Category: সংবাদ সম্মেলন

  • সংবাদ সম্মেলন: জামাত নেতার কবল থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
    আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জামায়াত নেতা আমিরুল কর্তৃক দরিদ্র ইজিবাইক চালকের স্ত্রীর সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগে সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর শহরের পারকুরালী এলাকার আব্দুস সালাম সরদারের মেয়ে মোছাঃ তানিয়া সুলতানা এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন দরিদ্র ইজিবাইক চালক। বিগত ২০১৮ সালে মৃত মোমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে হাফিজুল ইসলামের কাছ থেকে দহকুলা মৌজায় আরএস ৮২১, ৯৬৩ নং চূড়ান্ত খারিজ খতিয়ান মতে ৮২১/১ নং খতিয়ান, যার হোল্ডিং নং- ১৬৮৫, আর এস ১৩২১ দাগে নালিশি ভূমি ৮.২৫ শতক সম্পত্তি আমার পিতা আমার এবং আমার মায়ের নামে ক্রয় করেন । কিন্তু সুচতুর হাফিজুল উক্ত সম্পত্তিতে আমাদের দখলে যেতে নিষেধ করে বলেন, কয়েকদিন অপেক্ষা করেন আমার ভাই আমিরুল আমানতের মামলা দায়ের করেছে। আদালত উক্ত ১৬১/১৯ নং মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর হাফিজুল তার ভাই সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত জামায়াত নেতা পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ড জামায়াত মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আমিরুল ইসলামকে দিয়ে উক্ত জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে উল্লেখ করে আমিরুল ওই জমিতে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু মামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে। কারণ আমিরুলের দায়ের করা মামলাটি খারিজ হওয়ার আগেই হাইকোর্ট বন্ধ হয়ে যায়।
    তানিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর আমিরুলের দায়ের করা ১৬১/১৯ নং মামলাটির রায় দেওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে জামায়াত ক্যাডার নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী আমিরুল। এরই জেরে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে ফজরের নামাজের পর শিবিরের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে উক্ত সাইন বোর্ডটি ঝুলিয়ে দিয়ে যায় সে। এরপর থেকে আমাদের ওই সম্পত্তি স্বল্প মূল্যে তার কাছে বিক্রির জন্য আমিরুল গং জামায়াত ও শিবিরের ক্যাডারদের নিয়ে আমার বাড়িতে এসে খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
    তিনি আরো বলেন, এলাকার মানুষ স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় আমিরুল তাদের বোকা বানিয়ে এবং দলবল নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে গরিব অসহায় মানুষের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে যাচ্ছে। প্রথম দিকে এলাকাবাসী আমিরুলকে পছন্দ করলেও ধীরে ধীরে তার আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে আমিরুল জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের দিয়ে মোবাইলে এবং প্রকাশ্যে খুন জখমসহ নানা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।
    তিনি একজন দরিদ্র পরিবারের নারী হিসেবে জামায়াত ক্যাডার আমিরুলের কবল থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’

    সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’

    জহুরুল কবীর: কলারোয়ার চার খুনের রহস্য উদঘাটন, ভাই রায়হানুলের স্বীকারোক্তি , সিআইডির প্রেস ব্রিফিং‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারে সংঘটিত চার খুন ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটিত হয়েছে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান ‘ নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একাই এহ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে’।বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরাস্থ সিআইডির জেলা অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির খুলনাস্থ অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য তাকে হাজির করা গেল না।জনাকীর্ন প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন রায়হানুল তার ভাই শাহিনুর , ভাবী সাবিনা খাতুন এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাহি ও তাসনিম সুলতানাকে একাই বাড়ির ধারালো চাপাতি দিয়ে জবাই করেছে। এর আগে সে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ ডিসোপেন ২ ও এনার্জি ড্রিংক কিনে আনে। ১৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে সে তার দুই শিশু ভাতিজা, ভাতিজি এবং ভাবীকে ওষুধ মেশানো এই ড্রিংক খাওয়ায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার ভাই শাহিনুর মাছের ঘের থেকে বাড়ি এলে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়। রায়হানুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান ‘সে নিজে ঘরের ছাদের কার্নিশ বেয়ে উপরে উঠে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে তার ভাই শাহিনুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে হাতের রগ কেটে পায়ে রশি বেঁধে দেয় । এরপরই সে পাশের কক্ষে ভাবী সাবিনাকে জবাই করে হত্যা করে। তার চিৎকারে শিশুরা জেগে গেলে সে তাদেরকেও এইভাবে জবাই করে। সে সিআইডিকে জানিয়েছে ‘তার ওপর শয়তান ভর করেছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিশু দুটিকে হত্যা করে’। খালি গায়ে হত্যার পর সে রক্তমাখা তোয়ালে ও চাপাতি মাছের ঘেরে ফেলে দেয়। পরে ঘের থেকে তার দেখানো মতে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।কেনো সে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার জবাবে রায়হানুলের বরাতে সিআইডি অফিসার জানান রায়হানুল একজন বেকার মানুষ। ৯/১০ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে ভাইয়ের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। নিজে কোনো কাজ করেনা খরচও দেয়না এসব কারণে প্রায়ই ভাই ভাবীর সাথে তার ঝগড়া হতো। তারা তাকে গালাগাল দিতো। রায়হানুলের জবানবন্দির বরাতে তিনি আরও জানান ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাবীর সাথে তার একই বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। ভাবী তাকে বকাবকি করেন। পরে সে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় ভাবী ও তার দুই সন্তানকে। এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে’।রায়হানুল আরও জানিয়েছে ‘রাত দেড়টার দিকে সে ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় তার ভাই শাহিনুর ঘের থেকে এসে তাকে বকাবকি করে বলেন এতো টিভি দেখিস, বিদ্যুতের বিল দেবে কে’। এ নিয়ে তাকে খানিকটা বকেনও শাহিনুর। রায়হানুল তাকে জানায় ‘ তুমি মাথা ঠান্ডা করো , এবারের বিদ্যুত বিল আমি দিয়ে দেবো।এই বলে সে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় । পরে শাহিনুরও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সে এক এক করে তাদের খুন করে। সিআইডি কর্মকর্তা ১০ মিনিটেরও বেশি সময়ের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন হত্যার সময় রায়নুলের সাথে আর কেউ ছিল না। কেবলমাত্র ভাই ভাবীর বকাবকির কারণেই সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে সিআইডিকে। রিমান্ডে থাকা রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য যে গত ১৪ অক্টোবর রাতে কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সেদিনই পুলিশ ঘাতক ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে।

  • পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুমিদস্যু ভাইয়ের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু। রোববার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখল করতে পারছি না। এমনকি পৈত্রিক বাড়িতেও অবস্থান করতে পারি না। আমার সহোদর ভাই ভুমিদস্য আলতাফ ও শাফায়েত সম্পত্তির লোভে আমার পিতাকেও কয়েক বার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
    তিনি বলেন, আমার দুই ছেলে ঢাকাতে চাকুরীর সুযোগে আমার সম্পত্তি আলতাফ ও সাফায়েত অবৈধভাবে জবর দখল করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে আমার ৩ বিঘা পৈত্রিক সম্পত্তি কৌশলে তাদের নামে রেকর্ড করেছে। তাছাড়া আমাদের পৈত্রিক কয়েক বিঘা জমি আমাকে না জানিয়ে অন্যত্র বন্ধক দিয়েছে। জমিভাগ বণ্টন নামা না হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্রবাজ আলতাফ ও সাফায়েত জমি বিক্রি করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। যদিও আমি সখিপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং জেলা রেজিস্টারের কাছে এই বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। যে কারণে রেজিস্ট্রি বন্ধ আছে। তারা আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের জমির ইজারা না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে এবং অনৈতিকভাবে জমি বিক্রি করতে না পেরে তারা আমার চাচা ও আমার রুদ্ধে মিথ্যাচার করে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার চাচা আতিয়ার রহমান তার জীবনের নিরাপত্তা ও সমাধান চেয়ে গত ২৬ আগস্ট আইজিপির কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি অনুসন্ধান ও মিমাংসার জন্য গত ১১ অক্টোবর দেবহাটা সার্কেল কর্তৃক বাদী ও বিবাদী পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য লিখিতভাবে আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আলোচিত অস্ত্রবাজ ও ভূমিদস্যু আলতাফ সরকারি আদেশ অমান্য করে হাজির হয়নি। বিএনপি শাসনামলে আলতাফ প্রকাশ্যে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। এমতাবস্থায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ওই ভূমিদস্যু অস্ত্রবাজ আলতাফ ও শাফায়েতের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তির সুষ্ঠু বণ্টনসহ জীবনের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর করিম প্রমূখ।

  • কন্যা হত্যার বিচারের দাবিতেশ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন

    কন্যা হত্যার বিচারের দাবিতেশ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন


    বিশেষ সংবাদদাতা : সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে কন্যা হত্যার বিচারের দাবিতে পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মোঃ মফিজ উদ্দীন গাজীর পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার কন্যা মরিয়ম (১৯) কে ইসলামী শরীয়হ মোতাবেক ৭ মাস পূর্বে ঈশ্বরীপুর গ্রামের আবু বক্কর গাইনের পুত্র মোঃ নাইমুর হোসেন সোহাগের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কন্যা মরিয়মকে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে আমার কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মোবাইল ফোনে সোহাগ আমাকে বলে মরিয়ম গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরদিন ভোরে আমি সোহাগের বাড়িতে যেয়ে দেখি ঘরের মেঝেতে আমার কন্যার লাশ পড়ে আছে। এঘটনায় আমি শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করি। থানা পুলিশ ঘটনা পরিদর্শন করেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩১। আপনাদের লেখনের মাধ্যমে আমার কন্যা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • খুলনায় আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

    খুলনায় আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

    খুলনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডা. আব্দুর রকিব খানকে হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতী স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা। 

    বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে একই সাথে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
     
    জানা যায়, রোগীর স্বজনদের হামলায় গুরুতর আহত খুলনার রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রকিব খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ছিলেন। রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর মৃত্যুতে তার স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে ডা. রকিবকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাথায় আঘাত লাগায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও নিহতের পরিবারের সাথে দুর্ব্যবহার করায় খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বুধবার বিকাল থেকে টানা কর্মবিরতি শুরু করে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। তবে বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে খুলনা বিএমএ। 

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে রোগীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত থাকবে। 

  • করোনাকে ঘিরে ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করলেই ব্যবস্থা —— ——————-সাতক্ষীরায় জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ

    করোনাকে ঘিরে ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করলেই ব্যবস্থা —— ——————-সাতক্ষীরায় জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণ

    স্টাফ রিপোটার ঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, ত্রাণ নিয়ে আমরা সজাগ রয়েছি, কোন জনপ্রতিনিধি যদি ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগনকে ঘরে রাখতে তাদের প্রতি সম্মান রেখে সহনীয় পর্যায়ে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কি কি করা দরকার সেসব বিষয় নিয়ে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে।
    দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা বিষয়ক কমিটির সভা শেষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
    এর আগে তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। বিকালে ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান।
    সভায় সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য ঃ করোনাকে ঘিরে সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্ব¡াবধান ও পর্যবেক্ষণের জন্য জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সরকারিভাবে দায়িত্বে রয়েছেন।

  • মিথ্যা তথ্যাদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যা তথ্যাদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন


    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
    মিথ্যা তথ্যাদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন তালা সদর ইউনিয়নের ৩ নং (জেয়ালা নলতা) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোসেন আলী গাজী।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে একটি কুচক্রী মহল তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হেনস্তা করতে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। মহলটি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে চাল সরানোর ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ফাঁদে ফেলে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তালা সদর ইউনিয়নের ত্রাণের চাল রক্ষিত আছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালা থানা পুলিশ ৩নং ওয়ার্ড জেয়ালা নলতা গ্রামের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম নিকারীসহ একই এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ রুহুল আমীন ও আসাদুল ইসলাম নিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু সেখানে কোন কিছু না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ফিরে আসেন। এ ঘটনায় প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেমন হয়রানী ও বিভ্রান্তি করা হয়েছে, তেমনি দলীয় ঐ সকল নেতা-কর্মীদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, উক্ত মহলটি সরকারের ভাবমূর্তি ও এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে উক্ত মহলটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তালা সদরের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন স্থানে চাল রেখে চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতা-কর্মীদৈর ফাঁসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। উক্ত ঘটনাও ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে তিনি অভিযোগ করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত বিষয় সমূহ তদন্ত পূর্বক উক্ত মিথ্যা তথ্যাদাতাসহ ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আটক পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোরালো দাবী জানানো হয় প্রশাসনের কাছে। তালা সদর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • দেবহাটায় চাউল ব্যবসায়ীদের হয়রানী : প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    দেবহাটায় চাউল ব্যবসায়ীদের হয়রানী : প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় চাউল ব্যবসায়ীদের হয়রানি । প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাউল ব্যবসায়ীদের পক্ষে সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী উম্মে সালেহা ট্রেডার্সের সত্তাধীকারী নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গৃহবন্দি, কর্মহীন ও তীব্র খাদ্য সংকটে করোনা ভাইরাসকে ইস্যু বানিয়ে চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলে আমি সহ সখিপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন, বাবুর আলী, শফিকুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি আরো বলেন, চলমান বিশ্বে করোনায় চাউলের বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের মূল্য ছাড়া বস্তা প্রতি দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা অতিসুনামের সাথে চাউল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমাদের ব্যবসার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অবহিত আছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মেনে চাল ক্রয় বিক্রয় করছি। এখানে মজুদ করে সাধারণ ক্রেতাদের কোন ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে না। গতকয়েকদিন পূর্বে চালের দাম বস্তাপ্রতি বৃদ্ধি হওয়ায় চলমান বাজারে চাউলের দাম বেড়েছে। আমরা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক কেনা দাম ছাড়া মাত্র ১০/১৫ টাকা লাভে বস্তাপ্রতি চাউল বিক্রয় করছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা মেসার্স রাকিব অটো রাইচ মিল, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাটখোলার মেসার্স বিশ্বাস চাউল ভান্ডার, সাতক্ষীরার চালতেতলা বাজারের তাপস এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রীজ, দহকুলার মেসার্স আলাউদ্দীন এগ্রোফুড থেকে চাউল ক্রয় করছি। আমাদের কেনা চাউলের প্রতিটি চালানের বিল ভাউচার রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনের বাজার দর বোর্ডের মাধ্যমে দোকনের সামনে টানিয়ে রাখি। কিন্তু একটি মহল আমাদের সুনাম নষ্ট ও বাজারকে অস্থিতিশীল করার অশুভ চক্রান্তে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে সংকটময় পরিস্থিতিতে খাদ্যের ঘাটতি পুরণ করে যাতে সুষ্ট ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি সে জন্য প্রশাসনের সুষ্ট তদারকি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী উম্মে সালেহা ট্রেডার্সের সত্তাধীকারী,আমজাদ হোসেন, মেসার্স মদিনা ভান্ডারের সত্তাধীকারী বাবুর আলী সহ শফিকুল ইসলাম ও ওয়াজেদ আলী।

  • সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল খেলা  উদ্বোধন: সাতক্ষীরা জেলা দল ঘোষণা

    সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল খেলা উদ্বোধন: সাতক্ষীরা জেলা দল ঘোষণা


