Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
লাইফস্টাইল Archives - Daily Dakshinermashal

Category: লাইফস্টাইল

  • থাইরয়েডের সমস্যা?

    থাইরয়েডের সমস্যা?

    থাইরয়েডের সমস্যাগুলো হচ্ছে হরমোনের ঘাটতি বা হাইপো-থাইরয়ডিজম, হরমোনের আধিক্য বা হাইপার-থাইরয়ডিজম, প্রদাহ বা থাইরয়ডাইটিস, গলগন্ড ও ক্যানসার। দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন।

    থাইরয়েডের সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। এই হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্যের কারণে ব্যাপক শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।

    থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম, আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খান, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

    গবেষণায় দেখা গেছে যে এই অভ্যাসগুলো কার্যকরভাবে থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

     

    শরীরের তাপমাত্রা এবং হৃদস্পন্দনের নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। জেনে নিন থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের উপায়-

    আপনি যদি থাইরয়েড রোগী হন তবে হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সঠিক বিপাকীয় কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, শক্তির মাত্রা বজায় রাখে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে, হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, থাইরয়েড রোগীদের জন্য পানি পান করা উপকারী।

    আপনি যদি থাইরয়েড রোগী হন তবে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে, শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ঘুমের অভাব থাইরয়েড ফাংশনকে খারাপ করতে পারে। থাইরয়েড রোগীদের তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

    থাইরয়েড রোগীদের স্ট্রেস গ্রহণ করা এড়ানো উচিত কারণ এটি থাইরয়েড ফাংশন এবং সামগ্রিক হরমোনের ভারসাম্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা প্রতিরোধ করে, ইমিউন স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, কর্টিসলের মাত্রা কমায় এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালে জার্নাল অফ থাইরয়েড রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, স্ট্রেস এড়িয়ে চলতে পারলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং থাইরয়েডের লক্ষণ কমাতে পারে।

    ব্যায়াম বিভিন্ন উপায়ে থাইরয়েড স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্যভাবে উপকার করতে পারে, বিশেষ করে থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য। এটি বিপাক বাড়ায়, থাইরয়েড ফাংশন বাড়ায় এবং শক্তির মাত্রা বাড়ায়। আপনি যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং হাঁটার চেষ্টা করতে পারেন। ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালের একটি গবেষণা অনুসারে, মাঝারি ব্যায়াম থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা উন্নত করতে পারে।

  • রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাস

    রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাস

    যান্ত্রিক দুই চাকার জগতে ঐতিহ্য ও রাজকীয়তার মিশেল হিসেবে অভিহিত করা হয় বিখ্যাত রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলকে। বিভিন্ন দেশে তুমুল জনপ্রিয় এই বাইক বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। তবে তাদের জন্য এতদিন আফসোসের নাম ছিল রয়্যাল এনফিল্ড! কারণ, এতদিন বাংলাদেশে চালানোর অনুমতি ছিল না এই বাইকটি। তবে তাদের হতাশা দূর হচ্ছে, বাংলাদেশের বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইক। সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে দেশের বাজারে পাওয়া যাবে ৩৫০ সিসির ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ মোটরসাইকেল।

    যার দাম পড়তে পারে সাড়ে চার লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে। রয়্যাল এনফিল্ডকে বাংলাদেশের বাজারে আনছে দেশীয় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদনের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদনে সক্ষম।
    মূলত বাংলাদেশে এতদিন ১৬৫ সিসির অধিক সিসির মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে গত বছর দেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে সেক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয় এই মোটরসাইকেলগুলোকে দেশে উৎপাদিত হতে হবে। সরকার নীতিমালা শিথিল করায় দেশের বাইকপ্রেমীদের মধ্যে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশেই এই বাইক উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দেয় ইফাদ মোটরস। রয়্যাল এনফিল্ডকে অনেকেই মনে করেন ভারতের ব্রান্ড। ভারতীয় বাইকারদের সঙ্গে এটি এমনভাবে জড়িয়ে গেছে তাতে, এটির উৎপত্তি যে ভারতে নয়, তা অনেকেরই অজানা।
    রয়্যাল এনফিল্ডের মূল শিকড় হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ১৯০১ সালে যাত্রা শুরু হয় রয়্যাল এনফিল্ডের। দুই ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ এবং অ্যালবার্ট এডি এই মোটরসাইকেল তৈরি করেন। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে চেন্নাইয়ে সংযোজন কারখানা স্থাপন করে। এরপর থেকেই ভারতের বাইকপ্রেমীদের মনে স্থান করে নেয় রয়্যাল এনফিল্ড। মূলত অধিক সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন ও স্টাইলিশ লুকের কারণেই ভারতের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই বাইক। বলিউডের জনপ্রিয় অনেক তারকা এবং ভারতের খেলোয়াড়দের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড।
    ১৮৯৬ সালে অ্যালবার্ট এডি মিডলসেক্সের এনফিল্ড শহরে রয়েল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরির জন্য যন্ত্রপাতি তৈরির অর্ডার পান। এখান থেকেই রয়েল এনফিল্ড নামের জন্ম। এ বছরই নিউ এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি কিনে নেয় তারা। এখান থেকে ১৮৯৭ সালে সাইকেলের সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি শুরু করে রয়্যাল এনফিল্ড। ধীরে ধীরে যখন মোটরচালিত সাইকেল ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়, তখন এনফিল্ড কোম্পানিও মোটরসাইকেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। দুই বছর চেষ্টার পর ১৯০১ সালে নিজেদের প্রথম মোটরবাইক বাজারে আনে রয়্যাল এনফিল্ড।
    ২৩৯ সিসির এই মোটরবাইক ছিল ১১ দশমিক ২ হর্সপাওয়ার (এইচপি) ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে রয়্যাল এনফিল্ডকে সাফল্য এনে দিয়েছিল ১৯০৯ সালে তৈরি তাদের ভি টুইন ২৯৭ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল।
    এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় মোটরসাইকেলের। সে সময় যুদ্ধক্ষেত্রের উপযোগী বেশ বড় আকারের মোটরসাইকেল বাজারে আনে রয়্যাল এনফিল্ড। এটি ছিল ৭৭০ সিসির ও ৬ এইচপি ভি ভি-টুইন মোটরসাইকেল। যুদ্ধের সময় শুধু ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীই নয়, মিত্র শক্তির অন্যান্য পক্ষ যেমন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীকেও এই মোটরসাইকেল সরবরাহ করে রয়্যাল এনফিল্ড। শক্ত কাঠামো এবং যান্ত্রিক বিশ্বস্ততার জন্য বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল এই মোটরবাইকগুলো।
    শুধু প্রথম বিশ্বযুদ্ধই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও যুদ্ধক্ষেত্রে জনপ্রিয় ছিল রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরবাইক। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মিলিটারি গ্রেড মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে রয়্যাল এনফিল্ড কোম্পানি। এ সময় তারা ২৫০ সিসি, ৩৫০ সিসি এবং ৫৭০ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল তৈরি করে। এদের মধ্যে রয়্যাল এনফিল্ড ডব্লিউডি/আরই মডেলটিকে প্লেন থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে আকাশ থেকে নিচে ফেলা যেত।

    যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নতুন নতুন মডেলের বাইক আনে রয়্যাল এনফিল্ড। এ সময়ই বাজারে আসে বিখ্যাত মডেল ‘বুলেট’। খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৩৫০ এবং ৫০০ সিসির বুলেট। এরপর আসে আকারে বড় রয়্যাল এনফিল্ড সুপার মিটিয়র এবং সুপার মিটিয়র কন্সটেলেশন। এগুলোর প্রত্যেকটি ছিলো ৭০০ সিসির। ১৯৪৯ সালে প্রথম ভারতের বাজারে আসে ৩৫০ সিসির বুলেট। মূলত সেনাবাহিনীতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই প্রথম এই বাইকগুলোকে ভারতে আনে দেশটির সামরিক বাহিনী। দেশের সীমান্তে টহল দেয়ার জন্য প্রথম ৮০০ ইউনিট বুলেট ৩৫০ এর অর্ডার দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চেন্নাইতে একটি সংযোজন কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় রয়্যাল এনফিল্ডের। প্রথম দিকে এই কারখানায় মোটরবাইক অ্যাসেম্বলিং করা হতো। তবে ১৯৬২ সাল থেকে ভারতেই তৈরি হওয়া শুরু করে মোটরসাইকেলের পুরোটাই।
    বর্তমানে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে বিক্রি হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড। মূলত গুণগত মান ও স্থায়ীত্বের কারণে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলোর খ্যাতি জগৎ জোড়া। সিসি ভেদ মোটরসাইকেলটির বিভিন্ন মডেল বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩৫০ সিসির ইঞ্জিনে বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর ও হান্টার, ৪১১ সিসির স্ক্রাম, ৪৫০ সিসির গুয়েররিল্লা, হিমালয় এবং ৬৫০ সিসির শর্টগান, সুপার মিটিওর, ইন্টারসেপ্টর ৬৫০ এবং কন্টিনেন্টাল জিটি ৬৫০ মডেলগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। যেহেতু বাংলাদেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরবাইক চালানোর অনুমতি রয়েছে, সেহেতু দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর এবং হান্টার মডেলগুলো পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এগুলোর প্রত্যেকটি ৩৫০ সিসির।
    ৩৫০ সিসির শ্রেণিতে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতিটি বাইকের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বুলেট, ক্লাসিক এবং হান্টার মডেলগুলো উন্নত ইএফআই ইঞ্জিন দিয়ে চলবে। ক্লাসিক ৩৫০ মডেলে একটি একক সিলিন্ডার এবং এয়ারকুল্ড ৩৪৯ সিসি ইঞ্জিন রয়েছে। এটি ৬ হাজার ১০০ আরপিএমে ২০.২ বিএইচপির হর্স পাওয়ার এবং ৪ হাজার আরপিএমে ২৭ এনএমের টর্ক উৎপন্ন করে। হান্টার ৩৫০ মডেলের বাইকের সামনে থাকছে গোলাকার হেডলাইট, হ্যান্ডলবারের দুই পাশে দুটি রিয়ার ভিউ মিরর, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং কনসোল। সঙ্গে থাকছে রোটারি সুইচ, টিয়ার-ড্রপ শেইপের ফুয়েল ট্যাংক।
    অপরদিকে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ অনেকটা প্রাচীন ধাঁচের মোটরবাইক। বাইকটির বর্তমান সংস্করণে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্রেকিং ব্যবস্থা খারাপ রাস্তাতেও স্থিরভাবে বাইক চালাতে ও থামাতে সাহায্য করে। বাইকটি মূলত দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়। অপরদিকে রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০ হলো আধুনিক ঘরানার অভিজাত বাইক। এটির ক্লাসিক স্টাইলের কনসোল প্যানেল এবং শক্তিশালী গোলাকার হেডলাইট বেশ আকর্ষণীয়।

  • যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়

    যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়

    বয়স আটকাতে কে না চায়! নারী হোক বা পুরুষ; চেহারায় বয়সের ভাজ পড়বে, এ যেন এক দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়! সিনেমা, মডেলিং বা ফ্যাশন সম্পৃক্তরা এই ব্যাপারে বেশ অনেকটা সতর্ক। তাছাড়া যাদের অনেক টাকা আছে, তারা অনেক অ্যান্টিএজিং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সেসব কি আর সাধারণ ঘরের মানুষের দ্বারা সম্ভব? তাই বলে তো, কম বয়সেই মুখে কুঁচকানো চামড়া নিয়ে ঘোরা যায় না!

