Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 8 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে কাজ শুরু হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

    পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে কাজ শুরু হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

    পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পাচার হওয়া টাকা আনার জন্য অলরেডি (ইতোমধ্যে) একটা টাস্কফোর্স আছে, গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটার জন্য কিছু কারিগরি সহযোগিতা লাগবে। উনি (গভর্নর) ওয়াশিংটন গেছেন, আমরাও যাচ্ছি। ওখান থেকে আনা হবে। অতএব এটা আমাদের একটা প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার)। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে।

    রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক হয়েছে, সেখানে তারা দাবি করেছেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য কমিশন গঠন করা। এটার কি সিদ্ধান্ত হয়েছে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পাচার হওয়া অর্থের অলরেডি একটা টাস্কফোর্স আছে এবং গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটার জন্য কিছু কারিগরি সহযোগিতা লাগবে।

    কমিশন গঠন করার প্রয়োজন আছে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কমিশন গঠন করার বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। অলরেডি একটা টাস্কফোর্স করেছি। এটার জন্য জাতীয় একটা কমিটিও আছে। আমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেখি, তারা কি বলে।

    কতোদিনের মধ্যে ফেরত আসতে পারে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেটা বলা যাবে না। কাজ তো শুরু হয়ে গেছে অলরেডি (ইতিমধ্যে)। টাকা গেছে অনেক বছর ধরে, হঠাৎ করে ফেরত আসার সম্পর্কে এখন আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন। অ্যাকটিভলি কাজ শুরু হয়ে গেছে।

    ডিম আমদানির পর ডিমের বাজারে স্বস্তি এসেছে, কিন্তু সবজির বাজারে এখনো স্বস্তি আসেনি। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সবজি সিজনাল আসলে বাজারে স্বস্তি আসবে। সবগুলো সবজিতে স্বস্তি আসবে।

    বাজারে মানুষ এখনো স্বস্তি পাচ্ছে না। সাংবাদিকরা পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাজারে স্বস্তি পাচ্ছে না, আমরা তো চেষ্টা করছি যতটুকু সরবরাহ করা যায়। ওপেন মার্কেটে (খোলা বাজার) আমরা দিচ্ছি, টিসিবিও আলাদাভাবে দিচ্ছে। টিসিবি ছাড়াও কৃষি বিপণন করছে। কয়েকটা প্রাইভেট সংস্থা আছে, তারা নিজ উদ্যোগে করছে। ওরা নিজেদের অর্থে করছে, তাদেরকেও আমরা এনকারেজ (উৎসাহিত) করছি।

    একজন সমন্বয়ক বলেছেন আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছেন? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যর্থ, সফলতার বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।

    এদিকে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে গঠিত টাস্কফোর্স গত ২৯ সেপ্টেম্বর পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে।

    গভর্নরকে সভাপতি করে গঠন করা এই টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধি।

    এই টাস্কফোর্সের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর কাজ হবে, বাংলাদেশ হতে বিদেশে পাচার করা অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিত করা ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা প্রদান, পাচার করা সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ, বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ, জব্দ বা উদ্ধার করা সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ তথ্য আহরণ এবং পাচার করা সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্সের কার্যাবলী সমন্বয় করবেন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

    এর আগে ২০২২ সালের ৫ মে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি এটি পুনর্গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এর সদস্য ছিলেন- বিএফআইইউর প্রধান কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনার একজন কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখার যুগ্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফিনান্সিয়াল ক্রাইম), বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক। সদস্যসচিব ছিলেন বিএফআইইউর উপপ্রধান কর্মকর্তা।

  • দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে জনজীবন

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চরম সংকটে জনজীবন

    বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অস্থিরতা বিরাজ
    করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনজীবনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত
    গভীর ও বহুমাত্রিক। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ
    মানুষের জীবনযাত্রার মান নেমে আসছে এবং ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেঁচে থাকা
    কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে, নি¤œ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর এর চরম
    প্রভাব পড়ছে।
    সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে, যা
    দেশের দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক অসন্তোষের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। সাধারণ
    মানুষের আশা ছিল, ক্ষমতার পালাবদলের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে এবং
    জীবনযাত্রার মান কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দুই মাস
    পেরিয়ে গেলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনের বাজার
    পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে এবং সরকারের
    ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
    বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত, যেখানে নূন্যতম
    খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয়ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন
    উচ্চমূল্যে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য ডিম-মুরগির মতো
    প্রোটিনজাতীয় খাদ্য কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে
    টিসিবির ট্রাকে লাইন দিয়ে কম দামে পণ্য কেনার চেষ্টা করতে হচ্ছে, যা তাদের
    জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্তিকর।
    বর্তমান বাজার সংকটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, সরকারের অদক্ষতা,
    সিন্ডিকেটের কারসাজি, এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা। অতীতে
    সরকারের নীতিমালায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাজার
    অস্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং রাজনৈতিক
    পৃষ্ঠপোষকতায় বাজারের অস্থিরতা আরো জটিল হয়ে উঠেছে, যা দ্রব্যমূল্যের
    ঊর্ধ্বগতির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
    বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক হওয়ায়, গ্রামীণ কৃষির অবনতি সরাসরি
    বাজার সংকটে প্রভাব ফেলে। বর্তমানে কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং
    প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদন কমে গেছে, যার ফলে বাজারে পণ্যের
    ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। গ্রামীণ কৃষকরা পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করতে না পারায়
    সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষিতে পুনরায়
    বিনিয়োগ ও কৃষকদের উৎসাহিত করা এখন সময়ের দাবি।
    যদিও সরকার সম্প্রতি কিছু পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিয়েছে, তবে
    তা মোটেও যথেষ্ট নয়। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সিন্ডিকেটের
    কারসাজি বন্ধ করতে হবে এবং সরবরাহ চেইনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
    কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য
    সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায়, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে

    উঠবে এবং জনমনে অসন্তোষ ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য
    ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
    বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে কেবল বাজার নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং
    অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে তৎপর হয়ে
    জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতির
    বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের মানুষের কল্যাণে শক্তিশালী ও
    দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই।

  • পাইকগাছায় ১০০ পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনশীল টয়লেট বিতরণ 

    পাইকগাছায় ১০০ পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনশীল টয়লেট বিতরণ 

    পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ ১০০ দরিদ্র  পরিবারের মাঝে লিডার্স এর দুর্যোগ সহনশীল টয়লেট বিতরণ

    পাইকগাছা:

    অদ্য ১৯ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের বাস্তবায়নে
    দাতা সংস্থা ফ্রান্সের LiFE- ONG এর সহযোগিতায় "Emergency WASH Response to Cyclone
    Remal Affected People in Paikgacha Upazilla of Khulna District” প্রকল্পের আওতায় ঘূর্ণিঝড়
    রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ পাইকগাছা উপজেলায় দেলুটি ইউনিয়নে  ১০০ দরিদ্র পরিবারের মাঝে দুর্যোগ
    সহনশীল টয়লেট বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুকুমার
    কবিরাজ, প্যানেল চেয়ারম্যান, দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি
    সদস্য রামচন্দ্র টিকাদার, পবিত্র কুমার সরদার, রিংকু রায়, পলাশ কুমার রায়। আরও উপস্থিত ছিলেন
    লিডার্স এর দেবব্রত কুমার গাইন, প্রকল্প সমন্বয়কারী, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আলমগীর হোসেন ও
    আবুল হাসান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায়  ১০০ দরিদ্র
    পরিবারের মাঝে লিডার্স যে দূর্যোগ সহনশীল টয়লেট বিতরণ করেছে তা প্রতিটি পরিবারে সুস্বাস্থ্য
    নিশ্চিত হবে এবং রোগমুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ পাইকগাছা উপজেলার
    লস্কর, সোলাদানা ও দেলুটি ইউনিয়নে সর্বমোট ২৫০ দরিদ্র  পরিবারের মাঝে দুর্যোগ সহনশীল টয়লেট
    বিতরণ করা হবে।