    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র আয়োজেন ১৭ জানুয়ারী শনিবার থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২০’ ফুটবল খেলা। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ০৪টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ২০ সদস্যের সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল ঘোষণা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, পৌরসভার ০৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা ফুটবল দলের প্রধান সমন্বয়কারী মো. আহম্মাদ আলী সরদার, জেলা ফুবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুবল দলের কোচ ইকবাল কবির খান বাপ্পি, যুগ্ম সম্পাদক কিরণ¥য় সরকার, জেলা ফুটবল দল বাছাই কমিটির সমন্বয়কারী মাধব দত্ত, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, নির্বাহী সদস্য আবুল কাশেম বারর আলী, রেফারী আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।
    আজ শনিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখো-মুখি হবে স্বাগতিক সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম পিরোজপুর জেলা দল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২০’উপলক্ষে জেলা ফুটবল দল বাছাইয়ের লক্ষ্যে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ৬০ জন খেলোয়াড় বাছাই পর্বে অংশ নেয়। ৮দিন ব্যাপি প্রশক্ষণ শেষে বাছাইয়ে ২০ সদস্যের সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল ঘোষণা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা দলের খেলোয়াড়রা হলেন- কাবিজ, বিদ্যুৎ, মামুন, আরিজ, হাফিজুর, লিটন, পারভেজ, তোতন, জহির, মহানন্দ, সালাম, পলাশ, সাগর, সুমন, বেল্লাল, সিদ্দিক, জাকির ও মিয়ারাজ। সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল ঘোষণাকালে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ছাড়াও, স্থানীয় খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক ও জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

    কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, একই এলাকার মৃত আলী হোসেন সরদারের মেয়ে ভুক্তভোগী অসহায় মারুফা আক্তার মায়া। (সাবেক সাং-পদ্মবেহুলা, পাইথলি, আশাশুনি।)
    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আমার অসহায় বৃদ্ধা মা ও একটি এতিম অসুস্থ সন্তান নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের আসমানী শিশু নিকেতনের পাশে সাড়ে তিন শতক জমির উপর বসবাস করে আসছিলাম। একপর্যায়ে একই এলাকার মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে শেখ আলমগীর হোসেনের পরিচয় হয় (যার হাল সাং-লাবসা দরগা, সাতক্ষীরা)। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আজ থেকে দীর্ঘ সাত বছর পূর্বে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আমার নিকট থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহন করে। আমাকে তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে উপরোক্ত জমিতে বসবাসের জন্য টিনের ঘর নির্মাণ করে দেয় এবং সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাকা টয়লেট, টিউবওয়েল ও গাছ রোপন করে। এলাকাবাসীর জ্ঞাত সারে সে প্রতিনিয়ত আমার স্বামী হিসেবে সেখানে যাতায়াত করতো এবং সাংসারিক যাবতীয় খরচও প্রদান করতো। বর্তমানে উক্ত লম্পট চরিত্রহীন নারীলোভী ও বহু বিয়ের নায়ক জামায়াত নেতা আলমগীর আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে এমনকি আমার পাওনা ৭ লাখ টাকা পরিশোধ না করে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য বেআইনিভাবে আমার জমিতে প্রবেশ করিয়া জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জমির উপর থেকে উচ্ছেদসহ পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরই জেরে গত ১৪/০১/২০ তারিখ ৬ টার সময় ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হালিম আমাকে উক্ত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি প্রদান করে ও গ্রেফতারের ভয় দেখায় এবং এক দিনের সময় বেধে দেয়। বর্তমানে আমি আমার বৃদ্ধা মা ও এতিম অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (মায়া) উক্ত লম্পট আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তার বৃদ্ধা মা ফাতেমা ও অসুস্থ সন্তান নীরব।

  • সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের অদূরে আমতলাস্থ নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয।
    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনটির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি, কলারোয়ার পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, মৃনাল কান্তি রায়, শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু প্রমুখ। এসময় সেখানে বিভিন্ন অঙ্গ সংগনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    বক্তারা এ সময় এ সময় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশ্বর্ত মুক্তির দাবী জানান। এছাড়া আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারীর মধ্যে সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

