Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
শিক্ষা Archives - Page 4 of 10 - Daily Dakshinermashal

Category: শিক্ষা

  • শ্রেণিকক্ষে আগুনে পুড়ে মারা গেল ২০ শিশু

    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের রাজধানী নিয়ামির একটি নার্সারি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের পর শ্রেণিকক্ষে আটকাপড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বিবিসি সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। 

    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে এ দুঘটনা ঘটে। তখন শ্রেণিকক্ষে এসব শিশু শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছিল। খড়ের তৈরি ওই শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ আগুন লাগলে তারা আটকা পড়ে। আগুনে স্কুলের মূল ফটক বন্ধ হয়ে গেলে অনেকে সেখান থেকে বের হতে না পেরে অবশেষ পুড়ে মারা যায়। 

    নাইজারের রাজধানী নিয়ামের পেস বাস জেলায় অবস্থিত সরকার পরিচালিত ওই জুনিয়র-নার্সারি স্কুলটি ইট আর খড়ের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে সেখানে আগুন লাগার কারণে দ্রুত সেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে আগুনে পুড়ে এতগুলো শিশু প্রাণ হারায়।

    নাইজারের শিক্ষক ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘স্কুলটি জনপ্রিয় পেইজ বাস এলাকার পাশেই। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে বেশিরভাগ বিত্তহীন। স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে স্কুলটিতে আগুন লাগে।’

    বিবিসির নাইজার প্রতিনিধি হাউসা টিশিমা ইসোসোফু বলেন, আগুন ২০ নিষ্পাপ শিশুর প্রাণহানি ছাড়াও খড়ের তৈরি ২৮টি শ্রেণিকক্ষ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। স্কুলের স্থায়ী শ্রেণিকক্ষের ৩০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    স্কুলের ওই অগ্নিকাণ্ডে নিজের ছয় বছর বয়সী সন্তান হারানো এক পিতা দেশটির সরকারকে শিশুদের জন্য নিরাপদ স্কুলনির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী উহোমৌদৌ মাহামাদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হতাহত শিশুদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।

    উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৮৯টি দেশের মানব উন্নয়ন সূচকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। 

  • প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ কর্তৃক সাতক্ষীরা জেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

    প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ কর্তৃক সাতক্ষীরা জেলার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ


    সাতক্ষীরার কৃর্তি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এর প্রফেসর, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও লাইফ এন্ড হোপ ফাউন্ডেশনের মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। গত ১০ই এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল ২০২১ (০৩ দিন) পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার ৩টি উপজেলার প্রায় ৪০০০ হাজার পরিবারের মাঝে সংস্থাটির কো-অডিনেটর মিজানুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্ব¡াবধানে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। লাইফ এন্ড হোপ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতায় এই মানবিক কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়।

  • কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ কমিটি গঠন

    কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ কমিটি গঠন


    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা রেজিঃ নং ১২১৯৮/১৫ কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টায় কালিগঞ্জ শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে এক সভা কালিগঞ্জ সদর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কৃষান মজদুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সদর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পশ্চিম নারায়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ধলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম, উত্তর ভাড়াশিমলা সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ। সভায় ঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ সেলিম রেজা কে সভাপতি ও তুলাকাটি সরকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফারুকুজ্জামান কে সাধারন সম্পাদক এবং নারায়নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আছানুজ্জামানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়।

  • মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ২ এপ্রিল, ডেন্টালে ৩০ এপ্রিল

    আগের নিয়মেই এবারও (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা নেবে দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী ২ এপ্রিল দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস এবং ৩০ এপ্রিল ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোর বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    এ বিষয়ে কথা বলা হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব শনিবার সকালে বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে। অনলাইনে নির্ধারিত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত।’

    তিনি আরও বলেন, ‘২০ থেকে ২৫ মার্চ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়া হবে।’

    এছাড়া, বিডিএস কোর্সের আবেদন শুরু হবে ২৭ মার্চ। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে আর ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিতরণ করা হবে। ২ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    সুত্র : দৈনিক সংবাদ

