স্টাফ রিপোটার ঃ বেতনের দাবীতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড নামের কাকড়া হ্যাচারির শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গত চার মাস ধরে বেতন না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা বিক্ষোভে নেমেছেন বলে জানান শ্রমিকরা।
একাধিকবার সময় নিয়েও বেতন না দেওয়ায় সোমবার সকালে আন্দোলনে শুরু করেন দুই শতাধিক শ্রমিক। তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র্যাবের একটি টহল টিম আন্দোলনরত শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়।
সাকিব আল হাসাসের হ্যাচারির শ্রমিক মহিদুল ইসলাম জানান, গত চার মাস যাবত তাদের কোনো বেতন দেয়া হয় না। করোনা প্রাদুর্ভাবে কঠিন অবস্থায় তারা দিন কাটাচ্ছে বলে জানান। বাড়িতে তাদের খাবার নেই।
নারী শ্রমিক মনোয়ারা জানান, অসহায় হয়েই সাকিবের কাকড়া ফার্মে কাজ করি। কিন্তু গত ৪ মাস বেতন বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার নেই। না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে তার ছেলে-মেয়েরা।
শ্রমিক রহিমা বেগম জানান, অভাবের তাড়নায় তার হ্যাচারিতে কাজ করি। অথচ তাদের ঠিকমতো বেতন না দেয়ায় তারা খুবই কষ্টে আছে।
স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে, সাকিব আল হাসানের কাকড়া ফার্ম প্রজেক্টের তত্বাবধায়ক সগীর হোসেন পাভেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তার ফোনকল রিসিভ করেননি।
Category: শ্যামনগর
-

বেতন না দেওয়ায় ক্রিকেটার সাকিরের কাকড়া হ্যাচারি শ্রমিকদের বিক্ষোভ
-

শ্যামনগরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিডার্স এর ২য় পর্যায় ত্রান সামগ্রী বিতরন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ১৮ এপ্রিল বেলা ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলা যুবফোরাম এর আয়োজনে লিডার্স এর বাস্তবায়নাধীন সমাজ পরিবর্তনে যুবসংহতি প্রকল্পের আওতায় দাতা সংস্থা মানুষে রজন্য ফাউন্ডেশন ও ইউকেএইড এর সহযোতিায় ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে প্রকল্পের ৮০ জনদরিদ্র যুবদের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে করনোভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী ত্রান প্রদান করা হয়। ইউনিয়ন যুবফোরাম সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডজি.এম শোকর আলী, চেয়ারম্যান ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিটি পরিবারের মাঝে ৭ কেজিচাউল, ১ কেজি মুশুরীর ডাউল, ৩ কেজি আলু ও ২ টি হুইলসাবান প্রদান করা হয়। লিডার্স আগামী ২ দিনের মধ্যে শ্যামনগর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করবে। এছাড়া লিডার্স কালিগঞ্জ উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে ২৫০ দরিদ্র যুব পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছে। উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে লিডার্স মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের হত দরিদ্র ও বাঘ বিধবা পরিবারের মাঝে ত্রানও হাইজিন সামগ্রী বিতরন করেছিল। -

বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন এনজিএফ এর ডাঃ শফিকুল
করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আতংঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন স্লোগানকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ যখন মহামারী ঘোষণা করেছেন তখন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় প্রশাসন সহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধারণ মানুষের সচেতন করার চেষ্টা করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শ্যামনগর উপজেলায় এনজিএফ এর প্রসপারিটি প্রকল্পের মাধ্যমে তার নিজ অবস্থান থেকে নিরলাস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের।
কথা হয় তার একজন রুগীর সাথে তিনি বলেন,এনজিএফ ডাঃ শফিকুল আসলে একজন মানবিক লোক। তাকে ফোন করার মাত্র ছুটে চলে আসেন আমার মতো রুগীদের কাছে,সেবা প্রদান করার জন্য। তাছাড়া সরকারের প্রদত্ত আইন গুলো মেনে চলার জন্য তিনি সাধারণ মানুষদের উৎসাহিত করছেন।
