Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
শিক্ষা Archives - Page 5 of 10 - Daily Dakshinermashal

Category: শিক্ষা

  • শেখ আমানুল্ল¬াহ’র ৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বরেণ্য ভাষা সৈনিক, কিংবদন্তী শিক্ষক নেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ আমানুল্ল¬াহ’র ৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে প্রয়াত শিক্ষক নেতার ঝাপাঘাটাস্থ সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা, দোয়ানুষ্ঠান ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে শিক্ষক সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে মরহুমের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্যাহ আমান।
    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ করেন কলারোয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রইছউদ্দীন, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক হরি সাধন ঘোষ, কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সিনিয়ির সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: শেখ কামাল রেজা, অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন, উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক আবুল খায়ের, এমআর ফাউন্ডেশন একাডেমির অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, শিক্ষক নেতা প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্ল¬ব, প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক এবাদুল হক, শিক্ষক নেতা সাংবাদিক শিক্ষক দীপক শেঠ, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, প্রধান শিক্ষক মুনছুর আলী, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীম, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান পলাশ, সহকারী অধ্যাপক ইউনুছ আলি, সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সহকারি প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব, সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, সহকারি প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক জিয়া, শিক্ষক নেতা সহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সাংবাদিক শামসুর রহমান লাল্টু, মাস্টার উৎপল কুমার সাহা, মাস্টার সাইফুল ইসলাম, মাস্টার হুমায়ুন কবিরসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। সভাটি পরিচালনা করেন শিক্ষক নেতা মোস্তফা বাকি বিল্ল¬াহ শাহী।
    এর আগে এদিন সকাল ৯টার দিকে কলারোয়ার ঝাঁপাঘাট গ্রামের সমাধিস্থলে পুস্পমাল্য অর্পণ করে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক গুণমুগ্ধগণ।
    সমাধিস্থলে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলারোয়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি,কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল, শেখ আমানুল্যাহ ডিগ্রী কলেজ, কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউ, কলারোয়া জিকেএমকে সরকারি পাইলট হাইস্কুল, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের প্রধানগণ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ইনতাজ আলী ও মাওলানা শরিফুল ইসলাম। উল্লে¬খ্য, ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য ভাষা সৈনিক ও শিক্ষক নেতা শেখ আমানুল্ল¬াহ।

  • প্রাথমিক-ইবতেদায়ী পরীক্ষা নিয়ে ৫ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ টি প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনা ঝুঁকির মধ্যে এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা না নিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব রয়েছে এতে।
    গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাটা বিদ্যালয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি, আগে এটা কেন্দ্রভিত্তিক নেয়া হত। এটা না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে, যাতে করে জমায়েতটা বেশি না হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত না হয়, এ রকম চিন্তাভাবনা আমরা করছি। নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার পাশাপাশি বিকল্প প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চার-পাঁচটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যেটি অনুমোদন দেন সেভাবেই হবে। পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাবও রয়েছে।
    তবে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ করা যায়নি জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, এজন্য আমরা বলেছিলাম প্রয়োজনে হলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেবাস শেষ করে তখন পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে পঞ্চমের সমাপনী উত্তীর্ণদের যে বৃত্তি দেয়া হয়, তা এবার দেয়া হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তবে আগেই মতো প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির।

  • নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এর উদ্যোগে অলোচনা সভা

    জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এর উদ্যোগে আজ রবিবার বেলা ১১টায় এক অনলাইন অলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন, প্রফেসর ড.আনোয়ারৃল হক জোয়াদ্দার। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে আগামী দিনে যুব সমাজকে দেশ পরিচালনা করেত হবে।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনউবিটি খুলনার ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস.এম মনিরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ড. আশিক উদ্দীন মো: মারুফ, ছাত্র বিষায়ক পরিচালক, রাজীব হাসনাত শাকিল।
    উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, এনইউবিটি খুলনার রেজিস্ট্রার, ড.মো:শাহ আলম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো:মোস্তাফিজুর রহমান।

  • ফের ছুটির ঘোষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

    ফের ছুটির ঘোষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

    মশাল ডেস্ক: মহামারী করোনার কারণে আগামী ৬ আগস্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হচ্ছে। তবে মহামারি পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় সে ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে ইতিমধ্যে সরকারের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন।

    সে আলোকে আজ বুধবার (২৯ জুলাই) আরেক দফা ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে।

    জানা গেছে, আগস্ট মাস পুরোটা ছুটি ঘোষণা করে সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করা হতে পারে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনের বিষয় সামনে রেখে সিলেবাস সংশোধন করা হবে বলে বলেও জানা গেছে।

    করোনার কারণে গত চার মাস ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ায় ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হতে পারে। এছাড়া চলতি বছরের মার্চে যে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল করোনার কারণে সেটিও শুরু করা যায়নি।

    আগামী নভেম্বরে পিইসি-ইবতেদায়ি এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও এসব পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে ডিসেম্বরে আয়োজন করা হতে পারে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বরে খুলতে না পারলে শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর বিকল্প চিন্তাও আছে জানা গেছে।

    এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস সংক্ষেপ হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা মাথায় রেখে আমরা সকল সিদ্ধান্ত নেব। ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হবে। বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে জানান তিনি।

  • কলেজ গভর্নিং বডি’র সভাপতি পদ থেকে এমপিদের বাদ দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি

    সম্প্রতি হাইকোটের রায় অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২৭ জুলাই ২০২০খ্রী. তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী সংসদ সদস্যদের স্থলে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গত ২৫ নভেম্বর ২০১৯ খ্রী. তারিখে হাইকোটে রীট পিটিশন নং ২৩০/২০১৭ মামলার রায় অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ২০২০ খ্রী. তারিখে ঐ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
    রায়ে বলা হয়, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদকে সভাপতি করা সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাতক্ষীরার শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (কলেজ) গভর্নিং বডির সভাপতি পদে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্যের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
    এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ২৫ নভেম্বর ওই রায় দেন। বৃহস্পতিবার ছয় পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের এই অভিমতের ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না সাংসদেরা। এমনটাই জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।
    বিভিন্ন রায় ও আদেশ পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, ‘এটি কাচের মতো স্পষ্ট যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্যগণ সভাপতি হিসেবে নিয়োগ/মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সর্বজনশ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে সার্বক্ষণিক নিবেদিত থাকতে হয়। এ ছাড়া গভর্নিং বডির সভাপতির পদ সংসদ সদস্যদের মহান পদের সঙ্গে একেবারেই বিপরীত। সংসদ সদস্যগণ তার নির্বাচিত এলাকাসহ সমস্ত দেশের উন্নয়নে নিবেদিত, অপর দিকে গভর্নিং বডির সভাপতি শুধু ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিবেদিত।’
    রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালের ১৬ জুন এক আদেশে স্থানীয় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারকে শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আফজালুল হক ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেন। রুলে সাংসদকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গেল ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইলিন ইমন সাহা ও মাহফুজুর রহমান লিখন।
    পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, প্রত্যেক সাংসদ তাঁর এলাকার কার্যত নির্বাচিত অভিভাবক, তিনি তাঁর এলাকার অভিভাবক হিসেবে সব গভর্নিং বডিরও অভিভাবক। তিনি কখনোই গভর্নিং বডির সভাপতির পদ পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। একজন সাংসদকে দেশের সব মানুষের কল্যাণের জন্য যেমনিভাবে ভালো ভালো আইন প্রণয়ন করতে হয়, তেমনিভাবে তাঁর এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যও সার্বক্ষণিকভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখে দায়িত্ব পালন করতে হয়। একজন সাংসদকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয়। অন্যদিকে গভর্নিং বডির সভাপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পদমর্যাদা সাংসদের নিচের পদমর্যাদার।
    রায়ে আদালত বলেছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচিত সাংসদ যদি গভর্নিং বডির সভাপতি হন, তাহলে কার্যত ওই গভর্নিং বডি একটি একক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে বাধ্য। কারণ, নির্বাচিত সাংসদের ওপর কথা বলার সাহস গভর্নিং বডির কোনো সদস্যের থাকে না, এটাই বাস্তব সত্য।
    রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বৃহস্পতিবার বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি আজ হাতে পেয়েছেন। রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া চিঠি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ বা মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলা হয়েছে। ফলে সাংসদেরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল, কামিল মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না।

