সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের ৩জন কে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। যার নং- ৪৭, তাং- ২৫/০৪/২০২১।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলাকারীরা মিন্টু, মনিরুল ও আজহারুলকে বাঁশের লাঠি, জিআই পাইপ, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Category: সাতক্ষীরা সদর
-

একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে জখম
-

সাতক্ষীরা আদালতে সিনিয়র আইনজীবীদের হট্টগোল
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি দেওয়ায় আসামীপক্ষের আইনজীবীর আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. এম শাহ আলম ও পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উপস্থিত আইনজীবীরা জানান, এ সময় জজ কোর্টের তিন তলায় তার ল. চেম্বারের আসবাবপত্র ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।
এ্যাড, রফিকুল ইসলাম ও এ্যাড. গোলাম মোস্তফা জানান, ধর্ষণ মামলার জনৈক আসামীর জামিন শুনানীর জন্য সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দিন ধার্য ছিল। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম। দুপুর একটার দিকে যার যার চেম্বারে বসে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন শুনানীকালে আসামী ও ভিকটিম বিবাহ করেছেন ও তাদের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতকে অবহিত করেন এ্যাড. এম শাহ আলম। এ সময় ভিকটিম ও তার বাবা মামলার বাদি এ্যাড. এম শাহ আলমের চেম্বারে বসে আছেন জানালে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ আপত্তি জানান। জামিনের আপত্তি জানিয়ে তিনি ভিকটিম ও বাদিকে স্বশরীরে দেখতে চান। বাদি ও ভিকটিম প্রকৃত কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদেরকে তার চেম্বারে আনতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এম শাহ আলম পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য অশালীন মন্তব্য করেন। বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানসহ বেশ কিছু আইনজীবীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আদালত ওই আসামীকে দু’ হাজার টাকার ব-ে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেন। -

সাতনদী‘র সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক সাতনদী‘র সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও অষ্টম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সন্ধায় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার অফিসে পবিত্র রমজান ও কোভিড পিরিয়ডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: হাবিবুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাহিত্য, সংকৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মাছুদুর জামান সুমন ও সদস্য খন্দকার আনিসুর রহমান প্রমুখ।
-
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা
নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও ফুলেল শুভেচছা বিনিময় করেছেন সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। রবিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে করোনাকালীন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। করোনা কালে জনগনকে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সচেতন করায় সংবাদ কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফিজুল ইসলাম আককাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আলী, ,সদস্য রাহাত রাজা, সৈয়দ সাদিকুর রহমান, মো.শহিদুজ্জামান শিমুল, সেলিম হোসেন, আজিজুল ইসলাম ইমরান প্রমুখ । -

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিক্রয় লাইসেন্স বাস্তবায়ন জরুরী
নিজস্ব প্রতিনিধি: তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা রোধে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র ও কর্মকর্তাদের সাথে এ তামাক বিরোধী মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুপ্তা সুলতানা। দি ইউনিয়ন এর আর্থিক সহযোগীতায় ও এইড ফাউন্ডেশন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সাতক্ষীরার সংগঠন ‘মৌমাছি’ ও ‘সাতক্ষীরা সদর পৌরসভা’র সহযোগীতায় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র আলহাজ¦ মো. তাজকিন আহমেদ চিশতি। সভায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সাতক্ষীরায় তামাক নিয়ন্ত্রণে বাস্তবায়িত কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। যেখানে দেখা যায়, ‘তামাকের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার করছে সাতক্ষীরা সদর পৌরসভার ২২১ টি দোকান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৬ শতাংশ বিজ্ঞাপন প্রচার করছে তামাক কোম্পানীগুলো, যা স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনত দন্ডনীয়। সভার আলোচনায় উল্লেক করা হয়, করোনা মহামারীতে তামাক কোম্পানির এরকম প্রচার-প্রচরণা খুবই বিপদজনক। যারা ধূমপান করে করোনাযা তারা ১৪ শতাংশ বেশি মৃত ঝুঁকিতে থাকে। এজন্য ভ্রামমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সকল বিজ্ঞাপন ও প্রচারকারীদের জরিমানা ও শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে বিক্রয় লাইসেন্স বাস্তবায়ন করা হোক।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ অনন্যা রহমান, মৌমাছির নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত মল্লিক। তামাক বিরোধী এ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক। -

