সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র্যালি, পথসভা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। মহান মে দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকালে পারুলিয়া বাসস্টান্ড থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সখিপুর মোড়ে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে সখিপুর আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি আবু তাহের।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। আলোচনা সভায় উপজেলা শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, উপজেলা শ্রমীক লীগের সহ-সভাপতি এশারাত আলী, মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, মহিলা সম্পাদিকা মাছুরা সাথী, কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরাণ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক আসমোতুল্যা আসমান, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রাজিব হোসেন জজ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদসহ বিভিন্ন পর্যয়ের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
ত্রি-হুইলার সমিতি, দেবহাটা:
দেবহাটায় বন্ধু কল্যাণ ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির উদ্যোগে মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার বনবিবি বটতলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিন্দ্রা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান। সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, জেলা ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির সহ-সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন খোকন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, উপজেলা ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার প্রমুখ।
Category: রাজনীতি
-
দেবহাটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত
-

সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। -
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) : একাদশ সংসদ নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি !
আ’লীগ-শরিকদের ১৩ জন,বিএনপি-জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আগামী একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে লবিংসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক,সভা সমাবেশ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে প্যানা সেটে জানান দিচ্ছে নিজেদের অস্তিত্বের কথা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান স্ট্যান্ড পর্যন্ত সবখানে আলোচনার মূল বিষয় আগামী জাতীয় নির্বাচন। প্রার্থীদের তৎপরতার পাশাপাশি ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীতা নিয়ে। কারা হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে। এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে থাকলেও সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও জোটের শরীকদের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ গরম রেখেছেন।
তবে এক্ষেত্রে আ’লীগ ও তার সমমনা দলগুলো এগিয়ে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের কর্মকান্ড বিশেষভাবে চোখে পড়ছেনা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে দলীয়-কর্মকান্ড দৃশ্যমান না হলেও বিএনপির একক প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। নেতা-কর্মীরা তাকেই দলীয় প্রার্থী দেখতে চান।
এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হলেও মূলত ভোটারদের মধ্যে নানা বিষয় কাজ করছে। কারা প্রার্থী হচ্ছেন এবং কাদের ভোট দিলে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। মহাজোট চাইছে আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে আর ২০ দলীয় জোট চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধারে। এক্ষেত্রে আ’লীগের জন্য আবারো থাকছে শরীক দল ওয়ার্কাস পার্টি। মহাজোটের পক্ষে আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত হলেও বড় সমস্যা তাদের প্রার্থীতা নিয়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি আসনটিতে আ’লীগের ভাল অবস্থান থাকলেও মোর্চার কারণে গতবার তারা শরীকদের ছাড় দিলেও এবার তারা চাইছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থী নিয়ে।
সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচিত হলেও এবার আ’লীগ আর আসনটি তাদের ছাড় দিতে চাইছেননা। পক্ষান্তরে ওয়ার্কার্স পার্টি ফের জোটগত আসনটি ধরে রাখতে চায়।
এর আগে ৯ম সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চারদলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। আ’লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদের নিজ ঘরানার প্রার্থীতা। কেননা,সর্বশেষ রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতার মধ্যে আ’লীগ মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান ভাল এবং দেশ এখন উন্নয়নের সোপানে আরোহন করছে। এমন নানা দৃষ্টিকোন থেকে ঘুরে-ফিরে ভোটারদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী। বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ? আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী না কি অপর শরীক জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত নাকি অন্য কেউ?।
সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া দুটি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫ (সাতক্ষীরা-১) আসনটি। সর্বশেষ তালিকানুযায়ী এখানকার ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। আসনটিতে স্বাধীনতা পরবর্তী জামায়াতের অ্যাডভোকেট শেখ আনছার আলী ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত একবার করে ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব দু’বার,ওয়ার্কাস পার্টি একবার ও বাকি সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত ঐ সমীকরণ ও নানা কারণে সাতক্ষীরার এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শরিক দল ওয়ার্কার্স পাটির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে প্রার্থীতা দিলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ঐ নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিবের সঙ্গে।
এর আগে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। জোট প্রথা শুরুর পর আসনটিতে বিএনপিকে জামায়াতের ওপর ভর করে আর ওয়ার্কার্স পার্টিকে আ’লীগের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় মূলত জোট নির্ভর হয়ে পড়ে আসনটি। তবে আসন্ন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলা জটিলতায় অথবা যেকোনো কারণে প্রার্থী হতে না পারলে আর বিএনপির মিত্র জামায়াত তাদের জোটবদ্ধ থাকলে এ আসন থেকে তাদের প্রার্থী হতে পারেন,জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। এদিকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হৃত আসনটি পুনরুদ্ধারে গত চার বছরে দৃশ্যত দলীয় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতায় তাদের শ’ শ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মামলায় জড়িয়ে জেল-হাজতবাসসহ আত্মগোপন কিংবা মামলা এড়াতে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিরব রয়েছেন তারা।
অন্যদিকে পাওয়া না পাওয়া থেকে শুরু করে নানা সংকটে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে আ’লীগও ভাল নেই। তালা উপজেলা আ’লীগের রয়েছেন পরষ্পর দু’গুরুপে। উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র দূরত্ব সেই প্রথম থেকে।
আসনের অপর উপজেলা কলারোয়ার চিত্রও অনুরুপ। সেখানকার আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর চরম দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে আ’লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র সাথে আ’লীগের দুরত্ব আসন্ন নির্বাচনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল নিরসন না হলে এ আসনটিতে একদিকে আ’লীগের জন্য পরাজয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে,তেমনি শরিক দলের প্রভাবে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন আ’লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কিংবা জাতীয় পাটির প্রার্থীদের।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানাযায়,আসন্ন নির্বাচনে আসনটি থেকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং ও তৃণমূলের প্রচারণায় রয়েছেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান,জেলা আ’লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র,তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন,সুপ্রীম কোর্টের আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,স,ম আলাউদ্দীন মেয়ে জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি লাইলা পারভিন সেজুতি। শরীক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ,জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু,জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান ও জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশীষ দাস।
অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে যাদের নাম প্রচার পাচ্ছে তারা হলেন,কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জানান,২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত আ’লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ যে তান্ডব চালিয়েছিল সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। গত ৫ বছরে তার নির্বাচনী এলাকায় গত যেকোন সময়ের তুলনায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,দেশনেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
দলীয় অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম বলেন,আসনটি মহাজোটের দখলে আসলেও বর্তমান ওয়ার্কার্স পার্টির এমপির কাছে উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যথেষ্টে ঘাটতি রয়েছে। তাই এবার আর শরিক নয়,আ’লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এমন প্রত্যাশা এ মনোনয়ন প্রত্যাশীর।
এদিকে আ’লীগের নতুন মুখ হিসেবে মাঠে কাজ করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্ম-কান্ডকে তুলে ধরে তার ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা তালা-কলারোয়াসহ পুরো জেলা। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড এক কথায় তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নৌকার পক্ষে কাজ করেযাচ্ছি। -

সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। -

বৈষম্যে, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে জাসদ সকল সময় আপোষহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যডভোকেট রবিউল আলম বলেন, ‘শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা দল জাসদ সবসময় বৈষম্য, ঘুষ ও দলবাজীর বিরুদ্ধে। সুনিদৃষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে জননেতা হাসানুল হক ইনুর পরিকল্পনায় গড়ে ওঠে ১৪দলীয় ঐক্যজোট।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সুচতুরভাবে মিথ্যাকে সত্য প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। বিএনপির আমলে দেড় কোটি ভূয়া ভোটার করা হয়। জঙ্গীর সঙ্গী ও জঙ্গী উৎপাদনকারী বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য আক্রমণ করা হয়।’
জাসদ নেতা রবিউল আরো বলেন, ‘প্রচলিত সমাজব্যাবস্থায় মানুষের মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকা সম্ভব নয়। এখানে মানুষের শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। এ সমাজে নারীর মর্যাদা দেওয়া হয়না। এখানে বৈষম্য আকাশচুম্বী। দেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হলেও নিন্ম আয়ের মানুষেরা রয়েছে চরম বৈষম্যের মধ্যে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে এ অবস্থা সংগতিপূর্ণ নয়। তাই জাসদ এ সমাজব্যাবস্থাকে পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াই করছে।’
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের জাসদ মনোনীত প্রার্থী ওবায়দুস সুলতান বাবলুকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলারোয় উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি, জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজু, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি অনুপ কুমার অনুপ ও তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। সমাবেশের পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি কলারোয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে সভার প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট রবিউল আলম ও বিশেষ অতিথি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। -

