Category: শ্যামনগর

  • উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    জহুরুল কবীর:

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এশিয়ার বৃহত্তম সবুজ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এই জেলায় অবস্থিত। এই উপকূলের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। শক্ষিাঙ্গণরে মহা পুরুষ খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ এই শহরের গর্ব। তাছাড়া শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যপক ডাঃ এম আর খান, ডাঃ রুহুল হক (সাবেক মন্ত্রী) (অর্থপেডিক্স), শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ শ্যামাপদ পাল, ডাঃ আজিজার রহমান; বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানি ড. এম মতিয়ার রহমান; বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী; প্রথম মুসলিম মহিলা কবি আজিজুননেছা খাতুন; বাঙালি লেখক/কবি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী; বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর; সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আব্দুল মোতালেব; বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমর মিত্র (৩০ আগস্ট, ১৯৫১) ও আবুল কাশেম মিঠুন, পরীমনি; প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমীন; চিত্রনায়ক আমিন খান ও রানী সরকার; নাট্যশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী হামিদ ও মৌসুমী হামিদ; বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহাঙ্গীর; আব্দুল জলিল (ঈশিকা); ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার; নারী ফুটবলার সাবিনা; রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন (সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদ-১৯৭০ ); এম মনসুর আলী (সাবেক মন্ত্রী), সৈয়দ কামাল বখত সাকি, সৈয়দ দীদার বখত; পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়; সাবেক সেনা প্রধান ভারতের শঙ্কর রায় চৌধুরী প্রমুখ জ্ঞানী-গুণিজন এই জেলার অহঙ্কার। ভোমরা স্থল বন্দর, চিংড়ি ও কাকড়া শিল্প এই জেলার বৃহৎ রাজস্ব আয়ের উৎস।
    কপোতাক্ষ, ইছামতি (আদি যমুনা), কালিন্দী, কাকশিয়ালী, বেতনা(বেত্রাবতী), খোলপেটুয়া, গলঘেসিয়া, মরিচ্চাপ এই জেলার প্রধান প্রবহমান নদ-নদী সমুহ। এছাড়া প্রাণসায়র খাল জেলা শহরের প্রধান জল প্রবাহ।


    জলবদ্ধতা, লোনা পানি, আন্তর্জাতিক সীমানা এই জেলার প্রধান সমস্যার উৎস। জেলার দক্ষিণ উপকূলীয় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ ইউনিয়ন মিষ্টি পানির অভাবে বছরের বার মাস খাওয়ার পানি সঙ্কটে ভোগে। জেলার নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরে লোনা পানি উঠানোয় বসতি এলাকাও লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানির প্রচ- অভাবী এই উপকূল।


    নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকা অপেক্ষা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো ওভারফ্লো হয়ে পানি বসতি এলাকায় প্রবেশ করায় বছারের প্রায় ১২মাস উপকূলের অধিকাংশ ইউনিয়ন পানির নিচে থাকে। ফলে পয়নিষ্কাশনের মারাত্মক অসুবিধায় ভোগে এলাকার মানুষ। গৃহপালিত পশুর জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এলাকায় কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। হাতে গোনা কিছু মানুষ জলে এবং জঙ্গলে কাজ করলেও তাতে পরিবারে স্বচ্ছতা ফেরে না। অভাবের তাড়ণায় পিতামাতা শিশু কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজে পাঠাতে বাদ্য হচ্ছে। গত বছর শ্যামনগরের কয়েকটি পরিবারের একাধিক শিশু ঢাকা গাজীপুর ইট ভাটায় দাদন খাটতে যেয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ হারে হ্রাস পাচ্ছে শিক্ষার হার। কর্মহীনতা যার প্রধান কারণ। সাতক্ষীরা উপকূলের নিন্ম শ্রেনীর বড় একটা গোষ্টি সুন্দরবন নির্ভর হয়ে হরে পড়েছে। কাঠ ও গোলপাতা কাটা, মধু আহরণ, পশু শিকার, মাছ ধরা ইত্যাদি এদের প্রধান পেশা হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। জঙ্গলের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জনপদে চলে আসছে বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণী। যার জন্য বনজীবীরা বাঘের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
    সাতক্ষীরা এমন একটা জেলা যেখানে সরকারি বে-সরকারি কোন কলকারকাখা নেই। আশির দশকে তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনছুর আলী একটি টেক্সটাই মিল (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তি সরকারের বাটপারেরা লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এর (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) বিশাল জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। জেলার সামন্য একটা জনগোষ্টি ভোমরা স্থল বন্দরের সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
    শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য এই জেলায় কোন কর্মসংস্থান না থাকায় বৃহত্তর চাকরী প্রার্থি রাজধানি মুখি হয়ে ওঠে।
    সাতক্ষীরা ভারত সীমান্ত ঘেসা হওয়ায় উৎপাদন মুখি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মূল্য সংকটে পড়ে। রাজধানি ঢাকা থেকে কাচামাল এনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে দেখা গেছে পাশের রাষ্ট্র ভারতে তার দাম অনেক কম। আবার চায়না পণ্যের মূল্য আরো কম হওয়ায় ঢাকার মার্কেটেও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বেঁচা যায় না।
    এরকম নানান সমস্যা ও জটিলাতার জেলা উপকূলীয় সাতক্ষীরা।
    শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা থেকে সাতক্ষীরা বঞ্চিত। বিভিন্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সারা বছর আন্দোলন করলেও অদ্যবধি কোন জাতীয় বাজেটে দক্ষিণ উপকূলের জন্য বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ বা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।


    এমতাবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান দাবীসমুহ উপকুলীয় নদ-নদীসমুহে প্রবাহ বাড়াতে নদী খননসহ আন্তনদী সংযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বরাদ্ধ দিতে হবে। মাওয়া থেকে সুন্দরবন (লিঙ্ক মোংলা, ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর) মহাসড়কের আওতায় হাইওয়ে সড়ক ও রেল লাইন নির্মান করতে হবে। পদ্মার এপারে খুলনায় আন্তর্জাতিক আমদানি নির্ভর মার্কেট তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য খুলনা থেকে দেশব্যাপী সরবরাহ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল আমদানী এখান দিয়ে করতে হবে। জেলার সাত উপজেলায় সাতটি পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাতটি ২০ লাখ শ্রমিক নির্ভর ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে হবে। ভারতের বিভিন কোম্পানীর ম্যানুফ্যক্সারিং কারখানা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে স্থাপন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রধান স্থপনা সুন্দরবনের শক্তি বৃদ্ধিতে বনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে। বিশাল বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা সুন্দরবনের পরিধি দিনকিদিন সাগরে ভেঙে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরে সুন্দরবনের ভাঙন রোধে বিশেষ বাধ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এশিয়ার বৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরকে পর্যাটন নগর ঘোষণা করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমএলএসএস পদে প্রশাসনিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

  • প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে শ্যামনগরে মানববন্ধন

    প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে শ্যামনগরে মানববন্ধন


    শ্যামনগর ব্যুরো: ‘জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় আমরা সহযাত্রী’। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শনিবার (২২ মে) সকাল ১০ ঘটিকায় সাতক্ষীরার শ্যমানগর উপজেলায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে আকাশনীলা ইকোটুরিজম সেন্টার এর সামনে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক’র সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম ও উপজলো জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়েছে।
    মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকার স্থাণীয় যুব, পেশাজীবী জনগোষ্টী, সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী বৃন্দ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে উপকুলীয় এলাকার ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মানুষ কিভাবে ভূমিকা রাখছে এবং কি করা প্রয়োজন স্থাণীয় জনগোষ্টী সে দাবি গুলো ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন। প্রদর্শন শেষে জনসংগঠনের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনায় বারসিক কর্মকর্তা মননজয় মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিডিও ইয়থ টিমের সাধারন সম্পাদ হাফিজুর রহমান, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন, কৃষক নেতা শেখ সিরাজুল ইসলাম, বনজীবী নারী সেলিনা বেগম সহ প্রমুখ।
    দাবি গুলো – সকল প্রাণবৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করি- বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ি, উপকুলীয় প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায়- টেকসই বাঁধের বিকল্প নাই, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করি- জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করি, উপকুলীয় বেড়ীবাঁধ রক্ষা করি- প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, মহামারী করোনায় নিয়ম না মানলে রক্ষা নাই, সুষম খাদ্য নিশ্চিত করি-করোনা সাথে লড়াই করি, সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসি, বৈচিত্র্য রক্ষা করি- সক্ষমতা গড়ি, বৈচিত্র্য রক্ষা করি- দুর্যোগ ঝুঁিক কমাই। উপরোক্ত দাবি গুলো উত্তাপনের সাথে সাথে মানববন্ধন কর্মসূচীর সমাপ্তি হয়।

  • সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন


    শ্যামনগর ব্যুরো : সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আটকে রেখে হেনেস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন অনুুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ব্যানার সহ অংশগ্রহন করে শ্যামনগর রিপোটার্স প্রেসক্লাব, শ্যামনগর অনলাইন ক্লাব, সুন্দরবন ক্লাব। আরও অংশগ্রহন করে ভূমিহীন সমিতির পক্ষে মোঃ মোকছেদ আলী, উকিলদের পক্ষে এ্যাড. আব্দুস সাত্তার, ডাক্তারদের পক্ষে ডাঃ গ.ম আব্দুস সালাম, হোটেল মালিকদের পক্ষে এমডি খোকন। মানববন্ধন চলাকালে সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা কামালের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন- শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ জিএম আকবর কবীর, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি সামিউল আজম মনির, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, সাংবাদিক আনিসুজ্জামান সুমন, শেখ আফজালুর রহমান, আব্দুল কাদের, রিপোটার্স ক্লাবের আব্দুল আলিম, সুন্দরবন ক্লাবের বেল্লাল হোসেন প্রমুখ।