সাতক্ষীরা জেলা কারাগার পরিদর্শণে এমপি রবি
নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা কারাগার পরিদর্শণ ও কারাবন্দীদের জন্য সিলিং ফ্যান ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে যান এমপি রবি এবং কারবন্দীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
কারাগারের বন্দিরা কোন মতে যেন করোনায় আক্রান্ত হতে না পারে সেক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দেন এবং কারাগারের মূল ফটক ও ওয়ার্ডগুলোতে সাবান ও হান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এসময় এমপি রবি তার পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের কারাবন্দীদের জন্য ৫টি সিলিং ফ্যান এবং করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করেন এবং জেলার কামরুল ইসলাম, জেল সুপার মো. সাঈদ হোসেন ও ডেপুটি জেলার রাকিব শেখ এর সাথে কারাগারের সার্বিক অবস্থা ও কারাবন্দীদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।
‘গত বছর ১৪ এপ্রিল ২০২০ সালে জেলা কারাগার পরিদর্শন করে জেলার কারাবন্দীদের স্বার্থে ১০টি সিলিং ফ্যান তাৎক্ষণিক এমপি রবি তার পক্ষ থেকে জেলা কারাগারে প্রদান করেছিলেন।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদুসহ জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -

কৃষকলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার কাটিয়াস্থ জেলা কৃষকলীগের কার্যালয়ে সকাল ১০টায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে মাল্যে দান করা হয়। সকাল ১১টায় জেলা কার্যালয়ে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিত সাধুর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মিসেস মাহফুজা সুলতানা রুবি, সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষকলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মো: মনজুর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যড. আল মাহমুদ পলাশ, দপ্তর সম্পাদক মো: আতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি স ম তাজমিনুর রহমান টুটুল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো: আবু রাইহান, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মো: সামছুজ্জামান জুয়েল, সদর উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, পৌর কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: বাবলুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মো: রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেণ, কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সাল্যে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
-
সিনিয়র সাংবাদিকদের বিবৃতি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: আমরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নি¤œস্বাক্ষরকারী সদস্যবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, গত ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় “পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পূজার পারিবারিক খরচ বাবদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা করে ইচ্ছুক সদস্যদের প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে” মর্মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে এবং উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
ইচ্ছুক সদস্যদের পারিবারিক খরচ বাবদ টাকা প্রদানের বিষয়টি পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি প্রচার করার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি সাংবাদিকদের জন্য মর্যাদাহানীকর বলে আমরা মনে করি। যা ইতোপূর্বে কখনো ঘটেনি। প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পদের উপর সকল সদস্যের অধিকার রয়েছে এবং সে অর্থ ব্যয় সম্পর্কেও প্রেসক্লাবের গঠনতান্ত্রিক বিধান ছাড়াও প্রচলিত রীতিনীতি প্রথা রয়েছে। ক্লাবের কোন দুস্থ্য সদস্যকে সহায়তা করার প্রয়োজন হলে সেটাও ঢাক ঢোল না পিটিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা না করে এ ধরনের প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রদানের ঘটনা সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমরা এ ধরণের প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রদানের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সূভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মোঃ আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাপ্তাহিক সূর্যের আলোর সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, সিনিয়র সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, কাজী শওকত হোসেন ময়না, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, আবুল কাশেম ও আব্দুস সামাদ।