  • সাতক্ষীরার আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসায় বই বিতরণ

    সাতক্ষীরার আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসায় বই বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরার আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের বই বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এসব বই বিতরণ করা হয়। আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষাার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাপ্তাহিক সুয়ের আলো পত্রিকার সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাপ্তাহিক উচ্ছেনদী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবুশোয়েব এবল, আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান প্রমূখ। এসময় মাদ্রসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মহান বিজয় দিবসে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে আলোচনা সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ইংরেজি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান। বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পদার্থ বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী, ইংরেজি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আনাম, ধর্মদাশ সরকার, রঞ্জন কুমার সরকার, মোঃ মাসুদ রানা, গোলাম মোস্তফা, অজিহার রহমানসহ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাষা শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

  • সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক গাজী মহব্বত হোসেন, কানাইলাল মজুমদার, মোঃ ইয়াহিয়া ইকবাল, রেজাউল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান খান, নার্গিস আরা, দিব্যেন্দু সরকার, শ্যামল কুমার দাশ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দীন।

  • মহান বিজয় দিবসে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ আবুল খায়ের, মোঃ হাবিবুল্লাহ, দিপাসিন্ধু তরফদার, ফিরোজা আফরোজ, সুলতানা পারভীন, মোঃ শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মমতাজ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। আমাদের সেই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের সার্থকতা সেখানেই, বঙ্গবন্ধুর যে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।’ আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্বজিৎ ম-ল ও মোঃ আনিছুর রহমান।

  • ডিবি গার্লস হাইস্কুলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালন


    প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ সম্প্রচার, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
    ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলাম দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস ছোবহান, সাবেক শিক্ষা অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরউদ্দীন সরদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক মোঃ নজিবুল ইসলাম, এসএম শহীদুল ইসলাম, দেবব্রত ঘোষ, অরুণ কুমার মণ্ডল, গীতা রাণী সাহা, শামীমা আক্তার, ভানুবতী সরকার, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, খালেদা খাতুন, মৃণার কুমার বিশ্বাস, ভৈরব চন্দ্র পাল, মোঃ রবিউল ইসলাম, লুৎফুননাহার, সঞ্জয় দাস, আনন্দ কুমার পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫০তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সকলকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টিমুখ করান।
    আলোচনা সভায় বক্তারা মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

  • আজ ১২ নভেম্বর : ইতিহাসের এইদিনে

    আজ ১২ নভেম্বর : ইতিহাসের এইদিনে

    পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণিজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। উন্মোচিত হয়েছে জগতের নতুন নতুন দিগন্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। যারা জন্মেছিলেন কিংবা চলে গেছেন আজকের এই দিনে। আবার বহু ঘটনাই রয়েছে ফেলে আসা সময়ের পথে। যেসব ঘটনা এনেছিল প্রশান্তি কিংবা রচনা করেছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃস্বপ্নে নীলকাব্য। যা ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা-

    ইতিহাস

    • ১৭৮১ – ব্রিটিশ বহিনী দক্ষিণ ভারতের নাগাপাট্টম দখল করে।
    • ১৮৩৭ – দেশষীয় ও ইউরোপীয় ভূ-স্বামীদেরদ স্বর্থরক্ষা ভারতে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
    • ১৯১৩ – রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়।
    • ১৯১৮ – অস্ট্রিয়াকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
    • ১৯৩০ – ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লন্ডনে প্রথম গোলটেবিল বৈঠক হয়।
    • ১৯৫৬ – মরোক্কো, তিউনিসিয়া ও সুদান জাতিসংঘে যোগদান করে।
    • ১৯৫৬ – ইসরাইলী সেনারা ফিলিস্তিনের গাজার রাফা শহরে ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবিরে গণহত্যা চালায়।
    • ১৯৭০ – বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে দশ থেকে পনের লাখ লোক প্রাণ হারান।
    • ১৯৭১ – চীনের সঙ্গে রোয়ান্ডার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
    • ১৯৮২ – ইউরি আন্দ্রোপভ সোভিযে়ত রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।
    • ১৯৮৩ – বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বরাবর ভারতের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ শুরু হয়।
    • ১৯৯০ – পৃথিবীর প্রাচীনতম ও ২৬০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বংশপরম্পরাগত রাজতন্ত্রের সিংহাসনে জাপানের সম্রাট আকাহিতো অভিষিক্ত হন।
    • ১৯৯৬ – বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে মানবতাবিরোধী কালাকানুন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়।
    • ১৯৯৬ – ভারতের হরিয়ানার আকাশে উড্ডয়নরত দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৩৫০ ব্যক্তি নিহত হয়।
    • ২০১১ – ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি পদত্যাগ করেন।

