র্যাবের উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার নওয়াবেকী বাজারে ‘ইরানী বস্ত্রালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ওই উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল হোসেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার নওয়াবেকী বাজারে মৌজা- আটুলিয়া, এস এ খতিয়ান-০১, এস এ দাগ নং-৫১৩১, জমির পরিমাণ ২০ বর্গ মিটার। সরকারী পেরীফেরী এই জমি আমি ১৯৯৮ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি। এই জমিটি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ০৭/০৮/২০০৮ ইং তারিখে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নিকট আবেদন করি। তখন আবেদনটি গ্রহণ করে ২০১৬ নং স্মারকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ১১/০৮/২০০৮ ইং তারিখে ৪নং আদেশ আবেদনকারী আমি মোঃ মুকুল হোসেনের আদেশ মঞ্জুর পূর্বক বন্দোবস্তের মাধ্যমে লীজ প্রদান করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগরকে আদেশ প্রদান করে। এ আদেশের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগর আবেদনকারী মোঃ মুকুল হোসেনের বরাবর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেভিনিউর ২৮৬০ টাকা গ্রহণ পূর্বক রশিদ প্রদান করে ১০০ ও ৫০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে শর্তাবলী সম্পাদন করে প্রতি বছর রেভিনিউর ২৬০ টাকা গ্রহন করে আদেদনকারীর বরাবর চুক্তি সম্পাদন করে দেন। ফলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমি রেভিনিউ পরিশোধ করি। এরপর আমি লীজ জমিতে ‘ইরানী বস্ত্রালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ অবস্থায় জনৈক শামিমা ঝরনা, তার স্বামী আব্দুর রউফ ও সন্তান শাহরিয়ার ওরফে রোকনের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬/০৫/১৯ইং তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমান সঙ্গীয় ৮/১০ জন ফোর্স নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়। তারা আমাকে ভয়ভিতী প্রদর্শন করে আমার এবং আমার ভাই বুলবুল হোসেন কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এসময়ে আব্দুর রউফের ভাই ১৩ নং হায়বাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান লাভলু আমাদেরকে হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানের নিদের্শে তাৎক্ষণিকভাবে আমার দোকানের অধিকাংশ জায়গা ৫ ইঞ্চি ইটের গাথুনি দিয়ে শামিমা ঝরনাকে দখল বুঝিয়ে দেয়। এসময়ে আমি সরকারী বৈধ দলিলপত্র দেখাতে চাইলে তিনি কোন কাগজপত্র দেখবেন না বলে জানান এবং এ নিয়ে কোন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা হলে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ফলে এখন আমি কোন ব্যবসা করতে পারছিনা। নিঃশ্ব হয়ে ঘরে বসে আছি। দোকানে আগের তোলা মালামাল পচন ধরছে। ঈদের সময় মালামাল বিক্রি করতে না পারায় লাখ লাখ টাকা দেনা হয়ে পড়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ হলে প্রকৃত জমির মালিকানা নির্ধারণ করে আদালত। কিন্তু আদালতে না গিয়ে কি ভাবে একজন বৈধ মালিক কে উচ্ছেদ করা হলো? আর আমার জমির মালিকতো সরকার। আমি সরকারের ভারাটিয়া মাত্র। সরকারের পক্ষে মামলা না করে আমাকে উচ্ছেদের বৈধতা কতটা আইন সিদ্ধ? একজনের আবেদনের সত্যতা যাচাই বাছাই না করে পক্ষ নেওয়াটা সঠিক কিনা? র্যাবের ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমান দু পক্ষের কাগজপত্র দেখে বাজার কমিটির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারতেন, কিন্তু তিনি না করে একজনকে জোরর্পর্বক উঠিয়ে আরেকজনকে বসিয়ে দিলেন-এই সিদ্ধান্ত কতটা আইন সম্মত?
এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ মুকুল হোসেন বলেন, জমির অবৈধ মালিকানা দাবিদার শামিমা ঝরনার ছেলে শাহরিয়ার ওরফে রোকন একজন সেনা সদস্য। সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার সুবাধে তিনি মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানকে দিয়ে তিনি এ অন্যায় কাজটি করিয়েছেন। তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের বনদস্যু, বাওয়ালী, মাওয়ালী, মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী, ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সম্প্রতি তাকে মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর ক্যাম্পে বদলী করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, র্যাবের কাজ হচ্ছে শান্তিশৃংখলা প্রতিষ্ঠিত করা। র্যাবের কাজ অবৈধভাবে কাউকে উঠিয়ে অবৈধভাবে কাউকে বসিয়ে দেওয়া নয়। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে র্যাবের ভাবমুর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে লীজি সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারি তার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল হোসেন। #
Category: সংবাদ সম্মেলন
-

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোরপূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও হুমকির প্রদানের অভিযোগ
-

শ্যামনগরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ নির্মান, লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলায় বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ নির্মানসহ লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার সিএসআরএল সম্মেলন কক্ষে উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলার ১২ টি ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের সেক্রেটারী এস আতাউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, আটুলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহবাবু, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, বুড়িগোয়ালীনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. শোকরআলী,গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মুসুদুল আলম, মুন্সিগজ্ঞ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়র, শ্যামনগরের প্যানেল চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন প্রমুখ। এ ছাড়া এ আরো উপস্থিত ছিলেন ১২টি ইউনিয়নের একজন করে নারী ও পুরুষ সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নাজিমুদ্দীন, সদস্য শেখ হারুন-অর-রশীদ, মাস্টার নজরুল ইসলাম, চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, শম্পা গোস্বামী, প্রগতির শেখ রফিকুল ইসলাম ও সিএসআরএলের সুপর্ণা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বিপর্যস্ত জনপদ গুলোর একটি হচ্ছে শ্যামনগর উপজেলা। গত দশ বছরে এখানে সিডর, আইলাসহ ১০ টি বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত এনেছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিন গুলোতে এর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রভাব তীব্র হবে। নদী ভাঙনের ফলে এ উপজেলার পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, গাবুরা, মুনিাসগঞ্জ, বুগিগোয়ালিনী, কাশিমাড়ি ও কৈখালী ইউনিয়নে মাইগ্রেশনের সংখ্যাও বেশী। পরিবার কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলায় আইলা ও সিডর পরবর্তী সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে উপকুলীয় জেলা গুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা আগে তলিয়ে যাবে। পরিবেশবীদদের এমন আশঙ্কায় এ জনপদ থেকে নীরব অভিবাসন শুরু হয়েছে। আর লবনাক্ততা এই উপজেলার অন্যতম প্রধান অভিঘাত। সমুদ্র উপকুলবর্তী হওয়ায় এ উপজেলার মূল জলাধারা সমুহ লোনাপানির। প্রধান নদী ইছামতি, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, কালিন্দি, মাদার , যমুনা ও রায়মঙ্গল নদীসহ ১২৬টি খাল ও জলমহল রয়েছে। নদী থেকে কুষি জমি ও চিংড়ি ঘেরে লোনা পানি আনা ও বের করে দেয়ার কাজে এই খাল গুলো ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে খাল গুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাট হওয়ায় কারনে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্যামনগরসহ জেলার ৭টি উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরকে বাঁচাতে তারা এ সময় ১২ দফা দাবী উপস্থাপন করেছেন। দাবী গুলোর মধ্যে রয়েছে, উপকুলীয় বাধের নতুন ডিজাইন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতা প্রতিরোধে সক্ষম বেঁড়িবাধ দ্রুত নির্মানের জন্য বরাদ্দ প্রদান, প্রত্যেক ইউনিয়নে জলববায়ু তহবিল গঠনে বরাদ্দ দেয়া, উপকুলবর্তী প্রত্যেক গ্রামে কমপক্ষে দুটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে আরও পানির প্লান্ট তৈরিসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন। -
সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি : ৪৬ লক্ষ টাকার দু’টি প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে পৌরসভার উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ ও ভাবমুর্তি নষ্ট করা হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সরকারি নীতিমালা মেনে ই-টেন্ডার পক্রিয়ার মাধ্যমে পত্রিকায় বিজ্ঞ্িপ্ত দিয়ে দরপত্র ও সিডিউল অনুযায়ী পৌরসভার উন্নয়ন ৪৬ লক্ষ টাকার দু’টি প্রকল্প নিয়ে অহেতুক মিথ্যা ও অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্য প্রণোদীতভাবে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাতক্ষীরা পৌরসভা। বুধবার (২৯ মে) বিকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার আয়োজনে পৌর কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌরসভার সকল স্টাফদের সাথে নিয়ে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র চিশতি বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিছুদিন আগে স্থানীয় িএকটি দৈনিকে যে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে সে পৌরসভায় এসেছিল। দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশনের হুমকির ভয় দেখিয়ে অনেক টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। তার দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। দৈনিক পত্রদূত ও অনলাইন পোর্টাল দৈনিক সাতক্ষীরায় যারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে তাদের এই সংবাদ সম্মেলনে আসার আহবান জানিয়েছিলাম সকল কাগজ পত্র দেখতে। কিন্তু তারা আসেনি। কারণ তাদের সৎ সাহস নেই। পৌরসভার মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১২/০৪/২০১৯ ইং তারিখে ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি, জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ ও সাতক্ষীরা স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা কালের চিত্র পত্রিকায় দরপত্র আহবান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং নিদিষ্ট তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পৌরসভায় মোট ৩টি সিডিউল জমা পড়ে। যাচাই বাঁছাই শেষে দু’টি সিডিউল বৈধ হয়। কোন বিদেশী সাহার্য্য সংস্থার অর্থায়ণে এ প্রকল্পের কাজ হচ্ছেনা। অথচ এই সংবাদে সাহার্য্য সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা এই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে পৌরসভা ও পৌরবাসীর ভাবমুর্তি নষ্ট করেছেন। সেই সাথে পৌরসভার উন্নয়ন কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। একবার ভেবে দেখুন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনে যদি বিদেশী সংস্থা জার্মান প্রকল্পের টাকা ফেরত যায় তাহলে পৌরসভার দেড় দুই লক্ষ মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হবে। এটা কি সমুচিন হবে ? আমি পৌরসভার উন্নয়ন করতে এসেছি। আমি লুটপাট করতে আসিনি। পৌরসভা স্বেচ্ছাচারিতা করেনা। পৌরসভা যদি সত্যিকার অর্থে কোন দুর্নীতি করে প্রমাণ সাপেক্ষে বিরুদ্ধে লিখুন কিছুই বলবোনা। মিথ্যা লিখবেন ছাড় পাবেননা। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পৌরসভা ও পৌরবাসীর যে ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে তার জবাব দিতে হবে। প্রেসক্লাবের সদস্য পদ বাতিল চেয়ে আবেদন জানান হবে এবং জাতীয় প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার চেয়ে আবেদন পাঠাবো। মিথ্যার বেসাদী ছেড়ে পৌরসভার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পৌর মেয়র। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎ¯œা আরা, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, মো. শফিকুল আলম বাবু,শাহিনুর রহমান শাহিন, শেখ আব্দুস সেলিম, মহিলা কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, পৌরসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ^াস, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার, শহর পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দন মহলী, এসও সাগর দেবনাথসহ পৌর কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। -

