Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
যশোর Archives - Page 5 of 5 - Daily Dakshinermashal

Category: যশোর

  • সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    সব দলকে নির্বাচনে আনবো : নতুন সিইসি

    এসবিএন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আনবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার তার সহকর্মী ৪ নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক প্রথম বৈঠকে তিনি তার এই লক্ষ্যের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে সিইসি আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা। এর আগে বুধবার শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন বৃহস্পতিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান তারা।

    কর্মকর্তাদের আলোচনার সূত্র ধরে নতুন সিইসি বলেন, এই বাংলাদেশ কতগুলো অত্যন্ত সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে, আর যে নির্বাচনগুলো বিতর্কিত ছিল, তা কেন বিতর্কিত ছিল, তা বিশ্লেষণে আমি যাব না। একটা কথাই বলতে পারি, আপনারা অনেকেই বলেছেন যে ইনক্লুসিভ নির্বাচন ছিল না বলেই বিতর্কিত ছিল। কর্মকর্তাদের কাছে নিজের মনোভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি প্রতিদ্ব›িদ্ধতামূলক না হয়; যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন বিতর্কিত হবেই। সুতরাং আমরা আশা করব, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    বৈঠকে সিইসি বলেন, আমার একটাই কথা, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যারা সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের একটাই কথা-দল মত নির্বিশেষে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, দেশে এ রকম আলোচিত ও সবার আগ্রহ আমাদের নিয়ে; অতীতে কখনও এমনটি হয়নি। সাধারণ মানুষ, দল, আন্তর্জাতিক সংস্থা সবার সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আশা করি, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। এক্ষেত্রে ইসি কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি; তাদের উদ্দীপ্ত করতে এবং মনোবল বাড়াতে নানা নির্দেশনাও দেন তিনি।

    ইসি সচিবালয় সার্বিক অগ্রগতি, কাজের পরিধি-কাঠামো ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে একটি ধারণাপত্রও নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। কর্মকর্তাদের সাহসিকতা ও দৃঢ়তার উদাহরণ টেনে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা জেসমিন টুলীর প্রসঙ্গ টানেন নূরুল হুদা।

    সিইসি বলেন, জেসমিন টুলী যখন চট্টগ্রামে একেবারে নিরপেক্ষতার সঙ্গে, দৃঢতার সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিচালনা করে সফল একটা নির্বাচন উপহার দিলেন। তখন দেশবাসী তার দিকে তাকিয়ে ছিল। সমস্ত মানুষ বলেছিল, কীভাবে সম্ভব? তাকে কিন্তু কেউ প্রভাবিত করতে পারেনি, বা তার সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কোনো রকম কেউ বিব্রত বা বিচলিত করতে পারেনি। ইসির দক্ষতা সচিবালয়, মাঠ পর্যাছয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।

    ইসি কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনে অভয় দিয়ে নূরুল হুদা বলেন, যে দক্ষ জনবল রয়েছে তাতে বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। শুধু একটা না, সামনে যেসব নির্বাচন আসবে তা দৃঢতার সাথে মোকাবেলা করব। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ হলে ইসির ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন নূরুল হুদা। একজন নির্বাচন কমিশনারের কথা টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান জিরো টরারেন্স। কাউকে কোনো পর্যায়েই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা প্রাইভেটলি যে আলোচনা করেছি, তাতেও আমরা বলেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবো।

    ইসির সফল হওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের সমর্থনের গুরুত্বও তুলে ধরে সিইসি বলেন, অংশীজনরা বলেছে-শুধু নির্বাচন কমিশনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। স্টেকহোল্ডার যারা আছে, তারা যদি সহযোগিতা না করে এবং অংশগ্রহণ না করে, তা হলে সম্ভব নয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেন বলেও জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার নৈরাজ্য-সহিংসতা এবং বিএনপি জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রশ্ন তুললেও নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলটি বলেছে, নতুন ইসির ভূমিকা এবং নির্বাচনকালীন সরকার দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী নির্বাচন ঘিরে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে যে এখন নতুন ইসি, সে বিষয়ে নিজেও সচেতন নূরুল হুদা।

     

  • বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    বাংলাদেশ থেকে মুরগী ও ডিম আমদানি বাতিল সৌদি আরবের

