Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা সদর Archives - Page 12 of 19 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা সদর

  • নজরুল ইসলামের মত সৎ ব্যক্তিকে নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর একটি পোষ্ট দেওয়া আল ফেরদাউস আলফার নিন্দা

    নজরুল ইসলামের মত সৎ ব্যক্তিকে নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর একটি পোষ্ট দেওয়া আল ফেরদাউস আলফার নিন্দা

    জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের মত সৎ ব্যক্তিকে নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর একটি পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। যাহা অতিব অসম্মানজনক। সুনামধন্য সৎ সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যাক্তিকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এই মানুষটার সাথে পাঁচটা বছর মিশতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। তাঁর কথার মাধুর্য ও নম্র আচারণে আমি মুগ্ধ। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক গুরু ও আমাদের অভিভাবক বটে। এমন একজন মুরুব্বিকে নিয়ে সম্প্রতি যে ন্যাক্কারজনক পোস্ট দেওয়া হয়েছে আমি তাহা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি, প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি । সাথে সাথে পোষ্টটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যারের অনুরোধ করছি।
    আল ফেরদাউস আলফা
    সদস্য, জেলা পরিষদ
    সাতক্ষীরা

  • আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ

    আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে যাতায়াতের রাস্তার উপর ছাদ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১ মার্চ সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
    ভুক্তভোগী কামালনগর গ্রামের মৃত. মো: নূরুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর ইসলাম জানান, ৯৪ নং পলাশপোল মৌজায় সাবেক খ এসএ নং ৪৭৬, সাবেক দাগ নং- ১২১১৭, হাল দাগ নং- ১৬৯৫৮ মোট ২৪ শতকের মধ্যে ০৬ শতক সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু তার দেবর আব্দুল গফুর উক্ত সম্পত্তির সামনে সম্পত্তি দাবি করায় কোহিনুর ইসলামের সম্পত্তির উত্তর-দক্ষিণে ৬ফুট রাস্তা উভয়ে ভোগদখল করে আসছিল। সম্প্রতি আব্দুল গফুর উক্ত রাস্তাটির নিচে ব্যবহার করতে দিলেও উপর ছাদ নির্মাণ করে তা দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ায় আব্দুল গফুর কোহিনুর ইসলামকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রর্দশন করেন। কোহিনুর ইসলাম বিধবা এবং কোন পুত্র সন্তান না থাকায় পর সম্পদ লোভী আব্দুল গফুর তার দখলী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে উক্ত বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন।
    এঘটনায় ভুক্তভোগী কোহিনুর ইসলাম উপায়ন্তর হয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভায় বিষয়টি একাধিকার বসাবসি হয়েছে। কোন প্রতিকার না হওয়ায় কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত উক্ত স্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
    কিন্তু গত ২ মার্চ সুচতুর আব্দুল গফুর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উক্ত রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে বহুলতল ভবনে উপরে ছাদ বাড়ানোর কাজ শুরু করে। এতে বাধা দেওয়ায় আব্দুল গফুরের ভাড়াটিয়া লোকজন অস্ত্রে বিভিন্ন খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। পরবর্তীতে কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করলে পুলিশ সেখানে নির্মাণ বন্ধ করে দেন।
    উল্লেখিত সুচতুর গফুর সকল ধরনের অনৈতিক ও অবৈধ সকল সুবিধা নেয়ার জন্য যত্রতত্র তার শ্বশুরের নাম ব্যবহার করে। তার সাথে রাস্তার বিষয়ে স্ট্যাম্পে ডিড থাকার পরও সে ডিড মানতে নারাজ এবং চুক্তি লঙ্ঘন করে মাংশপেশীর জোরে রাস্তা র উপরে ভবন নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন। সমাজের কারো কোন কথা তিনি কর্ণপাত করছেন না।
    এবিষয়ে ভুক্তভোগী কোহিনুর ইসলাম সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • জেলা জাসদের পতাকা মিছিল

    জেলা জাসদের পতাকা মিছিল

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১ মার্চ সোমবার জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলীর নেতৃত্বে পতাকা মিছিল।

  • নৌকা ডুবির কারণ অনুসন্ধানে নেতা-কর্মীরা

    নৌকা ডুবির কারণ অনুসন্ধানে নেতা-কর্মীরা

    সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই, নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম

    -নাসেরুল হক
    • তিনটি চোরাচালানি সিন্টিকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছেফিরোজ কামাল শুভ্র
    • দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে-আসাদুজ্জামান বাবু
    • এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী-নজরুল ইসলাম
    • সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি-আশু