    জন্ম

    • ১৬৪৮ – মেক্সিকান কবি হুয়ানা ইনেস দে লা ক্রস।
    • ১৬৫১ – জুয়ানা ইনেস ডে লা ক্রুজ, তিনি ছিলেন মেক্সিকান নূনের, কবি ও পণ্ডিত।
    • ১৭২৯ – লুই আন্টইনে ডে বউগাইনভিলে, তিনি ছিলেন ফরাসি অ্যাডমিরাল ও এক্সপ্লোরার।
    • ১৭৪৬ – জ্যাকুইস চার্লস, ফরাসি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং বেলুন বিশেষজ্ঞ।
    • ১৭৯০ – লেটিশিয়া টাইলার, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জন টেইলারের সহধর্মীনি ও ফার্স্ট লেডি।
    • ১৮১৭ – বাহাউল্লা নামে পরিচিত আধ্যাত্মিক নেতা মির্জা হুসায়েইন আলী নুরি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাহাই বিশ্বাসের জনক।
    • ১৮৪০ – ওগুস্ত রদ্যাঁ, আধুনিক যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর।
    • ১৮৪২ – জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।
    • ১৮৬৬ – চীনের বিপ্লবী নেতা সান ইয়াৎ সেন।
    • ১৮৯৬ – সালিম আলী, বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী।
    • ১৮৯৬ – নিমা ইয়ুশিজ, তিনি ছিলেন ইরানী কবি ও অধ্যাপক।
    • ১৯০৩ – জ্যাক অয়াকি, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।
    • ১৯১৫ – রোল্যান্ড বার্থেজ, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক, তাত্ত্বিক ও সমালোচক।
    • ১৯২৭ – রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী (২০১০) দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।
    • ১৯২৭- ইয়ুতাকা তানিয়ামা, তিনি ছিলেন জাপানী গণিতবিদ ও তাত্তিক।
    • ১৯৩১ – গ্রেগরি হেমিংওয়ে, মার্কিন চিকিৎসক ও স্মৃতিকথাকার।
    • ১৯৩৩ – জালাল তালাবানি, তিনি ইরাকি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
    • ১৯৩৪ – ভাভা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।
    • ১৯৩৮ – বেলাল চৌধুরী,বাংলাদেশী কবি।
    • ১৯৪৫ – নিল ইয়ং, তিনি কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটার ও প্রযোজক।
    • ১৯৪৮ – হাসান রুহানি, তিনি ইরানের আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম রাষ্ট্রপতি।
    • ১৯৬১ – ইনযো ফ্রাঞ্চেস্কলি, তিনি সাবেক উরুগুয়ের ফুটবলার।
    • ১৯৭৩ – রাধা মিচেল, তিনি অস্ট্রেলীয়অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
    • ১৯৭৮ – আলেকজান্দ্রা লারা, তিনি রোমানীয় বংশোদ্ভূত জার্মান অভিনেত্রী।
    • ১৯৮০ – রায়ান গসলিং, তিনি কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক।
    • ১৯৮৬ – ইগ্নাযিও আবাটে, তিনি ইতালিয়ান ফুটবলার।

    মৃত্যু

    • ১০৩৫ – কনুট গ্রেট, তিনি ছিলেন ডেনিশ ইংরেজ রাজা।
    • ১৭৯৩ – জাঁ সযল্ভাইন বাইলয়, তিনি ছিলেন ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও রাজনীতিবিদ ১ম মেয়র।
    • ১৮৬৫ – এলিজাবেথ গাস্কেল, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক।
    • ১৯১৬ – পারসিভালমাস্টার লোয়েল, তিনি ছিলেন আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও লেখক।
    • ১৯২৯ – স্যার মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, কাশিমবাজারের মহারাজা ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব।
    • ১৯৪৬ – ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ মদনমোহন মালব্য।
    • ১৯৬৯ – অজিতকুমার গুহ, বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
    • ১৯৭৬ – মিখাইল গুরেভিচ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান বিমান ডিজাইনার, বোখারা সমবায়ের প্রতিষ্ঠিত।
    • ১৯৮১ – উইলিয়াম হোল্ডেন, মার্কিন অভিনেতা।
    • ১৯৮৯ – বিশ্বনন্দিত কমিউনিস্ট নেত্রী, স্পেনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেনের গৃহযুদ্ধের নায়িকা ডলোরেস ইরারুর বির।
    • ২০০৭ – ইরা লেভিন, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক ও নাট্যকার।
    • ২০১৩ – আলেকজান্ডার সেরেবরভ, তিনি ছিলেন রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।
    • ২০১৮ – স্ট্যান লি, মার্কিন কমিক বই লেখক, সম্পাদক, প্রযোজক ও প্রকাশক।
    • ২০১৯ -রাম রে নামে সুপরিচিত ভারতের বিজ্ঞাপন জগতের এক কিংবদন্তি।

    দিবস

    • বিশ্ব স্থাপত্য দিবস।
    • আন্তর্জাতিক নিউমোনিয়া দিবস।
    • জনসেবা প্রসারণ দিবস। (ভারত)।

    (সংকলিত)

  • ২০২১ সাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন হচ্ছে

    ২০২১ সাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন হচ্ছে

    অনলাইন ডেস্ক: সরকারি বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন রেখে চুড়ান্ত হচ্ছে নতুন খসড়া ছুটির তালিকা। আগামী ২০২১ সালের জন্য তা চুড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি শুধুমাত্র শুক্রবার। নতুন নিয়মে সেটা দুই দিন হবে। এই নিয়ম সকল সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজে কার্যকর হবে।

    প্রস্তাবটি শিগগিরই মন্ত্রীসভায় অনুমোদননের জন্য উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দিলে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। এছুটির ভিত্তিতে আগামি বছর ক্লাস পরিক্ষা সহ সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

  • ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

    ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

    স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে নয়, বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। তবে সেই পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহন করা হবে, নাকি সাভাবিক প্রক্রিয়ায় হবে সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে চুড়ান্ত করা হবে।

    করোনাকালে এবারের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সভা শেষে পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জনকণ্ঠকে বলেছেন, সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষা হবে। কিন্তু সেই পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহন করা হবে, নাকি সাভাবিক প্রক্রিয়ায় হবে সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে চুড়ান্ত করা হবে। সভায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত হবে পরে।

    সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল ওই সভায় বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উদ্ধাবন করা একটি সফটওয়্যারের কার্যকারিতা উপাচার্যদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর তাদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার পদ্ধতি ও তার সুবিধা তুলে ধরলে সকলেই তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাদের উদ্ভাবিত ‘প্রক্টরড রিমোট এক্সাম সিস্টেম’র মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহার করেই অনলাইনে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

    গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেছেন, বৈঠকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এর আগে করোনার কারনে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের পর জিপিএ’র ভিত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দাবি উঠেছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত আছে।

  • এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে

    এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে

    এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে
    এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে

    অনলাইন ডেস্ক: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

    প্রসঙ্গত, চলমান মহামারী করোনার কারণে সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে এবারের এইচএসসির ফল। গত ৭ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তায় সার্বিক বিবেচনায় ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তা বিবেচনা করছি। এ পরীক্ষার জন্য ৩০ থেকে ৩২ দিন সময় দরকার হয়। এক বেঞ্চে একজন ছাত্রী সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্র দ্বিগুণ করার জনবল নেই।

    এ বছর এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ করা হবে। তবে কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সভায় সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে চলতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’। আর এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করছেন উপাচার্যরা।

  • হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা রামেরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা রামেরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চশমে আরা (৪৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বুধবার সকালে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে শহরের পলাশপোল এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাত্র তিন মাস আগে চশমে আরার স্বামী ইদ্রিস আলীও মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি এক মেয়ে টাঙ্গাইল জেলার সহকারী জজ ইসরাত জেনিফার জেরিন ও এক ছেলে বিবিএ শিক্ষার্থী সামিতসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। প্রধান শিক্ষক চশমে আরার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সফিউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক চায়না ব্যানার্জী শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও বিদাহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন ।

