Category: শ্যামনগর

  • শ্যামনগরের আটুলিয়ার জমি দখলের উদ্দেশ্যে ৩ জন পিটিয়ে আহত

    শ্যামনগরের আটুলিয়ার জমি দখলের উদ্দেশ্যে ৩ জন পিটিয়ে আহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি :: শ্যামনগরের আটুলিয়ায় অবৈধভাবে গায়ের জোরে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৩ জন আহত আহতের ঘটনা ঘটিয়েছে ভূমিদস্যুরা। আহতরা হলেন, বাদুড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৪০), তার পুত্র আব্দুল হামিদ ও সাঈদ। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় মনোয়ারা খাতুন এজাহার দাখিল করেছেন।
    এজাহার সূত্রে প্রকাশ, মনোয়ারা খাতুন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জমি অবৈধ দখল সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানের প্রেক্ষিতে অত্র এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু মোহর আলী গংয়ের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সাধারণ ডায়েরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ জুলাই রাত্র সাড়ে ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের সুরাত আলীর পুত্র কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোহর আলী, বাদুড়িয়া গ্রামের মোবারক হোসেন, নঈমুদ্দিন সানার পুত্র হাবিবুর সানা, আবু সিদ্দীক, আদম আলী ও মুরাদ হোসেন এক জোট হয়ে দা, লাঠি ও লোহার শাবল ইত্যাদি নিয়ে মনোয়ারার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। অবৈধভাবে জমি জবর দখল করতে এক পর্যায়ে মোহর আলীর নেতৃত্বে তারা মনোয়ারা খাতুনকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর না করাতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়। এর বাধা দিতে গিয়ে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় এলোপাতাড়িভাবে মনোয়ারার পুত্র আব্দুল হামিদকে খুন করার উদ্দেশ্যে মারাত্মক আঘাত করে হাড়ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। মনোয়ারার সেজো ছেলে সাঈদকে লাঠি দ্বারা মারাত্বক মারপিট করা হয়। এ সময় মনোয়ারা খাতুন তাদের এহেন কর্মকান্ডে বাঁধা দিতে গিয়ে তাদের আঘাতে নীলা মারাত্মক জখম হয়। ঘরে থাকা আলমারির তালা ভেঙে ৫০ হাজার টাকা, দলিলপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তারা চুরি করে নিয়ে যায়। সে সময় হামলাকারীদের হাত জীবনে রক্ষার জন্য পুলিশের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

  • শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদীতে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

    শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদীতে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ায় জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নীলডুমুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
    নিহত জেলে ফারুক হোসেন (৩৫) কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দোকাটি গ্রামের মৃত শহীদ মোড়লের ছেলে।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)হাফিজুর রহমান জানান, খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে পায়ে জালের রশি জড়িয়ে নদীতে তলিয়ে যায় ফারুক হোসেন। তার সঙ্গীরা অনেক খোজাখুজি করে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসও চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে নীলডুমুর বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় নদীতে ফারুকের মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।


  • জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুুঁকি মোকাবেলায় করনীয় শির্ষক আলোচনা সভা

    জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুুঁকি মোকাবেলায় করনীয় শির্ষক আলোচনা সভা

    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্) এর আয়োজনে শ্যামনগরে জলবায়ু পরিবর্তন ও ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠি ও সুশীল সমাজের করনীয় শির্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ আলোচনা সভায় সামস্রে সহ-সভাপতি রাম প্রসাদ মুন্ডার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- এনজিও সমন্বয়কারীর সভাপতি আখতারুজ্জামান শিকদার, সাধারন সম্পাদক গাজী আল ইমরান, নকশি কাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সামস্ প্রতিনিধি দিপংকর বিশ্বাস।

  • শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের মারপিটে বৃদ্ধা আহত

    শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের মারপিটে বৃদ্ধা আহত

    শ্যামনগর ব্যুরো : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারপিটে ৬৭ বছরে বৃদ্ধা গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় এজাহার দাখিল। এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের মৃত অশোক চন্দ্র মন্ডলের পুত্র সন্যাসী কুমার মন্ডল বাদী হয়ে এজাহারে উল্লেখ করেছেন একই গ্রামের আফিল পাড়ের পুত্র ছলেমান, ছলেমানের পুত্র আলমগীর, কফিল উদ্দীন পাড়ের পুত্র গোলাম ফারুক, রহিম পাড়ের পুত্র বাগাদ আলী সহ আরও অনেকে সমস্বার্থ যুক্ত, দুর্দান্ত, পরসম্পদ লোভী ও লাঠিয়াল। তারা সন্যাসীর বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে শত্রুতা পোষন করে আসছে। এর জের ধরে ৮/৭/১৯ তারিখ সকাল ৭ টায় তারা দলবদ্ধ হয়ে সন্যাসীর বসত ভিটা দখল করতে জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে। সন্যাসী বাধা দেওয়ায় দখলকারীরা তাকে মারপিট শুরু করে। এসময় সন্যাসীর স্ত্রী সরলা রানী ও মাতা বৃদ্ধা করুনা রানী ঠেকাতে গেলে দখলকারীরা কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ৬৭ বছরের বৃদ্ধাকে গুরুতর আহত করে। তাদের চিৎকারে এজাহারের সাক্ষীরা এসে পড়েলে দখলকারীরা কেটে পড়ে। এঘটনায় সন্যাসী বাদী হয়ে দখলকারীদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • গাবুরার দুর্নীতিবাজ মেম্বর রহিমের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

    গাবুরার দুর্নীতিবাজ মেম্বর রহিমের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী গাবুরার মেম্বর রহিমের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তপূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ও দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। গত ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। উক্ত অভিযোগপত্রে গাবুরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম মাছুদুল আলমও সুপারিশ করেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাবুরা ইউপির পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামের মৃত জাফর আলীর পুত্র গাবুরা পিজে আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক জি এম আব্দুর রহিম গাবুরা ইউনিয়ন বি,এন,পি-এর সাংগঠনিক সম্পাদক।বিগত ২০১৩ সালে বি,এন,পি- জামায়াত কর্তৃক বর্তমান গনতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের নেতৃত্ব দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নাশকতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
    ইউপি সদস্য হিসাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মাসিক ভাতা এবং একই সাথে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে হাজীরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করে এবং বেতন উত্তোলন করে।
    বিগত ইং-২০অক্টোবর১৭ তারিখ হতে ২১অক্টোর১৭ তারিখ পর্যন্ত গাবুরার খলিসা বুনিয়া ও চৌদ্দরশী বাজারের উপর দিয়া টর্নেডো ঝড় প্রবাহিত হওয়ায় উক্ত এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে জেলা ত্রাণ শাখা স্মারক নং-৫১. ০১. ৮৭. ০০. ০০০. ২০. ০০৪. ১৭. ৫৪৪, তারিখ ২৪/অক্টোবর১৭ ইং এর প্রেক্ষিতে ত্রাণকার্যালয় শাখার স্মারক নং-৫১. ০১. ৮৭৮৬. ০০০. ২৯. ০২৯. ১৭. ৪১০, তারিখ-২৫/১০/১৮ ইং মোতাবেক গাবুরা ইউ.পি চেয়ারম্যানের অনুকূলে ১০,০০০ মেঃ টন জি,আর চাউলের সরবরাহ আদেশ জারী করা হয়। যার ডিও নং ৫৪২৭১৪৮, তারিখঃ- ২৯অক্টোবর১৭। সেসময় ১২ নং গাবুরা ইউ.পি চেয়ারম্যান আলী আযম টিটুর আকস্মিক মৃত্যু জনিত কারনে অত্র আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এসুযোগে উক্ত বরাদ্ধকৃত ১০,০০০/- মেঃ টন জি,আর চাউল উত্তোলন করতঃ উহা অসহায় দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ না করে সমূদয় চাউল আত্মসাৎ করেন। এছাড়া অত্র এলাকার চকবারা ক্লোজার ভেঙে প্লাবিত না হওয়া স্বত্বেও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে ৩,০০০ মেঃ টন জি,আর চাউল বরাদ্ধ করিয়ে চাউল ও উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ করেন। এর প্রতিবাদে গাবুরা ইউনিয়নের ৯ জন ইউ, পি সদস্য স্বাক্ষরিত গত ইং- ১৭এপ্রিল১৮ তারিখে সুষ্টু প্রতিকারের প্রত্যাশায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর উপর তদন্তভার অর্পিত হলে সরেজমিনে তদন্তে উক্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যথাযথ প্রমানিত মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অত্র বিবাদী ১২ নং গাবুরা ইউ.পি এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালে জনগনকে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের নিমিত্ত অত্রালাকার বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্রলুব্ধ করতঃ তাহাদের নিকট হইতে গ্রাহক প্রতি নগদ পাঁচশত করে অনু ৪,৫০,০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আদায় করিয়া আত্মসাৎ করিয়াছেন।
    রহিম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়ীত্ব পালন কালে ইজিপিপি প্রকল্পে সর্ব মোট ৩৮১ (তিনশত একাশি) জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করতঃ উক্ত প্রকল্পে কর্ম সংস্থানের জন্য টাকা আদায় ২ শত ৬০ জনকে কাজ দেওয়া হয়। ১২১ জনের নামের টাকা উত্তোলন আত্মসাৎ করায় সুবিচার কামনায় তারা জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা গ্রহন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নির্দেশ দিলে ও এখনো পর্যন্ত অভিযোগের কোন তদন্ত হয় নি। তাছাড়া তার ভাই আব্দুর নুর ওরফে নূরী অত্রালাকার একজন চিহ্নিত অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, জলদস্যু, নাশকতা সৃষ্টিকারী, নারী ও শিশু পাচারকারী, একাধিক মামলার আসামী। এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই আব্দুর রহিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


