Category: সংবাদ সম্মেলন

  • জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে

    জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সিস্টেম পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, যা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

    বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সাতক্ষীরার নাগরিকদের ভাবনা’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আসমা উল হুসনা এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক নাঈদ আহমাদ।

    সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে সাতক্ষীরা জেলায় সবচেয়ে বেশি হত্যা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। হাজারো মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সেই স্বৈরাচারী ধারা রুখে দিয়েছিল জুলাই আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তির সংগ্রাম ছিল এটি।

    তাঁরা বলেন, শহীদদের পরিবার বিচার না পেলে শান্তি পাবে না। বিচার বিলম্বিত হওয়ায় জনগণের মনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে।

    সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক আবদুল কাদের, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হাসানুর রহমান হাসান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম বাপ্পি, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মাকছুদুর রহমান জুনায়েদ এবং শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

     

    বক্তারা বলেন, আমরা শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন চাই না, চাই সিস্টেমের পরিবর্তন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করে হলেও জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তা না হলে এটি হবে আন্দোলনের শহীদদের সঙ্গে চরম গাদ্দারি।

     

    তাঁরা আরও বলেন, দেশের মেধাবীরা যেন বিদেশে পাড়ি না জমায় এবং আধিপত্যবাদী রাজনীতির অবসান ঘটে—এটা নিশ্চিত করতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এখন সময়ের দাবি।

     

    জুলাই আন্দোলন’ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়, এটি ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের রক্তঝরা ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একমত পোষণ করেন রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা।

  • দশম হতে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবীতে সাতক্ষীরায় ইউএপিইও পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন

    দশম হতে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবীতে সাতক্ষীরায় ইউএপিইও পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পয়ায়ের উপজেলা ও থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএপিইও) পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের গ্রেড(১০ম হতে ৯ম) উন্নীতকরণের দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা ও থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৯৪ সলে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুযায়ি ১০ গ্রেডে ইন্নীত করা হয়। সে সময়ের অধস্তন প্রধান শিক্ষক পদটি ১৭তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষক পদটি ১৮তম গ্রেডে ছিল। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক পদটি কয়েক দফায় উন্নীত করার ফলে ২০১৪ সালে ১১তম গ্রেড এবং সম্প্রতি উচ্চতর আদালতের রায়ে ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষক পদটি চার দফায় ২০২০ সালে ১৩তম গ্রেডভুক্ত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ইউএপিইও পদটি ১০ম গ্রেডেই অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এমএফ (আইসি) ২/৭৩/৩ নং স্মারক অনুযায়ী নন ক্যাডার ১ম শ্রেণির (৯ম গ্রেড) কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইউএপিইওগণের নিয়োগবিধিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য শর্তাবলী একই। এছাড়া ইউএপিইওগণ তাদের চাকুরীর কর্মপরিধির বাহিরে বিভাগীয় কাজের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের ন্যায় সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বর্তমানে উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমোদিত পদসংখ্যা ২৬০৭ টি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদসংখ্যা ৫১৬ টি। নিয়োগবিধি অনুযায়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদের ৫০ শতাংশ হিসেবে ২৫৮টি পদে প্রতি ১০ জনে ১ জন ইউএপিইও পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। ফলে উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবৎ একই পদে চাকুরী করছেন, এমনকি অধিকাংশ কর্মকর্তা একই পদে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে এবং কর্মস্পৃহা হ্রাস পাচ্ছে। তাদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা হলে পদোন্নতির প্রত্যাশা অনেকাংশে পূরণ হবে এবং কর্ম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে। মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, সহকারী উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসারগণ দীর্ঘদিন যাবৎ এ পদটিকে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবী জানিয়ে আসছে। ইউএপিইও এর পদটি ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হলে সরকারের তেমন আর্থিক সংশ্লিষ্টতা এবং বাড়তি বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না। কারণ অধিকাংশ ইউএপিইওগণ ১০ম গ্রেড হতে উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ইতোমধ্যে ৭ম, ৮ম ও ৯ম গ্রেডে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্ত হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, মাঠ পর্যায়ে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের শৃংখলা/চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্মরত ‘উপজেলা/থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার’ পদে কর্মরত কর্মকর্তাগণের গ্রেড ১০ম হতে ৯ম গ্রেড-এ উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহা: ওবায়দুল্যহিল আসলাম, মো: আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, অসীম কুমার সরকার, বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের সম্পাদক ও কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ,কে এম, মোস্তাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, নয়ন কুমার সরকার, শ্যামনগর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন, প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল, কলারোয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস,এম মফিজুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনীর আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সোহাগ আলম প্রমুখ।

  • পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আপন চাচাত ভাইরা কর্তৃক জোর পূর্বক দখল করে নেওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগি পরিবার। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান, কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের মোঃ আব্দুস সোবহান মোড়লের ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মোঃ আব্দুল খালেক।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কলারোয়া উপজেলার রায়টা মৌজার ১০৩২ খতিয়ানের ৪২০৬ দাগের দশমিক ৪৯০০ একর জমির মধ্যে দশমিক ১২২৫ একর জমি প্রায় ২৬ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলের আছি। এমতাবস্থায় বিগত ২০২২ সালের ৩০ মার্চ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও আলী আহমেদের নেতৃত্বে আমার চাচা মৃত ফজলে মোড়লের দুই ছেলে মোঃ জিয়ারুল (৪০) ও আবু দাউদ (৬০) এবং জিয়ারুলের স্ত্রী পারুল সহ অন্যান্যরা আমার ভাগের অংশের জমিতে জোরপূর্বক বিল্ডিং ও টয়লেট নির্মাণ এবং যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে কলারোয়া থানার এসআই ফরিদ আহমেদ জুয়েল ও এসআই হাসানুজ্জামানের সহযোগিতায় পারুল খাতুনকে বাদী করে দায়ের করা একটি নন জিয়ার মামলায় আমাকে কারাগারে প্রেরণের পর তারা উক্ত নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।
    মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে পরবর্তীতে আমি উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় সহ শেখ ফারুক হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম, আবু দাউদ, পারুল খাতুন, আলমগীর হোসেনসহ ৮ জনের নামে ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর একটি পিটিশন (২২১৭/২৪) মামলা দায়ের করি। পিটিশনটি কলারোয়া থানায় পৌছালে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ রবিউল ইসলামের উপর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে। এসময় তিনি আমার কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা না দেওয়ায় তিনি আসামীদের পক্ষে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এছাড়া উক্ত জমির উপর জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগও করা হয়। যেটা বর্তমানে ১৪৫ ধারায় মামলা চলমান। যার তদন্তের দায়িত্ব কলারোয়া থানা ও কলারোয়া এসিল্যান্ড দপ্তরে রয়েছে। তিনি এসআই শেখ রবিউল ইসলাহোর বদলীসহ তার দষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, চাচাত ভাইরা আমার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পতিত আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা গায়ের জোরে তার উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে আমাদেরকে পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছে। একই সাথে পুলিশ টাকার বিনিময় তাদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে ন্যায় বিচার পেতে অসহযোগিতা করেছে। এঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে।
    তিনি উক্ত দখলের সাথে জড়িত আওয়ামী দোসর ও পুলিশের কতিপয় অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি দ্রুত যাতে তার পৈত্রিক সম্পতির দখল ফিরে পান তার প্রজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্যভাষায় গালাগাল করলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্যভাষায় গালাগাল করলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    ‘ডিসি মোস্তাক আহমেদকে চেনেন? ‘হু আর ইউ’ ইবলিস কোথাকার’- এমন অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে উচ্চস্বরে গালাগাল করলেন, সাতক্ষীরার সৎ ও খ্যাতিমান হিসেবে পরিচিত এবং সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জলকে। বুধবার সন্ধ্যার পর তার অফিসে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ক্ষ্যান্ত হননি প্রায় মারতে উদ্যত হন, এবং তুই তোগারী শুরু করেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    এঘটনার বিচার দাবী করে বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল জানান, জেলা প্রশাসকের আচমকা এধরনের আচরণে তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এক পর্যায়ে আমাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল ডিসির রুম থেকে বাইরে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই তিনি বিষয়টি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের জানালে তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। একইসাথে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদসবৃন্দ। তারা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিকার দাবী করেন।
    ঘটনা প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান আরো উজ্জল জানান, তিনি সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিশনের ২৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী এই কমিটির জেলা প্রশাসক ১৯৪৮ সাল থেকে পদাধিকার বলে সভাপতি। বর্তমান কমিটি চলতি বছরের ২২ মে এক সভার মাধ্যমে সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির অত্র কমিটির অনুমোদন করেন। এই কমিটির ঘাড়ে মহামান্য হাইকোর্টসহ সাতক্ষীরার আদালতে ৬টি মামলা চলমান রয়েছে। যারা এসব মামলা করেছেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কমিটির সাথে কোনো ধরনের সভা না করে, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাথেও কোনো পরামর্শ না করে গোপনে গত ৬ নভেম্বর চলমান কমিটি ভেঙে দিয়ে একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। বিষয়টি জানবার পর মিশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ২১ জন সদস্য বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে একটি আবেদন করেন। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে মিশনকে রক্ষার স্বার্থে তিনি (মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল) মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোটের একটি বেঞ্চ শুনানী শেষে গত ১৫ ডিসেম্বর উক্ত এডহক কমিটি স্ট্রে করে রুল জারী করেন। এমন প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল বুধবার ১০টায় ৩৯ মিনিটে ফোন দিয়ে আমাকে বলেন, সেকেন্ড হাফে জেলা প্রশাসক আপনাকে দেখা করতে বলেছেন। সেই মোতাবেক বেলা ৪ টার পরপরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান তিনি। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল জেলা প্রশাসকের রুমে বসতে বলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ রুমে প্রবেশ করতেই অকথ্য ভাষায় উচ্চস্বরে গালমন্দ শুরু করেন এবং বলেন মিশনের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে কাগজপত্র বুঝিয়ে দেননি কেন? এসব বলতে বলতে বলেন ‘ডিসি মোস্তাক আহমেদকে চেনেন? ‘হু আর ইউ’ ইবলিস কোথাকার’- তিনি রুমে অবস্থানরত অন্যদের দেখিয়ে বলেন, সাতক্ষীরায় কিছু ইবলিস আছে এ একটা ইবলিস।
    মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল তখন তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন এবং বলেন বিষয়টি আপনি ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন কেন? তাছাড়া এডহক কমিটি মহামান্য হাইকোর্ট স্টে করে দিয়েছেন। তখন তিনি আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এমন অবস্থায় সেখানে অবস্থানরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল আমাকে বাইরে নিয়ে যান এবং চলে যেতে বলেন।
    উল্লেখ্য, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক, পীরে কামেল হজরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠার জন্য শহরের মুনজিতপুরে ১৯৫৪ সালে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদকের নামে ৪২ শতক জমি ক্রয় করেন। গঠনতন্ত্রে মিশনের অধীনে মাদ্রাসা, এতিমখানা কাম-লিল্লাহ বোর্ডিং, হেফজখানা, লাইব্রেরী, দাতব্য চিকিৎসালয়সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেন। মিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সে মোতাবেক মিশনের কমিটির মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালিত হয়ে আসছিল।
    কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে এসবের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র ছত্রছায়ায় রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা তোহিদুর রহমান ডাবলু, আব্দুর রব ওয়ার্ছী, আব্দুল আজিজ ও আবু শোয়েব এবেল মিশনের নীতি আদর্শকে ভুলন্ঠিত করে, মিশনের ভবন নির্মান, মাদ্রাসা, এতিমখানা দখল করে ব্যাক্তিস্বার্থ হাসিল করছে। শুধু তাই না সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে মিশনের রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এতিমখানা কাম লিল্লাহ বোডিং এর ফান্ড থেকে আব্দুর রব ওয়ার্ছী, আব্দুল আজিজের যোগসাজসে মিশনের কমিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারি আবু শোয়েব এবেলের নিকট থেকে ভূয়া জমি ক্রয় করে এতিমখানার ফান্ডে রক্ষিত ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এমনকি আবু শোয়েব এবেল দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ২৪ লাখ টাকা ভাড়া না দিয়ে সাবেক এমপিদের প্রভাবে বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিষয়টি নিয়ে সদর সহকারি কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়ে তদন্তাধিন রয়েছে। এছাড়া সরকারি বিধি-বিধান লংঘন করে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে ৭ টি পদে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য করে প্রায় এক কোটি টাকা আতœসাতসহ বিভিন্ন বিষয়য়ে জেলা প্রশাসক, দুর্নীনি দমন কমিশন, সমাজসেবা কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার প্রতিকার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পরও বিষয়গুলি প্রধান উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। অথচ এসব বিষয় নূন্যতম আমলে না নিয়ে উল্টো ওই চক্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জেলা প্রশাসক আদালতকে উপেক্ষা করে অন্যায়ভাবে সাতক্ষীরা আহছ্ানিয়া মিশনের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। মুলত: ফ্যাসিবাদের সময়ে যারা মিশনকে ব্যক্তিগত সম্পদে রূপান্তরিত করেছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য তিনি অবিবেচনাপ্রসূত এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহামান্য হাইকোট যেখানে রুল জরী করে এডহক কমিটি স্টে করেছেন এরপর মিশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জলকে তার অফিসে ডেকে এধরনের ঐদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা, গালাগাল করা আদালত অবমাননার শামীল বলে মনে করেন মিশনের কর্মকর্তারা।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিশনের জি এম আব্দুল হামিদ, জিএম মাহবুবর রহমান, আব্দুল খলেক প্রমুখ।

  • জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা সাতক্ষীরা ব্রাদার্স মোটরের মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারিকে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা সাতক্ষীরা ব্রাদার্স মোটরের মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারিকে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    মাদক মামলায় কারাগারে থাকা শোরুম মালিককে বাঁচাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ করে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা কর্মচারীর টাকা পরিশোধ না করে উল্টো বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা শহরের মাগুরা বৌ বাজার এলাকার জুম্মান গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন গাজী।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে বিগত কয়েক বছর পূর্বে কাটিয়া “ব্রাদার্স মোটর” নামক রিকন্ডিশন মোটর সাইকেল শোরুমে মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করি। কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠানটির মালিক শেখ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ একটি মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান। তিনি জেল হাজতে থাকাকালিন তার ১ম স্ত্রী বিলকিস খাতুন তাকে ছাড়াতে এবং মামলা মিটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটাছুটি করতে থাকে। তার কাছে টাকা না থাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নেতাদের কাছে গেলেও কোন টাকা জোগাড় করতে পারেনি। পরবর্তীতে শোরুম মালিকের বিপদের কথা মাথায় রেখে আমার মাধ্যমে প্রিয়ংকর মন্ডলের নিকট থেকে ২লক্ষ টাকা, প্রকাশ মন্ডলের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা, গাজী পার্সের নিকট থেকে একটি চেক নিয়ে অন্য ব্যবসায়ী সোহাগের নিকট থেকে ১লক্ষ টাকা, প্রিয়ংকর মন্ডলের নিকট থেকে আমার নাম করে আরো ২লক্ষ টাকা তুলে দেই বিলকিস খাতুনের কাছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ী আমাকে জিম্মাদার হিসেবেই তাকে টাকা ঋণ দিয়েছিল। কথা ছিল স্বামী নাহিদ জেল থেকে বের হলে টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে দিয়েছি বিলকিসের কাছে। এখন সমিতির কিস্তি টানতে হিমশিম খাচ্ছি। কিন্তু নাহিদ জামিনে বের ওই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমাকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
    তিনি আরো বলেন, ওই টাকা চাইতে গেলে নাহিদ বলে যার কাছে টাকা দিয়েছো, তার কাছ থেকেই টাকা নাও। আমি বিলকিস খাতুনের কাছে টাকা চাইতে গেলে তালবাহানা করতে থাকে এবং টাকা না দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদর্শন করে। শোরুমের লোনের জন্য নাহিদ এর গ্রান্টার হিসেবে আমার নামীয় এবং আমার স্ত্রীর নামীয় ফাঁকা চেক এবং স্ট্যাম্প জমা দেওয়া ছিলো। ওই চেক এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করে আমাদের বিপাদে ফেলানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন সামান্য কর্মচারী নিজে ঋণ না করেও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অন্যদিকে শোরুম মালিকের ষড়যন্ত্রের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
    আমি ওই নাহিদ তার স্ত্রী বিলকিস গংয়ের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের
    (রেজি নং খুলনা-৭৬৪) ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং খুলনা-৭৬৪ এর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনাতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
    লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠার পর নিবন্ধিত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত আ’লীগ সরকারের সময় থেকে ভোট বিহীন অবস্থায় গায়ের জোরে সংগঠনটি দখল করে রেখেছিল ফ্যাসিস্টদের দোষররা।। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর সংগঠনের দখলদার বাহিনী পালায়ে যায়। এমতাবস্থায় জেলা শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচানা করে গঠনতন্ত্র মফিক ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করি। গত ৩০ আগষ্ট বিধি মোতাবেক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্রের ৩২/ছ ধারা অনুযায়ী আহবায়ক কমিটি ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আ’লীগের দোষর পরিচালক শ্রম পরিদপ্তরের মাধ্যমে একটি ত্রিমুখী সভায় আমাদের পক্ষে আহবায়ক কমিটিতে ৩জন ও বিরোধী পক্ষের ২জন রাখার সিদ্ধান্ত এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মোঃ আব্দুস সবুর ডিমোনেস্টেটরকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু খুলনা শ্রমিক অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান তার রেজুলেশনে আহবায়ক কমিটিতে আ’লীগের দোষর ৩জনকে রাখেন। তার মধ্যে একজনকে গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ভাবে সদস্য সচির এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে চেয়ারম্যান বদলিয়ে ডেমনেস্টেটর আলমগীর কবিরকে দিয়েছেন। যার ফলে সমস্যা ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে।
    তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর আহবায়ক ৮৫০ জনের নিয়মিত কার্ড দেখতে পান। কিন্তু ভূয়া সদস্য সচিব ও পলাতক আব্দুল আাদের কাদু দুই জন মিলে ষড়যন্ত্র করে আরও ৭০০ মত নতুন ভূয়া কার্ড দিয়ে ১৫৫০ ভোটার সৃষ্টি করে একটা প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনের তপশিল ও প্রকাশ করেছে। এখন আমাদের প্রশ্ন আহবায়কের সহি ছাড়া একটি অবৈধ ভুয়া ভোটার তালিকা তারা কিভাবে গ্রহণ করিলেন? এক্ষেত্রে শুধু মাত্র একপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সবকিছু স্বেচ্ছাচারিতা ভাবে ফ্যাসিষ্ট কায়দায় করা হচ্ছে। যা একটা সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা তাদের উদ্দেশ্য মাত্র। সংগঠনটি পরিচালনার জন্য একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটা আমাদের কামনা। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ও প্রহসনের মাধ্যমে চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা বিদ্যমান।
    এমতাবস্থায় জরুরী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই অবৈধ নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে গত ৩০ আগষ্টের সাধারণ শ্রমিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে। একই সাথে অত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।

  • ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের যুক্তিহীন বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন, আইডিইবি জেলা নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ভর্তির হার ২০৩০ সালে ৩০% ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০-৬০% এ উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূল¯্রােতধারায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ১০০ নম্বরের একটি করে কারিগরি বিষয় বাধ্যতামূলক করে শিক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাধ্যমস্তরের প্রকৌশল শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২৩ টি জেলায় একটি করে বিশ্বমানের পলিটেকনিক এবং মেয়েদের জন্য আরো ৪টি আন্তর্জাতিক মানের পলিটেকনিক স্থাপন করার কাজ শুরু করেছেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার ২টি শুধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে শতাধিক টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করছে। দেশে চালু ৫০টি সরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করা ও দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১২৫০০ শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ শুরু করেছেন। অন্যদিকে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের আরো ৬৫০০ শিক্ষক পদ সৃষ্টিপূর্বক একইভাবে নিয়োগ দেয়া শুরু করেছেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছেন।
    এই কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কাজ করে থাকেন। যেখানে ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ডেস্কে এবং এক্সিকিউশন, সুপারভিশন, অপারেশন, পরিচালক ও মেইনটেন্যান্স কাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে যাচ্ছেন। দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডের ৮৫% কাজ এদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে থাকেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উভয়েই ইঞ্জিনিয়ার, যা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্যতা যৌক্তিকভাবেই রাখেন। সার্বিক বিষয়টি ইতোমধ্যে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির নিকট স্পষ্ট করে দেশপ্রেমিক সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে সরকারের নিকট নি¤েœর দাবি উপস্থাপন করেছেন।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নসহ আইডিইবি’র পক্ষে উপস্থাপিত উপরোল্লিখিত দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে আইডিইবি’র পক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে জেলা নির্বাহী কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। কেন্দ্রীয়ভাবে ইতোমধ্যে ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে আমরা সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কমসূচি সমূহ: ১২-১৮ মে’২৪ পর্যন্ত আইডিইবি জেলা নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ (বাকাছাপ), বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি, পেশাজীবী অন্যান্য সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সংগঠনসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় ও জনগণকে অবহিতকরণ। ১৯-২৩ মে’২৪ পর্যন্ত জেলার সকল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্ব স্ব প্রধান দপ্তরে প্রতিবাদ সভা ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান। ৩০ মে’২৪ জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র শিক্ষক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা এবং সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি প্রকৌ. মো: আব্দুর রশিদ, সহ-সভাপতি প্রকৌ. আবেদুর রহমান, প্রকৌ. কামরুল আকতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌ.শিমুল, কাউন্সিলর প্রকৌ. অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রকৌ. অনিমেষ দেব নাথ, প্রকৌ. ইন্সট্যাক্টর আব্দুল আলিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌ. রবিউল ইসলাম, প্রকৌ. ফারুক আহমেদ।

