Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
যশোর Archives - Daily Dakshinermashal

Category: যশোর

  • যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

    যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সী গোলাম রহমান নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি যশোরের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই এই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সবচেয়ে কার্যকর। তবে, এ ধরনের পজিটিভ ফলাফলের পর রোগীর ক্লিনিক্যাল ইতিহাস, অন্যান্য লক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনা শনাক্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোলাম রহমান শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ওইদিন রাতেই তিনি জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে যশোরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে।

  • বেনাপোলে ৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১ 

    বেনাপোলে ৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১ 

    যশোরের বেনাপোলে অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ২০ হাজার জাল টাকার নোটসহ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমড়াখালি চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে জাল টাকার চালান আটক করা হয়।আটক জাল টাকা চক্রের সদস্য হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে খালিদ হোসেন (১৭)।

    বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে বেনাপোল থেকে জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের এক সদস্য বিপুল পরিমাণ জাল টাকা নিয়ে যশোরের দিকে যাবে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে আমড়াখালী চেকপোস্টে কর্মরত নায়েব সুবেদার মোঃ শফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে বিজিবির টহলদল একটি ইজিবাইক থেকে সন্দেহভাজন এক যুবককে নামিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের ভিতর থেকে ৯২০ পিস এক হাজার টাকা নোটের জাল টাকা পাওয়া যায়। এ সময় জাল নোটসহ এক যুবককে আটক করা হয়।

    যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জাল টাকা সহ এক যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,মামলা দিয়ে উদ্ধারকৃত জাল টাকাসহ আটক যুবককে শার্শা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

  • খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

    খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

     সড়কটি যেন আর সড়ক নয়, এক ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ। নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া সাতমাইল বাজার থেকে বেলতলা আমবাজার পর্যন্ত অংশজুড়ে যেন ভয়াল বিভীষিকা। খানাখন্দে পরিপূর্ণ এই সড়ক প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে জনজীবনের স্বাভাবিকতা। ভোগান্তির যেন শেষ নেই। জলাবদ্ধতা, কর্দমাক্ত গর্ত, যানজট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

    সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাগআঁচড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। জিরো পয়েন্ট মোড়ে বড় বড় গর্তের কারণে বাজারে আসা মানুষজন পড়ছেন চরম বিড়ম্বনায়। বর্ষায় এই গর্তগুলোতে জমে থাকা পানি ও কাদামাটি রাস্তার চেহারাই পাল্টে দিয়েছে—দেখলে মনে হয় যেন শহরের বুকে গজিয়ে ওঠা বিশাল পুকুর!

    মাত্র দুইদিনের বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি! স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের এই করুণ দশায় একটি মাঝারি বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাজুড়ে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। বিশেষ করে সাতমাইল থেকে বেলতলা পর্যন্ত বাজার এলাকায় কোথাও কোথাও পথচারীরা ঠিক করে বুঝতেও পারেন না, তারা হাঁটছেন গর্তে না সমতলে! দোকানপাটে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে, কেউ কেউ কাঁধে করে শিশু বা বই-খাতা বাঁচিয়ে রাস্তা পার হন। জলাবদ্ধতায় মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান প্রায়শই বিকল হয়ে পড়ে থাকে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই মনে হয় নদী বয়ে যাচ্ছে, মানুষ পড়ছে, পণ্য নষ্ট হচ্ছে, আমাদের জীবনই যেন থেমে যায়।”

    সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে জেগে উঠেছে গভীর গর্ত। যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার লাখো মানুষ চলাচলের একমাত্র ভরসা এই মহাসড়কটি এখন যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী হাজারো শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ নিত্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

    বাগআঁচড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশা খাতুন বলেন,“প্রতিদিন প্রায় ২ কিমি পথ হেঁটে কলেজে যাই। আগে যেখানে ২০ মিনিটে পৌঁছাতাম, এখন সেখানে লাগে এক ঘণ্টা। ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারি না। বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে সঠিক সময়ে পৌঁছানো দুঃস্বপ্নের মতো। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুতি—দয়া করে এই সড়কের দিকে নজর দিন।”

    একই কথা বললেন স্থানীয় ভ্যানচালক আয়ুব আলী মুন্সি। তিনি বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী বহন করি। গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আহত হচ্ছে। অথচ সড়ক বিভাগের কেউ নেই দেখার!”

