Category: শ্যামনগর

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বন বিভাগের গাছ কর্তন করে ভূমি দখলের অভিযোগ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বন বিভাগের গাছ কর্তন করে ভূমি দখলের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় নওয়াঁেবকী খেয়াঘাটের দক্ষীন পাশে বন বিভাগের বনায়নের গাছ কর্তন করে ভূমি দখলের অভিযোগ করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগরে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়ন নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন ফেরিঘাটের পাশে একটি বনায়ন কর্মসূচী গড়ে উঠছে ৭-৮ বছর আগে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এই বনায়ন কর্মসূচী পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা বন বিভাগ। সেই বনায়নের জায়গায় গাছগুলো নষ্ট করে সেখানে বালি ভরাট করে পরবর্তীতে সেই জায়গাটি দখল করবে বলে পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল।

    এই বিষয়ে নওয়াবেঁকী বিএনপির নেতা আবুল কালাম হাজী বলেন,স্কুল শিক্ষক রতন বন বিভাগের এনজিও প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়ে এই বনায়ন নিধনের পাইতারা করছে আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ নিন্দা জ্ঞাপন করছি।স্কুল শিক্ষক রতন তার ভাই ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মি ছিলো এখন নব্য বিএনপির বড় নেতা সেই প্রভাব খাটিয়ে রতন বন বিভাগের জায়গা দখলের চেষ্টা চালাছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো: সৌরভ হোসেন জানান, আমাদের এলাকায় বনায়নের গাছ কর্তন করে বন বিভাগের জায়গা দখলের পায়তারা করছে স্থানীয় একটি দখলদার বাহিনী আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    স্থানীয় পদ্দপুকুর এলাকার মোঃ আয়্যুব আলী বলেন, বনায়ন জায়গা দখল করে গাছ কর্তন করতে দেওয়া হবে না আমরা স্থানীয়রা এটাকে প্রতিহত করবো এবং আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক বিসিএস (বন) প্রিয়াংকা হালদারের কাছে ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

  • শ্যামনগরে স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক উন্নয়ন (এবিসিডি) প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক উন্নয়ন (এবিসিডি) প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ ও ১৮ জুন ২০২৫ তারিখ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প অফিসে দুই দিনব্যাপী দুই ব্যাচে এবিসিডি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রানী। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলিমা রানী, সিসিডিবি-পিসিআরসিবি প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর সুজন বিশ্বাস এবং সিসিডিবি-সিসিআরবি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার নির্মল টুডু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২টি ব্যাচে সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্পের নারী দলের মোট ৪০ জন সদস্য প্রমূখ।

    প্রশিক্ষণ শেষে কাজল বেগম বলেন, “আমি নিজে কি করতে পারি তা খুঁজে বের করতে হবে। অন্যের উপর ভরসা করে থাকলে আমরা উন্নতি করতে পারবো না।”

    অমৃতা রানী বলেন, “আমাদেরকে আপনাদের সাহায্য ছাড়া কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। সিসিডিবি না থাকলেও যেন আমরা আমাদের কাজ চলমান রাখতে পারি এই বিষয়টা আমরাই প্রশিক্ষণ থেকে শিখলাম। ”

    নিলু সরদার বলেন, “আমরা আজ কিছু নতুন নতুন বিষয় শিখতে পেরেছি, যেমন- লিকি বাকেট বিষয়টা আমাদের জানা ছিল না।”

    স্বপ্না আক্তার বিউটি বলেন, ” আমাদের একটি ভুল ধারণা ছিল আমরা ভাবতাম আমাদের ব্যয় বেশি আয় কম। কিন্তু আজ আমরা বুঝলাম যে, আমাদের আয় আছে কিন্তু আমরা সেটা দেখতে পাই না। । এই প্রশিক্ষণ থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি।” এমন একটি প্রশিক্ষণ আয়োজন করার জন্য  সিসিডিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

  • শ্যামনগরে দুই বন দস্যু আটক, উদ্ধার একনলা বন্দুক

    শ্যামনগরে দুই বন দস্যু আটক, উদ্ধার একনলা বন্দুক

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে দুই বনদস্যুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক দুই বনদস্যুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।

    আটক দুই বনদস্যু হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর এলাকার মৃত নওশাদ গাজীর ছেলে নজির গাজী (৫৫) ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বৈকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৮)।

    স্থানীয় আকবর আলী, সিদ্দিক হোসেন ও ইসমাইল হোসেন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপরিচিত পাঁচ/সাত জন ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে আসে। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এসব ব্যক্তি মাইক্রো বা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের সন্ধান করতে থাকে।

