Category: ভোমরা

  • ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সভা

    ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সভা

    হিসাবে গরমিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ছেড়া নোট

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
    সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: ১১৫৫/১১৫৯ এর ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ৬ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভোমরা স্থল বন্দর চত্বরে হ্যান্ডলি শ্রমিক ইউনয়ন ১১৫৫ এর সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুর রউফ, ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আবুল হাসান, ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তুফান দুলাল মোন্ডল, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশের সাধারন সম্পাদক আব্দুল গফফর প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভোমরা স্থলবন্দর মালিক সমিতির ৮৭ এর সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম, ভোমরা স্থলবন্দর মালিক সমিতির ৮৬ এর সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টুসহ অনেকে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের নেতা মোঃ লুৎফর রহমান। সভায় বিগত হিসাবে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ছেড়া নোট গরমিল দেখানো হলে সাধারণ সদস্যরা প্রতিবাদ জানায়।

  • ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ!

    ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ!

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যানজট নিরসনের নামে ট্রাক থেকে জোর পূর্বক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সবুর ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সংগঠনের অফিসিয়াল প্যাডে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতি জেলাতে দীর্ঘদিন ট্রাক মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ট্রাক মালিক সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাস জমিতে একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দরের কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে বন্দরে আগত ট্রাক হতে যানজট নিরসনের নামে ট্রাক প্রতি জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ট্রাক মালিক এবং শ্রমিকদের মাঝে মারমুখি অবস্থান বিরাজ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে অনতিবিলম্বে বন্দরে যানজট নিরসন পার্কিং এর নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। অন্যথায় ভোমরা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং রাজস্ব আদায় ব্যাহত হওয়ার আশংঙ্কা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
    এদিকে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোমরা স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরে প্রবেশদ্বারে কিছু স্থানীয় যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন ট্রাক দাঁড় করিয়ে জোর পূর্বক একটি চাঁদা আদায়ের রশিদ হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এসময় তাদের ওই যুবকদের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে কিসের টাকা নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসা করা হলে তাদের মধ্য থেকে শহিদুল ডাকাত নামক এক ব্যক্তি জানান, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসানের নির্দেশে যানজট নিরসনে ট্রাক পার্কিং বাবদ ৫০টাকা নিয়ে একটি করে স্লিপ দেয়া হচ্ছে। এটা কোন চাঁদাবাজি না। যা ভোমরা স্থবন্দর ট্রাফিকও জানে। আর যা কথা বলার দরকার আপনারা সিএন্ডএফ সভাপতির সাথে কথা বলেন। বন্দরের কয়েকজন ট্রাক চালকের সাথে চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, যানজট নিরসনের জন্য বন্দরের প্রবেশদ্বারে আসলেই জোর পূর্বক কিছু যুবক ট্রাক প্রতি ৫০টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। প্রতিদিন এ বন্দরে ৩শ থেকে ৪শ ট্রাক হতে প্রায় ২০হাজার টাকা অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে।
    এ ব্যাপারে ভোমরার সিএন্ডএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, যানজট নিরসনের জন্য স্থানীয়রা এ উদ্যোগ নিয়েছে। ট্রাক প্রতি টাকা নেওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি আরো জানান, স্থানীয় সাদ্দাম, মন্টুসহ কিছু যুবক যানজট নিরসনে কাজ করছে। তারা আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে।
    ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সভাপতি আবু হাসান ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা বন্দরের কয়েকটি সংগঠনের সাথে কথা বলে যানজট নিরসনের জন্য সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সব কিছু করা হয়েছে। আর যারা কাজ করছে খরচ হিসেবে এ টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবে এসব চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছে।
    ভোমরা স্থবন্দর ট্রাফিকের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনা আমার জানা নেই। আর যদি কেউ বাইরে চাঁদাবাজি করে সেটা আমাদের কিছু করার নেই। তার জন্য প্রশাসন দেখবে বলে জানান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বলেন, একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে, যদি এধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
    এই ব্যাপারে ট্রাক মালিকরা দ্রুত চাঁদাবাজি বন্ধ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর অবরুদ্ধ থাকায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর অবরুদ্ধ থাকায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক
    অবরোধ করায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
    রয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম। এতে পণ্য
    পরিবহনে স্থবিরতাসহ যাত্রী পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে
    সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে দু’দেশের মধ্যে
    বানিজ্য বন্ধের দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিধান
    সভার বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজিপি’র বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী
    ভোমরা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, এ বন্দর দিয়ে গড়পড়তায় ২৫০ ট্রাক
    পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে পাথর,চাউল ও পেঁয়াজের ট্রাক
    বেশি আমদানি হচ্ছে। আর অল্প পরিমানে রপ্তানি হচ্ছে জুস,কুড়োর
    তেল ও গার্মেন্টস সামগ্রী ।
    ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ জানান, বাংলাদেশের সাথে
    আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের
    ডাক দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা।
    এর অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গায় প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে
    সমাবেশ হয়। এতে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
    হয়ে যায়।
    এদিকে ইমিগ্রশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত
    ভারতগামী যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে। ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর
    তাদের কাছে না থাকায় বাড়ি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন
    তারা।
    এবিষয়ে পাটকেলঘাটার আবেদ আলী জানান,‘‘ ঘোজাডাঙ্গা
    অবরোধের খবরতো আমার জানা ছিলনা। তাই এসেছি। ভোমরাতে
    এসে দেখি ইমিগ্রেশন বন্ধ। ফেরত যাওয়া ছাড়া পথ নেই। ’’
    ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি অহিদুল
    ইসলাম বলেন,‘‘ অবরোধ উঠে যাওয়ার আশা করছি আজ বিকেলেই।
    তখন হয়ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। ’’

  • ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক

    ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়ন। সাম্প্রতিক সময়ের এই বৈরী সম্পর্কের সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে দু’দেশের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। তবে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য রয়েছে স্বাভাবিক।

    ভোমরা স্থলবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত চার দিনে ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৯০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ দশমিক ২৯ কোটি টাকা। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হলেও রাজস্ব আয় ছিল ৩৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই বছর পণ্য আমদানি কম হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৭৭ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

    অন্যদিকে, গত নভেম্বর মাসে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এসব পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে দুই হাজার ৮৪টি ট্রাক।

    ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে বৈরী অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।

    এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়ালেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি বন্দরের কার্যক্রমে। আমরা বৈদেশিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।

  • ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন সাথে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মতবিনিময় সভা

    ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন সাথে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মতবিনিময় সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন এর আয়োজনে সংগঠনের কনফারেন্স রুমে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুসার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভোমরা উদয়ন সমিতির সভাপতি ও সি এন্ড এফ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী, কিরণ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ বাবু, ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর মো. মনিরুল ইসলাম, ক্লিন এন্ড গ্রীন সংগঠনের সদস্য মো. জাকির হোসেন, বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন এর নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ 

    সাতক্ষীরায় ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন রেজিষ্ট্রেশন নং-২১২৯/১৪ এর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ এর নব-নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকালে সংগঠনের হলরুমে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান ভোমরা সি এন্ড এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.আবু হাসান। এসময়   আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভোমরা সি এন্ড এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো.আবু মুছা, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ শাহানুর ইসলাম শাহিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোমরা সি এন্ড এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার, ত্রিবার্ষিক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুস সবুর, সদস্য সচিব লুৎফর রহমান মন্টু ও সদস্য আব্দুল জলিল। ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নব-নির্বাচিত সভাপতি পরিতোষ ঘোষ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাসুদ রানা, সহ-সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ছদরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আলম মিলন, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হাদিউজ্জামান বাদশা, অর্থ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মো. মেহেদী হাসান, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, বর্ডার বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আতিকুর, প্রচার সম্পাদক মো. সোহেল রানা সাগর, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. হাফিজুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শামীম হোসেন, মো. আজহার মাহমুদ ও মো.আব্দুর রশিদ প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, গত ৩১/১০/২০২৪ তারিখে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
  • সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ২

    সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ২

    অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় এক
    দম্পতিকে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে
    ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানী সীমান্ত থেকে
    তাদের আটক করা হয়।
    আটক দুজনের বাড়ি বাংলাদেশে হলেও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার
    হয়েছে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র।
    আটকৃতরা হলেন, জেলার কলারোয়া উপজেলার পশ্চিম খোরদো
    গ্রামের মৃত নরিম গাজীর ছেলে মোঃ আজিজুল গাজী (৪৫) ও তার
    স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা খাতুন (৪২)।
    বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল
    আশরাফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়ানি
    বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে
    কালিয়ানি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে
    যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের
    পেয়ে পালিয়ে যায় দুই দালাল। এসময় তাদের কাছ থেকে দেড় হাজার
    বাংলাদেশি টাকা, দুই হাজার ৪৫০ ভারতীয় রুপী, দুটি ভারতীয়
    এনআইডি কার্ড ও একটি ভারতীয় স্মার্টকার্ড উদ্ধার করা হয়।
    তিনি আরো জানান, আটককৃতদের সাতক্ষীরা সদর থানায়
    সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে তাদের ভারতে পারাপারে সহায়তার
    অভিযোগে দুই দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • বাদামতলায় ইফতার বিতরণ করলেন আসাদুজ্জামান বাবু