    তবে, বুড়িয়ে যাওয়া কোনো দু-এক দিনের ঘটনা নয়। বেশ লম্বা সময়ের ব্যাপার। তাই এই প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে চাইলে পদক্ষেপও বেশ আগে থেকেই নিতে হবে। শুধু বয়সের ছাপ পড়াই নয়, জীবনে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কিছু অভ্যাস উল্লেখ করা হলো-

    ১. অসম্পূর্ণ ঘুম: শরীরের ঘাটতি এবং ক্লান্তি দূর করার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো ঘুম। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মানসিক চাপজনিত হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকের টান টান ভাব কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, চেহারার পেশির টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। চামড়া ঝুলে যাওয়া, চোখের নিচে কালি পড়া, বলিরেখা সহ নানারকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরিকল্পনা রাখতে হবে।

    ২. নেশাদ্রব্য: অতিমাত্রায় নেশাজাত দ্রব্য, বিশেষ করে ধূমপান এবং অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয় সেবন ত্বকের ঝুলে পড়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কারণ, অ্যালকোহল সেবনে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে শুরু করে এবং কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস করে। এছাড়া ধূমপানের কারণে ইলাস্টিন প্রোটিনের ক্ষতি হয়। এই কারণে ত্বকে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা এবং ত্বকে নিস্তেজ বর্ণ সৃষ্টি হয়।

    ৩. পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি পান করা ত্বক সুন্দর রাখার পূর্বশর্ত। পানিশূন্যতা কেবল ত্বকের নয় অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যেরও বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী, যা অনেক রোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

    ৪. ব্যায়ামের ঘাটতি: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত চলাচল বেশ ভালোভাবে হয়। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের ঘাটতি দিন দিন ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। এছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজনবৃদ্ধির মতো অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

    ৫. সূর্যরশ্মি: অতিবেগুনি রশ্মি অর্থাৎ ইউভি রশ্মি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধ্বংস করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বক জলদি বুড়িয়ে যায়। তাই প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

    ৬. মানসিক চাপ: অনেকে হয়তো জানেন না, বার্ধ্যেকের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসিক অশান্তির কারণে ত্বকের কোষগুলো অকালে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখতে ধ্যান, যোগ ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন।

    ৭. অস্বাস্থ্যকর খাদ্য: আজেবাজে খাদ্যাভাস শুধু শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিই ঘটায় না, বরং শরীরে একগাদা বাজে জিনিসে পূর্ণ করে। যেমন অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবারে মুখে ব্রণ ও পিম্পল হয়। আবার চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবারের কারণে শরীরে প্রদাহ হতে পারে। এসব কারণে কম বয়সেই বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে ওঠে। তাই সুষম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রুটিন তৈরি এবং অনুসরণ করতে হবে।

    এইসব অভ্য়াসের কারণে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। অনেক বেশি অনিয়ম হলে খুব কম বয়সেই এইব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই এইসব বদঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে সুন্দর রাখুন, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

    তথ্যসূত্র: নিউজ১৮/বার্তা২৪.কম

  • পূজার নানা পদ

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব ।পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হয়েছে পূজা মণ্ডপ। প্রতিমা দেখার পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলছে সুস্বাদু রান্নার আয়োজনও। উৎসবের এ আমেজে মজাদার খাবার যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বাড়িতে তৈরি করতে পারেন নানা পদ।

    পূজাই লুচি থাকবে তাই কি হয়। বেগুন ভাজা, লাবড়া কিংবা আলুর দম দিয়ে লুচি খাওয়ার স্বাদই আলাদা। তবে লুচি যাতে নরম আর স্বাদের হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

    লুচির তৈরির রেসিপি

    উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো,লবণ স্বাদমতো, হালকা গরম পানি পরিমাণমতো।

    প্রস্তুত প্রণালি : একটি বড় বাটিতে ময়দার মিশ্রণ নিয়ে তার মধ্যে সামান্য লবণ ও ২ টেবিল চামচ তেল দিন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য ঘি-ও যোগ করতে পারেন এতে। এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। ডো খুব বেশি নরম করার দরকার নেই। ফোলার জন্য বেকিং পাউডার যোগ করুন। ডো তৈরি হলে আধা ঘণ্টার জন্য ঢেকে রাখুন। এরপর ডো থেকে ছোট ছোট ভাগ করে ছোট রুটির মতো বেলে নিন।

    চুলাইয়ে কড়াই দিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে রুটি ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর সেটি ফুলে উঠলে উল্টে দিন। ভাজা হলে তুলে টিস্যুর উপর রাখুন। এভাবে একটি একটি করে লুচি ভাজুন। গরম গরম পরিবেশন করুন আলুর দম, সবজি কিংবা মাংসের সঙ্গে।

    পাঁচমিশালি সবজি

    উপকরণ : আলু ১টি, পটোল ৩-৪টি, মিষ্টিকুমড়া ছোট ১ ফালি, টমেটো ১টি, বেগুন ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, তেজপাতা ২টি, পাঁচফোড়ন সামান্য, লবণ স্বাদমতো, হলুদ আধা টেবিল চামচ, তেল প্রয়োজনমতো, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া সামান্য ও ধনেপাতাকুচি সামান্য।

    প্রস্তুত প্রণালি : সব সবজি ধুয়ে বড় টুকরো করে কেটে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে দুটি শুকনো মরিচ আর দুটি তেজপাতা ছিড়ে দিন। এবার পাঁচফোড়ন দিন। তারপর একে একে আলু, পটল দিন। লবণ ও হলুদের সাথে আদা-রসুন বাটা যোগ করে সামান্য পানি দিয়ে কষান। সবজি আধসিদ্ধ হয়ে এলে মিষ্টিকুমড়া, বেগুন আর টমেটো দিয়ে অল্প অল্প পানি যোগ করে কষিয়ে নিন। সবজিতে কাঁচা মরিচের ফালি দিন। সব সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার পাঁচমিশালি সবজি। গরম গরম লুচির সাথে সবজি পরিবেশন করুন।

    আলুর দম
    উপকরণ :ছোট আলু ১/২ কেজি, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা ১/২ চা চামচ, আদা ১ ইঞ্চি, কাঁচা মরিচ ৪টি, জিরা ১ চা চামচ, ধনিয়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টমেটো পেস্ট -২ চামচ, গরম মসলা গুড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

