Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
যশোর Archives - Page 3 of 5 - Daily Dakshinermashal

Category: যশোর

  • কেশবপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে প্রাণ গেল ১শিশুর

    কেশবপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলে প্রাণ গেল ১শিশুর


    শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:
    যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আব্দুর রহমান (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় তার মা নিলুফা বেগম (৩০) ও ছোট বোন মারুফা খাতুন (৪) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
    এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের ভ্যান চালক মিজানুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান তার ছোট বোন মারুফা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে খেলা করতে যায়।
    এ সময় বিলের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত টোং ঘরের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো একটা কৌটা পেয়ে তারা হাতে করে নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে মসজিদের পাশে মা নিলুফা বেগমকে ওই কৌটা দেখানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে আব্দুর রহমান মারা যায়। গুরুত্বর আহত হয় মা নিলুফা বেগম ও ছোট বোন মারুফা খাতুন।
    বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, কুড়িয়ে পাওয়া কৌটাটি ছিল ককটেল।

    খবর পেয়ে য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু আব্দুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বোমার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফারুক হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে।

  • বেনাপোল বন্দরে করোনা সংক্রমণ ঝুকিতে ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ

    আঃজলিলঃ(শার্শা যশোর)

    করোনা সংক্রমণ রোধে বেনাপোল স্থলবন্দরে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালকদের মধ্যে নেই তেমন কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে করোনা সংক্রমন ঝুকির মধ্যে পড়েছে বাণিজ্যের সাথে জড়িত সরকারী,বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী পণ্য খালাসের সাথে জড়িত শ্রমিক,চালকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ।

    স্থানীয়রা বলছেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রবেশ থেকে এসব ট্রাক চালকেরা বন্দরে আসছে তাই সংক্রমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা খুব জুরুরী। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

    বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভারত অংশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল থাকলেও বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ অংশে পণ্য প্রবেশ দ্বারে ট্রাকে জিবানু নাশক স্প্রে ও চালকদের স্বাস্থ পরীক্ষা কার্যক্রম। কারো মধ্যে কোন সামাজিক দূরত্ব নেই। 

    বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অবাধে মাস্ক-পিপি ছাড়া চলাফেরা করছেন ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা। মিশ্বেছেন স্থানীয়দের সাথে। তবে কারো কাছে মাস্ক বা পিপি থাকলেও তা ঠিক মত ব্যবহার করছেন না। কারো শরীরে মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে গলায়। আবার কারো কাছে পিপি থাকলে তা রয়েছে গাড়িতে তোলা। এমনটি বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরাও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক ছাড়া। এতে করোনা সংক্রমণ ঝুকির মধ্যে পড়েছে।

    জানা যায়, দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সরকার সাত দিনের টানা লকডাউন ঘোষণা করেছেন। তবে এ লকডাউনের মধ্যে দেশের শিল্প কলকারখানা গুলোতে উৎপাদন ও সহবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাবে রেল ও স্থল পথে বেনাপোল-পেট্রাপোল দুই দেশের মধ্যে চলছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বন্দরে বাণিজ্য সম্প্রদনায় কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীও শ্রমিকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজিবী মানুষ। তবে এবন্দরটিতে স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুকি বেড়েই চলেছে।

    আমদানি ও রফতানি পণ্য বহনকারী ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা জানান, বেনাপোল বন্দরে এখন আর কেউ ট্রাকে জীবানু নাশক স্প্রে করা করে না। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় না। তবে সুরক্ষার জন্য ট্রাক চালকদের মাস্ক,পিপি পরা উচিত। কিন্তু কেউ কিছু বলে না বলে পরা হয় না।

    বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, বন্দরে কোন স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছে। জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

    বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটালী ওহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহনের কাজে প্রায় দেড় হাজার ট্রাক চালক দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। শ্রমকিরা এসব পণ্য খালাস করছে। বন্দরে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দুই হাজার অসহায় শ্রমিকরা পড়েছে ঝুকির মধ্যে।

    বেনাপোল রেলওয়ে মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, আগে করোনা সংক্রমণ রোধে রেলষ্টেশনে বন্দরের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ করতেন। এখন আর কেউ আসে না। তবে নিরাপত্তার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরী।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছে। বাংলাদেশ থেকে ও চালকেরা যাচ্ছে ভারতে । এদের মাধ্যমে সহজে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেশি। তাই বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার।

    বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আগে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সব ছিল। জনবল সংকটে এখন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে বন্দরে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা খুব দ্রুত কার্যকর করা হবে।

    শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলছেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমনের ভয়বহতার এ সময়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বন্দরে যাতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মানা হয় তার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন।

  • বাংলাদেশকে ১৫ টি ঘোড়া উপহার দিলো ভারত

    বাংলাদেশকে ১৫ টি ঘোড়া উপহার দিলো ভারত

    শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ টি ঘোড়া দিয়েছেন।
    রোববার (৪ঠা এপ্রিল ) দুপুর ১টার সময় বাংলাদেশ ভারতের নো-ম্যান্সল্যান্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    এদিকে উপহারের ঘোড়া হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের পক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন, যশোর সেনানিবাসের কর্ণেল আনোয়ার হোসেন ও ভারতের পক্ষে ছিলেন কলকাতার আর ভিসি ইউনিটের লে: কর্ণেল আরকে সাজেত। যশোর ৪৯ বিজিবির বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল আওয়াল জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে উপহার হিসাবে ১৫ ঘোড়া দিয়েছে।
    বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে এসব ঘোড়া গুলো ঢাকার সাভার সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিতে এসেছে। এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ২০টি ঘোড়া ও ১০টি কুকুর উপহার দিয়েছিলেন।

  • স্বনাতন ধর্মী অন্যতম প্রধান উৎসব  বিদ্যার দেবী সরস্বতী’র পূজা

    স্বনাতন ধর্মী অন্যতম প্রধান উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতী’র পূজা

    • আঃজলিল(শার্শাযশোর)প্রতিনিধিঃ

    সরস্বতী বিদ্যা ও সংগীতের দেবী। শিক্ষা, সংগীত ও ললিতকলার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা সরস্বতীকে আরাধনা করেন। এছাড়াও জ্ঞান,বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থী ছাড়াও সর্বসাধারণ এই পূজা করেন বিধায় হিন্দুদের কাছে একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামে পরিচিত। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও পূজার বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতিমাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াতকলম রেখে পূজা করা হতো। শ্রী পঞ্চমী তিথিতে ছাত্রেরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট,দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত।গ্রাম অঞ্চলে এই প্রথা বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। শহরের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে পূজা করতেন। আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। শ্রী পঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন হয়। সরস্বতী পূজা সাধারণ পূজার নিয়মানুযায়ী হয়।তবে এই পূজায় কয়েকটি বিশেষ উপাচারের প্রয়োজন হয়। তাহলো অভ্র-আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত- কলম ও যবের শিষ।পূজার জন্য বাসন্তী রঙের গাঁদা ও পলাশ ফুলের প্রয়োজন হয়। লোকাচার অনুসারে ছাত্র- ছাত্রীরা পূজার পূর্বে কুল খায় না।পূজার দিন কিছু লেখাও পড়া নিষিদ্ধ। যথাবিহিত পূজার পর লক্ষ্মী, নারায়ন, দোয়াত- কলম,পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করার প্রথা প্রচলিত আছে। এইদিন ছোটদের হাতেখড়ি দিয়ে শিক্ষা জীবন শুরু হয়। পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার প্রথাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ছাত্র ছাত্রীদের দল বেঁধে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা ও নেপালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। শ্রী পঞ্চমীর দিন খুব ভোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে ও সার্ব্বজনীন পূজামন্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতে খড়ি, ব্রাহ্মণ ভোজন ও পিতৃতর্পণ প্রথাও প্রচলিত। পূজার দিন সন্ধ্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সার্ব্বজনীন পূজা মন্ডপ গুলিতে আরতী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পূজার পরদিন পুনরায় পূজার পর চিড়ে ও দই মিশিয়ে দধিকরম্ব বা দধিকর্মা নিবেদন করা হয়। এরপরে পূজা শেষ হয় এবং সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জ্জন দেওয়া হয়।

  • শার্শা জিবলে তলায় পরিবহন ও লোকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ

    শার্শা জিবলে তলায় পরিবহন ও লোকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ

    আঃজলিল(শার্শাযশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল সংলগ্ন জিবলে তলা পাচপুকুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একে ট্রাভেলস ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা লুকাল বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। ইংরেজি১৩/২ /২১ তাং শনিবার আনুমানিক ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একে ট্রাভেলস ( ঢাকা মেট্রো ব 14 -5486 ) ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী বাহি লুকাল বাস ( ঢাকা মেট্রো জ 14 -0145 )ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে বাগআঁচড়া সাতমাইল সংলগ্ন জিবলে তলা পাচপুকুর নামক স্থানে পৌছালে ঘন কুয়াশায় একে অপারের দেখতে না পারায় কারনে মুখোমুখি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এতে পরিবহন ও লোকাল বাসে থাকা অনেক যাত্রী আহত হয়। এবিষয়ে শার্শা নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ীর পরিদর্শক টিটু কুমার নাথ বলেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন ও সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা লুকাল বাহী যাত্রী বাস ঘনকুয়াশা পড়ার কারনে একে অপরের দেখতে না পাওয়ায় সাইট ক্রসিং করার কারনে এই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে এলাকার জনসাধারণ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একান্ত প্রচেষ্টাই আহত ব্যাক্তিদের কে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেয়ন করা হয়েছে।

  • ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন।
    আজ ১০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার নামক স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বুধবার গড়াই পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। বাসটি উদ্ধারের চেষ্টার সময় বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাক সেটির মাঝ বরাবর আঘাত হানে।
    এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। এসময় আরো ৩০-৩৫ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে আরো ২ জন মারা যান।
    দুর্ঘটার পরপর সড়কটির সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলের উভয় পাশে শত শত বাস ট্রাক আটকে পড়ে।
    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কালীগঞ্জ স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা দশজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। বাসটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১১০২১৪) রাস্তার উপর উল্টে পড়ে ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের মধ্যে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করি।’

  • মণিরামপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, বিচার দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

    মণিরামপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, বিচার দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

    সংবাদদাতা: কলারোয়া উপজেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা মণিরামপুরে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে বোরহান কবির (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এর আগে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার খালিয়া এলাকায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় বোরহানকে। বোরহান হত্যাকা-ের ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রথমে পৌর শহরের রাজাগঞ্জ মোড়ে ও পরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে বোরহানের সহপাঠী সহ এলাকাবাসীরা। এসময় ইউএনও বরাবর স্বারকলিপি জমা দেয় তারা।এর আগে গতকাল বিকালে মারপিটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মণিরামপুর থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। প্রায় ১ঘন্টা থানার সামনে অবস্থান করার পর মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল রাহমানের আশ্বাসে থানা চত্বর ত্যাগ করে তারা। নিহত বোরহান মণিরামপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

  • শরীরে অভিনব কায়দায় রাখা ভারতীয় ফেনসিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

    শরীরে অভিনব কায়দায় রাখা ভারতীয় ফেনসিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক


    বেনাপোল সংবাদদাতা :
    যশোরের বেনাপোল ভবারবেড় গ্রামে র‌্যাবের অভিযানে ৪০বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ দুুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলো ভবারবেড় গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী’র ছেলে কামাল হোসেন(৩৫) ও একই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪৭) ।
    বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার সময় যশোর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এক প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই আটকের বিষয়টি জানিয়েছেন। যশোর র‌্যাব-৬ সিপিসি,৩ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেঃ এম সারোয়ার হুসাইন(এক্স)বিএন জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবারবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪০বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটক আসামীদেরকে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

  • বেনাপোলে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ যুবক আটক

    বেনাপোলে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ যুবক আটক

    বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা: বেনাপোল দিঘীরপাড় মাঠ পাড়া এলাকা থেকে ৯০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আলাউদ্দিন হোসেন ওরফে আশিক(২২)কে আটক করেছে র‌্যাব।আটক মাদক বহনকারী আশিক কাগজ পুুকুর গ্রামের রজ্জব আলী’র ছেলে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে যশোর র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দিঘীরপাড় এলাকার একটি মাঠের মধ্যে থেকে ৯০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
    যশোর র‌্যাব-৬,সিপিসি ৩ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেঃ এম সারোয়ার হুসাইন(এক্স)বিএন বলেন, বেনাপোল দিঘীরপাড় গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আশিক নামে এক মাদক বহনকারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,ধৃত আসামীকে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

  • নাভারন পাঁচ লক্ষ আমেরিকান ডলারসহ আটক ২

    শার্শা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা নাভারন এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) ইউএস ডলারসহ হদয় মিয়া (২০)ও আশরাফুল (২৮)নামে ২ জন হুন্ডি ব্যবসায়ী কে আটক করেছে বিজিবি। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল সেলিম রেজা জানান গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ ১৪৪০ ঘটিকায় যশোর ব্যটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)’র বিশেষ টহল দল নাভারন, উলশী পাঁকা রাস্তার উপর হতে ঢাকাগামী একটি টয়োটা (ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-৭৮০৯) প্রাইভেটকারসহ চোরাচালানী দলকে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত প্রাইভেটকারের দরজায় ও গিয়ার বক্সে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৫০ বান্ডিল প্রতিটিতে ১০ হাজার করে মোট ৫,০০,০০০ ইউএস ডলার আটক করা হয়। যার আনুমানিক সিজারমূল্য ৪,৪০,০৫,৩০০/- (চার কোটি চল্লিশ লক্ষ পাঁচ হাজার তিনশত) টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককারীরা স্বীকার করেছে যে, তারা হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাকারবারীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত রয়েছে। আটককৃত আসামীদের নাম ১। মোঃ হৃদয় মিয়া (২০), পিতা-মোঃ রশিদ বেপারী, গ্রাম-খাগুড়ীয়া, ডাকঘর-বাগানবাড়ী, থানা-মতলব উত্তর, জেলা-চাঁদপুর, ২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ মফিজুল ইসলাম, গ্রাম-তুলাতুলা, ডাকঘর-পাঁচগাছিয়া, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা। অত্র ব্যাটালিয়নের পক্ষ হতে মাদক, চোরাচালান, হুন্ডি ও স্বর্ণ পাচারের বিরুদ্ধে সীমান্তে সার্বক্ষনিক কঠোর নজরদারী রাখাসহ প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটককৃত হুন্ডিসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

  • মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায়নাশকতা মামলার আসামীকে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা

    মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায়নাশকতা মামলার আসামীকে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা


    সুপার ও সভাপতির অনিয়ম এবং দূর্নীতির প্রতিবাদে মানবন্ধন

    • মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:


    মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যশোরের মণিরামপুরের মশ্বিমনগর দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে হান্নান নামের এক শিবির নেতাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে রোববার মানববন্ধন করেছে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের জনসাধারণ। দাবী করা হয়েছে নোয়ালী গ্রামের ওয়াজেদ ক্বারীর ছেলে শিবির নেতা একাধিক মামলার আসামী হান্নানকে নিয়োগ করা হলে ইউনিয়নবাসী কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না। লিখিতভাবে জানানো হয়, মাদ্রাসার জমি দাতা মৃত বাসতুল্লাহ সরদারের ছেলে এস এম রবিউল ইসলাম চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকারী করে। অভিযোগ রয়েছে, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার দাবী করে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সুপার মাওলানা নজরুল ইসলাম এবং পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শাহরিয়ার খান কাবিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিবির নেতা হান্নানকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চলেছে। এহেন ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান খাঁন, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী সরদার, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মহাসিন খান, কুটির বিষয়ক সম্পাদক রেশমা বেগম, স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন, অশোক, সেলিম রেজা, সীতা রানী, অলোক বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার, হাসিনা বেগম, সাদিয়া বেগম, কুদ্দুস সরদার, মর্জিনা বিশ্বাস, আনার হোসেনসহ বিভিন্ন পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
    ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সুপার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই আমার। নিয়োগের বিষয়ে যারা কর্মকর্তা রয়েছেন উনারাই ভালো বলতে পারবেন।

  • মনিরামপুরে ইজিবাইক হারানো হানুফাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

    মনিরামপুরে ইজিবাইক হারানো হানুফাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান


    মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য ও যশোরের সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী মণিরামপুরে ইজিবাইক চুরি হওয়া হানুফাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। হানুফা উপজেলার আগরহাটি গ্রামের মৃত লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এটা আবারও প্রমানিত হল, এস এম ইয়াকুব আলী বারংবার এটা প্রমানিত করে চলেছেন, যখনই কেউ তার অসহাত্বের কথা বলে তিনি তার সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এস এম ইয়াকুব আলী।
    তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক মেহেদী হাসানের সহযোগিতায় বুধবার বিকেলে আগরহাটি গ্রামে এস এম ইয়াকুব আলীর পক্ষে হানুফার হাতে আর্থিক সহায়তান প্রদান করেন তার পিতা আলহাজ্ব জবেদ আলী সরদার। হানুফা আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি ও আমার পরিবার তার জন্য দোয়া করি আমার এই দুঃসময়ে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করায় এস এম ইয়াকুব আলীকে ধন্যবাদ জানাই।
    আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন পল্লী চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ (বাবু), নাজমুল ইসলাম টুটুল, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
    প্রসঙ্গত: সম্প্রতি উপজেলার আগরহাটি গ্রামের হানুফার বেঁচে থাকার একমাত্র আয়ের উৎস ইজিবাইক গাড়ীটি চুরি হওয়ায় সে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দরিদ্র পরিবারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যেই যশোরের সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এস এম ইয়াকুব আলী আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁিড়য়েছেন।

  • এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘুরতে যান টিএইচএ
    মণিরামপুরে আহত সুফিয়ার অবহেলায় হাসপাতালে মৃত্যু


    ঢাকুরিয়া, মনিরামপুর সংবাদ দাতা : মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুফিয়া বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা সুচিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতালে।
    অভিযোগ করা হয়েছে, হাসপাতালের টিএইচএ শুভ্রা রানী দেবনাথ অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ায় মুমুর্ষু অবস্থায় সুফিয়া বেগমকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করতে পারেননি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। ফলে হাসপাতালের বারান্দায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার।
    সুফিয়া বেগম উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মোড়লের স্ত্রী। সকালে তিনি মোহনপুর এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তা পার হতে গিয়ে বেলা সাড়ে দশটার দিকে তিনি ইজিবাইকের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন। সাথে স্বজনরা কেউ না থাকায় পৌনে ১১ টার দিকে দু’জন পথচারী তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যান।
    মৃত সুফিয়া বেগমের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন জানান, এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মাইক্রো ভাড়া করে যশোর যাওয়ার পথে মণিরামপুর বাজারের মধ্যে আমার মায়ের মৃত্য হয়।
    স্থানীয় কামালপুর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, ওই বৃদ্ধার মাথা দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর থেকে তিনি অজ্ঞান ছিলেন। বৃদ্ধার সাথে কেউ ছিল না। দ্রুত তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠাতে হতো। কিন্তু হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিয়ে টিএইচএ কোথায় যেন ঘুরতে গেছে। সেজন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। দেড়-দুই ঘন্টা ধরে বৃদ্ধা মুমুর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে ছিল। ডাক্তাররাও ভাল চিকিৎসা দিইনি।
    মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমন নাগ বলেন,‘বৃদ্ধার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মাথায় গুরুত্বর আঘাত পাওয়ায় বারবার বমি হচ্ছিল। পরে মাথা দিয়ে কিছুটা রক্ত ক্ষরণ হয়। তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করার দরকার ছিল। অ্যাম্বুলেন্সের চালক বা বৃদ্ধার স্বজনরা কেউ না থাকায় তাকে রেফার করা সম্ভব হয়নি।’
    মণিরামপুর হাসপাতালের টিএইচএ শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন,‘অ্যাম্বুলেন্সের চালককে নিয়ে ফিল্ডে গিয়েছিলাম। তাই হাসপাতালে একটু সমস্যা হয়েছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত ফিরে এসেছি। তারমধ্যে রোগীর স্বজনরা প্রাইভেট কার ভাড়া করে তাকে যশোরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পথে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’

  • জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যশোর সেনানিবাস

    জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যশোর সেনানিবাস


    যশোর প্রতিনিধি: করোনা এবং আম্পান মোকাবেলায় দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। করোনা ভয়ে যখন সমগ্র দেশের মানুষ আতংকিত এবং স্তব্ধ, তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষদের জন্য জরুরী ফ্রী চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাজির হছেন যশোর সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা। কখনও কখনও সেনাসদস্যরা চিকিৎসা সেবা মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে ছুটে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও।
    এরই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে গর্ভবতী মায়েদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন।
    জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া এর নির্দেশনায় এ বিশেষ মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কোটালীপাড়া উপজেলার মোট ১২০ জন গর্ভবতী মহিলাকে সামরিক ও বেসামরিক ৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন। এ ছাড়া এ সংকটময় মুহুর্তে সকল রোগীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সেনাসদস্যরা।
    ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারী যশোর সেনানিবাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলার যে সকল গর্ভবতী মায়েরা বর্তমানে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ও দরিদ্রতার কারণে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে আসতে পারছেন না, তাদের জন্য এ বিশেষ ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
    এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে ত্রান বিতরণ, গণপরিবহন মনিটরিং, অসহায় কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের বীজ বিতরণসহ নানাবিধ জনসচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবেলায় দুর্গম এলাকা পাড়ি দিয়ে শত শত পানিবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে যশোর সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা।
    এছাড়াও আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ী ও রাস্ত-ঘাট মেরামত, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের নিরন্তন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যশোর সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা।

  • সাগরদাঁড়িতে আগামী ২২ জানুয়ারি  থেকে শুরু হবে মধুমেলা

    সাগরদাঁড়িতে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মধুমেলা

    যশোরের কেশবপুরে সাগরদাঁড়িতে আগামী ২২ জানুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হবে ৭ দিন ব্যাপী মধুমেলা । আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মহানায়ক অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবক্তা মহাকবি মাইকেল মধূসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে বিভিন্ন আধুনিক সাজগোজের কাজ চলছে সাগরদাঁড়ি মধুমেলার মাঠে।


    এবছর সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেলার ইজারা দেয়া হয়নি। যার কারণে মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের কার্য্যালয় থেকে ও ১২ জানুয়ারী বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বিভিন্ন স্টল মালিকরা ডাকের মাধ্যমে মধুমেলার মাঠে জায়গা বরাদ্দ নিয়েছে।


    ২২ জানুয়ারী মেলা উদ্ধোধনের পর সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে অতিথিদের আলোচনা সভা শেষে মধু মঞ্চে নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন থেকেই প্রতিদিনই মধুমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবির জীবনী সম্পর্কিত আলোচনা সভা। মধুসূদনের সৃষ্টি, সাহিত্য ও কর্মজীবনের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন দেশের খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জন প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকবৃন্দরা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন দলগত সংগীতানুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের খ্যাতিমান কণ্ঠ শিল্পীরা এখানে সংগীত পরিবেশন করবেন।


    প্রতিবারের ন্যায় মেলায় আগতদের মাঝে মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে মেলার উন্মুক্ত মঞ্চে কবিতা আবৃতি, নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মেলার মাঠে আনন্দ উপভোগের জন্য সার্কাস, ইনজিন ট্রেন , মৃত্যুকুপ, নাগোরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, কৌতুকসহ বিভিন্ন বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মেলার মাঠে বসবে নানা ধরনের আকর্ষনীয় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মধুমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ মধুমেলা অশ্লীলতামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মধুমেলাতে সব কিছু শালীনতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করার জন্য কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। ‘৮০ দশকে মধু কবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ীর ‘পৈত্রিক বসতবাড়ি’ প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তর সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরে কিছুটা ঘষামাজা করে পুরাতন জীর্ণশীর্ণ ভগ্নদশা থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাগরদাঁড়িতে পর্যটন কেন্দ্র ও মধুপল্লী গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। যার প্রেক্ষিতে পর্যটনের ১টি মধুপল্লী নির্মাণ করা হয়। যা এখানে আসা মধুপ্রেমীদের মনে দোলা তুলে স্মরন করিয়ে দেয় মধু কবির অতীত জীবন, স্বনামখ্যাত ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলা সাহিত্যের ক্ষনজন্মা মহাপুরুষ প্রাণের কবি, অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।


    সাগরদাঁড়ি গ্রামের স্থানীয় জমিদার পিতা রাজনারায়ন দত্ত আর মাতা জাহ্নবী দেবীর কোল আলোকিত করে সোনার চামচ মুখে নিয়ে বাঙ্গালীর প্রিয় কবি এই পৃথিবীতে আর্বিভূত হন। প্রাকৃতিক অপূর্ব লীলাভূমি, পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা, শষ্য সম্ভারে সমৃদ্ধ সাগরদাঁড়ী গ্রাম আর বাড়ির পাশে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের সাথে মিলেমিশে তার সুধা পান করে শিশু মধুসূদন ধীরে ধীরে শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে পরিনত যুবক হয়ে উঠেন। কপোতাক্ষ নদ আর মধুসূদন” দু’জনার মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।


    মধুকবি ১৮২৪ সালে যখন জন্মগ্রহণ করেন সে সময়ে আজকের এই মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদ কাকের কালো চোখের মত স্বচ্ছ জলে কানায় কানায় পূর্ন আর হরদম জোঁয়ার ভাটায় ছিল পূর্ণযৌবনা। নদের প্রশান্তবুক চিরে ভেসে যেত পাল তোলা সারি সারি নৌকার বহর আর মাঝির কন্ঠে শোনা যেত হরেক রকম প্রাণ উজাড় করা ভাটিয়ালী ও মুর্শিদি গান। শিশু মধুসূদন এ সব অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখত আর মুগ্ধ হয়ে যেত। স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের অবিশ্রান্ত ধারায় বয়ে চলা জলকে মায়ের দুধের সাথে তুলনা করে কবি তাই রচনা করলেন সেই বিখ্যাত সনেট কবিতা ‘কপোতাক্ষ নদ’।


    তিনি লিখলেন- ‘সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে, সতত তোমারি কথা ভাবি এ বিরলে’।


    ছেলেবেলায় নিজ গ্রামের এক পাঠশালায় মাওলানা লুৎফর রহমানের কাছে শিশু মধুসূদন তার শিক্ষা জীবন শুরুকরেন। পাশাপাশি গৃহ শিক্ষক হরলাল রায়ের কাছে বাংলা ও ফারসি ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। কিন্তু গাঁয়ের পাঠশালায় তিনি বেশি দিন শিক্ষা লাভ করতে পারেননি। আইনজীবি পিতা রাজনারায়ন দত্ত কর্মের জন্য পরিবার নিয়ে কলকাতার খিদিরপুরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। এখান থেকে ইংরেজী ভাষার প্রতি দূর্বল হয়ে পাড়ি জমান পশ্চিমা দেশ ফ্রান্সে। অবস্থান করেন ভার্সাই নগরীতে। বিদেশী ভাষায় জ্ঞানার্জন করার পাশাপাশি এখানে বসেই তিনি রচনা করেন বাংলায় সনেট বা চর্তুদ্দশপদী কবিতা। সেখানে চলাফেরার এক পর্যায়ে মধুসূদন পর্যায়ক্রমে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ জীবনে ভয়ংঙ্করভাবে অর্থাভাব, ঋণগ্রস্থ ও অসুস্থতায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। ফিরে আসেন আবারো কলকাতায়। এসময় তার পাশে ২য় স্ত্রী ফরাসি নাগরিক হেনরিয়েটা ছাড়া আর কেউ ছিল না। এরপর সকল চাওয়া পাওয়াসহ সকল কিছুর মায়া ত্যাগ করে ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার একটি হাসপাতালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পেছনে ফেলে রেখে যান একগুচ্ছ মনোকষ্ট আর অভিমান। মহাকবির মৃত্যুর পর ১৮৯০ সালে মহাকবির ভাইয়ের মেয়ে মানকুমারি বসু সাগরদাঁড়িতে প্রথম স্মরণসভার আয়োজন করেন। সেই থেকে শুরু হয় মধু জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা।
    মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজে

    লা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, মেলায় মধুভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও পাশাপাশি ডিবি, জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাথে প্রয়োজন মতো সাদা পোশাকে পুলিশ ও র‌্যাব-৬ বলবৎ থাকবে। এছাড়া মাঠে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। স্থানীয় ভাবে শতাধিক যুবকদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেচ্ছাসেবক বাহিনী।


    কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, অতীতের ন্যায় মধুমেলাকে নিয়ে কোন বির্তকের সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। যে কোন উপায়ে মেলার সুশৃংঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ইতে মধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।

  • যশোরে বিএইচআরডিএফএর কেন্দ্রীয় সম্মেলন : সাক্ষী সুরক্ষা ও মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি

    যশোরে বিএইচআরডিএফএর কেন্দ্রীয় সম্মেলন : সাক্ষী সুরক্ষা ও মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি

    বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের (বিএইচআরডিএফ) কেন্দ্রীয় সম্মেলন আজ (সোমবার) যশোরের সিটি প্লাজা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং মানবাধিকার কর্মীদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। একইসাথে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
    সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোসফেকা রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউজ নেটওয়ার্ক-এর সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুজ্জামান, উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস) এর নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট রেজাউল করিম, বিএইচআরডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমান, রংপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, অ্যাড. এ.এ.এম মুনীর চৌধুরী, সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ সারওয়ার মানিক, অ্যাড, আনজুমান আরা শাপলা, নিশিকান্ত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহিম, নূর বখত, আশেক-ই- এলাহী, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান ও ইন্দ্রজিৎ রায়সহ ৭টি জেলার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন প্রতিদিনের কথাার ভারপ্রপ্ত সম্পাদক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল।
    নিউজ নেটওয়ার্ক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস) এর সাথে যৌথভাবে ‘বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান করছে।