    বাদামতলায় ইফতার বিতরণ করলেন আসাদুজ্জামান বাবু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজানের ৯ম দিনে ভোমরা ইউনিয়নের বাদামতলা বাজার এলাকার পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।
    শনিবার (পহেলা এপ্রিল ) বিকালে বাদামতলা বাজারের পথচারী রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেন এবং রোজাদারদের সাথে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী এমনিভাবে প্রতিদিন রাস্তায় দাড়িয়ে ৩’শ রোজদারের হাতে ইফতার পৌছে দিচ্ছেন তিনি।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহয়াবায়ক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্ররীগের সাবেক সভাপতি রেজা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক ও উইপি সদস্যগন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের প্রমূখ।

    ইফতার পেয়ে বাদামতলা এলাকার রিজাউল করিম বলেন, জিসিনপত্রের যে দাম আমাদের পক্ষে ইফতার কেনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু ভাই নিজে হাতে পথচারী ও অসহায় গরীব মানুষের হাতে ইফতার তুলে দিচ্ছেন। ইফতারির প্যাকেট পেয়ে আমি খুবই খুশি।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার মাহফিল বা পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি আমাদের গরিবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় প্রতিদিন ৩’শ দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। আগামী দিনগুলোতে এই কার্যক্রম অব্যহত রাখবো।

  • সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন :  সভাপতি মো. ফিরোজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন

    সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন : সভাপতি মো. ফিরোজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ ৮৬/সাত এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ ৮৬/সাত এর ব্যবস্থাপক কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২২ এর নির্বাচনী ফলাফল সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ ধারা ৩২ (১) বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিটির সভাপতি জিয়াউর বিন সেলিম যাদু স্বাক্ষরিত এ নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, নির্বাচনে প্রত্যেক পদের বিপরীতে একের অধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রদিদ্বন্দিতায় সভাপতি- পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফিরোজ হোসেন, সহ-সভাপতি পদে মো. আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. দেলোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আরিফুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. সাইফুল ইসলাম, সদস্য পদে কাজী আক্তার হোসেন, মো. মাসুদ রানা, মো. মিজানুর রহমান, অমিত কুমার ঘোষ ও মো. আল-মামুন। এই নব-নির্বাচিত কমিটি আগামী ৩ বছর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ ৮৬/সাত এর দায়িত্ব পালন করবে। নব-নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করার সাথে সাথে ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ ৮৬/সাত এর সদস্যরা নব-নির্বাচিতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

  • ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং/গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: ১১৫৫ ও ১১৫৯ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ : ৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত

    ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং/গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: ১১৫৫ ও ১১৫৯ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২ এর চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ : ৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ ১১৫৯ ও ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১১৫৫ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২ চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) যাচাই বাঁছাই ও প্রত্যাহার শেষে এ চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারগণ। দু’টি শ্রমিক সংগঠনের ১৩টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিল ৭২টি। ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ ১১৫৯ এর ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ ১১৫৯ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাইফুল করিম সাবু, সহকারী নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর বিন সেলিম যাদু ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে মো. এরশাদ আলী ও আনারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও আরিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. তরিকুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম, রাজু হোসেন ও মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম ও কুতুব উদ্দীন গাজী, কোষাধ্যক্ষ পদে কামরুল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে মো. কারিমুল ইসলাম ও সেলিম মোল্যা, দপ্তর সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান, ইয়াছিন আলী ও ইদ্রিস আলী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুর ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও আমির হামজাএবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আল-আমিন, নজরুল ইসলাম, রেজাউল গাজী, মনিরুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, শরিফুল ইসলাম, আঃ মালেক, মছিয়ার রহমান, হযরত আলী, আবু-হাসান, লুৎফর রহমান, রবিউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম।
    অপরদিকে ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১১৫৫ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ হারুন উর রশিদ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার এ্যাড.শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার শেখ শাহাঙ্গীর হোসেন সাহিন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়, ৩জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করেছেন এবং ৪জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। সভাপতি পদে আছেন মো. আনারুল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম, হারান চন্দ্র ঘোষ ও নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে মো. তুহিন হোসেন ও মো. আলিম, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মাসুদ আলম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হাফিজুল ইসলাম ও মো. হারুনার রশিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আব্দুল আলিম ও মো. সিরাজ মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আবু সাইদ মো. শওকাত আলী, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজিত কুমার সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত, প্রচার সম্পাদক পদে মো. আলী হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত, দপ্তর সম্পাদক পদে আসাদুল ইসলাম ও কৃষ্ণ পদ গাইন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আবুল কাশেম, মো. আকরম হোসেন ও মো. সাদেক আলী, এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মো. মুনছুর আলী, মো. রকিবুল হাসান হারুন, মনিরুল ইসলাম, মহিদ বিশ^াস, মো. আনিছুর রহমান, মো. আঃ গফ্ফার, আলতাফ হোসেন, মো. আঃ ছাত্তার ও মো. বাবলু হোসেন। নির্বাচনী তফশীলে খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী আগামী ০২/০৬/২০২২ প্রতীক বরাদ্দ এবং ভোট গ্রহণের তারিখ ১১/০৬/২০২২। ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ ১১৫৯ ও ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১১৫৫ এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২২ এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

