Category: সমিতি/সংগঠন

  • জেলায় মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড.আব্দুর রহিম খানের জন্মদিন পালিত

    জেলায় মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড.আব্দুর রহিম খানের জন্মদিন পালিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি : আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন(বিএমএফ) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক অধ্যাপক ড.মোঃ আব্দুর রহিম খান, পিপিএম, এর জন্মদিন পালিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের রেজিস্ট্রি অফিসের উত্তর পাশে সাতক্ষীরা ইভেনস্ লি. এর অফিসে সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে কেক কেটে জন্মদিন পালিত হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আপনের ব্যবস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আতুল কুমার ঘোষ, এসএম বিপ্লব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম মনির, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিয়ার রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কৌতুক অভিনেতা ইব্র্রাহিম হোসেন,সহ দপ্তর সম্পাদক গোলাম হোসেন, কার্যকারী সদস্য খুকুমনি, সমাজ কর্মী তানজিলা বেগম, সাপ্তাহিক জনতার মিছিলের প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংবাদিক মাসুদ আলী, এসএম আশরাফুল ইসলাম, মো: হোসেন আলী, রাহাতুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, নবনির্বাচিত জেলা সিনিয়র রোভারমেট উজ্জ্বল মোল্লা, নবনির্বাচিত জেলা সিনিয়র রোভারমেট(ছাত্রী)রামিশা ইসমিন সাবিনা, আনারুল ইসমাল প্রমুখ। এসময় সকলেই অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান পিপিএম, এর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।

  • রোটারাক্ট ক্লাব অব সাতক্ষীরার তিন টি ডিস্ট্রিক্ট এওয়ার্ড লাভঃ মামুন বেস্ট প্রেসিডেন্ট

    প্রেস বিজ্ঞাপ্তিঃ

    রোটারাক্ট ক্লাব অব সাতক্ষীরা রোটারাক্ট ডিস্ট্রিক্ট এওয়ার্ড “লিগাসি” ২০২০ এ  ২য় বেস্ট বুলেটিন, ৫ম বেস্ট ডি আর আর অফিসিয়াল ক্লাব ভিজিটি এবং ১৪তম বেস্ট প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড লাভ করেছেন। শুক্রবার সকালে ঢাকার পুরান পল্টনে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) অডিটোরিয়ামে এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এওয়ার্ড গ্রহণ করেন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব সাতক্ষীরার সাইনিং প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন, ট্রেজার আল আমিনুর রহমান, মুজাহিদ পারভেজ রাসেল। রোটার‍্যাক্ট ডিস্ট্রিক্ট সংগঠন ৩২৮১ আয়োজিত এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাইনিং ডি,আর,আর আবু বক্কর সিদ্দিক  রুপম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইনিং ডি,জি এম খায়রুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডি,জি ইলেক্ট ব্যারিস্টার মুনতাসীর বিল্লাহ ফারুকী, ডি,জি নোমেনি ইন্জিনিয়ার আব্দুল ওহাব। আরো উপস্থিত ছিলেন ডি, আর, আর কাওছারুল ইসলাম রুবেল, ডি, আর, আর নোমেনি এম মুস্তাফিজুর রহমান সহ রোটারাক্ট ডিস্ট্রিক্ট সংগঠন ৩২৮১ এবং ৩২৮২ এর পি ডি আর আর, ডি আর আর, ক্লাব প্রেসিডেন্ট, রোটারিয়ান এবং রোটার‍্যাক্টর বৃন্দ।

  • ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে  সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সকল মানুষের জীবিকা, খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নের দাবিতে মাসব্যাপি খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ ও প্রগতিসহ স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাসমূহের আয়োজনে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ক্যাব সাতক্ষীরা জেলার উপদেশ্ঠা অধ্যক্ষ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, খাদ্য একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশে মোটামোটিভাবে খাদ্য অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা। এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত সত্তর বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডে আমরা প্রায় আঠারো কোটি মানুষ বসবাস করি। এই ছোট্ট ভূখণ্ডে এতোগুলো মানুষের বসবাস সত্ত্বেও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের দেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা।

    তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার মাটি অত্যন্ত উর্বর। যেকোন জায়গায় যেকোন বীজ ফেলে রাখলেই তা থেকে চারা গজায়। সাতক্ষীরা কোন দিক থেকে পিছিয়ে নেই। ধান, মাছ, মাংস উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।

    তিনি  আজকের বক্তব্যের বিষয়ের সাথে সহমত পোষন করে মহান সংসদে উপস্থাপনের মাধ্যমে অধিকারে পরিনত করার উদ্যোগ গ্রহনের আশ্বাস দেন।

    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, ‘স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. বদরুজ্জামান প্রমুখ।

    সভায় ‘জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগর’, বাংলাদেশ ভিষণ, অর্জণ ফাউন্ডেশন, লাইট হাউজ কনসোটিয়াম, চুপড়িয়া মহিলা সমিতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা, বরষা, ব্রেকিং দা সাইলেন্স, সবুজ ফাউন্ডেশন, সুন্দরবন ফা্ন্ডেশনসহ স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘প্রগতি’র প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

    সকাল ৯-৩০ মিনিটি সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খাদ্য অধিকারের দাবীতে পোস্টার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা সংহতি ঘোষনা করেন। পরে র‌্যলিসহ পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে মানবন্ধন করেন, এখানে জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি অংশ নিয়ে একাত্বতা ঘোষনা করেন। পরে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • নাগরিক সমাজ গঠনকল্পে আশাশুনিতে পরামর্শ সভা