  • তালায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি

    তালায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি

    সাতক্ষীরার তালায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন । শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এ আদেশ জারী করেন।

    এদিকে উক্ত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হলে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন মেয়ের বাবা।

    তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, শুক্রবার উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাতী গ্রামের এর স্কুলছাত্রীর (১৬) বিয়ের আয়োজন ছিল। এ ব্যাপারে জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মো. সাকিবুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে গিয়ে হাজির হন তালার কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার প্রসেনজিৎ ঘোষ, সরুলিয়া ক্লাবের সংগীত শিক্ষক টুম্পা বিশ্বাস এবং পাটকেলঘাটা থানার পুলিশের একটা টিম।

    এ সময় উক্ত বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ওই ছাত্রীর বাবা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে মুচেলকা প্রদান করেন।

  • ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

    ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

    ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো

    (ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার।

    (খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ০৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।

    (গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।

    অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত বিষয়সমূহ হলো

    (ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।

    (খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।

    (গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।

    (ঘ) পার্বত্য

     চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (১টি শনিবার)।

    (৪) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত) ২৬ দিন।

    উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুমোদিত মোট ছুটি (০২ দিনের সাপ্তাহিক তুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ দিন।

  • শ্যামনগরে “খোটা শাক রান্না” প্রতিযোগিতা

    শ্যামনগরে “খোটা শাক রান্না” প্রতিযোগিতা

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিশ^ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে অচাষকৃত শাকের রান্না
    প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (১৬ অক্টোবর) শ্যামনগর পৌরসভার সোনামুগারী গ্রামে অচাষকৃত
    উদ্ভিদবৈচিত্র্যের খাদ্যগুণ ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো
    এবং সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস
    নলেজ (বারসিক) গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণে এই রান্না প্রতিযোগিতার
    আয়োজন করে।
    সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন এগ্রোইকোলজি ২০২৪ এর অংশ
    হিসেবে আয়োজিত এই রান্না প্রতিযোগিতায় ১২জন নারী বাড়ির আনাচে-
    কানাচে, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে সংগ্রহ করে কচুশাক, ঘোড়াসেঞ্চী,
    মাঠিফোড়া, ডুমুর, বুনো আমড়া, থানকুনি, শাপলা, কলমি, কলার মোচা,
    আদাবরুণ, তেলাকচু ও গিমে শাক রান্না করেন।
    সোনামুগারী নারী সংগঠন, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবক কমিটির
    সহায়তায় গ্রামীণ এক উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই রান্না
    প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল খাবার রান্না, স্বাদ গ্রহণ এবং শাকের
    সাথে পরিচিতিকরণ।
    অচাষকৃত শাক রান্না প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর
    প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল মনির, ভুরুলিয়া ইউপি সদস্য মো: আব্দুল মজিদ,
    শিক্ষক রনজিত বর্মন, উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম আহসানউল্লাহ,
    কৃষাণী কোহিনুর বেগম, উন্নয়ন কর্মী লীমা বালা, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ,
    শিক্ষার্থী বন্যা, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার,
    প্রতিমা চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ মন্ডল প্রমুখ।
    বক্তারা উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবেলা করে টিকে থাকতে হয়। একসময় শ্যামনগর
    এলাকা উদ্ভিদবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিলো। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও ঘন
    ঘন দুর্যোগের কারণে তা কমতে শুরু করেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা
    নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক উৎস সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী।

  • ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

    এদিকে ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

    অভিযানে ডিমের দাম তেমন একটা কমেনি, বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

    রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

  • বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, নতুন হেড কোচ সিমন্স

    বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, নতুন হেড কোচ সিমন্স

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগেই বরখাস্ত হাথুরুসিংহে। আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে আপাতত শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার জায়গায় আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, পরবর্তীতে হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাই করা হবে।

    ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম মানিয়ে নিতে। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানো, জাতীয় দলের খেলোয়াড়ে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’

    বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স

    বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স

    ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু সেবার চুক্তির মাঝপথে হাথুরুসিংহে অনেকটা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। সেই সময়ে আলোচনা ওঠে, কোনও ক্রিকেটার বা বোর্ড কর্তার সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণেই হয়ত দেশ ছাড়েন তিনি। যদিও অনেক পরে এসে জানান, শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার কারণেই সেই সময়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।

    ২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূরণ না করে এবারও বরখাস্ত করা হলো হাথুরুসিংহেকে।

    দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুর অধীনে ১০টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে হারজিত সমানে সমান- ৫টি জয় ও ৫টি হার। তবে ওয়ানডেতে ফল ছিল হতাশাজনক- ৩৫ ম্যাচে ১৩টি জয়, হার ১৯টি, ৩ ম্যাচে ফল হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ ম্যাচের ১৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ১৫টি, একটিতে ফল হয়নি।

    কোচ হাথুরুসিংহেকে নিয়ে পুরোনো দ্বন্দ্ব বিসিবির নতুন বস ফারুক আহমেদের। ২০১৬ সালে দল নির্বাচনে হাথুরুর হস্তক্ষেপের কারণেই প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন ফারুক। বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য হাথুরু খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’

    রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির সভাপতির চেয়ারে বসেই আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকার কথা জানান ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব নেবার প্রথম দিনেই হাথুরুকে বাংলাদেশ দলে না রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

    অভিযোগ আছে, প্রথম মেয়াদের মতো দ্বিতীয় মেয়াদেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ‘ম্যানেজ’ করে চলতেন হাথুরুসিংহে।  যে কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবি, টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে হতাশাজনক পারফরম্যান্সেও কোচের কোনো দায় দেখেনি বিসিবি।  ফারুক আহমেদ মনে করেন, হাথুরুসিংহে দেশের ক্রিকেটের কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছেন।

  • যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা, আটক ৪

    যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা, আটক ৪

    শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের দেবী কালীর মাথার মুকুট চুরির ঘটনায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় বাদী হয়ে শনিবার রাত দুইটায় শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবিকে।

    এদিকে চুরির রহস্য উদঘাটনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে ডিবি। আটকরা হলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জী (৪৭), পুরোহিতের সহকারী অপূর্ব সাহা (৩৭), সঞ্জয় বিশ্বাস সাজু (৪০), পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা রানী (৪২) ও পারুল বিশ্বাস (৪১)।

    মামলার এজাহারে বাদী জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় উল্লেখ্য করেন, যশোরেশ্বরী মন্দির একটি তীর্থস্থান। ১৮০৯ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মন্দিরটি পরিচালনা করছেন। গত ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি মন্দির পরিদর্শনকালে দেবীর মাথায় রুপার ওপর সোনার জলের রং করা মুকুটটি পরিয়ে দেন। প্রায় ৩০ ভরি ওজনের ওই মুকুটের মূল্য প্রায় লাখ টাকা।

    মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জীর কাছে মন্দিরের চাবি থাকে। তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাঝেমধ্যে রেখা রানীকে পুরোহিত চাবি হস্তান্তর করেন। এমন এক অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর আগত ভক্তদের সেবা দেওয়ার সময় মন্দিরের চাবি খুলে কাজের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেখা অসাবধানতাবশত বাইরে চলে যায়। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেবীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান সমকালকে বলেন, শনিবার রাতে মামলার পর বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা পাঁচজনকে আটক করেছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজের যুবককে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

  • মোদির দেওয়া মুকুট উদ্ধার করতে পারলেই পুরস্কার

    মোদির দেওয়া মুকুট উদ্ধার করতে পারলেই পুরস্কার

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় চোর ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

    শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

    ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি: চোরকে ধ‌রি‌য়ে দিতে বা কোনো সন্ধান বা শনাক্তে সাতক্ষীরা জেলা পু‌লি‌শকে সহায়তার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পু‌লিশ সুপার সাতক্ষীরা মহোদয় মুকুটের সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত ক‌রিবেন।

    এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণের মুকুটটি চুরি হয়। এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

    জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি সেখানে সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান। এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।

    সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকার বলেন, দুপুরে একটি অন্নপ্রাশনের পূজা শেষ করে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য পাশের টিউবওয়েলে যাই। পরে সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি প্রতিমার মাথার মুকুটটি নেই। পরে আমি মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।

    শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় জড়িতকে ধরতে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে।

  • কোন হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপর আঘাত আসলে সামনে থেকে তা প্রতিহত করবো, —–সাতক্ষীরায় পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিব

    কোন হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপর আঘাত আসলে সামনে থেকে তা প্রতিহত করবো, —–সাতক্ষীরায় পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিব

    প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, ছাত্রজনতার গন অভ্যুত্থানের পর যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করেছে তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা। তাই তারা আমার দলের হলেও তাদের কোন ছাড় নেই। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি এসময় বলেন, আগামীতে কোন হিন্দু ধর্মালম্বীদের ভাই বোনের উপর আঘাত আসলে আমি সামনে থেকে তা প্রতিহত করবো। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
    তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার গাড়ি বহরের হামলার সাজানো মামলায় আমাকে ৭০ বছরের কারাদ্বন্ডাদেশ মাথায় নিয়ে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়েছে। কিন্তু ছাত্রজনতার গন অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আমি পূন:জন্ম লাভ করেছি।
    আজ শুক্রবারর দুপুরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেসরা ইউনিয়নে দূর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি জালালপুর, ইসলামকাটি, তেতুলিয়া, পাটকেলঘাটা ও কুমিরা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
    এসময় তার সাথে ছিলেন, তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষক মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা।
  • শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে সোনার মুকুট চুরি, সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ

    শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে সোনার মুকুট চুরি, সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ

    শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে।
    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২ টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এটি চুরির ঘটনা ঘটে।
    এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির ঘটনায় জড়িত এক সন্দেহভাজন যুবকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
    জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়িতে যান। এসময় মন্দির প্রাঙ্গণে সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে। সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকার জানান, দুপুরে পূজা শেষ করে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি তার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর তিনি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য পাশের টিউবওয়েলে যান। পরে সেখান থেকে ১-২ মিনিটের ব্যবধানে ফিরে এসে দেখেন প্রতিমার মাথার মুকুটটি নেই। পরে মন্দিরের সবাইকে বিষয়টি জানান তিনি।
    এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় জড়িতকে ধরতে সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্ত চলছে।
  • সাতক্ষীরার মন্দির থেকে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি

    সাতক্ষীরার মন্দির থেকে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরি

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে মন্দির কমিটির দাবি। চুরির ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে একটি যুবককে মন্দিরের মুখোশ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

    জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দুপুরে মন্দিরে একটি মানতের অন্নপ্রাশনের পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান।

    এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখা সরকারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।রেখা সরকার বলেন, দুপুরে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য অসাবধানবশত মন্দিরের দরজা খোলা রেখে পাশের টিউবওয়েলে যাই।

    সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি মায়ের মাথার মুকুটটি নেই। পরে মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।

  • সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের  টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান

    সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান

    সাতক্ষীরায় নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।

    শুক্রবার(১১ অক্টোবর) সকালে শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের কাঁচা ও মৎস্য বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) বিষ্ণুপদ পাল।

    এ সময় টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম আব্দুল্লাহ,  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন ও তামীম তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, মূল্য তালিকা না থাকায় এবং বেশি দামে বিক্রিয় করার অভিযোগে মাংস বাজারে চিকেন হাউজকে ২ হাজার টাকা ও খুচরা আলু বিক্রেতাকে ২০০ টাকা টোকা জরিমানা করা হয়েছে।

  • মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    মানুষ দ্রুত অ্যাকশন দেখতে চায়

    বাংলাদেশে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পার না হতেই নানা বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনা সামনে এসেছে। এগুলো শুধু আলোচনা কিংবা সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নানামুখী চাপ তৈরি করছে বলে অনেকে মনে করেন।

    পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার থেকে লাভ করেছে। অন্যদিকে কিছু ইস্যু অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন করে সামনে এসেছে।

    লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক মুশতাক খান মনে করেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।

    ‘মানুষ কিছু অ্যাকশন দেখতে চায়, তাতে সবকিছুর সমাধান হবে না। এখানে যে কোনো সেক্টরে হাত দিলেই আপনি দেখবেন অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের কোনো শেষ নাই,’।

    ‘আপনি এমন কিছু করবেন না যা পরে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বড় বড় কয়েকটা কাজ করতে হবে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে একটা পরিবর্তন আসছে।’

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া।

    গত পাঁচই অক্টোবর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

    শুধু সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুদের হার বাড়িয়ে তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু এ বিষয়টি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    ‘যেসব বড় সিন্ডিকেটের মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে এবং তারা সে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, আপনাকে সে টাকায় হাত দিতে হবে।’

    গার্মেন্টস খাত
    নানা দাবিকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের আন্দোলন এখনো বিক্ষিপ্তভাবে চলছে। এই আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রথম দিকে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে ছিল। আশুলিয়া এলাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও গাজীপুরে এখনো বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চলছে।

    প্রায়শই কোন না কোন ফ্যাক্টরিতে অস্থিরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আশংকা করছেন, এ পরিস্থিতি আবারো যে কোন সময় বড় আন্দোলনের দিকে রূপ নিতে পারে।

    সরকারের তরফ থেকে ক্রমাগত পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলা হলেও এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করেন অনেকেই।

    বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক বর্তমান পরিস্থিতিকে পোশাক খাতের জন্য একটা ‘বড় ধাক্কা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    ‘বারো থেকে পনেরো দিন প্রচুর ফ্যাক্টরি বন্ধ থেকেছে। একেবারে বন্ধ। কেউ কেউ আবার ধরেন দুপুর পর্যন্ত চালাতে পেরেছে এরপর পারেননি। এগুলো তো পুরাটাই লস। এর চাইতে বড় লস যেটা হচ্ছে- সেটা হলো আমাদের যারা ক্রেতা তারা তো সরে যাচ্ছেন’।

    বাস্তবতাটা হলো অন্তত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অর্ডার ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যাবে।”

    তিনি বলেন, পোশাক খাতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতে, পাকিস্তান এমন কী মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে।

    সড়কে বিশৃঙ্খলা
    গত দুই মাসে ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে প্রতিদিন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে যেতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে।

    যানজটে নাকাল মানুষ প্রতিদিনই ফেসবুকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। গত পাঁচই অগাস্টের পর অনেকের মনে প্রত্যাশা ছিল যে সড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা কাটিয়ে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

    কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটিও নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ।

    কেউ বলছেন, ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না। কেউ বলছেন, পুলিশের শিথিলতার কারণে ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

    গত ১৬ই সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি সে বৈঠকে বলেছিলেন, ‘আমাদের যানজট নিরসন হবে। অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’

    প্রশাসনে অস্থিরতা
    জনপ্রশাসনে অস্থিরতা এবং এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় আকারে ঘুষ লেনদেনের খবর প্রকাশিত হয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে।

    সেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং একজন যুগ্ম সচিবের মধ্যে কথিত হোয়াটস্অ্যাপ বার্তা চালাচালি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসনে নীরব অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে গোটা প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

    রাজনৈতিক বিতর্ক
    রাজনৈতিক বিতর্ক যেন অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দৃশ্যমান হয়েছে।

    নিউ ইয়র্ক সফরকালে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে গণঅভ্যুত্থানের পেছনে মূল কারিগর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন, যেটিকে অনেক ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে অনেকে মতামত প্রকাশ করেন যে এই আন্দোলন জনগণের স্বতঃ:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে, যার সামনের সারিতে ছিল ছাত্ররা। রাজনৈতিক দলগুলোও দাবি করছে, এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা কম নয়।

    আরেকটি বিতর্কে বিষয়ে হচ্ছে ‘রিসেট বাটন’। ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিটিয়েটিভ-এর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, তারা (তরুণরা) বলেছে ‘রিসেট বাটন’ চেপেছে এবং পুরাতন বিদায় নিয়েছে।

    একই কথা তিনি বলেছেন, ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে। এ বিষয়টি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।

    এই রিসেট বাটন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এতদূর গড়িয়েছে যে অনেকেই তাদের ফেসবুক পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখছেন ‘স্টেপ ডাউন ইউনূস’। অর্থাৎ, ‘ইউনূসকে হটাও’। অনেকেই বলছেন, চাইলেই অতীত মুছে দেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে। ১০ই অক্টোবর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতি দিয়েছেন।

    সে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনও ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।”

    ‘দ্রুত অ্যাকশন প্রয়োজন’
    অধ্যাপক মুশতাক খান বলেন, যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেজন্য মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। মানুষ চায় দ্রুত কিছু পরিবর্তন আসুক। কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব নয়। এসব দাবি মেটানোর জন্য ক্ষমতা, প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং লোকবল নেই।

    ‘ওনারা একটা নরমাল সরকারে মতো ব্যবহার করছে, কিন্তু আসলে ওনারা বিপ্লবী সরকারের মতো। তারা ক্ষমতায় এসেছে মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে। এখন মানুষ অ্যাকশন দেখতে চায়।’

    তিনি বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচিত কিছু ‘ইপ্লিমেন্টশন কমিটি’ করা। এতে করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দ্রুত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

    ‘কোনো কোনো জায়গায় তারা ধীরে সুস্থে এবং চিন্তাভাবনা করে কাজ করার চেষ্টা করছেন। এটা একদিক থেকে ভালো। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় দ্রুত কিছু অ্যাকশনের প্রয়োজন ছিল’।

    সূত্র: বিবিসি বাংলা।

  • পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

    পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

    গতকাল ১০ অক্টোবর পিস ফেসিলেটেডেট গ্রুপের পক্ষ থেকে গ্রুপের কো-ওয়াডিনেটর ও মানবাধিকার কর্মি অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাশের নেতৃত্বে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, আশাশুনি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন আলী, রাজনৈতিক ও সমাজ কর্মি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ পাড় ও অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ সদরে দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করা হয়।

  • ধর্ম যার যার, উৎসব সবার :সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    ধর্ম যার যার, উৎসব সবার :সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব

    আতাউর রহমান তালা
    কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, ‘হিন্দুুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব আবহমানকাল থেকে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দূর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসব পালন করে। তাই এই উৎসব সার্বজনীন।’
    তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী পূজামন্ডপের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছেন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকব।’
    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা, ধানদিয়া, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিশখালী, তালা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
    এসময় তার সাথে ছিলেন তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমূখ।
    উল্লেখ্য, তালা উপজেলার ১৯৬টি পূজামন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
  • তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন  ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ

    তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ

    তালা কলারোয়ার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায় কলারোয়ার চন্দনপুর এর বিভিন্ন পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন তত্ত্ববোধানে রাখছেন ইউনিয়ন যুবদল নেতৃবৃন্দ
     সর্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন তারা।এসময়  উপস্থিত ছিলেন চন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু রায়হান ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৎ ও মেধাবী ইউনিয়নবাসীর আস্থা ঠিকানা আগামী দিনের চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পদ  প্রার্থী শফিউল আলম শফি নেতৃত্বে চন্দনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হেলাল মেম্বার  শহীদ হোসেন ও তাহের. বখতিয়ার খোলজী.মহির হোসেন সাগর সালাম সহ ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।