সংবাদ সম্মেলন: শ্যামনগরের যুবলীগের নেতা কতৃক চুরির মামলার ভয় দেখিয়ে ভ্যানশ্রমিককে নির্যাতন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
তোর নামে চুরির মামলা হয়েছে। থানা থেকে তোর নাম কেটে দেবো। আমাকে ২০ হাজার টাকা দে। এ কথায় সম্মত হয়নি ভ্যান শ্রমিক আকরাম হোসেন। এ জন্য তাকে নৃশংসভাবে মারপিট করেছে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের যোগিন্দ্রনগর এলাকার যুবলীগ সভাপতি অহিদুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বয়ারসিং গ্রামের আকরাম হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। আকরাম এখন সাতক্ষীরা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ফিরোজা বলেন আমাদের প্রতিবেশী সুমনদের বাড়িতে দিনের বেলায় চুরি হয়েছে শুনেছি। চোরেরা সোনার গয়না ও টাকা পয়সাও চুরি করে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অহিদুল সরব হয়ে ওঠে। গত ৭ মে অহিদুল আমার স্বামীকে কথা আছে বলে ঘের থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে বলে তুই সুমনের বাড়িতে চুরি করেছিস। তোকে পুলিশে দেবো। থানায় তোর বিরুদ্ধে নালিশ গেছে। আমি ঠেকিয়ে দেবো। তবে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। ফিরোজা বলেন আমার স্বামী বলেছেন আমি ভ্যানচালক। কোথায় পাবো ২০ হাজার টাকা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদুল ও তার ভাড়াটে বাহিনী আকরামকে লোহার রড , গরাণের লাঠি ও বঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। তিনি জানান এঘটনার পর আকরামকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান তার শাশুড়ি লায়লা বেগম বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা করেন। পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি অহিদুলকে ধরতে পারেনি।
তিনি বলেন আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামালা না তুললে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেও জানিয়েছে। আসামি মোকাররমবিল্লাহ হাসপাতালে এসে হুমকি দিয়ে গেছে । বলেছে মামলা না তুললে খবর আছে।
ফিরোজা বলেন আমরা খুব গরিব ও অসহায়। আমাদের সাধ্য নেই অহিদুলের মতো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া । তিনি এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। একই সাথে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আকরামের ভাই আলতাফ হোসেন, তার স্ত্রী রেহানা খাতুন ও তাদের স্বজন রেজাউল ইসলাম। -

সংবাদ সম্মেলন : সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত অভিনেতা দিনেশ ঘোষকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পাটকেলঘাটার সরুলিয়ায় অবৈধভাবে গায়ের জোরে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত অভিনেতা দিনেশ ঘোষকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ঘোষপাড়ার মৃত বলাই কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র দিনেশ চন্দ্র ঘোষ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন একসময়ে দুই বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা এবং সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কর্মী ছিলাম। আমি এবং আমার ছোট ভাই প্রশান্ত কুমার ঘোষ আমার পিতার উত্তারাধিকারী। আমাদের আপোন চাচাতো ভাই মৃত নগেন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র কল্যাণ ঘোষ আমাদের দুইভায়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে কল্যাণ ঘোষ আমার ইতোপূর্বে ছোট ভাই প্রশান্তকে মারপিট করে এবং মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমার ছোট ভাই ওই চিন্তায় প্যালাইজডে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য আছে। ছোট ভাই অসুস্থ্য, ভাইপোরা ঢাকা প্রবাসী সেকারণে আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য একমাত্র বাধা আমি। যে কারণে কল্যাণ আমাকে সরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সরুলিয়া মৌজার আর এস ২৩৩ দাগে ৬ শতাংশ জমির মাথায় কল্যাণ ঘোষের মৎস্য পুকুর আছে। গত ২৬/০৪/২০১৯ তারিখ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। এসময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা কল্যাণ বাঁশের লাঠি দিয়ে পিছন দিক থেকে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। সেসময় ডাক চিৎকার করলেও আশে পাশে কেউ না আসায় জীবন বাঁচাতে দৌড়ে জীবনে রক্ষা পেলেও লাঠির আঘাতে আমার দুইপা মারাত্মক ফোলা জখম হয়। পরবর্তীতে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। তিনি ডাঃ মধুসূদন মন্ডলের কাছে পাঠান। তিনি আমার পায়ের অবস্থা খারাপ দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শরিফুল ইসলাম ছাড়পত্রে উল্লেখ করেন আমি বর্তমানে গুরুতর শারিরীর অসুস্থ্যতায় ভুগছি। এঘটনায় আমি পাটকেলঘাটায় অভিযোগ দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি জিডি করে তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করলে আদালত বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের অনুমতি দেন।