    প্রস্তুত প্রণালি :আলু লবণপানিতে সিদ্ধ করে লাল করে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে সব বাটা মসলা কষাতে হবে। এরপর আলু দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা হলে ১/২ কাপ পানি দিয়ে আলু সিদ্ধ করতে হবে। আলুর দম মাখামাখা হয়ে গেলে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

  • হাড়ের ক্ষতি করে যে ৫ খাবার

    হাড়ের ক্ষতি করে যে ৫ খাবার

    লাইফস্টাইল ডেস্ক

    সুস্থতার জন্য হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। ভাবছেন, শরীরের ভেতরে থাকে যে হাড়, তার যত্ন নেবেন কীভাবে? আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, কোন খাবারগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর আর কোনগুলো উপকারী। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় নাজুক হতে শুরু করে। আপনি যদি আগে থেকে সচেতন থাকেন তাহলে এটি ঠেকানো সম্ভব।

    আমরা প্রতিদিন এমন কিছু খাবার খাই যেগুলো হাড়ের জন্য খারাপ। দুর্বল হাড়ের প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ির রোগ, হাতের মুঠোতে শক্তি কম পাওয়া, নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, শরীর বেঁকে যাওয়া, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি। হাড় দুর্বল হলে অনেক সময় অল্প আঘাতেই তা ভেঙে যায়।

    হাড় কীভাবে শক্তি পায়?

    হাড়ের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানের একটি হলো ক্যালসিয়াম। আমাদের শরীর ক্যালসিয়াম নামক খনিজ সহজে গ্রহণ করতে পারে না। কিছু খাবার শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাঁধা দেয়। যে কারণে এই খনিজ শরীরে পৌঁছে না। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘণ্টা শরীরচর্চা করতে হবে। এতে হাড় ভালো রাখা সহজ হবে। জেনে নিন কোন খাবারগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর-

    কোল্ড ড্রিংকস

    এমনিতেও কোল্ড ড্রিংকস বা কোমল পানীয় পানের কোনো উপকারিতা নেই, আছে অনেক ক্ষতিকর দিক। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই পানীয়তে চিনির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এছাড়া এতে ক্যাফেইন, ফসফোরিক অ্যাসিডও থাকে। এই উপাদানগুলো হাড়কে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়।

    প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খাবেন না

    আমাদের শরীর ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রাণিজ প্রোটিনের। এই প্রোটিন শরীর গ্রহণ করতে পারে সহজেই। তবে এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে সৃষ্টি হতে পারে সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া মানুষেরা অস্টিওপোরোসিস সমস্যায় ভুগে থাকেন। সেখান থেকে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।

    কফি

    দুই এক-দুই কাপ কফি খাওয়া যেতেই পারে। তবে এর বেশি কোনোভাবেই নয়। কফি বেশি খেলে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে থাকা ক্যাফেইন ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা দেয়। কফি তাই মাঝে মাঝে খাবেন, নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। হাড় ভালো রাখতে হলে তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    ধূমপান

    ধূমপান মোটেই উপকারী অভ্যাস নয়। বরং এর ক্ষতিকর দিক লেখা থাকে সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই। ধূমপান থেকে দেখা দিতে পারে শরীরের অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড় দুর্বল করে দেয়। ধূমপানের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ঠিকভাবে পৌঁছে না। তাই ধূমপান কিংবা তামাক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

    অতিরিক্ত চিনি ও লবণ

    শরীরের জন্য লবণ প্রয়োজন, তবে তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি গ্রহণ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে হাড়ের ক্ষতি করতে কাজ করে এই দুই উপাদান। কারণ অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের হযে যায়। এছাড়া মদ্যপান, সারক্ষণ শুয়ে-বসে থাকার কারণেও হাড়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। হাড় সুস্থ রাখতে তাই এগুলো বাদ দিতে হবে।

  • বয়স চল্লিশ পেরোতেই ত্বকে বলিরেখা? কোন তিনটি আসনে বাড়বে জেল্লা

    বয়স চল্লিশ পেরোতেই ত্বকে বলিরেখা? কোন তিনটি আসনে বাড়বে জেল্লা

    নিত্য ব্যস্ততার রুটিনে ত্বকের যত্ন নিয়ে ভাবতে গেলে মনে হয় বিলাসিতা। কেবল প্রসাধনীর গুণেই নয়, যোগের কামালেও পেতে পারেন জেল্লাদার ত্বক।যৌবনের টানটান মসৃণ ত্বকের জেল্লা হারাতে থাকে ৪০ পেরোলেই। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ত্বক ঝুলে যায়। খসখসে হয়ে পড়ে। নিত্য ব্যস্ততার রুটিনে শরীরচর্চার জন্য সময় বার করা হয়ে ওঠে না। ত্বকের যত্ন নিয়ে ভাবতে গেলে মনে হয় বিলাসিতা। কিন্তু শরীরের দেখভাল করার পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যাও ভীষণ দরকার। অনেকেই খেয়াল করে ঘন ঘন জল খেয়ে ত্বক আর্দ্র রাখেন। কেউ আবার বেরোনোর সময়ে সানস্ক্রিন মেখে ত্বক রক্ষা করেন বাইরের ধুলোবালি বা অতিবেগুনি রশ্মি থেকে। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু যোগাসনও উপকারী হতে পারে। জেনে নিন কোন যোগাসনে ত্বকের জেল্লা বাড়বে।

    ১) হলাসন: এই আসনটি রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ায়। এই আসন নিয়মিত করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। ভাল ঘুম হলে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ে না। ত্বক ভাল থাকে।

    যোগাসনটি করার জন্য প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি আস্তে আস্তে উপরে তুলুন ৯০ ডিগ্রি কোণে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যান। এর পর পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভাবে তুলুন, যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। বুকের কাছে নিয়ে আসুন থুতনি।