    একপর্যায়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নাম-পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় যতীন্দ্রনগর বাজারে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে দিদারুলকে আটকের পর পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিদারুলকে থানায় নিয়ে যায়। পরে মীরগাং এলাকা থেকে অপর বনদস্যু নজিরকে আটক করে স্থানীয়রা এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই চক্রের ব্যবহৃত মাছ শিকারের নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করা হয়।

    আটক নজির গাজী জানায়, সে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদুস্য জোনাব বাহিনীর সদস্যদের লোকালয়ে তুলে দেয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন।

    আটক অপর বনদস্যু দিদারুল জানায়, তিনি নজির গাজীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করাসহ মুক্তিপণ আদায়ের কাজ করেন।

    এদিকে ইসমাইল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফ হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব বেশী তৎপর না। বরং নজির ও তার ছেলে আব্দুর রহিম, দিদারুলসহ মুন্সিগঞ্জ এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতা করে। পরিবহন ব্যবসার সাথে জড়িত মুন্সিগঞ্জের এক ব্যক্তির নৌকার জেলে হিসেবে দিদারুল সুন্দরবনে প্রবেশ করে বলেও তাদের দাবি।

    তারা আরও জানান, প্রায় প্রতিটি জেলে নৌকা একাধিকবার জলদস্যুদের কবলে পড়লেও অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবহন ব্যবসায়ীর কোন নৌকা থেকে জেলে উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা কখনো শোনা যায়নি।

    এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা মাছ শিকারীর ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।

  • শ্যামনগরে দুই মিষ্টির দোকানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি

    শ্যামনগরে দুই মিষ্টির দোকানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি ও বিক্রির অপরাধে দুইটি দোকানকে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রমিজ সুইটস এবং মিষ্টি মহল অ্যান্ড সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারি নামের দুটি দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানকালে দেখা যায়, দোকানগুলোতে নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক দোকানমালিককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

    অভিযান পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন। তিনি জানান, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন ও বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ

    সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি চালের আড়ৎ থেকে ৭৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) রাতে উপজেলার নূরনগর বাজারের পুরাতন মৎস্য আড়ৎ সংলগ্ন আল্লাহর দান চাউলের আড়ৎ থেকে এই চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।

    খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রামযুক্ত সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে এসব চাল বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করেছিলেন নুরনগর বাজারের আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুল। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাতের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালগুলো জব্দ করে। পরে জব্দকৃত চাল স্থানীয় কয়েকটি মাদরাসা ও এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।

    এছাড়াও এ ঘটনায় সরকারি চাল সংরক্ষণ ও বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করা হয়।

    ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান বকুল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শোকর আলী গাজীর ছেলে।

    অবৈধভাবে সরকারি চাল মজুদকারী শাহিনুর রহমান বকুল বলেন, তিনি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবু মুসা ও জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল (১২৫০ টাকা বস্তা দরে) ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। রাতে অভিযানে এসে এসিল্যান্ড চালগুলো জব্দ করে নিয়ে গেছে।

    তবে কাশিমাড়ি এলাকার ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, নুরনগর বাজারের একটি চাউলের দোকানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল মজুদ রয়েছে এমন সংবাদে সেখানে অভিযানে যাই। সেখানে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করি। যেহেতু আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিকের ৭৫ বস্তা সরকারি বস্তা পরিবর্তন করা চাল জব্দ করা হয়েছে সে কারণে তাকে জরিমানা করা হয়।

    এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল বাজারে বিক্রি করা বা ব্যক্তিমালিকানাধীন গুদামে মজুদ রাখা বেআইনি।

    অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাতের সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শারিদ বিন শফিকসহ উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী ও শ্যামনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে স্থানীয় মনিরুজ্জামান, জোবায়ের, হাফিজুর রহমান ও তাহমিনুর রহমান এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্তের দাবি জানান।

    এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শ্যামনগর সীমান্তে বিজিবি’র বিওপির উদ্বোধন

    শ্যামনগর সীমান্তে বিজিবি’র বিওপির উদ্বোধন

    অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি, সীমান্তের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধান ও চোরাচালান দমনসহ অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সীমান্তবর্তী ছুটিপুর এলাকায় একটি নতুন বিওপির উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) সকালে বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ূন কবীর, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্যামনগরের নীলডুমুরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নবনির্মিত এই ‘ছুটিপুর বিওপি’র উদ্বোধন করেন।

    এসময় বিজিবির খুলনা সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার ও যশোর রিজিয়নের পরিচালক (অপারেশন) লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. শাহারিয়ার রাজীব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জুনিয়র কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিজিবির ছুটিপুর বিওপির উদ্বোধন শেষে সেক্টর কমান্ডার নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর অধীনস্থ ও দায়িত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

    পরে প্রধান অতিথি ছুটিপুর বিওপিতে স্থানীয় অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন এবং দুস্থ ও অসহায় জনসাধারণের মাঝে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