    রঘুনাথ খাঁ : সাতক্ষীরা পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। অপরদিকে ১৩ হাজার ৫০ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ নাসিরুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুবদল নেতা নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট। জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট ও ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুর রউফ পেয়েছেন ১৬৭৯ ভোট। মোট ভোটার ছিল ৮৯ হাজার ২২৪। ভোট পড়েছে ৫৫ হাজার ৯২৬ টি।


    আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা মনে করেন দ্বিতীয় ধাপে অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভে সাতক্ষীরার নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগা, দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা, চারদলীয় ভোট ব্যাংকে আঘাত হানতে ব্যর্থ হওয়া, জামায়াত ও বিএনপি উভয়দলের প্রার্থী থাকার পরও দু’দিন আগে সমঝোতা হওয়া, পৌর নির্বাচনে গঠিত কমিটির কয়েকজন সদস্যের ভোটারদের কাছে যথেষ্ঠ পরিচিতি না থাকা, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু সাতক্ষীরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী শেখ নাসেরুল হকের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।


    রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে যেয়ে দেখা গেছে সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটারদের নাতিদীর্ঘ লাইন । অনেককে বলতে শোনা গেছে দুপুর ১২টার পর আর ব্যালট পাওয়া যাবে না। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। তারা ভোট দেওয়ার পর শতভাগ সুন্দর ভোট হচ্ছে এমন প্রচার হয়ে যাওয়ায় ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রতীকের নেতা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বা ইজিবাইকে ভোটার আনার ব্যবস্থা নেন। সাবেক জামায়াত নেতার নীরবতার কারণে ধানের শীষে ভোট বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তৃণমূল পর্যায়ের মাঠপাড়ার এক কর্মী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই নৌকার সঙ্গে তাকে ভোট দেওয়ার কথা না বলে মেয়রের ভোট যাকে পারবেন তাকে দেবেন, অন্ততঃ কাউন্সিলর প্রাথী হিসেবে তাকে ভোটটি দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে অনুরোধ করেছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে যে নির্বাচন কমিটি গঠণ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্ততঃ তিনজনের শহরে পরিচিতি যথেষ্ট কম ছিল। ফলে তারা নিজের দলের নেতা কর্মীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেননি। পারেননি প্রতিপক্ষের ভোটারদের কাছে টানতে। এ ছাড়া দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের অভাব। অতিরিক্ত আত্ম বিশ্বাস ও একলা চলো নীতিই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের মূল কারণ। মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সঙ্কট, নৌকা প্রার্থীর তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক গড়ে না ওঠায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।


    জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে পরাজিত শেখ নাসেরুল হক বলেন, সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই। ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থার কাছে তিনি প্রায় জিরো। তাছাড়া শেষ রাতেই জগ প্রতীকের প্রার্থী জামায়ত নেতা নুরুল হুদার সঙ্গে ধানের শীষের সমঝোতা হয়ে যায়। ফলে জামায়াতের ভোটের অধিকাংশই পড়ে ধানের শীষে। এ ছাড়া বাবার মত অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এর আকষ্মিক মৃত্যু ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলেছে। তবে তিনি কোনভাবেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাননি। নেতা কর্মীদের উপর সন্তুষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রীয় কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম।
    জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র বলেন, তিনটি চোরাচালানি সি-িকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছে। তা ছাড়া ভোটে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আত্মসন্তষ্টিতে ভোগা, ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বসাবসি না হওয়ায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
    জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু মনে করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু পৌরভোটে প্রভাব না ফেললেও দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। পৌরভোটের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিটির তিনজনের পরিচিতি কম থাকায় ভোটে তার প্রভাব ফেলেছে।
    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার অভাবের কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছে। পৌরভোটকে কেন্দ্র করে জানুয়ারি মাসের শেষের দিক মহাজোটের নেতৃত্ব পর্যায়ে সভায় জাতীয় পার্টি তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়েছিল। সব মিলিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি জাপা, আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপরও নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কারণে ও ভোটে কালো টাকার প্রভাব পড়ায় নৌকা প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে।
    জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, সাতক্ষীরায় অধিকাংশ সময় এন্টি আওয়ামী লীগাররা ক্ষমতায় থেকেছে। আগে তারা ১৪ দলে থাকলেও এখন তারা বিরোধী দল। এরপরও সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল দাবি করে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যু একটা শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে।
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা সদরে চার বার জামায়ত ও বিএনপি’র সাংসদ ছিল। এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী। তারা জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য পার্টিতে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যথেষ্ট ভালো প্রার্থী শেখ নাসেরুল হকের পক্ষে কাজ করলেও অনেক নেতা কর্মী পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তারা নিজেদের ভোট করতে যেয়ে মেয়র প্রার্থীর জন্য কাজ করতে পারেননি। ফলে নৌকার পরাজয় হয়েছে।

  • সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নুরী, অনিমা ও রাবেয়া বিজয়ী

    সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নুরী, অনিমা ও রাবেয়া বিজয়ী


    সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের একটিতে বর্তমান কাউন্সিলর জয়লাভ করেছেন। সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হতে হয়েছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ ওবায়দুল্লাহর স্ত্রী নুরজাহান বেগম নুরী। এই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোন্সা আরা। সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল।

    সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রাবেয়া পারভীন। এই ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারহা দিবা খান সাথী।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে কে কত ভোট পেলেন

    সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে কে কত ভোট পেলেন


    জহুরুল কবীর: ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫২ জনসহ সর্বমোট ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

    নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৮৯ হাজার ২২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৪১৮ জন ও মহিলা ভোটার ৪৫ হাজার ৮০৬ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ৩৭ টি কেন্দ্রে ২৪৮টি ব্যুথে ভোট গ্রহণ করা হয়।
    নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. তাজকিন আহমেদ ২৫০৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩২২১ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের শেখ নাসেরুল হক ১৩০৫০, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের ডা. এসএম মুসতাফীজউর রউফ ১৬৭৯ ভোট, জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট।

    সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১, ২ ও ৩ নং ওয়াডের প্রার্থী নূর জাহান বেগম (প্রতীক-জবাফুল) ১১৮৮৫ ভোট, জ্যোৎস্না আরা (প্রতীক-চশমা) ৫৮৬৮ ভোট এবং তাজিনা আক্তার (প্রতীক-আনারস) ১২৭০ ভোট পেয়েছেন ।


    ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে অনিমা রাণী মন্ডল (প্রতীক-আনারস) ৫৪২৮ ভোট, ফরিদা আক্তার বানু (প্রতীক-জবা ফুল) ৪১৮৯ ভোট, মরিয়ম পারভীন (প্রতীক-টেলিফোন) ৩৭০৭ ভোট এবং মোছা: রওশন আরা (প্রতীক-চশমা) ৩৬৯৮ ভোট পেয়েছেন।

    ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে মোছা. রাবেয়া পারভীন (প্রতীক-জবাফুল) ৭০২৯, ফারহা দীবা খান সাথী (প্রতীক-বলপেন) ৬৯৫৪ ভোট, গুলশান আরা (প্রতীক-চশমা) ১২১৯ ভোট, মোছাঃ রুবিনা জামান খান চৌধুরী (প্রতীক-আনারস) ৩৯৬০ ভোট এবং সাহিদা আক্তার (প্রতীক-অটো রিক্সা) ৪৯৫ ভোট।

