Category: রাজনীতি

  • চীনকে হুঁশিয়ারি দিল ভারত

    চীনকে হুঁশিয়ারি দিল ভারত

    লাদাখ সীমান্তে ভারত চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সংঘর্ষ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তা বস্তাবায়নের জন্য বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া হুঁশিয়ারির বিষয়টি জানিয়েছে।

    ভারতের দেওয়া এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চলমান পরিস্থিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবে চলতে পারে না। এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, চীন আন্তরিকভাবে এই সমঝোতা মেনে চলবে এবং সীমান্ত অঞ্চলে শান্তির পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করবে। সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

    সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা নিরসনে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, দুই দেশের সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সম্মুখ অবস্থান থেকে পরস্পর নির্দিষ্ট দূরত্বে সরে আসবে।গত সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের এক কর্নেলসহ ২০ জওয়ান নিহত হয় এবং ৭৬ ভারতীয় সেনা সদস্য আহত হন। অপরদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে চীনের ৪৩ সেনা নিহত হয়েছে দাবি করা হলেও চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পার্স ট্যুডে।

  • মানুষ বাঁচানোই এখন একমাত্র রাজনীতি : ওবায়দুল কাদের

    মানুষ বাঁচানোই এখন একমাত্র রাজনীতি : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের এই সংকটকালে সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনও রাজনীতি করছে না। করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে এখন একমাত্র রাজনীতি।

    বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ সমালোচনা করতে গিয়ে বিরাজনীতি করণের অভিযোগ এনেছেন। এ সংকটকালে সরকার তো কোন রাজনীতি করছে না? এমন কি আওয়ামী লীগও এ সময়ে কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম করছে না।’

    তিনি বলেন, যদি কোন রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থে ভালো পরামর্শ দিতে চায়, সেটা সরকার গ্রহণ করবে। কোন ভুল হলে ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস সরকারের রয়েছে।

    ‘সরকারের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে নেতিবাচক ও অন্ধ সমালোচনা নির্ভর রাজনীতির জন্য বিএনপিরই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বক্তৃতা, বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা ছাড়া বিএনপির এখন আর কোন রাজনীতি নেই। অসহায় মানুষ থেকে তাদের অবস্থান এখন যোজন যোজন দূরে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সরকারি ও অনেক বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে কাজ করছেন। তখন কিছু হাসপাতাল-ক্লিনিক যেকোনো সাধারণ সেবায় গেলেও বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করানোর কথা বলছে, কিংবা করোনা রিপোর্ট ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছেন না। এমনকি কোনও কোনও হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার জন্য নানান ছলচাতুরী আশ্রয় নিচ্ছে, এ মুহূর্তে এটা সমীচীন নয়।

    তিনি বলেন, আবার করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান স্মার্ট এবং দ্রুত সেবা দিলেও কারো কারো বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে টেস্টের সিরিয়াল পেতে সময় লাগে অন্যদিকে নমুনা দেবার পর রেজাল্ট পেতে লাগছে কয়েক দিন। অহেতুক এ সময়ক্ষেপণে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনরা যেমন উদ্বিগ্ন হচ্ছে, তেমনি মনোবল হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আবার অনেকে মৃত্যুর মুখেও পতিত হচ্ছেন। এসকল প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সময়ে রিপোর্টদান এবং নমুনা সংগ্রহের সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

    বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল যারা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে বাণিজ্য করছে। তাদের এব্যাপারে সর্তক হওয়া উচিত। এ দুর্যোগে মানবিক হওয়া উচিত। অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা পরিহার করে সঠিক সেবা দান করুন। জটিল রোগীদের তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান দেরি হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পতিত হবে।

    রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যারা সমন্বয়ের কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, পৃথিবীর কোথাও কি এমন নজীর আছে? করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাজনীতিবিদের কাজ নয়, যাদের দরকার, সেসব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তাদের মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৬৬টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকার পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় নমুনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

    ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতি যেমনি লক্ষ্য অর্জন করেছে, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পারস্পরিক সহমর্মিতা,ত্যাগ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মাধ্যমে উত্তরণের পথে জাতি এগিয়ে যাবে।

  • জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদ জার্মানি কমিটির সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। জার্মানি জাসদ সভাপতি মুহিবুর রহমান আজ ২৫ জুন রাত ১:৩০ টায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না……রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মঅয়-স্বজন-গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জাসদ নেতা মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের প্রতি দলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রয়াত মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিলেট অঞ্চলে জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি সমাজপ্রগতির বিপ্লবী আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়নের স্বীকার হয়ে এক পর্যায়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি জার্মানির বাইরেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাসদের সংগঠন গড়ে তোলা এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে বাংলাদেশের পক্ষে মতামত তৈরিতে ভুমিকা রেখেছেন। তারা বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সাহসী ভুমিকা রাখার জন্য জাসদের নেতা-কর্মীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
    তার মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তায় জাতীয় নারী জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ, জাতীয় কৃষক জোট, জাতীয় যুব জোট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(হা-ন) সিলেট জেলা ও মহানগর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা জাসদ কমিটি শোক প্রকাশ করেছেন।

  • ডাকসুর মেয়াদ শেষ, ভাঙছে কমিটি!

    ডাকসুর মেয়াদ শেষ, ভাঙছে কমিটি!

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছা পোষণ করলেও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নুরুল হক নূর ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন নির্বাচিত হন। বাকি সব পদে নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গত বছরের ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। এই সংসদের মেয়াদ চলতি বছরের ২২ মার্চ এক বছর পূর্ণ হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ বাড়ার সময় সোমবার (২২ জুন) শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসোন, সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্যসহ অনেকেই।

    এ বিষয় এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটা সময়ের জন্য নির্বাচিত করেছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত। আমরা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই সেটা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। আমি নির্ধারিত সময় শেষে আমার পদ ছেড়ে দিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাই।

    অন্যদিকে মেয়াদ শেষ হলেও পদে থেকে নির্বাচন চান ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি যুক্তি দেখান, গত ২২ মার্চ ডাকসুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে; আপনি যদি সে হিসেবেই ধরেন তাহলে গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর আর কোন কার্যদিবস যায়নি। সে হিসাবে আমাদের ৯০ দিন পূর্ণ হতে এখনো অনেক বাকি। এ বিষয়ে শিগগিরই ডাকসুর সভাপতির সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসবো। তবে অবশ্যই ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ প্রত্যাশা থাকবে।

    জিএস গোলাম রাব্বানী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ডাকসুর বিষয়ে আমার বক্তব্য একদম স্পষ্ট। নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত এক মিনিটও পদে থাকতে চাই না। করোনা দুর্যোগকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেহেতু আমাদের ৩৬৫ দিনের বৈধ মেয়াদের আগেই অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ। তাই আমাদের অসমাপ্ত কাজ, বিশেষ করে, মাস্টার প্লান বাস্তবায়নে সহায়তা এবং ডাকসুর শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ডে আমার ব্যক্তিগত কন্টিনজেন্সি ফান্ডের অর্থসহ ডাকসুর অব্যবহৃত বাজেটের টাকা হস্তান্তরের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মানবিক সহায়তা দিতে চাই। আর অবশ্যই চাই, ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ামাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে সচল হওয়া ডাকসুকে আর অচল দেখতে চাই না। করোনা দুর্যোগের জন্য যে সাড়ে তিন মাস আমরা কাজ করতে পারিনি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে সময়টুকু আমাদের প্রাপ্য, আর সেই সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী নির্বাচনও আয়োজন করে ফেলতে পারবে। তাহলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র (৬ এর গ ধারা) মেনেই আমরা নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারবো। এটুকু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি। সম্মানিত উপাচার্য মহোদয় ডাকসুর কমিটি ভেঙে দিয়েও যদি উক্ত দাবি মেনে নেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।

  • নতুন সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

    নতুন সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি

    করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশে সংগঠনের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম স্থগিতাদেশ আরও ২০ দিন বাড়িয়েছে বিএনপি। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত স্থগিত ছিল, তা ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত আকারে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে দলটি। বুধবার (২৪ জুন) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (আজ) পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। এই স্থগিতাদেশ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম/সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম ১৬ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে সীমিত আকারে শুরু করা হবে। করোনা মহামারী ব্যাপক বিস্তারের কারণে ২৫ মার্চ থেকে স্থগিত রয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম।

  • জাসদ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট মৃত্যুবরণ

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কাইয়ূম-চুন্নু) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক পাঠচক্র সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি এবং জাসদ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুট মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
    সোমবার (২২ জুন) ভোর ৪টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ডা. মুকুট বাবা-মা, স্ত্রী ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।
    এক শোক বার্তায় প্রয়াতের পরিবার-আত্মীয়-পরিজন-বন্ধু-স্বজন-সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ইনু-শিরীন বলেন, সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানের আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতা-যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলন ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনের সামনের কাতারের একজন সৈনিক ছিলেন ডা. মুকুট। একজন চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবনেও তিনি সমাজের নিম্নবর্গীয় জনগণের একজন বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন মানবি চিকিৎসক ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনের সক্রিয় ব্যক্তিকে হারালো।
    পৃথক বার্তায় জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি নুরুল আমিন কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদ আশেক এলাহী, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সভাপতি আহসান হাবীব শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ননী ডা. জাহাঙ্গীর আলম মুকুটের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

  • শ্যামনগরে বিএনপির ত্রান বহরে ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা, গাড়িভাংচুর, আহত-১০

    শ্যামনগরে বিএনপির ত্রান বহরে ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলা, গাড়িভাংচুর, আহত-১০

    স্টাফ রিপোটার ঃ শ্যামনগরে বিএনপির ত্রান বহরে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। রোবববার সকালে উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের চুনা ব্রিজের কাছে এ হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির কমপক্ষে ১০ জন নেতা কর্মীরা আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে একটি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল। আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজিবর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদ, ছাত্রদল কর্মী রাসেল, যুবনেতা আনিছ, মিঠু, জহিরুল, মোস্তফা মিন্টু, রবিউল, মামুন ও ছালাম।
    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির যুগ্নআহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতি, যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, কৃষকদল সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, যুবদল সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগরে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরন করতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের চুনা ব্রিজের নিকট পৌছালে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়কের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর দুই দফায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারী এ সময় তাদের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। একই সাথে ভাংচুর করা হয় তাদের একটি প্রাইভেটকারসহ ৮/১০ টি মোটরসাইকেল। তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা তাদের ভয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
    তবে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক ঘটনা স্থলে ছিলেন না এবং বিষয়টি জানেন না বলে দাবী করে বলেন, পরে শুনেছি যে, যারা ত্রান দিতে যাচ্ছিল তাদের নিজেদের মধ্যে কি ঝামেলা হয়েছে।
    এদিকে, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী দুপুরে তার সাতক্ষীরা শহরের কামলনগরের বাড়ির সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও গ্রেফতারের দাবি জানান।

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।

    বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, কামাল লোহানী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন প্রগতীশীল লেখককে হারাল। দেশে তার অভাব কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    বিবৃতি দাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, সমাজসেবা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পাপিয়া আহমেদ, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান, যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি অনুপম কুমার অনুপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম আবদুল আলীম প্রমুখ।

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।

  • জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডাক্তার রফিকুল হায়দার লিটনের মৃত্যুতে জাসদের শোক

    জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডাক্তার রফিকুল হায়দার লিটনের মৃত্যুতে জাসদের শোক



    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ শুক্রবার ১৯ জুন ২০২০ এক শোক বার্তায় এনাম মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে ডাক্তার ও ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে সিলেট এমএওজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. রফিকুল হায়দার লিটনের করোনায় মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজন-সহকর্মীদের প্রতি আন্তরিক সমদেনা জ্ঞাপন করেন। তারা ডা. রফিকুল হায়দার লিটনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ডা. রফিকুল হায়দার লিটন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও সিমিটারসহ তেল-গ্যাস লুন্ঠণকারী মাল্টিন্যাশনাল বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভুমিকা পালন করেছেন।

  • বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটি গঠন

    বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮জুন) সন্ধ্যা ৭টায় শহরের রাধানগরস্থ রং পালিশ শ্রমিক ইউয়িনের অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় জুম্মান আলী সরদারের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান মিয়া বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে তিনি জুম্মান আলী সরদারকে আহবায়ক, জামাল আহমেদ বাদল, রবিউল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক, ফারুকুজ্জামানকে সদস্য সচিব, আবুল হাসান, ইমরান হোসেনকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-ফারুক হোসেন, এমদাদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মনির, রেজাউল হক, রবিউল ইসলাম, আসাদুর রহমান, আসাদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, সোহারাব হোসেন, আব্দুল হক, নির্মল কুমার দাস, ইদ্রিসুল ইসলাম পলাশ প্রমূখ।

  • প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    প্রয়াত মন্ত্রীকে কটূক্তি; বেরোবি’র সেই শিক্ষক বরখাস্ত

    সদ্য প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করা   বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানি শেষে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। 

    ১৩ জুন সন্ধ্যার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মনিরা তার নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তার এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে তাজহাট থানায় ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাত সোয়া ২ টার দিকে শিক্ষক সিরাজুম মনিরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারি প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান জানান,  প্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিশ্ববিদ্যালযের নিয়ম অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জেল হাজতে থাকায় ডাক যোগে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মহিবুল ইসলাম জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত তাজহাট এর বিচারক উক্ত শিক্ষককে দুই দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ন্যাশনাল ডেক্স : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ধারণা করছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ মো. আবদুল্লাহ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের আগে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

    গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ মো. আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি।

  • সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা করোনা আক্রান্ত

    সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা করোনা আক্রান্ত

    অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পাটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিকল্প ধারার কেন্দ্রীয় নেতা এইচএম গোলাম রেজা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে তাঁর ঢাকার বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

  • বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    ডেক্স রিপোর্ট :

    মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৩ জুন ২০২০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী[৩] এবং মাতা আমেনা মনসুর। পিতা মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

    পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি প্রভাবে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ একটি ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। ঐ নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।

    ব্যক্তিগত জীবন

    পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

    মৃত্যু

    রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ২০২০ সালের ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। ওই দিনই কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এর চার দিন পর, চিকিৎসার সময় তার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এরপর ৪ জুন অবস্থার উন্নতি হয়, তবে পুনরায় ৫ জুন ভোরে তিনি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বোর্ড গঠিত হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এর মধ্যে পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ১২ জুন পরপর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পরে পুনরায় অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ ১৩ই জুন ঢাকায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    ন্যাশনাল ডেক্স : সিরাজগঞ্জ-১ আসন (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হুইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম দলের মুখপাত্র হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    রাজনীতির সঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম সম্পৃক্ত হন ষাটের দশকে। শুরুর দিকে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ করতে শুরু করেন। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।Image caption জনসভায় ভাষণ দানরত মো. নাসিম।

    উনিশশো পঁচাত্তর সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যাকাণ্ড ও জেলখানায় আরো তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাঁর পিতা এম মনসুর আলী হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে ওঠেন।

    পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।

    ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার আরেকজন নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’১৯৭৫ সালের পর তাকে বেশ একটা দুঃসময় পার করতে হয়। আমাদের সবাইকেই সেটা করতে হয়েছে। ৭৮ সালের দিক থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন। নেত্রী আসার পর (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর) তিনি সবসময় নেত্রীর সঙ্গেই থেকেছেন।‘’

    ‘’একাত্তর সালে মুক্তিসংগ্রামের সময় কলকাতায় আমরা এক বাড়িতে থাকতাম। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে আমরা তাকে আমাদের বড় ভাইয়ের মতো মনে করতাম। তিনিও সেভাবেই আমাদের খোঁজখবর রাখতেন। তাকে দেখেছি, যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও শক্ত মন নিয়ে দাঁড়াতে পারতেন, কর্মীদের চাঙ্গা করে তুলতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রশাসক হিসাবেও তাকে সফল দেখতে পেয়েছি।‘ছবির কপিরাইট Facebook Image caption প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মো. নাসিম।

    ‘’তিনি অনেক সময় গর্ব করেই বলতেন,আমি কোন বেঈমানের সন্তান নই, আমি বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত আদর্শের সৈনিক, তার সন্তান।‘’ বলছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

    উনিশশো একাশি সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে মোহাম্মদ নাসিম যুব সম্পাদক হন। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আসেন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ১৯৮৭ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    তার আগের বছর, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’মোহাম্মদ নাসিম রাজনীতির ক্ষেত্রে সারাজীবন সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ষাটের দশক থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একটা রাজনীতিক পরিবারের বেড়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে সাজা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটা সংগ্রামের সাথে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন।‘’

    আওয়ামী লীগের ‘৯২ ও ‘৯৭ সালের জাতীয় সম্মেলনে তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়।ছবির কপিরাইট Facebook

    উনিশশো ছিয়ানব্বই, ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একসময় তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    রাজনীতিতে তাদের পরিবারের ভূমিকা নিয়ে ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ নামের একটি বইয়ের সম্পাদনাও করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এবং তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়ের ভূমিকা নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জনক।

    তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’তার পিতাকে যেমন এলাকার লোক দরকারের সময় পেতো, তেমনি তাকেও আমাদের যেকোনো দরকারে সবসময় কাছে পেয়েছি। প্রতিমাসে কয়েকবার তিনি এলাকায় আসতেন। তিনি বিদেশে থাকলেও আমাদের ফোন করে এলাকার খোঁজখবর নিতেন। দলমত নির্বিশেষে এখানকার সবাই জানে, তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।‘’

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।

    রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিমকে অনেকবার কারাবন্দী হতে হয়েছে। প্রথম তাকে কারাগারে যেতে হয় ১৯৬৬ সালে, যখন তিনি এইচএসসি পড়ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভুট্টা খাওয়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পিতা এম মনসুর আলীর সঙ্গে কারাগারে যেতে হয় মোহাম্মদ নাসিমকেও। একবছর পরে তিনি ছাড়া পান।

    ১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ নাসিমকে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিযানে আরো অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    সেই সময় অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ নাসিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত ওই সাজা ও মামলা বাতিল করে দেন।

    কিন্তু মামলায় সাজা হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম। সেই আসনে তার ছেলে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। মামলা ও সাজা উচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকেন।

    ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রী না হলেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

  • একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেক্স : জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।

    তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’

    প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আর নেই

    সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আর নেই

    ন্যাশনাল ডেক্স : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। 

    গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।মোহাম্মদ নাসিম স্ত্রী, তিন ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা।

    ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম পঞ্চমবারের মতো সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাসিম এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ নাসিম।