এব্যাপারে আরো বিবৃতি দিয়েছেন, দৈনিক ইনকিলাবের শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, দৈনিক আমার বার্তার এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক প্রবাহের এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, ডিবিসি নিউজের এম জিল্লুর রহমান, দৈনিক খবর পত্রের মোঃ রবিউল ইসলাম, দৈনিক কালের চিত্রের আশরাফুল ইসলাম খোকন ও মোঃ নজরুল ইসলাম, দৈনিক কালের কণ্ঠের মোশারফ হোসেন, দৈনিক গণজাগরণের শেখ বেলাল হোসেন, দৈনিক নয়াদিগন্তের মুহাঃ জিল্লুর রহমান, চ্যানেল নাইনের কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জি, দৈনিক খোলা কাগজের ইব্রাহিম খলিল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, ঢাকা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, দৈনিক তথ্যের সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, দৈনিক সমাজের কাগজের আমিরুজ্জামান বাবু, দৈনিক বাংলার এসএম শহিদুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিণের মশালের মৃত্তিকা এলাহী, সিটিজেন টাইমস এর ফারুক রহমান, বাংলা টিভির গোপাল চন্দ্র, সময়ের আলোর কাজী শহিদুল হক রাজু প্রমুখ। -
সচল ভোমরা বন্দর : আমদানি কমায় রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা
মশাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলতি লকডাউনে চালু রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। তবে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় গতবারের মতো এবারও এই বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে সি অ্যন্ড এফ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বন্দরের অন্য বন্দরের মতো পণ্য আমদানিতে ছাড় না দেয়া ও অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতার কারণে বাইরের আমদানিকারকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্যের ওপর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৯৮৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। তবে রাজস্ব আদায় হয় ৫৭৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সেবার রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি হয় ৪০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৬ কোটি ২ লাখ টাকা। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪০কোটি ৮৩ লাখ টাকা। চলতি মাসে চলছে লকডাউন, সামনে সময় আছে মাত্র দুই মাস।
ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক মো. মোহসিন বলেন, ‘বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে চাল, পেঁয়াজ, আদা, বিভিন্ন ফল, পাথর, গোখাদ্যসহ বেশকিছু পণ্য আমদানি হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজান ও চলমান লকডাউনের কারণে বাজারে ফলসহ অন্য কাঁচামালের চাহিদা কম তাই, আমদানিও কমিয়ে দিয়েছি। অন্য বন্দরে কাঁচামালে কিছুটা ছাড় থাকায় সেখান দিয়ে বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে। ভোমরা বন্দরে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে, এদের কারণে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দরে আমদানি করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।’ভোমরা বন্দর আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, ‘বন্দরের ঠিকাদারের একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে ডাবল লেবার বিল নিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্দরের ব্যসবসীয়দের জটিলতা তৈরি হয়। ঐ সময় প্রায় এক সপ্তাহ পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। পরে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। তবে এই সময়ে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই অন্য বন্দরে এলসি খুলে পণ্য এনেছেন। যে কারণে এবার লকডাউনে বন্দর চালু থাকলেও আমদানি কিছুটা কমেছে। তাছাড়া পবিত্র মাহে রমজান ও লকডাউনে অনেক ব্যববসায়ী অগ্রিম পণ্য এনে মজুদ রেখেছেন। বাজারে বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ায় অনেকে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করছেন না।’
ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত অর্থবছরে করোনা মহামারিসহ নানা কারণে বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এবার লকডাউনের মধ্যেও বন্দর সম্পূর্ণ চালু রয়েছে। চলতি মাস থেকে হঠাৎ করেই ব্যববসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে এবারও রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হতে পারে।’
ভোমরা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের বিষয়টি সঠিক নয়। মূলত আমাদানিকারকরা যে বন্দরে ছাড় পাবেন সেখানেই পণ্য আমদানি করেন। বর্তমানে ভোমরা বন্দরে কোনো ছাড় নেই। ফলে অনেক ব্যবসায়ী ভোমরা দিয়ে আমদানি করছেন না। এতে সরকারের যেমন রাজস্ব কমেছে, তেমনি আমরা যারা সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট রয়েছি তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পাশাপাশি অনেক শ্রমিক বেকার হয়েছেন।’ -

