সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শ্যামনগরে বসতবাড়ীর সীমানার মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ডিসিআর নিয়ে প্রাচীর ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের মৃত শেখ নুরুল হকের পুত্র শেখ লিয়াকত হোসেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বাদঘাটা মৌজায় দাগ নং আর এস ২৮.৩০-৫৬ শতকের মধ্যে শ্যামনগর সদরের গোডাউন মোড় সংলগ্ন সাড়ে ১২ শতক জমির উপর পাকা বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি। আমার বাড়ির সামনে জেলা পরিষদের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। আমার দুইতলা বিশিষ্ট বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আমার স্ত্রী-সন্তান থাকলেও আমি মাঝে মধ্যে বাইরে থাকি। ভবনের নীচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে মাজাট গ্রামের সেকেন্দার আলী। ভাড়া থাকার সুবাদে জেলা পরিষদকে ভুল বুঝিয়ে ওই সম্পত্তির সামনে তার দখল আছে দেখিয়ে গোপনে ডিসিআর গ্রহণ করে। অথচ সে আমার ভাড়াটিয়া। ডিসিআর নিয়েই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়ে এবং আমাকেও অবগত না করিয়ে হটাৎ করে আমার সীমানা প্রাচীর ভেঙে নতুন গেট বসিয়েছে এবং গেটের ভিতরে ঘর নির্মানের জন্য প্রাচীর নির্মান করছে। আমি বাধা দিতে গেলে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শণ করে।
দখল থাকলে সেই ডিসিআর পাবে এমন আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই পর সম্পদ লোভী সেকেন্দার আলী জেলা পরিষদ থেকে ডিসিআর নিয়েই আমার নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙে আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এমনকি আমাকেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তিনি প্রাচীর ভাংচুরের ক্ষতিপূরণসহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা ক
Category: সংবাদ সম্মেলন
-

শ্যামনগরে বসতবাড়ীর সীমানার মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ডিসিআর নিয়ে প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ
-

সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ “সঠিক খাদ্যাভ্যাসে সুস্থ থাকুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঢাকা ডায়েট কাউন্সিলিং সেন্টারের প্রধান পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার। প্রেস কনফারেন্সে এ সময় সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, দুটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা হয়ে থাকে। একটি প্রতিরোধমূলক, আরেকটি প্রতিষেধকমূলক। আমরা জানি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। প্রত্যেক অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আলাদা হয়ে থাকে। প্রতিটি অঞ্চলের খাদ্য প্রাপ্তি ও উৎপাদনের উপর সে অঞ্চলে খাদ্যাভ্যাস নির্ভরশীল। যদি খাদ্য উৎপাদন ও প্রাপ্তি মেনে খাদ্যাভ্যাস হয়, তাহলে সে অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুস্থ থাকে। আজকাল মানুষের পশ্চিমা খাদ্যাভ্যাস অনেকাংশে অসুস্থ করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বয়স, কাজের ধরন বুঝেও ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। এখনো অনেক মানুষই মনে করে দামী খাবারে বেশি পুষ্টি। এ বিষয়গুলো সবার জানতে হবে, জানাতে হবে। সুষম খাদ্যাভ্যাস মানুষকে সুস্থ রাখে।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চলে অন্যান্য অনেক অঞ্চলের চেয়ে ভালো এবং তাজা খাদ্য দ্রব্য পাওয়া যায়। উৎপাদনও ভালো হয়। তা সত্ত্বেও এখানকার মানুষজনের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও এখানকার মানুষদের মধ্যে কোমরের হাড়ের সমস্যা রয়েছে। কুজো হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন ধরনের আথ্রাইটিসের প্রকোপ বিদ্যমান। বেশিদিন বেঁচে থাকলেও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছেন। মানুষ সচেতন হলে এর পরিত্রান সম্ভব। অনেকের বয়স অনুযায়ী ওজন ও উচ্চতা কম বেশি দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রসবের জন্য বেশির ভাগ সিজারিয়ান পদ্ধতি প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। যা কয়েক বছর আগেও অনেক কম ছিলো। অনেক অল্প বয়সেও দেখা যাচ্ছে বয়স বৃদ্ধির আগমনী বার্তা। এ সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রানের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং দেহের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। তিনি আরো বলেন, আমরা খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস পাল্টিয়ে অনেকাংশে নিরোগ ও সুস্থ রাখা সম্ভব। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ সেবা পৌছে দিয়ে চায়। সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, মাসে অন্তত দুইবার তিনি সাতক্ষীরাতে রোগী দেখবেন মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার ও চতুর্থ শুক্রবার। এখান থেকে যে কেউ পুষ্টিগত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান পাবেন । এখানে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ও জীবন যাত্রার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দরকারি বইও এখানে পাওয়া যাবে। তিনি আশাবাদী গবেষণালব্ধ এই পদ্ধতি সাতক্ষীরা এলাকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর সেজন্য এধরনের উদ্যোগকে আরো তরান্বিত করার লক্ষ্যে তিনি এ সময় সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন শাফায়েত। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ডায়েট কাউন্সিলিং সেন্টার সাতক্ষীরার পরিচালক আবিদ এ আজাদ। -

আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩৩ বছরের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করে কমান্ড স্টাইলে মারপিট করে ঘর নির্মাণ ॥ থানায় মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ
আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে কমান্ড স্টাইলে ১ একর ২৯ শতক জমির উপর নির্মীত সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশ করে বাঁশ খুটি পুতে টিনের ঘর নির্মাণ করে জমি দখলের পায়তারা করছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার আলীর ছেলে সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু শেখ বোরহান উদ্দীন। ঘর নির্মাণ বাঁধা দিতে গেলে জমির মালিক সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় লোহার শাপল দিয়ে তার উপর হামলা চালানো হয়। মারপিটকরে রক্তাক্ত জখম করে মাটিতে ফেলে রাখা হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় তার স্ত্রী মোছাঃ লুৎফা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করায় মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার পিতা মৃত আব্দুস সামাদ ১৯৮৭ সালে এবং তিনি ও তার ছোট ভাই মাহমুদ আহম্মেদ মুন্না ১৯৮৮ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ব্রম্মরাজপুরের প্রকাশ ঘোষের নিকট থেকে ব্রম্মরাজপুর মৌজার এসএ ১৫১ খতিয়ানে (দাগ নম্বর-৬৫৯৯,৬৬০১,৬৬০০) বর্তমান ৮৪৭০,৮৪৭৮,৮৪৭৯ ও ৮৪৮১ যথাক্রমে এই চার দাগে দুই দফায় মোট ১ একর ২৯ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পরপরি সীমানা প্রাচীর দিয়ে রাখেন। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ধুলিহর গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার আলীর ছেলে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী শেখ বোরহান উদ্দীন ওই জমি থেকে ৪ শতক জমি দখলের পায়তারা করে। তার বাড়ী ধুলিহর সাহেব বাড়ী মোড় সংলগ্ন সরকারি রাস্তা হওয়ার কারনে তার জমি সরকারি রাস্তার মধ্যে চলে যাওয়ার কারনে সরকারি ম্যাপে তার জমির পরিমান কমে যায়। আর সে কারনেই সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন জমির পেছনে থাকা আমাদের ৩৩ বছর ধরে সীমানা প্রাচীর দিয়ে রাখা ওই জমি দখল নিতে হঠাৎ মরিয়া হয়ে উঠে। শেখ বোরহান উদ্দিন গত দেড় বছর আগে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমত অবস্থায় জমির মালিক মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন গং আদালতের আশ্রয় নিয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর দেওয়ানি ১৯/২০২২। বিজ্ঞ আদালত ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি জমিতে ইস্তিথিশীল অবস্থা (এস্টাটাসকো) জারি করে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জমির সীমানার মধ্যে জোর পূর্বক পবেশ করে টিনসেটের ঘর নির্মান করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে ওই দিন রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দিলে সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন তার উপর হামলা চালায় এবং ঘর নির্মাণ করতে থাকা লোহার শাপল দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে আমি আত্মরক্ষা করি এবং ওই শাপলের বাড়ী আমার মুখ মন্ডলে লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এসময় সে ও তার সন্ত্রসাী বাহিনী আমাকে বিভিন্ন লাঠি সোটা দিয়ে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা ৩৫ হাজার ২০০ টাকা জোর করে ছিনতাই করে নেয়। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ও সংবাদ পেয়ে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আমার স্ত্রী মোছাঃ লুৎফা খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৬৬। মামলা দায়েরর পর থেকে সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাসুদ আহম্মেদ ওরফে মামুন ও তার পরিবারকে হত্যার জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ওই মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমি ও আমার স্ত্রীসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ওই জমিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমত অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। সন্ত্রাসী বোরহান উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। # -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামি এবং সাবেক শিবিরের নেতা কতৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুর
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী এবং সাবেক
শিবিরের ভিপি কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুরের
প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পুরাতন সাতক্ষীরা এলঅকার মৃত বীর
মুক্তিযোদ্ধা আফসার মোল্যার পুত্র মো: বজলুর রহমান। লিখিত অভিযোগে তিনি
বলেন, পুরাতন সাতক্ষীরায় ডাঙ্গীপাড়ায় মসজিদুর রহমান জামে মসজিদের সভাপতি
হিসেবে একই এলাকার পুঞ্জু বেশের পুত্র যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ
আলী সিদ্দিকী দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তীতে তার ভাইপো
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিবিরের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের সভাপতির
দায়িত্ব পালনের নামে মসজিদে ফান্ডের টাকা তছরুপকরাসহ মসজিদের মধ্যে বসে
জামায়াতের নাশকতার পরিকল্পনাকরা এবং বিভিন্ন এলাকার জামায়াত-শিবির
নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে মসজিদের মধ্যে মিটিং পরিচালনা করেন। এসব কারণে
এলাকাবাসী কাদেরের দ্রুত অপসারণ দাবি করে। মুসুল্লীদের যৌক্তিক দাবির
সাথে আমিও একমত পোষন করি। গত ১১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আসরের নামাজের পর আমি
বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। সে সময় একই এলাকার সুবারেক সরদারের পুত্র আব্দুস
সাত্তার আমাকে ডেকে বলেন, আশরাফ মাস্টার তোমাকে ডাকছে। আমি বাড়ি থেকে
বেরিয়ে মসজিদের মধ্যে প্রবেশের সাথে সাথে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ
মাস্টারের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্র নিয়ে আমাকে হুমকি
ধামকি প্রদর্শন করে বলে তুই স্বাক্ষী দিলি কেন বলেই মারপিট শুরু করলে আমি
জীবনের ভয়ে দৌড়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। বাড়িতে চলে যাওয়ার পর আশরাফ
মাস্টারের নেতৃত্বে তার ভাইপো শিবিুরের ভিপি কাদের, হামিদ উল্লাহের পুত্র আব্দুল
মালেক, আশরাফ আলীর পুত্র হুমায়ুন কবির পিন্টু, আব্দুল গফুরসহ ১০/১২জন
সন্ত্রাসী বাহিনী লোহার রড, দা, বাঁশের লাঠি সোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা
করে। বাড়িতে থাকা আমার পিতার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার বিভিন্ন সম্মাননা
স্মারক পদক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ মহান
মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি সম্মলিত জরুরী ডকুমেন্ট এবং মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক
বিভিন্ন গ্রন্থ ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী মামলার
আসামী আশরাফ মাস্টারগং মহান মুক্তিযোদ্ধা ও মুুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অশ্লীল
ভাষায় কটুক্তি করে। এঘটনায় ১২ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায়
একটি এজাহার দায়ের করি। যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে উল্লেখিত যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ মাস্টার,
শিবিরের সাবেক ভিপি কাদেরসহ তাদের সহযোগিরা আমাকে খুনজখমসহ বিভিন্ন হুমকি
প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। আমি তাদের হুমকিতে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায়
ভূগছি। ওই যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী আশরাফ মাস্টার, শিবিরের সাবেক ভিপি
কাদেরসহ তাদের সহযোগিদের গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং
জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেণে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
বজলুর রহমান। -

সংবাদ সম্মেলন : মাধবকাটির চিহ্নিত ভূমিদস্যু ওয়ারেশ আলীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আবেদন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার মাধবকাটির চিহ্নিত ভূমিদস্যু ওয়ারেশ আলীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবীতে ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, সদর উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর পুত্র ভুক্তেভোগী শফিকুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একাধারে ফোরকানিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার সভাপতি, মাধবকাটি প্রাইমারী স্কুলের সহ-সভাপতি, মাধবকাটি কাঁচা বাজার জামে মসজিদের সদস্য, বলাডাঙ্গা হেফজখানার সদস্য। একই এলাকার মৃত মাদার মোড়ল ওরফে পাগলা মোড়লের পুত্র ওয়ারেশ আলীর সাথে আমার বিরোধ চলে আসছিল। আমাকে সর্বশান্ত এবং হয়রানির করার জন্য বিগত ২০১৯ সালের পহেলা অক্টোবর ওয়ারেশ আলী তার কন্যাকে ধর্ষন চেষ্টার একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে নিজে বাদী হয়ে আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা খারিজ হওয়ার পর বিগত ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী ওয়ারেশ আলী আমার বিরুদ্ধে আদালতে আরো একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলাবাজ ভূমিদস্যু ওয়ারেশ আলী তার আতœীয় স্বজনদের বাদী করে আদালতে একের পর এক আরো ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে এসব মামলাগুলো সবই মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি আমাকে আরো ৩টি পেন্ডিং মামলা জাড়িয়ে দেন। তার দেওয়া মিথ্যা মামলায় আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারী আরো একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা থাকাকালিন সময়ে গদাঘাটা গ্রামের মোকসেদ মোল্লার পুত্র ওয়ারেশের কন্যার আতœীয় ডাকাতী মামলার আসামী মিজানুর রহমানকে দিয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর ওয়ারেশ এবং মামলা বাদী মিজানুর গত ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ নিয়ে আমাকে চিনিয়ে দেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর পুলিশ আমাকে আটক করে ছিনতাই মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেন। ভূমিদস্যু ওয়ারেশ আলীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ৮ মার্চ আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করি। এঘটনায় ওয়ারেশ আলী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ১২ মার্চ জঘন্য মিথ্যাচার করে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যা পরদিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে ওয়ারেশ আলী বলেছেন আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার একটিরও নাকি বাদী তিনি নন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত পক্ষে তিনি আমার বিরুদ্ধে যে ৯টি মামলা করেছেন এর মধ্যে ৫টি মামলার বাদী ওয়ারেশ আলী নিজেই। আর বাকী ৪টি মামলার বাদী তার আতœীয় স্বজন। যার সকল কাগজপত্র ও মামলার এজাহারের কপি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। যা সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। ধর্মীয় লেবাসে ওয়ারেশ আলী মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ৮১নং মাধবকাটি মৌজার এস.এ ২৯৪ ও ২৩২ নং খতিয়ানে ১৬১ ও ১৬২ দাগের ১.৪ একর ‘ক’ তফসীলভুক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল করায় ওয়ারেশ আলীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আতিয়ার রহমান যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা (দেওয়ানী মামলা নং ১১/২১) দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ারেশ আলী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকাতী মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৮ সালে শিক্ষক আতিয়ার রহমান কোন উপায় না পেয়ে চাকুরি বাঁচাতে অন্যত্র চলে যান। পরে ওই সম্পত্তির ভূয়া দলিল করে ওয়ারেশ আলী ভোগদখল করেন। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মাটি বিক্রি করে তিনি তা আত্মসাৎ করেছেন। এরপরও ওয়ারেশ আলী নিজেকে এবং তার পুত্র আবুল বাশারকে ধোয়া তুলশীপাতা দাবি করেছেন। অথচ আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন। কোন ভালো মানুষের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী এভাবে গণস্বাক্ষর করে কি না তা আমার জানা নেই। ওয়ারেশ আলীর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ১১টি নাশকতার মামলা রয়েছে। আর তার ছেলে আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ৬টি চেক জালিয়াতি ও ৭টি নাশকতার মামলা রয়েছে। ওই ডাকাত ও জালিয়াত চক্রের ষড়যন্ত্রে আমি আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় মিথ্যা মামলার বাদী ওয়ারেশ গংয়ের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

সংবাদ সম্মেলন :কালিগঞ্জের যুদ্ধপরাধী মামলার স্বাক্ষী কাজী আসাদুল ইসলামের এতিম সন্তান ও বিধবা স্ত্রীর সম্পত্তি রক্ষার দাবী
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ প্রতারক গডফাদার চক্রের হাত থেকে কালিগঞ্জের যুদ্ধপরাধী মামলার স্বাক্ষী কাজী আসাদুল ইসলামের এতিম সন্তান ও বিধবা স্ত্রীর পৈত্রিক ও কোবলাকৃত সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের যুদ্ধপরাধী মামলার স্বাক্ষী মৃত কাজী আসাদুল ইসলামের পুত্র ভুক্তভোগী কাজী আবু সাইদ সোহেল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মৌতলা গ্রামের মৃত কাজী সিরাজুল হকের পুত্র ও বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাবর রোড়ে বসবাস কারী নিজেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দাবী করা কাজী আজাহারুল ইসলাম ওরফে আখেরুল, শ্যামনগর উপজেলার ঈশ^রীপুর গ্রামের আমজাদ মোড়ল এবং কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের কাজী ইনামুল হোসেন আমার পিতার মৃত্যুর পরে তারা আমার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসছেন। উক্ত প্রতারক চক্রের গড ফাদার কাজী আজাহারুল ইসলাম আমার ও আমার মাতার নামে সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। উক্ত প্রতারক চক্রের গডফাদার নিজেকে যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী পরিচয়ে পুলিশ প্রশাসন, পুলিশ প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের রয়েছে বলে প্রচার দেন। এমনকি তার ছেলে সাথে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে বলেও আছে প্রচার দেন। তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ইসাকুর মৌজায় আমার পিতার কোবলাকৃত ও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দীর্ঘ ৫০ বছরের ভোগদখলীয় ১.৫৫ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত সম্পত্তিতে দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আনছার আলী প্রথমে আমার পিতার নিকট থেকে ও পরবর্তীতে আমার ও আমার মাতার নিকট থেকে লীজ ডিড নিয়ে মৎস্য হ্যাচারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে শ্যামনগর থানা পুলিশের এ.এস.