Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 73 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে : খালেদা জিয়া

    একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে : খালেদা জিয়া

    এসবিনিউজ ডেস্ক : স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেছেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলনসংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের দিনে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণঅভ্যূত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম,বহুমত এবং চিন্তার চর্চা মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।

    বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। দিবস আমাদের গণতন্ত্র স্বাধিকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। কারণ এখন আবারও একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

     

  • বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান: মওদুদ

    বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান: মওদুদ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান। জানুয়ারির নির্বাচনে সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগররুনি মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেজেড ফোর্স সাইবার ট্রুপসএর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল। অথচ তারাই এখন এটা প্রত্যাহার করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এটা জনগণও মানবে না। দেশে যে গণতন্ত্র আছে, সেটা দলীয় গণতন্ত্র। সত্যিকারের গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করতে হবে।

    জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

     

     

     

     

  • আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস

    আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ঊনসত্তরের এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক। জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরাচারী আইয়ুব খানকে জনতার দাবি মেনে নিতে বাধ্য করে।

    ২০ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করে বাঙালি জাতি।

    এ দিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নবকুমার ইন্সটিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর। এছাড়াও রুস্তম, মককবুলসহ চারজন শহীদ হন এই দিনে। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান মর্নিং নিউজে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেইট নামকরণ করে।

    দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

    শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

    ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময় ১১ দফা ও ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

     

  • বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার ও গল্পকার শাহাদুজ্জামানসহ সাতজন। সোমবার একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

    এবছর কবিতায় মনোনীত হয়েছেন আবু হাসান শাহরিয়ার, কথাসাহিত্যে: শাহাদুজ্জামান, প্রবন্ধ ও গবেষণায়: মোরশেদ শফিউল হাসান, শিশুসাহিত্যে: রাশেদ রউফ, মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্য: ড. এম এ হাসান, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায়: নূরজাহান বোস এবং অনুবাদে: নিয়াজ জামান।

    প্রতিটি বিভাগে পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করবেন।

    বাংলা একাডেমি ১৯৬০ সাল থেকে বাংলাদেশে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার পুরস্কার দিয়ে আসছে।

     

  • ‘১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিকের ঝুঁকিতে রয়েছে ‘

    ‘১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিকের ঝুঁকিতে রয়েছে ‘

    এসবিনিউজ ডেস্ক : দেশের ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম লুৎফা তাহেরের (মহিলা আসন৪০) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি তথ্য জানান।

    মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ টি উপজেলার ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪. লাখ অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০ পিপিবিএর উপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের গ্রহীত বিভিন্ন প্রকার নিরস কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

    তিনি বলেন, আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। ২০০৩ সালের পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের যেসকল নলকূপ/পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে সেসকল নলকূপে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রা হওয়া সাপেক্ষে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর্সেনিকের মাত্রা নিরূপণ ভূগর্ভস্থ পানিরস্থিতি তলের তারতম্য মনিটরিং সুবিধার্থে ৭৯১ টি অবজারভেশন ওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

     

     

     

  • আরও ১১টি পণ্যে পাটের মোড়ক বাধ্যতামূলক

    আরও ১১টি পণ্যে পাটের মোড়ক বাধ্যতামূলক

    এসবিনিউজ ডেস্ক :নতুন করে ১১টি পণ্যে পাটের মোড়ক বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। পণ্যগুলো হলোপেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, আলু, আটা, ময়দা, মরিচ, হলুদ, ধনিয়া এবং তুষখুদকুড়া।

    পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালার তফসিলে এসব পণ্য যুক্ত করে গেজেট জারি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পণ্যের ওজন ২০ কেজির বেশি হলে প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম।

    ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার চিনি সংরক্ষণ পরিবহনে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেয় বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়।

    ওই ছয়টি পণ্যের সঙ্গে নতুন করে আরও ১১টি যুক্ত হওয়ায় এখন থেকে ১৭টি পণ্যের মোড়ক হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

    নতুন পণ্যগুলোর নাম সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়।

    কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব পণ্যের মোড়ক হিসেবে পাটের ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

    পাটের বহুমুখী ব্যবহার সম্প্রসারণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে আইন করা হয়। ওই আইনে ২০ কেজির বেশি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।

    কোনো প্রতিষ্ঠান এই আইন না মানলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ হবে।

     

  • বিএনপি নেত্রীর মুখে গণতন্ত্র অন্তরে ষড়যন্ত্র : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নেত্রীর মুখে গণতন্ত্র অন্তরে ষড়যন্ত্র : তথ্যমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার এজেন্ডা নয়, তার মুখে গণতন্ত্র, অন্তরে ষড়যন্ত্র।

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জঙ্গির সঙ্গীত্ব ছাড়েননি। তার অনির্বাচিত সরকার গঠনের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচন ভন্ডুল, সাংবিধানিক ধারা বানচাল এবং আবারও জঙ্গিতান্ডব আগুনসন্ত্রাস করার কূটচাল।

