Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 58 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ভোমরায় পচা পেঁয়াজের ঝাঁজে মরছে গাছ: প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-ভোমরা মহাসড়কের নবাতকাটি এলাকায় ভারত থেকে আমদানি করা পচা পেঁয়াজ ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে গাড়ের গোড়ায়। পচা পেঁয়াজের ঝাজে মরছে মহাসড়কের পাশে পরিবেশ বান্ধব শতাধিক গাছ। দীর্ঘদিন ভোমরার ব্যবসায়ীদের পচা পেঁয়াজে দূষিত পরিবেশে স্থানীয়দের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষটি আকর্শণ করেছে সচেতন মহল।
    সূত্রে জানা গেছে, ভারতের নাসিকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। কলকাতা থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের দুরুত্ব সবচেয়ে কম হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ এই বন্দর দিয়ে আমদানি করে থাকে।
    ভারতীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় নি¤œমানের পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠায়। এছাড়াও দুই দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর যোগ সাজসে কমিশন ব্যবসার আড়ালে সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে প্রতিদিন ঢুকছে শতশত টন ভারতীয় পঁচা পেঁয়াজ। কমিশনের বিনিময়ে বিক্রির সময় তাদের বাংলাদেশি এজেন্টরা পড়েন বিপাকে। বেশিরভাগ সময়ে ওই পেঁয়াজ কোন গোডাউন মালিকের কাছে বিক্রি করতে হয় অথবা নিজদায়িত্বে কোন গোডাউনে আনলোড করে নিতে হয়। গোডাউনে পচা পেঁয়াজ আলাদা বাছাই করে ভাল পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। আবার অনেকে বিক্রি করতে না পেরে এই পঁচা পেঁয়াজ প্রতিদিন ফেলছে ভোমরা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে। একই সাথে চলছে পরিবেশ দূষণ এবং মূল্যবান বৃক্ষ-নিধন।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরুত্ব কম হওয়ায় এই বন্দর পছন্দ ব্যবসায়ীদের। ভারতে নাসিক পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। সেখান থেকে ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত র্দীঘ পথ পাড়ি দিয়ে পেঁয়াজ আনা হয়। অনেক সময় ভোমরা বন্দরে বিপরীততে ভারতীয় অংশে সিরিয়ালের সমস্যায় ৩/৪ দিন আটকেও থাকে। সেক্ষেত্রে ভাল পেঁয়াজও প্রায় অর্ধেক পচে যায়। ভোমরা বন্দরে বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা না থাকায় ভোমরা স্থল বন্দরের কমিশন এজেন্ট এবং গোডাউন মালিকরা পচা পেঁয়াজ ফেলছেন ভোমরা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের নবাতকাটি এলাকার বিভিন্ন গাছের গোড়ায়।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোমরা-শাঁখরা রাস্তার ঘোষ পাড়া পর্যন্ত এবং ভোমরা-সাতক্ষীরা সড়কে বিজিবি বাঁশকল পর্যন্ত কয়েকশত ছোট-বড় গোডাউন গড়ে উঠেছে। অনেক নারী শ্রমিক এসব গোডাউনে পচা পেঁয়াজ বাছাইয়ের কাজ করেন। দিনের বেলায় চলে পচা পেঁয়াজ বাছাই করে। রাতের অন্ধকারে পচা পেঁয়াজের বস্তা ভ্যানে অথবা ট্রলিতে লোড দিয়ে নবাতকাটি এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। রাস্তার ধারে যে গাছগুলোর গোড়ায় পচা পেঁয়াজ ফেলার কারণে পেঁয়াজের ঝাঁজে মাটি ও বায়ু দুষণ হয়ে গাছগুলোর আগা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। এখানে প্রায় শতাধিক গাছ মারা গেছে। যে গাছগুলো আছে তা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। ভোমরা বিজিবি বাঁশকল থেকে নবাতকাটি প্রাইমারী স্কুল থেকে গাংনিয়া ব্রীজ এলাকা পর্যন্ত পচা পেঁয়াজের গন্ধে পরিবেশ দূষিত। পথচারীরা অতিষ্ঠ। বেশি বিপদে পড়ছেন মহিলা ও শিশুরা। চলচলের সময় সবাইকে নাক ধরে চলতে হয়। অনেকে পচা পেঁয়াজের দুগন্ধে বমি করে ফেলে।