    সাধারণ সদস্য কাউন্সিলরের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে: মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল (প্রতীক-স্ক্রু ড্রাইভার) পেয়েছেন ২০০৯ ভোট, রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু) (প্রতীক-টেবিলল্যাম্প) ১৮২০ ভোট, মো. আব্দুস সেলিম (প্রতীক-ডালিম) ৫৭২ ভোট, শেখ জুলফিকার রহমান উজ্জল (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৩৪৪ ভোট, একেএম আহসান আজীম (প্রতীক-ঢেঁড়শ) ৮০ ভোট, নুরুল ইসলাম (প্রতীক-উটপাখি) ৩০ ভোট, মো. আছাদুল ইসলাম (প্রতীক গাজর) ২৩০ ভোট, মো. আব্দুর রাজ্জাক (প্রতীক-ব্লাক বোর্ড) ৭৩ ভোট, শেখ রশিদুর রহমান (প্রতীক-ব্রিজ) ২৯ ভোট, সেলিনা আক্তার (প্রতীক-পানির বোতল) ১৩৭ ভোট।
    কাউন্সিলর ২নং ওয়ার্ডে: সৈয়দ মাহমুদ পাপা (প্রতীক ডালিম) ৪৭১২ ভোট পেয়েছেন। মো. আহসানুল কাদির (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১৫৭৯ ভোট, মো. তালিম হোসেন (প্রতীক-উট পাখি) ৪৭০ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৩নং ওয়ার্ডে: মো. আইনুল ইসলাম নান্টা (প্রতীক-ব্লাক বোর্ড) পেয়েছেন ২৫৮০ ভোট। মো. ইব্রাহীম (প্রতীক-পানির বোতল) ১৫৬৪ ভোট, কামরুল কবির চৌধুরী (প্রতীক ব্রিজ) ২৪০ ভোট, মো. আনোয়ার হোসেন (প্রতীক-উটপাখি) ৮০৪ ভোট, মো. সুমন রহমান (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৮৬ ভোট, শেখ আব্দুস সেলিম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১২৭৯ ভোট এবং শেখ মুজিবুর রহমান (প্রতীক-ডালিম) ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৪নং ওয়ার্ডে: কাজী ফিরোজ হাসান (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ২৮১১ ভোট পেয়েছেন। শেখ আছাদ আহম্মদ (প্রতীক-উটপাখি) ১৪০৪ ভোট, শেখ আফজাল হোসেন (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ৫২ ভোট, শেখ মাহমুদ হাসান (প্রতীক-ব্রিজ) পেয়েছেন ৫২ ভোট।
    কাউন্সিলর ৫নং ওয়ার্ডে: শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন (প্রতীক-পানির বোতল) ১৭২৬ ভোট পেয়েছেন। মো. শাহিনুর রহমান (প্রতীক-গাজর) ১৬৯৪ ভোট, মো. আবু সাঈদ (প্রতীক-ব্রিজ) ১৬১ ভোট, মো. আব্দুর রাজ্জাক (প্রতীক-ফাইল কেবিনেট) ৭৪ ভোট, মো. আব্দুল মালেক (প্রতীক-ব্লাকবোর্ড) ৫৮ ভোট, মো. আমিরুল ইসলাম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ১৬৭৬ ভোট, মো. ফারুক হোসেন (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ৩৩ ভোট, মো. মিজানুর রহমান (প্রতীক-ডালিম) ১৮০ ভোট এবং মো. শহিদুল ইসলাম (প্রতীক-উট পাখি) ৮০০ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৬নং ওয়ার্ডে: শেখ মারুফ আহম্মেদ (প্রতীক- ডালিম) ২৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। মো. শহিদুল ইসলাম (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ২৬৩৯ ভোট, মো. কামরুজ্জামান (প্রতীক-পানির বোতল) ৪৫৮ ভোট, মো. রফিকুল ইসলাম (প্রতীক-উটপাখি) ৫০৩ এবং শেখ মাহমুদ হোসেন (প্রতীক-ব্রিজ) ৮৯ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ডে: শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু (প্রতীক-পানির বোতল) ৩২৩৮ ভোট পেয়েছেন। এসএম জাহানুর হুসাইন (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ১৮২১ ভোট, মো. শাহাব উদ্দীন (প্রতীক-ঢেঁড়শ) ৫৬ ভোট, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (প্রতীক-ডালিম) ৩৮৫ ভোট, মো. জাহেদুল ইসলাম (প্রতীক টেবিল ল্যাম্প) ৮৫৯ ভোট এবং মো. রেজাউল করিম (প্রতীক-উট পাখি) ২৭ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৮নং ওয়ার্ডে: মো. শফিকুল আলম বাবু (প্রতীক-পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ৪৫৪৯ ভোট। মো. আনারুল ইসলাম রনি (প্রতীক-উটপাখি) ৯৭৫ ভোট, মো. মনিরুজ্জামান মনির (প্রতীক-পানির বোতল) ২৪০ ভোট, মো. শওকত আলী (প্রতীক-ডালিম) ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।
    কাউন্সিলর ৯নং ওয়ার্ডে: শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর (প্রতীক-উটপাখি) ৩৭৪৬ ভোট। মো. জিল্লুর রহমান (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) ৩২২৮ ভোট, মো. আবিদুল হক (প্রতীক-পাঞ্জাবি) ১৭২ ভোট এবং এমএ রাজ্জাক (প্রতীক-ডালিম) ২৮৬ ভোট পেয়েছেন।
    জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. নাজমুল কবির বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করে জানান, যথা সময়ে সরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫৬০৬৮। এরমধ্যে বাতিল হয় ১৪২টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৫৯২৬।

  • ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায়  ভোটগ্রহন চলছে-

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় ভোটগ্রহন চলছে-

    সাতক্ষীরায় চলছে ভোটগ্রহন-ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ভোট। সকাল থেকে একযোগে পৌরসভার ৩৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন শুরু হয়।

    ভোটাররাও দলে দলে এসে ভোট দিতে শুরু করেন। বিশেষ করে কর্মজীবী নারী ও পুরুষ ভোটাররা প্রথম পর্যায়ে ভোট দিতে আসেন কেন্দ্রে।

    তারা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন চলছে সব কেন্দ্রে।ভোট কেন্দ্র এলাকায় নিয়োগ করা হয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য। সাতক্ষীরা পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৮৯ হাজার ২২৪ জন।

    তাদের মধ্যে নারী ভোটার ৪৫ হাজার ৮০৬ ও পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৪১৮ জন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের শেখ নাসেরুল হক (নৌকা), বিএনপির তাজকিন আহমেদ (ধানের শীষ) , স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু (নারকেল গাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল হুদা (জগ) এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মোস্তাফিজুর রউফ (হাতপাখা)। এছাড়া মাঠে রয়েছেন সংরক্ষিত আসনের ১২ জন নারী ও ৫২ জন সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থী।