    বাগআঁচড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, “বাজারের মূল স্থানে গর্তে জমে থাকা পানিতে গাড়িগুলো একে অপরকে ওভারটেক করতে গিয়ে যানজট তৈরি করছে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে রীতিমতো পানিতে ডুবে যায় পথচারীরা। বহু মোটরসাইকেল উল্টে আহত হয়েছে। ভারী ট্রাকগুলো বিকল হয়ে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে বাজারের মাঝখানে।”

    স্থানীয় যুবক জয়নাল আবেদিন বলেন, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপকরণ এবং সংস্কারের দীর্ঘসূত্রতা এ দুরবস্থার প্রধান কারণ। মাঝে মাঝে লোক দেখানো মেরামত করা হলেও, তা এক বর্ষাতেই ধুয়ে-মুছে যায়।“প্রতিবছর সাংবাদিকরা আসে, ছবি তোলে, নিউজ হয়। পরে সড়ক বিভাগ লোক দেখানো মেরামত করে—দুই-এক বস্তা বালি দিয়ে গর্ত ঢেকে চলে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই সব আগের অবস্থায় ফিরে যায়।”

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, “নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সংস্কারকাজের দরপত্র (টেন্ডার) ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী জুলাই মাসেই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।”

    তিনি আরও বলেন, “বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত দোকান ও ভবন নির্মাণ। যত্রতত্র ড্রেনেজ লাইন না থাকায় বাজার ও আশপাশের বাসাবাড়ির পানি সরাসরি রাস্তার ওপর এসে পড়ে, এতে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক জায়গায় সড়কের চেয়ে দোকান বা মার্কেটের প্ল্যাটফর্ম উঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি রাস্তাতেই জমে থাকে। অথচ এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের কোনো পরিকল্পনাই রাখা হয়নি।”

    তিনি বলেন, “প্রতিটি সড়কে লম্বালম্বিভাবে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব নয়, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আবার বিটুমিনের (রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত উপাদান) বড় দুর্বলতা হলো—পানি। টানা দুই-তিন দিন বৃষ্টিতে ভিজে থাকলে বিটুমিন দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই সড়ক টেকসই করতে হলে শুধু মেরামত নয়, জনগণকেও ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।”

    মাহবুব হায়দার খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরো জানান, “আগামী মাসে আমরা বাজার কমিটি ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাব, যাতে ভবিষ্যতে দোকান-পাট ও ঘরবাড়ি নির্মাণে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া শুধু সড়ক বিভাগ একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”

  • যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু খাদিজার মৃত্যু

    যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু খাদিজার মৃত্যু

    যশোরের শংকরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত পাঁচ বছরের শিশু খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ককটেল কী আসলেই মাঠে পাওয়া গেছে, নাকি ঘরে ছিল। তা নিয়ে এলাকায় ধ্রুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

    খাদিজা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত সুজনের মেয়ে। সকাল ৮টার দিকে ছোটনের মোড়ের পাশের খেলার মাঠে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে কুড়িয়ে আনে সে। পরে ওই ‘বল’ দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় খাদিজা, ছয় বছরের সজিব ও তিন বছরের আয়েশা। দ্রুত তিনজনকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, খাদিজার বাবা সুজন মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই শাহাদাতের সাথে ওই শিশুর মায়ের বিয়ে হয়। শাহাদাত পেশায় রিকসা চালক। সোমবার সকাল আটটার সময় ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। শাহাদাত সন্ত্রাসী মুসার সহযোগী। খেলা করার সময় একসাথে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই পক্ষের দাবি শাহাদাত ওই বোমা গোপনে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। যদিও বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত লাগে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

    খাদিজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, গুরুতর আহত শিশুটি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, মাঠে ককটেলটি কিভাবে এলো, তা খুঁজে বের করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

  • আদ্-দ্বীনের উদ্যোগে মুক্তেশ্বরী নদীতে সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতা

    যশোর শহরতলীর মন্ডলগাতী-পুলেরহাট-ভাতুড়িয়া এলাকা দিয়ে বহমান মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতায় অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    প্রতিষ্ঠানটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর বছরের বেশির ভাই সময় পানি প্রবাহ থেমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নদী সংকীর্ণ এবং তলদেশে পলি জমে উঁচু হয়ে যাবার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং আশ-পাশে বসবাসরত মানুষ নদে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় জমে থাকা আবদ্ধ পানিতে দুর্গন্ধ বের হয়। এতে সাধারণ মানুষ এবং রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধে প্রতিষ্ঠানটি নিজ উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার রাখার ব্যবস্থা করে থাকে। নদীর পঁচা কাদা তুলে নদের দু-পাড় সংস্কার করা হয়। এতে নদের গভীরতা বৃদ্ধি পায় এবং পানি প্রবাহ ঠিক থাকে।

    বর্ষা মৌসুমে আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে এই অংশে মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অংশে এসময় নদ পরিস্কার থাকায় পানি প্রবাহ মসৃণ থাকে।

    নিয়মিত নিজস্ব লোকবল দিয়ে নদী পরিস্কার রাখায় হাসপাতাল অংশে শেওলা বা কচুড়িপনা জমতে পারে না। তাই মাছের অভয়ারণ্য থাকে এই অংশ। পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষ মাছ ধরে খেতে পারে।

    অপরদিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তরে নদীর ভেতর সারা বছর ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকে। এছাড়া শেওলা ও কচুরিপানায় আবদ্ধ থাকে এই নদের এই অংশ। শুকনো মৌসুমে এই অংশে পানি দেখা যায় না। কিছু জায়গায় নদের তলদেশ শুকিয়ে গেছে তা সহজে বোঝা যায়। পরিস্কার না থাকায় ঐ অংশের নদীর তীব্র দুর্গন্ধ ও ময়লা আবর্জনার স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে।

    পথচারী এবং নদ পাড়ের মানুষ যেনো নদের যত্রতত্র ময়লা ফেলতে না পারে সেজন্য আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ স্ব-উদ্যোগে তারের বেড়া স্থাপন করেছে। এতে কিছুটা সুফল মিলছে।

    মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সন্জয় সাহা বলেন, নদের প্রবাহ ঠিক রাখতে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে মূলত এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা এবং ঝামেলা এড়াতে আমরা নিজ উদ্যোগে জনস্বার্থে এই কাজটি করে থাকি।

    ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: ইমদাদুল হক বলেন, শুধুমাত্র বর্ষা মৌসুমে এই নদে পানির স্রোত থাকে। স্রোতের ফলে ঐসময় নদের ময়লা আবর্জনা ও শেওলা পরিস্কার হয়ে যায়। কিন্তু শুকনো মৌসুমে স্রোত না থাকায় জমে থাকা অল্প পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আমরা নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। এতে সাধারণ মানুষও সন্তুষ্ট।

    তিনি আরও বলেন, আদ্-দ্বীন হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্কার রাখি। বাহিরের অংশও একই ভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করছি। যাতে জীবাণুমুক্ত সুন্দর পরিবেশে রোগীরা সেবা নিতে পারেন।