  • করোনার ‘জাল সনদ’, লন্ডন যেতে পারলেন না শাজাহান খানের মেয়ে

    করোনার ‘জাল সনদ’, লন্ডন যেতে পারলেন না শাজাহান খানের মেয়ে

    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনার ‘জাল সনদ’র কারণে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে ফিরিয়ে দেয়া হলো বিমানবন্দর থেকে।

    রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাল সনদের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে অনলাইন চেকে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।

    বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০১ ফ্লাইটে লন্ডন যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ঐশী। ইমিগ্রেশনে তার সঙ্গে থাকা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চেক করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই সার্টিফিকেট অনলাইনে চেক করলে সেটি পজেটিভ দেখায়। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

    এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় বিমানের লন্ডন ফ্লাইটে একজন যাত্রীকে যেতে দেয়া হয়নি।

    তবে তার পরিচয় প্রকাশ করেননি তাহেরা খন্দকার। তিনি একজন সাবেক মন্ত্রীর মেয়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পরিচয় কী, সেটা আমরা জানি না। তিনি বিমানের যাত্রী ছিলেন, ইমিগ্রেশনে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গেছেন, কিন্তু অনলাইনে চেক করলে সেটা পজিটিভ আসে। সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে লন্ডন যেতে দেয়নি।

    শিডিউল ফ্লাইটটি রোববার দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০১ ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। ঐশী ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তিনি ভিআইপি কাউন্টার দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় তার করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে কোনো একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে জানানো হলো যে, একজন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আইইডিসিআরের সার্ভারে তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ। আমরা তাকে নিয়ে দ্রুত হেলথ ডেস্কে পাঠাতে বলি।

    তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর ঐশী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেস্কে আসেন। আমরা তার হাতে একটি করোনা ‘পজিটিভ’ সার্টিফিকেট দেখতে পাই। তার সার্টিফিকেট সার্ভারে সার্চ দিয়ে দেখতে পাই, তিনি সত্যিই করোনা পজিটিভ। এরপর অধিদপ্তর থেকে তাকে আর প্লেনে ওঠার অনুমতি দেয়া হয়নি।

    বিমানবন্দরে সকালে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট এপিবিএনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকায় ঐশী নামের এক যাত্রীকে লন্ডনে যেতে দেয়া হয়নি।

  • খুলনায় হচ্ছে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিভাগীয় শহর খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আইন অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সোমবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
    বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বোচনী ইশতেহারে ‘সব বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে’ মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।
    চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি এরই মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়ন করা যাবে। আইনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা ছাড়াও পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বণ্টন করা আছে আইনে। এছাড়া আইনে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন এবং তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রতিনিধিদের সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
    প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান ও সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে উন্নত চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারিত হবে।

  • ডিপিএড প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে নেপ

    ন্যাশনাল ডেস্ক:

    নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন ডিপিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউ (পিটিআই) গুলোতে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পদক্ষেপ নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ডিপিএড প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের জেলাওয়ারি তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

    নেপের ডিপিএড বোর্ড থেকে এসব শিক্ষককে তথ্য চেয়ে চিঠি সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

    জানা গেছে, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ডিপিএড প্রশিক্ষণবিহীন এইচএসসি বা তদুর্ধ্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের জেলাওয়ারী  সংখ্যা মন্তব্যসহ ডিপিএড বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। তবে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে পিটিআইগুলোতে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের তথ্য বাদ দিয়ে প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের সংখ্যা পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ১২ জুলাই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিপিএওড বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী।

  • লিডার্স কর্তৃক বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে মেধাবী ছাত্রীদের চেক প্রদান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ ও বিজ্ঞান মনষ্ক জাতি গঠনে লিডার্স ২০১১ সাল থেকে কাজ করছে। এই কাজের অংশ হিসাবে লিডার্স ড. অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় মেধাবী গরীব বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে ২ জুলাই ২০২০ সকাল ১০:০০ টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে মেধাবী ছাত্রীদের মধ্যে প্রত্যেককে ৩,৬০০ টাকার চেক বিতরণ করে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব খালেদা আইযুব ডলি নিজ হাতে এসব চেক বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর মনিটরিং অফিসার জনাব নাজনীন নাহার। চেক প্রাপ্ত মেধাবী ছাত্রীরা হলেন হেনচী বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আসমা খাতুন, কাশিমাড়ি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মাহবুবা অন্তরা, নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুষ্মিতা রানী মিস্ত্রী, ভেটখালী এ.করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোছঃ লিজা মনি, বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নুরনাহার। চেক গ্রহনকালে তাদের অভিভাবকগনও উপস্থিত ছিলেন।

  • ফল পুনঃনিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-ফাইভ পেল ২৯৯ জন

    ফল পুনঃনিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-ফাইভ পেল ২৯৯ জন

    ন্যাশনাল ডেস্ক: এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন ২৯৯জন। এছাড়াও ফেল থেকে পাস করেছেন ১০৫ জন শিক্ষার্থী। তবে ফেল থেকে জিপিএ-ফাইভ পায়নি কেউই। ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০ টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদনে ২ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

    মঙ্গলবার দুপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষিত ফল প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মনজুরুল কবীর।

    মনজুরুল কবীর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল অনলাইনে দিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীর মোবাইলে হয়তো রাতের দিকে পৌঁছাবে।’

    আশানুরূপ ফল না পেয়ে চলতি বছর ঢাকা বোর্ডের ৫৭ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যেই নতুন জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন ২৯৯জন এবং ফেল থেকে পাস করেছেন ১০৫ জন শিক্ষার্থী।

    ঢাকা বোর্ড থেকে জানা যায়, খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সাধারণত মোট চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা, এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটে বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কিনা। এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেয়া হয়।

    ঢাকাসহ অন্যান্য বোর্ডে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল না পেয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন। তারা মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। এদের মধ্যে শুধু এসএসসি পরীক্ষার ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৮টি, দাখিলের ২৮ হাজার ৪৮৪টি এবং এসএসসি ভোকেশনালের ১৭ হাজার ৫৩৭ টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।

  • এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী

    এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে : শিক্ষামন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: এবারের এইচএসসি পরীক্ষা কম সময়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, সেটি আমরা কম সময়ে করতে পারি কি না? কমসংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি না? আমরা সব কিছুই ভাবছি।

    আজ শনিবার শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছরের এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন হতে পারে যে, পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং এত লাখ লাখ পরিবার, এত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এত প্রশাসনের মানুষ, এত শিক্ষক- সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব?