  • যুদ্ধকালীন খুনী-ডাকাত, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী এখন মুক্তিযোদ্ধা, অত্যাচারের হাত থেকে বাাঁচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    যুদ্ধকালীন খুনী-ডাকাত, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী এখন মুক্তিযোদ্ধা, অত্যাচারের হাত থেকে বাাঁচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুর গ্রামের যুদ্ধকালীন সময়ের ডাকাত, লুণ্ঠনকারী, খুনী এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। শিবপুর গ্রামের মৃত. হাজের আলী বিশ্বাসের ছেলে বর্তমান নামধারী মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের যুদ্ধকালীন সময়ের তা-বলীলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে আজও অনেক ভুক্তভোগীরা। তবে এখন সেই মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ আর হতাশা যুদ্ধকালীন সময়ের মোহাম্মদ আলীর হাতে খুন হওয়া ওমর আলী সরদারের স্ত্রী তফুরোন বিবিসহ তার হাতে ক্ষতিগ্রস্থদের। মোহাম্মদ আলীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে বুধবার বিকেল ৪টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তালার মাঝিয়াড়া বাজার এলাকার রওশন আরা বেগম।
    সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা নামধারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস আমার নাবালিকা মেয়ে মনজিলা খাতুন (১৩) কে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর বেপোরোয়া মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস আমাকে ও আমার মেয়েরেক খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তালার শিবপুর গ্রামের মৃত. এজাহার আলী সরদারের ছেলে ওমর আলী সরদারকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির পাশে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মরদেহ টুকরো টুকরো করে দেয়। ডাকাত মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের সঙ্গে ছিল তার সহযোগীরা। স্বামীহারা তফুরোন বিবি যুদ্ধকালীন সময়ে স্বামী ওমর আলীকে হারিয়ে আজও কষ্টে বেঁচে আছেন। পাশ্ববর্তী ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত. সুধীর হোড়ের ছেলে জয় হোড়ের বাড়িতে ডাকাতি করার সময় মোহাম্মদ আলীকে জয় হোড় চিনতে পারায় জয় হোড়কে গুলি করে। এতে জয় হোড় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। জয় হোড় এখনো সেই ক্ষত নিয়ে জীবিত। মাঝিয়াড়া গ্রামের মির্জা নজরুল ইসলাম নজুর বাড়িতে ডাকাতিকালে মোহাম্মদ আলীকে চিনে ফেলায় মির্জা নজরুল ইসলামের মাতাকে কুপিয়ে জখম করে। একই গ্রামের মরহুম আব্দুল হান্নান চিশতির বাড়িতে শুপারী চুরিকালে হাতেনাতে আটক হয়। আটক হওয়ার পর এই ঘটনায় কারাগারেও যেতে হয় মোহাম্মদ আলীকে। মরহুম আব্দুল হান্নান চিশতির ছেলে উপজেলা আ.লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইদ্রিস আজও মোহাম্মদ আলীকে রাজাকার হিসেবে সম্বোধন করেন।
    ২০০৪ সালে ১৮ নভেম্বর তালার মাঝিয়াড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শেখ সিদ্দিকুর রহমান যুদ্ধকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের খুন, ডাকাতি, চুরি, লুণ্ঠনসহ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতনের বাস্তব ঘটনা তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস তালার বারুইহাটি গ্রামের তফেল জোয়াদ্দার, আনছার আলী বিম্বাস, আজেদ আলী মোড়ল, মাঝিয়াড়া গ্রামের মৃত. ছবেদ আলী মির্জার বাড়ি তিন বার, মৃত. আব্দুর রশিদ মির্জার বাড়ি দুইবার, শেখ আশরাফ আলীর বাড়িতে দুইবার, তার ছেলে শেখ সিদ্দিকীর বাড়িতে দুইবারসহ গোপালপুর গ্রামের ৭/৮টি হিন্দু বাড়িতে একাধিকবার ডাকাতি করেন। এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে মদ, জুয়া, নারীদের জোরপূর্বক ধর্ষনের কথাও তুলে ধরে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির না করাসহ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
    লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, ২০০৯ সালে ১৫ অক্টোবর তালা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অমল কান্তি ঘোষ তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেন। উপজেলার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষতির আবেদনে বলা হয় ভূয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উত্তোলন করেছেন মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস। ভূয়া তথ্যে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠিয়ে ভাতা উত্তোলন করছেন মোহাম্মদ আলী। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তুলতে তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে তালা সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন মোহাম্মদ আলী। যার নং ৩৬/২০০৫ ইং। তবে বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ করে দেন। যুদ্ধকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস তৎকালীন বিতর্কিত বামফ্রন্ট (নকশাল) কামেল বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিল। এই আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভন্ন দপ্তরে পাঠান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অমল কান্তি ঘোষ। মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে মোস্তফা বিশ্বাস ৩ বছর আগে ফেন্সিডিলসহ সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। সম্প্রতি ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপলপুর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাসের জমি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে চাঁদা চায়। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য সঞ্চয় দের বাঁধার কারণে সম্ভব হয়নি। বাস্তব এ ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাসহ তালাবাসীর সর্বজন স্বকৃত। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় নকশাল বাহিনীর সদস্য হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম চলে যায় এই মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের। গেজেট নং ২৩০৯। মুক্তিবার্তা নং ০৪০৪০৬০১৯৯। আমি জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মুক্তিযোদ্ধা নামধারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের যুদ্ধকালীন সময়ে ডাকাত, খুনী, ধর্ষণকারী মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের ঘটনাবলী তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনকালে রওশন আরা বেগমের নাবালিকা মেয়ে মনজিলা খাতুন, মোহাম্মদ আলীর হাতে খুন হওয়া ওমর আলীর স্ত্রী তফুরোন বিবি, নির্যাতনের স্বীকার হামিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