    সাতক্ষীরার নীলডুমরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. শাহরিয়ার রাজিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

  • সন্ত্রাসী আনসার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে জবেদ আলী মুকুলের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ

    সন্ত্রাসী আনসার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে জবেদ আলী মুকুলের নামে অপপ্রচারের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    শ্যামনগরে আনসার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী জবেদ আলী মুকুলের নামে অনলাইনে নানারকম কুৎসা ছড়ানো এবং হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
    শ্যামনগর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত জবেদ আলী মুকুল তার অভিযোগে বলেন, একই উপজেলা ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলী মিস্ত্রি ছেলে আনসার মিস্ত্রী ও তার চাচা মৃত ফকির মিস্ত্রিথ ছেলে হামিদ মিস্ত্রি মুকুলের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
    জাবেদ আলী মুকুল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনসার মিস্ত্রি তাকে ব্যবসায়িক ক্ষতি করতে, সামাজিকভাবে হেও করতে এবং এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি করতে অনলাইনে ভুয়া পেজ খুলে বিভিন্ন প্রচার চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আনসার মিস্ত্রি ভুয়া পুলিশ নিয়ে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করেছে। এতে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
    উল্লেখ্য: আনসার মিস্ত্রী ও তার চাচা হামিদ মিস্ত্রী এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি। আনসার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, গরু চুরি মামলা, মাদক মামলা, ঘের দখল, জাল দলিল তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলায় আনসার মিস্ত্রী জেল খেটেছে। শ্যামনগরের একজন জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বিগত দশ বছর সে এলাকায়
    ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
    ভুক্তভোগী জাবেদ আলী মুকুল ও তার পরিবার সন্ত্রাসী আনসার মিস্ত্রী ও তার চাচা হামিদ মিস্ত্রির এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
    এই রিপোর্ট লেখার সময় ভুক্তভোগী জাবেদ আলী মুকুল সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
  • শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর উপর গণশুনানি

    শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর উপর গণশুনানি

    আজ শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও এ্যাম্বাসি অব সুইডেনের সহযোগিতায়
    কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ)  প্রকল্পের আওতায়
    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৩৬ নং আড়পাঙ্গাশিয়া স্কুলের সাইক্লোন শেল্টার প্রাঙ্গণে  গণশুনানির আয়োজন
    করা হয় ।
    এই গণশুনানি সামাজিক জবাবদিহিতার একটি টুলস যার মাধ্যমে সেবাদাতাগনের সেবার মান উন্নীত করার
    পাশাপাশি সেবাদাতা ও সেবা গ্রহীতার মাঝে সেতু বন্ধন তৈরি করে। সেই সাথে সেবা গ্রহীতা এবং সাধারন
    মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা ও ক্ষমতায়নের পথ তৈরি করে, এই লক্ষ্যে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ।
    উক্ত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব
    এস.এম. দেলোয়ার হোসেন । আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর থানার এসআই জনাব কামরুল ইসলাম,
    আড়পাঙ্গাশিয়া পি এন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব সৌমিত্র জোয়ারদার , শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবার
    ফিল্ড সুপারভাইজার জনাব পথিক কুমার মণ্ডল  , বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের  ৪,৫ ও ৬ নম্বর  ওয়ার্ড
    এর ইউপি সদস্য উমা রানী মল্লিক, বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের ২  নম্বর  ওয়ার্ড এর ইউপি জনাব
    মাহতাব উদ্দিন , সুন্দরবন প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোঃ বেল্লাল হোসেন , উপকূলীয় প্রেস ক্লাব এর
    সভাপতি জনাব এম এ হালিম , লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবিএম জাকারিয়া ও CREA প্রকল্পের
    অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ।
    বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে উক্ত গনশুনানির
    কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় ।
    আজকের এই গণশুনানিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সমাজসেবা দপ্তরের যত সেবা আছে সব সেবার
    কার্যক্রম বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন সরকার তার প্রতিটা সেবার কার্যক্রম বর্তমানে
    ইউনিয়ন পরিষদে সবার সামনে আলোচনার মাধ্যমে সিধান্ত নিবেন ।  এছাড়াও উক্ত গণশুনানিতে আগত সব
    উপকার ভোগীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন  উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ।

  • শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি একটি উন্নয়নমুলক বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