  • ঈদকে সামনে রেখে পণ্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি

    প্রতি বারের ন্যায় এবারও ঈদের এক মাস আগে থেকেই পণ্যমূল্যের বাজার অস্থিতিশীল। কোরবানি ঈদের আগে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, জিরাসহ অন্যান্য মসলাপাতির দাম এখন উর্ধ্বমুখী। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে কাজ শুরু করলেও বাজারে তার প্রভাব তেমন দেখা যাচ্ছে না। ফলে ভোক্তারা লাগামহীন পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা ও অসহায়। সরকারকে এখনই তৎপর হতে হবে ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিম্নে নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের বাজারের অবস্থা তুলে ধরা হলো।

    ভোজ্যতেল

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদার বিপরীতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ২.০৩ লাখ মে. টন। অর্থাৎ চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ ভোজ্য তেল প্রতি বছর আমদানি করতে হয়। জুলাই ২০২২ হতে মে ২০২৩ পর্যন্ত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে প্রায় ১৯.৩২ লাখ মে. টন। গত বছর সয়াবিন বীজের আমদানি হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ১৪ হাজার মে. টন। ১১ জুন ২০২৩ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্য তেলের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১৮৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৬৭ টাকা। পাম তেলের দাম লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বাণিজ্য সচিব সে সময় আশ^াস দিয়েছিলেন আগামী তিন দিনের মধ্যে ভোক্তারা এই দামে তেল পাবেন বাজারে। কিন্তু নতুন দাম নির্ধারণ হওয়ার এক সপ্তাহ পর ১৭ জুন ২০২৩ তারিখে ঢাকার খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৯ টাকার স্থলে ১৯০-১৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খোলা সয়াবিন এখন ১৬৭ টাকার স্থলে ১৭৫-১৮৫ টাকা ও পাম তেল  ১৩৩ টাকার স্থলে ১৩৫-১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ১৫ জুন ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির জন্য। কিন্তু রিফাইনারি ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রির দর ঠিক করা হয়নি। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে ডিলারদের নিকট হতে ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে। তাই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তাদের ভোজ্যতেল বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তাঁরা জানান। ফলে ভোক্তারা বেশি দামে সয়াবিন তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এ কারণে কতিপয় ব্যবসায়ী ভোক্তাদের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। সম্প্রতি সরকার সয়াবিনের আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য সারাদেশে সরিষা চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

    পেঁয়াজ:

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে চলতি বছরে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয় আর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ মে. টন। দেশে প্রায় ২৮ লাখ মে. টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। যদিও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭.৫০ লাখ মে. টন। সংরক্ষণকালে ও প্রক্রিয়াজাতকালে ৩৫ শতাংশের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়। সে হিসাবে দেখা যায়, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদনের সাথে চাহিদার বড় একটি ঘাটতি রয়েছে। ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারের ক্যাবের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিন মাস আগে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫-৪৫ টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সরকার ০৬ মার্চ তারিখে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ায় পেঁয়াজ এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকায়। ঢাকার শ্যামনগর পাইকারি বাজারে ভারত হতে আমাদিনকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৩-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    চিনি:

    দেশে প্রায় ২০ লাখ মে. টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা আছে। জুলাই ২০২২ হতে মে ২০২৩ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টন চিনি আমদানি হয়েছে অর্থাৎ দেশের চাহিদার তুলনায় সিংহ ভাগ চিনি আমদানি করতে হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ মে ২০২৩ তারিখে এক সভায় খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ক্যাবের বাজারদর সংগ্রহের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় বর্তমানে খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০-১৪০ টাকায় ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ সরকারের নির্ধারিত দামে বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে না। গত বছর খোলা চিনি প্রতি কেজিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ গত ১ বছরে খোলা চিনির মূল্য ৫৭ শতাংশের অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বাজারের প্রতিনিধিগণ জানান, পাইকারি বাজার হতে চিনি তাদের অধিক দামে কিনতে হচ্ছে এবং সরকার খুচরা বাজারের মূল্য নির্ধারণ করেছে আমদানি ও পাইকারি পর্যায়ের মূল্য নির্ধারণ করেনি। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের সরকারের নির্ধারিত দামের অধিক দামে বাজারে চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় গত ১৯ জুন ২০২৩ তারিখে চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফানার্স এসোসিয়েশন চিনির দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ সুগার রিফানার্স এসোসিয়েশন চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে জানিয়েছে যা ২২ জুন ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হবার কথা। ক্যাব চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, ভোক্তা-স্বার্থ বিরোধী ও অন্যায় বলে মনে করে। ক্যাব ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। ক্যাব আশা করে সরকার ভোক্তাদের অবস্থা চিন্তা করে চিনিকল মালিকদের সংগঠনের এই মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত কার্যকর না করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ করবেন।  

    রসুন:

    ঢাকার খুচরা বাজারে বর্তমানে দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন মাস আগেও যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকায়। গত এক বছরের তুলনায় দেশি রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৩ শতাংশেরও অধিক।

    জিরা:

    বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা ৮০০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিন মাস আগে যা ছিল ৫৮০-৬৫০ টাকা। আবার ১ বছর আগে এই সময়ে ছিল প্রতি কেজি গড়ে ৪৮০ টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে ৫৬ শতাংশের অধিক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। 

    গরুর মাংস:

    দেশের বাজারে গরুর মাংস ৮০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ভারতের কলকাতায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ রুপিতে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৪৫ টাকা। ভারতে প্রচুর গরু উৎপাদন করা হয় কিন্তু ধর্মীয় কারণে তাঁরা গরুর মাংস খান না। ফলে ভারতে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হওয়ার কারণে দাম কম। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি বলে এখানে গরুর মাংসের দাম বেশি। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় প্রতি কেজিতে প্রায় ৪৫৫ টাকা হতে ৫০৫ টাকা বেশি। বাংলাদেশে অতিরিক্ত গরুর মাংসের চাহিদার কারণে এতো দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও নিম্ন-বিত্ত লোকেরা এখন গরুর মাংস খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়েছেন। মাঝারি আয়ের সংসারের রান্নাঘরে গরুর মাংস এখন মাঝে মধ্যে হওয়ায় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