কলারোয়া জাসদের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৩ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কলারোয়া উপজেলার সম্মেলন ও কাউন্সিল কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি এড. রবিউল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলি,জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহী, জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিনা,তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, জাতীয় যুবজোট সাতক্ষীরা জেলার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তালা উপজেলার সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। জঙ্গীবাদ-ধর্মীয় উগ্রবাদকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত রাখা, দুর্নীতি-বৈষম্যের অবসান করা, সুশাসন-অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কাউন্সিলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কলারোয়া উপজেলা কমিটি গঠিত হয়।
-
কালিগঞ্জ উপজেলা অখ- রাখার পক্ষে ইসির শুনানীতে মতামত তুলে ধরতে ঢাকা যাচ্ছেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ৫০সদস্যের প্রতিনিধি দল
কালিগঞ্জ সংবাদদাতা: নির্বাচনী এলাকা ১০৮, সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনে অখ-িত রাখার বিষয়ে নির্বাচন অফিস ঢাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন কর্তৃক শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ায় কালিগঞ্জে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সভায় সাতক্ষীরা ৪ নির্বাচনী এলাকার কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ-িত রাখার বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুধি ব্যাক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিগঞ্জ উপজেলা সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামান। সভায় কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নকে সংসদীয় আসনে অখন্ডিত রাখার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খান আছাদুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পাটির সভাপতি শেখ মাহবুবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কুশলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র শেখ মেহেদী হাসান সুমন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ সোহরোওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফা কবিরুজ্জামান মন্টু, মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ, কুশলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কাউফিল উরা সজল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জি, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিরাঞ্জন কুমার পাল বাচ্চু, অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়জ কওছার তুহিন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুর নাহার জেবু, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, উপজেলা যুব মহিলা যুবলীগের সভাপতি ফতেমা ইসলাম রিক্তা, কালিগঞ্জ উপজেলা মেম্বর এ্যাসোশিয়নের সভাপতি ও তারালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামসুজ্জামান, মেম্বর আব্দুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগ, সাবেক সভাপতি গৌতম কুমার লস্কর, জাতীয় শ্রমিকলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খোদেজা খাতুন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি তৈহিদুর রহমান প্রমুখ। সভায় সাতক্ষীরা ৪ সংসদীয় আসনের সীমানা ইসি কর্তৃক পূণঃনির্ধারন করায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে ইসির সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে ১৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কতৃক সীমানা পূণঃনির্ধানের বিষয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ইসির শুনানীতে কালিগঞ্জ থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদ্জ্জুামানের নেতৃত্বে ঢাকায় যাবেন। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের শুনানীতে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের ইসির কতৃক পূণঃনির্ধারিত সীমানা বলবৎ রাখার যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় আইনজীবী নিয়োগ দেবেন।
সভায় বলা হয়, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ভাগ হয়ে সাতক্ষীর ৪ ও সাতক্ষীরা ৩ আসনে বিভাক্ত করে নির্বাচনী এলাকা বিগত দু’নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনোত্তর এলাকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষেও স্বাভাভিকভাবে কার্যক্রম করা বেশ দূরহ হয়ে উঠে। এহেন বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বিজ্ঞতার সাথে প্রশাসনিক এলাকা বিভক্ত না রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছেন সেজন্য সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সকল নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। -

যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): যথাগোগ্য মর্যাদা জেলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলাব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদের সমন্বয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
জেলায় ঐতিহাসিক মুুজিবনগর দিবস পালনের প্রধান কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপত্বিতে আলোচনা সভায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ^াস সুদেব কুমার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষক মিসেস মোনয়ারা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান মিল্টন, জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. জাকির হোসেন।
সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ:
ঐতিহাসিক মুজিনগর দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন, আর এসি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর মুহাম্মদ ফেরদৌস আরেফীন, ইংরেজি’র ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল’র ইন্সট্রাক্টর ধর্মদাস সরকার, রেডিও এন্ড টিভি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর রঞ্জন কুমার সরকার, পদার্থের ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা বাকী বিল্লাহ, আর এসি’র ইন্সট্রাক্টর শেখ আব্দুল আলম, রসায়নের ইন্সট্রাক্টর শংকর প্রসাদ দত্ত, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর(কম্পিউটার) মাসুদ রানা, জুনিয়ার ইন্সট্রাক্টর (ফার্ম মেশিনারী) অজিহার রহমান, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক বিষ্ণ চন্দ্র পাল এবং ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর(সপ)’র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ভাষা শিক্ষক(বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান) শরিফুল ইসলাম।
পলাশপোল স্কুল:
পলাশপোল স্কুলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে মাওঃ আনারুল হাসান, সুদর্শন ব্যানার্জী, মঙ্গল কুমার পাল, জাহাঙ্গীর আলম, ইসরাইল আলম, রোকেয়া খাতুন, রেহেনা খাতুন, কানিজ ফাতেমা, রাজিয়া খাতুন, সাবিনা খাতুনসহ অত্র স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষীকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা এদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। পারতাম না স্বাধীনভাবে চলাচল ও চাকুরি করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা:
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র উদ্যোগে ঐতিহাসিক ১৭এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা‘র অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ইংরেজি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, আহছানিয়া মাল্টি কমপ্লেক্স এর ত্বাবধায়ক আবু সোয়েব এ্যাবেল, সদস্য কাজি আমিরুল হক আহাদ প্রমুখ। এসময় বাংলা প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক বৃন্দ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া
গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসা:
গোবরদাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার হলরুমে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, মাও. আব্দুর রহমান, মাস্টার আবুল হোসেন, মাও. কামরুল ইসলাম, শিক্ষক আদিত্য ঘোষ, শিরিনা খাতুন, তানজিলা খাতুন, নজরুল ইসলাম গউসুল আযম প্রমুখ।
জেলা কৃষকলীগ:
সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কাটিয়া বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড. নওশের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স.ম তাজমিনুর রহমান টুটুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কৃষকলীগের আব্দুল খালেক মাস্টার, লাবসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক রবিন মল্লিক, আগরদাড়ি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ঢালী, ঘোনা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম।
জেলা ছাত্রলীগ:
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে এ মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এড. সাইদুজ্জামান জিকো, সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান শিমুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউর রহমান মুকুল সহ জেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ:
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে মুজিবনগর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কামালনগরস্থ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সাংগঠনিক আমিনুর ইসলাম সেলিম,সমাজকল্যাণ সম্পাদক আঃ আলিম, কুটির শিল্প সম্পাদক মোচ্ছাক সরদার, পৌর শাখার সভাপতি আঃ আলিম, সহ- সভাপতি আঃ বারী, আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি নুরলআমিন, ৬নং পৌর আবুল হোসেন, ৪নং পৌর সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন বাবু, ফিংড়ি আহবায়ক আহছান হাবিব, সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা সদস্য আজিজুল, সদর শাখা মনিরুল ইসলাম মনি, পৌর সাংগঠনিক মিজান, পৌর ওয়ার্ড শাখার ফরমান সরদার,শহিদুল, জাকির হোসেন পল্টু, মোসা গাঈন, তাজিম, মাজেদ, শহিদুল, আগরদাড়ী আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব হেলাল, জাহিদ, রহমত, কালু,ইউপি সদস্য আঃ গফুর সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। আলোচনার শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরত কামনা করা হয়।
তালা:
সাতক্ষীরার তালায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা থানার (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় মুজিবনগর দিবসের ওপর একটি বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেবহাটা:
দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জসিম উদ্দীন, উপজেলার সখিপুর সাব রেজিস্টার পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জী, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা লোকমান হোসেন প্রমুখ। বক্তারা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপজেলার কেবিএ কলেজে দিবসটি পালন করা হয়। কলেজে র্যালি শেষে অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং প্রভাষক আবু তালেবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আকবর আলী, সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শেষে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
আশাশুনি:
আশাশুনিতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসাবে চিত্র প্রদর্শনী শেষে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দবিস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ বিভিন্œ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কালিগঞ্জ:
কালিগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুম, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুস সেলিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মেদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর নগর দিবসের উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বৈদ্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসা:
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মাদ্রাসার হল রুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান সাহেবের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন আরবী প্রভাষক শহিদুল্যাহ, ইংরেজি প্রভাষক মোঃ জুবাইর ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আঃ জব্বার । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলা প্রভাষক মোঃ নুরুল আমিন।
শ্যামনগর:
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। দুপুর ২টায় শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এর আয়োজনে কলেজের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জি,এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক সুশান্ত কুমার বাবু লাল, নুরুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। সভায় কলেজের সকল প্রভাষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকাল ৪টায় উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকার, শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবি রঞ্জন মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি জি,এম আকবর কবির, উপদেষ্টা আফজালুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া, মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর, নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৫টায় শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শোকর আলী, রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন, প্রভাষক সাঈদুজ্জামান সাঈদ, স ম আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, সুশান্ত কুমার বাবু লাল, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান টুটুল, ছাত্রনেতা আল-মামুন লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন হয়েছে বলে জানা গেছে। -

বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বরাদ্দের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার গণকবর, বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার পূর্বক সংরক্ষণ ও সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন খড়িবিলা বিল আবাদানীর ১০০ একর খাস জমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা’র নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, নিত্যানন্দ সরকার, চারুশিল্পী এম এ জলিল, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ’র সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, এড. মুনির উদ্দিন, রওনক বাসার, লোকী ইকবাল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল খুলনা, বাগেরহাট, ৯৬ গ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৬০০-৭০০ নির্যাতিত মানুষ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্তমানে ওই স্থানে বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। দীনেশ কর্মকার তার পৈত্রিক জমি বিক্রি করে ভারতে চলে গেছেন। এই পুকুর ও ডোবার অংশটুকু চলে গেছে জনৈক ব্যক্তির দখলে। বর্তমানে সেখানে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে হত্যা করে নিচে ফেলে দিত। এ অংশটুকু এখন এক প্রভাবশালীর দখলে চলে গেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় বৃহৎ গণকবর হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও এখন এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে। পরে তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় ও রূপালী ব্যাংকের পেছনে গণকবর দেয়া হয়। এসব গণকবরগুলোরও কোনো চিহ্ন নেই। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে।
গত ৯ বছর ধরে মহাজোট সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এখানকার গণকবর এবং বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণে কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। নতুন প্রজন্মসহ অনেকে জানেনা মুক্তিযুদ্ধের ওই ইতিহাসের কথা। এসকল গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারিভাবে আজও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে ইতিহাস গাঁথা ওই সব গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চলে গেছে বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে। সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমির বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো। আর বধ্যভূমির বিষয়গুলো যেন নতুন প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের পলাশপোল মৌজার খড়িবিলা বিল আবাদানির ১০০ একর সরকারি খাস সম্পত্তি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত খাস জমি সাতক্ষীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে অনেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ এখনো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য সুদুর রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রামে যেতে হয়। যা এ অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও কষ্টসাধ্য। তাই সাতক্ষীরায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ। -

কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়-তথ্যমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।
এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।
ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।
তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।
এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।
ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।
তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।
এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।
ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।
তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।
এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।
ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।
তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।
এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।
ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।
তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।
-

যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে
ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিং করছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি- পিআইডি)সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাকে ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। তরুণ প্রজন্মের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সবসময় আন্তরিক— সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তাও আন্দোলনকারীদের সমঝোতায় যেতে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া, রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার পর সারারাত ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতেই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টার পর।
সচিবালয় থেকে ফেরার পর বক্তব্য রাখছে প্রতিনিধি দল, তাদের বক্তব্য মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরাআন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই মূলত সমঝোতাকে ত্বরান্বিত করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সরকারের সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ ব্ঠৈক করেন। পরে তিনি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। আন্দোলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরপরই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে আন্দোলনকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন, তারাই দেশের নতুন প্রজন্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় এই নতুন প্রজন্মের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতিও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।
এদিকে, রবিবার রাতে আন্দোলনকারীরা যখন পুলিশের উপর্যপরি টিয়ারশেলের মুখে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছত্রভঙ্গ, সেই সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। নানক জানান, ওবায়দুল কাদেরকে এই বৈঠকের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়গুলো আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। পাশাপাশি রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে মুখোশধারীদের হামলা খানিকটা ভীতিও ছড়িয়েছে। এই বিষয়গুলো সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজন।
রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড আন্দোলনকারীদেরসোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্দোলনের ফলে রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের রাজপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রোগীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যাওয়া-আসায় সমস্যা হচ্ছে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন সব হয়রানির মধ্যে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে আন্দোলনকারীদের আত্মীয়রাও থাকতে পারেন। মন্ত্রী এভাবে বিষয়গুলো বোঝালে তা আন্দোলনকারীদের মনে দাগ কেটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তার প্রতি আমাদের এই বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি।’
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকা একজন নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন করা তো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের দাবি আদায় হওয়াটাই মূল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তার দলের সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি, আমাদের দাবি পূরণ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে বলেই আমরা সমঝোতায় এসেছি।’
যদিও, সমঝোতার এই সিদ্ধান্ত ঢাবি টিএসসিতে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা মেনে নিতে রাজি হননি। বৈঠক থেকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা সমঝোতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরলেও ঢাবি টিএসসিতে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা ছাড়েন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সকালে ফের ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ মার্চ কোটা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি নিয়োগে কোটায় কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর ব্যখ্যা দিয়ে ৫ এপ্রিল আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র ঘিরেই দানা বাঁধে আন্দোলন, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।
ফাঁকা টিএসসি, রাত সাড়ে ৯টার চিত্র (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)৫ এপ্রিলের পরিপত্রে বলা হয়— প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী কোনও জেলায় বিতরণ করা পদের সংখ্যার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজ নিজ বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনও কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করিতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও কোনও বিশেষ কোটার পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
পরিপত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়— এসব নিয়োগে কোনও বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে তা জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
এই পরিপত্রের সরকারি নিয়োগে কোটার বিধি নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। পরে তা থেকেই শুরু হয় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ। -

মনে হয়েছে খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন: বিএসএমএমইউ পরিচালক
ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাড়ের বিভিন্ন অংশে এক্স-রে করা হয়েছে। আগামীকাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে তিনি ভালো আছেন।
শনিবার দুপুরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ওই হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আসার পর তাকে কেবিনে রাখা হয়। তারপর তিনি হেঁটেই এক্স-রে রুমে আসেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত চারজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হাড়ের বিভিন্ন অংশে এক্স-রে করা হয়েছে। তারা হলেন- ডা. মামুন, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও ডা. শুভ।
আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জন্য যে চার সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকালই এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা এই রিপোর্ট কারা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেব। তারা আবার মেডিকেল বোর্ডকে পাঠাবে। তবে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে তিনি সুস্থ আছেন।
পরিচালক বলেন, আমরা হুইল চেয়ার প্রস্তুত রেখেছিলাম। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন, আমি হেঁটে যেতে পারবো, হুইল চেয়ারের প্রয়োজন নেই।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। এরপর তাকে কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়।
সেখান থেকে কেবিন ব্লকের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার রক্ত নেয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে একটার দিকে তাকে শারীরিক পরীক্ষা করতে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে নেয়া হয়। এখানে এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল এবং জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট আপিল করেছেন।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, খালেদা জিয়া নির্জন কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এজন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অনুমতিও চেয়েছেন তারা। কিন্তু, এখনঅব্দি সে অনুমতি মেলেনি।
এরই মধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
এই মেডিকেল বোর্ড গত সপ্তাহে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে এসে জানিয়েছিল, তার অসুস্থতা গুরুতর নয়।
কিন্তু, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নয়। তার আর্থরাইটিসের সমস্যা বেশ বেড়ে গেছে। হাঁটতেও কষ্ট হয়। যেটাকে কিছুটা স্নায়ুবিক সমস্যা বলা হয়, সেটাও দেখা দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই তিনি কিছুটা স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছেন।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কারাগারে যাওয়ার অনুমতিও দাবি করেন।
-

‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দলের অনাস্থা নেই’
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন করবো, এই দৃঢ়তা আমাদের আছে। আশাকরি সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের প্রতি দলগুলোর কোনো অনাস্থা নেই। দলগুলোর রাজনৈতিক বিষয়ে অনাস্থা রয়েছে।
আজ শনিবার পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবো। তারপর যদি জাতীয় নির্বাচনে আস্থা অর্জন হয়, তবে সেখানেও ব্যবহার করবো।
পিআইবি’র এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংস্থার মহাসচিব মো. শাহ আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন।
-

সিটি নির্বাচনে অপবাদ নিতে চায় না আ. লীগ
ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার চেয়ে অপবাদমুক্ত থাকার ওপর জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ফলে সিটি নির্বাচনে যেনতেন বিজয় ঘরে তুলতে চান না ক্ষমতাসীনরা। স্থানীয় এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চান দলটির নীতি-নির্ধারকরা। তাই জয়-পরাজয়ের কথা না ভেবে অপবাদ যাতে ঘাড়ে এসে না পড়ে, তা-ই সুনিশ্চিত করতে চান তারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো এমনই আভাস দিয়েছে।
সূত্রগুলো বলছে, অপবাদমুক্ত থাকতে চায় বলেই দুই সিটিতে ‘উইনিং’ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এ ধরনের প্রার্থীই খুঁজে বের করা হবে। আগামী রবিবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড তেমন প্রার্থী খুঁজে বের করবে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। ওইদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেওয়া হবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আমরা হেরেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেখানে আমরা বিজয়ী হয়েছি।’ ওই নেতা বলেন, ‘এতে করে আমাদের যেমন সমস্যা হয়নি, সরকারকেও বেকায়দায় পড়তে হয়নি। এই দুটি সিটি নির্বাচনেও আমাদের অবস্থান এবং কৌশল থাকবে একই রকম।’
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য বলেন, ‘দুই সিটিতে নির্বাচনের কৌশল হবে জিতে হারা নয়, হেরে গিয়ে যদি জেতা যায় আমরা সেই চেষ্টাই করবো। কোনও অপবাদ নিয়ে জিতবো না! অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। এর মধ্য দিয়ে জিতে আসতে যা যা করণীয় আওয়ামী লীগ তা করবে। তবে অপবাদ নিয়ে জয় নয়।’
সম্পাদকমণ্ডলীর আরেক নেতা দাবি করেন, খুলনা সিটিতে সরকার যে উন্নয়ন সাধন করেছে, তাতে খুলনায় নৌকা জিতবে বলে মনে করছি। আর গাজীপুর নৌকার ঘাঁটি, সেখানে নৌকার বিজয় কঠিন কিছু হবে না।
ওই নেতা বলেন, ‘ভোটারদের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হলে নৌকা ঠেকানো যাবে না এ দুই সিটিতে।’
নৌকার ঘাঁটি বলা হলেও গতবার গাজীপুরে কেন নৌকা পরাজিত হলো জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন, ‘গতবার সিটি হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পায় গাজীপুর। সবকিছু ভালো করে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া হেফাজতে ইসলাম নির্বাচনের আগে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করে, তাতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নামে তারা, যা ওই নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। এর বাইরে বিএনপি ওই নির্বাচনে অনেক টাকা ছড়িয়েছে। ওই তুলনায় আমরা পরিকল্পিত ছিলাম না। গতবার গাজীপুর নির্বাচনে আওয়াজের ওপর ছিলাম কেবল। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের এসব নেতা এবার নৌকার প্রার্থী জেতার বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তরুণ ভোটারদের; তারা ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এই তরুণ ভোটাররা সন্তুষ্ট বলে তাদের মত। ফলে তরুণরা এবার নৌকার প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখবে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হয়তো অনুপস্থিত থাকবেন। কারণ, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পেয়ে তিনি কারাগারে আছেন। তার মুক্তির বিষয়টিও অনিশ্চিত। ফলে খালেদাবিহীন নির্বাচন ও প্রস্তুতি বিএনপির জন্য একটি বড় জটিলতা তৈরি করবে। বিএনপিতে সেই মানের নেতার সংকট রয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন। তাই খালেদার এই অনুপস্থিতি দুই সিটির ভোটের আগে বিএনপির জন্য ‘মাইনাস’ পয়েন্ট, আর এটাই হলো আওয়ামী লীগের জন্য ‘প্লাস’ পয়েন্ট।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। জয়-পরাজয়কে সরকার যেমন প্রাধান্য দিচ্ছে না, তেমনি আওয়ামী লীগও প্রাধান্য দিচ্ছে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দুই সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ চায় অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। আমরা মানসম্পন্ন নির্বাচন নিশ্চিত করে বিজয়ী হতে চাই।’ -