    এসবিএন : বাংলাদেশ থেকে মুরগি ও ডিম আমদানি বাতিল করেছে সৌদি আরব। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই দুই পণ্যের আমদানি বাতিলের তথ্য জানিয়েছে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু’র বিস্তারের তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ (ওআইই)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি বাতিল করলো।

    দেশটির পশুসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সৌদি সরকার।

    এর আগে ২৯ জানুয়ারি ঢাকার শতকরা ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ও দেশি মুরগির বাজারে বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এফএও জানায়।

    গত মাসে বিশ্ব পশু স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ঢাকার ধামরাই এলাকার একটি খামারে সোনালি প্রজাতির প্রায় তিন হাজার মুরগি বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩২টি মুরগি মারা যায়।

    তবে দুই বছর পর ফের বার্ড ফ্লু ভাইরাস সংক্রমণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান। একই সঙ্গে তারা বলেন, সারাদেশে মুরগির খামারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধামরাইয়ের খামারটি ছাড়া দেশের আর কোনো খামারে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

     

  • জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ

    সভাপতি সভার শুরুতে প্রথমে নব নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সথে কুশল বিনিময় করেন তিনি বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ডের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের উন্নয়ন কর্মকান্ড সেবা জনগণের দাড়প্রান্তে পৌছানোর লক্ষ্যে নব নির্বাচিত সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন সভায়  নব নির্বাচিত সদস্য জয়ন্তি রানী সরদার, শোভা রানী হালদার, ফারহানা নাজনীন, নাহার আক্তার, কবির হোসেন খান, রজত কান্তি শীল, মোঃ জহুরুল হক, দিলীপ হালদার, অভিজিৎ চন্দ, শেখ মোশাররফ হোসেন(বাবু), সরদার আবু সালেহ, মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, মোল্লা আকরাম হোসেন হাবিবুল্লাহবাহার, শেখ কামরুল হাসান(টিপু) মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী, এস.এম. খালেদীন রশিদী সুকর্ন, চৌধুরী ফরিদ রায়হান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলিম উদ্দিনসচিব শৈলেন্দ্র নাথ মন্ডল, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

     

  • মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    মাতৃভাষা দিবসে খুলনা মহানগর বিএনপির কর্মসূচি

    খুলনা মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সম্পাদকমন্ডলীর সভা বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়

    সভায় অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ ফেব্রয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত রাত ১২ টা মিনিটে হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ২১ ফেব্রয়ারী সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুর খানজাহান আলী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে

    সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মোঃ রাশেদ, শাহজালাল বাবলু, রেহানা ঈসা, আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শের আলম সান্টু, আজিজুল হাসান দুলু, জালু মিয়া, ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মদ আলী, জাহিদুর রহমান রিপন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • ডাকে স্বপ্নের দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ

    ডাকে স্বপ্নের দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ

    এরশাদুল আলম প্রিন্স : নিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। মেঘনা পার হয়ে সি-ট্রাক বঙ্গোপসাগরের ঈষৎ নোনা-জলে যখন এসে পড়লো, নিঃসঙ্গ গাঙচিলটি ছোট্ট মাছের জন্য জাহাজের পেছনে উড়ে উড়ে ক্লান্ত হয়ে ফেরার পথ ধরলো।

    সকালের কুয়াশা মিলিয়ে গেছে আরো আগেই। সাগরের বিস্তৃত বুকে আচল বিছিয়ে দিয়েছে দিনের প্রথম আলো। আধঘণ্টা বাদেই জাহাজ হাতিয়ার মাটি স্পর্শ করবে। পাশে বসে থাকা ইসমাইল চাচা জানালেন সে কথা। সেই আধঘণ্টা শেষ হতে আরো প্রায় সোয়া ঘণ্টা লেগে গেলো। জিজ্ঞাসু চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু একটি চওড়া হাসি দিলেন। হাতিয়া ঘাটে নামতে নামতে বাজলো বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা।

    মাইজদী চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সহযাত্রী হয়েছেন ইসমাইল চাচা। মোটেই কয়েক ঘণ্টার পরিচয়। এরই মধ্যে যেনো লোকাল গার্ডিয়ান হয়ে উঠেছেন তিনি। হাতিয়া নেমে এলাকার আরো কয়েকজনকে নিয়ে ঢাকাবাসীদের অনেকটা কর্ডোন করে একটি খাবার হোটেলে ঢোকালেন। একরকম জোর করেই নাস্তা করালেন, চা পান করালেন। হাতিয়ায় এভাবে স্বাগত হয়ে নিজেকে আর ‘মুসাফির’ বলা যাচ্ছি না।

    তখনও দায়িত্ব ছেড়ে দেননি ইসমাইল চাচা। তিনিই নিঝুম দ্বীপ যাওয়া-আসার জন্য ঢাকাবাসীকে একটি মোটরসাইকেল ঠিক করে দিলেন। সারাদিনের জন্যই ওই মোটরসাইকেল চালক থাকবেন সঙ্গে। মোটামুটি সারাদিনের জন্যই নিশ্চিন্ত হওয়া গেল- অন্তত বাহন নিয়ে ভাবনা থাকলো না। বলে রাখা ভালো, হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ দু’টিই মোটরসাইকেলে যোগাযোগ নির্ভর জনপদ। এছাড়া চলাচলের জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস আছে। তবে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের আধিক্য এখানে অনেক বেশি। চায়ে শেষ চুমুক দিয়েই মোটরসাইকেলে উঠে বসলাম। চালকসহ তিনজন হাতিয়ার বুক চিরে এগিয়ে চললাম নিঝুম দ্বীপের দিকে।

    ভুগোলে নজর দিলে দেখা যাবে, দেশের দুই প্রান্ত থেকে দু’টি নদী পদ্মা ও যমুনা দেশের ভূখণ্ডের প্রায় মধ্যভাগে এসে মিলিত হয়েছে গোয়ালন্দে। ভারতের আসাম, গৌহাটি, মেঘালয় হয়ে কুড়িগ্রাম-জামালপুরের বুক চিরে এগিয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র গোয়ালন্দে পৌঁছেছে যমুনা হয়ে।

    ভারতেরই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ থেকে গঙ্গা হয়ে আসা নদী রাজশাহীতে ঢুকে পদ্মা নাম নিয়ে পাবনার বুক চিরে নেমেছে পদ্মায়। এই দুই নদীর মিলিত স্রোতধারা পদ্মা নামে আরও নিম্নগামী হয়ে চাঁদপুরে এসে মেঘনার সঙ্গে মিলে মেঘনা চূড়ান্ত নাম নিয়েই বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে মিশে গেছে।

    নদীর বর্ণনা এ কারণেই যে, দেখে যেনো মনে হয় ওপর থেকে আসা তিনটি নদী তাদের শক্তির দাপটে হাতিয়াকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে বঙ্গোপসাগরের বুকে নিক্ষেপ করেছে।  মেঘনার স্রোতধারা হাতিয়ার উত্তরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুই দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। হাতিয়া উত্তর-দক্ষিণে লম্বা একটি দ্বীপ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কি.মি. ও পূর্ব-পশ্চিমে কোথাও কোথাও ৩০ কি.মি। বর্গকিলোমিটার হিসাব করলে দেড় হাজারের কিছু বেশি।

    সেজন্যই যাত্রা আরো দক্ষিণে, প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ মোটরসাইকেল। এ পথের শেষ পানেই নিঝুম দ্বীপ। হাতিয়াকে মাঝে রেখে চলে গেছে এই সড়ক। হাতিয়া সদর থেকে জাহাজমারা ঘাট পর্যন্ত পাকা সড়ক মোটরসাইকেলে চলতে কোনো সমস্যাই হলো না।

    দু’দিকে সবুজকে ভেদ করে এগিয়ে চলেছি নিঝুম দ্বীপের দিকে। যেখানে সবুজ নেই সেখানে কৃষকের সোনালী শস্যের ক্ষেত। সবুজ আর সোনালী মাঠের মধ্য দিয়েই সরল সড়ক পথ ধরে মোটরসাইকেল আরো এগিয়ে চললো। মাঝে মাঝে বাজার। প্রায় পুরো রাস্তার দু’পাশেই মানুষের বসত-বাড়ি, নয়তো ক্ষেত-খামার। বোঝা গেল, হাতিয়ায় লোক বসতি যথেষ্টই আছে। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২১৬ জন।

    জাহাজমারা বাজার পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি ভালোই। কিন্তু এর পরই শুরু হলো খানাখন্দ। বাকি পুরোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরপুর। মোটরসাইকেলের চাকাও সে খানাখন্দ এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই সর্বোচ্চ গতি ৭ কিলোমিটারে নেমে এলো। জাহাজমারা পর্যন্ত আসতে লাগলো প্রায় দুই ঘণ্টা। কিন্তু বাকি ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে আরো একঘণ্টা লাগলো।

    স্থানীয় লোকজন এতে অভ্যস্ত। কিন্তু যারা মোটরসাইকেলের দীর্ঘ যাত্রায় অভ্যস্ত নন, তাদের জন্য এ পথ বড়ই কঠিন। এই কঠিনেরে ভালোবেসেই নিঝুম দ্বীপে যেতে হয়। পর্যটকদেরও পাড়ি দিতে হয় এ সড়ক। প্রতি স্পটে স্পটে বোঝা যায় সড়কটির ওপর অবহেলার ছাপ। ইটের রাস্তা মেরামত করার কোনো গরজ নেই, পিচ ঢালাতো দূরের কথা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি নেক নজর দেয়, তবে রাস্তা প্রাণ ফিরে পেতে পারে, এতে যাত্রী ও পর্যটকরাও একটু স্বস্তি পাবে।

    কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে রাস্তা এবার ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে সামনে যেতে শুরু করলো। ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ইটের সড়ক এগিয়ে চললো মুক্তারিয়া ঘাটের দিকে। মুক্তারিয়া ঘাট পার হলেই নিঝুম দ্বীপ।

    ঘাটে এসে দেখা গেল, এই মোটরসাইকেলের আগে অন্তত আরো অর্ধশত মোটরসাইকেল এসে পৌঁছেছে। এসেছেন ১০০ যাত্রী। তারাও নিঝুম দ্বীপ যাবেন। বেশির ভাগই স্থানীয়। পযর্টক বলতে, মোটরসাইকেলের দু’জনই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘাট থেকেই মানুষ নিঝুম দ্বীপে যায়।

    যাত্রীদের আনাগোনা থাকায় রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠেছে ছোট কয়েকটি চায়ের দোকান, খাবার দোকান আর মুদির দোকান। নদীর ওপারে দৃষ্টি প্রসারিত করে তাকিয়ে অনুভূতি নেওয়ার চেষ্টা। ওই যে দূরে নদীর ওপারেই দেখা যায় স্বপ্নের দ্বীপ, সোনার হরিণের দ্বীপ- নিঝুম দ্বীপ। সূত্র-বাংলানিউজ২৪ ডটকম

     

  • যুক্তরাষ্ট্রে সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

    যুক্তরাষ্ট্রে সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন সীমিত করতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই আদেশ অনুসারে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিরীয় শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

    শুক্রবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ভবিষ্যতে সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে খ্রিস্টানদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন জেমস ম্যাটিসের শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে সই করেন।

    বিবিসির খবরে জানা যায়, অভিবাসন বিষয়ক এসব নতুন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য বাতিল করা, তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ইরাক, সিরিয়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলোর শরণার্থীদের প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

    শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের দূরে রাখতে তিনি অভিবাসন বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টা পরে নির্বাহী আদেশটি প্রকাশিত হয়।

    ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের দেশে কেবল তাদেরই চাই যারা আমাদের দেশের জন্য কাজ করবে এবং আমাদের গভীরভাবে ভালোবাসবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জে. জেমস ম্যাটিসের শপথ নেয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

    উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি এবং ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করেছেন।

  • নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আসবে

    নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আসবে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নেপাল এবং ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করে তা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য শিগগিরই এ দেশগুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।

    ভারতের ভেতর দিয়ে এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বাংলাদেশে আসবে। এজন্য ভারতের সম্মতিও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হামিদ। বলেছেন, তিনি খুব শিগগিরই সম্ভবত আগামী মাসেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার জন্য নেপালে যেতে পারেন। নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ বিনিয়োগও করবে।

    তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করে ৮০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং রফতানি করা সম্ভব। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই এ থেকে উপকৃত হতে পারে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে ভারতের ভূখণ্ডের ভেতর দিযে একটি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে।

    এজন্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে ইতোমধ্যেই ভারতের সম্মতি পাওয়া গেছে, তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ও চুক্তি হবে সমঝোতা স্মারক সই হবার পর। হামিদ বলেন, ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে তার কথা হয়েছে। ভারত নিজেও এতে বিনিয়োগ করতে পারে এমন সম্ভাবনাও আছে।