    প্রতি বছর কোরবানির গরুর দাম অত্যধিক থাকে। এর কারণ হিসাবে গরুর খামারিরা বলেন, গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গো-খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি হিসাবে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে গরুর উৎপাদন ছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ। এছাড়া কোরবানিকে উপলক্ষ রেখে বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তিগতভাবে অনেক খামারিরা গরু উৎপাদন করে থাকে। আবার দেশীয় গরুর খামার ও চামড়া রক্ষার স্বার্থে সরকার ভারতীয় গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ফলে দেশীয় বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগানের ঘাটতির কারণে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে বলে গরু ব্যবসায়ীরা জানান।   

    সুপারিশসমূহ:

    ১.    পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের বিক্রয়মূল্য দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ২.   নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও প্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে।

    ৩.   নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, পাইকারি মূল্য ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে ও তা বাস্তবায়নের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।  

    ৪.   কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুদকারীদের জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে ও তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

    ৫.   পেঁয়াজ, রসুন, আদার অধিকতর চাষাবাদের জন্য বীজ, সার ও লাগসই আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করতে হবে।

    ৬.   সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে সরিষার অধিকতর চাষাবাদের ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া রাইস ব্র্যান অয়েল এর সুলভ মূল্যে উৎপাদন ও ব্যবহার উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

    ৭.   প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদা পূরণে গরুর মাংস সহজলভ্য করার জন্য খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। 

    ৮.   পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে এবং পণ্য আমদানির পর তা যেন নির্দিষ্ট দামে বাজারে বিক্রি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ৯.   সম্প্রতি চিনির দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত চিনিকল মালিকদের সংগঠন গ্রহণ করেছে তা কার্যকর না করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    ১০. বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহকে যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

    ১১. সড়কে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হয়রানি বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১২.         আমদানিকৃত পচনশীল পণ্য স্থল ও নৌ বন্দর হতে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

  • কুমিরায় সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মন্দির ভাংচুরের কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা: পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরারা তালার কুমিরায় অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মন্দির ভাংচুরের কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই সম্পত্তিতে কখন মন্দির ছিল না। ধর্মীয় ইস্যু সৃষ্টি করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে কুমিরা গ্রামের গৌতম দে গং। গৌতম দের দায়ের করা কল্পিত মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়েছে কুমিরা গ্রামের রেজাউল সরদারসহ তার পরিবার। রেজাউল সরদার মিথ্যা মামলার হাতথেকে রক্ষাপেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের মৃত মো: জামাল উদ্দীন সরদারের ছেলে মো: রেজাউল সরদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন কুমিরা মৌজায় ১০২২ খতিয়ানে ৪১১৭, ৪১২১, ৪১১৯, ৪১৩৭, দাগে ৬.৭০ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে আসছিলাম। উক্ত সম্পত্তিতে কালিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন ট্রাই: ৮১৬/২০১২ নং মামলায় গত ইং ০২/১০/২২ তারিখে আমাদের পক্ষে রায় ডিক্রি হয়। উক্ত আদালত ডেপুটি কমিশনার সাতক্ষীরাকে আগামী ৯০দিনের মধ্যে উক্ত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্তির নির্দেশ দেন। উক্ত সম্পত্তিতে আমাদের পারিবারিক কবরস্থান, পাঞ্জেগানা, বসতবাড়িসহ দোকানপাটও রয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছিল একই এলাকার গৌতম দে গং। কিন্তু আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় ডিক্রি হওয়ার পর থেকে মৃত. সুনিল কুমার দের পুত্র গৌতম কুমার দে এবং সহযোগিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। উক্ত সম্পত্তিতে তাদের কোন শর্ত না থাকার পরও শুধুমাত্র অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে গৌতম কুমার দে গং নানা চক্রান্ত শুরু করে। এর জের ধরে গত ০২/১২/২২ তারিখে গৌতম কুমার দের নেতৃত্বে কার্তিক দে, স্বপন দে, বাবুল দে, সাগর দে, পিং- কার্ত্তিক দে সহ ভাড়াটিয়া ২০০/২৫০ জন ব্যক্তি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে আমাদের বসতবাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে এবং নতুন ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এতে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ আমার দুই ভাই এবং মামাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিন দিয়েছেন।
    মিথ্যা মামলায় আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন তারা। এমনকি আমাদের ফাঁসাতে ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের উপস্থিত হয়ে আমরা তাদের বাড়িঘর এবং মন্দির ভাংচুর করেছি মর্মে সংবাদ সম্মেলন করে। অথচ উল্টো তারাই আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে। আর সেখানে কোন মন্দির ইতোপূর্বেও ছিলোনা। বর্তমানেও নেই বা বসত ঘরও নেই। তাহলে ভাংচুর কিভাবে হল? শুধুমাত্র সম্পত্তি দখল করতে না পেরে মন্দির ভাংচুরের কাল্পনিক মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। আদৌ ওই সম্পত্তি গৌতম দের ভোগদখলে ছিলো না এবং নেই।