    নাগরিক সমাজ গঠনকল্পে আশাশুনিতে পরামর্শ সভা

    আশাশুনি ব্যুরো: নাগরিক সমাজ গঠন কল্পে আশাশুনিতে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোল্যা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রদর্শক ইয়াহিয়া ইকবালের পরিচালনায়আশাশুনি বাজারস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি,এম মুজিবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি জি,আল আল ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী নেওয়াজ, প্রভাষক মিজানুর ইসলাম, শিক্ষক কামরুন্নাহার কচি, হিন্দু মহাজোটের উপজেলা সভাপতি ডাঃ আশুতোষ রায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এসএম সাহেব আলী প্রমুখ।

  • প্রবীন দিবসে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

    প্রবীন দিবসে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

    মশাল ডেস্ক: প্রবীনদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করনীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রবীন জনগোষ্ঠী সমাজের পরম সম্পদ, তাঁদের প্রতি যতœশীল ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।“স্বাস্থ্য আপনার, সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের” শ্লোগানকে ধারণ করে সুস্থ, সবল, নিরোগ সাতক্ষীরা গঠনের লক্ষে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরা ও চিকিৎসা বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল “চিকৎসক বার্তা” -এর আয়োজনে ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, সাতক্ষীরা -তে এবারের বিষয় ছিল “প্রবীনদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করনীয়”। জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা এস এম মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে বিশেষজ্ঞ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বরেন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও পরামর্শক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরী সার্ভিসের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরার সভাপতি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ, বারডেম হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান, এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিউট হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চিকিৎসক বার্তা’র নির্বাহী সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ এবং কারিগরি সহায়তায় ছিলেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক বার্তা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিভেল চক্রবর্তী। সাতক্ষীরা জেলায় প্রবীনদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক।

  • সাতক্ষীরায় নিউজ নেটওয়ার্ক-এর কার্য নির্বাহী কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় নিউজ নেটওয়ার্ক-এর কার্য নির্বাহী কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নিউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা ককার্স-এর কার্যনির্বাহী কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ আগষ্ট রোববার বিকেল ৪ টায় কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    নিউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে নারী ও বালিকাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনজর্নিত বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
    সভায় সম্প্রতি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘প্রেরণা’ অফিসের নারী কর্মীদের উপর হামলা ও প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লিল মন্তব্য করা , আশাশুনিতে একটি পরিবারের নারী সদস্যদের উপর হামলার ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় গৃহবধু মৌসুমী শাহ টুম্পাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা করার ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া গত ২৯ আগষ্ট’২০ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মাধবি আক্তার (১৪) নামের এক পাগলি কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। সভায় ওই পাগলির সদ্যপ্রসুত শিশুটির সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোর দাবি জাননো হয়।
    এছাড়া মহামারি করোনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরত কামনা এবং যারা অসুস্থ তাদের আরগ্য কামনা করা হয়। সিভায় নউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা ককার্সের সদস্য শাখাওয়াত উল্লাহ’র অসুস্থ্য মার সুস্থতা কামনা করা হয়।
    সভায় বক্তব্য রাখেন , নিউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল আলম মুন্না, সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুল নাহার ঝুমুর, সদস্য শাখাওয়াত উল্লাহ ও সদস্য সুমন মুখার্জী।

  • ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন নাগরিক কমিটি

    ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন নাগরিক কমিটি


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভয়ংকর অবস্থা বিরাজ করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের আম্পান দুর্গত এলাকায়। পূর্ব থেকে ভাঙা বাঁধ এবং আমাবশ্যার জোয়ারের পানির প্রবল চাপে বিভিন্নস্থানে নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট মাছের ঘের ফসলের জমি সব একাকার।
    জোয়ারের সময় ১২/১৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথায় এক ইঞ্চি জমি জেগে নেই। রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া সবকিছুই প্রায় বন্ধ। মানুষের বেঁচে থাকাটা এখন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। উক্ত দুই ইউনিয়ন ছাড়াও জেলার আশাশুনি শ্যামনগর উপজেলাসহ বিভিন্নস্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
    এছাড়া ভাদ্র মাসের বৃষ্টিপাতে সাতক্ষীরা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধ এলাকাগুলো নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বহু মানুষের আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো চিংড়ি ঘেরের বাঁধ দিয়ে বন্ধ করাসহ অন্যান্য বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকায় সহসা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্তায় সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি জেলার মানুষের যান-মালের নিরাপত্তায় জরুরিভাবে

    ১. আশাশুনির প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ শ্যামনগর ও আশাশুনির উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া

    ২.পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে রান্না করা খাবার বিতরণ করা৩. ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা

    ৪. নতুন করে আর কোন বেড়িবাঁধ যাতে না ভাঙে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া

    ৫. সাতক্ষীরা শহরসহ জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা দ্রুত অপসারণের দাবী জানাচ্ছে।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরতলীর বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছে। নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, অপারেশ পাল, এড. মনির উদ্দিন, এড. আল মাহামুদ পলাশ, জহুরুল কবির, আসাদুজ্জামান সরদার, এড. রফিকুল ইসলাম ও এড. আবুল কালাম আজাদ।