    সেই লক্ষ্যে ১২ ও ১৩ মে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের ১০ জন নারী সদস্য, ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ৫ জন জেন্ডার নেটওয়ার্ক গুরুপের সদস্যদের ২ দিন ব্যাপী জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। আজ বিকাল ৪ টায় উক্ত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাজী নজরুল ইসলাম। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ গাজী, সচিব রিয়াজুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রানী ও এনগেজ প্রকল্পের কর্মীবৃন্দ।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে জেন্ডার বাজেটিং নিয়ে কাজ করছে এটা খুবই প্রশংসনীয়। তিনি জেন্ডার বাজেটিং কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০ বছরের নিচে যদি কোন মায়ের বয়স হয় তাহলে তার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন হবে না। তিনি আরো বলেন, ডিসি অফিসে যে মিটিং হয় আমরা যদি সেখানে বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারি এবং তারা মন্ত্রণালয়ে জানায় তাহলে বাজেট জেন্ডার সংবেদনশীল করা সম্ভব।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প আপনাদের দুইদিন ব্যাপী যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তা যদি আপনারা ভালোভাবে বুঝে এবং কাজে লাগাতে পারেন তাহলে প্রশিক্ষণ দেওয়া সার্থক হবে।

  • শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

    শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে মোটরে পানি তোলার সময় বিদ্যুতের লিকেজ তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি পুকুরে পড়ে যান।

    নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মাওলানা ফজলুল হক গাজী (৫৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী তারানীপুর গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। ফজলুল হক স্থানীয় দরগাপুর এনডিএস ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, ফজলুল হক গাজী নতুন জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করার জন্য চারপাশে বিম ঢালাই দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছিলেন। সোমবার ভোরে নির্মাণাধীন প্রাচীরে পানি দেয়ার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে বসানো মটরে হাত দিলে বিদ্যুতের লিকেজ তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি পুকুরে পড়ে যান। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে সকাল ৮টার দিকে একই গ্রামের আল আমিনের ছেলে রব খেলা করার জন্য পুকুরপাড়ে গিয়ে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে তার দাদা আশরাফ গাজীকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ এসে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

  • ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন

    ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামে ভূমিদস্যু কর্তৃক অসহায় ১০টি পরিবারের শতবছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগিদের পক্ষে রমজাননগর গ্রামের নির্মল বর্মন এর মেয়ে বনলতা বর্মন এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামে আমিসহ আরও ১০টি পরিবার আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ১০০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করিয়া আসছি। কিন্তু গত প্রায় ২ মাস আগে থেকে এলাকার চিহিৃত ভূমিদস্যু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অন্যতম দোসর কানাই লাল বর্মনের নেতৃত্বে কমলেশ, রাকেশসহ আরও ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক আমাদের উক্ত ভিটাবাড়ি দখলের পায়তারা করছে। তারা আমাদেরেকে ভিটাবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছে। না গেলে খুনজখম করবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কানাই লাল আমাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছে। না গেলে বিনা পাসপোর্টে ভারতে পাঠিয়ে দিবে বলে প্রচার দিয়ে বেড়াচ্ছে।
    বনলতা বর্মন আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত অসহায় ও গরীব মানুষ। দিন আনতে পান্তা ফুরায়। কায়িক পশ্রিমের মাধ্যমে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে শান্তিপূর্ণ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু পরসম্পদ লোভি কানাই লাল নামক এক শকুনের চোখ পড়েছে আমাদের সম্পত্তির উপর। আমরা এই পরিবারগুলো বর্তমানে তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, কানাই লাল গংরা গত ৭ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করতে আসলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তারা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যায় যে,শুক্রবারের দিন আমাদেও ১০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে জমি দখলে নিবে। এছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। এ কারণে আমরা সকলে অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তাদের দ্বারা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
    তিনি ভূমিদস্যু কানাই লাল গংদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়ে যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে রমজাননগর গ্রামের হরিদাস বর্মন, নির্মল বর্মন, নিমাই বর্মন, সুকুমার বর্মন, হরিদাসী, সুনীল বর্মন, তপতি মন্ডল ও বিমল বর্মন উপস্থিত ছিলেন ।