  • সাতক্ষীরার আলীপুরে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিকভাবে গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার আলীপুরে ননদের স্বামীর কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিকভাবে এক গৃহবধুকে শ^শুর-শ^াশুড়ি দিয়ে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার
    দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের ভবানীপুর গ্রামের শ্রী দেবেন চন্দ্র দাসের কন্যা ভুক্তভোগী শীলা দাস। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আনুমানিক ৬ বছর পূর্বে আলীপুর গ্রামের নগেন দাসের পুত্র সুমন দাসের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার শ^শুর বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে না পারায় শশুর নগেন এবং শ^াশুড়ী মিনা আমাকে বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘেরের হারির জন্য আমার
    পিতার কাছ থেকে চাপপ্রয়োগ ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে। আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসছে শশুর নগেন দাস। স্বামী সুমন দাস তার বাবা মার সামনে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তারপরও নিরবে সহ্য করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি আমার ননদ আলো দাসের স্বামী সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের গোবিন্দ মাস্টারের পুত্র বেনু গোপাল আমার স্বামী সুমন দাস সারাদিন কাজের জন্য বাইরে থাকার সুযোগে কু প্রস্তাব দিতে থাকে। আমি বেনু গোপালের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন কৌশলে আমার শশুর ও শশুড়ীকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। বেনু গোপালের উস্কানিতে শ^শুর নগেন ও শ^াশুড়ী মিনা আমাকে প্রায়ই মারপিট করতে থাকে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে থাকে। সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে আমার স্বামী সুমন কাজে চলে যাওয়ার পর বেনু গোপাল, আমার শশুর নগেদ ও শ^াশুড়ী মিনা আমার বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। মারপিটের ঘটনা শুনে আমার পিতা-মাতা আমার শশুর বাড়ীতে গেলে তাদেরও মারপিট করে আমাকেসহ তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার পিতা মাতা আমাকে নিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন নির্যাতিতা নারী। ননদের চরিত্রহীন স্বামী বেনু গোপাল, অর্থলোভী শ^শুর ও শ^াশুড়ির কারনে আমার সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সব কিছু জেনেও
    আমার স্বামী নিরব ভূমিকায় রয়েছে। অথচ আমাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের অত্যাচারে আমি বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই চরিত্রহীন বেনু গোপালসহ শ^শুর নগেন দাস ও শ^াশুড়ী মিনা দাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • জমিজমা বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষককে মিথ্যা
    মামলায় জড়িয়ে হয়রানি অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শ্যামনগরে জমিজমা বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষক বড় ভাইকে মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগরের শংকরকাটি গোবিন্দপুরের মৃত সাত্তার গাজীর ছেণে সূর আলি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ৭৯ নং অন্তাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছি। আমার বসত ঘরের ছাদের পানি নামানোকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই আব্দুল হামিদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জেরে গত ১৬ জুন২২ তারিখে আমি একা বাড়িতে থাকার সুযোগে আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমার স্ত্রী সায়রা বেগম আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমার স্ত্রীর ডাকে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার নং- ৫২/২৫৫। উক্ত মামলায় পুলিশ আব্দুল হামিদকে কারাগারে পাঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হামিদের পরামর্শে মেঝ ভাই আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে তার পুত্র মনিরুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন ওরফে বাবু, রফিকুল শিমুল হোসেন, রহমত, আলাউদ্দীন, ইমন হোসেন ও ইমরান হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মোকছেদ গাজী ও সুজনসহ ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী আমার দায়েরকৃত ৫২/২৫৫ নং মামলার স্বাক্ষী শরিফুল ইসলামের বাড়িতে ২৬ জুন২২ তারিখ রাত ৯টায় হামলা চালিয়ে স্বাক্ষী নুর মোহাম্মাদের বাড়িতে নিয়ে তাদের উভয়পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তাদের মারপিটে ২নং স্বাক্ষী গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। আমি দ্রুত ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-২/২৬৬। উক্ত মামলায় পুলিশ ১নং আসামী আব্দুস সোবহানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। ১ম মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১নং আসামী আব্দুল হামিদ ২২ দিন জেল খেটে এবং ২নং মামলার ১নং আসামী আব্দুস সোবহান ৩ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়েই ওই দিন সন্ধ্যা একটি কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে তার স্ত্রীকে বাদী করে আমার দায়ের কৃত ২/২৬৬ নং মামলার আসামীদের স্বাক্ষী বানিয়ে এবং আমাকে সহ স্ত্রী ও পুত্রকে আসামী করে এ একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ১২/২৭৬। অথচ আমার পুত্র সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজের পাশেই একটি মেসে থাকে। ওই মামলায় যে ঘটনাস্থল বা সময় দেখানো হয়েছে সে সময় আমার পুত্র সাতক্ষীরার মেসেই ছিলো। এছাড়া সোবহানেরপুত্র মনিরুল ইসলাম এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুবকদের সাথে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা আমার দায়েরকৃত মামলাদুটি তুলে না নিলে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে। তাদের হুমকিতে আমি পরিবার নিয়ে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি আব্দুল হামিদগংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরিহ মানুষকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরিহ মানুষকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড আব্দুল বারী, আকবর আলী, সোহরাব আলী ও আব্দুল গফ্ফার তরফদারসহ জড়িতদের গ্রেফতার এবং নিরীহ মানুষের এ মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী টেংরাখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর স্ত্রী সাকিরুন নেছা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে গত ৮ জুলাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারী ও বর্তমান ইউপি সদস্য আমার স্বামী আব্দুল হামিদ লাল্টু সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কাদের শেখ ও আমির হোসেন নামের দুই জন নিহত হয়। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বারী বাদী হয়ে গত ৯ জুলাই শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৩ জনকে এজহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো নিহত কাদের শেখ ও আব্দুল আজিজের মধ্যে ফ্যান মেরামতকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের উৎপত্তি। এ ঘটনাকে পুজি করে বারী তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লাঠি, সোটা, ইট, পাটকেল নিয়ে টেংরাখালী আরশাদ আমিনের মোড়ে ওই দিন অবস্থান নেন। আমার স্বামী হামিদ লাল্টুসহ তার লোকজন পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বারী ও তার সমর্থিতরা অতর্কিত হামলা করায় আমার স্বামীসহ তার পক্ষের ৯/১০ গুরুত্বর জখম হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী জখমীদের উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২৫/৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আমার প্রতিবেশি পঙ্গু সুবহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ সময় কাদের শেখ মাথায় সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হন। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পরেই মারা গেছে বলে জানা যায়। মূলতঃ কাদের শেখ ইট ভাটার সরদার এবং বারীর ভাইও ভাটা সরদার এই দুজনের ভিতর ভাটায় লেবার নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এছাড়া কাদের শেখ জমি কিনবে বলে বারীর নিকট তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিলো। এসব খবর নিহত কাদের শেখের মা, স্ত্রী, পুত্রদের দেওয়া যা সাংবাদীকদের কাছে ভিডিও চিত্র ও জবান বন্দী থেকে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ কাদের শেখের পরিবারের লোকজন মামলার বাদী না হয়ে বারী নিজে বাদী হয়ে সকল অপরাধের দায় আব্দুল হামিদ লাল্টু ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা আলী আজগর বুলুর উপরে চাপিয়ে দিয়ে থানায় এজহার দাখিল করেন। অপরদিকে, নিহত আমির হোসেন একজন এজমা রোগী ছিলেন। মারামারিতে তার পায়ে ইট লাগলে তিনি ভয়ে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকার কারনে তার শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। এ সময় বারী ও তার লোকজন আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে তাকে একটি এজমার ইনজেকশন দিতে বলেন। এ সময় তাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুটিই মৃত্যুই রহস্য জনক। আর এ ঘটনার পর পরই বারী, রমজাননগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ও সোহরাব হোসেন গোপন সভায় মিলিত হন। উক্ত সভায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আহতদের মধ্য থেকে ২/৩ জনকে মেরে ফেলার ছক তৈরী করা হয়। সে মোতাবেক এই দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এই ৪ জন একসাথে বার বার মিটিং করেছে যা এলাকার বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে বারী মামলা করেছেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। আর এ মামলার পর সিংহ ভাগ নিরীহ পুরুষ বাড়ী ছাড়া হওয়ার সুবাদে মহিলা ও শিশুদের উপর চরম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় এ দুটি হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটনের জোর দাবী জানান। একই সাথে তিনি এই হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড বারীসহ সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য গফ্ফার তরফদার ও সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জোর দাবী জানান এবং বারীর দায়েরকৃত হয়রানী মামলা থেকে নিরাপরাধ মানুষদের মুক্তির জোর দাবী জানান।