  • বাঘের আক্রমনে মৌয়াল নিহত


    সংবাদদাতা: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় বাঘের আক্রমণে রেজাউল ইসলাম (৩২) নামের এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। একই এলাকায় তার বাবাও বাঘের আক্রমণে নিহত হন। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা জেলার বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন এর এসও আবু সাঈদ জানান, রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন মৌয়াল গত ৩ মে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে মধু আহরণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে যায়। ঈদের দিন শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় মধু সংগ্রহকালে বাঘের আক্রমণের শিকার হন মৌয়াল রেজাউল। তবে অন্যান্য মৌয়ালদের প্রতিরোধে বাঘ রেজাউলের মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। রেজাউলের সাথে থাকা মৌয়ালরা মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে লোকালয়ে নিয়ে আসে। দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
    মৃত রেজাউল ইসলামের স্ত্রী, বাঘ বিধবা মা, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মৃত রেজাউল ইসলামের মা রিজিয়া বেগম লিডার্স বাঘ বিধবা দলের একজন সদস্য। বাঘ বিধবা রিজিয়া বেগমের একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে লিডার্স পরিবারের পক্ষ থেকে লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

  • শ্যামনগরে করোনা আক্রান্তদের মাঝে অনুদান বিতরণ

    শ্যামনগরে করোনা আক্রান্তদের মাঝে অনুদান বিতরণ


    শ্যামনগর ব্যুরো :
    শ্যামনগর উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত/ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ব্যক্তিদের মাঝে (সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা হলরুমে এ অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উজ জামান সাঈদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শহিনুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার। আলোচনা শেষে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। ৩০ জনকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

  • শ্যামনগরে সংঘর্ষে চার জন আহত

    শ্যামনগরে সংঘর্ষে চার জন আহত

    শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার সোনাকখালী গ্রামে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় থানায় এজাহার, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
    এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোনাখালী গ্রামের মৃত তাতীরাম সরদারের পুত্র সুজিত সরদার বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত শশী ভূষন সরদারের পুত্র অনীল সরদার ও অনীল সরদারের পুত্র সাধন সরদার সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন । পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এজাহারের আসামীগণ ৫ মে সকাল ৬ টায় সুজিত সরদারের পুকুরে ৮০ হাজার টাকার মাছ ধরে আত্মসাৎ করে। তিনি বাধা দিলে তাকে মারপিঠ করে। হামলাকারীরা সুজিত সরদারের পুত্র জয়ন্ত, পুত্রবধু দিপা রানী, ভাতিজা তারক সরদারকেও মারপিট করে। জয়ন্ত ও তারকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ সংঘর্ষে অপরপক্ষের অনিল সরদার(৫৮) ও অনিল সরদারের পুত্র সাধন সরদার আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

  • শ্যামনগরের বসতি এলকায় নোনা পানির ঘের: বিপাকে মানুষ

    শ্যামনগরের বসতি এলকায় নোনা পানির ঘের: বিপাকে মানুষ

    শ্যামনগর ব্যুরো: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্যামনগর সদরের বাদঘাটা এলকায় নোনা পানির ঘের করায় পাশের পুকুরে মাছ মরে সাবাড়। মরে যাচ্ছে গাছ গাছালী।
    উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের নূরু গাজীর ছেলে সাজাহান গাজী জনবসতি এলকায় নোনা পানি তুলে মাছের ঘের করায় নিকটস্থ আজিজ মাষ্ঠার সহ বিভিন্ন পুকুরে মাছ মরে গেছে, তাতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে। মৃত মাছের মধ্যে রয়েছে গলদা, রুই, কাতলা, পুটি। বিগত ২০২০ সালেও একই ভাবে নোনা পানি তুলে ঘের করার কারনে লক্ষা ধিক টাকার মাছ মরে যায় ক্ষতি হয় গাছ গাছালীর। এবার ও নোনা পানি তুলে ঘের করার প্রস্ততিনিলে আঃ আজিজ মাষ্ঠার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন । উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পানি তুলতে নিশেধ করেন এবং শুনানীর তারিখ দেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাজাহান গাজী নোনা পানি তুলে ঘের করায় নিকটস্থ আজিজ মাষ্ঠারের পুকুরের চাষ কৃত গলদা চিংড়ি, রুই, কাতলা, পুটি মাছ মরে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এছাড়া নোনা পানির কারনে এলকায় নারকেল , কদবেল. আম গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে যাচ্ছে। এছাড়া নিকটস্থ আতিয়ার রহমানের পুকুরের মাছ ও গাছ গাছালী মরে যাচ্ছে। এব্যাপারে ক্ষতি গ্রস্থরা আইনগত ব্যবস্থা দাবীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দিয়েছে।

  • বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝৃকি

    বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝৃকি

    মশাল ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চলের পুকুর এবং নলকূপের মতো মিঠা পানির উৎস দিনদিন কমে আসছে। অপর দিকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি তারা অবলম্বন করেতা স্বল্প পরিসরে এবং দীর্ঘ মেয়াদী নয়। দূষিত পানি ব্যাবহারের ফলে বেড়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, ইউরিন্যালইনফেকশান, চর্মরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, যৌনাঙ্গে চুলকানি, ঘা এবং জালাপোড়ার মতো রোগ। নারীদের মধ্যে এই সকল রোগের প্রাদূর্ভাব বেশি দেখা দিচ্ছে যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন টিউমার এবং জরায়ু ক্যান্সারে রুপান্তরিত হচ্ছে।


    সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন-ভাড়াশিমলা এবং মথুরেশপুরে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার। বৃষ্টি কম হওয়ার কারনে কালিগঞ্জ ওয়াপদা পুকুরে পানির একেবারে নিচে নেমে আসার কারণে বিভিন্ন পুকুরের সাথে যে পিএসএ ফিল্টার রয়েছে তা এখন একে বার বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি অথবা ফিটকিরি দিয়ে পানি পান করছে। সরেজমিনে দেখা যায় এসকল পুকুরের পানিতে ব্যাঙাচি জন্ম নিয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার দশটির বেশি গ্রামের ছয় হাজারের অধিক পরিবারের মানুষ এই পানির উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকে।

    দৈনন্দিন ব্যাবহারের জন্য কালিগঞ্জ ওয়াপদার বিভিন্ন পুকুর থেকে ব্যাঙাচি যুক্ত পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন নারীরা। এই ব্যাপারে নারায়নপুর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন“পানির আর কোন উৎস না থাকায় আমরা এই পানি সংগ্রহ করে ব্যাবহার করছি। এছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। বাজারে যে পানি কিনতে পাওয়া যায় তার দাম পূর্বের তুলনায় দিগুণ। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আয়ের উৎস কমে গেছে, তাই পানি কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।”
    রহিমা খাতুন আরোও জানান নোংরা পানিতে গোসল করার কারনে নারীদের সাদা ¯্রাব বেশি হচ্ছে (লিউকোরিয়া)। ডাক্তাররা পরিষ্কার পানিতে গোসল করার পরামর্শ দেন, কিন্তু যেখানে খাবার পানিই পাওয়া যায়না সেখানে গোসলের জন্য পরিষ্কার পানি পাওয়া দুষ্কর।
    বিশুদ্ধ পানির সংকট নিয়ে একই গ্রামের সফুরা জানান, খাবার পানির যেমন সমস্যা রয়েছে তেমনই তাদের রান্না এবং গোসলের জন্য নোনা পানি ব্যবহার করতে হয়, ফলে তাদের অধিকাংশের ডায়রিয়া আর আমাশয় এর মতো রোগ লেগেই আছে।

    মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাড়দাহেও দেখা গেছে একই চিত্র। কালা বোনিয়ায় পুকুরের পানিও তলানিতে ঠেকেছে, অগত্য মানুষ ঐ পানি সংগ্রহ করে খাচ্ছেন। এই পুকুরের পানি সাত গ্রামের তিনহাজার পরিবার সংগ্রহ করে খাচ্ছেন।
    ভূক্তভুগী হাড়দাহের হালিমা বেগম বলেন“পানি মেপে মেপে খাই। এই গরমে পানি মেপে খেলে কি শরীর থাকে? আমাদের বাড়ির সবারই উরিন্যাল ইনফেকশান। আমাদের এলাকায় শতকরা নিরানব্বইজনের এই সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি।”

    পানি বিক্রি করে সংসার চালনো রূপবান বলেন“আগে পিএসএ ফিল্টারের পানি নিয়ে বিক্রি করতাম, কিন্তু এখন পানি নেই। এখন সরাসরি নলকূপের পানি তুলে বিক্রি করছি। এই পানিও অতোটা ভালোনা, কিন্তু উপায় নেই। এছাড়া আর পানি কই? এখনবাধ্য হয়ে এই পানি মানুষকে দিতে হচ্ছে।”

    এই ব্যাপারে মথুরেশপুরের এক গ্রাম্য চিকিৎসক বলেন “ ইউরিন্যালইনফেকশান এবং লিকোরিয়া রোগী এখন একটু বেশি পাচ্ছি। পানি কম খাওয়ার কারনেই উরিন্যালইনফেকশান এবং নোংরা পানিতে গোসলের জন্য লিকোরিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বেড়েছে। পরবর্তীতে এই সকল অসুখ থেকে জরায়ুতে ইনফেকশান এবং ক্যান্সারও হতে পারে।”

    অপরদিকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত এমবিবিএস ডাক্তার মাহাতাব হোসেন বলেন“ করোনার মধ্যে সাধারণত জ¦র ছাড়া রোগী কম ভর্তি হচ্ছে বা ডাক্তার দেখাতে আসছে। তবে ইউরিন্যালইনফেকশান, যৌনাঙ্গে চুলকানি এবং সাদা স্রাব (লিউকোরিয়া) এর মতো অসুখ নিয়েও অনেকে আসছেন।”
    এই বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন “পানির সমস্যার বিষয়টি আমাদের অজানা নয়। ইতো পূর্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে আমরা বসেছি। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি,কিন্তু করোনার জন্য এই সমস্যা সমধানে তেমন অগ্রগতি হয়নি।”
    আগে জেলা পরিষদের অধীন বিভিন পুকুরে মাছচাষ করা হতো, স্থানীয় জনগনের পানির চাহিদা পূরণের জন্য এবছর সব পুকুর ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জনান তিনি।