    তিনি আরো বলেন, শিক্ষা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।

    সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

  • কোভিড-১৯ এর  থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন আক্রান্ত ।  পাঁচজন  মৃত্য

    কোভিড-১৯ এর থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন আক্রান্ত । পাঁচজন মৃত্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবায় প্রাথমিক শিক্ষার ৩১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই মরণব্যাধির বিষাক্ত ছোবল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

    করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার (২২ জুন) একদিনে দুই শিক্ষক মারা গেছেন। এদিন নতুন করে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন দুই জন।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে করোনা আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

    তবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাধিক বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, অনেকে সামাজিক ভীতির কারণে উপসর্গ নিয়ে বাসায় চুপচাপ থাকছেন, কোনো ধরনের পরীক্ষা করছেন না। এ কারণে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা উঠে আসছে না বলে জানান তারা।

    ডিপিই’র তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের ২৭ জন শিক্ষক, ৩৬ জন কর্মকর্তা, ২২ জন কর্মচারী ও ১৩ জন শিক্ষার্থী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। আর এ পর্যন্ত ৪৮ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষক, ৫ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী দুইজন ও ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

    দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রামে ৮৬ জন, খুলনায় ১০ জন, বরিশালে ১৮ জন, সিলেটে ৩৪ জন, রংপুরে ১৭ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন রয়েছেন।

    জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের অবস্থা মুমূর্ষু। নিজ উদ্যোগেই নানাভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। নিম্ন বেতনের প্রাথমিক শিক্ষকরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন।

    আক্রান্ত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষকদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে তাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কারো চিকিৎসকের পরামর্শ লাগলে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যেসব শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তাদের বেশিরভাগই নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। আর হাসপাতালে ভর্তি আছেন কয়েকজন। তবে সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ কাজ শুরু করে ডিপিই। প্রতিদিন এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ২৪ ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে আপডেট করা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। সারাদেশে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছে। অনেক শিক্ষক করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না, এ কারণে সঠিক সংখ্যাটাও জানা যাচ্ছে না। অনেকে ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন, সামাজিক হয়রানির ভয়ে বাইরে যাচ্ছেন না।

    অন্যদিকে ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তার তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • নবজীবনের উদ্যোগে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

    নবজীবনের উদ্যোগে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নবজীবন-এর উদ্যোগে ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পধীন ৩৬ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গতকাল শিক্ষা বৃত্তি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবজীবন কার্য নির্বাহী পরিষদের সভাপতি সামসুল আলম খান। তিনি উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সময়ে প্রতিটি পরিবারের সকলের সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি না কাটিয়ে অধ্যাবসায়ে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস সমাপ্ত করতে হবে, যেন সকলেই স্ব স্ব শ্রেনিতে অগ্রগামী হতে পারে। তিনি আরো বলেন, ধৈর্য, পরিচ্ছন্নতা, অধ্যাবসায়, ভালো অভ্যাস ইত্যাদি বিষয়সমূহ মানসিকভাবে সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় যা এই সময়ে অত্যন্ত জরুরী। নবজীবন ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর শিক্ষা বিষয়ক এই সহযোগীতাকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের উচিৎ আপদকালীন এই বৈশ্বিক মহামারী সময়ে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব সহ সুঅভ্যাস গড়ে তোলা এবং জাতির জনকের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের সুযোগ্য নাগরিক হিসাবে নিজেদের প্রস্তুত করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নব জীবন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তারেকুজ্জামান খান, নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের উপাধ্যক্ষ মীর ফখর উদ্দিন আলী আহমদ।

  • জলবায়ু পরিবর্তন: যেভাবে অনুসন্ধান করবেন এই শতাব্দীর সবচেয়ে জরুরি স্টোরি

    জলবায়ু পরিবর্তন: যেভাবে অনুসন্ধান করবেন এই শতাব্দীর সবচেয়ে জরুরি স্টোরি

    জলবায়ু পরিবর্তন কি আদৌ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয়? এমন প্রশ্ন আপনার মনে দেখা দিতেই পারে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি আমাদের অনেকের কাছেই খটোমটো বিজ্ঞান মনে হয়। এ কারণে বন্যা, খরা, ঝড়, নদী-ভাঙ্গন, মহামারী আর বিপন্ন জীববৈচিত্র্যের সাথে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক খুঁজতে আমরা বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হই।

    কিন্তু জলবায়ূ পরিবর্তনই ২১ শতকের সবচেয়ে বড় স্টোরি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সমাজের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে তাদেরকেই সবচে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু লাভবান হয় সম্পদশালী ভোক্তাশ্রেণী, জ্বালানি কোম্পানি, ভারী শিল্প, পরিবহন এবং কাঠের ব্যবসার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ এরাই সবচে বেশি গ্রীনহাউজ গ্যাস ছড়ায়। পরিবেশ দূষণের জন্য আমাদের আর সবার চেয়ে তারাই বেশি দায়ী।

    জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর নিছক পরিবেশের বিষয় নয়। এর সাথে বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন জড়িত। আর এই সামাজিক ন্যায়বিচারই যুগে যুগে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তাই পরিবেশ নিয়ে রিপোর্টিংয়ের সময়, টাকা কোথায় যাচ্ছে শুধু সেদিকে নজর না দিয়ে, বরং কতটা দূষণ হচ্ছে, এর জন্য কারা দায়ী, সেখান থেকে কারা লাভবান হচ্ছে এবং কে হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ – এমন বিষয়েও আমরা খোঁজখবর করি।

    কয়েক দশক আগেও জলবায়ূ পরিবর্তন সম্পর্কে সবার ধারণা ছিল অস্পষ্ট। একে নিতান্তই পরিবেশের বিষয় বলে মনে করা হত। কিন্তু এখন আর সেই অষ্পষ্টতা নেই। এখন বিষয়টিকে অবধারিত এক বৈশ্বিক ঘটনা হিসেবে দেখা হয় – যা অর্থনীতি, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, জীবনযাপন, খাবারের যোগান, এমনকি রাজনীতি পর্যন্ত – আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককে কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে এটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয় হিসেবে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

    এখানে জলবায়ূ পরিবর্তন নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ১০টি সম্ভাবনাময় পথের কথা তুলে ধরা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্পাদকের মতে, “আমাদের সময়ে সবচেয়ে জরুরী স্টোরি এগুলোই।” এসব নিয়ে কোথাও কোথাও অনুসন্ধান হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই তা অনুপস্থিত।

    জীবাশ্ম জ্বালানি

    গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী মূলত কয়লা, জ্বালানি তেল আর গ্যাসভিত্তিক শিল্প। এ কারণে তাদের নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হওয়া জরুরী।  এরিমধ্যে বড় জ্বালানি কোম্পানি নিয়ে একাধিক ভালো অনুসন্ধান হয়েছে। যেমন, এক্সনকে নিয়ে গভীর এই অনুসন্ধানের জন্য ইনসাইডক্লাইমেট নিউজ মনোনীত হয়, পুলিৎজার পুরষ্কারের ফাইনালিস্ট হিসেবে। কিন্তু এমন আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। বিশ্বের সবচে বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সৌদি এরামকো, সিনোপেক, চীনা ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম, কুয়েত পেট্রোলিয়াম – এমনকি তাদের চেয়েও বড় প্রতিষ্ঠান লুকঅয়েল, টোটাল এবং এনির কথা, যারা ব্যক্তিমালিকানাধীন হয়েও রাষ্ট্রগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

    তাই মানুষের জানা উচিত, এইসব প্রতিষ্ঠান বা তাদের এসোসিয়েশনগুলো নিজেদের পছন্দমত আইন প্রণয়ন, সরকারি ভর্তুকি আর নীতিমালার জন্য কোথায় তদ্বির করছে। জানা দরকার, তারা নিজেদের পক্ষে কথা বলার জন্য কোন রাজনীতিবিদকে টাকা দিচ্ছে; কীভাবে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে; জলবায়ূ পরিবর্তন প্রতিরোধে আনা আইন ঠেকিয়ে দিচ্ছে; পরিবেশবিরোধী গ্রুপগলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে অগ্রাহ্য করছে।

    আমাদের আরো যাচাই করা উচিত, “কার্বন বাবল”, অর্থাৎ জ্বালানি মজুত বেশি দেখিয়ে, তারা প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য বাড়িয়ে তুলছে কিনা। এই প্রবণতা ভবিষ্যতে নতুন আর্থিক সংকট জন্ম দিতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য নির্ধারিত হয়, তাদের খনিতে কত তেল-গ্যাস বা কয়লা মজুত আছে, এর উপর ভিত্তি করে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব এড়াতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি মজুতের একটি বড় অংশই “অব্যাবহৃত সম্পদ” হিসেবে মাটির নিচে রেখে দিতে হবে, কখনোই তোলা যাবে না। এমনটি হলে এসব প্রতিষ্ঠানের শুধু যে সম্পদ কমে যাবে তা নয়, বরং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্যে তাদের তৈরি পণ্যকে দায়ী করা হতে পারে, ঠিক যেভাবে মাস্টার সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ক্ষতিকর পণ্য হিসেবে সিগারেট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বড় অংকের জরিমানা আদায় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।পড়ুন খনিজসম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য জিআইজেএনের বিশেষ রিসোর্স

    সাধারণভাবে, কয়লা কোম্পানিগুলো গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ নজর পেয়েছে, কারণ কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষণকারী। নানা সময়ে তেলের সংযোগলাইন এবং খনিখনন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কেননা তাদের কার্যক্রম থেকে নানা পরিবেশগত বিপদ যেমন বিস্ফোরণ, সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে যাওয়া বা পানিতে দূষণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

    কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে গণমাধ্যমে ততটা আগ্রহ দেখা যায় না। কারণ গ্যাস পোড়ানোকে ”কম ক্ষতিকর” ভাবা হয়। এমনও বলা হচ্ছে, এই গ্যাসকে “ব্রিজ ফুয়েল” হিসেবে ব্যবহার করে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে পা বাড়াবো। কিন্তু তারপরও গ্যাসভিত্তিক শিল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধানতম বর্জ্য হল মিথেন। এটি একটি গ্রীনহাউজ গ্যাস। কার্বন ডাই অক্সাইডের মত দীর্ঘ সময় ধরে এটি পরিবেশে থাকে না, কিন্তু বাতাসকে উত্তপ্ত করার বেলায় এটি কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় চার গুন শক্তিশালী। গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলো ইদানিং বেশি মিথেন গ্যাস নির্গমন করছে, এমন প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তারা মিথেন লিকেজের পরিমান কমিয়ে আনার জন্য তৈরি আইনকে কোনো না কোনোভাবে প্রতিহত করছে। বিষয়টি নিয়ে কমবেশি সব দেশেই রিপোর্টিং হতে পারে।

    অন্যান্য দূষণপ্রবণ শিল্প

    জীবাশ্ম জ্বালানির পোড়ানোই জলবায়ূ পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। কিন্তু আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের নিয়ে অনুসন্ধান হওয়া জরুরি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা পণ্যের সরবরাহ চেইন অনুসরণ করে এগুলেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ গ্রীনহাউজ গ্যাস পরিবেশে ছড়াচ্ছে। তেমনই কয়েকটি শিল্পখাতের কথা এখানে আলাদা করে না বলা হচ্ছে।

    কৃষি, পশুসম্পদ ও বন

    বিশ্বে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমনের সিকিভাগই হয় মূলত কৃষি, বনজসম্পদ এবং জমির ব্যবহারে পরিবর্তনের কারণে। অথচ এই দিকে গণমাধ্যমের ততটা মনোযোগ নেই। শিল্প হিসেবে কৃষি পুরোটাই নির্ভর করে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর। রাসায়নিক সার তৈরি করতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়াতে হয়। এটি বাতাসে গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের অন্যতম প্রধান উৎস। মাটির ব্যাকটেরিয়ায় আটকে থাকা তাপকে গ্যাস হিসাবে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যেও এমন সার দায়ী। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কৃষি আর খাদ্য নিরাপত্তা। তাই, সাংবাদিকরা খতিয়ে দেখতে পারেন,  পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি থাকার পরও কেন তার ব্যবহার নেই।সাংবাদিকরা খতিয়ে দেখতে পারেন,  পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি থাকার পরও কেন তার ব্যবহার নেই।

    পশুসম্পদের পরিচর্যাও অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু গরুর বায়ুত্যাগও এই বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে (নাসার তথ্য অনুযায়ী, গরু যে ঢেঁকুর তোলে, সেখান থেকে আরো বেশি মিথেন গ্যাস বের হয়)। মানব-সৃষ্ট গ্রীনহাউজ গ্যাসের ৮ শতাংশই আসে গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদন শিল্প থেকে।  এছাড়া গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের যেসব বন একসময় “কার্বন শোষক” হিসেবে ব্যবহৃত হত – যারা  কার্বন ধরে রাখত – তাদেরকেও উজাড় করে দেওয়া হচ্ছে গবাদি পশু পালন এবং সয়াবিন (বিশেষ করে আমাজন) ও পাম তেল চাষের মাধ্যমে (দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায়)।

    এই সমস্যার সমাধানের উপায়গুলো সাংবাদিকরা বাতলে দিতে পারেন – আমাদের খাবার কোথা থেকে আসছে, এটি কীভাবে তৈরি ও পরিবহন হচ্ছে এবং সেই প্রক্রিয়া গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনে কী ভূমিকা রাখছে – তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে।

    পরিবহন

    ব্যক্তিপর্যায়ে আমরা কোন ধরনের যানবহণ ব্যবহার করছি – সেই সিদ্ধান্তও জলবায়ূ পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখতে পারে। বিমান চলাচল এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কতটা দায়ী, এ নিয়ে কমবেশি রিপোর্ট হয়েছে। এর বাইরেও অনেক বিষয় আছে যা নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। যেমন, বিমান বা জাহাজ চলাচল সার্বিকভাবে জলবায়ুর উপরে কী প্রভাব ফেলছে এবং এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইনী কাঠামো আছে কিনা, তা-ও রিপোর্টিংয়ের বিষয় হতে পারে। একইভাবে আবাসন নীতিমালা নিয়েও অনুসন্ধান হতে পারে। কারণ এর সাথে যোগাযোগব্যবস্থার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

    সিমেন্ট ও ভারিশিল্প

    জলবায়ূ পরিবর্তনের ওপর শিল্পের প্রভাব অনুসন্ধানের পুরনো বিষয়। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন, সিমেন্ট শিল্প একাই বিশ্বের ৮ শতাংশ গ্রীনহাউজ গ্যাস উৎপাদনের জন্য দায়ী। যদি সব সিমেন্ট কারখানা বিশ্বের একটি দেশে অবস্থিত হত, তাহলে সেই দেশটি একাই ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে তিন নস্বর অবস্থানে থাকত। এবার চিন্তা করে দেখুন – ইস্পাত, রাসায়নিক, এসি অথবা ফ্রিজ তৈরির কারখানার মত বাদবাকি শিল্পগুলো কী করছে।

    আবাসন ও নির্মাণ

    রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এই আলোচনায় বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার। এই কারণে না যে তারা প্রচুর কংক্রিট ব্যবহার করে, বরং আবাসন নীতির সাথে সম্পর্কিত পরিবহন ব্যবস্থা (যার সাথে গ্যাস নির্গমনের সম্পর্ক আছে)। রিয়েল এস্টেট এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত জলবায়ু সুরক্ষা নীতিমালায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। নজর দেয়া দরকার, আমাদের সরকারগুলো এই বিষয়ে কোন সুরে কথা বলছে।অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের উচিত নগর পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা: সাগরের উচ্চতা কতটুকু বাড়লে বা পরিবেশগত ঝুঁকি ঠিক কোন মাত্রায় হলে, তাদের এলাকায় সেটি প্রভাব ফেলবে এবং তারা নীতিমালায় কীভাবে বিষয়টিকে আনছেন?