সাতক্ষীরায় স্বর্ণের বারসহ আটক ১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ী এলাকা থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২ পিস স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আজ সোমবার ভোরে স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করা হয়।
সোনা চোরাকারবারি নাম নুরুল ইসলাম (৫৫)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। বিজিবি জানায়, স্বর্ণের একটি বড় চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি কমান্ডার নায়েক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল শিকড়ী সরদারবাড়ী পাকা রাস্তার মোড় নামক স্থান থেকে দুই পিস স্বর্ণের বার ও একটি মোটরসাইকেলসহ চোরকারবারি নুরুল ইসলামকে আটক করে।
বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
-

সদর উপজেলার শাল্যে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শ্যাল্যে গ্রামে ল্যাট্রিন হাউজ করাকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের হামলায় আহত হয়েছে মনিরুল ইসলাম( ৪৮)নামে এক সংবাদ কর্মী। ঘটনাটি রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শ্যাল্যে গ্রামে ঘটে। আহত ব্যক্তি মনিরুল ইসলাম হলেন শাল্যে গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র। তার মাথায় জখম ও শরিরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত মনিরুল জানান তার বসতভিটার মধ্যে লেট্রিনের হাউজ করছিলাম এসময় একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের পুত্র শরিফুল ইসলাম ও তার পুত্র আবিদুর রহমান আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লোহার রড, শাবল দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।পরিবার ও এলাকাবাসি আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ভূক্তভোগী এ প্রতিবেদককে জানান। হামলার বিষয় শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
০১৭৩৪৪৬৮৫৬৯
-
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃৃতিতে জেলা আ’লীগের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিনিধি:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসর । দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম একটি অংশ ও এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ঐ বিশাল আমবাগান এলাকাকেই পরে ‘মুজিবনগর’ নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালির নিজস্ব আবাসভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, শিমুল সামস্, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি নুরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর বসু, লিটন মির্জা, মিজানুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, মোস্তাফা আলী সহ সদর উপজেলা ও পৌর আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সংবাদদাতা: করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে, জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ১৬৩ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩৭ জন। শুক্রবার ভোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম সামছুর রহমান (৮০)। তিনি শহরের পুরাতন সাতলমঘীরা এলাকার মৃত সেকেন্দার সরদারের ছেলে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ¦র, সর্দি, কাশি, শ^াসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সামছুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। -

লকডাউন: লকাপে সাতক্ষীরা
অনলাইন রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা ঠেকাতে আজ থেকে টানা আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। সারাদেশের মত সাতক্ষীরাতেও সরকারের এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হচ্ছে। গতকাল থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সাতদিনের জন্য নতুন করে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
শহরে প্রশাসনের কঠর কর্যক্রম না থাকলেও সাধারণ মানুষ বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় নামেনি। এ সময় জরুরি সেবা, গণমাধ্যম, নিত্যপণ্য, ঔষধ, খাবার দোকান বাদে যাত্রীবাহী পরিবহন, সব ধরনের দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। অবশ্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা বিশেষ করে গার্মেন্টস খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
এছাড়া সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে। সব ব্যাংকের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। সর্বাত্মক লকডাউন নিয়ে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলাতে লকডাউন চলছে। শহরে চোখে পড়ার মতো সারি সারি দোকান পাট সকাল থেকে বন্ধের চিত্র দেখা যায়।
এদিকে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সকাল থেকে মাঠে কাজ করছে। সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী যশোর ও খুলনা জেলার রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ ও আনসার যৌথভাবে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে।