  • শ্যামনগরে সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন

    শ্যামনগরে সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন

    শ্যামনগর বুরো: সুপার সাইক্লোন আম্পানে উপদ্রুত উপকুলীয় শ্যামনগরে সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভাঙন কবলিত বুড়িগোয়ালিনী এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সংহতি জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন প্রেসক্লাব ও উপজেলা যুব ফোরাম।
    গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন প্রেস ক্লাবের উপদেষ্ঠা এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য মলিনা রাণী রপ্তান। বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক দেবদাস সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক ওসমান গনি সোহাগ, সুব্রত গাইন, মোমিনুর রহমান প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পানে জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপকুলের বেড়িবাঁধ ভেঙে সর্বত্র লোনা পানি ঢুকে পড়ে। বাড়িঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের ভেসে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এই এলাকার একমাত্র পানির উৎস পানির আঁধার (পুকুরগুলো)। কোথাও কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় এনজিওরা পানির ব্যবস্থা করছিল। কিন্তু দশমাস পর তারাও দু’দিন পানি দিতে না পারায় সংকট এখন তীব্র। বেড়ে গেছে পানির জন্য হাহাকার। এ মুহুর্তে প্রশাসন পানির ব্যাবস্থা না করলে মানুষ তীব্র পানি তেষ্টায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যাবে।
    ফলে অতিদ্রুত সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    কৈখালী প্রতিনিধি: বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পবিত্র রমজান মাসে ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের ১নং ও ৩নং ওয়ার্ডের নদীপাড়ে বসবাসকারী গরীব-দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ইফতার সামগ্রী পৌছে দেন বুলবুল আহমেদ ফাউ-েশন। গতকাল রবিবার ৫ রজমানের দিন ঠেলা গাড়ী করে বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব বুলবুল আহমেদ স্থানীয় মুরুব্বিদেরকে নিয়ে পশ্চিম কৈখালী ভদ্রখালী,নদীপাড় বসবাসকারী,পূর্ব কৈখালী সাহেবখালী পাড়া ও বড় মৌকটলা পাড়া , প্রায় ২৫০ পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ইফতার বিরতণ করেন। ইফতার বিতরণের সার্বিক ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বুলবুল আহমেদ সহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ।
    তিনি বলেন, রোজাদারদের হাতে ইফতারি তুলে দেয়া প্রত্যেক মুসলমানের পবিত্র ইমানী দায়িত্ব। বিগত দু’বছর ধরে করোনা প্রার্দূভাব জনিত কারণে সাধারণ জীবন যাপন ছন্দহীন হয়ে পড়েছে। ঘরের বাইরে যারা খেটে খাওয়া মানুষ আছেন এবং বিভিন্ন কাজে কর্মে দিনমজুর অসহায় গরিব সেই সকল রোজাদার মানুষের ইফতার গ্রহণের খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাদের হাতে ইফতার তুলে দিতে একটি মানবিক ও ধর্মীয় কর্তব্য বোধ থেকে আমাদের এই আয়োজন।

  • কৈখালী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ: আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    কৈখালী প্রতিনিধি,,আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া বাঁধ গ্রামবাসীর সেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা ছাড়া কোনো সরকারি বাজেটের কাজ না হওয়ায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের কালিন্দী নদীপাড় পশ্চিম কৈখালী পূর্ব কৈখালী ।

    স্বস্তি নেই এলাকাবাসীর মাঝে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রমে হতাশ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। লোকবল দিয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগী স্থানীয়দের।

    গত আম্ফানে পশ্চিম কৈখালী কালিন্দী নদীর বাঁধ সংলগ্ন বসাবসকারী আরমান খাঁর বাড়ি হতে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকির বাড়ি হয়ে সিরাজুল গাজী ও আজবাহারের বাড়িপর্যন্ত খুবই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ,গত আম্ফানে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকলে বেড়িবাঁধের গা ঘেঁষে বসবাসকারী স্থানীয়দের চিৎকারে সবাই একত্রিত প্রচেষ্টায় বড় ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁধ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বেড়িবাঁধটি এখন, কোথাও ৩ ফুট কোথাও ৪ ফুট রাস্তা উঁচু আবার বাঁধ ফাটল ধরতে ধরতে একেবারে চিকন হয়ে পড়েছে যাহা উপকূলের মানুষের খুবই ভয়ানক দৃশ্য।বুলবুল আম্ফান এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিনিয়ত স্থানীয় ভুক্তভোগী নদীপাড়ে বসবাসকারী অসহায় এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ করে আসছেন, এখন দ্রুত প্রয়োজন সরকারি বাজেটের কাজ ও সহায়তা।

    অন্যদিকে, যখনই বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে যায় বা বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন লাগে তখনই জীবন বাজি রেখে বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের এই নদীপাড়ে বসবাসকারী মানুষেরা।

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারিতে কৈখালী বিভিন্ন বেড়িবাঁধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কাজ চলমান কিন্তু আরমান খাঁর বাড়ি হতে মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকির বাড়ি হয়ে সিরাজুল গাজী ও আজবাহারের বাড়ি পর্যন্ত গ্রামের মানুষের সেচ্ছাশ্রম ছাড়া কোনো সরকারি বেসরকারি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাউকে পাওয়া যায়নি,দৈনিক দক্ষিণের মশালে সংবাদ সংগ্রহকালে সরেজমিনে দেখা যায় এই ভয়াবহ বেড়িবাঁধ টেকসই বেড়িবাঁধের মাধ্যমে কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী পূর্ব কৈখালীর কৃষি ফসলাদি জমি মাছের পুকুর গবাদী পশু মানুষ সহ ক্ষেত খামারী হাজার হাজার বিঘা জমি প্লাবন থেকে রক্ষা পাবে।
    আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগে কাজ না হলে বড় ধরনের কোনো জোয়ারে যে কোনো সময় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।

