Category: সংস্কৃতি

  • বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব আজ শুরু

    বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব আজ শুরু

    মারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

     দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রতিবছর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব। সাধু-গুরু, লালনভক্তদের সরব উপস্থিতি, গান ও গ্রামীণ মেলায় জমজমাট হয়ে ওঠে আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ। তবে এবার রমজানের কারণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এক দিনই উদযাপিত হবে লালন স্মরণোৎসব। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা। কেবল আলোচনা অনুষ্ঠান ও বাউলদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়েই কাল শুক্রবার শেষ হবে আয়োজন। তবে সাধুসঙ্গ চলবে রীতি অনুসারে।

    আজ সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন লেখক-চিন্তক ফরহাদ মজহার। উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচকও তিনি। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান। গতকাল বুধবার ছেঁউরিয়ার আখড়াবাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌফিকুর রহমান। এ সময় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কুমারখালীর ইউএনও মিকাইল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এই স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে।

    এদিকে উৎসব উপলক্ষে কয়েক দিন আগে থেকেই আখড়াবাড়িতে আসতে শুরু করেছেন লালন ভক্ত বাউল ফকিররা। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে লালনের গান। উৎসবে আসা শহীদুল সাধু বলেন, সারাবছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকি। দোল উৎসবে দেশ-বিদেশের বাউল ও সাধুরা আখড়াবাড়িতে আসে। একে অপরের মধ্যে ভাব বিনিময় হয়।

    কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাজারসংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য। আগত বাউল সাধক, ভক্ত, অনুরাগী এবং দর্শনার্থীদের সহযোগিতার জন্য গ্রাম পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। (সৗজনে –  দৈনিক সমকাল)।
  • শিশুদের রঙ তুলিতে ফুটে উঠলো নিজ শহরের চিত্র

    শিশুদের রঙ তুলিতে ফুটে উঠলো নিজ শহরের চিত্র

    সাতক্ষীরা : কেউ আকলো শিশু পার্কের ছবি, কেউবা শহরের অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আবার কেউ কেউ ফুটিয়ে তুললো বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় জনভোগান্তির চিত্র। এভাবেই নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজ শহরের সমস্যা ও সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘কেমন শহর চাই’ শীর্ষক এক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা রঙ তুলিতে এসব সমস্যা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে।

    বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

    এতে ১ম অধিকার করে ৭ম শ্রেণী শিক্ষার্থী সাহিব ফারদিন অয়ন, ২য় হয় একই শ্রেণীর ওমর ফারুক সুমন এবং ৩য় স্থান অধিকার করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হুমাইরা তাবাসসুম।

    পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে শিক্ষার্থীরা বলে, সাতক্ষীরা শহরে কোনো শিশু পার্ক নেই। কমে যাচ্ছে খেলাধূলার মাঠ। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সর্বত্র জলাবদ্ধতা। শহরের সর্বত্র ময়লা আবর্জনার ভাগাড়।

    একই সাথে তারা বলে, আমাদের নগর পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নে শিশুদের অংশগ্রহণ নেই। শহরের পরিকল্পনায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। শিশুদের মাঝে নগরের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। শিশুদের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন পলাশপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমিনুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান, সহসভাপতি মাকসুদা জেরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ গাজী, সদস্য জি এম আল শাহরিয়ার প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    প্রতিনিধি: সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬০টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব, লাইব্রেরী, নাট্য সংগঠন, নারী সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শ্মশান, ঈদগাহ, এতিমখানা, কবরাস্থান, অসুস্থ্য অসহায় ও দরিদ্র পরিবার, রাস্তা ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ চেক বিতরণ করা হয়।
    ২৯ জুন শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল কর্নারে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইয়ারুল হক।
    উল্লেখ্য, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বিতরণ করা হচ্ছে।

  • ছবি:সংগৃহীত

    এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ৪১০ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছেন হজযাত্রীরা।

    এরপর ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ৪১৫ হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

    এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান পরে উড়োজাহাজে উঠে হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