তিনি আরো বলেন ওই কল্যাণ ঘোষ স্থানীয় আওয়ামীলীগের ছাত্রছায়ায় এবং তার ভাই সচিব তপন কুমার ঘোষ ও এগ্রিকালচার অফিসার মোহন কুমার ঘোষের সহযোগিতায় অত্র এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। ইচ্ছামত মানুষকে মারপিট ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। কল্যাণ ঘোষ সাতক্ষীরা ছফরুননেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক। কিন্তু কল্যাণ শিক্ষক নামের কলঙ্ক। কোন শিক্ষক কি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে পারে, অন্যায়ভাবে জমি দখলের উদ্দেশ্যে চাচাতো বড় ভাইকে মারপিট করতে পারে। এধরনের সন্ত্রাসী শিক্ষককে কলেজে শিক্ষকের দায়িত্বে স্থান দেওয়া উচিত নয় বলে আমি মনে করি।
এব্যাপারে সন্ত্রাসী কল্যাণ ঘোষের হাত থেকে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও মারপিটের ঘটনায় তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -
বৃদ্ধ বাবার আকুতি ‘ছেলের খোঁজ চাই’
আব্দুল জলিল : সাদা পোশাকধারী একদল লোক মাইক্রোবাসে এসে আমার ছেলে হাসান শেখকে তুলে নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে তাকে তুলে নিয়ে যাবার সময় বাধা দেওয়ায় আমার ছেলের বউকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে গেছে তারা।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে কান্নাজড়িত কন্ঠে এ কথা বলেন হাসান শেখের বাবা শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা গ্রামের বৃদ্ধ আজিজুল শেখ। তিনি বলেন এর পর থেকে ছেলের কোনো সন্ধান পাইনি। এ নিয়ে কালিগঞ্জ থানায় তার ছেলের বউ একটি জিডি করেছেন বলে জানান তিনি।
আজিজুল শেখ বলেন তার ছেলে ইটভাটা শ্রমিক। কালিগঞ্জের কুশলিয়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে সে থাকে। সে কোনো অপরাধী লোক নয়। তবে শ্যামনগরে তার বিরুদ্ধে বন আইনে একটি মামলা আছে। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হেযছে কয়েকদিন আগে।
তিনি জানান গত মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে একটি মাইক্রোতে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক তার ছেলের বাড়ি আসে। তারা তাকে বাইরে আসতে বলে । ঘরের বাইরে আসা মাত্র তাকে আটক করে সাদা পোশাকধারীরা। তিনি জানান পুত্রবধূ পলি বেগম এতে বাধা দিতেই তারা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এর পর থেকে হাসান শেখের আর খোঁজ মেলেনি। এ ব্যাপারে পলি বেগম কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন । নম্বর ৪২৪ ।
বৃদ্ধ আজিজুল শেখ বলেন তার ছেলে কোনো ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত নয়। সে কোনো দলও করে না। তারপরও আইনের দৃৃষ্টিতে সে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে থাকলে তার বিচার চাই। কিন্তু সে কোথায় আছে তা আমাকে জানতে হবে।
তিনি বলেন আমার একমাত্র ছেলের মুক্তি চাই। অপরাধী হলে আমিই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবো। তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। -

সংবাদ সম্মেলন : তালার চরগ্রামে লম্পট শাহাদাতের পাল্লায় শিরিনা ও তার মেয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাবার মৃত্যুর পর আপন চাচা নামের কলংক শাহাদাত আমার মা এমনকি আমাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পেছনে তার ছিল সম্পদের লোভ। সেই কাকা আমার নানার কাছ থেকে পাওয়া জমি গ্রাস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আর এতে বাধা দিতে গিয়ে কাকার সন্ত্রাসী হামলায় আমার মার আঙ্গুল কাটা গেছে। তিনি আহত হন। এরপরও তালা থানা এ বিষয়ে মামলা নেয়নি।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান তালার মাগুরা ইউনিয়নের চরগ্রাম গ্রামের সুজায়েত আলির মেয়ে সোহেলি ইমা চাঁদনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার চাচা মোস্তফা পাড়, সোহরাব পাড়, চাচাতো ভাই বাবলু শেখ ও তার স্বামী সাইফুল্লাহ শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেলী ইমা চাঁদনি বলেন তার বাবা সুজায়েত আলি আট বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমার আপন চাচা শাহাদাত হোসেন শেখ আমার মা শিরিনা বেগমকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এমনকি সে আমাকেও উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মা শিরিনা শহাদাতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য হন। সেই পক্ষে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয় । বিয়ের এক বছর পার না হতেই কাকা শাহাদাত আমার নানার কাছ থেকে আমার মায়ের প্রাপ্ত তিন বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মার কাছ থেকে একরকম জোর করেই সে জমি তার নিজের নামে লিখে নেয়। এর আগে সে আমাদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। এমনকি ঘরে থাকা খাবার চাল আটকে দেয়। রান্নার চুলা ভেঙ্গে দেয় । ভাতের হাড়িতে মুরগির বিষ্টা ফেলে অত্যাচার করতে থাকে। চরিত্রহীন লম্পট শাহাদাত সব সময় জুয়াড়িদের ও মাদকখোরদের সাথে আড্ডা দেয় । সে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। তার দুই মেয়ে আমি ও ইমুর প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করে না। এসব বিষয় নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে সে জানায় সে কারও ভরণ পোষন দিতে পারবেনা।
চাঁদনি জানান তখন তিনি তার মাকে নিয়ে অন্যত্র ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেন। অপরদিকে শাহাদাত জানিয়ে দেয় শিরিনা তাকে তালাক দিলে তথন সে জমিতে চাঁদনি যেতে পারবে। তিনি জানান শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেন চাঁদনি। তাতেও বাধা দেয় শাহাদাত। এমনকি সে পুলিশকে ম্যানেজ করে বাধার সৃষ্টি করতে থাকে। চাঁদনি জানান তারপরও তিনি জমিতে ধান কাটতে গেলে লম্পট শাহাদাত তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এমনকি আমাদের ওপর হামলা করে।