    স্থানীয়রা জানান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম গাফিলতির কারণে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সহ মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

  • শ্যামনগরে আমেরিকা প্রবাসী বাঙালি অণুজীববিজ্ঞানী ডক্টর আবু সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদ চন্ডিপুর পল্লীতে শনিবার রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমেরিকা প্রবাসী বাঙালি অণুজীববিজ্ঞানী ডঃ আবু সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ি থেকে ২৪ ভরি সোনা, নগদ ৩ লাখ টাকা ও জমির সকল দলিল দস্তাবেজ লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।ডাকাতির সময় হাজী আশরাফ আলীর বড় ছেলে আব্দুস সাত্তার বাড়িতে ছিলেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২ টার পরে পাঁচ সদস্যের একটি ডাকাত দল তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে তাদের তিনজনকে জিম্মি করে একটি অন্ধকার ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। মুখোশ পরা পাঁচজন ডাকাত তাদের পশ্চিম দিকের পুরানো বিল্ডিংয়ের কাঠের জানালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর নতুন বিল্ডিং এর দরজার হ্যাজবোল্ড ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাঁর গলা চেপে ধরে। সে সময় ডাকতরা বাড়ির কোথায় কী আছে জানতে চায়।তারপর একটি ঘরে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে তাদেরকে আটকে রাখে। একপর্যায়ে বাড়ির সবকিছু তছনছ করে ডাকাতরা। তারা চারটি আলমারি, দুইটি ওয়ারড্রপ, স্টিলের ড্রাম ভেঙে সেখান থেকে জমির সকল দলিল দস্তাবেজ, নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ২৪ ভরি সোনা লুট করে ডাকাতরা সেহেরীর আগে পালিয়ে যায়।
    শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কাজী শহীদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন কাজী শহিদুল হক।

  • হিন্দু ভোট না পাওয়ার আশঙ্কায় ফুলতলায় (শ্যামনগর) মন্দির, প্রতিমা ও বাড়িঘর ভাঙচুর: প্রতিবাদ সমাবেশ

    শ্যামনগর উপাজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে এক সপ্তাহ আগে এক কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদের বিষয়টি দাবার গুটি হিসেবে কাজে লাগিয়ে ফুলতলা এলাকায় দু’টি বাড়ি, রাস মন্দির, শীতলা মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে চারজন নারীসহ ১১জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আগামি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হিন্দুরা হরিপদ হালাদারকে ভোট দেবে এমন আশঙ্কা করে তার প্রতিশোধ নিতে গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আকবর আলী পাড়ের নেতৃত্বে তার শ্যালক বংশীপুরের আব্দুল আলিমসহ শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। আকবর পাড় ও আব্দুল আলীমসহ সকল হামলাকারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হিন্দু পাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিজেদের একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করার বিকল্প কিছু নেই।
    শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কদমতলা গ্রামের ফুলতলা রাস মন্দির ও শীতলা মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
    বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের শ্যামনগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিকাশ কুমার ম-লের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, দীপ্ত টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, সাংবাদিক পিযুষ বাউয়ালিয়া পিন্টু, শিক্ষক জয়দেব বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোলায়মান কবীর, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ, সুনাম শ্যামনগর শাখার সভাপতি কুমুদ রঞ্জন গাইন, সুশীলনের সহকারি পরিচালক মনিরুজ্জামান বাবলু, ব্যবসায়ি বরুণ ঘোষ,সমাজসেবক আব্দুর রশীদ, হরিপদ হালদার, সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল আলম, নির্যাতিত রীতা বাউলিয়া, মমতা ম-ল প্রমুখ।
    গোবিন্দ বাউলিয়ার স্ত্রী রীতা বাউলিয়া বলেন, তারা দীর্ঘদিন আকবর পাড়কে ভোট দেন। বর্তমানে তার স্বামী গোবিন্দ বাউলিয়া সম্ভাব্য ইউপি সদস্য প্রার্থী হরিদাস হালদারের সঙ্গে চলাফেরা করে। এরজন্য তাকে ডেকে সতর্ক করেছেন আকবর আলী পাড়। হরিদাসের পক্ষে ভোট করবে বলে আকবর মেম্বর সুভাষ বাউলিয়া, মৃত্যুঞ্জয় বাউলিয়া, গোবিন্দ বাউলিয়া ও তারক বাউলিয়াকে ভাল চোখে দেখতেন না। তাই গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গ্রামের পূজা ম-লকে উত্যক্ত করার ঘটনার প্রতিবাদ করার ঘটনাটি এক সপ্তাহ পর ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে হিন্দু পাড়ার ভোটারদের তার পক্ষে নিয়ে আসতে ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরপরই দূর সম্পর্কের শ্যালক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বংশীপুরের আব্দুল আলিম ও আকবর পাড়ের নেতৃত্বে নগেন বাউলিয়া ও সুভাষ বাউলিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে ওই দু’টি বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন্ করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আকবরের বাড়ির ছাদ থেকে ইট ভেঙে সুভাষ ও নগেন বাউলিয়ার বাড়ি, রান্না ঘর ও গোয়াল ঘরের চাল ভেঙে দেওয়া ড়য়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ঘরের উঠানে। তারপর ঘরের মধ্যে ঢুকে খাটের নিচে দু’শিশুকে নিয়ে পালিয়ে থাকা মমতাকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হয়। খুলে নেওয়া হয় তার কানের দুুল, গলার সোনার চেইন ও মোবাইল সেট। নগেন বাউলিয়ার দু’কিশোরী মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। দু’টি সাইকেল, ল্যপটপ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে হামসলাকারিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে গোবিন্দ বাউলিয়া, সুভাষ বাউলিয়া, নিত্যানন্দ বাউলিয়া, মিলন বাউলিয়া, মমতা, যতীন ও দীপিকাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। মন্দিরে অবস্থানকারি তপন ম-লকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার পর শীতলা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় রাস মন্দির ও শীতলা মন্দিরে। রীতা ও মমতা আত্মরক্ষার জন্য আকবর মেম্বরের পায়ে ধরেও ক্ষমা পাননি। মামলা করায় এখনো বহিরাগতরা সন্ধ্যার পর হিন্দু পাড়ায় এসে বাড়ি[ বাড়ি হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রীতা ও মমতা।
    প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আব্দুর রশীদ আকবর পাড় ও আলীমের নেতৃত্বে নগেন ও সুভাষ বাউলিয়ার বাড়ি ও দুটি মন্দিরে ভাঙচুরের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
    সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলাম বলেন, আকবর পাড়ের বাবা রাজাকার ছিল। নকিপুরের সুরেন ম-লকে ১৯৭১ সালে গুলি করে হত্যা করেন আকবরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া হরিনগরে ৭১ জনকে লাইনে দাড় করিয়ে হত্যার ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের হাত ছিল। বাউলিয়া পাড়ায় ও মন্দিরে বর্বরোচিত হামলার ভয়াবহ বর্ণনা দিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পাশপাশি নির্যাতিতদের সার্বিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে খায়রুল ইসলাম আরো বলেন, আকবর ২০১৬ সালে মন্দিরের পাশে তাপস মু-া ও মৃত্যুঞ্জয় মু-ার জমি জবরদখল করে বাড়ি বানিয়েছে। সরকারি বিভিন্ন অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জামায়াতের সাবেক সক্রিয় জামায়াত কর্মী আকবর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ইচ্ছামত টাকা আদায় করে থাকে।
    শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক রিপন মল্লিক জানান, কদমতলায় দুটি বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, লুটপাটসহ ১১জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার পাশপাশি মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের মামলায় বংশীপুরের ইউসুফ গাজী ও জমাত গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে: প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

    ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে: প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীকে ধর্মান্তিরত করে বিয়ে করার অভিযোগে শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন কৈয়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । এ সময় স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর গ্রামের এক মুদি ব্যবসায়ি জানান, ২০১৯ সালে তার মেয়ে নূরনগর আশালতা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাশ করে। বর্তমানে কার্টুনিয়া রাজবাড়ি কলেজে মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত ২ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে দুপুর দু’টোর সময়ও বাড়ি না ফেরায় সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় পরদিন তিনি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (১৮২)করেন। ৭ এপ্রিল ফেইসবুকে তার মেয়ে ও প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ খুলনার এক নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বসে ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ে সংক্রান্ত এক নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে সাক্ষর করছেন এমন ছবি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে জানান। একপর্যায়ে ৭ এপ্রিল তিনি শামীম আহমেদ এর বিরুদ্ধে থানায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরদিন তার মেয়েকে উদ্ধার ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। ১০ এপ্রিল শামীম আহম্মেদকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কেন তাকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। শামীম আহম্মেদ ইতিপূর্বে তিনটি বিয়ে করেছেন বলে তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন।
    কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোহাইমেনুর রশিদ শুক্রবার বিকেল চারটায় শ্যামনগর থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন কৈয়ে বাজারের পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রধান শিক্ষক শামীম আহম্মেদকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। শামীম আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে। একই দিনে ভিকটিমকে ২২ ধারার জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতে ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

  • সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে গিয়ে মৌয়াল নিহত, পৃথক ঘটনায় আহত ১

    সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে গিয়ে মৌয়াল নিহত, পৃথক ঘটনায় আহত ১

    • অনলাইন ডেস্ক:

    সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে হাবিবুর রহমান (২৭) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন।
    বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের হোগলদড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।
    নিহত হাবিবুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগাঙ গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।

    নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই আনিস মোল্লা জানান, তারা সাতজন এক সাথে গত ১ এপ্রিল মধু আহরণ করতে সুন্দরবনে যান। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মধু আহরণের জন্য হোগলদড়া খালে নৌকা বাধেন। এসময় তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান একা একা আগেই বনে ওঠে। এর কিছুক্ষণ পরে তিনি বনে উঠেই দেখেন তার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এসময় তার সামনে দিয়ে আক্রমণকারী বাঘটি চলে যায়। পরে নিহত হাবিবুরের মরদেহ নিয়ে লোকালয়ে ফেরেন তারা।
    বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এদিকে, সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে গিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাছিকাটা এলাকায় বাঘের আক্রমণে আহত হন রবিউল শেখ (২২) নামে এক মৌয়াল। বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আহত রবিউল শেখকে নিয়ে লোকালয়ে ফিরেছেন তার সহকর্মীরা।
    আহত রবিউল শেখ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরার হালিম শেখের ছেলে।