  • মিথ্যে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি কর্তৃক কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে (৬ এপ্রিল) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের স্ত্রী রোকসানা পারভিন এই অভিযোগ করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের ইউএনও এবং ওসির কারসাজিতে গত ২৭ মার্চ ২৫‘ আমার স্বামী চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। তিনি সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন। দুইবার তিনি আওয়ামী প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কাজ করা ছাড়া তিনি কখনো রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অংশ গ্রহন করেননি।
    তিনি আরো বলেন, কৈখালীবাসীর জন্য কাজ করতে গিয়ে বিগত আ’লীগের আমলে জামায়াত নেতার তকমা দিয়ে তাকে বহু মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হয়েছিলো। ছাত্র জনতার হাতে শেখ হাসিনার পতনের পরে আমরা ভেবেছিলাম গায়েবী মামলায় হয়রানী হাত থেকে সাধারন মানুষ বেচে গিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম শেখ হাসিনার দোষর যারা এখনও প্রশাসনের ভেতরে বিরাজ করছে, তারা কৌশলে গায়েবী মামলায় হয়রানীর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
    রোকসানা পারভীন বলেন, পরানপুর মৌজার ৩২ একর জমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিঃ আদালতের এম সি ৩৪/৮৩ নং মামলায় চেয়ারম্যান রিসিভার থাকেন। কিন্তু আদালতের এক আদেশে শ্যামনগরের ইউএনও কে রিসিভার দেওয়া হয়। কিন্তু অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ এর ঐ আদেশ সাতক্ষীরার জেলা জজ স্থগিত করে চেয়ারম্যানকে পুনরায় রিসিভার নিয়োগ দেন। এর পরে ওই ৩২ একর জমি ২০২৫ সালের জন্য চেয়ারম্যান রিসিভার প্রাপ্ত হয়ে লীজের সর্বচ্চ ডাকে জনৈক আবুল হোসেনকে লীজ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ইউএনও রনী খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় লীজকৃত জমিতে হাজির হয়ে ইজারা গ্রহীতা আবুল হোসেনকে জমিতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন এবং জনৈক শরিফুল ইসলামকে লীজকৃত জমি জবর দখল করার কথা বলেন।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় ইউএনও রনী খাতুন চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে জব্দ করার জন্য সুযোগ খুজতে থাকেন। গত ২৭ মার্চ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম উপজেলা কমিটির মিটিং শেষে বের হলে শ্যামনগর থানা থেকে পুলিশ তাকে ডেকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে কাশিমাড়ী এলাকার একটি নাশকতা মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আওয়ামীলীগ আমলের ধারাবাহিকতায় মিথ্যা গায়েবী মামলায় চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে দিয়ে এলাকাবাসীকে সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে মিথ্যা গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে তিনি অনলাইনে পুলিশের আইজি, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
    মিথ্যা গায়েবী মামলা থেকে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের দ্রুত মুক্তি জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

  • শ্যামনগরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    শ্যামনগরে ইটভাটা শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মাদার নদীর চরের গাছ থেকে ইয়াছিন আলম (৩২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালিঞ্চী এলাকা থেকে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ইয়াছিন আলম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কৈখালী ইউনিয়নের জয়াখালী গ্রামের মৃত জাবেদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক ছিলেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে ইটভাটা থেকে জয়াখালী গ্রামের বাড়িতে আসে ইয়াছিন আলম। রোববার দুপুরের দিকে তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলা নিয়ে বাদানুবাদের জেরে তাকে মারপিট করে তার বর্তমান স্ত্রী ও শ্যালকরা। এ ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে চলে যায়। এক পর্যায়ে রাতে বাড়িতে ফিরে ইয়াছিন পাল্টা তার স্ত্রীকে মারধর করে। এসময় সেখানে উপস্থিত তার শ্যালকসহ অন্যরা ধাওয়া করলে সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদার নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে কালিঞ্চী এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    এদিকে আব্দুল হামিদসহ স্থানীয় অপর একটি সূত্রের দাবি, তালাক হওয়া স্ত্রীর সাথে কথোপকথন নিয়ে বর্তমান স্ত্রীর সাথে ইয়াছিনের ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জেরে একমাত্র পুত্রের (ইয়াসিনের ছেলে) হাতে জমির দলিল পৌঁছে দেয়ার জন্য জনৈক রাশিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

    এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের চেষ্টা চলছে। মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

  • শ্যামনগরে মিথ্যে হত্যা মামলা দিয়ে একটি পারিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