    এর আগে বুধবার রাত ১১টায় হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন শুরু হয়। শেষ হয় রাত তিনটায়। বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বাসসকে বলেন, ভোর থেকে এখন পর্যন্ত জেদ্দার উদ্দেশ্যে দুটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। আজ সারাদিন মোট সাতটি ফ্লাইট সৌদি আরব যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে।বাসস

  • সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পদক শেখ এজাজ  আহমেদ স্বপন এর পক্ষ থেকে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান করা হয় ।সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদের ইতেকাফ কারি, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন,খাদেম, সভাপতির জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । শহরের একাডেমি জামে মসজিদ,বিসমিল্লাহ জামে মসজিদ,বায়তুন জান্নাহ জামে মসজিদ, আল আরাবিয়া জামে মসজিদ, কাটিয়া লস্কার পাড়া জামে মসজিদ,মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর কাটিয়া জামে মসজিদ,বায়তুন নূর জামে মসজিদ,ুবায়তুন ফালাহ জামে মসজিদ,রসূলপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, রসূলপুর আলে হাদিস জামে মসজিদ,রসূলপুর হানাফি জামে মসজিদ, রসূলপুর বায়তুন নূও জামে মসজিদ,কদমতলা জামে মসজিদ, কদমতলা আলে হাদিস জামে মসজিদ, মসজিদে বেলাল, সিটি কলেজ জামে মসজিদ, খোদেজাতুল কোবরা জামে মসজিদ, মসজিদে কুবা, পুলিশ লাাইন জামে মসজিদ,বাস টারমিনাল জামে মসজিদ, সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ,আহছানিয়া জামে মসজিদ, পলাশপোল জামে মসজিদ,বায়তুন আমান জামে মসজিদ,জেলা আলে হাদিস জামে মসজিদ,মোট ২৯ টি মসজিদে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয় । 

  • আজ শুভ নববর্ষ,  বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ১৪৩০

    আজ শুভ নববর্ষ, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ১৪৩০

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
    অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। 
    পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং সারাদেশ জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করছে সরকার। দিনটি  সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করছে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু  হয়। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে  বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। 
    এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল স¤্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।
    মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়। ( সূত্র : বাসস )

  • মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

    মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি :মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা কালেক্টরেট চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখী সঙ্গীত পরিবেশন শেষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বর্ণাঢ্য এই মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।সেখানে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিঞ্চুপদ পাল, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সবিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা- তুজ- জোহরা, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কলি কলেজের শিক্ষার্থী ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন। আলোচনা সভা শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহনকারী, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।
    এদিকে এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উদীচী শিল্পগোষ্ঠি, নোঙ্গর মিউজিক্যাল একাডেমী ও ৭১’র বধ্যভূমি ¯তৃতি সংরক্ষণ কমিটি সকাল ৯টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। পরে পোষ্ট অফিস মোড়ে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় ৭১’র বধভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে ম্যানগ্রোভ হলরুমে এক আলোচনা সভার আযোজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭১’র বধভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার। বক্তব্য দেন অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, সাংস্কৃতিক কর্মী হেনরী সরদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, উদীচীর সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান, মকবুল হোসেন, কবী রুবেল, কর্ণ বিশ্বাস, উন্নয়ন কর্মী মৃণাল সরকার, বদরু মোঃ খালেকুজ্জামান . জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অ্যাড, ইকবাল লোদী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী।

  • সাতক্ষীরায় শীতের আগমনে গ্রামবাংলায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

    সাতক্ষীরায় শীতের আগমনে গ্রামবাংলায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

    মশাল ডেস্ক: ঋতু শরৎকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

    পুবালি বাতাসে অপরুপ সৌন্দর্যে সকলের মন মাতিয়ে তুলছে মিষ্টি খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধ্যায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত।
    আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।

    কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই।

    এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।
    যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

    তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই দেশে আর খেজুর গুড়ের ব্যবসা হবে না বলে মনে করেন গাছিরা। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।
    এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে।

    এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

  • ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন

    ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভার আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে ও বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “দীর্ঘ ২ বছর পর ব্যাপক পরিসরে এই ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলাটি উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই মেলাটি এ জেলার ঐহিত্য বহন করে চলেছে। আমরা ছোটবেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আগে এই মেলাটি শহর জুড়ে হতো। দেশী বিদেশী বহু মানুষের আনা গোনা হতো এই মেলায়। গুড়পুকুরের মেলার আজকের এই উদ্বোধন দেখে মনে হচ্ছে আগের রুপে ফিরে এসেছে গুড়পুকুরের মেলা।”
    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সজীব খান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা-সাগর, পৌরসভার ৮নং কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ হাসান, মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম নুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদার প্রমুখ।

    এবারের মেলায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহারি পণ্যের স্টল। রয়েছে নাগর দোলা, ঘোড়ার গাড়ি। এছাড়া লৌহজাতদ্রব্য, বাঁশ ও বেতের দোকান, নার্সারি দোকান, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাগরদোলা ও রেলগাড়ি, নৌকা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দোকান। রয়েছে শিশুদের জন্য ব্যাপক বিনোদন। তাছাড়াও রয়েছে নানা বয়সী মানুষের জন্য বিনোদন। তবে এবারের মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারি, র‌্যাফেল ড্র, লাকি কুপন, ফড়, চরকি, নগ্ন নৃত্য এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে মাসব্যাপী।
    উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন সার্কাস প্যান্ডেলে এবং সাতক্ষীরার রকসি সিনেমা হলে জঙ্গীরা বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। এর পর থেকে মেলায় বহিরাগত ব্যবসায়ীদের আসা অনেকটা কমে যায়। করোনার পরবর্তী দীর্য় ২ বছর পর মেলা জাঁকজকমভাবে উদ্বোধন করা হল।

  • দেবী মা আসার আগে আমার বাড়ির দুর্গাই হারিয়ে গেল, শোকে পাথর ছেলে শুভদীপ

    দেবী মা আসার আগে আমার বাড়ির দুর্গাই হারিয়ে গেল, শোকে পাথর ছেলে শুভদীপ

    অনলাইন ডেক্স: চোখের সামনে মা চলে গেলেন। বাবা খুব ভেঙে পড়েছেন। নিজেই এখনও মা চলে যাওয়ার শোক সামলে উঠতে পারিনি। বাবাকে সামলাব কী ভাবে! শেষ কয়েক বছর তো মা খুবই অসুস্থ ছিলেন। আমি স্ত্রী-কে নিয়ে যাদবপুরে একটি আবাসনে থাকি।আর মা-বাবা থাকতেন চেতলায়। অফিস থেকে ফেরার সময় দেখা করতে গেলে আমার হাতটা চেপে ধরতেন। বলতেন, কোথাও যাবি না। আর যখন সুস্থও ছিলেন, তখন তো আমি ফিরলেই চটজলদি কিছু একটা মুখরোচক বানিয়ে দিতেন। অদ্ভুত জাদু ছিল মায়ের হাতে!

    সবাই মনে করেন, মা মানেই তিনি শান্ত, গুরুগম্ভীর কেউ। কিন্তু আমার মা ছিলেন একদম তার বিপরীত। সারা ক্ষণ কিছু না কিছু করে চলেছেন। এক জায়গায় বসতে পারতেন না। ছোট থেকেই শুনেছি আমার মা নির্মলা মিশ্র বড় গুণী শিল্পী। কিন্তু কোনও দিন কাউকে সে কথা বুঝতে দেননি।

