Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 70 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • আউস চাষে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

    আউস চাষে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আসন্ন গ্রীষ্ম মওসুমে আউস চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

    কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বুধবার তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ঘোষণা দেন।

    উচ্চফলনশীল স্থানীয় আউস ও নেরিকা চাষে বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের যোগান দিতে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৮ জন কৃষককে এ প্রণোদনার টাকা দেয়া হবে। নেরিকা হচ্ছে তুলনামূলক কম সময়ে উৎপাদনশীল ক্ষরাসহিষ্ণু জাত। ২০০৯ সালে এটি আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়।

    আগামী মার্চ থেকে শুরু খারিফ-১ মওসুমে ৫১ জেলায় আউসের জন্য ২৭ কোটি ১০ লাখ এবং ৪০ জেলায় নারিকা জাত চাষে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। এতে আউস চাষে ২ লাখ ও নারিকার জন্য ২০ হাজার কৃষক সহায়তা পাবে।

    মতিয়া চৌধুরী বলেন, এছাড়া ৬৪ জেলায় পাট, ইক্ষু, মিষ্টি কুমড়ার বালাই দমনে ১ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৪৬০ টাকা দেয়া হবে।

    আউস চাষে প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ফসফেট ও ১০ কেজি করে পটাশ পাবে। নারিকার জন্য প্রত্যেক কৃষককে দেয়া হবে ১০ কেজি বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ফসফেট ও ১০ কেজি পটাশ।

    মন্ত্রী বলেন, এতে অতিরিক্ত ৭০ হাজার টন আউস ও ৬ হাজার টনেরও বেশি নারিকা উৎপাদিত হবে।

    অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হান্নানসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

     

     

  • আইসিটির বিকাশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিতে হবে: স্পিকার

    আইসিটির বিকাশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিতে হবে: স্পিকার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে যারা এখনও পরিচিত নন তাদেরকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১৭’-র উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

    দেশে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বেসিস আগামী শনিবার পর্যন্ত চারদিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, “আইসিটি খাতের রপ্তানি সম্ভাবনার সঙ্গে দেশের বাজারেও এর প্রসার ঘটাতে হবে। এজন্য সাধারণ জনগণকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্যারিয়ার হিসেবেও এর সম্ভাবনাকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে।”

    আইসিটি অগণিত মানুষকে ক্ষমতায়িত করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন স্পিকার।

    “প্রত্যেকের জীবনকে এটা প্রভাবিত করে। এই খাতকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে নিতে হবে।”

    এ খাতের বিকাশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেগের সমন্বয়ের ওপরও জোর দেন শিরীন শারমিন। তিনি এজন্য আইন-বিধি, নিয়মকানুন, কাস্টমসকে আরও ব্যবসাবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দেন।

    স্পিকার বলেন, সরকার আইসিটি খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করছে; সেজন্যেই সুষ্ঠুভাবে এর সমন্বয় করছে।

    অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তৈরি পোশাক খাতের নগদ প্রণোদনার মতো আইসিটি খাতেও প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান। তিনি সরকারের কাছে আইটি খাতে ২০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ারও দাবি করেন।

    তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে পলক বলেন, “একসময় বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। আইটি ব্যববহার করে সেই দুর্নীতি আমরা কমিয়ে এনেছি।”

    বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশীর কবীর, বেসিসের পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর।

     

     

  • বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু

    বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হবে।

    এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২শ’৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩শ’৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ’১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

    এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী হচ্ছে ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন ও বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩, ও ৪ বিষয়ে) ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।

    এসএসসিতে ৭ লাখ ২ হাজার ২৯৯ জন ছাত্র ও ৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০১জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবে। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২১ হাজার ৩০২ জন বেশি।

    দাখিলে ছাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ জন ও ছাত্রী ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ছাত্র ৭৭ হাজার ৬১৭জন ও ছাত্রী ২৬ হাজার ৫৯৫ জন।

    তত্ত্বীয় পরীক্ষা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে। এবছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৪ লাখ ২২ হাজার ২শ’৮৭জন। অন্যদিকে এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে।

    এদিন পরীক্ষাসংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয় , প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থীর কাছে হাতে খাতা দেয়া হবে। এতে তারা প্রায় ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন।

    একমাত্র কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কোন ব্যাক্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলে মন্ত্রী জানান। কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

    মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , দেশের বাইরে বিদেশে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবী, দুবাই, বাহরাইন এবং ওমানের সাহামে ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।

    এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

     