  • বাগআঁচড়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার সংবাদসম্মেলন

    বাগআঁচড়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার সংবাদসম্মেলন

    যশোরের শার্শা থানা বিএনপি সদস্য ও  বাগআঁচড়া ইউনিয়ন  বিএনপি’র যুগ্ন-আহব্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
    সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেনে বলেন, কিছু গণমাধ্যম, ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অপবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়। ভিত্তিহীন এসব সংবাদের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
    তিনি বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে যে বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়ার,  বরং আলোচ্য  সংবাদ জানার পর আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। কেবল কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য এবং আমি ও আমার প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই ধরনের অপবাদমূলক সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করছে।’
    সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন,গত ১৭ বছর আমার এলাকার মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো,আমি চেষ্টা করছি তাদের অধিকার গুলো ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। কিন্তু উল্টো আমার বিরুদ্ধেই অপপ্রচার কেন? প্রশ্ন করে বলেন তা খতিয়ে দেখলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।’
    জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমারদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা যেন কোন মানুষ কষ্ট না পায় কোন মানুষ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।আমাদের থানা ও জেলা নেতৃবৃন্দ একই ভাবে ইউনিয়ন ওয়ার্ডে আমাদের মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছেন। আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যখন মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিছি তখন লুটতোরাজদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং তারা আমাকে হেউ প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরদ্ধে সংবাদিক ভাইদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন,শার্শা থানা বিএনপি’র সদস্য মিকাইল হোসেন মনা,জামাল উদ্দীন,আনোয়ার হোসেন বাবু,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোনায়েম হোসেন,বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম সন্তু, আব্দুর রাজ্জাক শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কবীর হোসেন,থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ হোসেন,থানা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবলু,থানা উলামাদল নেতা আসরাফুজ্জামান,ছাত্রদল নেতা নিপু,মহিদ, রফিক,বাবলু, অহিদুল,মান্নান, জুয়েল ও লাল্টু উপস্থিত ছিলেন।
  • এইচএসসির বৈষম্যহীন রেজাল্ট দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও

    এইচএসসির বৈষম্যহীন রেজাল্ট দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও

    উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড পাঁচ ঘন্টা ঘেরাও করেছে একদল শিক্ষার্থী। রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরের ঢাকা রোডস্থ শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন ভবনের ভেতরের গেট আটকে ও বাইরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।

    এসময় তারা সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসির বৈষম্যহীন রেজাল্ট দাবি করে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এরআগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে শিক্ষার্থীরা যশোর শিক্ষাবোর্ড অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা শ্লোগান দিতে দিতে মূল পুরাতন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ক্লপাসিবল গেট বন্ধ করে ও সিড়ির মুখে অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচল বন্ধ করে দেয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে ফিরে যায়। এসময় পর্যন্ত শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে।

    শিক্ষার্থীরা জানায়, এইচএসসির বাতিল ৬টি পরীক্ষা যে পদ্ধতিতে ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে, তাতে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ও এ প্রতিবাদ কর্মসূচি।

    শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, এবার যে ফলাফল তৈরি হয়েছে, সেটা চরম বৈষম্যের। কোনো বোর্ডের ৬টি পরীক্ষা দিয়েও কেউ ৩টি পরীক্ষা দিয়েছে বলা হয়েছে। অথচ রেজাল্টের ক্ষেত্রে কম পরীক্ষা দেওয়া বোর্ডের রেজাল্ট ভালো হয়েছে। এই বৈষম্য আমরা মানি না। অবিলম্বে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে নতুন পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

    এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, একদল শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে শিক্ষাবোর্ড চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা তাদের দাবি আমাদের জানিয়েছে, আমরা শুনেছি। কিন্তু তাদের দাবি সঠিক নয়, বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্ত:শিক্ষা বোর্ড আলোচনা করবো এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো বলে তিনি জানান।

  • শার্শায় বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত

    শার্শায় বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত

    যশোরের শার্শায় দুটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে,আনন্দ উল্লাস পূর্ণ এই নির্বাচন সকলের মনকে প্রফুল্লিত করেছে। বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়ন ও ডিহি ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।একাধিক প্রার্থী থাকায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উলাশী ইউনিয়নে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ডিহি ইউনিয়নে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উলাশী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  সভাপতি পদে মোঃ হামিদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কদর আলী মেম্বার জয় লাভ করে। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মনিরুল ইসলাম মনি ও মোহাম্মদ রুহুল আমিন নির্বাচন অংশ নেয়।এই নির্বাচনে উলাশী ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের মোট ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৩৭০ জন তাদের ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে রুহুল আমিন পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল ইসলাম মনি পেয়েছেন ৪৭ ভোট।
    অপরদিকে ডিহি ইউনিয়নে নয়টি ওয়ার্ডে ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪২২ জন ভোট প্রদান করেন। সভাপতি পদে মোহাম্মদ অলিয়ার রহমান পেয়েছেন ২৬৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম সরদার পেয়েছেন ১৫৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জব্বার সরদার পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাইরুল হক পেয়েছেন ১১৬ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: সালাউদ্দিন পেয়েছেন ২১৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মইন উদ্দিন মন্টু পেয়েছেন ১৯৬ ভোট।
    শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য দুইটি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোট পরিদর্শন করেন,যশোর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবিরুল হক সাবু,শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব খায়রুজ্জামান মধু, যুগ্ন আহবায়ক আবুল হাসান জহির, আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য আশরাফুল আলম বাবু, মোস্তফা কামাল মিন্টু, আহমদ আলী শাহীন, ইসমাইল হোসেন শান্তি।নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ কে সরফুদৌলা ছবলু,নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নাজমুল আহসান বাবুল,আনোয়ার পারভেজ, তুষার আহমেদ টগর, আসাদুজ্জামান মিঠু, মোঃ সালাউদ্দিন, সোহেল রানা। নির্বাচনের ফলাফল শেষে নির্বাচিতদের শুভেচ্ছা জানান থানা ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
  • ঝিকরগাছার পল্লীতে নগদ টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও;থানায় অভিযোগ স্বামীর