গত ৩০ এপ্রিল ধান কাটার সময় শাহাদাত ও তার লাঠিয়াল বাহিনী হামলা করে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে। ধারালো দা দিয়ে কোপ মারলে আমার মা শিরিনারএকটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। স্থানীয় ভ্যান চালক রাজ্জাক সেই কর্তিত আঙ্গুলটি নিয়ে তালা থানায় জমা দেয়। পরে এ বিষয়ে তালা থানায় একটি মামলা দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি। এমন কি পুলিশ শাহাদাতকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আর আমার মা শিরিনা এখনও সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদনি বলেন আমরা লম্পট শাহাদাতের শাস্তি চাই। তালা থানায় এ ব্যাপারে মামলা হওয়া চাই। এসব বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। -
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ নিরাপত্তাহীনতায় কালিগঞ্জের কলেজ ছাত্র শেখ হেলাল
নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়নের মহেশকুড় গ্রামের কলেজ ছাত্র শেখ হেলাল নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তাকে পুকুরে পুতে ফেলার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এমনকি বংশে বাতি দেওয়ার মতো কাউকেই রাখবে না বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শেখ হেলাল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন তাদের সাথে প্রতিবেশি শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলায় শেখ হেলাল পরিবার ডিক্রি লাভ করে। সে অনুযায়ী তারা ওই জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন। হাল ডিপি ২৫৪ নম্বর খতিয়ানের ২৬০,২৬২,৪০৫ চূড়ান্তভাবে তার পরিবারের নামে রেকর্ড হয়। কোবালা দলিল বুনিয়াদে এসএ ২১ নম্বর রেকর্ডে অংশ কালিগঞ্জ সহকারির জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করে শেখ হেলাল পরিবার দুই তরফা ডিক্রি পায়। বিবাদী পক্ষ আপিল করলেও তারা ডিক্রি লাভ করেন। বর্তমানে সেটলমেন্ট জরিপে ডিএস এবং আর এস রেকর্ডও লাভ করেন শেখ হেলালের পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে শেখ হেলাল বলেন গত ১৯ এপ্রিল ওই জমির পুকুর থেকে ধান ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার সময় বাধা দেয় একই গ্রামের আশরাফ আলি, শোকর আলি, শেখ বাবুল, শেখ হাসেম আলি ও লাইলি বেগম। তারা তাদেরকে গালিগালাজ করে। তাদের শ্যালো মেশিন বন্ধ করে দেয়। তারা পুকুরে নামতে নিষেধ করে। তিনি জানান শেখ হেলালের দাদা শেখ আবু তাহের এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। পুলিশ দুইপক্ষকে ডাকলেও প্রতিপক্ষ তাদের সমর্থনে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
শেখ হেলাল অভিযোগ করে বলেন গত ২৫ এপ্রিল সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন তার নিজের মুদি দোকানে এসে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে গেছে। এই পুকুরে এলে তাদের পুতে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে। তারা শেখ হেলালের গলার কলার ধরে দোকান থেকে টেনে বের করে এনে মারধর করে। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় আরও একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।
শেখ হেলাল এর প্রতিকার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন আমি এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি -
সাতক্ষীরায় হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার নগরঘাটায় বিক্রয়ের ৯ বছর পর অবৈধভাবে দোকান দখলের উদ্দেশ্যে খুন জখমের হুমকি, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটকেলঘাটার নগরঘাটা গ্রামের মেহেরা আরী সরদারের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন বিগত ২০১০ সালে একই এলাকার মৃত রমজান সরদারের পুত্র নুরুল ইসলামের (ইসলাম) কাছ থেকে নগরঘাটা মৌজায় এস এ ৩২৪৩ নং খারিজ ৩২৪৩/১ খতিয়ান- দাগ নং- ৯১৩৯ এর ২ শতকের মধ্যে ৩৮৯/৪৩৫শতাংশ সম্পত্তিতে থাকা তার (ইসলামের) নামীয় ২দুটি দোকানঘরসহ ক্রয় করি। যার দলিল নং ১৪০০। এরপর দীর্ঘদিন ওই দোকানঘরে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি ইসলাম আকস্মিকভাবে আমাকে দোকানঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে বলে, ‘আমি তোর কাছে দোকান বিক্রয় করিনি, আমার দোকান ছেড়ে চলে যা, না গেলে খুন, জখম করবে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করবে, জেল হাজত খাটাবে। অথচ বিগত ২০১০ সালের মার্চ মাসের ১১ তারিখে আমার নামে ওই দোকানঘর কোবলা দলিল করে দেন নুরুল ইসলাম। আমি নুরুল ইসলামের কথার প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে বলে, তাকে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। না দিলে সে জোরপূর্বক দোকানঘর দখল করে নেবে। ইসলাম একজন নব্য আওয়ামীলীগার। ইতোপূর্বে অন্যদলের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের মত শান্তি প্রিয় মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছে। তার অপকর্মের বিষয়ে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ অবগত আছেন। কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে হয়রানি ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে তাদের দমিয়ে রাখে। আমি ওই ইসলামের ষড়যন্ত্রের দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সে আমাকে একেরপর এক বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার হুমকি প্রদর্শন করছে। তার হুমকিতে ভীতু হয়ে পড়েছি।
এব্যাপারে তিনি ইসলামের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -

সাতক্ষীরার উন্নয়নে নাগরিক সমাজের ২১ দফা
নিজস্ব প্রতিনিধি। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত খাদ্য শস্যের অর্ধেক ব্যবহৃত হয়। উৎপাদিত মৎস্য সম্পদের এত তৃতীয়াংশ ব্যবহারের পর তা দেশের ঘাটতি এলাকায় চলে যায়। সাতক্ষীরার আম যাচ্ছে ইউরোপ, মাটির টালি যাচ্ছে ইটালিতে। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য রফতানিতে সাতক্ষীরা বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় জেলা। অথচ এই জেলায় উন্নয়নের ধারা হতাশাব্যঞ্জক।
