Category: সংবাদপত্র

  • সাতক্ষীরা: সংবাদপত্রের উন্মেষ ও সাংবাদিকতা

    সাতক্ষীরা: সংবাদপত্রের উন্মেষ ও সাংবাদিকতা

    দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের একটি সমৃদ্ধশালী জেলা সাতক্ষীরা। এই সাতক্ষীরা ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্যতম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। (পূর্বে ১৮৫২ সালে প্রথমে সাতক্ষীরাকে নদীয়া জেলার সাথে, ১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে, ১৮৬৩ সালে চব্বিশ পরগনার সাথে অধীনস্থ আর ১৮৮২ সালে খুলনার সাথে সংযুক্ত হয়।) পরে এখানে অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ’৯০ দশকে যোগ্য ও শিক্ষিত সাংবাদিক তৈরির সৃজনশীল উদ্যোগ, পাশাপাশি জেলা থেকে সংবাদপত্র প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখনই ’৬০ দশকের প্রখ্যাত সমাজসেবক তৎকালীন অবজারভারের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল মোতালেব সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক কাফেলা’ ১৯৯২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক কাফেলা’ পত্রিকায় রুপান্তরিত হয়, এ পেশায় কর্মরতদের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে পেশাগত সাংবাদিক তৈরির পথ সুগম করে। এতোদাঞ্চলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার বিকাশ লাভ করে। বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতীয়বাদী আন্দোলনে দৈনিক কাফেলার ভূমিকা অন্যান্য। এবং নানা পথপরিক্রমায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে সময়ের চাহিদা পুরণে পত্রিকাটি মহীরুহ বটবৃক্ষে পরিণত হয়। হাল আমলের নতুন উদ্ভাবন কম্পিউটার প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট সাংবাদিকতা পত্রিকাটির ভিন্নমাত্রা প্রকাশ করে। তৎপরে জেলা থেকে বিভিন্ন নামে সংবাদপত্র প্রকাশ আমাদের চোখে পড়ে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন জাসদ নেতা আবু কাজী সম্পাদিত সাপ্তাহিক সহযাত্রী (প্রকাশনা বন্ধ), ১৯৯৪ সালের ২৩ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা জাসদের সাধরণ সম্পাদক স. ম আলাউদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক পত্রদূত ও ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সিপিবি’র জেলা সভাপতি আনিসুর রহিম সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরা চিত্র (প্রকাশনা বন্ধ) পত্রিকা প্রকাশিত হয়। শুধুমাত্র খবর জানার জন্য সীমাবদ্ধ থাকেনি এর ব্যবহার, এই পত্রিকার সংবাদপত্রগুলো হয়ে উঠেছিল মেধা-মনন বিকাশের সিঁড়ি এবং জনগণের অধিকার আদায়ের মুখপাত্র।

    বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ অর্থাৎ ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর আব্দুল হামিদ সম্পাদিত দৈনিক দৃষ্টিপাত নামে পত্রিকা বাজারে আসার আগে প্রচারের ভিন্ন কৈৗশল বেছে নেয়। এমনকি কর্মীরা প্রায় শহর-গ্রামের মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। প্রকাশের শুরু থেকেই ঝকঝকে ছাপা ও বর্ণাট্য ছবি পাঠক মহলে সমাদৃত। পরবর্তীতে আব্দুল হামিদ এর তদস্থলে এই পত্রিকার প্রকাশক জিএম নুর ইসলাম সম্পাদকের দায়িত্ব পালনরত। এছাড়াও গণমানুষের মুখপত্র হিসেবে জম্ম নেওয়া দৈনিক দৃষ্টিপাতের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বারবার প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে, মহলে বিশেষের রক্তচক্ষুর হিংসাতœক ছোবল পাঠক প্রিয় দৈনিক দৃষ্টিপাতকে ছোবল মারতে চেয়েছে। কর্কটময় বন্ধুর পথ মুহুর মূহুর প্রিয় প্রকাশনাকে গতিরোধ করার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু না দৈনিক দৃষ্টিপাতকে কেবল পাঠকরাই জীবন্ত রেখেছে। দৃষ্টিপাতকে পথহারা গতিহীন, অপরিনামদর্শী, আদর্শচ্যুতি বা মহলের বিশেষের কাছে যেমন আত্মসমর্পন করতে দেইনি অনুরুপ আদর্শচ্যুতি ঘটেনি। প্রিয় পাঠক দৃষ্টিপাতকে বরাবরই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার দুর্বার দুরন্ত ইচ্ছাশক্তিকে লালন করা হাজার হাজার পাঠকের সিঁড়ি। ২০০২ সালে সাখাওয়াত হোসেন সম্পাদিত সাপ্তাহিক সাতক্ষীরা ডাইজেস্ট (প্রকাশনা বন্ধ) পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে পত্রিকাটি সম্পাদনা করছেন ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন ছাত্র আবু নাসের মো. আবু সাঈদ। তৎকালীন জাপা নেতা মহাসীন হোসেন বাবলু সম্পাদিত সাপ্তাহিক আজকের সাতক্ষীরা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন পত্রিকাটি দৈনিকে রুপান্তরিত হয়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদার মালিকানায় দৈনিক আলোর পরশ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকাটির প্রকাশনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই পত্রিকাটি জামায়াত ইসলামীর জেলার মুখপাত্র হিসেবেও সুপরিচিত। তদপরে ২০০৯ সালে আব্দুল খালেক সম্পাদিত সাপ্তাহিক মুক্তসাধীন পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপূর্বে কালিগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তমিজ উদ্দীন সম্পাদিত সাপ্তাহিক মুক্ত আলাপ প্রকাশিত হয়।

    বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে নতুনত্ব, আধুনিকতা ও যুগোপযোগী ধারা জেলা সংবাদপত্রের পরিবর্তন ঘটেছে ব্যাপকভাবে। এমনকি পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পত্রিকাগুলো ছিল কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের মুখপাত্র। তবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বেঁচে ছিলেন না, পত্রিকা ছিলো না। সেই সময়ে মানুষের নির্যাতনের কথা ভেবে জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করার মনস্থির করলেন। এবং ২০১২ সালের ১৭ জুন তার সম্পাদিত দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকা প্রকাশের পর থেকে নির্যাতিত ভুক্তভোগী মানুষের মুখপত্র হিসেবে সুপরিচিত লাভ করে। ২০১৫ সালে হাবিবুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকা প্রকাশ হয়। উক্ত পত্রিকাটি দুর্নীতি ও অনিয়মের মুখপাত্র হিসেবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য। এছাড়াও ২০১৫ সালে ‘মানবতার পক্ষে, গণমানুষের দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে জেলা জাসদের সহ-সভাপতি আশেক-ই-এলাহীর সম্পাদনায় দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি সব সময় প্রতিনিধিদের গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করেছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে পত্রিকাটি অনিয়মিত প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা ও সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের প্রাক্তন জিএস মকসুমুল হাকিম সম্পাদিত সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ভাসানী অনুসারী পরিষদের জেলা আহবায়ক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