  • সাতক্ষীরায় রাতের আঁধারে ভাংচুর করে বিধবারবসত ঘর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় রাতের আঁধারে ভাংচুর করে বিধবার
    বসত ঘর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় রাতের আধাঁরে বিধবার বসতবাড়ি ভাংচুর করে দখল নেওয়ার প্রতিবাদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শহরের রসুলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী আছিয়া বেগম। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর রেখে যাওয়া রসুলপুর মৌজায় সি এস ৫৯২, জে এল ৯২ এর ৫১০ খতিয়ানে ৯০ দাগে ৪৭ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৩৫ শতক ভিটাবাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি আমার প্রতিবেশী একই এলাকার মৃত. মাহফুজুর রহমানের পুত্র আমিনুর রহমান আমার বসতবাড়ী অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। ১৯৮০ সালে ওই আমিনুর উক্ত দাগের ৪৭ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১২ শতক ক্রয় করেন। বর্তমানে আমিনুর রহমান উক্ত দাগের পুরো ৪৭ শতক সম্পত্তি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এর জের ধরে গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আমি মেয়ের বাড়িতে ছিলাম। ওই রাতে আমিনুর রহমান, তার পুত্র তুহিন হোসেন ও তাসকিন হোসেন, স্ত্রী আমেনা বেগমসহ কতিপয় ভাড়াটিয়া রাতের আধারে আমার ঘরের তালা ভাংচুর করে প্রবেশ করে খাট, গ্যাসের চুলাসহ সাংসারিক আসবাবপত্র প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। পরে আমার ঘরের দেওয়াল ভেঙে তাদের ঘরের সাথে যুক্ত করে দখল করে নেয়। খবর পেয়ে সেখানে গেলে তারা আমাকে তাড়িয়ে দেয় এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। আমি অসহায় বিধবা হওয়ায় পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটাবাড়ি টুকু ছাড়া আমার আর কিছুই নেই। আমার মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁইটুকু ওই আমিনুর গং অবৈধভাবে দখল করায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। স্বামীর ভিটাবাড়ী দখলমুক্ত এবং নিজের বাড়িতে যাতে ফিরতে পারি সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

  • সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর নিরিহ মানুষদের অত্যাচার ও নির্যাতন করার  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর নিরিহ মানুষদের অত্যাচার ও নির্যাতন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সিজম্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শিবপুর ইউয়িনের জগন্নাথপুর গ্রামের নাশকতা মামলার আসামীর পুত্র কর্তৃক প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রত্যায়ন দেখিয়ে সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর এলাকার নিরিহ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এসময় গ্রাম বাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নজরুল ইসলাম।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের পরিবারের সদস্য। অথচ অত্র এলাকার শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়া তার দুই ভাই আরাবুল ইসলাম ও জুলফিকার আলী ইউনিয়ন যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন। তার আপন চাচাতো ভাই জুয়ের হোসেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের মামলাও রয়েছে। শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে জ¦ালাও পোড়াও এর সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। যার মামলা নং- ৫০৪/১৫। উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি শহীদুল ইসলামের বড়পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগ তথ্য গোপন করে নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে একটি প্রত্যায়নপত্র ম্যানেজ করেন। ওই প্রত্যয়নপত্র দেখিয়ে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এরপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শহীদুল ইসলাম ও তার পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগসহ তাদের পরিবার। সোহাগের বর্তমান কর্মস্থল খুলনাতে হওয়ায় প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে নিজের পরিবারের সদস্য এবং জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। অন্যয়ভাবে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষদের অত্যাচার করেন। তুচ্ছ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে মারপিটসহ নানান ভাবে হয়রানি করেন। এমনকি অত্র এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অজয় কুমার সরকার ও মহাদেব চন্দ্র বালাকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তার সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছে তুচ্ছ ঘটনায় অজয় ও মহাদেবের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বর্তমানে অজয় কুমার ও মহাদেব চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। গ্রামবাসীর ব্যবহৃত অন্যের পুকুর তার পরিবার কর্তৃক জবর দখল করে পরিবেশ দূষণ ও গবাদী পশুর মলমুত্র ফেলে নষ্ট করছেন। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল আযহার নামাজ শেষে আজহারুল ইসলাম সোহাগের উপস্থিতিতে তুচ্ছ ঘটনায় অসহায় মুসুল্লীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে তার চাচা আরাবুল ইসলাম, আয়ার আলী, ভাই মাহবুবুল ইসলামসহ অনেকেই। বর্তমান তার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে গ্রামবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তার চাচা জুলফিকার আলী ভোটে পরাজিত হওয়ায় তারা এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এই ক্ষোভের জেরে সোহাগ সহকারী জজ পদে চাকুরি পাওয়ার সাথে সাথে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। তার বশ্যতা শিকার না করায় জলিল নামের এক ব্যক্তিকে হয়রানি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসময় তারা ওই জামায়াত পরিবারের আজহারুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান, অজয় কুমার সরকার, আব্দুল আলিম, মোহাম্মদ সায়েম, মাসুম বিল্লাহ, কামরুজ্জামান, শরিফুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একই দাবী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারক লিপি পেশ করেন। এর আগে তারা সাতক্ষীরা প্রেসকøাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করেন।

  • সংবাদ সম্মেলন : আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুটি দোকানঘরে থাকা ৫০লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে দোকান দখল

    সংবাদ সম্মেলন : আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুটি দোকানঘরে থাকা ৫০লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে দোকান দখল

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আধারে দুটি দোকানঘরে থাকা ৫০লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে দোকান দখলের প্রতিবাদে ও দখলীয় দোকান ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শহরের কুখরালী এলাকার মৃত আজহারুল হকের পুত্র ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আনুমানিক ২০ বছর পূর্বে সাতক্ষীরা বড় বাজার মসজিদের সামনে সরকারি পেরিফেরি জায়গা (১৮ফুট দৈর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থ) মসজিদ কমিটির কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করাকালিন সময়ে ২০১৬ সালের কমিটি রূপায়ন স্টোরের সত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানের মধ্যস্থতায় প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে ডিড করে দেওয়ার শর্তে আমাকে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেয়। এরপর ২০১৮ সালে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে রমজান আলী খোকন, আনোয়ার হোসেনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা আলোচনা করে আমার কাছ থেকে নগদ ৩লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন এবং দুটি ৫০ হাজার টাকার ইসলামী ব্যাংকের চেকে মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে এবং দুটি দোকানে মাসিক ৪ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হই। যা মসজিদ কমিটির ২০১৮ সালের রেজুলেশনে লিপিবদ্ধ আছে। টাকা গ্রহনের পর থেকে বার বার কমিটিকে আমার ডিড করে দেওয়ার জন্য বলা হলেও না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে এবং আমাকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় আবেদন করি। আদালত আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানাকে নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে গত ১৭ জুন ২০২২ তারিখে আমার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা ৫০লক্ষাধিক টাকার মালামাল মসজিদ কমিটির নির্দেশে ইটাগাছা গ্রামের মুকুল হোসেন, পলাশপোল এলাকার হাফিজুর রহমান, কাটিয়ার রমজান আলী খোকন, আনোয়ার হোসেন, প্রাণসায়ের এলাকার তাওহীদ, খালিদ, তারিক ও তুহিনসহ কতিপয় ব্যক্তি আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাতের আধারে আমার দুটি দোকানের তালা ভেঙে দোকানে থাকা প্রায় ৫০লক্ষাধিক টাকার মালমাল ও নগদ টাকা ১লক্ষ ৪২ হাজার ১২০ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার বর্তমান এরশাদ শিকদার সুলতানপুর মুদি বাজার সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মুকুল ওরফে চিনি মুকুল। ২০০০ সালে সে লোকের দোকানের সামান্য বেতনে মাইনে খাটত। তার মা লোকের বাড়ি ঝি এর কাজ করতো এখন সে বর্তমান কোটি কোটি টাকার মালিক। এমন কোন কাজ নাই যে সে করেনা। মুকুলের নেতৃত্বে বাজার কমিটির লোকজন ইনকামট্যাক্স, বিএসটিআইসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের নামে দোকানদারদের কাছ থেকে করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছে। বজারের আমিরুল ও ছাত্তারের দোকান রাতে আধারে লুটপাট করে বের করে দিয়ে পলাশের কাছ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঠিক আমাকেও হুমকি দিয়ে বলে তোরও ওই অবস্থা করবো। ব্যবসা করতে গেলে এক লক্ষ টাকা উৎকোচ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আমার ৬টি সন্তান রয়েছে। ওই দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু মসজিদ কমিটি আমাকে ঠকিয়ে ৪লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। আবার রাতের আধারে আমার ৫০লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়েছে। এতে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ওই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানদুটিই আমার শেষ সম্বল। কৌশলে সে দুটি লুটপাট এবং দখল করে নেওয়ায় আমি পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পিছনে বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মুকুল ও হাফিজ জড়িত। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ট্যাকিং করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তবে, ব্যাপারে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দিলেও সেটি রেকর্ড করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ফিরে এতে এবং মালমাল উদ্ধার করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##