  • কলারোয়ায় চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে শুক্রবার সাতক্ষীরার কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রতিবাদের তিনি প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নহে দাবী করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার গয়ড়া সীমান্ত প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে পাঠ করে বলেন-আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহাজান আলম ১৮ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা বানোয়ার্ট সংবাদ সম্মেলন করে, যাহা দৈনিক সাতনদী, ফেসবুক, অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি জানিতে পারিয়া খোজখবরের মাধ্যমে আরো দুইটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রচার করে। একটি পত্রিকা দৈনিক কালেরচিত্র, অপরটি দৈনিক পত্রদূত। যাহা সাতক্ষীরা গণমাধ্যম হইতে প্রকাশিত হয় এবং আমার দৃষ্টিগোচর হয়। প্রকাশিত সংবাদ সম্মেলনে বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলম, তাহার নিজের ইচ্ছামত আমার মানহানিকর কথাবার্তাসহ সম্মানহানির ও আপত্তিকর লিখিত বক্তব্য পাঠ করিয়াছেন। যাহাতে উল্লেখ করেন আমি একজন আওয়ামীলীগে অনুপ্রেবশকারী, মসজিদের অর্থআত্মসাতকারী মসজিদের জায়গা জবরদখল, দূনীতিবাজ, চোরাচালানকারী, চোরাঘাট পরিচালনাকারী, এলজিএসপি টাকা আত্মস্বাত কারী ও অন্যান্য আপত্তিকর কথাবার্তা লিখিত বক্তব্যের মধ্যে পাঠকরিয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করিয়া মানহানি, সম্মানের প্রতি আঘাতহানে, হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের ও সংবাদ সম্মেলনের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। জন্মগতসূত্রে আমি একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের সকলই আওয়ামীলীগ সন্তান। আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমার ছোটভাই বাংলাদেশী সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত আছে। বর্তমানে কুয়েতমিশনে আছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসারপর আমার পরিবার আওয়ামীলীগ হওয়ার কারণে ২০০১ সালে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শহিদুল ইসলাম কে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে হিজলদী বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে লোহার রডদ্বারা মারপিট করাসহ, লোহার রডদিয়ে খুচিয়ে একটি চোখনষ্ট করে দিয়েছে। আমি ছাত্রজীবন থেকে অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত এবং ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়রসহ-সভাপতি এবং ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এবং ২০১১ সাল হইতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউপি সদস্য হিসাবে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম এবং অত্র ওয়ার্ডে ২১১০ ভোটের মধ্যে ১৭৮৭ ভোটপেয়েইউপিসদস্যনিবার্চিতহয়েছিলাম। মেম্বর হইতে বর্তমানে ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়াপরম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সহিত চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করে আসিতেছি এবং আমার প্রতিপক্ষ ৯জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহাজান আলম মশাল মার্কা নিয়ে ১৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হওয়ার পর হইতে আজও পযর্šÍ আমার বিরুদ্ধে দেড়শতাধিক দরখান্ত সরকারের বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ণ স্থানে দিয়েছেন। যার আজও পর্যন্ত কোন সত্য মেলেনি। দীর্ঘদিন পরে এই চন্দনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়। আমি তার প্রকাশিত সংবাদের তীব ্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সভায় উপস্থিত ছিলেন-ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান, আ: সালাম, ইমাম হোসেন, মো: হাসান মাসুদ পলাশ, আলহাজ্ব মো: আ: হামিদ, মোছা: মাজিদা খাতুন, মোছা: জাহানারা খাতুন, মোছা: গফুরোন নেছা প্রমুখ।

  • সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না : ইলিয়াস কাঞ্চন

    সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না : ইলিয়াস কাঞ্চন

    সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষকে জিম্মি করে, সরকারকে বিব্রত করে যদি কেউ এই আইনের বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

    আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।

    ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের সংস্কার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সরকার বিভিন্ন সময় ১৯৮৩ সালের আইনটি সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বারবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবহন সেক্টরের একটি অশুভ শক্তি। সম্প্রতি কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে সরকার এই আইনটি ২০১৮ সালে পাস করে। এর প্রায় ১৫ মাস পরে ১ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর শুরু করে সরকার।’

    তিনি বলেন, ‘প্রথম ১৪ দিন সহনীয় মাত্রায় প্রয়োগ ছিল। পরবর্তীতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিতে আইনের কয়েকটি বিষয় আগামী ছয় মাস পর্যন্ত কনসিডারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বরাবরই পরিবহন সেক্টরে সেই চক্রটি বাধা সৃষ্টি করে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দেয়। আমার প্রশ্ন, কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো?’

    পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা পরিবহন শ্রমিকদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে, কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে তারা কতটা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করে? আপনাদের সুরক্ষার জন্য মালিক কি কোনো টাকা ব্যয় করেন? আপনাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কি কোনো ইনস্টিটিউশন করেছে, হাসপাতাল গড়েছে চিকিৎসার জন্য? হিসাবে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে এক হাজার চালক হেলপার মারা যায়। এই যে আপনারা মারা যান, আপনাদের জন্য মালিকরা কী করে? বিষয়গুলো একবার ভেবে দেখবেন।’

    জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা শুরু থেকেই এই আইনের প্রতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। আজ পরিবহন সেক্টরের কিছু মানুষের নৈরাজ্যের কারণে আপনাদের ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আমি মনে করি এই ভোগান্তি সাময়িক। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য আপনাদের এরকম সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না।’

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর মহাসচিব সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, যুগ্ম সম্পাদক লায়ন গনি মিয়া, বাবুল সাদেক হোসেন এবং প্রচার সম্পাদক একে এম ওবায়দুর রহমান।

  • মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার দেবনগরে আদালতের রায় পেয়ে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে বির্তকিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মৃত বসন্ত কুমার বিশ্বাসের ছেলে ঠাকুরপদ বিশ্বাস।