    ঝিকরগাছার পল্লীতে নগদ টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও;থানায় অভিযোগ স্বামীর

    যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুরের স্বামীর বাড়ির নগদ ২১ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন ফরিদা খাতুন (৪২) নামের ৩ সন্তানের জননী।
    এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুমরি গ্রামের মৃত হাতেম গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা।
    অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,পাশ্ববর্তী কলারোয়া কেরালকাতা ইউনিয়নের মিস্ত্রি মোড় গ্রামস্থ মৃত আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে ফরিদা খাতুনের সাথে ঝিকরগাছা কুমরি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। গোলাম মোস্তফা স্ত্রী ফরিদা খাতুন বাড়িতে থাকা অবস্থায় ইচ্ছা মত চলাফেরা করতো।এতে বাধা প্রদান করতে গেলে গোলাম মোস্তফ ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন ঝগড়া ও দন্দে জড়াত।এমন্তাস্থায় গত ৬/১০/২৪ তারিখে ফরিদা খাতুন কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে নগত ২১ হাজার টাকা সহ তার ব্যবহৃত জামা কাপড় নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
    এমন্তবস্থায় গোলাম মোস্তফা তার স্ত্রীকে খুজে ফিরে পেতে ব্যার্থ হয়ে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
    ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহিম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্তের জন্য থাকার একজন  এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • সারদীয় দূর্গাপূজা মন্দির পাহারায় শার্শা বিএনপি

    সারদীয় দূর্গাপূজা মন্দির পাহারায় শার্শা বিএনপি

     ঢাকের তালে আর ধুপের মৌ মৌ গন্ধে মহা ধুমধামে শুরু হয়েছে দেশের সর্বজনীন উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যেক ঘরে। হিন্দু সম্প্রদায় যে সংখ্যালঘু নয় তারা যে মুসলমানের ভাই,তারা যে এ দেশের যোগ্য নাগরীক সেটা মন্দিরে গেলেই প্রমান মিলছে।
    সকল ধর্মের, ধর্ণের,সব মানুষ প্রাণে প্রাণ মিশিয়ে মহা ধুমধামে পালন করছে এ উৎসব।শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ২৮ টি পূজা মন্ডপে এবছর সারদীয় দূর্গাপূজা উৎযাপিত হচ্ছে। নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে যেন হিন্দু সম্প্রদায় পুজা উৎযাপন করতে পারে সে জন্য শার্শা উপজেলা বিএনপি নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
    উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীর বলেন, শার্শা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে মন্দির ও পূজা উৎসব রক্ষায় আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেন পূজা উৎসবে কেউ না ঘটাতে পারে তার জন্য প্রত্যেক ৮ ঘন্টা পর পর ২৪ ঘন্টাই পাহারার ব্যবস্থা করেছি।প্রশাসনের পাশাপাশি তারা মন্দির পাহারায় সহযোগীতা করছে।
    তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসন আমলে বার বার মন্দিরে হামলা হয়েছে।মূর্তী ভাঙচুর হয়েছে,হিন্দু সম্প্রদয়ের ভাইদের আহত করা হয়েছে। সেই আওয়ামী পেতাত্মারা আজও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু এ দেশের জনগন আর ঐ খুনি হাসিনার শাসন চাই না।মানুষ শান্তিতে থাকতে চাই।
    বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন কালে তিনি বলেন,হিন্দু ভায়েরা অনেক শান্তিতে পূজা পালন করছে। এতটা নির্ভয়ে বিগত ১৭ বছর তারা দূর্গাপূজা পালন করতে পারিনি।শার্শা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে শার্শা বিএনপি এ অংসংগঠন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
    পূজা উৎযাপন পরিষদের শার্শা উপজেলা সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রী নীল কমল সিংহ বলেন,এবার পূজায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ তৎপর, প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হাসান জহীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মন্ডপ পাহারা দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। আমরা আসাকরি আগামী দিনেও এভাবে উপজেলা বিএনপি আমাদের সকল কাজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবে।
    উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে জানানো হয়,সারদীয় দূর্গাউৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয় বড় উৎসব। এই উৎসব যেন যথাযথ মর্যাদায় তারা পালন করতে পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। প্রত্যেক মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল গুলো দলীয় সিদ্ধান্তে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে এ বছর দূর্গা উৎসব পালিত হচ্ছে।
  • যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ৯ শ্রমিক আহত

    যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ৯ শ্রমিক আহত

    যশোরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন সেটি ধসে ছয় শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) খুলনার আওতায় যশোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জন্য এ ভবনটি তৈরি করা হচ্ছিল। এর নির্মাণকাজ করছে ঢাকার আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
    ঘটনাস্থলে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের বিম ঢালাইয়ের শেষ পর্যায়ে গতকাল বেলা দুপুর ১২টার দিকে তা হঠাৎ ধসে পড়ে। এতে নয়জন আহত হন। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাদের নিচে কেউ আটকা পড়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। আহত শ্রমিকরা হলেন ঝিকরগাছার কায়েমকোলা গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুর রহমান (৫০), চৌগাছার খোকন মোল্লা (৩৭), সদরের দত্তপাড়ার মমিনুল (২৭), আকিদুল (৩৫), শিমুল (২৮), মাহিদিয়ার আবদুল হাই (২৮), দিয়াপাড়ার ইলিয়াস (৪৫) ও মণিরামপুরের পলাশী গ্রামের ইমান আলী (৫০)।
    যশোর সেনানিবাস ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার নাহিদ মাহমুদ ঘটনাস্থল থেকে জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। ওজোপাডিকো যশোরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘এটি ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের একটি প্রজেক্টের কাজ। ধসে পড়ার খবর তারা পেয়েছেন এবং খোঁজখবর নিচ্ছেন।’
    ভবদহ অঞ্চলে বিপর্যয়ের শঙ্কা: যশোরের ভবদহ স্লুইস গেট থেকে নদীর বড়োয়াড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকার জনপদে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টা তসলিম-উর-রহমান, আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী, জিল্লুর রহমান ভিটু, অধ্যাপক অনীল বিশ্বাস, পারভীনা বেগম, চৈতন্য বিশ্বাস, আজিজ সরদার, মিজানুর রহমান, আজিজুর রহমান, পলাশ বিশ্বাস।

  • বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের  পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকালে (১৪জুন) বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা ও গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী, দুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
    ০৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল, বাগআঁচড়া  ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিলন হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মন্ডল, আব্দুল খতিব ধাবক, যুবলীগ নেতা শফিক মাহমুদ ধাবক, ইউপি সদস্য শামীম কবির, আবু তালেব মন্ডল, মতিয়ার রহমান মতি, জিয়াউর রহমান, মোজাম গাজী, আব্দুল মালেক, আজিজুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আসমা আক্তার, শারমিন সুলতানা, ছালিমা বেগম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

  • মাদক ব্যবসায়ী দ্বারা দুই সাংবাদিকসহ ৩ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের!

    নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা বাগআঁচাড়া প্রেসক্লাবের আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক গ্রামের কাগজের কায়বা প্রতিনিধি মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ ও বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের  নির্বাহি সদস্য, দৈনিক সাতনদী পত্রিকা, ও সময়ের দিগন্ত পত্রিকার শার্শা প্রতিনিধি মোঃ সোহাগ আলী এবং রিদয় হোসেনসহ ৩ জনের নামে বাগুড়ী বেলতলার আলোচিত মাদক ব‍্যাবসায়ী আব্দুল গনির স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে যশোর কোর্টে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেছে।
    জানা গেছে, গত মে মাসের ১৫ তারিখে শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) বিক্রির অপরাধে নুরজাহান বেগমের স্বামী চিহ্নিত মাদক   ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী আব্দুল গনি, ও মাদক (গাঁজা) ক্রেতা তবিবার রহমান নামে দুইজনকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
    পরে কারাদণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত (১৬ মে) রাত ৮ ঘটিকার সময় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল গনির স্ত্রী (নারী মাদক ব্যবসায়ী) নুরজাহান বেগম প্রথমে সাংবাদিক সোহাগ আলীর বেলতলা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও জিবন নােসর নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
    ওই ঘটনার জের ধরে গত (২০ মে) ২০২৩ তারিখ রাত ১০ ঘটিকার সময় সাংবাদিক সোহাগ আলীর পথ রুদ্ধ করে আবারও নুরজাহান, হাফিজুল, ও সুমন’সহ তিনজন মিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, তখন সাংবাদিক সোহাগ আলী প্রতিবাদ করলে তার উপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে, এবং তাকে কাঠের বাতা দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরের দিন সকালে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি হয়। 
    ওই ঘটনায় সাংবাদিক মোঃ সোহাগ আলী (২১মে) বেলা ১টার সময় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ হামলাকারীদের মধ্যে একজন নারী মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান বেগমকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। বাকী আসামীরা আদালত থেকে জামিন নেয়।
    এদিকে শার্শায় কর্মরত দুই সাংবাদিক ও একজন নিরপরাধ ব্যক্তিসহ মোট ৩ জনের নামে মাদক ব্যবসায়ীর দ্বারা মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়েরের ঘটনায় বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ শার্শায় কর্মরত সকল সাংবাদিক সমাজ ফুসে উঠেছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা  প্রশাসনের উদ্ধোতন কর্মকর্তার নিকট অবিলম্বে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অব্যাহতি দেবার জোর দাবি  জানিয়েছেন।

  • শার্শা থানা পুলিশের অভিযানে চাঁদাবাজ আটক, গড ফাদার কারা?

    যশোর প্রতিনিধি: যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শার্শার বাগুড়ী বেলতলা আমের বাজারের পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় কালে নাইম (২৬) নামে এক চাঁদাবাজকে হাতে নাতে আটক করেছেন শার্শা থানা পুলিশ।
    বৃহস্পতিবার  (১জুন)রাত ১১টার সময় শার্শা থানা পুলিশ বাগুড়ী বেলতলা আমের বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
    আটক নাইম কলারোয়া উপজেলার গোলচাতর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তার কাছ থেকে  চাঁদাবাজির বিভিন্ন রশিদ আদায় করেছে পুলিশ। 
    স্হানীয়রা জানান আটককৃত নাইম ও জব্দকৃত রশীদের সুত্র ধরে খোজ নিলেই পাওয়া যাবে চাদাবাজদের গডফাদারকে।
    স্হানীয় আড়ৎদাররা যানান,  চাঁদাবাজ নাইম আটক হলেও চাদাবাজদের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে যার বিভিন্ন সদস্য ও মূল গডফাদার রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।এসব সিন্ডিকেট গড ফাদারদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বন্ধ হবে আম বাজারের চাঁদাবাজি নতুবা সম্ভব না। প্রশাসন ধরেছে চুনোপুটি গডফাদার কারা এটা সকলেই জানে। ওদেরকে আটক না করতে পারলেআম বাজারের চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব না।

    শার্শা থানার ওসি আকিকুল ইসমাম জানান, বাগুড়ী বেলতলা আমের বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আসামী নাইমের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
    এবিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, আম বাজারে চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবেনা। আরো দুইজনের নাম আমরা পেয়েছি তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

  • ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরল

    ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরল

    যশোর প্রতিনিধি : অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে যশোরের  বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরী।
    বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া, চেকপোস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমান।
    ফেরত আসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন, কিশোরী ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স পাঁচ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।
    ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দু’দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে তারা। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।