    জেলায় নতুন নতুন পত্রিকার উদ্ভব ঘটেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদেও চাহিদা বেড়েছে। ঠিক এমনই একটি চিন্তধারা থেকে ২০১৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারী এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে ৪৫তম পরীক্ষামূলক সংস্করণ শেষে ৩০ জুলাই পাঠকের হাতে পৈাঁছেছে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা একেএম আনিসুর রহমান সম্পাদিত ‘দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জিএম মোশারফ হোসেন সম্পাদিত হৃদয় বার্তা পত্রিকা সরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়, তবে ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। ২০২২ সালে ৫ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ছাত্রমৈত্রী নেতা তারেকুজ্জামান খান সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। একই বছরে যুক্তরাজ্যের জর্জিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির মালিকানায় দৈনিক সাতঘরিয়া নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে বর্তমানে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালের ০১ জানুয়ারি মোঃ শাহ আলম সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২০২৪ সালে যুবলীগ নেতা রিমু সম্পাদিত সাপ্তাহিক বর্তমান সাতক্ষীরা, সাধনা কাশ্যপী সম্পাদিত দৈনিক প্রথম লহরী ও কালিগঞ্জের মো. কবির নেওয়াজ সম্পাদিত সশঢ়ৎড়ঃরফরহ.পড়স নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সরকারি লাইন্সেসপ্রাপ্ত। এসব দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে অনেক সাংবাদিক কাজ করছেন। তবে জেলার বহু সন্তান স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতায় বিভাগোত্তর যুগে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ এবং ১৯৪৭ থেকে স্বাধীনতার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তনাধ্যে ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, ময়েজউদ্দিন হামিদী, আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, সিকান্দর আবু জাফর, খন্দকার আবু তালেব, সুনীল ব্যার্নাজি অন্যতম।

    সাংবাদিকতার পেশাগত দক্ষতা ও মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জেলায় অসংখ্য দিকপাল। যাঁদের অনন্য অবদানের কথা মানুষ আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। যারা তাদের কর্মযজ্ঞের দ্বারা নিজে আলোকিত হয়েছেন, গণমাধ্যমকেও করেছেন সমৃদ্ধ। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে জেলার সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন না। কেউ আইনজীবী, কেউ শিক্ষক আবার কেউ বা অন্য কোনো পেশার সাথে খন্ডকালীন সাংবাদিকতা করেছেন। তারা খন্ডকালীন সময়ে যা করেছে তা আজো তরুণদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। শেখ গহর আলী, অধ্যাপক তবিবুর রহমান, অ্যাড. এম এম হাসান আওরঙ্গি, অ্যাড. নুরুল ইসলাম, অ্যাড. মুনসুর আহমেদ, শেখ আব্দুস সোবহান, কুদরত-ই-খোদা, সরদার আনিসুর রহমান, গোলাম রহমান, অ্যাড. অরুণ ব্যানার্জি, আমজাদ হোসেন, শেখ আব্দুস সাত্তার, নাজমুল আলম মল্লিক, সৈয়দ রিয়াজ, সুভাষ চৌধুরী, মোহাম্মদ তোহা খান, আনিস সিদ্দিকী, আল-কামাল আব্দুল ওহাব, এসএম হাফিজুর রহমান সেই তালিকারই অংশ। সম্পাদকের তালিকায় রয়েছেন তোয়াব খান, আব্দুল মোতালেব, মুফতি আব্দুর রহিম (কচি), অধ্যক্ষ তমিজ উদ্দিন, মহাসীন হোসেন বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল খালেক, আলী আহমেদ, আব্দুল মাজেদ, হাসান আব্দুল খালেক, একেএম আনিসুর রহমান। প্রয়াত সাংবাদিকের তালিকায় মোঃ রেজাউল করিম (ধূলিহর), আহসান (সুলতানপুর), আনোয়ারুল ইসলাম (মাটিয়াডাংগা)। খন্ডকালীন এসব সাংবাদিক ও সম্পাদকরা শুধু সাংবাদিকতাই করেননি, তারা কেউ রাজনীতি করেছেন, আবার কেউ বা সমাজসেবা, সামাজিক বা নাগরিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। কেউ পাল্টাতে চেয়েছিলেন এই সমাজটাকে। আবার কেউ বা স্থানীয় সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের তালিকায় আমিনা বেগম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের তালিকায় লুৎফুন্নেছা বেগম, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মাসুমা ইয়াসমিন, হাফিজুর রহমান মাসুম, শেখ তৌহিদুর রহমান, আবুল হোসেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে সম্পাদক না হয়েও সম্পাদকের তালিকায় জিএম নুর ইসলাম, আবু নাসের মো. আবু সাঈদ, ডাঃ এটিএম রফিক উজ্জ্বল, মোঃ আবুল কালাম, লুৎফুন্নেছা বেগম, আমেনা বেগম।

    সাংবাদিকতার প্রথম আনুগত্য নাগরিকজনের প্রতি। সাংবাদিকতার সার কথা হচ্ছে সুশৃঙ্খল যাছাই। যেমন যৌনতা, সন্ত্রাস, সহিংসতা ও বীভৎসতার উৎকট বা নগ্ন প্রকাশ নয়, মৃতের প্রতি সম্মান, লাশের ছবি না ছাপা, খারাপ ভাষা পরিহার, নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখা, ঘটনা বলবেন না-দেখাবেন, এটাই প্রকৃত সাংবাদিকতা। অন্যান্য পেশার মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও কতক গুণ বা যোগ্যতা থাকা দরকার। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রথম বিভাগের অনার্স পাস করেও অনেকে পরিপূর্ণ সাংবাদিক হতে পারেন না। আবার অনেকে সাংবাদিকতার ডিগ্রি না নিয়েও বড় মাপের সাংবাদিক হতে পেরেছেন। সাংবাদিক জন্ম নেয় না, তৈরি হয়। সাংবাদিক হবার জন্য কিছু গুণ থাকতে হয়। সাংবাদিক হতে হলে সংবাদের গন্ধ শোঁকার নাক থাকতে হবে। অবলোকনের চোখ থাকতে হবে। বোঝার জন্য মন থাকতে হবে।

    বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকদের মানুষ সমাদর করে, সম্মান করে। সাংবাদিকদের লেখায় সমাজের লাভের পাশাপাশি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করা মোটেও সমীচীন নয়। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পাঠকরা সাংবাদিকদের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। পাঠকরা সাংবাদিকদের মতো গুছিয়ে লিখতে পারেন না বলেই সংবাদপত্রের দিকে হাত বাড়ায়। অন্যথায় মুখ ঘুরিয়ে নিতেন। একজন সাংবাদিকের সাংবিধানিক অধিকার, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, মানহানি, অশ্লীলতা, জননিরাপত্তা, ধর্মবিশ্বাস-বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। উপরিউক্ত শব্দগুলো অনুধাবন করে জেলার পাশাপাশি দেশের সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আবেদ খান, একেএম শহীদুল্লাহ, সাহেদ আলম, ফা¹ুনি হামিদ, আবু আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, কল্যাণ ব্যানার্জি, আবু সালেক, মিজানুর রহমান, আব্দুল ওয়াজেদ কচি, এম কামরুজ্জামান, মমতাজ আহমেদ বাপী, রামকৃষ্ চক্রবর্তী, আব্দুল বারী, মনিরুল ইসলাম মিনি, রুহুল কুদ্দুস, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, কালিদাস কর্মকার, পলাশ আহসান, তুহিন সানজিদ, নিখিল চন্দ্র ভদ্র, শেখ আব্দুল আলিম, জাহাঙ্গীর আলম, মতিয়ার রহমান মধু, আব্দুল জলিল, গোলাম সরোয়ার, কাজী শওকত হোসেন ময়না, আব্দুস সোবহান, মোজাফ্ফার রহমান, মনিরুল ইসলাম মনি, অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান, অসীম বরণ চক্রবর্তী, এম জিল্লুর রহমান, সেলিম রেজা মুকুল, রঘুনাথ খাঁ, মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাড. দিলীপ কুমার দেব, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, কাজী নাসির উদ্দিন, শহিদুল হক রাজু, বরুণ ব্যানার্জি, শামীম পারভেজ, আবুল কাশেম, মোশারফ হোসেন (আব্বাস), শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, হাফিজুর রহমান মাসুম, আব্দুল গফুর সরদার, ফারুক মাহবুবুর রহমান, এম শাহীন গোলদার, শহিদুল ইসলাম, ফারুক রহমান, জহুরুল কবীর, শেখ মাসুদ হোসেন, জামাল উদ্দিন মামুন, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুস সামাদ, কেএম আনিসুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী সুজন, আবু তালেব মোল্লা, মুহা. জিল্লুর রহমান, কামরুল হাসান, ইব্রাহিম খলিল, ডিএম কামরুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, আমিরুজ্জামান বাবু, শহিদুল ইসলাম, আহসানুর রহমান রাজীব, ইয়ারব হোসেন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, শেখ আমিনুর রশিদ সুজন, মোঃ রবিউল ইসলাম, ম. জামান, এসএম রেজাউল ইসলাম, কৃষ্হ মোহন ব্যানার্জি, আলতাফ হোসেন, শেখ তানজির আহমেদ, এসএম মাহিদার রহমান, আমিনা বিলকিস ময়না, শাকিলা ইসলাম জুঁই, মোঃ ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, মেহেদী আলী সুজয়, আসাদুজ্জামান সরদার, মশিউর রহমান ফিরোজ, এসকে কামরুল হাসান, এসএম আকরামুল ইসলাম, মোঃ হাফিজুর রহমান, নাজমুল হক, মোঃ বেলাল হোসাইন, আব্দুর রহমান, জোবায়ের মোস্তাফিজ, শাহরিয়ার হোসেন, মো: মুনসুর রহমান, খন্দকার আনিসুর রহমান, জাহিদ হোসাইন, গোপাল চন্দ্র, আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজী হাবিব, মুশফিকুর রহমান রিজভী, মোঃ মনিরুজ্জামান তুহিন, হাসান গফুর, মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, আহাদুর রহমান জনি,মাজহারুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুর রহমান পলাশ, শেখ কামরুল ইসলাম, এসএম আবুল কালাম আজাদ, মোতাহার নেওয়াজ (মিনাল), আবুল কালাম আজাদ, বোরহান উদ্দিন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মীর মোস্তাফা আলী, আলী মুক্তাদা হৃদয়, এসএম বিপ্লব হোসেন, নাজমুল শাহাদাৎ জাকির, গাজী ফরহাদ, ফারহাদ হোসেন, হোসেন আলী, মেহেদী হাসান, মোঃ কামাল উদ্দিন সরদার, মোঃ আইয়ুব হোসেন রানা, মীর আবু বক্কর, সাবিনা ইয়াসমিন পলি, মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, মোঃ আঃ মতিন, মোঃ ফয়জুল হক বাবু, শেখ হাবিবুর রহমান হবি, এসএম বাচ্চু, মোঃ মাসুদ আলী, জাহিদ হাসান, মাসুদুজ্জামান সুমন, মোঃ আব্দুল আলিম, তাজমিনুর রহমান টুটুল, রাহাত রাজা, রফিকুল ইসলাম রানা, মোঃ রুবেল হোসেন, রুবেল হোসেন, জাকির হোসেন মিঠু, ফিরোজ হোসেন, মোঃ আক্তারুল ইসলাম, অসীম কুমার বিশ্বাস, মো. নিয়াজ ওয়াহিদ, মো. আলতাফ হোসেন, মো. আশিক সরদার, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. বায়েজীদ হাসান, মিলন কুমার বিশ্বাস, শেখ আনিসুজ্জামান রেজা, মো. মোমিনুর রহমান, আশিকুজ্জামান খান, মো: জাহিদ হোসাইন, এটিএম রেজাউল হক, আজাহারুল ইসলাম সাদী, আহাজউদ্দিন সুমন, মাহিম আনজু মোত্তকি, কামরুজ্জামান, শেখ রিজাউল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. আরাফাত আলী, খান নাজমুল হোসেন, ইছাক আলী, মিজানুর রহমান মো: সেলিম হোসেন, মো: মারুফ আহম্মেদ খান (শামীম), ইব্রাহিম খলিল, মুরশিদ, আজিজুর রহমান, সোহারাফ হোসেন, নাহিদ হাসান লিটু, আজাদ হোসেন টুটুল, মো. আরিফ হোসেন, মো. ইদ্রিস আলী, মো. আবুল কালাম, শামীম আক্তার মিরাণ মুকুল, আল ইমরান, হাসানুর রহমান হাসান, তৌফিকুজ্জামান লিটু, শাহনেওয়াজ মাহমুদ রনি, রমজান আলী, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, কাজী ফকরুল ইসলাম রিপন, জিএম মনিরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, রশিদুল আলম, আবুল হোসেন, আতিয়ার রহমান, হাবিবুল্লাহ বাহার, আমিরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান লিটন, সাইফুল আজম খান মামুন, মুজাহিদ, শেখ ফারুক, রুহুল আমিন, লাল্টু হোসেন, সেলিম হায়দার, আবু রায়হান, শাহাজাহান আলী, রাজু রায়হান, ফাহাদ হোসেন, ইমানুর রহমান, সুজাউল হক, জিএম সোহরাব হোসেন, নুর মোহাম্মদ পাড়, মীর মামুন হাসান, হাসান ইকবাল মামুন, আব্দুল মোমিন, গাজী সুলতান আহমেদ, আশরাফুজ্জামান মুকুল, খায়রুল আলম সবুজ, মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, নুর আহমেদ পাড়, নাজমুল আলম মুন্না, মো: বাবুল আখতার, ইমরান হোসেন মিঠু, মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম, গাজী মোক্তার হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, মো. শাহজাহান আলম, মো. রবিউল ইসলাম, মো. মামুন হোসেন, মো. শিমুল হোসেন বাবু, নজরুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম, নব কুমার দে, শেখ মনিরুজ্জামান, সঞ্জয় কুমার দাশ, জাহাঙ্গীর হোসেন।

    বিভিন্ন সময়ে পত্রিকা পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন আশরাফুল ইসলাম খোকন, মো. নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রফিকুল ইসলাম রফিক, খালিদ হাসান, জিএম আদম শফিউল্লাহ, শেখ আসাদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, শেখ ফরিদ হোসেন মৃত্তিকা এলাহী, জগন্নাথ রায়, শেখ আসাদুর রহমান, আল ফেরদৌস আলফা, আব্দুল হাকিম, জাকির হোসেন লস্কর শেলী, আব্দুল মোকাদ্দেস খান চৌধুরী (মিন্টু চৌধুরী), ওয়ায়েশ খান চৌধুরী, এসএম মাকসুদ খান, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু, সাইদুর রহমান, ফিরোজ কবীর, মোঃ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রাসেল। ইতিপূর্বে সাংবাদিকতা করেছেন পবিত্র মোহন দাশ, তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, শেখ বেলাল হোসেন, অ্যাড. এবিএম সেলিম, রেজাউল ইসলাম, নাসির, শোভন প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেনঃ

    আশাশুনি-জিএম মুজিবুর রহমান, জিএম আল ফারুক, এসএম আহসান হাবিব, সোহরাব হোসেন, আব্দুস সামাদ বাচ্চু, আলী নেওয়াজ, আব্দুল আলিম, সমীর রায়, এসকে হাসান, এমএম সাহেব আলী, রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, আনিছুর রহমান বাবলা, শেখ বাদশা, মাসুম বাবুল, মইনুল ইসলাম, জ¦লেমিন হোসেন, শেখ আরাফাত হোসেন, এমএস মুকুল শিকারী, শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, ইলিয়াস হোসেন, রনদা প্রসাদ মন্ডল, লিংকন, আকাশ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, বাবুল হাসনাইন, সোহরাব হোসেন, নুর আলম, ফায়জুল কবির, হাবিবুল্লাহ বিলালী, জগদীশ চন্দ্র সানা, আঃ আলীম, সচ্চিদানন্দদে সদয়, আবুল হাসান, মোঃ শরিফুজ্জামান মুকুল, মোঃ আকাশ হোসেন, এমএম নুর আলম, এম হাবিবুল্লাহ বিলালী, হাসান ইকবাল মামুন, শেখ আশিকুর রহমান।

    শ্যামনগর-জিএম আকবর কবীর, এসএম মোস্তাফা কামাল, জাহিদ সুমন, আব্দুর রহমান বাবু, তপন কুমার বিশ^াস, শেখ সোহরাব হোসেন, মেহেদী হাসান মারুফ, জিএম আব্দুল কাদের, সামিউল আজম মনির, আব্রাহাম লিংকন, সুলতান শাহজাহান, সিরাজ, আল ইমরান প্রমূখ। সামিউল ইমাম আজম মনির, এসএম মোস্তফা কামাল, আলমগীর সিদ্দিকী, মনিরুজ্জামান মুকুল, জিএম কামরুজ্জামান, আছাদুজ্জামান লিটন, জাহিদ সুমন, তপন কুমার বিশ্বাস, আব্দুল কাদের, মেহেদী হাসান মারুফ।

    কলারোয়া-দীপক শেঠ, একেএম আনিছুর রহমান, মোশারফ হোসেন, এসএম জাকির হোসেন, আরিফুল হক চৌধুরী, পলাশ মোর্তাজা হাসান, এসএম ফারুক হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, এমএ কালাম, আনোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আরিফ মাহমুদ, আতাউর রহমান, এমএ সাজেদ, সুজাউল হক, সরদার জিল্লুর রহমান, দীপক শেঠ, শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, রাশেদুল হাসান কামরুল, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাসান মাসুদ পলাশ, আবু রায়হান মিকাইল, মনিরুল ইসলাম মনি, অহিদুজ্জামান খোকা, শফিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সোহাগ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, শেখ রাজু রায়হান, জুলফিকার আলি, আনোয়ার হোসেন, তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, সাইফুল্লাহ আজাদ, কাজী সিরাজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম মনি, দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ, খায়রুল আলম কাজল সরদার, ফারুক হোসেন রাজ, ইমদাদুল ইসলাম, হোসেন আলী, তরিকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, মিলন দত্ত, মিলটন, পিয়ারে আশেকে রসুল সুমন, নির্বাহী সদস্য আক্তারুজ্জামান, শফিকুর রহমান, অহিদুজ্জামান, মো: মোস্তাক আহমেদ, এম.এ আজিজ, মো: শামছুর রহমান লাল্টু, মোজাফ্ফর হোসেন পলাশ, মুহাঃ আসাদুজ্জামান ফারুকী, মোঃ মোস্তফা হোসেন, তাজউদ্দীন আহমদ রিপন, মো: রেজওয়ান উল্লাহ ও মোর্তজা হাসান মুন্না, মোশারফ হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম, জিএম জিয়া, এমএ কাসেম, মোস্তফা হোসেন বাবলু, গোলাম রসুল।

    তালা-এসএম নজরুল, এসএম জাহাঙ্গীর হাসান, এমএ মান্নান, সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, এস,এম হাসান আলী বাচ্চু, খান নাজমুল হুসাইন, শেখ আব্দুস সালাম, বিএম বাবলুর রহমান, এসএম জহর হাসান সাগর, মোঃ আব্দুল মজিদ, কাজী ইমদাদুল বারী জীবন, মোঃ লিটন হুসাইন, মোঃ আবজাল হোসেন, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোড়ল, কাজী এনামুল হক বিপ্লব, শেখ ফয়সাল হোসেন, মোঃ আল- মাহবুব হুসাইন, মোঃ মেহেদী হাসান স্বাক্ষর, মোঃ সাইদুর রহমান আকাশ,মো: তপু শেখ, শ্রী পার্থ প্রতীপ মন্ডল, শেখ জলিল আহমেদ, এম এ হাকিম, গাজী সুলতান আহম্মেদ, গাজী জাহিদুর রহমান, এম এ ফয়সাল, সেলিম হায়দার, রোকনুজ্জামান টিপু, শফিকুল ইসলাম শফি, জাহাঙ্গীর হোসেন, এস এম লিয়াকত হোনেস, সব্যসাচী মজুমদার বাপ্পী,অর্জুন বিশ্বাস, সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, খলিলুর রহমান লিথু, নূর ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, প্রভাষক ইয়াছিন আলী, আসাদুজ্জামান রাজু, কাজী আরিফুল হক (ভুলু), খলিলুর রহমান,কামরুজ্জামান মিঠু, শিরিনা সুলতানা, আজমল হোসেন জুয়েল, তপন চক্রবর্তী, সুমন রায় গণেশ, মীর জাকির হোসেন, বি.এম. জুলফিকার রায়হান, ইন্দ্রজীৎ দাস বাপী, নারায়ন মজুমদার, মো. রফিকুল ইসলাম, এস.আর. আওয়াল, কে. এম. শাহিনুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, হাসান আলী বাচ্চু, শেখ সিদ্দিক, পিএম গোলাম মোস্তফা, মো. আপতাফ হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান, এম.এ জাফর, মো. বাবলুর রহমান, মিজানুর রহমান, এসকে রায়হান, বিল্লাল হোসেন, সন্তোষ ঘোষ, রিয়াদ হোসেন, তাজমুল ইসলাম, সৈয়দ মারুফ, তাপস সরকার, কাজী লিয়াকত হোসেন, মুকুল হোসেন, তরিকুল ইসলাম, কুদ্দুস পাড়, শামিম খান, আছাদুজ্জামান, আব্দুল মতিন, শেখ জহুরুল হক, আব্দুল মোমিন, ইয়াছীন আলী সরদার, নজমুল হক খান, নাজমুল হক, শাহিন আলম, আব্দুল জলিল, আতাউর রহমান, খাইরুল আলম সবুজ, আলমগীর হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, মাগফুর রহমান জান্টু, এম এম জামান মনি, কুমার ইন্দ্রজিৎ সাধু, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, মুজিবুর রহমান। শেখ আঃ হাই, শেখ জাকির হোসেন, কামরুজ্জামান মোড়ল, বাবলা সরদার, শেখ শওকত হোসেন, জামাল উদ্দীন, বাবলু বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, শেখ আশরাফ আলি, শেখ কামরুজ্জামান রিকু, শেখ শামিজুল ইসলাম, নাজমুল হুসাইন মাহী, শেখ সানজিদুল হক ইমন, জুয়েল হাসান, মোখলেছুর রহমান, ইব্রাহীম মোড়ল, হেলাল উদ্দীন, শেখ আল-আমিন সরদার, আবু সাঈদ, আলী রেজা, গোবিন্দ কুমার রায়, মোঃ ওসমান গণি, শেখ আল-আমিন, বিপ্লব কুমার আইচ, শেখ আল-আমিন, ইলিয়াজ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইয়াছিন আলী, আবু হোসেন, শাহীন বিশ^াস।