  • ইজিবাইক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ইজিবাইক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ইজিবাইক সমিতির আয়োজনে ইজিবাইক সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ইজিবাইক সমিতির ও পৌর ভুমিহীন সমিতির সভাপতি আশরাফুল গাজীর সভাপতিত্বে এবং জেলা ভুমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি মফিজুর রহমানের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইজিবাইক সমিতির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বাবু। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, অফিস সহকারী বাবলু। এসময উপস্থিত ছিলেন শেখ এনামুনজ্জামান, লাবসা ভুমিহীন সমিতির আহবায়ক মিজানুর রহমান, ভোমরা ভুমিহীন সমিতির সদস্য সচিব জাকির হোসেন, ইজিবাইক সমিতির সহ-সভাপতি আলমগীর, আশরাফুল, সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া, দেলোয়ার, সবুর, আলা আমিন,আঃ রহমানসহ ইজিবাইক সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি আমিনুর রহমান বাবু বলেন সাতক্ষীরা পৌরসভাকে উন্নয়ন করতে হলে আওয়ামীলীগ মনোনিত পৌরসভা মেয়র প্রার্থী শেখ নাসেরুল হকের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। শেখ নাসেরুল হকের নৌকা প্রতীক ছাড়া বিকল্প নেই।

  • সাতক্ষীরার রাজারবাগান এলাকায় সাবেক সেনাসদস্যের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা, ভাংচুর, নির্যাতিতা গ্রেফতার

    সাতক্ষীরার রাজারবাগান এলাকায় সাবেক সেনাসদস্যের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা, ভাংচুর, নির্যাতিতা গ্রেফতার

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকায় সাবেক সেনাসদস্য রবিউল হাসানের বাড়িতে প্রকাশ্যে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারের লোকজন ও তার সমর্থক ছাড়াও বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মধ্যে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়।
    সাবেক সেনাসদস্য রবিউল হাসান জানান, হামলাকারীরা তার ঘরের টিনের চাল উল্টে ফেলে। ভেতর থেকে ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র টেনেহিচড়ে ফেলে দেয় এবং তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন ও দুই মেয়েকে মারধর করে। তারা তাসলিমা খাতুনকে বাড়ির মধ্য থেকে চুলের মুঠো ধরে টেনেহিচড়ে বাইরে আনে এবং তার পরনের কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেলে। এসময় তাসলিমা খাতুন ও তার দুই মেয়ে আহত হন। পরিবারের পক্ষ থেকে তারা বাধা সৃষ্টি করলেই এসব ঘটনা ঘটে। সাবেক এই সেনা সদস্য আরও জানান, প্রতিবেশীরা ছুটে এলে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আসার পরপরই হামলাকারীরা চলে যায়। তার বাড়িঘর. আসবাবপত্র ভাংচুর করে অনেক টাকা ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসময় তিনি ও তার ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেশী করে শাসিয়ে গেছে।
    এদিকে, পুলিশ সেনাসদস্য রবিউল হাসানের স্ত্রী তাসলিমাকে উল্টো থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে বসিয়ে একটি মামলা করে বিকালে তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূ তাসলিমা বটি হাতে নিয়ে বাড়ির বাইরে আসে। ভিডিও ফুটেজে সেটা ধরা পড়েছে। এসময় দুইজন নারী আহত হন বলে জানান তিনি। তবে রবিউল হাসান জানান, বাড়িতে হামলার পর আত্মরক্ষার জন্য তার স্ত্রীসহ অন্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এসময় তাদেরকে টেনেহিচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালে তিনি থানায় একটি মামলা জমা দিয়েছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।
    সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট রবিউল হাসান আরও জানান, আব্দুল কুদ্দুস এবং তিনি পাশাপাশি বসবাস করেন। বছর কয়েক আগে আব্দুল কুদ্দুস একটি বহুতল ভবন নির্মান করে মেয়েদের ছাত্রীনিবাস করেছেন। এই ছাত্রীনিবাস থেকে দিনে দুপুরে ও রাতে জানালা দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যবর্জ্য, থুতু কাশি, মাথার চুল, পেপসি বোতলসহ নানা অপদ্রব্য বাড়ির মধ্যে ফেলে থাকে। এ নিয়ে বারবার ঝগড়াঝাটি হয়েছে। প্রতিবাদ করার পরও ছাত্রীনিবাস থেকে তা বন্ধ করা হয়নি। বরং আব্দুল কুদ্দুসের উস্কানিতে তারা এ কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাতে জানালা খুলে রেখে উচ্চস্বরে গানবাজনা করিয়ে ছাত্রীনিবাসের সদস্যরা প্রতিবেশীদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রবিউল হাসান আরও জানান, তিনি বারবার এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এসে তদন্ত করে প্রতিপক্ষের পক্ষেই কথা বলে গেছেন এবং তাকে জানিয়েছেন, আপনিও একটি বহুতল ভবন তৈরী করুন। তার অভিযোগ, পুলিশ এ সংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার এই ঘটনাগুলো ঘটে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেছেন।