    ২) সর্বাঙ্গাসন: এই আসনটি করা খুব সহজ নয়। তবে এক বার অভ্যস্ত হয়ে পড়লে এই আসন শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভাল রাখতে সাহায়্য করে। এই আসন মুখে রক্ত চলাচল বাড়ায়। তাই চামড়া কুচকে যাওয়া, ব্রণর সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে এই আসনের উপর ভরসা করতে পারেন।হলাসনের মতো প্রথমে শুয়ে পড়ে তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে পেলভিস ও পা দু’টি সোজাসুজি তুলে দিন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। খেয়াল করবেন যেন কাঁধ, টরসো, পেলভিস, পা এবং পায়ের পাতা একই সরলরেখায় থাকে। চেষ্টা করুন যেন আপনার থুতনি স্পর্শ করে বুক এবং দৃষ্টি স্থির থাকে পায়ের পাতার দিকে।

    ৩) ধনুরাসন: এই আসনটি নিয়মিত করতে পারলে মানসিক চাপ মুক্ত হওয়া যায়। উদ্বেগ কমে। পেটের উপর চাপ পরায় এই যোগ ব্যায়ামটি করলে হজমশক্তিও বাড়ে। পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও ভাল থাকে।

    উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক পর্যন্ত হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

  • ময়েশ্চারাইজার আর বডি লোশনের মধ্যে ফারাক কী? কোনটি কখন ব্যবহার করবেন

    ময়েশ্চারাইজার আর বডি লোশনের মধ্যে ফারাক কী? কোনটি কখন ব্যবহার করবেন

    অনল্াইন ডেস্ক: যাঁদের ত্বকে আর্দ্রতা কম, তাঁদের ত্বকের বয়স তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। আর্দ্রতা ধরে রাখার উপায় কী?

    য়সের ছাপ সবচেয়ে আগে পড়ে মুখে। মানসিক চাপের প্রতিফলনও তেমন মুখেই দেখা যায় প্রথমে। তাই ত্বকের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। বিশেষ করে যাঁদের ত্বকে আর্দ্রতা কম, তাঁদের ত্বকের বয়স তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। বয়সের ছাপ এলে প্রথমেই ত্বকে ভাঁজ পড়তে শুরু করে। তাই সারা বছর ত্বক আর্দ্র রাখা জরুরি। javascript:falseবাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকেই। ত্বক আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার এবং বডি লোশন দুইয়েরই চল যথেষ্ট। এই দু’টি প্রসাধনী ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, সেটা আগে জানা প্রয়োজন।

    ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার: বয়স যত বাড়ে, ত্বক সতেজ রাখার তৈল গ্রন্থিগুলি তেল উৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি রোদের প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকেও রক্ষা করে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক হলে তেলহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

    লোশনের ব্যবহার:আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কনুই, হাঁটুর অংশের ত্বক ক্ষয় হতে শুরু করে। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। এমন হলে বডি লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। সুগন্ধি লোশন আপনাকে শান্ত এবং শিথিল করতে সাহায্য করে। কিছু লোশন আপনার মুখের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ওষুধযুক্ত লোশন রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা এবং ঘা নিরাময় করে। বডি লোশন কিন্তু ভুলেও মুখে ব্যবহার করবেন না।ময়েশ্চারাইজার ত্বকের প্রতিটি কোষে কোষে ঢুকে ক্ষত নিরাময় করে। কিন্তু বডি লোশন হালকা। এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় ত্বকের উপরিতলের ক্ষত নিরাময় করে। আপনাকেই বুঝতে হবে ত্বকের ঠিক কেমন যত্ন প্রয়োজন।

  • ত্বকের যত্নে তুলসীপাতা! কী ভাবে ব্যবহার করবেন

    ত্বকের যত্নে তুলসীপাতা! কী ভাবে ব্যবহার করবেন

    অনলাইন ডেস্ক :তুলসীপাতার অনেক গুণ রয়েছে। তাই সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা মধু দিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকে। তবে এই পাতা দিয়ে রূপচর্চাও করা যায়। ত্বক ভাল থাকে।তুলসীপাতার গুণের শেষ নেই। তাই তো শারীরিক যে কোনও সমস্যায় সকালে খালিপেটে তুলসীপাতা খেতে বলা হয়। সঙ্গে একটু মধু দিয়ে খেলে তো কথাই নেই।কিন্তু জানেন কি, ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে তুলসীপাতা? এতে নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

    কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেয় তুলসীপাতা?১) ব্রণর সমস্যার সমাধান করতে পারে।২) কমায় চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও।৩) ত্বকে দাগছোপ পড়তে থাকলেও তুলসীপাতা বেশ কাজে লাগে।৪) খুসকি হলেও কাজে আসতে পারে তুলসীপাতা।৫) ত্বকে বেশি বলিরেখা প়ড়ছে কি? তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তুলসী।

    বকের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন তুলসীপাতা?তুলসীপাতা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে নিন। রোজ স্নানের মিনিট দশেক আগে এক চা চামচ তুলসীপাতার গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিল চামচ টক দই ভাল করে মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে নিন।

    চুলের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন তুলসীপাতা?টক দই আর তুলসীপাতার গুঁড়োর প্যাক মাথায় মেখে রাখা যায়। তার পর ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেললে সমস্যা কমবে। তবে এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। নিয়মিত ব্যবহার করতে হলে জলে বেশ কয়েকটি তুলসীপাতা ফুটিয়ে নিন। এ বার সেই জল থেকে পাতাগুলি তুলে ফেলে দিন।

    তুলসীপাতা ফোটানো জল দিয়ে শ্যাম্পু করুন। কয়েক দিনেই কমবে চুল পড়া, খুসকির সমস্যা।

  • বেগুন ভেজে রাখলেই নেতিয়ে যায়? মুচমুচে রাখবেন কী ভাবে

    বেগুন ভেজে রাখলেই নেতিয়ে যায়? মুচমুচে রাখবেন কী ভাবে

    ডেস্ক সংবাদ: বেগুন ভাজলেই খানিকটা নেতিয়ে যায়। যদি আবার ভেজে কিছু ক্ষণ রাখা থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। কিন্তু কিছু টোটকা মনে রাখলে এমন ‌আর হবে না।বেগুন ভাজা নরমই হয়। অন্তত এমনই ধারণা সাধারণ ভাবে। অথচ খাদ্যরসিকরা বেগুন কতটা ভাজা হবে এবং কতটা হবে না, তা নিয়েও বেশ খুঁতখুঁতে। এক কালে রাঁধুনির হাতের গুণ পরীক্ষা করা হত বেগুন ভাজা দিয়ে। কারণ, ভাল বেগুন ভাজা নাকি হতে হবে বাইরে থেকে মুচমুচে আর ভিতর থেকে তুলতুলে।

    এক বেগুন নিয়ে যে এত আহ্লাদ, তা অবশ্য অনেকেই জানেন না। কিন্তু এমন বেগুন ভাজা বানানো খুব কঠিন কাজও নয়। অন্তত কয়েকটি টোটকা যদি জানা থাকে, তবে প্রসিদ্ধ রাঁধুনিদের মতো হাতের গুণ না থাকলেও চলবে।

    বেগুন ভাজা মুচমুচে রাখবেন কী ভাবে?