    জীবাশ্ম জালানিখাতের মতই আবাসনখাতও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে অবজ্ঞা করে আসছে। কিন্তু তাদের ভূমিকা নিয়ে ততটা কথাবার্তা হয় না। নর্থ ক্যারোলাইনাফ্লোরিডাসহ বেশকিছু এলাকায় দেখা গেছে, নির্মাণখাত কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিজ্ঞাননির্ভর মডেলকে এড়িয়ে গিয়ে বিধ্বংসী নীতিমালা তৈরিতে উৎসাহ যুগিয়েছে।

    তাই উপকূলীয় এবং বন্যাপ্রবণ এলাকায় রাস্তা, ব্রিজ ও বাঁধসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা আসলে কী করছেন, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর দেয়া উচিত। অনেক সময় তারা ভবন তৈরি করে, সেটি চটজলদি বিক্রি করে দেন। কিন্তু সেই অবকাঠামোটি কোনদিন বিলীনও হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি অনেকটা “কার্বন বাবল” এর মত। এক্ষেত্রেও উপকূলবর্তী অঞ্চলে আবাসন ব্যবসায় ধ্বস নামতে পারে, যদি ক্রেতারা বুঝতে পারেন এই খাত ঝুঁকিতে আছে। আরো গভীরে যেতে চাইলে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা নগরপরিকল্পনাবিদদের সাথে কথা বলতে পারেন। জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়টি কীভাবে নীতিমালায় প্রতিফলিত হচ্ছে – এই প্রশ্নের উত্তর তারাই দিতে পারবেন।

    সরকারি নীতি-সহায়তা ও ভর্তুকি

    এরপরে আছে সরকারি খাত। সরকার সাধারণত বিভিন্ন নীতি-উদ্যোগের মাধ্যমে বেসরকারিখাতকে সহায়তা করে। ইদানিং সাংবাদিকরা তাদের রিপোর্টে তুলে আনছেন, কীভাবে জ্বালানি কোম্পানিগুলো সরকারী নীতিকে প্রভাবিত করছে। কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে তারা কীভাবে বাধা দিচ্ছে অথবা নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে তারা দূষণবিরোধী আইন ও প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে দুর্বল করে ফেলছে – এমন অনেক বিষয়ই এখনো উন্মোচিত হয়নি।

    গ্রীনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির জন্য দায়ী জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে সরকার কীভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে – এই বিষয়টি এখনো খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।  অন্তত একটি সমীক্ষা বলছে, সেই সহায়তার পরিমান বছরে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এই হিসাব অন্য দূষণবান্ধব প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া সরকারী সহায়তাকে বাইরে রেখে। ফলে সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে অবস্থাকে আরো করুণ করে তুলছে। যেমন, কোনো কোনো দেশে মাছ ধরার ট্রলারের জন্যে সস্তায় পেট্রোল দেয় সরকার। কিন্তু এটি আবার মাছের জন্যেই হুমকিস্বরুপ। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, সরকার কী আসলে জলবায়ু পরিবর্তনকে রুখতে চায় নাকি তার বিপরীত?

    বিদেশী সহায়তা, বিনিয়োগ রপ্তানি

    সাংবাদিকদের এখন আর শুধু নিজের দেশ নিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। দেখতে হবে, তাদের সরকারগুলো অন্য দেশে গিয়ে কী করছে। যেমন: আমেরিকা যেমন নিজের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে, এখন অন্য দেশে কয়লা রপ্তানি করছে। চীনও নিজের দেশে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনছে, তারা বিশ্বে অন্তত ২০০ কয়লাভিত্তিক প্রকল্প চালাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর জোট ওইসিডি, এভাবে ধনী দেশ থেকে কয়লা রপ্তানি বাধা দেয়ার জন্য একটি নীতি তৈরি করেছিল। কিন্তু অভিযোগ আছে তারা সেটিকে কার্যকর করছে না। একইভাবে, বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলো প্যারিস চুক্তি অনুসরণ করার কথা বলেছিল। তারা এই নোংরা উন্নয়ন থেকে সরে আসারও ঘোষণা দিয়েছিল। এখন এসব বিষয়ও আমাদের নজরদারিতে আনা উচিত

    আইন ভেঙ্গে দূষণ মিথ্যা তথ্য প্রদান

    অনেক সময় ভালো নীতি প্রণয়নের পরও সরকার সেটি কার্যকর করতে হিমশিম খায়। বেশিরভাগ গ্রীনহাউজ গ্যাস খালি চোখে দেখা যায়না আর গন্ধহীন। ফলে মালিকপক্ষ এসব নির্গমনের কথা বেমালুম চেপে যান এবং সরকারের কাছে মিথ্যা রিপোর্ট জমা দেন। সম্প্রতি জানা গেছে, বিশ্বখ্যাত কিছু গাড়ি কোম্পানি তাদের গাড়ীতে আলাদা সফটওয়্যার বসিয়ে দূষণের মাত্রার ভূয়া তথ্য প্রকাশ করছিল। এই কোম্পানিগুলোই আবার গ্যাস নির্গমনের মাত্রা শিথিল করার জন্য সরকারের কাছে তদ্বির করছিল।গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হিসাব কে রাখছে – এই প্রশ্নটি গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে অগ্রগতির দাবিদার যে কোনো দেশের বেলায়ই প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি।

    একসময় খবর বেরিয়েছিল বিশ্বের ওজন স্তর খুব দ্রুত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, কারণ চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো শীতাতপ যন্ত্রে নিষিদ্ধ সিএফসি ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। পরে গ্যাস নির্গমনের তথ্য নিয়ে প্রতারলনার একই ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে অন্য দেশ থেকেও। এমন আরো অনেক ঘটনা বেরিয়ে আসবে যখন সবাই  গ্রীনহাউজ গ্যাসের ব্যাপারে সচেতন হবে। এইসব ক্ষেত্রে গ্যাস মাপা, সঠিক রিপোর্ট করা এবং তা যাচাই করার পদ্ধতি (এম আর ভি) নিয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু চুক্তি বিষয়ক আলোচনায় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। তাই যখন কোনো দেশ দাবি করছে, সেখানে গ্যাস নির্গমন কমছে, তখন প্রশ্ন ওঠে গ্যাস নির্গমন কমছে না বাড়ছে “ সেটি মাপার দায়িত্ব” পালন করছে কে?