এমন সব তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি এই জেলার উন্নয়নে ২১ দফা দাবি তুলে ধরে তা এবারের বাজেটে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছেন দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও জেলা হিসাবে সাতক্ষীরা পিছিয়ে পড়েছে। বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরায় উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম। এ সময় এড. আবুল কালাম আজাদ, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, নিত্যানন্দ সরকার , আজাদ হোসেন বেলাল, আলি নুর খান বাবুল প্রমূখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালের ২৩ জুলাই সাতক্ষীরা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরায় রেল সংযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আজও বস্তবায়িত হয়নি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন সাতক্ষীরায় পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় , সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্র নির্মান এবং দক্ষিণ বাংলার উন্নয়ন সিংহদ্বার ভোমরা স্থল বন্দর ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে পূর্নাঙ্গতা প্রদান করতে হবে। নদী ভাঙ্গন , জলাবদ্ধতা এবং আইলা সিডর উপদ্রুত উপকূলীয় এলাকাকে ‘দুর্যোগ প্রবণ এলাকা’ ঘোষনা করে অভিবাসনরোধ করা, পলি পড়ে ভরাট হওয়া নদী খাল খনন , সুন্দরবনে সম্পদ ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা, মৎস্য শিল্প উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ গ্রহন, সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকার প্রাণ সায়ের খাল খনন এবং রাস্তাঘাট সেতু নির্মান ও সংস্কার দরকার। সাতক্ষীরায় ইকোনমিক জোন স্থাপন, সব উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন, আর্সেনিক ও লবনাক্ততামুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ , জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় কর্মসূচি প্রণয়ণ এবং কৃষি পণ্য সংরক্ষন জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া জনসম্পদের উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, সব উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ, সকল পুরাকীর্তি ও মুক্তিযুদ্ধের সমুদয় স্মৃতি সংরক্ষন , বিনোদন এবং ক্রীড়া খাত উন্নয়নের ওপরও জোর দেওয়া হয়।
এ ধরনের ২১ টি প্রধান দাবি তুলে ধরে তারা বলেন সাতক্ষীরার ২৪ লাখ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে এবং তাদের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তা বাস্তবায়ন দরকার। আগামি বাজেটে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে তা জনস্বার্থে বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের এই দক্ষিন পশ্চিম সীমান্ত অর্থনৈতিকভাবে উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। -

সংবাদ সম্মেলন: কলারোয়ার জয়নগরে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি থেকে দিদার আলিকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি পেয়েছেন কলারোয়ার নীলকন্ঠপুর গ্রামের মো. দিদার আলি। তিনি বলেন এ জমির অনুকূলে আমি নিয়মিতভাবে খাজনা পরিশোধ করে আসছি। এবারও খাজনা দিতে গেলে আমাকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসার বলেছেন তোমার জমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। এর খাজনা নেওয়া যাবে না। দিদার বলেন আমার কাছে সরকারের দেওয়া দলিল আছে, তারপরও হঠাৎ কেনো এবং কোন উদ্দেশ্যে আমাকে উচ্ছেদ করা হবে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এর প্রতিকার দাবি করছি।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন দিদার আলি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন নীলকন্ঠপুর মৌজার হাল ২৩৯১ দাগের আলোচিত ওই খাস জমি আমাদের পৈতৃক ছিল। সেখানে ২০০০ সাল থেকে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছি। এ জমির ডিএস রেকর্ডও ছিল আমাদের পূর্বপুরুষের নামে। তিনি বলেন খাস হয়ে যাওয়ায় আমি ওই জমি ২০০৫ ও ২০০৬ সালে সরকারের কাছ থেকে এক সনা ডিসিআর পাই। ২০১২ সালে আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি ২০১৫ সাল থেকে ১৫ শতক জমি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত লাভ করি। সরকার আমার নামে বন্দোবস্ত দলিল করে দেয়। আমার ভাই হায়দার আলিও অবশিষ্ট ১৫ শতকের বন্দোবস্ত পেলেও তার স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় তিনি আর দলিল নিতে পারেন নি। লিখিত বক্তব্যে দিদার আলি বলেন গত ২৩ জানুয়ারি কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে জানতে পারি আমার ও আমার ভাইয়ের বসতভিটাসহ জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাস্তা ও ডোবা দেখিয়ে বন্দোবস্ত বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো নোটীশ জারি না করেই আমার বসতবাড়ি ভেঙ্চেুরে আমাদের উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চলছে। এমন খবর পেয়ে তার মাথায় হাত ওঠে জানিয়ে দিদার বলেন উচ্ছেদ করা হলে আমাদের দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্য কোথায় আশ্রয় পাবে’। আমাদের খোলা আকাশের নিচে বসত গাড়তে হবে বলে আক্ষেপ করেন তিনি। তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসার ও কলারোয়া উপজেলা ভূমি অফিসার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আমাদের দুটি পরিবারকে উচ্ছেদ করে দিতে চায়। সরকার যেখানে ভূমিহীনদের সরকারি খাস জমিতে বসাতে চায় সেখানে তহশিলদার ও এসি ল্যান্ড আমাদের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি থেকে উৎখাত করতে মাঠে নেমেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিদার আলি বলেন আমি আমার পরিবারবর্গ নিয়ে সরকারের খাস জমিতে থাকতে চাই। আমি এ ব্যাপারে তার সহায়তা কামনা করছি। -

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল জব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার দুটি সীমান্তে বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে। শুক্রবার ভোরে সাতক্ষীরার বৈকারী ও কাকডাঙ্গা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ, কাপড়, গরু ও বাই সাইকেল।
তবে, বিজিবি এ সময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালামাল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন বৈকারী ও কাকডাঙ্গা সীমান্তের স্ব-স্ব বিওপির টহলরত বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মালামাল গুলো জব্দ করে। জব্দকৃত এ সব মালামালের মূল্য ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিজেবি সুত্রে প্রকাশ, গত ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ২১০০ ঘটিকায় বৈকারী বিওপি’র টহল কমান্ডার সুবেদার মোঃ হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-৯/২-এস হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খইতলা মাঠ নামক অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১৩,৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের ভারতীয় ০৯ বোতল অফির্সাস চয়েজ মদ আটক করে।
এছাড়া গত১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৩১৫ ঘটিকায় কাকডাংগা বিওপি’র টহল কমান্ডার নাঃ সুবেঃ মোঃ কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গাড়াখালী নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের ৪০ পিচ ভারতীয় কাপড় আটক করে। অপর দিকে ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৫০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৫ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে খেয়াঘাট নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের ৪০ পিচ ভারতীয় কাপড় আটক করে। অন্যদিকে ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৫০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৬ আরবি হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাকডাংগা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের ০৩টি ভারতীয় গরু আটক করে। এছাড়াও ১৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ ০৯০০ ঘটিকায় একই বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ নুর আলম এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-১৩/৩-এস এর ৮ আরবি হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বালিয়াডাংগা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা মূল্যের ০১টি ভারতীয় বাই সাইকেল আটক করে।
উল্লেখ্য, অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সর্বমোট-৩,৭০,৫০০/-(তিন লক্ষ সাত্তর হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়।
-
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরা কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচী
তারিখ ও সময় কর্মসূচী স্থান
১৩.০৪.২০১৯ বিকাল ৩.০০ মি. ঘুড়ি উড়ানো উৎসব সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম
১৪.০৪.২০১৯ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রবীন্দ্র সংগীত/কবিতা আবৃত্তি শহীদ রাজ্জাক পার্ক
১৪.০৪.২০১৯ সকাল ৬.৪৫ মি. মঙ্গল শোভাযাত্রা (র্যালী)জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত
১৪.০৪.২০১৯ সকাল ৭.৩০ মি. বৈশাখী মেলার শুভ উদ্বোধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক
১৪.০৪.২০১৯ বেলা ১১টা হাঁসধরা ও সাঁতার প্রতিযোগিতা পৌরসভা দীঘি
১৪.০৪.২০১৯ দুপুরে উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালী খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার
১৪.০৪.২০১৯ বিকাল ৩.০০ মি. লাঠিখেলা/মোরগ লড়াই শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক
১৪.০৪.২০১৯ সন্ধ্যা ৫.০০টা হতে রাত ৯.০০ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক
১৫.০৪.২০১৯ উন্মুক্ত গ্রামীণ বৈশাখী মেলা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক
১৫.০৪.২০১৯ বিকাল ৩.০০ টা হতে হাডুডু খেলা/সাপখেলা ও র্যাফেল ড্র শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক -

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : মরণদশায় খননকৃত ৯০ কিমি নদ ক্রসড্যাম নেই, কপোতাক্ষে ফের পলি
নিজস্ব প্রতিনিধি। খননকৃত কপোতাক্ষ নদে ফের পলি জমতে শুরু করেছে। মরণদশা থেকে বেঁচেও এরই মধ্যে ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদ আবারও মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ২৫ লাখ জনগোষ্ঠীর কপোতাক্ষ অববাহিকার বাসিন্দারা বলছেন কপোতাক্ষ রক্ষায় টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার) প্রকল্প চালু করেও এবার নদের মাঝ বরাবর ক্রসড্যাম না দেওয়ায় তালা উপজেলার পাখিমারা জোয়ারাধারে পলি অবক্ষেপিত হ”েছ না। একইভাবে কপোতাক্ষে জোয়ারে আসা পলি জমে এ অব¯’ার সৃষ্টি হচ্ছে। এখনই এই পলি জমা রোধ করতে না পারলে এখানকার টিআরএম প্রকল্প ভেস্তে যেতে পারে এমন আশংকা তাদের। তারা আরও বলেন এ ধরনের জটিলতার কারণে যশোরের বিল খুকশিয়া ও বিল কপালিয়ার জোয়ারাধার প্রকল্প লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একই কারণে এলাকাবাসী কপোতাক্ষ অববাহিকায় আগের মতো ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রিয় পানি কমিটি সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের দিকে পলি আসার আগে নদীতে ক্রসড্যাম দিতে হয়। কয়েকমাস পর বর্ষা মওসুম শুরু হতেই তা অপসারন করে নদী উন্মুক্ত করে দিতে হয়। তারা জানান এবার ৬৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়ে ক্রসড্যামের কাজ শুরু করলেও তা এখনও শেষ হয়নি। অথচ বর্ষা মওসুম আগত প্রায়। ফলে কপোতাক্ষে পলি জমা হ”েছ শত শত টন। অন্যদিকে এর সাথে সংযুক্ত পাখিমারা জোয়ারাধার প্রকল্পে পলি অবক্ষেপিত হতে পারছে না। ফলে সেখানে মাটি ভরাটও হ্রাস পেয়েছে। জোয়ারাধার প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। নদীতে ৮০ ভাগ পলি আসে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। তারা আরও জানান জোয়ারাধার বা টিআরএম এর প্রধান লক্ষ্য হ”েছ খননকৃত নদী যাতে ফের পলি পড়ে ভরাট না হয়। একই সাথে সাগর থেকে আসা পলি যাতে টিআরএম বিলে অবক্ষেপিত হয়ে বিলটি দ্রুত ভরাট হতে পারে। তারা জানান যথাসময়ে ক্রসড্যাম নির্মিত না হওয়ায় এরই মধ্যে খননকৃত নদের এক তৃতীয়াংশ পলি দ্বারা ভরাট হয়ে গেছে। তারা আরও বলেন নদের মুখে কাটপয়েন্টের উজানে ক্রসড্যাম নির্মান জরুরি ছিল। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সেক্রেটারি মীর জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দিন জোয়ার্দার ও অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবর এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা সহ তিন দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খনন এবং টিআরএম বাস্তবায়নে যেসব শর্ত ছিল তার মধ্যে প্রতি
বছর শত ফুটেরও বেশি চওড়া ক্রসড্যাম দেওয়া ও তা যথাসময়ে অপসারনের বিষয় উল্লেখ ছিল। গত বছর এ কাজে বরাদ্দ ছিল ৮৬ লাখ টাকা। অথচ এবার কোনো কাজই দৃশ্যমান না হওয়ায় কপোতাক্ষ ফের
মরণ দশার দিক ঝুঁকে পড়ছে বলে জানিয়েছেন ¯’ানীয়রা। কপোতাক্ষ সংযুক্ত পাখিমারা টিআরএম প্রকল্পে ক্রসড্যাম না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. সাঈদুর রহমান জানান ক্রসড্যাম আমরা ফেব্রুয়ারিতে শুরু করেছিলাম। কিš‘ কপোতাক্ষ খননের পর এর পানির ভলিউম এবং স্ধেসঢ়;্রাত ও জোয়ারভাটা বেড়ে গেছে। ফলে চাকলা ব্রীজের কাছে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাখিমারা ক্রসড্যামও ধসে গেছে। বৃষ্টির কারণে নতুন করে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। ফের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ক্রসড্যাম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিয়াকতের সংবাদ সম্মেলন: বিল শিমুলবাড়িয়া মৎস্য ঘেরে হামলার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি।
বিল শিমুলবাড়িয়ার ৫৭,১৫৩ খতিয়ানের সাবেক ২৪৫,২৪৭ ও হাল ২৪১,২৩৪ দাগের জমিতে দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছেন বিল শিমুলবাড়িয়ার মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. লিয়াকত হোসেন। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মো. লিয়াকত হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে করে অভিযোগ করেছেন যে গত ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল হকের মদদপুষ্ট হয়ে ১৫/২০ জন লাঠিয়াল ওই ঘের দখল করতে আসে। লাঠিয়ালদের মধ্যে ছিল পুস্পকাটির কওছার আলির নেতৃত্বে তার পুত্র জাহিদুল, ইনছার আলির ছেলে ইসমাইল হোসেন, দাঁড়াখাল এলাকার আনছার আলির পুত্র আলিমসহ অন্যরা। তারা ধারালো দা ও বল্লম নিয়ে ঘের দখলে গেলে তিনি বাধা দেন। এ সময় আসাদুল হক মোবাইলে হুমকি দিয়ে বলেন যে সামনে আসবে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবি। আসাদুল হকের এই নির্দেশ পেয়ে সন্ত্রাসীরা লিয়াকত, সবুর সরদারের ছেলে রিয়াছাদ সরদার, শামীম ও মাহবুবকে লাঠি ও বল্লম দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তারা তাদের মারপিট করতে থাকে। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে লিয়াকত ও আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আরও বলেন আসাদুল হক তার এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। তার সকল অপকর্ম সম্পাদনের জন্য রয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেন লিয়াকত। তিনি আসাদুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন :
শিরিনের শিশু সন্তানকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে স্বামীনিজস্ব প্রতিনিধি :
আমার কোল থেকে আমার প্রাণের ধন ছোট্ট শিশু সন্তানকে ফুসলিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আমার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মেরেংগা গ্রামের আবদুল মালেক ভুইয়ার ছেলে রুহুল আমিন ভুইয়া। গত ৫ এপ্রিল বাজারে নিয়ে পরাটা খাওয়ানোর নাম করে আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে রোজা রাদিফাকে আমার পৈতৃক বাড়ি শহরের মিয়া সাহেবেরডাঙ্গি থেকে নিয়ে গেছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন মিয়া সাহেবেরডাঙ্গি গ্রামের আবুল কাসেমের মেয়ে শিরিন সুলতানা। এ সময় তার বাবা তার সাথে উপ¯ি’ত ছিলেন। শিরিন বলেন ২০১৪ সালে ঢাকার লালমাটিয়ায় চাকুরির জন্য একটি পরিক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে পরিচয় হয় রুহুল আমিনের সাথে। এক পর্যায়ে তার সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিš‘ বিয়ের কিছুদিন পর থেকে নানা অছিলায় স্বামী রুহুল আমিন তার ওপর নির্যাতন করতো। যৌতুকের দাবি করতো। ২০১৫ সালে সন্তান প্রসবের জন্য শিরিন চলে আসেন তার বাবার বাড়ি। সদ্যজাত কন্যা সন্তান ও তাকে নিয়ে রুহুল আমিন ফিরে যায় তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে রুহুল আমিন , তার বাবা আবদুল মালেক ও মা ফিরোজা বেগম তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। এ সময় তিনি ফের বাবার বাড়ি চলে আসেন বলে জানান শিরিন। শিরিন বলেন গত মার্চ মাসে রুহুল আমিন তার বাড়িতে এসে জানান তিনি এখানে থাকবেন এবং সাতক্ষীরায় একটি কাজ দেখে নেবেন। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবে সংসার করতে থাকার এক পর্যায়ে কোনো কারণ ছাড়াই রুহুল আমিন তার মেয়ে রোজা রাদিফাকে শুক্রবার ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে রুহুল আমিন তাকে নিয়ে তার বাড়ি নান্দাইলের রয়েছেন বলেও জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিরিন বলেন রুহুল আমিন কোনো সদুদ্দেশ্যে তার মেয়েকে নিয়ে যাননি। কোনো অসদুদ্দেশ্য তার রয়েছে । আমার মেয়েটিকে সে যতেœ রাখবে নাকি তার ওপর টর্চারিং চালাবে তা
আমার জানা নেই। স্বামী রুহুল আমিন আমার সন্তানকে জিম্মি করে কোনো ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছেন বলেও আমার ধারনা। শিরিন বলেন আমি এর প্রতিকার চাই। আমি আমার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ফিরে পেতে চাই। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।