বিএনপির ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল: সেতুমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘বিএনপির ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বন্দুকের নল-আওয়ামী লীগের নয়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস দেশ, মাটি ও দেশের জনগণ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ফেনী সদরের ফতেহপুরে নির্মাণাধীন রেলওয়ে ওভারপাস পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের তা দরকার হয়নি। তারা সামরিক শাসনে থাকার সময় দল গঠন করে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন।’ খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢুকিয়েছেন আদালত, আবার আদালতই তাঁকে মুক্তি দিতে পারেন। এখানে সরকারের কিছু বলার নেই।’
নির্মানাধীন ওভারপাসের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ মে’র মধ্যে এর অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার উক্য সিং, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বিকম, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুরে রেলওয়ে ওভারপাসটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সহায়তায় আল আমিন কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৬০ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে।
-

‘খালেদা জিয়ার অবস্থা বেশি ভালো নয়’
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশি ভালো নয় বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিএনপিপ্রধানের মনোবল শক্ত রয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার ব্যক্তিগত চিকিৎসককে দিয়ে করানোর দাবি জানিয়েছেন মহাসচিব।
শুক্রবার বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে এসব কথা জানান ফখরুল। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে একাই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে রওনা হয়েও পরে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে সাক্ষাৎ স্থগিত করেন ফখরুল।
তারও আগে গত ৭ মার্চ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এম বি এম আবদুস সাত্তার।
এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভীক এস্কান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়াও লন্ডন থেকে এসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত কোকোর স্ত্রী ও মেয়ে।
এর বাইরে আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলীও দেখা করেছেন বিএনপিপ্রধানের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
-