  • আবু নাসের হাসপাতালকে ইন্সিটিউটে পরিণত করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    আবু নাসের হাসপাতালকে ইন্সিটিউটে পরিণত করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্টাফ রিপোর্টার ; শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালকে অনতিবিলম্বে ইন্সিটিউটে পরিণত করা হবে। চলতি বছরের মধ্যে নেয়া হবে ২৫০ শয্যা চালুর উদ্যোগ। করা হবে গবেষণার ব্যবস্থা।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার দুপুরে খুলনাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ এবং ২০ শয্যা বিশিষ্ট প¬াস্টিক এন্ড বার্ন ইউনিট এর  উদ্বোধন শেষে হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব উদ্যোগের কথা জানান।

    মন্ত্রী বলেন, এ হাসপাতালের উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এর কাজ অবশ্যই সমাপ্ত করতে হবে। হাসপাতালের উন্নয়নের তাঁর পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার তা করা হবে। হাসপাতালে ১৫টি ডায়াগনস্টিক মেশিন প্রদান এবং দ্রুত চিকিৎসক সংকট দূর করা হবে।  তিনি বলেন, শীঘ্রই ডাক্তার ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন করা হবে। এ হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি রোগীর সাথে একজন স্বজন রাখার পরামর্শ দেন এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপিদের প্রতি তদারকী করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চালু করেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু বিএনপি সরকার তা বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করেছিল। শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী সরকারকে নির্বাচিত করতে কাজ করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামীর সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা বিএমএ‘র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবুল কাশেম মোঃ সাইদুর রহমান, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, খুলনা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    উলে¬খ, এ হাসপাতালে বর্তমানে ১২২টি বেড চালু ছিল। আইসিইউ এবং বার্ন ইউনিটে মোট ৩০টি বেড চালুর ফলে বেডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫২টিতে।

    এর আগে সকালে মন্ত্রী খুলনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।  এ সময় তিনি হাসপাতালের ১৩টি জরাজীর্ণ ভবন অপসারণ পূর্বক বহুতল বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয় নির্মাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়াম লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল ও খুলনার সিভিল সার্জন এস এম আব্দুর রাজ্জাক।

    পরে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে খুলনা বিভাগের সিভিল সার্জন এবং জেলার টিএইচও, বিএমএ, স্বাচিপ সহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

     

  • খুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

    খুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

    স্টাফ রিপোর্টার : বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মন্দির প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. উৎপল কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

    প্রধান অতিথি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন আমাদের সবার মূখ্য আরধ্য হওয়া উচিত আদর্শ মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে জ্ঞান সাধনা করা। প্রত্যেক ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এর কারণ মানুষ যখন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় তখন তাঁর মধ্য থেকে কুসংস্কার দূরীভূত হয়। লেখাপড়ায় নিষ্ঠার বিষয়টি জরুরী। শিক্ষক যদি সৎ হন, দায়িত্বশীল হন, আদর্শবান হন তবে তাঁর শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনি বলেন এখন সমাজ সভ্য হয়েছে, আলোকিত হয়েছে। এখন শিখন ও শিক্ষণ পদ্ধতি পাল্টেছে। আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন উভয়মুখি শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈকট্যলাভের সুযোগ ঘটে। তিনি বলেন আমরা দেখতে পাই প্রকৃতির সবকিছুই শৃঙ্খলার সাথে চলে, সবকিছুতেই শৃঙ্খলা আছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলাটা জরুরী। এটার জন্যও আমাদের জ্ঞানার্জন দরকার। তিনি বলেন প্রাচীন গ্রিকে বা সে সময়ে সঙ্গীত ও গণিত চর্চার কথা বলা হয়েছে। এটার সাথে সনাতন হিন্দু ধমের্র কিভাবে যোগসূত্র হয় সে বিষয়টি গবেষণার । তবে সনাতন এ ধর্মে বাণী অর্চনার মূখ্য উদ্দেশ্যই হলো জ্ঞানলাভের প্রয়াসে, সুন্দরের প্রচেষ্টায় ভক্তি নিবেদন করা। এর পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মুদ্রিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা, প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস, ডাঃ গৌতম রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যসচিব রূপক সাহা। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সকালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমা বেদীতে অঞ্জলি প্রদান এবং পূজা শেষে  প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিকে বাণী অর্চনা উপলক্ষে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • জহুরুলের মৃত্যুতে রূপান্তরের শোক পালন শুরু

    জহুরুলের মৃত্যুতে রূপান্তরের শোক পালন শুরু

    রূপান্তর-এর জ্যেষ্ঠ কর্মী ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে সংস্থার পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক পালন কর্মসূচী আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। রূপান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত মাসাধিককাল ধরে নানান রকম অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান থেকে পশু চিকিৎসায় ডিগ্রী অর্জনের পর পাকিস্তানের লারকানায় তিনি কিছুদিন পশু চিকিৎসক ও সার্জনের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৯ সালে এ দেশে চলে আসেন এবং গ্ল্যাক্সো লিমিটেডে যোগদান করেন। সেখানে বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮২ সালে এসএমসিতে যোগদান করেন। তিনি খুলনার সেন্ট জোসেফস হাই স্কুল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি রূপান্তরে দায়িত্ব পালন শুরু করে আমৃত্যু রূপান্তরে কর্মরত ছিলেন।

    আজ বাদ জোহর নগরীর জোড়াকল মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ রূপান্তর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে খুলনার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ আছর দারুল উলুম মাদ্রাসায় তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বসুপাড়া গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়।

    ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রূপান্তর পরিবারের পক্ষে নির্বাহী পরিচালকদ্বয় স্বপন কুমার গুহ ও রফিকুল ইসলাম খোকন গভীর শোক প্রকাশ করে এক শোক বার্তায় বলেন এ মৃত্যু শুধু রূপান্তর নয়, এ অঞ্চলের বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শোক বার্তায় মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমমর্মিতা প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির

     

     

  • খুবিকে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে স্থান করে নিতে চাই : উপাচার্য

    খুবিকে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে স্থান করে নিতে চাই : উপাচার্য

    দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় কর্মদিবসে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বলেন বিগত সময়ে আপনারা যেভাবে সবাই সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে পূর্ণোদ্যমে কাজ করে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‌্যাংকিং এর মধ্যে স্থান করে নিতে চাই। আপনারা গত কয়েক বছরে উচ্চশিক্ষার মান অর্জনে যেভাবে নিরলস চেষ্টা করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি আমরা এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন  উপাচার্য নিয়োগে ২-৩ সপ্তাহ বিলম্ব হওয়ায় সৃষ্ট সাময়িক স্থবিরতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও আমাদের দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।

    অনুষ্ঠানে উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং একাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার, সয়েল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ভুইয়া, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু, অর্থনীতি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, বিভিন্ন ¯ু‹লের ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আজ উপাচার্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ড্রইং এন্ড পেইন্টি, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ ও খুলনাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • খুবি ভিসি ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ

    খুবি ভিসি ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ

    স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোমবার যোগদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছানোর পথে স্বতস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য তাৎক্ষণিক বক্তব্যে বলেন প্রথম মেয়াদ শেষে আপনারা যেভাবে ফুলেল শুভেচ্ছায় আমাকে বিদায় জানান আমি যেদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব শেষ করবো সেদিনই ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় নিতে চাই। আপনাদের ভালোবাসাই আমার কাম্য। আসুন আমরা সবাই মিলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনাদের কাছে আমি সেই সহযোগিতা চাই। আমি অর্থ-বিত্ত চাই না। আমি চাই সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে যাতে দায়িত্ব পালন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি করতে পারি, দেশের জন্য কাজ করতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন যেনো আমার সন্তানেরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। পরে তিনি তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করলে কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ ও কর্মচারিদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে উপাচার্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য অদম্য বাংলা এবং কটকা স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পরপরই অফিসে ফিরে তিনি দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বিভাগের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় তিনি স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে আর্ক কেইউ ডিগ্রিশোতে প্রদর্শীত নবীন ৪৫ জন স্থপতির থিসিসভিত্তিক বিভিন্ন স্থাপত্যকর্মের মডেল ঘুরে দেখেন। এ সময় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসে তিনি ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেন।

     

     

     

     

  • খুলনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ

    স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৭ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শনিবার বিকালে সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের দিন বদলের সনদ ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবরূপ ধারন করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের ডিজিটাল ধারণাকে অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন প্রায় একশটির মতো সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারছে। কোন সরকারী দপ্তর কি ধরনের সেবা দি”েছ এবং সেই সেবাগুলো কিভাবে সাধারণ মানুষ পেতে পারবে তা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার মাধ্যমে জানতে পারছে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গবেষণা করার আহবান জানান।

    এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মনির“জ্জামান।

    পরে প্রধান অতিথি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং সেবা প্রদানে শ্রেষ্ঠ স্টল ও দপ্তরকে পুরস্কার তুলে দেন।

  • পাটজাত পণ্য রফতানি করে আয় ৬৫৯ কোটি টাকা

    পাটজাত পণ্য রফতানি করে আয় ৬৫৯ কোটি টাকা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমসি) বিশ্বের ১০৪টি দেশে ৮৫ হাজার ২০৮ দশমিক ৬৩ টন পাটজাত দ্রব্য রফতানি করেছে। এ থেকে বিজিএমসি ৬৫৯ কোটি (৬৫৯.০২৮ কোটি) টাকার (সাবসিডি ব্যতীত) বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। সোমবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

    মন্ত্রী বলেন, বিজিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২২টি পাটকল বর্তমানে সচল আছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২শ’ ৬৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

    গত ৫ বছরে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজিএমসি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন মিলসমূহ (বস্ত্র ও পাটকল) লাভের মুখ দেখেনি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে বর্তমান সরকার এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের বস্ত্র কারখানাগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৭০-৮৩ শতাংশ মেটাতে সক্ষম। রফতানিযোগ্য বস্ত্র শিল্পের মধ্যে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ আর নিট পোশাকের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়।

     

     

  • ইসিতে ‘গ্রহণযোগ্য, নির্দলীয়দের’ চান বিশিষ্টজনরা

    ইসিতে ‘গ্রহণযোগ্য, নির্দলীয়দের’ চান বিশিষ্টজনরা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দক্ষ, সৎ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যাক্তিদের নাম সুপারিশ করার জন্য  রাষ্ট্রপাতির গঠিত সার্চ কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

    আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্যরা সোমবার বিকালে ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে তাদের মতামত শোনেন।

    সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা তাদের এই বৈঠক চলে।

    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “উনারা আজ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলোর রেকর্ড নিয়েছি। তারা প্রত্যেকেই সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সৎ, দক্ষ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তিদের বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন।”

    সার্চ কমিটির কার্যক্রমে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই সূত্রে এ বিভাগের সচিব নিজেও সার্চ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আইনজীবী সুলতানা কামাল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক তোফায়েল আহমদ, সুশাসনের জন্য্ নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা অংশ নেন এই আলোচনায়।

    বৈঠক শেষে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তারা কোনো নাম প্রস্তাব করেননি।

    “আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। আশা করি, সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করবে।”

    সাখাওয়াত বলেন, ইসি গঠনের কিছু মানদণ্ড তারা সার্চ কমিটির সামনে তুলে ধরেছেন।

    “এমন লোকটিকে নির্বাচন করতে হবে, যাকে দেখে মানুষ প্রথমেই বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতাসম্পন্ন, নিরপেক্ষ বিবেচিত ব্যক্তিদের বাছাই করতে হবে।”

    সুলতানা কামাল বলেন, “একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এখানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছি। সার্চ কমিটির নিজস্ব একটা কর্মপদ্ধতি আছে। কারা কমিশনে যাবে বা না যাবে- সেই নাম প্রস্তাব করার দায়িত্ব সার্চ কমিটির। আমাদের সাথে তাদের মত বিনিময় ছিল মানুষ কোন ধরনের ব্যক্তিদের কমিশনে দেখতে চায় সে বিষয়ে।”

    তিনি জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব যারা সততা, স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার সঙ্গে পালন করতে পারবেন- তেমন ব্যক্তিদের যাতে সার্চ কমিটি খুঁজে নিতে পারে- সে বিষয়ে তারা মতবিনিময় করেছেন।

    “নির্বাচন কমিশনে আমরা এমন ব্যক্তি দেখতে চাই, যে বা যারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে। তারা হবেন সৎ, দক্ষ ও উপযুক্ত এবং তারা মনে করবেন তাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এটা কোনো সুযোগ সুবিধার ব্যাপার না। একটা বিরাট বড় জাতীয় দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।”

    সার্চ কমিটি নিয়ে একটি দলের আস্থার সঙ্কটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “কিছু মানুষের আস্থার সঙ্কট আছে, কিছু মানুষের নেই। শুধু আস্থার সঙ্কটের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে সামনে এগোনো যাবে না। আজ সার্চ কমিটি হয়েছে, এতোদিন ধরে আস্থার যে সঙ্কট ছিল তার কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে।

    “আমি মনে করি, তারা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে তারা যোগ্যতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আস্থা আনাটা জনগণেরও নৈতিক দায়িত্ব। ইসি বা সার্চ কমিটি কিন্তু নির্বাচন ভণ্ডুল করে না; নির্বাচন যদি অস্বচ্ছ হয় তার জন্যে দায়ী থাকে রাজনৈতিক দলগুলো।”

    অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সার্চ কমিটি প্রথমবারের মত কিছু নাগরিকের সঙ্গে বসেছে, সেখনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতামত তুলে ধরেছে।

    “আমরা কিন্তু আগে আলোচনা করে একমত হইনি। কেউ কেউ লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে, সার্চ কমিটিকে যেটা সুপারিশ করেছে সেটা হচ্ছে একটা ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে উনারা সিলেকশন করবেন, আরেকটা হচ্ছে সিলেকশন যেটা করছেন তার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখুন, তাতে মানুষের আস্থা বিশ্বাস বাড়বে।

    “সিলেকশনের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠিগুলো তারা বসে চিন্তা করবেন, আমরা কিছু চিন্তার খোরাক দিয়েছি। আজ যে জিনিসগুলো দেওয়া হয়েছে, তারা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তারা নিজেরা বসে এগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে কিছু একটা দাঁড় করাবেন।”

    সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “ইসি গঠনে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা উচিত। সময় লাগলেও আইন করে নতুন ইসি নিয়োগ দেওয়া উচিত হবে।”

    অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকও একই ধরনের সুপারিশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও এস এম এ ফায়েজ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

    নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঁচটি করে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এই তালিকা দিতে হবে।

    দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নাম যাচাই-বাছাই করে সার্চ কমিটি ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেবে। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

    আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই সার্চ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

     

  • রোগ সারাতে বেদানা

    রোগ সারাতে বেদানা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বাতের ব্যথা কাবু করে ফেলেছে আপনাকে? বাড়ছে ব্লাড প্রেসার? আটকাতে চান ক্যান্সার বা হার্টের মারাত্মক অসুখ? এই ফলের দানায় দানায় রয়েছে ম্যাজিক। খাদ্যগুণে ভরপুর বেদানার প্রতিটি দানা।

    গবেষকরা বলেছেন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি আর ভিটামিন কে। পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ বেদানা। ফাইবার আর প্রোটিনের উৎসও এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    গবেষণায় প্রমাণিত বেদানা ক্যান্সারের কোষগুলোর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণভাবে কাজে দেয় বেদানা। ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয় এই ফল।

    বেদানার রস হার্টের অসুখ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর বেদানার রস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতেও দারুণভাবে কাজে দেয় বেদানা। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বেদানার রস।

    অ্যালঝাইমার্সের ক্ষেত্রে কাজে দেয় এই ফল। ব্যথা কমাতেও বেদানার জুড়ি নেই। গাঁটের ব্যথা থেকে বাতের যন্ত্রণা কমাতে পারে বেদানাই। ব্যাকটিরিয়া আর ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতেও বেদানা দারুণ কাজে দেয়।

     

     

  • ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ ফেব্রুয়ারি

    ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ ফেব্রুয়ারি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ’ -রক্তে রাঙ্গানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস- ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। এ দিন থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সংগীতের অমিয় বাণী। বাঙালি জাতি পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের।

    ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ কাল।

    ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

    বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য এ মাসে জীবন দিয়েছিল।

    ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে নানা কর্মসূচি। অন্যদিকে একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন তিনি উদ্বোধন করবেন ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শাসমুজ্জামান খান জানান, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে ৭টি দেশের ২৭ জন কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-প্রাবন্ধিক অংশগ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারী কবি-সাহিত্যিকরা আসবেন রাশিয়া, চীন, অস্ট্রিয়া, জার্মানী, পুয়ের্তোরিকো, সুইডেন ও ভারত থেকে।

    তিনি বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসবেন ১৮ জন কবি ও কথাসাহিত্যিক। তাদের মধ্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক পবিত্র সরকারসহ বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকের আসার কথা রয়েছে। এছাড়া জার্মানির ২ জন, অস্ট্রিয়ার ১ জন, চীনের ২ জন, রাশিয়ার ১ জন, পুয়ের্তোরিকোর ২ জন ও সুইডেনের ১ জন করে কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

    তিনি বলেন, কবিতা নিপীড়ন, নির্যাতন ও অত্যাচার মানে না। মানে না দেশের সাথে বেঈমানী ও বিশ্বাস ঘাতকতা। এসব ভেবেই এবার এ স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

     

     

  • কৃত্রিম কিডনি সংযোজন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে : বিশেষজ্ঞ

    কৃত্রিম কিডনি সংযোজন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে : বিশেষজ্ঞ

    ॥ অনুপ খাস্তগীর ॥

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কিডনিজনিত অসুস্থতা বিশ্বের অন্যতম যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। আর এই চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী একজন মার্কিন জৈব-প্রকৌশলীর নেতৃত্বে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন গবেষণা বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের লাখ লাখ রোগী সাশ্রয়ী মূল্যে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবেন।

    ভারতের চেন্নাইতে আন্তর্জাতিক কিডনি সম্মেলনের সাইডলাইনে বাসস-এর সঙ্গে কথা বলেন ৪৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই মার্কিন বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার ড. শুভ রায়। তিনি বলেন, বৃহদাকার প্রাণীর দেহে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপনে ‘খুবই ইতিবাচক’ ফলাফল পাওয়ার পর আগামী তিন বছরে মানবদেহে কৃত্রিম কিডনির পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন তথা ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’-২০২০ সালে সম্পন্ন হবে।

    ‘কিডনি অকার্যকর হওয়া বা কিডনিজনিত রোগের শেষ পরিণতি (ইএসআরডি)-র স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গত ১৫ বছর ধরে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তার গবেষক দলের একনিষ্ঠ গবেষণা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে’- তিনি জানান।

    বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণরত শুভ রায় বলেন, ‘কিডনিজনিত রোগে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মানসম্মত বিকল্প হচ্ছে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন করা।’

    তিনি জানান, কফির কাপের আকারের এই যন্ত্রটি মানবদেহের ভেতরে স্থাপন করা হবেÑযা সংশ্লিষ্ট রোগীর রক্ত সঞ্চালক অঙ্গ ও ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির কাছেই সংযুক্ত থাকবে।

    কৃত্রিম কিডনির সাশ্রয়ী মূল্য সম্পর্কে শুভ রায় বলেন, এই জৈব-যান্ত্রিক ডিভাইসটির মূল্য কিডনি প্রতিস্থাপন বা ডায়ালাইসিসের খরচের চেয়ে যথেষ্ট কম হবে।

    তিনি বলেন, ‘এই কৃত্রিম কিডনি হরমোন তৈরি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত পরিশোধনসহ অধিকাংশ জৈবিক কাজ সম্পন্ন করবে।’

    শুভ রায় বলেন, বৃক্কজনিত জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীদের কৃত্রিম কিডনী ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন থেকে স্থায়ীভাবে নিষ্কৃতি দেবে।

    তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন এমন রোগীর তুলনায় কিডনি দানকারীর সংখ্যা খুবই সীমিত এবং এই প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে জটিল এবং খরচও খুব বেশী।’

    তিনি আরো বলেন, ‘কৃত্রিম কিডনি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই একটি জৈব যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং সে লক্ষেই আমাদের প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। চলমান পরীক্ষা ও গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কোন রকম নিষ্ক্রিয়তা ছাড়াই এই ডিভাইসটি বহু বছর চলা সম্ভব।’

    এই কৃত্রিম ‘ডিভাইস’ বা অঙ্গটি কোন কারণে অকার্যকর হয়ে পড়লেও সামান্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এর ছাকনি বা কোষ প্রতিস্থাপন করা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ‘বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড থেরাপিউটিক সায়েন্সেস’ বিভাগের (ইউসিএসএফ) অধ্যাপক শুভ রায় বর্তমানে ‘মাল্টি-ইনস্টিটিউশনাল কোলাবরেটিভ কিডনি প্রজেক্ট’-এর টেকনিক্যাল ডাইরেক্টও হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে, ভ্যান্ডারবিল্ট-এর মেডিসিন বিভাগের ড. উইলিয়াম ফিসেল এই প্রকল্পের মেডিকেল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন।

    চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. অশোক রায় ও রতœা দত্তের দু’ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে শুভ রায় বড়। তার জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তার শিক্ষা জীবনের সূচনা ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি বিদ্যালয়ে। পরে পিতার চাকরির সূত্রে উগান্ডায় চলে যান এবং সেখানে পড়াশোনা করেন।

    উগান্ডার তৎকালিন প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের অনুরোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে দেশে বাংলাদেশের যে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছিলেন ড. শুভ রায়ের পিতা সেই টিমের সদস্য ছিলেন।

    পরবর্তীতে শুভ রায় যুক্তরাষ্ট্রের নরদার্ন ওহিও স্টেটে চলে যান এবং সেখান থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ¯œাতোকোত্তর ডিগ্রী করেন।

    ড. শুভ রায় বলেন, ‘যদি আমাদের কোন অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় তাহলে আমরা আশা করি ২০১৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই একটি ডিভাইস ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হবে এবং ২০২০ সাল নাগাদ তা সম্পন্ন হবে।’

    তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় তার দল ওই ডিভাইসটির উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্ভাবনাময় নির্মাতাদের সাথেও কাজ করবে।

    তিনি বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো শেষ হলে শিগগিরই ওই ডিভাইসটি রোগীদের জন্য সহজলভ্য হবে।’ বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে প্রতিবছরই মানুষের কিডনি অকেজো হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি, কিডনি অকেজো হওয়ার সাথে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কিডনি অকেজো হওয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং এ জন্য বছরে ব্যয় হয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ওই দেশের বাৎসরিক চিকিৎসা ব্যয়ের মোট সাত শতাংশ।

    বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, কিডনী সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকোপ বেশীÑবিশ্বে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোন না কোন ধরনের কিডনি সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ভুগছেন। এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি।

    দেশে প্রতি সাতজনে একজন কিডনি রোগে ভুগছেন এবং প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষ দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকেজো হওয়ায় মারা যান এবং এই রোগীদের অংধিকাংশই চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারেন না।

     

  • অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বই

    অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বই

    ॥ মাহফুজা জেসমিন ॥

    এসবিনিউজ ডেস্ক) : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরো একটি নতুন বই। বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতির ওপর বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তাঁর লেখা ১৩টি প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে সংকলন গ্রন্থ ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’।

    বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। মেলার প্রথম দিন থেকেই ১৩ নম্বর প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাবে।

    এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এ বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন, ‘‘লেখক হিসেবে শেখ হাসিনা মূলত প্রাবন্ধিক, বিশেষভাবে বলতে গেলে রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তাঁর ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ সংকলন গ্রন্থটি বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চিন্তা চেতনা, মন-মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় বহন করে। সে কারণেই এ গ্রন্থটির গুরুত্ব অপরিসীম।”

    সংকলনের প্রথম প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’। ১৯৯৩ সালে লিখিত এই প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশে স্বৈরাচারের উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে একজন রাজনীতিবিদের প্রত্যক্ষ পরিচয় ফুটে উঠেছে। ‘শিক্ষিত জনশক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত’ প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। ১৯৯৩ সালে লিখিত ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ প্রবন্ধে শেখ হাসিনা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা সত্ত্বেও বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে দেশে দেশে মানুষে মানুষে এবং একই দেশে শ্রেণিবিভক্ত সমাজে মানবতার যে চরম অবমাননা তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে লিখিত ‘ভালবাসি মাতৃভাষা’, ২০০২ সালে প্রকাশিত ‘বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা’, ১৯৯৮ সালে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি নিয়ে লেখা ‘স্মৃতি বড় মধুর স্মৃতি বড় বেদনার’, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন নিয়ে ২০০১ সালে লেখা ‘সংগ্রামে আন্দোলনে গৌরব গাঁথায়’, ১৯৯৯ সালে লেখা ‘বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্যে উন্নয়ন’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘প্লিজ, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলুন’, ‘একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’ এবং ১৪ আগস্ট ১৯৯১ সালে লেখা ‘অনর্জিত রয়ে গেছে স্বপ্নপূরণ’ প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে এই নির্বাচিত প্রবন্ধে।

    বইয়ের সর্বশেষ প্রবন্ধ হাইকোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায় নিয়ে লেখা ‘সত্যের জয়’। লেখক ২০০৫ সালে এটি রচনা করেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মতে এই প্রবন্ধে আইনের শাসনের প্রতি শেখ হাসিনার গভীর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে।

    আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই নির্বাচিত প্রবন্ধের মূল্য ৩৫০ টাকা। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন আনওয়ার ফারুক।

    বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে আগামী প্রকাশনী থেকে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার আরো ১৩টি প্রবন্ধ সংকলন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘সাদাকালো’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা’, ‘দারিদ্র দূরীকরণ: কিছু চিন্তাভাবনা’, ‘সহেনা মানবতার অবমাননা’, ‘বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম,’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি (জাতীয় সংসদে ভাষণ ১৯৮৭-১৯৯৮)’ ‘লিভিং ইন টিয়ার্স’, ‘পিপল এ্যান্ড ডেমোক্রেসি’, ‘ডেমোক্রেসি প্রভার্টি এলিমিনেশন এ্যান্ড পিস’, ‘ডেমোক্রেসি ইন ডিসট্রেস ডিমান্ড হিউম্যানিটি’, এবং ‘জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ ( যৌথ সম্পাদনা)।

    আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গণি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইয়ের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এটিও বইমেলার প্রথম দিন থেকেই আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এছাড়াও এবারের বইমেলা উপলক্ষে ‘লিভিং ইন টিয়ার্স’, ‘পিপল এ্যান্ড ডেমোক্রেসি’, ‘ডেমোক্রেসি প্রভার্টি এলিমিনেশন এ্যান্ড পিস’, এবং ‘ডেমোক্রেসি ইন ডিসট্রেস ডিমান্ড হিউম্যানিটি’ বই তিনটির পুনর্মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে।

     

  • ২,৬৩৫ কোটি টাকার খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

    ২,৬৩৫ কোটি টাকার খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি)’সহ ৮ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

    এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

    এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ হাজার ১৯২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

    মঙ্গলবার রাজাধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি) এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদকালে এটি বাস্তবায়িত হবে।

    মুস্তাফা কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী একই সাথে চর এলাকায় ভূমিহীনদের জমি বরাদ্দ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতবাড়ী নির্মাণ এবং এর সুবিধাভোগীরা কোথায় চাষাবাদ করবে, এ বিষয়ে পরিকল্পিত পদ্ধতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। গত কয়েক বছরে গ্রামীণ অবকাঠামোখাতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পল্লী এলাকায় অবকাঠামো ডিজাইন তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে তিনি জানান।

    বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখন অত্যন্ত চমৎকার বর্ণনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সৌদি পত্রিকায় লেখা হয়েছে- সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। তারা কেউ কেউ বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফরের পর সেখানে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো, জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), মিরপুর সেনানিবাস এর অবকাঠামোগত সুবিধা সম্পসারণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৯ লাখ টাকা। অন্যান্য আবাসিক এলাকার উন্নয়ন (২য় পর্যায়), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    এছাড়া নাটোর রোড (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে- ১৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ লাইন নির্মাণ প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প- এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৬ কোটি ১ লাখ টাকা।

    একনেক বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

     

  • সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছে

    সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ২০ জনের নাম বাছাই (শর্ট লিস্ট) করেছে সার্চ কমিটি।

    মঙ্গলবার বিকেলে সার্চ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নামগুলো ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির কাছে দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা এই নামগুলো যাচাই-বাছাই করতে বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে বসেন।

    মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘সার্চ কমিটির আহবানে সাড়া দিয়ে ৩১টি দলের মধ্য ২৭টি দল মোট ১২৫ জনের নাম প্রস্তাব করে। এর মধ্য থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছেন।’

    বৈঠকে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটির হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শিরীন আখতার উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশিষ্টজনরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ীই আমরা নাম বাছাই করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সৎ, যোগ্য ব্যক্তিদের নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হবে।

    রাজনৈতিক দলগুলোর জমা দেওয়া নামের মধ্যে কোনও মিল আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় মিল আছে। আমরা এই নামগুলো থেকেই যোগ্যদের নাম বাছাই করে নিতে পারব।

    গত ২৫ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। গঠিত হওয়ার দিন থেকে ১০ কার্যদিবস, অর্থাৎ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে ইসির জন্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে।

     

  • নাসের হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট

    নাসের হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট

    স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হচ্ছে মঙ্গলবার। পদ্মার এপারের সরকারি পর্যায়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু হচ্ছে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে। একই সঙ্গে পালাস্টিক সার্জারী ও বার্ণ ইউনিটও চালু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

    খুলনা সফরের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বিমানেযোগে যশোর হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে আসবেন। বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে পরপরই যাবেন আবু নাসের হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট উদ্বোধন শেষে আবারও সার্কিট হাউজে যাবেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেল চারটায় তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামের এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিভাগের সিভিল সার্জন এবং জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা, বিএমএ, স্বাচিপসহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।

    রাতে খুলনা সার্কিট হাউজে অবস্থান শেষে পরদিন বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী যশোর হয়ে বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

    উল্লেখ্য, ঢাকার বাইরে বিশেষ করে পদ্মার এপারে সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ বিভাগ না থাকায় গুটি কয়েক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান মূমূর্ষ রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করে আসছে।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি পর্যায়ের হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগ থাকলে রোগীদের এভাবে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের সুযোগ হতো না। আবু নাসের হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগ চালু হতে চললেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভবন নির্মাণ হয়েও এখনও পড়ে আছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. নমিতা হালদার খুলনা সফরে এসে ওই ভবনটি দেখতে গেলে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে সেখানে সংঘর্ষ হয়। এতে পিছিয়ে যায় ওই ভবনটির উদ্বোধন প্রক্রিয়া। খুলনাঞ্চলের এ দু’টি বৃহৎ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ বিভাগ চালু থাকলে অন্তত: মুমূর্ষু রোগীদের আর ঢাকায় যেতে হবে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।