    দেবহাটা- আব্দুল ওহাব, মাহমুদুল ইসলাম শাওন, খায়রুল ইসলাম, লিটু, অহিদুজ্জামান, আরকে বাপ্পা, রফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক মুকুল, আক্তার হোসেন ডাবলু, মেহেদী হাসান কাজল, আশরাফুল ইসলাম, আবির হোসেন লিয়ন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, তারেক মনোয়ার, বায়েজিত বোস্তামি উজ্বল, কবির হোসেন, সুমন পারভেজ বাবু, সুমন ঘোষ সুজন, লিটন ঘোষ বাপি, ফরহাদ হোসেন সবুজ, সন্যাসি কুমার ওভি, এমএ মামুন, এসএম নাসির উদ্দীন, মিজানুর রহমান, আব্দুর রব লিটু, রাজু আহম্মেদ, রুহুল আমিন, আব্দুস সালাম, আমিরুল ইসলাম, আছাদুল ইসলাম শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিউদ্দিন আহমেদ লাল্টু, রুহুল আমিন মোড়ল, আবু বক্কর সিদ্দিক, হিরণ কুমার মন্ডল, আবু হাসান, রিয়াজুল ইসলাম আলম, জাফর ইকবাল, মজনুর রহমান, কে.এম রেজাউল করিম, আশরাফুল ইসলাম বাদল।

    কালিগঞ্জ- শেখ সাইফুল বারী সফু, সুকুমার দাশ বাচ্চু, নিয়াজ কাওছার তুহিন, শেখ আনোয়ার হোসেন, এম হাফিজুর রহমান শিমুল, কাজী মুজাহিদুল ইসলাম তরুন, এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ আবু হাবিব, কাজী মোফাফ্ফাখারুল ইসলাম নীলু, জিএম ছামছুর রহমান, শেখ লুৎফর রহমান, শেখ শামিম উর রহমান, মনিরুজ্জামান মহাসিন, জিএম আব্দুল বারী, কেরামত আলী, টিএম আব্দুল জব্বার, এসএম ফজলুর রহমান, গাজী জাহাঙ্গীর কবীর, মীরাবসু সরকার, শেখ আব্দুল করিম মামুন হাসান, হাফেজ আব্দুল গফুর, আমিনুর রহমান, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, অসিত কুমার অধিকারী, এসএম গোলাম ফারুক, জিএম গোলাম রব্বানী, শেখ মনিরুজ্জামান মনি, রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম, মো: ইমরান আলী, শেখ আব্দুল হামিদ, শেখ সাদেকুর রহমান, মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, আহাদুজ্জামান আহাদ, শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন, তরিকুল ইসলাম লাভলু, সনৎ কুমার গাইন, শফিকুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান মুকুল, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, আহাদুজ্জামান আহাদ, শেখ সাদেকুর রহমান, এসএম গোলাম ফারুক, গাজী মিজানুর রহমান, জামাল উদ্দীন, শেখ মাহবুবর রহমান সুমন, সনৎ কুমার গাইন, আরাফাত আলী, শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, এসএম গোলাম ফারুক, সেলিম শাহারিয়ার, বাবলা আহমেদ, হাবিবুল্লাহ বাহার, জিএম ফজলুর রহমান, সাজেদুল হক সাজু, মো রফিকুল ইসলাম, জি.এম ফজলুর রহমান, আউয়াল হোসেন, মাসুদ পারভেজ, শফিকুল ইসলাম, বিএম জালালউদ্দীন, মিনুদ হাসান নয়ন, মো: রেজাউল করিম, শিমুল হোসেন। প্রয়াত-শেখ আব্দুল হামিদ (গোবিন্দপুর)।

    ১৯৯২ সালের পূর্ব পর্যন্ত দেশের তথা জেলার মানুষের তথ্য পাওয়ার উৎস ছিল হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা, বিবিসি রেডিও ও ভয়েস অব আমেরিকোর বাংলা সংবাদ। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পতনের পর দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলায় নতুন ভাষা, তথ্য বিন্যাস ও অবয়ব নিয়ে দৈনিক কাফেলা প্রকাশিত হয় এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে। এ পত্রিকাটির প্রথম ও শেষ পাতা ছিল প্রায় অভিন্ন। এই পত্রিকার শেষ পাতায় পত্রিকার নেমপ্লেট ছাপানো প্রবনতা লক্ষ করা যায়। কাগজটির নতুন বৈশিষ্ট্য ছিল যে সংবাদ যে পাতায় শুরু হয় সেই সংবাদ পরের পাতায় শেষ হতো। পত্রকাটির নিজস্ব সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়-এর বাইরেও পাঠকদের থেকে কিংবা/লেখক গন্ডির বাইরে চিন্তাশীল পাঠকদের কলাম লেখক হিসেবে পরিচিতি করে তোলে। পরবর্তীতে প্রায় জেলার অধিকাংশ সংবাদপত্রই এ ধারাটি গ্রহণ করেন। এর প্রকাশ ভঙ্গিতে বৈচিত্র্য থাকলেও বিপনন ব্যবস্থা ছিল আগের দেশীয় সংবাদপত্রগুলোর মতোই। তবে একে একে স্থানীয় পত্রিকাগুলোর মধ্যে পাঠক ধরে রাখার তীব্র প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে জেলা থেকে ১৪ টি দৈনিক, ৪ টি সাপ্তাহিক ও একটি অনলাইন পত্রিকা সরকারী লাইন্সেপ্রাপ্ত।

    তথ্যসূত্রঃ

    ১। ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সাতক্ষীরা: সমাজ ও সংস্কৃতি, পৃ: ১৬৬, ¯্রােত, প্রকাশনায়-সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী, প্রকাশকাল- নভেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ।

    ২। সিরাজুল ইসলাম, সাতক্ষীরার সাহিত্য-সাময়িকী: শতবর্ষেও পথচলা (১৯০৭-২০১৭), পৃ: ৩৯, ঈক্ষণ, বর্ষ ৩২, সংখ্যা ২, শ্রবাণ ১৪২৬, জুলাই ২০১৯।

    ৩। সুবাসিত সুভাষ, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ, পৃ-০৪, প্রকাশনায়-নাগরিক শোকসভা আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রকাশকাল-২৬ নভেম্বর ২০২২।

    ৪। অন্যন্য আনিস, মোঃ আনিসুর রহিম স্মারকগ্রন্থ, পৃ-০৫, প্রকাশনায়-নাগরিক স্মরণসভা আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রকাশকাল-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

    ৫। আবু হেনা আলম, সাতক্ষীরার ইতিহাস-ঐতিহ্য, পৃ: ৩৯৭-৪০৭, প্রকাশক-বেগম নাজমুন নাহার, প্রকাশকাল-ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ।

    ৬। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ।

    ৭। স্বাক্ষর অস্পষ্ট, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা-২০২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ।

    ৮। স্বাক্ষর অস্পষ্ট, সভাপতি, আবু আহমেদ, সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২০২০-২১ সালের বার্ষিক নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা, তারিখ-২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।

