সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের অদূরে আমতলাস্থ নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনটির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাতক্ষীরার পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি, কলারোয়ার পৌর মেয়র আক্তারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, মৃনাল কান্তি রায়, শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু প্রমুখ। এসময় সেখানে বিভিন্ন অঙ্গ সংগনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা এ সময় এ সময় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশ্বর্ত মুক্তির দাবী জানান। এছাড়া আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারীর মধ্যে সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
Category: রাজনীতি
-

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত
-

চমক দিয়েই শেষ হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
চমক দিয়েই শেষ হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টা নাগাদ ৮১ সদস্যের এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তবে ৮১ সদস্যের কমিটিতে একটি সাংগঠনিক সম্পাদক, তিনটি সদস্যপদসহ আরও কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ বাকি রেখে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটির সদস্যরা আগামী ৩ জানুয়ারি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কাজ শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
• নব ঘোষিত কমিটিতে রয়েছেন যারা
১. সাংগঠনিক- আফজাল হোসেন
২. সাংগঠনিক- সফিউল আলম চৌধুরী নাদের, এবারই প্রথম দলে পদ পেয়েছেন।
• যেসব সম্পাদক পদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে
► অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আশা খান এবারই প্রথম দলে জায়গা পান।
► তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহামুদ, প্রথম বারের মত পদ পান।
► শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, পূর্বের কমিটিতে একই পদে ছিলেন।
► উপ-দপ্তর প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, পূর্বে একই পদে ছিলেন।
► উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সদস্য বিদায়ী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
• আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলেন যারাসদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বদর উদ্দিন কামরান, দীপঙ্কর তালুকদার, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, আক্তার জাহান (রাজশাহী), ডা. মুশফিক (হবিগঞ্জ), অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মেরিনা জামান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন (লালমনিরহাট) অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
নতুন সদস্য হলেন হোসনেয়ারা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা খাতুন, সানজিদা খানুম, আনিসুর রহমান, শাহাবুউদ্দিন ফরাজি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, ,আমীরুল আলম মিলন, আক্তার জাহান, ডা. মুশফিক, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে ৯ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
-
৩৯ পদের নতুন তালিকা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার – আ’লীগের নতুন কমিটিতে ভাগ্য খুলতে পারে সাবেক ছাত্রনেতাদের
আবুল বাশার নূরু : ২৪ জানুয়ারি গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর প্রথম সভায় দলের ৩৯ শুন্য পদে পছন্দের নামের তালিকা পৃথক পৃথকভাবে জমা দিয়েছেন নেতারা। দলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজকে নতুন কমিটিতে রাখা হবে কিনা, সে বিষয়ে সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মতামত চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ নিয়ে শাজাহান খান ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের মধ্যে বির্তকও হয়। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, কাল বৃহস্পতিবার দলটির পূণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বুধবার রাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, তালিকা প্রকাশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাকি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে যে মাধ্যমেই হোক কাল তালিকা প্রকাশ করা হবে। জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিকেলে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তালিকা প্রকাশ করবেন।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ঘোষিত ৪২ পদে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। কমিটির নতুন মূখ সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। শুন্য ৩৯ পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জণ রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্যরা তালিকা জমা দিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শেখ হাসিনা।
-

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন
শনিবার দুপুর ১টার দিকে ২১তম জাতীয় সম্মেলনের শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। সমর্থন করেন পীযুষ ভট্টাচার্য। দুইজনেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ওবায়দুল কাদেরর নাম প্রস্তাব করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। সমর্থন করেন আব্দুর রহমান। কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ ঘোষণা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সারাদেশ থেকে দলের সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে শুরু হয় এ অধিবেশন।
সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মানুষের আস্থা বিশ্বাস যাতে অর্জন করা যায় সে লক্ষ্যে দলের নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বাঙালি মুক্তির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, এ দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে, এগিয়ে নিতে হবে অনেক দূর। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই তার রাজনীতি। দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে কাজ করতে হবে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে নির্মিত প্যান্ডেলে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
-
অস্ত্র সহ দুই বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার : আদালতে দোষ স্বীকার
সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় বহিস্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতার নামে দুটি মামলা হযেছে। রোববার রাতে শহরের মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর পূর্ব দিকে সাদিকের বাড়ি সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মুনজিতপুরের জহুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল ওরফে পিচ্চি রাসেল (২১) ও সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (১৯)।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে অস্ত্র ও মাদক কেনাবেচার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মুনজিতপুরে অভিযান চালানো হয়। এসময় মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর পূর্ব দিকে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ থেকে পিচ্চি রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য: গত ৩০ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের দুই সহযোগী সন্ত্রাসী দ্বীপ ও সাইফুল পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। আর এই নিহত সন্ত্রাসী দ্বীপ ও সাইফুলে অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত পিচ্চি রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমান বলে জানায় পুলিশ। এরমধ্যে পিচ্চি রাসেল নিহত দীপের ফুপাত ভাই। -