  • মাহমুদপুরে রাইচ মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচাপানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

    মাহমুদপুরে রাইচ মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা
    পানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার মাহমুদপুরে জনবসতিপূর্ণএলাকায় সততা রাইচ মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মাহমুদপুর গ্রামবাসীর পক্ষে আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র আবু রায়হান। আমরা মাহমুদপুর এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। সম্প্রতি মাহমুদপুর মাস্টার এলাকার মৃত. মোকলেছুর হাজীর পুত্র নূরনবী সততা রাইচ মিল নামে একটি রাইচ মিল প্রতিষ্ঠা করে। মিলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানিতে এলাকা দূষিত হয়ে পড়তে থাকে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুর নবী তালবাহানা করতে থাকে। অথচ মিলের ছাই ও তুষের গুড়া উড়ে মাহমুদপুর গ্রামসহ ভোমরা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে পড়ে। বিশেষ পার্শ্ববতী বাসিন্দাদের বাড়িঘরে ভরে যাচ্ছে। এতে করে পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের পরিবারের শিশু, বৃদ্ধাসহ সকল বয়সী মানুষে শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে অত্র এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
    তিনি আরো বলেন ছাই ও তুষের গুড়া উড়ে রাস্তার আসার কারনে রাস্তায় চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে। ফলে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মিলটির ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানির গন্ধে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। অসুস্থ্যতার হার বেড়ে যাচ্ছে। এনিয়ে আমার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিপ্তরেও অভিযোগ দায়ের করেছি। ছাই চোখে পড়ে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নূরনবী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনা নীতিমালা না মেনে জনবসতীপূর্ণ এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ওই মিলটির ছাই ও তুষ উড়ে পড়া বন্ধপূর্বক এলাকার পরিবেশ দুষণ মুক্ত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মো: আনারুল ইসলাম, মো: মমিনুর ইসলাম ও মো: আবু হাসান।

  • গাভার সোনার বাংলা পল্লীতে হামলার প্রতিবাদে ভূমিহীন গণজমায়েত

    গাভার সোনার বাংলা পল্লীতে হামলার প্রতিবাদে ভূমিহীন গণজমায়েত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গাভার সোনার বাংলা পল্লীতে হামলার প্রতিবাদে এক ভূমিহীন গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) সকাল ১১ টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। ওই গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার। গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন, মাষ্টার সুমন, ফারুক হোসেন সোহাগ, মিউজিক একাডেমীর সভাপতি অমিত হালদার, আরিফুল ইসলাম প্রমূখ।

    বক্তারা বলেন, কতিপয় বহিরাগত ব্যক্তি খাদ্য সামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে গাভার সোনার বাংলা পল্লীতে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। সোমবার (১৩ জুন) রাতে শরিফুল ইসলাম বাহিনীর সদস্যরা ওই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন বক্তারা।

  • হাইব্রীড আ’লীগ নেতা রফিকুলের ইন্ধনে মামা কর্তৃক ভাগ্নের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    হাইব্রীড আ’লীগ নেতা রফিকুলের ইন্ধনে মামা কর্তৃক ভাগ্নের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় হাইব্রীড আ’লীগ নেতা রফিকুলের ইন্ধনে মামা রতন বৈদ্য কর্তৃক ভাগ্নের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা শহরের পারকুখরালী গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের পুত্র পরিতোষ বিশ্বাস। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার বসবাসের কোন জমি না থাকায় একই গ্রামের মৃত হামিজউদ্দীনের পুত্র মো: আবু সাঈদের রামদেবপুর মৌজায় জে এল নং ৯৬, ২৩৭২ নং খতিয়ানে ৪২৩৮ দাগে রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে বসবাস করতাম। আমার অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে আবু সাঈদ আমার কাছে ২ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করেন। আমার ক্রয়কৃত ২শতক সম্পত্তির সামনে কিছুটা খাস সম্পত্তি রয়েছে। আবু সাঈদ সম্পত্তি আমাকে লিখে দেওয়ার পর একই এলাকার গুটি খালেকের পুত্র রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাকে কেন লিখে দেওয়া হলো তা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার আপন মামা রতন বৈদ্যেকে অবৈধ লোভ ও লাভের আশ্বাস দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে একের পর এক মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং আমার ওই ২শতক সম্পত্তির সামনে খাস সম্পত্তিটুকু দখল নেওয়ার পায়তারা করতে থাকে। এনিয়ে আবু সাঈদ, তার ভাই আবু সালেক এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান আমাকে সহযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধেও পত্রপত্রিকায় একের পর এক মিথ্যা হয়রানির উদ্দেশ্যে মূলক অপপ্রচার করে। এমনকি জনৈক ফাহিমা খাতুন ফুটায়াকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। ওই মামলার স্বাক্ষী রফিক ও রতন বৈদ্য। অথচ ফাহিমা খাতুনের সাথে আবু সাঈদের স্ত্রীর বিরোধ হয়েছিল। সাঈদের সাথে কোন কথায় হয়নি শুধু মাত্র তাকে হয়রানি করতে আবু সাঈদের আপন বড় ভাই আবু জাফর সরদার, রফিকুল এবং রতন বৈদ্যের ইন্ধনেই ওই মিথ্যা ধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবু সাঈদের সাথে তার বড় ভাই আবু জাফরের বিরোধ থাকায় ফাহিমা খাতুন ফুটুয়ার মামলার সকল খরচ আবু জাফরই বহন করছেন। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে রফিকুলের নেতৃত্বে মামা রতন বৈদ্যসহ তাদের সহযোগিরা আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শণ করে বলে “এখানে তুই ঘর নির্মান করতে আসলে আগুন জ্বালিয়ে দেবো, মেরে ভারতে তাড়িয়ে দেবো।”এনিয়ে আমাকে সহযোগিতা করতে আসায় মিথ্যা মামলায় ফেঁসেছেন আবু সাঈদ ও তার ভাই আবু ছালেক। এতে পিছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছেন তাদের বড় ভাই আবু জাফর। উল্লেখিত রফিকুল ইসলাম বিগত সময়ে জামায়াতের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে ভোলপাল্টে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আদালতের ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে সেখানে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্ঠা করে। আমি ওই সাবেক শিবির নেতা রফিকুল, রতন বৈদ্যসহ সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।