    কার্বন ক্রেডিট এবং অফসেট স্কিম

    গ্রীনহাউজ গ্যাসের নির্গমন যেমন নজরে রাখতে হবে, তেমনি “কার্বন ক্রেডিট” নামে পরিচিত নির্গমনরোধী উদ্যোগের দিকেও সমান মনোযোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমে যেসব প্রতিষ্ঠান বেশি কার্বন নির্গমণ করছে, তারা ক্ষতিপূরণ দেয় এবং সেই টাকায় অন্য কোথাও কার্বন সংরক্ষণ বা নির্গমনরোধী প্রকল্পে সহায়তা করা হয়। যেহেতু পরিবেশ বৈশ্বিক একটি বিষয়, তাই এরকম উদ্যোগকে যৌক্তিক বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু সমালোচকদের মতে, এর মধ্য দিয়ে দূষণকারীরা আরো বেশি লাগামহীন হয়ে পড়ে। এ ধরনের কিছু কিছু প্রকল্পকে প্রকৃতিবিনাশী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও সামান্য উপকার পাওয়া গেছে; কিন্তু অনেক জায়গায় লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। সুযোগ নিতে গিয়ে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধোঁকার আশ্রয়ও নিয়েছে। এখানেও প্রশ্ন উঠেছে: এসব পদক্ষেপ যে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমনে “ভারসাম্য” আনবে, সেটি কে ঠিক করছে? উত্তরটি একেক দেশের বেলায় একেকররকম। কিন্তু কার্বন ক্রেডিট নিয়ে রিপোর্টিংয়ের শুরু হতে পারে, এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া  সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে জববাবদিহির আওতায় আনার মধ্য দিয়ে।

    খবরের পাতায় যা উপেক্ষিত

    জলবায়ু সংক্রান্ত সাংবাদিকতা অনেক সময় বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায়।  কেননা, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। প্রযুক্তি দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তারপরও এটা বলা মুশকিল যে সেই দুর্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। বড়জোর এটা বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তার প্রভাব বা তীব্রতা বেড়েছে।

    সবমিলে, গণমাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে খুব ভাল কাজ  হচ্ছে। এখন আমরা এর “পরোক্ষ প্রভাব” নিয়ে অনেক রিপোর্ট দেখতে পাই, যেমন, জলবায়ু অভিবাসন এবং সম্পদের অভাব কীভাবে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তরপূর্ব আফ্রিকায় সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে। এইধরনের সাংবাদিকতা অন্যান্য অঞ্চলেও হওয়া উচিত। মধ্য আমেরিকাসহ কিছু অঞ্চলে এই বিষয়ে এখনো তেমন রিপোর্টিং হচ্ছে না। যেমন, সমুদ্রে এসিডের মাত্র বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গণস্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ছে,  এমন বিষয় নিয়ে আরো অনুসন্ধান হওয়া দরকার। আবার কোনো কোন ক্ষেত্রে এর প্রভাবকে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে দেখানো হয়েছে।

    জলবায়ু বা দুর্যোগের বাইরেও আরো অনেক বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন সাংবাদিকরা। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ায় জঙ্গলে কয়েক বছর ধরে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। বলা হয়, এর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক আছে। কিন্তু এজন্য বন-ব্যবস্থাপনা এবং সেখানে অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলা-ও যে দায়ী, সেটি খবরে ততটা আসে না। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানী এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ঘটনার সত্যিকার চিত্র পাওয়া যেতে পারে।গবেষণার পদ্ধতিগত দূর্বলতা নিয়ে কথা বললে আপনি নিজেও সাংবাদিক এবং তথ্যের উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে শুধু যে উপকূলের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন তা নয়। উপকূল থেকে দূরে, স্থলভাগের গভীরের মানুষও সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারেন বন্যা বা পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে। বলা হয়, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে, জেট স্ট্রিম বা পশ্চিম থেকে পূর্বমুখী বায়ূপ্রবাহ দূর্বল হয়ে পড়ছে। এর প্রভাবে দক্ষিণের অঞ্চলেও ঠান্ডা বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এই অঞ্চল ঘটনার উৎসের চেয়ে অনেক দূরে।

    একটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণায় আপনি যে ফলাফল দেখতে পান, তার বেশিরভাগই অনুমাননির্ভর।  এই অনিশ্চয়তা হয়ত আপনার রিপোর্টের দাবিকে কিছুটা দুর্বল করবে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক তথ্যনির্ভর লেখা, পাঠকের কাছে আপনার বিশ্বস্ততা বাড়বে। গবেষণার পদ্ধতিগত দূর্বলতা নিয়ে কথা বললে আপনি নিজেও সাংবাদিক এবং তথ্যের উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

    পরিবেশবাদী সংগঠন ও কর্মী

    পরিবেশবাদী সংগঠন এবং তাদের কর্মীরাও অনুসন্ধানের বাইরে নন। খতিয়ে দেখা দরকার, তাদের উদ্দেশ্য কী বা তারা কোথা থেকে টাকা পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত গণমাধ্যম মূলত নজর দিয়েছে “ক্লাইমেট ডিনায়ার” বা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে অস্বীকার করা গ্রুপগুলোর দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীদের টাকায় চলা কিছু বেসরকারি সংগঠন আছে। এদের কাজই হল, গবেষণার নামে পরিবেশ ও গণস্বাস্থ্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো। এটি  সবচেয়ে বেশি ঘটে তামাক কোম্পানিগুলোর বেলায়। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে কালো টাকা অর্থায়নের সুযোগ রেখে তৈরি একটি আইন, তাদের সাহায্য করছে টাকা যোগাতে।

    এবার নজর দেয়া যাক, “অন্যপক্ষ”, অর্থ্যাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সোচ্চার সংগঠনগুলোর দিকে। এদেরকেও জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত, প্রশ্ন করা উচিত, তাদের টাকা কোথা থেকে আসছে। অবশ্য বিশ্বের ৯৭ ভাগ বিজ্ঞানীই মনে করেন, জলবায়ুর পরিবর্তন সত্য এবং তা মানুষের দ্বারাই সংগঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ (আইপিসিসি) বলছে, দিন দিন বিষয়টি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এ কারণে পরিবেশবাদী গ্রুপগুলোর প্রতি জনসমর্থন বেশি।

    বিজ্ঞানীদের ব্যাপারে সাংবাদিকদের করণীয় কী? ক্লাইমেট ডিনায়ারদের দাবি অনেক বিজ্ঞানী পক্ষপাতদুষ্ট। কারণ তারা জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে টাকার বিনিময়ে গবেষণা করেন।  তাদের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দফায় দফায় চেষ্টা হয়েছে। ২০০৯ সালে একবার তো, অনেক বিজ্ঞানীর ইমেইল-ই হ্যাক করা হয়েছিল। তবে সেখানে দেখা যায়, তারা স্বাভাবিক নিয়মেই গবেষণা করছেন। জলবায়ু বিজ্ঞানের বিরোধীরা বরাবরই সেই গবেষণা পদ্ধতিকে হেয় করতে চেয়েছেন।  (ইমেইল ফাসকারীরা কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।)

    পিয়ার রিভিউ বা পর্যালোচনা বরাবরই বিশ্বাসযোগ্য সত্য বের করে আনতে সহায়তা করে। যেমন, আইপিসিসি বলেছিল ২০৩৫ সালে হিমালয়ের বরফ গলতে শুরু করবে। তখন অনেকে প্রতিবাদ করেছিল। পিয়ার রিভিউর মাধ্যমে সেই ভুল সংশোধনও হয়েছিল। বেশকিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমে গেছে বা থেমে গেছে। পরে জানা গেল বাস্তবে তেমনটা নয়। আসলে, তথ্যের ঘাটতির কারণে পরিসংখ্যানে এমনটা দেখা গেছে।  তাই সাংবাদিকদের উচিত নতুন নতুন গবেষণার বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা এবং বিশ্বাসযোগ্য গবেষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।

    নজর রাখুন সমাধানেও

    এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষ ততটা সচেতন নয়। এই মনোভাব যদি না বদলায়, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর প্রভাব এড়াতে পারব না। তাই সাংবাদিকদের উচিত সমাধানের উদ্যোগ নিয়েও নিজেদের অনুসন্ধান জারি রাখা। কারণ সমাধানের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে, মানুষের মনোভাবও নেতিবাচক হবে। এখন নবায়নযোগ্য শক্তি – যেমন সৌর , বায়ূ বা জিওথার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প – আগের চেয়ে সাশ্রয়ী। কিন্তু অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের মত সেখানেও দূর্নীতি বা সম্পদের অপব্যবহার হতে পারে।