সাতক্ষীরা-৩ আসনে ভোটের চ্যালেঞ্জে তিন হেভিওয়েট প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন ঘেঁষা সাতক্ষীরা-৩ আসনে অন্যান্য দলে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রার্থী নেই, তবে আওয়ামী লীগে দুজন ও বিএনপিতে একজন হেভিওয়েট প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হক এমপি, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এনাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (কার্ডিওলোজি) ডা. শহিদুল আলম। এই হেভিওয়েট তিন প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামীলীগে বেশ কয়েকজন নতুন মুখের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে মাঠে তাদের অবস্থান নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৩ আসনে (সম্প্রতি আশাশুনি-দেবাহাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত) বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। এখনই জোরালোভাবে মাঠে না নামলেও নানাভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই আসনের হেভিওয়েট নেতারা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির টিকিটে সম্ভব্য মনোনায়ন প্রত্যাশী কারা, প্রধানত তাদের নিয়েই মাঠপর্যায়ে চলছে জোর আলোচনা। নির্বাচন আরো ঘনিয়ে এলে বেড়ে যাবে এসব নেতার ব্যস্ততা ও প্রচার-প্রচারণা।
জানা যায়, বারবার ভেঙ্গেছে আসনটি। সর্বশেষ ২০০৮ এর নির্বাচনে নতুন সীমানা নির্ধারণ অনুযায়ী আসনটি পুন:গঠিত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে আশাশুনি উপজেলা ১১ টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার ৫ টি এবং কালিগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন। তিন উপজেলার মোট ২০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হলেও (বর্তমানে আশাশুনি-দেবহাটা নিয়ে পুন:গঠিত) সাতক্ষীরা ৩ আসন। এর আগে কেবলমাত্র আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল সাতক্ষীরা-৩। এ আসনে পর পর দুই বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত শৈল্য চিকিৎসক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক।
তিনি ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ৫ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে তার প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়েছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ। বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তিনি তাঁর অর্জত সুনাম ধরে রাখতে পারছেন না বলে মনে করেন এলকার অনেকেই। গত ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পুন:রায় এমপি নির্বাচিত হলেও মন্ত্রীত্ব পাননি। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও ইউসুফ আব্দুল্লাহ’র নাম প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদেরা আস্থা অর্জনের পাশাপাশি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও তার অবস্থান অনেকটা শক্ত।
এদিকে ডা. শহিদুল আলম বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ব্যাপক চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাধারণের মনোযোগ কেড়েছেন। এ কারণে সাতক্ষীরা-৩ আসনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী। তিনি বলেন, বিভিন্ন হয়রানির কারণে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না। গত ঈদের সময় তার ঈদের শুভেচ্ছা পোস্টার পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়েই তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরাবাসী তার চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়নি, সামর্থ্য অনুযায়ী সেবা দেওয়ায় তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। দল মনে করে, ওই আসনে তার কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে অবশ্যই তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। নানান সংকটের মধ্য দিয়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এমপি হতে পারলে নদী ভাঙন রোধ, কমিউনিটি ক্লিনিকে ছোট অপারেশনের ব্যবস্থা করা, ভোমরা স্থল বন্দরের আধুনিকায়ন ও সুন্দরবন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চর স্থাপন, উপজেলার সাব-সেন্টারগুলোকে পূণাঙ্গ হাসপাতালে রুপান্তর করা, বেড়িবাঁধ সংস্কার, সুন্দরবন পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ, ঢাকা থেকে সরাসরি সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেলযোগাযোগ স্থাপন, ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প স্থাপন, মেরিন ফরেস্ট এন্ড রিসার্স ইউনিভার্সিটি, আবাসিক সাতক্ষীরা বিশ^বিদ্যালয়সহ অবহেলিত আসনে জনগণের সঙ্গে থেকে উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণমূলক কাজ করবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগে হেভিওয়েট দুজনের বাইরে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক এমপি ডা. মোখলেছুর রহমান।
নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে স্থানীয় নেতারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে দলকে পুনর্বিন্যাস, বিগত দিনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান এবং আন্তরিক হওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডা. রুহুল হক এমপি, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য খুলনার উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এনাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (কার্ডিওলোজি) ডা. শহিদুল আলম ও জনসংযোগ ও কর্মিসভা করছেন।
অপরদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলেন, বর্তমান এমপি ডা. রুহুল হক সাতক্ষীরায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখন তার অনেক বয়স হয়েছে। সেজন্য নতুন প্রার্থী হিসাবে দেবাহাটা ও আশাশুনি অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ইউসুফ আব্দুল্লাহ’র আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে সাতক্ষীরা-০৩ নিবাচর্নী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত। তাই দেবাহাটা ও আশাশুনি অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ ইউসুফ আব্দুল্লাহকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-০৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন।তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আরও বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু রিজার্ভ ভোট রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচনে দল সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে আসনটি হাতছাড়া হওয়ারও আশঙ্কা করছেন তারা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এনাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (কার্ডিওলোজি) ডা. শহিদুল আলম। তিনি দেড় যুগ ধরে আশাশুনি-দেবাহাটা-কালিগঞ্জ নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এদিকে বর্তমান এমপি ব্যস্ত থাকায় তিনি ঘন ঘন এলাকায় গণসংযোগ করতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য আমরা আবেদন করব। কিন্তু নেত্রী (শেখ হাসিনা) যা বলবেন তার ওপর আমাদের কোনো কথা নেই। নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য নির্বাচনে কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক বলেন, আমি পর পর দুই বার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর চারদলীয় সরকারের চেয়ে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে দেশের জন্য এমডিজি পুরস্কারসহ বেশ কিছু ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার বয়ে এনেছি। দেশের স্বাস্থ্য সেবা সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো সক্রিয় করেছি। আজ মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। দলের হাইকমান্ড দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমার ইতিবাচক এসব কর্মকান্ডই বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেন জনগণই আমাকে নির্বাচিত করবেন। তিনি আরও বলেন, নতুন কাউকে মনোনয়ন দিলে নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি। তবে সাবেক এমপি ডা. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দলের জন্য এখনও কাজ করে যাচ্ছি। দল মনে করলে নির্বাচনে অংশ নেব। নৌকার বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখব।’
ড. আবু ইউসুফ মো: আব্দুল্ল¬াহ বলেন, সাতক্ষীরার মাটিতেই তার জম্ম। লেখাপড়ার কারণে সাতক্ষীরার বাইরেও থাকতে হয়েছে। এখন সুযোগ হয়েছে এলাকার ফিরে মানুষের জন্য কিছু করার। এলাকার মানুষের পাশে থেকে তরুণ প্রজন্ম, গ্রাম্য-অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষাকে গ্রামমূখী করা, শিক্ষার ডিজিটাইলেশন করা এবং সততা ও পরিশ্রমের ভিতরেই নতুন প্রজন্মকে উদ্ভাসিত করা, উদ্বেলিত করা ও অনুপ্রাণিত করা জরুরী বলেও মনে করেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড মনে করলে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। মনোনয়ন পেলে আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো। এছাড়াও জনকল্যাণসহ সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন তিনি।
-

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
শহর প্রতিনিধি: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় হামলাকারীদের শাস্তি ও বহিষ্কারেরর দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা যুবলীগের একটি অংশ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম নান্টু, জেলা যুবলীগ সদস্য মাহি আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান আটক হলেও তার বাহিনীর সদস্যরা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।’ অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। একই সাথে সংগঠন থেকে মান্নানসহ জড়িতদের বহিস্কার দাবি করেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
বক্তারা আরো বলেন, ‘মান্নান বাহিনীর সদস্যরা এখনও নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তারা আবারও শহরে হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
মান্নানকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, মান্নানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ শহরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন শহীদ আলাউদ্দীন চত্বরে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হন। পরে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নানকে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে।