Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 7 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: গভর্নর

    কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: গভর্নর

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের গ্রোথ কমেনি। চার মাস পার করছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে।

    তিনি বলেন, বিগত সময়ে ব্যাংকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্য এলসি খোলা, শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু করেনি।

    বেক্সিমকোতে রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বেক্সিমকো সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

    সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা

    সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর ইশতিয়াক,   অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডিডিএলজি মাসরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি আব্দুল সাত্তার, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবুল হাশেম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব  আহমাদ, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল  ইসলাম, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ  অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী  প্রমুখ।  এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে: ইরান

    যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে: ইরান

    তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গাজায় এবং লেবাননে ইসরায়েলের যে যুদ্ধ চলছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অনেক দূরে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শনিবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তৃতায় এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি।

    আরাগচি বলেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষতিকর প্রভাব কেবল পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি অনেক দূরেও এর প্রভাব পড়তে পারে; যা বিশ্বের জানা উচিত।

    গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর সেদিনই গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের চিরশত্রু ইসরায়েল।

    তবে সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ থেকে সামরিক শক্তিকে লেবাননের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল।

    লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জেনারেল নিহত হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। ওই দিন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে দুই শতাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। এই হামলার জবাবে গত ২৬ অক্টোবরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

    ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৬ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত ও রাডার ব্যবস্থায় সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে ইসরায়েলি হামলায় একজন বেসামরিকের প্রাণহানির তথ্যও জানানো হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করলেও তেহরান কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, গাজা এবং লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইরানের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

    চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেন, ‘‘যদি তারা (ইসরায়েলিরা)… যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং এই অঞ্চলের নিপীড়িত ও নিরপরাধ মানুষকে গণহত্যা বন্ধ করে, তাহলে সেটি আমাদের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা ও ধরণে প্রভাব ফেলতে পারে।’’

    বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলী লারিজানি বলেছেন, ইরানে সংঘাত টেনে নিয়ে আসাই ইসরায়েলের লক্ষ্য। এই ফাঁদ এড়াতে আমাদের অবশ্যই বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করতে হবে এবং সহজাত প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না।

  • হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

    হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

    হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসের নাম ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬৭ বছর বয়সী সুসি হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ।

    বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সুসির নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম সংক্রান্ত দুই ব্যবস্থাপকের একজন সুসি। খবর রয়টার্সের

    যুক্তরাষ্ট্রে ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হন। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।

    শপথ গ্রহণের আগেই ট্রাম্প তার প্রশাসন সাজানোর কাজ সারবেন। এ জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের জন্য তার পছন্দের ব্যক্তিদের বাছাই করবেন। তাদের নাম ঘোষণা করবেন। প্রথম তিনি সুসির নাম ঘোষণা করলেন।

    হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বাররক্ষক (গেটকিপার) হিসেবে কাজ করেন। তার সাধারণত অনেক প্রভাব থাকে। তিনি হোয়াইট হাউসের কর্মীদের পরিচালনা করেন। প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করেন। সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

    সুসিকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সুসি বলিষ্ঠ, স্মার্ট, উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ। তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রকে গৌরবান্বিত করবেন, তা নিয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।

    গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন ট্রাম্প। এর পর থেকে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মালিকানাধীন মার-এ-লাগো ক্লাবে সময় কাটাচ্ছেন।

    সুসি ফ্লোরিডাভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলবিদ। তিনি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্রিস লাসিভিটার সঙ্গে একত্রে ট্রাম্পের প্রচার কার্যক্রম-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    এবার ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ক্রিস ও সুসি উভয়ে বাহবা পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের আগের প্রচারাভিযানগুলোর তুলনায় এবারের প্রচারাভিযান ছিল অনেক বেশি শৃঙ্খলাপূর্ণ।

    নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প নিজেও এই দুজন ব্যবস্থাপককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  • অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে সোয়া দুই শতাংশ।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

    এর আগে আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কমার পর অক্টোবরে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। আর গত জুলাইয়ে দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে।

    বাংলাদেশ প্রায় দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে আছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর।

  • বেহাল অবস্থায় সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক

    বেহাল অবস্থায় সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক

    প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত ৬২.৩২ কিলোমিটার সড়ক। দীর্ঘ এই সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক ছোট বড় দুর্ঘটনা। ফলে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন জেলার চার উপজেলার মানুষ। একইসাথে বেড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যয়।

    সড়ক বিভাগ বলছে, ৮২২ কেটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও ঠিকাদার নির্বাচন না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

    সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলার মধ্যে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানুষ সরাসরি সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া আশাশুনি উপজেলার একাংশের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা এটি। সাতক্ষীরার এই সড়ক ধরেই জেলা শহরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন এই পাঁচ উপজেলার মানুষ। বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য যেতে হয় এই সড়ক দিয়েই। অথচ গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি গত প্রায় দুই যুগ ধরে সংস্কার করা হয়নি। মাঝে মাঝে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পুডিং ও ইট ফেলে দায় সারছে সড়ক বিভাগ।

    স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে সড়কটির অবস্থা এতোটাই খারাপ যে তা দিয়ে চলাচল করলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়ছে পণ্য পরিবহন। সাতক্ষীরা জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের শ্লোগান ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়কপথে সুন্দরবন’। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের বেহাল দশার কারণে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের এ শ্লোগান ভুলতে বসেছেন মানুষ। কারণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে আসতে উৎসাহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। এতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটনের উপর নির্ভরশীল উপকীলীয় এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায়। একইসঙ্গে ব্যহত সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের চলাচল ও রসদ সরবরাহে।

    এ প্রসঙ্গে শ্যামনগরের সাবেক প্রকৌশলী শেখ আফজাল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরাই বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যেখানে সড়কপথে সুন্দরবন উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের যে নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থা তাতে এখানে আর পর্যটকরা আসতে চান না।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা শহরে আসতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। তারপর বাসে বা অন্য কোন পরিবহনে আসতে গেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া শ্যামনগরের কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় নিতে তার জীবন প্রায় শেষ হয়ে যায়। অনেক রোগী পথেই মারা যায়। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

    কালিগঞ্জের নবিননগর গ্রামের গৃহবধূ জাহানারা খাতুন বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাক্তার দেখাতে প্রায় সাতক্ষীরা শহরে যেতে হয়। কিন্তু এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। একবার সাতক্ষীরায় গেলে বাড়ি ফিরে এসে ২/৩ দিন বিশ্রামে থাকতে হয়।

    দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী আলফেরদৌস আলফা বলেন, বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অল্প বৃষ্টিতে গর্তগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়কে চলাচলকারীরা।

    তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরায় প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরে মাছের সাথে রয়েছে কাঁকড়ার ঘের। এসব পণ্য জেলার বাইরে পাঠাতে বা কোনো কিছু বাইরের জেলা থেকে আনতে চাইলে ট্রাকচালকরা এই সড়কের কথা শুনলে আসতে রাজি হয় না। ফলে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যানবাহন ভাড়া নিতে হয়। এতে করে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়েছে।

    তবে সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কটি উন্নয়নে বিগত সরকারের সময় সাতক্ষীরা-সখিপুর এবং কালিগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়/ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে মোট ৬ টি প্যাকেজে ৬২ দশমিক ৩২৫ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নে ৮২২ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর একনেকে অনুমোদন হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল দরপত্র আহবান করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ১ আগষ্ট ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৬ সাল পর্যন্ত। দরপত্র গ্রহণের পর ঠিকাদার নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়নি। যে কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

    সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর ২০০০ সালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলো মেরামত করা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচল উপযোগী রাখতে সেসময় কিছু কিছু স্থানে হেরিংবন্ড করা হয়। এছাড়া মাঝে মাঝে সওজ নিজ উদ্যোগে কিছু অংশ পুডিং করে মেরামত করে রাখার চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।

    সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, সড়কটির ছোটখাটো মেরামতের জন্য ২০০০ সালে ১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার চারলেন ও কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার ২৪ ফুট প্রস্থ রেখে ২০২৩ সালে একটি প্রকল্পের খসড় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ৮২২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল।

    তিনি আরও বলেন, দরপত্র অনুমোদন করে সিএস (কনট্রাক্টর সিলেকশন) এর জন্য গত জুলাই মাসে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো সিএস অনুমোদন হয়ে আসেনি। গত চার মাস মন্ত্রণালয়ে এ কাজের দরপত্রগুলো অনুমোদনের জন্য আটকে রয়েছে। দ্রুত যদি অনুমোদন না হয় আর ঠিকাদার না আসে তাহলে আমাদের পক্ষে এই মুহুর্তে সড়কটি মেরামত করা সম্ভব হবে না।