    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, যোগরাজপুর মৌজায় মহিরঙ্গীনী দাসীর নামে ৩০১৯ ও ৩৯৬৮ দাগে .৫৬ একর জমি ছিলো। তার সম্পত্তির খাজনাদী বাকী পড়ায় সাতক্ষীরা সার্টিফিকেট আদালতে সি,সি ৮৮/১৯৬২-৬৩ নং মামলায় উক্ত সম্পত্তি নিলাম হয়। এরপর গত ২৭/৭/১৯৬৪ তারিখে উক্ত সম্পত্তির নিলামে ক্রয় করার পর গত ২৯/৪/৬৬ তারিখে সরকারের মাধ্যমে দখল বুঝে নেই। এরপর উক্ত সম্পত্তির ৩৯৬৮ দাগের কিছু জমিতে বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। এছাড়া উক্ত সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রকার বনজ, ফলজ, বৃক্ষাদি লাগিয়ে এবং পুকুর কেটে শান্তিপূর্ণভাবে র্দীঘ ৪০ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছিলাম। উক্ত সম্পত্তির খাজনা দাখিলা, মিউটেশনসহ সকল কাগজপত্র আমার রয়েছে। কিন্তু গত ২০১২ সালে একই এলাকার মৃত রাজেন্দ্র দাসের ওয়ারেশ তার ৫ পুত্র যথাক্রমে জালিয়াতী চক্রের হোতা, তাপস কুমার দাস, স্বপন কুমার দাস,তপন কুমার দাস, তুষার কান্তি দাস, সঞ্জয় দাস, নব কুমার দাসসহ একাধিক জাল জালিয়াতী চক্রের হোতা গত ০১/৯/১৯৭৬ তারিখে ৫৯৩০ নং কবলা দলিল সৃষ্টি করে অবৈধভাবে আমার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং হারান চন্দ্রকে ব্যবহার করে আমার ৩ শতক সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মাণ করে। এছাড়া আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। কোন উপায় না পেয়ে আমি ২০১৪ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে স্বত্ত্ব প্রচার, খাস দখল ও ডিক্রি উচ্ছেদের মামলা দায়ের করি।

    উক্ত মামলায় আদালত দীর্ঘ শুনানীঅন্তে উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের কাগজপত্র জাল উল্লেখ করে। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর উলে¬খিত ব্যক্তিরা উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানী আপীল মামলা নং- ৫৮/১৮ দায়ের করে। জেলা ও দায়রা জজ আদালত উক্ত মামলাটি অতিরিক্ত জেলা জজ, ২য় আদালতে বদলী করলে সেখানে দীর্ঘদিন শুনানী ও কাগজপত্র পর্যালোচনার পর বিচারক গত ১৪/১০/১৯ তারিখে তাদের আপীল খারিজ করে দেন এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। এছাড়া উক্ত সম্পত্তিতে স্থাপিত ঘর ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণ করে নেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেন। ব্যর্থতায় বাদী (আমি) আদালত যোগে উক্ত গৃহ অপসারণ ও দখল নিতে পারবেন মর্মে নির্দেশ দেন।

    আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমার পরিবারের সদস্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৮/১০ জন শ্রমিকের সাহায্যে উক্ত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ঘেরাবেড়া দেই। এবিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাপন কুমারের স্ত্রী স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য অর্পণা, তাপস মাস্টার ও প্রভাত, হারান চন্দ্র সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে। অথচ উক্ত সম্পত্তির সকল বৈধ কাগজপত্র আমার রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ওই জাল জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা কনেরছেন।

  • সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ফারজানার বিয়ে অস্বীকার করছেন রনি


    স্টাফ রিপোর্টার। প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর উপসংহার বিয়ে । ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর তার সাথে আমার বিয়ে হয় ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে। এর আগে আমরা অ্যাফিডেভিট করি।
    সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাঝপারুলিয়া গ্রামের মো. আরশাদ আলির মেয়ে ফারজানা আক্তার শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন। তিনি বলেন আমি নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি। আর আমার মামলার বিপক্ষে পাল্টা মামলা করে আমাকে উল্টো হয়রানি করছে আমার স্বামী।
    সাতক্ষীরা সিটি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ সম্মানের ছাত্রী ফারজানা বলেন ২০১৫ সালের দিকে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই উপজেলার গুরগ্রামের রোকনুজ্জামান রনির। পরে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন্ হয়। ফারজানা বলেন আমরা আটমাস যাবত ঘর সংসার করেছি। রনির মা মাহফুজা খাতুন এ বিয়ে পারিবারিকভাকে মেনেও নেন। কয়েকমাস পর অন্যদের উসকানিতে রনি ও তার মা এই বিয়ে অস্বীকার করতে থাকেন। তবে স্বামী রনি বলেন ‘ একটি ১৫০ সিসি অ্যপাচি মোটর সাইকেল ও এক লাখ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসো। তবেই আমরা ফের স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করবো’। লিখিত বক্তব্যে ফারজানা বলেন আমি ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দেবহাটা আমলি আদালতে রোকনুজ্জামান রনি ও তার মা মাহফুজার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। বিচারককে রনি বলেন বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়া হবে। অথচ তা না করে রনি আদালতে ফারজানার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। এই মামলায় তাদের বিয়েকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রনি। তবে আদালত বিবাহ রেজিস্ট্রারের ভলিউম বই আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু গত পাঁচ মাস যাবত সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাহ রেজিস্ট্রারকে নোটীশ দেওয়া হয়নি। তার কাছে সমনও পৌছায়নি। তিনি জানান আদালতের এক শ্রেণির কর্মচারিকে ম্যানেজ করে এই নেটিীশ ও সমন আটকে রেখেছে রোকনুজ¥ান রনি। ভলিউম বই আদালতে পৌছালে রনির সাথে তার বিয়ের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে বলে জানান ফারজানা।
    ফারজানা বলেন তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। অপরদিকে রনি বিয়ে অস্বীকার করে আমার সাথে প্রতারণা করছেন। আমি এখন দাঁড়াবো কোথায়।
    ফারজানা এর প্রতিকার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার মা লাইলি খাতুন।

  • সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এক বৃদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

    সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এক বৃদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