  • শ্যামনগরে প্রতিবন্ধী বান্ধব শিক্ষা ও সহায়তা বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে প্রতিবন্ধী বান্ধব শিক্ষা ও সহায়তা বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ অপরাজিতা নারী উন্নয়ন সংস্থা ওএনইউএস শ্যামনগরের আয়োজনে ও লিলিয়ানা ফ-স এর সহযোগীতায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিবন্ধী বান্ধব শিক্ষা ও সহায়তার উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১ টায় শ্যামনগর ডিআরআরএ এর কার্যালয়ে প্রশিক্ষন কক্ষে আলোচনা সভায় অপরাজিতা প্রকল্পের চীফ অপারেটর অফিসার অস্টমী মালোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহনের জন্য প্রতিবন্ধীদের তরান্বিত করার লক্ষ্যে যে সকল সহায়তা প্রয়োজন সেসকল বিষয়ে উল্লেখ করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনক্লুশন ম্যানেজার নীলোৎপর মন্ডল। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান মিলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, তপন কুমার দেবনাথ, মির্জা মিজানুর রহমান, আজহারুল ইসলাম, মহসিন হোসেন ও সোহাগ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন- অফিস ডিআইসিবি দেবাশিষ ঘোষ।

  • শ্যামনগরে হত দরিদ্রদের মাঝে ভ্যান বিতরন

    শ্যামনগরে হত দরিদ্রদের মাঝে ভ্যান বিতরন


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এডিপি এর অর্থায়নে অসহায় দুঃস্থদের কর্মসংস্থনের লক্ষ্যে বিনামূল্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যান বিতরন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা চত্ত্বরে ভ্যান বিতরন অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি সুজন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উদ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি। শ্যামনগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের ১০ জন অসহায় দুঃস্থ ব্যক্তিকে ১০ টি ভ্যান দেওয়া হয়েছে। এসময় সরকারি বে-সরকারি কর্মকর্তা গণ ও সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • সমাজ মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে- জিএম শফিউল্ল্যাহ

    সমাজ মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে- জিএম শফিউল্ল্যাহ


    রাহাত রাজা: কেন্দ্রীয় তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্ল্যাহ ইসলাম বলেন এ সমাজ মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সন্ত্রা, মাদক, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জির টলারেন্স ঘোষনা দিয়েছেন। আমরাও আজ এ শ্যামনগরের মাটি থেকে শুরু করে সারাদেশে সন্ত্রাসী, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আজ তরুনরা জেগেছে সমাজ থেকে অবশ্যই মাদুক, সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদ নিমুল হবে। সাথে সাথে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আ;লীগের পাশে আছি থাকব।
    শ্যামনগরের বংশীপুর বাজারে মাদক বিরোধী তরুন সমাবেশ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন প্রধান অতিথি। শনিবার বিকালে বংশীপুর বাজারে সমাবেশে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্ল্যাহ। শ্যামনগর উপজেলা তরুরলীগের সভাপতি জিএম আব্দুল আলিম সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়াম্যান আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা মুকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ, সাতক্ষীরা জেলা তরুন লীগের সভাপতি শাহানুর রহমান শাহীন, ইশ্বরীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এড. শুকুর আলী, কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক কবীর নেওয়ার রাজ, শেখ নুরুজ্জামান টুটুল, মো: মেহেদী হাসান মারুফ, রবিউল ইসলাম জোয়াদ্দার, আনোয়ার হোসেন, প্রধান বক্তবা জহিরুল ইসলাম পলাশ, আজাদুল হক আসাদ, মেজবাবুল হক, জাকির হোসেন, আব্দুল আলিম প্রমুখ।

  • নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় দুই দিন ব্যাপী জলবায়ু মেলার উদ্বোধন

    নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় দুই দিন ব্যাপী জলবায়ু মেলার উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিবেদক : নাচ, গান, গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা, উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার বাস্তব প্রদর্শনী, ঢোল তবলার ধ্বনিসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী উপজেলা শ্যামনগরে ২দিন ব্যাপি উদ্বোধণ করা হয়েছে জলবায়ু মেলা ২০১৯। “উপকুল রক্ষায় প্রয়োজন, জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায্যতা ও সুশাসন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জলবায়ু ঝুকি মোকাবেলায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নকীপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই দিন ব্যাপী জলবায়ু মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ নাজিমুদ্দিন। সকাল ১০ টায় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নকিপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ও পতাকা উত্তোলন করে মেলার উদ্বোধনী করেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান ও সিএসআরএল এর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব আশেক-ই-এলাহী। উদ্বোধনী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিএসআরএল এর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার আবুল হোসেন মিয়া, পিআইও সেলিম খান, সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান, জলবায়ু মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক মাস্টার নজরুল ইসলাম, সিএসআরএল ঢাকার সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায়, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এড, আতাউর রহমান, কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম, ইশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড, জিএম শোকর আলী, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, বুড়িগোলিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল প্রমুখ।
    এ সময় প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন জলবায়ু সমস্যা। আর এগুলো আমাদের হাতে সৃষ্টি নয়। উন্নত দেশগুলো এ পৃথিবীকে উত্তপ্ত করছে। আমরা জলবায়ু সহনীয় ধান উৎপাদন করার চেষ্টা করবো। আমরা মিঠা পানির মাছ চাষসহ বায়ো গ্যাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে জলবায়ু কে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই। আমরা যে যার স্থান থেকে চেষ্টা করবো। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আমরা যদি অর্থ আনতে পারি তাহলে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারবো।
    বিশেষ অতিথি জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে বিশে^র সবচেয়ে বিপন্ন দেশ বাংলাদেশ। এর মধ্যে বিপন্ন অঞ্চল দক্ষিণ অঞ্চল। ধনী দেশগুলোর গ্রীন হাউজ গ্যাস নিগর্মন কমানো দরকার। দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে একটি জরুরি তহবিল থাকা প্রয়োজন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছিলাম। আমরা চাই আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হোক।
    পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আতাউর রহমান ও বুড়িগোলিনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার বলেন, এ মেলা যখন হচ্ছে তখনই এই বৈরি আবহাওয়াই প্রমাণ করে আমরা কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছি। আইলার কারণে এখানে ফসল হয় না। সুপেয় পানির সংকট আছে। জলবায়ু পরিষদের মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায় হবে বলে আমরা বিশ^াস করি। নদী ভাঙ্গনের কারণে অনেকেই মাইগ্রেশন হতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। এ অঞ্চলে মজবুত টেকসই ভেড়ীবাধ না হলে সকল উন্নয়ন ভেসে যাবে।
    জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব আশেক-ই-এলাহী বলেন, প্রচন্ড গরম জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বাস্তব উদাহরণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ এলাকার মানুষ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এ অঞ্চলের যে ক্ষতি হয়েছে। তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা দুই বছর এ এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতির অর্ধেক সঠিক বরাদ্দসহ সঠিক বন্টনের কাজ করে আসছি।
    মেলায় মোট ২৫টি স্টল বসে। প্রতিটি স্টলে গ্রামীণ জীবন যাত্রার বাস্তবতা নিয়ে বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও উপকুলীয় অঞ্চলে জনপ্রিয় বিভিন্ন পিঠাপুলিরও প্রদর্শন করা হয়। স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে, জলবায়ু তথ্য সম্ভার, ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী, প্রতিবন্ধী মানুষের কর্ণার, উপকুলের মৎস্যজীবি, বারসিক, ইসলামি রিলিফ, ফেইথ ইন এ্যাকশন, নওয়াবেঁকী গণমুখি ফাউন্ডেশন, রূপান্তর, লিডার্স, সামশ, বেতঙ্গী যুব সংঘ, নকশকাথা নারী সংগঠন, প্রযুক্তি গাছের পাঠশালা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নবযাত্রা (ডিআরআর কম্পোনেট), সরকারি দপ্তর কর্ণার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়,শ্যামনগর অনলাইন ব্লাড ব্যাংক। অনুষ্ঠানে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যজ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি নাজিম উদ্দীন।
    পরে বেলা সাড়ে ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে জলবায়ু বিপন্নতা ও অভিযোজন অগ্রাধিকার বিষয়ক মাল্টি স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জলবায়ু পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি নাজিমুদ্দিন। সদস্য্য সচিব আশেক-ই-এলাহীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সিএসআরএল ঢাকার সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায়। অতিথি ছিলেন, সিএসআরএল এর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তাসহ উপকুলীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
    বিকাল সাড়ে ৩টায় ৩য়, ৪র্থ ও ৫ শ্রেণির শিক্ষার্থীর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ক্ষয়, ক্ষতি, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সুপেয় পানির সংকট, কার্বন ও দূষণ যুক্ত পরিবেশ এর উপর চিত্রাংকণ ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৫টায় বাউল সংগীত, রাত ৮টায় জলবায়ু সংলাপ এবং মনোঞ্জ সাংস্কৃতি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জাগো যুব ফাউন্ডেশনের পরিচালক শেখ ফারুক হোসেন।

  • সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৌতলা বাজার থেকে স্থানীয়রা উক্ত বইগুলো জব্দ করেন।
    স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তি ৩ হাজার চার’শ কেজি বই বিক্রি করতে যান মৌতলা বাজারের ভাঙড়ি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ কুমারের দোকানে। এ সময় জনতা তাকে ধরে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
    তবে বই বিক্রির বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, তিনি বইগুলো শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের কাছ থেকে কিনেছেন।
    এ বিষষয়ে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় জনতা বইসহ শামীমকে ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পর তিনি বইগুলো পরিষদের হেফাজতে রাখতে বলেন।
    শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, রেজুলেশন করে বইগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তবে ভুলক্রমে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের কিছু বই চলে গেছে। বইগুলো চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখতে বলা হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
    এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, গত কয়েক দিন আগের একটি সভায় ৬ষ্ঠ-দশম শ্রেনীর ২০১৫ সালের আগের পুরাতন বই বিক্রির বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের বই বিক্রি করেছে এ বিষয় শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বুঝবেন সেটা তার ব্যাপার।

  • শ্যামনগরের খবর

    শ্যামনগরের খবর

    শ্শ্যামনগরে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ
    নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বনির পক্ষ থেকে গতকাল বিকাল ৫টায় এক বিশাল আনন্দ মিছিল ও মটর সাইকেল শোভা যাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২শতাধিক মটর সাইকেল যোগে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন নবগঠিত সাগর রনি কমিটিকে স্বাগত জানান।

    ছবির ক্যাপশন- শ্যামনগরে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা।

    শ্যামনগরে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি
    বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ
    উপজেলা ছাত্রলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী সমর্থক বৃন্দের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সংগঠন পরিপন্থী নতুন উপজেলা কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাব চত্তরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে গত ৭জুন জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাগর কুমার মন্ডল ও মোস্তাফিজুর রহমান রনির কমিটি বাতিল করার দাবী জানান হয়। সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজের সঞ্চালনায় নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবীতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান শাওন, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সবুর, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুজ্জামান আনিচ সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, সংগঠন পরিপন্থি ভাবে এ নতুন উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন আন্দোলন সংগামের সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। নতুন কমিটিতে তাদের কাউকে রাখা হয়নি। বক্তারা আরো বলেন, গত সংসদ নির্বাচনেও যারা নৌকার বিরোধিতা করেছিল তাদের পরিবারের সদস্যদের এ নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে। অনতি বিলম্বে এ কমিটি বাতিল করিয়া সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা বাছাই করে পূনরায় নতুন কমিটি গঠন করার দাবী জানান হয়।

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোরপূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও হুমকির প্রদানের অভিযোগ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোরপূর্বক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও হুমকির প্রদানের অভিযোগ