  • সাংবাদিকদের সাথে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ’র নব নির্বাচিত কমিটির মতবিনিময়

    সাংবাদিকদের সাথে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ’র নব নির্বাচিত কমিটির মতবিনিময়

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ’র) নবনির্বাচিত কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টি মুখ করান।
    মতবিনিময় সভায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম মাকছুদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম আমির হামজা, সাংগঠনিক, বন্দর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, অর্থ সম্পাদক মোঃ আবু মুছা, কার্যকরী সদস্য শাহানুর ইসলাম শাহিনসহ নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ।
    সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, কার্য নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, এসএম রেজাউল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মেহেদী আলী সুজয়, ফয়জুল হক বাবু, এসকে কামরুল হাসান, এসএম আকরামুল ইসলাম, খন্দকার আনিছুর রহমান প্রমুখ।
    সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর একটি সম্ভাবনাময়ী বন্দর। এ বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তারা আরো বলেন, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। আর এ পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে দেশের অন্যান্য বন্দরের চেয়ে ভোমরা স্থল বন্দরের গুরুত্ব অনেক বাড়বে বলে তারা এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  • ভোমরা সিএন্ডএফ’র নব-নির্বাচিতদের শপত গ্রহণ ও দায়িত্বভার হস্তান্তর

    ভোমরা সিএন্ডএফ’র নব-নির্বাচিতদের শপত গ্রহণ ও দায়িত্বভার হস্তান্তর


    ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপত গ্রহণ ও দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
    মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে সংগঠনের কনফারেন্স রুমে নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। 
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সাংসদ এ.কে ফজলুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ। মো. নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম মাকছুদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম আমির হামজা, অর্থ-সম্পাদক আবু মুছা, সাংগঠনিক, বন্দর, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহানুর ইসলাম শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন, ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ১১৫৯ এর সভাপতি এরশাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনয়ন ১১৫৫ এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম প্রমুখ। 
    অনুষ্ঠানের শুরুতে নব-নির্বাচিতদের শপত বাক্য পাঠ করান ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশরাফুর রহমান। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন। এসময় সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ব্যবসায়ী ও ভোমরার বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

  • মন্তব্য প্রতিবেদন : প্রসঙ্গ : ভোমরা সিএন্ডএফ নির্বাচন। চেনা পুলিশ কেন হলো অচেনা?

    মন্তব্য প্রতিবেদন : প্রসঙ্গ : ভোমরা সিএন্ডএফ নির্বাচন। চেনা পুলিশ কেন হলো অচেনা?

    রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী
    —————-

    দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। ৯ বছর আগে ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ লাভ করেছি। এর পাশাপাশি আমদানি ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়ি। ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছলতার সন্ধান পেয়েছি। ইতোপূর্বে সিএন্ডএফ এর কমিটি নিয়ে  তেমন আগ্রহ ছিল না। তারপরও  সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে যুক্ত ছিলাম। নিজের পদের জন্য কখনও কোন নেতার কাছে ধর্ণা ও ধরিনি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন রকম।

    ২০২১ সালের জুন জুলাই মাস থেকে ভোমরা বন্দর এর বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বেসরকারি পার্কিং ওয়ার্ডগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি শুরু হয়। যেহেতু আমদানি ব্যবসার সাথে জড়িত, সে কারণে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির কারণে আমার মত অসংখ্য ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে থাকে। তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিমকে বলেছিলাম, এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আমদানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের আবেদন ফরওয়ার্ডিং করে দায়িত্ব শেষ করেছিলেন।