  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় ভোমরা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় ভোমরা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


    ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ৮৬/সাত-২০০৯ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত এখনো কোনো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেনি।
    সমবায় আইন ও বিধান মোতাবেক ২৭(১) এর ধারা মতে অনন্য ৩০ দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার আইন রযয়েছে এমতাবস্থায় সঠিক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সাধারণ শেয়ার সদস্যদের মধ্যে সংশয় ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং উক্ত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অনুকূলে সুস্থ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটা আশা করতে পারছে না সমিতির সাধারণ শেয়ার সদস্যরা। সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে নির্বাচনের আর মাত্র ২০ দিন বাকি থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোন তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এছাড়া যে তিনজনকে নির্বাচন কমিশন বানানো হয়েছে তাহাদের পূর্বের কোন প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন পরিচালনা করার কোন অভিজ্ঞতা নাই। তাছাড়াও যে দুইজনকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে তাহারা ভোমরা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। সমিতির সদস্যরা বলছে কর্মচারী দিয়ে মালিক সমিতির নির্বাচন করানোটা খুবই দৃষ্টিকটু। এজন্য ট্রান্সপোর্টের সদস্যরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এবং উক্ত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাহার ও বাতিল করনের জন্য জেলা সমবায় দপ্তর সাধারণ শেয়ার সদস্যগণ একটি লিখিত আবেদন পেশ করেছে এবং অতি দ্রুত অত্র সমিতিতে সমবায় আইন ও বিধির আলোকে প্রকৃত সদস্যদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিটি গঠন করতঃ নির্বাচন কার্য সম্পাদনের জন্য জেলা সমবায় কে অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • চিরনিদ্রায় শায়িত সুচিত্রা পান্ডে : শোক

    চিরনিদ্রায় শায়িত সুচিত্রা পান্ডে : শোক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দুপুর ২.২০ টায় সাতক্ষীরা বাগানবাড়ী চালতেতলাস্থ বাসভবনে সনামধন্য হোমিও চিকিৎসক ডাঃ লুকাস পান্ডের মাতা সুচিত্রা পান্ডে, স্বামী- মৃত যোসেফ পান্ডে, সকলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরম করুনাময়ের ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
    সুচিত্রা পান্ডের মৃত্যুতে মিশন এলাকা, বাগানবাড়ী, বাটকেখালী, কুখরালী, সুলতানপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১.০০টায় তার মৃত দেহ সাতক্ষীরা খ্রীষ্টরাজের গীর্জায় নিয়ে আসা হয় এবং ফাদার নরেন জে, বৈদ্যের খ্রীষ্টযাগ-প্রার্থনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার আত্মার শান্তি, কল্যাণ কামনা করার পর চালতেতলাস্থ মিশনের কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। অন্তোষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ফাদার, সিস্টার ও বিভিন্ন ধর্মের শুভাকাঙ্খী, আত্মীয় স্বজন ও ভক্ত জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
    জীবদ্দশায় সুচিত্রা পান্ডে ছিলেন খুবই শান্ত, অমায়িক ভদ্র ও নম্র স্বভাবের এবং অতিথি পরায়ন। আমরা কখনো তাকে রাগ করতে দেখিনি। সব সময় হাসি খুশি ছিলেন। প্রার্থনাশীল মানুষ ছিলেন তিনি। প্যারিশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন।
    মৃতকালে তিনি ৮ পুত্র ৬কন্যা সহ অগনিত আত্মীয় গুনগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা মিশনের ফাদার লরেন্স ভালোত্তি, ফাদার নরেন জে. বৈদ্য, সিস্টার তেরেজা গোমেজ, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় সক্রিয় খ্রীষ্টীয় সমাজের সাধারণ সম্পাদক পৌল সাহা, জনহালদার, নির্মল সরদার, শ্যামসন বিশ্বাস, বিজয় সরদার, বিকাশ মন্ডল, বিপ্লব সাহা, প্রত্যুষ গাইন, সবিতা, তেরেজিনা সাহা, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আনিসুর রহিম, মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হোসেন, অনিমা রাণী মন্ডল, কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান শাহীন, শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, তরঙ্গ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মোঃ মনির উদ্দীন মাস্টার, আলহাজ্ব রাশিদুজ্জামান এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