    তিনি মঙ্গলবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলজাসদের প্রয়াত নেতা মোঃ দ্বীন ইসলামের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    হাসানুল হক ইনু এসময় তার দলের ঢাকা মহানগর পূর্ব কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক দ্বীন ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘সরকার মুহূর্তে যথাসময়ে নির্বাচন, জঙ্গি নির্মূল এবং দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে। ঠিক এমন সময়েই বেগম খালেদা জিয়ার চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ, বিএনপি নেত্রী এখনো জঙ্গির সঙ্গীত্ব ত্যাগ করেননি, তওবা করেননি, জনগণের কাছে মাফ চাননি। তিনি এখনো গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে রয়েছেন।

    জাসদ ঢাকা মহানগর পূর্ব কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক . আনোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং জাসদ নেতা মীর হোসাইন আখতার, নূরুল আখতার প্রমূখ তাদের বক্তব্যে প্রয়াত নেতা মোঃ দ্বীন ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

     

     

  • দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন ধ্বংস করছে : দুদক চেয়ারম্যান

    দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন ধ্বংস করছে : দুদক চেয়ারম্যান

    এসবিনিউজ ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন ধ্বংস করছে।

    রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকএর প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবারদুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের দায়িত্বশীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিএই কর্মশালার আয়োজন করে।

    দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আশাবাদি। দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের যোগ্য একটি দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখি।

    তরুণদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের উচিত তাদের নিজেদেরকে পরিবর্তন করা (দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব), কেননা বাইরের কেউ তাদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারবে না।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকএর কমিশনার . নাসিরউদ্দিন আহমেদ এএফএম আমিনুল ইসলাম এবংডিবেট ফর ডেমোক্রেসি সভাপতি হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন।

     

     

  • পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পণ্য পরিবহনের সময় পথে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র নৌ মন্ত্রীর সাথে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করলে জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।

    তিনি বলেন, চাঁদাবাজি যেখান থেকে হয় সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমাদেরকে বলতে হবে। সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্ধারিত লোডের বাইরে কোন ট্রাক যেতে দেয়া হবে না।

     

  • বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে : খালেদা জিয়া

    বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে : খালেদা জিয়া

    এসবিনিউজ ডেস্ক : চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী জোট আবারও অর্জিত গণতন্ত্রকে ভূগর্ভে সমাহিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি মন্তব্য করেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠার দিবসকেগণতন্ত্র হত্যা দিবসউল্লেখ করে তিনি বাণী দেন।

    বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, অলীক স্বপ্নে আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্রই নয়দেশের ঐক্য, সংহতি সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনোই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। ফলে নব্য বাকশালী জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

    সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চেপে বসা গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করে রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

    তিনি বলেন, এদের ঐতিহ্যই হচ্ছে গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন করা। তাই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে ভরাডুবির বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।

    বিএনপি প্রধান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে প্রধানমন্ত্রীকে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়ে গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করে তার ওপর একক কর্তৃত্ববাদী নির্দয় শাসনের ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের  জয়জয়কার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রণেতারা জনগণ, রাষ্ট্র গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।

    খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু এখন নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত।

    তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার  চিরস্থায়ী ক্ষমতার বন্দোবস্ত করতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থাবাকশালকায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে। এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত টি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণশক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়।  দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে। সমাজে ভয়াবহ নৈরাজ্য ছড়িয়ে দেয়।

     

     

  • তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা চূড়ান্ত

    তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা চূড়ান্ত

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। সরকারের অনুমতি পেলে এক মাসের প্রজ্ঞাপন আকারে তা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে নীতিমালা করে দাম নিয়ন্ত্রণে এ খাতে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা আমদানি ও বিপণন সংশ্লিষ্টদের।

    দেশে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস এলপিজির চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির পরও ঘাটতি ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি।

    ৪০ প্রতিষ্ঠানকে এলপিজি আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাতের লাইসেন্স দেয়া হলেও কাজ করছে ১০ থেকে ১২টি। নীতিমালা না থাকায় এসব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণও ছিলো না সরকারের। অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে নীতিমালা। আর এর আলোকে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নেমে আসছে আটশো টাকার নিচে।

    তবে বিশেজ্ঞদের দাবি, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করে নীতিমালা প্রণয়ন হলে দাম নেমে আসতো পাঁচশো টাকার নিচে।

  • সার্চ কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা

    সার্চ কমিটি প্রধানের নাম ঘোষণা

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যর ওই সার্চ কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন ও হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, দুই শিক্ষাবিদ, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও সরকরি কর কমিশনের চেয়ারম্যান। তারা সদস্য হিসাবে রয়েছেন।

    গতবারের কমিটি করা হয়েছিল চারজনের। এবার করা হলো ছয়জনের। গতবারের কমিটিতে পদবী হিসাবে যারা ছিলেন এবারও কমিটিতে ওই চারপদের চারজন রয়েছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে।

    এছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রয়েছেন সদস্য হিসাবে। এছাড়াও আছেন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য শিরীন আখতার। সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে গেছে।

    এখন প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষা। প্রজ্ঞাপনের জন্য সময় নিচ্ছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এছাড়াও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। সেগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির চুড়ান্ত অনুমোদনের পর।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সার্চ কমিটির বিষয়ে সোমবার বিকেলে ও মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন দিক আলোচনা হয়।

    সেখানে নামও আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রপতি ছয় জনের কমিটি করার সিদ্ধান্ত দেন। কারা কারা কমিটির সদস্য হবেন তাও বলে দেন। এই সংক্রান্ত চিঠি বঙ্গভবন থেকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো হয় বুধবার সকালে।

    রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, তিনি আশাবাদী কমিটি সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কেউ আপত্তি করবে না। করলে তা হবে দু:খজনক। যদিও বিএনপি সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে মন্ত্রব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আরমগীর। তিনি বলেছেন, এটা আওয়ামী লীগের পছন্দের সার্চ কমিটি হয়েছে।

    বঙ্গভবনের সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি ১৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক করে তিনি ৩১ দলের কাছ থেকে প্রস্তাব নেন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির উপর সব দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। আর চার দফা প্রস্তাব দেয়। তবে তা সার্চ কমিটির বিষয়ে নয়। নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে। বিএনপি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ১৩ দফা প্রস্তাব দেয়। এছাড়াও বাকি ২৯টি দল তাদের মতো করে প্রস্তাব দেয়।

     

  • হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে কী খাবেন?

    হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে কী খাবেন?

    এসবিনিউজ ডেস্ক : হৃৎপিণ্ড দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি। হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি খাবারে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি খাবার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।

    . চর্বিযুক্ত মাছ

    হৃদরোগ থেকে রক্ষার জন্য মাছ খুবই ভালো খাবার। চর্বিযুক্ত মাছ এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে।

    . ওটমিল

    ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া হৃদরোগ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। এক্ষেত্রে ওটমিল হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এটি রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমবে এবং হজমশক্তি বাড়বে।

    . বেরি

    বিভিন্ন ধরনের বেরি হৃদরোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি খুবই উপযুক্ত।

    . ডার্ক চকলেট

    ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৬০ তেকে ৭০ শতাংশ কোকোয়া। আর এটি রক্তচাপ সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।

    . বাদাম

    বাদামে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন , যা বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।

    . এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

    প্রতিদিন অতিরিক্ত নয়, মাত্র দুই চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলই আপনার রক্তের বাজে কোলস্টেরল কমাতে সহায়ক হবে।

    . গ্রিন টি

    গ্রিন টি হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

    . ফুলকপি পালং শাক

    ফুলকপি পালং শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

    . ডালিম

    ডালিম বেদানাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রক্তচাপ কমায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

    ১০. দারুচিনি

    দারুচিনি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া হৃদরোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।

    ১১. তরমুজ

    তরমুজ কোলস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে খুবই কার্যকর। এছাড়া এর আরও বহু গুণ রয়েছে, যা আদতে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক।

    ১২. রসুন

    রসুনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দারুণ গুণ রয়েছে। এটি নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

    ১৩. আপেল

    আপেলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার অন্যান্য উপকারি উপাদান। এটি রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। হৃদরোগের জন্যও এটি খুবই কার্যকর।

  • এই লেখাটি ছোটদের জন্য

    এই লেখাটি ছোটদের জন্য

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ২৭ জানুয়ারি, এসবিনিউজ : বড়রা লেখাটি পড়তে পারবেন না, তা নয়। কিন্তু আমার ধারণা, বড় মানুষেরা, যাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলকলেজে পড়ে, তারা লেখাটি পড়ে একটু বিরক্ত হতে পারেন।

    কিভাবে কিভাবে যেন আমাদের দেশের লেখাপড়াটা হয়ে গেছে পরীক্ষানির্ভর এই দেশে এখন লেখাপড়ার সঙ্গে শেখার কোনো সম্পর্ক নেই, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়াটাই বিশাল একটা ব্যাপার। বাচ্চারা স্কুলকলেজে কিছু শিখল কিনা, সেটা নিয়ে বাবামায়ের কোনো মাথা ব্যথা নেই। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেল কিনা কিংবা জিপিএ ফাইভ পেল কিনা, সেটা নিয়ে তাদের ঘুম নেই।

    পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়াটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, মাবাবারা রাত জেগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো কিনা, তা ফেসবুকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কোথাও যদি পেয়ে যান, তার সমাধান করিয়ে ছেলেমেয়েদের পেছনে লেগে থাকেন, সেটা মুখস্থ করানোর জন্যে। পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষার ঠিক আগে আগে বের হওয়া এমসিকিউ প্রশ্নগুলো নিজেদের স্মার্টফোনে নিয়ে এসে সেগুলো তাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে থাকেন।

    এখানেই শেষ হয় না। এতো কিছুর পরেও যদি পরীক্ষার ফলাফল ভালো না হয়, তাদের এমন ভাষায় গালাগালি আর অপমান করেন যে, বাচ্চাগুলো গলায় দড়ি দেওয়ার কথা চিন্তা করে!