    জল এবং পরমাণু বিদ্যুতের মত বিকল্প উৎস নিয়ে বিতর্ক আছে। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহনযোগ্য হলেও, এ ধরনের প্রকল্প স্থানীয় পরিবেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বড় বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয় জলবিদ্যুতে। কিন্তু এসব বড় বড় বাঁধ, বিপুল পরিমানে মিথেন গ্যাস নির্গত করে। যার ফলে পানির তলায় থাকা উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যান্য প্রকল্পের মত, এইসব বিকল্প শক্তির উৎস তৈরিতে এবং তা পরিচালনায় ব্যাপক পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি লাগে। আসলে, কোনো প্রকল্পের জীবনচক্র পুরোপুরি বিশ্লেষণ করা ছাড়া, জলবায়ুর ওপর তার প্রভাব মূল্যায়ন করা কঠিন।

    সমস্যা সমাধানের আরো কিছু বিকল্প আছে, যা বিবেচনায় নিতে হবে:

    জৈব জ্বালানি

    বলা হত, শস্য থেকে তৈরি জৈব জ্বালানি (যেমন ভুট্টা থেকে তৈরি বায়োইথানল) পরিবেশের জন্য ভালো। কারণ, এগুলো থেকে কম কার্বন নির্গত হয়। তাই একে দেখা হত, জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে। কিন্তু নানা কারণে এই ধারণা ধোপে টেকেনি। বেশিরভাগ জ্বৈব জ্বালানি প্রকল্পে বড় আয়তনের জমি ও প্রচুর পানি দরকার হয়। এতে খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া এর উৎপাদনও ব্যয়বহুল।

    জৈবজ্বালানি আগে প্রাণীর বর্জ্য থেকে তৈরি হত, যাকে আমরা জৈবগ্যাস নামে চিনি। বলা হয়, এটি জ্বালানির তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন উৎস। অনেকেই মনে করেন – ফেলে দেয়া খাবার, সেলুলোজ বা ছত্রাক থেকে তৈরি করা গেলে, হয়ত এই জৈব জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্যেও খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তখন জমি এবং পানির প্রবাহও কম লাগবে। কেউ কেউ এসব থেকে বিমানের জ্বালানি তৈরিরও পরামর্শ দেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, নতুন নতুন এই বিকল্প যতটা না কাজের, তার চেয়ে অনেক বেশি নামে। এদিকেও সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে।

    কার্বন অপসারণ ওসংরক্ষণ

    সামনের দিনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ হবে। কিন্তু এই টাকা কতটা দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে খরচ করা হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    কার্বন সংরক্ষণের (কার্বনকে বাতাসে মিশতে না দিয়ে মাটি বা অন্য কোনো উপায়ে ধরে রাখা) দক্ষতাই আগামী দিনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।  এখন কার্বন ধরে রাখার জন্য বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে, বনকে রাখা হচ্ছে সুরক্ষিত। তাছাড়া বাড়তি উদ্যোগ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে বনায়ন কর্মসূচি। এসব উদ্যোগ বন রক্ষা এবং বনাঞ্চল হ্রাস কমাতে বড় অবদান রাখছে। কিন্তু বাতাসে কার্বন কমাতে এর ভূমিকা খুব একটা পরিষ্কার নয়। অনেকসময় তা বনের অধিবাসীদের জন্য ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে, যা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হতে পারে।

    এছাড়া নির্গত গ্যাস থেকে কার্বন অপসারণ করে তাকে নতুন করে ব্যবহারের নানা উদ্যোগ আছে। জীবাশ্ম জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই সিসিএস (কার্বন নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ) পদ্ধতি ব্যবহারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে, তেল বা কয়লা পোড়ানোর সময় নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস থেকে কার্বন আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর সেই কার্বনকে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হয় কিংবা ভূগর্ভে পাঠিয়ে দেয়া হয়। “স্বচ্ছ-কার্বনমুক্ত” জ্বালানি উৎপাদনের কথা বলছে যেসব কোম্পানি, তারা মূলত এই সিসিএস পদ্ধতিই ব্যবহার করছে।

    কিন্তু, সিসিএসের সফলতা এখনো সন্দেহের উর্ধ্বে উঠতে পারেনি। কারণ এই পদ্ধতিতে ব্যাপক আয়োজন দরকার হয়। এটি ব্যয়বহুলও বটে। এছাড়া বাতাস থেকে কার্বন আলাদা করার আরো কিছু পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়েই আছে। এখানেও একই প্রশ্ন: কার্বন অপসারণের বিশাল এই খরচ কে বহন করবে?

    সামনে আমাদেরকে কার্বন অপসারণ এবং সংরক্ষণের  দিকেই এগোতে হবে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর নামে এরিমধ্যে অনেক সময় অপচয় হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবলোয় সই করা প্যারিস চুক্তিতে যে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে কার্বন নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তাই আমাদের সামনে উপায় হল, “ঋণাত্মক নির্গমন” যা সম্ভব কেবলমাত্র কার্বন অপসারণের মাধ্যমে। তাই এদিকটাতেও নজর দিতে হবে।

    জলবায়ু অভিযোজন

    জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বিশ্বের মানব সম্প্রদায়কে যে বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তা একরকম ভীতিকর। এজন্য যে প্রতিরোধ-শক্তি বা যত রিপোর্টিং দরকার, তা অল্প কথায় বলে শেষ করা যাবে না। তারপরও কিছু কিছু বিষয়ে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। যেমন, সুপেয় পানির সংকট। পানির প্রাপ্যতা, অভাব এবং বন্যা-ঝড়-খরায় তার ভূমিকাও রিপোর্টের বড় বিষয় হবে সাংবাদিকদের জন্য। একইভাবে গণমাধ্যমের মনোযোগে থাকবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতি এবং সামলে ওঠার খবর।

    আমরা জানি, সামনে লাখো কোটি ডলার খরচ হবে জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের প্রয়োজনে – সমুদ্রে বাঁধ আর বেলাভূমি তৈরিতে। কিন্তু সেই টাকা কতটা দক্ষতার সাথে খরচ হবে, এ নিয়েও সন্দেহ আছে। সাংবাদিকদের এদিকেও মনোযোগ দিতে হবে। দেখতে হবে, রাজনীতিক এবং পরিকল্পনাবিদরা কোন সমাধান বেছে নিচ্ছেন, যে প্রতিরোধ তৈরি হবে তা কি “ভারি” না “হালকা”; যে অবকাঠামো তৈরি হবে, সেটা কি সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা ২ ফুট বাড়বে ধরে নিয়ে তৈরি হচ্ছে, নাকি ৫ ফুট বাড়বে ধরে নিয়ে। সমাধানের প্রতিটি বিকল্প বেছে নেয়ার কার্যকারণ রিপোর্টের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

    তবে ভবিষ্যতে, জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া বড় বিষয় হয়ে উঠে আসবে। শুধু এখানে যত ক্ষতি হবে, তার কাছে বাকি সব কিছু ফিকে মনে হবে। কেবল মাত্র সম্পদশালী অঞ্চলের মানুষেরাই এই ক্ষতি সামাল দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করতে সক্ষম হবেন। সমাধানের আরেকটি উপায় হল, আগাম পরিকল্পনা করে মানুষকে সরিয়ে নেয়া। কিন্তু সেই পরিকল্পনা-ও যে সব সময় সফল হবে তা নয়। বরং অনেক জায়গাতেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। সাংবাদিকদের তাই লেগে থাকতে হবে। দেখতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে কাদেরকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, ধনীদের নাকি গরীবদের।