    শ্যামনগরে মিথ্যে হত্যা মামলা দিয়ে একটি পারিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি নেতা মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির হৃদরোগে অক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারের সকলকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সোমাবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল বারির স্ত্রী নুরজাহান বেগম এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর আমার চাচা শশুর শেখ আব্দুল আজিজ স্টোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদুল আলম আমার চাচার মেয়ে স্বামী পরিতাক্তা আজমুন নাহারকে ভয় ভীতি দেখি তদন্ত ওসি ফকির ইলিয়াসকে ম্যানেজ করে আমার পরিবারের সকল সদস্যের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্ট স্টোকে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করায় থানা থেকে মামলায় ফাইনাল দেয়। এই সুযোগে তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওহিতুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, মন্জু গাজী, মনিরুল, ইব্রাহিম, রিপন, কবিরুল ইসলাম, খালিদ হোসেন গত ৯ অক্টোবর ভোর রাতে সাংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির গোডাউনে লুটপাট করায়। তারা ইলেকট্রনিক্স সান মেশিন দিয়ে গোডাউনের চারটি তালা কেটে ভিতরে থাকা ৫৫০ টা তেল, দুই বস্তা ডাউল, সাত বস্তা চাউল, ৯৪টি কার্টুন, ১৩৬টি বস্তাসহ ক্যাশ টেবিলে থাকা সাড়ে চার হাজার ও টেবিলসহ প্রায় অর্ঘ্য লক্ষ টাকার মাল লুট করে। এসময় তারা শেখ আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির দুইটি ঘর দখল করে বিএনপির অফিস তৈরীর করে।
    তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্যরা আমরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার স্বামীর চারটি মৎস্য ঘেরের মাছ রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে চেয়ারম্যান মাসুদুলের বাড়িতে নিয়ে যায় ও পাশে চাঁদনীমাখা মাছের সেটে বিক্রি করে। এভাবে তারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।
    নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর বাড়ির সামনে চারটে দোকান ঘরের ছাদ দেওয়ার প্রাক্কালে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকাল পাঁচ টার দিকে খায়রুল ইসলাম, ওইদুজ্জামান আপ,ু আইয়ুব গাজী, সবুজ গাজী, মঞ্জু গাজী, মনিরুল আমার স্বামীকে ডেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উল্লেখিতরা সহ ৪০/৫০টি মোটরসাইকেল যোগে বহু লোক আমার বাড়িতে এসে
    দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি ভাঙচুর করে। এমসয় আমাদের দুই মহিলাকে মারপিট করে চলে যাবার সময় ছাদে ব্যবহৃত ১৫০ কেজি কাটা রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্যামনগর থানায় এজাহার দিলে থানার ওসি মামলাটি এখনো রেকর্ড করেননি।
    তিনি এঘটনায় আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

     

  • শ্যামনগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

    শ্যামনগর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

    বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেয়া হবে না : রফিকুল ইসলাম খান

    আবু সাইদ বিশ^াস, হুসাইন বিন আফতাব,শ্যামনগর, সাতক্ষীরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেয়া হবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর সরকারি এইচ.সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্যাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নাবেয়ে আমীর শেখ নুরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, প্রভাষক ওমর ফারুক, জেলা অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

    এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবী শুধু জামায়াতে ইসলামীর নয়, এ দাবী এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষের। আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের জনগণ। তিনি বলেন, এটিএম আজহারুলকে যারা কারাগারে আটকে রেখে ছিল তারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে ছিল। বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আপনারা কি ভারতে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দিলে আপনারা ক্ষমতায় থাকাকার অধীকার রাখেন না। তাই অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিন।

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অভিশপ্ত দল। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। লুটপাট করেছ। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে। তারা অবৈধভাবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এতো উন্নয়নের রোল মডেল হলে দেশ ছেড়ে পালালেন কেন? জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ফাঁসির কাষ্ঠে গেলেও কখনও দেশ ছেড়ে পালাননি। মূলত নিজেদের অপকর্মের কারণে আওয়ামী লীগকে পালাতে হয়েছে।

    রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত। যাকে তাকে জামায়াত—শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করেছে।তিনি বলেন বর্তমানে একটি দল বিগত পতিত সরকারের মত বক্তব্য দিতে শুরু করেছে। তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাকান্ড চালানো বন্ধ করেন। জুলুম, চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। সাড়ে ১৫ বছর ঘরে বন্দী ছিলেন ঘর থেকে বের হতে পারেন নাই। বর্তমান পরিস্থিতিকে আল্লাহ তাআলার নেয়ামত হিসেবে মনে করুন। আল্লাহ তাহলে আপনাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে দেবে, দেশবাসীও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’

    কোনো ষড়যন্ত্র—মিথ্যাচার করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে আর শেষ করা যাবে না জানিয়ে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলুম ও নির্যাতন মোকাবিলা করে সঠিক ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সব সময় আমরা মহান আল্লাহর সাহায্য পেয়েছি। জামায়াত সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা এ কথা একবাক্যে স্বীকার করেন যে নিজামী সাহেবের মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশে আর কেউ ছিলেন না। তারপরও তাকে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল জামায়াতের নেতৃত্ব শেষ করার মাধ্যমে পুরো সংগঠনকে শেষ করে দেওয়া যাবে। কিন্তু না তা হয়নি, বরং জামায়াতে ইসলামী বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ও সুগঠিত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে আজ দাঁড়িয়ে গেছে।

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন আজ বাংলাদেশে ইসলামপন্থিদের জাগরণ শুরু হয়েছে। আমাদের ঐক্য হবে আরও সুদৃঢ়। মনে রাখবেন ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি কোনোদিনই ভালো হয় না, এটাই মহান আল্লাহর ওয়াদা

    রফিকুল ইসলাম খান বলেন, যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আজ সেই ট্রাইব্যুনালেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ ও পাশের রাষ্ট্র এ দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করতেই জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায় দিয়েছিল। শুধু তা—ই নয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১ নং থেকে ১১ নং পর্যন্ত শীর্ষ নেতাদের ওপরে জুলুম চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন সাজানো সাক্ষী এনে প্রহসনের রায় দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখেছে জনগণ।

    মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গত ৫৩ বছরে যেখানে একটি সমৃদ্ধ ও সুখী রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল, সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বৈরশাসন, লাঠির শাসন এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে এ দেশের সকলে ভালো থাকবে, সুখে থাকবে।’ তিনি বলেন, দেশজুড়ে একটা আওয়াজ উঠেছে, সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা সম্মানিত হবে। অমুসলিমরা সবচেয়ে ভালো থাকবে। ইসলামী সরকার তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। জামায়াতের কাছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।

    তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে। যেনতেন সংস্কার মানবো না, তবে সেই সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ মানবো না। এ দেশের মানুষ জেগে উঠতে শিখেছে। জেগে ওঠা জনগণ কারও প্রভুত্ব মানবে না। গত ১৬ বছরে পুরো বাংলাদেশ একটি বন্দিশালা বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিনা দোষে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ডাণ্ডাবেরি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হতো। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করতে চেয়েছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হয়েছিল। তারা নির্বাচনে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু মানুষ হত্যা করে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।

    দীর্ঘ ১৬ বছর পর শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ হওয়ায় নেতাকর্মীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। সকাল ৯টায় জামায়াতের মহিলা কমীর্ সম্মেলনেও তিনি প্রথান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে দুপুর আড়াই টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীদের পাদচারণায় মুখর হয় নকিপুর সরকারি এইচ.সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে । ব্যানার—ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা।

  • শ্যামনগরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফেইথ ইন এ্যাকশনের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা

    শ্যামনগরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফেইথ ইন এ্যাকশনের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা

    ফেইথ ইন এ্যাকশন একটি বেসরকারি, অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক উন্নয়ন ও খ্রিস্টিয়ান মানবতামূলক প্রতিষ্ঠান। ফেইথ ইন এ্যাকশন ২০১৩ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে প্রায় ১০ টি জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডিয়ান দাতা সংস্থা ওয়ার্ল্ড রেনিউ এর আর্থিক সহযোগিতায় “খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই জীবিকা উন্নয়ন করার জন্য জলবায়ু সহনশীল জনগোষ্ঠী প্রকল্প”নামক প্রকল্পটি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

    উক্ত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০:০০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।

    উক্ত প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন, সভাপতিত্ব করেন ফেইথ ইন এ্যাকশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর উপজেলার ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ সুব্রত কুমার বিশ্বাস, ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি. এম মাছুদুল আলম, অন্যান্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও প্রভাষক সামুয়েল মনির, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিলাল হোসেন, যুব সংগঠন সিডিও এর নির্বাহী পরিচালক ও উপজেলা এনজিও সমন্বয়ক আল ইমরান। আরও উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউনিয়নের ১, ২, ও ৩ ওয়ার্ড এর মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড এর মহিলা ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা খাতুন, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোছঃ ফরিদা খাতুন সহ গাবুরা ইউনিয়নের অন্যান্য ইউপি সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমূখ।  প্রকল্পের সামগ্রিক বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মুকুট ফ্রান্সিস হালদার।

    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পর্যবেক্ষণ করবেন। ফেইথ ইন এ্যাকশনের মূল ¯স্লোগান হলো সেবা নিতে নয়, সেবা দিতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, গাবুরা ইউনিয়নে দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন প্রয়োজন। গাবুরার উন্নয়ন করতে সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সকল দিক বিবেচনা করে আজ গাবুরায় ফেইথ ইন এ্যাকশনের প্রকল্প হাতে নেওয়া সরকারের উন্নয়নে সহায়তা করবে। সেজন্য আজকের প্রকল্প পরিচিতি সভা যতার্থ ও সার্থক হয়েছে।

    সভাপতি নুপেন বৈদ্য বলেন, “গাবুরার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কষাঘাতে জর্জরিত। এখানে ফেইথ ইন এ্যাকশনের আদর্শের সাথে মিল রেখে জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা উন্নয়নে আমরা কাজ করব। এই কার্যক্রমে সকলে যার যার জায়গা থেকে আমাদের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।”

  • শ্যামনগররে গাবুরাতে ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামরে র্অধর্বাষকি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠতি

    শ্যামনগররে গাবুরাতে ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামরে র্অধর্বাষকি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠতি

    আজ ১০ ডসিম্বের সোমবার সকাল ১০.৩০ ঘটকিায় বসেরকারি উন্নয়ন সংস্থা লডর্িাসরে
    বাস্তবায়নে এবং র্জামান দাতা সংস্থা ব্রডে ফর দ্যা ওযর়্াল্ড এর র্আথকি সহযোগতিায় গাবুরা ইউনযি়ন
    জলবায়ু সহনশীল ফোরামরে আয়োজনে চকবারা, গাবুরাতে র্অধর্বাষকি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠতি হয়। ফোরামরে
    সভাপতি শখে আমীর হোসনেরে সভাপতত্বিে উক্ত র্অধর্বাষকি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠতি হয়। সভায় আরও
    উপস্থতি ছলিনে ফোরামরে সম্পাদক আমজাদ হোসনে, কোষাধ্যক্ষ সালমা বগেম সহ আরো অনকে।ে সভায়
    জলবায়ু পরর্বিতন র্শীষক র্কমপরকিল্পনা বষিয়ে আলোচনা হয়। একই সাথে স্থানীয় র্পযায়ে সচতেনতা
    সৃষ্টরি লক্ষ্যে লফিলটে বতিরণ, মানববন্ধন, স্মারক লপিি প্রদান ও স্থানীয় র্পযায়ে নতেৃবৃন্দরে সাথে
    সম্পৃক্ততা বৃদ্ধকিরণ বষিয়ে আলোচনা হয়।
    সভায় বক্তারা বলনে, বাংলাদশেরে দক্ষনি – পশ্চমি উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরর্বিতনরে কারণে অত্যন্ত
    ঝুঁকপর্িূণ। যখোনে ক্রমর্বধমান হারে প্রাকৃতকি র্দুযোগ বাড়ছ।ে জলবায়ু পরর্বিতনরে কারনে উপকূলে যে
    সংকট তরৈি হয়ছেে তা নরিসনে আমাদরেকে নঃির্স্বাথভাবে কাজ করতে হব।ে সকলে একসাথে মলিে যদি
    উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তবে আমরা সমস্যা কাটয়িে উঠতে পারব।
    সভায় সভাপতি শখে আমীর হোসনে বলনে লডর্িাস সব সময় আমদরে পাশে রয়ছে।ে তনিি আরও বলনে লডর্িাসরে
    মাধ্যমে এই এলাকার কৃষি খাতে অনকে উন্নয়ন ঘটছে।ে এখানকার মানুষ লডর্িাস থকেে স্বল্প খরচে ধানবীজ,
    সবজি বীজ ও জবৈ সার পাওয়ার ফলে তাদরে খাদ্যরে দনৈকি যোগান দওেয়ার পরও বাইরে বক্রিি করে
    র্অথনতৈকিভাবে লাভবান হচ্ছ।ে
    উক্ত সভায় জলবায়ু পরর্বিতন এর প্রভাবে উপকুলরে সংকটে করণীয় বষিয়ে সকলে মতামত ব্যক্ত করনে।
    সভায় আগামী ৬ মাসরে জন্য উক্ত ফোরামরে একটি র্কমপরকিল্পনা গ্রহণ করা হয়। উক্ত পরকিল্পনা
    উপকূলরে জনমানুষরে অধকিার রক্ষায় র্কাযকরী ভূমকিা রাখবে বলে ফোরামরে প্রত্যাশা।

  • শ্যামনগরে লিডার্সের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উদযাপন

    শ্যামনগরে লিডার্সের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উদযাপন

    “নারী—কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশগড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেসরকারী উন্নয়ন
    সংগঠন লিডার্সের আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও এ্যাম্বাসি অফ সুইডেনের সহযোগীতায়
    কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচী (ক্রিয়া) প্রকল্পের আওতায় ৯
    ডিসেম্বর বিকালে বুড়িগোয়ালিনী গাবুরা (বিজি) কলেজ মাঠে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ
    ২০২৪ পালন উপলক্ষে মানববন্ধন ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বুড়িগোয়ালিনী ও
    গাবুরা ইউনিয়নের নারী ও কিশোর কিশোরী দলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। প্রজেক্ট অফিসার সুলতা সাহার
    সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারী দলের সদস্য নার্গিস সুলতানা। তিনি বলেন, এখনও বিভিন্ন ভাবে
    নারীরা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। কিশোরী হিরামনি ও তানিয়া সুলতানা বলেন আমাদের স্বাধীনতা নাই, স্কুল
    কলেজে যেতে গেলে ছেলেরা বিরক্ত করে, প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। প্রাক্তন ইউপি
    সদস্য আব্দুল জলিল নারী নির্যাতন সম্পর্কে বলেন, যে নারী নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তার সংসার ছেড়ে চলে
    গেছে সে নিজেই জানে তার অভাবটা কোথায়, সেই কথাটা সে কখনো প্রকাশ করতে পারে না। আন্তর্জাতিক নারী
    নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে
    অংশগ্রহণকারীরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন
    ক্রিয়া প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত অধিকারী, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর কে,এম আকতার হোসেন ও
    সাজেদা খাতুন।