আই প্রভাসের উপস্থিতিতে উক্ত প্রতারক চক্রের গড ফাদাররাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অনধিকার প্রবেশ করে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অত্র সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করেন। এতে আমার মাতা ও অমার স্ত্রী বাধা দিলে তারা আমার স্ত্রী ও মাতাকে গলা চেপে পানিতে চুবিয়ে শ^াস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় জনতা চলে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রশাসন ও ওসি শ্যামনগর থানা বরাবর আমার মাতা মাহফুজা পারভীন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানার এ.এস.আই মনিরুল তদন্ত করেন। পরবর্তীতে গত ১৬মার্চ আমি বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশ প্রধানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত প্রতারক চক্রের হাত থেকে পরিত্রান পাইবার জন্য অভিযোগ করি। বর্তমানে তারা আমার পরিবার বর্গের হত্যা ও ভিটেছাড়াসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছেন। যা পুলিশ প্রশাসনসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পাবেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত সন্ত্রসী চক্রের গডফাদার কাজী আজাহারুল ইসলামসহ তার দোসরদের কবল থেকে তার ও তার পরিবার যাতে পরিত্রান পেতে পারে সে জন্য প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-

জামিন পেয়েই মামলার বাদীকে দেখে নেওয়ার হুমকি : সুবিচারের দাবীতে
কৃষ্ণ ব্যানার্জী: সুবিচারের দাবীতে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম। বুধবার বিকালে আশাশুনি প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে, কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল গ্রামের নজরুল ইসলাম খাঁ’র ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও খুলনার দেশ সংযোগ পত্রিকায় কর্মরত আছি। গত ১৩ মার্চ-২২ তিনি তার শালি সুরাইয়া খাতুনের এসএসসি পরীক্ষার মার্কসিট আনতে চাম্পাফুল আঃ প্রঃ চঃ মাধ্যমিক স্কুলে গমন করেন। তখন অভিযুক্ত অফিস সহকারী ইয়াছিন আলি বিদ্যুৎ মার্কসিটের জন্য ৩০০ টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিয়ে জানতে চান কিসের জন্য টাকা নিলেন এবং এই টাকার কোন রশিদ পাবো কিনা? এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে কতিপয় কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী কোনো কারন ছাড়াই আমার উপর ন্যাককার জনক বর্বাচিত হামলার ঘটনা ঘটায়। এসময় আমাকে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠালে, আমি সামান্য সুস্থ্য হয়ে আশাশুনি থানায় (বিতর্কিত) প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম, সহকারী শিক্ষক আবু হাসান, অফিস সহকারী আব্দুস সবুর ও অফিস সহকারী ইয়াছিন আলী বিদ্যুৎ, সহ আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ও কিছু স্বার্থনেশী মহল, শিক্ষকদের অনিয়ম ও দূর্নীতির সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে (১৬ মার্চ) কোমলমতী ছাত্রছাত্রীদের প্রখর রৌদ্রে দাড় করিয়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কোমলমতী শিশুদের নিয়ে মানববন্ধন করায় স্থানীয় প্রশাসন সহ অত্র এলাকার সুধী সমাজকে বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলিয়েছে। শিক্ষকরা তাদের নিজেদের স্বার্থে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোদাড়া গ্রামের নজরুল গাইনের ছেলে ফরহাদ হোসেন নয়ন একজন চাঁদাবাজ। সে প্রশাসনের চোখে অপরাধী হওয়ায়, স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দিয়েছে। এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানের ঐ সকল শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন সময় সরল সহজ নিরীহ শিক্ষক ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানী ও লাঞ্চিত করার ঘটনা অহরত ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি কর্তৃক এসকল বিষয়ে কোনো প্রতিকার না করে বরং উল্টো তাদের সোকাচ, বেতন ভাতা ইত্যাদি বিষয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি মহামান্য হাইকোর্টের বিধি নিষেধ ও সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বহাল তবিয়াদে অনিয়মের পাহাড় গড়ছেন। এমতাবস্তায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক লাঞ্চিত ঘটনায় মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে আমিরুল ইসলামকে এবং আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আসামী পক্ষ। তিনি আরও বলেন, মামলা দায়ের এর ফলে যদি পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়, তবে আগামীতে আর কোন থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হবে না। এদিকে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তারা পুনরায় আমাকে (বাদী) হয়রানি করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে উদ্দেশ্য মূলক মানববন্ধনের নেতৃত্ব দানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম।
-

সংবাদ সম্মেলন :সাতক্ষী নগরঘাটায় পরোকীয়ার জেরে স্বামী হত্যাকারী স্ত্রী ও তার প্রেমিকের ফাঁসির দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার নগরঘাটায় পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামী গোলাম মোড়লের হত্যাকারী স্ত্রী রেহেনা ও তার প্রেমিক রাব্বির ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোড়লের ছেলে
ও নিহতের আপন বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের ছোট ছেলে সাব্বির হোসেন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন। নিহতের ছোট ছেলে এ সময় তার পিতা হত্যায় জড়িত তার মা ও মায়ের প্রেমিক রাব্বির দ্রুত ফাঁসির দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১ মার্চ-২০২২ তারিখ রাতে আমার ছোট ভাই গোলাম মোড়ল মৃত্যু বরণ করেছে মর্মে আমার কাছে সংবাদ প্রদান করা হয়। আমিসহ স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের গলায় কালো একটি দাগ দেখতে পাই এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর আমরা বুঝতে পারি তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরকীয়া প্রেমের বলি হতে হয়েছে আমার ভাইকে। নিজের স্ত্রী রেহেনা এবং প্রেমিক রাব্বির অবৈধ প্রেমলীলায় বাধা দেওয়া তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আতœীয়তার সম্পর্ক ধরে আমার ভাইয়ের স্ত্রী রেহেনার সাথে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার শিমুলিয়া গ্রামের জের আলী মোড়লের পুত্র রাব্বির সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিবার শালিস হলেও রেহেনা রাব্বির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। এটি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১ মার্চ রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আমার ভাই গোলাম মোড়ল খাটে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লে স্ত্রী রেহেনা ও তার প্রেমিক রাব্বিসহ তার সহযোগিরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এছাড়া মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত করে জখম করে। হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্ট্রোক করে মারা গেছে মর্মে প্রচার দিতে থাকে আমার ভাইয়ের স্ত্রী রেহেনা পারভীন। যদিও রেহেনা ও তার প্রেমিকের উদ্দেশ্যে সফল হয়নি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে রেহেনা ও রাব্বিকে আটক করে কারাগারে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দড়ি, ইনজেকশনের সিরিঞ্জসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে এ হত্যার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা তাদের আতœীয় স্বজনদের মাধ্যমে নানা চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। রেহেনার আতœীয়রা মোটা অংকের অর্থ নিয়ে মাঠে নেমেছেন তাদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। এমনকি আমাকেও নানানভাবে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। এ মামলায় দুজন আসামী আটক হলেও একজন এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গোলাম মোড়ল ও রেহেনা খাতুন দম্পত্তির সাগর হোসেন (১৮) ও সাব্বির হোসেন (১৫)নামে দুটি সন্তান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় পরকীয়া প্রেমের জেরে হত্যা হওয়া ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিসহ বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।## -

সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া ৬ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার ও তার নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরায় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে খাস
সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া ৬ লক্ষাধিক টাকা
উদ্ধার ও তার নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার
সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ
সম্মেলনে এ দাবি জানান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল বারুইপাড়া গ্রামের
মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলঅম মোস্তফার স্ত্রী ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর আমি সেলাইয়ের
কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। সম্প্রতিক সময়ে কুখরালী এলাকার
মোসলেমের পুত্র মহিদুল ইসলাম অল্প খরচে আমাকে ৩/৪ বিঘা খাস জমি পাইয়ে
দেবে বলে প্রস্তাব দেন। যেহেতু স্বামী নেই সেকারনে জমিটা পেলে আমার সংসার
পরিচালনায় সুবিধা হবে ভেবে সরল বিশ্বাসে আমি তার কাছে তিন দফায় মোট ১লক্ষ
টাকা ৪১ হাজার টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে মহিদুল আমাকে বলে মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তা রাজু স্যারের বিকাশে টাকা দিতে হবে তাহলে সকল কাগজপত্র ঠিক করে
দেবে। এরপর রাজু স্যারের ব্যহৃত দুটি মোবাইল ০১৮১৩-৬৭৮৭৫২ এবং ০১৭৬৩
৬১৬৬৯০ নাম্বার দেয়। ওই রাজু নামের কথিত অফিসার আমার সাথে প্রায়ই কথা
বলতো। রাজুর বিকাশ নাম্বারে কাগজপত্র ছাড়ানোর জন্য আমি বিভিন্ন সময়ে ৬
লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করি। এখন রাজুর নাম্বারে ফোন দিলে জনৈক মহিলা
ফোন রিসিভ করে বলেন, রাজু স্যার মারা গেছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে আমি
মহিদুলের কাছে গিয়ে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৯৩৬ ০৪৫৩৫৬ এবং
০১৯১২ ৩২৫৭৮৫ এর মোবাইলে ফোন করে টাকা ফেরত চাইলে সে তালাবাহানা করতে
থাকে। একপর্যায়ে মহিদুলের বাড়িতে গেলে আমাকে কোন টাকা দিতে পারবে না
মর্মে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং কেউকে বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকি
ধামকি প্রদর্শন করে। তিনি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বামীকে হারিয়ে
একমাত্র পুত্র নিয়ে এখন না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। সরলতার সুযোগে আমাকে
ঠকিয়ে এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই মহিদুল এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অথচ আমি বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ দেনা করে ওই টাকাগুলো
প্রতারক মহিদুলের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। সে আমাকে ঠকিয়ে পথে বসিয়েছে। আমার
একমাত্র পুত্র একটি কোম্পানিতে চাকুরি করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার
পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য। তিনি আরো বলেন, ওই মহিদুল টাকা ফেরত দেওয়া
তো দূরের কথা উল্টো আমাকেসহ আমার সন্তানকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি
প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় আমি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি।
একদিকে টাকা হারিয়ে আমি দিশেহারা অন্যদিকে ওই প্রতারকের খুন জখমের
হুমকিতে আমি এবং আমার সন্তান এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ
সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার অসহায় স্ত্রী
হিসেবে ওই প্রতারক চক্রের কবল থেকে তার টাকা উদ্ধার এবং ওই প্রতারক
চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

দেবহাটার নোড়ার চকে ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : অবৈধভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী সহযোগিতায় দেবহাটার নোড়ার চকে ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, দেবহাটা উপজেলার নোড়ারচক গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের পুত্র লব বিশ্বাস। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা পারুলিয়া মৌজার সাবেক সি এস ১৭৫৩ নং খতিয়ানে এস এ জরিপে ১নং খতিয়ানে সরকার বাহাদুরের নামে ও রিভিশনাল জরিপে ১ খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিতে শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করলে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা মোকদ্দমা করি। মামলায় আমার রায় ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। ১৯৯৮ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও নির্বাহী অফিসার কর্তৃক দুটি খন্ড করেন। উক্ত রায় ডিক্রির সম্পত্তি বাদ দিয়ে সরকারি সম্পত্তি পৃথক করে নেয়। রায় ডিক্রিধারীরা অর্থ্যাৎ আমরা সেখানে বহাল থাকি। এমতাবস্থায় কোড়া গ্রামের মৃত. মুন্সি মাদার আলী গাজীর পুত্র আঃ মান্নানসহ কতিপয় ব্যক্তি দখলী স্বত্ত্ব দাবি করে এবং সরকার বাহাদুরকে বিবাদী শ্রেণিবুক্ত করে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ২নং আদালতে ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে ১২২/১৪ নং দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় আদালতকে ভুল বুঝিয়ে ২৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখের আদেশে লুৎফর রহমান এক রিসিভার নিয়োগের আদেশ গ্রহণ করেন। উক্ত বিষয়টি অবগত হয়ে সেখানে বসবাসকারী শতাধিক পরিবারের সদস্যরা উক্ত মামলার বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হয়। যা দ্বিপক্ষ শুনানী অন্তে ইং ১৩ মে ১৮ তারিখে উক্ত রিসিভার বাতিল হয় এবং ১২২/১৪ নং দেওয়ানী মোকদ্দমাটিও গত ইং ২৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে খারিজ হয়। উক্ত রিসিভার বাতিলের বিরুদ্ধে লুৎফর রহমান গং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ১১৫(২) ধারা মতে ৪৮/১৮ নং রিভিশন মামলা দায়ের করেন। যা অতিরিক্ত জেলা জজ ১নং আদালতে বদলী হয়। আগামী ২০ এপ্রিল ২২ তারিখে রিভিশন শুনানীর দিন ধার্য আছে। অথচ ইতোমধ্যে মুল দেওয়ানী ১২২/১৪ নং মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে। মামলা চলমান থাকায় অবস্থায় মধ্যবর্তী আদেশের গ্রহণযোগ্য থাকলেও মূল মামলা খারিজ হলে মধ্য আদেশ ও রিভিশন আপীল যে কোন কোর্টের যাই হোক না কেন তার কোন কার্যকারিতা থাকে না এবং আইনগত বৈধতা থাকে না। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামতেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল মামলা খারিজ হয়ে গেলে মধ্য আদেশের কোন কার্যকারিতা থাকে না। কিন্তু ওই মধ্যবর্তী আদেশ নিয়ে উল্লেখিত লুৎফর রহমান গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তিতে বসবাসকারী অসহায় সংখ্যালঘু কাগজপত্রে স্বত্ত্ববান রায় ডিক্রিধারীর ও ভূমিহীনদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। প্রায়ই গভীর রাতে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন। তাদের ভয়ে অত্র এলাকায় বসবাসকারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছি। আমাদের কে কৌশলে উচ্ছেদ করে অবৈধদখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে লুৎফর ও শেখ মকরম হোসেন গংয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী। যে কোন সময়ে সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যাও রয়েছে। ওই লুৎফর গংয়ের কবল থেকে সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। -

মিথ্যে মামলার দায় হতে অব্যাহতি ও নিজের সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
শ্যামনগরে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে না
পেরে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এক ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও তার
বিরুদ্ধে মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন
শ্যামনগর আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মৃতআছের উদ্দীন গাইনের ছেলে অমেদ আলী
গাইন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের আবাদচন্ডীপুর মৌজায় এস এ
৪৯৭, ডি.পি ২১৬ নং খতিয়ানে এস এ ২৩৪ হাল ৭৭৯ দাগে .৩৩ একর জমি ক্রয় করে
শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। গত ২০১৮ সালে একই এলাকার মৃত
আলিমউদ্দীন মল্লিকের ছেলে চিহ্নিত হরিণ শিকারি মামলাবাজ আনসার মল্লিক
ভিন্নদাগে আমার সম্পত্তির পাশে ২২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে অবৈধভাবে আমাদের
সম্পত্তিও দখলের চক্রান্ত শুরু করে। একই সাথে ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায়
আমাকে হয়রানির ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এঘটনায় আমি অতিরিক্ত জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করলে আদালতে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫
ধারা জারি করেন। কিন্তু সম্পদ লোভী আনসার মল্লিক আদালতের নির্দেশ
অমান্য করে উক্ত সম্পত্তি দখল করতে না পেরে গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে একটি
মিথ্যে ঘর জ¦ালানোর মামলা দায়ের করে। তদন্তে ওই ঘটনা মিথ্যে প্রমানিত হয়।
অমেদ আলী গাইন আরো বলেন, গত ৭ এপ্রিল গভীর রাথে বনবিভাগের লোকজন আনছার
মল্লিকের বাড়ির মধ্যে থেকে হরিণের চামড়া উদ্ধার করেন। কিন্তু এঘটনায় সে
আমাদেরকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর জেরে গত ৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই চোরা শিকারী মামলাবাজ আনছার মল্লিক
দাবি করেন, তার বাড়িতে নাকি আমরা হরিনের চামড়া দিয়ে তাকে হয়রানির চেষ্টা
করছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। আমি একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অসহায়
নিরিহ প্রকৃতির মানুষ। শুধুমাত্র জমি দখলের উদ্দেশ্যে সে আমাদেও বিরুদ্ধে
একের পর এক এধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আনছার
তার ভাই মুনসুর মল্লিক, শামসুর মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে হরিনের মাংস ক্রয়
বিক্রির সাথে জড়িত। যা এলাকাবাসী সকলেই অবগত আছেন। আমরা এলাকার নিরিহ
শান্তি প্রিয় মানুষ। আমাদের পক্ষে চাঁদা দাবি করা বা অন্যের বাড়িতে
হরিনের চামড়া রেখে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কাল্পনিক। উল্টো আনছার মল্লিক ও
তার তিন ভাই এবং সহযোগি শফিকুল মল্লিক, আজিবর মল্লিক, সাইদুল মল্লিক ও
আব্দুর রশিদ আমাদের বাড়িতে হরিণ বা বাঘের চামড়া রেখে ধরিয়ে দিয়ে হয়রানি
করবে, বাড়ির স্ত্রী-মেয়োদের দিয়ে মিথ্যে ধর্ষন মামলা করে হয়রানির হুমকি
ধামকি দিচ্ছে।
তিনি চোরা শিকারী আনসার মল্লিকের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে ও
নিজের সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলায় দায় হতে অব্যাহতির দাবিতে
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা
করেন। -

ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির কারনে দুর্ভোগ বাড়ছে
নিচস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা অনুযায়ী ভোমরা স্থলবন্দর পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তরিত হয়। সে অনুযায়ি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কিন্তু ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির কারনে বন্দরটির কার্যক্রম সুবিধার পরিবর্তে দুর্ভোগের কারণ হয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসায়িদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। রবিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোমরা স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবন্দ এই অভিযোগ করে ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের (ভোমরা স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশন) সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হাসান বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এই বন্দর থেকে সরকার প্রতিবছর শুধু কাস্টমস্ ডিউটি বাবদ ১২শ’ কোটি টাকা আয় করে থাকে। ভোমরা স্থলবন্দরে প্রত্যক্ষভাবে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আজ এই বন্দরটি কঠিন সংকটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা ব্যবসায়িরা বিভিন্নভাবে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের ন্যায় ভোমরা স্থল বন্দরটিতেও পণ্য খালাসে লেবার সরবরাহের জন্য একজন ঠিকাদার নিয়োগ করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ি লেবার সরবরাহের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ পার মেট্রিক টন হিসাবে ৬৯.২০ টাকা হারে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে বিল নিয়ে থাকে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পণ্য খালাসের জন্য আমাদের লেবার সরবরাহ না করে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উপায়ন্ত না পেয়ে আমরা আমদানীকারকগণ বাইরের লেবার সংগ্রহ করে ট্রাক প্রতি দুই হাজার টাকা দিয়ে পণ্য খালাস করাছি। ফলে পণ্য খালাসে আমারা দুই বার লেবার বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। কিন্তু কিছু সরকার বিরোধী দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা সরকারকে তার সফলতায় পৌছাতে না দিয়ে সুকৌশলে প্রতি মাসে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র সম্ভাবনাময় ভোমরা স্থলবন্দরটিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এই বন্দরের ব্যবসয়িরা টিকে থাকতে পারবে না। ফলে বন্দরটি অকার্যকর বন্দরে পরিনত হবে। তিনি দেশের অন্যান্য সব বন্দরের ন্যায় সুযোগ সুবিধা দাবি করে এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমসহ আমদানী ও রপ্তানীকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরা পৌর নির্বচনে ৬নং ওয়ার্ডের টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যেচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ডালিম প্রতীকের শেখ মারুফ আহম্মেদ প্রতিদ্বন্দ্বি টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের প্রার্থী শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যে আপপ্রচার চালাচ্ছেন। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কুখরালী আমতলা এলাকার মৃত. শুকুর আলী সরদারের ছেলে ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের টানা ৪ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভার নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রত্যেকই নির্বিঘেœ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিজয়ের লক্ষ্যে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। প্রত্যেকই প্রার্থীই বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়ও তৈরি করেছেন। অথচ ডালিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মারুফ আহম্মেদ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আমার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যেচার করে যাচ্ছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মারুফ আহমেদ আমার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বক্তব্য উপস্থাপন করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বলেন, বিগত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। শেখ মারুফ সেবারও আমার কাছে পরাজিত হন। এ পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে না পারে তিনি ওই নির্বাচনকেও বিতর্কিত মর্মে উল্লেখ করেন। এবারেও তিনি আমার প্রচার প্রচারনায় বাধার সৃষ্টি করছেন। আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে আমার পিছনে ৬/৭ টি মটর সাইকেলে লোক পাঠাচ্ছেন। তার নিজের বাড়ির পাশের বাকাল হাই স্কুল ও প্রাইমারী স্কুল কেন্দ্রে আমার টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কোন এজেন্টদের ঢুকতে দিবেন না বলে প্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। কেউ যাতে আমার এজেন্ট না হয় সেজন্য সবাইকে সর্তক করছেন। এছাড়া ইভিএম এ তার প্রতীকে ভোট মেরে নিবেন বলে তার লোকজন এলাকায় প্রচার দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চাই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। জনগণ যাকে ভোট দিবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। কিন্তু শেখ মারুফ আহমেদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমার বাড়ির পাশের কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ বিষয়ে শেখ মারুফ যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। আমি শেখ মারুফ আহমেদ কর্তৃক মিথ্যেচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে আমার বিরুদ্ধে এহেন জঘণ্য মিথ্যেচারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে অবাদ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

সাতক্ষীরার ভাড়াশিমলায় সম্পত্তি রক্ষা ও মিথ্যে মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে ঘের মালিকের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলায় রমজান বাহিনী কর্তৃক দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টা এবং মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের হাজী শেখ আব্দুল করিমের ছেলে শেখ মুনজুরুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে কালিগঞ্জের কামদেবপুর মৌজায় ৯ একর ৭২ শতক সম্পত্তির মূল মালিকের ওয়ারেশগণের কাছ থেকে ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। নিয়মিত হারির টাকা পরিশোধের শর্তে উক্ত সম্পত্তি একই গ্রামের মৃত. দোস্ত মোহাম্মাদের ছেলে আব্দুর রশিদের কাছে ইজারা দেই। কিন্তু একই এলাকার পরসম্পদ লোভী মৃত. মোতালেব আলীর ছেলে রমজান বাহিনী প্রায় রাতে রশিদের ঘেরের বাসায় আগুন দেয়া, জোরপূর্বক মাছ ধরে নেয়াসহ বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে আসছিল। একপর্যায়ে রশিদকে তাড়িয়ে দিয়ে রমজান তার সহযোগি মৃত নকুল চন্দ্রসাহার ছেলে লহ্মীকান্ত সাহা কে ওই ঘেরে বসায়। সে আমাকে কোন হারির টাকা না দেওয়ায় প্রায় দুইবছর পর গত দুই মাস আগে শান্তিপূর্ণভাবে আমার সম্পত্তিতে দখল বুঝে নেই।
শেখ মুনজুরুল ইসলাম বলেন, আমার সম্পত্তি থেকে দখলচ্যুত হয়ে রমজান বাহিনীর ক্যাডাররা প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে ওই জমি পুনরায় দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। এরই জের ধরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৫০/৬০ জনের সশস্ত্র বাহিনী আমার ঘেরের বাসায় ঢুকে বাসা ভাংচুর এবং লুটপাট করে দখলের চেষ্টা করে। এসময় তারা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া আমার ঘেরের পাহারাদার আব্দুস সাত্তার গাজী আদালত থেকে জামিন নিয়ে থানায় রিকল জমা দেওয়ার পরও তাকে আরো একটি মিথ্যে মামলায় আটক করে কারাগারে পাঠায়। শুধু তাই নয় কেউ যাতে আমার ঘের পাহারা না দেয় সেজন্য অন্যান্য পাহারাদেরকেও রাতে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে থানা পুলিশ পরোক্ষভাবে রমজান বাহিনীকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘেরে গেলে মারপিট, খুন জখমের পাশপাশি মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে রমজান ও তার বাহিনীর লোকজন। রমজান বাহিনীর অত্যাচারে আমার ঘেরের পাহারাদারা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি ওই রমজান বাহিনীর কবল থেকে তার ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় হতে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

পিতৃ হত্যার বিচার দাবি কলারোয়ার সুমন হোসেনের
‘বেশী বুঝলে সমস্যা আছে, আর যদি সই না করিস তবে তোকেও ঝুলিয়ে দেবো, আমার নাম সোহরাব দারোগা’
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক আমজেদ গাজী হত্যার ঘটনায় থানায় দেওয়া এজাহারে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এজাহারে যেসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অনেকাংশে অসত্য। কলারোয়া থানার এসআই সোহরাব হোসেন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এজাহারে সই করিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান, নিহত আমজেদ গাজীর ছেলে সুমন হোসেন। এসময় তার পরিবারের সদস্য লাভলু গাজী, শফিকুল ইসলাম, সোহেল রানা, ইকরাম হোসেন, জনাব আলী, সাত্তার গাজী, নূরজাহান, হালিমা, হাসিনা, ফাতেমা, আক্তার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সুমন হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি তার বাবা আমজেদ গাজী মামলাভূক্ত জমিতে চাষ করার জন্য গেলে তাতে বাধা দেন তার চাচা আনসার গাজী ও তার লোকজন। এসময় আনসার ও তার লোকজনের হামলায় অনেকেই আহত হন। এক পর্যায়ে আনসার গাজীর বাঁশের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার বাবা আমজেদ গাজী মারা যান। সুমন হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার জন্য তিনি কলারোয়া থানায় যান। তাকে সেখানে ৩-৪ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে এসআই সোহরাব একটি এজাহার প্রস্তুত করে তাকে স্বাক্ষর করতে বললে তিনি তা পড়ে জানতে পারেন এজাহারে সঠিক তথ্য নেই এবং ইন্ধনদাতা আলমগীর ও লতিফ দফাদারের নামও নেই তাতে। এর প্রতিবাদ করায় দারোগা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশী বুঝলে সমস্যা আছে। আর যদি সই না করিস তবে তোকেও ঝুলিয়ে দেবো। আমার নাম সোহরাব দারোগা’।
সুমন হোসেন আরও বলেন, দারোগার ভয়ে আমি সই করতে বাধ্য হই। পরে আমি এ বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানাই। পরদিন দারোগা সোহরাব সুমন হোসেনকে ফের ডেকে তার বাসায় দেখা করতে বলেন। বাসায় দেখা করতে গেলে তিনি তেলেবেগুনে জ¦লে উঠে বলেন, ‘তুই একা আসবি, আবার এসব দালাল সাথে এনেছিস কেন?। সুমন হোসেন বলেন, এরা সবাই আমার সাক্ষী। দারোগা তার জবাবে বলেন, ‘বেশী বাড়াবাড়ি করলে সবকটাকে একসাথে ঝুলিয়ে দেবো। কারন তোদের স্থানীয় নেতাগোতা, ওসি ও এসপির নির্দেশেই সব করেছি’ । সুমন হোসেন বলেন, বাবাকে হারিয়ে পুলিশের এই নিষ্ঠুর আচরনের মুখে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি ওই এজাহার পরিবর্তন করে নতুন করে এজাহার লেখার দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার আইজিপির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সুমন হোসেন আরও বলেন, হত্যাকারী আনসার ও তার লোকজন এখন বলে বেড়াচ্ছে, ‘দেখি মামলা করে কি করিস, তোদের পুরো পরিবারের ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দেবো।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন জানান, ঘটনার বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এজাহারটি লেখা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকান্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করার ঘটনা সত্য নয়। তবে আমজেদ গাজীর ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আনসার গাজী সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। -

সংবাদ সম্মেলনে : বসতভিটা রক্ষা ও পরিবারের সদস্যদের নামে দায়ের করা মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক ভূমিহীন গৃহবধূ
নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিমাংশু গং কর্তৃক ১নং খাস খতিয়ানের ডিসিআর কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে মিথ্যে মামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, মারপিট, লুটপাট ও খুন জখমের হুমকি দিচ্ছেন। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার বদঘাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মোছা: নাজমা খাতুন এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সহ বদঘাটা ও কাচড়াহাটি গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন, নুরুজ্জামানের স্ত্রী নাজমা বেগম, মৃত মাদার বক্সের ছেলে শামছুর রহমান ধুলো, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কালু গাজী, মুজিবর রহমানের ছেলে আসাদুজ্জামানসহ আমরা ১২টি পরিবার শ্যামনগরের কাচড়াহাটি (নন্দীগ্রাম) মৌজায় জে এল ২২, বিএস খতিয়ান নং-০১ দাগ, ৫৮০/৭৪৩, ১নং খাস খতিয়ানের সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ভূপেন্দ্র মন্ডলের ছেলে হিমাংশু কুমার, আনন্দ কুমার মন্ডলের ছেলে অনাথ মন্ডল, নিরাপদ মন্ডলের ছেলে কিশোরী লাল মন্ডল, মৃত. রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে উৎপল কুমার মন্ডল, অভিলাষের ছেলে সুধীর মন্ডল গং উক্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। নাজমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ইজারা নেয়া সম্পত্তি অবৈভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ভূমিদস্যু হিমাংশু গংরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের পরিবারের পুরুষদের নামে একাধিক মিথ্যে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। এসব মিথ্যে মামলায় পুরুষ লোকেরা বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে পুরুষদের না থাকার সুযোগে হিমাংশু গংরা সংঘবদ্ধ লোকজন নিয়ে প্রায় প্রতি রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে তারা সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন হচ্ছে মর্মে মিথ্যে প্রচার দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ভূমিদস্যু হিমাংশু গংদের সাথে উল্লেখিত ব্যক্তিরা কেউ ভূমিহীন নয়। তাদের যথেষ্ট অর্থ সম্পদ থাকা স্বত্বেও লোভের বশবর্তী হয়ে প্রকৃত ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ভাংচুর চালিয়ে সংখ্যালঘু’র দোয়াই দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারবাহিকতায় গত ২০ ডিসেম্বর ভোরে আমার ঘরের দক্ষিণে সাকাত হোসেনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। ২১ ডিসেম্বর আমার বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং ২২ ডিসেম্বর তাছলি ও মজিদার বাড়িঘর ভাংচুর করে। এঘটনায় আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও তারা সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে নিজেদের রক্ষা করে যাচ্ছেন। অথচ উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে। মামলা শেষ হওয়ার অপেক্ষা না করে তারা গায়ের জোরে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি তথাকথিত সংখ্যালঘু পরিচয়দানকারি ভূমিদস্যু হিমাংশু গং কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যে মামলার দায় থেকে অসহায় ১২টি ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের অবহ্যতির দাবি জানান। একই সাথে তাদের মাথা গোজাই ঠাঁই বসতভিটা রক্ষার দাবি জানিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটে সাথে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