    ১৯৯৬ সাল থেকেই ভোমরা স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও বন্দরে বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার কোন উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. ন. ম গাউছার রেজা বলেন, প্রতিটা বৃক্ষ মাটি থেকে খাদ্য উপাদান সংগ্রহ করে। মাটিতে গাছের খাদ্য উপাদানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ উপকারি ব্যাকটেরিয়া এবং জৈব উপাদান আছে। মাটি বিষাক্ত হয়ে গেলে গাছের উপকারি উপদান ও ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। তখন যাছ তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে না পারার ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে গাছ মারা যায়। মাটিতে দুষিত পদার্থ মাটির সাথে মিশে খারাপ পচনশীল দ্রব্য দ্রুত পচে যেয়ে মাটির উপকারী অনুজীবকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় এতে করে বৃক্ষের মৃত্যু হয়। পচা পেঁয়াজ পরিবেশ ও বৃক্ষের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর।
    স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, পঁচা পেঁয়াজের ঝাঝে কারণে এই রাস্তা চলাচলা কষ্টকর হয়ে গেছে। এই রাস্তায় চলাচলের সময় অবশ্যই নাক ধরে যেতে হয়। ভারত থেকে আমদানিকৃত পচা পেঁয়াজের কারণে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে এবং রাস্তার পাশে থাকা সব গাছ মারা গেছে। পচা পেঁয়াজের কারণে এলাকার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে এই রাস্তায় দিয়ে কয়েক শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়ত করে। শিক্ষার্থীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশন এবং ভোমরা ইউনিয়ন কাউন্সিল পৃথক বা যৌথভাবে কোন উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেননি। ভোমরা স্থলবন্দরের আবর্জনা ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
    সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব আশেক-ই-এলাহী বলেন, বিভিন্ন কারণে এই এলাকার অনেক গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। গাছ মরার কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ভোমরা-নবাতকাটি এলাকার পচা পেঁয়াজের কারণে বাতাস দুষিত হচ্ছে। আর পচা পেঁয়াজ গাছের গোড়ায় থাকলে গাছ তো মারা যাবে। গাছ মরার কারণে অবহাওয়া জলবায়ুর উপর প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের আবহাওয়া জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা তখন বৃষ্টি হচ্ছে না। অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে এতে ফলস, সম্পদ ও জানমালের ক্ষতি হচ্ছে।
    ভোমরা স্থলবন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার নিয়ামুল হাসান বলেন, ব্যবসায়ীদের পচা পেঁয়াজ পেলার কারণে গাছ মারা এই বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। স্থলবন্দর এলাকার আমাদের কোন কিছু করার অধিকার থাকে না। তাপরও আমাদের সাধ্যমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এটা অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ। জেলায় কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস নেই। ভোমরা-নবতাকাটি সড়কের পেঁয়াজ ফেলার কারণে গাছ মারা এবং পরিশেষ দুষণ হচ্ছে এটা দু:খজনক। যাদের কারণে এটা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘মাদককে না বলুন, সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়ুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী বিক্ষোভ ও পথসভা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের সভাপাত্বিতে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন আলম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী শাওন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি,কাজী সাহেদ পারভেজ ইমন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ জেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা বলেন মাদক ও চোরাচালান বন্ধের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত রাখতে ও সাতক্ষীরা জেলাকে মাদক ও চোরাচালান মুক্ত করতে দিন রাত কাজ করে যাবে। পুলিশ প্রশাসন যদি মাদক ও চোরাচালানীদের সাথে কোন রকম আপোষ করে তাহলে ছাত্রলীগ রাজপথে নেমে কাজ করবে।
    এসময় সাতক্ষীরার মাদক ও চোরাচালানী বড়বাজারের আমিনুর ও তার ছোটভাই মতিনুরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় জেলা ছাত্রলীগ।

    hdr
  • বঙ্গবন্ধুর উন্নত চেতনা থেকেই আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ – আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের আয়োজনে সভা কক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, এসএম আসাদুর রহমান সেলিম, মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তার উন্নত চেতনা থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ ও জাতীয় পতাকা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাঙালী জাতিসহ বিশ^বাসী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।’ এসময় জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম খলিলুর রহমান।

  • আশাশুনিতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী হেনা গাজী


    Dainik satkhira

     আশাশুনিতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দুইজন। এরমধ্য একজন মোসলেমা খাতুন মিলি লড়ছেন কলস প্রতীক নিয়ে তার বিপক্ষে লড়ছেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গ হেনা গাজী।

    তবে স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে প্রচার ও প্রচারণায় ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন হেনা গাজী। ফুটবল প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেও এর আগে ইউপি সদস্য হিসেবে এলাকা বাসীর কাছে প্রিয়। ফলে ইতোমধ্যে মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের হেনা গাজী।

    নিজের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে সব সময় গরীব দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা ধারা নিয়েই তিনি উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বচনে এলাকাবাসীর হৃদয়ের মণি কোঠায় জায়গা করে নিয়ে নির্বাচনী প্রাচারনা চালিয়ে যাচ্ছে হেনা গাজী।
    স্থানীয় তরুণ ভোটার কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, হেনা গাজী তৃতীয় লিঙ্গের হলেও এর আগে সে তিনবার ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করেছেন তার সুমিষ্টি আলাপ,গরীব দুখীর প্রতি ভালবাসা সকলকে মুগ্ধ করেছে। এজন্য উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সাধারণ ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে জানান।

    নির্বাচনে জয়ের আশাবাদী হেনা গাজী বলেন, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কিন্তু তার ইচ্ছা শক্তি তাকে মানুষের সেবা করা থেকে দুরে রাখতে পারেনি। উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য তাকে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে নির্বাচনে লড়তে হচ্ছে। সে তৃতীয় লিঙ্গের বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে সারা বাংলাদেশে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। আশাশুনি উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে আশাশুনিবাসীকে উপহার দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিবেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

  • জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকিতে পদ্মপুকুর : বর্ষা পূবেই বিলিন হতে পারে বেড়ী বাঁধ

    সংবাদদাতা প্রেরিত: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ইউনিয়নের দু ধাঁর দিয়ে তৈরী খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধ । বর্তমানে এ বেড়ীবাধে দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন । আবার অনেক স্থানে বাঁধ বসে গেছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় জনগনের মধ্যে আতংক। যে কোন সময়ে বাধ ভেঙ্গে তলিয়ে যেতে পারে স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পদ ও জমি।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের শঙ্কা, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে গোটা ইউনিয়ন। এমনিতেই এবার বর্ষা মৌসুমের আগেই শুরু হয়ে গেছে ঝড় , জলোচ্ছাস।
    উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ইউনিয়ন  খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ দ্বারা বেষ্টিত । ৩৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পদ্মপুকুর ইউনিয়নটি প্রায় পুরোটাই বেড়ীবাঁধ দিয়ে ঘেরা। আর এখানে বসবাস প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। সাম্প্রতিক কালের প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছাস আইলায় লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পদ্মপুকুর ইউনিয়নের সবহারা মানুষ এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে লিপ্ত।

    পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, পশ্চিম পাতাখালি, কামালকাটি ও বন্যতলা এলাকাযসহ অধিকাংশ খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ’র বেড়িবাঁধে সৃষ্ট হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ধসে নদীগর্ভে বিলীনের শঙ্কা নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এখানকার মানুষজন। দীর্ঘদিন জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে থাকা বেড়িবাঁধ সংস্কারের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করেও প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা খুবই হতাশ।

  • শ্যামনগরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের অফিসে আগুন


    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ফিল্ড অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি মাইক্রোবাস, ২৩টি পালসার মোটরসাইকেল, ২৩টি হেলমেট, ৬টি বাইসাইকেল, দুটি এসি ও আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
    রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ফুলতলায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।
    ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের শ্যামনগর এরিয়া প্রধান মি. রবার্টসন নিরাপত্তা কর্মীদের বরাত দিয়ে বলেন, রাত দুইটার দিকে হঠাৎ স্পার্কের শব্দ শুনতে পায় তারা। পরে বিকট শব্দ হয়। কিন্তু কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো কেউই নিশ্চিত নয়, তখন বিদ্যুৎও ছিল না। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
    তিনি আরও জানান, এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ ভস্মীভুত হয়েছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন একটি টিম আসছে। তারাই ঘটনাটি তদন্ত করবে।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

  • সাতক্ষীরায় বই মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

    সাতক্ষীরায় বই মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বই কিনুন, বই পড়ুন ও প্রিয়জনকে বই উপহার দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মমাস ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ১১দিন ব্যাপি বই মেলার সমাপনী, আলাচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী মিসেস লাভলী কামাল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী প্রমুখ। বই মেলায় ৭০টি স্টল স্থান পেয়েছে। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সবশেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজহার আলী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন।

  • বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত হচ্ছে, প্রাণ সায়ের কপোতাক্ষ বেতনাও হবে: নৌ সচিব আবদুস সামাদ



    বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত হচ্ছে, প্রাণ সায়ের কপোতাক্ষ বেতনাও হবে: নৌ সচিব আবদুস সামাদ

    নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেন, ভোমরা স্থল বন্দর এ এলাকার উন্নয়নের সূতিকাগার। তিনি বলেন, বন্দরের উন্নয়নের সাথে সাথে রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য আরও গতি লাভ করবে। সাতক্ষীরায় নদী খাল দখলদারদের উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় বুড়িগঙ্গাকে দখলদারমুক্ত করার অভিযান চলছে। তিনি সাতক্ষীরার প্রাণ সায়ের খাল উন্মুক্ত করা এবং কপোতাক্ষ ও বেতনা নদী দখলমুক্ত করে খনন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। চিংড়ি, হিমায়িত মৎস্য, আম ও কৃষি ফসল উৎপাদনে সাতক্ষীরা দেশের শীর্ষে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
    নৌ পরিবহন সচিব শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক অনির্ধারিত মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
    তিনি আরও বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এই সেতু নির্মাণ সমাপ্ত হলে সাতক্ষীরায় আরও উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। সুন্দরবনকে ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি বাস্তবায়িত হলে সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়নের ¯্রােতোধারায় আরও বেগবান হবে। এছাড়া রেল লাইন নির্মাণের বিষয়টিও সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। সরকার সারা দেশে রেলের সম্প্রসারণ ঘটাতে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সচিব বলেন, দক্ষিণ জনপদ সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য জন প্রতিনিধিদের আরও সোচ্চার হতে হবে। তারা অগ্রসর হলে সরকারও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দক্ষিণের এই জেলা উন্নয়ন মহাসড়কে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নৌ সচিব আবদুস সামাদ পরে ভোমরা স্থল বন্দর, সাতক্ষীরা পিএন বিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়, শিশু হাসপাতালসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন।
    বিকালে তিনি সাতক্ষীরার শহীদ রাজ্জাক পার্কে চলমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বই মেলা’ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বই আমাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। বইই আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করে। শিখতে পড়তে বই, জানতে জানাতেও বই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে বই পড়া শিখাতে হবে। এ জন্য বাবা মা ও স্কুলের শিক্ষকরা অগ্রনী ভূমিকা নিতে পারেন। নৌ সচিব আরও বলেন, দুর্নীতির ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। দুর্নীতিরোধে সকলকে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • জাতির পিতার জন্মদিন আজ

    ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; একটি নাম, একটি চেতনা। তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা। আজ তাঁর ৯৯তম জন্মদিন। তিনি সমগ্র জীবনব্যাপী একটিই সাধনা করেছেন— বাংলা ও বাঙালির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উত্সর্গ করা। তাঁর জন্মদিনেই পালিত হয়ে থাকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’। দিনটিকে ঘিরে সাতক্ষীরাসহ দেশের সকল জেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে জন্ম নেওয়া মুজিব পরবর্তীতে আবির্ভূত হন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির নেতা হিসেবে। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা খাতুনের চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে। তাঁর জন্যই বাংলাদেশ নামক একটি দেশের জন্ম হয়। তাঁর ডাকেই বাঙালিরা অস্ত্র ধরে পাক শাসন থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দেয়। দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের মুক্তির পথ দেখাতে রাজনীতিতে আসেন মুজিব। কিশোর বয়স থেকেই তাঁর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জন্ম নেয়। আর এতে করেই তাঁর মধ্যে সৎসাহস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতার জন্ম নেয়।দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের জাঁতাকল থেকে মুক্তি পেয়ে যখন পাকিস্তানের জন্ম হয় তখনই তিনি বুঝতে পারেন এই রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে বাঙালিরা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হবে। তাই তিনি নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-এর আইয়ুব সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনসহ প্রতিটি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ কারণে তাঁকে বারবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে জানায় অকুণ্ঠ সমর্থন।সত্তরের নির্বাচনে মুজিবের বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। অবশেষে একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু এক ভাষণে বাঙালিদের জাগিয়ে তোলেন। এরমাত্র কয়েকদিন পরই ২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর শেখ মুজিবের ডাকে বাঙালি জাতি যুদ্ধে নামে। দীর্ঘ নয় মাস পরই যুদ্ধ জয়ে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে কারাবন্দি থাকেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু সেই সুযোগ বেশিদিন পাননি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে সপরিবারে নিহত হন বাঙালির এই অবিসংবাদিত নেতা। শুরু হয় দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত দিকে নিয়ে যাওয়ার পালা। ১৯৭৫-পরবর্তী ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

    বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যতে দেশ গড়ার নেতৃত্ব দিতে হবে আজকের শিশুদেরই। তাই শিশুরা যেন সৃজনশীল মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে- তিনি সব সময়ই সেটা চাইতেন। তাই জাতির জনকের জন্মদিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ৭৫- এর পর বাংলাদেশে অপশাসনের এক অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে। এরপর কেটে যায় প্রায় দুদশক। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতাসীন হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের সরকার। শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর এর পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ দিবসটি পালন শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন বন্ধ থাকে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলে তখন থেকে ১৭ মার্চে আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন। দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনটিকে ঘিরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন, শিল্পকলা একাডেমি এবং জেলা ও উপজেলার সব দপ্তর বা সংস্থার সমন্বয়ে দিবসটি পালন করা হবে।

  • সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি টহল ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে মাছ ধরা জেলেদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ, তদন্তে প্রমানিত অবশেষে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন


    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি টহল ফাঁড়ির অফিস ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলমের বিরুদ্ধে গহীন সুন্দরবনে মাছ ধরা জেলেদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
    এদিকে, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীন বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় আদায়কৃত মুক্তিপনের টাকা অবশেষে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেনের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ওসি মহসিন আলম।
    জানা যায়, গত ৩ মার্চ সুন্দরবনের পুষ্পকাটি গহীন অরন্যে মাছ ধরার অপরাধে ওসি মহসিন আলমের নেতৃত্বে পুষ্পকাঠি বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা চার জেলেকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়। আটক জেলেরা উক্ত ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৮ হাজার টাকা পরিশোধ করলে ওসি মহসিন আলম তাদের ছেড়ে দিলেও বাকি ২২ হাজার টাকার জন্য তাদের ব্যবহৃত নৌকা ও জাল আটকে রাখা হয়।
    বাড়িতে ফিরে তাদের মধ্যে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেন এর প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীনকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করেন। তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ওসি মহসিন আলম জেলেদের কাছ থেকে নেয়া উক্ত ২৮ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
    তদন্তকারী কর্মকর্তা এসও কে.এম কবীর উদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২৮ হাজার টাকা জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং ওসি মহসিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ এ ঘটনার সত্যতা স¦ীকার করেছেন।
    খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন বলেন, দুর্নীতি পরায়ন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে নানা প্রশংসায় অভিষিক্ত হলেন অতিথিরা। তাদের মুখের ভাষায় অভিষেক হলো সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন নির্বাচিত কমিটির ১৩ কর্মকর্তার। উন্মুক্ত দীঘির শ্রান্ত বাতাসে মুকুলের সুবাসে ফুলেল শুভেচ্ছা আর সম্মাননা ক্রেস্টের ঝিলিকে চমকে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মিলনায়তন। মঙ্গলবার সুর ও ছন্দের আবেশে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। বর্ণিল এই আয়োজনের প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান উপমহাদেশের শীর্ষ শ্রেষ্ঠ শল্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডাক্তার আফম রুহুল হক বলেন, ‘আমি যখন ম্যাট্রিক পরিক্ষা দিয়েছিলাম তখন নৌকায় এসেছিলাম সাতক্ষীরায় গফুর সাহেবের বাড়ির ঘাটে। এখন সে নদী আর নেই। এ নদী খনন করতে হবে। তবেই হবে সাতক্ষীরার উন্নয়ন’। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সড়ক পথে সুন্দরবন। পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ভোমরা বন্দরমুখী সড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে হবে। আমরা চিংড়িতে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দিচ্ছি। বিপুল পরিমান সাদা মাছের জন্ম দিচ্ছি, রপ্তানি করছি। প্রয়োজনের কয়েকগুন বেশি কৃষি ফসল সবজি দিচ্ছি। আমাদের আম যাচ্ছে ইউরোপ। তবু সাতক্ষীরার উন্নয়ন নেই এই আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কোনো কোনো স্থানে তিনজন আওয়ামী লীগ এমপির মধ্যে একজন মন্ত্রী। আর আমাদের চারজন আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির মধ্যে একজনও মন্ত্রী না। আমরা তো এভাবেই বঞ্চিত হচ্ছি দাবি করে তিনি বলেন এ থেকে আমাদের উত্তরন চাই। এ অঞ্চলকে একটি ইকোনমিক জোনে পরিণত করতে হবে। ইকো ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এসব সম্ভাবনার দ্বার খোলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন সবগুলি নদীর মুখ স্লুইস গেটে বন্ধ হয়ে আছে। এগুলি সরাতে হবে নদীকে জীবন্ত করতে হবে। দুর করতে হবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ। সবাই মিলে সাতক্ষীরাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি। সাথে থাকবো। সেমিনার করে উন্নয়নের তাৎপর্য তুলে তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা কথিত মারামারি কাটাকাটির গর্তে পড়ে আছে। আমাদেরকে এই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবেই আসবে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন। সাংবাদিকদের জন্য আবাসন আমিও চাই। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। আমাদের সঠিক পরিচয় সাংবাদিকরাই পারেন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। তিনি বলেন সাতক্ষীরায় ভাল ভাল সাংবাদিক আছেন। তারা দেশের উচ্চ মিডিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার ক্লাস এইট পাস মহা মহা সাংবাদিকও উঁকি দেয়। তিনি বলেন, ‘উই হ্যাভ টু কন্ট্রোল দেম’। না হলে প্রকৃত সাংবাদিকরা বিভ্রান্ত হবেন। আপনারা মুক্তভাবে লিখুন। সমাজকে এগিয়ে নিন। দেশের উন্নয়নে কাজ করুন। ডা. রুহুল হক আরও বলেন আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রেসক্লাবকে আগেও সহযোগিতা করেছি, আবারও করবো। আপনাদের সাথে আছি, থাকবো।
    অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বলেন, ‘মামা আমায় কথা দিয়েছেন। তিনি গেটলক খুলে দেবেন’। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে এসএম জগলুল হায়দার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের হাতে আঞ্চলিক বা এলাকা ভিত্তিক উন্নয়ন ক্ষমতা রয়েছে। চাইলেই আমরা এমপিরা অনেক কিছু পারিনা। তবে চার এমপি সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্যের সহযোগিতায়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীকে ধরতে পারলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উন্নয়ন অবশ্যই কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাবে। জগলুল হায়দার আরও বলেন, আমি জাতীয় সংসদে প্রেসক্লাবের উন্নয়নে কথা বলেছিলাম। এখন প্রেসক্লাব উন্নয়নের কিছু কাগজপত্র লাল ফিতায় আটকা পড়েছে। আমরা এই লাল ফিতা ছিন্ন করতে চাই। আমরা কেউ ভুল ত্রুটির উর্ধে নই জানিয়ে তিনি বলেন গত ১৫ বছর যাবত সাধারণ যাত্রীরা জিম্মি হয়ে আছে বাস মালিকদের কাছে। তিনি সাতক্ষীরা শ্যামনগর রুটের গেটলক খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অধ্যক্ষ আবু আহমেদকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এখন মুক্ত মনে লিখতে পারছেন। তবে কিছু কিছু সাংবাদিক হুট করে না জেনে না শুনে কিছু একটা লিখে দিলেই সকালে ঘুম থেকে দেখবেন আপনার মান সম্মান সব শেষ। এমন হাতে গোনা কয়েকজন সাংবাদিক থাকলেও সাতক্ষীরার বেশিরভাগ সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনেক ঐতিহ্য, অনেক পরিচিতি। সুসময়েই নয় শুধু মানুষের দুঃসময়ে দুর্যোগে দুর্বিপাকে তারা মন প্রাণ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তারা তাদের লেখনী দিয়ে গনমানুষের কল্যাণ করছেন। তারা লিখলে প্রশাসনের টনক নড়ে । রাজনীতিবিদ সমাজ কর্মী সবাই নড়েচড়ে বসে। সবাই সচেতন হয়। এ সময় প্রকৃত চাহিদা বেরিয়ে আসে । আমরা সবাই উপকৃত হই। আপনাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। আমরা সব সময় আপনাদের সাথে আছি।
    বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমগুলি অসংখ্য ধুলি কণা তুলে ধরতে পারে। এজন্য তারাই সবচেয়ে বড় দর্পনের কাজ করে। এই দর্পনকে স্বচ্ছ রাখা দরকার’। আর এ কারণেই সমাজের নিন্দুকদের কাছে তারা অনেক সময় চক্ষুশূল হয়ে পড়েন। তবু প্রকৃত সাংবাদিকরা অপসাংবাদিকতার প্রশ্রয় দেন না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদে সমাজের প্রকৃত চেহারা ফুটে ওঠে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একপেশে খবর, খবর নয়। স্বাধীন গন মাধ্যম যদি যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে সেই সমাজ পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। সঠিক সংবাদে সমাজের কল্যাণ হয় । আর অনভিপ্রেত সংবাদ সমাজের ক্ষতি করে। সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের সাথে আমার প্রফেশনাল ঘনিষ্ঠতা খুব বেশি মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন আপনাদের দক্ষতার প্রসার ঘটাতে হবে। উৎকর্ষ সাধনের জন্য আরও প্রয়াস চালাতে হবে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মশাল প্রজ্জ্বলিত। এই মশালকে এগিয়ে নিতে হবে। গভীর প্রফেশনাল সম্পর্ক নির্মাণ করতে হবে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নে জেলা প্রশাসক হিসাবে আমার যতো করনীয় তা করবো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
    অভিষেক অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ‘ফোর্থ স্টেট’। এখানে আছে গণতন্ত্রের অবাধ চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। যারা এই পেশায় রয়েছেন তাদের সাথে পুলিশের মিল রয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন প্রেস ও পুলিশ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দেশ ও জনগনের উন্নয়নে তারা অনবরত কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আরও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। স্বাধীনতার মাস এই মার্চে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে আমাদের পথ চলতে হবে। তিনি নব নির্বাচিত কমিটির সাফল্য কামনা করেন।
    অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে। আমরা জনগণের কল্যান ও উন্নয়নের পক্ষে। আমরা জনপ্রতিনিধিদের সাথে মিলিত হয়ে উন্নয়ন কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, প্রেসক্লাব উন্নয়ন বঞ্চনায় রয়েছে। এই বঞ্চনা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। আমরা চাই সাংবাদিক প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন। এই বন্ধন হবে দৃঢ়, উল্লেখ করেন তিনি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীর সঞ্চালনায় স্বচ্ছ বৈকালিক এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ইতিহাস ঐতিহ্য অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ড ছাড়াও ভবিষ্যত কর্মযজ্ঞের কথা তুলে ধরে বক্তৃতা করেন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা প্রমূখ সুধিজন। অতিথিরা নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এর আগে অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করেন প্রেসক্লাব সদস্যগণ।
    সন্ধ্যায় দীপালোক একাডেমির পরিচালক ৭১ টিভির বরুন ব্যানার্জির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

  • ছনকায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারের পথসভা

    নিজস্ব প্রতিনিধ:  উপজেলার ছনকা বাজারে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা উড়োজাহাজ প্রতিকধারী কাজী আকতার হোসেন এর নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছনকা বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদউদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এড. ফারুক হোসেন, এড. সাইদুজ্জামান জিকো, কাজী ইকবাল হোসেন, তুুহিন, মাসুদ, বিমান, বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন, শুকুর মাহমুদ, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, নাহিদ প্রমুখ।

    আক্তারের নির্বাচনী গণসংযোগে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী নির্বাহী কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী নির্বাহী কমিটির সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। সভায় আগামী ৯ মার্চ শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্য নির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে কমিটির সকলে একমত পোষণ করেন।
    প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী’র পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন ও জি.এম আদম শফিউল্লাহ।

  • ঘূর্ণিঝড়ে মুন্সিগঞ্জ কলেজের পাঠদান ভবনসহ ছাত্রী মিলনায়তন বিধ্বস্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী মিলনায়তনসহ একটি পাঠদান ভবন সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার শেষ রাতে প্রচণ্ড শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলীয় জনপদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওই ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    সরেজমিনে গত বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জ কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছে দেখা যায় বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে পাঠদানের জন্য নির্ধারিত হলরুমের উপরিভাগের এ্যাজবেসটস ও টিনের ছাউনি পাশের মাঠের মধ্যে পড়ে আছে। এছাড়া ভবনের পাঁকা দেয়ালের উত্তর পাশ ধসে যাওয়ার পাশাপাশি যথাক্রমে পুর্ব ও পশ্চিম পাশের দেয়ালে ভয়ংকরভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে।

  • জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে নৌকা পেলেন যারা



    জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে নৌকা পেলেন যারা

    আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ৭ উপজেলায় ২ নতুন মুখ নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় নির্ভর যোগ্যসূত্র জানায়, ৭ উপজেলার প্রার্থী চূড়ান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    তাদের মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, দেবহাটা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি, আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান এবং শ্যামনগর উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
    এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে নতুন যোগ হয়েছে নতুন মুখ। অন্য ৫টি উপজেলায় আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যানেরাই পেয়েছেন নৌকার টিকিট।

  • ভারতীয় চা পাতা ও গরুর মাংসে সয়লাব সাতক্ষীরা সীমান্ত।


    সাতক্ষীরা সীমান্ত সয়লাব হয়ে পড়েছে ভারতীয় চা পাতা ও গরুর মাংসে। প্রতিদিনই বিজিবির অভিযানে আটক হচ্ছে এসব ভারতীয় চোরাই সামগ্রী।
    গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৩০০ কেজি গরুর মাংস ও ৩০০ কেজিরও বেশি ভারতীয় চা পাতা আটক করা হয়েছে। তবে এর সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের আটক করা যায়নি।
    সীমান্তের বাসিন্দারা জানান ভারতে গরুর মাংসের চাহিদা কম। ফলে দামও কম।এই সুযোগ নিয়ে চোরাচালানিরা ভারতীয় গরু পাচারের ঝুঁকি না নিয়ে সে দেশে জবাই করা গরুর মাংস পাচার করছে বাংলাদেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাতক্ষীরা সীমান্তের চোরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় গরুর মাংস সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সীমান্তের হাটে বাজারে খোলামেলাভাবে তা বেচাকেনা চলছে। সীমান্তের এসব এলাকা থেকে গরুর মাংস চলে আসছে সাতক্ষীরা শহরে অথবা দেশের অন্যান্য এলাকায়। সচরাচর গরুর কসাইদের মাধ্যমে তা বাজারে বেচাকেনা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। বাজারে এসব মাংস সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে কসাইরা। সীমান্তের বিভিন্ন বাড়িতেও মিলছে ভারতীয় গরুর মাংস। আগে থেকে অর্ডার দিয়ে এলাকার মেজবান ও পারিবারিক অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হচ্ছে এসব গরুর মাংস।
    এদিকে গরুর মাংসের সাথে পাল্লা দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসছে চা পাতা। প্রতিদিনই সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক হচ্ছে ভারতীয় চা পাতা। বাংলাদেশের হাটে বাজারে এসব চা পাতা বিক্রি হচ্ছে । এর ফলে বাজারে বাংলাদেশের চা পাতা বিক্রি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই চা পাতার মধ্যে মাদকের উপাদান আছে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বিজিবি বলেছে এ বিষয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা না করে কোনো মন্তব্য করা কঠিন।
    বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খোন্দকার বলেন চোরাই পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের ভারতীয় পণ্য আটক অব্যাহত রয়েছে।

  • সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নানীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক



    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি
    আবুল কালাম আজাদের নানী আনোয়ারা বেগম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না
    ইলাহী রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছি ১০৭ বছর। তার মৃত্যুতে
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছন। একই সাথে তার বিদেহী আত্মার
    মাগফিরাত কামনা করেন গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে
    সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল
    সদস্যবৃন্দ।