লাবসা ইউনিয়নে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে রয়েছে ঋশিল্পী গোষ্ঠী, সিন্দাবাদ শিল্পী গোষ্ঠী এবং বিনেরপোতা নাট্য শিল্পী গোষ্ঠী; এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও সমুহ মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাটিকা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি উৎযাপন করে থাকে।
এ ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে ষোষণা দিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে সাত বারের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, বর্তমান ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম কিবরিয়া বাবু ও একাধিকবারের প্রার্থী সরদার নজরুল ইসলাম। এছাড়াও বর্তমান ইউপি সদস্যরা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। তবে এখনও পর্যন্ত সদস্য পদে নতুন মুখ খুব বেশি দেখা যায়নি। নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার কিছু আগে থেকে প্রতিদ্বন্দিদের মাঠে দেখা যেতে পারে। -

বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বৃদ্ধ পিতাকে জোর পূর্বক আটকে রেখে ছোট ভাই কর্তৃক অপর দুই ভাইয়ের নামে আদালতে মিথ্যে মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ হাজের আলী সরদারের দুই ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৩) ও আব্দুল হান্নান (৫০) এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে দুই ভাই বলেন, আমরা তিন ভাই ও চার বোন। আমাদের ছোট ভাইয়ের নাম আবুল হাসান (৪০)। দীর্ঘদিন ধরে আমরা পিতার সাথে এক অন্ন বাটিতে বসবাস করে আসছি। আমরা দুই ভাই পিতার সাথে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে সংসারের উন্নতি করার এক পর্যায় আমার পিতা ৩৬ বিঘা সম্পত্তির মালিক হন। এছাড়াও নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের মালিক ছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পিতার সাথে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১২ বিঘা জমি আমাদের তিন ভাইয়ের নামে ক্রয় করেন। আমারা কষ্ট করে ছোট ভাই আবুল হাসানকে ফাজিল পাস করাই। কিন্তুু কোন চাকুরি না পাওয়া ২বিঘা জমি বিক্রি করে পিতা তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। সেখানে রোজগার করতে না পেরে সে বাড়ি ফিরে আসে। পরে অনেক টাকা খরচ করে তাকে বিয়ে দেয়া হয়।
আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হান্নান আরো বলেন, আবুল হাসানের বিয়ের পর পিতা আমাদের তিন ভাইকে পৃথক সংসারের ব্যবস্থা করেন। পিতা হাজের আলী সরদারের বয়স ৮৫ বছর হওয়ায় তিনি পর্যায়ক্রমে তিন ছেলে বাসায় খাওয়া দাওয়া করতেন। আয়ের উৎস্য না থাকায় ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে নাভারন বাজারে ছোট ভাইকে ঔষধের দোকান করে দেয়া হয়। কিন্ত আবুল হাসান পদে পদে আমাদের পিতাকে অপমান করতো। ছোট ছেলের এরূপ নিষ্ঠুরতা, অকৃতজ্ঞতা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে হাসানের বাড়ি ছেড়ে পিতা আমাদের দুই ভাইয়ের বাড়িতে এসে থাকা খাওয়া শুরু করেন। তিনি আমাদের বাসায় থেকে সুখি সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছিলেন। এমতবস্থায় তিন বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে পিতা হাজের আলী সরদার ১২/১৩ বিঘা জমি লিখে নেয়ার জন্য আমাদেরকে বার বার তাগিদ দিতে থাকেন। একপর্যায় গত ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর কলারোয়া সাবরেজিষ্ট্রি গিয়ে স্ব-ইচ্ছায়, সুস্থ্য মস্তিষ্কে ও স্বজ্ঞানে কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই এবং কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পিতা ২৩ বিঘা জমির মধে থেকে ৪ একর ১৯ শতক জমি আমাদের দুই ভাইয়ের নামে লিখে দেন।
এঘটনার একমাস পরে বিষয়টি জানতে পেরে আবুল হাসান কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে পিতা হাজের আলী সরদারকে টেনে হিছড়ে অন্যত্রে নিয়ে আটকে রাখে। পরে জোরপূর্বক পিতাকে দিয়ে স্বীকারোক্তি করিয়ে আমরা দুই ভাই জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছি মর্মে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৪ একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হান্নান তাদের বৃদ্ধ পিতা যাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্ব-স্থানে এসে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

ধুলিহরের দরবাস্তিয়ায় কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের দরবাস্তিয়া এলাকায় কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
দরবাস্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দীন’র সভাপতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, ঠিকাদার আশরাফুল কবীর খোকন, কবির হোসেন, ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব, অলোক ঘোষ প্রমুখ। সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের মেইন রোড হতে দরবাস্তিয়া অভিমুখে ফয়জুল্লাহপুর কালভার্ট পর্যন্ত ১ কিঃ মিটার কার্পেটিং রাস্তা ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি সাতক্ষীরা বাস্তবায়ণে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগণের মাঝে তুলে ধরতে এমপি রবির উদ্ভাবন উঠান বৈঠকে কথা দেওয়া রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে এলাকাবাসীর দাবী পূরণ করায় এমপি রবিকে মন খুলে দোয়া ও আশীর্বাদ করেছে এলাকাবাসী। এসময় দলীয় ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। -

ব্রহ্মরাজপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
ব্রহ্মরাজপুর (সদর) প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ডি বি ইউনাইটেড হাইস্কুল মাঠে স্টার্ট ফান্ড ও এফসিডিও এর অর্থায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভূমিজ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ১৯৯টি পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৯ হাজার টাকার প্রথম কিস্তিতে নগদ ৬টি সাবান, ১কেজি ডিটারজেন্ট, ১০টি মাক্স, ৪প্যাকেট ন্যাপকিন এবং ৪হাজার পাঁচশত টাকা করে বিতরন করা হয়। নগদ অর্থ ও হাইজিন বিতরণ অনুষ্ঠানে ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল ইসলামের সভাপতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গনেশ চন্দ্র মন্ডল, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলিপ কুমার মল্লিক, ভূমিজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান অচিন্ত্য সাহা সহ প্রধান অতিথির সফর সঙ্গীরা। নগদ অর্থ ও হাইজিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলেছে তাই সকলকে এই টাকা দিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা করে ছাগল, হাস-মুরগি বা বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যার আহ্বান রাখেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভূমিজ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক উজ্জ্বল কুমার চক্রবর্তী।
৩