  • শার্শার পাঁচভুলাট সীমান্ত হতে ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার

    শার্শার পাঁচভুলাট সীমান্ত হতে ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার

    যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের ১৪ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(২১ বিজিবি)’র সদস্যরা। তবে, এসময় কোন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বুধবার (৩১ মে) গভির রাতে এ স্বর্ণের বারগুলি উদ্ধার করা হয়।
    ২১ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শার্শার পাঁচভুলাট সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ বিজিবি’র একটি টহল দল পাচঁ ভুলাট সীমান্তের ৮৮ মেইন পিলারের পাশে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোপনে অবস্থান নেয়, এসময় একজনকে সীমান্তের শুন্য লাইনের দিকে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাকে থামতে বলে, এসময় ওই ব্যক্তি বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একটি কাপড়ের ব্যাগ ফেলে ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে, ব্যাগটি ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে তার মধ্যে থেকে ১৪ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম। বর্তমানে এর সিজার মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
    এ ব্যাপারে খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান, পিএসসি বলেন, শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্ত হতে ভারতে পাচারের সময় স্বর্ণের ঐ চালানটি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে ১৪পিস স্বর্ণের বার শার্শা থানায় জমা প্রদান করা হয়েছে বলে ঐ অধিনায়ক জানান।

  • বেনাপোলে ১৭টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

    বেনাপোলে ১৭টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

    যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ১৭ পিচ (২ কেজি ৮২৯ গ্রাম ওজনের) স্বর্ণের বারসহ মিকাইল হোসেন পিন্টু (৩০) নামে এক পাচারকারী আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
    শনিবার (২৭ মে) সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার খলশী এলাকা থেকে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ান ও মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এ স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করে। আটক মিকাইল বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
    যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল আহমেদ জামিল হোসেন জানান, বেনাপোল সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের একটি চালান পাচার হবে। এমন গোপন খবর, ৪৯ বিজিবি ও ৫৮ বিজিবি এর দুইটি চৌকষ টহলদল বেনাপোল পোর্ট থানার খলশী বাজার গ্রামস্থ মাঠে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন ওই পাচারকারী খলশী বাজার গ্রামস্থ মাঠ দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার প্রাক্কালে তাকে আটক করা হয়। পরে, তাকে তল্লাশি করে তার কোমড়ে থাকা বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ১৭ পিচ স্বর্ণে বার উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশী নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং উক্ত স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করছিল বলে জানান।
    উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য দুই কোটি বিরাশি লক্ষ নব্বই হাজার টাকা। আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।

  • সাংবাদিক উপর হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের: আটক ১

    সাংবাদিক উপর হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের: আটক ১

    যশোর প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের মাদক (গাঁজা) বিক্রয়ের সময় আব্দুল গনি নামে একজন মাদক ব‍্যাবসায়ীকে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ১৫ দিন কারাদণ্ড প্রদানের তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক আজকালের কন্ঠ, ও দৈনিক সময়ের দিগন্ত পত্রিকার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সোহাগ আলীর উপরে হামলা ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৪০) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    এজাহারকৃত আসামী হলো, উপজেলা ৭নং কায়বা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বাগুড়ী গ্রামের মোছাঃ নুরজাহান বেগম (৪০) মোঃ হাফিজুল রহমান (৪৫) মোঃ সুমন হোসেন (২১)।
    প্রসঙ্গ, গত সোমবার (১৫ মে) সকাল দশটার সময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার ভূমি) ফারজানা ইসলাম, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একজন মাদক বিক্রেতাকে ১৫ দিন কারাদণ্ড প্রদান করেন, ওই তথ্য  সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করাতে (২০ মে) রাত দশটার সময় সাংবাদিক মোঃ সোহাগের উপর হামলা করা হয়।
    সাংবাদিক মোঃ সোহাগ আলী জানান, এই ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে, তবে মুল হামলাকারীরা এখানো আটক হয়নি।
    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শার্শা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান নয়ন বলেন, এটি একটি ন‍্যক্কারজনক ঘটনা, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
    শার্শা থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।