    ১) সাধারণ বেগুন ভাজা, উপরে কোনও মশলা না ছড়িয়েই মুচমুচে করা যায়। তবে অনেকের ধারণা থাকে যে, বেগুন ভাজতে হবে অনেকটা তেলে। তা কিন্তু ঠিক নয়। বরং কম তেলে নুন-হলুদ মাখানো বেগুনের টুকরো ছেড়ে দিন। তবে তা ভাজতে হবে যত্ন করে। কড়াইয়ে ঢাকা দিয়ে, অল্প আঁচে ভাজতে হবে বেগুন। মাঝেমাঝে ঢাকা তুলে উল্টে দিন বেগুনের টুকরোগুলি। অপেক্ষা করুন যাতে বেগুনের গা বেশি বাদামি না হয়ে গিয়েও খোসা হয় মুচমুচে।

    ২) বেগুন ভেজে কিছু ক্ষণ রেখে দিতে চাইলে একটি সহজ উপায় রয়েছে। নুন-হলুদের সঙ্গে একটু পোস্ত মিশিয়ে নিন। পোস্ত মাখানো বেগুনের টুকরো তেলে দিয়ে অল্প আঁচে ভাজুন। ভিতর থেকে নরম, বাইরে থেকে মুচমুচে হবে।

    ৩) ঘরে পোস্ত না থাকলে ব্যবহার করতে পারেন চালের গুঁড়োও। তাতেও কিছু কম মুচমুচে বেগুন ভাজা হবে না। তবে চালের গুঁড়োও ঠিক একই পদ্ধতিতে নুন আর হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পর তেলে দিন।

  • ভাপা বা পাতুরি নয়, ইলিশের নতুন স্বাদ পেতে চান? এই বর্ষায় বানিয়ে ফেলুন মালাই ইলিশ

    ভাপা বা পাতুরি নয়, ইলিশের নতুন স্বাদ পেতে চান? এই বর্ষায় বানিয়ে ফেলুন মালাই ইলিশ

    ডেস্ক রিপোট: ঘটি হোক বা বাঙাল বর্ষায় ইলিশের কদর বাড়ে সকল বাঙালির কাছেই। ভাপা, পাতুরি, পাতলা ঝোলের বদলে এই বর্ষায় ইলিশ দিয়ে নতুন কী বানাতে পারেন?

    দক্ষিণ বঙ্গে বর্ষা ঢুকব ঢুকব করছে। আর বর্ষাকাল মানেই ইলিশ মাছ। ভাপা ইলিশি, সর্ষে ইলিশ, বেগুন আলু দিয়ে পাতলা ইলিশের ঝোল— গোটা বর্ষাকাল জুড়েই বাঙালির পাতে যেন ইলিশ উৎসব চলে। ইলিশ দিয়ে তৈরি নানা ধরনের বাঙালিয়ানা পদের তালিকায় নতুন কিছু যুক্ত করতে এই বর্ষায় বানিয়ে ফেলুন মালাই ইলিশ। রইল প্রণালী।

    উপকরণ

    ইলিশ মাছের টুকরো: ৫টি,পেঁয়াজ বাটা: আধ কাপ, চেরা কাঁচা লঙ্কা: ৫টি, ছোট এলাচ: ৫টি, আদা বাটা: ২ চা চামচ, নারকেলের দুধ: ১ কাপ, পোস্ত বাটা: ২ চা চামচ, কাজু বাটা: ২ চা চামচ, ফ্রেশ ক্রিম: ৪ চা চামচ, ঘি: ২ চা চামচ, নুন: স্বাদ মতো, সাদা তেল: পরিমাণ মতো।

    প্রণালী

    ইলিশ মাছ ভাল করে ধুয়ে নুন ও লেবুর রস মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন।এ বার কড়াইতে ২ চামচ তেল এবং ২ চামচ ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, ছোট এলাচ দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করতে থাকুন।মিনিট দুয়েক পর নারকেলের দুধ, ছোট এলাচ, পোস্ত বাটা, কাজু বাটা কড়াইয়ে দিয়ে ভাল করে কষাতে থাকুন।মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে সাবধানে মাছগুলি একে একে দিয়ে দিন। খুন্তি দিয়ে হালকা হাতে মাছের দু’দিকেই মশলা মাখিয়ে নিয়ে অল্প জল ঢেলে দিন।ঝোল ফুটে মাখো মাখো হয়ে এলে উপর থেকে ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে নামিয়ে নিন মালাই ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ জমে যাবে ইলিশের এই পদ।

    ,

    ,

    ,

  • অফিস থেকেই বিয়েবাড়ি যেতে হবে? ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ভরসা রাখুন হলুদের টোনারে

    অফিস থেকেই বিয়েবাড়ি যেতে হবে? ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ভরসা রাখুন হলুদের টোনারে

    ডেস্ক সংবাদ:টোনার কয়েক নিমেষের মধ্যেই ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা। এমনকি, এর নিয়মিত ব্যবহার বলিরেখার সমস্যাও দূর করে। ভাবছেন, কী ভাবে বানাবেন?