    ৯। ইন্টারনেট ও জেলা তথ্য বাতায়ন।

    লেখকঃ মোঃ মুনসুর রহমান, বার্তা সম্পাদক, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো, সাতক্ষীরা। মোবাইল নম্বর-০১৭৫৪২৪১৩৮৮।

  • বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জির ৬১ তম জন্ম উৎযাপিত

    বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জির ৬১ তম জন্ম উৎযাপিত

    বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরার প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জির ৬১ তম জন্ম উৎযাপিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে কেক কাটা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি।
    বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মোজাফফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইদুজ্জামান ইদ্রিস, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, বাংলা ভিশন টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, যায় যায় দিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শাকিলা ইসলাম জুঁই প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল।
    বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার সাংবাদিক জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র কল্যাণ ব্যানার্জি। তিনি শুধুমাত্র একজন সাংবাদিকই নন। তিনি একটি ব্র্যান্ড, একটি প্রতিষ্ঠান। তার হাত ধরে বহু সাংবাদিক সাতক্ষীরায় তৈরি হয়েছে। সাতক্ষীরায় যে কোন সাংবাদিক বিপদে পড়ে সবার আগে তিনি ছুটে যায়। বক্তারা কল্যাণ ব্যানার্জি সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এসময় সহকর্মী সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন সাতক্ষীরার প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ ব্যনার্জি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান মাসুম, মেহেদী আলী সুজয়, এম. বেলাল হোসাইন, ফয়জুল হক বাবু, হাফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান তুহিন, এস কে কামরুল হাসান, এম রফিক, শহীদুল ইসলাম, মীর মোস্তফা আলী, সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রমুখ।

  • স্মরণে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় সাতক্ষীরায় প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর নাগরিক শোক সভা

    স্মরণে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় সাতক্ষীরায় প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর নাগরিক শোক সভা


    স্মরণে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় সাতক্ষীরায় প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভা আয়োজক কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং শোকসভা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মানবাধিকার কর্মী মধাব চন্দ্র দত্তের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃনজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সি, একাত্তর টিভি’র পলাশ আহসান, বিএফইউজে নেতা কৌশিক দে, শাকিলা পারভীন, নিখিল ভদ্র, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার বসু, প্রয়াত সুভাস চৌধুরীর সহধর্মিনী মিনতি রানী চৌধুরী, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মো: আনিসুর রহিম, অধ্যক্ষ (অব:) আব্দুল হামিদ, দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্য’র সদস্য সচিব শরফুল্লাহ কায়সার সুমন, সাংবাদিক আবুল কাশেম প্রমুখ।
    শোক সভায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, যারা ভালো সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে সুভাষ চৌধুরী একজন। যারা উচ্চস্বরে কথা বলে তাদের মূল্যায়ন বেশি হয়। আর যারা আস্তে আস্তে কথা বলে তারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়। তিনি বলেন, চীন ও জাপানিরা আস্তে আস্তে কথা বলে এজন্য তারা সম্পদশালী। আমাদের দেশে শ্রমিকরা উচ্চস্বরে কথা বলে, এজন্য সরকার তাদের বেশি মূল্যায়ন করে। সুভাষ চৌধুরী আস্তে কথা বলতেন। তিনি ছিলেন প্রচার বিমুখ। তাই বলে তিনি দুর্বল ছিলেন না। ১৯৭৩ সালে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। ১৯৫০ সালে যিনি দেশত্যাগ করলেন না, ১৯৮৮ সালে বঙ্গভূমি আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সুভাষ চৌধুরী কাজ পাগল মানুষ ছিলেন। সাংবাদিকদের সাথে পরিবারের সম্পর্ক থাকে না। সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সাথে এক বিশাল জগতের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই স্মরণ সভা তার সাক্ষী। সুভাষ চৌধুরী সমাজ বদলের সাংবাদিকতা করেছেন। ভূমিহীন আন্দোলন করেছেন। পরিবেশ সুরক্ষায় আন্দোলন করেছেন। যে ভালো মানুষটি চলে যায় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকগুলো মানুষ একত্রিত হয়।
    সাংবাদিকরা তাদের পরিবারের জন্য নিউজ করেন না। তারা দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য নিউজ করেন। সাংবাদিকরা সম্মানের জন্য কাজ করেন। সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীও সেটাই করেছেন। তার নীতি ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সততা নীতি ও আদর্শ আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
    বিএফ ইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন, সাংবাদিকতা বিষয়ে আইন আছে। নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় ২০২১ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ‘আইন ছিল, আইন নাই। নতুন আইন আছে।’ আইন মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের উপর প্রয়োগ হবে না। যদি এই আইন কোন সাংবাদিকের উপর প্রয়োগ হয় তাহলে আমি নিজেই তার পক্ষে দাঁড়াবো।’ অথচ দেশের অনেক সাংবাদিকের উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রী কোন সাংবাদিকের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তা আমার জানা নেই। সড়ক পরিবহন আইন আছে, অথচ তা প্রয়োগ করা হয় না।
    মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জিং পেশা। এপেশায় কোন দল নেই। জাতীয় পত্রিকা বলে কিছু নেই। জাতীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। কেননা ‘সাংবাদিকতায় জাতীয়তা’ বলে কিছু নেই। সাংবাদিকদের কোন বর্ডার নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আইলা, সিডর, আম্পান এগুলো তো জাতীয় ইস্যু নয়, এগুলো আন্তর্জাতিক ইস্যু। সাতক্ষীরা উপকূলীয় জেলা হিসেবে এ অঞ্চলের অনেক ইস্যু আন্তর্জাতিক। এসব ইস্যু নিয়ে ঢাকায় বসে রিপোর্ট করা যায় না। তিনি বলেন, সাংবাদিকদেরকেই সাংবাদিকতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সাংবাদিকতার জন্য আমাদের সকলকে এক হতে হবে। তিনি প্রয়াত সুভাষ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সততা, নিষ্ঠা, নীতি ও আদর্শকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, সাংবাদিকতা করতে সাহস লাগে। ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমি যখন দৈনিক বাংলায় ছিলাম তখন থেকেই সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয়। আমি এ জনপদের তিনজন সাংবাদিককে খুব ভালো করে চিনতাম। খুলনার মানিক সাহা, সাতক্ষীরার সুভাষ চৌধুরী এবং যশোরের শামসুর রহমান কেবল। তাঁরা আপামর মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
    ওমর ফারুক বলেন, সাংবাদিকতার বর্তমান যে অবস্থা তাতে এ পেশার ভবিষ্যত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন। তবে আমরা আশাবাদী, আমরা সরকারকে প্রস্তাবনা দিয়েছি। প্রস্তাবনাটি পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কিছু আইন আমাদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে দিচ্ছে না। ১৭৮১ সালে সাংবাদিকতায় যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা আজও আছে। এসব প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আমরা এদেশকে সবাই মিলে গড়ে তুলবো। সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর সততা ও সাহসীকতার জন্য আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। তাঁর নীতি ও আদর্শ অনুকরণীয় থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
    শোকসভায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, সুভাষ চৌধুরী সাধারণ মানুষের কথা বলতেন। তিনি এ জনপদের সকল ক্রাইসিস মোকাবেলায় ভূমিকা রেখেছেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন নিয়ে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জের টেনে মো: নজরুল ইসলাম বলেন, পরের দিন পত্রিকায় সুভাষ চৌধুরী একটি লেখা পড়েই আমি তার প্রতি ভালোবাসায় জড়িয়ে যাই। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে আমরা এ পেশাকে এগিয়ে নিতে পারি।
    জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড: সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, সুভাষ চৌধুরী আছেন আমাদের চিন্তায়-আমাদের চেতনায়। সুভাষ চৌধুরীর সাথে ছিল আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। আপদমস্তক তিনি অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। তিনি দেশ জাতি এবং মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তার লেখনি আমাদের দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত করে, প্রেরণা যোগায়। তাঁর স্মৃতির প্রতি অতল শ্রদ্ধা।
    শোক সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরার সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য সুভাষ চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে উপকূলীয় সাংবাদিকতায় সুভাষ চৌধুরী ছিলেন দিকপাল। মফস্বল সাংবাদিকতায় সুভাষ চৌধুরী অনুসরণীয় ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
    এর আগে সুভাষ চৌধুরী স্মরণে ‘সুবাসিত সুভাষ’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়। শোকসভায় সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। শোকসভায় জেলার সাত উপজেলা থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধসহস্রাধিক সাংবাদিক শ্রদ্ধা জানান।
    প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