যাতে করে এক জেলার থেকে আরেক জেলার মানুষ প্রবেশ করতে না পারে। সে জন্য কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।
-

ধারণক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস চলাচল : করোনার ঝুঁকি চরমে
নিজস্ব প্রতিনিধি: মহামারি করোনার ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় চলাচল করছে মাইক্রোবাস। সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে ভোর ৬টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা অবধি চলে যাত্রী উঠা-নামা। শহরের ব্যস্ততম জায়গায় প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অরাজকতা চললেও ব্যবস্থা না নেয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সকাল থেকেই শুরু হয় খুলনাগামী যাত্রীদের আনাগোনা। সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রথম মাইক্রোবাস ছাড়ে এখান থেকে। দশ সিটের মাইক্রোবাসে তোলা হয় ১৪/১৫ জন যাত্রী। ভাড়া নেয়া হয় ২শ’ টাকা। জেলায় বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি পোস্ট অফিস মোড়ের মাইক্রোবাস। এটাকে তাই অনেকে বিকল্প টার্মিনাল বলেও সম্বোধন করেন। সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর বারোটা পর্যন্ত আধাঘন্টা অন্তর খুলনাগামী যাত্রীদের বহন করা হয়। বারো থেকে চৌদ্দটি মাইক্রোবাস এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে ১৪ থেকে ১৫জন যাত্রী নিয়ে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে যায়। দুপুরের পর খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে আবারো শুরু হয় সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসগুলোর যাত্রা। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলে সাতক্ষীরাগামী যাত্রীদের উঠানো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাস মালিক জানান,মিনি বাসের মত মাইক্রোবাসে এভাবে যাত্রী বহন কোনভাবে বৈধ নয়। কারণ সরকারি রাস্তা গণপরিবহনে ব্যবহার করতে রুটপারমিশনসহ আনুসঙ্গিক অনেক কিছুই অনুমতির দরকার হয়। এছাড়া করোনা মহামারির সময়ে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে কিভাবে সম্ভব,প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সাতক্ষীরা-বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ্য আবু নাসের জানান,একটি বাস রোডে তুলতে গেলে রুট পারমিট বাবদ প্রতিবছর ৯শ’ টাকা,৮ হাজার ৫শ’ টাকা ট্যাক্স,৫ হাজার টাকা আয়কর ও ফিটনেস বাবদ ১ হাজার ৭ শ’ টাকা দিতে হয়। অথচ সরকারের কোন অনুমোদন ছাড়াই পোস্ট অফিস মোড় থেকে প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মাইক্রোবাস খুলনায় যাতায়াত করছে। বর্তমানে বাস চলছে না। কিন্তু যখন বাস চলতো,তখনও বাসের বিকল্প হিসেবে আলাদাভাবে একটা প্লাটফর্ম দাড় করানো হয়েছিল পোস্ট অফিস মোড়ে।
সম্পুন্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাইক্রোবাস কিভাবে চলছে,প্রশ্ন করা হলে মাইক্রোবাসগুলোর পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ভাই,খুলনা রোড মোড়সহ সব জায়গায় মাহেন্দ্র যেভাবে গাদাগাদি করে যাত্রীবহন করছে,সেদিকে তাকান না কেন? করোনা মহামারির মধ্যে গাদাগাদি করে যাত্রীবহন করা হচ্ছে,এমন প্রশ্ন শুনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন জাহাঙ্গীর।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর কামরুজ্জামান বকুল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধ মাইক্রোবাস পরিচালনার বিষয়ে এসপি স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন,আইনশৃঙ্খলা সমম্বয় কমিটির সভায় খুলনাগামী ভিসাপ্রার্থী যাত্রীদের নিয়ে ২টা মাইক্রোবাস চালানোর অনুমতি ছিল। তবে এখন সাতক্ষীরায় ভিসা সেন্টার হওয়ায় ওই অনুমোদনের কোন বৈধতা থাকেনা।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,করোনাকালিন সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এছাড়া অবৈধভাবে কোনকিছু পরিচালনা করার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাউকেই চলতে দেয়া হবেনা। নির্দেশনা অমান্যকারিদের সংক্রমণ নিরোধ আইন অনুযায়ী সাঁজা প্রদান করা হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা সমম্বয় কমিটির সভায় খুলনাগামী ভিসাপ্রার্থী যাত্রীদের নিয়ে ২টা মাইক্রোবাস চালানোর অনুমতি ছিল কিনা জানা নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক। -