     
    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের মৌতলায় বিক্রয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূর্ব মৌতলা গ্রামের মৃত শেখ কলিমুদ্দিন এর ছেলে শেখ শাহাজান আলী।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন মৌতলা মৌজায় জে এল ১৭২ এস এ দাগ নং ২৯৫৫ ও ২৯৫৬ দুটি দাগ মিলে ৪১ শতক সম্পত্তির পৈত্রিক সূত্রে মালিক আব্দুল মাজেদ ও কালু শেখ। ঐ সম্পত্তি আব্দুল মাজেদ জীবিত থাকা অবস্থায় সামাদ ও লতিফের কাছে সাড়ে ৮ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করে। পরে সামাদ-লতিফ আমার কাছে সাড়ে ৫ শতক বিক্রয় করে এবং কালু শেখের কাছ থেকে সাড়ে ১২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। এছাড়া মাজেদের পুত্র শেখ অহিদুর এর কাছ থেকে আড়াই শতক সম্পত্তি আমার পুত্র শেখ জাবির হোসেনের নামে ক্রয় করি। যার দলিলের সনাক্ত কারী আব্দুর রশিদ ও স্বাক্ষী ইসমাইল। উক্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি মৃত আব্দুল মাজেদ শেখের পুত্র আব্দুর রশিদ শেখ তার পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি পুনরায় অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ন্যায় বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আব্দুর রশিদ ও তার ভাই ইসমাইল। ইউপি সদস্য মীর সালমান রহমান ডালিম, শেখ রেজানুর রহমান, শেখ মশিউর রহমান, আবু তাহের, জাকির, মামুন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয় উক্ত সম্পত্তির সমস্যা সমাধানের জন্য শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত সকলে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আব্দুর রশিদকে তার পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ না করার পরামর্শ দেন এবং রশিদের ভাই ইসমাইল হোসেনকে চোরাই মালামাল মেশিন, মটর, বাইসাইকেল, টিউবওয়েল ক্রয় না করার পরামর্শ দেন। আব্দুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে শালিসী বৈঠক ছেড়ে চলে যান। ওই দিন সেখানে কোন মারপিট বা রশিদকে ঘরে আটকে রাখার মত ঘটনা ঘটেনি। কিছুক্ষণ পরে আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম ফোনে শেখ মশিউর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ মৌতলার বাসিন্দা না। সে কয়রা উপজেলা বসবাস করেন। মাঝে মধ্যে এসে এলাকার সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলে যায়।
    এঘটনা গত ২২ জুলাই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৌহিদ নামে কোন পুলিশ কালিগঞ্জ থানায় নেই। শালিসী থাকা শেখ মশিউর রহমান, আবু তাহের, মামুনের ওই সম্পত্তির সাথে কোন সম্পর্ক নেই। সংবাদ সম্মেলনে মশিউর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। মশিউর রহমান একজন চাকুরিজীবি এবং সমাজের অসহায় মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং অবৈধ ভাবে পিতার বিক্রয় করা সম্পত্তি দখলের জন্য এধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
    এব্যাপারে পরসম্পদ লোভী আব্দুর রশিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

  • ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ চাঁদপুর ডাকঘরের চাকুরি বঞ্চিত প্রতিবন্ধী পরিবার

    ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ চাঁদপুর ডাকঘরের চাকুরি বঞ্চিত প্রতিবন্ধী পরিবার


    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর ডাকঘরে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে একজন নারী প্রতিবন্ধী পরিবারকে চাকুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
    মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন, ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে তিনি চাঁদপুর পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে তাকে ৩ শতক জমি দিয়ে সহায়তা করেন অধ্যক্ষ মুরাদুল হক, মাদ্রাসা সুপার ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তাকে ওই পোস্ট অফিসের ইডিএ পদে নিয়োগ দেওয়ার শর্ত ছিল। এর আগে ওই পোস্ট অফিসের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে এখানে ওখানে এদিক ওদিক চলতো। কিন্তু ভালুকা চাঁদপুর কলেজ ৩ শতক জমি দেওয়ার পর ৪ বছর যাবত পোস্ট অফিসটি পরিচালনা করে পোস্ট অফিসটি দাঁড় কনিয়েছেন তিনি। পরে সাতক্ষীরার প্রধান পরিদর্শক গোলাম রহমান ওই জমিতে ভাবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। ওই অফিসটি যখন দাঁড় করানো গেল তখনই তার সাথে বেঈমানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রহিমা খাতুন। রহিমা খাতুন বলেন গোলাম রহমানের বদলির সুযোগে পরিদর্শক অরুন কৃষ্ণ মন্ডল দায়িত্ব নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। রহিমা আরও বলেন, তিনি সুযোগ পাওয়ায় ভালুকা চাঁদপুর কলেজে চাকুরি নিয়েছেন। অপরদিকে অরুন কৃষ্ণ মন্ডল তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে রহিমার স্থলে তার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ওই টাকা পরিশোধও করেন। অথচ দূর্নীতিবাজ পরিদর্শক অরুন কৃষ্ণ মন্ডল ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তার ছেলেকে চাকরি না দিয়ে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সে কর্মরত ৫৯ বছর বয়সী অসিত কুমার মন্ডলকে গত ১ এপ্রিল নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে অনুনয় বিনয় করে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানালেও তা করা হয়নি যা একজন প্রতিবন্ধী পরিবারের সাথে প্রতারনার শামিল।
    তিনি এর প্রতিকার দাবি করে ওই নিয়োগ বাতিল এবং তার সন্তানকে ইডিএ পদে নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।