    এরপর আইন-আদালত শেষে এজাজ আহমেদ স্বপন এর নেতৃত্বাধীন এডহক কমিটির সদস্যপদে এখনো দায়িত্ব পালন করে চলেছি। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এজাজ আহমেদ স্বপন এর নেতৃত্বে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। কিছুটা সফলতা আসে। কিন্তু মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর থেকে আবারো সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি শুরু হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির ৪ জন সদস্য যুক্ত স্বাক্ষরের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে গত ৩১ মার্চ সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠায়। অন্যথায় সিরিয়াল বহির্ভূত আমদানিজাত পণ্যবাহী ট্রাক আটক করে জরিমানা আদায়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করি। আমদানিকারকদের অনুরোধে গত ৩ এপ্রিল থেকে সিরিয়াল বহির্ভূত পণ্যবাহী ট্রাকের বিল অব এন্ট্রি আটকাতে শুরু করি। গত ৪ এপ্রিল আরো একটি বিল অফ এন্ট্রি আটকায়। উদ্দেশ্য একটাই সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ।। জরিমানার ভয়ে আমদানিকারকরা যেন চাঁদা দিয়ে সিরিয়াল বহির্ভূত গাড়ি বন্দরে না ঢুকায়। কিন্তু ঘটে যায় বিপত্তি। ঐদিন রাতে একজন আমদানিকারক জানাই, সিরিয়াল বহির্ভূত আমদানিজাত পণ্যবাহী ট্রাক আটকানো যাবে না। কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে জানালো, এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার কথা। ওই আমদানিকারকের পীড়াপীড়িতে সিরিয়াল বহির্ভূত গাড়ির বিল অব এন্ট্রি আটকাতে ব্যর্থ হই। পরদিন ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে ফোন করেছিলাম। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ওপারে চাঁদাবাজি হচ্ছে আমাদের তাতে কি। বললাম ভোমরা বন্দরের ৮টি সংগঠনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য জরিমানার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চাই। ওই কর্মকর্তাকে বুঝাতে ব্যর্থ হলাম। বুঝতে পারলাম “ডাল মে কুচ কালা হে”! নিজেদের মধ্যে ভূল বুঝাবুঝি ও মতপার্থক্যের কারণে আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন এর স্থলাভিষিক্ত হন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান।

    সম্ববত ১৩ এপ্রিল, আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের সাথে ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে গেলাম। বললাম, আপনার কারণে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলাম না। তিনি আশ্বস্ত করলেন, ওপারের সম মর্যাদার প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।

    এরই মধ্যে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি বার্ষিক নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা হল। অতীতে না থাকলেও এবারের কমিটিতে আমার আগ্রহ ছিল, এমন একটি কমিটি তৈরি করা যাদের নেতৃত্বে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করে ভোমরা বন্দরকে রক্ষা করা যায়। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বললাম। আশ্বস্ত করা হলো, আওয়ামী লীগপন্থী সিএন্ডএফ এজেন্টদের নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষ নেতা ও এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। তফসিল অনুযায়ী গত ৯ মে ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিন। আগের দিন রাতেই খবর পেলাম ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদ হাইব্রিড নেতাদের দখলে চলে যাচ্ছে। মোটা অংকের লেনদেনের কথা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। বুঝতে অসুবিধা হলো না, আমাদেরকে পুঁজি করে তারা বাণিজ্য করতে দ্বিধা করছে না।

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ‌্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। কথা হল আরো কয়েকজনের সাথে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিনে আমি যাওয়ার আগেই মিজান ভোমরায় পৌঁছে গেছে। আমি ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ‌্যাসোসিয়েশন ভবনে পৌঁছে দেখি বিশাল পুলিশ বাহিনী । গাড়ি থেকে নেমে অ্যাসোসিয়েশনের অফিস কক্ষে যেতে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলাম। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন ইন্সপেক্টর ও সাব্ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা সম্পন্ন অফিসার বিশাল বাহিনী নিয়ে ভবনের গেটে অবস্থান করছেন। অধিকাংশ পুলিশ অফিসার পরিচিত। তাদের সাথে রয়েছে সুন্দর সুসম্পর্ক। ছোট্ট শহরে প্রতিনিয়ত দেখা হয়। প্রতিনিয়ত তাদের সাথে কুশলাদি বিনিময় হয় । এদের মধ্যে একজন সাতক্ষীরা সদর থানার ইন্সপেক্টর তারেক বিনয়ের সাথে বললেন, দাদা এখানে ঢোকা যাবে না। নির্দেশনা নেই। অফিস কক্ষে বসে ছিলেন আহ্বায়ক মিজানুর রহমান। খবর পেয়ে সে বাইরে বেরিয়ে এলো। আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে নিজেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হল। নির্বাচন কমিশনের কেউ ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ‌্যাসোসিয়েশন ভবনে আসেনি। মিজান ও আমি বাইরে অপেক্ষা করার সময় দেখতে পেলাম, অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে ফিরে গেল। যেসব পুলিশ অফিসাররা দায়িত্বরত ছিল তাদের অধিকাংশই পরিচিত। তাদেরকে দিয়ে ঐদিন যে দায়িত্ব পালন করানো হলো, তা কতটুকু বৈধ ছিল? আর এই চেনা পুলিশগুলো কেনই বা হঠাৎ অচেনা হয়ে গেল? একজন সহকর্মী বলল, দাদা টাকার কাছে চেনা মানুষ অচেনা হয়ে যায়।

    লেখক পরিচিত :
    সংবাদকর্মী, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানীকারক

  • ভারতের সিন্ডিকেটের মাসে ২১ কোটি চাঁদাবাজি ভোমরার ব্যবসায়ীরা আছে জিম্মিদশায়

    ভারতের সিন্ডিকেটের মাসে ২১ কোটি চাঁদাবাজি ভোমরার ব্যবসায়ীরা আছে জিম্মিদশায়

    সংবাদ প্রেরিত: তীব্র আন্দোলনের মুখে ভোমরা স্থল বন্দরের বিপরীত পাড়ে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও নেতৃত্ব পরিবর্তনের পর তা আবার শুরু হয়েছে। দৈনিক ৭০-৮০ লক্ষ টাকা হিসাবে মাসে ২১-২৪ কোটি টাকা ওপারের সিন্ডিকেটকে সিরিয়ালের নামে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। ওপারের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির ঘটনায় নিশ্চুপ থাকার জন্য এপারের বিভিন্ন সেক্টরের নেতারা প্রতিদিন পাচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। 
    তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভোমরা স্থল বন্দরের বিপরীত পারে ঘোজাডাঙ্গায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ২০২১ সালের জুলাই থেকে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি শুরু করে। তারা পাথরের ট্রাক প্রতি ৫০ হাজার, ভুষির ট্রাক ১০-১৫ হাজার, পেয়াজের গাড়ী ২৫ হাজার, তুলার গাড়ী ২০ হাজার, ফলের গাড়ী ২৫ হাজার টাকা নিয়ে সদ্য দিনেই ছেড়ে দেয়। টাকা না পেলে পাথরের গাড়ী ৬০দিন পর্যন্ত আটকে রাখে। এ সময় ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম। পরবর্তীতে পাতানো নির্বাচনে নওশাদ দিলওয়ার রাজু সভাপতি এবং মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম সাধারণ সম্পাদক হয়। এই দুই কমিটির মেয়াদে শুরু হওয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে ওঠে এপারেরর আমদানী-রপ্তানীকারকরা। পাশাপাশি এজাজ আহম্মেদ স্বপন আহবায়ক এবং সদস্য সচিব হন এ এস এম মাকসুদ খান। তারা এসেই ব্যবসায়ীসহ ভোমরা স্থলবন্দরের সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলনের মুখে ওপারের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে এজাজ আহমেদ স্বপনের লাইসেন্স নিয়ে সংকট তৈরি হয়। সংকটের কারণে প্রায় ২৭ দিন আহবায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি এজাজ আহমেদ স্বপন। এই সুযোগে ওপারে আবারও শুরু হয় সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি। সাথে সাথে সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের এডহক কমিটির ৫জনের মধ্যে অনৈক্য শুরু হয়। ৪জন সদস্য অনাস্থা আনেন আহবায়কের বিরুদ্ধে। খুলনা শ্রম অধিদপ্তর থেকে মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করা হয়। কমিটির অপর ৩জন সদস্য হলেন আশরাফুজ্জামান আশু, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও এ এস এম মাকসুদ খান।
    এই ৪ন সদ্যস্য সম্প্রতি সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ঘোজাডাঙ্গার সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনকে পত্র দেন।  তারা পত্র দিয়েই দায় সারেন। শুরু হওয়া চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। আন্দোলনের হুমকি দিলেও কোন আন্দোলনের খবর নেই।
    এরই মধ্যে ভোমরা বন্দরের একজন পাথর ব্যবসায়ীকে বিশেষ জায়গা থেকে সতর্ক করা হয়েছে ওপারের টু-শব্দ না করতে। ওপার থেকে প্রতিদিন দশ লক্ষ বাংলা টাকা আসছে এপারের বিভিন্ন সেক্টরের নেতাদের পাশাপাশি একাধিক দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের সন্তুষ্ট রাখতে।
    সাধারণ ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের আবারও জিম্মি করে সিরিয়ালের নামে ওপারে দিনে ৭০/৮০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। মাসে এর পরিমান ২১/২৪ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবী এজাজ আহমেদ স্বপনকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে সরানো হয়েছে ওপারের চাঁদাবাজি জায়েজ করার জন্য। সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েনের নেতৃত্বে এজাজ আহমেদ স্বপন থাকলে ওপারের নতুন করে শুরু হওয়া চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব হতো।  চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে এডহক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রর্তী বলেছেন, চাঁদাবাজি বন্ধে যাতে আন্দোলন না করি সেজন্য হুমকি আছে। হুমকি প্রত্যাহার হলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারবো আমরা।

  • তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    একদিনে যাতায়াত খরচ আড়াই লক্ষ টাকা দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের বালিশ কান্ডকেও হার মানিয়ে এবার সমালোচনার মুখে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের (রেজিঃ নং-খুলনা-২০৪৬) সদ্য সাবেক আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন। এখানেই শেষ নহে, এভাবেই বিভিন্ন খ্যাত দেখিয়ে গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্যরাও। এদিকে, তহবিল তছরুপ, অনিয়ম ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করে মিজানুর রহমানকে নতুন আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ওই চার সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এসোসিয়েশন সচল রেখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষে কার্যক্রম শুরু করেছে। অপরদিকে, জনমানুষের সামনে ওই আদেশকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন এর অনুসারীরা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বুধবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় কতিপয় পত্রিকায় বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক এর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন বলে জানা যায়।

    জানা গেছে, বিগত কয়েক মাসে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন কমিটির অনুমোদন ছাড়াই প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ করেছেন সেই খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও চাউর হয়েছে। এছাড়াও তিনি তার একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনা করায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে। যার ফলশ্রতিতে আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মাকসুদ খানের সভাপতিত্বে গত ২৯ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির চারজন সদস্য জরুরি সভায় মিলিত হয়ে আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত ৫ এপ্রিল ওই সভার গৃহীত সিদ্ধান্তের রেজুলেশনের কপিসহ কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মাকসুদ খান ও মিজানুর রহমান অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর এর পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক উভয় পক্ষকে গত ১০ এপ্রিল তার দপ্তরে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রদান করেন। চারজন আবেদনকারী সশরীরে ও ভার্চুয়ালি বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে পৃথকভাবে জবানবন্দি প্রদান করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত বিদায়ী আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন লিখিতভাবে তার বক্তব্য পেশ করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে গত ১১ এপ্রিল ২০২২ ইংরেজি তারিখে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) স্বাক্ষরিত ৪০.০২.০০০০.১০৩.৩৪.২১.২০১৩.৮৪২ নম্বর স্মারকে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করেন। একই আদেশে তিনি অত্র অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম সচল রাখা ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের প্রস্তাব অনুযায়ী মিজানুর রহমানকে আহ্বায়কের পদে নিযুক্ত করেছেন।

  • উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে

    জহুরুল কবীর:

    উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এশিয়ার বৃহত্তম সবুজ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এই জেলায় অবস্থিত। এই উপকূলের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। শক্ষিাঙ্গণরে মহা পুরুষ খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ এই শহরের গর্ব। তাছাড়া শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যপক ডাঃ এম আর খান, ডাঃ রুহুল হক (সাবেক মন্ত্রী) (অর্থপেডিক্স), শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ শ্যামাপদ পাল, ডাঃ আজিজার রহমান; বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানি ড. এম মতিয়ার রহমান; বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী; প্রথম মুসলিম মহিলা কবি আজিজুননেছা খাতুন; বাঙালি লেখক/কবি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী; বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর; সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আব্দুল মোতালেব; বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমর মিত্র (৩০ আগস্ট, ১৯৫১) ও আবুল কাশেম মিঠুন, পরীমনি; প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমীন; চিত্রনায়ক আমিন খান ও রানী সরকার; নাট্যশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী হামিদ ও মৌসুমী হামিদ; বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহাঙ্গীর; আব্দুল জলিল (ঈশিকা); ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার; নারী ফুটবলার সাবিনা; রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন (সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদ-১৯৭০ ); এম মনসুর আলী (সাবেক মন্ত্রী), সৈয়দ কামাল বখত সাকি, সৈয়দ দীদার বখত; পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়; সাবেক সেনা প্রধান ভারতের শঙ্কর রায় চৌধুরী প্রমুখ জ্ঞানী-গুণিজন এই জেলার অহঙ্কার। ভোমরা স্থল বন্দর, চিংড়ি ও কাকড়া শিল্প এই জেলার বৃহৎ রাজস্ব আয়ের উৎস।
    কপোতাক্ষ, ইছামতি (আদি যমুনা), কালিন্দী, কাকশিয়ালী, বেতনা(বেত্রাবতী), খোলপেটুয়া, গলঘেসিয়া, মরিচ্চাপ এই জেলার প্রধান প্রবহমান নদ-নদী সমুহ। এছাড়া প্রাণসায়র খাল জেলা শহরের প্রধান জল প্রবাহ।


    জলবদ্ধতা, লোনা পানি, আন্তর্জাতিক সীমানা এই জেলার প্রধান সমস্যার উৎস। জেলার দক্ষিণ উপকূলীয় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ ইউনিয়ন মিষ্টি পানির অভাবে বছরের বার মাস খাওয়ার পানি সঙ্কটে ভোগে। জেলার নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরে লোনা পানি উঠানোয় বসতি এলাকাও লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানির প্রচ- অভাবী এই উপকূল।


    নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকা অপেক্ষা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো ওভারফ্লো হয়ে পানি বসতি এলাকায় প্রবেশ করায় বছারের প্রায় ১২মাস উপকূলের অধিকাংশ ইউনিয়ন পানির নিচে থাকে। ফলে পয়নিষ্কাশনের মারাত্মক অসুবিধায় ভোগে এলাকার মানুষ। গৃহপালিত পশুর জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এলাকায় কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। হাতে গোনা কিছু মানুষ জলে এবং জঙ্গলে কাজ করলেও তাতে পরিবারে স্বচ্ছতা ফেরে না। অভাবের তাড়ণায় পিতামাতা শিশু কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজে পাঠাতে বাদ্য হচ্ছে। গত বছর শ্যামনগরের কয়েকটি পরিবারের একাধিক শিশু ঢাকা গাজীপুর ইট ভাটায় দাদন খাটতে যেয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ হারে হ্রাস পাচ্ছে শিক্ষার হার। কর্মহীনতা যার প্রধান কারণ। সাতক্ষীরা উপকূলের নিন্ম শ্রেনীর বড় একটা গোষ্টি সুন্দরবন নির্ভর হয়ে হরে পড়েছে। কাঠ ও গোলপাতা কাটা, মধু আহরণ, পশু শিকার, মাছ ধরা ইত্যাদি এদের প্রধান পেশা হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। জঙ্গলের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জনপদে চলে আসছে বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণী। যার জন্য বনজীবীরা বাঘের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
    সাতক্ষীরা এমন একটা জেলা যেখানে সরকারি বে-সরকারি কোন কলকারকাখা নেই। আশির দশকে তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনছুর আলী একটি টেক্সটাই মিল (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তি সরকারের বাটপারেরা লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এর (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) বিশাল জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। জেলার সামন্য একটা জনগোষ্টি ভোমরা স্থল বন্দরের সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
    শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য এই জেলায় কোন কর্মসংস্থান না থাকায় বৃহত্তর চাকরী প্রার্থি রাজধানি মুখি হয়ে ওঠে।
    সাতক্ষীরা ভারত সীমান্ত ঘেসা হওয়ায় উৎপাদন মুখি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মূল্য সংকটে পড়ে। রাজধানি ঢাকা থেকে কাচামাল এনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে দেখা গেছে পাশের রাষ্ট্র ভারতে তার দাম অনেক কম। আবার চায়না পণ্যের মূল্য আরো কম হওয়ায় ঢাকার মার্কেটেও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বেঁচা যায় না।
    এরকম নানান সমস্যা ও জটিলাতার জেলা উপকূলীয় সাতক্ষীরা।
    শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা থেকে সাতক্ষীরা বঞ্চিত। বিভিন্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সারা বছর আন্দোলন করলেও অদ্যবধি কোন জাতীয় বাজেটে দক্ষিণ উপকূলের জন্য বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ বা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।


    এমতাবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান দাবীসমুহ উপকুলীয় নদ-নদীসমুহে প্রবাহ বাড়াতে নদী খননসহ আন্তনদী সংযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বরাদ্ধ দিতে হবে। মাওয়া থেকে সুন্দরবন (লিঙ্ক মোংলা, ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর) মহাসড়কের আওতায় হাইওয়ে সড়ক ও রেল লাইন নির্মান করতে হবে। পদ্মার এপারে খুলনায় আন্তর্জাতিক আমদানি নির্ভর মার্কেট তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য খুলনা থেকে দেশব্যাপী সরবরাহ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল আমদানী এখান দিয়ে করতে হবে। জেলার সাত উপজেলায় সাতটি পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাতটি ২০ লাখ শ্রমিক নির্ভর ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে হবে। ভারতের বিভিন কোম্পানীর ম্যানুফ্যক্সারিং কারখানা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে স্থাপন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রধান স্থপনা সুন্দরবনের শক্তি বৃদ্ধিতে বনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে। বিশাল বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা সুন্দরবনের পরিধি দিনকিদিন সাগরে ভেঙে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরে সুন্দরবনের ভাঙন রোধে বিশেষ বাধ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এশিয়ার বৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরকে পর্যাটন নগর ঘোষণা করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমএলএসএস পদে প্রশাসনিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

  • উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস

    উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোমরার হাড়দ্দহায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ময়মনসিংহ’ বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নুরুল ইসলাম। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম।
    সভাপতিত্ব করেন, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো: বাবুল আকতার। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিনা), সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, মশিউর রহমান, মশিউর রহমান, ফার্ম ম্যানেজার ফররুখ আহমেদ, প্রদর্শনী প্লাটের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন, আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন, বিনা সরিষা-৯ লবন সহিষ্ণু এবং সামান্য জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। এছাড়া এটি একটি উচ্চফলনশীল ফসলও বটে। জলাবদ্ধতা এবং লবনাক্ততার কারণে যে সব জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব হয় না। সে সব জমিতে বিনা সরিষা-৯ ভালো ফলন দেয়। এছাড়া এটি কৃষকের জন্য লাভজনক একটি জাত। এটি চাষাবাদে কৃষক লাভবান হবে।