    আমাদের দেশে কিভাবে কিভাবে যেন এমন একটিঅভিভাবক প্রজন্মতৈরি হয়েছে যারা সম্ভবত এই দেশের লেখাপড়ার জন্যে সবচেয়ে বড় একটি বাধা! কাজেই যদি রকম কোনো একজন অভিভাবক লেখাটি পড়া শুরু করেন, তার কাছে অনুরোধতিনি যেন শুধু শুধু আমার লেখাটি পড়ে সকাল বেলাতেই তার মেজাজটুকু খারাপ না করেন।

    তবে পড়া বন্ধ করার আগে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলের প্রিন্সিপালের অভিভাবকদের কাছে লেখা একটি চিঠি পড়ার অনুরোধ করছি। চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করলে হবে এরকম

    প্রিয় অভিভাবকেরা

    আপনাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আমি জানি, আপনাদের ছেলেমেয়েরা যেন পরীক্ষায় ভালো করে, সেজন্য আপনারা নিশ্চয়ই খুব আশা করে আছেন।

    কিন্তু একটি জিনিস মনে রাখবেন, যেসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসবে, তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই একজন শিল্পী আছে, যার গণিত শেখার কোনো দরকার নেই। একজন নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা আছে যার ইতিহাস কিংবা ইংরেজি সাহিত্যের প্রয়োজন নেই।

    একজন সংগীত শিল্পী আছে, যে রসায়নে কতো নম্বর পেয়েছে, তাতে কিছু আসে যায় না। একজন খেলোয়াড় আছে, তার শারীরিক দক্ষতা পদার্থবিজ্ঞান থেকে বেশি জরুরি। উদাহরণ দেওয়ার জন্যে স্কুলিংয়ের কথা বলতে পারি।

    যদি আপনার ছেলে বা মেয়ে পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, সেটা হবে খুবই চমৎকার। কিন্তু যদি না পায়, তাহলে প্লিজ, তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস কিংবা সম্মানটুকু কেড়ে নেবেন না।

    তাদের বলবেন, এটা নিয়ে যেন মাথা না ঘামায়, এটা তো একটা পরীক্ষা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদেরকে জীবনে আরও অনেক বড় কিছুর জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

    তাদের বলুন, পরীক্ষায় তারা যতো নম্বরই পাক, আপনি সব সময় তাদের ভালোবাসেন এবং কখনোই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে তাদের বিচার করবেন না!

    প্লিজ, কাজটি করুন। যখন এটি করবেন, দেখবেন আপনার সন্তান একদিন পৃথিবীটাকে জয় করবে। একটা পরীক্ষা কিংবা একটা পরীক্ষায় কম নম্বর কখনোই তাদের স্বপ্ন কিংবা মেধাকে কেড়ে নিতে পারবে না।

    আরেকটা কথা। প্লিজ, মনে রাখবেন, শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়াররাই এই পৃথিবীর একমাত্র সুখী মানুষ নয়।

    অনেক শুভেচ্ছার সঙ্গে

    প্রিন্সিপাল

     

    (চিঠিটিতে স্কুলিং নামে একটি ছেলের কথা বলা হয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটি অলিম্পিকে সাঁতারে সোনার মেডেল পেয়েছিল!)

    সিঙ্গাপুরের স্কুলের এই প্রিন্সিপালের চিঠিটি আসলে শুধু তার দেশের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের জন্যই নয়, আমাদের দেশের অভিভাবকদের জন্যও সত্যি। আমরা ভুলে যাই কিংবা হয়তো জানিই না যে, একজন শিশুর অনেক রকম বুদ্ধিমত্তা থাকতে পারে। এবং তার মাঝে আমরা শুধু লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তাটাই যাচাই করি! লেখাপড়ার বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও অন্য বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যে একটি ছেলেমেয়ে অনেক বড় হতে পারে, সেটিও আমাদের বুঝতে হবে।

    আমি অনেকদিন থেকে ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে আসছি। যতোই দিন যাচ্ছে ততোই আমার কাছে স্পষ্ট হচ্ছে যে, পরীক্ষার ফলের সঙ্গে একজনের জীবনের সাফল্যব্যর্থতার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার দেখা যে ছেলেটি বা মেয়েটি সমাজ, দেশ কিংবা পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি দিয়েছে, সে পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে, তা কিন্তু সত্যি নয়।

    .

    আইনস্টাইন অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। তার কথাগুলোর মধ্যে যে কথাটি আমার সবচেয়ে প্রিয় সেটি হচ্ছে– ‘কল্পনা করার শক্তি জ্ঞান থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’

    আইনস্টাইন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ছিলেন। জ্ঞানের গুরুত্বটুকু যদি কেউ বুঝতে পারেন, সেটি বোঝার কথা তার মতো একজন বিজ্ঞানীর। কিন্তু এই মানুষটিই জ্ঞান থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কল্পনাশক্তিকে।

    কারণটা কী? সেটি বোঝার জন্যে আমাদের রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হবে না, একটুখানি চিন্তা করলেই বোঝা যায়। আমরা যেটাকে জ্ঞান বলি, সেটা আমরা চেষ্টাচরিত্র করে পেয়ে যেতে পারি। যদি আমরা কিছু একটা না জানি, খুঁজেপেতে কিছু বই ঘাঁটাঘাঁটি করে, জার্নাল পেপার পড়ে, অন্যদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেগুলো জেনে যেতে পারি। সোজা কথায় জ্ঞান অর্জন করতে পারি, সেটি অর্জন করতে চাই কিনা কিংবা তার জন্য পরিশ্রম করতে রাজি আছি কিনা সেটিই হচ্ছে একমাত্র প্রশ্ন।

    কিন্তু যদি আমাদের কল্পনাশক্তি না থাকে তাহলে কি আমরা চেষ্টাচরিত্র করে, খাটাখাটনি করে সেই কল্পনাশক্তি অর্জন করতে পারবো?

    পারবো না। শত মাথা কুটলেও আমরা কল্পনাশক্তি বাড়াতে পারবো না। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, যখন একটি শিশু জন্ম নেয়, তার ভেতরে অন্য সবকিছুর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কল্পনাশক্তি থাকে। আমাদের কাজ খুব সহজসেই কল্পনাশক্তিটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর কিছু নয়।

    আমরা মোটেও সেটা করি না। শুধু যে করি না তা নয়, সেটাকে যতœ করে নষ্ট করি।

    আমি লিখে দিতে পারি, দেশের অনেক অভিভাবক মনে করেন যে, ভালো লেখাপড়া মানে হচ্ছে ভালো মুখস্থ করা! সবাই নিশ্চয়ই এটা লক্ষ্য করেছেন যে, অনেক ছেলেমেয়েকে বই নিয়ে পড়তে বসার কথা বললে তারা চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করা শুরু করে।

    আমি নিজের চোখে পত্রিকায় একটি স্কুলের বিজ্ঞাপন দেখেছি যেখানে বড় বড় করে লেখা আছে, ‘এখানে মুখস্থ করানোর সুবন্দোবস্ত আছে!’ আমার মনে হয়, আমি যদি দেখতাম, সেখানে লেখা আছেএখানে মাস্তানি শেখার সুবন্দোবস্ত আছে’, তাহলেও আমি কম আতঙ্কিত হতাম।

    যে কেউ ইচ্ছে করলে আমার কথাটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যে বাচ্চা স্কুলে যেতে শুরু করেনি, যাকে এখনও লেখাপড়া শুরু করানো হয়নি, তাকে যেকোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলে নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে দেবে। একটু চেষ্টা করলেই তার ভেতর থেকে কাল্পনিক বিষয় বের করে নিয়ে আসা যায়। ছোট একটা কাপড়ের পুতুলকেবউহিসেবে কল্পনা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেবে সে। এক টুকরো লাঠিকে একটাগাড়িহিসেবে কল্পনা করে ছোট্ট শিশু সারা বাড়ি ছুটে বেড়াবে।

    কিন্তু সেই শিশুটি যখন ভালো স্কুলে লেখাপড়া করবে, অভিভাবকেরা উপদেশ দেবেন, প্রাইভেট টিউটর তাকে জটিল বিষয় শিখিয়ে দেবেন, কোচিং সেন্টার মডেল পরীক্ষার পর মডেল পরীক্ষা নিয়ে তাকে প্রস্তুত করে দেবে। তখন আমরা আবিষ্কার করবোসে যে জিনিসগুলো শিখেছে, তার বাইরের একটি প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে না। বানিয়ে কিছু

    লিখতে পারে না, কল্পনা করতে পারে না। একটি আস্ত মানুষকে আমরা পুরোপুরি রোবট বানিয়ে ফেলি।

    একজন শিশুর কল্পনাশক্তিকে বাঁচিয়ে রাখা অনেকটা তার মস্তিষ্ককে অক্ষত রাখার মতো। যে শিশুটি অনেক কিছু শিখেছে, কিন্তু মস্তিষ্কের সর্বনাশ করে ফেলেছে, তার কাছে আমরা খুব বেশি কিছু চাইতে পারবো না। তার তুলনায় যে বিশেষ কিছু শেখেনি, কিন্তু মস্তিষ্কটা পুরোপুরি সজীব আছে, সৃষ্টিশীল আছে, তার কাছে আমরা অনেক কিছু আশা করতে পারি।

    মনে আছে, একবার কোনো এক জায়গায় বেড়াতে এসেছি। একটি শিশু আমাকে দেখে ছুটে এসে আমার সঙ্গে রাজ্যের গল্প জুড়ে দিয়েছে। আমি এক ধরনের মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করলাম, এইটুকুন একটা শিশু, কিন্তু সে কতো কিছু জানে! এবং আরও জানার জন্য আমার কাছে তার কতো রকম প্রশ্ন, আমি উত্তর দিয়ে শেষ করতে পারি না।

    কিছুক্ষণ পর তার মায়ের সঙ্গে দেখা হলো। মা মুখ ভার করে আমার কাছে অভিযোগ করে বললেন, ‘আমার এই ছেলেটা মোটে লেখাপড়া করতে চায় না, দিনরাত গল্পের বই পড়ে। আপনি প্লিজ তাকে একটু উপদেশ দিয়ে দেবেন যেন, সে একটুখানি লেখাপড়া করে

    আমি তার মাকে বললাম, ‘ক্লাস এইটে ওঠার আগে কোনো লেখাপড়া নেই। সে এখন যা করছে, তাকে সেটাই করতে দিন। কারণ, সে একেবারে ঠিক জিনিসটা করছে

    তারপর ছেলেটিকে ফিস ফিস করে বললাম, ‘তুমি তোমার স্কুলে গিয়ে তোমার সব বন্ধুবান্ধবকে আমার কথা বলবে যে, আমি বলেছি, ক্লাস এইটের আগে কোনো লেখাপড়া নেই। এখন যা মন চায়, তাই করো। গল্পের বই পড়ো, ছবি আঁকো, ক্রিকেট খেলো

    আমার কথা শুনে মা বেচারির হার্টফেল করার অবস্থা। আমি জানি, এই ছোট ছেলেটিকেও এক সময় স্কুল, শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাইভেট টিউটর আর কোচিং সেন্টার মিলে সাইজ করে ফেলবে। তারপরেও আমি আশা করে থাকি, এই ছোট কাজগুলো হয়তো তাদের অসম্ভব প্রাণশক্তি, স্বপ্ন আর কল্পনার শক্তিতে টিকে থাকবে। তাদের কেউ কেউ হয়তো রোবট নয়, সত্যিকার মানুষ হয়ে বড় হবে।

    মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে রাখা বা কল্পনা করার ক্ষমতাকে ধরে রাখার একটা খুব সহজ উপায় আছে। সেটি হচ্ছে বই পড়া। সারা পৃথিবীই এখন খুব দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট, ফেসবুকএসব প্রযুক্তির কারণে আমাদের শিশুরা বই পড়ার জগত থেকে সরে আসতে শুরু করেছে।

    আগে পৃথিবীর সব শিশু মাথা গুঁজে বই পড়তো, তাদের চোখের সামনে থাকতো ছোট একটি বই। কিন্তু তাদের মাথার ভেতরে উন্মুক্ত হতো কল্পনার বিশাল একটি জগত। এখন এই শিশুদের চোখের সামনে থাকে কম্পিউটার কিংবা ট্যাবের স্ক্রিন। সেখানে তারা দেখে, চকমকে ছবি কিংবা ভিডিও কিংবা চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্সের কম্পিউটার গেম। তাদের মাথার ভেতরেও থাকে সেই একই ছবি, ভিডিও কিংবা একই গ্রাফিক্স। কল্পনার বিশাল একটা জগত আর উন্মুক্ত হয় না। কী দুঃখের একটা ব্যাপার!

    আমি জানি আজ হোক, কাল হোক পৃথিবীর সব বড় বড় জ্ঞানীগুণী মানুষেরা বলবেন, ছোট ছোট শিশুদের ইন্টারনেট, কম্পিউটার, গেম আর ফেসবুকের জগতে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার কাজটা একেবারে ঠিক হয়নি। তাদেরকে আরও অনেক অনেক বেশি বই পড়তে দেওয়া উচিত ছিল।

    বইমেলা আসছে। আমি সব অভিভাবকদের বলবো, শিশুর হাত ধরে তাকে বইমেলায় নিয়ে আসুন। তাকে কয়েকটি বই কিনে দিন। একটি ছোট শিশুকে যদি একটিবার বই পড়ার অভ্যাস করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনি সারাজীবনের জন্যে নিশ্চিন্ত হয়ে যাবেন।

    ছেলেমেয়ে মানুষ করার এতো সহজ উপায় থাকতে আমরা কেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা করি?

    লেখক : কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

    -(সংগৃহীত)

  • ছায়ামন্ত্রীর পদ ছাড়লেন টিউলিপ

    ছায়ামন্ত্রীর পদ ছাড়লেন টিউলিপ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বেক্সিটের সমর্থনে একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে বলায় যুক্তরাজ্যের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ওই বিলটি আনা ড়য়।

    সেই বিলটিকে সমর্থন করার জন্য এমপিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। কিন্তু বিলের পক্ষে সমর্থন দিতে পারছেন না টিউলিপ সিদ্দিকী, আর তাই তিনি ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

    তিনি বলছেন, (তিনি) সামনের সারির আসনের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারছেন না।

    জেরেমি করবিনের কাছে লেখা পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ”ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়টি আমার নির্বাচনী এলাকায় বিশাল অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে,যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ইউনিয়ন ছেড়ে আসার বিষয়টি সম্ভাব্য সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি তৈরি করবে।

     

  • ‘কেয়ামত ঘনিয়ে আনছেন’ ট্রাম্প

    ‘কেয়ামত ঘনিয়ে আনছেন’ ট্রাম্প

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ধর্মীয় বিশ্বাসের সেই কেয়ামত না হলেও এই পৃথিবী ধ্বংসের কতটা কাছাকাছি যায় বা ফিরে আসে, তা প্রতীকীভাবে তুলে ধরতে যেডুমসডে ক্লকচালু করেন একদল বিজ্ঞানী, তার কাঁটা ৬৪ বছরের মধ্যে এখনই চরম ক্ষণের সবচেয়ে কাছাকাছি।

    ২০১৫ সালের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে দেয়ালে স্থাপিত ঘড়িটির কাঁটা ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন চরম সময় অর্থাৎ মধ্যসরাতের আড়াই মিনিট আগে রয়েছে কাঁটাটির অবস্থান।

    এই পদক্ষেপের জন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত বছরজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগজনক বক্তব্যকে মূল কারণ দেখিয়েছে ঘড়িটির দেখভালকারী দি বুলেটিন অফ দি অ্যা টমিক সায়েন্সেস (বিপিএ)

    বিপিএ প্রধান র‌্যাচেল ব্রসনান এক বিবৃতিতে উত্তেজনা এড়িয়ে শান্ত থাকার জন্য  বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়।

    মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীর অস্তিত্বকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে এইডুমসডে ক্লকস্থাপন করেন বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরিতে ভূমিকা রাখা একদল বিজ্ঞানী।

    স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এই ঘড়ির কাঁটা চরম সময়ের দুই মিনিট আগে আনা হয়। তা দিয়ে বোঝানো হয়েছিল, পৃথিবী চরম সঙ্কটে রয়েছে।

    ডুমসডে ক্লকের কাঁটার পরিবর্তন হচ্ছে যেভাবে

    এরপর নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আগপিছু করে ২০১৫ সালে ঘড়ির কাঁটাটি ১৯৫৩ সালের অবস্থানের চেয়ে এক মিনিট (চরম সময় মধ্যডরাতের চেয়ে তিন মিনিট) পিছিয়ে অবস্থান নেয়।

    তারপর দুই বছর ওই অবস্থানেই ছিল কাঁটাটি, ২০১৭ সালে এসে কাঁটাটি ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হল। ৬৪ বছরের মধ্যে  চরম সময়ের এত কাছে কখনও আসেনি এই কাঁটা।

    বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরজুড়ে পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত নানা বক্তব্যেযর কারণেডুমসডে ক্লকেরকাঁটা এগিয়ে আনতে হয়েছে।

    তবে কাঁটাটি পুরো এক মিনিট না এগিয়ে তার অর্ধেক এগিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যাা করে বিপিএ বলেছে, ট্রাম্প যেহেতু মাত্রই ক্ষমতায় বসেছেন এবং তার প্রশাসন এখনও সাজাননি, তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

    ট্রাম্পের পাশাপাশি ইরানের পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, সাইবার নিরাপত্তায় হুমকি এবং ভুয়া সংবাদ সরবরাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকেও ঘড়িটির কাঁটা এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

    সারাবিশ্ব থেকে পদার্থবিদ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল নিয়ে গঠিত বিপিএরবোর্ড অব স্পন্সর’, যার মধ্যে ১৫ জন নোবেলবিজয়ী রয়েছেন। এই বোর্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্তে ঘড়িটির কাঁটা আগপিছ করা হয়।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে যখন চালুর সময় চরম সময়ের সাত মিনিট আগে ঘড়িটির কাঁটা স্থির রাখা হয়েছিল। তারপর রুশমার্কিন উত্তেজনার কারণে কাঁটাটি এগোচ্ছিল। ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এক লাফে কাঁটাটি চলে আসে চরম ক্ষণের দুই মিনিটের মধ্যে।

    এই পর্যন্ত ২২ বার কাঁটাটি স্থান পরিবর্তন করেছে। সোভিয়েত পতন জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর ১৯৯১ সালে কাঁটাটি সরে যায় চরম সময়ের চেয়ে ১৭ মিনিট পেছনে। অর্থাৎ ওই সময়টিই বিশ্বের ঝুঁকি কমে আসছিল।

    তবে তারপর থেকেডুমসডে ক্লকেরকাঁটা আবার এগোতে শুরু করে এবং এখন তা আবার ১৯৫৩ সালের কাছাকাছিতে গিয়ে ঠেকেছে।

     

  • এবার আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট…

    এবার আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট…

    এসবিনিউজ ডেস্ক : এবার আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে বাজারে এসেছে নতুন মোবাইল ফোন ডব্লিউই। অর্থাৎ ওই মোবাইলটি কিনলেই পাচ্ছেন আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা। সাথে রয়েছে ১০০ জিবি পর্যন্ত ডাটা স্টোরেজের সুযোগ। শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৩ দিনব্যাপী স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোতে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ দেশীয়। এরা দেশের বাজারে আসার আগেই বিদেশে রফতানি শুরু করেছে। বর্তমানে চায়না থেকেই তারা তাদের মোবাইল এসেমব্লিঙ করছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে কালিয়াকৈর এবং যশোরের হাইটেক পার্কে মোবাইল সেট উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রসঙ্গত এক্সপো মেকার আয়োজিত স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিকিকিনি চলে। আগামীকাল শনিবার রাতেই শেষ হবে এই মেলা।

    জানা যায়, ডব্লিউই বাজারে বিভিন্ন মডেলের ৩ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যের ফোন সেট নিয়ে এসেছে। আর প্রত্যেক মোবাইলের সাথেই রয়েছে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা। এজন্য তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮০০টি ওয়াইফাই জোন স্থাপন করেছে। আর তাদের মোবাইলে দেওয়া হয়েছে একটি অ্যাপ। যেটাতে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ হয়ে যাবে।

    প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশনস) এএম এহসান-উল হক বলেন, মোবাইল কেনার পর অনেকেই ডাটা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ফোন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে সমস্যাটা বেশি হয়। এক্ষেত্রে আমরাই ক্লাউড সুবিধা দিচ্ছি। এক্ষেত্রে গ্রাহক তার মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো ডাটা স্টোরেজ করতে পারেন। তার জন্য ১০০ জিবি (গিগাবাইট) পর্যন্ত ক্লাউড স্পেস রাখা আছে। এতে ফোন হারিয়ে গেলেও ক্লাউডে সংরক্ষিত ডাটা রক্ষিত থাকবে; যা নতুন ফোন নিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।

    আমাদের ওয়াইফাই জোন রয়েছে দেশের ৮০০টি স্থানে। সব জেলা সদরসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ওপেন করা হচ্ছে ১১টি ওয়াইফাই জোন। ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো সিম কার্ড ব্যবহার ছাড়াই এই ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

    এদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোএছাড়া তারা এক্সপোতে দু’টি মডেলের ওপর ব্যাপক ছাড় দিচ্ছে। এক্ষেত্রে এক্স২ এবং বি২ মডেলের ওপর একটি কিনলে একটি ফ্রি মোবাইল সেট দিচ্ছে। দাম জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেতে হবে এক্সপোতে। এছাড়াও মোবাইল কেনার পর র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতার জন্য এরা ফ্রি মালয়েশিয়া ভ্রমণের সুযোগও দিচ্ছে।

     

     

  • অতুলনীয় একজন প্রধানমন্ত্রী

    অতুলনীয় একজন প্রধানমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : টুঙ্গিপাড়ার মানুষের কাছে শুক্রবারের সকালটি ছিল বৈচিত্র্যময় ও ব্যতিক্রমী। কোলে এক নাতি, পাশে আরেক নাতনি। হাস্যজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যানের সামনের দিকে বসেছিলেন। ভ্যানের অপর পাশে সামনের দিকে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী পেপি। গোপালগঞ্জ সফররত প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার পরিবারের এ সদস্যদের নিয়ে ভ্যানে চড়ে গ্রামবাসীদের বিস্মিত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপেক্ষা করে গ্রামের মানুষের অবস্থা জানতে ও গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে তাঁর নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রিকশা ভ্যানে চড়ে প্রায় ১৫ মিনিট গ্রামটি পরিদর্শন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত যান।

    এ সময় বিভিন্ন স্থানে ভ্যান থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মানুষ-জনের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলেন ও তাদের কুশলাদির খোঁজ-খবর নেন। প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্থানীয় মানুষও বিস্ময় ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রাণ খুলে তাঁর কাছে সুখ-দুঃখের কথা বলেন। এ সময় তারা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলে শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মানুষকে আরো অবাক করে দিয়ে তিনি ফেরার পথে এই এক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে আসেন।

    প্রধানমন্ত্রী রোভার স্কাউটের সবচেয়ে বড় সম্মিলন ১১তম জাতীয় রোভার মুট উদ্বোধনের জন্য বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে গোপালগঞ্জ আসেন। মুট উদ্বোধনের পর তিনি টুঙ্গিপাড়া আসেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিশেষ মুনাজাতে শরিক হন।

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ায় বর্তমানে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন। শপথ গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাসভবনে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ৫০ এর দশকে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংক পাড়ায় বাড়িটি ক্রয় এবং বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার করেন।

    শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে রাত যাপন করেন। বাস ভবন থেকে বের হয়ে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের মূল টম্বে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া-মোনাজোতে অংশ নেন। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।