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল : নেতৃত্বে আলোচনায় জয়-পুতুল
আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের ২১তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে দলে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ইস্যুতে নানা আলোচনা হচ্ছে। দলে নতুন কে আসছেন, কে বাদ পড়ছেন এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও আলোচনায় উঠে এসেছে। তারা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে আসতে পারেন।
আসন্ন কাউন্সিলে তারা দুজন না এলেও অন্তত একজন নেতৃত্বে এসে চমক সৃষ্টি করবেন বলে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করলেও জয় এবং পুতুল নিজ থেকে এমন আগ্রহের কথা দলের কোনো মহলে এখনো জানাননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।
তবে আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার উত্তরসুরি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামই বহুল আলোচিত। এর আগে, দলের সর্বশেষ ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তখনকার সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত সজীব ওয়াজেদ জয়কে ইঙ্গিত করে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের নেতা, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত।’ সৈয়দ আশরাফের মতো দলের সব নেতাই একই মনোভাব পোষণ করেন। তাদের মতে, বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম কাউকে না কাউকে দলের নেতৃত্বে প্রয়োজন। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সবখানেই এই আওয়াজ রয়েছে। তবে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে অনাগ্রহের ইঙ্গিত জয় আগে থেকেই দিয়ে আসছেন, যদিও শেখ হাসিনার সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে পরোক্ষভাবে দল ও সরকারের জন্য পরামর্শক হিসেবে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মাঠের রাজনীতিতে জয়ের সক্রিয়তা দৃশ্যমান না হলেও গত ১৭ নভেম্বর রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটিতে এক নম্বর সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন তিনি। পরে ২৬ নভেম্বর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শেষে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এক নম্বর সদস্যও করা হয় জয়কে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই চান বঙ্গবন্ধুর এই দুই উত্তরসূরি দলের নেতৃত্বে আসুক। তারা বলছেন, জয় ও পুতুল দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলে দলের নেতৃত্ব আরও সংগঠিত হবে। এর সুফল ভোগ করবে আওয়ামী লীগই।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় বেঁচে যান জয়। পরে মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় মেলে তার। শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতেই। পড়াশোনা করেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানি হিলেসর কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এর পর বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন। সব শেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করেন। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়ই। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবৈতনিক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্তত্বে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।
তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের একশজনের তালিকায়ও স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশে অটিজমবিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশ নেন।
তার অক্লান্ত চেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাস করা হয়। সেই সঙ্গে তার দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ে ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) একজন ট্রাস্টিও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
-

জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল : মুনসুর আহমেদ সভাপতি, নজরুল ইসলাম সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ অপেক্ষা আর উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলামের নাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন বিকালে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান ঘোষনা করেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পরামশক্রমে সাতক্ষীরা জেলার আগামী তিন বছরের জন্য নেতৃত্ব হিসেবে মো: মুনসুর আহমেদকে সভাপতি ও আলহ্বাজ মোঃ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হলো’ এসময় সেখানে উপস্থিত কাউন্সিলেরা করতালি দিয়ে তাদেরকে সমর্থন করেন।
এর আগে সকালে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
কাউন্সিলে প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এ সময় বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণগত পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, অনুপ্রবেশকারী, টেন্ডারবাজ ও চাঁদাবাজদের আওয়ামী লীগে কোন জায়গা হবে না।
কাউন্সিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। -
আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল
আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে সাতক্ষীরা। ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে নান্দনিক শোভায় শোভা পাচ্ছে সাতক্ষীরা শহর। ইতোমধ্যে জেলা ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। বাকী আছে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। এ কাউন্সিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। পছন্দের ব্যক্তিকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আনতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন কর্মী সমর্থকরা। তবে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের অনেকেই এখনো প্রার্থী হওয়া না হওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি। যদিও এসব প্রার্থীদের অনেকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী। সম্মেলনে সমঝোতার ভিত্তিতে মুনসুর আহমেদকে সভাপতি ও মোঃ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। যদিও দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে কমিটির ৭ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
এবারের সম্মেলনে জেলা কমিটির সদস্য, ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভা থেকে মোট ৩৪১ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার কথা। তবে সারাদেশের কোথাও এবারের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়নি। সব জেলাতেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তথা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটি ঘোষণা করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের প্রতিটি কমিটির ৩৩ ভাগ সদস্য নির্বাচিত হবেন নারীদের মধ্য হতে। কিন্তু কোথায় সেটি অনুসরণ করা হয় না। তবে ধীরে ধীরে কমিটিতে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই থাকছেন, নাকি নতুন কেউ আসছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দু’একজন ছাড়া কেউ মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তৃণমূল পর্যায়ে সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান। তবে, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নামেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চলতে দেখা গেছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, এক সময়ের ডাকসাইটের ছাত্র নেতা আ. হ. ম তারেক উদ্দীন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেতা শেখ সাহিদ উদ্দিন, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রের নাম।
এদিকে যাদের নামে প্রচারণা শুরু হয়েছে তাদের অধিকাংশের রয়েছে ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের গৌরবোজ্জ্বল অতীত। তাদের রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। তাদের কারো কারো হাত ধরে জেলার উন্নয়ন হয়েছে -

শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে এমপি জগলুল সভাপতি, আতাউল হক দোলন সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিনিধিঁ : ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নকিপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক-এমপি। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক প্রমুখ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জাফরুল আলম বাবু প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশনে সমঝোতার মাধ্যমে সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারকে পুনরায় সভাপতি ও আতাউল হক দোলনকে সাধারণ সম্পাদক করে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আতাউল হক দোলন।
-

কলালোয়া উপজেলা আওয়ালীমীলীগের সম্মেলনেআওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক বলেন ‘আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। তাহলে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিতে পারে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতিকে আলোকিত পথ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে আমরাও কেউই নেতা বা জনপ্রতিনিধি হতে পারতাম না’। তিনি আরও বলেন দলকে সুসংগঠিত করে সবাইকে উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
ডা. আফম রুহুল হক আজ শুক্রবার সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন । কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ময়দানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
সম্মেলনে হুইপ আল মাহমুদ স্বপন বলেন ‘এক সময় আপনারা জামায়াত বিএনপির দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন । এখন আপনারা নিজেদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি’।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
-

সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন খান বাদল এর মৃত্যু
চলে গেলেন আমাদের প্রিয় নেতা জাসদ রাজনীতির প্রান পুরুষ , সুদক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ান, চট্টগ্রামের ৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন খান বাদল।
আজ সকাল ৭টায় ভারতের দেবীশেঠির নারায়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাযিউন।
জাসদের পক্ষে গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানাই। -
পৌর তাঁতীলীগের বর্ধিতসভা
পৌর তাঁতীলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় পলাশপোল স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, পৌর তাঁতীলীগের সভাপতি মেহেদীআলী সুজয়। সাধারণ সম্পাদক শেখ ফিরোজ হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি কাজী ওবায়েদ, আজিজুল (টিকলু), সোরাউদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সোহাগ, আরাফাত হোসেন রুবেল, ইমরান হোসেন, আহম্মাদ আলী, ৯নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ মোসলেম হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি দেলোওয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর ইসলাম হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন বিশ্বাস প্রমুখ। সভায় বক্তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানান। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক ক্লীন সাতক্ষীরা গ্রীন সাতক্ষীরা কর্মসূচি স্বাগত জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করে সাতক্ষীরাকে আধুনিকায়ন করার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

মশালের আলোর ঝলকানীর মধ্য দিয়ে জাসদের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী পালিত: জাসদের জন্ম ছিল সময়ের বাস্তবতা
ডেস্ক রিপোট: হাজার মানুষের দৃপ্ত শ্লোগান আর মশালের আলোর ঝলকানীর মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরাতে জাসদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। সন্ধ্যার আলো ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যান্ড পাটির ঢোলের সাথে সাথে সাথেই ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানের গনন বিদারী উচ্চারইের সাথে শুরু প্রতিষ্ঠা দিবসের আনুষ্ঠানিক মশাল মিছিল। দীর্ঘ দিবস পরে সাতক্ষারীরাতে মশালের আলোতে সজ্জিত মিছিল মানুষকে আকৃর্ষিত করে। রাস্তার দুধারে সাধারন মানুষ দাড়িয়ে করতালী দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পদযাত্রাকে স্বাগত জানায়। মিছিলের শ্লোগানের শব্দের সাথে সাধারন পথযাত্রীরা কন্ঠ মিলিয়ে জাসদের অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানান। স্বত:ফূর্ত জনগইের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের মিছিলে কিভাবে জনতার মিছিলে পরিণত হয় তার বাস্তব চিত্র মিছিল ও সমাবেশে প্রস্ফুরণ ঘটে।
সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে বর্ণাঢ্য মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়স্থ শহীদ স ম আলাউদ্দিন চত্বরে গিয়ে শেষ হয় এ সময় জাসদের সংগ্রামী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজের সভাপতিত্বে, ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্করের সঞ্চলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কৃষক জোট কেন্দ্রিয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, গণসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নারী জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি পাপিয়া আহমেদ, জেলা যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম আবদুল আলিম প্রমুখ।
সমাবেশে সরকারের চলমান দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাসদ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশ থেকে দুর্নীতি, দলবাজী চিরবিদায়ের লক্ষ্যে সুশাসনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা দাবি তুলেছে। দেশ থেকে যদি দূর্নীতির মূল উৎপাদন কার না যায় তাহলে উন্নয়ের সুফল কখনই জনগণ দেখতে পাবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ফেরত যুব নেতৃবৃন্দ ১৯৭২ সালে দলবাজী আর দূণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ও ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে নুতন রাজনৈতিক দলের জন্ম দেয়। আজ ৪৭ বছর পরে এসে প্রমানিত হয়েছে জাসদের সে দিনের দাবি কত যৌক্তিক ছিল। জাসদ গরীব মানুষের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে।
গণসমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইনের শাসন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। চলমান দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করতে হবে। জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা নির্মুল করে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে হবে। সরকারকে বৈষম্যের অবসান করে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে তবেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। -