  • নাগরিক কমিটির সভায় সাতক্ষীরায় সাম্প্রদায়িকতার পুন:উত্থানে উদ্বেগ

    নাগরিক কমিটির সভায় সাতক্ষীরায় সাম্প্রদায়িকতার পুন:উত্থানে উদ্বেগ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক সভা শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম।
    সভায় সম্প্রতি আশাশুনির তেঁতুলিয়া গ্রামে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা, শহরের বাকাল জেলেপাড়ার জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনের জমি দখল করতে ভাংচুর মারপিটের ঘটনা, কালিগঞ্জের নলতায় একটি এনজিও এর অফিস নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করে নারী বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উষ্কানী সম্বলিত বক্তব্য এবং শ্যামনগরের দক্ষিণ তালবাড়িয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের জমি দখল করতে হামলা মারপিটের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়। সভায় এসব ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্টির যোগসূত্রতা সম্পর্কেও পর্যালোচনা করা হয়। সভায় ২০১২ সালে কালিগঞ্জের ফতেপুর-চাকদহের ঘটনা স্মরণপূর্বক ২০১৩ সালে সাতক্ষীরায় উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্টির ব্যাপক তান্ডবের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় সাতক্ষীরা জেলায় সম্প্রতি সংঘটিত এসব ঘটনার সাথে ২০১২-২০১৩ সালের ঘটনা সমূহের প্রারম্ভিক এক ধরণের মিল খুজে পাওয়া যায় বলে উল্লেক করা হয়। সভায় বলা হয়, জাতীয় আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এসব ঘটনা যে কোন সময় দাবানলের মত ছড়িয়ে দিয়ে ২০১২-২০১৩ সালের মত প্রেক্ষাপট সৃষ্ঠি করতে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্টি তৎপর রয়েছে বলে পরিস্থিতিদৃষ্টে প্রতিয়মান হচ্ছে। সভায় এসব ঘটনার শুরুতেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।
    সভায় বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং দেশব্যাপি বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী বাধভেঙে প্লাবিত এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ এবং সাতক্ষীরা পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতায় নাকাল মানুষকে বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
    সভায় সাতক্ষীরার নদী ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানসহ জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবীতে পূর্ব ঘোষিত পক্ষকালব্যাপি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান মাসব্যাপি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নাগরিক সংলাপ ও দ্বিতীয় সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাতক্ষীরাবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পুননির্ধারণ করা হয়।
    সভায় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণির মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং এনটিভি-যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ও যমুনা টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আহসানুর রহমান রাজিবসহ অসুস্থ্য সকলের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।
    সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, অপারেশ পাল, নিত্যা নন্দ সরকার, এড. মুনির উদ্দিন, আলী নুর খান বাবলু, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, আল মাহামুদ পলাশ, অধ্যাপক তপন কুমার শীল, আসাদুজ্জামান লাভলু, আফজাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।

  • সাতক্ষীরায় ৫ সাংবাদিকের সুস্থ্যতা কামনা করেছে জেলা নাগরিক কমিটি

    সাতক্ষীরায় ৫ সাংবাদিকের সুস্থ্যতা কামনা করেছে জেলা নাগরিক কমিটি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় কোবিড-১৯ পজেটিভ সনাক্ত হয়ে ও অসুস্থ্য অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫জন সাংবাদিক। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও অসুস্থ্য সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, দৈনিক ভোরের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ড. দিলিপ কুমার দেব, দৈনিক মানব কণ্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী ও চ্যানেল ৭১’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বরুণ ব্যানার্জী।
    করোনা আক্রান্ত ও অসুস্থ্য সাংবাদিকদের দ্রুত সুস্থ্যতা ও সকলের দোয়া-আশীর্বাদ কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম-সদস্য সচিব আলী নূর খান বাবুলসহ জেলা নাগরিক কমিটির সকল সদস্য।

  • সাতক্ষীরা প্রতিবন্ধী দাবি আদায় পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা প্রতিবন্ধী দাবি আদায় পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোঃ শফিকুল ইসলাম।
    বক্তব্য রাখেন, প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কল্যান সমিতির মহাসচিব আব্দুল কালাম আজাদ, জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি আব্দুল আহাদ, প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার সহ-সভাপতি নুর জাহান খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেহেনা পারভীন, ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, রিক্সা ভ্যান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, মোঃ সাইদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, মোঃ সেলিম, কওছার আলী, শাহ আলম প্রমুখ।
    প্রতিবন্ধীদের ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নার্স হোসনেয়ারা খাতুন ভবন নির্মান করেছে। ওই ভবন নির্মাণে পৌরসভার অনুমতি নেয়নি। এছাড়া কৌশলে প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যান সমিতির মহাসচিবের সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে তিনবার হামলা চালিয়েছে। হোসনেয়ার ভাই মাদকাসক্ত ট্রাক চালক মোস্তফা তাকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। দুটি দলিলে ইনকাম ট্রাক্সের সনদ জাল করেছে। এছাড়া ওই নার্স হোসনেয়ারার বিরুদ্ধে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে দুর্ব্যহার করার অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে তার অপসারন করতে হবে। পবিত্র ঈদের সময় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ডের চাল প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিতরনের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিআকর্ষন করেন। এছাড়া ভূমিহীণ প্রতিবন্ধীদের গৃহ নির্মাণ, প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু নির্যাতন হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতিবন্ধী সংগঠনের জন্য দ্রুত জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া। বাসে প্রতিবন্ধীদের সংরক্ষিত আসন চিহ্নিত করা। সকল সরকারি কমিটিতে প্রতিবন্ধী স্ব সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। প্রতিবন্ধী নাম ধারী ভূয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। ওই নার্স হোসনেয়ারার অপসারণসহ উক্ত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ঈদের পর মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।

  • স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবসায়ীদের ফলোআপ প্রশিক্ষণ

    স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবসায়ীদের ফলোআপ প্রশিক্ষণ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৗরসভার ৬ জন স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবসায়ীদের ফল্আোপ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কিশোরী স্যানিটারী ন্যাপকিন উৎপাদন কেন্দ্র, সুলতানপুর, সাতক্ষীরাতে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠেয় প্রশ্ক্ষিণের উদ্বোধন করেন হোপ ফর দি পুওরেষ্ট’র টাউন কো-অর্ডিনেটর মৃনাল কুমার সরকার। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন অত্র সংস্থার সাতক্ষীরা ফিল্ড অফিসের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম খান। কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন প্রশিক্ষক রাবেয়া খাতুন ও টুম্পা খাতুন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্যানিটারী ন্যাপকিন ঊৎপাদনে বাধা ও বাধাসমুহ দূর করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয় ও পণ্যের গুণগতমান ও বাজার উপযোগী পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন সালমা খাতুন, তাসলিমা খাতুন, রাবেয়া খাতুন ও জেসমিন আরাসহ অন্যান্য। প্রশিক্ষণে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন অত্র সংস্থার মার্কেট ডেভেল্পমেন্ট অফিসার রোকসনান পারভীন ও নন্দিতা রানী দত্ত। উৎপাদিত পণ্য সহজ মূল্যে কিশোরীদের নিকট পৌছে দেওয়ার কৌশল নিয়ে ও আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, এইচপি নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভায় ওয়াস বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ওয়াস উদ্যোক্তা তৈরী এবং সফল ওয়াস ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যা প্রত্যক্ষভাবে এলাকার ওয়াস ব্যবস্থার মান বৃদ্ধি করবে যেটি বাংলাদেশ সরকারের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে।

  • সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভায় কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভায় কোভিড-১৯ আক্রান্তসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়


    স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতা বাড়ানো এব্ং দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবীতে
    ২০ জুলাই মানববন্ধনের কর্মসূচি
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ১১ জুলাই ২০২০ খ্রীঃ শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। সভায় সাতক্ষীরা জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ক্রমঃঅবনতিশীল প্রেক্ষাপটে যখন স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের আরো বেশী তৎপর হওয়া প্রয়োজন ঠিক সেই সময় তার উল্টো অনেকের মধ্যে নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সভায় বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা, সকলের মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপরতা বাড়ানোর দাবী জানানো হয়। সভায় কোভিড-১৯ রোগীসহ সাধারণ সর্দ্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের সুচিকিৎসায় স্বাস্থ্য বিভাগের আরো তৎপর হওয়ার দাবী জানানো হয়। একইসাথে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠানও দাবী জানানো হয়।
    সভায় আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ এবং অবিলম্বে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানানো হয়। এসব দাবীসহ সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা বাস্তবায়নে আগামী ২০ জুলাই সাতক্ষীরা জজকোটের সামনের চত্বরে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
    সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভাসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
    সভায় সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতিসহ প্রশাসন, পুলিশ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়।
    সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ. অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, আনোয়ার জাহিদ তপন, মাধব চন্দ্র দত্ত্ব, প্রভাষক এম ইদ্রিশ আলী, লায়লা পারভীন সেজঁতি, এড. আল মাহামুদ পলাশ, আব্দুল বারী, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, গাজী শাহজাহান সিরাজ, শেখ শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক তপন কুমার শীল, আসাদুজ্জামান লাভলু, আলী নুর খান বাবলু ও আবুল কালাম আজাদ।

  • স্বপ্নসিঁড়ির আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা

    স্বপ্নসিঁড়ির আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা

    সাতক্ষীরা জেলার প্রাক্তন রোভারদের সংগঠন স্বপ্নসিঁড়ির আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহবায়ক নাজমুল হকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য সচিব অতনু বোসের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য মুহা. আলতাফ হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দীন রানা, সদস্য (অর্থ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (আইটি) ফাহাদ হোসেন, সদস্য (প্রচার) সেলিম হোসেন, সদস্য সাঈদুর রহমান, আবু সাইদসহ স্বপ্নসিড়ির সকল স্তরের সদস্য ও সহযোগী সদস্যগণ। সভায় স্বপ্ন সিঁড়ির সদস্য সংগ্রহ সাময়িক স্থগিত করা হয়, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তা, আবেদনকৃত সকল সদস্যদের তালিকা প্রকাশ, আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে জেলা নাগরিক কমিটির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

    উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে জেলা নাগরিক কমিটির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

    উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি মানববন্ধন ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে উক্ত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
    মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সম্প্রতি সাতক্ষীরাসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। সরকারসহ স্থানীয় প্রশাসনের নানামূখি উদ্যোগের কারণে ঝড়ে ব্যাপক জীবনহানীর ঘটনা এড়ানো গেলেও সহায়-সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে ভাঙন এলাকার হাজার হাজার মানুষের সহায় সম্পদ এখনো পানির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাদের দিন অতিবাহিত করছে।
    এমন দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যে গত ২ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ এর নির্বাহী কমিটি একনেকের বৈঠকে সাতক্ষীরা শহর ও সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এরআগে এই এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে সিজিআইএস নামক একটি প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে সমীক্ষা চালায় এবং জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পে সেই সমীক্ষা ও জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। বক্তারা এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
    বক্তারা আরো বলেন, উক্ত প্রকল্পটি অনুমোদনের পর একনেকের সভা শেষে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধ ভেঙে সমুদ্রের লবণাক্ত জোয়ারের পানি কৃষি এলাকায় ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
    এ প্রসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি এই প্রকল্পের এলাকায় নয়। বাঁধ ভেঙে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার আওতাধীন শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, আটুলিয়া, শ্রীউলা, প্রতাপনগর, খাজরাসহ সংলগ্ন এলাকা। ফলে বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে স্পষ্ট করা না হলে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সহানুভূতি থেকে তারা বঞ্চিত হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আয়লার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসেন। তিনি দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানান। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন। তিনি বাঁধ কেটে, পাইপ ঢুকিয়ে এলাকার লোনা পানি তোলা বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক কম গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানলেও বেড়িবাঁধের ক্ষতি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশেই বেশি হয়েছে।
    সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বক্তারা সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে ২১ দফার বাস্তবায়নসহ জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবী জানান।
    এসব দাবীর মধ্যে রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী, মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে। বাঁধের নদীর সাইটে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে এবং সেখানে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। লোকালয় সাইটেও বেড়িবাঁধকে ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং বেড়িবাঁধ ও ঘেরের বাঁেধর মধ্যবর্তি স্থানে বৃক্ষরোপন করতে হবে। যেসব স্থানে বারবার বাঁধ ভাঙছে সেইসব স্থান চিহ্নিত করে সেখানে ব্লকের মাধ্যমে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জমি না থাকলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাঁধের নিচে ১০০ ফুট, উপরে ৩০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে সবধরণের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। অন্যান্য প্রাণিকূলের জন্য মিষ্টি পানির আধার গড়ে তুলতে হবে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রসহ মাটির কেল্লা তৈরী করতে হবে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা শহরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় যাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি না হয় সেজন্য এক্ষুণি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর নির্মাণে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সরকারী সহায়তা প্রদান করতে হবে।
    বক্তারা চিংড়িসহ অন্যান্য ফসল ও আমসহ মৌসুমি ফলের ক্ষয়ক্ষতির শিকার চাষিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার দাবী জানান। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানান। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া জেলার লাখ লাখ মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে সরকারীভাবে যে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রেশন কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করার দাবী জানান। করোনা পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরার সরকারী হাসপাতালে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার দাবী জানান।
    মানববন্ধন থেকে আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টায় মানববন্ধনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের নিকট বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের অনুপুস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বদিউজ্জামান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
    মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। সংহতি প্রকাশ ও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, মধাব চন্দ্র দত্ত, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, আনোয়ার জাহিদ তপন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদর উপজেলা কমান্ডার মোঃ হাসানুর ইসলাম, সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন, জাসদের পাপিয়া আহমেদ, বাংলাদেশ জাসদের প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, বাসদের নিত্যানন্দ সরকার, জেএসডির সুধাংশু শেখর সরকার, ওয়ার্কার্স পাটির মকবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এড. আল মাহামুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রবীর মুখার্জি, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনসুর রহমান, সাংবাদিক রঘুনাথ খা, উত্তরণের এড. মনির উদ্দিন, লিডার্সের মোহন কুমার মন্ডল, পানি কমিটির মনিরুজ্জামান জোয়াদ্দার, চুপড়িয়া মহিলা সমিতির মরিয়ম মান্নান, উদীচীর সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার সভাপতি তপন কুমার শীল প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন, কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি)র চেয়ারম্যান নিকট ক্যাব এর আবেদন “করোনা ভাইরাস কবলিত বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় যৌক্তিক করে  বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমান”

    বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি)র চেয়ারম্যান নিকট ক্যাব এর আবেদন “করোনা ভাইরাস কবলিত বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় যৌক্তিক করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমান”

    ক্যাব, কেন্দ্রিয় কমিটির জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম স্বাক্ষরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সারাদেশ এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মহামারি কবলিত। দেশবাসী গৃহবন্দী। ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ। অর্থনৈতিক সকল কর্মকান্ড স্তব্ধ। বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ। জনবল ছাটাই চলছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা সরকারের পক্ষে কতদিন দেয়া সম্ভব হবে তাও ভাবার বিষয়। টাকা ছাপিয়ে কেবলমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন দেয়া কোন সমাধান নয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলিত রাজস্ব আহরণ অসম্ভব। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় চরমভাবে হ্রাস পাচ্ছে। অর্থাৎ ধ্বস নামবে। উন্নয়ন খাত কোন অর্থ পাবে না। এমন অবস্থায় রাজস্ব ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব চাহিদা ব্যাপক হারে কমানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
    করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকার প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। কৃষি ও শিল্পসহ উৎপাদন খাত আর্থিক প্রণোদনা পাবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালে এবং পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি সচল রাখার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন পলিসিতে ব্যাপক রদবদলের প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান উন্নয়ন নীতি ও কৌশল নিয়ে সরকারের পক্ষে এখন আর আগানো সম্ভব নয়, তা আর বলার বা ভাবার অপেক্ষায় নেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তথা ১৯৭১ সালে এবং পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অপেক্ষা করোনা বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে আরও অনেক বেশি বিপর্যস্ত। এমন আশঙ্কায় আমরা ভোক্তারা উদ্বিগ্ন। তবে কৃষি এবং কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে উৎপাদন ব্যহত হবে না। সেজন্য বিপণন ব্যবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা দরকার।

    বাস্তবে দেখা যায়, এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি মোকাবেলায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকারের নিকট আর্থিক ঋণ বা অনুদান চাচ্ছে। রাজস্ব ব্যয় বা চাহিদা কমানোর কোন পরিকল্পনা নিচ্ছে না। সরকার যেসব খাত থেকে রাজস্ব আহরণ করে, সেসব খাত এখন অব্যাহত রাজস্ব ঘাটতির শিকার। সে ঘাটতি মোকাবেলায় তাঁরা এখন সরকারেরই মুখাপেক্ষী। ফলে সরকার ক্রমাগত আর্থিক চাপ বৃদ্ধির শিকার। উল্লেখ্য যে, ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত করোনা মহামারিতে চলতি বছরে যে রাজস্ব ঘাটতির শিকার হবে, তার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার কম হবে না। অনুরূপ ক্ষয়-ক্ষতি গ্যাস খাতেও হবে। উভয় ঘাটতি বিদ্যমান অযৌক্তিক ব্যয় হ্রাস ও ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হলে বিদ্যমান ও করোনাজনিত রাজস্ব ঘাটতি একদিকে যেমন মোকাবেলা করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে উভয়খাতে তেমন ভর্তুকির পরিমাণও কমবে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক দরপতনের কারণে তরল জ্বালানির আমদানি ব্যয় ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। ফলে সে দরপতন সমন্বয় করে তরল জ্বালানির মূল্যহার যেমন কমানো যায়, তেমন জ্বালানি খাতে করোনাজনিত রাজস্ব ঘাটতিও সমন্বয় করা সম্ভব।

    অতএব আলোচ্য প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে অযৌক্তিক ব্যয় হ্রাস এবং ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, কয়লা ও তরল জ্বালানির দাম কমানো এখন জরুরি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেয়েছে। ভোক্তার ভোগ ব্যয় এখন খুবই সীমিত। ফলে সরকারের রাজস্ব আসছে না। উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মূল্যহার যদি না কমে, তাহলে ভোক্তার ভোগ ব্যয়বৃদ্ধি পাবেনা। ফলে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি- এসব প্রবাহ বৃদ্ধি না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব বাড়বে না। তাই সর্বাগ্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমিয়ে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে পণ্য ও সেবার দাম কমাতে হবে।

    বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মূল্যহার পর্যালোচনায় দেখা যায় ঃ
    ১. ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু করোনাজনিত কারণে রাজস্ব আহরণ বিঘিœত হওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়া ভর্তুকি বৃদ্ধি পাবে।
    ২. এ যাবৎ গ্যাসে কোন রাজস্ব ঘাটতি ছিল না। এ খাতে মজুদ অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এলএনজি গ্রিডে যোগ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে সরকারকে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশী ভর্তুকি দিতে হবে। করোনাজনিত কারণে গ্যাস খাতে রাজ্স্ব ঘাটতি আরোও বাড়বে। ফলে ভর্তুকিও বাড়বে।
    ৩. জ্বালানি তেল বরাবরই লোকসানে ছিল। বিগত বছরগুলিতে দরপতনের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে হ্রাস পায়। কিন্তু তা মূল্যহারে যৌক্তিক সমন্বয় না হওয়ায় বিপিসি’র বিপুল পরিমাণে লাভ হয়। করোনাজনিত কারণে আমদানি বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। মূল্যহারে তা সমন্বয় না হওয়ায় বিপিসি’র লাভের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে-লাভে করোনা জনিত রাজস্ব ঘাটতি সমন্বয় হবে এবং তেলের মূল্যহারও কমানো যাবে।
    ৪. তেলের দাম বেড়েছে, দামের সমতা রক্ষায় গ্যাসের দাম বেড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা এলপিজি’র দাম বাড়িয়েছে। তেল ও এলপিজি’র দরপতন হওয়ায় আমদানি ব্যয় কমলেও তেলের দাম কমেনি। এলপিজি’র দাম বেড়েই চলেছে।
    ৫. বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত শতভাগ কয়লা যে ওজন ও আদ্রতায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানির নিকট থেকে ক্রয় করে, সেই ওজন ও আদ্রতায় খনি কোম্পানি চীনা কোম্পানিকে ৮৫ ডলার মূল্যহারে বিল দেয়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকট সে কয়লা বিক্রি করে ভ্যাটসহ প্রায় ১৫০ ডলার মূল্যহারে। কয়লা উৎপাদনে খনিকোম্পানির কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। চীনা কোম্পানির নিকট থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র সরাসরি কয়লা নেয় বলা চলে। অতএব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক নয়। যৌক্তিক হলে এ বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কম হতো।
    ৬. মূল্যহার বেড়েছে বিদ্যুতে ০.৩৫ টাকা এবং গ্যাসে ৫ টাকা। গ্যাসে বছরে সবাসাকুল্যে ভর্তুকি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এ- ভর্তুকি বাড়বে। গণশুনানিতে প্রমান পাওয়া যায়, মোট গ্যাসের প্রায় ৫৬ শতাংশ তিতাসে ব্যবহার হয়। মুনাফাসহ তার বিতরণ মার্জিন ইউনিট প্রতি দরকার ৫ পয়সা। অথচ দেয়া হয়েছে ২৫ পয়সা। এমন অসংগতি সঞ্চালন, অন্যান্য বিতরণ ও গ্যাস উৎপাদন কোম্পানিতেও বিদ্যমান। বিদ্যুৎ খাতেও তা বিদ্যমান। বিদ্যুৎ খাত এর বাইরে নয়।
    ৭. আইওসি’র গ্যাস কেনা হয় ২.৫৫ টাকা মূল্যহারে। অথচ বাপেক্সের গ্যাস কেনা হয় ৩.০৪ টাকা মূল্যহারে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠনের শর্ত লংঘন করে এ তহবিলের অর্থ অনুদান হিসেবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে নিয়োজিত দেশীয় কোম্পানি সক্ষমতা উন্নয়নে বিনিয়োগ না করে সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া হয়। তাতে গ্যাসের মূল্যহার কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পায়।
    ৮. বিনিয়োগকৃত মুলধনের ওপর তিতাস সুদ পায় ১৮ শতাংশ। সঞ্চালন ও অন্যান্য বিতরণ ও উৎপাদন কোম্পানি পায় ১২%। অথচ বিদ্যুৎ খাতভূক্ত সব কোম্পানি পায় ১০%। ব্যাংক আমনতের ওপর সুদ ৬%-এ নামানো হলেও ওইসব সুদ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার কমানো হয়নি। তাছাড়া তিতাসে গ্যাস চুরির প্রতিকার করা হয়নি। বরং মিটারবিহীন চুলায় ব্যবহৃত গ্যাসের পরিমাণ হিসাবে বেশী দেখানোর সুযোগ রেখে গ্যাস চুরির সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। সিস্টেমলস সুবিধা অন্য সব কোম্পানিকে দেয়া না হলেও তিতাসকে দেয়া হয়েছে ২%। এসব অসংগতি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির নিয়ামক।
    ৯. গ্যাসের উৎস নিশ্চিত না করেই পশ্চিমাঞ্চালে বিতরণ লাইন বসানো হয়েছে ৭ জেলায়। সেসব লাইনে গ্যাস নেই। এমন অনেক সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্বল্প ব্যবহৃত। ক্ষেত্র বিশেষে অব্যবহৃত। বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা, এমনি কি সঞ্চালন ও বিতরণ ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এমন অবস্থা দেখা যায়। করোণার কারণে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পাওযায় এ পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি সরবরাহে সম্পদ যে অনুপাতে ব্যবহার হবে সে অনুপাতে সম্পদের অবচয় ব্যয় ধরে মূল্যহার নির্ধারণ হয় না। সমূদয় সম্পদ মূল্য ধরে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয়হার বৃদ্ধি পায়। ্সম্পদের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায়এখন আরো বৃদ্ধি পাবে।
    ১০. করোণার কারণে রাজ্স্ব ঘাটতি বাড়বে। ফলে ভর্তুকিও বাড়বে। হিসাবে দেখা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা প্রায ২২ হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট। বিপুল পরিমাণ উৎপাদনক্ষমতা উৎপাদনে নেই। স্বাভাবিক অবস্থায়ও চাহিদার তুলনায় উৎপাদনক্ষমতা উদ্বৃত্ত ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির কথাও বলা হচ্ছে। গণশুনানীতে প্রমাণিত হয়, চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বছরে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভোক্তাদের অর্থে বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন তহবিল গঠিত হয়। এ তহবিলের অর্থ অনুদান হিসাবে বিনিয়োগ করা বিধান ছিল। সে বিধান পরিবর্তণ করে অনুদানের পরিবর্তে সুদে বিনিয়োগ করার বিধান করা হয়। তাতে উৎপাদনে অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বৃদ্ধি পায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ অর্থাৎ ২০ বছরের উর্দ্ধে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট উৎপাদনে রেখে অযৌক্তিক ব্যয়বৃদ্ধি করা হয়েছে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা ।
    ১১. গণশুনানিতে প্রমাণ পাওয়া যায়, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়সমূহ হ্রাস করা হলে বছরে যথাক্রমে প্রায় ১০ ও ১২ হাজার কোটি সাশ্রয় হতে পারে।
    ১২. অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিসমূহ কস্ট প্লাস নয় শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত হলে প্রাক্কলিত রাজস্ব চাহিদা প্রায় ১০% গ্যাস ও তেলে, কয়লায় ৪০% এবং বিদ্যুতে ৫% হ্রাস পেতো। বিদ্যমান অবস্থায় রাজস্ব চাহিদা হ্রাসের পরিমান হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকা। সেই সাথে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি এসব গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনা হলে বিদুৎ ও জ্বালানীর সরবরাহ ব্যয় অনেক কমে আসবে। ঘাটতি হ্রাস পাবে। মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মজুদ অর্থের পরিমাণ কম-বেশী প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। ভোক্তার জমানতের অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা। এসব অর্থ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ হলে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমবে এবং সুদ বাবদ ব্যয় হ্রাস পাবে। ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৪. গণশুনানিতে পেট্রোবাংলা, তিতাস, জিটিসিএল, এনএলডিসি, বড়পুকুরিয়া খনির দুর্নীতিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়। সেসব দুর্নীতি ও অপরাধ মুক্ত হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় যৌক্তিক হবে এবং মূল্যহার বৃদ্ধির প্রবণতা হ্রাস পাবে। মূল্যহার কমানো যাবে।
    ১৫. তাছাড়া বিগত গণশুনানিসমূহে প্রমাণ পাওয়া যায়, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে বিদ্যুৎ/গ্যাসের সরবরাহ ব্যয়হার হ্রাস পাবে এবং মূল্যহার কমানো যাবে। সে লক্ষ্যে বিগত একাধিক গণশুনানিতে অংশীজন প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বারা গ্যাস অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সামর্থ বৃদ্ধির যথার্থতা নিরূপন করে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের প্রস্তাব করা হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দূর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে অপর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্ব অনুরূপ কমিটিকে দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়।

    অতএব বিদ্যুতে ও জ্বালানির দাম কমানোর জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে নি¤œরূপ প্রস্তাব করা হলো ঃ
    ১. সকল ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাদ দিয়ে এবং ২০ বছরের বেশী বয়সী সরকারি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে উৎপাদনের বাইরে রেখে উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণক্রমে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানো প্রস্তাব করা হলো,
    ২. বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও গ্যাস উন্নয়ন উভয় তহবিলের অর্থ সুদে বিনিয়োগের পরিবর্তে যথাক্রমে পিডিবি কর্তৃক বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বাপেক্স কর্তৃক গ্যাস অনুসন্ধানে অনুদান হিসাবে বিনিয়োগক্রমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৩. বিদ্যুৎ/গ্যাস সরবরাহে সম্পদ অর্জন অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা রোধ করা হলে সরবরাহ ব্যয় হ্রাস পায় এবং মূল্যহার কমানো যায়। ফলে সম্পদ যে অনুপাতে বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহার হয়, অবচয় ব্যয় সেই অনুপাতে ধরে বিদ্যুৎ/গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় নির্ধারণক্রমে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৪. বিদ্যুৎ উপাদনে ব্যবহৃত কয়লার মূল্যহার কমিয়ে যৌক্তিক করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৫. ব্যক্তি খাত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয় রহিত করে এবং সরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মূল্যহারে তেলের আমদানি ব্যয় হ্রাস সমন্বয় করে বিদ্যুতের মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৬. মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক করার লক্ষ্যে বিইআরসি আইন মতে বিইআরসি কর্তৃক এলপিজি ও জ্বালানী তেলের মূল্যহার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হলো,
    ৭. বিগত গণশুনানীতে বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে চিহ্নিত অযৌক্তিক ব্যয়সমূহ যৌক্তিক করে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ৮. অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর লক্ষ্যে ঃ (ক) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারি কোম্পানিসমূহ কস্ট প্লাস নয় শুধু কস্টভিত্তিতে পরিচালিত করা এবং (খ) সেই সাথে ট্যাক্স, ভ্যাট, ডিউটি ইত্যাদি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে কমিয়ে আনার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করার প্রস্তাব করা হলো।
    ৯. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মজুদ অর্থ ও ভোক্তার জামানতের অর্র্থ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বিনিয়োগ করে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করে মূল্যহার কমানোর প্রস্তাব করা হলো,
    ১০. বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে অর্জিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অংশীজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্বারা গ্যাস অনুসন্ধান এবং বিদ্যুৎ/গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সামর্থ বৃদ্ধির যথার্থতা নিরূপন করে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের প্রস্তাব করা হলো,
    ১১. বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত দুর্নীতি মুক্ত করার লক্ষ্যে অপর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়নের দায়িত্ব অনুরূপ কমিটিকে দেয়ার প্রস্তাব করা হলো।
    ১২. ওইসব কমিটি কর্তৃক প্রণীত কৌশলগত পরিকল্পনা বিইআরসির অনুমোদনক্রমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতভূক্ত সকল ইউটিলিটি ও সংস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ ব্যয় ন্যায্য ও যৌক্তিককরণের লক্ষ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হলো।
    ১৩. বিগত অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব মতে ডিপিএম-এর পরিবর্তে ওটিএম-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সকল ক্রয় নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হলো।’

  • সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে লাবসা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

    সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে লাবসা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মে) বিকাল সাড়ে ০৪টায় সাতক্ষীরা সদরের ১৩নং লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. শেখ মুস্তাফিজুর রহমান শানেওয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন। এসময় কৈখালী এলাকায় ২০টি পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রহমত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসিনুল হাবিব মিন্টু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিয়াম উদ্দিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল।

  • লকডাউনে মহা সংকটে পড়েছে সাতক্ষীরার স্বর্ণ শ্রমিকরা

    লকডাউনে মহা সংকটে পড়েছে সাতক্ষীরার স্বর্ণ শ্রমিকরা


    প্রেস বিজ্ঞতি: সরকারি খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার স্বর্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন হওয়ার পর কর্মহীন জেলার স্বর্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। ওই শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল তাদের পরিবারের প্রায় ২ হাজারের অধিক মানুষ। তারা স্ত্রী-সন্তান-পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এতে করে চোখের জলে কাটছে তাদের জীবন-সংসার।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্বর্ণ শ্রমিকরা জানান, ঘরে চাল নাই, কোনো টাকা নেই, খেতে পারি না, স্ত্রী-পরিজনদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারিনা, বাসা ভাড়া দিতে পারি না, আবার মানুষের কাছে চাইতেও পারি না। এমন পরিস্থিতে করোনা মোকাবিলায় ঘর থেকে বাইরে যেতে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সে মোতাবেক আমাদের ঘর থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু অনাহারে-অদ্ধহারে আমরা দিনপাত করলেও জেলার সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেইনি। তাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রনোদণার অর্থ ও ত্রাণের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কামনা করেন তারা।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বর্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকার জানান, জেলার অধিকাংশ স্বর্ণ শ্রমিক দিন আনে দিন খায়। একদিন মজুর না দিলে তাদের চুলায় হাড়ি জ্বলে না। এরপরেও অধিকাংশ শ্রমিকের কোনো টাকা পয়সা মজুদ নেই। বৈশ্বিক করোনার এই সময়ে অঘোষিত লকডাউন হওয়ার জেলার জুয়েলারিগুলোও বন্ধ। ফলে কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব স্বর্ণ শ্রমিকরা। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হলেও কেউ ঁেখাজ করেন নি কোনো স্বর্ণ শ্রমিকদের।

    তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের অসহায়েত্বের বেদনা সইতে না পেরে তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করলেও তারা এখন কোনো সু-ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। এই দুঃসময়ে স্বর্ণ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বর্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিলন রায় জানান, আমাদের সংগঠনের রয়েছে ৫’শ এর অধিক শ্রমিক। এর বাইরেও কিছু শ্রমিক রয়েছে। সরকার প্রধান ঘোষিত খাদ্য সামগ্রী কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও এসব স্বর্ণ শ্রমিকরা কোনো খাদ্য ও সরকারি প্রনোদনা পাইনি। তিনি আরও জানান, ১০ মে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে বেশ কিছু দোকানপাট ও শপিং মহল খুললেও জুয়েলারিগুলো না খোলায় সাতক্ষীরার স্বর্ণ শ্রমিকরা এর বাইরে। ফরে হতাশ হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ স্বর্ণ শ্রমিকরা। এমতাবস্থায় সরকার প্রধান ঘোষিত প্রনোদনা ও খাদ্য সহায়তা পাওয়ার জোর দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে কামনা করেন তিনি।

    পলাশপোল গ্রামের স্বর্ণ শ্রমিক ধ্রুব বিশ্বাস জানান, জুয়েলারির দোকানের কাজ বন্ধ। সরকার এখন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছে। কিন্তু সরকার আমাদের কোনো খাওয়ার ব্যবস্থা করেনি। প্রায় ৪০ দিন হয়ে গেল কোনো সরকারি খাবারও তো পাইনি। খাব কী? দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ আমি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার হচ্ছে। এভাবে আর পারছি না। বিষয়টি মানবিক ভাবে বিবেচনায় নিয়ে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের আমাদের পার্শ্বে এসে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

  • হতদরিদ্র ১২০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবুখান

    হতদরিদ্র ১২০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করলেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবুখান

    স্টাফ রিপোটার ঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মহীন হতদরিদ্র ১২০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্দেশনায় ও খান এন্টার প্রাইজের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার বিকালে সুলতানপুর বড়বাজারে উক্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম খান বাবু। এ পর্যন্ত মোট এক হাজার পরিবারের মাঝে তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন বলে জানান।
    এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ নাজমুল হক রনি, অতুল কুমার ঘোষ, অব্দুল আলিম, শাহ আলম, মিজু প্রমুখ।
    স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবু খান এ সময় সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার এবং সচেতন থাকার আহবান জানান।