  • এনইউবিটি খুলনায় ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ

    এনইউবিটি খুলনায় ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: মহামারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতি বিচেনায় ফল-২০২০ সেমিস্টারে ভর্তিচ্ছু নতুন শিক্ষার্থীদের ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী খুলনা। এনইউবিটি, খুলনার সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা জুবায়ের মুস্তাফিজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
    ‘করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই ১০০% ফি মওকুফ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। করোনা পরিস্থিতি যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এই লক্ষ্যে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এনইউবিটি, খুলনা। এ ছাড়া এই সেমিস্টারে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ২০ শতাংশ থেকে প্রায় ১০০ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী খুলনার, উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন।
    এদিকে টিউশন ফি, ভর্তি ফি মওকুফ ছাড়াও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী যেন অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে ‘নর্দান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন-২০২০’ এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে ফ্রি মোবাইল ডাটা এবং ৬৫ শতাংশ মূল্য ছাড়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এনইউবিটি খুলনার এই শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।।।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।।।

    ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না।

    ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর। একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন।

    ঘুরতে ঘুরতে যখন কার্জন হলের সামনে এসে পড়লো তারা, সে যুবক দেখলো দূরে একটা থ্রী কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ আর সুতির শাড়ি পরা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়েটি কে? তখন তার বন্ধুরা বলল, এ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। তখন সেই যুবক বলে, সত্যি? আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলব। তখন সে যুবক মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য একটু এগিয়ে গেলে তার বন্ধুরা তাকে বাঁধা দেয়। বলে, না তুমি যেওনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অনুমতি নেই। তুমি যদি ওর সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলো তবে তোমার শাস্তি হবে।

    সেই যুবক বলল, “আমি মানি নাকো কোন বাঁধা, মানি নাকো কোন আইন।”সেই যুবক হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেই মেয়েটির সামনে দাঁড়ালো। তারপর তাকে বলল, আমি শুনেছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। কি নাম আপনার? মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল, ফজিলাতুন্নেছা। জিজ্ঞাসা করলো, কোন সাবজেক্টে পড়েন? বলল, গণিতে। গ্রামের বাড়ি কোথায়? #টাঙ্গাইলের_করটিয়া। ঢাকায় থাকছেন কোথায়? সিদ্দিকবাজার। এবার যুবক বললেন, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী, আপনার সাথে কথা বলে আমি খুব আপ্লুত হয়েছি।

    আজই সন্ধ্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসবো। মেয়েটি চলে গেলো। এই সব কিছু দূরে দাঁড়িয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর স্যার দেখছিলেন। তার ঠিক তিনদিন পর। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৭, কলা ভবন আর বিজ্ঞান ভবনের নোটিশ বোর্ডে হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হলো যুবকের নামে। তার নাম লেখা হলো, তার বাবার নাম লেখা হলো এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই যুবকের আজীবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

    তারপরে এই যুবক আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। সেইদিনের সেই যুবক, বৃদ্ধ বয়সে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করলেন। যে যুবকটা আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেননি, তার মৃত্যুর পরে তার কবর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    সেই যুবকের নাম, #বিদ্রোহী_কবি_কাজী_নজরুল_ইসলাম

    পুনশ্চ: মেয়েটি ফজিলাতুন্নেসা জোহা,
    কবি নজরুল ওনাকে নিয়ে ‘বর্ষা বিদায়’ কবিতা লেখেন।

    টাঙ্গাইলের সদর থানার নামদার কুমুল্লী গ্রামে জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোক উদ্ভাসিত কারি, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা ।

    বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ও ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন (১৯৪৮-৫৭)। তিনিই প্রথম বাঙালি মুসলমান ছাত্রী যিনি উচ্চ শিক্ষার্থে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে যান।

    বেগম ফজিলতুন্নেসা সম্পর্কে পরিচয় পাওয়া যায় কাজী মোতাহার হোসেনের লেখা থেকে….
    “ বেগম ফজিলতুন্নেসা অসামান্য সুন্দরীও ছিলেন না অথবা বীনানিন্দিত মঞ্জুভাষিণীও ছিলেন না। ছিলেন অঙ্কের এম এ এবং একজন উচুঁদরের বাক্‌পটু মেয়ে ”জন্ম বেগম ফজিলতুন্নেসার জন্ম ১৮৯৯ সালে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার নামদার কুমুল্লী গ্রামে। পিতার নাম ওয়াজেদ আলী খাঁ, মাতা হালিমা খাতুন।। ওয়াজেদ আলী খাঁ মাইনর স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।