    রবিউল শেখের শ্বাশুড়ি ঝর্না খাতুন জানান, গত ১ এপ্রিল তার জামাতা রবিউল শেখ অন্যান্য মৌয়ালদের সাথে মধু আহরণ করতে সুন্দরবনে যায়। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে কাছিকাটা এলাকায় মধু আহরণকালে একটি বাঘ রবিউলের উপর হামলে পড়ে। কোন মতে প্রাণে বেঁচে আসলেও তার গলার একটি অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টাইগার টিমের সহায়তায় বাঘের আক্রমণে আহত রবিউলকে লোকালয়ে আনা হয়েছে।

  • শ্যামনগরের ফুলতলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর।। আহত ৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    তুচ্ছ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলতলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সাতজন নারীপুরুষ আহত হয়ে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, স্থানীয় একটি হিন্দু মেয়ের সাথে আরেক পাড়ার তুচ্ছ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা জানার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল স্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে এএসপি (কালিগঞ্জ সার্কেল) এস এম মোহাইমিনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র ডালিম কুমার ঘরামী জানান, স্থানীয় এক কিশোরীর সাথে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ গ্যারেজ ও ঈশ্বরীপুরের একদল দূবৃত্ত ফুলতলা গ্রামের সুভাষ বাউলিয়া ও নগেন্দ্রনাথের বাড়ি ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে শতাধিক হামলাকারী অতর্কিতে হামলা চালায়। স্থানীয়রা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির মতো নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেলে কাছে কার্যত এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। এই হামলায় আহত নগেন্দ্র বাউলিয়া (৬০), সুভাষ বাউলিয়া (৪২), গোবিন্দ বাউলিয়া (৪০), যতীন বাউলিয়া (৩৮), মিলন বাউলিয়া (২০), নিত্যানন্দ (১৮), মমতা বাউলিয়া (২৫) ও তপন বাউলিয়া (৪৮) কে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    যতীন বাউলিয়া বলেন, স্থানীয় মেয়েদের সাথে বখাটে পল্লব ও আলীমদের ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় পল্লব, আকবর মেম্বর, আলীম গাজী, আলীম মোড়ল, রবিউল, কুদ্দুস, আলম গাজী, আয়জুল, খোকন, মিলন, ইয়াকুব, সুজন, সাইদুলের নেতৃত্বে শতাধিক বিভিন্ন বয়সী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে শীতলা মন্দির ও রাসমনি মন্দির এবং সুভাষ ও নগেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
    শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাঈদ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, মানবাধিকার কর্মী মোহন কুমার মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের স্বান্তনা প্রদান করেন।

  • সুুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘের পৃথক দুটি আক্রমণে  এক  নিহত, এক  জন আহত

    সুুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘের পৃথক দুটি আক্রমণে এক নিহত, এক জন আহত


    বিশেষ প্রতিনিধি: সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু সংগ্রহ করতে যেয়ে হাবিবুর রহমান (২৭) নামের এক মৌয়াল বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে সুন্দরবনের হোগলডাঙা এলাকায় মধু সংগ্রহকালে তিনি বাঘের কবলে পড়েন। বেলা সাড়ে বারটার দিকে স্থানীয়রা বনবিভাগের সহায়তা নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে প্রবেশ করে অর্ধ খাওয়া মৃতদেহ নিয়ে এলাকায় ফিরে আসে।
    রমজাননগর ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম জানান, কৈখালী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে ৪ এপ্রিল সহযোগীদের সাথে উপজেলার মীরগাঙ গ্রামের হাবিবুর রহামন সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। বুধবার সকালে আকস্মিকভাবে বাঘ তার উপর হামলে পড়ে এবং ধরে নিয়ে বনের গভীরে চলে যায়। এক পর্যায়ে সহযোগী মৌয়ালদের মাধ্যমে হাবিবুরকে বাঘে নিয়ে যাওয়ার খবরে স্থানীয়রা সুন্দরবনে ঢুকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
    এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের কাছিকাটা পারাদুনি এলাকায় মধু সংগ্রহ করার সময় সোরা গ্রামের রবিউল ইসলাম বাঘের হামলায় আহত হন। বাঘ রবিউলের ঘাঁড়সহ মাথায় দাঁত বসিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পিঠ ও হাতে নখের আঁচড় দিয়ে মারাত্বকভাবে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
    সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, সুন্দরবনে বাঘের আত্রমনের দুটি পৃথক ঘটনায় দুইজন হতাহতের খবর লোকমুখে শুনেছেন। তাদেরকে ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে যদি তারা পাশ (অনুমতিপত্র) নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে থাকে।

  • শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ভ্যানচালকের মৃত্যু

    শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ভ্যানচালকের মৃত্যু


    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ভ্যানচালকের করুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ভ্যানচালক শ্যামনগর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোমিন শেখের পুত্র মাহবুব শেখ (১৮)। ঘটনাসূত্রে জানা যায় গতকাল সকাল ৮ টায় মাহবুব ভুরুলিয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আসার সময় ভুরুলিয়া ৫৬ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার গতিরোধক বুজতে না পেরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প¦ার্শবর্তী বিদ্যুতের খুটিতে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রামনগর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।