    জিওইঞ্জিনিয়ারিং

    জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে, জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে রক্ষা করতে গোটা পৃথিবীর বায়ূস্তর নিয়ে বিশালাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এখন কয়েক ধরনের পরীক্ষা চলছে, কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে। দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, মানুষ এই পৃথিবীর গঠন-কাঠামো নিয়ে কতটা কারিগরী করতে পারে। এখন পর্যন্ত ফলাফল খারাপই মনে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হয়ত কোনো দিন – কোনো দেশ, ব্লক, কোম্পানি বা তার চেয়েও শক্তিশালী কেউ সত্যিকার অর্থেই সফলভাবে জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করবে।

    ভূ-প্রকৌশলের তেমন একটি পদক্ষেপ হল, পৃথিবীর বায়ূস্তরে এরোসল ছড়িয়ে দেয়া। ভাবা হচ্ছে, সূর্যের আলোর তেজ কমাতে বায়ূমন্ডলে সোলার-শেডস বা ছাউনি তৈরির কথাও। কিন্তু সূর্যের আলো কমে গেলে তাতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কৃষি উৎপাদনের। সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি রুখতেও,  এই উদ্যোগ কোনো কাজে আসবে না। বিশ্বপর্যায়ে এ জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই এখনো এসব নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না।সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাজ হবে নিয়ত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর এই বিজ্ঞানকে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা, বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়ে মানুষের ওপর তার প্রতিক্রিয়া খুঁজে বের করা।

    পৃথিবী নিয়ে এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা শুনতে অবাক লাগছে?  ২০ বছর আগেও ”জলবায়ু অভিযোজন” শব্দটির কথা বলাই যেত না। সবাই মনে করতেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যেই অভিযোজনের কথা বলা হয়।  এখন জিও-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অনেকেই একে “নৈতিক সমস্যা” হিসেবে দেখেন।  কিন্তু সংকট যত গভীর হবে, হয়ত জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে মানুষের মনোভাবও তত দ্রুত বদলে যাবে। তাই সাংবাদিকদের খোঁজ রাখা দরকার, চলমান কোন পরীক্ষাটি, কবে বা কখন তত্ত্ব থেকে বাস্তবে রুপ নিচ্ছে।

    এতক্ষণ ধরে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার যে সম্ভাব্য তালিকা দেয়া হল, তা দেখে লম্বা মনে হতে পারে।  কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন সবকিছুকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে। এটি সাগরতল থেকে আকাশের চূড়া, অর্থনীতি থেকে সমাজ – সব জায়গাতেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

    আমরা নিজেরাই কীভাবে আমাদের চারপাশকে বদলে ফেলছি – তা হয়ত বুঝিয়ে বলতে পারেন বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ এবং পরিবেশবাদীরা। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাজ হবে নিয়ত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর এই বিজ্ঞানকে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য করে তুলে ধরা, বিশ্বের নানা প্রান্তে গিয়ে মানুষের ওপর তার প্রতিক্রিয়া খুঁজে বের করা। আর এ কারণেই, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সময়ের সবচে গুরুত্বপূর্ণ স্টোরি।

    লেখক: জেমস ফান হলেন আর্থ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক। এটি জিআইজেএনের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইন্টারনিউজের একটি উদ্যোগ। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলির গ্রাজেুয়েট স্কুলে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সাংবাদিকতা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

  • দাখিলে আয়েনউদ্দীন মহিলা মাদ্রাসায় শতভাগ পাস

    স্টাফ রিপোটার: দাখিলে সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মহিলা আলিম মাদ্রাসায় শতভাগ পাস করেছে। ৩১ মে বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েভসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে চলতি বছরে ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ২৯ জন ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ১১ জন ছাত্রী আংশিক বিষয়ে ও ১৮ জন ছাত্রী সবস্বিষয়ে অংশ নেয়। বোর্ডের দেয়া ফলাফল জরিপে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশ দেখানো হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায় এ গ্রেড পেয়েছে ২২ জন, এ-মাইনাস পেয়েছে ০৩ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ০১ জন এবং সি গ্রেড পেয়েছে ০৩ জন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো: রুহুল আমিন জানান, সামগ্রিক বিবেচনায় তার প্রতিষ্ঠানে এবারের দাখিল পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল। ব্যাচটি তুলনা মূলক দূর্বল থাকার কারণে এ প্লাস পাইনি বলে তিনি মনে করেন। তবে ব্যসটি যাতে আলেম পরীক্ষায় এপ্লাস পেতে পারে তার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

  • ১০ জেলার শীর্ষে সাতক্ষীরা জেলা: জেলা থেকে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি

    স্টাফ রিপোটার ঃ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের ১০ জেলার ফলে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় ১৮ হাজার ৫৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৩ শতাংশ। তবে, এবারে সাতক্ষীরার দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাশ করতে পারেনি। রোববার যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানানো হয়।
    যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলে যশোর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও কমেছে পাসের হার। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৭ দশমিক ৩১ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। তবে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের ১০ জেলার ফলে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলার পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর এবার মোটেও পাস করতে পারেনি দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আর এ দুটি প্রতিষ্ঠানই সাতক্ষীরা জেলার। এর মধ্যে রয়েছে কলারোয়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি গার্লস স্কুল ও দেবহাটা উপজেলার বাবুরাবাদ ধাপুখালী সেকেন্ডারি স্কুল। তিনি জানান, গত বছর মোটেও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান ছিল একটি। আর এবার দুটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। তবে, ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে একজন করে পরীক্ষার্থী ছিল এবং তারা অনিয়মত পরীক্ষার্থী ছিল বলে তিনি আরো জানান।

  • পত্রদূত সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কন্যা নুশরিকা অদ্রি জিপিএ-৫ পেয়েছে

    পত্রদূত সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কন্যা নুশরিকা অদ্রি জিপিএ-৫ পেয়েছে

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নুশরিকা অদ্রি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে সাংবাদিক এড. আবুল কালাম আজাদ ও দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতির কন্যা এবং দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদক লুৎফুন্নেছা বেগমের নাতনি। অদ্রির দাদা বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম নেয়ামত উদ্দিন এবং নানা বীরমুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিন। অদ্রি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।

  • এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৩১ মে

    এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৩১ মে

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    আগামী ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।

    বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন-সংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, চলতি বছর এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফল দেয়া হবে। আর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা মেনেই শিক্ষার্থীদের ফল সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আর কোনো অবস্থাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফল প্রকাশের দিন জমায়েত হওয়া যাবে না। 

    এদিকে ফল সংগ্রহে পরীক্ষার্থীদের জন্য এসব নির্দেশনা জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। একই সাথে এসএমএস এর মাধ্যমে ফল পেতে শিক্ষার্থীদের প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।

    কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোন অবস্থাতেই পরীক্ষা কেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফল পাঠানো হবে না।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ফল পেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করতে হবে। এ জন্য SSC লিখে স্পেস দিয়ে কারিগরি বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর অর্থাৎ Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফল প্রকাশ হলেই ফিরতি এসএমএসে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীর ফল জানানো হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।

    এসএসসির ফল পেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করতে হবে। এ জন্য SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর অর্থাৎ ঢাকা বোর্ড হলে Dha লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফল প্রকাশ হলেই ফিরতি এসএমএসে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীর ফল জানানো হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।

    দাখিলের ফল পেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করতে হবে। এ জন্য Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর অর্থাৎ Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফল প্রকাশ হলেই ফিরতি এসএমএসে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীর ফল জানানো হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।