    খুব চকোলেট, আইসক্রিম খেতে ভালবাসতেন। সঙ্গীতশিল্পীদের ঠান্ডা খেতে নেই, এ কথা সকলের জানা। মায়ের ক্ষেত্রে ঘটে এসেছে ভিন্ন। কোনও দিন ভোরবেলা উঠে রেওয়াজ করতে শুনিনি। সময় ধরে তা করতেই হবে, বাধ্যবাধকতা ছিল না। ঠান্ডা জল থেকে যে কোনও পানীয়— ইচ্ছা হলেই খেয়ে ফেলতেন। বয়স যতই বাড়ুক না কেন, মন থেকে ছিলেন সেই ছোট্ট মেয়েটা।দুর্গাসপ্তমীর দিন তাঁর জন্ম। সপ্তমী সেপ্টেম্বরে পড়ুক কিংবা অক্টোবরে ওই দিনেই আমরা জন্মদিন পালন করতাম। বেলুন দিয়ে বাড়ি সাজানো হত। খাওয়াদাওয়া হত। আর তো কয়েক দিন পরেই পুজো। দুর্গা মা আসার আগেই আমার ঘর তো শূন্য হয়ে গেল।

  • চলে গেলেন ‘চাওয়া পাওয়া’ সিনেমার তরুণ মজুমদার

    চলে গেলেন ‘চাওয়া পাওয়া’ সিনেমার তরুণ মজুমদার

    ডেস্ক নিউজ: বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার তরুণ মজুমদার আর নেই। আজ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এই নির্মাতা।

    গত ১৪ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর তাঁকে আনা হয় কেবিনে। কিন্তু গত শনিবার রাত থেকে আবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুরু হয় তাঁর শ্বাসকস্ট। গতকাল রোববার দুপুরে তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে।

    মৃত্যুকালে তরুণ মজুমদারের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। চিকিৎসকরা বলেছেন, মাল্টি অরগান ফেলইউর হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকালও অবশ্য তাঁর ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। যদিও তাঁর সুচিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে গড়া হয়েছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড।

    চিকিৎসকরা এতদিন দফায় দফায় তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছেন। তার কিডনি, হার্টসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রকট সমস্যা ছিল। ছিল তাঁর অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ।

    ষাট থেকে আশির দশকে তরুণ মজুমদার বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বেশ কয়টি বিখ্যাত ছবি নির্মাণ করেন। অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়কে বিয়ে করেছিলেন তিনি।তরুণ মজুমদারের জন্ম বাংলাদেশের বগুড়া জেলায়, ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি। প্রথম উত্তম-সূচিত্রা জমানায় ছবি নির্মাণে নেমেছিলেন তরুণ মজুমদার। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি হলো ‘চাওয়া পাওয়া’। ১৯৫৯ সালে উত্তম-সূচিত্রা এবং তুলসী চক্রবর্তীকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন ছবিটি। এরপর তিনি একের পর এক ছবি বানান। ছবি বানিয়েছেন ৩৬টি। সর্বশেষ ছবি ২০১৮ সালের ‘ভালোবাসার বাড়ি’। ওই বছরই অবশ্য শেষ তথ্যচিত্র করেছিলেন তিনি। তথ্যচিত্রটি হলো ‘অধিকার’

    তরুণ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘গণদেবতা’, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘যদি জানতেম’, ‘পলাতক’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘মেঘমুক্তি’, ‘খেলার পুতুল’, ‘অমর গীতি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘পথভোলা’, ‘আগমন’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘একটুকু বাসা’, ‘বালিকা বধূ’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বিরাজ’, ‘ঠগিনি’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘পরশমণি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘সজনী গো সজনী’, ‘কথাছিল’, ‘আলো’, ‘ভালোবাসার অনেক নাম’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালোবাসার বাড়ি’ উল্লেখযোগ্য। তরুণ মজুমদার তাঁর ২০টি চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়কে এবং ৮টি চলচ্চিত্রে তাপস পালকে নিয়েছিলেন।

    তরুণ মজুমদার চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সাতবার বিএফজেএ পুরস্কার, পাঁচবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ আনন্দলোক পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ১৯৯০ সালে পেয়েছিলেন ভারতের সর্বেচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্মান পদ্মশ্রী ।তরুণ মজুমদারের ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার, সূচিত্রা সেন, ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যাল, তুলসী চক্রবর্তী, বসন্ত চৌধুরী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, চিন্ময় রায়, জহর রায়, সুপ্রিয়া চৌধুরী, শমিত ভঞ্জ, মাধবী মুখার্জি, অসিত বরণ, দিলীপ মুখার্জি, অনিল চ্যাটার্জি, রুমা গুহঠাকুরতা, মৌসুমী চ্যাটার্জি, বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি, দেবশ্রী রায় , মহুয়া রায় চৌধুরী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, কোয়েল মল্লিক প্রমুখ টালিউড তরকারা ।

  • শারীরিক অবস্থার অবনতি, প্রবল শ্বাসকষ্ট, ভেন্টিলেশনে পরিচালক তরুণ মজুমদার

    শারীরিক অবস্থার অবনতি, প্রবল শ্বাসকষ্ট, ভেন্টিলেশনে পরিচালক তরুণ মজুমদার

    অনলাইন ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদারেরর। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি। ভেন্টিলেশনে দিতে হল তাঁকে।ভেন্টিলেশনে বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। রবিবার সকালে আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ডায়ালিসিসও করতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই।শরীরে রয়েছে একাধিক সংক্রমণ। নতুন করে দেখা দিয়েছে বুকের সংক্রমণ। হৃদ্‌রোগের সমস্যা ছিলই। বৃক্কেও সংক্রমণ রয়েছে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে। গত কয়েক দিন ‘সিসিউ’-তে ছিলেন। রবিবার সকালে ভেন্টিলেশনের সাহায্য নিতে হয়।প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিচালক। কয়েক দিন আগেও কিছুটা উন্নতি হয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থার। সেরে উঠছিলেন। রাইলস টিউবও খুলে দেওয়া হয়েছিল। কথা বলতে না পারলেও হাতে লিখে সকলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন।হঠাৎই রবিবার সকালে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। দেওয়া হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ।তিন দিন আগেই পরিচালকের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এম আর আই করা হয়েছিল। যে রিপোর্ট ছিল স্বাভাবিক। কয়েক দিন ‘সিসিইউ’-তে রেখে ‘উডবার্ন’ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের চিন্তাও করেছিলেন চিকিৎসকেরা।

  • বন্যাদুর্গতদের জন্য আমির খান দিলেন ৩০ লাখ টাকা

    বন্যাদুর্গতদের জন্য আমির খান দিলেন ৩০ লাখ টাকা

    ভারতের আসাম রাজ্যে বেশ কয়েক দিন ধরেই বন্যা। এই বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। বহু মানুষ হারিয়েছে তাদের ঘর–বাড়ি। প্রায় ১ লাখ ৮৭০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার মানুষের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে এখন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের সহায়তায় এবার এগিয়ে এলেন বলিউড তারকা আমির খান। প্রায় ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই টাকা অনুদান দিয়েছেন তিনি। বলিউড অভিনেতার এই মানবিকতায় কৃতজ্ঞ আসামের মুখ‍্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি টুইট করে আমিরের অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ধন‍্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের রাজ‍্যের বন‍্যাদুর্গত মানুষের জন‍্য সাহায‍্যের হাত বাড়িয়েছেন বলিউডের প্রখ‍্যাত অভিনেতা আমির খান। মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রায় ৩০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই মানবিক উদ‍্যোগের জন‍্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’আসামের বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিও। আমিরের আগে একাধিক তারকা এই ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিয়েছেন। এর মধ‍্যে রয়েছেন পরিচালক রোহিত শেট্টি, গায়ক সোনু নিগম, অভিনেতা অর্জুন কাপুর। তিনজনই প্রায় ছয় লাখ টাকা করে দিয়েছেন আসামের মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।কিছুদিন আগে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে এ দেশের মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ঢালিউড তারকারাও।

  • ২৫ দিনেই ৪০০ কোটির রেকর্ড

    ২৫ দিনেই ৪০০ কোটির রেকর্ড

    বহুল প্রতীক্ষিত তামিল অ্যাকশন থ্রিলার ‘বিক্রম’ মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয় আয়ের হিসাব-নিকাশ। বিশেষ করে চলতি বছর আরও দক্ষিণি ছবি ‘আরআরআর’ ও ‘কেজিএফ ২’ দুর্দান্ত ব্যবসা করায় ‘বিক্রম’ নিয়ে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল। ৩ জুন মুক্তির পর সেই প্রত্যাশা কড়ায়-গন্ডায় মিটিয়ে দিয়েছে ছবিটি। প্রথম দিন থেকে বক্স অফিসে বাজিমাত করে যাচ্ছিল। মুক্তির ২৫তম দিনে এসে বিশ্বব্যাপী ‘বিক্রম’-এর আয় ছাড়াল ৪০০ কোটি রুপি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।এর মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ থেকে ২৮০ কোটি রুপি আয় করেছে ‘বিক্রম’। ভারতের বাইরে থেকে এসেছে ১২০ কোটি। এর মধ্যেই তামিল সিনেমার সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকার দুই উঠে এসেছে ‘বিক্রম’। তামিলনাড়ু থেকে এ পর্যন্ত ১৬৯ কোটি রুপি আয় করেছে ছবিটি। ভারতের বাইরে ‘বিক্রম’ সবচেয়ে বেশি আয় করেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৫০ লাখ ডলার। বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শিগগিরই ৫০০ কোটি আয়ের রেকর্ডও পূর্ণ করবে ছবিটি।এর আগে এস এস রাজামৌলির সুপারহিট ছবি ‘বাহুবলী ২’-কে পেছনে ফেলে ‘বিক্রম’ তামিল বক্স অফিসে সবচেয়ে আয়ের রেকর্ড গড়ে। মুক্তির পর মাত্র ১৬ দিনেই দেড় শ কোটি রুপির ব্যবসা করে ছবিটি। ১৪২ কোটি ২০ লাখ আয় নিয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল ‘বাহুবলী ২’-এর। তালিকার তিন ও চারে রয়েছে আরেক তারকা বিজয়ের দুই ছবি ‘মাস্টার’ ও ‘বিগিল’।লোকেশ কঙ্গরাজ পরিচালিত এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন কমল হাসান। আছেন দক্ষিণ ভারতের আলোচিত দুই অভিনেতা—বিজয় সেতুপতি ও ফাহাদ ফাসিলও।

  • ঢাকায় আসছেন শিল্পা শেঠি

    ঢাকায় আসছেন শিল্পা শেঠি

    লিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ঢাকায় আসছেন। মিরর ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস প্রেজেন্টস ঢাকা ফ্যাশন ও ফেব্রিক্স এক্সপো ২০২২’তে অংশ নেবেন তিনি। আগামী ২৮ ও ২৯ জুনব্যাপী চলবে এই অনুষ্ঠান। এরপর ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হবে ‘বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’। এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন শিল্পা শেঠি। পারফর্ম করতেও দেখা যাবে তাকে।৬ বছর পর ঢাকা সফর নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় শিল্পা বলেন, প্রধান অতিথি হয়ে ঢাকায় আসছি। আমি খুবই উৎসাহী হয়ে আছি এই সফরের জন্য। কারণ ঢাকায় আমার অসাধারণ সব ভজানা গেছে, এই আয়োজনে ঢাকার তারকাদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন অপু বিশ্বাস, মেহজাবীন চৌধুরী, দীঘি, বিদ্যা সিনহা মিমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটিতে থাকবে ফ্যাশন শো, ডান্স পারফর্মেন্স, মিউজিক্যাল পারফর্মেন্সসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।ক্ত রয়েছেন।

  • ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখছি’

    ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখছি’

    আজ সেই বহু প্রতীক্ষিত ২৫ জুন। আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে শোবিজ জগতের একঝাঁক তারকার ভিড়ে উপস্থিত আছেন অভিনেত্রী-গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনও। সেখান থেকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় হুমায়ূন-পত্মী বললেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখেছি।’

    শাওন বলেন, ‘এ এক অসাধারণ অনুভূতি। আমার প্রজন্ম পদ্মা সেতুর উদ্বোধনটা স্বচক্ষে দেখতে পারছে। যারা সামনা সামনি দেখছি, টিভিতে দেখছি বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখছি- এটা সবার জন্য একটা অসাধারণ অনুভূতি, একটা গর্বের বিষয়।’অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা যে হার না মানা জাতি, আমরা যে আমাদের অধিকার আদায় করতে পারি, কেউ চাইলেই যে আমাদের অধিকার খর্ব করতে পারে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত চেষ্টায় আমরা সেটা আরও একবার প্রমাণ করতে পারলাম। এটা অসাধারণ একটা মুহূর্ত আমাদের সবার জন্য।’

    শাওন ছাড়াও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোবিজ জগৎ থেকে আরও উপস্থিত আছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার, শমী কায়সার, আফসানা মিমি, জায়েদ খান, গীতিকার কবিল বকুলসহ অনেকে।

    এরইমধ্যে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তিনি রয়েছেন শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে। জাজিরা পয়েন্টে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে বিশেষ মোনাজাতেও যোগ দেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা।

  • দামি জামা কেনার টাকা ছিলো না, বলেই কাঁদলেন সালমান খান

    দামি জামা কেনার টাকা ছিলো না, বলেই কাঁদলেন সালমান খান

    বলিউডের অন্যতম সম্পাদশালী নায়ক সালমান খান। অথচ এক সময়ে তার দামি জামা-কাপড় কেনার সাধ্য ছিলো না বলেই জানিয়েছেন। সে সময় নাকি তার পাশে এগিয়ে এসেছিলেন সুনীল শেঠি। কিনে দিয়েছিলেন দামি জিন্স প্যান্ট ও শার্ট।

    চলতি মাসের শুরুতেই আবুধাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল আইফা অ্যাওয়ার্ড ২০২২। রোববার (২৫ জুন) রাত ৮টায় কালার্স টিভিতে সম্প্রচারিত হবে এটি। আর চ্যানেলের পক্ষ থেকে শেয়ার করা এক প্রোমোয় দেখা গেল, চোখের জল ফেলছেন সালমান খান; বলছিলেন, আর্থিক সমস্যার সময় সুনীলের দামি টি-শার্ট উপহার দেওয়ার কথা। 

  • এবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ছিটমহল’

    এবার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ছিটমহল’

    দেশের প্রেক্ষাগৃহে গত ১৪ জানুয়ারি মুক্তি পায় আলোচিত ছবি ‘ছিটমহল’। এবার ছবিটি প্রদর্শিত হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘লিফ্ট অব গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের ইংল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। 

    আগামী ২৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই ফেস্টিভ্যালে ‘ছিটমহল’ প্রদর্শিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির আন্তর্জাতিক প্রজেকশান নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আর হাবিব। তিনি জানান, ছবিটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ প্রদর্শিত হবার জন্য মনোনয়ন পেয়েছে। ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষ মেইলে আমাদের তা নিশ্চিত করেছেন।’ ‘ছিটমহল’ ছবির গল্পে ছিটমহলবাসীদের ৬৮ বছরের বঞ্চনার জীবনকে পেছনে ফেলে নতুন করে বাঁচার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। এর নির্মাণ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ছিটমহল কেন্দ্রিক এই ছবির অন্যতম প্রধান কলাকুশলীরা হলেন পিয়া জান্নাতুল, শিমুল খান, মৌসুমি হামিদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, ডন, মীরাক্কেল খ্যাত সজল, এইচ আর হাবিব, এবিএম সোহেল রশিদ, উজ্জ্বল কবির হিমু প্রমুখ। পুরো সিনেমাটির শুটিং হয়েছে পঞ্চগড়ে ছিটমহলের মধ্যেই।

    এদিকে, এইচ আর হাবিবের সায়েন্স ফিকশান সিনেমা ‘জলকিরণ’ এর শুটিং শেষে এখন এডিটিং চলছে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন পিয়া জান্নাতুল, আরমান পারভেজ মুরাদ, মৌসুমি হামিদ, ডন হক, আনোয়ারুল আলম সজল, শিমুল খান প্রমুখ।