জাসদের ডাকে সুশাসন দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় লিফলেট বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তির দাবিতে জাসদের ডাকে সুশাসন দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের কাছে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ-এর নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের নিজস্ব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ লিফলেট তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জাতীয় যুব জোট সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জাসদ) সাতক্ষীরার সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ, তারিকুজ্জামান, অনিমেষ ঢালী, যুব জোট নেতা নাজমুল হোসেন, সবুজ সরকার প্রমুখ। বিলিকৃত লিফলেটে বলা হয়েছে, আপনাদের সমর্থনে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস, সহিংসতা-অন্তর্ঘাত- নাশকাতা- আগুন সন্ত্রাস-অশান্তির রাজনীতি কোনঠাসা হয়েছে। দেশ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়-উৎপাদনের পথে অনেক এগিয়েছে। দেশ এক নতুন রাজনৈতিক পর্বে উপনীত হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজী, ক্ষমতাবাজী, ক্ষমতার অপব্যবহার, গুন্ডামী, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষনসহ সামাজিক অনাচার-অবিচার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীরা রাজনৈতিক ক্ষমতার মদদপুষ্ট হয়ে প্রশাসনিক আশ্রয়- প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার সাধারণ মানুষ বিপন্ন বোধ করছে। সামাজিক অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের এ পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়। এ পরিস্থিতির অবসানে মুখ বা দল না দেখে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। জাসদ মনে করে, বহু কষ্টে অর্জিত শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে সুশাসনের কোন বিকল্প নেই। তাই জাসদ, রাজনীতির এ নতুন পর্বে সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তিতে উপনীত হতে সরকারসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক দল-শক্তি-মহল- ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। জাসদ সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তির প্রস্তাব সামনে রেখে আগামী ৩১ জুলাই দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ- মানববন্ধন -মিছিলের মাধ্যমে ‘সুশাসন দিবস’ পালন করবে। -

সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের নির্বাহী কমিটির সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের কামালনগর লেকভিউ’র যমুনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক আ.ফ.ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার, সাবেক এমপি ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ, দেবহাটা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুজিবর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিগত সভার কার্যবিবরনী পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম হত্যার নিন্দা শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানানো হয় এবং আগামী ২৬ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টায় বাইপাস সংলগ্ন কুচপুকুরে জেলা আওয়ামীলীগের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া আগামী ১৫-ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে শোকসভা, জেলা শহরের ১০০ স্থানে শোকসভা ও খাদ্য বিতরণ এবং ৮ উপজেলায় দিবসটি সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে ৮টি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। -

আ’লীগ নেতা নজরুল হত্যায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ। সাথে সাথে আওয়ামীলীগ নেতা নজরুলের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সহ সভাপতি যথাক্রমে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, সাবেক এমপি একে ফজলুল হক, আবুল খায়ের, সাবেক এমপি ডা: মোখলেছুর রহমান, এড. এস এম হায়দার, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, কৃষি সম্পাদক সরদার মুজিব, তথ্যগবেষণা সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এড. গোলাম মোস্তফা, শিক্ষা সম্পাদক শফিউল আযম লেলিন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গণি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, উপ- দপ্তর সম্পাদক জে এম ফাত্তাহ, উপ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব ঘোষ বাবলু, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। অনুরূপ শোক জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স ম জগলুল হায়দার এমপি, সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, আশাশুনি উপজেলার সভাপতি এ বিএম মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক এড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, তালা উপজেলার সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, সদস্য এড. শাহানাজ পারভীন মিলি, কোহিনুর ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, ডা.মুনসুর আহমেদ, অনুরুপ শোকজ্ঞাপন করেছেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বেগম রিফাত আমীনএমপি, সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেগম নাদিরা আলী ও সাধারণ সম্পাদিকা রেবেকা পারভীন রিক্তা, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল হক নান্টু, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