এমনকি যারা গরীব অসহায় তাদেরকে তিনি ফ্রি চিকিৎসা সেবা, ঔষধ প্রদান করা সহ তার সাধ্যমত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তিনি সাবান ও মাস্ক বিতরণসহ বিভিন্ন গ্রামে স্প্রে চলমান রেখেছেন।তিনি জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত মানুষের সঠিক পরামর্শ ও সরকারী নিদের্শনা অনুযায়ী মানুষের চিকিৎসা সেবাই নিবেদিত আছি।অসুস্থ মানুষ কেও ফোন করলে তার বাড়িতে পৌছে যাচ্ছি। করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত মানুষের সঠিক দিক নির্দেশনা, সরকারী স্বাস্থ্য সেবা সমূহ কি, কিভাবে মানুষ নিতে পারবে, সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশিতে আতঙ্কিত না হয়ে পরমর্শ সহ বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করছি। তিনি সবার কাছে আশীবাদ প্রার্থী। সবাই তার জন্য আশীর্বাদ করবেন। তিনি যেন এই ভাবে সুস্থ থেকে মানুষের সেবা করতে পারেন। -
সংক্রমণ রোধের কৌশল হিসেবে শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের প্রবেশদ্বারে পাহারা বসানো হয়েছে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের কৌশল হিসেবে শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা, নকিপুর, কাটিবারহলসহ কয়েকটি গ্রামের প্রবেশদ্বারে পাহারা বসানো হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাসহ বহিরাগতদের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয়দের উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।
বাঁশ ও বেঞ্চ দিয়ে প্রবেশদ্বার আটকিয়ে এসব গ্রামের তরুন ও যুবকরা পালা করে পাহারা দিয়ে বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানিয়েছে। একইসাথে গ্রামের বাসিন্দাদের জরুরী সকল কোন প্রয়োজনে সার্বিক সহায়তার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে উদ্যোগী এসব তরুন।
মঙ্গলবার দুপুরের পর উপজেলা সদরের বাদঘাটা, কাটিবারহল ও নকিপুর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এসব গ্রামে যেয়ে দেখা যায় গ্রামগুলোর প্রতিটি প্রবেশদ্বারে চার থেকে ছয় জন পর্যন্ত অবস্থান করছে। কোন কোন প্রবেশদ্বারে স্বেচ্ছাসেবী তরুনদের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশকে পাহারার কাজে সহায়তা দিতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে কেউ ঐসব গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে তার নাম পরিচয় জানার পর গন্তব্য জানতে চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে মুটোফোনে কথোপকথোনের মাধ্যমে অনেকের প্রয়োজন মিটিয়ে দিচ্ছে পাহার দায়িত্বে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীরা। নকিপুর গ্রামে যেয়ে দেখা যায় প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের জন্য এক বাসিন্দা গ্রামের বাইরে যেতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেদের সাইকেল নিয়ে তার জরুরী মালামাল ক্রয় করে এনে দিয়েছে।
তরুন ও যুবাদের এমন তৎপরতাকে সমর্থন দিয়ে এসব গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার, শেফালী বেগম ও মিজানুর রহমানসহ অন্যরা জানিয়েছে করোনার এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে সবাই আতংকের মধ্যে রয়েছে। গ্রামের কিছু ছেলে নিজেদের উদ্যোগে বহিরাগতসহ স্থানীয়দের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গ্রামের শত শত পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার যে চেষ্টা করছে তা প্রশংসনীয়।
তবে শুধু বাদঘাটা কিংবা নকিপুর নয়। বরং মঙ্গলবার দুপুরের পর উপজেলার রমজাননগর ভেটাখালীসহ আরও কয়েকটি এলাকায় গ্রামের প্রবেশদ্বারে স্থানীয়দের উদ্যোগে পাহারা বসিয়ে সামাজিক জনসমাগমের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে বাদঘাটা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী আল ইমরান জানায় বহিরাগতসহ স্থানীয়দের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনসহ স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে পাহারা বসানো হয়েছে। নকিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানায় নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে অবাধে চলাচল করে স্থানীয়দের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে সেজন্য গ্রামে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন এ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, সরকারি ঘোষনা সত্ত্বেও অনেকে অপ্রয়োজনে যত্রতত্র চলাচল করছে। সম্প্রতি ভারত থেকে আসা কিছু অপিরিচিত মানুষ গ্রামগুলোতে আসা যাওয়া করায় বাড়িত সতর্কতার অংশ হিসেবে কিছু তরুনের উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এসব গ্রামে বসবাসরকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকলের অংশগ্রহনে বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে করোনার ঝুঁকি কম রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। -
শ্যামনগরে ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা টিম সদস্যরা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সতর্কতার অংশ হিসেবে দুই দিনে শ্যামনগরে ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা টিমের সদস্যরা। অদ্যবধি কারও শরীরে করোনা পরীক্ষা পজেটিভ না হলেও সদ্য নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়িতে ফেরা এক ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক চৌধুরী জানান মঙ্গলবার ও বুধবার উপস্বর্গ দেখে কাশিমাড়ী, কৈখালী ও ভুরুলিয়া ইউনিয়েনের মোট ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ইতিমধ্যে নমুনাসমুহ সিভিল সার্জনের দপ্তরের মাধ্যমে পরীক্ষার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃতপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নানা উপস্বর্গ থাকলেও বুধবার পর্যন্ত কারও পরীক্ষা পজেটিভ হয়নি বলে তিনি জানান।
ডাঃ ওমর ফারুক আরও জানান, ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাটিবারহল গ্রামের এক ব্যক্তি নারায়নগঞ্জ থেকে ৭ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে জ¦রে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিদিন উপস্বর্গ থাকা রোগী পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরপরই শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা পরীক্ষার জন্য বিশেষ একটি ইউনিট গঠন করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক এবং সহকারীদের নিয়ে গঠিত টিমের সদস্যরা প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন অংশে পৌছে করোনার উপস্বর্গ থাকা মানুষকে পরীক্ষাসহ নমুনা সংগ্রহ করছে। চিকিৎসক ছাড়াও চিকিৎসক সহকারী এবং ল্যাব এসিসট্যান্টদের সমন্বয়ে করোনা চিকিৎসা ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অজয় কুমার সাহা। -

করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে হাইজিন প্যাকেজ বিতরন
৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখ লিডার্সের কর্মীগন ন্জিস্ব নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বাড়ীতে বাড়ীতে যেয়ে ৯৫৮ পরিবারে হাইজিন প্যাকেজ বিতরন করেছে। করোনা ভাইরাস ‘কোভিড-১৯’ এর সংক্রমন এড়াতে এবং পরিবার ভিত্তিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জার্মান দাতা সংস্থা “ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড” এর আর্থিক সহায়তায় লিডার্সের বাস্তবায়নাধীন “জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুকিপূর্ণ জনগনের জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম” এর আওতায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা, ঈশ^রীপুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নে উপকারভোগী অতি দরিদ্র পরিবারে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি হাইজিন প্যাকেজে ছিল ২ টি কাপড়কাচা হুইল সাবান, ১ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ৩টি মাক্স। এছাড়া ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলার ৬০ টি মসজিদ ও ২০ টি মন্দিরে করোনা সচেতনতামূলক ফেস্টুন, ২টি সাবান, ১ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ৩টি মাক্স বিতরন করা হয়েছে। -
শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুন্ডা সম্প্রদায়ের খাদ্য সহায়তা বাড়ীতে পৌছে দেন
শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার করোনা মোকাবেলায় কর্মহীন অসহায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মুন্ডা সম্প্রদায়ের ১২৬টি পরিবারে নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। শ্যামনগর ইউএনও আ. ন. ম আবুজর গিফারীর নির্দেশনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য বিতরণ করেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার প্রদীপ কুমার মন্ডল।
জানা যায়, দুস্থ অসহায় পরিবারে চাল, ডাল, আলু ও সাবান নিয়ে রমজাননগর ইউপির ২৬টি পরিবার, কৈখালী ইউপির ৫৬টি পরিবার, শ্যামনগর ইউপির ৪টি পরিবার, মুন্সিগঞ্জ ইউপির ২০টি পরিবার ও ঈশ^রীপুর ইউপির ২০টি পরিবারসহ মোট ১২৬টি পরিবারে বাড়ি বাড়ি যেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
-

শ্যামনগরে দুঃস্থ অসহায় ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে খাদ্য সামগ্রী পেীঁছেদিলেন জলবায়ু পরিষদ সদস্যবৃন্দ
শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ায় দিন আনা দিন খাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সদস্যবৃন্দ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন।
শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সম্পাদক আশেক ই এলাহী, সদস্য রনজিৎ বর্মন, ডাঃ নজরুল ইসলাম,চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, অনিরুদ্ধ কর্মকার সম্পদ, সুপর্ণা কর্মকার, বেল্লাল, রফিকুল ইসলাম, মুনসুর রহমান সহ অন্যান্য ব্যক্তি ও ঢাকার জলবায়ু পরিষদ সদস্য সোয়েব চেীধুরী সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা ক্ষুদ্র অনুদান একত্রিত করে চাল,ডাল,পেঁয়াজ,আলু,তেল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কাপড় কাঁচা পাউডার ও সাবান,ডেটল সাবান ও ঔষধ সামগ্রী এ পর্যন্ত ২২টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। -
সম্পত্তি , জানমাল রক্ষা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
২৫ শে মার্চ ২০২০ বুধবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় তিন ও চার নম্বর কলামে “অবৈধ ভাবে বসত ঘর দখল থেকে রক্ষা পেতে শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীর সংবাদ সম্মেলন” শীর্ষক সম্মেলনটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি সম্পূর্ন রুপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি সুকুমার চক্রবর্তী, পিতা- মৃত শিবপদ চক্রবর্তী, গ্রাম+পোঃ নকিপুর, উপজেলা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা। আমার পিতা ছিলেন একজন নির্ভীক আওয়ামী লীগ সন্তান। ১৯৭১ সালে শত নির্যাতনের পরেও এদেশ ত্যাগ করেননি। আমার পিতা ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ একাধারে সুনামের সাথে মেম্বর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমার সহোদর বড় ভ্রাতা দূর্গাপদ চক্রবর্তী দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ০৩ নং সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন এবং আমার সহোদর মেঝ ভ্রাতা শক্তিশেখর চক্রবর্তী ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর হিসাবে ১০ বছর যাবৎ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন এবং তিনি ০৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। আমি শ্যামনগর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে শ্রমিক ভাইদের অত্যান্ত আস্তাভাজন ব্যক্তি হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি। আমি পেশায় একজন সরকারি ঠিকাদার হিসাবে নিয়োজিত আছি এবং ট্রাক মালিক সমিতির একজন সদস্য। আমি গত ইং- ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পূর্ন নিজ অর্থে শ্রমিক ভাই ও জনগনকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছি। যাহা শ্যামনগর থানার সর্বস্তরের মানুষ দেখেছে বা জানে। আমি ২০১৭ সনে শ্রীফলকাটি আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র জি.এম.মিজানুর রহমানের নিকট থেকে শ্যামনগর মৌজায় এস.এ ২২৬ নং খতিয়ানে ৫৯ ও ৬১ নং দাগের মধ্যে .০৭ শতক জমি ক্রয় করি এবং সেই জমিতে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র সু-সম্পন্ন করি। আমি ও আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য বারেক গাজী ও তাহার দুই পুত্র গত ইং- ২৫ শে মার্চ ২০২০ তারিখ রোজ- বুধবার, দৈনিক দৃষ্টিপাত সহ বিভিন্ন পত্রিকায় আমাকে এবং আমার মামী মোছাঃ মমতাজ খাতুনকে নিয়া অত্যান্ত নোংরা ও আপত্তিকর ভাষায় আব্দুল বারেক গাজী যে সংবাদ সম্মেলনটি করে তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। মৃত খোরশেদ আলম আমার অত্যান্ত শ্রদ্ধাভাজন পৃত্রিসমতুল্য ব্যক্তি ছিলেন। আমি তাকে মামা বলে ডাকতাম উনিও আমাকে নিজের ভাগ্নের মত ভালবাসতেন। সে কারনে তাদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের অবাধে যাতায়াত, আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। মামীও আমাকে নিজের ভাগ্নে ছেলের মত ভালবাসেন। অতএব বারেক গাজী মামীকে ও আমাকে নিয়ে যে নোংরা ও আপত্তিকর সংবাদ সম্মেলন করেছে তার একমাত্র কারণ- আমি ২০১৭ সালে জি.এম.মিজানুরের নিকট থেকে এস.এ ২২৬ নং খতিয়ানে শ্যামনগর মৌজায় .০৭ শতক জমি ক্রয় করি সেই জমিতে বারেক গাজী বার বার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করে কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০/০৩/২০২০ তারিখ রোজ- শুক্রবার, ভোর রাত্রে ২৫/৩০ জন গুন্ডা প্রকৃতির লোকজন লাঠি সোটা দা, সাবল সহ সিমেন্টের কিছু খুটি নিয়া আমার ক্রয়কৃত জমির উপর দখল করিতে গেলে মামি আমাকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। অত:পর আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সাহেবকে জানিয়ে দেন। শ্যামনগর থানার ফোর্স এসে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। ততক্ষনে বারেক গাজীর সন্ত্রাসীরা কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি মাটিতে পুতে ফেলে পালিয়ে যায়। বারেক গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা নামধারী পরসম্পদলোভী, মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু নামে আখ্যায়িত করা যায়। কারণ ইতিপূর্বে বহু শান্তিপ্রিয় নিরীহ মানুষের নামে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা করিয়াছে। যাহার সুস্পষ্ট প্রমান রহিয়াছে। যাহার বহু মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী একই ব্যক্তি হইতেছে। এছাড়া সরকারি খাস খাল, খাস জমি অবৈধ ভাবে বিরোধপূর্ন জমিতে দখলের অনেক প্রমানাদি রহিয়াছে। খোরশেদ মামার মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীকে শ্যামনগর থানার পুলিশ জুয়ার বোর্ড থেকে ধরে এনে সাতক্ষীরায় চালান করে এবং কয়েক দিন পরে খোরশেদ মামা সাতক্ষীরা থেকে তাকে জামিন দিয়ে ছাড়িয়ে আনে, যাহার প্রমান আছে। বারেক গাজীর ছোট পুত্র রাজগুল আহম্মেদ @ রাজুু বিভিন্ন এনজিও এবং বহু মানুষের নিকট থেকে চিটিং করে চেকের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। সেই সব নিরীহ লোকেরা সাতক্ষীরা আদালতে বিচারপ্রার্থী। অতএব আগামী ২৫ শে মার্চ ২০২০ এর মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে মামলাবাজ ও ভূমি দখলবাজ মুক্তিযোদ্ধা বারেক গাজীর মিথ্যা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আমার সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষা করিতে পারি তাহার সু-ব্যবস্থা করিতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।(সুকুমার চক্রবর্তী)
পিতা- স্বর্গীয় শিবপদ চক্রবর্তী
সহ-সভাপতি
শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিক লীগ
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
মোবা: ০১৭১১-০৪৭২৬৯ -

শ্যামনগর থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর হাড়, দাঁত, চামড়া ও মাথাসহ আটক-১
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর হাড়, দাঁত, চামড়া, হরিণের মাথাসহ আমজাদ খান (৫৬) নামে এক ব্যক্তি আটক করেছে। রোববার বিকালে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আমজাদ খান ৯ নং সোরা গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে।
বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকালে ৯নং সোরার আমজাদ খানের বাড়িতে অভিযান চালায় বন বিভাগ, শ্যামনগর থানা ও বুড়িগোয়ালিনী নৌ পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। এ সময় তার বাড়ির উঠানের ময়লার স্তুপ থেকে বিভিন্ন পশুর চামড়া এবং ঘরের ভিতর থেকে হাড়, দাঁত, হরিণের মাথাসহ আমজাদ খানকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জব্দকৃত পশুর চামড়া ও হাড় ল্যাবে পাঠিয়ে কোনটি কোন প্রাণীর তা নিরুপণ করা হবে। -
শ্যামনগরে যাত্রীবাহি বাস উল্টে ২০ যাত্রী আহত
শ্যামনগরে যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা- জ-০৪-০০৩২) উল্টে ২০ যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জ হতে কালিগঞ্জ যাওয়ার সময় কামাল মাষ্টার মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। কালিগঞ্জ অগ্নি নির্বাপক দলের সদস্যরা আহতযাত্রীদের উদ্ধার করে শ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় শিক্ষক কামাল জানান, যাত্রীবাহি বাসটি কামাল মাস্টারের মোড়ে কালভার্টের সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ২০ যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়। আহত যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাসটি দ্রুত গতিতে কালভার্টের সাথে ধাক্কা লেগে প্রচন্ড শব্দে রাস্তার ধারে উল্টে যায়। শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক বলেন আহত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, বাসটির চালক ও সহকারী পালিয়েগেছে। প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।শ্যামনগর সদর প্রতিনিধি ঃ -
করোনা: জেলার পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা
শ্যামনগর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় সুন্দরবনে কলাগাছিয়া পর্যটন স্পট, আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, বরসা রিসোর্ট সেন্টার এবং সুশীলন টাইগার পয়েন্ট সামায়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. ন. ম আবুজর গিফারী বলেন, নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনবহুল পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এমএ হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশ মতে কলাগাছিয়া পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এতে এক সময়কার পর্যটনের ভারে স্পটটি এখন খালি পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক ভিড় জমাতেন।
-

শ্যামনগরে লিগ্যাল এইডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ ‘মুজিববর্ষে আইনগত সহায়তা ও কল্যাণকর রাষ্ট্র’ এর আওতায় শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সাথে ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন লিগ্যাল এইডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সাথে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানে ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ শোকর আলীর সভাপতিতে স্বাগত বক্তব্যে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে বিস্তারিত বিবারন দেয় জুডিসিয়্যল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা বিজ্ঞ দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পাভেল রায়হান, বিজ্ঞ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডঃ এম, শাহ আলম, এডঃ আব্দুল লতিফ (পিপি), এডঃ তপন কুমার দাস (এপিপি),শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা লিগ্যাল এইড এর সভাপতি এস, এম, আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ পুলিশ সার্কেল জামিরুল ইসলাম(এএসপি), উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু ও শ্যামনগর থানা ওসি (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সালমা আক্তার -
শ্যামনগরের খবর
শ্যামনগরে বৈধভাবেহিমেল স্যাটেলাইট
নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনা করার দাবীশ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর উপজেলার পোড়াকাটলা গ্রামের সুদ্বীপ্ত বিশ্বাস বৈধভাবে হিমেল স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনা করার দাবীতে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে অভিযোগ করেছে এবং সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ শ্যামনগর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। সুদ্বীপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন হিমেল স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবসার বৈধ পারমিট ও ট্রেড লাইসেন্স এর মাধ্যমে অনুমতি পেয়ে ২২/১০/১৯ তারিখ থেকে ব্যবসার কার্যক্রম শুরু করে। শ্যামনগর স্যাটেলাইট এর প্রোঃ আমির হামজা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মিথ্যা অভিযোগ করে সুদ্বীপ্তের ব্যবসা বন্ধ করে। এলাকার লোকজনের চাপে ৬ টি চ্যানেল চালু করে সাধারন মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা করে। অত্রাঞ্চলের অবৈধ ডিস ব্যবসায়ী মৃত খগেন্দ্রনাথ সরদারের পুত্র তপন কুমার সরদার ১৮/১২/১৯ তারিখে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সুদ্বীপ্তের মালামাল জব্দ করে। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সুদ্বীপ্ত মালামাল উদ্ধার করে। বৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সুদ্বীপ্ত তার প্রত্যেকটি কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে উল্লেখিত সকল দপ্তরে প্রেরণ করেছেন।
শ্যামনগর প্রেসক্লাবের শোকশ্যামনগর ব্যুরো ঃ দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক জি এম নুরুল ইসলাম এর ভগ্নিপতি, শ্যামনগরের সাবেক পত্রিকা পরিবেশক মোঃ খলিলুর রহমানের পিতা শ্যামনগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মাজেদ এর মৃত্যুতে তার আত্মার মাগফিরত কামনায় এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর, সহ-সভাপতি এসকে সিরাজ, সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান সহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকগন।
শ্যামনগর প্রেসক্লাবের পক্ষে
দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার প্রতিনিধির সুস্থ্যতা কামনাশ্যামনগর ব্যুরো ঃ দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার শ্যামনগর নিজস্ব প্রতিনিধি শ্যামনগ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পী ষ্ট্রোক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি প্রদান করেছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আকবর কবীর, সহ-সভাপতি এসকে সিরাজ, সাধারন সম্পাদক জাহিদ সুমন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান সহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকগন।
-

শ্যামনগরে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের ৬৫ ভাষায় অনুদিত কোরআন শরিফ প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতিন্দ্রনগরে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের উদ্যোগে ৬৫টি ভাষায় অনুবাদিত চার দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন প্রদর্শনী গতহ রবিবার শেষ হয়েছে।
পবিত্র কোরআন শরিফ যে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে তা যচ্ছে যথাক্রমে- বাংলা, মানদিকা, মনিপুরী, উর্দু, ফিজিয়ান, করিয়াল, কানাড়া, লুগান্ডা, পশতুা, নরওয়েজিয়ান, ইউরোবা, গুজরাটি, মারাঠি, চাইনিজ, কিকুয়া, ডেনিশ, তামিল, সিন্ধি, ইটালিয়ান, কাশ্মিরী, হিন্দি, হাওসা, কেটালান, সোহেলি, থাই, টগালো, সুইডিশ, নেপালি, গ্রিক, তেলেগু, মানডি, জার্মান, ওরিয়া, উজবেক, ওলিশ, কিকামবা, জাপানিজ, ভিয়েতনামিজ, আসামিজ, টার্কিশ, টুভালোয়ানা, কোরিয়ান, পলিশ, চেক, ডাচ, ইটালিয়ান, মালায়ালাম, বসনিয়ান, সারায়িকী, ওলোক, ফ্রেন্স, ইগবো, জুলা, পুর্তুগিজ, সিনহানিজ, ইংলিশ, বসনিয়ান, স্পেনিশ, মওরিটিয়ান, পাঞ্জাবি, পার্সিয়ান, আলবেনিয়ান, আশান্তি, বার্মিজ এবং মালে।
শ্যমগনগরে যতিন্দ্রনগরে সুন্দরবন আহমদিয়া মুসলিম জামাতের আমির জিএম মোবারক আহমেদের সভপতিত্বে গত ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্তক অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আহমদিয়া মুসলিম জামাতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলানা ফিরোজ আলম সাহেব এবং যুক্তরাজ্য ও ন্যাশনাল আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল খান চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলানা নূরুল আমীন জানান, বর্তমানে পৃথিবীর ২১৪টি দেশে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের কার্যক্রম চলছে। যার সদস্য সংখ্যা এক কোটি ২০ লক্ষ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলান নূরুল আমিন, এসএম মতিউর রহমান, জিএম আবু দাইদ, মাওলানা আমীর হোসেন, শ্যামনগরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও দেশ-বিদেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
-

শ্যামনগরে দরিদ্রদের মাঝে ব্যাংক এশিয়ার বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক এশিয়ার পক্ষ হতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এ ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের মাঝে গবাদী-পশু, কম্বল ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টাইগার পয়েন্টে ‘মানবতার বন্ধন’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে ৫০টি গরু ও অন্যান্য সামগ্রী তুলে দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই ইলাহী, রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার ম-ল, আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সালেহ, ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম¥দ বোরহান উদ্দিন, চ্যানেল ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান সর্দার আকতার হামিদ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রধান তাহমিদুর রশিদ, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লশান বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন ভূঁইয়া সহ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
-

শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নদী খননের লক্ষ্যে আদি যমুনা নদীর দু’ধারের অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান
আজ (২ ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার)। দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এস মোস্তফা কামাল এর নিকট আদি যমুনা নদীর শ্যামনগর সদরের আদি যমুনা নদীর দু ধার উম্মুক্ত করার লক্ষ্যে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক স্মারকলিপির দাবীর সাথে একমত পোষন করে বলেন, সাতক্ষীরার উপকুলীয় অঞ্চলের প্রধান নদী আদি যমুনা। ইছামতির মিষ্টি পানির প্রবাহ সুন্দরবনের মধ্যদিয়ে সাগরে যাওয়ার একমাত্র পথ আদি যমুনা নদী। সেকারণ আদি যমুনা নদীকে প্রবাহময় করতে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন তা করা হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রগতির প্রধান নির্বাহী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শ্যামনগরের সদরের চেয়ারম্যান ও বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক আব্দুল আল ফারুক প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্যামনগর সদর দিয়ে প্রবাহিত আদি যমুনা নদীর উপর দিয়ে চলে যাওয়া সকল সংযোগ সড়কে ব্রীজ নির্মান সম্পন হয়েছে। ইতোমধ্যে সোনারমোড়ে ব্রীজ নির্মান হয়েছে। এছাড়াও আদি যমুনার প্রধান বাধাঁ মাদার নদী ও যমুনা সংযোগ স্থলে(চিংড়ীখালী) স্লুইজগেট নির্মিত হয়েছে।
শ্যামনগর সদরের সাতক্ষীরা-মুন্সিগজ্ঞ সড়কের চন্ডিপুর এলাকা থেকে নকিপুর বাজারের দক্ষিনপাশ্বস্ত মহাশশ্মানের ধার পর্যন্ত যে ৪টি ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে, সে গুলোর নীচ দিয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করতে হলে এ অংশের যমুনা নদীর খনন কাজ করা দরকার। কালিগজ্ঞের অংশের আদি যমুনা খননের মাধ্যমে ইছামতির যে প্রবাহ নাজিমগজ্ঞের পার্শ্ব হয়ে আসছে সে প্রবাহ শ্যামনগরের মহা-শশ্মœান পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারবে। এটা করা সম্ভব হলে শ্যামনগর সদরসহ সকল ইউনিয়নের কৃষি জমি ও বসতভিটা জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে, তেমনি শ্যামনগর সদরের নকিপুর বাজার, উপজেলা পরিষদ, হাসপাতালের বর্জসহ সকল ধরনের বর্জ নদীতে চলে যাওয়ায় এলাকা দূষণ মুক্ত হবে। এলাকাটিতে কৃষি প্রতিবেশ ব্যবস্থা তৈরী হবে। যা আগামীর ভয়াবহ জলবায়ু জনিত সংকটে অভিযোজনে ব্যপক ভুমিকা রাখবে।
স্মারক লিপিতে নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করা হয় যে, ইছামতি থেকে আসা মিষ্টি পানির প্রবাহ আদি যমুনা নদী-মাদার নদী হয়ে সুন্দরবনের মধ্যদিয়ে সাগরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে আছে শ্যামনগর সদরের মহাশশ্মানের উত্তর ধার থেকে কেন্দ্রিয় ঈদগাহের সামনে দিয়ে যেয়ে দক্ষিন পার্শ্বস্ত প্রায় ১০০০ গজ যমুনার উপর দিয়ে নির্মিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা। এ রাস্তা নির্মানের ফলে আদি যমুনা নদী বিচ্ছিন্ন হয়। এখানে ব্রীজ না করা পর্যন্ত দুপার্শ্বের প্রবাহ সংযুক্ত করা সম্ভব নয়। একই সাথে শ্যামনগর সদরের চন্ডিপুরের ১০ ফুটের স্লুইজ গেটটি সংস্কার করে নদীর প্রশস্ততা অনুপাতে ১০০ ফুটের অধিক লম্বা ব্রীজ নির্মান করা প্রয়োজন।
মুলতঃ আদি যমুনা নদীর মরণ শুরু হয় শ্যামনগর সদরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক নির্মানের সময় শ্যামনগরের (মিঠা)চন্ডিপুরের কাছে যমুনা নদীর উপর ১০ ফিটের ¯¬ুইজ গেট নির্মান করা হয়। এখানে নদীর প্রস্ততা ১০০ ফুটের বেশী। এ গেটের এলাকা হতে শুরু করে নকিপুর শশ্মাষের কাছ পর্যন্ত যমুনা সবচেয়ে বেশী দখল হয়ে আছে। নকিপুর চন্ডিপুর এলাকায় জনৈক ব্যক্তি নিজস্ব বাড়ী বানানোর সময় মূল নদীর অর্দ্ধেক দখল করে এবং একই ব্যক্তি নিজস্ব ইটের ভাটার ইট(বর্তমানে বকুলের ভাটা) পরিবহনের জন্য যমুনা নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে বেঁধে দেয়।
স্মারকলিপিতে ৭ দফা দাবীতে উল্লেখ করা হয় : ১.শ্যামনগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আদি যমুনা নদীর সীমানা চিহ্নিক করা ও অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। ২. নকিপুর শশ্মান থেকে চন্ডিপুর ব্রীজ পর্যন্ত সহ সমগ্র ৩য় খন্ডের আদি যমুনা নদী দ্রুত খনন করতে হবে। ৩. নকিপুর শশ্মানের সামনে ব্রীজ করতে হবে। ৪. চন্ডিপুরের কালর্ভাট ভেঙ্গে নদীর প্রশস্তা অনুযায়ী ব্রীজ করতে হবে। ৫. মাদার সংযোগস্থল হতে ৫ম ও ৪ র্থ খন্ডের সকল মাটির রাস্তা অপসারন করতে হবে। ৬. আদি যমুনার নদীর দু’ধার দিয়ে রাস্তা তৈরী করা , সেখানে বনায়ন করা ও বৈকালিক এবং প্রাত:কলিন চলাচলের পথ উম্মুক্ত করতে হবে । ৭. পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আদি যমুনা নদীকে খাল হিসেবে টানানো সাইনবোর্ড অপসারণ করে নদী হিসেবে লেখার সাইন বোর্ড ব্যবস্থা করা। -

শ্যামনগর প্রতিবন্ধী স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা
শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর প্রগতির পরিচালিত প্রতিবন্ধী স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা-২০১৯ এর ফলাফল ঘোষনা ও পুরষ্কার বিতরন আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১১ টায় শ্যামনগর ফুলতলা মোড়ে এ প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাতক্ষীরা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুর রহমান দৈনিক দক্ষিনের মশালের সম্পাদক ও প্রকাশক আশেক-ই-এলাহী প্রমুখ। স্কুলের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন স্কুলের পরিচালক মোঃ মাহবুব-ই-এলাহী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন।