Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 66 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    এসবিএন : ৫০ হাজার টাকা বেতনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।হেড কাস্টমার সার্ভিসেসপদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

    যোগ্যতা

    যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ছাড়া ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে।

    বেতন

    নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকুল্যে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ছাড়া যাতায়াত খরচ হিসেবে আট হাজার টাকা দেওয়া হবে।

    আবেদন প্রক্রিয়

    আগ্রহী প্রার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট (bit.ly/2kg9vhx) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ১৯ ফেব্র“য়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

  • এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এসবিএন : আগামী ১৪ মে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সংগঠনটি তথ্য জানায়। এফবিসিসিআই জানায়, ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য সাধারণ সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। সংগঠনটির নির্বাচন বোর্ড গত ১২ ফেব্রয়ারি নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিলের  মধ্যে মনোনায়ন দাখিল করতে হবে।

    এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, এবারও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী আশরাফ। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সামছুল আলম এবং মঞ্জুরুল হক রুবেল। বোর্ড ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া, আপিল বোর্ডে রয়েছেনবাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন। তার সঙ্গে সদস্য হিসেব রয়েছেন খায়রুল মাজিদ মাহমুদ এবং মির্জা আবু মঞ্জুর। এদিকে, ২৩ মার্চ ভোটারদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে ২৮ মার্চের মধ্যে আপিল বোর্ডের নিকট অভিযোগ করা যাবে। এর ভিত্তিতে ২৯ এবং ৩০ মার্চ আপিল বোর্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

     

  • অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    দীপক রায়,দাকোপ(খুলনা) : এমন একদিন ছিল যখন দেশের মানুষ খাওয়ার জন্য সাগর, নদী-নালা ডোবা এবং মুক্ত জলাশয় থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করত। তখন আবার কাঁকড়া খাওয়ার চলটা ব্যাপকভাবে ছিল না। দিন বদলের সাথে সাথে কাঁকড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং সুস্বাধু খাবার হিসাবে বেশ স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বিদেশে কাঁকড়া রফতানি হওয়ার কারণে এর মূল্য এবং ব্যবসায়িক গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার উৎপাদন অনেক কম ফলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা এবং চড়া মূল্য থাকার কারণে মানুষ বর্তমানে ঘেরে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেছে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে। অল্প দিনে অধিক লাভ  তাই দাকোপের সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে দিন দিন কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা বাড়ছে। সময় বদলের সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, প্রযুক্তি তাই আবার অনেকে ট্রেতে স্পেশাল কেয়ারে পালন করছেন কাঁকড়া।

    সরেজমিনে দেখা যায়, দাকোপের ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সব এলাকায় কমবেশী কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় দাকোপে কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৭হাজার। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এ ঘেরের সংখ্যা বেশী। সুন্দরবন এলাকায় কৈলাশগঞ্জের রামনগর গ্রামের ঘের মালিক রাজ্জাক সরদার, আব্দুর রহমান শেখ বলছিলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যায় তাই এখানে কাঁকড়ার ঘের করতে সুবিধা বেশী। তাঁরা বলেন,বাঁশ নেট দিয়ে ভাল করে ঘের আটকাতে হয় যেন কাঁকড়া বেরিয়ে যেতে না পারে। তারপর ছোট ছোট কাঁকড়া ঘেরে ছাড়তে হয়। বর্তমানে প্রতিমন ছোট কাঁকড়া ৫ থেকে ৬হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ৩ থেকে ৪মাস এ কাঁকড়া ঘেরে রাখতে হয়। তখন কাঁকড়াকে ছোটমাছ,শামুক এবং কুচে জাতীয় মাছ খাবার হিসাবে দেওয়া হয়। একমন কাঁকড়ার খাবারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। ৩/৪মাস পর প্রতিটি কাঁকড়া ওজনে দ্বি-গুন হয়। তখন এর মূল্য প্রতি মন দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কাঁকড়ার রোগ-বালাই কম তাই কাঁকড়ার ঘের করে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। একই গ্রামের মোঃ কওসার আলী গাজী, রাজ্জাক গাজী, মহাদেব রায়, কৃষ্ণপদ রায়সহ অনেকেই সামর্থ অনুযায়ী কাঁকড়ার চাষ করেছেন এবং কয়েকবার কাঁকড়া পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। রামনগর গ্রামের গোবিন্দ বৈদ্য তার ঘেরের মধ্যে ট্রেতে করে পৃথকভাবে কিছু কাঁকড়া পালন করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেতে পরিক্ষামূলকভাবে কাঁকড়া চাষ করে দেখা গেছে এতে খাবার কম নষ্ট হয় এবং ঘেরে ছেড়ে দেওয়া কাঁকড়ার থেকে ট্রেতে পালিত কাঁকড়া অতি দ্রুত বড় হয়।

    কাঁকড়া লবন ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায় তাই যে কেউ ইচ্ছা করলে তার বাড়ীর পুকুর ডোবা এবং জলাশয়ে কাঁকড়ার চাষ করতে পারেন। তবে নদীর পানি সরবরাহ থাকলে সেখানে কাঁকড়া দ্রুত বড় হয়। কাঁকড়া চাষে বেশী জমির প্রয়োজন হয়না প্রতি শতকে ১মন কাঁকড়া চাষ করা যায়। কাঁকড়া চাষ ব্যাপকভাবে হলে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেমন অধিক রাজস্ব পাবেন তেমনি বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চাষীরা জানান সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপকভাবে কাঁকড়া চাষের অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেক চাষী কাঁকড়া চাষ করতে পারছেন না। এ খাতে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ সুবিধা ,প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি পেলে কৃষক ও বেকার যুবকরা কাঁকড়া পালন করে যেমন সাবলম্বী হতে পারবেন তেমনি সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ।

  • বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    এসবিএন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিশ্বের ৩৮টি দেশের বিভিন্ন কারাগারে নয় হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

    মন্ত্রী জানান, আটক বন্দিদের মধ্যে মিয়ানমারে ৯৮ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৭, নেপালে ১২, যুক্তরাষ্ট্রে ২৬, ভারতে ২ হাজার ৩৩৭, গ্রিসে ১২৩, জাপানে ৬৫, থাইল্যান্ডে ২৩, পাকিস্তানে ১৯, ফ্রান্সে ৪৬, যুক্তরাজ্যে ২১৮, কাতারে ১১২, সৌদি আরবে ৭০৩, জর্ডানে ৩৭, মিশরে ৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬, তুরস্কে ৬৮, জর্জিয়া ২৬, কিরগিজস্তানে ১, ওমানে ১ হাজার ৪৮, বাহরাইনে ৩৭০, লেবাননে ২, মালয়েশিয়াতে ২ হাজার ৪৬৯, চীনে ৫, হংকংয়ে ২৪, মঙ্গোলিয়ায় ১, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০৯৮, ব্রুনাইয়ে ৫, ইতালিতে ৫১, ইরাকে ১২১, মরিশাসে ৭, মেক্সিকোতে ৯৭, আজারবাইজানে ৬, মরক্কোতে ২, দক্ষিণ আফ্রিকাতে ১১, ব্রাজিলে ১, অস্ট্রেলিয়াতে ৩৯ এবং কুয়েতে ২৬১ জনসহ মোট ৯ হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি কারাগারে আটক রয়েছেন।

    তিনি বলেন, কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সংবাদ পেলে তা যাচাই করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

    মাহমুদ আলী বলেন, আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তাসহ আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্মদিন হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক/জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ: ইউরেনাস ও শুক্র। ১৫ তারিখে জম্ম হবার কারণে আপনার ওপর শুক্রর প্রভাব স্পষ্ট। আপনার শুভ সংখ্যা: ৬,১৫,২৪। আপনার শুভ বর্ণ: গোলাপী ও সাদা। শুভ গ্রহ ও বার: রবি ও শুক্র। শুভ রতœ: গার্নেট ও হীরা।

    চন্দ্রের অবস্থান:আজ চন্দ্র কন্যা রাশিতে অবস্থান করবে। ৪র্থী তিথি সকাল:৬:৫৭ পর্যন্ত পরে ৫মী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ- ২০ এপ্রিল):মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের ভ্রমন বা ট্রাভেল এজেন্সী কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যয় তুলনামূলক বাড়লেও তা ভালো কাজের জন্য ব্যয় হওয়াতে মনে শান্তি পাবেন। সকালের দিকে কিছু টাকা আসলেও বিকালে তা ব্যয় হয়ে যাবে। বৈদেশীক বাণিজ্যে ভালো আয় হবার সম্ভাবনা প্রবল। প্রবাসীদের সাফল্য লাভের যোগ রয়েছে। ভ্রমনের সুযোগ পেতে পারেন।

    বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল- ২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের বকেয়া অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা প্রবল। কোনো বন্ধুর সাহায্যে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন। টিকাদারী ও এজেন্সী ব্যবসায় ভালো লাভ হবে। আজ কোনো বন্ধুর বাসায় বিকালে সকলে একত্রিত হতে পারেন। বড় ভাই এর কাছ থেকে ব্যবসায় কিছু অর্থ সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা।

    মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): আজ মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের চাকরী লাভের যোগ প্রবল। শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে চাকরির প্রচেষ্টা সফল হবে। শিক্ষকদের আজ দিনটি ভালো যাবে। সচিব পর্যায়ের ব্যক্তিদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক গড়তে পারেন। পিতার সাহায্যে আপনার উচ্চ শিক্ষা সাংক্রান্ত স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টা ফলপ্রসু হবে।

    কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): বিশ্ব-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। জীবীকার জন্য বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। প্রবাসী বন্ধুরা ভালো সুযোগ পাবেন। আজ আশানুরুপ আয় না হলেও ধর্মীও ও আধ্যাত্মীক কাজে আত্ম তৃপ্তি পেতে পারেন। দূরে কোথাও ভ্রমনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কোনো বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ চলে আসবে।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির বন্ধুরা পাওনাদারের তাগাদা পেতে পারেন। সকালের দিকে কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও বিকালে তা কমে আসবে। ট্যাক্স ও ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা নিরশনের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। শেয়ার বিনিয়োগে ভালো লাভ হবে। আজ পুরোনো কোনো মামলার অবসান হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ভালো আয় হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ ব্যবসায়ী বন্ধুদের ভালো আয় রোজগার হতে পারে। দাম্পত্য সুখশান্তি বৃদ্ধি পাবে। জীবন সাথীর সাহায্যে কোনো আর্থিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অংশিদারী ব্যবসায় আজ কোনো নতুন কাজের অর্ডার পেতে পারেন। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আজ তুলা রাশির বন্ধুদের কর্মস্থলে কোনো ভালো ঘটনা ঘটতে চলেছে। পদোন্নতির কোনো পরীক্ষায় আপনি যোগ্যতার সাথে সফলকাম হবেন। কাজ কর্মে সহকর্মীদের পূর্ণ সহায়তা লাভের যোগ প্রবল। কোনো শত্রু আপনার সাথে মিত্রতার আহবাণ পাঠাতে পারে। অসুস্থদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। কাজের লোকের সাহায্যে কোনো কাজে সফল হতে পারেন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): বৃশ্চিক রাশির বন্ধুদের বিদ্যার্জনের জন্য দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আজ দম্পতিরা সন্তান লাভের সংবাদ পেতে পারেন। সৃজনশীল পেশার সাথে জড়িতদের দিনটি খুব ভালো যাবে। আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা নতুন কোনো কাজের অর্ডার পেতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের দিনটি ভালো যাবে। সন্তানের জন্য বই খাতা কলম ক্রয় করার যোগ রয়েছে।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। বাড়ীতে কোনো প্রভাবশালী আত্মীয়র আগমনের যোগ রয়েছে। চাকরীজীবীদের যাতায়াতের সমস্যা সমাধান হতে পারে। ভাড়াটিয়ারা ভালো বাসার সন্ধান পেতে পারেন। কর্মস্থলে আপনার কোনো লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। গৃহে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে। ভূ সম্পত্তি ক্রয়ের সুুযোগ পাবেন।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): আজ মকর রাশির বন্ধুদের ভালো সংবাদ লাভের যোগ প্রবল। বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো লেটার পেতে পারেন। গার্মেণ্টস ইন্ডাস্ট্রিতি কর্মরত বন্ধুদের নতুন কাজের যোগ প্রবল। আজ বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ভালো বেচাকেনার যোগ রয়েছে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে কোনো বিষয়ে সাহায্য পেতে পারেন। লেখক ও প্রকাশকরা সম্মানিত হবেন।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কুম্ভ রাশির বন্ধুদের ধন প্রাপ্তির যোগ প্রবল। শুভ বৃৃহস্পতির প্রভাবে আজ কোনো আপ্যায়নে অংশ নিতে পারেন। বাড়ীতে বহু আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। বকেয়া টাকা আদায়ের যোগ প্রবল। চাকরীজীবীরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে যাবেন। খুচরা ও পাইকারী বিক্রয়ে ভালো লাভ হবে। আজ বুদ্ধিজীবীদের আয় বৃদ্ধি পাবে।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। চাকরীজীবী ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। প্রবাসীদের নাগরীকতা সংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবার প্রবল সম্ভাবনা। ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। জীবন সাথীর সাথে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২

  • প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল  হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনকে এর উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো এবারের সুন্দরবন দিবস। বরাবরের মত “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন-এই মুল সুরে সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাসমূহে দিবসটি পালন করা হয়। খুলনায় সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠিান ছিল তিনদিন ব্যাপী। মঙ্গলবার শেষ দিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্ক।

    খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. দিলীপ দত্ত, ইউএসএইডের ওয়াইল্ড টিমের বাঘ এ্যাকটিভিটির চীফ অব পার্টি গ্রে এফ. কলিন্স, জিআইজেড-এর প্রিন্সিপ্যাল এ্যাডভাইজর ওমর ইডিও, ইউএসএইডের ক্রেল প্রকল্পের রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর শেখ মোঃ জিয়াউল হক। রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

    অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পাওয়া সেন্ট জোসেফস হাই স্কুলের আবদুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত খুলনা জিলা স্কুলের আলিফ আল জামান এবং তৃতীয় রেভাঃ পলস হাই স্কুলের ফারজানা আক্তারও বক্তৃতা করে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় হারম্যান মেইনর স্কুলের সায়িমা তাসনিম অরনি প্রথম, খুলনা জিলা স্কুলের ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় এবং হারম্যান মেইনর স্কুলের গ্রন্থী মুল তৃতীয় স্থান লাভ করে। অংশগ্রহণকারী ২৩টি বিদ্যালয়কেও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক সুন্দরবন একাডেমী ও সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা, রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনের পটগান দিয়ে অনুষ্ঠানের হয়।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার উপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল এ বনকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় জনঅশংগ্রহণ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধুমাত্র বন বিভাগের কিছু কর্মীদের দিয়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে যে সুন্দরবনের যে কোন ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

    উল্লেখ্য, তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সাল হতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। এগুলো হচ্ছে : জাতীয় বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের গুরুত্ব এবং ভূমিকা সর্ম্পকে সর্বমহলে ব্যাপক সচেতনতা এবং আগ্রহ সৃষ্টি করা, যাতে এটি সংরক্ষণের কাজ শক্তিশালী হয়; বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বনবিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহকে সহায়তা করা; এবং সুন্দরবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবাসা ও মমত্ববোধ তৈরী করা এবং তাদের চেতনায় সুন্দরবন ভাবনাকে উজ্জীবিত করা। তবে এই প্রধান তিন উদ্দেশ্যের বাইরেও সুনির্ষ্টভাবে বেশকিছু উদ্দেশ্যাবলী রয়েছে এই দিবস পালনের নেপথ্যে।

    সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তর, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্রুপ ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় বরাবরের মতই এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছাড়াও সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন  উপজেলা যেমন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, শ্যামনগর, আশাশুনিতে স্থানীয় বনবিভাগ, প্রেসসক্লাব এবং অন্যান্য বেসরকারী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সুন্দরবন দিবসের নানা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা, সেমিনার, কর্মশালা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি।

     

  • আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ ১৪ ফেব্র“য়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।

    বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকায় পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। তিনদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচীর শেষ দিনে আজ খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ-এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, সুন্দরবন একাডেমীর পরিচালক ফারুক আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস. এম হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর রায়।

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তার, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্র“প ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বরাবরের মতই খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    এবারের সুন্দরবন দিবসের প্রধান আকর্ষণ হলো- খুলনা মহানগরীর নির্বাচিত ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলভিত্তিক অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘জীববৈচিত্র্যের সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ’ ধারণাটি রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে যাতে সুন্দরবন সংরক্ষণে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা-চেতনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। রোববার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন বিষয়ে চিত্রাঙ্কন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হলো আগামী প্রজন্মের এই প্রতিনিধিদের ‘সুন্দরবন সচেতন’ করে গড়ে তোলা যাতে করে ভবিষ্যতে তারা জগৎবিখ্যাত এই বন সুরক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

    সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজের ক্ষুরধার লেখনির মধ্য দিয়ে আমরা অচিরেই সুন্দরবন দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পারব- যার দাবি খুলনার মানুষ জানিয়ে আসছে বিগত ১৫ বছর যাবৎ।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, করমজলের লোপার্ড ক্যাট-ই যে কুমিরছানা হন্তারক সিসি টিভির ফুটেজে তা’ নিশ্চিত হবার পরেই চিতাবিড়ালটি হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। এটির পোস্টমর্টেম করে তার পেটে অনেকগুলো কুমিরের অংশ পাওয়া গেছে। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষের সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

    উল্লেখ্য, “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন” শ্লে¬াগান তুলে ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ই-কার্ড মেইল করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা জেল্ওা সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলাসমূহে সুন্দরবন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

     

     

  • ভালোবাসার রঙ কী?

    ভালোবাসার রঙ কী?

    এসবিএিন : লোকে বলে বেদনার রঙ নীল। সুখের রঙ সাদা। শোকের রঙ কালো। ভালোবাসার রঙ কী? কেউ কেউ বলেন, ভালোবাসার রঙ লাল। তবে ভালোবেসে মানুষ নীল হয় কেন? কালো, ছাই বা পাথর বর্ণে ধূসর হয়ে শেষ সন্ধ্যার মতো পিত রঙেরইবা হয়ে ওঠে কখনো কখনো। তাহলে কি বলা যায়, ভালোবাসার কোনো রঙ নেই! ভালোবাসা কোনো রঙের হয় না!

    জলের যেমন কেনো রঙ নেই, যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের রঙই তার রঙ, তেমনি ভালোবাসারও একক কোনো রঙ নেই। যে যে রঙে ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে ভালোবাসা সে রঙেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই তো ভালোবাসা কখনো কারো কাছে ধরা দেয় পরম সুখের রঙের হয়ে আবার কখনো কারো কাছে আসে রাতের গহীন আঁধার হয়ে।

    ভালোবাসা এক মায়ার ক্যানভাস। সে ক্যানভাসে যে শিল্পী যে রঙে-রূপে চিত্র অঙ্কন করেন, ‘ভালোবাসা’ সে রঙে-রূপেই উজ্জ্বল হয়ে আভা ছড়ায়। অনুভূতি জাগায়। আর এ অনুভূতি জাগায় বলেই ‘ভালোবাসা’ ধরা দেয় একেকজনের কাছে একেক রঙে। ভালোবাসাকে যে রঙে আঁকবেন ‘ভালোবাসা’ সে রঙেই ধরা দেয়। কারোরই কিছু করার থাকে না এ ভালোবাসায়।

    তাহলে ভালোবাসার কি কোনো রঙ নেই? ‘ভালোবাসা’ বায়বীয় শব্দ আর রঙহীন অনুভূতি? ভালোবাসায় জয় হয় আবার ভালোবাসারই ক্ষয় হয়। ভালোবাসাকে ভালোবাসার রঙ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে ভালোবাসা বেঁচে থাকে চিরদিন, আবার ভালোবাসাকে ভালোবাসাহীন রঙ দিলে সে নষ্টরঙ হয় আপনাতেই। ভালোবাসার কোনো শক্তি বা ক্ষমতা নেই সে রঙিন হয়। তাকে রাঙিয়ে তুলতে হয়। আর মানুষই ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে।তবে আপনার ভালোবাসা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়,তার জন্য চাই একটু যতœ। তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনার ভালোকবাসাকে আরো একটু রঙিন রঙে রাঙিয়ে তুলবেন।

    ‘ভালোবাসা’মাটিতে রোপা গাছের মতো।তার মূলে প্রতিদিন পানি দিয়ে তাকে সতেজ রাখতে হয়। ভালোবাসা কোনো সম্পত্তি নয়, সামান্য অযতেœও তা ফিকে হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।

    ভালোবাসার নির্দিষ্ট রঙ নেই বলেই একে একটি রঙে আটকে রাখা যায় না। অনেক রঙে রঙিন করতে হয়। ভালোবাসার যে কোনো কিছুকে ভালোবেসেই বাঁচিয়ে রাখতে হয়। না হলে ভালোবাসা মরে যায় নি:শব্দে।

    একেকজনের একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে ভালোবাসার রঙ। যেহেতু ‘ভালোবাসা’র নিজস্ব রঙ নেই, তাই চিত্রকরের মতো নানান রঙের উপাদান মিশিয়ে একটি রঙ তাকে দিতে হয়।

    ভালোবাসার বিষয়টি নির্ভর করে পুরোপুরি আপনার উপর।আপনি যেমন রঙে আপনার ভালোবাসাকে সাজাবেন  সেও তেমন রঙেই আপনাকে ভালোবাসায় সিক্ত করবে।

    ভালোবাসার আরএক নাম বিশ্বাস। তার সাথে মেশাতে হয় দায়িত্ব, কর্তব্য, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বোঝাপড়া। এ সব কিছুর মিশ্রণে আপনার ভালোবাসা হয়ে উঠবে আরো রঙিন।

    ‘স্যাক্রিফাইস’শব্দটি ‘ভালোবাসা’র সাঙ্গে ছায়ার মতো। ভালোবাসার ক্ষেত্রে স্বার্থ থাকলে হবে না। ভালোবাসা হতে হবে নিস্বার্থ। ভালোবাসাই আপনাকে এনে দিবে স্বর্গীয় সুখ।

    বোতলে পনির রঙের ক্ষেত্রে পানি ও বোতল দুইয়ের ভূমিকাই যেমন প্রধান পায়। তেমনি ভালোবাসার ক্ষেত্রেও রঙ ও পট এই দুইয়ের ভূমিকাও প্রধান। রঙ অনেক ভালো হলো কিন্তু পট উপযুক্ত না হলে চিত্র যেমন অসুন্দর হয় না তেমনি পট অনেক ভালো হলেও রঙ যদি উপযুক্ত না হয় তাতেও চিত্র অসুন্দর হয়ে যায়। তাই ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুজনকেই সমান ভূমিকা পালন করতে হবে। এক পক্ষ ভালোবাসায় কখনো পূর্ণ ভালোবাসার রূপ হতে পারে না।

     

     

  • ভালোবাসার মানুষকে কোন গোলাপটি দেবেন

    ভালোবাসার মানুষকে কোন গোলাপটি দেবেন

    এসবিএন : প্রতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবস। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে। আর এ দিনেই বিশেষ করে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে আমাদের ভেতরের আবেগ বা ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকি। আর ভালোবাসা প্রকাশের সবচে’ ভালো মাধ্যম হলো ফুল।

    ফুল পছন্দ করে না, পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আমরা প্রায়ই আমাদের প্রিয়জনের হাতে গোলাপ তুলে দিয়ে প্রকাশ করে থাকি নিজের মনের কথাটি অথবা বলে ফেলি সারা জীবন কাটাতে চাই তোমার সঙ্গে।

    গোলাপ প্রেম, স্নেহ অথবা অনুভূতি প্রকাশ করার সবচে’ ভাল মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন একেক রঙের গোলাপ একেক অর্থ বহন করে। তাহলে জেনে নিন কোন রঙের গোলাপ কি তাৎপর্য বহন করে।

    লাল গোলাপ : লাল গোলাপ মূলত ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেই অতি পরিচিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের ধরণ পরিবর্তন হলেও প্রেম নিবেদনের মাধ্যম হিসেবে লাল গোলাপের আবেদন এখনও কমেনি এতটুকুও। তাই বলা যায় লাল গোলাপ ছাড়া প্রেম নিবেদন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

    হলুদ গোলাপ : হলুদ গোলাপ প্রকাশ করে বন্ধুত্বের রং।আপনি আপনার সবচে প্রিয় বন্ধুটিকে হলুদ গোলাপ দিয়ে আপনার ভেতরের আবেগটি প্রকাশ করতে পারেন।

    সাদা গোলাপ : শান্তি, পবিত্রতা, সহানুভূতি, আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে সাদা গোলাপ পরিচিত। আপনি কারো কাছে ক্ষমাপ্রার্থী সেখানেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন সাদা গোলাপ।

    কমলা গোলাপ : কমলা গোলাপ বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা দুটিই প্রকাশ করে। আপনার বন্ধুকে বা প্রিয় মানুষটিকে  কমলা গোলাপ দিয়ে প্রকাশ করতে পারেন যে আপনি তার সঙ্গে আছেন জীবনের বাকিটা সময়।

    গোলাপী গোলাপ : গোলাপী গোলাপ মূলত কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিবেদন করা হয়। গোলাপী গোলাপ মূলত কাউকে দেয়া হয় ধন্যবাদ বলতে বা সহানুভূতি প্রকাশে।

  • ১৮ টাকায় ভ্যালেন্টাইন গিফট কিনেছেন সোহিনী!

    ১৮ টাকায় ভ্যালেন্টাইন গিফট কিনেছেন সোহিনী!

    এসবিএন : ‘আমি প্রত্যেকদিনই প্রেমের জন্য নতুন কিছু ফিল করি। আলাদা করে ভালবাসা দিবসের অনুভূতি বলে এখন কিছু নেই।’ ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় গণমাধ্যমকে এমনটাই জানান টালিউডের ক্রেজ সোহিনী সরকার।

    সোহিনী আরো বলেন, ‘ছোটবেলায় আলাদা করে মনে হতো ১৪ ফেব্র“য়ারি মানেই ভালবাসা দিবস আসছে। প্রথম ভালবাসা দিবসের গিফট কিনেছিলাম ১৮ টাকা দিয়ে। ১০-১২ টাকার সস্তা একটা কার্ড, ৫ টাকায় চকলেট আর একটা গোলাপ ফুল। তখন গোলাপ ফুলে ১-২ টাকাতেও পাওয়া যেত।’

    ভালোবাসা দিবসের স্মৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম। ওই ভ্যালেন্টাইনস ডে-টা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। এখন ভ্যালেন্টাইনস ডে’র থেকেও বসন্তকাল আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পলাশফুল, কোকিলের ডাক এগুলোর মধ্যেই প্রেম লুকিয়ে থাকে।

    উল্লেখ্য, ‘ফড়িং’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পা রাখেন সোহিনী সরকার। সৃজিত মুখার্জির ‘রাজকাহিনি’তে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। পাঞ্জাবি এক ছেলের সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন এ নায়িকা। শুধু তাই নয়, অগুনতি বয়ফ্রেন্ড আর চুমু বিতর্কের গসিপে টালিপাড়ায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

  • ফুলের সমারোহে শোভিত খুবি ক্যাম্পাস

    ফুলের সমারোহে শোভিত খুবি ক্যাম্পাস

    স্টাফ রিপোর্টার : আজ বসস্ত। ফুলে ফুলে ভরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেনো বসন্তকে স্বাগত জানাতে অধীর অপেক্ষায়।

    বসন্তের প্রাক্কালে নানা বর্ণের ফুল ফুটেছে খুলনা বিশ্বদ্যিালয় ক্যাম্পাসে। ডালিয়া, জিনিয়া, হরেক রকম গাদা, গোলাপের মতো নাম জানা নানা বর্ণের ফুল তো আছেই, তার সাথে ফুটেছে এবার নতুন নতুন নামের নানা আকার ও বর্ণের অসংখ্য ফুল। আকাশী সাদা স্লোবল, সালভিয়া, দোপাটি,  ক্যালেন্ডোলা, দায়েনথাঁচ, ফ্লোগর্স, ইন্টালিয়াম, ¯œাকড্রাগন, পেনজি, কারিয়াফছি, ভারবিনা, পিটুনিয়া, ষ্টার গোল্ড, মৌচন্ডা, পানচাটিয়া, এ্যালমন্ডা, গ্লাডিয়া তালপাম্প, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাদা, চাইনিজ গাদা, জাম্বুস গাদা, মোরগ ঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি ছাড়াও আছে টগর, বেলি এবং সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা, পাতাবাহার রঙ্গন স্থায়ী নানা জাতের ফুল। সব মিলিয়ে ২৫-৩০ প্রকারের নানা জাতের ফুল ফুটেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

    শীতকালীন নানা প্রজাতির প্রস্ফুটিত এই ফুলের সমারোহে এখন সুশোভিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফুলে ফুলে সজ্জিত ক্যাম্পাস যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা নয়ন জুড়ানো সৌন্দর্য্যমুগ্ধ কোনো ছবি। আর ফুলে সুশোভিত ক্যাম্পাস দেখতে আসছেন প্রতিদিন প্রচুর দর্শক। তাঁরা ফুলের বাগানে ঘুরছেন। ছবি তুলতেই যেন তারা বেশি ব্যস্ত। তবে সেলফি তুলতেও ভুলছেন না। বেশিরভাগই আসছেন সপরিবারে। আবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুলনায় শিক্ষাসফরে বা পিকনিকে আসা শিক্ষার্থী বা যুবক যুবতী, বন্ধু-স্বজনসহ নানা বয়সের মানুষও আছেন। এমনকি খুলনায় আসা বিদেশী পর্যটকরাও একবার আসছেন ক্যাম্পাসের এই ফুলের শোভা দেখতে। এবার সবচেয়ে নানা জাতের ফুল বেশি ফুটেছে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ও বাইরে। এর পর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে। আবাসিক হল গুলোতেও ফুটেছে নানা বর্ণের ফুল। তবে খানবাহাদুর আহসানউল্লা হল এবং অপরাজিতা হলে ফুলের সংখ্যা বেশি। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনেও এবার নতুন জাতের ফুল ফুটেছে। আর জারবেরা সেন্টারেও ফুটেছে নানা বর্ণের জারবেরা ফুল।

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ক্যাম্পাসে ফুল চাষে বিশেষভাবে আগ্রহী। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি ফুলের বাগান সৃজনে এবং নতুন নতুন ফুল চাষে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই বিশেষ করে তাঁর বাসভবনের বাইরে ও ভেতরে এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে পরিকল্পিতভাবে শীতকালীন ফুল চাষ হয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে ঘুরে ঘুরে তিনি দেখেন কোথায় কি সমস্যা। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফুলের সৌন্দার্য মানুষকে মুগ্ধ করে। মানুষের চিত্তে এক ধরণের বিনোদন ও প্রশান্তি যোগায়। বিশ্ববিদ্যালয় শত সম্ভাবনার জায়গা। এখানে ফুলের সমারোহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। উপাচার্য বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসে ফুলের বাগান বি¯তৃতির জন্য। তিনি ভবিষ্যতে সকল ভবনের সামনে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য খোলা স্থানে ফুলের বাগান সৃষ্টিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট (সম্পত্তি) শাখার উপ-রেজিস্ট্রার কৃষ্ণপদ দাশ জানান এ বছর নানা জাতের ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে কেবল গাদা ফুলই আছে ৪-৫ জাতের। অন্যান্য ফুলের নতুন নতুন কয়েকটি জাতও এবার লাগানো হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও এবার ভালোভাবে ফুল ফোটায় আমরা খুশি। তিনি বলেন উপাচার্যের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও তত্ত্বাবধানের কারণে সময়মতো ফুল চাষ সম্ভব হয়েছে। তবে এবার আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে আশংকায় আছি। কুয়াশা তুলনামূলক কম হলেও ভয় বৃষ্টি নিয়ে। বৃষ্টি হলেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শক আসছেন। আমরা তাদের ফুলের সৌন্দার্য্য উপভোগ করতে বা ছবি তুলতে বাঁধা দেই না। তবে ফুল যাতে কেউ না ছিঁড়ে সে অনুরোধ জানাই। কারণ ফুল গাছে থাকতেই শোভা বৃদ্ধি পায়। উপাচার্যের ভবনের সামনে এবার যে দু’টি স্থানে নতুন বাগানে সব প্রজাতির ফুল ফুটেছে। বাগানের মালি মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবার প্রথম ফুল লাগানো হয়েছে। মাটির অবস্থা এখনো অতোটা উপযোগী না হলেও ভালো ফুল ফুটেছে। উপাচার্য স্যার প্রতিদিন এই বাগান দেখেন। আমাকে নানা নির্দেশনা দেন। আমি সব সময়ই খুব যতœ নিচ্ছি। আগামী বছর আরও ভালো হবে আমার আশা।

    এদিকে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বসন্তবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

     

     

     

     

     

     

     

     

  • খুলনায় বিশ্ব বেতার দিবস পালিত

    খুলনায় বিশ্ব বেতার দিবস পালিত

    স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার র‌্যালি ও বেতার থেকে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে পালিত হয় জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৭। সকালে র‌্যালির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তুমিই বেতার’।

    এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নূরুল ইসলাম, আঞ্চলিক প্রকৌশলী বিভাংশু কুমার সাহাসহ সরকারি কর্মকর্তা, বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিল্পী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে আঞ্চলিক পরিচালকের নেতৃত্বে র‌্যালিটি বেতার থেকে শুরু হয়ে শিববাড়ি হয়ে পুনরায় বেতারে এসে শেষ হবে।

     

  • বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হাফিজুর রহমান আর নেই

    বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হাফিজুর রহমান আর নেই

    স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও খুলনা জেলা  সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া (৭৬) আর নেই। রবিবার বেলা পৌনে ৩টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কমরেড হাফিজুর রহমান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও পাট-সুতা-বস্ত্রকল সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গেল বছর ১৬ সেপ্টেম্বর কমরেড হাফিজুর রহমান ভূইয়াকে দিল্লির বিএলকে হাসপাতালে লিভারের টিউমার অস্ত্রপচার হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে পরবর্তীতে চেক-আপের উদ্যেশে ২৮ ডিসেম্বর দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হতে দেশ ত্যাগ করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ জানুয়ারি  তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত শুক্রবার একই অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা, ২ পুত্র, পুত্রবধূ, জামাতা ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।আজ সোমবার ঢাকায় ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর মরদেহ খুলনায় আনা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা ও জানাযা শেষে পর্যায়ক্রমে খালিশপুর প্লাটিনাম ময়দান, দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বর, আলীম-ইস্টার্ণ চত্বর, ফুলতলা পার্টি অফিস, ফুলতলা উপজেলা ডাবুর মাঠে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জানাযা শেষে উপজেলা সরকারি কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হবে।এদিকে কমরেড হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবর খুলনায় ছড়িয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রয়াত কমরেডের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে খুলনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী লীগ, ১৪ দলসহ খুলনার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।কমরেড হাফিজুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী : তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০-৬১ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রবেশ এবং ছাত্র অবস্থায় ফুলতলার প্রবীন রাজনীতিবিদ কালিপদ ঘোষের হাত ধরে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। এ সময় কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকায় ভাষানী ন্যাপের রাজনীতি করতেন। ১৯৬৩ সালে আযমখান কমার্স কলেজ থেকে বিকম পাশ করেন এবং ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম পাশ করে কর্মজীবনের শুরুতে বটিয়াঘাটা ডেউয়তলা হাই স্কুলে ৬ মাসের জন্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কমরেড নজরুল ইসলামের প্রেরণায় ১৯৬৬-র ৮ জানুয়ারি, শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হয়ে খালিশপুরের প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলে চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরির সুবাদে ওই মিলের এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নে বার বার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এছাড়া আলিম ও ইষ্টার্ণ জুট মিলস মজদুর ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বহুবার বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি দিতে চাইলেও তিনি শ্রমিক আন্দোলনের সার্থে পদোন্নতি নেননি, এমনকি ৮০ দশকের প্রথম দিকে ডিজিএম পদে লোভনীয় পদোন্নতি প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭০ সালের প্রথমদিকে পার্টির সভ্যপদ লাভ করেন। দেশ স্বাধীনের পর লেলিনবাদি কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৮ সালে ইউপিপি-তে এবং পরবর্তিতে ইউপিএলবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৫ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক অংশের কেন্দ্রীয় সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন, এরপর ১৯৯২ সালে ৩ পার্টির ঐক্য কংগ্রেসের মধ্যদিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য হন। ২০০৮ সালে পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি পার্টির খুলনা জেলা সভাপতি ছিলেন। তার বর্ণাঢ্য আন্দোলনমুখর জীবনে রক্ষীবাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতন ও কারাভোগসহ বিভিন্ন সময় ও মেয়াদে ৫ বার কারাভোগ করেন। শ্রমিক নেতৃত্ব ছাড়াও জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নেন। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন কমিটির সদস্য, পাট-সুতা-বস্ত্রকল সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খুলনা-যশোর পাট শিল্প সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক, বিল ডাকাতিয়া সংগ্রাম কমিটি, পানি ঠেকাও ফুলতলা বাঁচাও আন্দোলন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান আন্দোলন, খুলনা শিল্প কারখানা রক্ষার ও মুজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন, বিভিন্ন সময় সা¤্রাজ্যবাদ ও সম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারী-দুঃশাসনের আন্দোলন এবং রাষ্ট্রায়ত্ব পাট কলের শ্রমিক আন্দোলনের রূপকার হিসেবে খালিশপুরসহ দেশব্যাপী আন্দোলনের চালিকা শক্তি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাত ধরে ফুলতলা এম এম কলেজ, ফুলতলা মহিলা ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। জামিরা বাজার আসমোতিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, ফুলতলা রি-ইউনিয়ন হাই স্কুল, দামোদর মুক্তময়ী হাই স্কুল, ফুলতলা মহিলা ডিগ্রী কলেজ ও ফুলতলা এম এম কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, ফুলতলা লিটল এ্যাঞ্জেল কিন্ডার গার্টেনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এদিকে রূপান্তর পরিবারের পক্ষে নির্বাহী পরিচালকদ্বয় স্বপন কুমার গুহ এবং রফিকুল ইসলাম খোকন এক শোক বার্তায় কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। সেই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

    শোকবার্তায় বলা হয়, কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে মেহনতি মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে, খুলনাবাসীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বের যে শূণ্যতার সৃষ্টি হলো তা’ পূরণ হবার নয়।

  • ফুলতলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা

    ফুলতলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা

    স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।  খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন।শহরে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান প্রবেশ করতে পারবে না এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ট্রাক মালিক সমিতি এবং ব্যবসায়ী মালিক সমিতিকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবহিত করণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খুলনা মহানগরের রাস্তায় ইজিবাইক, অবৈধ স্থাপনা এবং রাস্তার খোড়াখুড়িতে ধুলাবালির কারণে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগের বিষয় উল্লে¬খ করে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিটি সমস্যা আলাদাভাবে চিহ্নিত করে নির্ধারিত সংস্থাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে সমস্যার টেকসই সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।খুলনা শহরে মাদকের ভয়াবহতার বিষয় উল্লে¬খ করে  বিভিন্ন জন উদ্বেগ প্রকাশ করে এটি নির্মূলে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেন। এটি শুধু সমাজ ও দেশকেই ধ্বংস করে না বরং পুরো পরিবারকেই নি:স্ব করে দেয়, তাই অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার  এবং স্কুল-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম চলমান রাখলেই  হবে না, একে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।  এ প্রসঙ্গে মাদককে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে এটি নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রথমেই ফুলতলা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মাদকের বাহক ও গ্রাহক যে-ই হোক না কেন কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না।  সভাপতি এটি বাস্তবায়নে যে কোন সময় অভিযানের প্রতিশ্র“তি দেন এবং অভিযানে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সংযুক্ত করার কথা বলেন। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সেবার মান বাড়াতে সিভিল সার্জন-কে মনিটরিং জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

    সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কেসিসি’র প্রতিনিধি, র‌্যাব প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

    সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত জানুয়ারি-১৭ মাসে ডাকাতি ২টি, রাহাজানি ১টি,  চুরি ৬টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইন ২টি, দ্রুত বিচার ৩টি, ধর্ষণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৯টি, মাদকদ্রব্য ৭৭টি এবং অন্যান্য ৪৯টিসহ মোট ১৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ডিসেম্বর-১৬ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩৮টি।

    জেলার নয়টি থানায় গত জানুয়ারি-১৭ মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৩টি, খুন ১টি, অস্ত্রআইনে ১টি, ধর্ষণ ৩টি, অপহরন ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১১টি ও  মাদকদ্রব্য ৩৩টি এবং অন্যান্য আইনে ৮৪টিসহ মোট ১৩৯টি মামলা দায়ের হয়েছে।  গত ডিসেম্বর-১৬ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৩১টি।

  • সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে  অনুষ্ঠানমালা শুরু আজ

    সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালা শুরু আজ

    স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবন দিবসে বরাবরের মত এবারেও তিনদিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালার শুরু হয়েছে রোববার থেকে খুলনায়। উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

    স্কুল পর্যায়ের শিশুদের জন্য ‘জীববৈচিত্র্যের সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচী শুরু হয়। আজ সকাল ১০টায় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্রাঙ্কন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায়  ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। শতাধিক শিক্ষার্থী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। মহানগরীর খ্যাতনামা স্কুলগুলোর শিক্ষাথীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। সোমবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    ১৪ ফেব্র“য়ারি সুন্দরবন দিবসে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘ শিশু পার্কে। আশা করা হচ্ছে ১৪ ফেব্র“য়ারি খুলনায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, সুন্দরবনপ্রেমী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সাতশ’ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়াও “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন” শ্লোগান তুলে ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ই-কার্ড মেইল করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা জেলা ্ও সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলাসমূহে সুন্দরবন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে-বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন, সুন্দরবন সংলগ্ন সাংবাদিক সমাজ এবং প্রকৃতিপ্রেমী আপামর মানুষ।

  • এবার একুশে পদক পাচ্ছেন যাঁরা

    এবার একুশে পদক পাচ্ছেন যাঁরা

    এসবিএন : সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ দেশের সতের জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০১৭ সালের একুশে পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    তারা হলেন : ভাষা আন্দোলনে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন, শিল্পকলায় (সংগীত) সুষমা দাস, জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম ও রহমতউল্লাহ আল মাহমুদ সেলিম, শিল্পকলায় (চলচ্চিত্র) তানভীর মোকাম্মেল, শিল্পকলায় (ভাস্কর্য) সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, শিল্পকলায় (নাটক) সারা যাকের, সাংবাদিকতায় আবুল মোমেন, গবেষণায় সৈয়দ আকরম হোসেন, শিক্ষায় প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সমাজসেবায় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, ভাষা ও সাহিত্যে (মরণোত্তর) কবি ওমর আলী, ভাষা ও সাহিত্যে সুকুমার বড়–য়া, সাংবাদিকতায় স্বদেশ রায় এবং শিল্পকলায় (নৃত্য) শামীম আরা নীপা।

    আগামী ২০ ফেব্র“য়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ সালের একুশে পদক প্রদান করবেন।

  • প্রেম এবং যৌনতা

    প্রেম এবং যৌনতা

    শেখর দীপ, কলকাতা : প্রেম এবং যৌনতা দুটি শব্দ পরস্পর এতো কাছে থেকেও এর প্রতি মানুষের মনোভাবে এক অদ্ভুত সুয়োরানী এবং দুয়োরাণী গোছের মনোভাব। প্রথমটি সহজেই উদযাপনের বিষয়, দ্বিতীয়তই চিরকালের অবগুণ্ঠিত। দ্বারে বসন্ত জাগ্রত, শিয়রে প্রেমের মরশুম, কিন্তু এই একবিংশ শতকের উল্লাসী জীবনের মাঝে প্রেম বড়ই ম্যাড়মেড়ে হয়ে উঠেছে।

    উদযাপনে রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও রয়েছে, কিন্তু জীবনে তার বড্ড অভাব। না এখানে ঠিক প্রেম বলবো না, বলবো সম্পর্ক, ভালোবাসা। যার উদযাপনের মাত্রাটা পৃথক। যার স্পর্শ-টা তেমন মোটা দাগের নয়। নিভৃতে যে নিজেকে গুছিয়ে রাখে এক মোলায়েম চারাগাছের মতো। তবে তাতে একদিনের, দুদিনের জোর বৃষ্টির দরকার হয় না। দরকার হয় প্রতিদিনের অল্প জলের। কিন্তু এখন মানুষের সেই সময় কোথায়?

    একদিন হেদিয়ে ভালোবাসা দেখিয়ে তারপর বছর ভর শুধু অভাব অভিযোগ এবং একটু এদিক ওদিক ছুঁক ছুঁক। আহা ওই ছুঁক-ছুঁকানি আজকাল আধুনিকতা। অন্তত এমনটি তাদের ধারণা বইকি। তারপর কথায় কথায় বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পর্ক বিচ্ছেদ এবং আরও দ্রুততায় নতুন কোনও সম্পর্কের সন্ধান। এক নামী ঘড়ির বিজ্ঞাপনী ভাষাই তো-‘ এগিয়ে যান’। তা সে কোথায় এগিয়ে যাবো এবং কেন এগিয়ে যাবো তা নিয়ে সবাই চুপ। এই এগিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিটাই তো বিজ্ঞাপনী কায়দা। ধরে রাখতে চাইলে তা তো খুব পুরাতন। সে সব তো খুব কঠিন, ম্যাড়ম্যাড়ে। তাই হেদিয়ে ছুটে চলেছি সামনে। যে পড়ে থাকার থাকুক, যে মরে যাওয়ার যাকগে। আমি তো এগিয়ে থাকলুম।

    সেখানে যদি আমার ভালোবাসার মানুষটি একটু ঘ্যানঘ্যানে হয়, একটু কল্পনা বিলাসী হয়, একটু দাবি দাওয়া বেশি থাকে তবে সে স্মার্ট নয়। এই স্মার্ট বাজারে যখন সবাই এতো আবেগ-বর্জিত সেখানে আন-স্মার্ট ন্যাকা-বোকা প্রেমে কি লাভ। বিশেষত যেখানে প্রেমটাই এতো সহজলভ্য। বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট আছে যেখানে সহজেই প্রেমে পড়া যায়। তাই থেমে চলা মুশকিল। মাঝে মাঝে এসবের মধ্যে থেকে নিজের গা থেকে কেমন একটা ডাইনোসর মার্কা গন্ধ আসে। ভাবি আমি কি বিলুপ্ত হচ্ছি, নাকি হয়ে গেছি বুঝতে পারছি না। এই চমৎকার মুখ দেখানো সভ্যতায় আমি এক স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়া নাবিক।

    আসলে যে মানুষ একবার বুঝে যায় চমকের অগভীরতা সে খুব ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে চায়, মননে, সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে চায় একটি জগত সুন্দর করে গড়ে তুলতে। এই ক্ষেত্রে একটি বিন্দু থাকা খুব আবশ্যক। সূচনা বিন্দু। একটি লক্ষ্য বা এপিসেন্টার। আমার জন্য সেটা চিরকালই প্রেম। একটি মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাস করা। এবং সেই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে একটি মায়া-জগত গড়ে তোলা। আমাদের মন বারবার এরকম একটি জগত গড়ে তুলতে চায় যেখানে আমরা ভালো থাকি। বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এই জগত বিভিন্ন প্রকার। কেউ উচ্চ কোনো আদর্শকে কেন্দ্র করে একটা জগত গড়ে তোলেন, কেউ বা একটা রাজনীতি বোধ থেকে।

    আমি কোন কালেই রাজনীতি, উচ্চ আদর্শ অথবা কোনও মতবাদে( সে ঈশ্বর হোক অথবা শয়তান) বিশ্বাস করি নি। মনের মধ্যে একটা প্রকৃতি চিরকালই বাসা বেঁধে ছিল। মনের সেই প্রকৃতির সঙ্গে বাইরের প্রকৃতির একটি মেল-বন্ধন ঘটাতে চাইতাম ছোট থেকে। শৈশব থেকে কৈশোরে উপনীত হয়ে মেয়েদের প্রতি যে আকর্ষণ অনুভব করি তাই প্রথম প্রেম বলে মূলত জেনেছি। বলা বাহুল্য তা রূপের উন্মাদনা। কোন মেয়েটির মুখ বড়ই নরম, কোন মেয়েটির চলন বলন বড়ই সুমিষ্ট এই হল আমাদের আকর্ষণের মূল বিন্দু।আমার যে বান্ধবীরা সে যুগে আমাদের দলে ভিড়ে যথেচ্ছ ‘ছেলে’-মানুষী করেছে সেসব খাঁটি হীরেদের সেযুগে( বা হুজুগে) তুচ্ছ করেছিলাম, এটা স্বীকারোক্তি। পরবর্তীতে তারা সমস্ত বিদুষী হয়েছে এবং তাদের সেই মূল্য না বুঝতে পাড়ায় আমরা হাত কামড়ে মরেছি। আসলে যাদের সহজেই নাগাল পাচ্ছি এই মনুষ্য-জীবনে তাদের সঠিক মূল্য দিতে শিখলাম কই। আমাদের যত মোহ আভাসের প্রতি। সেসমস্তও শ্বেত-মরালীদের প্রতি যারা তাচ্ছিল্য ভরে সামান্য ঈশারা কিপটের মতো ছড়িয়ে দিয়ে যাবে এবং আমরাও ঘেউ করে চলে যাবো পেছন পেছন।

    যাই হোক, সে অবস্থা থেকে মস্তিষ্ক বর্তমানে কিঞ্চিৎ পরিণত হয়েছে। যে রূপজ এবং দেহজ সৌন্দর্যের প্রতি আমরা উন্মত্ত হয়ে ভুল পথে গিয়েছিলাম সেসব মোহ আর নেই আজকাল। আজকাল মানুষের মনের প্রতি এক তীব্র লোভ। কিন্তু মানুষের মনের প্রতি তীব্র লোভ থাকলে যে নিজের মনটিকেও গুছিয়ে নিতে হয়, সাজিয়ে নিতে হয়। অন্তত প্রেমের ক্ষেত্রে পকেটে অর্থ না থাকলে মনেতে শৌখিনতা অবশ্য কর্তব্য। দুটি মন নানাভাবে কাছে আসতে পারে। দৈহিক সৌন্দর্য একটি বড় বিষয়। মানসিক এবং দৈহিক। পূর্বরাগের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত দরকারি। মানুষের গুণ দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে একে অপরের কাছে আসে মানুষ। কোনও একটি দর্শন, একটি চমৎকার বোধ, অথবা অস্তিত্ব চেতনা দুটো মানুষকে সহজেই কাছে আনতে পারে। রূপের তুলনায় এই গুনের টান পাওয়া মানুষগুলো একটু অন্য গোত্রের হয়। তাদের মধ্যে এক শিল্প-চেতনা এমন ভাবে বিরাজ করে যাতে করে জীবনের অনেক গভীর স্তরে তাদের বসবাস। যে রূপ তারা দেখতে পায় তা সকলে দেখতে পায় না। যাক গে সে কথা আলোচনা করা আমার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়।

    প্রেম থেকে একটি সম্পর্ক ভালোবাসায় আসতে গেলে একটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। বলা বাহুল্য এই পথ তেমন সহজ হয় না, না হওয়াই মঙ্গল। যত কঠিন এই পথ একটি মানুষের সঙ্গে ওপর মানুষের থাকার ইচ্ছেটাও তত প্রবল ভাবে বেড়ে যায়। তারা বুঝতে পারে পরস্পরের সুবিধা, অসুবিধা এবং সীমাবদ্ধতাগুলো। পুরুষের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুই বড্ড তাড়াহুড়োর। সহজেই তারা উন্মত্ত হয়ে যায়, সহজেই তারা সমস্ত প্রেম একবারে দেখিয়ে ফেললেই যেন বাঁচে। এই ভবসাগরে ডুব দিয়ে তারা এখুনি সব সম্পদ নিয়ে আসবে এই হল তাদের পণ। নারীদের ক্ষেত্রে কাম এবং প্রেম দুইই নানা স্তর পার হয়ে আসে। তাদের কোনকিছুই খুব আচমকা নয়, অনেক ধীর, অনেক পরিণতির মধ্যে দিয়ে যে ভালবাসাটা বাসে তা দীর্ঘস্থায়ী। কারণ তার মধ্যে বহুদিনের সঞ্চিত এক বোধের বসবাস। পুরুষের এই আচমকা উত্তেজনা তারা সহজে সইতে পারে না, আহত হয়, তবু এই উত্তেজনায় তারা আকৃষ্ট হয়। এই পাগলামো পেতে কম বেশি সমস্ত নারী ভালোবাসে। এই হল তাদের সমর্পণ। এই সমর্পণের পেছনে শারীরিক এবং মানসিক দুই বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। দু ক্ষেত্রেই তারা কখনো নিয়ন্ত্রণাধীন হতে চায় এবং কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। পুরুষের ক্ষেত্রে যদিও এই দুই বৈচিত্র্য কিঞ্চিৎ কম।তাদের ক্ষেত্রে এই প্রাথমিক পাগলামি এবং দুর্বলতা ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। তাতে সমর্পণ আছে, আবার অহং-ও প্রবল। সমস্ত জগত থেকে নারীকে বিচ্ছিন্ন করে সে পেতে চায়, এবং নিজেকে সমর্পণ করতে চায়। অন্তত প্রাথমিকে। নারী এই পাগলামি যে ক্ষণস্থায়ী তা বোঝে, তবু ক্ষীণ প্রশ্রয় দেয়, কারণ নারীর মধ্যে অবস্থিত পুরুষের ভাগ। মান, অভিমান, অহংকার, হিংসের এই পর্ব যদি দুটি মানুষ কাটিয়ে দিতে পারে তখন তাদের মধ্যে এক সেতু-বন্ধন হয়। সব কথা তখন বুঝিয়ে দিয়ে হয় না, চোখে চোখে কথারা নিজেদের অবস্থান খুঁজে নিতে পারে। শরীরে নৈকট্য আসে। মানসিক প্রেম শরীরকে গ্রহণ করে অধিকারের ভীত আরও একটু মজবুত করতে চায়। এই কাছে আসায় এক অদ্ভুত আনন্দ, অন্তত এই নীল গ্রহে একটি প্রাণ ওপর প্রাণকে অধিকারে বাঁধতে চাইছে এই বোধ বাঁধতেও আছে, বাঁধা পড়াতেও আছে। তাই যৌনতা অতি সুন্দর বিষয়, যতক্ষণ না তা কদর্য। মানুষ মাত্রেই তার মধ্যে রুচিশীল এবং রুচিহীন যৌনতা আছে, এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই-ই বাস্তব। কিন্তু রুচিহীন যৌনতা যদি রুচিশীল যৌনতাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন কেবল মাংসের উৎসব থাকে। মন এবং মানুষ, কেউই থাকে না।

    আমাদের সমাজে এখন কেবল এই রুচিহীন যৌনতার উৎসব। রাষ্ট্র-শক্তির দ্বারা অবদমিত, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন গোষ্ঠীর দ্বারা বিজ্ঞাপিত এই যৌনতা আদতে যৌনতার সুন্দর দিককে আমাদের চোখে নষ্ট করে দেয়। ফলে ক্রমাগত মন অপরাধী হয়ে ওঠে। যে বিষয়টি প্রকৃতির মতোই সুন্দর এবং স্বাভাবিক তা আমরা অপরাধ-বোধ নিয়ে অনুভব করি। এই অবদমিত যৌনতাই আমাদের জীবনে প্রচুর অপরাধের কারণ। এবং এটি একটি ব্যবসায়িক লাভ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে একাধিক সম্পর্ককে স্মার্ট রূপে তুলে ধরা যেমন একটি ব্যবসায়িক চক্রান্ত। এটি একটি বিজ্ঞাপনী কায়দাও। একটি ভালোবাসাকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করা, সেটিকে ধৈর্য দিয়ে, যতœ দিয়ে, অধিকার দিয়ে আগলে রাখা একটি বৃহৎ শিল্প। কিন্তু এই সমাজ শিল্পী নয়, শ্রমিক চায়। শিল্পিতে বিপদ, শ্রমিক কম ভাবে, তাই সে কম বিপদজনক। শ্রমিকের যতœ করার সময় নেই, কোনকিছুতে সে যদি বিশ্বাস করে তা হল অর্থ এবং উন্নতি। সমবয়স্ক বন্ধুদের মধ্যে এরকম বহু উদাহরণ দেখি যারা কেবল উন্নত চাকরি এবং উন্নত মায়না দিয়ে কিনে নিতে চায় নারী হৃদয়। তাদের ক্ষেত্রে নারী পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং নারী বিনিময় মূল্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরা আধুনিক কারণ এদের কোনও আবেগ নেই। পিছুটান-হীনতাকে এরা আধুনিকতার শ্রেষ্ঠ পরিচয় রূপে জানে। এই ছদ্ম আধুনিকতায় হৃদয়ে এরা কতটা গরীব তা হয়ত এরা কোনোদিন বুঝতেই পারে না।

    ভালবাসা কোনও কিনে নেওয়া বিষয় নয়, কোনও মূল্যবান সম্পত্তি নয়। একটা বোধ, তাতে আর যাই হোক স্টেপ জাম্প হয় না। জিতে নিতে হয়, ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কথাটা শুধু কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে নয়, নারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আসলে নিজেকে কোনও একটি মানুষের জন্য সমর্পণ করতে আমরা ভয় পাই। এই যুগ আমাদের মধ্যে এক খুঁড়োর কল এমন ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে যাতে আমরা কেবল অন্ধের মতো অর্জন করতেই শিখেছি। কিন্তু তাতে আদৌ শান্তি পাচ্ছি কিনা, সেটা ভেবে দেখার মতো অবসরও আমাদের নেই। তাই আমাদের এই ছিনিয়ে নেওয়া জীবনে প্রেম বড় দুর্লভ। ভালোবাসা আমারই মতো বিলুপ্তপ্রায়। চিঠি নেই, অপেক্ষা নেই, চিরকুট নেই, চোখে চোখে কথা বলা নেই, একটা আলতো ছোঁয়ায় বুঝিয়ে দেওয়া নেই, কেবল আছে চিৎকার, উল্লাস, প্রেমের প্রকাশ্য-স্থূল উদযাপন এবং নিয়মিত কদর্য যৌনতা। তাতে শিল্প নেই, দুটো শরীরের মিলন নেই। তা ধর্ষণই একপ্রকার। শাস্তি-হীন। এই আধুনিকতায় সকলে সকলের মতো হতে চায়, সকলের মতো প্রেম করতে চায়, আর হতে চায় প্রেমিক এবং প্রেমিকা। বন্ধু হওয়ার কোনও দায় কারো মধ্যে নেই। শুধু এক বুক আত্মবোধ নিয়ে দুটো মানুষ পরস্পরের কাছে থেকেও দুটো ভিন্ন পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে যায়। খোঁজ পায়না একে অপরের মনের।

    প্রেম বিবাহে পরিণত হয়, প্রেম অভ্যাসে পরিণত হয়, একে অপরের ছোট ছোট চেষ্টা, আশাগুলো কিছুদিন পর নিজস্ব কবর খুঁজে নেয় অথবা খুঁজে নেয় অন্য কোনো মন। আদতে একটি মানুষকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকাই শ্রেষ্ঠ আধুনিকতা, অন্তত থাকার জন্য লড়াইটা। একান্ত না থাকার মানুষের সঙ্গে থাকা যায়না কিন্তু এই দায়-হীন সমাজ, এই বিশ্বাস- হীন সমাজ ক্রমাগত যে দিকে চলেছে তাতে করে তাকে কোনও সুবিখ্যাত চ্যানেলের সুবিখ্যাত সিরিয়াল বাঁচাতে পারবে না, বাঁচাতে পারবে না কোনও উদ্দাম শহুরে ভালোবাসার উদযাপন। বয়স, সময় নির্বিশেষে প্রতিদিন দুটো মানুষের একে অপরের জন্য আপাত নিরীহ কিন্তু প্রচণ্ড দামী চেষ্টাগুলো, বিশ্বাসগুলোই বাঁচিয়ে রাখতে পারে ভালোবাসা, সম্পর্ক। এই নীল গ্রহে এই ভালবাসাই তো সর্বশ্রেষ্ঠ, যৌনতাই তো সবথেকে সুন্দর সত্যি। এই অবিশ্বাসী সময়ের বুকে, প্রচণ্ড গতিশীল জীবনের গতিশীল সম্পর্ক এবং ব্রেক-আপে তাই বিশ্বাস- একটা আলো আধারি গলি ধরে হটাত হারিয়ে যাওয়া, একটা সুগন্ধি রুমালে কাঁথাস্টিচ, একটা সিগারেটের প্যাকেট হটাত হাওয়া, একসঙ্গে রান্নার মাঝে হটাত একবার এঁটো হাতে জড়িয়ে ধরা এবং একটা স্নান ভেজা শরীরে জড়ানো আঁচলের গন্ধে লেখা- ভালবাসি। ভালোবাসা গভীর নদীর নিঃশব্দে বয়ে চলা। ভালোবাসা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শ্রেষ্ঠ বিশ্বাস, একটা নরম বুকের আশ্রয়।

    সৌজন্যে: কলকাতা২৪

  • সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে আরো ভূমিকা রাখুন : প্রধানমন্ত্রী

    সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে আরো ভূমিকা রাখুন : প্রধানমন্ত্রী

    এসবিএন :  জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সততা, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার আনসার-ভিডিপি’র সদস্যদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।

    তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও মযাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ত হবার আহবান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভেতরে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং এই সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখায় বিশেষ ভূমিকা আপনারা রাখবেন, সেটাই আমরা চাই।…যেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাদকাশক্তি এবং জঙ্গিবাদে না জড়ায় এ ব্যাপারে আপনাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা:রোববার সফিপুর আনসার একাডেমীতে ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশ-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

    জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাাস কেবল বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বব্যাপ একটি সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আনসার- ভিডিপি’র সদস্যরা যারা গ্রামে-গঞ্জে বসবাস করেন তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মত অপকর্মের সাথে যারা জড়িত অথবা মাদকাশক্তি, মাদক পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন। ছেলে-মেয়েরা মাদকাশক্তি এবং জঙ্গিবাদে যেন না জড়ায় এ ব্যাপারে আপনাদের একটা ভূমিকা রাখতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন কী করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এটাই প্রত্যাশা। আপনারা আনসার ও ভিডিপিগণ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    সফিপুর আনসার একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাহিনীর পরিচালক ফকরুল ইসলাম প্যারেড পরিচালনা করেন।

    এরআগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং আনরার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান আনসার একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক র্কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী জাতির ক্রান্তিকালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন কোন সমস্যা দেখা দেয় আনসার বাহিনীর সদস্যরা তখনই সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।’

    তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল। তারা রেল লাইনে আগুন দেয়, রেল লাইন উপড়ে ফেলে, রেলের ফিস প্লেট উপড়ে ফেলে দেয়, বাসে আগুন, ট্রাকে আগুন, গাছ কেটে ফেলে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এসব কর্মকান্ডকে প্রতিহত করা এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের আনসার ভিডিপি বিরাট দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে অপারেশন রেল রক্ষা, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেইসাথে মহাসড়কের নাশকতারোধ থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে আপনারা মহান ভূমিকা রেখেছেন, জাতিকে রক্ষা করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোহিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। সেজন্য আমি আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অভিনন্দন জানাচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রী ভাষার মাস ফেব্র“য়ারিতে মহান ভাষা শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পচাত্তরের ৩ নভেম্বর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোনসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আনসার বাহিনীর ৬৭০ জন বীর সদস্যের কথাও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এ বাহিনীর স্বতঃস্ফূর্ত ও ব্যাপক অংশগ্রহণ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তাদের কাছে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি নট থ্রি রাইফেলই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে আমি স্মরণ করছি এই বাহিনীর ১২ জন বীর আনসার সদস্যকে যারা ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে শপথ গ্রহণকালে আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেছিলেন।

    আনসার ও ভিডিপি’র উন্নয়নে তার সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালে আমাদের সরকারই আপনাদের সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় পতাকা প্রদান করে। আপনাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ধারাবাহিকতায় ব্যাটালিয়ন আনসারদের চাকরি ৯ থেকে ৬ বছরের পূর্ণতা সাপেক্ষে স্থায়ীকরণের বিষয়টি সম্পন্ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, এছাড়া আপনাদের সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ প্রতিবছরই বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বছর ১৫টি মডেল আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৫টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছর আপনাদের দৃষ্টান্তমূলক কর্তব্যপরায়ণতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ যে পদক প্রদান করা হচ্ছে তা আমাদের সরকারই প্রবর্তন করেছে।

    আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর সম্প্রসারণে সরকারের উদ্যোগের প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অস্থায়ী ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার, হিল আনসার এবং ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের ভাতাদি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ভিডিপি দলনেতা-দলনেত্রীদের পদসংখ্যা ৮ হাজার ৫শ’ জন থেকে ১৫ হাজার ২শ’ ৪৮ জনে উন্নীত করা হয়েছে। শহর এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রীর পদ বাড়ানো হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় এ বাহিনীর ১৫টি ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অপারেশনাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে উপমহাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ দু’টি মহিলা ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ দেশের সীমান্তে নাশকতা রোধ এবং অবৈধ চোরাচালান দমনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবে দায়িত্ব পালন করছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে রয়েছে এ বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা।

    কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবসম্পদকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলা এ বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর সদস্যগণ বর্তমানে যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি এটা জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, সাম্প্রতিক সময়ে এ বাহিনীর কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসহ দেশে-বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন।

    ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ’, আশবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী পরে ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, খুলনা এবং রাঙ্গমাটিতে আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবনের নাম ফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি আনসার সদস্যদের নিয়ে একটি কেক কাটেন এবং তাদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আনসার-ভিডিপি সদস্যদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।