  • সাতক্ষীরায় মোহনা টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় মোহনা টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মোহনা টেলিভিশন ১৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত হয়েছে। ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনা টেলিভিশনের দর্শক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক হারুনার রশিদ আর টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী, আখড়াখোলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ, বিজনেস বাংলাদেশের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জামাল উদ্দীন, ভোরের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মশিউর রহমান ফিরোজ প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মোহনা টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ঢাকা টাইমসের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও ডেইলি সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও সুধি সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার নক্ষত্র, চলমান ডিকশনারী খ্যাত প্রতিথযশা প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ছিলেন সাতক্ষীরার সাংবাদিকতা জগতের প্রথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে যা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। সাতক্ষীরা জেলা জাসদের নেতাকর্মীরা তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

    বিবৃতি দাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব কবি রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন মোঘল, নারী জোট জেলা শাখার সভাপিতি পাপিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, শ্রমিক জোটের আহবায়ক মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদস্য সচিব সুকুমার পালিত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি এসএম আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান তারিক প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানাবিধ শারিরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ‍দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

  • দেশ রূপান্তর সম্পাদক অমিত হাবিব এর মৃত্যুতে
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক


    দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিত হাবিব ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন।

  • প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ্য : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সুস্থ্যতা কামনা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এনটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শ^াসকষ্ট, কিডনিতে সমস্যা, ফুসফুসে পানি জমাসহ হার্টের নানা সমস্যায় বেশ কিছুদিন যাবৎ ভূগছেন এই প্রবীন সাংবাদিক। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: মানষ ঘোষ জানান, পূর্ব থেকে নানা শারিরীক জটিলতায় ভুগছিলেন সুভাষ চৌধুরী। নতুন করে তাঁর কিডনিতে পানি জমেছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁেক সাতক্ষীরা মেডিকেলের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এদিকে সুভাষ চৌধুরীর আশু সুস্থ্যতা কামনা করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, নির্বাহী সদস্য মকসুমুল হাকিম, সেলিম রেজা মুকুল, আব্দুল গফুর সরদার, মাছুদুর জামান সুমন, এম শাহীন গোলদারসহ প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • সাংবাদিক শামীম পারভেজের সুস্থ্যতা কামনায় বিবৃতি

    সাংবাদিক শামীম পারভেজের সুস্থ্যতা কামনায় বিবৃতি

    প্রেসবিজ্ঞপ্তি

    বৈশাখী টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বিশিষ্ঠ সাংবাদিক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব শামীম পারভেজ হাটের সমস্যাজনিত কারনে ভারতের ভেলরে ডা: দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরে এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আবার সকলের মাঝে ফিরে আসবেন সেই কামনায় বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্যের আহবায়ক প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ও সদস্য সচিব শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন।

  • উজ্জ্বলের দায়ের করা মিথ্যা ডিজিটাল মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন দুই সাংবাদিক



    ডেস্ক রিপোর্ট : মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দুই সাংবাদিক।
    বুধবার (৬ এপ্রিল) খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ মামলা থেকে ২ সাংবাদিককে অব্যাহতি দেন।
    অব্যাহতি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন- সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আবুল কালাম ও নির্বাহী সম্পাদক আলী মুক্তাদা হৃদয়।
    জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরার সাবেক বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল বাদী হয়ে ১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চার্জশীটে ২নং আসামী হিসেবে আলী মুক্তাদা হৃদয়’র নাম যুক্ত করেন। খুলনার সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত গত ৬ এপ্রিল ২০২২ (বুধবার) দুই সাংবাদিক’কে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‍খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাডঃ মোঃ আইয়ূব হোসেন।
    খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাডঃ মোঃ আইয়ূব হোসেন জানান, সাংবাদিক কালাম ও হৃদয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের ভিত্তি নেই। মামলাটি সম্পূর্ণ আক্রোশের উপর শত্রুতামূলক এই বানোয়াট মূলক মামলা থেকে গত বুধবার দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেনে আদালত।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীনে সাবেক বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন।

  • দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    দৈনিক কালের চিত্র অফিসে হামলা: সাবুসহ ১৬ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

    স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র অফিসে ককটেল হামলা, ভাঙচুর ও তিনজন সাংবাদিককে মারপিটের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। দৈনিক কালের চিত্রের ব্যবন্থাপনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম (দ্রুত বিচার) আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক ইয়াসমিন নাহার মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের (দীঘির ধার) এর আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল করিম সাবু, পলাশপোলের শেখ আবু সালেহ এর ছেলে শেখ জাহিদুর রহমান, তার ছেলে জাহিদ হাসান, দক্ষিণ পলাশপোলের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাসেদ সরদার, মধুমোল্লারডাঙির কওছার আলীর ছেলে শাহজাহান সিরাজ, একই এলাকার কওছার মোল্লার ছেলে আক্তারুজ্জামান, খোরশেদ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন, শেখ মোশাররফ হোসেনের ছেলে শেখ আরিফ, পলাশপোল সবুজবাগের আবু বক্করের ছেলে রাজু, দক্ষিণ পলাশপোলের মধহবেগ এর ছেলে মুকুল হোসেন, উত্তর পলাশপোলের আব্দুস সবুর খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান, তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে হামিদুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের নূর আলী গাজীর ছেলে আরশাদ আলী খোকন, সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের ফটিক ডাকাতের ছেলে সাহেব আলী, আশাশুনি উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন খোকনের ছেলে মিলন হোসেন ও কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের ছোট খোকনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, গত শনিবার সাতক্ষীরা বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
    মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম মহমান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। আদালতের আদেশ গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। এরপর থেকে শ্রমিক নেতা শেখ জাহিদুর রহমানের সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শেখ জাহিদুরের পক্ষের শ্রমিকরা শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালের চিত্র অফিস লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। 
    একইভাবে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে জাহিদুর রহমানসহ তার সমর্থক ১৫ জন শ্রমিক ও ৩০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী কালেল চিত্র অফিসের সামনে এসে ককটেল ও বোমা ছুঁড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
    পরে তারা কালের চিত্র অফিসে ঢুকে সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে ককটেল ছোঁড়ে, লোহার রড, হকি স্টিক, জিআই পাইপ দিয়ে পত্রিকা অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপ্লোচর মেশিন, দু’টি মোবাইল, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়। হামলা ও ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় সাংবাদি আশারাফুল ইসলাম খোকনসহ তিন সাংবাদিককে মারপিট করা হয়। 
    এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম খোকন বাদি হয়ে রবিবার রাতে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। 
    উপরন্তু শেখ জাহিদুর রহমানের দায়েরকৃত কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা নেয় পুলিশ। কালের চিত্র অফিসে বসে খবরের কাগজ পড়ার সময় শ্রমিক নেতা আক্তারুজ্জামান মহব্বত ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীরের আদালত থেকে জেল হাজতে থাকা দু’ আসামীসহ সকল এজাহারভুক্ত আসামী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
    সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন অধ্যাপক আবু আহম্মেদসহ ১৭জনের জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আশরাফুল ইসলাম খোকনের দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি এজাহার হিসেবেন গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইয়াসমিন নাহার।