    বিয়ের বর-কনেকে বিয়ের আগে হলুদে মাখানোর রেওয়াজ নানা ধর্মেই রয়েছে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, হলুদই কেন? হলুদ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে, তাই বিবাহবাসরে বর-কনের সাজগোজ যাতে আরও নজরকাড়া হয়, তা নিশ্চিত করতেই হলুদের ব্যবহার।নামী-দামি প্রসাধনীতেও হলুদের ব্যবহার করা হয়। অনেকেই ঘরোয়া ফেসপ্যাকে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু হলুদ টোনার হিসেবে কখনও ব্যবহার করেছেন কি? এই টোনার কয়েক নিমেষের মধ্যেই ত্বকে আনে ঔজ্জ্বল্য। এমনকি, এর নিয়মিত ব্যবহার বলিরেখার সমস্যাও দূর করে। নিষ্প্রাণ ত্বকের হাল ফেরাতে বাড়িতেই বানাতে পারেন হলুদের টোনার।

    কী ভাবে বানাবেন হলুদের টোনার?

    হলুদের টোনার বানাতে লাগবে কাঁচা হলুদ বাটা, অ্যালো ভেরা গোলাপ জল, লেবুর রস ও জল। প্রথমে এক গ্লাস জল গরম করে নিন। জল ঠান্ডা হলে তাতে দু’টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল, দু’টেবিল চামচ গোলাপ জল, এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। এ বার মিশ্রণটি একটি কাচের স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। প্লাস্টিকের বোতলে এই টোনার রাখবেন না। এ ভাবে বানালে টানা ১৫ দিন হলুদের এই টোনার ব্যবহার করতে পারবেন।

    কী ভাবে ব্যবহার করবেন হলুদের এই টোনার?

    উজ্জ্বল ত্বক পেতে সপ্তাহে ২-৩ বার হলুদের টোনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এই টোনার ব্যবহার করার আগে প্রথমে জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তার পরে হলুদের টোনার মুখে লাগিয়ে মিনিট তিনেক মাসাজ করুন। হয়ে গেলে হাল্কা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সব শেষে মুখে ময়শ্চরাইজার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।

  • লিচু খাওয়ার উপকারিতা

    লিচু খাওয়ার উপকারিতা

    বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। গ্রীষ্মকালীন এই রসালো ফল খুব কম সময়ের জন্য আসে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই প্রিয় একটি ফল। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। নানা রকম অসুখের থেকে আপনাকে দূরে রাখবে লিচু।

    লিচু খাওয়ার আগে আসুন এর উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

    হাড় ভালো রাখে : লিচুতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার। এসব উপাদান হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিচু খেলে কমে হাড়ের ভঙ্গুরতা। সেইসঙ্গে হ্রাস পায় অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনাও। তাই হাড় ভালো রাখতে লিচুর সময়টাতে খেতে পারেন সুমিষ্ট এই ফল।

    কিডনির জন্য উপকারী : কিডনি ভালো রাখতে খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। লিচুতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাসিয়াম থাকার কারণে তা কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায়। যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি।

    ভিটামিন বি সমৃদ্ধ : লিচুতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি, কে, ই এবং বি৬। এতে আছে রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনও। গ্রীষ্মে আপনি নিয়মিত লিচু খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬ এর দশ শতাংশ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন সাহায্য করে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে। সেইসঙ্গে আপনাকে রক্ষা করে প্রদাহজনিত রোগ থেকে।

    ব্যথা দূর করে : শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে কাজ করে লিচু। শুনতে অবাক করা হলেও এটি সত্যি। লিচু একটি কার্যকরী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে কমে প্রদাহ। সেইসঙ্গে এটি টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে সুমিষ্ট ফল লিচু। এর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে বাধা দেয়। তাই গরমের এই সময়ে নিয়মিত লিচু খেলে বাঁচতে পারবেন সর্দি ও সাধারণ ফ্লু থেকে।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে : যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার হতে পারে লিচু। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম। যে কারণে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। আঁশযুক্ত হওয়ার কারণে লিচু খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। নিয়মিত লিচু খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়।

    হার্ট ভালো রাখে : হার্ট ভালো রাখার পক্ষে সহায়ক একটি ফল হলো লিচু। এতে থাকে অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লিচু খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে প্রায় ৫০ শতাংশ।

  • ইফতারে প্রাণ জুড়াবে তিন পানীয়

    ইফতারে প্রাণ জুড়াবে তিন পানীয়

    ইফতারে শরবত না খেলে যেন প্রাণই জুড়ায় না। তাছাড়া সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে পানির পরিমাণটা বেশি রাখা উচিত। এতে নানারকম শারীরিক অসুস্থতা থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু শুধু শুধু পানি কি আর বেশি খাওয়া যায়? তাই রোজায় ক্লান্তি দূর করতে ইফতারে ঝটপট বানিয়ে নিতে পারেন কয়েকটি শরবত। ইফতারে রাখতে পারেন লেবু, শশা ও তরমুজের শরবত। এগুলো তৈরিতে ঝামেলাও কম, খুব অল্প সময়ে ঝটপট বানানো যায়।

    লেবুর শরবত

    উপকরণ: ১টি কাগজি লেবু, স্বাদমতো চিনি, লবণ সামান্য, পরিমাণমতো পানি ও কয়েকটি বরফ কুচি।

    প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে লেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এবার অন্যান্য সকল উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে একটি বাটিতে রাখুন। তারপর কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এখন বরফ টুকরোসহ পরিবেশন করুন শরবত।

    শসার শরবত

    উপকরণ: ২৫০ গ্রাম শসা, আধা টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো এবং পানি পরিমাণমতো।

    প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে শসা ভালো করে ছিলে নিতে হবে। তারপর বিচিগুলো ফেলে শসা টুকরো টুকরো করে নিন। এখন সবগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন।

    তরমুজের শরবত

    উপকরণ: ৪০০ গ্রামের মতো তরমুজ, ২ টেবিল চামচ চিনি, স্বাদমতো লবণ, ২ চা চামচ লেবুর রস ও কয়েক টুকরো বরফ।