  • হোয়াইট হাউসে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    হোয়াইট হাউসে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয় বারের মতো দোর্দণ্ড প্রতাপে হোয়াইট হাউসের মসনদে ফিরলেন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগের জনমত জরিপের সব হিসেব-নিকাশ উল্টে দিয়ে মঙ্গলবার মার্কিনিরা আরেকবার বেছে নিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে। এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর কমালা হ্যারিসের উত্থানের আশায় গুঁড়েবালি দেখল বিশ্ব; আর শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশটিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    নির্বাচনের আগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কথার লড়াই আর বিভাজনের রাজনীতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান এই দুই প্রার্থীর মাঝে যে তুমুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে সেই আভাস দিয়ে আসছিল মতামত জরিপে। যদিও এসব জরিপের বেশিরভাগেই নীল শিবিরের প্রার্থী কমালাকেই এগিয়ে রাখতে দেখা যায়। কিন্তু মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘‘আমেরিকা প্রথম’’ নীতিতে অটল ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই বেছে নিলেন মার্কিন ভোটাররা।

    যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচনী ফল অনুযায়ী, দেশটির নির্বাচনে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০টির প্রয়োজন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় বুধবার পৌন ৪টার দিকেই এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান। দেশটির নির্বাচনে ফল নির্ধারণী ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য খ্যাত জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, মেইন, পেনসিলভানিয়ায় লাল শিবিরের জয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদ নিশ্চিত হয় ট্রাম্পের।

    ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চার বছর আগের ভোটে হেরে হোয়াইট ছাড়ার পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে; নতুন আমেরিকান নেতৃত্বের সূচনা হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশটির গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা এডিসন রিসার্চ বলছে, ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টিরও বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে বুধবার হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করেছেন; যা দেশটিতে চলমান মেরুকরণের রাজনীতিকে আরও গভীর করে তুলেছে।

    বুধবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৬ টার দিকে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণী দোদুল্যমান রাজ্য-খ্যাত উইসকনসিনের ফল প্রকাশের সাথে সাথেই ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। উইসকনসিনের ১০টি ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে ম্যাজিক ফিগার ২৭০ পেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    মার্কিন বার্তা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলীয় কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। তবে এখনও কয়েকটি রাজ্যে আংশিক ভোট গণনা বাকি রয়েছে।

    শুধু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটই বেশি পাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প, বরং পপুলার ভোটও প্রায় ৫০ লাখ বেশি পুড়েছেন নিজের ঝুলিতে। এর আগে, ফ্লোরিডার পাম বিচ কাউন্টি কনভেনশন সেন্টারে লাল ঢেউয়ের গর্জনে মেতে ওঠা সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমেরিকা আমাদের এক অভূতপূর্ব ও শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।’’

    ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় পরের বছরের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব চালান ট্রাম্পের কর্মী-সমর্থকরা। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে চালানো ওই সহিংসতার পর ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নিজ দলের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচনী দৌড় থেকে দূরে সরিয়ে দেন তিনি।

    এরপর মার্কিন অর্থনীতিতে জেঁকে বসা মুদ্রাস্ফীতি আর দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দশায় ভোটারদের উদ্বেগকে পুঁজি করে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি। ‘‘আমেরিকা ফার্স্ট’’ নীতির কথা জানিয়ে দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের অবসানের রূপকল্প তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করেন তিনি।

    বিপরীতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসী পরিবারের সন্তান কমালা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রকে অভিবাসীদের জন্য স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে তুলবেন বলে ভোটারদের কাছে কমালার বিষোদগার করেন। শেষ পর্যন্ত মার্কিন রাজনীতির বিদ্বেষ আর বিভাজনের রূপরেখায় কমালা হ্যারিসকে হারিয়ে দিলেন রিপাবলিকান ট্রাম্প।

    ভোটের পর বুধবার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমর্থকদের নিয়ে ইলেকশন নাইট পার্টিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল কমালা হ্যারিসের। কিন্তু নির্বাচনের ফলে বিপর্যয়ের আভাস মেলায় সেই অনুষ্ঠান স্থলে যাননি তিনি। সেখানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে খালি চেয়ার আর জনশূন্য মঞ্চ। তবে হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের কো-চেয়ারম্যান সেড্রিক রিচমন্ড মধ্যরাতের পর জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বুধবার দিনের কোনও এক সময় জনসম্মুখে কথা বলবেন কমালা হ্যারিস।

  • ‘বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে’

    ‘বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে’

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে আছে। তাদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে আসছে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে।

    সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাক্ষাৎকালে তিনি উপদেষ্টার এসব কথা বলেন।

    বৈঠকে ফিলিস্তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ, ভিসা সহজীকরণ, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন-সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

    বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন সবসময় অব্যাহত থাকবে।

  • ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা

    ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা

    জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্বাধীন কানাডা সরকার ফের ভারত বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি এবার ভারতকে ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। খবর এনডিটিভির।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতকে শত্রু দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে কানাডা। দেশটি ভারতকে সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

    এনডিটিভি বলছে, কানাডা সম্প্রতি তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করে। সেখানেই ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়েছে।

    এর জবাবে দিল্লি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ভারতকে আক্রমণ ও ক্ষতি করার ক্ষেত্রে এটি কানাডা সরকারের আরেক কৌশল। এনিয়ে শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, ট্রুডোর প্রশাসনের অধীনে কানাডার সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মতামতকে প্রভাবিত করতে চাইছে।

    খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকেছে। সম্প্রতি কানাডা অভিযোগ করেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কানাডার মাটিতে শিখ অ্যাক্টিভিস্টদের টার্গেট করার ষড়যন্ত্র করেছেন। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার কানাডার হাইকমিশনের প্রতিনিধিকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কানাডার উপ-পররষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মরিসন অমিত শাহ সম্পর্কে যে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন, ভারত সরকার তার কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরপরেই ভারতকে সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে আখ্যা দেয় কানাডা।

    ২০২৩ সালে ভ্যাঙ্কুভারে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার জন্য ভারতেকে দায়ী করে আসছে কানাডার সরকার। তবে ভারত সরকার বরাবরই কানাডার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

    ভারতের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তার রাজনৈতিক এজেন্ডার কারণে কানাডায় খালিস্তান সমর্থকদের পক্ষে কথা বলছেন।

    ২০২১ এর পরিসংখ্যান বলছে, কানাডার জনসংখ্যার ২.১% শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত, গত ২০ বছরে কানাডায় শিখ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষা, ক্যারিয়ার, চাকরির মতো কারণে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন।

    কানাডায় বসবাসরত শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি টরন্টো এবং ভ্যাঙ্কুভারে বাস করে। শিখ ভোটব্যাংককে মাথায় রেখে এই সমস্ত এলাকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

    ২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এবং জাস্টিন ট্রুডো চান কানাডায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায় তাকে সমর্থন করুক।

  • খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত
    প্রাণসায়ের খাল আবারও সংস্কার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে
    সুলতানপুর বড়বাজার থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন
    করেন।
    এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন,খুলনা বিভাগের
    একমাত্র খাল হিসেবে প্রাণসায়ের খালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ
    খালের দু’মুখ মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীতে মিশিয়ে দিয়ে খালের
    প্রবাহ সচল করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে
    দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রাণসায়ের খালকে।খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যে সৃজনশীল
    কাজ করা যায়,সেটি প্রমাণের সময় এসেছে। বুলডোজার
    দিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। আর জনবল দিয়েছে পৌর কতৃপক্ষসহ
    বিভিন্ন বে-সরকারি সংস্থা। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে
    আপাতত খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে আগামীতে
    দৃষ্টিনন্দনের জন্য বড় বরাদ্দের প্রয়োজন হলে উর্দ্ধতন মহলের সহায়তা
    চাওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাজে সংযুক্ত করাহয়েছে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত,১৮৫০ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ রায়
    চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বানিজ্য ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য
    প্রাণসায়ের খাল খনন করেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৪ কি:মি:। দ্িধসঢ়;ক্ষণে
    মরিচ্চাপ ও উত্তরে বেতনা নদীর সাথে খালটি মিশেছে। তবে দু’মুখ
    ভরাট থাকায় প্রবাহহীন হয়ে পড়েছে খালটি। ২০২০ সালে ১০
    কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
    কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয় সেটি।
    এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শহরের পানি প্রাণসায়ের
    দিয়ে সরতে না পারায় পৌরশহরের অর্ধেক এলাকা এখনও জলমগ্ন
    রয়েছে।

  • সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা: সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা (২৯ অক্টবার) ১১ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার‘র আয়োজনে ও ইউকে ইন্টান্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহযোগিতায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
    সংলাপে সুজন সাতক্ষীরার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাস সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলারা বেগম, সুজন সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ, ধর্মীয় নেতা মুফতি আক্তারুজ্জামান ও দিবাকর ভট্টাচার্য, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের সিনিয়র প্রগ্রাম ম্যানেজার শশাং বরণ, খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়ক মাছুদুর রহমান রনজু প্রমুখ।
    এসম বক্তৃতারা বলেন সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ চাই, আসুন সবাই ভেদাভেদ ভুলে সকালে মিলে মিশে থাকলেই সমাজে সম্প্রীতি থাকবে।

  • গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    ছোট্ট একটি শিশু গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখে কোনো স্বাভাবিক মানুষই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওই ভিডিও ক্যাপশনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছে শিশুটি।

    এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই খাবার, পানি- এমনকি বেঁচে থাকার ন্যূনতম পরিবেশ। তারপরও গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরই মধ্যে হৃদয় বিদারক ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, যেন কোনো ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে ওই নিষ্পাপ শিশু। ছোট একটি ছিদ্র দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে হাত। অবুঝ শিশুটির মুখে তখনও হাসি লেগে আছে। আর এই দৃশ্যই সবার বুকে শেলের মতো আঘাত হেনেছে। অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিও শেয়ার করেছে। তবে ফ্যাক্টচেকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    নেট ঘেঁটে দেখা যায়, ভিডিওটি প্রথম আপলোড করা হয় একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে মূল ভিডিওকে ডাউনলোড করে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোস্ট করা হয়। সেখানেই দাবি করা হয়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া শিশুটি গাজার। তবে টিকটকের যে অ্যাকাউন্টে (userftdvvrl92i) ওই শিশুর ভিডিও আপলোড করা হয়, সেটি ঘেঁটে ওই শিশুর আরও ভিডিও পাওয়া যায়।

    মিশর ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট আকবর মিটার বলছে, মূল ভিডিওটি শনিবার (২৬ অক্টোবর) টিকটকে পোস্ট করা হয়। সেটি ৭০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে। পরদিন শিশুটির গায়ে লাল রঙের জামা চড়িয়ে আরেকটি ভিডিও করা হয়। সেখানে আগের ভিডিও নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শিশুটির মা। তিনি জানান, শিশুটি গাজার নয় বরং সিরিয়ার। তার মেয়ে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এটা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ তার সন্তানের কিছুই হয়নি।

  • যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল -উজ-জামান। সফরে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তিরক্ষা মিশনের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাবাহিনী প্রধান।

    এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- আইএসপিআর জানায়, সফরে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রত্যেকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    অর্ধশতাধিক এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

    রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এবার প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

    সোমবার (২১ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

    কৈফিয়ত তলব করা ওই এসআইদের সবাই ৪০তম ক্যাডেট-২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত।

    পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি ওই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চাকরি থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সাথে না বসার কারণে অন্তত ৫৯ জন এসআইকে শোকজ করা হয়েছে।

    একাডেমি সূত্র জানায়, ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। পরে ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরো ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. তারেক বিন রশিদ কারণ দর্শানোর নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

    প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে ২৪ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সাথে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করেন।’

    এতে আরো বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

    এর আগে ১০ এসআইকে গত ২১ অক্টোবর দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের একটি কপিতে দেখা গেছে, যেসব অভিযোগে ২৪ অক্টোবর এসআইদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, একই অভিযোগ ২১ অক্টোবরের চিঠিতেও। চিঠিতে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর ওই একই সময়ে জিমনেসিয়ামে ‘এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং ইন অর্ডার টু ফেইস পলিটিক্যাল এইমড’ বিষয়ে ক্লাস ছিল।

    সেদিন বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন পুলিশ একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ মো. নজিবুর রহমান। সেদিন এই এসআই শৃঙ্খলার সাথে না বসে এলোমেলোভাবে বসেন এবং হইচই করেন। তাকেও তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।

    তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না সরকারি চাকরির বয়সে

    আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না সরকারি চাকরির বয়সে

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন বয়স আরও বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন হলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

    তিন বারের বেশি বিসিএস পরীক্ষা নয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলেন তিনি বলেন, একই ব্যক্তি বারবার পরীক্ষা দিলে সবাই সুযোগ নাও পেতে পারে। সেসব বিষয় বিবেচনা করে সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অবসরের সময় নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

    এর আগে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ অবসরের বয়স এখন যা আছে, তা-ই থাকবে।