    র‌্যাবের উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার নওয়াবেকী বাজারে ‘ইরানী বস্ত্রালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ওই উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল হোসেন।
    লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার নওয়াবেকী বাজারে মৌজা- আটুলিয়া, এস এ খতিয়ান-০১, এস এ দাগ নং-৫১৩১, জমির পরিমাণ ২০ বর্গ মিটার। সরকারী পেরীফেরী এই জমি আমি ১৯৯৮ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি। এই জমিটি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ০৭/০৮/২০০৮ ইং তারিখে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নিকট আবেদন করি। তখন আবেদনটি গ্রহণ করে ২০১৬ নং স্মারকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ১১/০৮/২০০৮ ইং তারিখে ৪নং আদেশ আবেদনকারী আমি মোঃ মুকুল হোসেনের আদেশ মঞ্জুর পূর্বক বন্দোবস্তের মাধ্যমে লীজ প্রদান করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগরকে আদেশ প্রদান করে। এ আদেশের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগর আবেদনকারী মোঃ মুকুল হোসেনের বরাবর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রেভিনিউর ২৮৬০ টাকা গ্রহণ পূর্বক রশিদ প্রদান করে ১০০ ও ৫০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে শর্তাবলী সম্পাদন করে প্রতি বছর রেভিনিউর ২৬০ টাকা গ্রহন করে আদেদনকারীর বরাবর চুক্তি সম্পাদন করে দেন। ফলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমি রেভিনিউ পরিশোধ করি। এরপর আমি লীজ জমিতে ‘ইরানী বস্ত্রালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ অবস্থায় জনৈক শামিমা ঝরনা, তার স্বামী আব্দুর রউফ ও সন্তান শাহরিয়ার ওরফে রোকনের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬/০৫/১৯ইং তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমান সঙ্গীয় ৮/১০ জন ফোর্স নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়। তারা আমাকে ভয়ভিতী প্রদর্শন করে আমার এবং আমার ভাই বুলবুল হোসেন কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এসময়ে আব্দুর রউফের ভাই ১৩ নং হায়বাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান লাভলু আমাদেরকে হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানের নিদের্শে তাৎক্ষণিকভাবে আমার দোকানের অধিকাংশ জায়গা ৫ ইঞ্চি ইটের গাথুনি দিয়ে শামিমা ঝরনাকে দখল বুঝিয়ে দেয়। এসময়ে আমি সরকারী বৈধ দলিলপত্র দেখাতে চাইলে তিনি কোন কাগজপত্র দেখবেন না বলে জানান এবং এ নিয়ে কোন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা হলে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ফলে এখন আমি কোন ব্যবসা করতে পারছিনা। নিঃশ্ব হয়ে ঘরে বসে আছি। দোকানে আগের তোলা মালামাল পচন ধরছে। ঈদের সময় মালামাল বিক্রি করতে না পারায় লাখ লাখ টাকা দেনা হয়ে পড়েছি।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ হলে প্রকৃত জমির মালিকানা নির্ধারণ করে আদালত। কিন্তু আদালতে না গিয়ে কি ভাবে একজন বৈধ মালিক কে উচ্ছেদ করা হলো? আর আমার জমির মালিকতো সরকার। আমি সরকারের ভারাটিয়া মাত্র। সরকারের পক্ষে মামলা না করে আমাকে উচ্ছেদের বৈধতা কতটা আইন সিদ্ধ? একজনের আবেদনের সত্যতা যাচাই বাছাই না করে পক্ষ নেওয়াটা সঠিক কিনা? র‌্যাবের ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমান দু পক্ষের কাগজপত্র দেখে বাজার কমিটির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারতেন, কিন্তু তিনি না করে একজনকে জোরর্পর্বক উঠিয়ে আরেকজনকে বসিয়ে দিলেন-এই সিদ্ধান্ত কতটা আইন সম্মত?
    এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ মুকুল হোসেন বলেন, জমির অবৈধ মালিকানা দাবিদার শামিমা ঝরনার ছেলে শাহরিয়ার ওরফে রোকন একজন সেনা সদস্য। সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার সুবাধে তিনি মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানকে দিয়ে তিনি এ অন্যায় কাজটি করিয়েছেন। তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাব-৬ এর ডিএডি মোঃ লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের বনদস্যু, বাওয়ালী, মাওয়ালী, মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী, ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সম্প্রতি তাকে মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর ক্যাম্পে বদলী করা হয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, র‌্যাবের কাজ হচ্ছে শান্তিশৃংখলা প্রতিষ্ঠিত করা। র‌্যাবের কাজ অবৈধভাবে কাউকে উঠিয়ে অবৈধভাবে কাউকে বসিয়ে দেওয়া নয়। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে র‌্যাবের ভাবমুর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি সরকারের কাছ থেকে লীজি সম্পত্তি উদ্ধার পূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারি তার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল হোসেন। #

  • শ্যামনগরের খবর

    শ্যামনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির অভিনন্দন
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও ব্যানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মোড়ল কে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করায় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্যার কে শ্যামনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শ্যামনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ হতে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা সভাপতি এ্যাডঃ আঃ রশিদ, সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আজিবর রহমান, আশরাফুল হাসান, জিএম আব্দুল কাদের, সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশরাফ হোসেন, আদম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লাবু সহ ১২ টি ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক।

    শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের যৌথ সাক্ষরিত শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আগামী এক বছরের জন্য আংশিক কমিটি ঘোষনা করায় শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১ টায় সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ ও সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল শ্যামনগর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্ত্বরে শেষ হয়। মিছিল শেষে শ্যামনগর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় না করে জেলা কমিটি মোটা অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে বিতর্কিত সাগর কুমার মন্ডল কে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান রনি কে সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে যাহা সাংগঠনিক পরিপন্থি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করার জন্য জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে আহবান জানান। বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক এ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহন করে।

  • শ্যামনগরে মৎস্যজীবি সংগঠনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি শ্যামনগর উপজেলা শাখা, আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগ, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতি শ্যামনগর ও হতদরিদ্র মৎস্যজীবি সমিতির এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২ জুন সকাল ১০ টায় এসকে সেরেস্তায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ডাঃ আলী আশরাফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি প্রভাষক মহিত কুমার মন্ডল, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মধুজিৎ রপ্তান, হত দরিদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মনসুর আলী, আব্দুস সামাদ ঢালী, আয়ুব আলী, আবুল হোসেন গাইন, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম, সুপদ হালদার প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, ইলিশ সহ মাছের প্রজনন মৌসুমে বর্তমান ৬২ দিন মাছ ধরা বন্ধ আছে। এ কারনে উপকূলীয় এলাকায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবি জেলেরা যাতে তাদের পরিবার বর্গ নিয়ে সুষ্ঠভাবে ঈদ উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল নিবন্ধিত মৎস্যজীবি জেলেদের মাথাপিছু ৪০ কেজি চাউল (ভিজিএফ) বরাদ্দ দিয়েছেন। শ্যামনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুখ হুসাইন সাগর যথা সময়ে স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিকট বরাদ্দ (ভিজিএফ) চাউলের ডিও পৌছে দিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানগণ নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে চাউল বিতরন করছেন না। এছাড়া বিভিন্ন ইউপি সদস্যগন এবং কিছু ব্যক্তি জেলেদের কাছ থেকে ২/৩শত করে টাকা নিচ্ছেন। এঘটনায় বক্তাগণ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঈদের পূর্বে সকল নিবন্ধিত জেলেদের কাছে চাউল বিতরন না করলে জেলেরা ঈদ করতে পারবে না, অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। বক্তাগণ আরও বলেন, ঈদের পূর্বে যদি চাউল বিতরন করা না হয় এবং মৎস্যজীবিরা সুষ্ঠভাবে ঈদ করতে না পরে তার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতরাই দায়ী থাকবেন বলে সতর্ক করা হয়।

  • শ্যামনগর প্রেসক্লাবের নিন্দা


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা করে সভাপতি সম্পাদক সহ সিনিয়র সাংবাদিকদের লাঞ্চিত ও গুরুতর জখম করায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান। ৩০ মে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জি সহ সিনিয়র সাংবাদিকদের গুরুতর জখম করে। এঘটনায় শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জিএম আকবর কবীর, সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন সহ সকল সাংবাদিকগন তীব্র নিন্দা ও বিবৃতি প্রদান করেছেন। একই সাথে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।

    মাদক সেবনকারীদের লাঠির আঘাতে
    শ্যামনগরে সাংবাদিক লাঞ্চিত
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের লাঠির আঘাতে শ্যামনগরে সাংবাদিক দৈনক কালের চিত্র প্রতিনিধি মোঃ রাশিদুল গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় এজাহার। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩০ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামীগণ কালিগঞ্জ উপজেলার পীরগাজন গ্রামের আঃ রাজ্জাকের পুত্র শাকির হোসেন, দুলাবালা গ্রামের মোঃ শামসুর রহমানের পুত্র সাইফুল, কাটুনিয়া গ্রামের মৃত জিয়াদ আলীর পুত্র মোমিনুর, চুনাখালী গ্রামের মোঃ আঃ রহিমের পুত্র নাইম হোসেন ও পরানপুর গ্রামের মোঃ শওকত হোসেনের পুত্র ইমরান সহ তাদের আরও ৫/৬ জন সঙ্গী শ্যামনগর উপজেলা ভুরুলিয়া ইউনিয়নের সিরাজপুর দিঘির পাড়ে বসে মাদক সেবনের আড্ডা বসায় এবং মাদক সেবন করতে থাকে। এখবর পেয়ে সাংবাদিক রাশিদুল যেয়ে আড়াল থেকে ছবি নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে এক জন দেখে ফেলে। সাথে সাথে মাদক সেবীরা রাশেদুলের উপর হামলা করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে। লাঠির আঘাতে তার নাকের হাঁড় ভেঙ্গে যায়। এসময় হামলাকারীরা রাশেদুলের কাছে থাকা ১৭ হাজার টাকার মোবাইল, ২৫ হাজার টাকার ক্যামেরা ও নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে। এসময় রাশেদুলের চিৎকারে এজাহারের সাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে হাজির হলে হামলাকারীরা কেটে পড়ে। সাক্ষীগণ রাশেদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • শ্যামনগরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ নির্মান, লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলায় বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান

    শ্যামনগরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ নির্মান, লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা মোকাবেলায় বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থায়ী বেঁড়িবাধ নির্মানসহ লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় বরাদ্দের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার সিএসআরএল সম্মেলন কক্ষে উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলার ১২ টি ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের সেক্রেটারী এস আতাউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, আটুলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহবাবু, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, বুড়িগোয়ালীনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. শোকরআলী,গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মুসুদুল আলম, মুন্সিগজ্ঞ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়র, শ্যামনগরের প্যানেল চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন প্রমুখ। এ ছাড়া এ আরো উপস্থিত ছিলেন ১২টি ইউনিয়নের একজন করে নারী ও পুরুষ সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নাজিমুদ্দীন, সদস্য শেখ হারুন-অর-রশীদ, মাস্টার নজরুল ইসলাম, চন্দ্রিকা ব্যানার্জী,  শম্পা গোস্বামী, প্রগতির শেখ রফিকুল ইসলাম ও সিএসআরএলের সুপর্ণা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে বিপর্যস্ত জনপদ গুলোর একটি হচ্ছে শ্যামনগর উপজেলা। গত দশ বছরে এখানে সিডর, আইলাসহ ১০ টি বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত এনেছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিন গুলোতে এর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রভাব তীব্র হবে। নদী ভাঙনের ফলে এ উপজেলার পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, গাবুরা, মুনিাসগঞ্জ, বুগিগোয়ালিনী, কাশিমাড়ি ও কৈখালী ইউনিয়নে মাইগ্রেশনের সংখ্যাও বেশী। পরিবার কল্যাণ মন্ত্রানালয়ের তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলায় আইলা ও সিডর পরবর্তী সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে উপকুলীয় জেলা গুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা আগে তলিয়ে যাবে। পরিবেশবীদদের এমন আশঙ্কায় এ জনপদ থেকে নীরব অভিবাসন শুরু হয়েছে। আর লবনাক্ততা এই উপজেলার অন্যতম প্রধান অভিঘাত। সমুদ্র উপকুলবর্তী হওয়ায় এ উপজেলার মূল জলাধারা সমুহ লোনাপানির। প্রধান নদী ইছামতি, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, কালিন্দি, মাদার , যমুনা ও রায়মঙ্গল নদীসহ ১২৬টি খাল ও জলমহল রয়েছে। নদী থেকে কুষি জমি ও চিংড়ি ঘেরে লোনা পানি আনা ও বের করে দেয়ার কাজে এই খাল গুলো ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে খাল গুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাট হওয়ায় কারনে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্যামনগরসহ জেলার ৭টি উপজেলার বিস্তির্ণ এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
    উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরকে বাঁচাতে তারা এ সময় ১২ দফা দাবী উপস্থাপন করেছেন। দাবী গুলোর মধ্যে রয়েছে, উপকুলীয় বাধের নতুন ডিজাইন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতা প্রতিরোধে সক্ষম বেঁড়িবাধ দ্রুত নির্মানের জন্য বরাদ্দ প্রদান, প্রত্যেক ইউনিয়নে জলববায়ু তহবিল গঠনে বরাদ্দ দেয়া, উপকুলবর্তী প্রত্যেক গ্রামে কমপক্ষে দুটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে আরও পানির প্লান্ট তৈরিসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।

  • শ্যামনগরে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    শ্যামনগরে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগীতায়, শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে “স্থানীয় পর্যায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন” বিষয়ক দিনব্যাপি শ্যামনগরে এক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষন কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামান ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। প্রধান অতিথি ছিলেন- খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-সচিব আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন। প্রধান অতিথি তার বক্তেব্যে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ধাপ সমূহ বাস্তবায়নে সহযোগীতার আহবান জানান। কর্মশালার বিষয় সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিস্তারিত ধারনা দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-সচিব আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম। উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাগণ, মুক্তিযোদ্ধাগন, সাংবাদিকবৃন্দ, থানা পুলিশ, শিক্ষক, ছাত্র, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ, মসজিদের ইমামগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতিগণ গ্রুপ ভিত্তিক ১৬ টি অভীষ্টের উপর মতামত পেশ করেন।