মুন্সিপাড়ায় পৌর ড্রেন দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ায় জামায়াত অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌর ড্রেন দখল করে পরিকল্পনা বিহীন দ্বিতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি ওই এলাকার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে। পৌর ড্রেন দখল করে ভবন নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া একটি বৈদ্যুতিক পোল ভবনের মধ্যে রেখে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করায় যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তারা। স্থানীয়রা জানায়, রবিউল ইসলাম পৌরসভার ড্রেন দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন। এছাড়া ভবন নির্মাণ করতে পৌরসভা থেকে কোন প্লান পাশ করেননি। সুতরাং প্লান বহির্ভূত ভবন নির্মাণ হলে ঝড় অথবা ভূমিকম্পে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন হোসেন জানায়, এলাকাবাসী গত (৭ এপ্রিল) বুধবার পৌর মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর সার্ভেয়ার মামুন হোসেন পরিদর্শন করে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দারা জানায়, পৌরসভা থেকে কাজ বন্ধ রাখতে বললেও এখনও কাজ বন্ধ হয়নি। বরং তাড়াহুড়ো করে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার অপচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করছি। তাছাড়া আমার দ্বিতীয় তলায় টিনের চাল দেওয়া হবে। ওটা বিল্ডিং না। বিল্ডিং হলে পৌরসভা থেকে প্লান পাশ করাতাম’। সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আক্তার জানান, ‘পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই পৌরসভা থেকে প্লান নিয়ে কাজ করা লাগে। এছাড়া পৌরসভার রাস্তার পাশে ভবন নির্মাণ করতে হলে কমপক্ষে ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে নির্মাণ কাজ করতে হয়, তবে জায়গা বিশেষ কম-বেশিও হতে পারে’। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার সার্ভেয়ার মামুন হোসেন জানান, ‘রবিউল ইসলাম পৌরসভা থেকে কোন প্লান না নিয়েই কাজ করছিল। অভিযোগ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এছাড়া সে পৌরসভার ড্রেনের উপর ভবন নির্মাণ করছিল’। তিনি আরও জানান, ‘আমরা আজই নোটিস দেবো স্থাপনা অপসারণের জন্য’। -
ইজিবাইক চালককে জবাই করে হত্যা: আইনি জটিলতায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কিশোর ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সোহাগ হোসেন নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সরকারি গোরস্থান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতের সোহাগ হোসেন (১৪) সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুরের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, শনিবার বিকেল তিনটায় সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর মালীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক চালক কিশোর সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের পাশ থেকে রসুলপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদক কেনার ২০০ টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার ভোরে সালাউদ্দিনকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে জানায়। পরে তার দেখানো মতে বাইপাস সড়কের পাশের একটি খুপড়ি ঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বুরহানউদ্দিন বলেন, সালাউদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহজাহান সরদার বাদি হয়ে শনিবার রাতেই সোহাগ হোসেন এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সকল বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আইনি জটিলতা দূর করতে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগকে রোববার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে সোমবার সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হবে। -
ধুলিহর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম: থানায় অভিযোগ
ব্রহ্মরাজপুর প্রতিনিধি : সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়ন আ’লীগ যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য মোঃ আজাহারুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় সদর থানায় লিখিত এজাহার করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে প্রকাশ, বালুইগাছা গ্রামের মৃত নবাত আলী মোড়লের পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ আজাহারুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মোঃ সাদেক আলী মোড়লের পুত্র মোঃ রহমত আলী (৩৫) এর সাথে মসজিদের ছাদের কাজের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাহারই জের ধরে ১০ এপ্রিল শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে বালুইগাছা আলআকছা জামে মসজিদের ছাদের উপর থাকাকালে মোঃ আজাহারুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ রহমত আলী লোহার রড দিয়ে মাথায় জোরে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে ক্ষান্ত না হয়ে ঐ একই রড দিয়ে বাম হাতে আঘাত করে। এতে করে আজারুলের বাম হাতও ভেঙ্গে যায় । এক পর্যায়ে সে ছাদের উপর লুটিয়ে পড়লে তার শার্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়ের নগদ ৩১,৫০০ টাকা কেড়ে নেয়। এ ব্যাপারে আজাহারুল জানান, আমার উপর আঘাত করাটা ছিল তার পূর্বপরিকল্পিত । সে আমাকে জানে মেরে ফেলতে চাই। এমনকি আ’লীগের বড় নেতা হয়ে পড়েছিস, দেখি তোর কোন বাবা তোকে বাঁচায় এমন আস্ফালন করতে করতে চলে যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এব্যাপারে সদর থানায় মোঃ আজাহারুল ইসলাম লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এব্যাপারে মোঃ রহমত আলী জানান, আমাকে সে ধাক্কা মেরেছে আমিও তাকে ধাক্কা মেরেছি।