  • গড়েরকান্দা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন

    গড়েরকান্দা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গড়েরকান্দা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে গড়েরকান্দা বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে এম. বেলাল হোসাইনকে সভাপতি ও মাসুম বিল্লাল কে সাধারণ সম্পাদক করে গড়েরকান্দা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়।
    কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন, সহ-সভাপতি আবু সাঈদ কারিকর, তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু সরদার, কোষাধ্যক্ষ ফজলু সানা, শফিকুল ইসলাম, হযরত আলী সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদুল ইসলাম পল্টু, মিলন গাজী, আশিক গাজী, ক্রীড়া সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, ইছা গাজী, সেলিম হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফজলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, জাহিদ হাসান,প্রচার সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান, মুছা গাজী, সাইফুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাহেব আলী গাজী, রফিক শেখ, আব্দুর রহিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাও: জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, বাবলু সরদার।
    সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়িতে দূর দূরান্ত হতে স্বজনদের জন্য তাৎক্ষনিক খাওয়ানো থেকে শুরু করে দাফন করা পর্যন্ত স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে অংশগ্রহণ করবে বলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান।

  • টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণের কার্যক্রম। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রোববার দুপুর ১২টায় এর উদ্বোধন করেন সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি।
    এরপর একে একে টিকা গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তাঞ্জিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন, বিজিবি’র মাদ্রা কোম্পানী কমান্ডার (মেজর সিটি) নায়েক মীর আবু সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।


    সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার থেকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একটানা ১২ দিন এ কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিনে জেলায় ৮৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন তারা জেলায় এক হাজার ২০০ লোককে টিকা দিতে পারবেন। প্রতি হাসপাতালে ১৬ জন সেবিকা ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেয়ার কাজ করছেন।


    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্ফা কামাল টিকা গ্রহণের পর বলেন, বিশ্বের অনেক ধনী দেশ থাকতেও বাংলাদেশের মত একটি দেশে এত তাড়াতাড়ি টিকা পাওয়া এবং তিনি তা গ্রহণে করতে পারায় নিজেকে গর্বিত বোধ করছেন। তিনি আরো জানান, এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি এ সময় কোন গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানান।


    এদিকে রবিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিশিল্ড টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এসময় উপজেলার মধ্যে প্রথম কোভিশিল্ড টিকা নেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিপ্লব মন্ডল। তিনি ছাড়াও প্রথম দিনে টিকা নিয়েছেন উপজেলার মোট ৩৮ জন ব্যাক্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা এপর্যন্ত দেবহাটা উপজেলাতে ৩৭০ ভায়াল কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছি।

    যা থেকে তিনহাজার সাতশ জনকে প্রথম পর্যায়ে এই টিকা দেয়া সম্ভব। কেবলমাত্র যারা অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন তারা টিকা নিতে পারবেন। তবে প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র মনোনীত সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৫৫ বছরের উর্দ্ধে বয়স্ক নাগরিকদের কোভিশিল্ড টিকার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। বাকিরাও শীঘ্রই কোভিশিল্ড টিকা পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এপর্যন্ত দেবহাটা থেকে প্রায় দেড়শ ব্যাক্তি অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন। টিকা প্রদানকালে ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ, আরএমও ডা. বিপ্লব মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


    কালিগঞ্জে নিজে গ্রহণের মাধ্যমে টিকা কাযক্রমের উদ্বোধন করলেন রুহুল হক এমপি
    অপরদিকে দৈনিক দক্ষিণের মশালের কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী¡ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক। কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজে টিকা নিয়ে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর নিজে হাতে একজন ডাক্তার হিসাবে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী কে নিজে হাতে টিকা প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, মেডিকেল অফিসার মোয়াজ আরবার প্রমুখ।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক আলহাজ্ব ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন টিকা নেওয়াতে ভয়ের কিছু নাই। কোন গুজবে কান না দিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তার বিধানের জন্য নিবন্ধন করে এই টিকা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। পরে তিনি হাসপাতালে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।


    অপরদিকে তালা প্রতিনিধি শাহীনুর রহমানের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, তালা হাসপাতালের কোনো ডাক্তার বা নার্স ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় অগত্যা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আমিনুর শেখ (৩১)’র শরীরে টিকা দিয়ে কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। তিনি আটুলিয়া গ্রামের মৃত্যু সিরাজ শেখের পুত্র।
    স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ-উল-হাসান, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার মহমান, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মুর্শিদা পারভিন পাপড়ি’সহ হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
    রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) অনলাইনে আবেদনকৃত ১৭ জন ব্যক্তিকে টিকা প্রদানের তালিকা ভূক্ত করা হলেও কেহই টিকা নেননি। গ্রাম পুলিশ আমিনুর তালিকা ভূক্ত না হলেও তাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভোধন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকলেও তারা টিকা নেননি।
    এ বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা সদরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
    গ্রাম পুলিশ আমিনুর বলেন, হাসপাতালের কেহই টিকা নিতে রাজি না হওয়ায় আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে টিকা নিয়েছি। আমি এখনো সুস্থ আছি, আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
    ডাঃ রাজিব সরদার বলেন, আজ টিকা কার্যক্রম উদ্ভোধন হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আমরাও টিকা নিব। আজ নিলেন না কেন বা হাসপাতালের কেহই টিকা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার বা নার্সরা টিকা না নেওয়া দুঃখজনক। সবার আগে তাদের টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিতি দূর করতে হবে। তা না হলে সরকারের এ মহতি উদ্দ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

  • সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নলকূপ বসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নলকূপ বসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) কর্তৃক উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে আরো একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি সরবাহের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত খোদ বক্সের ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার অনুমোদিত বিআরডিবি’র মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা মৌজার ১৭০ নং খতিয়ানের ৬৮৫ দাগে ৬ শতক জমিতে একটি গভীর নলকূপ বসাই। সেই থেকে এই নলকূপের মাধ্যমে আশেপাশের প্রায় ৩৩ একর জমিতে স্থনায় কৃষকের ইরি ব্লাকে পানি সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাথন্ডা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী (জুলু) ও মৃত সামছুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম গত ৬/০৭/২০ তারিখে একই এলাকায় আমাদের নকূপ থেকে আনুমানিক ১৫০ মিটারের মধ্যে আরো একটি গভীর নলকূপ বসানো শুরু করে। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ এর ৮০০ মিটারের মধ্যে আর কোন গভীর নলকূপ বসবে না। এছাড়া সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন গভীর নলকূপ বসানো যাবে না। এঘটনায় আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সভাপতি উপজেলা সেচ কমিটি, বিএডিসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আমার অভিযোগে প্রেক্ষিতে ৭/০৭/২০ তারিখ সকাল ১০ টায় বিএডিসি’র পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্তে এসে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় জুলফিকার গংদের নকূপ স্থাপন বন্ধ রাখার জন্য বলা হয় এবং লাল ফ্লাগ স্থাপান করা হয়। এছাড়া ৯/০৭/২০ তারিখে বিএডিসি’র সহকারি প্রকৌশলী মোঃ হাফিজ ফারুক তার তদন্ত প্রতিবেদনে নীতিমালা অনুযায়ী সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে এবং জুলফিকার আলীর গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ সরকারি নীতিমালা পরিপন্থি হওয়ায় আপতত স্থগিত রাখা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী লাল ফ্লাগ তুলে ফেলে কাজ শুরু করে। আমরা নিষেধ করলে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদেরকে মারপিট করতে আসে। পরে আমরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত ইনজাকশন জারি করেন। এঘটনায় জুলু গংরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এঘটনায় আমরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করি। পরে এডিএম কোর্টে ১৮৫ ধারায় মামলা করি। কিন্তু এসবর পরও জুলফিকার আলী গংরা উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে একই স্থানে গভীর নলকূপ স্থপানের কাজ অব্যহত রাখার চেষ্টা করছে। একই সাথে জুলফিকার আমাদের গভীর নলকূপের মেশিন চালাাতে বাধা দিচ্ছে এবং তার মেশিন চালানোর পায়তারা করছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য ও সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে জুলফিকার আলী গংরা যাতে কাথন্ডা মৌজায় একই স্থানে কোন গভীর নলকূপ চালু করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • মুনসুর আহমেদের কবর জিয়ারত করলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ

    মুনসুর আহমেদের কবর জিয়ারত করলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের এর কবর জিয়ারত করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
    গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সদ্য প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ সদ্য প্রয়াত নেতা মুনসুর আহমেদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
    কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য রহিল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফাসহ- সভাপতি মোঃ আছাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুনুর উর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহজাহান আলী, আসাদুজ্জামান অসলে, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, মীর মশাররফ হোসেন মন্টু,মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাঈদ মেহেদী, নাজমুন নাহার মুন্নি, মাহফুজা খানম রুবি, ছেলে ব্যাংকার রাজিব আহমে সহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অজ্ঞসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিল

    তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিল

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : নড়াইল আদালতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজা দেওয়ায় সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জজকোর্টের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
    এতে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের আহবায়ক আয়ুব আলী, সদস্য সচিব শাহিন হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, মহিউদ্দীন কোরাইশ, শেখ রাসেল হোসেন, সদস্য অহিদুর হোসেন, আরিফুল হোসেন,নয়ন ইসলাম ছাড়া সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরাফাত হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

    এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মঞ্জরুল আলম বাপ্পি সদস্য সচিব মোঃসোহেল রানা যুগ্ম আহবায়ক ফারহান মাসুক,তানভীর হাসান অভি,কাজি ইমরান,মাসুম বিল্লাহ সাগর এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাহিনুর হৃদয় উৎস প্রমুখ।