    সভায় ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমার বিষয়টি রয়েছে।

    বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।

  • সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ এবং ফলাফলে ত্রুটি সংশোধনের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে তাদের তোলা হয়েছে।

    এর আগে বেলা ৩টায় ফলাফল বাতিল ও পুনরায় মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ৬ নাম্বার ভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুগ্ধের বাংলায়- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র; আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
    তখন আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের স্লোগান বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান সচিবালয়ে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

    একাধিক শিক্ষার্থীদের কথা হলে তারা জানান, আমরা সমতার ভিত্তিতে ফলাফল চাই। বোর্ড থেকে কাউকে ভালো ফলাফল দেওয়া হয়েছে আর কাউকে কম। অথচ আমরা ভালো লিখেছি। আমরা চাই দ্রুত সময়ে এই ফলাফল বাতিল করে বঞ্চিতদের পুনরায় মূল্যায়ন করা হোক।

  • গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন; ৫ দিনের রিমান্ডে

    গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার সুমন; ৫ দিনের রিমান্ডে

    যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারি বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

    এদিন সকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গ্রেপ্তারে আগে সোমবার রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তাসহ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই’।

    আর ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি আত্মগোপনে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্লাট নেই। একটি গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।

    তিনি আরও বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।

    ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার সুযোগ ছিল অনেক সম্পদ করার। কিন্তু আমার পুরো টাকাটা আমি আমার এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগিয়েছি। একটা গাড়ি ছাড়া আমার নামে আর কোন সম্পদ নেই। যে কেউ সে বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।

    তিনি আরও বলেন, সংস্কারের সময় আমি এমন এমন মানুষের নামে মামলা করেছিলাম যাদের নামে এখনও মামলা চলমান আছে। ক্ষমতাধর সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সবার প্রথমে আমিই কাজ করেছিলাম। এগুলো আমি সবই করেছি দেশের জন্যে।

    প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

  • শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি

    শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি

    শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি, ৫ আগস্ট বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি

    জাতীয় :

     

    গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

    বিটিভিসহ দেশের ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমগুলোতে সেই ভাষণ সম্প্রচার হয়, যা এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। যদিও সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ‘নেপথ্যের গল্প’তে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

    রাষ্ট্রপতির বরাতে এমন বক্তব্য প্রকাশের পর তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন।

    আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন—উনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। এটা মিথ্যাচার। এটা উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’ তিনি বলেন, ‘উনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।’

    গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) জনতার চোখ ডট কমে ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না…’ শিরোনামে প্রকাশিত ‘নেপথ্যের গল্প’তে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী লেখেন, ‘প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে থাকেন তাহলে সেটা গেল কোথায়? কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব নেই। তিন সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছি। খোঁজ নিয়েছি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও। যেখানটায় প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা। কোথাও নেই। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হলাম। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন।’

    মতিউর রহমান চৌধুরী আরও লেখেন, ‘শেখ হাসিনার জমানায় বঙ্গভবন ছিল আমার জন্য নিষিদ্ধ। স্যার, আপনি কেমন আছেন? ভাই, আপনি আমাকে স্যার বলবেন না। আমরা তো দু’জনই একসঙ্গে সাংবাদিকতায় এসেছিলাম। আমি পাবনায় আর আপনি ঢাকায়। বাংলার বাণীতে দু’জনই কাজ করেছি। পুরনো স্মৃতি স্মরণ করে আবেগ জায়গা করে নিলো অনেকক্ষণ। স্বাভাবিক হতেই প্রশ্ন করলাম আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি আসছেন না।’

    অথচ, গত ৫ আগস্টে জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আজ বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সাথে আলোচনা হয়। শুরুতেই সেনাপ্রধান বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার আলোচনা সম্পর্কে আমাকে অবিহিত করেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এ সময় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

    ভাষণে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সকল দল ও অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে গঠিত অর্ন্তবন্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সকল বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

    মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধ্বংসত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করছি।’

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি প্রশাসন ও শিল্প কলকারাখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই। ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অতিশ্রীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সাথে জড়ির নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। দেশের সকল অফিস আদালত আগামীকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

    আসুন আমরা দেশকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করি। পারস্পারিক হিংসা বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আমি বিনয়ের সাথে আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি।’

    একটি সুন্দর ও সোনালি ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় আমরা এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।