    শিক্ষাঃ-

    মাত্র ৬ বছর বয়সে ওয়াজেদ আলী খাঁ ফজিলতুন্নেসাকে করটিয়ার প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেন। তিনি ১৯২১ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও ১৯২৩ সালে প্রথম বিভাগে ইডেন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ফজিলাতুন্নেছা ১৯২৫ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে বিএ পাস করেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে গণিত শাস্ত্রে এমএ-তে ফার্স্ট ক্লাশ
    ফার্স্ট (গোল্ড মেডালিস্ট) হয়েছিলেন।

    অতঃপর তিনি ১৯২৮ সালে বিলেতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য গমন করেন।
    নিখিল বঙ্গে তিনিই প্রথম মুসলিম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। উপমহাদেশে মুসলিম মহিলাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিলাত থেকে ডিগ্রি এনেছিলেন। তাঁর পড়াশোনার ব্যাপারে করটিয়ার #জমিদার_মরহুম_ওয়াজেদ_আলী_খান_পন্নী (চাঁদ মিয়া) বিশেষ উৎসাহ ও অর্থ সাহায্য করেন।

    বিলেতে তাঁর অবস্থান কালীন সময়ে ভারতীয় মুসলমানদের মাঝে প্রথম ডিপিআই।

    পরিবারঃ-
    ————-
    বিদেশে পড়ার সময় ফজিলতুন্নেসার সাথে খুলনা নিবাসী আহসান উল্ল্যাহর পুত্র জোহা সাহেবের সাথে ফজিলাতুন্নেছার পরিচয় হয়। পরে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

    কর্মজিবনে তার অসামান্য ‍অবদান লন্ডন থেকে ফিরে ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতায় প্রথমে স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকুরিতে যোগদান করেন। ১৯৩০ সালের আগস্টে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গীয় মুসলিম সমাজ-সেবক-সংঘে’র বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে তাঁর বক্তব্যটি নারী জাগরণের মাইল ফলক হয়ে আছে।

    এই অধিবেশনে তিনি বলেন ‘নারী-শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন ও বলেন। নারী সমাজের অর্ধাঙ্গ, সমাজের পূর্ণতালাভ কোনোদিনই নারীকে বাদ দিয়ে সম্ভব হতে পারে না।

    সেই জন্যেই আজ এ সমাজ এতোটা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন,
    The highest form of society is one in which every man and woman is free to develop his or her individuality and to enrich the society what is more characteristic of himself or herself.

    কাজেই এ সমাজের অবনতির প্রধান কারণ নারীকে ঘরে বন্দি করে রেখে তার Individuality বিকাশের পথ রুদ্ধ করে রাখা। নারী-শিক্ষা সম্বন্ধে এতোটা কথা আজ বলছি তার কারণ সমাজের গোড়ায় যে-গলদ রয়েছে সেটাকে দূরীভূত করতে না-পারলে সমাজকে কখনই সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারা যাবে না।’
    তিনি ১৯৩৫ সালে বেথুন কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন।
    বেথুন কলেজে চাকুরিরত অবস্থায় দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে এসে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ১৯৪৮ সালে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষা ছিলেন।

    বেগম ফজিলাতুন্নেছার অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগসহ ইডেন কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয়।১৯৫২ সালে ইডেন কলেজের মেয়েরা রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কলেজের অভ্যন্তর থেকে মিছিল বের করার প্রস্ত্ততি নিলে উর্দুভাষী এক দারোগা হোস্টেলে ঢুকে মেয়েদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করার এক পর্যায়ে খবর পেয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা কলেজে এসে তার বিনানুমতিতে কলেজ প্রাঙ্গণে ঢোকার জন্য দারোগাকে ভৎসনা করে হোস্টেল থেকে বের করে দেন নিজের দৃঢ়তা ও প্রশাসনিক ক্ষমতার বলে।

    নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি সম্পর্কে সওগাতসহ অনেক পত্রিকায় তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প প্রকাশিত হয়।

    মৃত্যুঃ
    এই বিদুষী নারী ১৯৭৭ সালে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। এই মহীয়সী নারীর স্মৃতি রক্ষার্থে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে ফজিলাতুন্নেছার নামে হল নির্মাণ করা হয়।