    প্রস্তুত প্রণালি: তরমুজ খোসা ছাড়িয়ে বিচি ফেলে শুধু লাল অংশটুকু নিন। ছোট ছোট টুকরো সকল উপকরণ মিশিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন। এখন পরিবেশনের সময় তরমুজের ছোট ছোট টুকরো গ্লাসের ওপরে ছড়িয়ে দিন।

  • দুধ জ্বাল দিতে গিয়ে নষ্ট হলে কি করবেন

    অনেক সময় বাড়িতে সদ্য কিনে আনা দুধ ফোটাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। কখনো আবার বাড়িতে থাকা দু-এক দিনের পুরনো দুধও নষ্ট হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ ফেলে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

    অনেকেই অবশ্য সেই দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে নেন। ছানা দিয়েই বানিয়ে ফেলেন কোফতা কারি কিংবা হরেক রকম মিষ্টি। তবে জানেন কি, এই নষ্ট দুধ গৃহস্থলীর অনেক কাজে লাগে?

    ১. নষ্ট দুধ দিয়ে আপনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চিজ। দুধ ছানা কাটতে শুরু করলে তাতে ভিনিগার মিশিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এর পর দেখবেন পানি আর চিজ আলাদা হয়ে গিয়েছে। চিজ গরম পানি থেকে তুলে নিয়ে লবণ পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন, যাতে ভিনিগারের টক ভাব কেটে যায়। এ বার পানি থেকে তুলে নিয়ে সেলোফিন র‌্যাপে মুড়ে তিন ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মোজ্জারেলা চিজ।

    ২. স্যালাড ড্রেসিং করতেও কাজে আসে নষ্ট দুধ। তবে মাথায় রাখতে হবে প্যাকেটের দুধ দিয়ে তা হবে না

    ৩. এমনকি, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ থেকে তৈরি হতে পারে কেক বা প্যানকেক। দুধ কেটে গেলে ফেলে না দিয়ে জিভে পানি আনা মিষ্টি তৈরি করে ফেলতে পারেন।

    ফাইল ছবি

    ৪. গাছের পরিচর্যাতেও আমরা এই দুধ ব্যবহার করতে পারি। নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ সার হিসেবে খুব ভালো কাজ দেয়। এই দুধ গাছের গোড়ায় দিলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।

    ৫. ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্যও নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ দারুণ উপকারী। এটি ফেসপ্যাকের মতো মুখে লাগিয়ে নিন। তার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের জেল্লা বাড়বে।

    ৬. বাড়িতে বিড়াল থাকলে তাকেও দিতে পারেন এই দুধ। দুধ এমনিতেই বিড়ালদের খুব প্রিয়। আমরা নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ না খেতে পারলেও বিড়ালদের কোনো অসুবিধা হয় না। বরং, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধের গন্ধ ওদের বড়ই প্রিয়। এক বার দিয়েই দেখুন না, পোষ্য বিড়ালটি চেটেপুটে খেয়ে ফেলবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

  • ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে পটল

    ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে পটল

    সাধারণত স্বাস্থ্য গুণে সমৃদ্ধ সবজির কথা বলা হলে পটলের নাম মাথায় আসে না। কিন্তু সাধারণভাবে বাঙালি পটলকে যতই তাচ্ছিল্য করুক, বিজ্ঞান সম্পূর্ণ উল্টো কথাই বলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পটল স্বাস্থ্যকর একটি সবজি।

    ১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
    পটলের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার পাচনতন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে ও মল নির্গমনে সহায়তা করে। ফলে পটল যেমন একদিকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে, তেমনই অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

    ২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
    পটলের বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। ভিটামিন-সি একদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অন্যদিকে জারণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্রিয়া থেকে দেহকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। বিশেষত মৌসুম বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।

    ৩। ওজন নিয়ন্ত্রণে
    পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা পাচিত হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার একশো গ্রাম পটলে মাত্র ২০ ক্যালোরি থাকে। ফলত যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ও বুঝতে পারছেন না কোন খাবার খাওয়া উচিত তাদের জন্য পটল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

    ৪। কোলেস্টেরল কমাতে
    পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্র ভাল থাকে। কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    ৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
    পটল ও পটলের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে, থাকে কপার, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।

  • শরীরচর্চার পর ফল খাবেন কেন

    শরীরচর্চার পর ফল খাবেন কেন


    সুঠাম দেহ পেতে হলে শুধু শরীরচর্চা নয়, আগে-পরেও নানা নিয়ম মেনে চলতে হয়। শরীরচর্চার পর গোসল করতে বলা হয় আবার ব্যায়াম করার পর খেতে বলা হয় অন্তত একটি ফল। অন্য যেকোনো খাবারের চেয়ে ফল এ সময়ে বেশি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জেনে রাখুন শরীরচর্চার পর ফল খাবার উপকারিতা-

    শরীর ঠান্ডা রাখতে : ব্যায়ামের সময়ে শরীর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শরীরচর্চা শেষে প্রথম কাজ হলো নিজেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করা। বিশেষজ্ঞরা এজন্য ব্যায়ামের পর অল্প কিছু খেতে বলেন। খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে শরীরও ঠান্ডা হয়।

    কর্মশক্তি বাড়াতে : শরীরচর্চার কারণে আমাদের শরীরের অনেক ক্যালরি খরচ হয়। এজন্য কর্মশক্তি জোগাতে ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা ব্যায়ামের ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে সামান্য কিছু খেতে বলেন। এক্ষেত্রে ফল অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এতে থাকে নানা ধরনের পুষ্টি।

    গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখতে

    আমাদের শরীরের অন্যতম চালিকাশক্তি আসে গ্লুকোজ থেকে। ঠিকমতো শরীরচর্চা করলে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটা কমে যায়। এজন্য দরকার হয় গ্লুকোজের নতুন উৎসের। ফল গ্লুকোজের অন্যতম উৎস। তাই শরীরচর্চার পর ফল খেতে বলা হয়।

    ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে : ফলে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীরচর্চার পর যে ক্লান্তি আসে, তা কাটাতে সাহায্য করে পুষ্টির এসব উপাদান।