  • জাতীয় দৈনিক সমাচারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধিহিসেবে নিয়োগ পেলেন শহীদুজ্জামান শিমুল

    জাতীয় দৈনিক সমাচারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    হিসেবে নিয়োগ পেলেন শহীদুজ্জামান শিমুল

    প্রেসবিজ্ঞপ্তি : বহুল প্রচারিত প্রকাশনার ৪৪ বছর “দৈনিক সমাচার” পত্রিকায় সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন শহীদুজ্জামান শিমুল। তিনি সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কুখরালী আমতলা গ্রামের মো.আব্দুল হাকিম ও মোছা. রওশন আরা খাতুনের পুত্র।
    শনিবার (০২ এপ্রিল) সকালে দৈনিক সমাচার পত্রিকার প্রধান কার্যালয় ইত্তেফাক ভবনের ৪র্থ তলায় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আবু তালেব নিয়োগপত্র ও পত্রিকার পরিচয়পত্র তার হাতে তুলে দেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকে ফটোসাংবাদিক হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে তিনি কর্পোরেট সংবাদের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও সম্মিলিত সাংবাদিক এ্যসোসিয়েশনের সদস্য। কর্মক্ষেত্রে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • উৎসব মূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালিত

    উৎসব মূখর পরিবেশে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঐতিহাসিক এই যুগসন্ধিক্ষণে সাতক্ষীরায় দেশের সার্বাধিক প্রচারিত পাঠক নন্দিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এক যুগ পেরিয়ে দুই যুগে পদার্পনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসব মূখর পরিবেশে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।
    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সত্য ও বস্তু নিষ্ঠ সাংবাদ পরিবেশনের কারনে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রচার সংখ্যায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখে পাঠকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একটি সাহসি দৈনিক। তারা সক সময় মাদক,সন্ত্রাস, নারী নির্যতন,দূর্নীতি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খুরধার লিখনীর কারনে বাংলাদেশে র মানুষের হৃদয় জয় করেছে।
    অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু, সাবেক ক্রীড়া অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, ৮০ দশকের সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা শেখ সাহিদ উদ্দিন, ভোমরা সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের আহবায়ক জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহম্মে স্বপন। এছাড়া অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, এসএসসি ৯১ ফোরামের সভাপতি মীর তাজুল ইসলাম রিপন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সাতক্ষীরা জজ কোটের অতিরিক্ত পিপি
    সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নাজমুন আসিফ মুন্নী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শাকিলা ইসলাম জুঁই। এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন ছোট্ট শিশু মেহেরিমা ইসলাম মাহিরা।

    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অতিথিরা বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পত্রিকাটি শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রেখে দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় দেশ রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণিল আয়োজনে আলোচকরা:পাঠকের মুখপত্রে রূপান্তরিত হয়েছে দেশ রুপান্তর

    সাতক্ষীরায় দেশ রূপান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণিল আয়োজনে আলোচকরা:
    পাঠকের মুখপত্রে রূপান্তরিত হয়েছে দেশ রুপান্তর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকে জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা,
    রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক,
    প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিককর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের
    ব্যক্তিত্বরা সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্য মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা
    বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছুটে আসেন দেশ রূপান্তরকে শুভেচ্ছা জানাতে।
    শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও আলোচনা করেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা
    আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি
    বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান
    বাবু, জাতীয় পার্টির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতা শেখ আজহার
    হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, জেলা নাগরিক
    কমিটি’র সভাপতি আনিসুর রহিম, কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সভাপতি এড. আবুল
    কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন
    বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আক্তার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল
    হোসেন, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের জেলা সদস্য সচিব আমিনা বিলকিস ময়না,
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জলিল, জেলা আওয়ামীলীগ
    নেতা ডা: সুব্রত ঘোষ, যমুনা টিভি’র রাজীব আহসান।
    আলোচকরা বলেন, পাঠকের ভালবাসায় আর পত্রিকা সংশ্লিষ্টদের অক্লান্ত
    পরিশ্রমে দিনে দিনে পাঠকেরই মুখপত্রে রূপান্তরিত হয়েছে দায়িত্বশীলদের
    দৈনিক দেশ রূপান্তর। প্রচন্ড বেগবান গতিতে এগিয়ে চলার এ সময়কে সাথে নিয়ে
    পরিণত পত্রিকাটিকে আরও জনগনের পত্রিকায় রূপান্তরিত করা এখন সময়ের দাবি।
    পাঠকের প্রতি ও সততার প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন আলোচকরা।
    প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে, ফুলেল শুভেচ্ছা, মিষ্টিমুখে ও মধ্যহ্নভোজে
    সমগ্র আয়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর।

  • সাতনদী‘র সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা

    সাতনদী‘র সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক সাতনদী‘র সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও অষ্টম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সন্ধায় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার অফিসে পবিত্র রমজান ও কোভিড পিরিয়ডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: হাবিবুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাহিত্য, সংকৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মাছুদুর জামান সুমন ও সদস্য খন্দকার আনিসুর রহমান প্রমুখ।

  • সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের আনন্দ ভ্রমণ

    সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের আনন্দ ভ্রমণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সবেবরাত উপলক্ষে পত্রিকা বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণে অংশ নেয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়ন।
    গোপালগঞ্জের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্য নিয়ে তারা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোডের মোড় থেকে মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে তারা বঙ্গবন্ধুর পবিত্র মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যাদুঘর ঘুরে দেখে। ঘুরে দেখেন বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়িসহ খেলার মাঠ ও পুকুর। মেখান থেকে বের হয়ে তারা পিকনিক স্পট ঘুরে দেখেন। পরে বাগেরহাটের খানজাহান আলীর মাজার ও ষাট গম্বুজ পরিদর্শণ করে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন।
    আনন্দ ভ্রমণে অংশ নেন সংগঠনটির আহবায়ক সাবান আলী, কার্যকরি কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, আরিফ হোসেন, কামরুল ইসলাম, ইকরামুল হোসেন, আক্তারুল ইসলাম প্রমুখ।

  • কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক কাজল

    কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক কাজল

    ন্যাশনাল ডেস্ক: অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। গ্রেপ্তার হওয়ার প্রায় ৯ মাস পর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

    শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে কাজল বাসার উদ্দেশে রওনা হন। কাজলের ছেলে মনোরম পলক ও তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    ছেলে মনোরম পলক বলেন, “বাবা অত্যন্ত ক্লান্ত। সুস্থবোধ করলে সবার সঙ্গে কথা বলবেন।”

    ১৭ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় সাংবাদিক কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় করা একই ধারার মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।